Sunday, October 5, 2025







গ্যাংস্টার_Gangstar পর্বঃ09

গ্যাংস্টার_Gangstar পর্বঃ09
লেখা_রওনাক_ইফাত_জিনিয়া
.

.
.
.
রাতুলঃ নীলা তুমি যা ভাবছো তেমন কিছু নেই আমাদের মাঝে।আমি দিয়াকে ছোটবোনের মতই দেখি।

আমিঃ হা হা হা।আমার কাছে এত নাটকের কোন দরকার নেই আর দয়াকরে দিয়াকে বোন বলে অন্তত ভাইবোনের সম্পর্কটাকে কুলষিত করবেন না।তার থেকে সরাসরি বললেই পারেন দিয়া আপনার প্রেমিকা।তাইতো এত সুন্দর করে তখন চোখের পানি মুছা হচ্ছিল।

রাতুলঃ আমি তোমাকে কিভাবে যে বিশ্বাস করাবো তোমার দেখায় নয় বুঝাতে ভুল আছে?কে তোমাকে এসব উল্টাপাল্টা শুনিয়েছে জানিনা তবে আমাকে বিশ্বাস কর।

আমিঃ এখানে আমার বিশ্বাসের কিছু নেই।শুধু দিয়া কেন আরও দশটা প্রেমিকা থাকলেও আমার কিছুই আসে যায়না আর না কেউ কোন ভুল কাহিনী শুনিয়েছে।আমার শুধু একটাই প্রশ্ন আমি কি দোষ করেছিলাম আমার জীবনটা নিয়ে কেন এই পুতুল খেলা খেললেন?

রাতুলঃ আমি কোন খেলা খেলিনি আমি সত্যিই তোমাকে ভালবাসি।শুধু তোমাকেই ভালবাসি আর কাউকে না।

আমিঃ তাই নাকি?এসব মিথ্যে শুনতে আমার একদম ভাল লাগছেনা।আমি ক্লান্ত হয়ে গেছি আপনার মিথ্যে কথা শুনতে শুনতে।দয়াকরে একটু শান্তিতে থাকতে দিন আমায়।এখানে আর নয় কাল আমি বাসায় যাব।

রাতুলঃ মানে?মা বললোনা আমরা কয়েকদিন এখানে থাকব?

আমিঃ ভালতো আপনার যতদিন ইচ্ছা থাকেন না দিয়ার সাথে তবে আমি কাল যাচ্ছি।

রাতুলঃ নীলা আমি তোমাকে কিছুই বলিনা তার মানে এই না যে তোমার যা ইচ্ছে তাই করবে।দয়াকরে এসব কথা বন্ধ কর আমি আমাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিনা পরে রাগের বশে কিছু একটা করে ফেলবো আর ভুলে যেওনা আমি চাইলেই অনেক কিছু করতে পারি এখন চুপ আছি শুধু তোমাকে ভালবাসি বলে।দয়াকরে ধৈর্য্যের পরীক্ষা নিওনা নীলা।

আমিঃ চুপ করে থাকতে বলেছে কে?আর আমি বলেছি যখন কাল যাব তখন যাবই।আপনার এখানে থাকতে মন চাইলে দিয়ার সাথে যতদিন ইচ্ছে থাকুন আমার কোন সমস্যা নেই।আমাকে ছেড়ে দিতে চাইলেও বলবেন শুধু যেকোন সময় আমি তালাকনামায় সাক্ষর করতে তৈরি।শুধু দয়াকরে এসব ন্যাকামি করবেন না আর ভুলেও আমার উপর অধিকার ফলাতে আসবেন না।আমি কিন্তু ছেড়ে কথা বলব না।

রাতুলঃ আমাকে ছেড়ে যাবে তাইনা?যাও।আমিও দেখব কিভাবে তুমি আমাকে ছেড়ে যাও।একটা কথা ভালভাবে বুঝে নাও যতদিন আমি বেঁচে আছি ততদিন তোমার নিস্তার নেই।

(তারপর রাতুল আমার কাছে এসে আমার দুগালে হাত দিয়ে ধরে আমার মুখটা তুলে ধরল)

