তোমায় ছোঁয়ার ইচ্ছে পর্ব-৩৭ এবং শেষ পর্ব

1
5248

#তোমায়_ছোঁয়ার_ইচ্ছে
#পর্ব_৩৭ ( অন্তিম পর্ব)
#সুমাইয়া_মনি

দূরদেশ থেকে ছেলে-মেয়ে বাড়ি ফিরলে যেমন মা-বাবা খুশিতে আত্মহারা হয়ে আদর-যত্ন করে। তেমনি আদর-যত্নে আপ্যায়নে কোনো ত্রুটি রাখেনি ইভানের মা সালেহা বানু। ইসানা ও রাদকে পেয়ে যেন নতুন মেয়ে জামাইকে পেয়ে বসেছে। নানানরকমের পিঠা ও চা-নাস্তার আয়োজন করছেন। সব খাবার-দাবার তাদের সামনে রেখে তিনি ইসানার পাশে বসলেন। মৃদু হেসে ইসানার মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন,
‘তোমরা এসেছো অনেক খুশি হয়েছি আমি মা। তোমার মামা-মামী কেমন আছে?’
‘ভালো আছে। আপনার শরীর ভালো আছে মা?’
ইসানার মুখে মা ডাক শুনে তার চোখ ছলছল করে উঠলো। ইসানা আগের আলান বোলান রেখেছেন ঠিকিই। কিন্তু মায়ের অধিকার যে এখন আর নেই! তিনি কান্নারত চোখে বললেন,
‘তুমি আমায় ক্ষমা করে দিয়েছো তো মা?’
‘আপনি আমার গুরুজন। আপনার ভুলত্রুটি ধরে রাখা উচিত নয় মা। আমার আগের কিছুই মনে নেই।’
‘তুমি অনেক বড়ো মনের মানুষ ইসানা।’ আঁচল দ্বারা চোখের পানি মুছে বললেন।
ইসানা তাকে সান্ত্বনা দিলেন।
‘খাও মা। তুমিও খাও রাদ বাবা।’
ইসানা খাচ্ছে। রাদকেও খেতে বলে। তাদের খাওয়ার মাঝে শালিনী এসেছিল। ইসানা কথা বলতে চাইলে শালিনী ইগনোর করে। তার কিছুটা মনঃক্ষুণ্ন হয়। রাদ ফোনে কথা বলার জন্য বাহিরে গেলো ইসানাকে বলে। সালেহা বানু ভেতরে গেলেন। আজ ছেলের বিয়ে। সব দিকে তাকে সামলাতে হচ্ছে। বসার ফুরসতও নেই তার। ইসানা একা হয়ে পড়ে। পিঠার বাটি টেবিলে রেখে পুরো বাড়িতে একবার নজর বুলায়। সালেহা বানুর পাশের রুমটিতে একসময় সে থাকতো।
এপাশে ওপাশে ছোটাছুটি করে কতোই না কাজ করেছে। আজ সে এ বাড়ির অতিথি। ঐসব এখন স্মৃতি! ইসানা উঠে সেই রুমটিতে প্রবেশ করলেন। সে-ই রুমে তখন ইভান শার্টের হাতার বোতাম লাগাচ্ছিল। তাদের মধ্যে চোখাচোখি হয়। ইসানা চলে যেতে নিলে ইভান ডাকে,
‘ভেতরে এসো ইসানা।’
ভদ্রতা বজায় রেখে ইসানা ভেতরে আসলো। ইভান তাকে বিছানার ওপর বসতে বলে চুল আঁচড়াচ্ছে। আয়নার মাধ্যমে ইসানার পানে চেয়ে বলল,
‘আমার নতুন জীবনের জন্য দোয়া কোরো।’
‘অবশ্যই!’
‘আমাকে কোট পড়তে সাহায্য করবে?’
ইসানা ইভানের পানে চেয়ে ইতস্তত বোধ করে। ইভান সেটি বুঝে বলে,
‘থাক আমি একা পড়ে নিবো।’
‘সাহায্য করব সমস্যা নেই ‘
ইভান মৃদু হেসে কোটটি ইসানার হাতে দেয়। ইসানা কোট নিয়ে ইভানের পিছন দাঁড়ায়। সুন্দর ভাবে তাকে পড়াতে সাহায্য করে। অবাক করা বিষয় প্রাক্তন স্ত্রী তার প্রাক্তন স্বামীকে বিয়ের জন্য রেডি হতে সাহায্য করছেন। এতে ইসানার বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই। তবে ইভানের মন ভেতরে ভেতরে ভেঙেচুরে যাচ্ছে। কিচ্ছুটি বুঝতে দিচ্ছে না তার প্রাক্তন স্ত্রী-কে। কষ্ট দমিয়ে উপর থেকে হাসছে। শুধু মেয়েরাই পারে না, ছেলেরাও নিখুঁত ভাবে অভিনয় করতে পারে।
তারা নিজেদের মধ্যে আরো কিছুক্ষণ কথা বলে।
ঘন্টাখানিক বাদে ইভানের চাচাতো, মামাতো ভাইরা মিতুকে নিয়ে হাজির হয় এবাড়িতে। খাওয়া দাওয়ার পূর্বে বিয়ে পড়ানো হয়। খুব সুন্দর ভাবে তাদের বিয়ে সম্পূর্ণ হয়। এর মাঝে রাদকে ইসানা একবারও দেখেনি। খাওয়া দাওয়ার সময়ে আসে। ইভান, মিতু এবং রাদ ইসানাকে একত্রে খেতে দেওয়া হয়। ইভান মিতুকে ইসানার সঙ্গে প্রাক্তন স্ত্রী হিসাবেই পরিচয় করিয়ে দেয়। মিতু স্বাভাবিক ভাবে বিষয়টি নেয়। পরিচয় হয় রাদের সঙ্গেও। গুরুগম্ভীর হয়ে ছিল রাদ। খাওয়ার সময়ে ইসানা কয়েক বার কথা বলেছিল। কিন্তু রাদ একটি প্রশ্নেরও জবাব দেয়নি। রাদের গম্ভীর মুখশ্রী দেখে ইসানা ভাবনায় মসগুল হয়। হঠাৎ রাদের এমন আচরণ বুঝে উঠতে সক্ষম নয় সে।
আসার সময় সব কিছু ঠিকঠাক ছিল। এখন এমন আচরণ বেমানান! তারা সন্ধ্যার পর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। সালেহা বানু তাদের থেকে যেতে বলেছিল। রাদ তার কথা আমলে নেয়নি। রওয়ানা হয় তাদের গন্তব্যে। গাড়িতে বসে ইসানা রাদের গম্ভীরতার কারণ জিজ্ঞেস করে বসে,
‘কী হয়েছে আপনার? আমার সঙ্গে এমন আরচণ করছেন কেন?’
রাদ এবারও চুপ থাকে। নেই তার মুখে কোনো উত্তর। শক্তভারী নজর তার সামনের পানে। ইসানা জবাব না পেয়ে চুপ থাকে। তার জানামতে এমন কোনো কাজ করেনি যাতে রাদ ক্ষোভিত হবে তার ওপর। সে জানালার পানে চেয়ে আজকে সকালের ঘটনাটি ভাবে। রাদকে আজ কোট পড়তে সহায়তা করেছিল। অবশ্য রাদ নিজে পড়তে পারে। তবুও ইসানার কাছে ছোট্ট আবদার রেখেছিল। ইসানা তার আবদার রেখেছে। এবং তাকেও শাড়ী পড়াতে সাহায্য করেছে। সে নিজেই শাড়ী পড়তে পারে। তারপরও রাদ ইচ্ছে করেই সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে। দূরত্বহীন দু’জন কপোত-কপোতী কাছাকাছি ছিল। শাড়ী পড়ানো শেষে রাদ তাকে কাছে টেনে কপালে, গালে চুম্বন দিয়েছে। বলেছে,’ তোমায় ছোঁয়ার ইচ্ছে দ্বিতীয় দাপ পূর্ণ হলো।’ ইসানা দৃষ্টি নিচু রেখে রাদের ভালোবাসা অনুভব করেছে, শুনেছে। তার কাছে প্রিয় একটি মুহূর্ত ছিল সেটি। ভেবে সে লজ্জা অনুভব করে। আড়চোখে রাদকে দেখে। এখনো তার মুখশ্রী মলিন ও গম্ভীর!
