তুই_যে_শুধুই_আমার [❤you are only mine❤]Part_2
#Writer_Tanzin_Islam_Ishika
।
ঠাস,,,ঠাস,,,ঠাস,,
রাহেলাঃ তুই পাগল হয়ে গিয়েছিস,, কি যা তা বলছিস,, এক সপ্তাহ পর তোর বিয়ে রুহান এর সাথে,, আর তুই এখন বলছিস এই কথা,,,
।
সায়রা কিছু না বলে মাথা নিচু করে দাড়িয়ে থাকে,, তখন ওসমান সাহেব সামনে এসে বলে,,
।
ওসমান সাহেব (সায়রার বাবা)ঃ মা তুই কি বলছিস এইসব,,
।
সায়রাঃ সত্যি বলছি বাবা,, আমি আরুশকে ভাইকে অনেক বেশি ভালবাসি,, ওকে ছাড়া আমি থাকতে পারব না,,
।
রাহেলা বেগমঃ কিসের ভালবাসা,, খালাতো ভাই বোনের মধ্যে কোন ভালবাসার সম্পর্ক হতে পারে না,,
।
দাদীঃ একদম ঠিক,, আর তোর মধ্যে কি লাজ শরম বলতে কিছু নেই নাকি,, নিজের বাবা মার সামনে নিজের ভাইকে ভালবাসার কথা বলতে তোর একটুও লজ্জা শরম করছে না,,
।
রাহেলা বেগমঃ রুহানের সাথে তোর কয়দিন পর বিয়ে,, আর এই সময় তোর এইসব বলতে লজ্জা করছে না,,
।
ওসমান সাহেবঃ আহা চুপ করো তহ,, মা তুই কি সত্যি আরুশকে ভালবাসিস,,
।
সায়রাঃ হুম,,,মাথা নিচু করে,,
।
ওসমান সাহেবঃ আরুশ কি তোকে ভালবাসে,, আরুশের দিকে তাকিয়ে,,
।
আরুশ বুঝতে পেরে বলে,,
আরুশঃ হ্যাঁ খালু,, আমিও সায়রাকে অনেক বেশি ভালবাসি,,
।
ওসমানঃ কবে থেকে,,
।
আরুশঃ ৪ বছর থেকে,, মাথা নিচু করে,,
।
রাহেলা বেগমঃ আমাদের আদরের এমন সুযোগ নিবি আমরা কল্পনাও করতে পারিনি,, আমার গর্ব ছিলি তুই আমার অহংকার ছিলি তুই আজ আমার অহংকার ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেল,,,
।
সায়রাঃ সরি মা,,,
।
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা
◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।
আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share
দাদীঃ হাহ সরি,, খুন করার পর সরি বললে সব ঠিক হয়ে যায় নাকি,, বাপরে বাপ কি যুগ আইলো,, ওই তোর নিজের খালাতো ভাই এর সাথে প্রেম করতে শরম লাগে নাই,,
।
আরুশঃ দেখ দাদী তোমার যা বলার আমাকে বলো,, সায়রাকে না,, ওর এইখানে দোষ নেই,,
।
দাদীঃ সাহস তহ কম না,, আমার মুখের উপর কথা কোস,, যে নিজের খালাতো বোন এর সাথে নষ্টি ফষ্টি করতে লজ্জা লাগে নাই,,,
।
ওসমান সাহেবঃ আহা মা চুপ করো তহ,,,
।
দাদীঃ হো হো আমারেই চুপ করা খালি,,,
।
রাহেল বেগমঃ তোকে এই দিন দেখার জন্য বড় করসিলাম,,
।
সায়রা কিছু না বলে চুপচাপ চোখের পানি ফেলতে থাকে,, নিজের মেয়ের চোখে পানি দেখে ওসমান সাহেব এর ভিতর থেকে এক দীর্ঘ শ্বাস বেড়িয়ে আসে,,তারপর বলে