রাতুলঃ নীলা?এই নীলা?দেখ সত্যিই বলছি আমি শুধু তোমাকে ভালবাসি অন্য কাউকে না।তোমার মতে আমিতো গুন্ডা কিন্তু দেখ আমি কোনদিন তোমার সাথে একটু জোরে কথা বলিনি,তুমি যতই আমাকে ঘৃণা করে কষ্ট দিতে চেয়েছ ততই আমি তোমাকে আরো বেশিকরে ভালবেসেছি।তুমিতো জানো আমি সহজে রেগে যাইনা আর একবার রেগে গেলে আমার মাথা ঠিক থাকেনা।দেখ এখনও আমার খুব রাগ হচ্ছে কিন্তু আমি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করছি দয়াকরে আর এসব আবোল-তাবোল কথা বলোনা।আর ভুলেও আমাকে ছেড়ে যাবার কথা বলোনা আমি তা মেনে নিতে পারবোনা।এখন খেয়ে শুয়ে পড়।রাতটা গেলে মাথাটাও ঠান্ডা হবে তখন নিজেই সব বুঝতে পারবে।

(আমি এক ঝাটকায় তার হাত সরিয়ে দিলাম)

আমিঃ অনেক হয়েছে আর না।আমার বুঝার কিছুই বাকি নেই।কতবার বলেছি আমাকে স্পর্শ করবেন না আপনি বুঝতে পারেন না আপনার স্পর্শে আমার ঘৃণা হয়?যেখানে স্পর্শ করেন মনে হয় স্থান টুকু কেটে বাদ দিয়ে দিই।আর দুদিন আগে নাহয় পরে আমিও আপনাকে ছেড়ে যাবই।আপনার মত লোকের সাথে আমার পক্ষে থাকা অসম্ভব।আর যান দিয়ার কাছে বিকেলে যেভাবে মিষ্টি করে চোখের পানি মুছিয়ে দিচ্ছিলেন ঠিক তেমনি মিষ্টি করে করবেন।আপনার স্পর্শে আমার ঘৃণা হলেও সেতো খুব খুশি হবে।একদম আমার কাছে আসার চেষ্টা করবেন না।

রাতুলঃ আমার স্পর্শে ঘৃণা হয় তাইনা?কেটে ফেলতে ইচ্ছে হয় তাইনা?দুদিন আগে নাহয় পরে ছেড়ে যাবে আমায় তাইনা?আজ আমি তাই করব যা এতদিন করিনি।আজ আমি তাই করব যার পরে আমি ছাড়া তোমার দ্বিতীয় কোন অপশন থাকবেনা।সবার কাছে আমি গুন্ডা হলেও তোমার কাছে আমি সবসময় ভাল থাকতে চেয়েছি,একজন আদর্শ বর হতে চেয়েছি,তোমার দেয়া সব কষ্ট আমি তোমার ছেলেমানুষি বলে ভুলে গেছি,আজকেও বারবার বলেছি আমি কোন ভুল করিনি আর না কোন মিথ্যে তোমায় বলেছি দয়াকরে আমাকে রাগিও না কিন্তু না।আজ আমি তোমার শরীরের প্রতিটা অংশেই স্পর্শ করব।দেখব তুমি কিভাবে আমায় ঘৃণা কর।তোমার শর্ত মতেই ভেবেছিলাম তোমার ভালবাসা পেয়ে তোমার ইচ্ছাতেই আমি তোমাকে আপন করে নিব কিন্তু তুমি বললে তুমি আমাকে ছেড়ে যাবে।আজকের পর দেখব কিভাবে আমায় ছেড়ে যাও তুমি।এখন তাই হবে যা হয়ত হওয়া উচিত ছিলনা কিন্তু তুমি আমাকে তা করতে বাধ্য করলে।

(রাতুল এক পা করে আমার কাছে আসছিল আর আমি পিছনে যাচ্ছিলাম।একসময় আমি বিছানায় পড়ে গেলাম আর রাতুল ঠিক আমার পাশে এসে শুয়ে পড়ল।আমি কখনও ভাবিনি রাতুল এমন করতে পারে।আসলে রাতুল গুন্ডা হলেও এই দুমাসে তার প্রতি আমার কিছুটা হলেও ভরসা জন্মেছিল।কিন্তু এখন)

