ডেভিল হ্যাজবেন্ডের পিচ্চি বৌ♥part : 8+9
সুরিয়া মিম
!
কি ফাজিল ছেলেরে বাবা এখনি এতো ফিউচার তো সামনে পইরা রইছে,
!
কি হলো পাপা চুপ করে আছো কেন?
আমাকে চকলেট দাও?
!
এখন নেই তো বাবা একটু পরে কিনে দিবো নি,
!
আচ্ছা পাপা,
কিন্তু আমার মাম্মাম কোই?
!
তোমার মাম্মাম গোসল করে,
!
ওওওওওও মাম্মামের গোসল শেষ হলে তাকে নিয়ে নিচে এসো,
নিচে সবাই মাম্মাম কে খুজে,
!
আচ্ছা বাবা ঠিক আছে,
!
তারপর নিয়ন চলে যায়,
ও যাওয়ার পর পিচ্চি টা বাথরুম থেকে বের হয়,
দেন আমি ওকে সাড়ি পরিয়ে নিচে নিয়ে যাই,
সেখানে গিয়ে সবার সাথে ব্রেকফাস্ট করতে বসি,
!
ব্রেকফাস্টে হঠাৎ নিয়ন টা এসে পিচ্চির কোলে উঠে বলে,
!
মাম্মাম তোমার বেবি হলে, তুমি কি আমাকে কম আদর করবে?
!
না বাবা তোমাদের দুজন কেই আমি সমান ভাবে আদর করবো,
!
সত্যি?
!
হ্যা বাবা,
!
তারপর মিশকা নিয়ন কে খাইয়ে দেয়,
ওমা গো মা ছেলের কি প্রেম?
কিন্তু বাবা মায়ের প্রেম কবে হবে?
!
কি হলো বাবা কি ভাবছিস?
!
কিছুনা আব্বু,
!
তাহলে খাচ্ছিস না কেন?
!
এই তো খাচ্ছি,
!
ভাইয়া তোমার প্লেট টা দাও তো?
!
এই নাও,
!
দেখি তো হা করো?
!
তারপর আমার পিচ্চি বৌ আমাকে নিজের হাতে খাইয়ে দেয়,
বৌয়ের হাতে তৃপ্তি করে খাচ্ছি দেখে সবাই আমাকে নিয়ে মজা করতে শুরু করে,
সবার মজা থেকে বাচঁতে আমি আমার পিচ্চি বৌ কে নিয়ে রুমে পালিয়ে আসি,
বিকেলে নিয়ন কে নিয়ে আমরা ঘুরতে চলে যাই,
নিয়ন সাফারি পার্ক যাওয়ার বায়না করার আমরা ওকে সেখান নিয়ে যাই,
পার্কে ঘোরাফেরা শেষে,
নিয়ন কে অনেক চকলেট কিনে দিয়ে সন্ধার দিকে বাসায় ফিরে আসি,
!
বাসায় ফিরে এসেই মেজাজ টা খারাপ হয়ে যায় আমার কারন রিয়া ও তার মাঝবয়সী হ্যাজবেন্ড আমার শশুড় বাড়িতে,
!
আশ্চর্য ওরা খানে কি করছে?
!
তখন আমার আব্বু আমাকে জানান,
রিয়ার হ্যাজবেন্ড আমার দূর সম্পর্কের চাচা হয়,
তো সেই চাচা তার বৌ অথাৎ রিয়া কে নিয়ে আমার বৌ কে দেখতে এসেছে,
কারন তারা আমাদের বিয়ে তে প্রেজেন্ট ছিলেন না তাই,
!
বাট হু কেয়ার্স?
এখন আর আমার মনে রিয়া টিয়া নেই আমার মন জুড়েই আমার বৌয়ের বিচরণ,
তাই তাদের সাথে আলাপ পর্ব সেরে আমি রুমে চলে যাই,
রুমে যেতেই কেউ আমাকে পেছন থেকে জড়িয়ে,
আর আমি তাতে বিরক্ত হতে হই,
হঠাৎ করে আয়নার দিকে খেয়াল যেতেই দেখি,
আর কেউ নয় পেছন থেকে রিয়া আমাকে জড়িয়ে আছে,
তাই তখনি আমি ওকে ছাড়িয়ে ওর গালে ঠাসসসস করে দুটো বসিয়ে দেই,
!
