চশমাওয়ালা_ছেলেটি
_শেষ_পর্ব
Written by Avantika Anha
আমি ভাবছি “মি. নাহিদ কি পাগল হয়ে গেছে নাকি এমনে করে কেনো । আমাকে ভালোবাসে নাকি ? না না এটা হবে কেনো। কি যে হচ্ছে”
ফুপি : আনহা এক বিয়ে আছে আত্মীয়ের চল তুই আর এদের ও নিয়ে চল ।
আমি : ওকে
ফুপি : শাড়ি পড়ে চল ।
আমি : আমি শাড়ি কই পাবো ?
ফুপি : আমার তো আছে ওই গুলোর একটা পড়ে নিস । শাম্মিকেও একটা দিস ।
আমি : ওকে
.
আমি আর শাম্মি শাড়ি পড়ে নিলাম । আমি নীল শাড়ি পড়লাম আর শাম্মিও নীলই পড়লো । আমি নীল চুড়ি , সাথে কাজল দিলাম আর সেই সাথে চুল ছেড়ে দিলাম , ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক ( লেখিকার সাজা টা খুব ভালো লাগে তাই নিজেকে কল্পনায় এভাবে সাজালাম )
শাম্মি : বাহ ম্যাডাম সেই তো লাগতেছে । সব ছেলে তো আজ বউ ছেড়ে আপনাকে দেখবে ।
আমি : যা ভাগ
আগে তুই দেখ জিজু কয়বার উস্টা খায় ।
শাম্মি : আচ্ছা চল ।
আমি : হুম চল
.
নিচে নেমে আসলাম । আমাকে দেখে নাহিদ থ ।
( এতো সুন্দর লাগছে আমার এলোকেশি কে )
.
ফুপি : বাহ দুজন কেই সুন্দর লাগতেছে ।
.
বিয়ে বাড়িতে……
আমি আর শাম্মি গল্প করতেছিলাম । এমন সময় এক ছেলে আসলো ।
ছেলেটি : হাই আমি রাজ
আমি : ও নাইস নেম ।
রাজ : আপনার নাম ?
আমি : জেনে লাভ ?
রাজ : বলেন না
আমি : পেত্নি
রাজ : হাহা সুন্দর নাম
আমি : হিহি আমি জানি । আমার নাম আনহা । সরি মজা করতেছিলাম ।
রাজ : হাহা ভালোই পারেন আপনাকে অনেক সুন্দর লাগছে ।
আমি : থেংকু ।
.
.
নাহিদ দেখলো এক ছেলে আনহার সাথে হেসে হেসে কথা বলছে তাই নাহিদ জাহিদ কে নিয়ে সেখানে গেলো ।
.
নাহিদ : কি হচ্ছে ?
রাজ : কে আপনি ?
নাহিদ : ফ্রেন্ড
রাজ : ওওওওওও
আমি : শাম্মি চল।
.
আমি আর শাম্মি চলে আসলাম ।
.
রাজ : আচ্ছা আমিও যাই
নাহিদ : না দাড়ান । শুনুন ও আমার গফ একটু রাগ করছে তাই কথা বলছে না । আপনি আবার নজর দিয়েন না ব্রো ( আন্দাজি কইলাম )
রাজ : ও আচ্ছা আচ্ছা
নাহিদ : হুমম
.
নাহিদ ভাবছে “না ওকে অন্য কারো হতে দেওয়া যাবে না ।
.
.
আমি একা একা হাঁটে বেড়াচ্ছিলাম এমন সময় আবির যেন কই থেকে উঠে আসলো । হিহি মানে চলে আসলো ।
আবির : তুই এখানে কি করছিস ?
আমি : বিয়ে ফুপি আনলো আমাকে ।
আবির : ও বর আমার বন্ধু
আমি : সেই তো কাপল টাকে মানিয়েছে
আবির : দোস্ত কার দেখতে হবে তো ।
আমি : যা ভাগ তুই তো বান্দর
আবির : ইনসাল্ট করো না গো মনে কষ্ট লাগে ।
আমি : হায় কপাল তুই এমনে কেমনে হইলি ?
আবির : তোমার প্রেমে গো সিনোরিতা
আমি : ফিল্মি পোকা ।
আবির : বাই দা রাস্তা তুই এখানে হঠাৎ আসলি যে ?
আমি : কেন আসতে পারবো না ?
আবির : না তা না কিছু কি হইছে ?
আমি : না কিছু না
আবির : মিথ্যে বলে লাভ কি ?
আমি : আসলে ……. ( সব বললাম )
আবির : ভুল হতে পারে দোস্ত । আমার মনে হয় ছেলেটা তোকে ভালোবেসে ফেলছে ।
আমি : না আমি বাসি না আর
আবির : যাই হোক তোর ভাবি পছন্দ হইছে পটায় দে
আমি : হায় রে এটা কয় নাম্বার ?
আবির : ৫৩ নাম্বার পছন্দ মনে হয়
আমি : ৬৭ নাম্বার হালা
আবির : যাই বল প্রথম ভালো লাগা তো তুই । তুই রাজি হয়ে যা আর হইবো না পছন্দ ।
আমি : ভাগ লুইচ্চা
.
.
নাহিদ আসলো….