নৈঃশব্দে বড়ো নিশ্বাস নিলো।
.
‘বিয়েটা অন্যভাবে হয়েছে আমাদের। এতে আপনার কোনো অসুবিধা হয়েছে?’ ইভান কথাটি বলে বিছানার এক প্রান্তে বসল। মিতু চোখ তুলে তাকালো। কোমলভাবে বলল,
‘হয় নি। আচ্ছা এভাবে বিয়ের আইডিয়া কে দিয়েছে আপনাকে?’
‘নিজের তৈরী। বর পক্ষের সঙ্গে বরও যায়। কিন্তু আমি এবার ভিন্নভাবে নির্মিত করেছি। আমার সব চাচাতো-মামাতো ভাইদের পাঠিয়ে আপনাকে আমাদের বাড়িতে এনেছি। তারপর বিয়ে হলো।’
‘ইউনিক ছিল।’
‘হ্যাঁ! নাতি-নাতনীদের বলতে পারবেন এক সময়ে।’ বলে মুচকি হাসলো ইভান। মিতুও হেসে ফেলে।
‘ইসানাকে দেখে কী আপনি রাগ করেছেন?’
‘তাকে দেখে না ছিল আমার মধ্যে রাগ, না ছিল ঈর্ষান্বিত বোধ। তবে আমি অবাক হয়েছি তাকে দেখে। সে আপনার বিয়েতে এসেছে।’
‘ও এমন একটি মেয়ে, যার মধ্যে এক বুক দুঃখ কষ্ট জর্জরিত থাকলেও বহিঃপ্রকাশ করবে না। সব কিছু সুন্দর ভাবে মানিয়ে নিতে পারে। আপনিও কিছুটা ওর মতো।’
‘এজন্য আপনি আমাকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছেন?’
‘উঁহু! একজন মানুষের গুন আরেকজনের মধ্যে থাকা কমনীয়। এজন্য তাকেই যে আগের কেউ ভেবে বিয়ে করা বা রিলেশনে জড়ানো ঠিক, এটা লজিকহীন। মায়ের জন্যই আপনাকে বিয়ে করেছি। আর আপনার আচরণ, ব্যবহার কিছুটা ইসানার মতো। এজন্য আপনাকে আমার হুটহাট ভালো লেগেছে। আশা করি এমনই থাকবেন সব সময়ে।’
‘চেষ্টা করব। আপনাকে প্রথম দিনই আমার ভালো লেগেছে। আপনি আমার স্বামী হয়েছেন। এটা আমার ভাগ্য বলা যায়।’ দৃষ্টি নত রেখে বলল।
‘আমি৷ এতটাও ভালো নই।’
‘আগের কথা মুছে ফেলুন। এখন আপনি আমার কাছে সুপুরুষ!’
