Monday, October 6, 2025







তোমাতে মত্ত আমি পর্ব-০৪

#তোমাতে_মত্ত_আমি
#লেখনীতে – #Kazi_Meherin_Nesa
#পর্ব – ০৪

শাশুড়ি-বৌমা মিলে আজ কেনাকাটা করেছে, আলফার ও বেশ ভালো লেগেছে। কেনাকাটা শেষে ট্রলিতে থাকা সামগ্রীর সঙ্গে বাড়ি থেকে করে আনা জিনিসপত্রের লিস্টটা ভালোভাবে মিলিয়ে নিলেন মিসেস খান..

“ব্যস, আমাদের সব কেনা তো শেষ। আলফা, তুমি এবার নিজের জন্যে কিছু কিনে নাও”

“আমার আপাতত কেনার মতো কিছু নেই আন্টি”

“খুঁজে দেখোই না, এখানে তো অনেককিছুই আছে। তোমার পছন্দমতো কিছু স্ন্যা’ক’স আইটেম কিনে নিতে পারো। তুমি যখন রাত জাগো বা অবসর সময় পাও তখন খেতে পারবে”

“ঠিক আছে আন্টি”

আলফা নিজের পছন্দের কিছু চিপস, চকলেট ও কফি কিনে নিলো। সেখান থেকে বেরিয়ে লাঞ্চটা আজ বাইরেই সেরে নিলো দুজনে। রাতে ডিনারের পর ড্রইংরুমে ফারহানকে দেখে দুপুরে আনা কিছু চকলেট ওর হাতে দেয় আলফা..

“চকলেট?”

“হুমম! আজ আমি অনেকগুলো এনেছি তাই ভাবলাম তোমার সাথেও শেয়ার করি। আফটার অল উই আর ফ্রেন্ডস রাইট?”

“থ্যাংক ইউ ভাবী! এগুলো কি তোমার পছন্দের চকলেট?”

মুচকি হেসে হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়লো আলফা..

“বাহ! জানো এই একই চকলেট অহনারও পছন্দ। ওর সঙ্গে দেখা করতে গেলে এগুলো না নিয়ে তো যাওয়াই যাবেনা। নাহলে ভীষন রে’গে যায়”

“অহনা? তোমার গার্লফ্রেন্ড নাকী?”

“হ্যাঁ, একদিন তোমাকে ওর সঙ্গে দেখা করাবো। অবশ্য তোমার কথা বলেছি ওকে এরপর থেকেই তোমার সঙ্গে দেখা করতে চাইছে”

“ফাইন! আমি সময় পেলেই দেখা করবো ওর সঙ্গে”

“আব..ভাবী একটা কথা জিজ্ঞাসা করবো?”

“হুমম বলো”

“তুমি ভাইয়ার ওপর অনেক রে’গে আছো তাইনা?”

“তোমাকে ফাহাদ কিছু বলেছে নাকি আমার ব্যাপারে?”

“না, এমনিই আমার মনে হলো তাই জিজ্ঞাসা করলাম আর কি। তোমাকে কদিন ধরে বেশ চুপচাপ লাগছিলো”

“তোমার ভাইয়ের ওপর রা’গ করার অধিকার বা ইচ্ছে কোনোটাই আমার নেই আমার ফারহান। আর যতদূর রইলো আমার কথা, আসলে কলেজে ভীষন প্রে’সা’র যাচ্ছে তাই আর কি”

আলফা যে ইচ্ছে করে বিষয়টা এড়িয়ে গেলো তা ফারহান বেশ ভালোই বুঝেছে, তাই এ প্রসঙ্গে আলফাকে আর কোনো প্রশ্ন করলো না। তবে দুজনে মিলে কিছুটা সময় আড্ডা দিয়েছে বটে, আলফা অহনার সম্পর্কে জানতে চাওয়ায় ফারহান ওর সঙ্গে অনেককিছুই শেয়ার করে। রাতে, ফাহাদ আলফা দুজনেই নিজেদের কাজে ব্যস্ত ছিলো, কিছু সময় বাদে আলফা রুম থেকে বারান্দায় চলে যায়। ফাহাদও ওর পিছু পিছু গিয়ে বলে…

“ক্যান আই ইউজ ইউর ল্যাপটপ?”