তুমি আমাকে মারলে বেবি?
!
ফালতু কথা মোটে ও বলবে না,
আমি বিবাহিত আর আমি আমার স্ত্রী কে খুবি ভালোবাসি,
!
তা ভালোবাসো বেবি আমার কোনো প্রবলেম নেই,
তবে আমরা আমাদের রিলেশন টা তো কন্টিনিউ করতে পারি তাই না?
চলো না বেবি আমরা লিভ টুগেদারে যাই,
আজ কাল তো প্রায়ই মানুষ লিভ টুগেদারে যায় আমরা ও যাই না বেবি,
দেখোনা আমার এই বুড়ো হ্যাজবেন্ড কে নিয়ে কিছু তেই চলেনা,
ব্যাটা আমার চাহিদা গুলোই বোঝো না,
তাই বলছি আমাদের মধ্যে তো কিছু হয়নি সেগুলো এখন হবে,
আমি তো বলিনি তোমার বৌ কে ছেড়ে দাও?
আরে বাবা আমরা সবকিছু লুকিয়ো টুকিয়ে করবো,
কেউ জানতে পারবেনা আমার হ্যাজবেন্ড ও না তোমার বৌ ওনা,
!
রিয়ার এসব কথা শুনেই মেজাজ রা বিগড়ে যায় আমার তাই আমি আবারো ওর গালে আবারো চড় বসিয়ে যা নয় তাই বলে অপমান করি,
!
তখনি বাহিরে কিছু পরে যাওয়ার শব্দ হয়,
আর তাই আমি বাহিরে ছুটে যাই,
সেখানে গিয়ে দেখি কফির মগ টা ফ্লোরে পরে আছে,
কিন্তু সেটা নিয়ে আসার মানুষ টা নেই,
তখনি আমি কারো সাড়ির আচল দেখতে পাই,
আর ওটা অন্য কারো সাড়ির আচল না,
আমার পিচ্চি বৌয়ের সাড়ির আচল,
ও কি আমাকে ভুল বুঝে চলে গেল?
ও কি আর আমার কাছে আসবেনা?
!
কি হলো বেবি?
কে ছিলো এখানে?
!
তখনি রাগে ফায়ার হয়ে যাই আমি আর রিয়ার হাত ধরে টানতে টানতে ওকে নিচে নিয়ে গিয়ে সবার সামনে দু গালে দুটো চড় মেরে বলি,
চাচু তোমার বৌ কে সামলাও মানছি ও আমার গালফ্রেন্ড ছিলো কিন্তু আমাদের মধ্যে এমন কিছু হয়নি যে আমি আবারো ওর নোংরামির টানে ওর কাছে ফিরে যাবো,
!
আমি বিবাহিত আর আমি আমার বৌ কে অনেক ভালোবাসি,
আমার জীবনে শুধু ওই আছে আর আমি শুধু ওকেই ভালোবাসি আর ওকেই ভালোবাস তে চাই আমি,
সো প্লিজ চাচু তুমি তোমার বৌ কে নিয়ে চলে যাও,
আর আমার বৌ কে নিয়ে আমাকে শান্তি তে বাঁচতে দাও,
!
আর তখনি চাচু তার বৌ কে নিয়ে চলে যায়,
আমি চাই নি ওর জীবন টা নষ্ট করতে,
কিন্তু ও আমার জীবন টা নষ্ট করতে উঠে পরে লেগেছে,
ওরি জন্যে আমার বৌ এখনো আমার কাছে শুতে আসেনি,
!
তখনি আমার পিচ্চি বৌ টা আমাদের রুমে চলে আসে,
!
আর আমি ওকে আমার বুকে জড়িয়ে বলি,
তুমি কি রেগে আছো?
!
কেন ভাইয়া?
!
না মানে?
!
তুমি কি ওই মেয়ে টাকে ভালোবাসো?
!
না আমি শুধু তোমাকে ভালোবাসি,
!
তুমি না প্লিজ মিথ্যে বলোনা ভাইয়া,
আমি সব জানি, আমি তো সবি শুনলাম,
কিন্তু এটা বুঝলাম না ও তোমাকে বিয়ে করতে না চেয়ে লিভটুগেদার কেন করতে চাইল,
লিভটুগেদার তো আমাদের কালচার না আর এটা অনেক খারাপ ভাইয়া,
!
