Monday, July 28, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 1950



প্রতারক part 26

0

প্রতারক part 26
#Roja_islam

রাহুল?হিরা?হীর? পূর্ণির? জীবন থেকে অনেক গুলো দিন অতিবাহিত হয়ে যায়। দিন পেরিয়ে মাস পেরিয়ে বছর পেরিয়ে যায়।
.
কেটে যায় ৩ টি বছর….বদলে যায় অনেক কিছু তাদের জীবনে কিন্তু তাদের কেউ আলাদা করতে পারেনি!! একে অপরের ছায়া হয়ে ছিলো তারা। আর সামনে তাদের আরো খুশীর দিন। সেই খুশী স্থায়ী নাকি অস্থায়ী তা এক মাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামিন জানেন। তবে মজার ব্যাপার হলো | রাহুল ? হীর | হিরা ? পূর্ণির | বিয়ে এক সাথে হবে আর। বিয়ের আয়জনের পুরো দমে প্রস্তুতি চলছে।সবাই ব্যস্ত সময় পার করছে এখন। এই তো আর মাত্র এক সাপ্তাহ পড়েই তারা পুরিপুরি ভাবে একে অপরের জীবন সঙি হতে চলেছে। হতে চলেছে দুঃখ,?কষ্ট,?সুখ,?দুঃখ,?মান,?অভিমানের সাথী?।কতোই না আশা?, ভরসা, ?কতই না অপেক্ষা এই বিয়ের দিনটার একে অপরকে একদম নিজের করে পাওয়ার আশা! একদিন সেই দিন আসবে ভরশা! অবশেষে সেই দিন খুব বেশী দূর নয় আর কটা দিনের অপেক্ষা মাত্র!!
.“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন


ঐদিন হিরা যখন রাহুল আর হীরের কথা বলে। রাহুল পুরো বিব্রত অবস্থায় চুপ ছিলো পুড়োটা সময়। রাহুল এতো টা নির্লজ্জ হতে পারেনি হীরের মাকে একটা কথাও সে বলতে পারেনি চিন্তিত আর চুপ ছিলো রাহুল কারণ হীরের মা কি উত্তর দিবে তাকে সেই ভেবে। রাহুলের সাথে আরো একজন চুপ আর খুবি চিন্তিত ছিলো সেটা আর কেউ নয়!! হীরের মার!! তিনি চিন্তিত ছিলো মেয়ের জন্য। মেয়ে চখে তিনি স্পস্ট কষ্টের ছাপ দেখেছেন এই ক মাস!! দেখেছেন কত শত আকুতি চোখে মুখে সেটা কিসের তিনি জানতেন না।তবে আজ…… হীরের মার রাহুল কে নিয়ে কোনো আপত্তি ছিলো না। ছিলো মেয়ের খুশী নিয়ে হিরা তার মাকে সব বলে হীরের সম্পর্কে!! কি হয়েছে হীরের সাথে!! সব শুনার পড় তিনি মনে মনে সিধান্ত নেন !! আর মেয়ের ইচ্ছাতেই ইচ্ছা রাখেন। অনেক চিন্তা করার পড়। হীরের মা রাহুলের হাত ধরে এইটুকুই বলেন!! “হীর যখন সময় চায় তাকে আমি সময় দিতে চাই। আমার মেয়ে তার জীবন যে ভাবে সাজাতে চায় সে ভাবেই আমি রাজী তুমি পাত্র হিসেবে ভালো জানি কিন্তু তাও আমি হীরকে জোড় করবো না এখুনী বিয়ে করতে। আর আমি এটাও জানি তুমি অপেক্ষা……….!”
.
রাহুল উনার পুড়া কথা শেষ করার আগেই মুচকি হেসে উত্তর এ বলেছিলো। “আমি অবশ্যই অপেক্ষা করবো।”
.
ব্যস ঐ দিনি এসব কথার শুনার পড় হিরা পূর্ণি ডিসিশন নেয় বুকে পাথর রেখে তারাও হীর আর রাহুলের সাথেই বিয়ে করবে। মোট কথা বিয়ে করলে এক সাথেই করবে তা না হলে না। অদের কথায় সবাই সম্মতি দিয়েছিলো।এভাবে ১ বছর পেরিয়ে যায় দু বছর এর মাথায় হীর নিজেই বলে বিয়ের কথা কিন্তু ঐ সময় হিরার প্রবলেম ছিলো। তাই পিছাতে হয়। আর নেক্সট ইয়ার প্রবলেম হয় পূর্ণির আর হীরের এক্সাম নিয়ে এসব কিছুতে ৩ বছর পার হয়ে যায় এখন সবাই সেটেল। হিরা ভালো চাকরী পেয়েছে তাই রাহুল দের বাসা ছেড়ে দেয় হীর পূর্ণির পড়াশোনা ও শেষ আর রাহুল ও ডক্টর লাইফ ভালোই তাই এবার আর বাধা নেই। দুই পরিবারের সম্মতিতেই দুই বাড়ী থেকে বিয়ের আয়োজন চলছে। হ্যাঁ রাহুলের মা পূর্ণি হিরা রাহুল হীরের সম্পর্ক মেনে নিয়েছে। তিনি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে!! যখন রাহুল পূর্ণি একদমি উনার খোঁজখবর নিতো না ঐদিনের পড় যে দিন অর্ণিক কে নিয়ে রাহুলের ফ্ল্যাটে গিয়েছিলো শায়লা এর পড় থেকে রাহুল পূর্ণি রেগে উনার সাথে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ফলে তিনি একদম একা হয়ে যায়। অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থর খবর শুনে রাহুল আর রাগ করে থাকতে পারেনা। দৌড়ে যায় মার কাছে আর সেদিন রাহুল খুব কেঁদেছিলো উনার সামনে। কেনো এমন করে তিনি পূর্ণি আর তার সাথে জিজ্ঞেস করে কেঁদে কেঁদে রাহুল। রাহুলের কান্না দেখে ঐদিন হয়তো শায়লা তার ভুল বুঝতে পেরেছিলো। যে মা হারা দুটো সন্তান কে তিনি অযথায়ই খুব কষ্ট দিয়েছেন যার কোনো মানেই হয় না!! এসব ভেবেই তিনি অসুস্থ অবস্থায় ক্ষমা চায় রাহুলের কাছে রাহুল জেনো এক দণ্ডে সব ভুলে যায় আপন করে নেয় মাকে। তারপর থেকে একসাথেই আছে তারা সুখী পরিবারের মত। রাহুল আর ভাবেনি যে শায়লা তার সৎমা। শায়লা হিরা হীর এবং হীরের মার কাছেও অদের বিয়ে ঠিক হয় দিন ক্ষমা চায়। সবাই আপন করে নেয় শায়লা চৌধুরী কে।
.
আর হীর এই তিন বছর হীর মুক্ত পাখি ছিলো। লাইফ কি হীর বুঝেছে!! সত্যি কার ভালোবাসা কি হীর বুঝেছে!! আর এই সব বুঝিয়েছে রাহুল!! হীরের রাহুল ? হীর এখন খুশীতে কাঁদে প্রায় সময়। তার ভাবনায় ছিলো না জীবন এভাবেও পালটাতে পারে?? রাহুল হীরকে ভালোবাসার সঠিক মানে বুঝিয়েছে বুঝিয়েছে!!কাউর কাছে জিম্মি হয়ে থাকা ভালোবাসা না। ভালোবাসা রাতে ৫/৬ ঘণ্টা না ঘুমিয়ে কথা বলা না। ভালোবাসা হচ্ছে যাকে পেয়ে তুমি প্রতিদিন নতুন করে বাঁচতে শিখবে। যাকে ভালোবেসে আমরা স্বাধীন মনে করবো নিজেকে। যেখানে বিশ্বাস থাকবে। মিথ্যে থাকবেনা। অভিনয় থাকবেনা। থাকবে সত্যি ভালোবাসার মানুষের কাছে মিথ্যে বলার মানেই হয় না।
হীর আর রাহুলের সম্পর্ক্টা হীরকে বাঁচরে শিখায় ভালোবাসতে শিখায় রোজ!!
.
[কিন্তু লুতুপুতু প্রেম করতে গিয়ে যে আমরা রাতে ৫/৬ ঘণ্টা সজাগ থাকি তাতে বাঁচার ইচ্ছে থাকলেও। রাত জাগার কারনে অকালে মৃত্যু হতে পারে!! তাই লুতুপুতু ভালোবাসা থেকে দূর থাকুন সবাই? ]
.
রাজ সকাল সকাল
রাহুল ? হীর | হিরা ? পূর্ণি। বিয়ের শপিং এ এসেছে।সকাল থেকে তারা শপিং করছে। হিরা পূর্ণিকে নিয়ে প্যারায় আছে কারণ এই মেয়ের এক দোকান ঘুরেই খিদে পায় আর হিরাকে এক্টু পড় পড় মলের একেক রেস্টুরেন্ট ঢুকে পূর্ণিকে খাওয়াতে হয়। হিরা মনে মনে ভাবে। এতো খায় তাও মোটা হয় না আস্ত প্যারা। আর পূর্ণি তার এসবে খেয়াল নেই পূর্ণিকে খেতে ভালোবাসে খাবার হলেই হলো। এদিকে রাহুল একের পড় এক শাড়ী হীরের গায়ে দিয়ে দেখছে কোন টা মানায় হীরকে।আর হীর মুখ গমরা করে রেখেছে। তারো কারণ আছে!! হীর লেহেঙ্গা পড়তে চায় বিয়েতে কিন্তু রাহুল চায় হীর বিয়ের দিন লাল টুকটুকে শাড়ী পরুক। তাই হীরের মুখ গমরা কিন্তু রাহুল কে মানা করতেও পারছেনা। অনেক্ষণ ধরে রাহুল ভ্রু কুচকে সামনের শাড়ী গুলার দিকে তাকিয়ে আছে তা দেখে হীর বিরক্ত কণ্ঠে বললো।
.
— কি হলো!!! পছন্দ হয় নি একটাও??
— হইছে তো!!
চিন্তিত হয়ে বললো রাহুল।
— তাহলে নিচ্ছেন না কেনো একটা??
— একটা পছন্দ হয়নি আমার!!
— হীর ভ্রু কুচকে বললো। মানে??
— হীরের কথা উত্তর দিলোনা রাহুল। দোকানের স্টাফ কে বললো। যে কয় টা এখানে আছে সব গুলা প্যাক করে দিন!!
— হীর রাহুলের কথা থ বনে গেলো। হীর রাহুলের থেকে চোখ সরিয়ে সামনে রাখলো সেখানে প্রায় ৩০ টা বিয়ের শাড়ী আছে বেশ দামী আর চ। হীর ভাবছে এতো গুলা দিয়ে হীর করবে কি?? তাও বিয়ের শাড়ী?? হীর দ্রুত বললো। এই কি বলছেন পাগল হইছেন?? এতো শাড়ী দিয়ে করবো কি তাও বিয়ের শাড়ী? আবার দাম ও কত বেশী আল্লাহ আপনার এতো টাকা বেশী হইছে জানতাম না তো আমি!!
— রাহুল মুচকি হাসলো। তারপর হীরের কানের কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বললো। আরে এতো শাড়ী দিয়ে কি করবে বুঝছো না?? ওকে আমিই বলি!! তুমি রোজ রাতে একটা একটা করে পড়বে বিয়ের পড় আর আমি বাসর রাতের মজা নিবো। ভালো হবে না?? প্রতিদিন হানিমুন হানিমুন ফিলিং নিবো!! তার জন্য কিছু টাকা গেলে গেলো!! তাতে কি। বলেই রাহুল হাসতে লাগলো।
— রাহুলের কথা শুনে হীরের কান গরম হয়ে গেলো। চোখ বড় বড় করে কিঞ্চিত রেগেই বললো। আস্ত লুচু গুণ্ডা একটা!!
— রাহুল আলসেমো ঝেড়ে বললো। ঐ হ্যাঁলো যাই করছি হবু বৌ এর সাথে করছি। তাই লুচু হওয়ার প্রশ্নই আসে না। তারপর রাহুল স্টাফ কে তাড়া দিলো। প্লিজ ফার্স্ট প্যাক করে দিন সব গুলো।
.
হীর আর কিছু বললো না।ড্রাইভার কে শপিং ব্যাগ গুলা দিয়ে তারা পূর্ণি আর হিরা কে খুঁজতে লাগলো। পুরো মল খুঁজে না পেয়ে রাহুল হিরাকে কল লাগালো।
.
— হ্যালো হিরা কই তোমরা??
— আর কই ভাই আপনার বোনের পাল্লায় পরছি আমি কি আর ঠিক জায়গায় থাকি?? কাঁদকাঁদ হয়ে বললো হিরা!!
— রাহুল অবাক হয়ে বললো। আবার কি করছে আমার গুণধর বোন??
— কি আর করবে এসেছে বিয়ের শপিং করতে। কিন্তু সে রেস্টুরেন্ট এ বসে গিলছে। কোন সময় সব কমপ্লিট করবো বলেন তো ??চিন্তিত কণ্ঠ হিরার।।
— চিন্তা করো না আমি হীর সব কমপ্লিট করেছি। তুমি পূর্ণিকে খাইয়ে বাসায় চলে যাও ড্রাইভার কে নিয়ে আমি তোমাদের শপিং কমপ্লিট করে হীরকে নিয়ে আসছি।
— আপনার বোন মানবে??
— আরে চিন্তা করোনা ও খেয়ে হাটতে পারেনা বেশী চলে যাবে বাসায়। রাখছি।
— আচ্ছা। সাবধানে আসবেন!!
— আচ্ছা!!
.
এতো গুলা বছরে রাহুল আর হিরার সম্পর্ক্টাও ঠিক হয়ে গেছে দুই জন একদম বেষ্ট ফ্রেন্ড এর মতো একজন আর একজনের ডিসিশন ছাড়া কেউ কিছু করেনা। সুযোগ পেলেই দুজন আড্ডায় বসে আর রাজ্যের গল্প জুড়ে দেয়।জেনো কত কথা বলা বাকি তাদের।কেউ বলবেই না তাদের পরিচয় মাত্র তিন বছর এর।
.
রাহুল ফোন কেটে ফোন চ্যাক করলো। ফোনের স্ক্রিনে ঝল ঝল করছে ৪ টা বাজে। হীর জিজ্ঞেস করলো।
.
— কই ওরা??
— পূর্ণি রেস্টুরেন্ট এ খাচ্ছে!!
— হিহি! আবার??
— হাহা ওর আর কাজ কি?? আচ্ছা চলো সব তো কমপ্লিট শপিং তাই না??
— হ্যাঁ ভাইয়া পূর্ণির টাও তো আপনি আগেই কিনলেন। আর এখন আমাদের টাও কমপ্লিট তো এখন বাসায় যাই?
— না এক জায়গায় যাবো চলো!!
— কই যাবো??
— চলো আগে!!
— বললে কি হয়??
— গেলেই দেখবে!! চলো।
— ঢং!!
— না ফ্যাশন!!
.
রাহুল একটা রিকশা ডাকলো। তারপর একটা এড্রেস বললো। তারপর তারা রিকশায় উঠলো। হাল্কা রক্তিম আভায় তারা রিকশায় পাশাপাশি বসে আছে রাহুল হঠাৎ হীরের হাত টা শক্ত করে ধরলো। হীর এবার ভালো করে রাহুলের দিকে তাকালো ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো।
.
— কি হয়েছে ভয় কেনো পাচ্ছো??
— রাহুল অবাক হলো হীর তুমি করে বলছে এটা ভেবে খুশীই হলো!! আবার ভাবলো হীর বুঝলো কি করে সে ভয় পাচ্ছে!! রাহুল বললো। ভয় করছে হীর আমি থাকতে পারবো তো তোমার পাশে সারাজীবন??
— হীরের বুক ধক করে উঠলো রাহুলের কথায়। হীর কিঞ্চিত রেগেই বললো। এগুলা কেমন কথা রাহুল?? কিচ্ছু হবে না!! সব ঠিক হবে যা হবে!!
যা হয় ভালোই হয়!!
— ভয় হয় হীর খুব ভয় হয় ইদানীং। এই ভালো সময় গুলা জেনো হারিয়ে না যায়।
— হীর এবার রাহুল কে আশ্বাস ভরা গলায় বললো। রাহুল জীবনে কোনো কিছুই স্থায়ী থাকে না। এই দেখো কিছু বছর আগেও আমি কতই না কষ্টে ছিলাম। কিন্তু সেই কষ্ট কি এখন আছে?? নেই তো। তেমনি এই ভালো সময় ও সব সময় থাকবেনা। জীবনে উথানপাথান আসবেই তা নিয়ে ভয় পেয়ে এই মুহূর্তটা নষ্ট করার মানেই হয়না বুঝেছেন এবার হাসুন।
— রাহুল মুচকি হেসে বললো। ইউ নো হীর আমি এমন এটকা হীরকেই চেয়েছিলাম যে পরিস্থিতি বুঝে ভেঙে পড়েনা!! আই লাভ ইউ সো ম্যাচ হীর!!
— হীর হেসে রাহুলের কাধে মাথা রেখে রাহুলের হাত জড়িয়ে ধরে বলে উঠে। আই লাভ ইউ মোর!
.
প্রায় ২ ঘণ্টা একটানা রিকশা চলার পড়। লাল লাল পাহার দেখতে পায় হীর দূর থেকে। জায়গা টা তার চেনা কিন্তু প্রায় ৪ বছর আসেনি এখানে। হীর চট করে রাহুলের দিকে তাকালো। রাহুল বললো।
.
— অবাক হওয়ার কি আছে?? আমি জানি এটা তোমার পছন্দের জায়গা!!
— কিন্তু কি করে? আমি তো বলিনি কখনো কারণ….
— জানি কারণ টা শিহাব। কারণ টা এটাই এখানে শিহাবের অনেক স্মৃতি তাই তো এখন তুমি এই যায়গাটাকে তোমার ফেরারিট বলে মানতে চাও না!!
— হীর পুড়াই থ হয়ে গেলো। হীর ভাবছে এতো কিভাবে বুঝে রাহুল তাকে।কিন্তু হীর সেই প্রথম দিন থেকে এতো গুলা বছরেও রাহুলের ক্যারেকটার ই বুঝলো না বুঝবেই কিভাবে। রাহুল এখনো ইমোশনাল তো এখুনী আগুন । হীর অস্ফুট স্বরে শুধু। হু বললো।
— রাহুল হু শুনে হীরের দিকে তাকিয়ে বললো। আচ্ছা হীর তুমি মিস করোনা শিহাবকে কখনো ??
.
হীর কিছু বললো না চুপ করে রইলো। রাহুল ও আর কিছু জিজ্ঞেস করলো না। সে বুঝেছে যা বুঝার। রাহুল হীর রিকশা থেকে নামলো। পাহার এক পাশে আর এক পাশে ছোট ছোট টঙ দোকান আর বেশ দূরে দূরে দুই তিনটা বাড়ী। বুঝাই যস গ্রাম এলাকা। রাহুল হির পাহারের সাইডেই নেমেছে। রাহুল আশপাশ টা এক নজর দেখলো।
.
সবুজ সবুজ অনেক বছর পুড়নো বিশাল বড় বড় গাছ। আর তার সাইডে মধ্যে লাল লাল বড় ছোট পাহার। সাইড দিয়ে বেয়ে বেয়ে পাহারে উঠা যায়। জায়গাটা বিশাল এরিয়া নিয়ে। উপরে খোলা আকাশ আর বাতাসে সেই পুড়নো গাছ গুলায় দোল খাওয়ার সাথে পাতার ঝলমল করার অদ্ভুত শব্দে কেমন জেনো মন প্রান জুড়িয়ে গেলো। রাহুল চোখ বন্ধ করে শ্বাস নিয়ে চোখ খুলে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে আছে লাল আর সবুজে ঘেরা প্রকৃতির আরেক রুপ দেখতে।রাহুলের পছন্দ হয়েছে জায়গাটা। রাহুল এবার পাশে তাকালো হীর নেই পাশে!! রাহুল চমকে আশেপাশে দেখতে লাগলো। রাস্তার ঐপাশে তাকাতেই দেখতে পেলো হীর পাশে টঙ দোকানে চললে গেছে। রাহুল দ্রুত হীরের কাছে গেলো। গিয়েই এক ধমক দিলো।
.
,
— এই মেয়ে এভাবে না বলে চলে এলে কেনো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম আমি!!
— হীর হাল্কা হেসে বললো। এবার তো পেয়ে গেছো?? এবার আমার সাথে চা খাও!! বলেই দোকানের ছেলের হাত থেকে দু কাপ চা নিয়ে এককাপ রাহুলের হাতে দিয়ে বললো। তুমি প্রকৃতি দেখতে ব্যস্ত ছিলে তাই ডিস্টার্ব করিনি!!
— রাহুল দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো। হ্যাঁ আসলে আমার জীবনের অর্ধেক সময় তো আমি এই দেশের বাইরেই কাটিয়েছি এইটুকু সুন্দর দৃশ্যই দেখার সময় বা জায়গা পাইনি!! বলের মুখের কাছে চা নিয়ে রাহুল অবাক হয়ে বললো। হোয়াও কত সুন্দর স্মেল আসছে। এক চুমুক খেয়ে রাহুল বললো। হোয়াট আ্য ট্যস্ট!!
— এটা নারকেল এর দুধ এর চা। শুধু মাত্র এখানেই পাওয়া যায়। ভালো না??
— কি বললাম অনেক ভালো!!
.
হীর হাল্কা হাসলো। রাহুল তিন কাপ চা খেলো সাথে হীরো।। তারপর রাহুল বিল পে করে হীরের হাত ধরে পাহারের দিকে চললো। সূর্য ভুবে গেছে অন্ধকার নেমে আসছে। অন্য সময় হলে হীর মানা করতো এখন উপরে উঠা ঠিক হবেনা। কিন্তু কেনো জেনো এখন না করতে ইচ্ছে করছেনা। রাহুল কোনোরকম একটা পাহারে হীরকে নিয়ে উঠলো। উঠা যায় খুব সহজেই এখানে মানুষ উঠতে উঠতে রাস্তার মতই তৈরী হয়েছে পাহারের পাশ ঘেষে। তাই কোনোরকম উঠে গেছে তারা। রাহুল তো এখানে উঠে আরো মুগ্ধ এতো বড় গাছ গুলা জেনো তার নাগালে রাহুল উচ্ছাসিত চোখে আশেপাশে দেখছে নিচের থেকে উপর থেকে আরো সুন্দর লাগে পাহার আর গাছ গুলো। হীর ও অনেক দিন পড় প্রিয় জায়গায় চোখ বুলাচ্ছে চোখে ভাসছে অনেক অনেক স্মৃতি ভয়ংকর অতীত এর স্মৃতি তবে এখন আর কষ্ট হয়না হীরের। কারণ রাহুল তার পাশে আছে। হীর দূরে তাকিয়ে আকাশ পাতাল ভাবছিলো তখনি রাহুল কানের কাছে গিয়ে “ভাউউউ” বলে উঠলো। হীর চিৎকার দিয়ে উঠলো।
.
— রাহুলললল!!!
— রাহুল হীরে পেছন থেকে জরিয়ে ধরলো। আরে এই তো আমি!!
— শয়তান ছেলে!! আমি কত ভয় পাইছি!!
— আমায় ছাড়া কি ভাবছিলে তার শাস্তি!! এখন বলো কি ভাবছ!!
— আগে ছাড়ুন কেউ দেখবে!!
— এই ভর সন্ধ্যায় আমি তুমি আর ভুত ছাড়া এই পাহারে কেউ নেই স্লিপিংকুইন!!
— এই আপনি আমায় স্লিপিংকুইন কেনো ডাকেন বলেন তো??
— কারণ আমি জানি তুমি ঘুম পাগল!! আর আমি তোমায় প্রথম কিভাবে দেখেছি জানো??
— হীর অবাক হয়ে বললো। কিভাবে??? মানে ঐ দিন ছাদে আমাদের প্রথম মিট ছিলোনা??
— নাহহহ। বলেই রাহুল হীরকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে তার হাত দুটি ধরে বপলো। কিছু সত্যি কথা বলার আছে তোমায়!! আজ বললো।
— সত্যি কি সত্যি?? কি লুকিয়েছেন বলুন!!

.
.
চলবে
!
[ দেখছেন পেচগুছ ভাঙে লিখে কুলাতে পারিনি। আপনারা দোয়া করেন নি লিখে শেষ করবার পারলুম না। আর এক পর্ব তবে শেষটা আপনাদের পছন্দ নাও হতে পারে। তার জন্য আগেভাগে ই দুঃখিত। আর হয়তো গুছিয়ে লিখতে পারিনি তাই ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন ডিলিট হয়ে গেছে একবার সুন্দর করে লিখেছিলাম কিন্তু কপাল ডিলিট হয়ে গেলো। তাই আবার লিখে দিতে লেট হয়ে গেলো ? আমার কপালি খারাপ। যাইহোক কেমন হইছে জানাবে নেক্সট নেক্সট করবেন না। কালি পারলে নেক্সট দিবো ইনশাল্লাহ ☺]
Roja Islam

প্রতারক part 25

0

প্রতারক part 25
#Roja_islam

.
হীর এক্টু এগিয়ে গিয়ে রাহুল এর পিঠে হাত রাখতেই। রাহুল ঘুরে হীরকে জড়িয়ে ধরে। শান্ত স্বরে বলে উঠে।
— হীর আমি পূর্ণিকে খুশী দেখতে চাই।তোমাকে পাশে চাই থাকবে প্লিজ।
— হীর মুচকি হেসে বললো। চেষ্টা করবো আমি আর চিন্তা করবেন না। পূর্ণি খুব খুশী থাকবে ভাইয়ার সাথে।
— আমি জানি হীর তাই তো ওদের বিয়েটা দ্রুত দিতে চাই। কালি আমি তোমাদের বাড়ী যাবো কথা বলতে আন্টিকে বলে দিও।
— আচ্ছা!!
.
রুমের লাইট অফ হিরা পূর্ণি বারান্দায় ব্যেতের সোফায় বসে আছে। ল্যাম্পপোস্ট এর আলোয় হাল্কা হাল্কা দেয়া যাচ্ছে বারান্দায়।
পূর্ণি হিরার কোলে বসে আছে। হিরার চুলে হাত বুলাচ্ছে আর মিটিমিটি হাসছে পূর্ণি অর্ণিক এর কথা ভেবে। হিরা পূর্ণির হাসি লোখ্য করে শান্ত স্বরে প্রশ্ন করলো।
.
— কি হলো এভাবে হাসছ কেনো??
— এমনি!!
— এক কথা বারবার জিজ্ঞেস করিনা!!
কিছুটা রেগে বললো হিরা।
— এতো রাগ কেনো তোমার বলো তো?? এক্টু কিছু হলেই গম্ভীর দানব হয়ে যাও!!
— আমি এমনি!!
— এমনি কেনো আমায় তো এক্টু আগে ভয় দেখালে কই আমি তো রাগিনি??
— কারণ ঐটা আমি ছিলাম তাই রাগো নি অন্য কেউ হলে ঠিকি রাগ করতে না??
— হ্যাঁ সেটা তো অবশ্যই রাগ না শুধু মেরে তক্তা বানিয়ে দিতাম।
— অরে আমার গুণ্ডি রে চুপ কর!!
— পূর্ণি ভেংচি কেটে বলে উঠে। হুহ!!
— হিরা হাল্কা হেসে বলে উঠে। এখন কথা ঘুরানো শেষ হলে বলো কেনো হাসছিলে!!
— পূর্ণি আবার হিরার চুলে হাত বুলাতে বুলাতে দুষ্টু হেসে বললো। আমি না কিছুক্ষণ আগে একটা ছেলে চুল টেনেছি জোড়ে জোড়ে!! হিহি তাই তোমার চুলে হাত বুলিয়ে ঐ সময় এর কথা মনে পড়ছে তাই হাসি পাচ্ছে!!
— হিরা ভ্রু কুঁচকে বললো। কোন ছেলে??
— আরে ঐ……!
.“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন


এই টুকু বলে থেমে গেলো পূর্ণি!! এখন অর্ণিকের কথা বলতে গেলে সব বলতে হবে হিরা কে। আর হিরা যদি আবার রাগ করে শায়লা চৌধুরীর কথায়। আবার যদি হিরা তাকে ছেড়ে চলে যায়। তাই পূর্ণি চুপ করে ফ্যালফ্যাল করে হিরার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে।তা দেখে হিরা মুখ শক্ত করে পূর্ণির দিকে তাকিয়ে কড়া গলায় প্রশ্ন করলো।
.
— আমি কিছু জিজ্ঞেস করেছি পূর্ণি?? কোন ছেলে??
–……….
— এন্সার মী পূর্ণি!! হিরা ধমক এর স্বরে বলে উঠে।
— পূর্ণি ধমক খেয়ে ভয়ে কেঁপে উঠে। আসলে……..!
— আসলে কি?? কেনো রাগ উঠাচ্ছো বলো কি হয়েছে!!
চেঁচিয়ে উঠে হিরা।
— ঠিক আছে বলছি শুনুন।
.
চিৎকার করে পূর্ণি সব বলে দেয়। সব শুনে হিরা বুঝতে পারে। পূর্ণি কেনো বলতে চাচ্ছিলো না তাকে সব। তাই হিরা পূর্ণির দু গালে আলতো করে ধরে তার মুখামুখি করে পূর্ণিকে। পূর্ণি জ্বলজ্বল চোখে বলে উঠে।
.
— আবারো রেগে আমায় ছেড়ে চলে যাবে??
— আমি বলি নি আর এমন হবে না!! তাহলে এভাবে বলছ কেনো??
— ভয় করে!!
— ডু ইউ ট্রাস্ট মী পূর্ণি??
— আই ডু!!
— আমি কখনো তোমায় ছেড়ে যাবোনা ট্রাস্ট মী!!
— আই লাভ ইউ মাই ডাইমোন্ড!!
— আই লাভ ইউ মাই পেইন!!
— পূর্ণি ভ্রু কুচকে বললো। কি বললে??পেইইইন আমি??
— হিরা ভয়ে ঢোগ গিললো। না মানে ঐ আর কি!!
.
পূর্ণি রেগে হিরা কোল থেকে উঠে রুমে গিয়ে জোগ এনে। হিরা কিছু বুঝার আগেই। হিরার উপর জোগ ভর্তি জুস ঢেলে দেয় দিয়ে হন হন করে ড্রইং রুমে চলে যায়।ততক্ষণে হীর, রাহুল ও নিচে চলে এসেছেছিলো। হিরা কিছুক্ষণ তব্দা খেয়ে বসে থেকে। উঠে ড্রইং রুমে যায়। গিয়ে দেখে রাহুল, হীর, পূর্ণি কথা বলছে হিরা রাহুলের ভয় সব ভুলে পূর্ণির সামনে গিয়ে বলে উঠে।
.
— এর জন্যই তোমায় পেইন ডাকি স্টুপিড!!
— পূর্ণিও চিৎকার করে বলে। ভালো হইছে হুহ!!
.
কিছুক্ষণ সবাই একে অপরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করার পড়।
জুসে কাক ভেজা হিরাকে দেখে হীর, রাহুল, পূর্ণি হো হো করে হেসে দেয়। ঐ রাতে ওভাবেই হীরকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে হিরা রাগের চটে।হিরা কথা বলেনি আর পূর্ণির সাথে। রাহুল শুধু হীরের দিকে তাকিয়ে ছিলো মেয়েটা কেঁদে চোখ ফুলিয়ে ফেলেছে। ওরা চলে গেলে রাহুল পূর্ণিকে পেইন বলে ক্ষ্যাপানো শুরু করে।আর পূর্ণি রেগেমেগে শেষ শুরু হয় ভাই বোনের ঝগড়া।
.
.
.
সকালে ১০ টার দিকে নিতু চোখ মেলে তাকায়। দেখে শিহাব ওর দিকে তাকিয়ে আছে। নিতু চোখ নামিয়ে নেয় কারণ বুঝাই যাচ্ছে শিহাব রেগে আছে। শিহাব থমথমে গলায় প্রশ্ন করে নিতুর ফোন নিতুকে দেখিয়ে।
.
— এসব কি????
— নিতু মাথা তুলে নিজের ফোন্টা শিহাব এর হাতে দেখে ভয়ে কেঁদে দিলো। আসলে…….!
— থাক আর শুনতে চাই না!!
.
শিহাব আর কিছু না বলে। নিতুকে উঠিয়ে ফ্রেস করিয়ে ব্রেকফাস্ট খাইয়ে ঔষধ খাইয়ে দেয়। নিতুর মা শিহাবের এই পরিবর্তন এ খুশী হলো এক্টু শান্তিও পেলো। নিতু ও অবাক হয় শিহাবের আচরণ এ। নিতু ভাবতে পারেনি শিহাব তার সেবা করছে। পড়েই ভাবে হয় তো দয়া করছে শিহাব। ১১ টার দিকে শিহাব নিতুর কাছে বলে বাইরে গেলো। নিজের ফ্রেন্ড দের নিয়ে নিতুর ঐ ব্ল্যাকমেইল করা বয় ফ্রেন্ড কে খুঁজতে। হন্য হয়ে খুঁজার পড় ও কোথাও পেলো না। নিতুর কাছে ঐছেলে যা বলেছে নিজের ব্যাপারে সব মিথ্যে বলেছিলো তাই শিহাব খুঁজে পায় নি। কিন্তু নিতুর ফোনে ঐছেলেটার বাজে মেসেজ এসেই যাচ্ছে। শিহাব রেগে ফোন বন্ধ করে নিজের বাসায় গেলো। মা বাবার সাথে কথা বলতে হবে ওর ওরাও জেনো নিতুকে ক্ষমা করে দেয়। আর এটাও বলবে শিহাব নিতুকে নিয়েই বাকি জীবন কাটাতে চায় সে।
.
শিহাব জানে তার বাবা মা মানবে না হয় তো। তাও চেষ্টা করতে হবে নিজের সব টা দিয়ে নিতুকে ভালো বানাতে হবে। তার ফ্যামিলির যোগ্য করতে হবে এসব হাজার চিন্তা ভাবনার সাথে বাড়ী যায় শিহাব। শিহাব বাড়ী ঢুকে ড্রইং রুমের সোফায় বসতেই। শিহাবের মা ছেলেকে ক্লান্ত হয়ে বসতে দেখে দৌড়ে পানি নিয়ে আসে।
.
— কিরে তুই কই ছিলি?? বাসায় কেনো ফিরিসনি রাতে?? আবার কই যাস তুই তোর বাবা খুজছিলো তোকে। আমায় আর কত কথা শোনাবি বল তো??
— শিহাব হা করে মার দিকে তাকিয়ে থেকে বললো। কত কথা বলো তুমি?? বসো এখানে। বলে নিজেই মার হাত টেনে নিজের পাশে সোফায় বসায় মাকে।
— শিহাবের মা অবাক হয়ে বলে উঠে। কি হইছে তোর?? মুখ শুকনো কেনো?? রাতে খাসনি?? কই ছিলি!!
— না খাই নি মা আসলে!!
— কি?? বল!!
.
শিহাব আর কথা না বাড়িয়ে নিতুর কথা সব বলে সাথে হীরের কথাও বলে শিহাব। শিহাবের মা সব শুনে আরো রেগে গেলো।
.
— ঐ মেয়ের জন্য সব হলো তাও তোরা ওকে ক্ষমা করে দিচ্ছিস। ওকে তো পুলিশ এ দেওয়া দরকার মিথ্যা বাদী মেয়ে।
— মা প্লিজ ভুল সবারি হয়। আমারো তো হইছে। মা প্লিজ তুমি আমার কথা আর একটা বার রাখো।
— আমি আর কিছু করতে পারবো না শিহাব তোর বাবা মানবে না কিছুতেই না। ঐমেয়ের নোংরামি নিজ চোখে দেখার পরেও।
— প্লিজ…….
— শিহাব আর না আমি আর তোকে কোনো হেল্প করতে পারবো না। স্বামীর অবাধ্য আমি কখনো হই নি। কিন্তু তোর জন্য হইছি। কিন্তু এতো কিছুর পড় আর ঐ মেয়েকে মানা যায় না!!
.
শিহাব আর কিছু বলতে পারলো না। সে ভাবছে যখন কঠিন হওয়ার দরকার ছিলো তখন তার মা বাবা হয় নি। কিন্তু এখন সে সত্যি ভালো হতে চায় আর একটা মেয়েকে ভালো করতে চায়। এখন কেউ তার পাশে থাকবে না এটাই বাস্তবতা। আর তার মা বাবারিবা দোষ কি তারাও তাদের যায়গায় সঠিক। এমন মেয়েকে কেই বা ছেলের বৌ মানবে। যার বয়ফ্রেন্ডের সাথে নোংরামি ছবি শ্বশুর বাড়ীর মানুষ পায়। তাই আর মার সাথে কথা বাড়ালোনা শিহাব উঠে বাড়ীর বাইরে চলে গেলো সে মার হাতের পানি টুকু খেয়ে।শিহাবের মা আজ শক্ত ছেলের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকলেও পিছু ডাকেনি।
.
শিহাব আস্তে আস্তে রাস্তার পাশ ঘেষে হাটছে শিহাব বাইক টাও রেখে এসেছে বাড়ীতে। সে চিন্তা করছে এটাই হয় তো সময় বাবা মা কে কিছু করে দেখানোর। সে নিতুকে নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েই বাড়ী ফিরবে নিতুকে নিয়ে। জেনো বাবা তাদের মেনে নেয়। শিহাব জানে তার বাবা নিতুর থেকে বেশী তার উপর রাগ এক মাত্র ছেলে হওয়ায় শিহাবের সব আবদার পূরন করেছে তার বাবা কিন্তু শিহাব বাবার জন্য এখনোব্দি কিছুই করতে পারেনি। যাতে করে তার বাবা ছেলের কাজে খুশী হবে। কিন্তু এবার শিহাব তেমন কিছু করতে চায়।যাতে করে বাবার সামনে দাঁড়াতে পারে অন্তত। এসব ভাবতে ভাবতে বাসে করে নিতুদের বাড়ী আসে শিহাব।
.
.
.
এদিকে সকাল সকাল রাহুল নিহাদ আর পূর্ণিকে নিয়েই। হিরা আর পূর্ণির বিয়ের ডেট পাকা করতে এসেছে হীর দের ফ্ল্যাটে। যেহেতু হীরকে রাহুল আগেই বলেছিলো আজ আসবে রাহুল কথা পাকা করতে। তাই মেহমান দের জন্য কোনো কমতি রাখেনি হীরের মা সব রকম আয়জন করেছেন তিনি।সারাদিন মেহমান দাড়িতেই চলে যায় সবার।দুপুরবেলা খাওয়াদাওয়ার পড়। হীরের মা রাহুল, হিরা, নিহাদ কথা বলতে বসেছে বিয়ের ব্যাপারে। হীর, পূর্ণি, আর রাইসা হীরের রুমে আড্ডা দিচ্ছে। আড্ডার এক পর্যায়ে পূর্ণি জিজ্ঞের করে হীরকে।
.
— হীর তুই ভাইকে কি উত্তর দিয়েছিস বল তো??
.
হীর তো এমন প্রশ্নে থতমত খেয়ে বসে আছে।কিন্তু রাইসা ভ্রু কুঁচকে রেখে বুঝার জন্য কাহিনী কি?? হীর জোর করে হেসে বললো।
.
— কিসের উত্তর এর কথা বলছিস তুই??
— আরে আমি জানি তো ভাই লাভস ইউ! তো নাটক করিস না বল কি উত্তর দিয়েছিস!!
.
পূর্ণি কথাটা বলে উত্তেজিত হয়ে খপ করে হীরের হাতটা ধরে বলে উঠে।
— এই হীর রাজী হয়ে যা না ভাই কে বিয়ে করতে প্লিজ!! তাহলে ৪ জন এর বিয়ে একবারে হয়ে যাবে কত মজা না।
.
হীর ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে পূর্ণির দিকে। হীরকে চুপ থাকতে দেখে রাইসা পূর্ণিকে জিজ্ঞেস করলো।
.
— এই ভাই টা কেরে পূর্ণি??
— পূর্ণি ধুম করে বলে উঠে। আর রে রাহুল ভাই…..!
.
পূর্ণি সম্পর্ণ বলার আগেই। রাইসা ধাম করে কান্না জুড়ে বসে। পূর্ণি হীর এর হাত ছেড়ে দ্রুত রাইসাকে ধরে বলে উঠে।
.
— আরে রাইসা তোর কি হইছে কান্না করছিস কেনো বল।
— রাইসা কাঁদতে কাঁদতেই বললো। আমার রাহুল্লল্লল্লল্ল।আমার রাহুল ছাড়া কেমনে বাঁচবো আমি হীর গুণ্ডা গুণ্ডা বলে ফাঁসিয়ে নিলি আমার রাহুলকে। বলে ভ্যা ভ্যা করে কান্না জুড়ে দেওয়ার বান করছে রাইসা।
.
এতোক্ষণ ফ্যালফ্যাল করে রাইসার নাটক দেখা হীর এবার খিলখিল করে হেসে উঠে। আর পূর্ণি বোকার মতো রাইসা আর হীরের দিকে তাকিয়ে আছে। পূর্ণি ভাবছে দুই টাই কি পাগল হয়ে গেলো??
.
.
এদিকে ড্রইং রুমে হিরা পূর্ণির বিয়ের কথার মধ্যে হিরা রাহুল, আর হীরের কথাও তার মাকে বলেছে। হঠাৎ রাহুল আর হীরের কথা হিরা এভাবে বলে ফেলবে তা রাহুল ভাবেনি। তার বিষণ অস্বস্তি হচ্ছে। আজ রাহুলের অবস্থা দেখে হিরা নিহাদ মিটমিট হাসছে। রাহুলের মন চাইছে ছুটে এখান থেকে চলে যেতে। আর হীরের মা এক মনে কি জেনো ভেবে যাচ্ছে।
.
.
[সরি গাইছ লেট করে ফেললাম দিতে। তো বলো এন্ডিং কেমন চাও সবাই?♥]
Roja Islam

