কাছে_পাশে পর্ব_১০_১১

0
1288

কাছে_পাশে
পর্ব_১০_১১
#Hiya_Chowdhury

খুব আকর্ষণ করছে রোদ কে। রোদ জেনো কোনো এক ঘোরের মধ্যে চলে গেছে। জুহি চোখ খিচে বন্ধ করে রেখেছে। যা রোদ কে আরো পাগল করে দিচ্ছে। রোদ আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পেরে জুহির ঠোঁট জোড়া নিজের করে নেয়।

জুহি রোদকে হালকা একটা ধাক্কা দেয়। যার ফলে রোদ জুহির থেকে একটু দূরে সরে যায়। আর জুহি দৌড়ে নিচে চলে যাওয়া ধরে…

রোদ জুহির যাওয়ার দিকে চেয়ে মাথা চুলকিয়ে একটা সয়তানি হাসি দেয়। রোদ কি করতে যাচ্ছিলো ভেবেই কেমন জেনো লাগছে।

জুহি দৌড়ে ছাঁদ থেকে নেমে আসতেই রিমির সাথে ধাক্কা খেয়ে দুজনেই ঠাস করে নিচে পড়ে যায়। আর সাথে সাথেই চিৎকার। রোদ নিচ থেকে কারো চিৎকার শুনতে পেয়ে তাড়াতাড়ি নিচে আসে। আর নিচে আসতেই জুহি আর রিমিকে এই অবস্থায় দেখে হাসতে হাসতে শেষ।

-রিমি তুমি দেখে শুনে হাঁটবে তো নাকি!

-আরে এখানে আমার কি দোষ তুমি ই তো দৌড়ে আসছিলে….

-আমি দৌড়ে আসছিলাম তো কি হয়েছে তুমি সরে যেতে পারতে।

-আরে……..এই কথাটি বলে রিমি বড় বড় চোখ করে একবার রোদের দিকে তাকায় তো আরেক বার জুহির দিকে। এমন একটা ভাব হচ্ছে জেনো সে খুব গভীর ভাবে কিছু বোঝার চেষ্টা করছে।

-কি হলো রিমি এভাবে বড় বড় চোখ করে কি দেখছো?

-ওয়েট ওয়েট তোমরা দুজন একসাথে….!

-মানে?

-তুমি ছাঁদ থেকে দৌড়ে নিচে আসছিলে রাইট?

-হ্যাঁ তো এখানে এভাবে বড় বড় চোখ করে দেখার কি আছে?

-ভাই ও ছাঁদ থেকেই আসলো। কাহিনী কি বলো তো। তোমরা দুইজন কি সামথিং সামথিং….(চোখ টিপ মেরে)

জুহি রিমির কথায় চমকে উঠে।

-কিসের সামথিং সামথিং! আমি ওসব সামথিং হোক আর নাথিং কোনো কিছুতেই নাই।

জুহি তাড়াতাড়ি কেটে পড়ে। না হলে রিমি যা ইঙ্গিত করছে। আর কিছুক্ষণ থাকলে মান সম্মান সব হারাতে হবে।

-আমি ও গেলাম!

-হ্যাঁ ভাই তুই আর থেকে কি করবি।(হো হো করে হেসে)

-এতো হাসিস না পরে কাঁদতে হবে।

কথাটি বলেই রোদ চলে যায়।

বিকেলে………

জুহি ঘুমিয়ে আছে। রিমি ঝিমি জুহি কে ডাকতে ওর রুমে আসে।

-আপু ও আপু উঠো।

-(চুপ)

-আপুউউউ….

অনেক বার ডাকার পর ও জুহি কোনো সাড়া শব্দ নেই। রিমি আর ঝিমি কোনো উপায় না দেখে জুহি কে টেনে ঘুম থেকে তুলে।

-কি হয়েছে তোমাদের।

-আমাদের তো কিছু হয় নি। হয়েছে তো তোমার।

-কই আমার আবার কি হয়েছে?

