#গল্প_পোকা_ধারাবাহিক_গল্প_প্রতিযোগিতা_২০২০
গল্পের নামঃ প্রয়োজন পর্বঃ ০৫
লেখায়ঃ তানিয়া তানু
মাথা উঁচু করে তাকিয়ে দেখলাম, একজন পূর্ণবয়স্ক ছেলে আমার দিকে অপলক চাহনিতে চেয়ে আছে। তার মাথা ভর্তি ঘন কালো চুল। মুখ ভেজা হওয়ায় কপালে কিছু চুল লেপ্টে আছে। চোখে গোল ফ্রেমের চশমা। তার তাকানোর ভঙ্গি দেখে বিব্রতকর অবস্থলায় পড়লাম। তার থেকে বড় কথা হচ্ছে ছেলেটার পরনে স্যান্ডো গেঞ্জি আর থ্রি কোয়াটার প্যান্ট। এই রকমভাবে ছেলেটাকে দেখে আমি যেন কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেললাম। হা করে তাকিয়ে রইলাম তার দিকে।আচ্ছা বৃদ্ধ লোকটি তো বলেছিলো স্টুডেন্টকে আনবার জন্য যাচ্ছেন। তবে কী এই লোকটাই স্টুডেন্ট? ওহ নো, এত বড় সোমত্ত ছেলেকে এখন আমায় পড়াতে হবে। আমি মাধ্যমিক শ্রেনীর স্টুডেন্টদের পড়াই না। তবে কী এই ছেলে মাধ্যমিকের কোনো ক্লাসে পড়ে। ওহ আল্লাহ, এই ছেলে তো মনে হয় নিউ জেনারেশনের আদু ভাই।
~এক্সকিউজ মি।
ছেলেটার কথা শুনে হুশ ফিরে এলো। ছেলেটার দিকে তাকিয়ে তাকে অন্যকিছু বলার সুযোগ না দিয়েই বলতে লাগলাম,
~দেখুন, আপনার মতো এত গাধা স্টুডেনকে আমি পড়াতে পারবো না। আপনাকে পড়াতে গেলেই প্রচুর সময় লাগবে। আমার এত সময় নেই। আল্লাহাফেজ। বলেই দরজার কাছে আসলে লোকটা হাত দিয়ে আমার পথে বাধা দেয়।
~আপনি কাকে গাধা ভাবছেন? হাউ স্ট্রেঞ্জ! আপনি অয়ন মাহমুদকে আদু ভাইয়ের সাথে কম্পেয়ায় করছেন! যে কী না প্রত্যেক ক্লাসে টপ ছিলো! লোকটার কথা শুনে বললাম,
~তাহলে আপনি এত বুড়া হয়েও পড়ার জন্য টিউটর খোঁজলেন কেন?
~কথায় আছে, মেয়েরা বুঝে কম বলে বেশি। আপনাকে দেখে প্রামণ পেলাম।
~মানে?
~এই মেয়ে আমি তোমাকে কখনো বলেছি, আমি তোমার স্টুডেন্ট। তো তুমি এত বেশি বুঝলে কেন? আর আমার বয়স চব্বিশ। আর চব্বিশ বছরের ছেলে বুড়া হয় না ইয়াং হয়। ইডিয়েট!
লোকটার কথা শুনে সত্যি নিজেকে ইডিয়েট মনে হচ্ছে। কিন্তু মনে যে সংশয় হচ্ছে। তাই নিজের মনের সংশয় দূর করার জন্য বললাম,
~ ঐ বৃদ্ধ লোকটাই তো বলেছিলো, আমি তোমার স্টুডেন্টকে নিয়ে আসি। আর তারপর তো আপনি এলেন। তাই আমি আপনাকে স্টুডেন্ট ভেবেছিলাম।
~ উনি নিয়নকে খোঁজতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওরে খোঁজে পাননি বলেই আমার কাছে গিয়েছিলেন। আর আমি জানি আমার ভাই কোথায় লুকাতে পারে?
লোকটার কথায় বুঝলাম নিয়ন নামে উনার ভাই আমার স্টুডেন্ট।
লোকটা তারপর এই রুমটাকে তন্নতন্ন করে খোঁজছেন। শেষে বাথরুমের কাছে গিয়ে দেখলেন শেষে বাথরুমের কাছে গিয়ে দেখলেন
সেটার দরজা ভেতর থেকে লক করা। আর তিনিও বুঝে ফেললেন তার ভাই এটার ভিতরেই আছে। অনেক হুমকি আর বকার পর চুরের মতো মুখ লুকিয়ে বের হয়ে এলো কিশোর বয়সের একটা ছেলে। মুখটা গোলগাল। তার চোখের গোল ফ্রেমের চশমা।
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা
◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।
আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share
~লুকিয়ে ছিলি কেন?
~লুকালাম কোথায়? আমি তো ভয় পেয়ে বাথরুমে গিয়েছিলাম।
~ভয়ই বা পেলি কেন?
~হরর স্টোরি পড়ে।
~মিথ্যে বলছিস কেন? আর দিনের বেলায় স্টরি পড়ে ভয় পাওয়ার কী আছে?
