Sunday, October 5, 2025







বাড়ি"ধারাবাহিক গল্প"দেয়ালের ওপাশে কেদেয়ালের ওপাশে কে পর্ব-০৫ এবং শেষ পর্ব

দেয়ালের ওপাশে কে পর্ব-০৫ এবং শেষ পর্ব

#দেয়ালের_ওপাশে_কে?
পর্ব-৫ (শেষ)
Zannatul Eva

কাল সাবা আর আদনানের বিয়ে। এমন একটা সময় আদনান এক ভয়ংকর সত্যির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে। যেটা শুনলে হয়তো সাবা সহ্য করতে পারবে না। তাই সাবাকে না জানিয়ে আদনান তার হবু শ্বশুর কামাল হাসানকেই সমস্তটা জানানোর সিদ্ধান্ত নিলো। নিজের চেম্বারেই তাকে ডেকে নিলো। কামাল হাসান বেশ চিন্তিত হয়েই আদনানের হাসপাতালে এলেন। রোগী দেখার চাপ কমে যাওয়ার পরপরই কামাল হাসান আদনানের চেম্বারে ঢুকলেন। চেয়ারে না বসেই তিনি অস্থির গলায় বললেন, এত জরুরি তলব করে ডাকলে যে বাবা! কিছু হয়েছে? দেখো বিয়ের কিন্তু আর একদিন বাকি আছে। এখন চাইলেও কোনো ভাবে আর বিয়ে পেছানো সম্ভব না। আমি আশা করছি তুমি এমন কিছু বলবে না।

আদনান বলল, আপনি শান্ত হোন। বসে ঠান্ডা মাথায় আমার কথা গুলো শুনুন। কারণ, এখন আমি আপনাকে যেই কথা গুলো বলবো সেগুলোর সাথে সাবার ভালো মন্দ জড়িয়ে আছে।

এবার কামাল হাসান নিচু স্বরে বললেন, কী বলছো তুমি বাবা? কী হয়েছে আমার মেয়ের?

হয়নি তবে অনেক কিছুই হতে পারে। আপনি কি জানেন আপনার স্ত্রীর সাইকোলজিক্যাল প্রবলেম আছে?

তোমার কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে? কী উল্টোপাল্টা কথা বলছো! রোগী দেখতে দেখতে কি এখন তোমার সবাইকেই মানসিক রোগী মনে হয় নাকি? রেবার এমন কোনো সমস্যা নেই। তুমি কি এই জন্য এখন বিয়েটা ভেঙ্গে দিতে চাইছো?

আমি যেটা বলছি সেটা মন দিয়ে শুনুন। বিয়ে কেন ভাঙ্গবো! আমি সাবাকে পছন্দ করি। আর ওকেই বিয়ে করবো। কিন্তু আপনি কি জানেন সাবার বিয়ে ভেঙ্গে যাওযার পেছনে আপনার স্ত্রীর হাত রয়েছে। এমনকি উনি আমাকেও মে*রে হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিলেন যাতে আমি সাবাকে বিয়ে না করি।

কামাল হাসান প্রচন্ড রেগে গিয়ে বললেন, তোমার যা ইচ্ছে তাই বলে যাচ্ছো তখন থেকে। আমি মানছি সাবার মায়ের সমস্যা আছে। কিন্তু তা বলে সে তার মেয়ের শত্রু নয়। কোনো মা কী করে নিজের মেয়ের সাথে এমনটা করতে পারে!

