এ্যারেঞ্জ ম্যারেজ সিজন ২ পর্বঃ ০১
– আবির খান
এমন উদ্ভট স্বপ্ন দেখে হঠাৎই নিশির ঘুমটা ভেঙে যায়। নিশি কপালে হাত দিয়ে দেখে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে। নিশি স্বস্থির নিশ্বাস ফেলে। কারণ এতোক্ষন ও যা দেখেছে সবই স্বপ্ন ছিলো। নেহালকে হারানোর ভয়ে হয়তো এই স্বপ্ন।
নিশি আবার চোখটা বন্ধ করলেও ঠাস করে খুলে ফেলে। কারণ আজতো সত্যিই ওদের ডিভোর্সের দিন। নিশি ভাবছে, ও পারবেনা কোনোভাবেই নেহালকে ডিভোর্স দিতে৷ ও কোথাও দূরে চলে যাবে। কারণ ডিভোর্স দিলেই ওদের মাঝে সব সম্পর্ক শেষ হয়ে যাবে। নিশি পারবে না। কোনোভাবেই পারবেনা। কিন্তু নওশিন?? ওর কি হবে তাহলে?? ও তো নেহালের প্রথম ভালোবাসা। নেহালও ওকে ভালোবাসতো। কিন্তু আমাকেওতো বাসে। নাহ আমি দূরে কোথাও চলে যাবো তাও ওনাকে ডিভোর্স দিবো না। নিশি এসব ভাবতে ভাবতে অনেক বেশি আবেগি হয়ে যায়।
হঠাৎ নিশি ফিল করে সে কারো স্পর্শে আছে। মানে কেউ তাকে অনেক আদর করে জড়িয়ে ধরে আছে। নিশি এত্তোক্ষন তা খেয়ালই করেনি। এতটা ভয়ে ছিলো। নিশি এই স্পর্শ চিনে। এ আর কারো নয় নেহালের স্পর্শ।
নিশি নেহালের বুকের সাথে একদম নিজেকে চেপে ধরে। আজ কিন্তু নেহালের বুকটা একদম খালি। মানে সে রাতে কোনো জামা পরেনি। নিশি নেহালের খালি ফরসা বুকটার দিকে তাকিয়ে আছে। মাঝে মাঝে নিজের গাল লাগাচ্ছে। আবার লজ্জা পাচ্ছে। এরকম কিছুক্ষন করার পর নিশি নেহালের বুকে একটা চুমু দিয়ে দেয় আর নেহালকে অনেক শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। আর চোখ থেকে অশ্রু ফেলে ওকে হারানোর কষ্টে। হয়তো আজ স্বপ্নের মতো নেহালকে হারাতে হবে।
নেহালঃ এতো ভালোবাসা দিচ্ছো। তুমি নাকি আমার কাছে আসবে না, আমাকে ছোবে না। তাহলে এগুলো কি??
নিশি নেহালের কথা শুনে আঁতকে উঠে। নিশি যখনই নেহালকে একটু আদর করে বেটা সব জেনে যায়। নিশি নেহালের বুক থেকে মুখ বের করে অসহায় ভাবে যেই নেহালের দিকে তাকায় ওমনি নেহাল যা করে তার জন্য নিশি মোটেও প্রস্তুত ছিলনা।
নিশি মাথা তুলে তাকাতেই নেহাল ওর ভালোবাসার গভীর পরশ নিশির ঠোঁটে বসিয়ে দেয়। নিশিও মনের অজান্তেই সারা দিয়ে যাচ্ছে। এই মানুষটাকে ছাড়ার সাহস ওর নেই। প্রায় ১৫-২০ মিনিট পর নেহাল নিশিকে ছেড়ে দেয়। দুজনেরই শ্বাস ঘন হয়ে গিয়েছে।
নেহালঃ তুমিও আমাকে একটা দিসো আমিও তোমাকে একটা দিসি। শোধ বাধ। আমি কারো ঋণ রাখিনা। এখন উঠে ফ্রেশ হয়ে রেডি হও তোমাকে ডিভোর্স দিবো।
নেহাল বলতে বলতে উঠে বসলো। নিশি এক লাফে উঠে বসলো। নেহাল নিশির দিকে তাকালো।
নিশি ভিজা চোখ আর ভিজা ঠোঁট নিয়ে নেহালের দিকে মাথা নাড়িয়ে না করছে। অসহায় ভাবে।
নেহালঃ এখন আর না বললে হবে না। অনেক দেরি হয়ে গেছে নিশি। অনেক দেরি। গম্ভীর কণ্ঠে।
নেহাল উঠে ফ্রেশ হতে চলে যায় আর নিশি সেখানে বসেই কান্নায় ভেঙে পরে৷ নেহাল বের হয়ে রেডি হতে থাকে।
নিশিঃ আমাকে ডিভোর্স দিয়েন না আমি এমনিই চলে যাই।
নেহালঃ না। তোকে আজ ডিভোর্স দিবোই। তুইতো চাচ্ছিলি নিজের স্বামীকে অন্যকারো হাতে দিয়ে অনেক বড় মনের মানুষ হতে। এখন কই সে মানুষ??
