Monday, October 6, 2025







কঙ্কাল

জন্মের ২/৩ বছরের সময়ই নাকি আমার দাদা দাদী বুঝতে পারেন তাদের প্রথম সন্তানটি জন্মগত পাগল । তার চলা ফেরা, হাটা চলা, কথাবার্তা নাকি অন্য সুস্থ ছেলেদের সাথে মিলতোনা।সব সময় এক অস্থিরতা তার মধ্যে দেখা যেতো। পুকুরে নামলে সারাদিন তাকে পুকুর থেকে তোলা যেতোনা , খাওয়ার সময় গাছের মগডালে পা ঝুলিয়ে একা একা বিড় বিড় করতো । বাড়িতে মেহমান এলে লাঠি নিয়ে তার পিছু পিছু দৌড়ে বাড়ির ত্রিসিমানা পার করে দিতো । দাদা দাদী তাদের সাধ্যমতো কবিরাজ দিয়ে ঝাড়ফুক করিয়ে ডজন ডজন তাবিজের মাদুলী গলায় ঝুলিয়ে দিতেন । তাদের ছেলে সেই মাদুলি ছিড়ে তাবিজ বের করে দূরে ছুড়ে ফেলে বলতেন – ওই যাহ্ । এমনি করে ছেলে বড় হলো , এখন বছরের গরমের ৬ মাস পাগল আর শীতের ৬ মাস ভালো থাকেন । দাদা দাদীর বয়স হয়েছে, ছেলে মেয়ের বিয়ে দিয়ে শান্তিতে মরতে চান । অন্যদের নিয়ে সমস্যা নেই , যতো সমস্যা বড় ছেলেকে নিয়ে ।
এক মাঘের হাড় কাপানো কনকনে শীতে ১০ গ্রাম পেরিয়ে সব গোপন রেখে কন্যা দেখতে যান । গরীব ঘরের সুন্দরী কন্যার বাবা এতো বড় ঘরে মেয়ে বিয়ে দেয়ার আনন্দে কোন খোঁজ খবর না নিয়ে মেয়ে বিয়ে দেন । সেই সুন্দরী কন্যাটি আর কেউ নন , পরবর্তীতে তিনি আমার মা হন। আমার দুখিনি মা ! বাবার বিয়ের ৪ বছর পরের এক গরমে আমার জন্ম , বাবা তখন অপ্রকিতস্থ পাগল । বাড়ির পেছনের আম গাছে তাকে শিকল দিয়ে বেধে রাখা হয় । মা আমাকে বুকের দুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে বাবাকে গোসল করান , লোকমা তুলে খাওয়ান । রাতে শিকল খুলে ঘরে এনে মশারী টানিয়ে ঘুম পাড়ান । মা একই সাথে যেনো দুটি শিশুর যত্ন করেন । আমার জন্মের পর কেউ কেউ নাকি বাবাকে টিপ্পনী কাটতো – রইস্যা পাগলা জাতে মাতাল, তালে ঠিক । পাগল হইলেও ঠিকই বউ চিনে আবার পোলাও জন্ম দেয়, হি হি হি । এসব মা গায়ে মাখতেননা , মা আমাকে আর বাবাকে শিশুর মতো যত্ন করতেন । দাদার বিশাল সম্পত্তির মালিক বাবাও । কেউ কেউ চাইতেন পাগলের সংসার না করে মা আমাকে নিয়ে বাপের বাড়ি ফেরত যাক । মা আমার বাবাকে অন্ধের মতো ভালোবাসতেন , পাগল স্বামীকে একদন্ড চোখের আড়াল করতেননা । একটু যখন বড় হলাম বাবার পাগলামীও পাল্লা দিয়ে বেড়ে গেলো , এখন শীতেও পাগল হন, গরমেও হন । যখন তখন যেখানে সেখানে পেশাব পায়খানা করে কচলে হাত নোংরা করেন , মা এতোটুকু বিরক্ত না হয়ে বাবাকে সাফ করেন । আমি নাক কুচকে মায়ের কাজ দেখি , মাঝে মাঝে বালতি ভরে মাকে পানি তুলে দেই । ভেবে পইনা- মায়ের ঘেন্না করেনা এসব সাফ করতে ? এসব