~মিথ্যে বলছি না। ঐ যে টেবিলে রাখা পেপারে আছে। গিয়ে দেখ।
আর কিছু না বলে দুইভাই এইবার আমার দিকে তাকালো। তারপর ছাত্রের ভাই বললো, ও খুব চালাক এর ভীষণ দুষ্টু একটা ছেলে। তাই ওকে মারার উপরের রাখবেন। আমি মারতে পারতাম। কিন্তু ও আমার বেচেঁ থাকার একমাত্র সম্বল। তাই মারার তো দূরের কথা গায়ে হাতও তুলি না। এই বলেই তিনি চলে গেলেন। তারপর আমি চেয়ারে বসে ছেলেটাকে জিজ্ঞেস করলাম,
~তোমার নাম কী বাবু?
~আমার নাম তো ভাইয়া একটু আগে বললো। আপনি শুনেন নাই। আর আমি তো আপনার বিএফ নই। তাই প্লিজ বাবু বলবেন না। আপনার বাবু বলা ডাকটা আমার বাবু শুনলে বেশ রাগ করবে। পিচ্চিটার কথা শুনে আমি অবাক! নিজেকে সামলে বললাম,
~তো কিসে পড়?
~এ্যামা , আপনি পড়াতে আসছেন। অথচ স্টুডেন্ট কিসে পড়ে সেটাই জানেন না। অদ্ভুদ তো!
পিচ্চির কথা শুনে নিজেই নিজেকে খানিক বকলাম। আমারই তো দোষ। আমি কেন নিলার থেকে জানলাম না, পিচ্চিটা কিসে পড়ে?
আপু শুনুন। ছেলেটার ডাকে তার দিকে তাকালাম।
~আমি ক্লাস সিক্সে পড়ি।
~ওহ, ভালো।
তারপর ছেলেটাকে কিছু ম্যাথ দেখালাম। হঠাৎ ছেলেটা বললো,
~আপু আমি আপনার জন্য নাস্তা নিয়ে আসি
~না, লাগবে না।
~এমা, কী বলেন? সবাই তো নাস্তা খাওয়ার জন্য পাগল।
~আমি নই।
~হ্যাঁ, আপনি পাগল হবেন কী করে? আপনি তো পাগলি।
~কীহহ?
~আমি আসছি।
পিচ্চিটা সত্যি প্রচুর দুষ্টু। রুমটায় আবারো চোখ বুলিয়ে আমার নজর পড়লো টেবিলে রাখা পেপারে উপর। আমিও আগ্রহ সহকারে পড়তে লাগলাম। হঠাৎ করে একটা শিরোনামে চোখ আটকে গেল। আমিও প্রচুর আগ্রহ নিয়ে পড়তে লাগলাম।
বিশ্বের সবচেয়ে ছোট হরর স্টোরিগুলোর কয়েকটি বাংলা অনুবাদ।
১.
আমি আমার খাটের নিচে একটি লাশ পেলাম। ব্যাপারটা অদ্ভুত, কারণ আমি দুটো লাশ লুকিয়ে রেখেছিলাম!
২.
আমার ফোনের গ্যালারিতে ঘুমন্ত আমি র একটা ছবি আছে। অথচ আমি একা থাকি!
৩.
শেষ যেটি দেখলাম তা হল, ঘড়িতে ১২.০৭ বাজছে আর ভয়ংকর সেই মেয়েটি তার লম্বা নখগুলো আমার বুকের ভেতর ঢুকিয়ে দিয়েছে, আর অন্য হাত দিয়ে আমার মুখ চেপে ধরেছে। আমি চিৎকার দিয়ে জেগে উঠে কিছুটা স্বস্তি পেলাম, স্বপ্ন ছিল। কিন্তু ঘড়িতে তাকিয়ে দেখলাম ১২.০৬ বাজছে, সঙ্গে সঙ্গে দরজা খোলার আওয়াজ পেলাম!
৪.
কাচে নক করার শব্দ শুনতে পাচ্ছি অনেকক্ষণ ধরে। জানালা গুলো ভাল করে চেক করে দেখলাম। ভাল করে শুনতে গিয়ে বুঝলাম আওয়াজটা ড্রেসিং টেবিলের আয়না থেকে আসছে।
ফ
৫.
তুলির মা ছাদ থেকে ডাক দিলেন, কাপড়গুলো নিয়ে যা, বৃষ্টি আসছে,তুলি ছাদের দিকে যেতেই তার মা খপ করে হাত ধরে ফেললেন। ভয়ার্ত গলায় বললেন, ছাদে যাস না, ডাকটা আমিও শুনেছি!
এগুলো পড়তে পড়তে আমি ভয়ে ঘেমে ঘেমে একাকার। এই রুমে এখন আমি একলাই। এইটা ভেবে আরো বেশি ভয় পাচ্ছি। ভয়ের চোটে হঠাৎ বিকট একটা চিৎকার দিলাম। আমার চিৎকার শুনে,,,,
চলবে„„„„„