নিশি বিছানা ছেড়ে উঠে নেহালের পা জড়িয়ে ধরে।
নিশিঃ দয়া করে এমন করবেন না। আমার অনেক কষ্ট হচ্ছে। কান্না জড়িত কণ্ঠে।
নেহালঃ হোক। আমার মধ্যে কোনো দয়ামায়া নেই। আমি নিচে অপেক্ষা করিছি নিশি, ১০ মিনিটের বেশি যেন না লাগে। রাগী ভাবে।
বলেই নেহাল চলে গেলো। নিশি পুরো স্তব্ধ হয়ে গেলো। সে স্বপ্ন যা দেখেছিলো তাই হচ্ছে তার সাথে। নিশি আর কি করবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ভেবে অশ্রুসিক্ত নয়ন নিয়ে নেহালের কথা মতো রেডি হতে থাকে৷
নেহালের বাবা-মা আর নেহাল নিচে বসে আছে।
বাবাঃ এসব আমাদের আগেও জানাতে পারতি নেহাল। তুই অনেক খারাপ হয়ে গিয়েছিসরে। আমাদের কাছ থেকে কথা লুকাস। তাও এতো বড়।
মাঃ আচ্ছা যা হওয়ার হয়েছে এখন মেনে নেওতো। ওইযে নিশি নামছে।
নিশির কোনোভাবেই এই বাসা ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করছে না। তাই নিশি নেমে এসে নেহালের বাবা-মার কাছে গিয়ে তাদের পা ধরে সালাম করে আর মাফ চায়। কিন্তু নিশিকে তারা কিছুই বলে না। রাগ করে বসে আছে দুজন। নিশি আর নিতে না পেরে দৌড়ে বাইরের দিকে চলে যায়।
নেহালঃ মা-বাবা দোয়া করো।
বাবাঃ যা তুই সমস্যা নেই। আমরা সব গুছিয়ে রাখবো।
নেহালঃ তোমরা আসলেই আমার বন্ধু।
নেহাল বাইরে চলে যায়। নেহাল দেখে, নিশি নেহালের গাড়ির কাছে কাঁদো অবস্থায় অপেক্ষা করছে।
নেহালঃ গাড়িতে বসো। গম্ভীর কণ্ঠে।
নিশি বুকে পাথর বেঁধে গাড়িতে উঠে বসে। নেহাল ও উঠে বসে। নিশি নেহালের দিকে অসহায় ভাবে তাকিয়ে আছে।
নেহালঃ সারাদিন এভাবে তাকিয়ে থাকলে তোমাকে আজ ডিভোর্স দিবোই। তুমিই তো চেয়েছিলে তাইনা। আমি কতবার বলেছিলাম।
নিশি নিঃশব্দে কাঁদছে। নেহাল রাগী ভাবে সামনে তাকিয়ে গাড়ি চালাচ্ছে।
১ ঘন্টা পর,
নেহালঃ নামো।
নিশি মাথা তুলে তাকিয়ে দেখে এটা কোনো কোর্ট না। নিশির কেমন জানি লাগছে। নেহাল নেমে নিশির সাইডে যেয়ে গাড়ির দরজা খুলে দেয়।
নেহালঃ নামো।
নিশি তাড়াতাড়ি নামে। নেহাল গাড়ির সাথে এলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আর বাতাস খাচ্ছে। নিশি চারদিকটা ভালো করে দেখে। একটা বিশাল বড় খোলা জায়গা। আশেপাশে ঘাস আর কাশফুল।
নিশিঃ আমরা এখানে কেন??
নেহালঃ এখানেই আমাদের ডিভোর্স হবে।
নেহালের কথা শুনে নিশির মনটা আরো খারাপ হয়ে যায়। নিশি একপাশে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। আর অশ্রু ফেলছে।
হঠাৎই একটা গাড়ি এসে থামে নেহালদের সামনে। নেহাল আর নিশি দুজনেই তাকায়। নিশির অনেক ভয় হচ্ছে। গাড়ি থেকে প্রথমে নেহালের মতো একজন ছেলে নেমে আসে। পরে আরেকটি মেয়ে নেমে আসে। নিশি বুঝতে পাচ্ছে না কি হচ্ছে।
নওশিনঃ বাবু কোর্টে না গিয়ে এখানে আমাকে ডাকলে কেন?? আজ না তোমাদের ডিভোর্স।
নেহালঃ নিশি, এই সেই নওশিন যাকে আমি গত ৭ বছর ধরে পাগলের মতো ভালো বাসতাম। আর এই হলো আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু হিসাম।
নিশিঃ….. শুধু দেখছে।
নেহালঃ নওশিন এদিকে আসো।
নওশিন নেহালের কাছে এগিয়ে যায়।
নওশিনঃ হ্যাঁ বলো।
নেহালঃ নিশি তুমি নওশিনের ঠিক সামনে দাড়াও।
নিশিও তাই করলো।
নেহালঃ নিশি, তোমার শরীরে যত জোর আছে সব দিয়ে ওর দুই গালে কসিয়ে দুইটা থাপ্পড় দেও।
নিশি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে নেহালের দিকে।
নওশিনঃ মানে কি নিশি আমাকে কেন থাপ্পড় দিবে??
নেহালঃ নিশি…. ধমক দিয়ে।
নিশি নেহালের কথা মতো কসিয়ে নওশিনের দুই গালে দুইটা থাপ্পড় দেয়। নওশিন দুই গালে হাত দিয়ে অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
নেহালঃ নিশি জানো তুমি যার জন্য আমায় ছেড়ে দিচ্ছেলে, সে কতটা খারাপ?? তার সাথে আমার (নওশিনকে দেখিয়ে) ৭ বছরের রিলেশন থাকা সত্বেও সে ১০ টা ছেলের সাথে রিলেশন করছে। শুধু রিলেশন না ফিজিক্যালও হয়েছে। আমার এই যে বন্ধুকে দেখছো না?? ও গোয়েন্দা বিভাগের লোক। ও আমাকে সব খবর এনে দিয়েছে এই খারাপ মেয়ের সম্পর্কে। নিশি তুমি কি এখনো এই মেয়ের জন্য আমাকে ছেড়ে দিতে চাও??
নিশি নেহালের কথা শুনে রাগে নওশিনকে আরো দুইটা কসিয়ে থাপ্পড় দিলো।
নেহালঃ তুই মেয়ে মানুষ দেখে আমরা গায় হাত তুলতে পারি না। তাই আমার প্রাণের বউকে দিয়ে তোকে মারালাম। বন্ধু হিসাম তুই আমার জীবনটা বাচিঁয়েছিস ভাই। নাহলে এই মেয়ে আমাকে আর আমার পরিবারকে শেষ করে দিতো।
হিসামঃ ভাই, তোর জন্য কিছু করতে পারাটা আমার ভাগ্যের ব্যপার। জানেন ভাবি, আমি আজ যা শুধু ওর জন্য। ওর টাকায় পড়াশুনা করে আজ আমি এই পদে। এখন বল দোস্ত ওকে কি করবো?? ফ্রোড কেসে জেলে ঢুকিয়ে দেই??
নেহালঃ নিশি তুমি যা বলবে তাই হবে।
নিশিঃ ওর শাস্তি হওয়া উচিৎ। না জানি কত ছেলের জীবন এভাবে নষ্ট করেছে।
হিসামঃ ঠিক বলেছেন ভাবি। আমি অনেক খবর পেয়েছি ওর নামে। ওর শাস্তি হওয়া উচিৎ।
নেহালঃ হ্যাঁ দোস্ত তাই কর।
নওশিন শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদছে।
হিসামঃ দোস্ত তাহলে আমি যাই??
নেহালঃ আচ্ছা যা পরে কথা হবে।
হিসাম নওশিনকে নিয়ে চলে গেলো।
নিশি শুধু স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ও কিছু ভাবতে পারছে না, কিছু বলতে পারছে না। ওর কাছে এসব স্বপ্ন লাগছে।
নেহাল ধীর পায়ে নিশির কাছে এগিয়ে যায়। ঠিক ওর সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। নিশি নেহালের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। নিশি তাতে দেখতে পাচ্ছে আনন্দে বিশাল বড় ঢেউ। যে ঢেউয়ে সবার মনে খুশিতে ভাসিয়ে দিবে (মানে আপনাদের)।
নেহাল হঠাৎই নিশিকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। একদম ওর সাথে মিশিয়ে নেয়। নিশিও বাঁধ ভেঙে কান্না ছেড়ে দিয়ে নেহালকে আঁকড়ে ধরে। সময়টা একদম থেমে যায়। চারদিকে ঝড়ো হাওয়া এসে ওদের দুজনকে স্পর্শ করে চলে যায়। দুজনের নয়নজোড়া থেকে আজ আনন্দের অশ্রু ঝরছে। এ আনন্দ তাদের মিলনের, এ আনন্দ তাদের মনের সত্যিকারের মিলনের। আজ ওদের মাঝে আর কেউ নেই। শুধু ওরা আর ওরা।
নেহাল নিশিকে সামনে এনে ওর কপালে গভীর একটা চুমু দিয়ে দেয়। যাকে বলে ভালোবাসার পরশ। নিশিও নেহালের কপালে সেই পরশ দিতে নিলে আমাদের দুষ্ট নেহাল তা তার ঠোঁটজোড়ায় নিয়ে নেয়। এ পরশ দেওয়া নেওয়া চলে অনেকক্ষন।
নিশিকে ছেড়ে নেহাল বলে,
নেহালঃ আমাকে ছেড়েতো আজ চলেই যেতে। যাও তুমি আমাকে ভালোবাসো না। অসহায় ভাবে বলল। তবে তা মজা করে।
নিশিঃ শুনুন।
নেহালঃ হ্যাঁ বলো।
নিশিঃ আপনার কানটা নিচে নামান।
নেহালঃ এই যে নামালাম।
নিশিঃ ভালোবাসি।
নেহালঃ ও মাই গড। আমি কোথায় আছি। পাঠক ভাইরা আমাকে তাড়াতাড়ি ধরেন। আমার বউ আজ প্রথম আমাকে ভালোবাসি বলেছে। আল্লাহ তোমার কাছে শুকরিয়া। হাহা।
নিশিঃ ধুহ আপনিও না। লজ্জা পেয়ে।
নেহালঃ নিশি??
নিশিঃ হ্যাঁ বলুন।
নেহাল নিশিকে ছেড়ে একটু সামান্য দূরে গিয়ে চিৎকার করে বলল,
– নিশিইইই আমি তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসিইইইইই। আই লাভ ইউ মাই ডিয়ার বউ।
নিশি চোখের নোনা জল ফেলতে ফেলতে দৌড়ে এসে নেহালকে জড়িয়ে ধরে।
কিছুক্ষন পর,
নেহালঃ আজ সারাদিন আমরা ঘুরবো। কারণ রাতে বাসায় তোমার জন্য আরেকটা বড় সারপ্রাইজ আছে।
নিশিঃ কি সারপ্রাইজ?? বলেন না??
নেহালঃ আহ এখন যদি বলে দেই তাহলে আর সারপ্রাইজ কি রইলো!!! রাতে জানবে।
নিশিঃ না না প্লিজ এখন বলেন না??
নেহালঃ নাহ রাতে। এখন বলা যাবে না। প্লিজ জোর করো না।
নিশিঃ আচ্ছা। শুনুন??