কিন্তু তুমি কি আমাকে ছেড়ে চলে যাবে?
!
কেন কোথায় যাবো?
!
তুমি ওকে বিয়ে করে ওকে নিয়ে থাকলে আমি তো একা হয়ে যাবো তাই না?
তো আমি কি নিয়ে থাকবো?
আমার তোমাকে নিয়ে থাকতে থাকত অভ্যাস হয়ে গেছে,
তাই আমি তোমাকে ছেড়ে থাকতে পারবোনা ভাইয়া,
তাহলে আমার খুব কষ্ট হবে তুমি জানো?
!
হ্যা জানি তাই আমি তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাবো না কোথাও যাচ্ছি না গট ইট,
তুমি আমার আর আমি শুধু তোমাকে নিয়ে বাঁচতে চাই,
!
ভাইয়া তুমি কাঁদছ কেন?
প্লিজ কেঁদো না সোনা চলো আমি তোমাকে খাইয়ে দিচ্ছি,
!
আমি কাঁদছি তোমাকে হারানোর ভয়ে কারন আমি জানি তুমি আমাকে অনেক ভালোবাসো আর সেটা আমি তোমার আচার ব্যাবহারে লক্ষ করেছি,
তুমি একটু হলে ও তোমার স্বামী কে বুঝতে পেরেছ, স্বামীর মর্ম টা ও বুঝতে পেরেছ তাই আমি তোমাকে ছেড়ে কখনো যাবো না কোথাও যাবো না,
কোথায় যাবো আমি তোমাকে ছেড়ে?
তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাওয়ার যায়গা নেই আমার,
!
কি হলো ভাইয়া কাঁদছ কেন?
এতো কাঁদেনা সোনা তোমাকে কাঁদলে মোটে ও ভালোলাগে না ভাইয়া,
আর এতো কি ভাবছ সোনা?
!
কিছুনা সোনা,
আচ্ছা আমি আর কাঁদবো না কেমন?
!
হুমমমম,
যাও গিয়ে দরজা লাগিয়ে আসো আমরা এখন ঘুমোবো,
!
ওকে সোনা,
দরজা লাগিয়ে আমি আমার পিচ্চি বৌয়ের বুকে নাথা রেখে শুয়ে পরি,
এভাবে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকার পর আমি ওর ঠোঁটের কাছে এগিয়ে যাই ওটা দখল নেওয়ার উদ্দেশ্যে,
!
পিচ্চি টা হয় তো এখনি আমাকে বলবে,
ভাই-বোনে এটা করেনা ভাইয়া,
আর আমি বলবো অতো সতো আমি বুঝিনা আমার ওটা চাই মানে আমার ওটাই চাই,
!
কিন্তু আমি ওর ঠোঁটের কাছে যেতেই আমি যা ভাবি ঠিক তার উল্টো হয়ে যায়,
আর বৌ আমাকে বকা দিয়ে বলে,
!
না ঘুমিয়ে বাঁদরামো করছ কেন তুমি?
!
না মানে আসলে……
!
যাও গিয়ে ঘুমাও,
!
তুমি তো জানো আমাকে আদর না করলে ঘুম আসেনা আমার,
তো তুমি আমাকে আদর করে দিবে না বৌ?
তারপর ও আর কোনো কথা না বাড়িয়ে আমাকে ওর বুকে জড়িয়ে আদর করে ঘুম পরিয়ে দেয়,
!
পরেরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি পিচ্চি বৌ টা আমার পাশে নেই,
হায় আল্লাহ বৌ আমার অভিমান করে আমাকে ফেলে চলে গেল নাকি?
!
তাই আমি তাড়াতাড়ি বিছানা ছেড়ে নিচে চলে যাই,
সেখানে গিয়ে দেখি,
!
ভাবি ওকে সোফায় বসিয়ে ওর দু পায়ে আলতা পরিয়ে দিচ্ছে,
পিচ্চি বৌয়ের আলতা রাঙা পা দুটো দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে,
তবে খালি খালি পা দুটো দেখতে মুরগির লেগ পিস বলে মনে হচ্ছে,
!
তাই ওর আলতা পড়া শেষ হলে আমি ওকে কোলে তুলে আমাদের রুমে নিয়ে এসে ওর জন্যে uk থেকে আনা পায়েল দুটো পরিয়ে দেই,
আর ও খুশি হয়ে আমার কপালে মিষ্টি করে চুমু একে দেয়,
!
