#উপন্যাস
#কনে_দেখা_আলো
#পর্ব_দশ
এই গল্প ইতোমধ্যেই জামান শিকদার একাধিকবার শুনেছে। তবু শান্তমুখে আরেকবার শুনল। তারপর বলল, ‘তবু বলা তো যায় না। হয়ত বেশভূষা পাল্টে ভিড়ে মিশে গেছে। একবার শহরে চলে গেলেই কিন্তু ওকে ধরা খুব সহজ কাজ হবে না।’
‘এইটা আপনি কী কথা কইলেন ওসি সাব? আপনাগো জেলা সদরের হেড কোয়ার্টারে শমসেরের ছবি দিয়া দিলে তারা সেই ছবি রাস্তাঘাটে লটকাইয়া রাখব না? অপরাধী কি এক জায়গায় সান্ধাইয়া থাকে? যেমনে পারেন, শমসেররে কইলাম ধরোনই লাগব ওসি সাব!’
‘সেই চেষ্টায় কি ত্রুটি রেখেছি কোনো? আর ছবিও জেলা সদরে ঝুলানো হয়েছে। শমসেরকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না!’
চেয়ারম্যান সাহেবকে বিদায় দিয়ে উঠে দাঁড়াতে গিয়ে জামান শিকদারের চোখ চেয়ারম্যানের সাগরেদ বাবুলের ওপরে আটকে গেল। এই ছেলেটার মধ্যে কী যেন একটা আছে! চোখের দিকে তাকালে স্বস্তিবোধ হয় না। কেমন জানি অস্বস্তি লাগে। ছেলেটা কেমন এক দৃষ্টিতে তার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। একবারের জন্যও চোখ সরাল না।
অস্বস্তিটাকে জিইয়ে রেখেই জিপে চড়ে বসল জামান শিকদার। চেয়ারম্যান সাহেব কী যেন বলছিল, তার সাগরেদ দুজন আজকে নাকি জঙ্গলে গিয়ে ভয় পেয়েছে! একবার যাবে নাকি ঐদিকটায়? ঘুরেই আসা যাক! দেখা যাক ঘটনা আসলে কী!
ড্রাইভারকে পশ্চিমের জঙ্গলের নাম বলতেই সে মনে হয় একটু যেন সিঁটিয়ে গেল। মনে মনে কয়েকবার দোয়া দরূদ পড়ে নিলো। এই ওসি সাহেবের ডিউটি করে এমনিতে আরাম আছে। মেজাজ পানির মতো। সবসময় হেসে হেসে কথা বলে। ধমকাধমকি একেবারেই করে না। কিন্তু সমস্যা একটাই। ভয়ডর একটু বেশিই কম। এইসব জঙ্গলের গল্পটল্প তিনি বিশ্বাস করেন না। প্রথমদিকে সে সত্য মিথ্যা বানিয়ে একটা জমজমাট গল্প ফেঁদেছিল। ওসি সাহেব মুখ ভেটকে বলেছে, ‘তুমি নিজের চোখে দেখেছ এসব? নাকি পুরোটাই এর কাছ থেকে এক খাবলা ওর কাছ থেকে দুই খাবলা… এভাবেই মেরে দিলে?’