আদনান শান্ত গলায় জবাব দিলো, পারে অবশ্যই পারে। আপনার স্ত্রী একজন ওভার পজেসিভ মাদার। উনি ওনার সন্তানকে নিয়ে অনেক বেশি সিরিয়াস। আপনি তো সাবার বাবা। একটু মনে করে দেখুন তো সাবার ছোটো বেলা থেকে এ পর্যন্ত ঘটে যাওয়া এমন কোনো ঘটনা কি নেই যা থেকে বোঝা যায় সাবার মা সাবাকে নিয়ে অন্য সব মায়েদের থেকে অনেক বেশিই চিন্তা করে। ওকে সবার থেকে আড়াল করে রাখতে চায়। এমনকি সাবার বন্ধুদের লিস্ট খুঁজলে হয়তো দেখা যাবে সেই লিস্টটাই খালি। ওয়েট আপনাকে একটা প্রুভ দেখাই।

একথা বলেই আদনান সাবাকে ফোন করলো। সাবা ফোন তুলতেই আদনান বলল, কী করছো?

ওপাশ থেকে সাবা বলল, শপিং করে এসেছি। ভীষণ টায়ার্ড। আপনি কি করছেন? নিশ্চয়ই রোগী দেখার মাঝে ব্রেক নিয়ে আমাকে কল করেছেন।

ঠিক ধরেছো। ভীষন ব্যস্ত সময় যাচ্ছে। তোমাকে সময় দিতে পারছি না। আচ্ছা আজ একবার মিট করি। তুমি তোমার বন্ধুদের সাথে করে নিয়ে এসো। ওদের সাথে তো আলাপ করাই হয়নি।

সাবা বলল, ইয়ে মানে আমার সেরকম কোনো বন্ধু নেই। আসলে স্কুল লাইফ থেকেই আমার কোনো বন্ধু ছিল না। মা কারো সাথেই তেমন একটা মিশতে দিতো না আমাকে। তাই বড়সর কোনো বন্ধুর সংখ্যা নেই আমার জীবনে। তবে ভার্সিটিতে আসার পর ফাতিহার সাথে আমার অনেক ভালো একটা সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে কারণ, ভার্সিটিতে তো আর মা আমার সাথে যেতো না। তাই এই সুযোগটা পেয়েছি। বন্ধু বলতে কেবল ওকেই জানি৷ আর মা ওর সম্পর্কে জানেও না। আসলে আমিই কখনো জানাই নি। মা ভীষণ রেগে যায়। আসলে আমার মা একটু সেনসিটিভ তো। অন্যদের চেয়ে একটু আলাদা। আমাকে ভীষণ পেম্পার করে ছোটো বেলা থেকেই। আপনি বললে আমি ফাতিহাকে আসতে বলবো। বেচারিকে তো বিয়েতেও বলতে পারবো না। এখনই না হয় ডেকে নিই। আপনি প্লিজ মাকে ওর ব্যাপারে বলবেন না। কিন্তু বিয়ের আগে মা বাইরে বেরোতে বারন করেছে। মা কি পারমিশন দেবে?

আদনান বলল, ও নিয়ে তুমি ভেবো না। আমি নিজে আন্টির সাথে কথা বলবো। ঠিক আছে? আমি তাহলে ফ্রি হয়ে তোমাকে লোকেশন আর সময়টা জানিয়ে দিবো। নাউ বাই।

এ কথা বলেই আদনান ফোন রেখে দিলো। মেয়ের কথা শুনে কামাল হাসান একদম মাথা নিচু করে বসে রইলেন। নিরবতা ভেঙ্গে কিছুক্ষণ পর বলে উঠলেন, রেবা আমার অফিস কলিগ তাহমিনাকেও ছাড়েনি। অন্যান্য কলিগদের সাথে ও আমাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। তাহমিনা আমার কলিগ কম বোন বেশি ছিল। কিন্তু হঠাৎই একদিন তাহমিনা আমার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। অফিস কলিগ হিসেবেও আর কখনো কোনো যোগাযোগ রাখেনি। এখন বুঝতে পারছি, রেবার ওভার পজেসিভনেসের কারণে আজ আমার মেয়ের জীবনেও এত বড় ঝড় নেমে এসেছে। কিন্তু তা বলে নিজের মেয়ের সাথেও ও এরকমটা করবে?