আমিঃ আমার কাছে আসবেন না রাতুল এটা ঠিকনা।

রাতুলঃ আজ কোন ঠিক ভুলের বিচার হবেনা।আজ শুধু..
.
.রাতুল কোন কথা না বলে আমার দুহাত তার দুহাত দিয়ে ধরে আমার ঠোঁটে তার ঠোঁট মিলালো।রাতুল যখন ক্ষুদার্ত বাঘের ন্যায় আমার ঠোঁটের মধুর সন্ধানে ব্যস্ত আমি তখন তাকে আমার থেকে দূরে সরানোর চেষ্টায় ব্যস্ত।কিন্তু রাতুলের পুরুষালি শক্তির কাছে আমি পরাজিত হলাম।

অনেকটা সময় পর রাতুল আমার ঠোঁট হতে তার ঠোঁট আলাদা করল।এতটা গভীরভাবে রাতুল আমার ঠোঁট চুষছিল যে আমার দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল।ছাড়া পেয়ে আমি হাঁপাতে হাঁপাতে বললাম-

আমিঃ রাতুল এখনও সময় আছে দয়াকরে আর আগাবেন না,আমার জীবনটা এভাবে শেষ করবেন না,আপনি যা করছেন তা ঠিক নয়,আপনার একটা ভুল আমার জীবনটা ধ্বংস করে দিবে।দয়াকরে আমার ছেড়ে দিন এই ভুলকে আর বাড়াবেন না।

রাতুলঃ ঠিক ভুলের হিসাব করার অবস্থা এখন নেই আর আজ আমাকে বাধা দিওনা নীলা।আজ আমি শুধু তোমায় ভালবাসতে চাই,আপন করে পেতে চাই আর কিছুনা।আমাদের মাঝে আর কোন দূরত্ব নয়।এই দূরত্ব আমাকে তিলে তিলে শেষ করে দিচ্ছে।
.
.তারপর রাতুল আবার আমার দেহ স্পর্শ করতে শুরু করল।আমি বাধা দিয়েও তাকে দূরে সরাতে পারলাম না।যতই তাকে দূরে সরানোর চেষ্ঠা করছিলাম ততই আরো বেশি করে সে আমার কাছে আসছিল।আমি যে চিৎকার করব তারও কোন উপায় ছিলনা।জীবনে কখনও এতটা অসহায় আমার লাগেনি এখন যতটা লাগছে।এভাবে ধীরে ধীরে আমি বাধা দেয়া ক্ষমতা হারাতে শুরু করলাম আর রাতুল আমার শরীরের উপর তার কর্তৃত্ব বাড়াতে লাগলো….
.
.রাত তিনটা বাজে শুধু চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।আমি কথা বলার ভাষা হারিয়েছি।যা ঘটেছে তা যতটা না আমার শরীরের উপর প্রভাব ফেলেছে তার থেকেও হাজার গুণ বেশি প্রভাব ফেলেছে আমার মনে।আজ আমি জীবন্ত লাশে পরিণত হয়েছে।এতদিন আর যাইহোক মন বলে কিছু একটা আমার সাথে ছিল যা এখন আর নেই।

আমি ফ্লোরে বসে আছি আর চোখ দিয়ে অজোরে পানি পড়ছে।জীবনে কখনও নিজেকে এতটা অসহায় মনে হয়নি আমার।রাতুল কি সব যেন বলে যাচ্ছে অথচ আমার কানে কিছুই যাচ্ছেনা।মনে হচ্ছে বাক ও শ্রবণ শক্তি দুটোই আমি হারিয়েছি।এভাবেই বসে আছি কতক্ষন যাবত বলতে পারবনা।হঠাৎ কানে আজানের শব্দ শুনলাম।সকাল হল আমি গোসল করে ওভাবেই বিছানায় বসে রইলাম।রাতুল এরমাঝে বেশ কয়েকবার এসে চোখের পানি ফেলে ক্ষমা চেয়েছে আর কি কি যেন বলেছে কিন্তু তার কোন কথাই আমার কানকে ভেদ করতে পারেনি।

সকালে রিমা এসে খেতে ডেকে গেছে কিন্তু আমি যাইনি।শেষে রাতুলের মা রুমে এল।বিছানায় আমার পাশে বসে মাথায় হাত রেখে বলল-

রাতুলের মাঃ কিরে মা এভাবে বসে আছিস কেন?