ড্রাইভার সেদিনই বুঝে গিয়েছিল, এর কাছে বেশি গুলগাপ্পি মারা যাবে না।
আগের ওসি সাহেব লোকটাও খারাপ ছিল না। এমনিতে একেবারে শান্ত গাইয়ের মতো মানুষ ছিল। কিন্তু একদিন কী জানি একটা বিষয় নিয়ে খুব উত্তেজিত ছিল। হেড অফিসেও সম্ভবত, কিছু একটা জানিয়েছিল। ওখান থেকে যখন সাড়াশব্দ আসছিল না তখন নিজেই হেড অফিসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু পথেই তার কাছে ফোন আসে যে, তাকে বদলি করা হয়েছে। বদলির আদেশ সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হয়ে গেছে। অনতিবিলম্বেই তাকে ভোলায় চলে যেতে হবে।
কর্তার ইচ্ছাতেই কর্ম। কী যে হয়েছিল কেউই তা জানতে পারেনি। তিনিও কাউকে বলে যাওয়ার সময় পাননি। সেইদিন রাতেই তাকে এখানকার পাঠ চুকিয়ে দিয়ে ভোলায় রওয়ানা দিতে হয়।
দুপুর গড়িয়ে বিকেল সবে নামি নামি করছে। গ্রীষ্মের তপ্ত দাবদাহ এইমাত্র যেন একটু শীতল হয়েছে। চোখে সানগ্লাসটা জড়াতে গিয়েও পকেটে রেখে দিলো জামান শিকদার। এই প্রকৃতিকে দেখতে হয় খোলা চোখে, সবরকম রঙিন আবরণ থেকে নিজেকে মুক্ত করে।
দুইপাশের দিগন্তবিস্তৃত ক্ষেতের মাঝখান দিয়ে যেতে যেতে জামান শিকদার আরেকবার ভাবনার জালে জড়িয়ে গেল। যেভাবে একটার পরে একটা প্যাঁচ লাগতে শুরু করেছে এখানে, মনে হচ্ছে তাকেও বুঝি আগেরজনের মতো অন্য কোথাও বদলি হতে হবে। আগের জন যে ঠিক কী কারণে বদলি হয়েছিল এটা তাদের পুলিশ স্টেশনের কেউই ভালোমত বলতে পারে না। একজন একটা বলে তো আরেকজন আরেকটা। শুনে বোঝা যায়, আসল কারণ কেউ জানে না।
কথাটা মনে হতেই জামান শিকদার আরেকবার ভাবল, তার নিজের একবার আগের ওসি সাহেবের সঙ্গে ফোনে আলাপ করা দরকার। হয়ত লাভের লাভ কিছুই হবে না। তবু বলা যায় না, পাইলেও অমূল্য রতন পাওয়া যেতে পারে।
যেতে যেতে ড্রাইভারের সঙ্গে গল্প শুরু করল জামান শিকদার। তার ড্রাইভারটাও গল্প করতে ভালোবাসে। তবে জামান শিকদার নিজেই তাকে একটু দমিয়ে রাখে। খুব বেশি পটরপটর করতে দেয় না। কারণ বেশি গল্প করার চান্স দিলে সে দিনেই চাঁদ তারা দেখিয়ে দিতে পারবে। এমনই কামিয়াব গল্পবাজ!
‘মোতালেব, একটা কথা বলো দেখি!’
‘জি স্যার কী কথা?’
‘তোমার আগের স্যার কেমন ছিলেন?’
‘আগের ওসি সাব? খুব ভালামানুষ আছিলেন স্যার। একেবারে মাটির মানুষ। গাইয়ের মতো। সবাইরেই অনেক সম্মান করতেন। স্যার যেদিন চইলা গ্যালেন সবাই তার বাসায় গেছিল। সক্কলের মন খারাপ আছিল!’
‘চলে গেছিলেন কেন এই ব্যাপারে কিছু জানো?’
‘কী একটা জানি খবর পাইয়া স্যার খুব টেনশনে আছিলেন। হেড অফিসে ফোন দিছিলেন। তারপর আমারে নিয়া হেড অফিসের দিকেই রওয়ানা দিছিলেন। রাস্তাতেই তো বদলি হওনের ফোনটা পাইলেন…’
‘হুম! কী নিয়ে টেনশনে ছিলেন এটা জানো না?’
‘না স্যার। এইটা জানবার পারি নাই!’
জামান শিকদার চুপ করে গেল। বোঝাই যাচ্ছে এখানে একটা ভালোরকম ‘কিন্তু’ আছে। সেই কিন্তুটা যে কী, এটাই বোঝা যাচ্ছে না!
