তোমার জন্য

0
2676

ক্লোজ ফ্রেন্ড আয়ান এবং নিধী।দুজন খুব ভাল স্টুডেন্ট।পুরো ভার্সিটির এবং ফ্যামেলির সবাই জানে অদের ফ্রেন্ডশিপের কথা।৫ম শ্রেণী থেকে দুজন একসাথে।এখন অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে।কিন্তু নিধী মনের অজান্তেই আয়ানকে ভালবেসে ফেলে।আজ নিধী ভালবাসার কথা বলবে আয়ানকে।

নিধীঃহ্যালো,

আয়ানঃহ্যা,বল

নিধীঃদেখা করতে পারবি?

আয়ানঃতুই বললি দেখাতো করতেই হবে।

নিধীঃপুকুর পারে,বিকেল ৫টায়

বিকেল ৫টা ১০মিনিট।

নিধীঃ আজও ১০মিনিট লেট।

আয়ানঃআর বলিস না,রাস্তায় তমালের সাথে দেখা হইছিল(তমাল অদের কলেজ ফ্রেন্ড)

নিধীঃ ও,তা কেমন আছে অরা?কি সুন্দর তাই না,ফ্রেন্ড থেকে ভালবাসা তারপর বিয়ে।

আয়ানঃসুন্দর না ছাই,খুব শিগ্রই ডির্ভোস নিচ্ছে দুজন।ফ্রেন্ড ছিল তাইতো ভাল ছিল।এখনতো সব শেষ।

নিধীঃনা,এখন আয়ানকে ভালবাসার কথা বলা যাবে না।অ যদি রাগ করে,আমাদের ফ্রেন্ডশিপ যদি নষ্ট হয়ে যায়।আমার আরেকটু সময় নেয়া দরকার।(মনে মনে বলছে)

আয়ানঃতোর কি হলো, বাদ দে তো অদের কথা।তুই না কি বলবি?

নিধীঃকই,আমিতো কিছু বলবো না।

আয়ানঃজরুরী তলব দিয়ে আনলি

নিধীঃও,তকে ডাকতে বুঝি এখন কারন লাগবে?ফুসকা খাবো

আয়ানঃফুসকা!তুই পারিস ও।দারা, আনছি।

আয়ানের ভাই রায়ানের বিয়ে ঠিক হইছে।আয়ানের মা নিধীকে কল করে………

আয়ানের মাঃহ্যালো,

নিধীঃহ্যা,আন্টি কেমন আছ?

আয়ানের মাঃ ভাল আছিরে মা।তুইতো জানিস,তোর ভাইয়ার বিয়ে ঠিক হইছে।তোকে কিন্তু দুদিন আগেই আসতে হবে।আমারতো মেয়ে নাই,তোকেই সব করতে হবে।

নিধীঃঠিক আছে

আয়ানের মাঃআব্বু আম্মুকে নিয়ে সময় মত চলে আসবি কিন্তু।

নিধীঃঠিক আাছে বাবা,আসবো।তুমি ভাল থেকো।

আজ রায়ানের বিয়ে।বরযাত্রি কনেপক্ষের বাড়িতে যাবে এমন সময় খবর আসে, নিধীর দাদুর এক্সিডেন্ট হইছে।নিধীর বাবা-মা এখনি নিধীকে নিয়ে গ্রামে যাবে।আয়ান যেতে চেয়েছিল তাদের সাথে ।কিন্তু নিধী বলে,এখানে তোর বেশি প্রয়োজন।আমি ফোনে তকে জানাবো।

বর যাএি কনেপক্ষের বাড়ি গেল।সেখানে একটি মেয়েকে আয়ানের অনেক ভাল লাগে।মেয়েটি হলো আয়ানের ভাবি “তানভি” র ছোট বোন তুহি।বিয়ে শেষ হলো।

আজ তুহি যাবে আয়ানের বাড়িতে তানভিকে দেখার জন্য।কিছুদিন থাকবে সখানে।আয়ানের সাথে বেশ ভালো সময় কাটলো তুহির।খুব হাসি ঠাট্টা করে দুজনে।এত দিনে আয়ান বুঝতে পারে , তুহি শুধু তার ভাল লাগা নয় ।হ্যা,আয়ান তুহিকে ভালোবেসে ফেলেছে।

রাতে আয়ান নিধীকে কল করে..……

নিধীঃহুম, বল

আয়ানঃ  কিরে,কবে আসবি?