-কতো বার ডাকলাম উঠছোই না। নিচে চলো তোমার জন্য সারপ্রাইজ আছে।

-কিসের সারপ্রাইজ?

-নিচে গেলেই দেখতে পাবে। এখন আমরা গেলাম। এই ঝিমি চল।

-হু।

রিমি ঝিমি চলে যায়। জুহি হাই তুলতে তুলতে ভাবছে -কিসের সারপ্রাইজের কথা বললো রিমি। কি হতে পারে সেই সারপ্রাইজ। আস্তে আস্তে নিচে নেমে আসে জুহি। আর নিচে নামতেই ওর চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়।

জুহি হালকা দৌড়ে ওর আব্বু আম্মু কে জড়িয়ে ধরে।

-মাম্মি বাপি তোমরা কখন আসলে।

-আরো একটু আগে। কেমন আছো জুহি।

-ভালো তোমরা?

-আমরা তো এখন আরো ভালো আছি।

-তোমরা আসবে আমাকে বললে না কেন?

-তোমার মামনি বলতে নিষেধ করেছে। তোমাকে সারপ্রাইজ দিবে বলে।

-সারপ্রাইজ টা কেমন হয়েছে জুহি?(রোদের আম্মু)

-অনেক ভালো। ইশ আমার যে কি খুশি লাগছে বলে বুঝাতে পারবো না।

সবাই জুহি কথা শুনে হেসে উঠে। জুহির চোখ রোদের দিকে যেতেই দেখে রোদ ও মুখ টিপে টিপে হাসছে। জুহি ভেঙ্গচি কেটে অন্যদিকে তাকায়।

এভাবে হাসি খুশি তে কেটে যায় ঐ দিন টাও। জুহির আব্বু আম্মু আসার একটা কারণ তো অবশ্যই আছে আর সেটা হলো জুহি আর রোদের বিয়ে। যেটা জুহি পরে জানতে পারে। রোদ কে বিয়ের কথা জানতে সবাই কে নিষেধ করে দেয় রোদের আব্বু। কথা মতোই কেউ ই রোদ কে জানায় নি। রোদ বেচারা জানেই না তার বিয়ে।
রোদ তো মনের সুখে পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছে।

কোলাহলের কারণে রোদের ঘুম ভেঙ্গে যায়। রোদ বুঝতে পারছে না এতো কোলাহল কিসের।নিচে এসে দেখে সবাই মিলে কি জেনো করছে। রোদ ফ্রেশ হয়ে নেয়।

-আম্মু তোমরা যাচ্ছো টা কোথায়?

রোদ ওর আম্মুর পিছন পিছন হাটছে আর জিঙ্গেস করছে কি হচ্ছে এসব কিন্তুু অবাক করা বিষয় কেউ ই ওকে পাওা দিচ্ছে না। রোদের অবস্থা নাজেহাল। রিমি ঝিমি শান্ত আর কাব্য এক পাশে বসে কিছু নিয়ে সমালোচনা করছে। রোদ ওদের কাছে যায়।

-কি হলো তোমার রোদ ভাইয়া মুখ এমন বাংলা পাঁচের এতো করে রেখেছো কেন? (শান্ত)

-কিছু না। আচ্ছা এটলিস্ট তোরা তো বলবি আমাকে কি হচ্ছে এসব?

-ওসব তুমি বুঝবে না।

-মানে?

-এই এখন আর কোনো কথা না। চলো সবাই নাস্তা করতে ডাকছে আমাদের। (ঝিমি)

এরাও রোদ কে পাওা দিলো না। রোদ জেনো বোকা বনে গেলো। সবাই নাস্তা করতে চলে যায়। শুভ্র আসে।

-চল ভাই‌ রোদ নাস্তা করে নে। একটু পর বেরোতে হবে আমাদের।

-আরে আজব ব্যাপার। তোদের কিছুই তো আমি বুঝতে পারলাম না।

-কি বুঝতে পারিস নি?

