#আড়ালে_অনুভবে
#সাদিয়া_আফরিন_প্রতিভা
#পর্বঃ৩০
আমি পারিনি তোমাকে
আপন করে রাখতে
আমি পারিনি তোমাকে
আবার আমার করে রাখতে
তুমি বুঝোনি, আমি বলিনি
তুমি স্বপ্নতে কেন আসোনি
আমার অভিমান তোমাকে নিয়ে
সব গেয়েছি
প্রভা:তবে বলোনি কেনো?কাছে পেয়েও কেনো দূড়ে সরে যেতে দিলে আমায়?
প্রভার গলা শুনে চমকে যায় নিরব।পিছন ফিরতেই দেখ প্রভা ফুঁপিয়ে কেঁদেই চলেছে।প্রভার কান্না দেখে নিরব আর কিছু না ভেবে দ্রুতগতিতে ওর কাছে চলে যায়।দু হাত দিয়ে মুখ উপরে তুলে বলে,
নিরব:এই দিয়া?কি হয়ছে তোমার?কাদছো কেনো?
প্রভার কান্নার গতি আরো বেড়ে যায়।শক্ত করে জড়িয়ে ধরে নিরব কে।নিরবের হৃদয়ে যেনো মুহূর্তের মাঝেই শীতল হাওয়া বয়ে যায়।কিন্তু পরক্ষণেই কিছু ভেবে প্রভাকে ছাড়িয়ে নেয় নিজের থেকে।
নিরব:তুমি এখানে কি করছো?আজ তো ত তোমার বিয়ে।
প্রভা:(নিরব এর কলার চেপে ধরে) লজ্জা করে না নিজের বিয়ে করা বউকে আবার বিয়ে করতে বলতে?আমি বিবাহিত,আর আমার হাজবেন্ড তুমি মিঃ চঞ্চল।
নিরব আবারো স্তব্ধ হয়ে যায়।কতোদিন পর আবার এই ডাক শুনলো সে।
নিরব:আ আমাদের ডিভোর্স হিয়ে গ গেছে।
প্রভা:আমি সব সত্তিটা জেনে গেছি নিরব।
নিরব:ক কিসের সত্যি! (অবাক হয়ে বলে)
প্রভা:সিনথু আমাকে সবটা বলে দিয়েছে নিরব।
নিরব:নিশ্চুপ
প্রভা:কেনো এমনটা করলে?বলো না,তুমি কি পারতেনা আমায় সব সত্যিটা বলতে।তবে কেনো বললে না,কেনো?
নিরব আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলো না। জাপটে ধরলো প্রভা কে।প্রভাও একই সঙ্গে জড়িয়ে ধরলো নিরব কে।
নিরব:আমি চাইনি দিয়াপাখি।চাইনি তুমি আমার জন্য নিজের জীবনিটা নষ্ট করো।আমি তো চেয়েছিলাম তোমায় সুখি দেখতে।তুই চলে যা দিয়া।নিজের জীবনটা নষ্ট করিস না আমার জন্য, চলে যা তুই।
প্রভা এবার নিরবকে ছেড়ে দিয়ে আবারো ওর কলার চেপে ধরলো,
প্রভা:আমি তোমার থেকে অমুমতি চাইনি।তোমাকে জানিয়েছি মাত্র।তুমি চাও কিংবা না চাও তোমায় আমার সঙ্গেই থাকতে হবে।আমিও দেখি কে এই দিয়াকে তার নিরবের থেকে আলাদা করতে পারে। আমি যে একান্তই নিরবের,শুধুই নিরবের দিয়াপাখি আমি। ছিলাম,আছি আর সারাজীবন আমি নিরবের দিয়াপাখি হয়েই থাকবো।তোমার কোনো অধিকার নেই আমার আটকানোর।আমি আমার মিঃচঞ্চল এর সঙ্গেই বাকি জীবন কাটাবো,মাথায় ঢুকিয়ে রাখো।
নিজের বলা কথা প্রভার মুখে শুনে নিরব এই পরিস্থিতিতেও হেসে দিলো।প্রভা এবার খানিকটা উচু হয়ে নিজের আয়ত্বে করে নেয় নিরবের ওষ্ঠদ্বয়।
কেটে যায় বেশ কিছুক্ষন।প্রভা এবার নিরবকে ছেড়ে দিয়ে মুখ লোকায় তার বুকে।নিরব ও জড়িয়ে ধরে তার প্রেয়সি কে।কিছুক্ষন পর শান্ত গলায় বলে ওঠে,
নিরব:তুই ভুল করছিস দিয়াপাখি..
প্রভা:ঠিক ভুল এর বিচার আমি তোমার থেকে শিখবোনা মিঃ চঞ্চল।
সিনথিয়া:এহেম এহেম..