“কেনো?”

“একটা জরুরী মেইল পাঠানোর আছে, আমার ল্যাপটপ কাজ করছে না আর এতো রাতে ফারহানকে বি’র’ক্ত করতে চাইছি না। ও হয়তো ঘুমিয়ে গেছে”

“আমার ল্যাপটপে আজ চা’র্জ নেই”

“স’ম’স্যা নেই, তবে মেইলটা আজই পাঠাতে হবে তাই চাইছি”

“কাবার্ডে রাখা আছে ল্যাপটপ আর চার্জার ড্রয়ারে, নিজেই নিয়ে নিন”

আলফার কথামত ফাহাদ ল্যাপটপ চার্জার দুটোই পেলো, ল্যাপটপ চার্জে দিয়ে বেড সাইড ড্রয়ার থেকে কিছু একটা বের করতে গিয়েই আলফার আনা চিপস, চকলেট গুলো নজরে পড়ে ফাহাদের…

“এগুলো কে দিয়েছে তোমায়?”

“কিনে এনেছি”

“এতগুলো?”

“এতো কোথায়? অল্পই আছে”

একটা চকলেট ছিঁ’ড়ে মুখে পুরলো ফাহাদ, বিছানায় বসে আলফার ল্যাপটপে কাজ করতে শুরু করলো, আলফা ততক্ষণে বারান্দা থেকে ঘরে চলে এসেছে..

“তোমার এগুলো ভালো লাগে?”

“কেনো লাগবে না? আমাকে কি আপনার ভিনগ্রহের কোনো প্রা’ণী মনে হয়?”

“আমার একটা সহজ কথার উ’ল্টো মিনিং বের করাটা দেখছি তোমার স্বভাব হয়ে গেছে”

“কথা আপনি শুরু করেছেন”

বিছানায় গিয়ে নিজের পাশটায় শুয়ে পড়লো আলফা, রোজকার মতন আজও ফাহাদকে ই’গ’নো’র করলো। এতদিন কিছু না বললেও আজ ফাহাদ আর চুপ থাকতে পারলো না। কিছুটা রে’গে’ই বললো..

“আলফা, একই রুম শেয়ার করছি আমরা আর তুমি আমাকে একজন অপরিচিতের মতো ট্রিট করে যাচ্ছো। এসবের মানে কি?”

“আপনিও চাইলে আমাকে সেভাবেই ট্রিট করতে পারেন”

“তারমানে তুমি এভাবেই থাকবে?”

“আমার এভাবে থাকায় আপনারই সুবিধা হবে”

“আমি কখন বললাম তোমার জন্যে আমার অসুবিধা হচ্ছে?”

উত্তর দিলো না আলফা, ঘুমানোর চেষ্টায় চোখ বুজে নিয়েছে এতক্ষণে। তা দেখে ফাহাদ আর কিছু বললো না, তবে আলফার এই বারবার এ’ড়ি’য়ে চলার ব্যাপারটা মোটেও পছন্দ হচ্ছে না ফাহাদ
_____________________

কলেজে থাকা অবস্থায় মায়ের ফোন এসেছিলো আলফার কাছে, ও বাড়ি যেতে বলছে। মায়ের অনুনয়ে আলফা যাওয়ার জন্যে রাজি হয়। কলেজ থেকে ফেরার পথে ফ্রুট মার্কেটে গিয়ে বাড়ির জন্যে কিছু ফল কিনে গাড়িতে বসতেই হুট করে সামনে থাকা একটা গাড়ি আলফার গাড়ির ফ্রন্ট সাইডে অনেক জো’ড়ে এসে লেগে যায়। পেছনে গাড়ি থাকা সত্বেও সামনে থাকা গাড়িটা ব্যাকে আসার চেষ্টা কেনো করছিলো বুঝলো না আলফা। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থেকে নামলো ও, সামনের গাড়িতে থাকা ছেলেটাও নামলো..

“এক্সকিউজ মি মিস্টার! গাড়ি তো পার্ক করেছেন তার আগে কি আগে পেছনে একটু তাকিয়ে দেখে নিয়েছেন?”