-এসব কি হচ্ছে?

-আরে বলবো পরে সব। এখন চল আগে নাস্তা করে নিই।

-তারপর বেরোতে হবে কেন?

-শপিং করতে যাবো আরো অনেক কাজ আছে। চল তো নাস্তা করবো।

-কিন্তু….

-এখন আর কোনো কথা নয়….

রোদ কে আর কোনো কথা বলতে না দিয়ে শুভ্র ওকে জোড় করে নিয়ে এসে নাস্তা করতে বসিয়ে দেয়। সবাই নাস্তা করতে এসেছে কিন্তুু জুহি নেই। রোদ কয়েক বার এদিক সেদিক দেখার চেষ্টা করে কোথাও জুহি আছে কিনা।

শুভ্র বুঝতে পেরে রোদ কে চুপিচুপি বলে।

-তুই যাকে খুঁজছিস সে তার কাজে গেছে!

-মানে?

-মানে তোর মাথা। আগে তাড়াতাড়ি নাস্তা কর তো। যা খোঁজার পরে খুঁজিস।

অতঃপর সবাই নাস্তা করে নেয়। সবাই মিলে শপিংমলের উদ্দেশ্য বেরোয়।রোদ তো বারবার শুভ্র কে জিঙ্গেস করছে কিসের জন্য এসব করছে। কিন্তুু কোনোই উওর পাচ্ছে না সে।

দুপুর ২ টার দিকে সব কাজ শেষ হয়। তারপর সবাই মিলে রেস্টুরেন্টে গিয়ে লাঞ্চ করে নেয়। জুহি কে নিয়ে গেছে অন্য কাজে। রোদ সকাল থেকে এখনো ওবধি জুহির দেখাই পায় নি।

যাই হোক সব কাজ শেষে বাসায় ফিরে সবাই। রোদ ওর রুমে চলে যায়। ভীষণ টায়ার্ড সবাই। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয় রোদ। তারপর উঠে রুমের মধ্যে পায়চারী করছে।

-নাহ এভাবে আর হবে না। এক দিকে কেউ তো আমায় বলছেই না এসব কি হচ্ছে? আবার অন্যদিকে জুহি কে একেবারের জন্য চোখের দেখাই দেখলাম না। গেলো কোথায় মেয়েটা।(মনে মনে)

রোদ জুহি কে ডাকতে ডাকতে ওর রুমের দিকে যেতেই রিমি এসে রোদের পথ আটকায়।

-জুহি এই জুহি…..

-আরে ভাই তুই?

-হ্যাঁ আমি। তোরা জুহির রুমে কি করছিস?

-অনেক কিছু। তোকে কেন বলবো?

-না বললে নাই। আমার সাথে জুহির কথা আছে ওকে ডেকে দে তো।

-সরি ভাই জুহি আপু তোর সাথে কথা বলবে না।

-কেন আমি আবার কি করলাম?

-সেটা তো তুই ভালো জানিস।

-দেখ রিমি ফাজলামি করিস না। জুহি কে ডেকে দে।

-বলছি তো জুহি আপু তোর সাথে কথা বলবে না। তুই যা তো এখন।

এই কথাটি বলে রিমি রোদের মুখের উপর ঠাস করে দরজা টা বন্ধ করে দেয়। হাবলার মতো অবস্থা রোদের।

ভীষণ রাগ হচ্ছে রোদের। শুভ্রর থেকে জানা দরকার এসবের মানে কি।

-কিরে তোদের মাঝে কি এমন কথা হচ্ছিলো শুনি? যা আমি আসার পর বন্ধ হয়ে গেছে?

-কককই কিছু না তো ভাইয়া। (কাব্য)

-সেসব ছাড়। শুভ্র এখন তো বল কি হচ্ছে টা কি? কেন হচ্ছে?