নেহালঃ হুম বলেন আমার পরী বউটা।
নিশিঃ আমাকে মাফ করে দিবেন আমি আপনার সাথে আর বাবা-মার সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করেছি।
নেহালঃ আচ্ছা করলাম মাফ। কিন্তু বাবা-মারটা ভাই আমি জানি না।
নিশিঃ ও সমস্যা নেই আমি ঠিক মানিয়ে নিবো।
নেহালঃ আচ্ছা দেখা যাবে।
নিশিঃ আচ্ছা শুনুন না..
নেহালঃ আহা বলুন না.. মজা করে।
নিশিঃ আপনিতো অনেক সুন্দর গান করেন। একটা গান শুনাবেন প্লিজ??
নেহালঃ ওমা আমার বউয়ের প্রথম আবদার, না করি কি ভাবে। অবশ্যই শুনাবো। তবে আমার কোলে বসতে হবে। আমি তোমাকে জড়িয়ে ধরে গানটা গাইবো।
নেহাল নিশি কে কাছে টেনে নিয়ে গান ধরলো,
ভাল্লাগে হাঁটতে তোর হাত ধরে
ভাবনা তোর আসছে দিন রাত ধরে
ভাল্লাগে হাঁটতে তোর হাত ধরে
ভাবনা তোর আসছে দিন রাত ধরে
এলোমেলো মনটাকে
কি করে কে আর রাখে
কেন আমি এত করে তোকে চাই
পারবো না আমি ছাড়তে তোকে
পারবো না আমি ভুলতে তোকে
পারবো না ছেড়ে বাঁচতে তোকে
হয়ে যা না রাজি একবার
ভাল্লাগে চাইলে তুই আড়চোখে
চাইছি তোর ওই দুচোখ আর তোকে
ভাল্লাগে চাইলে তুই আড়চোখে
চাইছি তোর ওই দুচোখ আর তোকে
এলোমেলো দিস করে
সারাটা দুপুর ধরে
বসে বসে বুনে চলি কল্পনাই
পারবো না আমি ছাড়তে তোকে
পারবো না আমি ভুলতে তোকে
পারবো না ছেড়ে বাঁচতে তোকে
হয়ে যা না রাজি একবার
দেখা দিয়ে তুই যদি চলে যাস
কি কারণে বল এত কিছু চাস
আমিও কি চেয়ে বসি তোর কাছে
সাদাসিধে মনে করে কি এখন
কি কারণে বল এত উচাটন
আমিও কি পেয়ে বসি তোর কাছে
কথা ছিল কথা রাখার
আমায় ডাকার
পারবো না আমি ছাড়তে তোকে
পারবো না…
নিশি অশ্রুসিক্ত নয়নে নেহালের গালে একটা চুমু দিলো।
নিশিঃ খুবইইইইই সুন্দর হয়েছে।
নেহালঃ আচ্ছা আমি যদি প্রতিদিন গান শোনায়, তাহলে কি এটা প্রতিদিন পাবো??
নিশিঃ জানি নাহ। লজ্জা মাখা মুখে বলল।
নেহালঃ আহ কি সুন্দর লাগে তোমার এই লজ্জা মাখা মুখটা। কিন্তু আজ যে বিশাল বড় সারপ্রাইজটা দিবো তখন কিন্তু এসব লজ্জাটজ্জা চলবে না। আগেই বলে দিলাম।
নিশিঃ প্লিজ বলেন না কি সারপ্রাইজ যে আমি লজ্জা পাবো।
নেহালঃ রাতেই জানবে।
চলবে…?
কোনো ভুল হলে জানাবেন।
গল্প এমন হওয়ার উচিৎ যেটা আমার প্রিয় পাঠক মানে আপনাদের মনে সারা ফেলতে পারে। নাহলে গল্প লিখে লাভ কি। তাই এই টুইস্ট।
সিজন -১ এর শেষ পর্বে যারা রাগ করেছিলেন তাদের গঠনমূলক মন্তব্য আশা করছি। আর সাথে সবার ভালো সারা আশা করছি সিজন ১ এর মতো। ধন্যবাদ সবাইকে সাথে থাকার জন্য। আমার এ পথচলা শুধু আপনাদের জন্য। ?❤
নেক্সট পর্বগুলো তারাতাড়ি দিয়ে দেন…
এককথায় অসাধারন,
তবে ভাই প্রথম পর্বে যা রাগ হয়েছিল
সামনে পাইলে হয়তো মারতাম, যাও বেচে গেছ
????
R u read in class eight??