সাফ করে খেতে বসলে মায়ের হাতে গন্ধ লাগেনা ? অবাক হতাম এর কোনটাই মায়ের নেই ! মাঝে মাঝে শিকল খুলে বাবা কোথায় যেনো গায়েব হয়ে যেতো । আমি আর মা মিলে এপাড়া ওপাড়ার ঝোপ ঝাড়ে বাবাকে খুজে পেতাম , ঝোপে বসে বাবা একা একা কার সাথে যেনো কথা বলেন । আমাদের দেখে অচেনা মানুষের মতো কপালে হাত ঠুকে সালাম দিতেন । জোড় করে আমরা বাবাকে বাড়ি এনে বিছানায় শুইয়ে পায়ে শিকল বেধে দিতাম । এতো বছরে মা এসবে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন । একবার মায়ের খুব জ্বর হলো , উথাল পাথাল জ্বর । জ্বরের ঘোরে প্রলাপ বকেন – বাজানরে তোর বাপের শিকল খুইল্যা দে, হের পায়ে ঘা হইয়া গেছে, ও বাজান হেরে আর কষ্ট দেস ক্যান ? পাগল মানুষটারে হুদাহুদি কষ্ট দেস ক্যান ? মা সুর করে বিলাপ করেন । আমি কিছু না বুঝে মায়ের আদেশ পালন করি । শিকল মুক্ত হয়ে বাবা কোথায় যেনো হারিয়ে যান।
প্রবল জ্বরের ঘোরে মা বাবার গোঙানোর শব্দ না পেয়ে আমার কাছে জানতে চান – তোর বাবার শব্দ পাইনা ক্যান , হেয় এমুন চুপ মাইরা গেলো ক্যান ? দুরু দুরু বুকে মায়ের ছেড়া কাঁথার বিছানার পাশে দাড়িয়ে বলি – মা তুমি না কইছিলা বাজানের শিকল খুইল্যা দিতে ? – হ কইছিলাম , তয় হের রাও শব্দ নাই ক্যা ? – শিকল খুইল্যা আমি ইস্কুলে গেছি, আইয়া দেহি বাজানে নাই ! – ও বাবারে ! এইডা তুই কি কইলিরে এ এ । মা গায়ের কাঁথা ছুড়ে বাড়ির বাইরে দৌড় দিলেন , মায়ের পেছন পেছন আমিও দৌড়াই । নিঃস্বাস বন্ধ করে দৌড়েও আমি মায়ের অনেক পেছনে পরে থাকি । মা দিক বিদিক ছুটে বাবাকে খুঁজেন । কয়েক গ্রাম , আত্মীয় বাড়ি খুঁজেও বাবার খোঁজ পাইনা । বাবার খোঁজ না পেয়ে মা রোগে শোকে পাথর হন । ৩/৪ বছর পর তাহের চাচা খবর দেন বাবাকে জিনার্দী রেল ষ্টেশনে বসে আপন মনে বিড় বিড় করতে দেখেছেন । তাহের চাচা অনেক চেষ্টা করেও বাবাকে তাকে চেনাতে পারেননি । বাড়ি ফেরানোর চেষ্টা করেও পাগল মানুষটাকে আনতে পারেননি । খবর শুনে মা আর আমি জীনার্দী ষ্টেশনে ছুটে যাই , অনেক খুঁজেও বাবার খোঁজ পাইনি । দু একজনের কাছে শুনেছি একটা পাগল মাঝে মাঝে ষ্টেশনে বসে একা একা বিড় বিড় করে, দোকানে চেয়ে চিন্তে শুকনো পাউরুটি, সিগারেট নিয়ে উধাও হয়ে যায় । কারো প্রয়োজন পরেনা তাই তার অবস্থান কারো জানা নেই । ২/৩ দিন অপেক্ষা করে আমরা ফিরে আসি । মা আজকাল কারো সাথে তেমন কথা বলেননা, নিরবে নিভৃতে সংসারের কাজ করেন । সামনে আমার এইচ, এস, সি, ফরম ফিলাপের টাকা জোগানোর চিন্তা মায়ের মাথায় ঘুরপাক করে । মা ভালো কাঁথা সেলাই জানেন , সেই সুবাদে কেউ কেউ কাঁথা সেলাই করতে দেয় । মা ফুলতোলা কাথা বানায়, সুই সূতায় কাজ করেন আর গুনগুন করে গান করেন – সোনা বন্ধুরে আমারে পাগল বানাইলা। আমি ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি হয়েছি , পড়ার টাকা জোগাড় মায়ের একার পক্ষে সম্ভব না । কজন বন্ধুুর সাহায্যে ২/৩ টা টিউশানি জোগাড় করেছি । ওদের পড়িয়ে আমার পড়ার টাকা হয়ে বেশ কিছু টাকা বেচে যায় । মা গ্রামে একা থাকেন , সব সময় ভয়ে থাকি – কখন কি হয়ে যায় । চাচাদের সাথে পরামর্শ করে জমি জমা এক বছরের জন্য ভাড়া ( পত্তন) দিয়ে মাকে নিয়ে ঢাকা থাকার মোটামুটি টাকা হয়ে যায় হিসাব করে পরের মাসে মাকে নিয়ে এলাম। এক ধনীর চিলেকোঠায় আমরা মা ছেলের নতুন সংসার শুরু হয় । একটা চৌকিতে আমাদরে মা ছেলের চলে যায় । পুরানো দুটো চেয়ার ১ টা টেবিল কিনে নিলাম পড়ার সুবিধার জন্য । হাড়ি পাতিল, বালতি কড়াই সহ সংসারের মোটামুটি জিনিস নিয়ে মা তার স্বামীর ঘরে তালা দিয়ে আমার কাছে এসেছেন।। মায়ের চোখে সব সময় দেখি তার নিজের সংসারের হাহাকার । মুখ ফুটে বলেননা, মায়ের চোখের ভাষা আমার বুঝতে অসুবিধা হয়না । মেডিক্যালের ১ম বর্ষের এনাটমি ক্লাশে এক সময় একটা কঙ্কাল কেনা জরুরী হয়ে যায় । বড় ভাইয়াদের কাছে শুনি আমাদের পরেশ ডোম কঙ্কাল জোগাড় করে দেয় । পরেশ ডোমের শরনাপন্ন হলে তিনি জানালেন ২/৩ মাস অপেক্ষা করতে হবে । তিনমাস পর পরেশ ডোম বড় পলিথিনে মুড়িয়ে পাওনা টাকা বুঝে একটা কঙ্কাল আমাকে দিলো । বাসায় ফিরে কঙ্কালটা চৌকির তলায় রেখে রোজকার কাজ করি । ৩/৪ দিন পর ঘরে ফিরে দেখি মা নাকে আচল গুঁজে ওয়াক ওয়াক বমি করছেন । আমাকে দেখে যেনো মায়ের প্রাণ এলো । বলেন – দেখতো বাবা কিয়ের জানি গন্ধ ! পেট মোচড়াইয়া বমি আইতাছে ! কঙ্কালটা রোদে দিতে হবে ভুলেই গেছিলাম , মায়ের কথায় মনে হলো – আরে মা , তোমারে কইতে মনে নাই ! চৌকির তলে একটা কঙ্কাল রাখছি । – ওমাগো ! এইডা কি কস্ ? চৌকির তলে কঙ্কাল ক্যারে ? – ডাক্তারী পড়তে কঙ্কাল লাগে মা , ও মা কাইলকা তুমি এইডারে ছাদে শুকাইতে দিও কেমন? – আইচ্ছা । – ভুইল্যা যাইবানা তো ? – নারে বাজান ! ভুলমু ক্যারে ? পরদিন ক্লাশ থেকে ফিরে দেখি মা কঙ্কালটা রোদে দিয়ে গালে হাত রেখে ভাবনার জগতে । পেছন থেকে জাপটে ধরলে মা হকচকিয়ে যান, বলেন – তোর বাপের শইলডা এমুন লম্বা আছিলো , হের কঙ্কালডাও এতো লম্বা হইবো । আইচ্ছা বাজান তোর বাপের আর খবর লইবিনা ? মায়ের কথায় আৎকে উঠি ! এইটা আসলেই আমার বাবার বেওয়ারিশ লাশের কঙ্কাল নয় তো ? ছুটে যাই রমেশ ডোমের কাছে , জানতে চাই – কাকা সত্যি করে বলেন