আদনান বলল, মেয়ের ক্ষতি করার জন্য নয়। বরং ওকে সবসময় সেফ রাখার জন্যই উনি এসব করেছেন। ওভার পজেসিভ মানুষেরা তার প্রিয় মানুষদের নিয়ে অনেক বেশি সিরিয়াস থাকে। তাদের আশেপাশে কাউকে সহ্য করতে পারে না। মনে হয় এই বুঝি কেউ তার প্রিয় মানুষটির ক্ষতি করে দেবে। আপনার স্ত্রীও তেমনই একজন। সাবার জন্মের পর আপনারা নিজেরা একসাথে এমন কোনো মুহুর্ত কাটিয়েছেন যা কেবল একান্ত আপনাদের নিজেদের? আপনার উত্তর হয়তো না-ই হবে। আমি একজন ডাক্তার বলেই আপনাকে পার্সোনালি কথা গুলো বলে বোঝাচ্ছি। আমাদের দেশে বেশিরভাগ কাপলরাই সন্তান জন্মের পর দেখা যায় তাকে নিয়েই সারাক্ষণ পড়ে থাকে। আমি এমন অনেক মানুষ দেখেছি যারা কিনা বাচ্চার জন্য দূরে কোথাও ঘুরতে পর্যন্ত যেতে পারতো না। আর বাচ্চা বড় হওয়ার পর তাকে রেখে নিজেরা কোথাও ঘুরতে যাওয়া তো এই দেশে রীতিমতো একটা অপরাধ বলে গণ্য হয়। কিন্তু এমনটা ঠিক নয়৷ সন্তানের প্রতি বাবা-মায়েদের যেমন দায়িত্ব থাকে তেমনি সন্তানের সাথে সাথে নিজেদেরকে সময় দেয়াও অনেক বেশি জরুরি। সন্তানের আঠেরো বছর পেরোনোর পরে তাকে নিজের মতো ছেড়ো দিতে হয়। ছেড়ে দেয়া মানেই তার ভালো মন্দের খোঁজ না নেয়া নয়। সবারই একটা নিজস্ব জগৎ আছে। যেমন, আপনার অফিসে আপনার কলিগদের সাথে আলাদা একটা জগৎ রয়েছে। তেমনি আপনার সন্তানেরও তার স্টাডি লাইফ, বন্ধুদের সাথে একটা আলাদা জগৎ তৈরি করার অধিকার আছে। তাকে সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করা অন্যায়। সাবা হয়তো আপনাদের সাথে স্বাভাবিক আচরণ করে কিন্তু ভেতরে ভেতরে হয়তো এটা নিয়ে ও নিজেও ডিপ্রেশনে ভুগেছে। এমনটা খুবই স্বাভাবিক।

কামাল হাসান অস্থির স্বরে বললেন, তুমি রেবার ব্যাপারে কিভাবে জানলে বাবা? ও কি তোমাকে?

না না, আন্টি আমাকে কিছুই বলেন নি। ওনার হয়তো গিল্টি হচ্ছিলো এই ব্যাপারটা নিয়ে যে উনি ওনার মেয়ের জীবন থেকে অনেক সুন্দর মুহুর্ত, অনেক গুরুত্বপূর্ণ মানুষদের দূরে সরিয়ে রেখেছেন বা রাখছেন। তাই নিজে থেকেই উনি ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন। আর কোয়েনসিডেন্সলি আন্টি আমারই বন্ধুর চেম্বারে গিয়েছিলেন। ওর থেকেই সবটা জানতে পেরেছি। সেসব ছাড়ুন, আমাদের এখন আন্টিকে কো-অপারেট করতে হবে। ওনাকে সুস্থ হতে হেল্প করতে হবে। আর সেটা আপনিই পারবেন। কারণ আপনি ওনার সহ মানুষ। আন্টিকে সাবার ব্যাপারে চিন্তা করা থেকে মুক্ত রাখতে হবে। মেয়ে বড় হয়েছে। এখন ওর একটা নিজস্ব জগৎ তৈরি হবে এটা যে একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া সেটা ওনাকে বোঝাতে হবে। আর তার পাশাপাশি ওনার ট্রিটমেন্ট তো চলবেই। কিন্তু আমি চাই না সাবা ওর মায়ের ব্যাপারে এসব জানুক। ওর মনে যেন ওর মাকে নিয়ে কোনো ঘৃণা না জন্মায়। আমরা চাইলেই ওদেরকে একটা সুস্থ মা, মেয়ের সম্পর্ক উপহার দিতে পারি৷ আমাদের পারতেই হবে।