আর আমি নিজেকে সামলাতে না পেরে ওকে আমার বুকের চেপে ধরি,
তখন ও আমাকে বলে,
তুমি যদি কিছু করো তাহলে আমি এখনি চিৎকার জুড়ে দিবো ভাইয়া,
!
ও বৌ,
বৌ এমন করেনা সোনা,
আমি তোমার স্বামী আমাকে একটু আদর করতে দাও না গো
!
উহহহহহহহহ,
আসছে বললেই হলো?
এতে আদর করো তাতে হয় না নাকি?
তুমি এতো খারাপ কেন ভাইয়া?
!
সারাদিন শুধু আদর করো আদর করো,
এতো আদর আদর করলে বাঁদোর হয়ে যাবে তুমি,
!
দেখো বৌ আমি খুবি ধৈর্য্যহীন মানুষ তাই আমার ধৈর্য্যের পরীক্ষা নিয়ো না কেমন?
!
আরে তোমার ধৈর্য্য তোমার কাছে রাখো আমি এখন আসি টা টা বাই বাই আমি এখন যাই,
!
বৌ যেতেই আমি আমার মনে দুঃখ্যে গান গেয়ে বলি,
ও বৌ ও বৌ রে তুই অপরাধী রে,
আমার ফিলিংসের তুই তেরো টা বাজা ও তোর ক্ষমা নাই রে,
আমার অনুভূতির সাথে খোলার অধিকার দিলো কে?
বৌ তুই বড় অপরাধী তোর ক্ষমা নাই রে
!
বৌ তোমার সত্যি কোনো ক্ষমা নেই,
!
তুমি শুধু আমার ফিলিংসের তেরো টা বাজা ও তবু ও আয় লাভ ইউ আমার পিচ্চি বৌ??
.
part : 9
===========
.
!
তুমি শুধু আমার ফিলিংসের তেরো টা বাজাও তবুও আয় লাভ ইউ আমার পিচ্চি বৌ,
!
আয় লাভ ইউ টু ভাইয়া,
!
এটা শুনে সামনে তাকাতেই দেখি,
আমার পিচ্চি টা আমাকে দেখে হাসছে,
!
ওরে ফাজিল তাহলে তুমি যাও নি?
দরজার বাহিরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আমার মজা দেখছিলে?
!
কি আমি মজা দেখছিলাম?
না তুমি আমার মজা দেখছিলে?
!
মানে?
তুমি কাঁদছ কেন আমার সোনাপাখি?
!
তুমি আমাকে আয় লাভ ইউ কেন বলেছ ভাইয়া?
আয় লাভ ইউ তো খুব খারাপ একটা শব্দ,
!
কি এসব কি বলছ সোনা?
!
আমি ঠিকি বলেছি ভাইয়া,
আব্বু আমাকে বলেছে আয় লাভ ইউ খুব খারাপ একটা শব্দ,
তাই কেউ যদি আমাকে আয় লাভ ইউ বলে আব্বু তাকে বকা দিয়ে দিতে বলেছে,
আর আমার কথায় কাজ না আব্বু কে নালিশ করতে বলেছে,
কিন্তু তুমি যা পচা আমার কথায় তো কাজ কখনওই হবে না,
তাই আমি এখনি আব্বু কে গিয়ে নালিশ করবো,
কারন তুমি আমাকে পচা কথা বলে কষ্ট দিয়েছ,
!
তখনি আমি ওকে জড়িয়ে ধরে বলি,
!
সোনা আমার মিষ্টি সোনা,
এমন কথা বলে না সোনা,
সবাই কে বললে সবাই কি ভাববে তুমিই বলো?
!
সবাই কিছু ভাববেনা বরং তোমাকেই বকা দিবে ভাইয়া,
কারন তুমি আমার সাথে পচা কথা বলেছ ভাইয়া,
!
তাহলে তুমি আমাকে আয় লাভ ইউ কেন বলেছিলে পিচ্চি,
!
কারন অনু আমায় বলেছে,
যে কেউ আয় লাভ ইউ বললে তাকে উওরে আয় লাভ ইউ টু বলেতে হয়,
!
রেয়ালি,
তা এই অনু টা আবার কে?
!
ও আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড ভুলে গেছ তুমি?
আগে ও তো ওর কথা বলেছি আমি?
!
ও হ্যা মনে পরেছে আমার,
তখনি আমি খেয়াল করে দেখি আমার পিচ্চি বৌ টা আমার কাছে নেই?
ওমা ম্যাজিক জানে নাকি?
হঠাৎ করে কোথায় গায়েব হয়ে গেল সে?
!
তখনি ভাবি এসে আমাকে বলে,
এই যে ইমান ভাইয়া নিচে চলো,
!
কেন ভাবি?
কি হয়েছে আবার?
!
নিচে তোমার নামে বিচার সভা বসেছে ভাইয়া,
!
এ্যা?
!
এ্যা না হ্যা,
নিচে চলো নিচে গেলেই বুঝতে পারবে সব,
!
তারপর আমি এক ছুটে নিচে চলে যাই,
সেখানে যেতেই দেখি,
আমার পিচ্চি বৌ দুই আব্বুর মাঝখানে বসে আমার নামে নালিশ করছে,
আর শুধু তাই না আমি ওকে কতবার চুমু খেয়েছি তাও হিসাব করে বলছে পরিশেষে আমি ওকে আয় লাভ ইউ বলেছি সেটা নিয়ে ও সবার কাছে বিচার দিছে,
!
বিচারক গণ ভিক্টিমের বক্তব্য শুনে আমার পানে চেয়ে মৃদু মৃদু হেসে বলে,
মা ও বোকা তাই তো বুঝতে পারেনি,
তুমি ওকে ক্ষমা করে দাও,
!
ক্ষমা আর ওকে কখনওই না ও আমাকে সুযোগ পেলেই উম্মাহহহহহ দিয়ে দিবে আব্বু,
ভাইয়া অনেক পচা তোমরা জানো,
!
তখনি জুড়ি মেম্বার্সরা আমার অবস্থা থেকে মুখ চেপে হেসে দেয়,
আর আমি বোকা হাদার মতো পিচ্চি বৌ টাকে সরি বলে ওপরে চলে আসি,
!
হঠাৎ কেউ আমাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে,
আর আমি জানি এ আর কেউ না আমার বিয়ে করা পিচ্চি বৌ,
তাই আমি রাগ করে ওকে ছাড়িয়ে বিছানায় গিয়ে কাঁথা মুড়ো দিয়ে শুয়ে পরি,
!
কি হলো সোনা ভাইয়া রাগ করেছ তুমি আমার সাথে?
কি হলো তুমি চুপ করে আছো কেন?
থাকো তুমি রাগ করে আমি আসি গোসল করে,
!
তারপর আমার পিচ্চি বৌ সত্যিই আমাকে বিছানায় ফেলে গোসলে চলে যায়,
!
আশ্চর্য আমি রেগে আছি যেনে ও আমার রাগ না ভাঙিয়ে চলে গেল?
!
তাই আমি রাগে অভিমানে কাঁথা মুড়ো দিয়ে শুয়ে থাকি,
!
হঠাৎ কিছুক্ষণ পর কেউ আমার গায়ে উঠে আমাকে কাঁথার ওপর থেকে চুমুতে চুমুতে ভরিয়ে দেয়,
তখনি আমি কাঁথার নিচ থেকে হাত বের করে তাকে জড়িয়ে ধরি,
জড়িয়ে ধরতেই অনুভাব করি যে আমার বৌ আমাকে জড়িয়ে কাঁথার ওপর থেকেই চুমু খাচ্ছে,
এবং ওর ভিজে শরীরের পানিতে আমি ও ভিজে যাচ্ছি,
আর নিজেকে সামলাতে না পেরে মুখের ওপর থেকে কাঁথা টা সরিয়ে ফেলি আমি আর তখনো আমার বৌ আমাকে আদর করে চুমু খেতে থাকে,
!
তখনি ওকে বলি,
!
এভাবে ভিজে আছো কেন?
যাও গিয়ে চেঞ্জ করে আসো,
!
তুমি কি কানা?
দেখো না আমি পেটিকোট ব্লাউজ পরে আছি?
!
তাহলে আমি ভিজে আছি কেন?
!
চুলের পানির জন্য,
!
তখনি খেয়াল করে দেখি,
ওর চুলের পানি একটু একটু করে আমার মুখের ওপরে এসে পরছে,
আর এই জিনিস টা খুবি ভালো লাগছে আমার,
নিজে কে যেন হারিয়ে ফেলছি আমি,
কিন্তু তখনি আমার অভিমানের কথা গুলো মনে পরে যায়,
আর আমি ওকে রেগে গিয়ে বলি,
!
আমি তোমাকে আদর করলেই তুমি আমাকে বকা দাও,
তাহলে তুমি আমাকে আদর করছ কেন?
!
নিজে করতে পারো আর আমি করলেই দোষ ভাইয়া?
তুমি রেগে ছিলে বলেই তোমাকে আদর করে রাগ ভাঙাতে চেয়েছিলাম আমি,
কিন্তু এখন আর করবোনা থাকো তুমি তোমার রাগ নিয়ে তাতে আমার কি?
!
তোমার কিছুনা হলে এখানে বসে আছো কেন?
যাও ভাগো এখান থেকে,
আমি তোমাকে ভালোবাসি না রিয়া কে ভালোবাসি,
তোমার কোনো জায়গা নেই আমার কাছে গট ইট?
!
এটা শুনে তখনি আমার পিচ্চিটা কোনো ভাবে সাড়ি টাকে বুকে পেঁচিয়ে আমাকে ছেড়ে রুমের বাহিরে চলে যায়,
!
আর আমি ও ফ্রেশ হয়ে খেয়েদেয়ে অফিসে চলে যাই মিটিং এর জন্যে,
!
কিন্তু মিটিং এ মোটেও কনসানট্রেড করতে পারছিনা আমি ,
কারন আমার বৌয়ের চাঁদ পানা মুখটি দেখতে পাইনি আমি মিটিং এ আসার সময়,
মিটিং শেষ হতে হতে রাএ নয় টা বেজে যায়,
!
তাই মিটিং শেষে বন্ধুদের সাথে ডিনার করেই পিচ্চি টাকে ফোন লাগাই,
কিন্তু ওর রেসপন্স না পেয়ে অস্থির হয়ে যাই আমি,
তাই আমি তখনি বাসায় ছুটে যাই,
!
বাসায় গিয়ে শুনি আমার পিচ্চি সারাদিনে কিছু খায়নি,
আর এখনো না খেয়ে ছাদে বসে আছে,
আমি তো কতকিছু খেয়ে এসেছি আর ও এখনো না খেয়ে বসে আছে?
এতো টা অভিমান ওর?
!
তখন সবাই এসে বলে,
বাবা তুই একটু ওকে বুঝিয়ে বল,
মেয়ে তো আমাদের কথাই শুনছে না,
এভাবে না খেয়ে থাকলে তো অসুস্থ হয়ে পরবে,
তাই তখনি আমি ওর জন্যে খাবার নিয়ে ছাদে চলে যাই,
!
ছাদে গিয়ে দেখি আমার দেওয়া পায়েল টা খুলে ফেলে রেখে দোলনার অন্যদিকে ফিরে শুয়ে আছে সে,
!
ও তুমি যতই রাগে ফায়ার হও না কেন?
আমি ও তোমার স্বামী একবার যখন এসে পরেছি তোমাকে সাথে করে নিয়েই যাবো,
!
তাই আমি আস্তে করে পিচ্চির কাছে গিয়ে ওর গালে চুমু একে দেই,
আর তখনি ও আমাকে ওর থেকে দূরে ঠেলে দেয়,
!
তাই আমি ওকে আমার বুকে চেপে ধরে বলি,
তুমি এখনো খাওনি কেন?
আমার ফোন রিসিভ করোনি কেন?
তুমি কি জানো আমার কতো টেনশন হচ্ছিল?
তুমি তো জানো আমি তোমাকে কত টা ভালোবাসি,তাহলে এমন কেন করছ?
!
শোনো তুমি আমাকে ভালোবাসার কথা বলবেনা কেমন?
তুমি যাকে ভালোবাসো তাকে গিয়ে ভালোবাসার
কথা বলো ভাইয়া,
!
পিচ্চি তুমি আমার কথা শোনো,
কিন্তু ও আমার কথা গুলো না শুনেই খাবার গুলো ফেলে দিয়ে চলে যায়,
!
তখন ভাবি আমাকে বলেন,
!