আমিঃ (,,,)

রাতুলের মাঃ আর চুপ করে থাকিসনা কথা বল।আমি না তোর মা..
.
.
মা কথাটা শুনে আর চুপ করে থাকতে পারিনি মায়ের কোলে শুয়ে কাঁদতে শুরু করলাম।মা নিজেও আর কিছু বলেনি শুধু মাথায় হাত বুলাচ্ছিল।অনেকক্ষন পর মা বলল-

রাতুলের মাঃ আমাকে কিছু বলার দরকার নেই রে মা আমি সব জানি।রাতুল সব বলেছে আমায়।আমি নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে আমার ছেলে হয়ে ওই এমন একটা কাজ করতে পারে।আমি ওরে ঠিকভাবে শিক্ষা দিতে পারিনি রে মা আমায় তুই ক্ষমা করে দে।আমি তোর কাছে ক্ষমা চাই রে মা।

(আমি কাঁদতে কাঁদতে বললাম)

আমিঃআপনি কেন ক্ষমা চাইছেন মা?ভুলতো আমার মা কারন আমি মেয়ে হয়ে জন্ম নিয়েছি আর এটাই আমার জীবনের সবথেকে বড় দোষ।কারও কোন দোষ নেই।

রাতুলের মাঃ রাগ রাতুলকে পশুতে পরিণত করে।রেগে গেলে ওর হুশ থাকেনা কি করছে না করছে কিন্ত যখন রাগ কমে যায় নিজের ভুলটা ঠিকই বুঝতে পারে তবে তখন খুব দেরী হয়ে যায়।এই রাগই ওরে গুন্ডা বানিয়েছে।ভয় হয় একদিন না এই রাগের জন্যেই ওই শেষ হয়ে যায়।কিন্তু তুই কেন নিজেকে এভাবে কষ্ট দিচ্ছিস মা?চল কিছু খেয়ে নিবি কাল রাতেও কিছু খাসনি।

আমিঃ আমার খাওয়ার কোন ইচ্ছেই নেই মা।খাবার আমার গলা দিয়ে নামবেনা মা।

রাতুলের মাঃ এভাবে বলিস না মা বেশি না খাস অল্প করে খেয়ে নে।

আমিঃ মা আমি বাসায় যেতে চাই আর আজকেই।

রাতুলের মাঃ ঠিক আছে মা তাই হবে।আজকেই আমরা চলে যাব।এখন চল মা কিছু খেয়ে নে।
.
.তারপর সেদিনই আমরা বাসায় চলে আসি।সেদিনের পর থেকে রাতুল খুব একটা আমার সামনে আসেনা আর আসলেও আমাদের মাঝে কথা হয়না।এভাবেই দিনগুলো যাচ্ছিল।দেখতে দেখতে S.S.C পরীক্ষা চলে এল।কাল বাদে পরশু পরীক্ষা।ছাত্রী খুব একটা খারাপ ছিলামনা তবে এতগুলো ঘটনার পর পড়া হয়নি খুব একটা তাই প্রস্তুতি বেশি ভালোনা।যদিও নাহিদ ভাই আমাকে খুব ভালো করে পড়িয়েছে এই একমাস।লোকটা আসলেই খুব ভাল আর আমাকে বোনের থেকে অনেক বেশি ভালবাসে।রাতুলের কৃত কাজের পর পুরুষের উপর যেমন বিশ্বাস হারিয়েছিলাম ঠিক তেমনি নাহিদ ভাইয়ের কারনে আবার কিছুটা ভরসা জীবনে পুরুষের প্রতি ছিল।এই একমাস আমি শুয়ে পড়ার পড় প্রতিদিন রাতুল আমার রুমে আসত।অনেক কথা বলত,কাঁদতো ভাবতো আমি ঘুমিয়ে পড়েছি কিন্তু আমি জেগে থাকতাম তা সে বুঝতে পারেনি।এই একমাসে এটা বোঝে গিয়েছিলাম যে সে আমাকে ভালোবাসে দিয়াকে না।বুঝতে পারতাম লোকটা খুব খারাপ না তবে কেন জানি কোন মতেই আমি তার শেষের কাজটা ভুলতে পারতাম না।
.
.পরীক্ষা দেয়ার জন্য নাহিদ ভাই আমাকে পরীক্ষার কেন্দ্রে নিয়ে গেল।কিন্তু যখন পরীক্ষার কেন্দ্রে ঢুকতে যাব তখন দূরে রাতুলকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম।আমার কাছে আসার সাহস হয়নি তার তাই দূর থেকে দেখছে।কেন জানি আজ তার চোখের দিকে তাকিয়ে আজ আমার খারাপ লাগছে তাই আমি ওদিকে না তাকিয়ে পরীক্ষা দিতে চলে গেলাম।পরীক্ষা শেষে যখন বের হলাম তখন নাহিদ ভাইকে দেখতে পেলাম দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু তাকে দেখতে পেলামনা।যখন আমি নাহিদ ভাইয়ের সাথে চলে আসছিলাম তখন তাকে দূরে দেখতে পেলাম।খুব খারাপ লাগল।আজ যখন আমি শুয়ে পড়লাম সে আবার আমার রুমে এল। বলতে লাগলো