নিধীঃ দাদু এখন মুটামুটি সুস্থ। আমরা কাল ই আসবো।

আয়ানঃ তাড়াতাড়ি আস।তোর সাথে অনেক কথা আছে ।

নিধীঃকি বল?

আয়ানঃসারপ্রাইস।

দুদিন পর

আয়ানঃভাবি (তানভি), এটা হলো নিধী,

ভাবিঃতুমিই তাহলে নিধী,আয়ানের কাছে তোমার   অনেক কথা শুনেছি,তা কেমন আছ?

নিধীঃভাল আছি,আপনি কেমন আছেন ভাবি?

ভাবিঃআমিও ভালো আছি।

আয়ানঃভাবি, অ কিন্তু কাউকে আপনি করে বলতে পারে না

ভাবিঃ তাহলে তো আমি নিধীর সাথে রাগ করবো

নিধীঃসরি ভাবি, আর বলবো না ।

আয়ানঃভাবি,তুহি কোথা?

ভাবিঃবাগানে

আয়ান নিধীকে নিয়ে বাগানে চলে গেল    ।

আয়ানঃতুহি,অ হচ্ছে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড নিধী।আর নিধী,অ হচ্ছে তুহি ভাবির ছোট বোন।

তুহিঃআপু কেমন আছেন?

নিধীঃভাল,তুমি   ?

তুহিঃআমিও ভাল আছি।

ভাবিঃতুহি,এদিকে আয়তো(দূর থেকে)

তুহিঃআপনারা কথা বলুন ,আমি আসছি।

তুহি চলে গেল

নিধীঃকই তোর সারপ্রাই?

আয়ানঃতুহি

নিধীঃমানে?

আয়ানঃঅকে আমার অনেক ভাল লাগে। বলতে পারিস ভালোবাসি।

একথা শুনে নিধীর মাথায় আকাস ভেঙে পড়লো।এক মুহুর্তে সব শেষ হয়ে গেল নিধীর।নিধী নিজেকে সামলে নিয়ে বললো খুব মিষ্টি মেয়েটি ।আমি অনেক খুশি হইছি।বলছিস অকে? না বললে তাড়াতাড়ি বলে দিস।তানা হলে কেউ অকে নিয়ে উরাল দেবে।বলে সেখান থেকে প্রস্থান।   বাড়িতে গিয়ে অনেক কান্না  করে।

তুহি বাড়িতে  চলে যায়।কিন্তু প্রতিদিন আয়ানের সাথে ফোনে অনেক কথা হয়।তুহির আয়ানের সাথে কথা বলতে ভালই লাগে।একদিন আয়ান তুহিকে ভালবাসার কথাটা বলে ।তুহি বলে,আমি আপনাকে ফ্রেন্ড ছারা কিছুই ভাবি না।ফ্রেন্ড হিসেবে থাকলে ভাল,তানা হলে আর যোগাযোগ করবেন না। আয়ানের অনেক কষ্ট হলেও তুহির প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায়। আগের মতই কথা চলতে থাকে।এভাবে তিন বছর।তুহিও বুঝতে পারে যে,আয়ান শুধু তার বন্ধু নয় ভালবাসা।এবং সে আয়ানকে কথাটা বলতে চায়। ঠিক তখনি আয়ানের মা তুহির বিয়ের প্রস্তাব পাঠায় আয়ানের জন্য   ।  তুহি শুনে খুশিই হয়।কিন্তু এ খুশি বেশিক্ষণ স্থায়ি হল না।তুহির ফ্যামেলি রাজি নয়।আর তুহি নিজের কষ্ট হলেও ফ্যামেলির অবাধ্য হবে না।তার ভালবাসার কথা আর আয়ানকে বললো না।কিছুদিন পর তুহির বিয়ে ঠিক হলো।আয়ানও বিয়েতে এসেছে।আয়ান এখনো তুহিকে অনেক ভালবাসে।তুহি এবং আয়ান দুজনেই কেউ কারো কষ্ট কাউকে বুঝতে দিচ্ছে না।বিয়ে শেষ হলো।আয়ান সোয্য করতে না পেরে  রেল লাইনে গেল নিজেকে শেষ করার জন্য। নিধী সেখান থেকে অকে বাচিয়ে আনে।

এদিকে বাসর ঘরে তুহি……..

তুহিঃশুনেছি বাসররাতে নাকি হাসবেন্ড তার স্ত্রীকে গিফ্ট দেয় ।আজ আমি আপনার কছে কিছু চাইবো ।দিবেন?

নিহাল(তুহির হাসবেন্ড) ঃঃকি চাও?

তুহিঃসময়

নিহালঃমানে কি?

তুহিঃএই পরিবেশে মানিয়ে নিতে

নিহালঃকতদিন

তুহি মাথা নিচু করে দারিয়ে আছে

নিহাল শব্দ করে হেসে বললো ভয় পাবেন না, আপনার যত সময় লাগে নেন।কিন্তু আমার দুটি সর্ত আছে। একটি হলো আজ সারা রাত আমার সাথে গল্প করতে হবে আর সিনেমার মতো একজন বিছানায় আর একজন নিচে থাকবে তা হবে না।আপনি আমাকে বিশ্বাস করতে পারেন।

তিনদিন পর হঠাৎ বিজনেসের জন্য নিহালকে বাহিরে যেতে হবে।রাস্তায় তার এক্সিডেন্ট হয় এবং নিহাল মারা যায়।তুহি দুই মাস নিহালের বাড়িতে থাকার পর বাড়ি ফিরে আসে।আজ দুবছর।তুহি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি পায়।স্কুলে আজ তার প্রথম দিন।স্কুলে গিয়ে তুহি অবাক। সেখানে আয়ানও চাকরি করে।বিয়ের পর আজ তাদের প্রথম দেখা।কেউ ভাবেনি অদের এভাবে দেখা হবে।আয়ান অনেক চেষ্টা করেছিল তুহির সাথে দেখা করতে কিন্তু তুহি যোগাযোগ করে নি। এরপর আয়ান একদিন তুহিকে বলে যে,সে এখনো তুহিকে ভালবাসে   ।তুহি কোন জবাব  দেয় না।রাতে তুহি আয়ানকে কল করে বলে……. সেও আয়ানকে ভালবাসে।আয়ানতো খুশিতে আত্তহারা।বাড়ির সবাই রাজি।আয়ান খুশির সংবাদটি নিধীকে জানায়। কিন্তু নিধীর জন্য এটা সুখের সংবাদ না। সে এখনো আয়ানকে ভালবাসে।বাড়ি থেকে বিয়ে দিতে চেয়েছে কিন্তু অ রাজি হয় নি।তুহির বিয়ের পর নিধী আয়ানকে প্রোপোস করেছিল কিন্তু আয়ান তহির মত বলেছিল,ফ্রেন্ড হিসেবে থাকলে থাক।

স্কুলে তুহি গ্যান হারিয়ে ফেলে।মাথায় পানি ঠেলে সবাই তাকে ঠিক করে।আয়ান তুহিকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়।ঠিক সেই সময়,আয়ানের ফোন আসে,নিধীর এ্যাকসিডেন্ট হইছে।

তুহি বলে আমি ডাক্তার দেখাই, তুমি নিধীর কাছে যাও।আয়ান নিধীকে দেখতে হাসপাতালে চলে গেল

ডাক্তার নিধীকে বাচাতে পারলেও তার চোখকে বাচাতে পারে না।নিধী আয়ানকে বলে, তোর বিয়ে দেখার অনেক ইচ্ছে ছিল কিন্তু তা আর হলোনা।

পরের দিন

আয়ানঃতুহি,ডাক্তার কি বলেছে?

তুহিঃটেনশনের জন্য।

আয়ানঃটেনশন কর কি নিয়ে?

তুহিঃতোমার বাড়িতে কিভাবে মানিয়ে নিবো এই আরকি

আয়ানঃআমিত থাকবো তোমার পাশে,টেনশন করো নাতো

তুহিঃ আজতো তোমার বাবা-মা আমাদের বাড়িতে যাবে।বিয়ের তারিখ করতে,তুমি তাদের ৬মাস পরের যে কোন তারিখ  দিতে বল না।

আয়ানঃএত দেরি,আচ্ছা এতই যখন অপেক্ষা করলাম ।আর৬ মাস নাহয় করবো।

ইদানিং তুহি আয়ানের ফোন  ধরে না ঠিক মত কথাও বলে না।চাকরি টাও ছেরে দিয়েছে।

আয়ান তুহির বাড়িতে যায়

আয়ানঃকি হয়েছে তোমার,আমাকে এরিয়ে চলছো কেন?চাকরিটা ছেরে দিলে কেন?