জঙ্গলের কাছাকাছি আসতেই একটু দূর থেকে একটা অদ্ভুত দৃশ্য চোখে পড়ল। স্কুল পোষাক পরা একটি মেয়ে জঙ্গলের ভেতর থেকে বের হয়ে আসছে। মেয়েটার লম্বা চুলগুলো দুই বেণীতে আটকে রাখা। জামান শিকদারের চোখ গোল গোল হয়ে গেল। যা দেখছেন, ঠিক দেখছেন তো? দুইটা মর্দা জোয়ান আজ ভয় পেয়ে জঙ্গল থেকে পালিয়ে এসেছে, সেখানে বাচ্চা একটা মেয়ে সেই জঙ্গলে একা একা কী করছে? ব্যাপারটা তো দেখতে হবে! ড্রাইভারকে চটজলদি গাড়ি থামানোর নির্দেশ দিলো জামান শিকদার।
‘এ্যাই এ্যাই … মোতালেব… গাড়ি থামাও শিগগির। ঐ যে একটা মেয়ে বের হয়ে আসতেছে না জঙ্গল থেকে? দেখো দেখি! আমি কি ভুল দেখতেছি?’
মোতালেব সামনে তাকিয়ে জমে গেল। বাপরে বাপ! এই জঙ্গলে কেউ ঢোকার সাহস পায় না। এই মেয়ে একা একা ঢুকল কোন সাহসে? সে কি আসলেই মানুষ নাকি…! মোতালেবের মুখ দিয়ে নিজের অজান্তেই বেরিয়ে এলো, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু…’
জামান শিকদার সেটা শুনে হাসতে হাসতে বলল, ‘কালেমা পড়ছ ভালো কথা। কিন্তু এখন আবার গাড়ি ফেলে ছুট দিও না যেন বুঝলা? তুমি গাড়িতে বসে থাকো। আমি আসছি। খবরদার গাড়ি নিয়েও কিন্তু ছুট দেওয়া যাবে না। পুলিশের চাকরি করে এত বীর বাহাদুর হলে চলে না!’
জামান শিকদার গাড়ি থেকে নেমে জঙ্গলের দিকে এগিয়ে যেতে লাগল। বেশ কিছুটা কাছাকাছি যাওয়ার পরে বুঝতে পারল, দেউ পেত্নি কিচ্ছু না। একেবারে সাদাসিধা গ্রামের একটা মেয়ে। একদম জীবন্ত, চলৎশক্তিসম্পন্ন। ততক্ষণে মেয়েটাও তাকে দেখে ফেলেছে। সম্ভবত পুলিশের পোশাক পরা দেখেই চোখ বড় বড় করে তাকে দেখছে। কাছাকাছি হওয়ার পরে জামান শিকদার গম্ভীর গলায় বলল, ‘এ্যাই মেয়ে, তুমি কে? এই বিকাল বেলায় একা একা জঙ্গলে এসেছ কেন? ভয়ডর নাই?’