কামাল হাসান কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন। আদনানের দু-হাত জড়িয়ে বললেন, তোমার মতো একটা ছেলের হাতে আমাদের মেয়েকে তুলে দিতে পারছি বলে ভীষণ নিশ্চিন্ত লাগছে বাবা। রেবাকে বিশ্বাস করতে হবে পৃথিবীতে সবাই খারাপ হয় না। হ্যাঁ মানুষ মানুষের ক্ষতি যেমন করে তেমনি মানুষই আবার মানুষের সবচেয়ে কাছের মানুষ হয়ে উঠে। আমি রেবার চিকিৎসা করাবো। রেবার এসব বাড়াবাড়ি আমার চোখে পড়লেও আমি কখনো এটা নিয়ে এত গভীরভাবে ভেবে দেখিনি। কিন্তু আমার এই অসচেতনার জন্যই আমার মেয়েটাকে এত গুলো বছর ভুগতে হলো। তবে এখন আমি আমার ভুলটা শুধরে নিতে চাই।

আদনান তার হবু শ্বশুরের হাতে হাত রেখে তাকে ভরসা দিলো।
.
অবশেষে আদনান আর সাবার বিয়ে সম্পন্ন হলো। আত্মীয়-স্বজনরা ওদেরকে ফুলের তোড়া দিয়ে কংগ্রাচুলেট জানাচ্ছে। রেবা হাসান দূরে দাঁড়িয়ে মেয়ের চোখে মুখে ফুটে ওঠা খুশি দেখে একটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল। কামাল হাসান এসে স্ত্রীর পাশে দাঁড়ালো। হাতে হাত রেখে বলল, সব ঠিক হয়ে যাবে। চিন্তা করো না। তুমি ঠিক সুস্থ হয়ে যাবে।

রেবা হাসান চমকে উঠে বলল, তুমি……

কামাল হাসান নিচু স্বরে বলল, হ্যাঁ আমি সবটাই জানি। আর এও জানি তুমি কখনোই তোমার মেয়ের ক্ষতি চাও নি। যা করেছো তোমার ভেতরের ভুল ধারণা, ভুল স্বত্বার কবলে পড়ে করেছো। ওদের বিয়ের অনুষ্ঠানটা মিটে গেলে আমরা দুজনে একবার কোথাও থেকে ঘুরে আসবো।

রেবা হাসান বলল, এই বয়সে এসে ঘুরাঘুরি!

কামাল হাসান দীর্ঘশ্বাস পেলে বললেন, সারাজীবন আমি ডুবে ছিলাম কাজে আর তুমি ডুবে ছিলে মেয়ের চিন্তায়। এসব করে করে তো আমরা ভুলেই গিয়েছিলাম যে, আমাদের নিজেদেরও একটা জগৎ আছে। ছেলে-মেয়ে বড় হলে যেমন ওদেরকে ওদের মতো বাঁচতে দিতে হয় তেমনি সেই সাথে নিজেদের জন্যও আলাদা করে সময় বের করতে হয়। তবে এখন থেকে আর সেই ভুল হবে না। আমাদের মেয়ে তার জন্য উত্তম জীবনসঙ্গী পেয়ে গেছে। এবার আমাদের ছুটি।