প্রভা তৎখনাক নিরব এর থেকে কিছুটা সরে দাড়ালো।তারপর দড়জার দিকে তাকাতেই দেখলো সিনিথিয়া দাঁড়িয়ে আছেম
সিনথিয়া:(চোখে হাত দিয়ে) আমি কিছু দেখিনি, আমি কিছু দেখিনি।
প্রভা এবার সিনথিয়ার পাশে গিয়ে ওর কান টেনে ধরে।
সিনথিয়া:আহহ আপু লাগছে ছাড়।
প্রভা:লাগুক আরো বেশি করে।খুব ভালোই তো এক্টিং করতে পারিস।
সিনিথিয়া:লে হালুয়া!তোকে সব সত্যি জানালাম আমি।সব ভুলবোঝাবুঝি মেটালাম আমি। আর তুই এখন আমাকেই বকছিস।যাহ কথা নাই..
প্রভা:(মুচকি হেসে সিনথিয়া কে জড়িয়ে ধরে)
সিনথিয়া:হয়েছে হয়েছে।এবার জামাই এর সাথে রোমেন্স শেষ হলে আরেকজন কে ডাকি?
প্রভা:বাকিদের?
সিনথিয়া:চলে এসো সবাই।
বলার সাথে সাথেই দড়জা থেকে প্রথমে ফাহাদ ভিতরে ঢোকে আর তার পিছনে বাড়ির সবাই। বাবা কে দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে যায় প্রভা।কিছুক্ষণ নিরবতা বজায় থাকে রুমের মাঝে।তারপর ফাহাদ কাপা কাপা হাত বাড়িয়ে দেয় প্রভার দিকে।প্রভা এবার ধীরেধীরে তার কাছে যায়। কাপা কাপা হাতে স্পর্ষ করে তাকে।মুহূর্তেই হাত সরিয়ে নেয়।
প্রভা: ব বা বাবা….
ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে প্রভা।জড়িয়ে ধরে তার বাবাকে।তিনিও সজত্নে হাত বুলিয়ে দেয় মেয়ের মাথায়।আজ তার চোখেও জল।
বাবা মেয়ের এমন দৃষ্য দেখে সকলের চোখে জল চলে আসে।
নিরব:বুঝলিরে সিনথু,আমাদের আর এখানে কোনো জায়গা নেই।মেয়ে তার বাবা কে পেয়ে গেছে,বাবা তার মেয়ে কে পেয়ে গেছে।এখন আমরা কি বসে বসে আঙুল চুষবো!😒
সিনথিয়া:ঠিক ই বলছো।কোথায় আমাদের থ্যাংকস বলবে তা না আমাদের তো ভুলেই গেছে সবাই।এইযে বাপ মেয়ে বাড়ি গিয়ে যত খুশি কান্না কাটি কইরো।এখন চলো সবাই ওয়েট করছে।
কিছুক্ষন বাদেই সবাই বাড়িতে এসে পৌছোয়।সিনথিয়া সবাই আগেই বলে রেখেছে সবটা।বাড়িতে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে সকলে একপ্রকার ঝাপিয়ে পরে প্রভার উপর।মুনতাহা শুধু একপাশে দাঁড়িয়ে দেখছিলো তখন ই প্রভা আম্মু বলে ডাক দেয়।উনি আর নিজেকে আটকাতে পারেন না, দৌড়ে এসে মেয়েকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে দেয়।প্রভাও ওনাকে মাফ করে দেয়।
কিন্তু এতকিছুর মধ্যে তিন জোড়া চোখ অদ্ভুতভাবে তাকিয়ে আছে।নিরব তাদের খেয়াল করতেই অরিস,সূর্য আর কিপ্তির সামনে যায়।সূর্যের কাছে গিয়ে বলে,
নিরব:কি ব্যাপার সান,মুখটা এমন করে রেখেছো কেনো?
সূর্য:সেই কখন থেকে সবাই পচা আন্টি কেই আদর করছে,আমাদের তো কারোর চোখেই পড়ে না।তুমিও তো আমাদের দেখলে না।
প্রভা:ঐ,পচা আন্টি কে রে? (ভ্রু কুচকে বললো)
সূর্য:তুমি পচা আন্টি।তুমি একটুও ভালো না।তোমার জন্য আঙ্কেল কতো মন খারাপ করতো, আম্মুও তোমার জন্য কাদতো।
প্রভা:(একবার নিরব এর দিকে তাকিয়ে হাটি গেড়ে ওদের সামনে বসে পরে) তাই বুঝি?আমি সবাইকে খুব কষ্ট দিয়েছি তাই না?সরি বাবা,আর কখনো এমন হবেনা।এবারের জন্য ক্ষমা করে দেও?