আমার ননদ টা হয়তো এতো কিছু বুঝেনা,
তবে নিজের জিনিস যে অন্য কে দিতে নেই সেটা ঠিকি বোঝে,
তুমি ঝগড়া করার সময় ওকে যে কথা গুলো বলেছ সে গুলো শুনেই কষ্ট পেয়েছ ও,
এভাবে কি দেখছ তোমার বৌ কিছু বলেনি আমি নিজের কানে শুনেছি সব,
!
তুমি যখন এতোই তোমার রিয়া কে ভালোবাসো,
তাহলে আমার ননদিনী কে বিয়ে করেছ কেন?
মজা নেওয়া জন্যে?
!
ভাবি আপনি আমাকে ভুল বুঝছেন,
!
ওকে ফাইন, আমি নয় তোমাকে ভুল বুঝলাম কিন্তু আমার ননদ ওকে তুমি কি করে বোঝাবে?
!
ভাবি আমি ওকে ম্যানেজ করে নিবো,
!
তুমি যতোটা সহজ ভাবো অতোটা সহজ না আমার ননদিনী কে ম্যানেজ করা,
!
আর তখনি পিচ্চি টা এসে ওকে দেওয়া আমার সমস্ত উপহার আমাকে দিয়ে চলে যায়,
!
আর আমি ওর পেছনে পেছনে ছুটে যাই,
গিয়ে দেখি পিচ্চিটা আম্মুর গলা ধরে শুয়ে আছে,
!
তুমি এটা ঠিক করোনি বাবা,
তোমার মামা সব যেনে ও শুধু আমাদের অনুরোধে
তার একমাত্র আদুরে মেয়ে কে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে,
সে যদি জানতে পারে তুমি এখনো এসব নিয়ে পরে আছো কত কষ্ট পাবে সে তুমিই ভেবে দেখ?
!
কালকে তো গলা ফাটিয়ে ফাটিয়ে চিৎকার করে বললে তুমি তোমার বৌ কে ভালোবাসো আর আজকে তোমার ভালোবাসার এইনমুনা দেখাচ্ছ তুমি?
আমি যদি ভুলনা হই বিয়ের বাসর হতেই তুমি ওকে রিয়া রিয়া করে দূরে ঠেলে রাখছ আর তাই ও তোমার থেকে দূরে দূরে থাকছে,
!
আব্বু
!
তোমার কথা শোনার মুড নেই আমার তাই তুমি এখন আসতে পারো,
!
আব্বুর কাছে বকা খেয়ে রুমে চলে যাই আমি,
রুমে একা একা কিছুই ভালো লাগছেনা আমার,
পিচ্চি কে ছাড়া সবকিছু এতো টা নিস্তব্ধ সেটা আমি এখনি হারে হারে টের পাচ্ছি,
!
তখনি খট করে দরজা খোলার শব্দ হয়,
দরজার দিকে তাকাতেই দেখি আমার পিচ্চি টা রুমে আসছে,
ওকে দেখা মাঐ আমি আমাদের বিছানা ঠিক করে ফেলি ওকে আমার কাছে নিয়ে শোয়ার জন্য,
কিন্তু আমি যা ভাবি সবি উল্টো হয়ে যায়,
ও আমাকে ফেলে রেখে নিচে মাদুর বিছিয়ে বালিশ নিয়ে কাঁথা মুড়ো দিয়ে শুয়ে পরে,
!
তুমি এতোটা হার্টলেস কি করে হতে পারো?
আমি একটু রাগের মাথায় কি সব বলে ফেলেছি তুমি সেটা বিশ্বাস করে আমাকে দূরে ঠেলে দিয়েছ?
!
আমি তোমাকে ছাড়া এই বিছানায় একাএকা শুবো কি করে?
এসব ভাবতে ভাবতে কেঁদে ফেলি আমি কারন আমি কতো কিছু খেয়ে এসেছি আর ও কিছু না খেয়েই এসে ফ্লোরে শুয়ে পরেছে,
!
খুব কষ্ট হচ্ছে আমার আর তাই আমি বিছানা ছেড়ে ওর কাছে গিয়ে শুয়ে পরি,
আর ও ঘুমোতেই,
আমি ওকে আমার বুকে টেনে নিয়ে আদর করতে থাকি,
!
সোনা পাখি একটা তোমার রাগ যদি আমি ঘুচিয়ে না দেই না আমি ও তোমার স্বামী নই???
চলবে….