তুহিঃচাকরি করতে ভাল লাগে না, তাই।আর আমি তোমায় এরিয়ে চলছি না একটু ব্যস্ত থাকি তাই।

আয়ানঃবুঝলাম,সেদিন দেখলাম পার্কে একটা ছেলের সাথে কথা বলছো,ছেলেটা কে?

তুহিঃতুমি আমায় সন্দেহ করছো।বিয়ে করতে হবে না আমাকে।

আয়ানঃএকটা ছোট কথাকে এত বড় বানাচ্ছ কেন?

তুহিঃতুমি আমাকে সন্দেহ করছো,এটা ছোট কথা।তুমি এখন যাও এখান থেকে।

আয়ান রাগ করে চলে গেল

বাড়িতে এসে আয়ান ভাবে,আমার ই ভুল।এভাবে বলা উচিৎ হয় নি আমার। ফ্রেন্ড হতে পারে।রাগ করারই কথা।থাক আমি সরি বলি।ফোন করছে তুহিকে।কিন্তু ফোনটা বন্ধ। পরের দিন তুহির বাড়িতে গেল।তানভি বাবার বাড়িতেই আছে।আয়ান বাড়িতে গিয়ে দেখে বাড়িটা  স্তব্দ হয়ে গেছে।তুহির মা এবং তানভি কাদছে।আয়ানকে দেখে তারা চোখের পানি মুছে ফেললো।তুহির বাবা এসে আয়ানের হাত ধরে বলে….আয়ান আমাকে ক্ষমা করে দাও তুহির ভুলের জন্য আমার তানভিকে কষ্ট দিয় না কাদতে কাদতে বলছে।তুহির হয়ে আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাইছি।

আয়ান কিছু বুঝতে পারছে না।আয়ান তুহির বাবাকে চেয়ারে বসিয়ে বলছে আপনি শান্ত হন।তারপর তানভিকে বললো কি হয়েছে ভাবি,আর তুহি কোথায়?

তারপর তানভির কাছে যা শুনতে পারলো, তাতে আয়ানের পায়ের নিচের মাটি সরে গেল।তুহি নাকি বিয়ে করেছে।সকালে একটা ছেলেকে সাথে নিয়ে এসে বলে ওরা নাকি দুজন দুজনকে ভালবাসে এবং বিয়ে করেছে। তুহির বাবা অকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তানভির কাছ থেকে ঠিকানা নিয়ে তুহির বাসায় যায়(তুহি যাওয়ার সময় তানভিকে ঠিকানে দিয়ে গেছে)

সেখানে দেখে তুহির সাথে সেই ছেলেটা। যে ছেলেটাকে আয়ান তুহির সাথে দেখেছিল।

আয়ানঃআমাকে বললেই পারতে আমি নিজেই চলে যেতাম।আমার সাথে কেন এরকম করলে?

তুহিঃআমি তোমাকে কিছু বলতে বাধ্য নই।

আয়ানঃতুমি এত নিচু মনের,

তুহিঃহ্যা  আমি নিচু মনের, এবার তুমি চলে যাও।

আরো নানা কথা বলে আয়ানকে অপমান করে তারিয়ে দেয়।

কিছুদিন পর তুহি দেখে নিধী রাস্তায় দারিয়ে…..

তুহিঃআপু কেমন আছেন?

নিধীঃকে?

তুহিঃআমি তুহি,আমি রাস্তা পার করে দেই আপু(হাত ধরে)

নিধীঃহাত ছারো বলছি,তোমার মত খারাপ মেয়ের হেল্প এর কোন দরকার নেই।আয়ান তোমাকে কত ভালবাসতো আর তুমি অকে ঠকালে।তোমার জন্য অ আমার ভালবাসা গ্রহন করে নি। আর তুমি………তুমি কোনদিনও সুখি হতে পারবেনা।

নিধীর ফ্রেন্ড এসে নিধীকে নিয়ে চলে গেল।তুহি দারিয়ে আছে(চোখ দিয়ে পানি ঝরছে)

এক মাস পরে,আয়ানের সাথে সেই ছেলেটা দেখা করতে আসে ।যাকে তুহি বিয়ে করেছিল।যার নাম আবির।

আয়ানঃতুই এখানে কেন আসছিস?তুহি পাঠিয়েছে তোকে দেখার জন্য ,অর ধোকার পর বেচে আছি নাকি মরে গেছি।আরে অর মতো ক্যারেকটারলেজ মেয়ে…

আবিরঃতুহির সম্পর্কে একদম বাজে কথা নয়।(আয়ানকে থামিয়ে)

আয়ানঃআরে অর থেকে তো পারার মেয়েও ভাল

আবিরঃতুহির ব্লাড ক্যান্সার

আয়ান আবিরের কথা শুনে থমকে গেলো

আবিরঃতুহির কাছে একেবারেই সময় নেই।তোমার মনে আছে,তুহি ডাক্তারের কাছে গিয়েছিল।সেদিনই তুহি একথা জানতে পারে। কি করবে বুঝতেছিল না।তাই বিয়ের তারিখ ৬ মাস পরে ঠিক করতে বলেছিল।আমিতো শুধু অর ফ্রেন্ড।তুহি আগেও তোমাকে ভালবাসতো আর এখনো।তুহি আমাকে সবার সাথে অভিনয় করতে বলে।কাউকে কিছু বলতে না করে।কিন্তু এই দুমাসে আমি অকে ভালবেসে ফেলেছি।তোমাদের কষ্ট দিয়েছে এই ভেবে, যাতে অর চলে যাওয়ার পর তোমরা কষ্ট না পাও।কিন্তু অর শেষ সময়ে সবাই অকে ঘৃণা করবে।এটা আমি মানতে পারলাম না।তাই অর মানা সত্যেও সবটা বলে দিলাম।সকাল অর বাবা-মাকে বলেছি ।তারা এখন তুহির কাছে।

আয়ানঃকোথায় তুহি?(চোখ দিয়ে অঝরে অশ্রু ঝরছে)

আবিরঃসিটি হাসপাতালে।

আয়ান  হাসপাতালে গেল।আয়নকে দেখে সবাই রুম থেকে চলে গেল(তুহির বাবা-মা,তানভি)আয়ান তুহি কাছে গিয়ে বসলো।দুজনের চোখেই অশ্রু।

আয়ানঃসরি,আমি তোমাকে বুঝতে পারিনি।তোমাকে নিয়ে কত খারাপ মন্তব্য করেছি।

তুহিঃআমার যাওয়ার সময় তুমি এভাবে বলনা প্লিস।

আয়ানঃচুপ,যাওয়ার সময় মানে কি?কোথাও যেতে দিবো না তোমাকে।(কাদতে কাদতে)

তুহিঃচোখে পানি নিয়ে হাসতে হাসতে বলছে,আরে ছেলেরা কখনো কাদে নাকি।

আয়ানঃদেখ, আমার কি অবস্থা। আমি তোমাকে ছারা ভাল থাকতে পারবো না।ভাল থাকার চেষ্টা করছি কিন্তু পারিনি।আমার জন্য তোমাকে বাচতে হবে।

তুহিঃআমার হাতটা একটু ধরবে(আয়ান তুহির হাত ধরলো)তুমি নিধী আপুকে বিয়ে করবে।

আয়ানঃএটা কি বলছো তুমি,আমি তোমার জায়গা কাউকে দিতে পারবো না

তুহিঃএটা আমার শেষ ইচ্ছা,প্লিস।আর সব সময় ভাল থাকার চেষ্টা করবা।আর আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি।

আয়ানের হাত থেকে তুহির হাত নিচে ঠলে পরলো

আয়ানঃতুহি চুপ করলে কেন।চিৎকার করে,তুহি কথা বলনা আমার সাথে।

ডাক্তার এসে বললো,তুহি আর নেই।

৫ বছর পর আয়ান রাস্তায়,সাথে নিধী এবং তাদের তিন বছরের মেয়ে তুহি।আয়ান আবিরকে রাস্তার পাসে বসে থাকতে দেখে এগিয়ে যায়।

আয়ানঃআবির

আবিরঃকে?

আয়ান অবাক!আবির চোখে দেখতে পায়না।

আয়ানঃকিভাবে হলো এসব?

আবিরঃতুহিকে ডাক্তারের সাথে কথা বলতে শুনি।অ অর চোখ নিধীকে দিতে চেয়েছিল।কিন্তু ডাক্তার না করে।তুহিকে ছারা আমার জিবনটাই তো অন্ধকার।তাই তুহির ইচ্ছে টাই পুরন করলাম।ডাক্তারকে আমি বলতে না করে ছিলাম তোমাদের।

সবার চোখেই পানি।নিধী ভাবছে,এই মেয়েকে সেদিন আমি অপমান করেছিলাম।শুধু তোমার জন্য আমি আয়ানকে পেয়েছি ,তোমার জন্য,তুহি।