এই কঙ্কাল কোথা থেকে জোগাড় করেছেন ? – এইডা তো কওন যাইবোনা বাবা । – কাকা আপনার পায়ে ধরি , কেউ জানবেনা, কাউকে বলবোনা । আমাকে একটু দয়া করেন কাকা ! মাতাল রমেশ ডোমের মধ্যে মায়ার চিহ্ন দেখি , একটু এগিয়ে এবার সত্যিই তার পায়ে ধরি । রমেশ ডোম একটু একটু করে বলতে থাকে – বাবারে মানুষ যহন মইরা যায় তহন আমাগো কাছে হের পরিচয় অয় লাশ নামে । আমরা আশায় থাহি হেগো আত্মীয় স্বজন কহন আইয়া তাগো লাশ নিবো । কোন কোন লাশের কপাল খারাফ অইলে হেগো স্বজন আহেনা , হেরা অয় বেওয়ারিশ । রশিদ পাগলা আছিলো তেমন একজন বেওয়ারিস । হেয় বহু বছর হাসপাতের বারিন্দায় বইয়া বিড়বিড় কইরা নিজে নিজে কতা কইতো । কেউ খাওন দিলে খাইতো , না দিলে না খাইয়া বারিন্দায় গুমাইতো । – কাকা উনার নাম যে রশিদ তা জানতেন কেমনে ? – হেয় বিড়বিড় কইরা কইতো – হে হে রশিদ পাগলা , বিড়ি খাইবিনা ? তহন বুজতাম হের নাম রশিদ । – তারপরে কি হইলো কাকা ? – রশিদ পাগলার একদিন বেদম জ্বর অইলো , ডাক্তার ছাড়েগো কইয়া হেরে মেডিকেলো বর্তী করাই । ৩/৪ দিনের জ্বরে রশিদ পাগলায় মইরা যায় । হের লাশ ১ মাস লাশগরে থাইকা পোকে দরে । হেই লাশের কঙ্কালডা তোমার কাছে বেচছি বাবা । আমি হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে আমাদের চিলেকোঠার সংসারে ছুটে আসি , মা তখনও কপালে বাম হাত রেখে ডানহাতে কঙ্কালে হাত বুলিয়ে বিড়বিড় করছেন । মাকে শক্ত করে বুকে চেপে ধরি , ফিসফিস করে বলি – মা, মাগো বাবার খোঁজ পাইছি। মা নিষ্প্রান চোখে আমাকে দেখেন , আরো জোড়ে মাকে বুকে চেপে ধরি – মা তুমি কিছু হোননা ? – আমিও পাইছি , এই হাড্ডির মইদ্দে তর বাপের গেরান পাইছি ।
বাবার কঙ্কালটা মা প্রাণ ভরে আদর করুক , বুকে জড়িয়ে কেঁদে হালকা হোক । চিৎকার করে কেঁদে বুকের জমানো কষ্ট হালকা করুক। আমিও নিরিবিলি কোন জায়গা খুজে বুক উজার করে ক্ষানিক কেঁদে নেই ! এই ইট শুরকীর শহরে এমন কোন নিরিবিলি জায়গার খোঁজে আমি পথে নেমেছি , জানিনা খুঁজে পাবো কিনা………………………. !!!!!!!!! ( আমার ছেলে ডাক্তারী ভর্তি হওয়ার পর তার এনাটমি ক্লাশের জন্য একটা কঙ্কাল কিনতে হয় ।লম্বা এই কঙ্কালটা দেখার পর আমার মনে হতো এই মানুষটার নিশ্চয়ই সংসার ছিলো , সন্তান ছিলো এবং এটা একটা বেওয়ারিশ লাশের কঙ্কাল । সেই থেকে এই গল্পটা আমার মাথায় ঘুরপাক করে । অনেক বছর পর আজ এই কঙ্কালটা নিয়ে লিখলাম।। ) শেষ………………………… # মাহবুবা আক্তার নাজমা
পূর্ববর্তী নিবন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধ
গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