আলফাকে দেখেই ছেলেটার চেনা চেনা লাগলো, তাই অন্য কথা শুরু আগে কৌ’তূ’হ’ল’ব’শ’ত প্রশ্ন করলো..

“আমি আপনাকে আগে কোথাও দেখেছি?”

“আমি আপনাকে কখনো দেখিনি”

“আমি সিওর আপনাকে কোথাও একটা দেখেছি কিন্তু এই মুহূর্তে মনে করতে পারছি না, আপনার নামটা..?”

“ওইসব ছাড়ুন, আগে দেখুন কি করেছেন।আমার গাড়ির ফ্রন্ট মিরর ভে’ঙে দিয়েছেন! গাড়ি ব্যাকে নেওয়ার আগে এটা নিশ্চয়ই দেখেছেন যে পেছনে গাড়ি আছে?”

আলফার কথায় সঙ্গে সঙ্গে পেছনে তাকালো ছেলেটা, সত্যিই আলফার গাড়ির ফ্রন্ট লাইন কিছুটা ভেঙে গেছে..

“আই অ্যাম রিয়েলি সরি, আসলে গাড়িতে একটু স’ম’স্যা হচ্ছে। ব্যাক গিয়ার কাজ করছিলো না। এখন আবার হুট করেই কাজ করে গেছে আর আপনার গাড়িতে লে’গে গেছে। আই অ্যাম সরি”

“ওহ! ইটস ওকে”

ছেলেটা ওয়ালেট বের করতেই আলফা বললো..

“আমি আপনার কাছে টাকা চাইনি”

“আমার জন্যে আপনার গাড়ির ক্ষতি হয়েছে, তাই ক্ষ’তি’পূ’র’ণ দেওয়া আমার দায়িত্ত্ব”

“আমার মনে হয় আপনার আগে নিজের গাড়ির রি’পে’য়া’রিং করানো উচিত”

হাসলো ছেলেটা..

“সে তো অবশ্যই করবো, তবে আপনার গাড়ির ক্ষ’তি আমার জন্যে হলো তাই দা’য়’টা তো আমার।”

“বললাম তো লাগবে না”

“আপনি যদি একসেপ্ট না করেন তাহলে আমি কিন্তু গি’ল্টি ফিল করবো”

ছেলেটা টাকা নেওয়ার জন্যে বেশ জো’রা’জু’রি করলো, পরে আলফা কিছুটা ভেবে বলে উঠলো..

“আপনার যদি ক্ষ’তি’পূ’র’ণ দেওয়ার ইচ্ছে থাকে তাহলে গাড়িটা নিজে গিয়ে রি’পে’য়া’র করিয়ে আনবেন। যদি সেটা করতে চান তাহলে আমিও আপনার ক্ষ’তি’পূরণ গ্রহণ করবো”

“এক্সকিউজ মি! আপনি বলতে চাইছেন আমি আপনার গাড়ি নিজে নিয়ে গিয়ে রি’পে’য়া’র করিয়ে আবার ফেরত দেবো? এতো ঝা’মে’লা’র কি আছে? আপনিই না হয়..”

“আমার যা বলার বলেছি, আর যদি রাজি না থাকেন তাহলে স’ম’স্যা নেই। থ্যাংক ইউ”

আলফা গিয়ে নিজের গাড়িতে বসে, ছেলেটা ওর গাড়ির জানালায় টোকা দিতেই গ্লাস নামিয়ে দেয় আলফা..

“হেই, আমি তো আপনার নাম ঠিকানা কিছুই জানিনা। চাইলেও বা আপনি যেভাবে চাইছেন সেভাবে ক্ষ’তি’পূ’র’ণ দেবো কিভাবে?”

“জেভিয়ার. এস. কলেজের প্রফেসর আমি, আমার নাম আলফা, যদি রি’পে’য়া’র করিয়ে দেওয়ার ইচ্ছে থেকে ওখানে চলে আসবেন”

“প্রফেসর বলেই কি এতো রাফ এন্ড টাফ বিহেভিয়ার?”