ইভান মৃদু হেসে উঠে ঢয়ার থেকে একটি স্বর্ণের চেইন বের করে এগিয়ে আসে।
‘আপনার মাথার কাপড়টা ফেলুন।’
মিতু এক পলক ইভানকে দেখে মাথার কাপড় ফেলে দেয়।
ইভান ঝুঁকে চেইনটি পড়িয়ে হাতে পাঁচ হাজার টাকা উপহার দেয়। মিতু চেইনটি দেখে অনেক খুশি হয়। মিনমিন স্বরে বলে,
‘আমি আপনাকে কিছু দিতে পারলাম না।’
‘কোথাও চলে যাচ্ছি না। কাছেই থাকবো। এক সময় দিয়েন। এটি ইসানা উপহার হিসেবে দিয়েছে আপনাকে। আর টাকা আমি দিয়েছি।’
মিতু বলল,
‘তাহলে দু’জনার উপর ঋনি হলাম।’
ইভান মুচকি হাসে। মিতুর হাসিও চওড়া হয়। ইভান মিতুর পানে কয়েক মিনিট চেয়ে থাকে। মিতুর মাঝে ইসানাকে খু্ঁজে নেয় এবং ইসানার ওপর থেকে মুভ অন করে নিবে। সে মিতুর হাত ধরে বলল,
‘আমাদের ইউনিক বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা নাতি-নাতনীদের বলতে হবে। এজন্য প্লানিং করি চলুন।’
মিতু লজ্জায় মাথা নুইয়ে নেয়। ইভান শব্দ করে হেসে ফেলে। নতুন এক দম্পতির তৃতীয় ভালোবাসার পৃষ্ঠার সূচনা হলো!
__
‘সমস্যা কী?’
‘হলো কী?’
মুরাদ ও সোহানা দু’জন দু’জনকে প্রশ্ন করে রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। মুরাদ চোয়াল শক্ত করে বলল,
‘মেয়ে চাই আমার।’
‘তো আমি কী করব?’
‘সাহায্য করবে।’
‘পারব না।’
‘ফোর্স করতে হবে?’
‘বাপের বাড়ি যেতে হবে?’ চোখ রাঙিয়ে বলল।
‘আরেকটা বিয়ে করতে হবে?’
‘একজনকে খু’ন করতে হবে।’ চেঁচিয়ে বলল সোহানা।
‘বেবিই বি কাম ডাউন। দিও না গো লগ ডাউন।’ অভিনয় ভঙ্গিতে বলল মুরাদ।
সোহানা মুখ ভার করে সোফায় বসে আছে। মুরাদ মানানোর তোড়জোড় নিয়ে বলল,
‘কাল কী খাবে বলো? আমি তোমার জন্য সব কিনে আনবো। তবুও…..।’
‘আমার একটা কন্ডিশন আছে।’ রাগী কণ্ঠে বলল।
‘বলো বলো। আমি মানতে রাজি।’
সোহানা শাহাদাৎ আঙুল দেখিয়ে বলল,
‘আমার একটা ছেলে চাই।’
‘একটা না দশটা দেবো। আগে তোমায় ছুঁতে তো দেও… ‘ বলতে বলতে সোহানাকে কোলে তুলে নিলো মুরাদ। তাদের মানঅভিমানের পালা এড়িয়ে দ্বিতীয় ভালোবাসার পৃষ্ঠার সূচনা হলো।
_
সেই যে ল্যাপটপ নিয়ে বসেছে রাদ। রাখার নামগন্ধ নেই। ঘড়িতে এগারোটা বাজে। নুডলস, কফি সব বানিয়ে পাশে রেখেছে। কিচ্ছু খায়নি রাদ। তার না খাওয়াতে নিজেও খাচ্ছে না। ইসানা বিছানায় বসে রাদের মেজাজ খারাপের কারণ খুঁজছে। সে বিয়ে বাড়িতে কী এমন করেছে বুঝতে পারছে না। ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়। সে নিজেকে আর আঁটকে রাখতে পারে না। ফোন রেখে বিছানা থেকে নেমে তার সামনে দাঁড়িয়ে কপাট কণ্ঠে বলল,
‘কোথায় সমস্যা হয়েছে? না ঠিকমতো কথা বলছেন, না খাচ্ছেন। আমার ভুলটা কোথায় হয়েছে বলুন?’
রাদ মনে মনে চাইছিল ইসানা নিজ থেকেই তাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করুক। তাই হয়েছে। সে ক্ষোভিত নজরে তাকে এক পলক দেখে ল্যাপটপ বন্ধ করে উঠে দাঁড়ায়। ইসানার কাছাকাছি এসে কোমড়ে হাত রেখে নিজের সঙ্গে মিশিয়ে ধরল। হঠাৎ রাদের আ’ক্র’ম’ণে ইসানা হতভম্ব হয়ে সবিস্ময় তাকায়। রাদ দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
‘আপনাকে ছোঁবার অধিকার যেমন আমার একার আছে, তেমনি আপনারও ছোঁয়ার অধিকার কেবল আমারই আছে। আমি ব্যতীত আপনি অন্যকাউকে ছুঁতে পারবেন না।’
এতক্ষণে ইসানার মাথা নাড়া দিয়ে উঠলো গন্ডগোলটা কোথায় হয়েছে। ইভানকে কোট পড়িয়ে দেওয়ার সময় ইসানা ইভানকে না চাইতেও ছুঁয়েছে। এটি রাদ দেখে ফেলেছে। এজন্য ক্রোধ নিয়ে বসে রয়েছে। ইসানা রাদের অধিকার ফলানোর বিষয়টি ভালো লাগে। সে মনে মনে খুশি হয়। স্বামীর রাগ ভাঙাতে সে স্বাভাবিক ভাবে নিজেও রাদকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে। এতে রাদ কিছুটা অবাক হয়। ভ্রুতে কিঞ্চিৎ ভাজ পড়ে। ইসানা কোমলভাবে বলল,
‘স্বামীর রাগ ভাঙানো স্ত্রীর কর্তব্যের মধ্যে পড়ে শুনেছি। এটা নিশ্চয় আমারও করতে হবে। তো বলুন মাই লিটেল হাসবেন্ড, আমাকে কী করতে হবে এ মুহূর্তে? স্যরি বললে হবে?’
রাদ ভ্যাবাচেকা খেয়ে যায়। ইসানার এরূপের সঙ্গে আজ সে নতুনে পরিচিত হয়েছে। সে কী তাহলে তার রাগ বুঝতে পেরেছে? তবে কি তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে চলেছে অন্য স্বামী-স্ত্রীদের মতো? রাদ বাঁকা হেসে এক ভ্রু উঁচু করে নরম স্বরে বলল,
‘রাগ ভাঙাতে হলে ছোঁয়ার ইচ্ছে তৃতীয় দাপ পূরণ করতে দিতে হবে। ডু ইউ এগ্রী?’
‘ইয়েস! কজ আই লাভ ইউ!’ বলে ইসানা মুচকি হাসে। রাদ ইসানার কপালে কপাল ঠেকিয়ে চোখ বন্ধ করে ফিসফিসে শুধায়,
‘লাভ ইউ টু..।’
পরিশেষে তাদের প্রথম ভালোবাসার অধ্যায়ের সূচনা হলো। তাদের মাঝের বনিবনা, মনমালিন্য, দুরত্বকে চিরকালের জন্য বিদায় জানালো।

সমাপ্ত।

1 মন্তব্য

  1. ফালতু ending লেগেছে…..
    Maybe লেখিকা ইসানা টাইপের মেয়ে..😖😖😖😟😞😈😈😈…
    কোনো গল্প হলো এটা…
    আমি রাদের মতো মেয়েলি টাইপের নায়ক লাইক করলামনা….
    আচ্ছা শুধু কোট পড়িয়ে দেওয়া নিয়েই না‌..ইসানা কে আমার আরো অনেক এঙ্গেলে বারোভাতারি টাইপের মেয়ে লেগেছে….
    হুদাই টাইম লস করে এটা পড়লাম….
    শেষে শুধু লেখিকা আপাকে এটাই বলতে চাই …
    শুধু মেয়েদেরই এরকম ভাব থাকেনা…ছেকেরাও এরকম ছ্যাচরা টাইপের হয়না…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে