#আনন্দ_অশ্রু
#পর্ব_১০
#লেখনীতে_ওয়াসেনাথ_আসফি
একটু সুন্দর করে হাসি দিয়ে সোজা হয়ে দাড়াও তো একটু ভালো করে দেখি আমার বউটাকে।
রেহানের কথায় খুব বিরক্ত হলো মায়া কোনো কথা না বলে ক্যান্টিনের দিকে হাঁটা ধরলো। মায়াকে চলে যেতে দেখে রেহান দৌঁড়ে এসে মায়ার হাতে ধরলো, থমকে গেল মায়া অনুভুতি শূন্য হয়ে গেলো সব। রেহান মায়ার হাত ধরে মায়ার সামনে দাঁড়ালো মায়ার শান্ত চাহুনি রেহানের হৃদস্পন্দন থামানোর জন্য যথেষ্ট কিন্তু আজ মায়ার চাহুনি রেহানকে ভয় দেখাচ্ছে, ওই চাহুনিতে আছে অভিমানের নিস্তব্ধ ঝড় রেহান প্রস্তুত হলো মায়ার অভিযোগ গুলো বুঝতে।
রেহান শিকদার আপনার সেই পুরোনো কথা গুলো যেনো কী ছিলো আপনার কী মনে আছে নাকি ভুলে গেছেন? আমি কিন্তু ভুলিনি আপনার বলা প্রতিটা কথা আমার মনে আজও দাগ কেটে আছে যদি চান মনে করিয়ে দিতে পারি।
তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে কথাটা বললো মায়া। রেহান মায়ার হাত শক্ত করে ধরে বলতে শুরু করল,
আসু আমি কখনোই চাইনী তুমি আমায় অবহেলায় ভালোবাসো, আমি চাইনি তুমি প্রয়োজনে আমার সাথে কথা বলো, আমি চাইনি তুমি আমার ওপর নির্ভর করে আমার সংসারের মায়ায় জড়াও, আমি চাইনি তুমি দীর্ঘশ্বাসে আমায় মনে করো, তোমার হতাশার কারণ হতে চাইনী আর ভুল করেও তোমার আক্ষেপের কারণ হতে চাইনি।
তাহলে আপনি কী হতে চেয়ে ছিলেন যদি একটু কষ্ট করে বলতেন তাহলে নতুন করে আপনার ব্যাক্তিত্বটা বুঝতে পারতাম।
হয়তো আমার বলা প্রতিটা কথা তোমায় কষ্ট দিয়েছে খুব কাদিয়েছে, কিন্তু বিশ্বাস করো তোমাকে আমি ভালো রাখার জন্যই এত কষ্ট দিয়েছি কাদিয়েছি।
প্রথম ভালোবাসার মানুষটা যদি কষ্ট দেয় কাদায় তাহলে কী ভালো থাকা যায়?
আমি আমার প্রথম ভালোবাসাকে ভালো রাখার জন্য কষ্ট দিয়েছি আমি চাইনি আমার প্রথম ভালোবাসার জীবন আমাতেই থেমে যাক আমি তাকে কষ্ট দিয়ে মুক্তি দিয়েছি যাতে সে প্রিয় মানুষের দেওয়া কষ্ট মনে রেখে নিজ গন্তব্যে পৌঁছতে পারে।
বাহ ভালইতো মেয়েদের কথার জালে ফেলতে পারেন। তা বিদেশে কত জনকে এমন কথার মায়ায় আটকেছেন শুনি।
আবারো তাচ্ছিল্য হাসলো মায়া রেহান মুচকি হেসে মায়ার হাত ছেড়ে দিলো এক কদম পিছিয়ে মায়ার দিকে তাঁকিয়ে আবারো বলতে লাগলো,,
আমি জানি আমার ওপর খুব অভিমান জমেছে অনেক অভিযোগও আছে।আমি সব কিছু মেনে নিবো আমার কোনো সমস্যা হবে না কিন্তু তুমি এমন কিছু বলোনা যেটাতে আমার তোমার উপর অভিমান হয় আর আমার অভিমান গুলো কিন্তু আমার ভালোবাসার মতোই অপ্রকাশিত। তুমি কখনোই বুঝতে পারবে না একটু একটু করে অনেকটা দূরে সরে যাবো তুমি বুঝতেও পারবে না আর যখন বুঝবে তখন আমায় আর পাবে না।
কথাটা বলে মায়ার সামনে থেকে সরে দাঁড়ায় হাত দিয়ে ইশারা করে ক্যান্টিনের দিকে যেতে বলে মায়া কিছু না বলে রেহানের ভাব ভঙ্গি দেখছিলো মনে মনে খুব খুশি হয়েছে সে কিন্তু চেহারায় প্রকাশ করছে না। মায়া ক্যান্টিনের দিকে হাঁটা শুরু করে তখন রেহান এক গাল হাসি দিয়ে বলে,,,
আর হ্যাঁ আমি ইচ্ছে করেই ডায়রিটা রেখে গিয়েছিলাম সাথে সেদিনের পরনের শার্ট টাও।
মায়া পিছনে ফিরে তাকালো না মুচকি হেসে ক্যান্টিনে চলে গেলো। রেহান চলে গেলো তানজিলের চেম্বারের।
____________________
আবারো মায়ার জেরার শিকার হলো নাফিসা কারণ এক মাত্র নাফিসাই জানতো যে, রেহান চলে যাওয়ার মাস খানিক পর মায়া রেহানের ঘরে যায় খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে থাকে রেহানের ঘর সব কিছু দেখতে দেখতে চোখে পরে টেবিলের ওপর রাখা ডাইরিতে। মায়া ডায়রিটা হাতে নিয়ে পড়া শুরু করে, প্রথম পাতা গুলোতে তেমন কিছু লেখা ছিলো না শেষের কয়েকটা পাতায় মায়াকে নিয়ে তার অনুভুতি গুলো লেখা ছিলো। সেদিন রাতে মায়াকে অপমান করার পর রেহান আবারো ডায়রি লিখতে বসে,,
খুব কষ্ট করে তোমাকে কষ্ট দিয়েছি, জানিনা এই সিদ্ধান্তের শেষ পরিণাম কী হবে তোমাকে খুব ভালবাসি হয়তো তোমার থেকে বেশি তোমাকে ভালোবাসি, আমার মায়াকন্যা আমার মায়াবতী তোমাকে কষ্ট দিয়ে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে তোমাকে চোঁখের সামনে রেখে দূরে যেতে পারবো না। আমি তোমার হয়ে তোমার থেকে দূরে থাকবো তুমি কী আমার হয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করবে? আমাকে দেওয়া কথা রাখবে? আমার নামের শেষ ভাগ নিজের নামে জোড়া দিবে?
ডায়রিটা পড়ে মায়া খুব কেঁদেছিল রেহানের প্রতি ভালোবাসা আর সম্মান দুটোই বেড়ে গিয়েছিল তার মনে।আলমারি খুলে দেখতে পায় রেহানের একটা শার্ট ঝুলছে সেটা মায়া বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে। এমন করেই প্রতিদিন রাতে সবার ঘুমানোর পর মায়া রেহানের ঘরে আসতো একদিন নাফিসার কাছে ধরা খেয়ে যায় তারপর নাফিসা ওয়াদা করে যতো দিন মায়া না চাইবে তত দিন নাফিসা কাউকে কিছু বলবে না। ডায়রির ব্যাপার টা নাফিসা ছাড়া আর কেউ জানতো না। তানজিলও না তাহলে রেহান কী ভাবে জানলো তাই নাফিসাকে মায়া জেরা করছে।
নাফু এবার সত্যি বল কেনো তুই এমন করলি আর কী কী বলেছিস তুই?
দোস্ত, বিশ্বাস কর আমি কাকাকে কিছু বলিনি। আমি জানি না এই কথাটা কাকা কী করে জানলো?
কাকার চামচি কাকাকে কিছু বলিস নি মানছি কাকার ভাবীকে তো বলছিস?
কাকে আম্মুকে কখনও না কোনো দিনও না আমি কেনো আম্মুকে এই কথা বলতে যাবো আমি কী জানি না আম্মুকে বলা যেই কথা কাকাকে বলা সেই একি কথা।
মায়া নাফিসার কথায় বিশ্বাস করলো কারণ নাফিসা মায়ার সাথে মিথ্যা বলে না। মায়া চিন্তিত হয়ে বলে,, তাহলে ওই চকিদারটা কী ভাবে জানলো?
সেটাতো আমিও ভাবছি। এতো খবর কাকা কি করে পায়?
দুজনেই চা খাচ্ছে আর চিন্তা করছে।
___________________
তানজিল আর রেহান সামনা সামনি বসে আছে। দুজনের মুখে হাসি।
কী কতটা অভিমান ভাঙ্গলো তোর আসুর?
মনে হয় অভিমানের দেয়াল একটু দুর্বল হয়েছে আর একটু কষ্ট করলে ফাটল ধরবে বেশি তাড়াহুড়া করবো না আস্তে আস্তে অভিমান ভাঙবো ওর রাগ গুলো ভালোই লাগে।
আর ধন্যবাদ আমাকে আমার বউয়ের খবর গুলো দেওয়ার জন্য। ওজে প্রতিদিন রাতে আমার ঘরে যেতো সেই খবরটা দেওয়ার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ দিয়ে পর করে দিচ্ছিস ভাই?
তোমাকে পর করে কী বউ হারা হবো নাকী? এমন ঝুঁকি আমি নিতে পারবো না। আমার বউ আমার খুব প্রিয়।
রেহানের কথায় হাসলো তানজিল।
_________________
নাফিসা আর মায়া পুরো বাড়ি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে কোনো একটা কোনাও বাদ দেয়নি ওদের খোঁজ হলো কোনো গুপ্ত ক্যামেরা। যেহেতু রেহান ইঞ্জিনিয়ার তাই তাকে বিশ্বাস করছে না মায়া ডাইনিং রুম লিভিং রুম রেহানের ঘর মায়া নাফিসা যে ঘরে থাকে সব জায়গায় খুঁজেছে কিন্তু কিছু পায়নি। পাবে কি করে গুপ্ত ক্যামেরা তো এখনও বাসায় ফিরেনি। রেহানও এখনও বাসায় ফিরেনি মায়া আবার রেহানের ঘরে যায় সব জায়গায় দেখেছে কিন্তু টেবিলের তলায় দেখেনি তাই আবার গেছে। টেবিলের নিচে ঢুকতেই রেহান ঘরে চলে আসে। টেবিলের নিচে মায়াকে দেখে একটু অবাক হয় মনে মনে ভাবে এই মেয়ে শুধূ হাতে পায়ে লম্বা হয়েছে মাথায় বুদ্ধি আসেনি নয়তো কেউ গুপ্ত ক্যামেরা টেবিলের নিচে খুঁজতে যায়। রেহান বাড়িতে ঢুকে দেখে নাফিসা ওর ঘরের সামনে পায়চারি করছে রেহান নাফিসার সামনে দাঁড়াতেই নাফিসা বোকা হেসে সব বলে দেয় রেহান নাফিসার মাথায় গাট্টা মেরে বলে,, এমন করেই কাকার সেবায় নিযোজিত থাকবি শীগ্রই তোর পদোন্নতি হবে।
তোমার জন্য আমি আমার বান্ধুবিকে বিপদে ফেলে যাচ্ছি কোনো উল্টা পাল্টা বকা দিবে না ওকে বলে দিলাম তাহলে তোমাকে কাকার তালিকা থেকে বাতিল করতে দুইবার ভাবো না।
হয়েছে তোর যা বিদায় হো এখান থেকে ।
নাফিসা মুখ গোমড়া করে চলে গেলো দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করলো রেহান
রেহানের উপস্থিতি টের পেয়ে নিজেকে বাঁচানোর জন্য কথা রেডী করতে থাকে।
আসু, তুমি কি একা একা বের হবে নাকি আমি তোমায় সাহায্য করবো কোনটা?
মিষ্টার চকিদার আমি কী আপনার সাহায্য চাইছি।
ওহহ চোরের মায়ের বড়ো গলা একে তো চোরের মত আমার ঘরে ঢুকছো আবার জোর গলায় আমাকে চকিদার ডাকছো।
শোনেন আমি এখনও কোনো চোরের তো দূর থাক ছোটো বাচ্চারও মা হইনি তাই আমাকে চোরের মা বলবেন না আর আপনি চকিদার না হলে কী করে এতো খবর পান হে?
আমি মানুষটাই এমন সব খবর আমার কাছে নিজ ইচ্ছায় ধরা দেয় আমার বেশি কষ্ট করতে হয় না খালি বউ টাই কাছে আসে না। আমার বউ যে কোন প্রজাতির সেটাই বুঝতে পারছি না, একে তো সে আমার কাছে আসে না আবার বাচ্চার মা হয়নি বলে হতাশায় ভোগে।
আমি কখন বললাম আমি বাচ্চার মা হতে পারিনি বলে হতাশায় ভুগছি।
তাহলে স্বীকার করছো তুমি আমার বউ। এই স্বীকারোক্তি এতো তাড়াতাড়ি পাবো ভাবিনি।
ওফফ আপনি এত বেশি বুঝেন আর ভাবেন কেনো আপনার বেশি বুঝার কারণেই আপনার বউ কাছে আসে না আর কখনো আসবেও না দেখে নিয়েন। এখন ফালতু কথা বাদ দিয়ে বলেন আপনি এতো খবর কই পাইছেন?
একটা চুমু দিলে বলবো।
রেহানের দাবি শুনে মায়ার চোঁখ বড় বড় হয়ে গেল। রাগে বলে,,
আপনিতো আগে এমন ছিলেন না এখন এমন কোনো হইছেন যখন যা মুখে আসে তাই বলেন লজ্জা বলতে একটা বস্তু আছে সেটা আপনার মাঝে নাই। আপনাকে তো আমি খুব শান্ত স্বভাবের লাজ্জুক মনে করছি কিন্তু এখন আপনার আচরণ দেখে মনে হচ্ছে আমার ধারণা ভুল ছিল।
শোনো তোমার ধারণা ভুল ছিল না তখন আমার বউ ছোটো ছিলো তাই লাগাম টেনে কথা বলতাম কিন্তু এখন আমার বউ বড় হয়ে গেছে অন্যের কথায় না নিজের ইচ্ছায় চলে তাই এখন লাগাম টানতে হয় না। এখন তুমি বেশি কথা না বলে স্বামী সেবায় নিয়োজিত হও অনেক আরাম করছো। এইবার এই দুই হাত দিয়ে সংসার সামলাও সাথে লেখা পড়াও।
কিসের স্বামী হে আমি করো বউ না আমার কোনো স্বামী নাই। আমার স্বামী সাড়ে তিন বছর আগে আমাকে অযোগ্য বলে তুচ্ছ করে একা ফেলে চলে গেছে আমি এখন তালাক ছাড়া তালাকপ্রাপ্তা। আনুষ্ঠানিক ভাবে তালাকের অপেক্ষায় আছি।
শোনো মেয়ে তোমার এই অপেক্ষা কখনোই শেষ হবে না আর এই কথাটা আজ বলছো তো বলছো আর কোনো দিন বলবা না। সব সময় তোমার সাথে ভালো ব্যবহার করি বলে এটা ভেবো না আমি ভালো। আমি তোমার আল্টিমেট স্বামী বুঝছো আর তুমি আমার বউ। মানছি রাগ করে আছো তাই বলে নিজের স্বামীকে ভুলে যাবে। সব কিছু জেনে বুঝে এমন কথা কী করে বলতে পরো তুমি?
আমি জানি আপনি ভালো লোক না আর এটাও জানি আমি আপনার বউ না। আমাকে দয়া করে আপনার রেখেছেন, করুণা করেছেন এই জন্য আমি আপনাকে কখনই ভুলবো না।
বাববাহ একটা চুমু চাইছি বলে এতো কথা শুনাছো বাসর করতে চাইলে তো সোজা ওপরের রাস্তা দেখায় দিতা। ভাবীকে বলেছিলাম বউটাকে একটু রোমান্টিক বানাতে ভাবী তো দেখি ঝগড়াটে বানায় দিছে।
কী আমি ঝগড়াটে?
তা নয়তো কী একটা চুমু চাইছি তাও আবার গালে চাইছি অন্য কোথাও তো চাইনি আর চুমুর থেকে বেশী কিছু করতে চাইনি তাতেই ঝগড়া করে আমার বেহাল দশা করে দিছো। আল্লাহকে ভয় করো আসু, স্বামীকে এমন কষ্টে রেখো না। এখন আর কোনো কথা না বলে একটা চুমু দাও। খুব ক্লান্ত আমি এনার্জি প্রয়োজন আর এখন যদি তুমি চুমু না দাও তাহলে আমি দিবো আর আমি দিলে কিন্তু পাঁচ মিনিটের আগে ছাড়বো না ভেবে দেখো।
ওফফ আপনি সত্যি একটা অসভ্য,নির্লজ্জ্ব লাগামহীন লোক।
বলেই রেহানকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে মায়া ঘর থেকে বেড়িয়ে গেলো রেহান হাসতে হাসতে ওয়াশরুমে চলে গেল।
রাতের খাবার খেয়ে মায়া, নাফিসা আর শাফায়াত বসে বসে টিভি দেখছিল রেহানকে এদিকে আসতে দেখে মায়া উঠে ঘরে যাওযার উদ্দেশ্যে পা বাড়ালো তখন রেহান বলে,
আমার বউয়ের ভাতিজী কম বান্ধুবি বেশি নাফু তোমার কাকী কম বান্ধুবীকে বলো তোমার ছোটো কাকা রেহান শিকদারের ঘরে যেতে যদি সে নিজ ইচ্ছায় না যায় তাহলে তুলিয়া নিতে বাধ্য হবো। সিদ্ধান্ত তার ওপর ছাড়িয়া দিলাম।
মায়া রেহানের কথা শুনে রাগে ফেটে যাচ্ছে কটমট করে কিছু বলবে তার আগেই সে রেহানের কাধের উপর ঝুলছে………….
মাঝখান থেকে নাফিসা বোকার মতো তাকিয়ে আছে পাশে বসে শাফায়াত হাসছে। শাফায়াতের হাসি দেখে নাফিসা তার দিকে শান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে নাফিসার তাকানো দেখে শাফায়াত বুঝলো নাফিসা তাকে ঝড়ের পূর্বভাস দিচ্ছে।
#চলবে………………….