কিপ্তি:তুমি ই কি আমাল আরেকটা পিপি?
প্রভা:(কিপ্তির কাছে গিয়ে ওর গালে চুমু খায়) হ্যা সোনা,আমি ই তোমার আরেকটা পিপি।
অরিস:পিপি ২ তুমি আমাকে আদল কলবে না??
প্রভা:আরে জামাই বাবাজি আপনাকে কি আর ভোলা যায়!
প্রভার এই কথা শুনে সকলেই হেসে দেয়।
রুকসানা এবার সবার কাছে উজ্জল আর সিনথিয়ার বিয়ের প্রস্তাব দেয়।পারিবারিক ভাবে আজ ই বিয়ে পরিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত হয়।পরবর্তিতে অনুষ্ঠান করা হবে।কোনো বিষয়েই সিনথিয়া উজ্জ্বল এর সঙ্গে কথা বলেনি।উজ্জ্বল ও বিষয়টা ভালোই বুঝতে পেরেছে।
__,,
দড়জার খটখট শব্দে সিনথিয়া চোখ তুলে তাকায়।উজ্জ্বল এবার দড়জা লাগিয়ে এসে সিনথিয়ার পাশে বসে।
উজ্জ্বল:প্রিথুরাণী,কথা বলবেনা আমার সঙ্গে?
প্রথা:তুমি আমার স্বামী উজ্জ্বল।তোমার সঙ্গে তো কথা না বলার কোনো কারণ নেই।
উজ্জ্বল:এভাবে বলোনা প্লিজ।তুমি আমায় যে শাস্তি দিবে আমি মাথা পেতে নেবো কিন্তু এমন কথা বলোনা।
প্রথা:একটা কথা কি জানো উজ্জ্বল?ভালোবাসার মূল ভিত্তি ই হলো বিশ্বাস,সেই বিশ্বাসটা তোমার আমার প্রতি ছিলোই না।আর বিশ্বাস ছাড়া ভালোবাসা যায় না।হয়তো তুমি এখন অনুতপ্ত। কিন্তু তাতে করে তো তোমার চিন্তাধারা টা বদলে যাবে না।
তুমি আমার স্বামী।তোমার সঙ্গেই আমি সারাজীবন কাটাবো।জিবনের প্রতিটা মুহূর্তে তুমি আমায় তোমার পাশে পাবে।
এবং আমার প্রতি সম্পূর্ন অধিকার আছে তোমার।কিন্তু সবকিছুর মাঝে না একটা অভাব থেকেই যাবে,আর সেটা হলো ভালোবাসার।
উজ্জ্বল:প্রথা…
প্রথা:আমি তোমায় কোনো দোষ দিচ্ছিনা উজ্জ্বল। আমি বাস্তবতার কথা বলছি।সব ঠিক থাকবে, কিন্তু হয়তোবা সেই ভালোবাসা আর ফিরে আসবে না।ভালোবাসা তৈরি হওয়া খুব সহজ উজ্জ্বল,কিন্তু প্রকৃত ভালোবাসা ভাঙা খুব কঠিন। আর সেটা একবার ভেঙে গেলে আর জোড়া লাগানো যায় না।
সিনিথিয়ার কিথা উজ্জ্বল কিছু বলতে পারলো না।কিন্তু মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলো যে করেই হোক সেই ভালোবাসা সে আবারো ফিরিয়ে আনবেই।
দেখতে দেখতে কেটে গেলো আরো কয়েকটা দিন।বর্তমানে প্রথা উজ্জ্বল এর বাড়িতেই থাকে তবে এখনো উজ্জ্বল হয়তো পারেনি সেই ভালোবাসা ফিরিয়ে আনতে।এমনটা নয় যে প্রথা ওর সঙ্গে খারাপ ব্যাবহার করে কিংবা কথা বলে না।একজন স্ত্রীর যা যা কর্তব্য সবটা করে ও।সবটাই স্বাভাবিক ওদের মাঝে কিন্তু প্রথার কথা অনুযায়ী সেই ভালোবাসা এখনো ফিরে আসেনি। তবে উজ্জ্বল এর বিশ্বাস সে সফল হবেই।
আগামী সপ্তাহে নিরব এর অপারেশন।তা নিয়ে প্রভা অনেক টেনশন এ থাকলেও নিরব কে বুঝতে দেয় নি।বাহিরের অনেক বড় বড় ডক্টর দের সাথে কনসেন্ট করেছে সে।সবার ই একই মতামত।অপারেশন টা খুব ক্রিটিকেল তবে আল্লাহ চাইলে তো মিরাক্কেল হতেই পারে।সেই ভরসা তেই আছে প্রভা।
রাত ১০ টা বাজে এখন।নিরব রুমে বসে ল্যাপটপ এ কাজ করছে।তখনি হাতে একটা ট্রে নিয়ে রুমে ঢোকে প্রভা।
প্রভা:(ল্যাপটপ টা সরিয়ে)অনেক কাজ হয়েছে এবার খেয়ে নাও।
নিরব:আরে..