-সেটা তুই বড় আম্মু আর বড় আব্বু কে জিঙ্গেস কর।

রোদ কে পাস কাটিয়ে চলে যায় সবাই। রোদ কিছু একটা ভেবে নিজের রুমে চলে যায়। বেলকনিতে গিয়ে দেখে তাদের বাসা টা সাজানো হচ্ছে। রোদ রীতিমত বিস্মিত।

কারো বিয়ে হলে মেবি এমন সাজানো হয়। কিন্তুু কার বিয়ে হচ্ছে? কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না রোদ। সব কিছু মাথায় ঘুরতে ঘুরতে তাল গোল পাকিয়ে ফেলছে। রোদ আর কোনো উপায় না পেয়ে ওর আম্মুর কাছে যায়।

-আম্মু তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে।

-কি কথা বল।(কাজ করতে করতে)

-আম্মু বলো না এসব কি হচ্ছে কেন হচ্ছে?

-কোন সব?

-শপিং করলে এখন দেখি আমাদের বাসা টা সাজানো হচ্ছে? কেন করা হচ্ছে এসব আম্মু? কারো বিয়ে নাকি?

-হ্যাঁ তুই এখনো জানিস না এটা?

-কি জানবো?

-জুহির বিয়ে যে।

-হোয়াট? কার সাথে জুহির বিয়ে?

-সেসব জেনে তুই কি করবি? তুই তো জুহি কে ভালোবাসিস না।

-মানেহ……..

রোদের আম্মু রোদ কে আর কিছু না বলে চলে যায়। মাথায় বাজ পড়ার মতো অবস্থা রোদের। জুহির বিয়ে…! আর কিছুই ভাবতে পারছে না রোদ। রোদ শুভ্র কে ওর রুমে নিয়ে আসে।

-শুভ্র তুই আমাকে বলিস নি কেন যে জুহির বিয়ে?

-দেখ ভাই আমাদের দোষ দিস না। বড় আব্বু নিষেধ করেছিল।

-কেন নিষেধ করেছে?

-সেটা তো আমি ও জানিনা।

-জুহির বিয়ে অন্য কারো সাথে হবে এসবের মানে কি?

-তুই তো জুহি কে ভালোবাসিস না। মেয়েটা তোকে সেই ছোট বেলা থেকে ভালোবেসে আসছে। কিন্তুু তুই বরাবরের মতো অবহেলা করে গেছিস। তাই জুহি…..

-শুভ্র বিশ্বাস কর আমি ওকে খুব ভালোবাসি। ছোট বেলায় তো আমি না বুঝে ওকে অবহেলা করতাম কিন্তুু এখন তো ভালিবাসি।
খুব ভালোবাসি ওকে আমি খুব।

-তাহলে গতকাল কেন ওকে বলেছিস? ওর মুখ ও আর দেখতে চাস না?

-সেটা তো আমি রাগ করে বলেছিলাম!

-তুই ভালো জানিস। আমি কিছু বলবো না।

-প্লিজ শুভ্র কিছু একটা কর আমি জুহি কে ছাড়া বাঁচবো না। খুব ভালোবাসি। নিজের চাইতে ও বেশি ভালোবাসি। সেখানে ওকে অন্য কেউ বিয়ে করবে!?

-এতোই যখন ভালোবাসিস আবার রাগারাগি করতে গেলি কেন?

-সরি রে ভুল হয়ে গেছে।

-সেটা আমাকে বলে লাভ নেই। বিয়ে তো ঠিক ই হয়ে গেছে নাকি। জুহি ও রাজি।

-কোনো ভাবে কি বিয়ে টা আটকানো যায় না?

-তুই কি পাগল হয়ে গেছিস? সব কিছু রেডি এখন কিভাবে বিয়ে আটকাবি?