রেবা হাসান স্বামীর কথায় যেন আরও মনের জরো ফিরে পেলো। দূর থেকে দাঁড়িয়ে মেয়ে আর জামাইকে মন ভরে দোয়া করলো।

ফাতিহা এসেছে সাবার জন্য গিফট নিয়ে। সাবা ওকে দেখে খুব চমকে গেল। ফাতিহা বলল, তুই তো ডাক্তার হাসবেন্ড পেয়ে এতটাই ব্যস্ত হয়ে গিয়েছিস যে আমাকে একবার ফোনও করতে পারিসনি। আন্টি ঠিকই আমাকে ফোন করে আসতে বলেছেন।

সাবা অবাক হয়ে মায়ের দিকে তাকিয়ে একটা প্রাণোচ্ছল হাসি দিয়ে বলল, মা ফাতিহাকে!

আদনান বলল, তুমি তো বলেছিলে তোমার মা তোমার বন্ধুদের সম্পর্কে জানেনা৷ তোমার মা ঠিকই তোমার ব্যাপারে খোঁজ খবর রেখেছে। এটা মা হিসেবে অবশ্যই সবার দায়িত্ব তার ছেলে-মেয়ে কার সাথে মিশছে সেসবে নজর রাখা। চিন্তা নেই আন্টি তোমাকে বকবেন না।

সাবা নিজের মাকে নিয়ে গর্ব করে বলল, আমার মা ভীষণ ভালো মা। আমাকে অনেক পেম্পার করে। একটু গম্ভীরও বটে। তবে আমি আমার ছেলে-মেয়েদের সাথে একদম বন্ধুর মতো মিশবো। ওদের পেম্পার করার সাথে সাথে যেমন শাসন করবো তেমনি ওদেরকে নিজেদের আলাদা জগৎ তৈরি করার জন্য সেই স্পেসটাও দেবো। যাতে ওরা আমাকে ওদের নানুর মতো গম্ভীর মায়ের তকমা না দিতে পারে।

ফাতিহা হেসে বলল, বাব্বাহ বিয়ে হতে না হতেই বাচ্চাকাচ্চার প্ল্যান করে ফেলছিস!

আদনান খানিকটা লজ্জা পেয়ে হালকা কেশে সাবাকে থামিয়ে দিলো। আদনানের বাবা-মা বলল, এবার আমাদের বউ নিয়ে যাওয়ার সময় হয়েছে। অতঃপর সাবাকে নিয়ে তারা নিজেদের বাড়িতে ফিরে এলো।
.
সাবা ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে চুল থেকে জট ছাড়াচ্ছিলো। এমন সময় আদনান বলে উঠলো, আচ্ছা সাইমন তো তোমার জীবন থেকে এমনি এমনি চলে যায়নি। ওকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিলো। মানে তুমি তো এমনটাই বলেছিলে। তাহলে তো তোমার ওর প্রতি একটা টান রয়েই গেছে তাই না?

সাবা আদনানের সামনে এসে দাঁড়িয়ে রাগি স্বরে বলল, মোটেও না৷ কেউ ওকে সরিয়ে দেবে আর ও সরে যাবে! এটাকে কি ভালোবাসা বলে? কই তোমাকেও তো কেউ একজন মে*রে ফেলার হুমকি দিয়েছিলো। তুমি তো আমাকে ছেড়ে চলে যাও নি। যে ভয় পেয়ে আমাকে মাঝপথে ছেড়ে পালিয়ে গেছে তার প্রতি আমার বিন্দুমাত্রও টান নেই।

আদনান মৃদু স্বরে বলল, তো কার উপরে টান আছে শুনি?

সাবা লজ্জা মাখা গলায় বলল, আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়াও তাকে ঠিক দেখতে পাবে।

এরপর দুজনেই দুজনের দিকে তাকিয়ে হেসে উঠলো।

(সমাপ্ত)

পূর্ববর্তী নিবন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধ
গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