সুফিয়া তখনো অবিশ্বাসীর চোখে পুলিশকে দেখছে। তার মুখে কথা যোগাচ্ছে না। একটু আগেই সে জঙ্গলের মধ্যে জ্যান্ত একজন মানুষ দেখেছে। কোনো ভুল নাই। ওটা মানুষ ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না। যদিও তার বোন জুলেখা থাকলে বলত, এটা নিশ্চয়ই মানুষের বেশ ধরে কোনো দেউ। কিন্তু সুফিয়া তীক্ষ্ণচোখে মানুষটার দিকে কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে ছিল। মানুষটাও তাকে দেখেছে। মাত্র কয়েক সেকেন্ড। তারপরেই সে পাঁই করে ঘুরে নিমেষেই কই যেন হাওয়া হয়ে গেল। একেবারে অল্প কয়েক সেকেন্ডেই হাওয়া। এত দ্রুত তাকে সরে যেতে দেখে সুফিয়ার প্রথম একটু ভয় লেগেছিল। কিন্তু সেটা খুব বেশি সময়ের জন্য না। একটু পরেই ভয় পাওয়ার জন্য সে নিজেই নিজেকে ধিক্কার দিচ্ছিল।
মানুষটা গায়েব হওয়ার পরে সুফিয়া সেখান থেকে সরে আসেনি। আশেপাশে তন্ন তন্ন করে তাকে খুঁজেছে। মন্দিরের মধ্যে ঢুকে দেখেছে। সেখানে ঢুকে যা দেখেছে তাতে আর সন্দেহ থাকেনি যে, ওখানে একটা মানুষই থাকে।
জায়গাটা আগের চাইতে আরো বেশি সাফসুতরা করে রাখা। একপাশে একটা মাদুর বিছানো, তার এক মাথায় একটা তেল চিটচিটে বালিশ। ঘরে একটা বোটকা গন্ধ। গন্ধটা পুরনো ভবন বা ভাঙাচোরা মন্দিরের ভেতর থেকে আসা স্বাভাবিক গন্ধ না। এটা যেন কোনো মানুষের শরীরের গন্ধ! হয়ত সেই মানুষটা নিয়মিত গোসল করে না, তাই এমন বোটকা গন্ধ শরীরে।
ঘরের একপাশে একটা টুল জাতীয় বস্তুর ওপরে একটা খুব সাধারণ পানির জগ আর মেলামাইনের গ্লাস। এদিকে ওদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নিত্য ব্যবহার্য টুকিটাকি, যা প্রমাণ করে কেউ একজন এখানে আস্তানা গেঁড়েছে।
সুফিয়া নতুন কিছু আবিষ্কারের নেশায় উত্তেজিত হয়ে ওঠে। হয়ত আরো কিছুটা সময় সে সেখানে থাকত। কিন্তু হুট করে মনে পড়ে যায়, আজ জুলেখাবু তাকে নিয়ে ফুলিকে দেখতে যাবে। ফুলি তার সহপাঠী ছিল। বিয়েশাদি করে পেট বাঁধায়ে বসে আছে। সুফিয়ার মোটেও ইচ্ছা নেই, সেই পেটরা বান্ধবীকে দেখতে যাওয়ার। অকর্মার ঢেঁকি সব। কাজের মধ্যে কাজ হচ্ছে বিয়ে শাদি করে বাচ্চাকাচ্চা পয়দা করা। আর যেন মানুষের কোনো কাজ নেই!
তবু বুবুর মুখ চেয়েই সে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এলো। রহস্যটা উদ্ঘাটন করা গেল না। কিন্তু মনে মনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলো, এখানে কে থাকে… কেন থাকে এটা সে বের করেই ছাড়বে! আর বের না করা পর্যন্ত এই কথা সে কারো কাছে গল্প করবে না, বুবুর কাছেও না।
কিন্তু জঙ্গল থেকে বের হয়েই এ আবার কোন উটকো বিপদ? পুলিশ এখানে কী করছে? এই তো এখন শুরু করবে দুনিয়ার প্রশ্ন! আর যদি ওকে ধরে নিয়ে যায়? একা একা জঙ্গলে কোন মতলবে ঢুকেছে, এসব নিয়ে যদি অহেতুক হয়রানি করে?
ঝট করে সব চিন্তাভাবনা মাথা থেকে ঝেটিয়ে বিদায় করে দিলো সুফিয়া। সে তো কোনো অন্যায় করেনি! শুধু শুধু হয়রানি করতে চাইলেই হলো? পুলিশ হইছে বলেই কি মাথা কিনে নিছে নাকি?
‘এ্যাই মেয়ে তুমি কে? কথা বলছ না কেন? কথা বলতে পারো না?’
‘পারুম না ক্যান? আমার নাম সুফিয়া!’