প্রতারক part 24

0

প্রতারক part 24
#Roja_islam

পূর্ণি ইচ্ছা মতো অর্ণিকের চুল টানছে। বেচারা অর্ণিক চিৎকার করতেও পারছে না লজ্জায় যে কোনো মেয়ে তার চুল টানছে তাই অর্ণিক ছুটাছুটি করছে। বেচারা বৌ দেখতে এসে পাত্রীর থেকে চুল টান খাচ্ছে বেচারার তো বেহাল অবস্থা!!
.
কিছুক্ষণ আগের ঘটনা। পূর্ণিকে অর্ণিকের সামনে আনতে বলায় রাহুল চিৎকার করে উঠে।
.
— মম আপনি কিন্তু আপনার সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। চলে যান এখান থেকে এসব ভালো লাগছেনা আমার।
— রাহুলের মা খেকিয়ে উঠে। এই তোমারল ভদ্র বাবার শিক্ষা?? আমি তোমার সৎ মা আমার সাথে এসব করাই তোমাকে শিখিয়েছে তোমার বাবা ?? কেনো তোমার বাবা বলেনি আমার কথা শুনতে?? আমি তোমায় বলছি পূর্ণিকে ডাকো। পূর্ণিকে আমি ঐ থার্ডক্লাস ছেলের সাথে বিয়ে দিবোনা। পূর্ণির জন্য অর্ণিক বেষ্ট লাখে এক ছেলে আমার। পূর্ণিকে পছন্দ ও করে। তোমার মতো অর্ণিক ও মেডিকেল এ পড়ছে। হ্যাঁ সেটা ঢাকা মেডিকেল থেকে। তোমার মতো বিদেশেনা। তাও কত ভালো কথা তোমার মধ্যে আর অর্ণিকের মধ্যে পার্থক্য নেই। কিন্তু ঐ হিরার কি আছে……..!
— রাহুলের জেনো কেউ মাথায়, চোখে, মুখে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে যা ধাউ ধাউ করে জ্বলছে।হিরার ব্যাপারে বলার পড় আর চুপ থাকতে পারেনা সে চিৎকার করে উঠে। হ্যাঁ বাবা বলেছে আপনার কথা শুনতে কিন্তু এটা বলেনি। আপনার লোভী চিন্তা ভাবনা পূরণ করতে। আপনি এবং আমি নিজেও জানি অর্ণিকের সাথে কেনো বিয়ে দিতে চাইছেন আপনি। আর একটা কথা ঠিক বলেন নি আমার আর অর্ণিকের মধ্যে পার্থক্য আছে। অর্ণিক ডক্টর হতে চায় টাকা ইনকাম করার জন্য।আর আমি ডক্টর হতে চাই মানুষের সেবা করার জন্য। এটাই পার্থক্য আমাদের মধ্যে। আর সেই পার্থক্য থেকে বলছি। হিরা আর যাই হোক লোভী না!!
— রাহুলের এতো কথা শুনেও দমে যাইনি রাহুলের মা শায়লা চৌধুরী। তিনিও দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলেন। আমি এতো কথা শুনতে চাইনা তুমি পূর্ণিকে ডাকো। আর শোনো ছেলে টাকাই সব তোমার কথায় পেট ভরবেনা বুঝেছো!!
— রাহুলের রাগে হাত পা থরথর কাপছে সে এখানে আর ১ সেকেন্ড থাকলে সব ভস্ম করে দিবে।আর এই মহিলা যে পূর্ণিকে না দেখে কোথাও যাবেনা তা বুঝতে বাকি নেই তাই রাহুল চিৎকার করে পূর্ণিকে ডাকে।
.“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন


— পূর্ণিইইইইইইইই… পূর্ণি??
.
পূর্ণি আর হীর গল্প করছিলো রাহুল চলে যাওয়ার পড়।পূর্ণির রুম থেকে ড্রইং রুম দূরে এক্টু তাই এতোক্ষণ দুজন কিছু শুনেনি। কিন্তু রাহুলের গলা ফাটানো ডাক কিছুটা আসে পূর্ণির রুমে দুজনেই রাহুলের চিৎকার শুনে চুপ মেরে যায়। হীর বলে উঠে কিছুক্ষণ চুপ থেকে।
.
— রাহুল ডাকছে মনে হয় ভাইয়া এসেছে চল তোকে নিয়ে যাই!!
— হ্যাঁ কিন্তু ভাইয়ার ভয়েসে বুঝা যাচ্ছে রেগে আছে!! কিন্তু কেনো??
— হীর দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো। রাহুল হয় তো ভাইয়াকে মেনে নিতে পারেনি। তাই ভাইকে দেখে রেগে গেছে। এখন চল না হলে রাহুল আরো রেগে যাবে!!
— অন্যমনষ্ক হয়ে পূর্ণি শুধু “হু” বললো।
.
পূর্ণি বুঝতে পারছে বাইরে অন্যকিছু হয়েছে। কারণ হিরাকে তার ভাই কতটা পছন্দ করে সেটা পূর্ণি বুঝে। হিরাকে রাহুল পছন্দনা করলে পূর্ণি হিরার জন্য মরতে বসেছিলো তাও হিরার সাথে বিয়ে ঠিক করতোনা রাহুল। তাতেই বুঝা যায় রাহুল হিরাকে অপছন্দ করেনা বরং পছন্দই করে। সেটা হীর না বুঝলেও পূর্ণি বুঝেছে।
.
হীর পূর্ণি কে নিয়ে ড্রইং রুমে আসতেই দু জন থমকে থায়। এখানের পরিস্থিতি থমথমে। হীরের রাহুলের মাকে দেখে অবাক এর সাথে ভয়ে ঢোগ গিলে। আর পূর্ণি অর্ণিক কে দেখে অবাক এর সাথে বিরক্ত হয়। পূর্ণি ড্রইং রুমে আসতে অর্ণকি বিস্রী ভাবে হাসছে তার দিকে তাকিয়ে। তা দেখে পূর্ণির গাঁ জ্বালা করছে। পূর্ণি রেগে তার ভাইয়ের দিকে তাকায়। রাহুল মাথা নিচু করে সোফায় বসে রাগে ফুসছে।ভাইকে এতো রাগতে দেখে আর কিছু বলে না পূর্ণি।পড়ে যদি রেগে উল্টাপাল্টা করে বসে রাহুল তো…….!
.
রাহুলের মা পূর্ণিকে দেখে উঠে তার কাছে যায় আর হীরের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে। হীর তা দেখে মাথা নিচু করে ফেলে ভয়ে। শায়লা চৌধুরী পূর্ণিকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে।
.
— এই মেয়ে এখানে কি করছে পূর্ণি?? এই মেয়ের ভাই তো তোকে ফাঁসিয়েছেই।এখন এই মেয়েও কি তোর ভাইকেও এবাড়ী ফাঁসাতে আসে??
.
এই কথা শুনে হীরের চোখে পানি চলে আসে। তার বুঝতে পেরে পূর্ণি তার মার দিকে অগ্নিময় চোখে তাকায়।
.
— পূর্ণি রেগে বলে। কি বলতে এসেছেন এখানে সেটা বলুন?? এখানে কে এলো না এলো তাতে আপনার কি??
— ভালোই বেয়াদব হয়েছিস মার মতো দুজন।
— হ্যাঁ আমরা আমার মার বেয়াদব আর আপনি খুব ভদ্র তাই তো আপনার সন্তানি হয়নি!!
— রাহুলের মা এই কথা শুনে চেচিয়ে উঠে। পূর্ণি ইইইইই খুব বাড় বেড়েছিস??
.
পূর্ণি খুব রেগে আছে। হিরা কে ঐদিন তার সৎ মা শুনিয়েছে জেনে তাই পূর্ণি তার সৎ মাকে সহ্য করতে পারছে না।যাই নয় তাই বলে ফেলছে।কারণ এই কথার জন্যই পূর্ণি মরতে বসেছিলো এক্সিডেন্ট আর এক্টু গভীর হলে আজ পূর্ণি মারাই তো যেতো। তাই সব রাগ মার উপর ঝাড়ছে পূর্ণি। রাহুল বুঝতে পারছে পূর্ণি আরো বড় কোনো কথা বলে ফেলতে পারে তাই পূর্ণিকে চোখের ইশারায় চুপ থাকতে বলে। সে চায় না তার বা পূর্ণির ধারা কোনো বেয়াদবি হোক রাহুলের ইশারায়। পূর্ণি চুপ হয়ে যায়। আর পূর্ণিকে চুপ থাকতে দেখে রাহুলের মা বলে উঠে।
.
— আচ্ছা এখন এসব কথা বাদ।শায়লা কথা ঘুরিয়ে বলে। অর্ণিক যা পূর্ণির রুমে আলাদা করে কথা বলে দুজন দুজনকে বুঝে নে। পূর্ণি যা অর্ণিক কে নিয়ে তোর রুমে যা একদম অসভ্যতা দকরবিনা। এই সব থার্ডক্লাস মেয়ে দের সাথে থেকেই এসব শিখেছিস। হীর কে উদ্দেশ্য করে বলে কথা গুলো।
.
রাহুল এই কথা শুনে আর চুপ করে বসে থাকতে পারেনা। রেগে উঠে হীরের কাছে যায় হীর মাথা নিচু করে টলমল চোখে দাঁড়িয়ে আছে। রাহুল আর দেড়ি না করে হীর কে টানতে টানতে আবার ছাদে দিকে নিয়ে চলে যায়।
.
আর এদিকে পূর্ণি রাগে ফুসছে তার সৎমার দিকে তাকিয়ে।যিনি রাহুল আর হীরের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে রক্তচক্ষু নিয়ে। পূর্ণি আর সহ্য করতে না পেরে অর্ণিক এর দিকে তাকায়। অর্ণিক এখনো তার দিকে তাকিয়ে হেসে যাচ্ছে। পূর্ণিও অর্ণিকের দিকে তাকিয়ে কি জেনো ভেবে বাঁকা হাসে তারপর অর্ণিকে। উদ্দেশ্য করে বলে উঠে।
.
— কাম বেবি!! পার্সনালি কথা বলবে না আমার সাথে?? চলো রুমে চলো কাম!!
— অর্ণিক যেমন আকাশের চাঁদ হাতে পেলো। দাঁত বের করে হেসে বললো। আফকর্স চলো।
— ইয়াহ দিস ওয়ে কাম।
.
রাহুলের মা পূর্ণির কথায় ব্যবহার এ খুশী হয়ে পা ঝুলিয়ে সোফায় বসলেন টিভি দেখতে।তিনি মনে মনে খুশী অবশেষে তাহলে অর্ণিকের সাথেই বিয়ে দিতে পারবে পূর্ণির। কারণ আজ রাহুল ও তো উনাকে আটকাতে পারেনি। তাই উনি ভাবছে বিয়েটাও আটকাতে পারবেনা রাহুল। তিনি দিবেনি অর্ণিকের সাথে পূর্ণির বিয়ে হুহ ভেবেই ভেংচি কাটে রাহুলের মা শায়লা চৌধুরী!!
.
আর এদিকে পূর্ণি অর্ণিকে রুমে এনে সুন্দর করে হেসে তার বেডেই বসতে দেয়।তার পড় নিজেও বেডে উঠে অর্ণিকের পিছণ বসে আর খপ করে অর্ণিকের চুল টেনে ধরে। আর তখন থেকেই অর্ণিকের চুল টানছে পূর্ণি। আর মৃদু স্বরে ঝাড়তে লাগে অর্ণিকে।জেনো শায়লা চৌধুরীর কানে এই রুমের কথা না যায়। এদিকে পেছন থেকে চুলে এমন আক্রমনে কিছুই করতে পারছেনা অর্ণিক। পূর্ণি রেগে চুল কিছু ক্ষণ টেনে ঝাঁঝালো কণ্ঠে বলে উঠে।
.
— বিয়ে করবি আমায়? হুহ জানোস আমি কে?? কি কি করতে পারি?? দেখ আজ কি করি তোর চুল এক্টাও রাখবোনা আমায় তো দূর কাউকেই তুই বিয়ে করতে পারবিনা।টাকলা বানাবো তোকে আজ আমি। বলেই সজোরে টান দেয় পূর্ণি অর্ণিকের চুল।
— অর্ণিক ছুটার চেস্টা বাট চিল্লাচ্ছে না লজ্জার ব্যাপার একটা মেয়ে তার চুল টানছে এভাবে অর্ণিক রেগে বলছে। ছাড়ো পূর্ণি। হোয়াট দ্যা ফ…..!!
— পূর্ণিকে আরো রেগে যায় অর্ণিকের এই কথা শুনে। কি বললি এই কি বললি শালা আর তোর চুল টেনে ছিঁড়ে আমি টেনিস বল খেলবো।
— অর্ণিক চেঁচিয়ে বলে। আরে পাগল নাকি তুমি??? চুল দিয়ে টেনিস বল!! ওহহহ আন্টি প্লিজ হেল্প। বাঁচাও পাগল মেয়ের হাত থেকে আমার চু্লল।
— হিহি এখন আন্টি বাঁচাও। বিয়ে করতে আসার আগে মনে ছিলোনা এসব। বল বাইরে গিয়ে কি বলবি তোর আন্টিকে??
— তুমি পাগল!! আহহ ছাড়ো।
— এইইইত চুপ আমি পাগল। বলে পূর্ণি আরো জড়ে টান দেয়।
— আহহহহহ ছাড়ো।
— তো বল কি বলবি??
— বলবো বলবো তোমায় বিয়ে করবোনা।
— এই তো শোনা বেবি। মাইরের ভয়ে ভূত পালায় আর চুল টানার ভয়ে বুঝি বিয়ে করার ভূত যাবেনা তাকি হয়??
— হ্যাঁ হ্যাঁ এখন ছাড়ো প্লিজ!!
— আচ্ছা ছাড়বো শোন ছেলে হয়েও বড় চুল রাখার জন্য যদিও দুইটা কানের নিচে দেওয়ার দরকার তাও আমার হেল্প হলো বলে। এই তোকে না কিন্তু একদম না তোর চুল কে অনেক ধন্যবাদ। নাও আউট!!!
.
এটা বলেই পূর্ণি ছেড়ে দেয় অর্ণিক কে। অর্ণিক আর দেড়ি করে না তার বড় চুল গুলায় হাত বুলাতে বুলাতে ড্রইং রুমে গিয়ে তার আন্টিকে সোফায় বসে থাকতে দেখে চেঁচিয়ে বলে উঠে।
.
— আন্টি আমি যাচ্ছি আমি এই মেয়েকে বিয়ে টিয়ে করবোনা। এই মেয়ে আমার মান সম্মান কিচ্ছু রাখেনি। তুমি কি যাবে আমার সাথে!! গেলে চলো নাহয় আমি একাই গেলাম।
— অর্ণিকের চিৎকারে শায়লা চৌধুরী হুবুজুবু হয়ে সোফা ত্যাগ করে এসে অর্ণিকের হাত চেপে ধরলো। বাবা বাবা বল আমায় কি হয়েছে রাগছিস কেনো?? তুই কি আমার এতোদিনের ইচ্ছা পূর্ণ করবিনা??
পূর্ণিকি কিছু করেছে??
— এই কথায় অর্ণিক রেগে নিজের মাথা হাত বুলাতে বুলাতে কড়া গলায় বললো। আহহহ আন্টি আমি এখন এসব শুনছি না তুমি যাবেনা কি চলো!!
.
শায়লা অর্ণিকের রাগ দেখে আর কিছু বলতে পারে না সুরসুর করে অর্ণিকের পিছন ছুটে। অর্ণিক রেগে বম হয়ে আছে। তার ভাবতেও অবাক লাগছে সে একটা মেয়ের কাছে এভাবে হেনস্ত হলো।রাগে তার এই শখ করে বড় করা চুল গুলা কেচ কেচ করে কেটে ফেলতে ইচ্ছে করছে। এই গুলার জন্যই তো পূর্ণি এমন করতে পারলো!! সে এখন লজ্জায় বলতেও পারছেনা শায়লা চৌধুরী কে পূর্ণি তার সাথে কি করেছে।ভেবেই অর্ণিক রেগে নিজের চুল এবার নিজেই টানে গাড়ীতে বসে বসে।
.
.
.
পূর্ণি তার রুমে হেসেই যাচ্ছে। এক নাগারে তার ভাবতেই খুশী লাগছে অর্ণিকের সাথে সে কি করলো। ব্যাটাকে আচ্ছা শাস্তি দিয়েছে অন্যের বৌ দেখতে আসার।পূর্ণি ভাবছে অর্ণিকের তাকে দেখার সাধ মিটে গেছে একদম। পূর্ণির হাসির মধ্যেই কেউ তাকে পেছন থেকে ঝাপ্টে ধরলো কোমর জড়িয়ে। পূর্ণি চিৎকার করতে যাবে পারলো না ব্যক্তি টি তার মুখ চেপে ধরেছে। পূর্নি শুধু ছুটাছুটি কর যাচ্ছে। আর কিছু বলার চেষ্টা করছে।
.
— উম্মম্ম, উম্ম, উম্ম!!
— শুসসসস চুপ!!
.
.
রাহুল দাঁড়িয়ে আছে রেলিং ঘেষে। হীর নিঃশব্দে কাঁদছে রাহুলের পাশেই রাহুল বুঝতে পারছে হীর কান্না করছে। কিন্তু কিছু বলতে পারছেনা আজ তার মার জন্যই… তো কাঁদছে হীর তাই রাহুল চুপ করে আছে। এভাবে অনেক ক্ষণ যাওয়ার পড় রাহুল চিৎকার করে উঠে।
.
— কাঁদছ কেনো?? কেউ এক্টু কিছু বললেই কাঁদতে হয়?? শোনো দুনিয়া মানুষ অনেক কিছুই বলবে বাট। তুমি কি তা তুমি নিজে তো জানো এটাই এনাফ। আর নিজের সেই জানা থেকে হয় তাদের উত্তর দাও না হয় চুপ থাকো কিন্তু সামান্য কথায় কাদার কি আছে??? চোখের পানি হিরের মতো দামী বুঝেছ!!তাই যার তার জন্য কাঁদতে নেই!!
— হীর নাক টেনে শ্বাস নিয়ে প্রশ্ন করে। আপনার মা রাজী নয়। তবে কেনো বিয়ে দিচ্ছেন পূর্ণির ভাইয়ার সাথে??
— রাহুল দীর্ঘশ্বাস ফেলে। হীরের হাত টেনে নিজের মুখোমুখি দাড় করায়।হীর ফ্যালফ্যাল করে ভেজা চোখে তাকিয়ে থাকে রাহুলের দিকে। রাহুল হীরের হাত ধরেই মাথা নিচু করে বলে উঠে। হীর মম আমার সৎমা। আমার আম্মু আমি যখন ক্লাস ফাইভ এ পড়ি তখনি মারা যায়। আর আমার সৎ মা আমার আম্মুর বেস্ট ফ্রেন্ড ছিলো শায়লা আন্টি যিনি এখন আমার সৎমা। হ্যাঁ বাবা মার বেস্টিকেই বিয়ে করেছিলো। বাবা ভেবেছিলো যেহেতু আম্মুর বান্ধবী শায়লা আন্টি সেই দিক থেকে হলে বান্ধবীর ছেলে মেয়ে কে মানে আমাকে আর পূর্ণিকে ভালোবাসবে আগলে রাখবে। কিন্তু না উনি একজন বিবাহিত পুরুষকে বিয়ে করেছিলেন শুধু মাত্র টাকার জন্য। আন্টি অনেক কালো ছিলো তাই উনার বিয়ে হতো না। বাবা ভেবেছিলো এক কাজে দুই কাজ হবে। শায়লা আন্টিও সংসার পাবে আমরাও মা এর আদর কিন্তু। টার্স্ট মী হীর আমি পূর্ণি মা বাবা চলে যাওয়ার পড় কাউর আদর পাইনি বাকি সব কিছু পেলেও। আমি পড়াশোনার জন্য বাইরে যেতে চাইনি পূর্ণিকে ছেড়ে। কিন্তু বাবার সপ্ন ছিলো আমিও বাবার মতো বড় ডক্টর হবো। তাই যেতে হয়েছে। আর তারপর পূর্ণিকে খুব জ্বালিয়েছে উনি সব থেকেও পূর্ণিকে কষ্ট দিয়েছেন উনি এমনকি হাত ও উঠিয়েছে। আর দেখো এখন পূর্ণি কে তার ভালোবাসার মানুষ টার থেকেও দূর করতে চাইছে। কি চায় উনি আমি বুঝিনা হীর!!
— হীর অবাক হয়ে বললো। আপনার মা বাবা হঠাৎ কিভাবে মারা গিয়েছে??
— হঠাৎ না আম্মুর পূর্ণি হওয়ার পড় থেকে কি জেনো হয়েছিলো আমায় কেউ বলেনি ছোট ছিলাম তাই। আর বাবা শায়লা আন্টিকে বিয়ে করার পড় থেকে শায়লা আন্টি বাচ্চা হতোনা তাই প্রায় সময় বাবার সাথে ঝগড়া করতো। বাবা শান্ত মানুষ ছিলো কিন্তু একদিন সন্ধ্যেয় শায়লা আন্টি আবারো নানা কিছু বলে বাবাকে। ঐ সময় আমি এইটে পড়ি আমার সব মনে আছে। বাবা ঐ দিন চুপ থাকতে পাড়েনা। আসলে শায়লা আন্টি মা হতে পারবেনা সেটা বাবা জান্ত কিন্তু বাবা উনাকে বলতে চায়নি। কিন্তু ঐদিন বাবা চিৎকার করে সব বলে আর আন্টির উপর হাত ও উঠায়। ঐদিন ভোরেই বাবা আমায় ডাকে তার কাছে। পূর্ণিকে শায়লা আন্টিকে দেখে রাখতে বলে। আর এটাও বলে শায়লা আন্টিকে মা ভাবতে উনার কথা শুনতে। এসব বলেই বাবা শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে আমার চোখের সামনে। এই টুকু বলে থামে রাহুল তার চোখ ভিজে গেছে নিজেকে সামলে। আবার নিজেই বলতে শুরু করে। জানো হীর আমি শায়লা আন্টিকে মা ভাবতে চেস্টা করেছি বহুবার কিন্তু উনি সব সময় পূর্ণিকে আঘাত করতো।যখনি উনাকে আমি আপন ভাবতাম। আর বোনের কষ্ট দেখে আমার মন থেকে শুধু একটা কথা আসতো। সৎমা আপন মা হতে পারেনা বাবা। শুধু ভাবাই যায় আপন করা যায়না.. যায় না।
.
বলেই রাহুল মুখ ঘুরিয়ে নিঃশব্দ কেঁদে দেয়। হীরের কল্পনার বাইরে ছিলো রাহুলের মনেও বিন্দু পরিমাণ কষ্ট আছে। যে ছেলেটা তাকে এতো বুঝায়,এতো ভরসা দেয়, এতো রুঢ তার বিহেভিয়ার সেও মনে মনে কষ্ট পায় কিছু না কিছু নিয়ে। হীরে চোখ দিয়ে টপ টপ পানি পড়ছে রাহুল এই রূপ দেখে যা হীরে অজানা ছিলো রাহুলের মতো কেউ ও কাঁদতে পারে, তারো কষ্ট থাকতে পারে তা হীর ভাবেনি। রাহুল লুকাতে চেষ্টা করলেও হীর দেখেছে রাহুলের চোখে পানি। আসলে মানুষ মাত্রই ভুল, মানুষ মাত্রই কষ্ট,মানুষ মাত্রই সুখ,দুঃখ, আশা,ভরসা। কষ্ট নেই বুকের গহীনে এমন মানুষ পৃথিবীর বুকে নেই। কাউর কষ্ট একে অন্যের থেকে তুচ্ছ বা বড় এই যা। কিন্তু কষ্ট সবারি থাকে। রাহুলের মতো স্ট্রং পারসোন এর মানুষের মনেও থাকে!!
.
হীর এক্টু এগিয়ে গিয়ে রাহুল এর পিঠে হাত রাখতেই। রাহুল ঘুরে হীরকে জড়িয়ে ধরে। শান্ত স্বরে বলে উঠে।
–……….
.
.
.
চলবে।
[ বড় করে লিখার চেষ্টা করছি। যেহেতু তাড়াতাড়ি শেষ করতে চাই। তো রাতে লিখতে লিখত্র লেইট হয়ে যায়। কারণ ফোন নষ্ট আমার তাই কড়া এডিট করতে হয়। আর সময় ও লাগে প্রচুর। তাই রাত দিন লিখে আমি সকাল ঘুম থেকে উঠে গল্প পোষ্ট করবো এখন থেকে। তাই রাতে আর কেউ ওয়েট করবানা মেজেজ ও দেওয়া লাগবেনা ☺। ধন্যবাদ ?]
Roja Islam