উত্তর দিলো না আলফা, গ্লাস আটকে গাড়ি স্টার্ট দিলো। মিনিট দুয়েকের মধ্যে শা শা করে ছুটে আলফার গাড়ি ছেলেটার দৃষ্টিসীমার বাইরে চলে গেলো। ছেলেটা তখনও ওখানেই দাড়িয়ে, মনে করার চেষ্টা করছে আলফাকে সে কোথায় দেখেছে। আলফা আজ অনেকদিন পর নিজের বাড়িতে পা রেখেছে, মেয়েকে দেখে ভীষন খুশি আলফার মা। কিছুটা অ’ভি’মা’নী স্বরে বললেন..

“আমি ফোন না করলে আজ বোধহয় আর আসতি না এখানে তাইনা আলফা?”

“আব্বু কি বলেছিলো সেটা ভুলে গেলে আম্মু? আব্বু চায়না আমি এখানে আসি, আর আমিও আব্বুকে হ’তা’শ করতে চাইনা”

“বাবার কথায় মন খা’রা’প হয়েছে জানি, তাই বলে মায়ের জন্যেও আসবি না? তাছাড়া এটা তোর নিজের বাড়ি, তুই এলে তো আর তোর বাবা তোকে কিছু বলবেন না”

আলফা এ প্রসঙ্গে কিছু বললো না, বাড়ির জন্যে আনা ফলগুলো মায়ের হাতে দিলো। আলফা প্রায় দুই ঘণ্টা মতো ওখানে ছিলো, অনেকদিন পর মায়ের হাতে রান্না খাবার খেতে পেরে মনটা উৎফুল্ল হয়ে উঠলো মেয়েটা। বাবার ফেরার সময় হয়ে এলে আলফা ওর মা কে বলে..

“আব্বু আসার সময় হয়ে গেছে, আমার এখন যাওয়া উচিত”

“আলফা? এই তো এলি, এখনই চলে যাবি?”

“আমি চাইনা আব্বু এসে আমাকে এখানে দেখে কিছু বলুক”

আলফার মা চায়না ওর বাবা মেয়েকে কিছু বলুক, তাই উনি আর জো’র করলেন না। আজ চিকেন বিরিয়ানি রান্না করেছিলেন আলফার মা, সেগুলোই যাওয়ার সময় ও বাড়ির জন্যে প্যাক করে দিয়েও দিলেন। বাড়ি ফিরতে রাত হলো, এসেই আলফা দেখলো ড্রইংরুমে ওর শ্বশুর শাশুড়ি ও দেবর বসে আছেন। আলফা কে দেখেই মিসেস খান বলে উঠলেন..

“আরে আলফা, কোথায় গেছিলে তুমি? এতো দেরি হলো?”

“আমি বাসায় গেছিলাম তো আম্মু সবার জন্যে বিরিয়ানি পাঠিয়ে দিয়েছে”

“ওহ আচ্ছা, বাসায় গেছিলে! কিন্তু ক’ষ্ট করে আবার এগুলো আনতে কেনো আনতে গেলে বলোতো”

বিরিয়ানির কথা শুনেই ফারহান বলে উঠলো..

“আম্মু, আমি আজ ভাবীর আনা বিরিয়ানিই খাবো”

“শুধু তুই কেনো, আমরা সবাই খাবো। আলফা তুমি গিয়ে ফ্রেশ হয়ে এসো তারপর আমরা সবাই আজ একসঙ্গে খাবো কেমন?”

“আঙ্কেল আমি খেয়েই এসেছি। খিদে পায়নি এখন, আপনারা খাওয়া শুরু করুন আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি”

আলফা যেতেই মিস্টার খান ছোটো ছেলেকে রান্নাঘরে পাঠালেন বিরিয়ানি সাজিয়ে টেবিলে নিয়ে আসার জন্যে, এরপর ফাহাদের মা কে বললেন..

“দেখেছো? আলফা বাড়ি গেছিলো কিন্তু এটা তোমার ছেলে জানেনা। স্ত্রী কোথায় যাচ্ছে তার খবর রাখাটা যে স্বামীর দায়িত্ব সেটাই তোমার ছেলের জানা নেই”

“তুমি ভুল বুঝছো ফাহাদকে, আর আলফা হয়তো ফাহাদকে জানাতে ভুলে গেছে”

“আলফার কেনো জানাতে হবে? তোমার ছেলে ফোন করে জানতে পারতো না? কিন্তু নাহ, তার তো আলফার কোনো চিন্তাই নেই। আলফা সারারাত বাইরে থাকলেও তোমার ছেলে বিন্দুমাত্র মাথা ঘা’মা’তো না”

“এভাবে বলো না, জানো তো বিয়ের পরই দুজনে আলাদা ছিলো। এখন একে অপরকে বুঝতে একটু সময় তো লাগবে তাইনা?”

“চেষ্টা ছাড়া কিছুই সম্ভব নয় আর ফাহাদের দিক থেকে কোনো চেষ্টা আমার নজরে পড়ছে না”

“তুমি এতো চিন্তা করো না, একটু সময় দাও। দেখবে সব ঠিক হয়ে যাবে”

“জানিনা কি হবে। ফাহাদের এই উদাসীনতা দেখে আমার তো মনে হচ্ছে আলফাকে ফাহাদের জীবনে আনতে গিয়ে আমি মেয়েটার ভবিষ্যৎ ন’ষ্ট করে দিয়েছি”

ছেলের থেকে ছেলের বউয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে এবার চিন্তায় পড়ে গেছেন মিস্টার খান। আলফা রুমে ঢুকেই দেখলো ফাহাদ পায়চারি করছে, ওকে দেখামাত্রই ফাহাদ বলে উঠলো..

“এই, তুমি তোমার বাসায় গেছিলে আমাকে একবার ফোন করে জানাবে না? রাত কয়টা বাজে দেখেছো?”

“নিজের বাড়ি যেতেও কি তোমার অনুমতি নিতে হবে?”

“বিষয়টা অনুমতির নয়, তোমার ফিরতে এতো দেরি হলো তাই আব্বু আমাকে জিজ্ঞাসা করছিলো কোথায় গেছো তুমি কিন্তু আমি উত্তর দিতে পারিনি। এরপর কি হতে পারে সেটা নিশ্চয়ই জানো!”

“ঠিক আছে, এরপর আমার দেরি হলে আন্টিকে জানিয়ে দেবো”

“আমাকে ফোন করতে স’ম’স্যা কি? তোমার কাছে আমার নাম্বার নেই?”

“একজনকে জানালেই তো হয়, আপনাকেই ফোন করতে হবে এমন কোনো বা’ধ্য বা’ধ’ক’তা তো নেই”

আলফার কথাবার্তায় বি’ন্দু’মা’ত্র পরিবর্তন নেই, সেই একই সুরের কথা যা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় ফাহাদের কোনো কথাই ও সি’রি’য়া’লি নেয়না। এবার আর ফাহাদ মাথা ঠিক রাখতে পারলো না। আলফা ফ্রেশ হতে যাবে তাই কাবার্ড থেকে ড্রেস বের করতে যাচ্ছিলো তখনই আলফার হাত টে’নে ধরে ফাহাদ, একটানে আলফা উ’ল্টো’পা’শে’র দেওয়ালের দিকে ছুঁ’ড়ে দেয়। এহেন কা’ণ্ডে বি’র’ক্ত হয় আলফা..

“কি স’ম’স্যা আপনার?”

ফাহাদ আলফার এতোটা কাছে গিয়ে দাড়ায় যে আলফা দু পা পিছিয়ে যায়, যার দ’রু’ন ওর পিঠ গিয়ে দেওয়ালে ঠেকে যায়..

“কি করছেন আপনি!”

আলফার কা’ধেঁ’র ওপর দিয়ে দেওয়ালে এক হাত রাখে ফাহাদ..

“আমি ভালোভাবে কথা বললে তো তোমার শুনতে ভালো লাগেনা তাই আমার স্টা’ই’লে বোঝানোর চেষ্টা করছি”

উত্তর দিলো না আলফা, শুধু ফাহাদের চোখে চোখ রেখে শোনার অপেক্ষায় আছে ফাহাদ কি বলবে..

“শোনো মেয়ে, এরপর থেকে যদি কোথাও গিয়ে লেট হয় তাহলে আমায় কল করে জানাবে, আমি বারবার তোমার জন্যে আব্বুর কাছে খা’রা’প হতে চাইনা”

চলবে…

পূর্ববর্তী নিবন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধ
গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