‘হুম সুফিয়া, তুমি একা একা জঙ্গলে কী করতে এসেছ? জঙ্গলের ভেতরে যে কালী মূর্তি ইয়াব্বড় জিভ বের করে বসে আছে, দেখোনি সেটা?’
‘হ দ্যাখছি তো! ভাঙা মূর্তি। ডান হাত ভাইঙ্গা গ্যাছে!’
‘ডান হাত ভেঙ্গেছে বলে কি তোমাকে ধরতে পারত না নাকি? যদি খপ করে ধরে কপ করে বলি দিয়ে দিত? তুমি জানো না, এখানে আগে নরবলি হতো?’
সুফিয়া হঠাৎ ফিক করে হেসে দেয়। সে বুঝতে পারে, এই পুলিশটা তার সঙ্গে ইয়ার্কি করছে। তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার কোনো মতলব নেই তার। থাকলে এসব কথা বলতই না!
‘কী হলো খুকি! তুমি হাসছ কেন? স্কুল ফাঁকি দিয়ে জঙ্গলে ঘুরতে এসেছ? আচ্ছা সাহস তো তোমার! কী করতে এসেছ বললে না তো!’
জঙ্গলে কেউ থাকে এই কথাকে বেমালুম পাশ কাটিয়ে সুফিয়া অন্য কথা বলল। ‘জঙ্গলে ম্যালা ফলপাকুড়। গাছে ধইরা পাইকা থাকে। মাটিতে পইড়া থাকে, খাওনের কেউ নাই! ঐগুলান পাড়তে গেছিলাম।’
বলতে বলতে নিজের জামার কোঁচড় দেখাল সুফিয়া। জঙ্গলে মাঝে মাঝে এমনি এমনি ঘুরে বেড়াতে কী যে ভালো লাগে তার, এই কথাও আগাগোড়া চেপে গেল। দরকার নাই ও কথা বলার। তাহলে হয়ত এই পুলিশ তাকে পাগল মনে করবে।
জামান শিকদার সুফিয়ার জামার কোঁচড়ে কিছু ফলমূল দেখতে পেল। আচ্ছা ক্ষ্যাপাটে মেয়ে তো এ! ভয়ের অস্তিত্ব নাই! ফলমূল খেতে জঙ্গলে চলে এসেছে। দেখতে শুনতে ফুটফুটে একটা কিশোরী মেয়ে। ভূতপ্রেতের ভয় না থাকুক, অন্য জিনিসের তো ভয় আছে! সেই সম্পর্কে সম্ভবত এর কোনো ধারণাই নেই। এর মা-বাবাকে সতর্ক করে দেওয়াটা জরুরি। দিনকাল খুবই খারাপ। আজকাল গ্রাম কিংবা শহর কোথাও মেয়েরা নিরাপদ নয়। আট থেকে আশি বছরের কেউই নিস্তার পায় না নারীলিপ্সু পিশাচগুলোর হাত থেকে। একটা নারী শরীর থাকলেই যেন শুধু হয়!
জামান শিকদার বলল, ‘এখন তো বাসায় যাচ্ছ তাই না? নাকি এ্যাডভেঞ্চার এখনো বাকি আছে?’
সুফিয়া আবার ফিক করে হেসে বলল, ‘হ অখন বাসায় যামু।’
‘হুম বেশ, চলো আমি তোমাকে পৌঁছে দিয়ে আসি’
সুফিয়া একেবারে না না করে উঠে বলল, ‘আমি একা যাইতে পারুম। নিয়া যাইতে হইব না!’
‘উঁহু, তোমাকে একা রেখে যাওয়া যাবে না। গাড়িতে উঠতে তোমাকে হবেই। আমার একটা দায়িত্ব আছে বুঝলে? ভয় নাই, আমি তোমাকে পুলিশস্টেশনে নিয়ে যাব না!’ (ক্রমশ)
#ফাহ্মিদা_বারী