প্রভা:চুপ।প্রথমে পুড়ো খাবারটা ফিনিশ করবে তারপর এই ঔষধ তা আর এইটা আর.. (কয়েকটা ঔষধ নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে করতে বলে)
নিরব এবার প্রভার হাত ধরে এক ঝটকায় বিছানায় ফেলে দেয়।আর তারপর নিজে ওর উপর খানিকটা ঝুকে গিয়ে বললো,
নিরব:কি সারাদিন খাবার,মেডিসিন এই সেই নিয়ে থাকো বলতো দিয়াপাখি!কোথায় একটু মিষ্টি করে জামাই এর সঙ্গে কথা বলবে তা না..
প্রভা এবার নিরব কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়।তারপর নিজে ওর বুকে মাথা রেখে বলে,
প্রভা:করবো তো,কতো কথাই তো জমা পরে আছে।তবে এখন নয়।সামনে যে আমার অনেক বড় যুদ্ধ আর সেই যুদ্ধে আমায় বিজয়ী হতেই হবে।তুমি দেখো নিরব,আমি তোমায় সুস্থ করে তুলবোই।
নিরব:(প্রভার চুলে বিলি কেটে দিতে দিতে বলে) আমিও বাচতে চাই দিয়াপাখি,তোর সঙ্গে বাচতে চাই।একদম বুড়ো বয়স পর্যন্ত তোর পাশে থাকতে চাই আমি।কি জানি ভাগ্যে আছে কিনা সেসব, তবে আমার কোনো আফসোস নেই।এইযে তুই আমার সঙ্গে আছিস,আমার পাশে আছিস।এতেই আমি খুশি।
প্রভা আর কিছু বললো না।নিরবকে জড়িয়ে ধরে তার হৃদস্পন্দন শুনতে লাগলো।
দেখতে দেখতে এসেই গেলো সেই কাঙ্ক্ষিত দিন। অপারেশন থিয়েটার এ নিয়ে যাওয়া হলো নিরব কে।
এর আগেও প্রভা অনেক ক্রিটিকেল সার্জারি করেছে তবে আজ যেনো হাত চলছে না তার।কেমন অসর হয়ে আসছে শরীর। উজ্জ্বল পিছন থেকে কাধে হাত দিয়ে সাহস যোগালো ওকে।
প্রভাও এবার মনোবল জুগিয়ে এগিয়ে গেলো।
সকল লাইট জ্বলে উঠলো এবার,শুরু হলো অপারেশন।
এক ঘন্টা,দু ঘন্টা,তিন ঘন্টা পর লাইট নিভে গেলো।চোখ বন্ধ করে দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো প্রভা।
এদিকে বাহিরে সবাই অপেক্ষার প্রহর গুনে চলেছে।নিরব এর বাবা আজ ও আসেনি।ওনার খুব ইম্পরট্যান্ট মিটিং বলে কথা!
উজ্জ্বল আর প্রভা কে বেড়িয়ে আসতে দেখে সকলে সামনে এগিয়ে যায়।সকলে প্রভার দিকে আশা সূচক দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে।প্রভা একবার সকলের দিকে তাকালো কিন্তু কিছু বললো না।সকলে খানিকটা ভয় পেয়ে যায়।
প্রথা:আপু তুই চুপ করে আছিস কেনো? ভাইয়া ঠিক আছে তো?
অঙ্কিত:কিছু তো বল প্লিজ।নিরব স সুস্থ হয়ে যাবে তো?উজ্জ্বল তুমি তো কিছু বলো।
উজ্জ্বল:(মুচকি হাসলো) আমরা যতটা সম্ভব চেষ্টা করেছি।আশা করছি সব ঠিক হয়ে যাবে।তবে..
প্রথা:ত তবে?
উজ্জ্বল:দেখো অপারেশন টা অনেক ক্রিটিকেল এবং ব্রেইন এ।তাই জ্ঞান না ফেরা পর্যন্ত নিশ্চিত হয়ে কিছুই বলা যাচ্ছে না।হয়তোবা ও সুস্থ হয়ে যাবে কিন্ত…ওর স্মৃতিশক্তি হারিয়ে যাওয়ার চান্স আছে।আর যদি ২৪ ঘন্টার মধ্যে জ্ঞান না ফেরে তাহলে ও কোমায় চলে যাবে..
প্রভা:নাহহহ..কিছু হবেনা ওর,ক কিছু না।
কথাটা বলেই ছুটে চলে যায় সেখান থেকে।
#চলবে।