।
ওসমান সাহেবঃ আগে বলনি কেন,,
।
সায়রাঃ ভয়ে বাবা,, যদি রাজি না হও,, কিন্তু এখন যদি না বলি তাহলে ওকে সারাজীবনের জন্য হারিয়ে ফেলব,, আর আমি ওকে হারাতে পারব না,,
।
রাহেলাঃ তাহলে এই বিয়ের জন্য রাজি হলি কেন,,
।
সায়রাঃ আব,, আমি কিছু বলতে যাব তার আগেই আরুশ ভাইয়া বলে উঠে,,
।
আরুশঃ রাগের মাথায় রাজি হয় খালা,, তুমি তহ জানোই আমি এক বছরে জন্য বাইরে গিয়েছিলাম ইউরোপে কাজের জন্য,, সেখানে গিয়ে আমি সায়রার সাথে ঠিক মত কথা বলতে পারতাম না,, ওর খোজ খবর নিতে পারতাম না,, আর মাঝে এত ব্যস্ত হয়ে পরি যে টাইম দিতে পারি নি,, এর জন্য সে জিদে আমার সাথে সম্পর্ক চিন্ন করে,, আর বিয়েতে রাজি হয়ে যায়,, ভাগ্যিস আমি ঠিক টাইমে বাংলাদেশে আসি আর এইসব জানি,,, তখন আমি ওকে বুঝাই,, আর ও বুঝতে পারে যে ও কত বড় ভুল করে ফেলেছে,, আর এখনো সময় ছিল তাই এইভাবে আমাদের ব্যাপার তুলে ধরলাম,,, তা না হলে আরও দেরি হয়ে যেত,,
।
রাহুল সাহেব (আরুশের বাবা)ঃ দেরি তহ করেই ফেলছ,, এইসব যদি আমাদের আগে জানাতে এইসব কিছুই হত না,,
।
আরুশঃ সরি,, কিন্তু আমরা দুইজন একজন আরেকজনকে ছাড়া থাকতে পারব না,, প্লিজ তুমি তহ বুঝো,, এই বিয়ে হলে কেউ খুশি হবে না,,
।
রিপা বেগম( আরুশের মা)ঃ আরুশ তুই বাবা আমায় বলতি,, আমি আগে থেকে সব ঠিক করে রাখতাম,, তুই এখন এমন সময় এইসব বলছিস,, যে কিছু করার নেই,,
।
আরুশঃ সরি মা,, আমি চেয়েছিলাম সেটেল হয়ে তারপর সবাইকে জানাতে,, কিন্তু ও যে রাগে জিদে এমন করবে বুঝি নি,,, কিন্তু এখন যদি তোমরা রাজি না হও,, আমরা অন্য স্টেপ নিতে বাধ্য হবো,, হয়ত তোমাদের এক ভুল ডিসিশনের আমাদের দুইজনকে চিরতরের জন্য হারাতে হবে,, এক নাগারে বলে শ্বাস নেয় আরুশ,,
।
।
ঠাস ঠাস,,
রাহেলা বেগম আবার আমার গালে চড় বসিয়ে দিলেন,, আমি গালে হাত দিয়ে নিচে তাকিয়ে আছে,, আর চোখের জল ফেলছি,,
।
রাহেলা বেগমঃ তোকে এই জন্য বড় করেছিলাম যে আজ এমন একটা দিন দেখাস,, সব জায়গায় কার্ড দেওয়া হয়ে গেছে,, মেহমান সব আসতে শুরু করেছে,, মানুষ বিষয়টা কিভাবে নিবে একবার ভেবেছিস,, তার থেকে বড় কথা রুহানের পরিবারকে কি জবাব দিব,,
।
রিপা বেগমঃ মাথা শান্ত কর বোন,,এখনো হাত থেকে কিছু ছুটে যায় নি,, তুই শান্ত হো,,
।
রাহেলা বেগমঃ কিভাবে শান্ত হবো আপা,, ও আজ যা করেছে তাতে আমরা কিভাবে রুহানের পরিবারকে জবাব দিব,,
।
রাহুল সাহেবঃ কিছু তহ একটা করতে হবে,, কিন্তু যাই হক ওদের দুইজনকে আলাদা করা যাবে না,, তা না হলে হয়ত আমাদের সন্তানদের আমাদের হারাতে হবে,,,
।
এই কথা শুনে রাহেলার বেগম এর বুক মোচড় দিয়ে উঠে,, কেননা তার এক মাত্র মেয়ে,, যত যাই বলুক,, মারুক বকুক কিন্তু নিজের থেকেও বেশি ভালবাসে ওকে,,
।
রাহেলা বেগমঃ তুই আমায় এইসব আগে না বলে ভুল করেছিস,, যখন তোকে আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম তুই কাউকে ভালবাসিস কি না,, তখনই তোকে আমার সত্যিটা বলে দেওয়ার দরকার ছিল,, তাহলে আজ এই দিন৷ দেখতে হত না,,
।
সায়রাঃ সরি মা,,,
।
রাহেলা বেগমঃ সরি বলে এখন কি হবে,, কিভাবে এইসব সামলাবো বল তুই,,
।
ওসমান সাহেবঃ আমি দেখছি বেপারটা,, কি বাই করার যেখানে ওরা দুইজন দুইজনকে ভালবাসে সেখানে তহ আর কিছু করার নেই,, ভাবতে দাও কি করা যায়,, আর তোমরা দুইজন রুমে যাও,, আমার সবার সাথে কিছু কথা আছে,,
।
আমি কিছু না বলে রুমে চলে আসি,, আর বালিশে মুখ গুজে কান্না করতে থাকি,,, চোখের পানি যেন বাধ এই মানছে না,, মোবাইলে আরুশ ভাই এর ছবি বের করে বুকে জরিয়ে কাদতে থাকি,,
।
সায়রাঃ নিজের ভালবাসার কাছে যে আমায় এইভাবে নত হতে হবে বুঝি নি আরুশ ভাই,, কিন্তু আরুশ ভাই তুমি এইরকম না করলেও পারতে,,, আমি যা করেছি তা তোমার ভালোর জন্যই করেছি,, তোমাকে আমি নিজ থেকে দূর করতে বাধ্য ছিলাম,, আর এর শাস্তি আমি তিলে তিলে পেয়েছি,,, আর হয়ত সারাজীবনই পেতাম,, কিন্তু তুমি যা করছো তার পরিনাম কি হবে তা আমার জানা নেই,, আদো আমরা এক হয়ে থাকতে পারবো কিনা জানি না,, জানি না পাবো নাকি তোমায়,,
এই বলে আবার কাদতে থাকে,,
।
।
এইদিকে,,
আকাশের পানে তাকিয়ে আছে আরুশ,, তাকিয়ে থাকতে থাকতে তার ভিতর থেকে এক দীর্ঘ শ্বাস বেড়িয়ে আসে,,
।
আরুশঃ তুই সেদিন এমন না করলেও পারতি,, তাহলে আজ তোর আর আমার লাইফ এমন হতো না,, কি দোষ ছিল আমার বল,, তোর চোখে শুধু টাকা এরই দাম,,আমার ভালবাসার কোন দাম নেই,, টাকার সামনে আমার ভালবাসা পায়ে ঠ্যালে দিলি,, সে যাই হোক,, তুই যা করেছিস তার শাস্তি পাবি,, কিন্তু তা আমার থেকে দুরে গিয়ে নয়,, বরং আমার কাছে থেকে,, আমার হয়ে,, তুই যত যাই কর,, তোকে তহ আমার এই হতে হবে,,কেন না #তুই_যে_শুধুই_আমার,,, তোকে তহ এই আরুশের এই সায়রা হতে হবে,, আর তাও খুব শীঘ্রই,,,
।
।
।
চলবে,,