প্রতারক part 23

0

প্রতারক part 23
#Roja_islam

রাহুল দরজা খুলে দেখলো হীর ঠোঁটে মিষ্টি হাসি ঝুলিয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে। কিছুক্ষণ অবাক এর সাথে মুগ্ধ হয়ে সেই হাসি দেখলেও। শিহাবের কথা মাথায় আসতেই চোখ মুখ শক্ত হয়ে গেলো রাহুলের। রাহুল রেগে বললো।
— এখানে কি তোমার??
— হীর বুঝলো রাহুল রেগে আছে তাই। আবারো মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বললো। উত্তর দিতে এসেছি!! উত্তর না চাইলে যাচ্ছি আমি!!
বলে পিছন ফিরতে যাবে।
— রাহুল বিস্ফরিত চেহারায় দ্রুত বললো। স্টপ!!
— হীর আজ বাঁকা হাসলো তারপর বললো। তাহলে ছাদে চলুন!!
.
রাহুল নিজের বিস্ফরিত ভাব কাটিয়ে। এক ঝটকায় হীকে কোলে তুলে নিলো। তারপর হাটা দিলো ছাদের দিকে আর হীর ছুটাছুটি করেই যাচ্ছে।
— আরে আরে কি করছে যাবো তো!!!
— সমস্যা নেই পড়ে গেলে। তোমার গুণ্ডা ডক্টর বুঝলা?? কিছু হলে চিকিৎসা করে দিবো নো ওয়ারি!!
— হীর ভ্রু কুঁচকে বললো। গুণ্ডা নিজেকেই নিজে মানেন তাহলে??
— রাহুল চোখ রাঙিয়ে বললো। শাট আপ না হলে গুণ্ডা কি করে দেখিয়ে দিবো!!
— হীর ছোট খাটো ঢোগ গিলে ভীতু স্বরে নিচু গলায় বললো। হীর কিপ কয়াইট!!
.“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন


রাহুলের হাসি পেলো হীরের ভীতু ভীতু মার্কা ফেইস দেখে!! তাও গম্ভীর ভাব রেখে ছাদে গিয়ে কোল থেকে আস্তে করে হীরকে নামিয়ে দিলো রাহুল। হীরকে নামিয়ে দিতেই হীর আশপাশ দেখতে লাগলো।
.
হওয়াও এতো সুন্দর ছাদ হয়? এতো বিশাল বাগান একটা!! গোলাপ বাগান টকটকে লাল গোলাপে ছাদ এতোই সুন্দর লাগছে বলে বুঝানো দায়। মনে হচ্ছে টাটকা ফোটা ফোটা রক্ত দিয়ে গোলাপ গুলো ছাদ জুড়ে এঁকে রাখা হয়েছে।কেমন ধান ক্ষেতের মত শারি শারি করে গোলাপ গাছে টপ গুলা পেতে রাখা। তাই ভিরত দিয়েও পুড়া ছাদি ঘুড়ে ঘুড়ে আশপাশ দেখা যাবে। আমি রাহুলকে ভুলেই গেলাম। গোলাপে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। গোলাপ গুলো ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখতে লাগলাম। গোলাপের গন্ধ মৌ মৌ করছে যেমন ছাদ!!উফফ কি অনুভূতি বলে বুঝানো দায়!
.
প্রকৃতির মাঝে মিশে থাকা হীরকে দেখছে রাহুল এক দৃষ্টিতে। এই মেয়েকে রাহুল যত দেখে ততোই দেখতে ইচ্ছে করে মুগ্ধ হয়ে। গোলাপের গন্ধ নেওয়া ছুঁয়ে ছুঁয়ে গোলাপের পরশ নেওয়া হীরকেও প্রকৃতিরি কেউ মনে হচ্ছে রাহুলে। হীরকেও এই পরন্ত বিকেলের মতোই স্নিগ্ধ লাগছে। রাহুল বেশকিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে হীরের দিকে তারপর মুচকি হেসে। একটা সুন্দর দেখে গোলাপ ছিঁড়ে হীরের দিকে এগোয় সে। তারপর পিছন থেকে হীর কুনুই ধরে নিজের মুখুমুখি সামনে দাঁড় করিয়ে হীরের কানে হাতের গোলাপ্টা গুঁজে দেয় সুন্দর করে। হীর হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রয় রাহুলের দিকে। রাহুল এক্টু ভাব নিয়ে বলে উঠে।
.
— মাই বিউটিফুল স্লিপিং কুইন!!
— হীর মুচকি হেসে বললো। আমার থেকে গোলাপ গুলা সুন্দর।
— রাহুল রেগে বললো। তোমায় জিজ্ঞেস করিনি কে সুন্দর বলতে!! কেনো এসেছো এখানে সেটা বলে বিদায় হও।
— অপমান করছেন ?। ওকে ফাইন!!আমি বলতে এসেছি আমার গোলাপ গুলো চাই!! দিয়ে দিন চলে যাচ্ছি ?
— রাহুল ভ্রু কুচকালো তারপর রেগে বললো। তুমি না উত্তর দিতে আসছো??
— আসছিলাম কিন্তু এখন গোলাপ গাছ গুলা চাই!! আর কিছুনা!!
— রাহুল রেগেমেগে কিছু ভেবে বাঁকা হেসে উত্তর দিলো। ওকে ফাইন গাছ পাবে বাট তার জন্য কিছু করতে হবে তোমাকে!! রাজী??
— হীর নাক মুখ কুঁচকে বললো। নিশ্চয় গুণ্ডা টাইপ কিছু বলবেন।যাই হোক বলুন!!
— রাহুল কোনো বনিতা ছাড়াই রুঢ কণ্ঠে বললো। বিয়ে করতে হবে আমায় রাজী।
— হীর রাহুলের কথা শুনে শান্ত কণ্ঠে উত্তর দিলো। আমার সময় চাই আর এক্টু রাহুল। এই তো সবে নিজের দুস্কর অতীত থেকে কাটিয়ে উঠেছি আমি এখনি নতুন সম্পর্কে জড়াতে চাই না। আই নিড টাইম টু মুভ অন রাহুল……..!
— রাহুল হীরের কথা শুনে সাথে সাথেই হীরে গাল আলতো করে ধরে বলে উঠে। হেই হীর স্টপ। তোমার যত খুশী টাইম নাও। তার জন্য আমার কাছে কেনো কৈফত দিবে?? ইটস ইউর লাইফ সো তোমার লাইফে তুমি যা খুশী যেভাবে খুশী তোমার লাইফ লীড করবে কাউকে কৈফত দেওয়ার দরকার নেই। দিতে হলে নিজেকে দাও ওকে। আর রইলো কথা আমার আমি তোমাকে জয় করে নিবো ভালোবাসা দিয়ে জোড় করবোনা। তুমি নিজে যেদিন আমায় চাইবে আমিও সেদিনি তোমায় আপন করে নিবো। তাতে আমার মাথার চুল পেকে গেলেও প্রবলেম নাই। আমি অপেক্ষা করবো তোমার। বুঝলে??
— হীর মুচকি হেসে বললো। আপনি এতো ভালো মনের গুণ্ডা কেনো??
— রাহুল হীরের নাকে নাক ঘষে বললো। আমি তোমার গুণ্ডা তো তাই।
.
হীর হেসে দিলো নিজের অজান্তেই কেঁদে দিয়ে রাহুকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো। রাহুল ও হীকে বুকে নিয়ে নিলো। রাহুল নিজেও জানে মেয়েটাকে সে এতো কেনো ভালোবাসে!! হীর ফুঁপিয়ে কাঁদছে রাহুল আটকাচ্ছে না হীরকে। রাহুল ভাবছে কাদুক কাঁদলে মন হাল্কা হয়। হীর আজ রাহুলের বুকে কেঁদে হীরের সব কষ্ট রাহুলের সাথে ভাগ করে মন হাল্কা করে নিক। তাতে দুজনেরি শান্তি। এই পরন্ত বিকেল হীর আর রাহুলের জন্য একটি নতুন জীবনের সূচনা। আজকের এই বিকেল টা হয়তো কেউ ভুলবেনা ভুলতে চায় ও না।
.
.
.
শিহাব বসে আছে নিতুর রুমে। নিতু চোখ বুঝে শুয়ে হয়তো জ্ঞান নেই নিতুর থাকবে কি করে নিতু ঘর বন্দি ছিলো এ কদিন। তার উপর সুইসাইড করার চেষ্টা করেছে নিতু। আজ হীরের সাথে কথা বলার পড় শিহাব নিতুর বাড়ী না এলে নিতু হয় তো এখন সবাইকে ছেড়ে পড়কালে পাড়ী জমাতো।
.
শিহাব নিতুর বাড়ী এসে দেখে নিতুর মা নিতুর রুমের বাইরে দাঁড়িয়ে নিতুকে ডাকছে।আর চিৎকার করে কাঁদছে। নিতুর রুমে কি হচ্ছে বুঝতে পারছেনা শিহাব। তাও কাঁপা কাঁপা পায়ে শিহাব এগিয়ে গিয়ে নিতুর মাকে ডাক দিতেই উনি পিছন ফিরে শিহাব কে দেখে ঝাপ্টে ধরে।
.
— শিহাব বাবা তুমি এসেছো আমার মেয়েটাকে বাঁচাও দোয়া করো।
— হতভম্ব শিহাব কিছুই বুঝতে না পেরে বললো। আন্টি কি হয়েছে??
— নিতুর মা কাঁদতে কাঁদতে বললো। তুমি ঐদিন এসে আমার মেয়েটাকে অপমান করে গেলে তারপর থেকে নিতু ঘর থেকে বের হয়নি। কিছু খায়নি।রুমে পড়ে আছে বেঁচে আছে কি মরে গেছে জানি না। কিছু করো দোয়া করে।
.
শিহাবের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো। কারণ ঐদিন রেস্টুরেন্ট থেকে হীরের সাথে দেখা করার পড় শিহাব নিতুর কাছে এসেছিলো। কিন্তু নিতুর কোনো কথা না শুনে নিতুকে যাইনয় তাই বলেছে। আর সেটা প্রায় ১ সাপ্তাহ আগের ঘটনা। এতো দিন নিতু ঘরে একা কিছু করে ফেলেনি তো। ভাবতেই শিহাবের বুকে ধক করে উঠলো। শিহাব আর দেড়ি না করে দরজা ভাঙায় লেগে পড়লো।
.
ভেতরে নিতু ক্লান্ত আর দুর্বল ছিলো না খাওয়া দাওয়া করায়। কিন্তু দরজায় শিহাবের উপস্থিতি টের মেয়ে নিতু কান্নায় ভেঙে পড়ে তার আর মন চাইলো না। এই কলঙ্কীতো মুখ শিহাবকে দেখাতে। নিতু প্রচণ্ড দুঃখে। খাটে চেয়ার উঠিয়ে কাঁপা কাঁপা পায়ে সেই চেয়ারে উঠে দাঁড়ায় আর নিজের গলার উড়না টা ফেনে বেধে নেয়। যেই গলায় উড়না দিয়ে পা দিয়ে ধাক্কা দিয়ে চেয়ার ফেলে দেয় নিতু। ঠিক ঐ সময় শিহাব দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে আর নিতু বলে চিৎকার করে গিয়ে নিতুর পা জরিয়ে ধরে। নিতু ঐ সময় ছটফট করছিলো। এই দৃশ্য দেখে এই প্রথম শিহাবের মনে নিতুকে হারানোর ভয় কাজ করে। তারপর নিতুর মার হেল্প নিয়ে শিহাব নিচে নামায় নিতুকে। নিতু দুর্বল থাকায় জ্ঞান হারিয়েছে। শিহাব নিতুকে শুয়ে দিয়ে ডক্টর কে কল করে আসতে বলে।
.
নিতুর মা মেয়েকে ধরে কাঁদতে কাঁদতে শেষ তার ধারনা তিনিই মেয়ের এই অবস্থার জন্য দায়ী। আগে যদি সঠিক পথ মেয়েকে দেখাতো তাহলে আজ এ দিন আসতোনা কিন্তু তিনি তো মেয়ের বাজে কাজে তালে তাল দিয়েছেন আর আজ মেয়ের এই দশা। না নিতু আজ ঘাটের না পারের।
.
এক্টু পড় ডক্টর এসে নিতুকে দেখে যায়। সেলাইন পুশ করে বিভিন্ন ঔষধ দিয়ে যায়। এ সবের মাঝে শিহাব নিতুর মুখের দিকে তাকাতে পারছিলোনা। নিতুর এতোই বাজে দশা হয়েছে। চেহারা বিস্রি দেখাচ্ছিলো নিতুর চোখের নিচে কালী পড়ে গেছে চাপা ভেঙে গালের মধ্যে ঢুকে গেছে। মুখের চামরা কুচকে গেছে।ঠোঁট কালশিটে দাগ করে গেছে যেমন। সব না খাওয়া আর শাওয়ার না নেওয়ার জন্য আর অতিরিক্ত চিন্তার জন্য নিতুর এমন হাল হয়েছে। শিহাবের চোখে পানি চলে আসে নিতুকে দেখে।
.
রাত দশটায় শিহাব নিতুর মাকে জোড় করে খাইয়ে নিজের রুমে পাঠায় বিশ্রাম নিতে। মেয়ের চিন্তায় তিনিও দানা পানি নেন নি বয়স্ক মানুষ আরো বেশী খারাপ অবস্থা উনার।নিতুর মাকে পাঠিয়ে দিয়ে নিতুর মাথার কাছে বসে থাকে শিহাব তারপর বেশকিছুক্ষণ কাঁদে শিহাব। কার দোষ দেই আমারা মানুষের জীবন নষ্ট করার জন্য?? সত্যি কথা বলতে আল্লাহ যা ভালো মনে করেন তাই সবার জন্য ভালো। না আর শিহাব কারো দোষ গুণ খুজবেনা। শিহাব নিজের প্রতি প্রচণ্ড রাগ লাগছে। সে কি করে এতোকিছুর পড় নিজের স্ত্রীকে ফেলে আবারো হীরকে কষ্ট দিতে গেলো?? শিহাব ভুল করেছে বারবার লাগাতার কিন্তু আর না এবার নিজেকে নিজে ক্ষমা করতে হলেও নিতুকে ক্ষমা করে দিবে সে। এসব হাবিজাবি ভেবেই শিহাব নিতুর মাথায় হাত বুলায়। হঠাৎ শিহাবের চোখ পড়ে নিতুর গলায় উড়নার ফাঁস লাগায়। লাল হয়ে আছে নিতুর গলা। শিহাব দীর্ঘশ্বাস ফেলে। একদৃষ্টে তাকিয়ে রয় নিতুর শুকনো মুখটার পানে।
.
.
.
হীর ঝিম মেরে বসে আছে আর রাহুল হীরের হাতে মেহেদী আর্ট করছে। রাহুল বেশ মনোযোগী হয়ে মেহেদী দিতে ব্যস্ত। কিন্তু হীরের অবস্থা খারাপ। হাতে মনে হচ্ছে কেউ এলোপাথাড়ি সুড়সুড়ি দিচ্ছে। তার উপর রাহুল হীরের এতো কাছে বসে আছে যে হীরের অস্বস্তির শীর্ষে। কিন্তু কিছুই বলতে পারছেনা হীর। একবার বলেছিলো রাহুলের চোখ পাকানো দেখে ঢোগ গিলে চুপ হীর। তখন থেকেই দম ধরে ঝিম মেরে বসে আছে হীর।
.
আর হীরের অবস্থা দেখে পূর্ণি মিটমিটে করে হেসে কুটিকুটি। হীর বারবার রাগী চোখে তাকাচ্ছে পূর্ণির দিকে তাতে পূর্নির বেঙ্গ করে করে হাসছে।
.
মন চাইছে ভাই বোন দুইটাইকে গিলে ফেলি দুইটাই বজ্জাত এর হাড্ডি। একটা সুড়সুড়ি দিয়ে জ্বালাচ্ছে তো আর একটা হাসি দিয়ে। বাসায় ও যেতে দিচ্ছেনা। এখানে এসেও বিপদে কেনো আসতে গিয়েছিলি হীর।
.
রাহুল যেমন হীরের মনের কথা শুনতে পেলো। তাই বাঁকা হেসে বললো।
.
— যেতে দিবো আটকে রাখবো না। হিরা আসবে তোমায় নিতে!!
— হীর হা করে তাকিয়ে আছে রাহুলের দিলে।……………!
— মুখে মোশা ঢুকবে!!
— হীর থতমত খেয়ে বললো। আপনি বুঝলেন কেমনে??
.
.
রাহুল কিছু বলেনি শুধু সেই চিরচেনা বাঁকা হাসি দিয়েছে। এক্টু পড় কলিং বেল বেজে উঠে রাহুল গিয়ে দরজা খুলে দেয়।
দরজা খুলে রাহুল আবারো অবাক তার মা আর একটা ছেলে দাঁড়িয়ে ছেলেটা আর কেউ নয় সেই ছেলে যাকে উনি পূর্ণির জন্য ঠিক করেছিলেন। আর এই ছেলেকে দেখে রাহুলের রাগ মাথা দিয়ে যেমন উপচে পড়ছে। রাহুলকে দরজায় দাঁড়িয়ে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে রাহুলের মা কপাল কুঁচকে বলে উঠেন।
.
— এই টুকু কি শিখোনি?? কেউ এলে ভিতরে আসতে বলতে হয়??
— রাহুল রেগে বললো। জানি কিন্তু কে এলো তার মধ্যে এটা ডিপেন্ড করে। ভিতরে আসতে দিবো কি না!!
— কি বলতে চাও তুমি??
— রাহুল কথা বাড়ায় না বলে উঠে। ভেতরে আসুন!!
.
মাহুলের মা আর সেই ছেলে নাম অর্ণিক দুজন ভিতরে ড্রইং রুমে গিয়ে বসে। রাহুল ও বসে তার মাকে জিজ্ঞেস করে।
.
— সো কি বলতে এসেছেন??
— অর্ণিক পূর্নিকে দেখতে এসেছে। হবু বৌ অসুস্থ তাই পাগল করে দিচ্ছিলো আমায় তাই নিয়ে এলাম।
— রাহুল রেগে খিটবিট করে বললো। মঝা করতে এসেছেন আপনি?? অর্ণিক না হিরা পূর্ণির হবু বর!! বলিনি আমি।
— হ্যাঁ বলেছ কিন্তু আমি সেটা মেনে নেই নি। যাও পূর্ণিকে ডাকো!!
.
.
.
চলবে!!
[সব কিছু ক্লিয়ার করে শেষ করতে চাইছি ব্যস!! আর আমি খুবি অসুস্থ ছিলাম ইভেন এখনো অসুস্থ পুরোপুরি সুস্থ নয়ই। তাও আপনাদের আর ওয়েট করাতে চাইনা তাই দিয়ে দিলাম। ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন। কেমন হইছে জানাবেন!]
Roja Islam