নাহিদ : আনহা তোমার সাথে কথা ছিল কিছু ।
আমি : আমার নাই ।
নাহিদ : প্লিজ ইটস ইমপরটেন্ট
আমি : আবির যা তো
আবির : ওকে বউ ( মজা করে )
আমি : ( হালা নির্ঘাত মজা নিলো ) ভাগ হালা লুইচ্চা
নাহিদ : সরি আবার এতোদিন ধরে বলছি প্লিজ বুঝো
আমি : সেদিন কতোটা কষ্ট আমি পেয়েছিলাম জানেন ?
নাহিদ : মাফ করো একটু রাগ বেশি আমার ।
আমি : হুম
নাহিদ : আমি তোমাকে ভালোবাসি
আমি : জান্নাত কই গেলো ?
দুইদিনে ওর প্রতি ভালোবাসা শেষ
নাহিদ : ওটা ভুল ছিল । আমি যাকে খুঁজছিলাম তা ও না তুমি । জাহিদ আর শাম্মি দুজনই জানে ।
আমি : প্রমাণ কি ( রেগে আন্দাজি বললাম )
নাহিদ : দেখতে চাও ?
আমি : হুম
নাহিদ : ওয়েট এন ওয়াচ
আমি : হুহ
.
.
আমি আন্দাজি আউল ফাউল বকতেছিলাম । হায় রে ওয় সত্যি সত্যি কিছু করলে কি হবে । বেশিই রাগ ঝাড়ে ফেলছি ।
.
নাহিদ রেগে রাস্তা দিয়ে পুকুরের ওদিক যাচ্ছিলো । ঝাপ দিয়ে আনহা কে দেখাবে তাই ।
আমিও নাহিদের পিছনে দৌড় ।
আর কি যে হলো মনে নাই আমি চোখ খুলে দেখি হসপিতালে ।
.
( ওই টাইমে একটা কার এর সামনে পড়ে গেছিলাম । কার ব্রেক ঠিক ই মারা হইছিলো কিন্তু একটু ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেছিলাম । এতে একটু মাথায় আঘাত পাই । নাহিদ আমাকে হসপিতালে নিয়ে যায় কিন্তু ও নিজেকে দোষী মনে করে ফেলে ।)
সেদিনের পর নাহিদ আমার সামনে আর আসে না ।
.
আমি যতোবার ওকে ডাকি ও চলে যায় ।
.
বারবার আমার থেকে লুকিয়ে চলে
.
প্রায় ৩ মাস পর….
আজ নাহিদ কে ধরেই ফেললাম ।
আমি : ওই এমন করো কেন আমার সাথে ?
নাহিদ : কি করি ?
আমি : বারবার লুকিয়ে চলো ।
নাহিদ : না
আমি : ভালোবাসি গো তোমাকে
নাহিদ : সরি আমার গফ আছে
আমি : ওহ ওকে
নাহিদ : হুম বাই
.
.
আমি জানি ওয় মিথ্যা বলছে । মিথ্যা বললে ও মাথা নিচু করে থাকে । আমি তো আর ছাড়ার পাত্রি বা ।
.
ওদের বাড়ি গেলাম । আন্টি অনেক ভালো । আমাকে আগে থেকেই চিনে ।
আমি : আন্টি আমি নাহিদ কে ভালোবাসি । ও নিজেও আমাকে ভালোবাসে কিন্তু এর মাঝে এই এই এই হইছে ( সব বললাম )
এবার কি করবো বলো ?
আন্টি : পাগলি মেয়ে আমি তো আগে থেকেই জানি জাহিদ বলছিলো ।
আমি : সত্যি
আন্টি : হুম
আমি : আইডিয়া দেন
আন্টি : …….. এটা কর ( কি আইডিয়া সামনে শুনুন )
.
.
নাহিদ আসলো….
আমি : নাহিদ অনেক হইছে এবার আর তোমার রাগ না
নাহিদ : আমি যাই আমার কাজ আছে
আমি : ওয়েট
.
ক্লোরোফোম দিয়ে দিলাম । কিডন্যাপ করাই আইডিয়া ছিল ।
.
নাহিদের জ্ঞান ফিরলো । আন্টি কসম টসম দিয়ে বিয়ে করায় দিলো আমাদের ।
.
বাসরে….
নাহিদ কে জোড় করে রুমে পাঠানো হলো ।
নাহিদ এমন ভাব করছে কিছুই হয় নি আর আমাকে দেখতেই পাচ্ছে না । গান গাচ্ছে । আমি তো থ ।
.
এবার সবচেয়ে আজব ওয় শুয়ে পড়লো ।
না আর না ।
.
আমি : ওই উঠ
নাহিদ : কে রে ওও বউ তুমি
আমি : আম্মু গো কিচ্ছে ।
নাহিদ : বউ ও বউ কি হইছে
আমি : তুমি এমন বিহেভ করছো কেন ?
নাহিদ : কেন বউ
আমি : তোমার তো রাগ হওয়ার কথা
নাহিদ : কেনো রাগ করবো কেন আমার প্লানেই তো সব হলো ।
আমি : মানে
নাহিদ : মানে শাম্মি আমাকে এই আইডিয়া দিছিলো । তাই তোমাকে ইগনোর করলাম আর আম্মুকেও বলছিলাম । তাই তো এতো কিছু হইলো । বাই দা ওয়ে ক্লোরোফোম এর সেন্ট টা সেই ফগ ফগ ।
আমি : শাম্মি রে আমি খাইছি ।
আগে তোমারে
.
বলেই কিল ঘুষি ।
.
.
#শেষ
পুরোটাই কাল্পনিক ।