” জানো নীলা আমার খুব ইচ্ছেছিল তুমি যখন পরীক্ষা দিতে যাবে আমি তোমায় নিয়ে যাব কিন্তু দেখ কি ভাগ্য আমার তোমাকে নিয়ে যাওয়াতো দূরের কথা তোমার মুখোমুখি দাঁড়ানোর সাহস টুকুও আমার নেই।ভেবেছিলাম আমার ভালবাসা দিয়ে একসময় তোমায় জয় করে নিব কিন্তু আমার একটা ভুল তোমাকে আমার থেকে অনেক দূরে সরিয়ে নিয়ে গেছে।সেদিন রাগের বশে করা একটা কাজের জন্য আজ একমাস ধরে আমি তিলে তিলে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছি।জানি আমি যে ভুল করেছি তারপর তুমি এ জীবনে হয়ত আমাকে কোনদিন মাফ করতে পারবেনা।মাঝে মাঝে নিজেকে শেষ করে দিতে ইচ্ছে করে কারন তোমার চোখের এই ঘৃণার থেকে মৃত্যুও আমার কাছে অনেক কম কষ্টের।যদি তুমি আমাকে ক্ষমা করে আমাকে একটা সুযোগ দিতে বিশ্বাস কর নিজের জীবন দিয়ে হলেও আমি প্রমাণ করে দিতাম আমি তোমাকে কতটা ভালবাসি।জানিনা কখনও সেদিন আসবে কিনা? ”
.
.আমি অনেক ভাবলাম।আসলেই রাতুল আমাকে ভালবাসে এটা ঠিক আর এটাও ঠিক যে আমি যতই বলিনা কেন রাতুলকে আমি কখনও ছাড়তে পারবোনা।রাতুলের প্রতি ধীরে ধীরে আমারও একটা মায়া জন্মেছে তা আমি অস্বীকার করতে পারবোনা তবে এটাও ঠিক আমি কখনও রাতুলের কাজগুলো মেনে নিতে পারিনি।তবে আমি রাতুলকে একটা সুযোগ দিতেই পারি।ভালবাসতে হয়ত পারবোনা কিন্তু একসাথে চলার চেষ্টাতো করতেই পারি।হয়ত এভাবে চলতে চলতে একসময় সব ঠিকও হতে পারে।জীবনটা যেভাবে চলছে এভাবেতো আর চলা সম্ভব না।রাতুল যখন তার কথাগুলো বলে কাঁদতে কাঁদতে চলে যাচ্ছিল ঠিক তখনই আমি তার হাতটা ধরলাম।রাতুল বেশ অবাক হয়ে পিছনে তাকালো।
(চলবে)

পূর্ববর্তী নিবন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধ
গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