-আমার জুহি কে অন্য কারো হতে দেবো না। দরকার হলে ওকে কিডন্যাপ করবো।

-কি বলছিস তুই রোদ? মাথা ঠিক আছে তোর?

-হ্যাঁ একদম ঠিক আছে।

-কি ভাবে কি করবি?

তারপর রোদ শুভ্র কে সব বুঝিয়ে দেয় কিভাবে কি করবে!

পরের দিন সকালে……

যথারীতি ফ্রেশ হয়ে পরিপাটি ভাবে রেডি রোদ। এখন শুধু আসল কাজ টাই হলে হলো। জুহি ছাঁদে সবার সাথে আড্ডা দিচ্ছে। রোদ একবার গিয়ে দেখে আসে। রোদ জুহি কে আসতে বললে সে কিছুতেই আসবে না। তা রোদ ভালোই জানে।তাই রোদ শুভ্র কে পাঠায়।

শুভ্র ছাঁদে যায়। তারপর জুহি কে বলে…

-জুহি যাও তো আমার জন্য এক কাপ কফি নিয়ে আসো।

-ভাইয়া আমি!(মন খারাপ করে)

-হ্যাঁ তুমি! তোমার হাতের বানানো কফি খাবো আজকে। প্লিজ।

-আচ্ছা ঠিক আছে।

ঐ দিকে রোদ ফাঁদ পেতে বসে অপেক্ষা করছে কখন জুহি আসবে। শুভ্রর কথা শুনে জুহি ছাঁদ থেকে নিচে নামে। নিচে আসতেই পেছন থেকে রোদ জুহির মুখের উপর কিছু একটা চেপে ধরে। আর সাথে সাথেই জুহি সেন্সলেচ হয়ে যায়।
,
,
,
,
,
,
,
সেন্স ফিরলে চোখের সামনে রোদ কে দেখে অবাক হয়ে যায় জুহি। কোনো ভাবে উঠে দাঁড়ায় সে।

-আপনি! আপনি এখানে? (রেগে)

-হ্যাঁ আমি।

জুহি চারপাশে একবার চোখ বুলিয়ে দেখে এটা কোন জায়গা। পুরো রুমে ধুলাবালি ভর্তি।

-এটা আমি কোথায়? আপনি আমায় কোথায় নিয়ে এলেন?

-যেখানে নিয়ে এসেছি বেশ করেছি। তোর কও বড় সাহস তুই আমাকে ছেড়ে অন্য কাউকে বিয়ে করবি।

-হ্যাঁ করবো। তাতে আপনার সমস্যা টা কোথায়? আপনি তো আমাকে ভালোবাসেন না।

-তোকে বলছি আমি তোকে ভালোবাসি না?

-বলেছেন ই তো। আপনি বলেছেন আমার মুখ ও দেখতে চান না সো….

-চুপ আর একটাও যদি কথা বলেছিস তো তোর মুখে আমি সুপারগ্লু লাগিয়ে দেবো।

-আমি বাসায় যাবো এ্যাঁ এ্যাঁ……

রোদ শুভ্র কে ফোন দেয়।

-কই তুই?

-এই তো আর ২ মিনিট আসছি!

-যাকে নিয়ে আসতে বলেছিলাম নিয়ে আসছিস তো?

-হ্যাঁ একদম। ফোন রাখ তুই।

-আচ্ছা।

জুহি একপাশে বসে ভ্যাঁ ভ্যাঁ করছে। আর রোদের কান্ড দেখছে।প্রচন্ড রকমের হাসি পেলে ও তা জোরপূর্বক চেপে রেখেছে জুহি। রোদ পায়চারী করছে। কিছুক্ষণ পর দরজায় কেউ নক করে। রোদ ভাবে হয়তো শুভ্র এসেছে।

কিছু টা খুশি হয় রোদ। মুখে হাসি নিয়ে দরজা খুলতেই‌ চোখ ছানাবড়া হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা রোদের!…….

চলবে—————-

#পর

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে