Tuesday, July 29, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 1951



প্রতারক part 16

0

প্রতারক part 16
#Roja_islam

২ দিন পাড় হয়ে গেছে। আমি রাহুল কে কল দিয়ে দিয়ে মরছি কিন্তু ব্যাটা গুন্ডার কোনো পাত্তা নেই পুড়াই লাপাত্তা সে। এদিকে আমি ভাইয়ার করুণ চেহারা দেখে আমার বুক ফেটে কান্না আসে। কারণ কেউ না বুঝলেও আমি বুঝি ভালোবাসার মানুষ দূরে থাকলে কতটা কষ্ট হয়। আর ভাইয়ার অবস্থা খুব খারাপ। চোখের নিচে কালোদাগ পড়ে গেছে পূর্নির টেনশন এ। ভাইয়া ভেবেই নিয়েছে যে রাহুল তাকে মানবে না। এদিকে মা আমার পিছু পড়ে গেছে ভাইয়া এমন কেনো করছে কি হয়েছে বলতে। আমিও চিন্তায় চিন্তায় শেষ শেষে রাহুল ও প্রতারনা করবে আমাদের সাথে??
.
কিন্তু না রাহুল আমাদের সবার হাজার চিন্তায় এক বালতী পানি ঢেলে দিয়ে সকালসকাল নিজের বন্ধুকে নিয়ে আমাদের বাসায় আসে। শুক্রবার থাকায় ভাইয়া ও আজ বাসায় ছিলো। আমি ভাইয়া মা তিন জনি তাদের দেখে অবাক হলাম। মা রাহুল কে চিনতে পেরে অনেক আপ্পায়ন করছে। আর এই সেই গল্প করছে আর ভাইয়া বার বার নখ কামড়াচ্ছে আর আমার দিকে ভীরু চোখে তাকাচ্ছে। আমার ভাইয়ার অবস্থা দেখে হাসি পাচ্ছে প্রচুর আমি ভাইয়ার কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বললাম।
— ভাইয়া যদি রাহুল মার কাছে বিচার দিতে আসে তোর নামে তো??
.
ভাইয়া চোখ মুখ কুঁচকে ফিসফিস করে বললো।
— কি বিচার দিবে আমি কি করেছে??
— ভুলে গেছিস তোর জন্যই তো পূর্নি এক্সিডেন্ট করেছে। সেটাই যদি বলে তো।
.“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন


ভাইয়া ভয়ে কেশে দিলো। আমি মুখ চেপে হাসছি। এর মধ্যে দেখি রাহুল আমার দিকে তাকিয়ে বাঁকা হাসছে। এটা দেখার সাথে সাথে আমার ও কাশী উঠে গেলো। মা রাহুলের বন্ধুর সাথে কথা বলছিলো। আমাদের দুই ভাই বোন দের কাশতে দেখে বিরক্তি হয়ে বললো।
— কি শুরু করলি তোরা?? কাশছিস কেনো পানি খা।
.
আমি মা নাড়িয়ে ভাইয়াকে নিয়ে আমার রুমে চলে গেলাম। তারপর দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে হো হো করে হেসে দিলাম।ভাইয়া আজ অনেক দিন পড় হাসছে। তাও কি বোকামো করে।
.
ঐদিকে মাকে রাহুল সব বলে বুঝিয়ে।। আমি রুমে বসে দেখলাম মা পূর্নির এক্সিডেন্ট ভাইয়ার জন্য হয়েছে শুনে কাঁদছে। আসলে মা আর পূর্নির সম্পর্ক অনেক ভালো। পূর্মি বাসায় এলে দুজন চা করে গল্প করতো আমায় ফেলেই। আর এমন কোনো দিন নেই পূর্নি এলে মা নিজে না খাইয়ে দিয়েছে।আর তারি ছেলে জন্য পূর্নির জন্য এমন হয়েছে তা মা মানতে পারছেন না। পড়ে মা শান্ত হয়ে রাহুলের সাথে কথা বলে মার কোনো আপত্তি নেই। মার কথা তার ছেলে আর পূর্নি ভালো থাকলেই হবে।
.
আমি অবাক হয়ে রাহুলের কথা শুনছি এতো ভদ্রতার সাথে মার সাথে কথা বলছে আর আমার সাথেই তার যত গুন্ডামি। আস্ত খবিস একটা।
.
দুপুরবেলা রাহুল আর তার বন্ধুকে খাইয়ে দাইয়ে বিদায় দেয়। এর মধ্যে ভাইয়ার সাথে রাহুল একটাও কথা বলেনি হয়তো চাপা রাগ আছে। ভাইয়া অবশ্য অনেকবার কথা বলতে চেয়েছে কিন্তু রাহুল খারুছটা কথায় পাত্তা দেয়নি। ভাইয়া কথা বলতে না পেয়ে আমার দিকে করুণ চোখে তাকিয়েছিলো শুধু।রাহুল রা চলে গেলেই আমার কাছে আসে ভাইয়া।ভাইয়া কি বলবে বুঝতে পেরে বললাম।
— দেখ ভাইয়া আস্তে আস্তে সব ঠিক হবে এতো তারার কি আছে। বিয়ে তো ঠিক হয়েছে না চিন্তা করিস না কথা না বলে থাকতে পারবেনা।
— সেটা কথা নয় কিন্তু আমি সরি বলতে চাই। যে কেউয়ি তার বোনের সাথে এমন করলে তা মেনে নিবেনা। জানি কিন্তু সরি বলার সুযোগ ও তো দিলোনা আমায়!!
— হু ব্যাটা আস্ত বজ্জাত। তাও বোনের বিয়ে তোর সাথে দিতে রাজী হইছে তাই মনে হয় তোর সাত কপালের ভাগ্যো!!
— না পূর্নি আমায় ভালোবাসে সেটাই আমার সাত কপালের ভাগ্যো। তাই তো রাহুল রাজী না হয়ে পারেনি কিন্তু আমি সরি বলতে চাই হীর।
— শোন ভাইয়া সরি বললেই সব ঠিক হয়ে যায় না। তুই পূর্নিকে খুশী কর রাহুল তোকে ক্ষমা করতে বাধ্য বুঝেছিস!! কারণ পূর্নিকে তুই কষ্ট দিয়েছিস তুই ই ভুলিয়ে দিবি। এটাই হয়তো রাহুল আশা করে তোর থেকে তাই তোকে ক্ষমা করছেনা।
— হ্যাঁ তুই ঠিক বলেছিস। আমি আর পূর্নিকে কষ্ট দিবোনা। সব ভুলিয়ে দিবো ওকে। কিন্তু ওর দেখাই তো পাচ্ছিনা কিছু কর!! বিয়ে ঠিক হলে কি হবে বৌকে যদি চোখের দেখাই দেখতে না পারি??
— হিহি অপেক্ষা কর অপেক্ষার ফল মিষ্টি হয়।
.
বলেই ভাইয়ার গাল টানলাম ভাইয়া চোখ রাংগিয়ে চলে গেলো। আমি বুঝলাম বোনের মুখে এসব শুনে ভাইয়া লজ্জায় রেগে গেলো। আমি হাসছিলাম ভাইয়ার কথা চিন্তা করে আজ সারাদিন ভাইয়ার থেকে করুণ কেউ ছিলোনা বেচারা। রাহুল আচ্ছা বিচার করছে ওর। যাই হোক বোন টাকে তো দিচ্ছে আমার ভাইকে। চিন্তার মধ্যেই ফোন এলো হুবুজুবু হয়ে ফোন রিসিভ করলাম কানে দিতেই। গুন্ডাটার গম্ভীর কণ্ঠ।
— ছাদে এসো ফার্স্ট!!
— আমি…..
.
আমি কিছু বলার আগেই কেটে দিলো। তাই বাধ্য হয়ে চুপিচুপি ছাদে গেলাম। ছাদে পা রাখতেই রাহুল কোমর জরিয়ে ধরে দেয়ালে চেঁপে ধরলো আমায় ঘটনায় আমি হতভম্ব হয়ে গেলেও প্রথম পড়ে ছুটাছুটি করতে শুধু করি। রাহুল কোনো দিকে পাত্তা না দিয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে!! শেষে আমি কিছুই না করতে পেরে বললাম।
— কি করছেন আপনি? ছাড়ুন প্লিজ!!
.
রাহুল ডোন্ট ক্যায়ার ভাব নিয়ে আমার গলায় শব্দ করে চুমু খেলো। আমার চোখ বড়বড় হয়ে গেলো। চুমুর শব্দে আমি জেনো তব্দা খেয়ে গেলাম। মাথা ঝিমঝিম করছে। আর রাহুল বাঁকা হাসছে!! আমার আড়চোখে দেখছি আস্ত ফাজিল পুড়া। এই বাঁকা হাসি দেখি কই থেকে রাগচন্ডি ভর করলো আমার উপর দিলাম এক ধাক্কা। কিন্তু রাহুল নিজেই সরে গেলো ধাক্কা তার শরীলে লাগেনি। আমি রেগে চলে যাবো। রাগুল খপ করে আমার হাত ধরে হ্যাঁচকা টানে আমার পিঠ তার বুকে ঠেকালো। আর কানের কাছে এসে ফিসফিস করে বললো।
— একটা কথা বলতে চাই!! হীর শুনবে??
.
আমি কি শুনবো?? রাহুলের নিশ্বাস আমার কানে না সারা শরীল হিম করে দিচ্ছে। আমি ছুটতে চাচ্ছি।আমি কিছু শুনতে চাইনা এখান থেকে পালালে বাঁচি। কিন্তু নিজেকে ছাড়াতে আমি ব্যর্থ। রাহুল আমায় আরো চেপে ধরে তার সাথে। আর মৃদু চিৎকার দিয়ে বলে উঠে।
— স্টপ মুচড়ামুচড়ি ওকে!! না হলে সারারাত এভাবেই ধরে রাখবো আমি।
.
আমি পড়লাম মহা বিপদে কি চায় এই গুন্ডা। একটু আগে একে ভদ্র বলেও ভুল করেছি। এই ছেলে জীবনেও ভদ্রনা। আস্ত অসভ্য ছেলে কি ভাবে আমায় ধরে আছে ভাবতেই শরীল শিরশির করছে। তাড়াতাড়ি এই গুন্ডার থেকে ছুটতে হবে ভেবেই বললাম।
— কি বলার বলুন প্লিজ আর ছাড়েন আমাকে।
.
রাহুল আবারো আমার কানে তার ঠোঁট ছুয়িয়ে বলে উঠে।
— এভাবেই বলবো আমি!!
.
আমি কয়টা গালি দিলাম মনে মনে তারপর বললাম।
— তাড়াতাড়ি বলুন প্লিজ!!
.
রাহুল বাঁকা হেসে বললো।
— কেনো প্রবলেম হচ্ছে??
.
আমি দাঁতে দাঁত চেপে বললাম।
— না বলুন।
.
রাহুল এভার আমায় ছেড়ে সামনে এসে বললো।
— লজ্জা করছে!!
.
আমি কটমট করে তাকালাম তার দিকে অসভ্য ছেলে লজ্জা দিয়ে জিজ্ঞেস করে লজ্জা করছে নাকি। খবিস গুন্ডা। আমি চুপ করে রইলাম চোখ বুজে দৌড় দিবো রাহুলের কথায় থমকে গেলাম। রাহুল মৃদু চিৎকার করেই বললো।
— আই লাভ ইউ হীর!!
.
এই কথায় আমি থমকে রাহুলের দিকে তাকিয়ে দেখি রাহুল চোখ বন্ধ করে আছে মুখটা লাল হয়ে আছে হাত মুঠি বদ্ধ করে রেখেছে। আমি অবাক হয়ে গেলাম রাহুলের কথায় নয় রাহুলের এই আচরণ এ ব্যাটা গুন্ডা কি লজ্জা পাচ্ছে?? হঠাৎ এমন কথা আর এমন সিচুয়েশনেও আমি রাহুল লজ্জা পাচ্ছে কিনা ভাবছি ভেবেই আমি দৌড়ে নিচে চলে গেলাম। আর ভাবতে লাগলাম রাহুল কি বললো এটা সে তো সব জানে তারপর ও।
.
হীর চলে যেতেই রাহুল চোখ খুলে জোড়ে একটা শ্বাস ছাড়লো। জীবনে প্রথম কাউকে আইলাভ ইউ বলেছে রাহুল এটা একটু খানি কথা। বিরাট কাজ ছিলো এটা রাহুলের কাছে। ভাবতেই রাহুলেরি অবাক লাগছে তার মতো ইগোস্টিক আর এ্যটেটিউট অলা বয় নাকি চোখ মুখ বন্ধ করে আই লাভ ইউ বললো ছিঃ। বলেই রাহুল ধুপধাপ পা ফেলে নিচে গেলো গাড়ীর কাছে। রাহুলের বন্ধু নাহিদ তার ওয়েট করছে। নাহিদ রাহুলকে দেখেই হাসছে। রাহুল নিজের উপর রেগে দাড়াম করে গাড়ীর দরজা খুলে গিয়ে গাড়ীতে বসলো। সাথে নাহিদ ও। নাহিল রাহুলের দিকে তাকিয়ে হেসেই যাচ্ছে রাহুল তা দেখে রেগেই বললো।
— প্লিজ স্টপ ইয়ার।
.
নাহিদ এবার জোরেই হেসে বললো।
— ওরা দুই ভাই বোন দেখি তোদের দুই ভাই বোন কে পাগল করেই ছাড়লো? পূর্নি তো ভালোবেসে নিজেই গাড়ীর নিচে পড়লো। আর এখন তুই তুই কি করবি তাই ভাবছি রে।
.
নাহিদের কথার উত্তরে রাহুল বাঁকা হেসে বললো।
— আমি জয় করবো। এই প্রতারক প্রতারক খেলাম আমিই জীতবো। ওয়েট এন্ড সি!!!
.
নিহাদের মুখ ফ্যাকাসে হয়ে গেলো সে দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বললো।
— যাই করিস বুঝে শোনে দোস্ত।
.
রাহুল ড্রাইভ করতে করতেই এদিক ওদিক তাকিয়ে বললো।
— রাহুল কাঁচা খালোয়ার না রিমেম্বার না!!

.
উত্তরে নাহিদ বাঁকা হাসলো। রাহুলের রোগ রোগ তার জানা তাই আর কিছু বলার ইচ্ছা জাগলোনা নাহিদের।
.
এদিকে আজ দুদিন পড় বাসায় এলো শিহাব। কিন্তু কাউর সাথে কথা বলে নি নিজের ভুলের মাসুল সমেদ হীরের সেই কান্না মাখা চেহারা শিহাব ভুলতে পারছেনা।
না পারছে সব ভুলতে এখন জেনো শিহাবের শুধু হীরের কথা ভাবতেই
দিন যায়।
.
নিতুর মা নিতুর থেকে সব শুনে গিয়েছিলো হস্পিটাল কিন্তু কেউ উনার সাথে কথা বলতে নারাজ। অপমান করে তারিয়ে দেয় নিতুর মাকে শিহাবের বাবা। এদিকে নিতুও কেঁদে কেটে অস্থির তার যে সব কুল গেলো। নিতু তিন দিন যেই ছেলের সাথে ছিলো। সেই ছেলে তাদের পার্সোনাল ভিডিও বানিয়ে নিতুকে সেন্ড করেছে। আর ব্ল্যাকমেল করছে মোটা অংকের টাকার জন্য। নিতু ভয়ে শেষ কি করবে এখন সে। নিতুর মা দুদিন ধরে নিতুর জন্য চিন্তিত। এর মধ্যে নিতু এসব কথা কাকে বলবে বুঝতে পারছেনা নিতু। তার ইচ্ছা হচ্ছে আজ মরে যেতে নিজের উপর নিজেই ছিঃ ছিঃ করছে নিতু। এদিকে নিতুকে কলের উপর কল দিয়ে যাচ্ছে সেই ছেলে ভয়ে ফোন ধরছেনা নিতু।
.
.
এদিকে আমি হুরমুর করে নিচে এসে দেখি মার সামনে ভাইয়া মাথা নিচু করে বসে আছে। আমি অবাক হলাম এই সিন দেখে। আমায় দেখেই মা চেঁচিয়ে উঠে!!!
.
চলবে?
[সরি একবালতী আমি তাড়াতাড়ি গল্প শেষ করার চক্কোর এ একবারো গল্প সুন্দর করে শেষ করতে পারিনা তাই এবার গল্পের জন্য যা যা চিন্তা করেছিলাম সব দিয়ে লিখে শেষ করবো। তাই কিছু পর্ব বাড়বে তবে বোরিং হলে জানিও?? ধন্যবাদ সবাইকে এতো ভালোবাসা দেওয়ার জন্য আমার গল্পটাকে ?আর আজ মনেহয় অনেক অগোছালো হইছে একবার পড়েও দেখিনি তাই ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন?]
@Roja Islam

প্রতারক part 15

0

প্রতারক part 15
#Roja_islam

রাহুল ? আমি সামনাসামনি রেস্টুরেন্ট এ বসে আছি। রাহুলের চোখ মুখ শক্ত সে মাথা নুইয়ে বসে আছে ফোনের দিকে তাকিয়ে। কিন্তু আমি ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছি রাহুলের দিকে। পুড়াই একটা জুইস লাগছে গুন্ডাটাকে। তাই না চাইতেও খুটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছি রাহুল কে। অদ্ভুত সুন্দর লাগছে ছেলেটাকে!ছেলেরাও এতো সুন্দর হয়?? আমার তো যানাছিলোনা!! ছিঃ কি ভাবছি। এতো বড় একটা ছ্যাঁকা শিহাবের থেকে খাওয়ার পড়েও ছেলেদের দিকে তাকাস হীর তোর লজ্জা করেনা ছিঃ। অন্য ছেলে হলেও কথা ছিলো কিন্তু এই গুন্ডার দিকে চোখ দিস না দেখা গেলো চোখ উপরে ফেললো তো তখন কি করবি?? চোখ ছাড়া বাঁচবিতো চলতে পারবিতো?? ছিঃ ছোট বাচ্চার মতো কি সব ভাবছি আমি এসব? উফফ আমি না হয় ভাবছি কিন্তু এই গুন্ডা কি ভাবছে?? চুপ করে আছে কেনো?? ঝড়ের পূর্বাভাষ নাকি এটা!! আমার হাজার চিন্তার মধ্যে রাহুল গম্ভীরতার সাথে বলে উঠলো।
— রাতে কি কথা হয়েছে বলো আমাকে??
.
এতো গম্ভীর কণ্ঠ শুনে আমি আমতাআমতা করে জিজ্ঞেস করলাম।
— ইয়ে মানে আপনি কি রেগে আছেন!! রাতের জন্য???
.
উনি মনে হয় বেশ বিরক্ত হলো আমার কথায়!! ভ্রু কুঁচকে বললো।
— আমি রাগ করলে তোমার কি?? আর হবোইনা কেনো রাগ?? সামান্য কথা বলতে বলেছি সারারাত পার করে দিয়েছো তুমি।আমি কতো চিন্তিত ছিলাম?? ইউ হেভ নো আইডিয়া!!
.“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন


আমি বুঝলাম রাহুল রাতে টেনশন আর অপেক্ষায় ছিলো আমার কলের। আর নিজেও আমায় কল দিয়ে না পেয়ে হাইপার হয়ে গেছে!! তাই আমি মুচকি একটা হাসি দিলাম উনার দিকে তাকিয়ে। তারপর বললাম।
— সরি কথায় কথায় সব ভুলে গেছি!!
.
উনি আমার থেকে চোখ সরিয়ে বলে উঠলেন।
— একদম এভাবে হাসবে না প্রবলেম হয় আমার!! উফফ….!
.
আমি ভ্রু কুঁচকে বললাম।
— সরি?? হাসিতেও প্রবলেম??
.
এবার উনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন।
— হ্যাঁ প্রবলেম এই হাসিতে খুন হয়ে যাবো। আমি খুন হতে চাইনা!!
.
বলেই উনি বাঁকা হাসছে। আর আমার অবস্থা খারাপ। ব্যাটা বলে কি আমি আবার চরম অস্বস্তির শিকার হয়ে আশেপাশে তাকাচ্ছি আর হাত কচলাচ্ছি। আমার অবস্থা দেখে উনি কথা গুরানোর জন্য বললেন।
— রাতে কি হয়েছে ফার্স্ট থেকে লাস্ট বলে ফেলো। কুইক!!
.
আমি অস্বস্তি কাটিয়ে কিছুক্ষণ আমতাআমতা করে। গড়গড় করে সব বলে দিলাম। একদম শুরু থেকে শেষ সব কথা!!
.
সব শুনে রাহুলের যা বুঝার বুঝা হয়ে গেছে কাহিনী কি। রাহুল দ্রুত পদে উঠে দাঁড়ায় আজ সে। ঐ মহিলাকে দেখে নিবে অনেক হয়েছে!! আর না। ভেবেই সে হীরকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে।
— হীর চলো বাসায় যাবো আজ ভার্সিটি যেতে হবে না।
.
আমি অবাক হয়ে বললাম।
— কিন্তু কি হয়েছে??
এভাবে উঠে দাঁড়ালেন কেনো??
.
রাহুল রেগে বললো।
— প্রশ্ন করতে বলেনি। গেট আপ কুইক!!
.
আমি আর কথা বাড়ালাম না উঠে দাঁড়িয়ে রাহুলের পিছু হাটা দিলাম! ভয়ে না জানি আবার গর্জন দিয়ে উঠে। চলে এলাম বাসায় সারা রাস্তা রাহুল একটা কথাও বলেনি এদিকে আমার ভয় করছে।রাহুল কি তবে ভাইয়াকে মেনে নিবেনা???
রাহুল নিজের ফ্লাটে ঢুকেছে। আর আমি আমাদের ফ্লাটে চলে এসেছি। রাহুল যাওয়ার সময় ও কিছু বলেনি আমায় চিন্তা হচ্ছে কি হলো আবার এই ছেলের। এদিকে ভাইয়া কে কি বলবো তাও ভাবছি। রাহুল তো কিছুই বললো না। ভাইয়াকে দেখতে দিবে কিনা পূর্নিকে রাহুল?? উফফ এসব ভাবতে ভাবতেই দেখি মা এসে পাশে বসছে বেশ চিন্তিত লাগছে।তাই জিজ্ঞেস করলাম।
— মা কি হয়েছে এমন গুমড়ামুখ করে রেখেছো কেনো??
.
মা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বললো।
— হীর তোর ভাই কেমন জেনো হয়ে গেছে। খায় না ঘুমায় না ভালোকরে আমি কিছু বললে চেঁচামেচি করে উঠে। তুই এক্টু জিজ্ঞেস করবি কি হয়েছে ওর?? কোনো টেনশ……..!
.
আমি বুঝলাম মা কি বলতে চাইছে। তাই মাকে থামিয়ে দিয়ে বললাম।
— মা আমি কথা বলেছি সব ঠিক হয়ে যাবে। আর তোমার সঙি আসবে বাড়ী তে।আর ভাইয়ার টেনশন ও নিতে হবে না তোমার……….!
.
এই টুকু বলেই চুপ মেরে মার দিকে অসহায় আর হতভম্ব হয়ে তাকালাম। কি বলে ফেললাম আমি এসব ইশশ এখন কি হবে?? মা নিশ্চয় বোকা না যে কিছুই বুঝবেনা। মা আমার দিকে কপাল কুঁচকে সি আই ডি লুকে তাকালো। আমি ভয়ে দৌড় দিবো মা আমার হাত টেনে ধরলো।আর কর্কশ কণ্ঠে বললো।
— কি বলতে চাইলি তুই কি ঝটলা পাকাচ্ছিস ভাই বোন মিলে আমি দেখেছি কাল রাতে তোরা বাইরে গিয়েছিস কই গিয়েছিস বল আমায়।
.
মার কথা শুনে বুঝতে বাকি নেই মা সব দিক খেয়াল রাখে। আর আমায় এখন সবি বলতে হবে কিন্তু ভয়ে গলা শুকিয়ে যাচ্ছে আমার। ভাইয়া যদি জানে মা কে বলে দিয়েছিতো কি হবে উফফ। পড়ছি এক মাইনকা চিপায় কোন দিকে যাই এখন?? উফফ আল্লাহ ঠিক সেই সময় দরজা ঠেলে রুমে ঢুকলো রাইসা। আমি মার থেকে হাত সরিয়ে ওকে নিয়ে রুমে ঢুকে গেলাম ওর গালে দুইটা চুম্মা দিলাম জীবনে কোনো কাজে তো এলো এই ফক্কিন্নি!!! তাই কিছুতো পাওনা তাই ওধার না রেখে দিয়ে দিলাম কিসস কিন্তু তাতে রাইসা নিরাট ঝটকা খেয়েছে বুঝাই যাচ্ছে।ওর সাথে আড্ডা দিলাম মার ভয়ে আর রুম থেকে বেরুই নি আমি আল্লাহ জানে আবার কোন সময় ঝাপ্টে ধরে।
.
.
এদিকে রাহুল তার মার সামনে কটমট করে তাকিয়ে আছে। তিনি রাহুলের ফেইস দেখে ভয়ই পাচ্ছেন বেশ। রাহুল শান্ত স্বরে। কিন্তু রাগীগলায় জিজ্ঞেস করে উঠে।
— হিরাকে কি বলেছিলে তুমি পূর্নির কথা??
.
এই কথা শুনি উনি হকচকিয়ে উঠেন আর বলেন।
— কেনো কি হয়েছে!!
.
উনার হেলেদুলে কথায়।
রাহুল এবার আর নিজের রাগ নিয়ন্ত্রন করতে পারেনা। চেঁচিয়ে উঠে।
— মজা করছেন আপনি?? কি হয়েছে আপনি জানেন না? কত বার বলেছি আমার বোনের লাইফ থেকে দূরে থাকুন ভুলে যাবেন না আপনি আমাদের মা নায়ায়া।
.
রাহুলের মা টলমল চোখে বলে উঠে।
— রাহুল আই নো আমি আগে যা করেছি পূর্নির সাথে তোমার সাথে তা ভুল। কিন্তু সৎ মা হলেও আমি তোমাদের মা। আর পূর্নি ঐ সামান্য ছেলেটার সাথে বাজে রিলেশন এ জড়িয়ে যাচ্ছিলো তা আমি ওর ডাইরি পড়ে বুঝেছি।পূর্নিকে বললে ও কষ্ট পেতো। তাই ছেলেটাকেই বলেছি। খারাপ কি করেছি?
.
রাহুল গর্জিয়ে উঠে।
— ওহ প্লিজ স্টপ প্লিজ। আপনার মুখে বাজে বা ভালো রিলেশন এর কথা মানায় না বুঝেছেন!! আর ছেলেটা সামান্য হোক কি অসামান্য তা নিয়ে বলার আপনি কে?? আর কি খারাপ করেছেন বলছেন। পূর্নি আপনার ভালো করার জন্য মরতে বসেছে তা আপনার খবর আছে?? ১ মাস ও এ বাড়ী আসে না খবর নিয়েছেন পূর্নি কই?? এই আপনি ভালোচান ওর।
মেয়ে কই আছে কেমন আছে জানেন আপনি??
— পূর্নি তোমার ফ্লাটে গিয়ে প্রায় থাকে তাই আমি খোজ নেই নি। আর তুমি ঐ সামান্য ছেলের।
— জাস্ট শাট আপ আপনার মিনিমাম লজ্জাও নেই একদম ঐ সামান্য ছেলে ছেলে করবেন না ও আমার বোনে হ্যাসবেন্ড খুব তাড়াতাড়ি বিয়ের দাওয়াত দিবো খেতে আসবেন ওকে। আর হিরা দের আশেপাশে ও জেনো আপনাকে না দেখি।মাইন্ড ইট!!
.
বলেই রাহুল চলে যায় ফ্লাট থেকে বেরিয়ে।
রাহুলের মা বোকার মতো চেয়ে থাকে রাহুলের যাওয়ার দিকে।তারপর হঠাৎ তিনি রাগে ফেটে পড়েন। পূর্নিকে তিনি নিজে বিয়ে দিবেন তার বোনের ছেলের সাথে এই বিয়ে হতে দিবে না তিনি মনে মনে পন করেন।
সেটা যে ভাবেই হোক। তিনি কথা দিয়েছেন তার বোন কে সেই কথা তিনি রাখবেন যেভাবেই হোক। বলেই কটমট করেন তিনি।
.
.
রাহুল বিল্ডিং থেকে বেরিয়ে হীর এর বেল কুনিতে তাকায় একবার।একবার দেখতে পেলে ভালো ছিলো হীরকে। ঐ সময় রেগে কথাও বলা হয়নি ভালো করে। কিন্তু এখন পূর্নির কাছে যেতে হবে রাহুলের ভেবেই। গম্ভীর মুখেই চলে যায় সেখান থেকে।
.
.
এদিকে শিহাবের মা বাবা তাড়িয়ে দেয় নিতুকে না না অপমান করে পুরোপাড়া রটে যায় নিতুর কার্যকালাপ। তাকে তারিয়ে দিলে। নিতু কিছু বলতে পারেনা কি বলবে বলার মুখ সে নিজেই রাখেনি তাই চুপচাপ বেরিয়ে যায়। শিহাব কালকে হীরের থাপ্পড় খেয়ে এমনি ভেঙে পড়েছিলো তার উপর নিতুর এসব নিতে পারেনি। শিহাব সেখানেই বমি করে অসুস্থ হয়ে যায়। বিকেলবেলা শিহাবের অবস্থা আরো করুণ হয়ে যায়। একমাত্র ছেলের অবস্থা এমন হতে দেখে শিহাবের মা বাবা ও ভেঙে পরছেন। শিহাবের বাবা তার ভাইকে ফোন দেয়। শিহাবের চাচা শিহাব কে অনেক আদর করেন ছুটে চলে আসেন সব ফেলে শিহাবের কথা শুনে। উনি এসে শিহাবের অবস্থা দেখে ডক্টর এর কাছে নিয়ে যায়।
তাও শিহাবের অবস্থা এক্টু ও ভালো হয়নি।হস্পিটাল এডমিট করানো হয় শিহাবকে।
.
নিতু বাড়ীতে গেলে নিতুর মা নিতুর গালে পাঁচ আঙুর এর ছাপ দেখে।কপাল কুঁচকে জিজ্ঞেস করে।
— কি হয়েছে তোর নিতু কে মেরেছে তোকে?? গালে দাগ কেনো তোর??
.
এই কথা শুনে নিতু ভেতর চুরমার অবস্থা কতটা অপমানিত হয়ে এসেছে নিতু তা নিতুই জানে রাস্তা দিয়ে আসছিলো সময় সবাই ছিঃছিঃ করছিলো ওকে।
নিতু এসব ভেবে মাকে ঝাপটে ধরে কেঁদে দেয়।কাঁদতে কাঁদতে নিতু বলতে থাকে।
— মা আমি অনেক বড় ভুল করেছিমা নিজ হাতে সব শেষ করে দিয়েছি। আমি এতো খারাপ কি করে হতে পারলাম মা
হিংসায় আমি অন্ধ হয়ে গিয়েছিলাম মা। অন্যের সব শেষ করতে গিয়ে আজ আমি নিজেই শেষ মা।
.
.
চলবে?
[ প্যাচ নাই আমার গল্পে কোনো!! তাড়াতাড়ি শেষ করে দিবো।]
Roja Islam

প্রতারক part 14

0

প্রতারক part 14
#Roja_islam

ভাইয়া বলছে আমি চুপ করে শুনছি।
.
— আমরা এই বাড়ী আসার পড় থেকেই পূর্নি আমার পিছন পড়ে ছিলো!! আমায় দেখলেই এটা ওটা বলতো। দুষ্টুমি করতো আমি ভাবতাম ও ছোট তাই এমন করে। কিন্তু না এভাবেই অনেক গুলা বছর পেরিয়ে যায়। আর আস্তে আস্তে পূর্নিও চেঞ্জ হয়ে যায় কি জানি কি রকম বিহেভিয়ার ছিলো ওর কিন্তু আমি এসব পাত্তা দিতাম। কিন্তু প্রবলেম স্টার্ট যখন পূর্নি কলেজে উঠে ও আমাদের ক্যাম্পাস এ চলে যেতো আমার বন্ধ দের সাথে কথা বলতো আমায় নিয়ে এটা ওটা জিজ্ঞেস করতো। ওদের থেকে নাম্বার নিয়ে ফোন দিয়ে মাথা খারাপ করে দিতো। আমার খুব রাগ হতো এসব কেনো করেও?? এই ভেবে!! কিন্তু বাড়িওয়ালার মেয়ে তাই কিছু বলতেও পারতাম না!! কিন্তু ও ফোন দিলে ঝাড়ি দিয়ে রেখে দিতাম। এভাবে ও ভার্সিটি উঠে যায়। এই এতো দিন পূর্নি আমায় কি কি ভাবে জ্বালিয়েছে তোকে আমি বলে বুঝাতে পাড়বোনা। শুধু শুধুই ফোন দিয়ে এখানে যেও না ওখানে যেও না। রাতে দেরি করে ফিরোনা। আমি অবাক হতাম এই মেয়ে কতো ছোট তাও তুমি করে বলে সাহস কত রাগ আরো বাড়তে থাকলো দিন দিন ওর উপর। ভার্সিটি উঠে ওর সাহস আরো বেড়ে গেলো। এক দিন ওর নাম্বার বল্ক করে দেওয়ায় হাত কেটে পিক পাঠায় অনলাইন এ। তারপর আমি ঠিক করি ওর কি প্রবলেম সামনাসামনি জিজ্ঞেস করবো। ওকে ডেকে দেখা করি নিজেই। সে দিন আমি পাঁচ বছর এর রাগ ওর উপর ঢালি অনেক খারাপ বিহেভিয়ার করি কারণ আমি অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিলাম। ওর জন্য বন্ধুরা মজা করতো সারাদিন ওকে নিয়ে।খাওয়া দাওয়া ঘুম হারাম করে দিতো মেয়েটা ফোন দিন দিয়ে মেসেজ দিয়ে। আর কিছু হলেই নিজের ক্ষতি করতো। এসব রাগ মনে আর পুষতে পারিনি তাই ঐদিন ওকে অপমান করি। এতো অপমান করার পড় আমি ভেবেছিলাম। ওর মাথা থেকে আমার ভূত চলে যাবে কিন্তু এই মেয়ে আমায় অবাক করে আমার সামনেই বলে ভালোবাসি তোমাকে।
এই কথা শুনে রেগে আর কিছুনা বলে আমি চলে আসি সেখান থেকে। এতোকিছুর পড়েও ওর পরিবর্তন হয়নি বিন্দু মাত্র। আমি ও হাল ছেড়ে দেই। ফোন দিলে ঝাড়তাম না আর কথা বলতাম। বুঝাতাম আমার ক্যাম্পাসে জেনো না যায়। মেনে নেয় পূর্নি সব ভালোই ছিলো। রেগে যাওয়া আমি দুর্বল হয়ে পড়ি পিচ্ছি চঞ্চল মেয়েটার উপর। কিন্তু ওকে বুঝাতাম না কিছুই।
.“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন


আমি এবার বললাম।
— সব ঠিক থাকলে এসব কি করে হলো??
— আসলে আমি কিছু জানিনা। কিন্তু আমি ঐসময় তোর জন্য খুব চিন্তিত ছিলাম। দুদু বার মার জন্য বেঁচেছিস তুই। আমার মাথায় তোর কি হয়েছে এসব ই ঘুরপাক খেতে। একদিন চিন্তিত হয়ে বিল্ডিং থেকে বেরুচ্ছিলাম তো। বাড়িওয়ালা আন্টি মানে পূর্নির মা পিছন থেকে ডাকে আমায়। আমি উনার কাছে যাই আর সালাম দি। কিন্তু উনি উত্তর না নিয়ে আমায় অনেক কথা শোনায়। যেমন উনার মেয়েকে ফাঁসানোর সাহস কই পাই পূর্নির থেকে জেনো দূরে থাকি এইসব কথা আরো অনেক কিছু বলে আমায়। আমি চুপচাপ শুনে চলে আসি সেখান থেকে। তারপর থেকে পূর্নির ফোন ধরতাম না সব যায়গা বন্ধ করে দিয়েছিলাম যোগাযোগ করার। আমি ভেবেছিলাম পূর্নির সাথে আমার যান না। ও আমার থেকে হাজার গুন ভালো ছেলে পাবে। আর তাছাড়াও ওর জন্য আন্টি এতো কথা শুনিয়েছিলো আমায় সেটা মেনে নিতে পারিনি। কিন্তু পূর্নি পাগল হয়ে যায় কথা বন্ধ হওয়ায়। আমার ক্যাম্পাস যেতো রোজ সিন ক্রিয়েট করতো। আর একদিন রেগে আমি সবার সামনেই থাপ্পড় মাড়ি ওকে। অনেক অপমান করি। আর বলি আমি তোমায় পছন্দ করিনা বুঝোনা কেনো……। সেদিন পূর্নি কষ্ট পেয়েছে অনেক যানি কিন্তু আমি শক্ত ছিলাম। পূর্নি কিছুনা বলে চলে যায় সেখান থেকে তার এক দিন পড় থেকে আমি অনেক ট্রায় করি ওর সাথে কথা বলার কিন্তু পারিনি। ওকে কষ্ট দিতে গিয়ে নিজেই মরছিলাম ভেতর থেকে আমি। এর পড় ঐদিন তোর মুখে এসব শুনে আমি………!!
.
আমি কিছুনা বলে ভাইয়ার মাথায় হাত রাখলাম। ভাইয়া চুপ করে আছে। কিছুক্ষণ পড় আমি বললাম।
— আন্টির কথা শুনে তুই মেয়েটার সাথে এমন করে মোটেও ঠিক করিসনি!!
— আমি জানি হীর কিন্তু। ওর সাথে আমাদের যায় না হীর। পূর্নির ফ্যামিলি রিচ ওরা চাইলে পূর্নিকে অনেক অনেক ভালো যায়গায় বিয়ে দিতে পাড়বে আমি শুধু শুধু ওর লাইফ নষ্ট করতে চাইনি। পূর্নি আবেগে ছিলো। আমি এসব কড়লে ওর ভ্রম কেটে যাবে ভেবেছি..?
— হাসালি ভাইয়া পূর্নির ভেতর তোর জন্য যা ছিলো সেটা আবেগ হলে মরতে যেতো না পূর্নি। তুই ঠিক করিসনি।
— জানিনা কি করেছি আমি হীর কিন্তু এসব কিছুর পড় বুঝেছি ওকে ছাড়া আমি বাঁচবোনা! কিছুতেই না পূর্নি নামের ডিস্টার্ব আর পেইন আমার সব সময় চাই। হীর আমি তোকে অনেক জিজ্ঞেস করতে চেয়েছিলাম পূর্নি কোন হস্পিটাল আছে কিন্তু……!
.
আমি হেসে বললাম!
— পারিসনি তো??
— না!! হীর নিয়ে যাবি আমায় ওর কাছে প্লিজ।আমি আর পারছিনা নিজের ভুলের মাশুল দিতে।
— রাহুলের সাথে কথা বলতে দে তারপর। ঐ ব্যাটা তো তোকে পাড়লে মেরে ফেলতো।
— মেরে ফেললেই ভালো হত উপযুক্ত শাস্তি পেতাম। কি করে পারলাম আমি হীর ওর সাথে এমন করতে?? পূর্নি আমায় কোনোদিন ক্ষমা করবে না নিশ্চয়।
— চিন্তা করিস না ভালোবাসলে অবশ্যই ক্ষমা করবে। কিন্তু একটা পয়েন্ট পূর্নির মা জানলো কেমনে তোর কথা??
— আমি জানি না। পূর্নির বান্ধবী দের সাথে কথা বলে ছিলাম কাল জিজ্ঞেস করেছি আন্টি জানলো কিভাবে আর পূর্নি কোন হস্পিটাল আছে। কিন্তু অবাক বিষয় ওরা কেউ কিছুই জানেনা যে পূর্নি এক্সিডেন্ট করেছে।
— হ্যাঁ আমি তো ঐদিন মিথ্যে বলেছি পূর্নির ফ্রেন্স দের সাথে ওকে দেখতে গিয়েছি।
— হ্যাঁ সেটা তো আজ জানলাম। কিন্তু রাহুল ই বা তোর জন্য এতো করছে কেনো আর আমায় মেনে নিতে রাজী কেনো??
— আমার জন্য হয় তো মানুষত্ব থেকে করেছে যা করেছে। আর তোকে মেনে নিবে বোনের জন্য। কারণ বোন কে ভালোবাসে অনেক রাহুল। সেটা বুঝেছি আমি!!
— হয় তো!!
.
আরো অনেক কথা বলতে বলতে আযান দিয়ে দেয় ভোরের। আমি ভাইয়া অবাক হয়ে আকাশে তাকাই। কালো থেকে নীল আভা ফুটে উঠছে আকাশের বুক। পাখিদের কিচিরমিচির ডাক কানে আসছে। সাথে ঠান্ডা বাতাস আর রাত ভয় ভাইয়া আমি কষ্ট ভাগ করতে পেরে সকাল টা যেমন নতুন নতুন লাগছে। আমি অবাক হয়ে আশপাশ দেখছি। ভাইয়া আমায় বললো।
.
— শোন হীর??
— বল!!!
— আর কখনো কিছু লুকাবিনা আমার থেকে তুই মনে থাকবে??
— থাকবে!!
— আর হ্যাঁ শিহাব যদি কিছু করে সবার আগে আমায় বলবি!!
— আচ্ছা বলবো। এখন চলো নিচে যাই মা খুঁজবে আমি রাহুলের সাথে কথা বলে নিয়ে যাবো তোমায় পূর্নির কাছে!!ওকে??
.
ভাইয়া আমার কথা শুনে করুণ স্বরে বললো।
— সব ঠিক হয়ে যাবে তো হীর!!
— ভাইয়া চিন্তা করিস না তোর কপালে ঐ ডিস্টার্ব ই লিখা আছে!!
.
ভাইয়া আমার কথা শুনে হাসলো। আর বললো।
— আমার জন্য কতো কিছু করছিস। কিন্তু আমি তোর কষ্ট বুঝিনি হীর।
— ভাইয়া তুমি না জানতে কিভাবে আমার হেল্প করবে?? এসব বাদ দাও আমি ভুলে যাবো সব। তুমি শুধু দোয়া করিও বুঝেছো??
— হুম। চল নিচে যাই।
.
হীর নিজের রুমে ঢুকে ফোন হাতে নিয়ে দেখলো প্রায় হাজার কল এসেছে রাহুলের নাম্বার থেকে।হীর ঢোগ গিললো দুইটা।
.
আল্লাহ মালুম কি আছে কপালে এতো কল। না জানি গুন্ডাটা কি করে। না কি আর করবে গুন্ডা টা এতো ও খারাপ না রাহুল মুচকি হেসে মেসেজ দেয় রাহুল কে হীর।
.
.
সারারাত শিহাব বাড়ী ফিরে নি সেই নিয়ে নিতুর কোনো মাথা ব্যথা নেই। সারারাত ফোন আলাপে ব্যস্ত ছিলো নিতু। সকালে বাইরের চেঁচামিচি শোনে। রাগে গজগজ করতে করতে বাইরে গেলো সে। যেতেই গালে পাঁচ আঙুল বসিয়ে দেয় নিতুর শাশুড়ি।নিতু অবাক হয়ে রেগে কিছু বলবে। তার আগেই নিতুর শ্বশুর চেঁচিয়ে উঠে।
— এই অপবিত্র মেয়ে বিয়ে করেছে তোমার ছেলে দেখো। আমি বারবার বলেছি এই মেয়ে ভালোনা।
.
নিতু অবাক হয় এসব শুনে। নিতু তার শাশুড়ির দিকে তাকিয়েই আতকে উঠে। রেগে ফেটে যাচ্ছেন তিনি। নিতুর শাশুড়ি নিতুর মুখের উপর কিছু ছবি ছুঁড়ে মারে। নিতু একটা ছবি হাতে নিয়ে দেখেই চুপসে যায়। নিতুর শাশুড়ি তেতে উঠে বলে।
— কেনো করলি এমন আমার ছেলের সাথে??? হ্যাঁ!! ছিঃ ঘেন্না করছে আমার। আমার স্বামী রাজী না থাকা স্বত্বেও আমি তোকে আমার বাড়ীর বৌ করে তুলি। আর তুই আমার ছেলেকে ফাঁকি দিয়ে পরপুরুষ এর সাথে ফূর্তি করিস বাইরে গিয়ে!!
.
নিতুকে অপমান এর উপর অপমান করতে থাকে শিহাবের মা বাবা। নিতু মাথা নিচু করে আছে সে এভাবে ধরা খাবে ভাবেনি। এর মধ্যে ড্রইং রুমে। উষ্কখুষ্ক চুলে চোখ মুখ ফোলা অবস্থায় শিহাব উপস্থিত হয়। শিহাব চমকে যায় সকাল সকাল সবাইকে ড্রইং রুমে দেখে। শিহাব কে দেখে তার বাবা তাচ্ছল্য হেসে বলে।
— দেখেছো রুবি তোমার ছেলের কি অবস্থা?? হাহা শিহাব তোর জন্য কিছু আছে বাবা। আজ সকালে নিউজপ্যপারের সাথে সেই গিফট এসেছে।
.
শিহাব ভ্রু কুচকায় বাবার কথায়। এদিকে নিতুর শরীরের লোম লোম কাঁপছে ভয়ে। কি হবে শিহাব এসব দেখলে?? শিহাব তার মার দিকে তাকিয়ে বললো।
— মা কি হচ্ছে এখানে বাবা কি বলছে।
— তোর গুণধর বৌ এই নে দেখ কি করে বেড়ায়।
.
বলেই শিহাবের হাতে ছবি ধরিয়ে দিলো। শিহাব ছবিটা দেখে স্তব্ধ। এর মধ্যে শিহাবের নিজের ফোনে টুংটাং একটা শব্দ হলো।তাতে শিহাবের খেয়াল নেই শিহাব পায়ের নিচে মাটি নেই শিহাব ধপ করে মাটিতে বসে পড়লো।। শিহাব এর মা আঁচলে মুখ গুজে কাঁদছে। তা দেখে শিহাবের বাবা বললো।
— বুঝলে রুবি এখন ছেলের কষ্ট দেখে কান্না করে লাভ কি?? ছেলে মেয়ে ভুল করতে গেলে তাদের সঠিক পথ দেখাতে হয়। কিন্তু তুমি তো ছেলের কথায় ই নাচো ঠিক ভুল জ্ঞান দেওয়ার বদলে। আজ তার ফল দেখো!!!
.
বাবার কথা শুনে শিহাব হু হু করে কেঁদে দেয়।যাই হোক শিহাব ভাবেনি নিতু তার সাথে এমন করবে?? নিতু স্টাং হয়ে দাঁড়িয়ে আছে মাথা নিচু করে।
.
.
এদিকে রাহুলের কাছে মেসেজ আসে আস্ফির।
— ডান ব্রো।
.
মেসেজ পড়ে বাঁকা হাসে রাহল। তারপর হীর কে মেসেজ দিয়ে একটা রেস্টুরেন্ট এ আসতে বলে সেখানেই কথা হবে। ফোন রেখে ওয়াশরুম যায় রাহুল। রাগে মাথা ফাটছিলো রাহুলের কিন্তু হীরের মেসেজ পেয়ে নিজেকে শান্ত করে রাহুল।
মেসেজে হীর এই টুকুই লিখেছে।
— কথা বলতে বলতে রাত পার হয়ে গেছে গুড নিউজ আছে দেখা করে বললো সব।
.
এই গুড নিউজের কথা শুনে রাগ কমে রাহুলের। ফ্রেস হয়ে নিজেকে ব্ল্যাক এ জড়িয়ে নিয়ে। স্টাইলের সাথে বেরিয়ে পড়ে রাহুল।
.
.
চলবে??
[ভুল ত্রুটি বলিয়া আমায় লজ্জা দিবেন না প্লিজ আমি নষ্ট একটা ফোন দিয়ে গল্প লিখছি আপাদত। বাইরে যাওয়া নিষেধ তাই ঠিক ও করাতে পারছিনা ফোন। তাই ভুক ক্ষমা করবেন প্লিজ ♥]
Roja Islam

প্রতারক part 13

0

প্রতারক part 13
#Roja_islam

রাহুল কারে বসে বাঁকা হেসে বলে উঠে। মিস্টার শিহাব। দুলাভাই ডাকতেই কুতপাত?? আরো অনেক বাকি কিছুদিন পড়ে হীর এর মেয়ে আপনাকে মামা বলে ডাকবে তার জন্য প্রস্তুত হও ব্রাদার।এবার রাহুল তার চোয়াল শক্ত করে বলে উঠে। মিস্টার শিহাব তোকে যদি নাকানিচুবানি না খাইয়েছি তো আমার নাম রাহুল নয়।
তারপর হালকা হেসে সিটে মাথারেখে রাহুল বলে উঠে। এন্ড মাই স্লিপিংকুইন জাস্ট ব্লাস্ট করে দিয়েছো দুলাভাই টা জোশ ছিলো। রাহুল চোখ বন্ধ করে ঐ সময় এর হীর এর কথা গুলা ভাবে তাকে বয় ফ্রেন্ড বলেছে হীর। রাহুল বিড়বিড় করে তুমি বয়ফ্রেন্ড বানিয়েছো। আমি অন্য কিছু বানাবো জাস্ট থরাছা ওয়েট কুইন।
.
তারপর রাহুল চলে যায় কার নিয়ে হস্পিটাল তার বোন এর কাছে। দু এক দিনের মধ্যে জ্ঞান ফিরতে পারে পূর্নির। তার আগে হীর কে কথা বলাতে হবে হিরার সাথে।হিরার মনে কি আছে জানতে হবে। হীরকে রাহুল বলেছে কলেজ থেকে নিয়ে যাবে রাহুল এসে। হীর জেনো ওয়েট করে তার। রাহুল ভাবে যাওয়ার সময় ই কথা বলবে হিরার ব্যাপারে। টেনশন হচ্ছে রাহুলের হিরা কি বলবে!! তাই ভেবে!!
.
নিতু আজ বাড়ী ফিরেছে তবে নিজের না শিহাবের বাড়ী এসেছে।নিতুকে দেখে শিহাবের মা কিছুনা বললেও শিহাবের বাবা এই সেই বলে অপমান করছে নিতুকে। তাই নিতু রেগে শিহাব কে বাড়ী এসে থেকেই ফোন দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু রিস্পোন্স নেই কোনো শিহাবের।রেগে ফেটে পড়ছে নিতু। শিহাবের বাবাকে ইচ্ছা মতো গালি দিচ্ছে ঘরে বসে।
.
শিহাব কেন্টিনে আড্ডা দিচ্ছি সবাই এই সেই কথা বললেও শিহাবের। মাথায় শুধু এক্টু আগের কাহিনীই ঘুরপাক খাচ্ছে।আর নিতুর কল দেখে বেশ বিরক্তি লাগছে তাই সাইলেন্ট করে রেখে দিয়েছে। শিহাব অপেক্ষা করছে হীর এর ক্লাস শেষ হওয়ার। তার ভাবনা এখন তো ঐ রাহুল হীরের সাথে নেই। তাই টাইট দিবে হীরকে সে। ভাবতেই চোয়াল শক্ত হয়ে আসে শিহাবের।
.
এদিকে……
হীর ক্লাসে কোনো মনোযোগ দিতেই পারছেনা। তার এক্টাই চিন্তা সে রাহুল কে এসব কেমনে বললো। রাহুলের সামনে কিভাবে যাবে??কি ভাবলো রাহুল!!
.“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন


বার বার শুধু হাত কচলাচ্ছি। এটা হচ্ছে চরম অস্বস্তির আর একটা অংশ।আমি যখন অস্বস্তি তে পড়ি তখন হয় কাশী না হাত হয় হাত কচলানো এই দুইটা মুখ্যকাজ করে থাকি। ক্লাসে আছি তাই কাশী টাসি দিয়ে ক্লাসের পরিবেশ নষ্ট করার মানেই হয়না। তাই হাতের উপর অত্যাচার চাকাচ্ছি। ছিঁড়েই ফেলবো আজ হাত দুটি এমন অবস্থা করছি কিন্তু তাদে বিন্দুমাত্র ও অস্বস্তি কমছেনা কেমন টা লাগে অসহ্য। কিন্তু একটা বিষয় অবাক আমি রাহুল কে বফ বলায় এখন অস্বস্তি হলেও ঐ সময় যখন ওর হাত ধরে বলেছিলাম কথা গুলো আমার না লেগেছিলো ভয়, না অস্বস্তি, না অন্য কিছু, ছিলো একরাশ ভরসা। জেনো রাহুল পাশে থাকলে আমি সব কিছুর সাথে লড়াই করতে পারবো কোনো ভয় নেই। আচ্ছা রাহুল পাশে থাকলে ভুলতে পারবো আমি শিহাব কে!! ঐ কালো অতীতকে হয় তো পাড়বো!! কিন্তু রাহুল কেনো থাকবে আমার পাশে! শিহাব ভালোবেসে যা করলো আর রাহুল হুহ!!
.
আমার আজো মনে বহু প্রশ্ন কেনো শিহাব এমন করলো আমার সাথে??? যদি বিয়ে করারি ছিলো বিয়ের আগের দিন পর্যন্ত ও কেনো সব ঠিক রেখেছিলো আমাদের মধ্যে। আসলে ঠিক রেখেছিলো নাকি৭ রাখার অভিনয় করেছিলো শিহাব?? যাই হোক নিখুঁত অভিনয় ছিলো তাই তো টের ও পাইনি আমারি বেস্ট ফ্রেন্ড…….!
স্টপ হীর নিতু কোনো দিন ছিলোই না আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। যা ছিলো দেখানো। ঐ প্রতারক দের কথা ভাবাও পাপ। আমি সব ভুল তে চাই। ভুলে যাবো ঠিক ভুলে যাবো। সেই দিন আসবে খুব তাড়াতাড়ি আসবে আমি আবার আগের মতো হয়ে যাবো ঠিক হয়ে যাবো। চোখে আশা পানি গুলো হাতে নিয়ে একবার দেখেনি। তারপর তাচ্ছল্য হাসি আমি এখনো ঐ পতারকদের কথা ভেবে কাঁদি আশ্চর্য বিষয়। কতটা নির্লজ্জ আমি ভাবতেই নিজের উপর বেশ রাগ হলো। নিজের রাগ নিজে নিয়েই বসে ক্লাস করলাম।
.
ক্লাস শেষে ক্লান্তি আর সেই রাগ নিয়েই। নিচে নামছিলাম হঠাৎ কেও পিছন থেকে হাত আর মুখ চেপে ধরে ফাঁকা একটা রুমে নিয়ে আমায় ছুঁড়ে মারলো এক প্রকার। আমি আর এক্টু হলে মুখ থুবড়ে পড়তাম বহু কষ্টে নিজেকে সামলে দাঁড়ালাম। পিছনে ফিরে শিহাব কে আমার দিকে রাগ নিয়ে তাকিয়ে থাকতে দেখে আমার গাঁ পিত্তি জ্বলে উঠলো। তার উপর শিহাব চেঁচিয়ে উঠলো।
— হাউ ড্যায়ার ইউ হীর। তোমার সাহস দেখি দিন দিন বাড়ছে……..!
.
আর বলতে দিলাম না শিহাব কে রেগে রাগচন্ডি জেনো ভর করলো আমার ভেতর।হেটে সেকেন্ডের ব্যবধানে আমি শিহাবের সামনে গিয়ে কষে শিহাবের দুই গালে দুইটা ঠাশঠাশ চড় বসিয়ে দি। এতো জোরেই দিয়েছি আমার নিজের হাতই জ্বলছে প্লাস কাঁপছে। শিহা স্তব্ধের নেয় দাঁড়িয়ে আছে মাথা নিচু করে। হয় তো ভাবেনি আমি এমন করবো। কিন্তু আজ যা শিহাব ভাববে না আমি তাই করবো। আমি আমার কাঁপা হাত উঠিয়ে আঙুল তুলে শাশিয়ে বললাম।
— তোর মতো প্রতারকের সাহস কি করে হলো আমায় টাচ করার?? আমার কি সাহস কত টুকু জানার!!! শোন কান খুলে শোন আমার থেকে দশ হাত দূরে থাকবি।না হলে লনির মতো গায়াব হতে হবে বুঝেছিস??
.
এইটুকু বলেই আমি গটগট করে হেসে চলে আসি সেখান থেকে। তারপর ভার্সিটির থেকে বেরুতেই দেখি রাহুলের গাড়ী বনিতা না করে গিয়ে বসে পড়ি আমি। আমার খুব ভালো লাগছে ক্লাসে যেই রাগটা নিজের উপর ছিলো শিহাবের জন্য নিজের উপর। সেটা শিহাবের উপরেই বের করতে পেরে মনে যেই চাপা কষ্টের পাথর ছিলো। সেটা আজ অনেক হালকা হয়ে গেছে। আমি চুপচাপ বসে আছি পাশে রাহুল ড্রাইভ করছে। আড় চোখে তার দিকে তাকাতেই বুঝলাম রাহুল চিন্তিত তাই হালকা হেসে আমি বললাম।
— চিন্তা করবেন না আজ আমি ভাইয়ার সাথে কথা বলবো।
.
হীরের এই কথায় রাহুল বিস্ফারিত হলো। সে তো কিছু বলেনি কথা বলার কথা এখনো তবে বুঝলো কি করে হীর??তবে যে ভাবেই বুঝুক এক্টু রিলিভ লাগছে হীরের কথায় রাহুলের। কারণ সে ভেবেছিলো হীর কথা বলতে রাজী হবেনা। তাই তো তিন দিন বাসা থেকেই বের হয়নি এই মেয়ে তার শাস্তি স্বরূপ ই সকালে কামড় টা দিয়েছিলো হীরের ঘাড়ে। কিন্তু বুঝেনি হীর!! এতোকিছু ভাবলেও হীরের কথার উত্তরে রাহুল কিছু বললোনা। এক্টু পড় বললো।
— আমি তোমায় রোজ ভার্সিটি দিয়ে আসবো আর নিয়েও ওয়েট করবে আমার।
.
হীর সাথে সাথেই বললো!!
— আচ্ছা কেনো করছেন আমার জন্য এতো??
.
উত্তরে রাহুল সেই তীক্ষ্ণ চাহুনির সাথে। বাঁকা হাসি দেয় আর বলে উঠে।
— কুশ্চেন করতে বলিনি। যেটা বলেছি সেটা মাথায় রেখো তাতেই হবে।
— পাড়তে কি আর গুন্ডা বলি???
— সেটাই গুন্ডার গুন্ডামি দেখতে না চাইলে বেশী কথা বলবা না। রাতে ফোন দিবো হিরা কি বলে যানাবা আমায় পূর্নির জ্ঞান ফিরার আগে হিরার প্রবলেম কি জানা দরকার। তাই আজ রাতেই কথা বলো ওকে??
— ওকে কিন্তু একটা কথা!!
— কি কথা??
— মানে আমি বলেছিলাম মার সামনে পূর্নির এক্সিডেন্ট করেছে বলেছিলাম আমি সেদিন বাসায় গিয়ে সেখানে ভাইয়াও ছিলো!!
— সো হোয়াট নাও!!
— মানে পূর্নি এক্সিডেন্ট করেছে শুনে ভাইয়া ইদানীং কেমন জেনো হয়ে গেছে!! আমার মনে হয় ভাইয়া ও পূর্নিকে ভালো..বাসে!!
— তাহলে ওকে ফিরিয়ে দিলো কেনো তোমার ভাই??
— আমার মনে হয় অন্য কোনো কারণ আছে ভাইয়ার রিজেকশন এর পিছনে!!
— কি কারণ থাকতে পারে এমন যে হিরা..!!
— শুনুন চিন্তা করবেন না সেই কারণ টা আমি ভাইয়ার সাথে কথা বলে জানার চেস্টা করবো।
.
রাহুল আর কিছু বলে না। বাসায় পৌঁছে দিয়ে আসে হীর কে আর একটা কথা বলে আসে হীর কে তার পূর্নি ছাড়া কেউ নেই। এটুকু বলেই চলে যায় রাহুল। হীর তাকিয়ে রয় রাহুলের যাওয়ার দিকে। এই এক লাইন কথার মধ্যে বুঝতে চাইলে অনেক কিছু বুঝার আছে আর হীর সেটা বেশ ভালোই বুঝেছে!! রাহুলের শান্ত কথাটায় বহু আকুতি আর ছটফট ভাব ছিলো। রাহুল এটাই বুঝিয়েছে আমি তোমার উপর সব ছেড়ে দিলাম।
.
সন্ধ্যা ৬ টা থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছি। ভাইয়ার সাথে কথা বলার জন্য এখন ১২ টা বাজে সবার খাওয়াদাওয়া শেষ মা, ঘুমিয়ে গেছে। ভাইয়া তার রুমেই আছে তবে কি করছে যানি না। তবে আমি জানি আমায় কি করতে হবে। আল্লাহ ওর নাম নিচ্ছি বারবার। আর ভাবছি আমায় পারতেই হবে। আসলে ভাই বোন যতোটা ফ্রী হয় ততটা ফ্রী আমি নই ভাইয়ার সাথে। আমাদের মধ্যে ঝগড়া ঝাটিও হয়না ভালোবাসা টা প্রকাশ ও করা হয়না। না তেমন কথা হয় ভাইয়ার সাথে আমার তবে আমি জানি ভাইয়া আমায় খুব ভালোবাসে আর আমিও। কিন্তু এসব কথা মনেই থেকে যায় বলা হয়না। আমাদের কাজ ছাড়া তেমন কথা হয় না। আর আজ আমি ভাইয়ার লাইফ নিয়েই কথা বলতে যাবো তাও কি একটা ব্যাপারে। তার উপর আমি ছোট বোন। লজ্জা লাগছে আর ভয় ও ভাইয়া যদি ধমক দেয় বা অন্যকিছু বা তারিয়ে দেয়। তাহলে রাহুল কে কি বললো। ছেলেটা আমার জন্য কতোকিছু করেছে। তারপর আজকে যাওয়ার সময় কথাটা উফফ ….. এটা ভাবতেই। আমি দরজায় টুকা দিলাম ভাইয়ার। দু তিন বার দিতেই দরজা খুলে দিলো।আমি ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে দেখি চোখ মুখ ফুলে আছে কেনো বুঝলাম না। ভাইয়া আমায় দেখে বললো।
— তুই কিছু বলবি?? এতো রাতে ডাকলি যে কিছু হয়েছে তোর??
.
আমি শান্ত ভাবে বললাম।
— কথা আছে তোমার সাথে ভাইয়া!!
.
হীরা অবাক হলো কারণ হীর তুই করেই বলে তাকে। তবে আজ কি হলো তাও কি ভেবে শান্ত ভাবে বললো।
— ছাদে যাবি??? আমার ইচ্ছে করছে চল যাই!!
.
আমার এক্টু কষ্ট ও হলোনা বুঝতে ভাইয়া কতটা কষ্টে আছে। আমি মুচকি হেসে বললাম।
— চলো আমারো ইচ্ছে করছে।
.
.
ছাদে দাঁড়িয়ে আছি পাশেই ভাইয়া আকাশ দেখছে আমি ভাইয়াকে। ভাইয়া আকাশ দেখতে দেখতে বললো।
— কি জেনো বলবি??
— হ্যাঁ…
এক্টু শ্বাস নিয়ে বললাম। ভালো আছো তুমি ভাইয়া??
.
হিরা চট করে তাকালো হীরের দিকে আজ হিরার সত্যি খুব বড়বড় লাগছে তার বোন কে!! হালকা হাসলো হিরা তারপর বললো।
— তোর সামনে দাঁড়িয়ে আছি মানে ভালোই আছি!!
— প্লিজ ভাইয়া একটা সত্যি কথা বলবে আমায়??একদম সত্যি কিছু লুকানো যাবেনা।
.
হিরা হীরের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে বললো।
— বলবো তবে তোকেও কিছু সত্যি বলতে হবে। রাজী??
.
আমি অবাক হয়ে বললাম।
— কি জানতে চাও তুমি??
— ভুলে গেছিস তুই? আমি ভুলিনি। দু তিন বার সুইসাইড করার চেস্টা করেছিস তুই তিন থেকে চার মাস ঘর বন্দি ছিলি তুই কেনো?? কি ভাবিস কিছু বলি না তাই বলে তোকে এই অবস্থায় দেখে আমার কষ্ট হয় নি। জানতে ইচ্ছে করেনি কেনো আমার বোন এসব করছে। এসব করার জন্য তো বাবা চলে যাওয়ার পড় থেকে তোকে মানুষ করিনি হীর। খুব কষ্ট দিয়েছিস তুই আমায় আর মাকে। কেনো তুই এমন করেছিস জানতে চাই আমি। আমি বা মা কোনোদিন তোর চোখে পানি আসে এমন কিছু করিনি তোকে স্বাধীন থাকতে দিয়েছি আজো আছিস।যা চাই চাওয়ার আগেই পেয়েছিস তুই। তোবে কেনো তুই সুইসাইড করার চিন্তা করলি হীর তোর যদি কিছু হয়ে যেতো তো…….!
.
এক নিশ্বাস এ ভাইয়া এটুকু বলেই থামলো। আর আমি চোখের জল ফেলছি। নিজের কথা ভেবে আমি নিজের অজান্তে কিছু প্রতারক দের জন্য। নিজের কলিজার থেকে দামী কিছু মানুষ কে কতটা কষ্ট দিয়েছি। তা আজ ভাইয়ার প্রতিটা কথায় বুঝতে পাড়ছি। ভাইয়ার অভিমান জড়ানো কথায় আমার বুক ফেটে কান্না আসছে।
.
কিন্তু আমি এও ঠিক করেছি আজ সব বলবো ভাইয়াকে সাথে ক্ষমাও চাইবো। ভাইয়া যা শাস্তি দেয় যা ভাবুক আজ সব বললো। কাছের মানুষের কাছে দুঃখ গুলা বলতে পারলেও শান্তি লাগে আজ আমি শান্তি চাই খুব করে চাই!!
.
ভাইয়া অন্যপাশে তাকিয়ে আছে হয়তো কাঁদছে। আমি আর কিছু না ভেবে বলতে শুরু করলাম সব টা আর কান্নায় ভেঙে পড়লাম। তাও শিহাবের সাথে শুরু থেকে আজ এই মুহূর্ত পর্যন্ত। রাহুল, পূর্নি নিতুর সবার কথা বলেই আমি জোরে একটা নিশ্বাস নিলাম। বিশ্বাস করুন খুব শান্তি লাগছে কষ্ট গুলা ভাগ করতে পেরে। ভাইয়া আমায় জরিয়ে ধরে আছে ভাইয়া কাঁদছে।
.
হিরা কিছুটা স্তব্ধ হয়ে গেলো সব শুনে।
— এতো কিছু একা সহ্য করলি?? কেনো?? আমরা পড় ছিলাম একবার বললি না আমায় হীর।
.
আমি কাঁদতে কাঁদতে হেচকি তুলে বললাম।
— সরি ভাইয়া মাফ করে দে। আমি যা করেছি সব ভুল করেছি। প্লিজ ক্ষমা করে দে।
.
হিরা বোন কে শান্তনা দেয়। হীরের কান্না থামছেই না। অনেক সময় পড়ে হীর কান্না থামায়। হিরা ভাবতে পারেনি তার বোন এতোকিছু সহ্য করেছে।
.
হীর অনেক্ষণ পড় ভাঙা গলায় বলে উঠে।
— আমি সব বলেছি ভাইয়া তুই বলবিনা। পূর্নির সাথে এমন কেনো করেছিস??কি হলো বল প্লিজ!!
.
হিরা দীর্ঘশ্বাস ফেলে।বোনের দিকে তাকায়। তারপর বলতে শুরু করে…
.
.
চলবে??
[ এক দিন ছোট দিবো তো একদিন বড়। তা নিয়ে কষ্ট পেও না প্রিয় রিডার্স বাশী। কিন্তু আমি খুব হতাস হই গল্প না পেলে কতো চিৎকার অভিযোগ। কিন্তু রিস্পোন্স এর বেলায়। একদিন আছে তো আর খবর নেই।☺]
Roja Islam

প্রতারক part 12

0

প্রতারক part 12
#Roja_islam

গাড়ী থেকে নেমে আমি চোখ মুখ কুঁচকে গুন্ডাটার দিকে তাকিয়ে আছি। কারণ রাহুল দাঁড়াতে বলেছে কিন্তু কিছু বলছে না। আমি চুপ করেই আছি ব্যথা করছে ঘাড়ে এতো জোরে কামড় দেয় কেউ!! ভাল্লুক নাম টা দেওয়া এই ছেলেকে একদম মিলে গেছে। ভাল্লুকের মতোই তো কামড় দিলো আস্ত গুন্ডা। আমি দাঁড়িয়ে থাকতে না পেরে বিরক্তি নিয়ে বললাম।
— আপনি কি কিছু বলবেন?? আমি যাই!
.
রাহুল ফোন টিপছিলো মাথা নুইয়ে। হীর এর কথায়।এক নজর তাকে দেখে বললো।
— ফুচকা খাবা???
.
কথাটা শুনেই জিভেজল চলে এলো। চট করে ঘাড়ের ব্যথা। মনে ব্যথা চলে গেলো। মনে লোভাতুর ভয়ংকর ভাবে ফুচকার বসবাস হানলো। মনে মনে খেয়েও নিলাম দুচারটা তারপর ঢোগ গিললাম একটা। আর নিজেকে সংযত করে বললাম।
— এই অফারে কি কেউ না করে গুন্ডা। আজ আপনাকে ফকির করে দিবো একদম।
.“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন


রাহুল স্মিত হাসলো কিছু বললোনা। রাহুল শান্ত থাকলেও হীরের সাথে। হীর কি জানে হীরের পাশে ছেলেটা ভয়ংকর রেগে আছে। পাড়লে সব তছনছ করে দিতো রাহুল। রাহুল হঠাৎ হীর এর হাত ধরে নিয়ে হাটা দিলো। যেদিকে শিহাব চা খাচ্ছিলো। শিহাব দেখছে রাহুল হীর এদিকেই আসছে তাই সে চা হাতে চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলো।
.
রাহুল হীর কে টেনে ফুচকার দোকানে গেলো। বসার যায়গা আছে রাহুল এর এই অপরিষ্কার জায়গা দেখে যদি ও দৌড়ে পালাতে ইচ্ছে করছিলো। তাও বসলো মাঝেমাঝে অনিচ্ছাশর্তেও অনেক কাজ করতে হয়। হীর খুশীতে ফুচকা অর্ডার করলো দুই প্রেট। যদিও রাহুল এসব খাবেনা তাও হীর কে কিছু বললো না। হীর নিজের আনন্দে ফোন বের করে গেমস খেলছে। রাহুল হীরের দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে কেনো জানেনা রাহুল।
.
অদের দিকে শিহাব কিছু হাত দূর থেকে দাঁড়িয়ে তাকিয়ে আছে। শিহাবের প্রচণ্ড জেলাসি কাজ করছে। সে রেগে হার মুঠি বদ্ধ করে দাঁতে দাঁত চেপে দাঁড়িয়ে আছে। এতো রাগ লাগলেও অদের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সাহস হচ্ছেনা। গিয়ে কি বলবে?? সে কে হীর এর?? উফফফ বলে কিড়মিড় করে শিহাব।
.
এদিকে হীর একমনে টেবিলে দিয়ে যাওয়া ফুচকার প্রেইট এর দিকে তাকিয়ে মুখ দিয়ে পড়ে খাবে চোখ দিয়েই খেয়ে শেষ করে ফেলছে। আর হীরের দিকে ছোট ছোট চোখ করে তাকিয়ে আছে রাহুল। তার ভাবনা করছে কি এই মেয়ে?? রাহুল আর কিছু না ভেবে হাতে একটা ফুচকা তোলে। তা দেখে হীর চোখ বড়বড় করে তাকায় রাহুলের দিকে। হীরের মোটেও পছন্দ হয় নি রাহুল তার আগে খাবে তাই রেগে বলে।
— ছিঃ ফুচকা খাওয়াতে এনেছেন আর আমার আগেই নিজে খেয়ে নিচ্ছেন……..!
.
হীর কথা শেষ করার আগেই রাহুল তার হাতের ফুচকা হীরের মুখে পুড়ে দেয়। হীর চোখ বড়বড় করে তাকায় রাহুলের দিকে। তারপর দুজনেই হেসে দেয়। হীর এবার নিজের হাতে ফুচকা নিয়ে খেতে থাকে। হীরের অজান্তেই রাহুলকে ও নিজ হাতেই খাইয়ে দেয়। রাহুল প্রথম হতভম্ব হয়ে যায় হীর তাকে খাইয়ে দিচ্ছে। পড়ে মুচকি হেসে খেয়ে নেয়। হীর গপাগপ খাচ্ছে। রাহুল ভাবে কি আছে এই ফুচকায় যে মেয়েরা হুমরি খেয়ে পড়ে খেতে?? তবে আজ হীরের হাতে খেয়ে এক্টু চ্যাস্ট পেয়েছে কেনো খায়। খারাপ না মজাই। তবে এই খাবার মেয়েদের জন্যই ঠিক আছে বলে মনে করে রাহুল। কারণ এতো আয়েশ করে কিছু খাওয়ার টাইম ছেলেদের নেই।
.
কিছুক্ষণ দুজনে বের হয় দোকান থেকে তারপর রাহুল বিল পে করতে যায় পাশে। হীর আশেপাশে তাকাতেই শিহাব কে দেখে থমকে যায়। আর অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে শিহাবের দিকে এর মধ্যে রাহুল এসে হঠাৎ হীর হাত নিজের হাতের ধরে লক করে নেয় হীর অবাক হয়ে হাতের দিকে তাকিয়ে তারপর মাথা উঠিয়ে রাহুল কে দেখে তাকিয়ে থাকে তার দিকে। রাহুল হীরকে চোখে চোখ রেখে ভরসা দেয় হীর বহু কষ্টে মুচকি হাসে। তারপর সামনে তাকায় আর রাহুল কে নিয়ে শিহাবের কাছে যায়।
.
শিহাব হীর আর ছেলেটাকে তার দিকে আসতে দেখে রেগে থাকার তার চোখ। কেমন হতভম্ব হয়ে যায়। সে ভাবেনি হীর তার কাছে আসবে।
.
হীর শিহাবের কাছে এসে বলে উঠে।
— আরে শিহাব কেমন আছো তোমার বৌ মানে নিতু কই তাকে তো দেখছিনা??
.
শিহাব ভাবেনি সপ্নেও হীর তাকে এখন এসব জিজ্ঞেস করবে। তাই আমতাআমতা করে বলে উঠে।
— আছে ভালো আছে।
.
হীর এভার রাহুলের দিকে তাকিয়ে একবার শিহাব কে উদ্দেশ্য করে বলে।
— আরে তোমার সাথে তো পরিচয় করিয়ে দেই নি। ও হচ্ছে আমার বয়ফ্রেন্ড রাহুল!! রাহুল চৌধুরী।
.
শিহাব যেমন হতভম্ব এর শীর্ষে। হীর এতো ইজিলি তাকে তার বয়ফ্রেন্ড এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। শিহাবের রীতিমতো সন্দেহ হচ্ছে এটা সেই হীর তো??
.
হীর এবার রাহুলের উদ্দেশ্য করে বললো
— রাহুল ও হচ্ছে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড এর হ্যাসবেন্ড শিহাব??
.
শিহাব চরম বিস্ফারিত হয়ে বললো।
— তোমার কিছুনা??
.
হীর এই কথায় খিলখিল করে হেসে বললো।
— ওহহ সরি নাম ধরে ডাকছি বলে এসব বলছো। আচ্ছা আজ থেকে দুলাভাই ডাকবো। আজকের জন্য সরি। আচ্ছা দুলাভাই আজ আচ্ছি ক্লাস আছে। রাহুল চলো।
.
রাহুল ঠোঁট চেপে হাসছে যেতে যেতে। যা শিহাবের চোখ এড়ায় নি রাগে শিহাব হাতে থাকা গ্লাস আছাড় মারে চিৎকার করে উঠে। মনে মনে বলে একবার ভাগে পাই তোকে হীর। খবর আছে!!
শয়তানি হাসি দিয়ে ভার্সিটি ঢুকে হীরের পিছন পিছন এক্টু পড়ে।
.
এদিকে রাহুলের সাথে আর চোখ মেলায় নি হীর সোজা ভার্সিটি ঢুকে গেছে হাত ছেড়ে। আর রাহুল কারে বসে বাঁকা হেসে
……..
.
চলবে?
[এডিট করিনি ভুল হলে সরি।]
Roja Islam

প্রতারক part 11

0

প্রতারক part 11
#Roja_islam

নিতু আজ তিন দিন বাড়ী ফিরে না। নিতুর মা বেশ চিন্তিত নিতু তার মার কল ও ধরে না। উনি বেশী চিন্তিত আছেন যদি শিহাব আবার চলে আসে তো কি উত্তর দিবে???
.
কিন্তু শিহাব এই তিনদিন রাগ করেই নিতুকে আর কল দেয়নি। নিতুর আচরণ ভালোলাগিনি তার কিভাবে মুখের উপর না করে দিলো যেতে হবেনা ক্যায়ার নিতে পারবেনা!!! তার উপর শিহাবের ব্যাপার টা ভলো লাগেনি নিতু জন্মদিনে গেছে তাকে না বলে।
.
কিন্তু এখন এসব মাথায়ই নেই তার শিহাবের এখন এক চিন্তা। হীর রিলেশন এ আছে এটা জেনো শিহাবের হজম হিচ্ছে না। তার উপর পার্সোনাল টাইম স্যাপেন্ড করছেঐ ছেলে……!! এসব কথা জেনো তার কানে আই ফোনের হেড ফোন যেমনে বাজে?? সে ভাবে ভাজছে। সে ভাবছে কথা বলবে হীর এর সাথে আজি। তাই ভার্সিটি জাওয়ার জন্য
সে দাঁতে দাঁত চেপে রেডী হয়ে রুম থেকে বেরুলেই। ড্রইং রুম থেকে শিহাবের বাবা। রফিক খান
তাচ্ছল্য স্বর এ বলে।
— বৌ বাবার বাড়ী গেলো তোকে নিয়ে গেলো না কেনো? নিবে কেমনে যেই বৌ এসব ছোট মন মানুষিকরর………!
.
রফিক খানকে থামি দিয়ে শিহাবের মা বলে উঠে।
— সকাল সকাল কি শুধু করলে ছেলেটা বাইরে যাচ্ছে।
.“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন


এবার রফিক খান খেঁকিয়ে উঠে।
— তো কি হইছে বাইরব যাচ্ছে অফিসে তো আর যাচ্ছেনা একটাকা কামাই করতে। তার উপর বৌ এনে বসে আছে……..!
.
আর কিছু শুনার আগেই শিহাব তার মার দদিকে একনজর তাকিয়ে বেরিয়ে পড়ে। শিহাব এমনিতেই অপমানিত ফিল করেছিলো সে যেতে চাওয়ার পড়েও নিতু না করেছে। তার উপর বাবার এসব কটু কথা শিহাবের গাঁ জ্বালা করছে।
কিন্তু শিহাব আপাদত এসব বাদ দিয়ে হীর এর সাথে কথা বলতে চায়।তাই সব অপেক্ষা করে ভার্সিটি চলে যায় সে।
.
সকাল থেকে দৌড়ে একরকম রেডী হচ্ছি।তার অবশ্যই বিশেষ কারণ আছে!!
কারণ যেই নিউজ কাল পেয়েছি রাইসার থেকে তা সত্যিকি না জানতেই হবে ঐ গুন্ডা টার ব্যাপারে। কোনো রকম ব্রেকফাস্ট করে আমি ছুটে বেরিয়ে যাই বিল্ডিং থেকে আমার বিশ্বাস কপালে আজ খারাপি আছে। রাস্তা দিয়ে হাটছি আর একটা রিকশা শকুনের দৃষ্টিতে খুজতে চেস্টা করছি এদিক ওদিক ততাকিয়ে কিন্তু হায়। খুঁজতে খুঁজতে কানা হয়ে যাচ্ছি বাট রিকশার দেখা নেই আজব!! তার উপর বিরক্তি। রিকশা ওলারাকি সব ডেট করতে গেছে একসাথে যত্তসব!! রেগেমেগে কি আর করা হাটি হাটি পা পা করছি। এর মধ্যে কানে হর্নের শব্দ এলো খুশীতে লাফিয়ে পিছন ফিরি এই ভেবে যে রাহুল এসেছে আমায় নিতে। কিন্তু হায় পুড়া কপাল। আমার মনে করার মধ্যে এক বালতি পানি ঢেলে দেখি অন্য একটা গাড়ী যাচ্ছে আমায় ক্রস করে। আমি ভতা মুখ করে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে আবার হাটা দিলাম সামনে কিছুক্ষণ হাটার পড় আবার কানে হর্ণের শব্দ এলেও পিছু ঘুরলাম না হেটেই যাচ্ছি।কে জানে আবার কতক্ষণ ভতা মুখ করে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে নিশ্চয় অন্য গাড়ী হবে তাই আমি মনে সুখে থুক্কু দুঃখে হাটছি। কিন্তু এক্টু পড় কিহলো বুঝলাম না পেছন থেকে গাড়ী এসে একদম আমার সামনে ব্রেক করলো কষে বিকট এক শব্দ হলো লাইক সিনেমা ?। ভয়ে চোখ মুখ খিঁচে কানে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ি আমি।
.
রাহুল হীর কে ভয় পেয়ে চোখ বন্ধ করতে দেখে বাঁকা হেসে। গাড়ীর দরজার গ্রাস নামিয়ে এক্টু উঁকি মেরে বলে উঠে।
— ভিতুর ডিম এবার চোখ খুলতে পারো মরে যাও নি তুমি। বেঁচে আছো এখনো!!
.
রাহুলের গলা কানে যেতেই আমি চট করে চোখে খুলে দেখি গুণ্ডা টা। কারে বসে হাসছে। আমি জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছি ভয়ে তার উপর গুন্ডাটার হাসি দেখে রাগ হচ্ছে। এর কোনো মানে হয় মানুষ কে ভয় দেখিয়ে আবার। মানুষ কে খুন করার সুন্দর করে হাসে!! রেগে গেলাম সামনে অনেক প্রশ্ন আছে আমার এই গুণ্ডার থেকে ব্যাটা ভাল্লুক কোথাকার। উনার কারের দরজার সামনে গিয়ে কমরে দু হাত রেখে মেগে বললাম
.
— এই এই আপনি আমার বলেন নি কেনো??
আর এখন এমন করলেন কেনো???
.
এই অন্যরূপি হীরকে দেখে রাহুল অবাক ই হলো কারণ এভাবে কথা বলতে হীর কে এর আগে দেখেনি রাহুল। তারপর ভ্রু কুঁচকে বললো।
— কি বলি নি আমি???
— আপনি যে ডক্টর?? এটা… [এটুকু বলে থামে হীর তারপর ভ্রু কুঁচকে বলে ] আচ্ছা এটা কি আসলেই সত্যি নাকি বিদেশ থেকে এসে আনতাজিই মানুষকে আমি ডক্টর আমি ডক্টর বলে বেড়াচ্ছেন না তো??
.
রাহুল বাঁকা হাসে হীর এর কথা। বোকা মেয়ে আমি যদি বলেই বেড়াতাম আমি ডক্টর আমি ডক্টর তাহলে তুই শুনলিনা কেনো?? যদিও অন্যকেউ হলে এমন উত্তর দিতো রাহুল বাট এখন নিজেকে সামলিয়ে বললো।
— তুমি থামলে তো বলবো তাই না??
— আচ্ছা থামলাম এখন। বলুন কেনো বলেন নি আপনি ডক্টর??
আর কিভাবে সম্ভব এটা??
.
হীরের লাস্ট কথা শুনে রাহুল কপাল কুচকে রেগেই বলে।
— স্টুপিড!! কেনো আমি কি ডক্টর হতে পারিনা??
— না মানে!! আপনার স্টাইল, বডি, পার্সনালিটি, মাথা ভরা এ্যটিটিউট, দেখার পর মাথায় শুধু এটাই আসে আপনি একটা খুব বড় গুণ্ডা, মিন্স মাফিয়া টাফিয়া আর কি। কিন্তু ডক্টর এটা মানতেই পারছিনা।সিরিয়াসলি আপনি ডক্টর আমি মানিনা!কোনো ভাবেই না ডক্টর কাউকে এভাবে মারতেই পারেনা তারা তো মানুষ বাঁচায়!! আর আপনি……!
.
রাহুল কি বলবে ভাবে পাচ্ছেনা। রাহুলের মতো ব্যক্তিকে হীর তার বোকা কথায় চিন্তা করাতে বাধ্য করছে। আসলেই কি তাকে মাফিয়া লাগে ডক্টর ভাবা যায় না। ইস ইট ট্রু?? রাহুল এসব ভাবছে হঠাৎ। ভাবনা বাদ দিয়ে হীর এর দিকে তাকায় হীর এক্সপ্রেইন করেই যাচ্ছে কেনো রাহুল কে ডক্টর মানা যায় না। রাহুল এক দৃষ্টিতে হীর এর ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে আছে প্রচন্ড নড়ছে কথা বলার জন্য। হীর কালো হীজাব আর সম্পূর্ণ সাদা একটা ড্রেস পড়েছে খুব সুন্দর লাগছে মুখে সাজ নেই তাও ভয়ংকর সুন্দরী লাগছে। সকালের রোদের আলোয় হীর চোখে মুখে পরছে ব্রাউন কালার চোখ গুলা চকচক করছে। রাহুল হীর এর রূপ এ চোখ বুলায়। তারপর নিজেই বিড়বিড় করছে।
— আই এম গোনা ম্যাড……….!
.
থেকে যায় রাহুল চোখ সরিয়ে নেয়। পড়ে ভয়ংকর সুন্দরীর সাথে ভয়ংকর কিছু করেও বসতে পারে রাহুল এমন কিছু চায়না আপাদত। শুধু চায় মেয়েটা তার ভয়ংকর অতীত থেকে বেরিয়ে আসুক আর তার সাথী হিসেবে রাহুল হীর এর পাশে থাকতে চায়। মেয়েটা খুব লক্ষী শিহাব যেটা করেছে হীর সেটা প্রাপ্প নয়। আর রাহুল নিজেও যদি হীর এর সাথে উল্টাপাল্টা করে বসে হীর সেটা নিতে পারবেন। আর এসব ভেবে চেঁচিয়ে উঠে রাহুল।
— ইউ ইডিয়ট তোমার এক্সপ্রেইন করলেই আমি ডক্টর থেকে মাফিয়া হয়ে যাবোনা। সো কাম হ্যায়ার। গড়ীতে বসো ভার্সিটি ড্রপ করে দি!!
.
হীর ধমক খেয়ে মিন মিন করে বলে উঠে জীবনেও এই গুন্ডা ডক্টর না। ডক্টর রা কত সুন্দর করে কথা বলে আর এই ভাল্লুক সব সময় খেঁকিয়ে উঠে। ডক্টর রা এমন করেনাকি! আশ্চর্য! জীবনেও এই ছেলে ডক্টর না ইম্পসিবল হুহ।
.
হীরকে এখনো দাঁড়িয়ে ঠোঁট নাড়াতে দেখে। রাহুল দাঁতে দাঁত চেপে বলে উঠে।
— বিড়বিড় বন্ধ হলে ফাস্ট গাড়ীতে এসে বসো।
— হ্যাঁ হ্যাঁ বসছি
তো। আস্ত গুন্ডা একটা!!
.
হীর এর কথাশুনে ও না শুনার মতো করে রাহুল ভ্রু কুঁচকে বলে উঠে।
— কিছু বললে!!
— না না তো। বললাম ফ্রী চিকিৎসা নেওয়া যাবে আপনার থেকে ভালোই হলো।
.
বহুকষ্টে রাহুল হাসি থামায়। আর গাড়িস্টার্ট দেয়। হীর গাড়ীতে বসলে। রাহুল ড্রাইভ করছে। হীর এলিয়েন দেখার মতো রাহুল কে দেখছে। ভাব খানা এমন রাহুল আজ এলিয়েন হয়ে গেছে হীর তাই রাহুল কে নতুন করে দেখছে!!
.
রাহুল হীর এর তাকানো দেখে বলে উঠে!!
— প্রেমে পড়ে গেছো??? চোখ দিয়ে গিলে কেনো খাচ্ছো?? খাওয়ার অনেক উপায় আছে বলবো??
.
হীর যেমন রাহুলকে খেতে চায় সত্যিই তাই
হীর কিছুনা বুঝে বোকার মতো বললো।
— কি কি উপায় আছে??
.
রাহুল বাঁকা হেসে বলে।
— অনেক উপায় আছে তুমি খাবা না দেখবা বলো।
.
হীর চিন্তা করে বললো।
— আগে দেখি পড়ে আমি ও খাবো।
.
হীর এর কথায় রাহুল হঠাৎ কষে গাড়ী ব্রেক মারলো। তাদেখে হীর বললো।
— কি হলো গাড়ী থামালেন কেনো??
— দেখবানা কিভাবে খায়।
— অহ হ্যাঁ……!
.
হীর কথা শেষ না হতেই হীর চিৎকার দিয়ে কাঁদছে। কারণ রাহুল হীর এর গলায় খুব জোরে বাইট বসিয়ে দিয়েছে। হীর চোখে পানি টলমল করছে এই বুঝি পড়ে যাবে। কিছুক্ষণ পড় রাহুল ছেরেদেয় হীর কে হীর তব্দা খেয়ে বসে চোখের জল ফেলে আর ঘারে হাত চেপে রাখে ব্যাথায়। আর রাহুল বাঁকা হেসে ড্রাইভিং এ মন দেয়।
.
রাহুল মনে মনে বলে উঠে বোকা মেয়ে একটা। আর হীর গুন্ডা, গুন্ডা বলে রাহুলের গুষ্টিউদ্ধার করছে মনে মনে।তারপর সারাটা সময় চুপ ছিলো দুজন। হীরের ভয়ের চটে আর কোনো প্রশ্ন তার মাথায় আসেনি।
এভাবে ভার্সিটি পৌঁছে যায় তারা।
.
শিহাব আজ অনেক আগেই এসে পড়েছে ভার্সিটি। আর অপেক্ষা করছে হীর আসার। কিন্তু হীর আসছেনা দেখে শিহাব ভার্সিটির গেইটে ডান পাশে গিয়ে একটা টং দোকান থেকে চা খাওয়ার জন্য বসে। শিহাব সব খেলেও সিগারেট খায়না। আগে খেতো কিন্তু হীর এর চাওয়া এটুকুই ছিলো যেনো শিহাব সিগারেট না খায়। না না খেতে খেতে এখন আর খেতেই পারেনা শিহার। কাউকে সিগারেট খেতে দেখলেও হীর এর কথা মনে পড়ে শিহাবে। সামনে থাকা ব্যক্তি কে সিগারেট খেতে দেখে শিহাব এসব ভাবছিলো। এর মধ্যে চোখ পড়ে সামনে ব্ল্যাক একটা কার ভার্সিটির গেটের সামনে থামে। আর তার থেকে একটা সুদর্শন ছেলে বেড় হয়ে গিয়ে পাশের দরজা খুলে দিচ্ছে। তার মধ্যে থেকে হীর বেড়িয়ে আসে এই সিন দেখে সাথে সাথে দাঁড়িয়ে যায় শিহাব। তার মাথায় যেমন আকাশ ভেঙে পড়েছে। ছেলেটার সাথে দাঁড়িয়ে হির কথা বলছে শিহাবের জেনো চোখ বেড়িয়ে যাওয়ার উপক্রম এসব দেখে শিহাবের বুঝতে লেইট হয় না। ঐদিনের ছেলেটাই এটা ভাবতেই চোয়াল শক্ত করে ফেলে শিহাব।
তারপর গটগট………..
.
.
চলবে?
[ আজ শেষ কথা আর মিস করবোনা গল্প রোজ দিবো। আর অনুভূতি কাল সকালে একপার্ট দিবো। আর হ্যাঁ আপনাদের রিস্পোন্স কমছে!! কেনো ভালো লাগছেনা আর!! তাহলে বলুন শেষ করে দিবো। প্লিজ রিস্পোন্স করে যাবেন। একটা লাইক কমেন্ট লেখার উৎসাহ বাড়ায়। ধন্যবাদ ?]
Roja Islam

প্রতারক part 10

0

প্রতারক part 10
#Roja_islam

রাহুল বাসার সামনে কার ব্রেক করে হীর এর দিকে তাকায়। ঘুমের মধ্যে ঠোঁট টাকে কেমন সরু করে রেখেছে হীর কিউট লাগছে খুব। রাহুল মুচকি হাসে। রাহুলের এক্টু ও ইচ্ছে করছেনা হীর কে জাগাতে কিন্তু ৭ টা বেজে গেছে হীর সেই সকালে বেরিয়েছে বাসা থেকে নিশ্চয় বাসার সবাই চিন্তা করছে!! সেই ভেবে রাহুর নিজের ঘারে পড়ে ঘুমিয়ে থাকা হীর এর গালে নিজের হাত ছুরিয়ে আস্তে আস্তে ডাকে হীরকে।
— হীর!! এই হীর!! হীর??
.
হীর নড়েচড়ে রাহুলের একহাত চেপে ধরে আবার ঘুমিয়ে পড়ে। রাহুল কিছু সেকেন্ড হেং মেরে বসে থাকে হীর এই কাজে তারপর বাঁকা হেসে বলে উঠে।
— স্লিপিংকুইন কেনো পাগল বানাচ্ছো?? পড়ে সামলাতে পাড়বে তো??
.
বলেই একটা শ্বাস ফেলে রাহুল তারপর চোখ বন্ধ করে বলে উঠে।
— তুমি পাগল বানাও আর না বানাও স্লিপিংকুইন আমি তো……..!
.
আর কিছু না বলে এক্টু জোরে ডাকে হীর কে রাহুল।
— হীরররররররররর!!
.“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন


এবার হীর লাফ দিয়ে উঠে সজা হয়ে বসে চোখ ঢলতে ঢলতে উত্তেজিত কণ্ঠে বলে।
— কি হইছে কি হইছে চোড় আসছে কি মা!!
— হ্যাঁ হ্যাঁ চোড় আসছে!!
.
বলেই হীর এর কান্ডে অবাক হয়ে চেয়ে থাকা রাহুল হো হো করে হেসে উঠে। হীর রাহুলের কথা শুনে বোকার মতো চেয়ে থাকে।
ছিঃ ছিঃ আমি এসব কি বলছিলাম আর এতোক্ষণ মরার মতো ঘুমুচ্ছিলাম কি একটা লজ্জা উফফ। আর এই ছেলেও দেখো কেমনে হাসছে। কিন্তু কত সুন্দর হাসি!!
কিন্তু এই ছেলে হাসি থামাচ্ছেই না। তাই রাগ হলো।
.
— হয়েছে হাসি??
— আর এক্টু!!
— আর এক্টু ও না!! হুহ।
— ওহ তুমি যে এতোক্ষণ। আমার কাধ কে বেড বানিয়ে রেখেছিলে তখন তো আমি কিপ্টমো করিনি। আর এক্টুও না??
— কিহহহ আপনার কাধকে বেড বানিয়েছি আমি?? কখন হ্যাঁ?? আর কিপটামো আমি করিনা! আপনি করেন আর এক্টু ঘুমুতে দিলে কি হতো?? কত্ত সুন্দর ঘুমাচ্ছিলাম দিলেন সব নষ্ট করে!!
— ভাবা গো ভাবা এতো কথা?? এটা হীর তো। প্রতিবাদ করতে বলছি বলে আমার সাথেই শুরু করেছো।
.
আমার জানি কি হলো আমি ভাব নিয়ে বললাম।
— শুনুন সেটা আমি আপনি না বললেও করতাম হুহ শুধু দেখতে চেয়েছিলাম। দুই প্রতারক কতটুকু নিচে নামতে পারে!! যদি এতোই আবলা নারী হতাম তো ওদের বিয়ে দেখতে যেতাম না। কিন্তু হ্যাঁ এটাও সত্যি আমি নিতুকে দেখে দুর্বল হয়ে গিয়েছিলাম।আর কিছুইনা।হুহ আসছে প্রতিবাদ শিখাইতে।
.
এক নিশ্বাস এ সব টুকু গড়গড় করে বলেই ফেললাম। তারপর জোরে একটা শ্বাস নিয়ে রাহুলের দিকে তাকাতেই। আমার সব ফুঁসস হয়ে গেলো।সে রেগে তাকিয়ে আমার দিকে। সব শেষ মানে সাহস কিন্তু আমি দম ধরে বসেই রইলাম। আমার মাথায় নেই আমি চাইলে দৌড়ে পালাতে পারি। বাসায় এসে পরছি আমরা কিন্তু আমি বসেই রইলাম।
.
রাহুল কিছুক্ষণ নিশ্চুপ হয়ে রইলো। তারপর কি ভেবে খেঁকিয়ে উঠলো।
— ইউউ স্টুপিড গার্ল!! এতোই যেহুতু বুঝো তো। শিহাবের কল দেখে লাফিয়ে ধরলে কেনো?? হোয়ায় ড্যাম ইট!!
.
রাহুলের চিৎকারে আতকে উঠে আমি করুণ স্বরে বললাম।
— সত্যি বলবো??
.
রাহুল ভ্রু কুঁচকে তাকালো।তারপর বললো।
— ছে ড্যাম….!
— ওকে ওকে বলছি। আমি না আসলে আপনার ভয়ে, আর প্রশ্নের চক্কোর এ কনফিউজড হয়ে গিয়ে। সব ভুলে গিয়েছিলাম শিহাব নিতুর কথা তাই এমন হয়েছে!!মানে ভুলে ধরে ফেলেছি আর ভেবেছি আগের মতোই সব আছে আরকি।
— আমি কি বাঘ না ভূত যে তুমি আমাকে ভয় পাও??
— না তো আপনি ভূত না একটা ভাল্লুক ইয়া বড় ভাল্লুক। দেখলেই ভয় করে যত্তসব। যেমন জংলের প্রাণী দের বুঝা দায়। তার আসলে মানুষের শত্রু না অন্যকিছু!! তেমনি আপনাকে দেখলেও না আমি বুঝিনা আপনি আমার শত্রুনা না অন্যকিছু!! তারও একটা কারণ আছে অবশ্য!!
— কি কারণ!!
— কারণ হলো ঐদিন ছাদে কি করলেন আমাকে কেউ…. থাক ওটা বাদ দিলাম। লনি থেকে বাঁচাতে গিয়ে আপনি কি বলেছিলেন লনিকে… উফফ সেটাও আর নাই বলি জঘন্য কথা।ওকে কিভাবে মারলে আল্লাহ ছেলেটা বেচে আছে কিনা তাও জানি না ভয়ে জিজ্ঞেস ও করা যায় না…..! তারপর নিয়ে গেলেন কোথায় আজও জানিনা!! নিয়ে ওয়াশরুমে যা হলো সেটা……….!! এর পড় থেকে গুন্ডা ছাড়া কিছুই মনে হয়না আপনাকে মন চায় ধরে আছাড় মারি বজ্জাত ছেলে কদিনেই জ্বালায় ফেলছে আমাকে উফফ আস্ত গু…………!
.
হঠাৎ আমার কি হলো যেমন লাগলো আমার হুস এসেছে। আমি চুপ মেরে গেলাম। মুখ চেপে ধরলাম ঘুম থেকে উঠে কি আমি পাগল হয়ে গেছি?? ভাল্লুক এর সামনে ভাল্লুক এর গুণ গান গাইছে। ভাল্লুক আস্ত রাখবেতো??ভেবেই রাহুলের দিকে তাকালাম সেই চিরচেনা তীক্ষ্ণ দৃষ্ট তে তাকিয়ে আমার দিকে তা দেখে। ভয়ে আত্মা শুকিয়ে যাওয়ার অবস্থা আমার। ভাবতে পারছিনা আমি কিছু। এখন কি হবে আমার ! ভাবনার মধ্যেই চোখ গেলো সামনে আমাদের বিল্ডিং এটা। মনে মনে ইয়াহুঅঅঅঅ বলে আল্লাহ কে শুকরিয়া করে। গাড়ীর দরজা খুলে একদৌড়ে বিল্ডিং এ ঢুকে লিফট ওর অপেক্ষা না করে। শিরি ভেঙে দৌড়ে নিজের ফ্লাটে কলিংবেল চাপলাম। মা দরজা খুলতেই হুরমুরি ভিতরে ঢুকে গিয়ে বললাম।
— আহহ শান্তি ভাল্লুক ধরতে পারেনি!!!
.
হীর এর মা অবাক হয়ে মেয়ের দিকে তাকিয়ে তার কথা শুনে। তারপর দরজায় উঁকিঝুঁকি দিয়ে ভাল্লুক আছে না কি দেখে বললো।
— শহরে ভাল্লুক কই থেকে আসলো হীর কি বলিস তুই এসব??
.
মার কথা শুনে কি বলবো ফেসাদে পড়ে গেছি।এখন কিছু যদি একটা না বলি তো সি আই ডির মতো এটা নিয়ে খুটিয়ে খুটিয়ে প্রশ্ন করে করে মাথা চিবিয়ে খাবে একদম তাই বানিয়ে ই বললাম।
— ইয়ে মানে মা। ঐ ঐ তো ইউটিউব থেকে দেখে ভয় পেয়ে গেছি!! তাই আর কি!!
.
বলতে বলতেই আমি ড্রইং রুমে সোফায় ধপ করে বসি। ভাইয়া টিভি দেখছে চট করে পূর্নির কথা মাথায় এলো। এর মধ্যে মা পানি নিয়ে এসেছে আমার জন্য আর জিজ্ঞেস করলো।
— কিরে এতো লেট করলি কেনো আজ?? কত চিন্তা হয় জানিস??
.
মার কথা শুনে ভাইয়া কিছুটা রাগ করে বললো।
— শোন হীর যাই হোক আর কোনো দিন জেনো তোকে এতো রাত করে বাড়ি ফিরতে না দেখি। খুব বড় হয়ে গেছিস??
— সরি ভাইয়া আমি না পূর্নিকে হস্পিটাল দেখতে গিয়েছিলাম! তাই!!আর হবে না।
.
আমার কথা শুনে স্পট বুঝলাম। ভাইয়া স্তব্ধ হয়ে গেলো। কিন্তু কেনো?? ভাইয়া আর কিছুনা বলে রিমোট টা ছুড়ে ফেলে চলে গেলো বাইরে একদম। আমি বুঝলাম ভাইয়া কষ্ট পেলো পূর্নি হস্পিটাল আছে শুনে। যদি এতোই কষ্ট হয় তবে রিজেক্ট করলো কেনো নিশ্চয় কোনো ঘাপলা আছে জানতে হবে।কি ঘাপলা!!
.
— কি রে হীর পূর্নির কি হইছে মেয়েটা অনেক দিন আসেনা!!
.
মার কথায় চিন্তা থেকে বেরিয়ে বললাম।
— ওর বড় এক্সিডেন্ট হইছে মা তাই আসেনা হস্পিটাল আছে।
— তা তুই কই থেকে জানলি?? আমি তো শুনি নাই!!
— ইয়ে মানে ওর ফ্রেন্ডস দের থেকে। তাদের সাথেই তো গেলাম দেখতে। আচ্ছা আমি ফ্রেস হবো রুমে যাই।
— যা তাড়াতাড়ি ফ্রেস হয়ে আয় আমি খাবার বাড়ছি।
— আচ্ছা মা!!
.
বলেই কেটে পড়লাম না হলে পশ্নের ফুলঝুরি থেকে রক্ষে নেই আর।
.
রাহুল প্রায় একমিনিট হীরের দৌড়ের দিকে তাকিয়ে ছিলো। তারপর কিজানি হলো রাহুলের হো হো করে হাসতে লাগলো। হাসি জেনো থামছেই না। এভাবে মনে হয় রাহুল আজ পর্যন্ত হাসেনি। কিন্তু হীর এর কাজে আজ রাহুলের কম হাসির রেকর্ড ভেঙে গেলো। রাহুল ভাবছে মেয়েটা ভয়ে কেমনে দৌড়ে পালালো। তারপর রাগুল কোনো রকম হাসি থামিয়ে গাড়ী নিয়ে নিজের ফ্লাটে চলে গেলো। রাতে আবার তার পূর্নির কাছে জেতে হবে। বোন কে একা রাখেনা রাতে রাহুল। মেয়েটা অন্ধকার ভয় পায়। যদিও পূর্নির জ্ঞান নেই এখন। তাও রাহুল একা রাখেনা রাতে পূর্নিকে।
.
.
আজ দুদিন হলো আমি বিল্ডিং থেকে তো দূর ফ্লাট তো দূর রুম থেকেও কাজ ছাড়া বেরুই না। আমার বিশ্বাস ঐ গুন্ডাটা আমায় তাকে এতো কথা বলার জন্যে ছেড়ে দিবে না সেই ভয়ে কোথাও যাইনা। বারান্দায় ও না। একদম রুম লক করেরেখেছি নিজেকে।এর মধ্যে আমি খেয়াল করেছি ভাইয়া একদম চুপচাপ থাকে। সারাদিন রুমে পড়ে থাকে এখন আর বাইরে যায় না। মার সাথে শুধুশুধু ই রেগে যায়। এমনিতে ভাইয়া কোনো সময় মার সাথে এভাবে কথা বলেনা। কিন্তু ইদানীং এমন করে বুঝিনা ভাইয়ার মধ্যে কি ঝড় চলছে। ভাইয়ার সাথে কথা বললার সাহস ও করে উঠতে পারছিনা। কিভাবে বলবো কই থেকে শুধু করবো এই সবি ভাবি এখন। কিন্তু কথা বলতে হবে পূর্নির কথা বাদ দিলেও। আমার ভাই নিজেও যে ভালো নেই তা আমার বুঝতে বাকি নেই। আর কারণ টাও যে পূর্নি সেটাও!! তাই কথা তো বলতেই হবে।
.
.
বিকেলে টুংটাং ফেসবুকিং করছিলাম। আর শিহাব এর সেড স্টেটাস দেখছিলাম আর আনন্দ পাচ্ছিলাম এর মধ্যে। কেউ দরজায় জোরে জোরে ধাক্কাচ্ছে। আমি ধাক্কানোর চটে কোনোরকম দরজা খুলতেই হুরমুরিয়ে রাইসা ঢুকে বেডে গিয়ে হাত পা ছরিয়ে বসে পড়লো। আমি দরজা লাগিয়ে বললাম।
— টর্নেডোর মতো কই থেকে আসলি এতো দিন পড়??
— রাখ তোর আসা যাওয়া। জানিস!!
— না বললে কেমনে জানবো??
— ইসস বলছি। ঐ যে কিউট, হ্যান্ডছাম, ড্যাশিং টা আছে না!!
— কে আছে না!! বুঝিয়ে বল।
— আরে তোকে যে হস্পিটাল মিয়ে গেলো??
.
আমি বুঝলাম রাহুলের কথা বলছে এই লুইচ্চা মাইয়া।সুন্দর ছেলে দেখলেই হলো। সি আই ডির মতো খুটিয়ে খাটিয়ে তার বায়োডেটা বের না করা পর্যন্ত এই মেয়ের শান্তি নেই বললেই চলে। আমি বললাম।
— হ্যাঁ কি হইছে এখন??
— জানিস ও কে??
.
আমি না জানার ভাব করলাম!!
— কে??
— এই বিল্ডিং এর বাড়ি ওলার একমাএ ছেলে রাহুল চৌধুরী………!
.
এই কথা শুনে অবাক না হলেও এর পড়ে কথাটা শুনে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো। রাহুল………
.
.
চলবে?
[ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন! আর একটা কথা না বললেই নয়। আমি কাউকে জোর করিনি আমার গল্প পড়তে তাই। অপেক্ষা করতেই হবে একটু গল্প পড়তে হলে। লিখিকার ও প্রবলেম আছে বুঝতে হবে।আমার কথা কষ্ট পেলে দুঃখিত আমিও কথাটা কষ্ট পেয়েই বলছি ?]

Roja Islam

প্রতারক part 9

0

প্রতারক part 9
#Roja_islam

আমি ঝলঝল চোখে অবাক হয়ে রাহুলের দিকে তাকিয়ে। আবার শুয়ে থাকা পূর্নির দিকে তাকালাম। কি অবস্থা মেয়েটার চোখের নিচে কালি পড়ে আছে শুকিয়ে কাগলাশ হয়ে গেছে।হাত পা মাথা পুরাটা ব্যান্ডেজ করা। দুই হাতে কেনলা লাগানো মুখে অক্সিজেন। কিন্তু খুবি যত্নকরে শুয়িয়ে রেখেছে কেউ এমন মনে হচ্ছে। পূর্নিও শান্তু মেয়ের মতো ঘুমিয়ে আছে। দেখে বিশ্বাস হচ্ছে না আমার এই অতি চঞ্চল মেয়েটা কত্ত কঠিন অবস্থায় ঘুমিয়ে আছে।আমার চোখ দিয়ে গড় গড় করে পানি পরছে।
.
একটু পড় মাথায় এলো কি করে হলো ওর এই অবস্থা?? কি হয়েছে পূর্নির?? আমি রাহুল কে কিছু জিজ্ঞেস করতে যাবো। তার আগেই ঘুমিয়ে থাকা বোনের কপালে চুমু খায় রাহুল। এই দৃশ্য দেখে বুঝতে বাকি নেই রাহুল পূর্নিকে ঠিক কতোটা ভালোবাসে। রাহুল পূর্নির কানেকানে কি জেনো বলছে শুনা যাচ্ছে না আমি যেখানে দাঁড়িয়ে আছি। আমি অবাক হয়ে এক্টু এগিয়ে যাবো কি বলে শুনতে তার আগেই রাহুল উঠে খপ করে আমার হাত ধরে বেরিয়ে যায় রুম থেকে আমি পিছু ফিরে তাকিয়ে থাকি পূর্নির রমের দিকে। রাহুল আমায় টানতে টানতে নিয়ে যায় গাড়ীর কাছে। তারপর দরজা খুলে বসিয়ে দেয় ধাক্কা দিয়ে। আমি বুঝতে পাড়ছি রাহুল রেগে আছে কিন্তু প্রশ্ন কেনো?? আমাকে এখানে আনারি বা কি কারণ?? আর পূর্নির এই অবস্থা করলো কে কি হয়েছে ওর।হাজার প্রশ্নে মাথা ফেটে যাচ্ছে!! কিন্তু উত্তর কার কাছে চাইবো রাহুলের কাছে সাহস হচ্ছে না। রাহুল সিটে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে কপালে একহাত রেখে জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে যার ফসফস শব্দ হচ্ছে। এই অদ্ভুত শব্দে ভয়ে কান্না পাচ্ছে। হঠাৎ আমার ফোন টা বেজে উঠলো। আমি কান্না থামিয়ে তড়িঘড়ি করে ব্যাগ থেকে ফোন টা হাতে নিলাম। নাম্বার টা দেখে অবাক এর শেষ পর্যায় আমি শিহাব কল করেছে!!
.“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন


বড়বড় অক্ষরে তার নাম। আর কিউট একটা ছবি স্ক্রিনে ভাসছে তা দেখে। আমি এক নজর রাহুলের দিকে তাকালাম। সে সেভাবেই আছে। আমি ফোন টা পিক করবো কি করবোনা দিধাদন্দে পড়ে গেলাম। এসব চিন্তার মাঝে হঠাৎ রিং কেটে গেলো। বুকে আগের মতো ধক করে উঠলো। শিহাব কল লেইট করে পিক করা পছন্দ করে না। আমি চট করে ফোনের দিকে তাকালাম আবার কল আসছে!! আমি ধরেই ফেলছি অমনি রাহুল হাত থেকে ফোন টা নিয়ে আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে। নিজের কানে ধরে!!
.
— হ্যালো হীর ওয়ের আর ইউ??
— হোয়ায় ব্রো??
.
শিহাব ঝংকার ময় পুরুষালী কন্ঠ শুনে ফোন কান থেকে নামিয়ে।আবার দেখে নেয় এটা হীর এর নাম্বার কিনা। হ্যাঁ এটা হীর এর নাম্বার তাহলে কে ধরলো হীর এর ফোন। হীর কোনো ছেলের সাথে আছে ভাবতেই শিহার দাঁতে দাঁত চেপে বলে উঠে।
— হু আর ইউ ম্যান ??
— হীরের বয়ফ্রেন্ড!! হু আর ইউ ব্রো??
.
শিহাবের কান, মুখ গরম হয়ে গেলো ঐপাশে থাকা ছেলের কথা শুনে। তাও নিজেকে কন্ট্রোল করে বললো।
— এক্স, এক্স আমি ওর এক্স। ওকে কল টা দেওয়া যাবে??
— নো সরি!! একচুয়ালি প্রাইভেট টাইম স্পেন্ড করছি প্লিজ ডোন্ট ডিস্টার্ব ব্রো!!
.
বলেই রাহুল কেটে দেয় কল। আমি রাহুলের কথা শুনে ঝটকা খেয়ে চুপ মেরে বসে আছি রাহুলের দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে। হঠাৎ রারুল। চিল তার শিকারির দিকে যেভাবে তাকায়। আমার দিকে ওভাবে তাকালো। জেনো সে চিল আমি হচ্ছি তার শিকারি। আমি ভয়ে দুচারটি ঢোগ গিললাম। রাহুল আমার কুনুই টেনে নিজের কাছে নিয়ে আঙুল তুলে শাশিয়ে বললো।
.
— হাউ ড্যায়ার ইউ??…… উফফ কন্ট্রোল রাহুল!!
.
এতোটুকু বলেই থামে রাহুল। চোখ বন্ধ করে নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করে তারপর কঠিন স্বরে বলে।
— আর কোনোদিন যদি ঐ প্রতারক টার সাথে কথা তো দূর ওর কলের দিকে তাকাতে দেখেছি এভাবে তো আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না হীর!
.
আমি ভয়ে উনার থেকে হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করতে করতে ভয়ে বললাম।
— ছাড়ুন লাগছে!!
.
রাহুল হিসহিসিয়ে বললো!!
— আমি কি বলেছি মনে থাকবে??
— হ হ্য হ্যাঁ থাকবে ছাড়ুন!!
.
রাহুল মৃদু ধাক্কা দিয়ে ছেড়ে দেয় হীর কে। রাগে তার মাথা ফেটে যাচ্ছে তার। এই মেয়ের মিনিমাম সম্মান টুকু কি নেই?? এতোকিছুর পড়েও কি করে ঐছেলের কল পিক করতে পারে এই মেয়ে ভেবে পায় না রাহুল। তার মন চাইছে এই মুহূর্তে ঠাশঠাশ করে দুটি হীরের গালে লাগিয়ে দিতে। জেনো শিহাব নামেত ভূত এই মেয়ের মাথা থেকে নেমে যায়!! ভাবতেই দীর্ঘশ্বাস ফেলে রাহুল।এমনটা তো আর চাইলেই করতে পারবেনা রাহুল!! সে নিজেও তো ভুলতে পারেনি। এভিজাকে!!
.
হীর চুপচাপ বসে আছে কেনো রাহুল এসব বললো ভাবছে হীর!!তার মাথা আপাদত হেং আর কত প্রশ্ন জাগবে তার মাথায় মাথায় না শুধু এই ছোট মাথায়!!হীর বেশ ক্লান্ত ঘুম লাগবে তার লম্বা ঘুম। তাই হীর আর বসে থাকতে না পেরে বলে উঠে।
— প্লিজ বাসায় নিয়ে চলুন!!
— হুম তার আগে কিছু বলবো তোমায়!!
— হু!!
— পূর্নি!!!
.
পূর্নির নাম শুনে। মনে থাকা প্রশ্ন করেই বসলাম।
— কি পূর্নি কি হয়েছে ওর??
কিভাবে হয়েছে??
— পূর্নি হিরাকে ভালোবাসে।আই মিন তোমার ভাই হিরাকে!! হিরা তাকে রিজেক্ট করায়। ইচ্ছে করেই পূর্নি এক্সিডেন্ট করেছে!!
.
আমায় জেনো কেউ বিশাল বিদুৎতিক শক দিলো। যাতে আমার মুখ এর ভাবভঙ্গি সব বদলে গেলো!! আমি এসব কি শুনছি আমার কান গরম হয়ে গেলো। আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। একটা মেয়ে হয়ে পূর্নি এমনটা করেছে কতটা ভালোবাসে ভাইকে বুঝতে বাকি নেই আমার দৌড়ে পূর্নি কে জরিয়ে ধরতে ইচ্ছে করছে কতটা অসহায় হয়ে পূর্নি এই কাজ করেছে বুঝতে বাকি নেই কিন্তু ভাই এমনটা কেনো করলো মাথায় ঢুকছে না!! আমি হঠাৎ কিছু চিন্তা করে বলে উঠলাম।
— এটা সত্যি না আপনি হয়তো ভুল জানেন!!
— তুমি তোমার ভাইকে জিজ্ঞেস করিও ওকে!!
— আমায় এসব কেনো বলছেন কি চান আপনি??
— হিরাকে চাই। আমার বোন যাকে ভালোবাসে তাকে চাই আমার যে কোনো মূল্যে। আমি কথা দিয়েছি পূর্নিকে!! হিরা তার হবে।
— দেখুন ভাইয়ার ব্যাপারে আমি কি করে কিছু বলবো। আর এটা আমার বিশ্বাস ই হচ্ছে না।
— লিসেন হীর ভেরী ক্লিয়ারলি। আমি চাইলেই ডাইরেক্ট হিরার সাথে কথা বলতে পারতাম। কিন্তু আমি তা করিনি তার কারণ তাহলে তোমার ভাইকে পৃথিবীর কেউ আমার হাত থেকে বাঁচাতে পারবেনা।ওর সাহস কি করে হলো পূর্নিকে রিজেক্ট করার?? তাই তোমার সাথে এসব বলা। তাই ভালোয় ভালোয় বলছি নিজের ভাইকে বুঝাও। তা না হলে আমি তোমার ক্ষতি করতেও পিছপা হবো না।তখন তোমার ভাই বুঝবে কেউ বোন কে কষ্ট দিলে কেমন লাগে!! বোনের লাইফ নিয়ে কথা এখানে কোনো ছাড় নেই। কোনো না!! হীর আমি চাইলেই তোমার ক্ষতি এখুনি করতে পারি। আমি চেষ্টা করেছি ইউ নো বাট এতো টাও খারাপ হতে পারিনি। তাই আমি চাই সব বাদ দিয়ে হিরা পূর্নি কে মিলিয়ে দিতে। আর তুমি আমার হেল্প করবে!! গটইট?? বাসায় গিয়ে হিরার সাথে কথা বলবে এট এনি কস্ট!!
.
বলেই ড্রাইভ শুরুকরলো রাহুল। আর আমি ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছি ওর দিকে। আমি বুঝতে পারছি একটা ব্যাপার আমার ক্ষতি করতেই রাহুল আমার ব্যাপারে সব খোজ খবর নিয়েছিলো! তাই তো নিতু শিহাব এর ব্যাপারে সব জানে!! কতো ডেঞ্জারাস এই ছেলে!! আমি আর কিছু বললাম না চুপচাপ বসে রইলাম। এক সময় ঘুমিয়ে গেলাম চিন্তায় চিন্তায়।
.
.
শিহাব প্রায় এক ঘণ্টা যাবত ফোনে হীর এর নাম্বার দিকে তাকিয়ে আছে!! হীর এতো তাড়াতাড়ি সব ভুলে নতুন রিলেশন এ চলে গিয়েছে ভাবতে পারছেনা শিহাব। শিহাবের সাথে তো কখনো প্রাইভেট টাইম স্পেন্ড করেনি হীর তবে নিও বয়ফ্রেন্ড এর সাথে তাও করছে। শিহাবের মাথা ফেটে যাচ্ছে।কেমন যেনো লাগছে শিহাবের।হীরকে ভুলতে শিহাব নিতুকে ফোন দেয় প্রায় ৫০ টা কল এর পড় কল রিসিভ করে নিতু কিন্তু শুধু গানের সাউন্ড শোনা যাচ্ছে নিতুর কণ্ঠ না। শিহাব প্রায় দু মিনিট হ্যালো হ্যালো করে রেখে দেয়। শিহাব কিছুক্ষণ কিসব ভেবে ক্যাফে থেকে চলে যায় নিতুর বাসায়।
.
নিতু প্রায় অনেক গুলা ছেলের সাথে ড্যান্স এ ব্যস্ত। শিহাবের কল দেখে বেশ বিরক্তি নিয়ে রিসিভ করে রেখে দেয় এমনি। শিহাব কিছুক্ষণ পড় কল কেটে দেওয়ায়। সে চিৎকার করে গান গায় আর ড্যান্স করতে থাকে তার সেই ক্রাশ এর সাথে।
ফাস্ট মিটিং ছেলেটা কে ভালোই ইম্প্রেস করতে পেরেছে নিতু। সেকি খুশী নিতুর। দিন দুনিয়ার খেয়াল নেই যে সে অন্যকাউর স্ত্রী পরপুরুষ তার জন্য হারাম। সে সব ভুলে ক্রাশ আর ডান্স ড্রিঙ্ক এ মত্ত।
.
ঐদিকে শিহাব নিতুর বাড়ী গেলে নিতুর না দরজা খুলে মুখে ফেইস পেক লাগানো। শিহাব নিতুর মাকে দেখে ভ্রু কুঁচকায়। নিতুর মা শিহাব কে দেখে ভরখে যায়।
— আন্টি নিতু কোথায়?? শিহাব নিতুর মাকে আন্টিই ডাকে।
— আরে শিহাব বাবা ভিতরে আসো আসো।
.
নিতুর মা শিহাব কে কি বলবে ভাবছে। শিহাব আস্তে করে ঢুকে ভিতরে ড্রইং রুমে গিয়ে বসে। নিতুর মা শিহাব বসিয়ে নিজে ঠিকঠাক হয়ে একগাদা নাস্তা নিয়ে আসে শিহাবের জন্য। শিহাবের রাগ লাগছে তাই সে বলে উঠে।
— আন্টি এসব লাগবেনা!! নিতুকে ডেকে দিন বাসায় যেতে হবে।
.
নিতুর না গলা পরিষ্কার করে বণিতা করতে করতে বলে।
— আসলে বাবা কিভাবে বলি তোমাকে জিজ্ঞেস করা দরকার ছিলো আমার।
— আন্টি স্রেট খাট বলুন। নিতু কই??
— নিতু আসলে ওর এক ফ্রেন্ড এর বাসায় গেছে। ফ্রেন্ড এর নাকি জন্মদিন। আমি অনেক বলেছি তোমায় বলে যেতে।সে বললো তুমি নাকি কিছুই বলবে না।
.
শিহাব এবার বুঝে গানের সাউন্ড কই থেকে আসছিলো কিন্তু নিতুর মাকে আর কিছুই বলে না শিহাব বিদায় নিয়ে চলে গেলেও নিতুর মা শিহাব কে একটি বার ও বলে না আজ থেকে যাও। শিহাব যেতেই নিতুকে কল লাগায় তার মা কিন্তু পিক করে না নিতু।
.
.
এদিকে!!!!
রাহুল যখন হীরকে দেখতে আর ড্রাইভ করতে ব্যস্ত তখনি ওর ফোন বেজে উঠে। রাহুল ফোন টা এক নজর দেখে তাড়াতাড়ি রিসিভ করে কানে ফোন রাখে।
.
— হ্যালো ব্রো আমি। আস্ফি!!
— ইয়াহ ব্রো আই রিমেম্বার ইউ। হোয়াট নিউজ??
— ব্রো যেই মেয়েটার কথা বলেছো। প্রোস্টুটিউট বলা চলে ওকে। টোটাল কত্ত গুলা বয়ফ্রেন্ড আছে ওর গুনতে পারিনি। কিন্তু এসব কেউ জানেনা!! এই মাত্র ফলো করে দেখলাম। কিছু ছেলের সাথে বারে ঢুকছে। তুমি চাইলে আমি… বুঝতে পারছোত।
.
রাহুল খুব মনোযোগ দিয়ে আস্ফির কথা শুনছিলো। তারপর বাঁকা হেসে বলে উঠে।
— ইয়াহ ব্রো….. আর কাল আমার সাথে মিট করবে তুমি আমার ফ্লাটে!! ওকে!!
— ওকে ব্রো। বায়!!
— বায়!!
.
কল কেটে রাহুল বাঁকা হাসি ঠোঁটে ঝুকিয়ে ঘুমন্ত হীর এর দিকে তাকায় তারপর বলে উঠে।
— স্লিপিংকুইন তোমার সব কষ্ট শেষ। এখন ওদের টা শুধু জাস্ট ওয়েট এন্ড সি!
.
বলেই রাহুল নিজের অজান্তেই মুখ বারিয়ে হীর এর কপালে শব্দ করে চুমু খেলো। চুমু খেয়ে রাহুল নিজেই স্তব্ধ হয়ে গেলো!!
.
.
চলবে??
[ সত্যি কি আমার গল্পের পার্ট ছোট হয়?? কই আমি তো আগে থেকেও বড় করে লিখি!! তাও ছোট হয় আমি কি করবো ভাই / বোন ?]
Roja Islam

প্রতারক part-8

0

প্রতারক part-8
#Roja_islam

ক্লাস করে ভার্সিটি থেকে বেরিয়েই দেখি রাহুল উনার কার এর সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছেন । পড়নে সব ব্ল্যাক ছেলেটার । ব্ল্যাক টি শার্ট এর উপর ব্ল্যাক শার্ট। ব্ল্যাক পেন্ট, ব্লাক সু, সাথে ব্ল্যাক ওয়াচ সিল্কি চুল গুলা বাঁকা হয়ে কপালে পড়ে আছে। কিন্তু ব্যাপার টা অদ্ভুত আমি যতবার উনাকে দেখেছি এই ব্ল্যাক পরিহিত ই দেখেছি! ব্যাটার কি ব্ল্যাক ছাড়া আর কিছু নেই পরার মতো?? যাইহোক এই অসভ্য ছেলে হেব্বি ভাব নিয়ে চোখে সানগ্লাস পড়ে দাঁড়িয়ে কেনো??কে জানে তবে হ্যান্ডছাম লাগছে? ফিসফিস শুনে এক্টু পাশে তাকাতেই দেখলাম এই অসভ্য হ্যান্ডছাম টাকে মেয়েরা চোখদিয়ে গিলে খাচ্ছে। পাড়লে উনার কোলে গিয়ে বসে সেল্ফি তুলতো। কিন্তু ওরা তো আর জানে না এই ছেলে কত্ত লুচু আর অসভ্য!! আমি ভার্সিটির গেইটে দাঁড়িয়ে ভাবছি এই অসভ্যটার কাছে যাবো নাকি না। সে কথা বলায় বিজি থাকায় আমায় দেখেনি। তার দিকে তাকিয়ে । অনেক ভেবে চিন্তে ঠিক করলাম না। আজ ব্যাটাকে একটা থ্যাংকস দিতেই হয়!! কিন্তু পরক্ষনেই ঐদিনের ওয়াশরুমের কথা মনে পড়তেইই আমি বাসার পথে হাটা দিলাম। কোনো দরকার নেই এই ছেলেকে থ্যাংকস বলার না জানি কি করে বসে। ভাবতেই ভয় করে এই ছেলে লনির থেকে কম খারাপ না!!
.“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন


ওহ লনি লনি কই?? সকালে বলেছে মেরেফেলেছে সত্যি কি তাই!! কিভাবে জানবো কি করেছে যদি জানতে হয় তো এই ছেলে কাছে যেতে হবে কিন্তু আমার ভালোলাগে না অসভ্য টাকে…….!ভাবনার মধ্যেই। কেউ পিছন থেকে হর্ন দিয়ে কান জ্বালাফালা করে দিচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে ভাবনা বাদ দিয়ে পিছন ফিরে দেখি। রাহুল রাগী ফেইস নিয়ে তাকিয়ে আছে। উফফ সেই তীক্ষ্ণ চাহনি দেখেই শুকনো ঢোক গিললাম। রাহুল গাড়ী আমার পাশে ব্রেক করে নেমে আমায় টেনে গাড়ীতে বসিয়ে দিলো! উনার ফেইস দেখে আর কিছু বলতে পারলাম না আমি।চুপচাপ বসে আছি বারবার হাত কচলাচ্ছি। রাহুল ড্রাইভ করছে ব্যস্ত। গাড়ী আপন গতিতে চলছে।
.
— হাত ছিঁড়ে ফেলার প্লান আছে??
— মানে??
— মানে এভাবে হাত কচলাচ্ছো কেনো??
— আমরা কই যাচ্ছি। তা জিজ্ঞেস করতে??
— জিজ্ঞেস করতে হলে হাত কচলাতে হয়?
.
বলেই উনি ড্রাইভ করতে করতে হেসে যাচ্ছেন মাঝেমাঝে একহাতে চুল ঠিক করছেন। আমি অবাক হয়ে উনার হাসি দেখছি। অদ্ভুত সুন্দর হাসি যেকেউ মুগ্ধ হবে এই হাসিতে। বাট কে বলবে এই ছেলে এতো অসভ্য। আমার তাকিয়ে থাকা দেখে উনি হাসি থামিয়ে বাঁকা হেসে বলে উঠলেন।
— এভাবে তাকিয়ে থাকলে প্রেমে পড়ে যাবে কিন্তু!!
.
আমি উনার কথায় থতমত খেয়ে চরম অস্বস্তিতে পড়ে আবার সেই কাশী শুরু হয়ে গেলো আমার।লজ্জায় শেষ আমি জালানার দিকে তাকিয়ে রইলাম। আড়চোখে দেখছি রাহুল বাঁকা হাসছে। এই বাঁকা হাসিটা দেখলে আমার গাঁ পিত্তি জ্বলে যায়। মহূর্তে লজ্জা অস্বস্তি গিয়ে একরাশ রাগ উঠে গেলো মাথায়। তাই কিছুটা রেগে বললাম।
— আমরা কই যাচ্ছি বলুন?
–……..!
— কথায় নিয়ে যাচ্ছেন বলছেন না কেনো?
–……
!
.
এই ছেলে মন দিয়ে ড্রাইভ করছে জেনো তার পাশে কেউ নেই। সে একাই এই গাড়ীতে বসে আছে। আমার রাগ জেদে পরিণত হলো তাই বললাম।
— আমি যাবো না নামিয়ে দিন প্লিজ!!
— আই ডোন্ট ক্যায়ার। তুমি যেতে চাও কি না চাও!! আমি নিয়ে যাচ্ছি মানে যেতে হবে।
— আপনি!!
— শাট আপ হীর। কই আমায় একটা থ্যাংকস দিবে তা না তুমি ঝগড়া করছো??
— আমি ঝগড়া করছি?
— তা নয় তো কি??
— উফফ আপনি আমায় কনফিউজড করে দিচ্ছে আমি ঝগড়া করছিনা। আমি বলছি আমি যাবো না?
— কই যাবা না!!
— মানে?
— মানে তুমি কি জানো আমি তোমায় কোথায় নিয়ে যাচ্ছি??
— না!!
— তাহলে বললে কেনো!! আমি যাবো না??
— উফফ আল্লাহ আপনি!!
— উফফ আল্লাহ কি?? পাগপ করো কেনো আমায় এসব বলে??
— মানে?
— মানে তোমার ভয়েজ খেয়ে ফেলতে ইচ্ছা করে!!
— যত্তসব!!
— হীর!!
.
আমি অবাক হয়ে উনার দিকে তাকালাম হঠাৎ নাম ধরে কেনো ডাকলো। কেমন যেনো লাগলো নাম ধরে ডাকায়। প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে উনার দিকে তাকিয়ে আছি উনি আপন মনে ড্রাইভ করেই যাচ্ছে!! রিরক্ত হয়ে যেই মাথা ঘুরিয়ে নিবো উনার থেকে তখনি উনি বললো।
— পূর্নি কে চিনো??
.
আমি অবাক হলাম এমন প্রশ্নে। কারণ পূর্নি আর কেউ না রাহুলের এক মাত্র ছোট বোন। পূর্নি আগে যেতো আমাদের ফ্লাটে এই সেই কথার মধ্যে শুধু আমার ভাইয়ার কথা জিজ্ঞেস করতো। কেনো তা আল্লাহ জানে। আমি পূর্নির কাছেই শুনেছিলাম ওর একটা ভাই আছে সেটা যে রাহুল তা জানতাম না। রাহুল তার ফ্যামিলির সাথে থাকতো না। তাই আমি কেনো আমাদের বিল্ডিং এর কেউ চিনে না রাহুল কে। আর ইদানীং পূর্নিকেও দেখিনা আমাদের ফ্লাটেও যায় না। কলেজেও দেখিনা। পূর্নি আমার সাথেই পড়ে একি কলেজ। কিন্তু ডিপার্টমেন্ট আলাদা। আমাকে চুপ থাকতে দেখে রাহুল চেঁচিয়ে উঠলো।
— কোথায় হারিয়ে গেলে??
— না না.. মানে চিনি পূর্নি কে!! পূর্নি আপনার বোন তাই তো!!
— হ্যাঁ!!
— আমায় কেনো জিজ্ঞেস করলেন চিনি কি না??
— কিছু বলবো ওর ব্যাপারে তাই!!
— বলুণ??
— এখন না!!
— আচ্ছা!!
.
রাহুল সেই তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে আমার দিকে একবার তাকিয়ে ড্রাইভিং এ মন দেয়। আমি এই চাহনির মানে আদো বুঝিনা। মাঝে মধ্যে মনে হয় এই ছেলে গুন্ডা খারাপ অসভ্য আবার মনে হয়। অন্য কিছু কিন্তু কোনো টাই স্থায়ই রাখতে পারিনা রাহুলের আচরণে।
.
অল্পদিনের দেখাসাক্ষাৎ এও অনেক প্রশ্ন আছে আমার ছেলেটার কাছে।।
লনি কই? আমার ব্যাপার এই বা এতো কিছু কিভাবে জানে যে শিহাব আর নিতু আমার সাথে প্রতারণা করেছে এই ব্যাপার এ তো আমি কাউকে কিছুই বলিনি!! তাহলে?? মাথায় আসেনা কিছু। আদো আমি আমার সব প্রশ্নের উত্তর পাবো??
.
কিছুক্ষণ চুপ থেকে হাজার হিসাবনিকেশ করার পড় একটা বড় শ্বাস নিয়ে আমি সামনের দিকে তাকিয়েই বলে উঠলাম।
— থ্যাংকস ঐদিন এর জন্য। যদিও অনেক প্রশ্ন আপনার কাছে আমার তাও থ্যাংকস দিতেই হয় একটা। ঐদিন লনির থেকে আমায় না বাঁচালে আজ……..!
— ঐদিন তোমায় না বাঁচাতে পাড়লে লনিকে মেরে তোমাকেও মেরে ফেলতাম তাই থ্যাংকস দেওয়ার কিছুই নেই!!
.
আমি চট করে উনার দিকে তাকালাম। কি বলে এই ছেলে??উনার মুখ দেখে স্পট বুঝা যাচ্ছে উনি রেগে টইটুম্বুর যা দেখে। আমার আর একটি কথাও মুখ ফস্কে বেরুলো না। যদি আমায় কিছুকরে বসে!! কই নিয়ে যাচ্ছে তাও জানিনা! কিছুবলতেও পারবো না কি যন্ত্রণা?? একসময় আমি আকাশপাতাল চিন্তা করতে করতে আমি সিটে হেলান দিয়েই ঘুমিয়ে পড়লাম।
.
রাহুল এবার প্রাণ খুলে দেখছে হীরকে। এই সময়টারি জেনো ওয়েট করছিলো রাহুল।রাহুল যানে হীর রাতে ঘুমায়নি। তাই সে চুপ করে ছিলো জেনো হীর ঘুমিয়ে যায়! রাহুল একটান দিয়ে ঘুমন্ত হীর কে নিজের সাথে মিসিয়ে নেয়।হীর রাহুলের বুকে গুটিসুটি মেরে ঘুমিয়ে থাকে হীরের ঘুমের জেনো আরাম হলো। রাহুল তা দেখে বাঁকা হেসে ড্রাইভিং এ মন দেয় আর ফাঁকেফাঁকে হীরকে দেখে।
.
অন্যদিকে নিতু বাসায় গিয়ে নাক মুখ ফুলিয়ে বসে আছে। তা দেখে শিহাব ভ্রু কুঁচকে এগিয়ে গিয়ে জরিয়ে ধরলো।
— কি হয়েছে মাই জান?? ঐ থার্ডক্লাস মেয়ের কথায় তুমি মুখ ফুলিয়ে রাখবে??
.
নিতু ভাব নিয়ে বললো।
— ভুল তো বলেনি?
— উফফ বাদ দাও চলো শপিং এ যাই। তুমি যা চাও কিনে দিবো হ্যাপি?
.
এই কথা শুনে খুশী তে গদগদ করে নিতু শিহাবের গলায় ঝুলে পড়ে।
— লাভ ইউ বেবি এত্ত গুলা ভাবোবাসি।
— সেম হ্যায়ার। নাউ গোঁ রেডী হয়ে আসো।
— ইয়াপ!!
.
বলেই নিতু দৌড়ে ওয়াশরুমে ঢুকে। নিতুর হীর এর কথায় মুখ ফুলিয়ে ছিলো না।হীর এর কথা তার মাথায়ই নেই। তার নিও বয়ফ্রেন্ড এর সাথে রাতে পার্টীতে যাবে। তার জন্য স্পেশাল ড্রেস এর প্রয়োজন যা নিতুর নেই। তাই চিন্তিত সে মুখ ফুলিয়ে বসে ছিলো। আর শিহাব বেচারা অন্য কিছু ভেবে তার চিন্তা দূর করে দিলো। নিতু ওয়াশরুমে দাঁড়িয়ে বললো। গাধা একটা!!
এক্টু পড় রেডী হয়ে দুজন বেরিয়ে পড়ে শপিং এ। নিতু প্রায় অনেক টাকার শপিং করেছে বসুন্ধরা থেকে। নিতু এতো টাকার শপিং করতে পেরে খুশীতে গদগদ। শিহাব কিছু বলতে চাইলেও নিতুর গদগদ থেকে কিছুই বলেনি শুধু কপালের ঘাম মুচেছে। শিহাব এখনো পড়াশোনাই করে যা খরচ করে সব বাপের টাকা। তার জন্য অনেক কথা শুনতে হয় বাপের কাছে শিহাবের। বাট তার মা সামাল দেয় সব। কিন্তু আজ এতো টাকার শপিং নিতু করছে তা জানলে বাবা কি করবে তাই ভাবছে শিহাব।নিতুকে শিহাবের বাবা পছব্দ করেননি। তিনি ছেলে আর শিহাবের চাপে রাজী হয়েছেন শুধু এখন যদি জানেন নিতুকে এতো টাকার শপিং করে দিয়েছে শিহাব তাহলে বাবা কি করবে কে জানে। তাও হাসি মুখে নিতু যা চাইছে কিনে দিচ্ছে।
.
শপিং করে রেস্টুরেন্ট এ গিয়ে একগাদা খাবার অর্ডার করে নিতু। শিহাব চুপচাপ শুধু খাবারের দিকে তাকিয়ে ছিলো। খেয়েদেয়ে বিরিয়ে পড়ে বাসার উদ্দেশ্যে কিন্তু মাঝপথে নিতু বলে উঠে।
.
— বেবি মা আমাকে দেখতে চায়। যেতে বলেছে অনেক করে আমায় তুমি এখানেই নামিয়ে দাও আমি টেক্সি করে চলে যাবো।
— নো প্রবলেম আমিও চলি??
— না না… মানে কি বলছি শিহাব আমি মা তো শপিং নিয়েই পড়ে থাকবো। মানে কি কিনেছি এসব নিয়ে আর কি। তোমার ক্যায়ার নিতে পারবোনা। তাই তুমি বাসায় চলে যাও আমি দুদিন থেকে চলে আসবো কেমন।
.
শিহাব অনেকটা অপমানিত ফিল করলো। কিন্তু কিছু বললোনা। চুপচাপ নিতুকে নামিয়ে দিলো সেখানে তারপর চলে গেলো। নিতু বুঝলো শিহাব রাগ করেছে!! কিন্তু তাতে তারকি?? তার তো কাজ হয়েছেনা। আজ নিতু তার নিউ বয়ফ্রেন্ড এর সাথে প্রথম মিট করবে সেটাই শুধু ভাবছে নিতু। বয় ফ্রেন্ড বললে ভুল হবে ছেলেটা নিতুর প্রথম ক্রাশ। নিতু খুশী খুশী বাড়ি গিয়ে মাকে শিহাবের গাধা হওয়ার কাহিনী শুনায়। সে কি হাসি মা মেয়ের শিহাব কে গাধা বানাতে পেরে।
.
৪ টা বাজে জায়গা মতো পৌঁছে। গাড়ী থামিয়ে হীরকে দেখতে থাকে রাহুল একদৃষ্টে। মেয়েটা অসম্ভব সুন্দরী। রাহুল ভাবে শিহাব কি করে এইমেয়ের সাথে এমন করলো?? ভেবে পায় না রাহুল। এই মেয়ের মুখ মায়ার সাগর যে কেউ হীর এর চোখে একবার তাকালে হারিয়ে যাবে অন্য কোনো রাজ্যে। বড়বড় চোখ গুলা মায়ার ছোঁয়া। রাহুল ঘুমন্ত হীর কে পুরো স্কেন করছে । পড়েই ভাবে না না ঘুমের মধ্যে একটা মেয়েকে এভাবে গিলে খাওয়া মোটেও ঠিক না। তাই রাহুল ফোন হাতে গেমস খেলায় মেতে উঠে। আর হীরের ঘুম ভাঙা অপেক্ষা করতে থাকে।
.
ঘুম ভাঙতেই রাহুলের চেহারা ভাসে চোখে। একটু পড় বুঝতে পাড়ি আমি রাহুলের ঘাড়ে শুয়ে আছি। ভূত দেখার মত চমকে ছিটকে সরে যাই তার থেকে। জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে। পাঁচ বছর প্রেম করার পড়েও আমি শিহাবের এতো কাছে যাইনি আর আজ!! আর ভাবতে পারলাম না।কিন্তু ওখানে গেলাম কি করে আমি??
ভাবতে ভাবতেই রাহুলে কণ্ঠ কানে এলো!!
.
— কিভাবে আবার উঁড়ে উঁড়ে!!
.
বিস্ফারিত চোখে তাকাই তার দিকে কি বলে এই ছেলে??
বুঝে কেমনে মনের কথা। আমতাআমতা করে বললাম।
— মানে??
.
রাহুল আমার দিকে তাকিয়ে বাঁকা হাসে তারপর সামনে থেকে পানি বোতল দেয় হাতে।
— খেয়ে নাও ৩ ঘণ্টা ধরে ঘুমাচ্ছো। ঘুমাতে এনেছি তোমাকে এখানে??
— ঘুমানোর টাইম ৩ ঘণ্টা কি কিরে হলো আশ্চর্য।
.
বলেই বাইরে তাকিয়ে দেখি রোদ পড়ে গেছে। কিছু দূর একটা চিকন মাঝারি সাইজের আকাবাকা রাস্তা তার সামনে ইয়া বড় পাঁচ তালার একটা বিল্ডিং। আর আশেপাশে বড়বড় ক্ষেত। আশেপাশে ছোটছোট কুড়ে ঘর আর টিনের চালের ঘর।সামনের বিশাল বিল্ডিং টা ভালো করে দেখে বুঝলাম এটা কোনো গ্রামের হস্পিটাল। আমি অবাক চোখে রাহুলের দিকে তাকাতেই দেখি তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
.
— সাইডসিং শেষ ?? পানিটা খেতে বলেছি কানে যায় নি??
— আশ্চর্য প্রফেসারা ও তো এভাবে ধমকায় না??
— হ্যাঁ প্রফেসার ধমকায় না আমি প্রফেসার এর বাপ! আমি কি করি দেখাবো??
— না না খাচ্ছি!! গুন্ডা একটা।
বিড়বিড় করে।
— কিছু বললে?
— না তো!!
.
পানি খেয়ে বেরিয়ে পড়লাম কার থেকে দুজন। অসম্ভব সুন্দর আশপাশের যায়গা গুলা খোলা আকাশ মুক্ত বাতাস গাঁ ছুঁয়ে দিচ্ছে। আকাশে পাখি উঁরছে আর বাতাসে ক্ষেতের ঘাস গুলা দুলছে সে কি সুন্দর দৃশ্য।আমি মুগ্ধ হয়ে দেখছি আর রাহুলের পিছুপিছু হাটছি। তারপর আমায় নিয়ে হস্পিটাল ঢুকে রাহুল আর আমার ভয় শুরু হয়ে যায় সব মুগ্ধতা শেষ হয়ে যায়। কি দেখাতে এনেছে এখানে?? লনিকে?? উফফ কি জানি করেছে ছেলেটাকে ভাবতে ঐদিন এর মারের দৃশ্য ভেসে উঠলো চোখে। ঐদৃশ্য মনে পড়লে আমার পৃথবীর সব চাইতে রাহুল কেই ভয় করে!! নিতে নিতে আমায় পাঁচ তালায় নিলো। হস্পিটাল টায় আমাদের শহরের মতো এতো ভিড় নেই একদম অল্প মানুষ যার মধ্যে ডক্টর থেকে নার্স অনেকেই রাহুলকে সালাম দিলো। এতো সম্মান কেনো দিচ্ছে তাকে বুঝলাম না। হয় তো আগে থেকে চিনে। অবশেষ একটা রুমে আমায় নিয়ে গেলো। সেখানে একটা সিটে কেউ শয়ে আছে আমার ভয় করছে তাই আমি রাহুলের শার্ট পিছন থেকে খামচে ধরলাম!! সাথে সাথে রাহুল আমার দিকে অগ্নিদৃষ্টিতে তাকালো। ভয়ে আমি জড়সড় হয়ে ছেড়ে দিলাম তার শার্ট। সাথে সাথে সে আমার হাত খপ করে ধরে ফেললো আর নিয়ে গেলো ঐ সিটের সামনে। শুয়ে থাকা রোগী কে দেখে আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো। আমি ঝল ঝল চোখে অবাক হয়ে রাহুলের দিকে তাকালাম………
.
.
চলবে?
[ আমি একদম ইচ্ছে করে লেইট করছিনা। আমার ফোনটা খুব ডিস্টার্ব দিচ্ছে! ফোন একটা না অবশ্য কিন্তু যেটা দিয়ে গল্প লিখি সেটা ছাড়া লিখতে ভালোলাগে না | তাই অল্প অল্প করে লিখছি এর জন্য লেইট হচ্ছে দিতে। অনেকেই অপেক্ষা করে থাকেন জানি কিন্তু আমি নিরুপায় আর দুঃখিত তার জন্য?।]
Roja Islam

প্রতারক part 7

0

প্রতারক part 7
#Roja_islam

আমার চোখ বড়বড় হয়ে গেলো।হাত পা কাঁপছে বিষণ ভাবে কাঁপছে। এই কথা যদি সত্যি হয় তো কি হবে আমার কলেজ কিভাবে যাবো আমি?? আরো অপমানিত হতে হবে!! আর যদি কেউ জেনে যায় আমার জন্য লনিকে মেরেছে তো? আমার চোখের টলমল করা পানি গড়িয়ে পড়লো। তা দেখেই রাহুল…..
.
— ইউ নো হীর ইউ আর সো স্টুপিড গার্ল??
— লনি কোথায় প্লিজ বলুন আমার ভয় করছে!!
— হাহা! তোমার কেনো ভয় করছে?? হোয়ায়?? তুমি মেরেছো লনি কে?? তাহলে ভয় পাচ্ছো কেনো??
— কারণ….!!
— ওহ জাস্ট শাট আপ হীর। তমি এমন কেনো হোয়ায়??
.
বলেই হীরের একদম কাছে চলে যায় রাহুল। আর আলত করে চোখের পানি মুছে দিয়ে এলোমেলো চুল গুলা কানের পেছন গুঁজে দেয়। তারপর কানের কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বলে।
.
— বি স্ট্রং ওকে। সব কিছু এতো সিরিয়াসলি নেওয়ার কি আছে?? লনি যা করেছে তার জন্য মৃত্যুর মতো শাস্তি সে যোগ্য। আর আমি তাকে……!
.
আমি রাহুলের কথা শুনে একটা প্রশ্নই খুঁজে পেলাম।
— আপনি কে??
.
রাহুল বাঁকা হেসে উত্তর দেয়।
— শুভাকাঙ্ক্ষী
.“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন


আমি বিস্ফারিত চোখে তার দিকে তাকাই। রেগে আমার মাথা খারাপ হওয়ার অবস্থা!!
— ইউউউউ ব্লাডি লাইয়ার!! মিথ্যে কেনো বললেন ফোনে??
— কি মিথ্যে বললাম!! সত্যি তো এখন বলছি যাই হোক। টান আছে আমাদের তাই তো চিনে ফেললে আমাকে?? তা বলো সামথিং সামথিং??
— নাথিং নাথিং সাচ আ কনফিউজড ম্যান!!
— ইয়াহহ দ্যাটস রাইট রাহুল চৌধুরী কে বোঝা এতো ইজি না!! রিমেম্বার!!
— তা আমায় ফোন দিয়ে কি সব বলছিলেন বলুন?
— ইউ নো হীর প্রথম আমি কাউকে কিছু বুঝাতে ব্যর্থ। আর জানো সেটা কে??
— কে??
— অবশ্যই তুমি!
— দেখুন একদম অপমান করবেন না!!কি বুঝতে চাইছেন আমি কম বুঝি!!
— ওহ রেয়ালি কি করবে তুমি তাহলে??
পুড়ো কলেজের সামনে একটা প্রতারক তোমায় গাল লাল করে দিলো। আর তুমি তাকে এভাবে দেখছিলে জেনো সে ললিপপ তাই না??
–…….
— কি বল বল ঠিক বলিনি!!
.
আমার মজা নিচ্ছে বেশ বুঝতে পারছি কিন্তু কোনো উত্তর নেই ঠিকি বলছে ছেলেটা আমি সাচ আ স্টুপিড গার্ল। ইন দিস ওয়ালর্ড।কিন্তু তাও অপমানে শরীল ফেটে যাচ্ছে আমার।
.
— এতো ভেবে লাভ নেই হীর!! তোমার ধারা কিছু সম্ভব না!!
— কি!
— প্রতিবাদ করা তোমার ধারা সম্ভব না!!
.
সত্যি কি সম্ভব না আমার ধারা?? কাউর কাছ থেকে শিখা যায় প্রতিবাদ করা যায় আমি কার কাছে শিখবো তবে!
কি করবো করবো ভেবে পাগল হওয়ার থেকে রাহুল কেই করুণ স্বরে বললাম।
— আচ্ছা প্রতিবাদ করা শিখা যায়?? একটু প্রতিবাদ করা শিখিয়ে দিন তাহলে!!
.
আমার কথা শুনে রাহুল কেমন নেশাগ্রস্থের মতো তাকায় আমার দিকে।আমি নড়েচড়ে দাঁড়াই তার চাহনি দেখে। রাহুল আমার দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে বলে উঠে।
— এভাবে বলো না খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে।
.
আমার কাশী উঠে গেলো আমি খুক খুক করে কাশছি। শুধু ঠান্ডাজ্বর হলেই মানুষ কাশে না। চরম অসস্তির শিকার হলেও কাশে এই যে আমি এখন চরম অসস্তির শিকার হয়্র কাশছি। থামছেই না তার কারণ অসস্তি যাচ্ছেই না আমার উফফ। কি বেয়াদব আর অসভ্য ছেলের পাল্লায় পড়লাম আমি। কি নির্লজ্জ ছেলেরে বাবা!! আমি কাশি থামিয়ে চেঁচিয়ে বললাম।
.
— শিখাতে হবে না আপনার প্রতিবাদ। আপনার থেকে প্রতিবাদ শিখার থেকে ভালো আমি রোজ অপমানিত হই বুঝেছেন।
.
রাহুল আমার কথা বাঁকা হাসছে সাথে সেই তীক্ষ্ণ চাহনি। উফ এটাই আমায় থতমত খাওয়াতে বাধ্য। আমি আমতাআমতা করে বললাম।
— প্লিজ। দেখুন আমায় কিছু বলতে হবে না আপনার শুধু বলুন। লনি কই তাহলেই হবে।
— বলবো যদি একটা কথা শুনো!!
— কি??
— আজ তুমি ভার্সিটি যাবে আর!!
— আর!!
— নিতু শিহাব যা বলে তুমি শুধু তার পাল্টা জবাব দিবে বিনা ভয়ে। পাড়বে?
— আমি….
— না পাড়লেও পারতে হবে।
— আমি…
— দেখো আমার কথা না শুনলে আমি লনির ভাইকে বলে দিবো লনি কে তুমি মেরেছো। তারপর লনির ভাই তোমার পরিবার কে কি করবে?? বুঝতেই পারছো?? হাহা
— ব্লেকমেইল করছেন কেনো আমি দিবো পাল্টাজবাব। এ আর এমন কি।
— ভিতুরডিম!!
.
ভার্সিটি তে দেখা হচ্ছে। কোনো চালাকি করো না। আমি কিন্তু আশেপাশে ই থাকবো বলে দিলাম। তোমায় ফলো করবো সো বি কেয়ার ফুল ওকে।
— আ আ পনি যাবেন??
— ইয়াহ। বাই এন্ড গুডলাক ভিতুরডিম।
.
রাহুল চলে গেলো ভিতুরডিম ডাকটা শুনে জেদ চেপে গেলো। প্রতিবাদ করতেই হবে। অবাক বিষয় আমি কত কত ট্যান্স ছিলাম কালল থেকে আর ছেলেটা আই মিন রাহুলের সাথে কথা বলে সব মিনিটে দূর হয়ে গেলো না চাইতেও কেনো?? অদ্ভুত একদম অদ্ভুত!! যাই হোক আমাকে পারতেই হবে।
.
ভার্সিটির সামনে দাঁড়িয়ে আছি। মাকে জরিয়ে ধরে বলে এসেছি আমার জন্য অনেক অনেক দোয়া করতে। ভাইয়া অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলো।তাই বলেছি বিয়ে করতে যাচ্ছিনা বিশ্বাস কর এক্সাম আছে তাই দোয়া চাইছি।জীবনের এক্সাম বলে কথা দোয়া চাইবোনা??মা ভাইয়াসে কি হাসি। আর আমি অসহায় বাড়ী থেকে বের হয়ে সারা রাস্তা এই বলেই এসেছি হীর তোকে পারতেই হবে পারতেই হবে হীর।
.
আল্লাহ ওর নাম নিয়ে ভার্সিটি ঢুকে কিছুদূর যেতেই শিহাব নিতু আমার দিকে আসছে দেখতে পেলাম!! বুঝতে বাকী নেই আমার জন্যই দলবল নিয়ে ওয়েট করছিলো!! প্রতারক ২টা।
.
কাছে এসেই নিতু বললো।
— কিরে লনি কই কি করেছিস বল??
— আমি কি জানি লনি কই?? সে কি আমার বোনের জামাই যে আমি দুলাভাই এর খবর রাখবো? আশ্চর্য!!
— মিথ্যে কেনো বলছিস তুই আমার হ্যাসবেন্ড কে ফাঁসাচ্ছিস।
— আমি তোর হ্যাসবেন্ড কে ফাঁসাচ্ছি। না তুই ফাঁসিয়েছিলি আমার বয় ফ্রেন্ডকে?? আর আজ বড় গলায় কথা বলছিস লজ্জা করে না তোর ??
.
আমার কথা শুনে শিহাব নিতু অপ্রস্তুত হয়ে পড়লো। আমি ভেতরে ভেতর ভয়ে শেষ হয়ে যাচ্ছি তাও বুঝাচ্ছি না কাউকে। শ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে আমার ঠোঁট উলটে কান্না আসছে ।আমি নিজেকে নিয়ত্রণ করলাম বহু কষ্টে এর মধ্যে নিতু গিয়ে শিহাব ধরে ন্যাকা কান্না জুরে দিলো।
.
— দেখেছ শিহাব এই থার্ডক্লাস মেয়ে কি বলছে আমি তোমার ফাঁসিয়েছি? তুমি কিছু বলো।
— কি বলবে শিহাব হ্যাঁ?? আমার সাথে চলার সময় বেস্টি বেস্টি করার সময় মনে ছিলো না আমি থার্ডক্লাস। ও হ্যাঁ মনে থাকবে কি করে তখন তো তুই আমার বফ কে ফাঁসানোর চেষ্টায় ছিলি যেই কাজ হলো অমনি মনে পড়ে গেলো আমি থার্ডক্লাস। কিন্তু থার্ডক্লাস তো তুই যেকিনা বেস্ট ফ্রেন্ড এর বফ এর উপর নজর দেয়।
.
আমার কথা শেষ হতেই শিহাব চেচিয়ে উঠে। নিতুর মুখ বন্ধ!!
— ইনাফ ইজ ইনাফ হীর।আমাকে কেউ ফাসায়নি!! আমি নিজ ইচ্ছেতে ছেড়েছি তোমায় গট ইট।
— ইয়াহ। অবশ্যই নতুন কেউকে পেলে তো ছাড়বেই। তা নিতু যতো যাই হোক তুই আমার বেস্টি ছিলি তাই বলছি কি। দেখে রাখিস তোর হ্যাসবেন্ড কে। আবার নতুন কেউকে পেলে না তোকেও আমার মত নিজের ইচ্ছে তেই ছেড়ে দেয়!!
.
আমার এই কথা নিতুন চেহারার সব রঙ উঁড়ে গেলো। আমি সব ভয় ভুলে মনে পৈচাশিক আনন্দ পেলাম মুহূর্তে আমার ভেতরের অনেক কষ্ট কমে গেলো। শিহাব আবার চেঁচিয়ে উঠলো।
— কি বলতে চাইছো তুমি?? তুমি আমাদের মধ্যে আগুন লাগাচ্ছো হীর??
— না তো নিজের মনের আগুন নিভাচ্ছি। যেখানে তোমরা দুজন আমার সাথে প্রতারণা করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলে।
— আয়ায়া হীর আমার রাগ লাগছে বলো। লনি কই তোমার জন্য….
.
শিহাব কে কথা শেষ করতে দিলাম না।
আমি বললাম।
— লনি হারিয়ে গেছে তাতে তোমার প্রবলেম কি?? আশ্চর্য!!
.
শিহাব দাঁতে দাঁত চেপে বললো।
— তোমার জন্যই তো ওকে মেরেছি তাই এখন আমার প্রবলেম হচ্ছে।
— ওহ আচ্ছা তাই?? কিন্তু আমি তোমার কে??কি হই??
–………
.
আমার প্রশ্ন শুনে দুজম দুজনের মুখ চাওয়া চাওয়ি করলো। আমি বেশ বুঝতে পারছি দুই জন আমার কথায় থতমত খেয়েগেছে। আমি তাড়া দিয়ে আবার বললাম।
— কি হলো মিস্টার শিহাব আমি আপনার কে?? আচ্ছা আমিই বলছি আমি আপনার এক্স তাই তো!! তা আমি কি আদো বলেছি আমার জন্য লনিকে আপনি মারুন কাটুন। কেনো করেছেন?? এখন নিজেই নিজের প্যাড়া নিন আমায় এর মধ্যে ফাঁসাবেন না। আর হ্যাঁ কাল কি জেনো বলছিলেন। লনি কই না বললে কলেজ আসতে পারবোনা। তা কলেজ টা কি আপনার বাবার কেনা??
আর মিসেস নিতু তোর থাপ্পড় এর বিচার আমার আল্লাহ করবে। আমি চাইলেই তোকে থাপ্পড় ব্যাক দিতে পারি কিন্তু তোর গায়ে হাত দিয়ে নিজের হাত আমি নোংরা করতে চাইনা। চুপ থাকি তার মানে এই না আমি বোবা সেটাও মাথায় রাখিস।
.
বলেই ক্লাসের দিকে এগুলাম। খুব খুব শান্তি লাগছে। আমার সাথে ওরা যা করেছে তার জায়গায় এটুকু কথা হয়তো কম কিন্তু মানুষিক ভাবে নিজেকে শক্ত রাখতে প্রতিবাদ করা উচিৎ অনন্ত এই প্রতারক দের ছাড় দিতে নেই বরং আঙুল তুলে ওদের ভুল দেখিয়ে দাওয়ার দড়কার। তা না হলে ওরা সবার সাথে একি কাজ করে যাবে। এইটুকু আজ আমি বুঝতে পাড়লাম।
ক্লাস করে ভার্সিটি থেকে বেরিয়েই দেখি রাহুল…..
.
চলবে?
Roja Islam