প্রতারক part 22

0

প্রতারক part 22
#Roja_islam

দুজনে গিয়ে বট তলায় বসলাম।আমি এদিক সেদিক দেখছি অনেকদিন পড় শিহাবের সাথে এভাবে কলেজে বসা।আগেতো রোজ বসে প্রেম করতাম। বেশকিছুক্ষণ পড় শিহাব বললো।
— সাতদিন ধরে কল দিচ্ছি!! ধরোনি কেনো?? ভার্সিটি তেও দেখা মেলেনা কোন সময় আসো কোন সময় যাও!!
— আসলে………….!!
— হীর আমায় কি ক্ষমা করা যায় না??
— আমি একটা মুক্তশ্বাস নিয়ে বললাম। অবশ্যই ক্ষমা করা যায়।কেনো যাবেনা তুমি যা ঠিক মনে করেছো তাই করেছো!!আমার কথা যদিও তুমি ভাবোনি। কিন্তু তুমি ভুল কিছু করো নি একটা মেয়ের পাশে ছিলে তুমি ঐরকম অবস্থায়!!
.
হীর যে অভিমান করে কথা গুলো বলছে তা বুঝতে বাকি নেই শিহাবের। তাই সে আহত স্বরে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো।
.“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন


— আই নো হীর আমার তোমাকে আগেই সব খুলে বলার দরকার ছিলো। তোমার সাথে এমন করা আমার ঠিক হয় নি। তুমি যা শাস্তি দিবে আমি মাথা পেতে নিবো।তবুও প্লিজ মন থেকে ক্ষমা করে দাও!!
— আমি হাল্কা হেসে বললাম। জানো তুমি আমার সাথে প্রতারনা করার পড় আমি কি কি করেছি??
— শিহাব মাথা দুলিয়ে বললো। নায়ায়া!
— হাহা জানবে কি করে ভুলে তো গিয়েছিলে নতুন জীবন শুরু করার জন্য।আমার খবর কি আর রাখার সময় ছিলো তোমার?? আমিও না [মেয়ে মানুষ খোটা দিতে ছাড় দেয় না সে যাই পরিস্থিতি হোক। আর যত ভালো মেয়েই হোক ?] আচ্ছা আচ্ছা আমিই বলছি। তুমি আমার সাথে বেঈমানি করার পড় আমি ৩ মাস ঘর বন্দি ছিলাম। এর মধ্যে আমি দুবার সুসাইউ করার চেস্টা করি। তখন মার জন্য বেঁচে যাই। জানো আমার এই বোকামোর জন্য কতো কষ্ট পেয়েছে ভাইয়া আর মা??
–…………………………….!
— আসলে কি জানো। তুমি যেমন আমায় কষ্ট দিয়েছো!! তোমার অবহেলায় আমি কষ্ট পেয়ে!! আমি আমার ভাইয়া মাকেও অবহেলা করেছি!! আমি তোমার অবহেলায় কষ্ট পেলে। আমার অবহেলায় মা ভাইয়া কষ্ট পায় নি?? তুমি আমার সাথে প্রতারনা করেছো!!আমি কষ্ট পেয়েছি। আমি সুইসাইড করার চেস্টায় আমার পরিবার কষ্ট পায়নি?? পেয়েছে!! খুব বিশিই পেয়েছে কারণ তারা আমায় ছোট বেলা থেকে ভালোবাসে। আর তোমাকে আমি ৫ বছর ধরে ভালোবাসতাম। তাহলে কার কষ্ট বেশী বলো?? আমার না আমার পরিবারের?? অবশ্যই পরিবারের আর আমি এতোকিছু করার পড় তারা কি করেছে আমায় ক্ষমা করে দিয়েছে। তো আমার ও উচিৎ তোমায় ক্ষমা করে দেওয়া। তাই আমিও তোমাকে মন থেকেই ক্ষমা করে দিলাম। কিন্তু তোমায় আপন করতে বা তোমার লাইফে আবার জড়াতে আমি পারবোনা!! কোনোদিনিই না তা আর সম্ভব না!!
— হীর প্লিজ….!
— স্টপ শিহাব!!আমার পরিবার আমাকে ক্ষমার বিনিময়ে চেয়েছে আমি জেনো তোমাকে ভুলে যাই।এটাই তাদের এতো বছরের ভালোবাসার পড় আমার কাছে শেষ চাওয়া তাদের কি করে না করি বলো?? আর ঐ যে বললাম আমার থেকে তাদের ভালোবাসা বেশী তাই আমি আমার পরিবারের কথাই শুনেছি। তোমার লাইফে আর যাবোনা!! আর আমি তোমাকে ক্ষমা করেছি!! আমিও তোমার থেকে ক্ষমার বিনিময়ে কিছু চাই!! আর তুমি নিজেই বলেছ আমি যা শাস্তি দিবো তুমি মাথা পেতে নিবে!!
— শিহাব হীরকে পাওয়ার সব আশা ছেড়ে বললো। হ্যাঁ বলো যা বলবে তাই করবো আমি!!
— নিতুকে ক্ষমা করে আপন করে নাও ও তোমার স্ত্রী ও ভুল করেছে ওকে শুধরানোর দায়ীত্ব তোমার। এভাবে ছেড়ে দেওয়া নয়। আর তাছাড়া তুমি যদি আমার সাথে এতো বড় অন্যায় করেও ক্ষমা পেতে পারো নিতু কেনো ক্ষমা পাবেনা?? তুমি আমার সাথে যা করেছো!! সেটাই তুমি নিতুর কাছে থেকে ফেরত পেয়েছ এটাই সত্যি পকৃতি কাউকে এক বিন্দু ছাড় দেয় না। আর নিতু আমার আর তোমার সাথে যা করেছে তার শাস্তিও হয় তো ও পাচ্ছে তুমি ওকে তাড়িয়ে দেওয়ার পড়।আমি জানি নিতু আমায় হিংসে করে। হ্যাঁ আমি জানি এটা আগেই জানতাম নিতু তোমার পাশে আমায় সহ্য করতে পারেনা। কিন্তু মানিনি আমি। অন্ধবিশ্বাস ছিলো যে নিতুর উপর!!
— হীর এই টুকু বলেই চুপ হলো। আর শিহাব অবাক হয়ে বললো। তুমি সব জানতে???
— জানতাম যে নিতু তোমাকে নিয়ে আমায় হিংসে করে কিন্তু ঐদিন রেস্টুরেন্ট এ তোমার কথা শুনে আমার বুঝতে বাকি নেই এইসব নিতু ইচ্ছে করে করেছে!! তাই আমি তোমায় ক্ষমা করে সুযোগ দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু। ভাইয়া আমার চোখ খুলে দিয়েছে!! শিহাব তুমি ভুল করেছ তার শাস্তি তুমি পাচ্ছো তুমি সত্যি নিতুর মোহ আটকে গিয়েছিলে আমায় ভুলে গিয়েছিলে। যে মেয়েটা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তোমার মতামত নিয়ে চলতো তাকে তুমি ভুলে গিয়েছিলে। যাকে তুমি দিনে কুটিবার ভালোবাসি বলতে তাকে ভুলে গিয়েছিলে মোহ এ পড়ে। তুমি মোহেই পড়ে ছিলে যদি না থাকতে আমায় সত্যি ভালোবাসতে তো। তুমি আমায় একবার হলেও সব জানাতে। তাহলে আমি সব বুঝতে পারতাম। আর আজ এই দিন আসতোনা। আসলে কি জানো তুমি ঐ সময় নিতুকে তোমার মোহ কেই বেছে নিয়েছিলে।আমায় ভুলে গিয়েছিলে!!! আর আমি পাগল হয়ে গিয়েছিলাম তোমার জন্য কিন্তু আর না শিহাব। যে একবার প্রতারণা করে সে বারবার ই প্রতারণা করতে পারে!! আমি তোমায় ক্ষমা করলেও!!তোমাকে আর বিশ্বাস করিনা শিহাব। তোমায় দেখলেই সেই তোমার বিয়ের রাত টা চোখের সামনে ভাসে যা আমি কোনোদিন ভুলতে পারবোনা।ভুলতে চাইও না ঐদিন্টা মনে করে আমি এগিয়ে যেতে চাই। তুমি আমার জীবনে প্রতারক প্রতারকি থাকবে।। তাই নিতুকে আপন করে নেওয়াই তোমার জন্য ভালো।আমি আর তোমার লাইফে যাচ্ছিনা তাই তোমরা একে অপরকে ক্ষমা করে দাও আর ভালো থাকো আশি….আর কখনো আমি তোমায় দেখতে চাইনা শিহাব। আর দেখলেও আমার কিছু যায় আশেনা। আমি আমার ফ্যামিলি আর রাহু………। এই টুকু বলে চুপ হয়ে যাই আমি তারপর কি ভেবে মুচকি হেসে বললাম। আমি আমার ফ্যামিলি আর রাহুল কে নিয়ে অনেক ভালো আছি তোমরাও ভালো থেকো!!
.
শিহাবকে আর কিছু বলতে না দিয়ে আমি হনহন করে হেটে ক্লাসে চলে গেলাম। মনে মনে ভেবে নিলাম আজ আমি উত্তর দিবো রাহুলকে। হ্যাঁ আজি দিবো। আর এই লাইফ না অনেক হয়েছে আর না এবার আমি হাসবো সবাই দেখবে। আর কত পিছুটান রাখবো একটা প্রতারক এর জন্য?? যে আমার জন্য সামান্য মোহ কাটাতে পারেনি আমরি বেস্ট ফ্রেন্ডের সাথে……..।প্রকৃত প্রেমিক কখনো তার প্রেয়সী কে ভুলতে পারেনা।কিন্তু শিহাব সামান্য মোহে পড়ে আমায় ভুলে গেছে….তাহলে কেমন ঠুকনো ভালোবাসা ছিলো ওর..উফফ আর কিছু না ভেবে আমি ক্লাসে মনোযোগী হলাম।
.
.
শিহাব এখনো সেখানেই বসে। সে ভাবছে তার ভুল টা কি?? নিতুই তো সব ইচ্ছে করে করলো হীরকেও ধোকা দিলো তাকেও!! কিন্তু তার ভুল কি?? হ্যাঁ তার ভুল এটাই সে তার পাঁচ বছর এর ভালোবাসা ভুলে। সে মোহে আটকে গিয়েছে। শুধু আটকে যায় নি বিয়ে করে নিয়েছে..সে সত্যি হীরের যোগ্য নই!! সে নিতুরি যোগ্য।ভেবে শিহাব উলটো পথে হাটা ধরে!!হীরের কথা রাখতে হবে যে!
.
.
এদিকে আবারো রাহুলের কানে খবর এসেছে হীর শিহাব কথা বলছে কলেজে বসে। সেই থেকে রাহুল ওয়াশরুমে দাঁড়িয়ে মাথায় পানি দিচ্ছে। হীর রাহুলের ধৈর্য্যের বাদ ভেঙে দিচ্ছে। তাও রাহুল মাথা ঠাণ্ডা রাখতে চায়। তাই সে মাথায় পানি দিচ্ছে আর বারবার রুমে এসে ঢগঢগ করে পূর্নির জন্য করে রাখা জুস খাচ্ছে। আর সারা রুম জুড়ে পায়চারি করছে।রাগে তার মাথা ফেটে যাচ্ছে এই শিহাবের নামটা শুনলেই রাহুলের মাথায় টা এতো গরম হয় যে। যে কেউ এক গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ মাথায় রাখলে গরম হয়ে যাবে আগুন ছাড়াই। পূর্নি রাহুলের বেডে বসে। মিটমিট করে হাসছে রাহুলের দিকে তাকিয়ে। রাহুল রেগে আবার ওয়াশরুমে ঢুকে তারপর মাথায় পানি দিয়ে হন্তদন্ত হয়ে বেড় হয়ে। বিড়াট এক চিৎকার দিয়ে পূর্নিকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে।
.
— তুই কি শুধু হাসবি?? না আমায় একটা সালিউশোন দিবি!!!!
— পূর্নি মুচকি হেসে বললো। অবশ্যই এই নে!!
.
রাহুল পূর্নির হাত থেকে ফোন টা নিয়ে বাঁকা হাসে। তারপর কল দেয় হিরা কে। হিরা পার্ট টাইম জব কলে কল সেন্টার এ। হিরা কাজে ব্যাস্ত ছিলো। কিন্তু পূর্নির কল দিচ্ছে দেখে ভাবলো হয় তো ইমার্জেন্সি না হয় পূর্নি কোনো সময়ি। হিরার অফিস টাইমে কল দেয় না সে। ভেবেই হিরা ফোন টা পিক করে কানে রাখলো। আর রাখতেই একটা গম্ভীর কণ্ঠ ভেসে এলো।
.
— আমি রাহুল কথা আছে তোমার সাথে!!
— হিরা থতমত খেলো রাহুলের কণ্ঠ শুনে। ডেস্কের সামনে থেকে এক্টু পানি খেয়ে নিলো দ্রুত। তারপর গলা পরিষ্কার করে ভয়ে ভয়ে বললো। জ্বী ভাইয়া বলুন??
— এদিকে রাহুলের ও অস্বস্তি হচ্ছে তাই একটা বড় দম নিয়ে বললো। হিরা আমি ঘুরিয়ে পেচিয়ে কথা বলতে পারিনা। তাই ডাইরেক্ট বলছি। আমার বোনেকে পেতে হলে। তোমার বোনেও আমায় দিতে হবে। আমি চাই হীরকে। ওকে বুঝাও হীর শুধু আমার। ভালোবাসি আমি ওকে। আমি আন্টির সামনে হীরের ব্যপারে কিছু বলতে পারবো না লজ্জায়। তাই তোমায় বলছি। আমার আর হীরের ব্যাপার টা মেনেজ করো। না হয় আমিও পূর্নিকে তোমার হাতে দিচ্ছিনা ব্যাস।
.
বলেই ঠাশ করে রাহুল ফোন কেটে দিলো।হিরা এখনো তব্দা খেয়ে বসে আছে।এখনো কান থেকে ফোন নামায় নি। সে ভাবছে কি বললো এগুলা রাহুল?? হিরা পিটপিট করে এদিক সেদিক একবার তাকিয়ে ফোন টা কান থেকে ডেস্কে রেখে বিড়বিড় করে বললো।
— সত্যি হির ঠিক বলে আসলেই ব্যাটা গুণ্ডা ভালো করেও তো বলা যেতো না থ্রেট মাড়লো একদম।
— পাশ থেকে হিরার কলিগ বলে উঠলো। আর ইউ ওকে হিরা?? এভাবে হেং মেরে বসে আছো কেনো??
— হিরা মুচকি হেসে বললো। আরে না না পিউ আমি ঠিক আছি। এই মাত্র বোনের জন্য বর ঠিক করলাম হিহি।
— এমা তাই না কি?? তাহলে এমন বোকার মতো হাসছো কেনো??
— কারণ বোনের বর আমার বৌ এর বড় ভাই!! তার উপর ব্যাটা গুণ্ডা সারা জীবন আমায় বাজাবে তাই।
— মানে কিভাবে বাজাবে??
— হুহ। হিরা মৃদু কান্না কান্না ভাব করে বললো। সেই কাহিনী না হয় বাজানোর পড় তোমার সাথে শেয়ার করবো।
.
পিউ বোকার মত মাথা দুলালো শুধু।আর হিরা তার কপালের ছপছপ ঘাম মুছে নিলো।হিরা ভাবছে তার কপালে ঠিক কি আছে তা সে নিজেই জানে না। এদিকে রাহুল কথা শেষে পিছন ফিরেই ঢোগ গিললো। কারণ পূর্নি অগ্নিমূর্তি রূপ ধারন করেছে রাহুলের কথা শুনে।রাহুল বোনকে কিছু বলবে তার আগেই পূর্নি চেঁচিয়ে বললো।
.
— উপকার করার ফল এভাবে দিলি??
— আমি শোন তো আগে…….!
— কি শোনবার আছে। তুই হীরকে না পেলে আমার আর হিরার বিয়ে দিবি না তাই তো??
— আরে আমার মা শোনতো আগে!!
— কি শোনবো আমি তুই……..!
— রাহুল এবার চিৎকার করে বলে। আমি আমি তো শুধু ভয় দেখাতে বলছি আর কিছুনা আমায় মাফ কর প্লিজ।
— এবার পূর্নি শান্ত হলো। আচ্ছা ঠিক আছে এবার মাফ করলাম। কিন্তু নেক্সট টাইম ভুলেও আমায় আর হিরাকে আলাদা করার কথা ভাববিনা।
— আচ্ছা আমার মা আমি মরে গেলেও তোর বিয়ে হিরার সাথেই দিবো।
— আই লাভু ভাই হিহি।
— রাহুল রুম থেকে বেরুতে বেরুতে বললো। আস্ত বিয়া পাগল মাইয়া!!
— পূর্নি ভেংচি কেটে বললো। হুহ!! তোর হয়না তো তাই তোর জ্বলে।
.
রাহুল আর পূর্নির কথা শুনলো না। সে রুম থেকে বেরুতেই কলিংবেল বেজে উঠলো। রাহুল একরাশ বিরক্তি নিয়ে। গিয়ে দরজা খুলে চরম অবাক সে। এ কাকে দেখছে রাহুল??
.
.
চলবে!!
[ গল্প লেইট দেওয়া নিয়ে কিছু কথা। আমি নামাজের দিন দুপুরবেলা লাস্ট গল্প দিয়েছিলাম। ঐ দিন রাতে সারারাত নামাজ পড়ে, দিনে রোজা রেখে শখ করে নিজেই ইফতার বানিয়ে খুব ক্লান্ত ছিলাম তাই ঘুমিয়ে পড়ি রাতে। গল্প দেই নি চিন্তা করে রাখছি বিকেলবেলা লিখি রাতে দিয়ে দিবো। কিন্তু ঘুম থেকে উঠে দেখি কেমন কেমন লাগছে তারপর খেয়াল করি সারা মুখে কি জেনো হইছে পাত্তা দেইনা। কিন্তু খুবি খারাপ লাগছিলো মুখে। চোখ মুখ ফুলে ডাবোল আমার। তাও বিকেলবেলা চিন্তা মত বসছি লিখতে। কিন্তু ঐ সময়ি বাসা থেকে কল আসে। আম্মু কান্না করছে ফোন দিয়ে ছোট ভাইয়ার ১ মাসের ছেলের শরীল ভালোনা এখন হস্পিটাল বন্ধ কি করবে ওরা!! এই বলে কান্না শুরু।আম্মুকে বুঝিয়েসুঝিয়ে ফোন রাখলাম আর কি করবো দূরে থেকে??এদিকে সন্ধ্যে হতেই আমার চোখ মুখ ফোলা বেড়ে গেছে সাথে মাথা ব্যাথা স্টার্ট আমার মুখ দেখে ভয় পাচ্ছে সবাই। তাও সব ফেলে বসছি লিখতে কিন্তু নিজের টেনশন বাসার টেনশন সব মিলিয়ে পাগল পাগল লাগছিলো। গল্পের কিছু আমার মাথায় আসছেনা লিখবো কি?? শেষে কান্না পাচ্ছিলো। তাই লিখতে পারিনি পুড়া ২ ঘণ্টা যুদ্ধ করেও…. এখন বলেন আমার কি দোষ অনেক সময় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকে না চাইলেও কিছু করা যায় না। আমি অনেক চেস্টা করেছি।কিন্তু আপনারা কিছু মানুষ এতো জঘন্য কথা ব্যাবহার করেন যে পরবর্তীতে চেস্টা করতেও ইচ্ছে করেনা। আর কাল যারা আমার হয়ে এক্টু কথা বলছে তাদের জন্য অনেক ভালোবাসা। এমন পরিস্থিতিতে পাশে থাকার জন্য। এট লাস্ট এক্টাই কথা লিখালিখি যারা করে তার রোবট না। ওদের ও প্রবলেমস থাকে। সব মিটিয়েই গল্প লিখতে হয় এই টুকু বুঝার চেস্টা করবেন।আমায় গালি দিয়ে নিজের বংশ পরিচয় দিয়েন না। আমি আজ আমার প্রবলেম টুকু খুলে বললাম। দোয়া করবেন আমার আর আমার পরিবারের জন্য ধন্যবাদ ?]
Roja Islam

প্রতারক part 21

0

প্রতারক part 21
#Roja_islam

ঐদিন এর পড় এক সাপ্তাহ অতিবাহিত হয়ে যায়। সব ঠিকঠাক থাকলেও রাহুলের ভূত আমার মাথায় চড়ে বসেছে!!! আমি না পারি ঐ গুন্ডার কথা ভাবতে না পারি ভুলতে এ কোন জ্বালা?? শিহাবের কাছে ছ্যাঁকা খেয়েও আমার এমন জ্বালা হয়নি। আমি কোন পথে হাটছি তা আল্লাহ জানে শুধু নিজেকে খুব বোকা মনে হয়। কি করছি তা নিজেই জানি না আশ্চর্য কথা।
.
সকাল সকাল ভাইয়ার রুমে ঢুকলাম দেখি আমার ভাই চকচক ঘুম দিচ্ছে!!সারা রাত নিশ্চয় পূর্নির সাথে টেম্পো চালিয়েছে।আর এখন এতো বেলা পর্যন্ত ঘুম দিচ্ছে। আহা আহা পূর্নির সাথে দেখা হওয়ার পড় থেকেই আমার ভাই হিরার চোখ – মুখ হিরার মত চকচক করে শুধু। কিন্তু আমি তো ঐদিন এর পড় থেকে বিপদে!! রাহুলের থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে থাকি না জানি কখন কি করে বসে। তার উপর গুন্ডাটার উত্তর চাই!! হুহ অসভ্য ছেলে বয়েই গেছে উত্তর দিতে আমার। ভেবে রেগেমেগে চিৎকার করে ভাইয়া কে ডাকদিলাম।
— ভাইয়া??? হিরায়ায়া। কি রে ভাইয়ায়ায়ায়ায়া উঠ বলছি ১০ টা বাজে!!
— হিরা লাস্ট চিল্লানীতে একপ্রকার লাফ দিয়ে উঠে বসে চোখ মুখ কুঁচকে বলে উঠে।সমস্যা কি তোর কেন ডাকলি???
— দেখ একদম দমকাবিনা। তোর আর পূর্নির জন্যই আমার যত জ্বালা আজ।
— হিরা বোকার মত মুখ করে বললো। আমরা কি করলাম তোর সাথে আজব!!
— তোদের জন্যই তো ……..! যা বাদ দে আমার টাকা লাগবে এক্ষুনি!!
— হিরা বিরক্তি নিয়ে বললো। বোন ঘুমাতে দে। ঐ যে। কাবার্ড দেখিয়ে। কাবার্ডের ড্রেয়েরে টাকা আছে যত ইচ্ছা নিয়ে যায়। বাট আমায় ঘুমাতে দে দুদিন বাদে বিয়ে চোখে কালি পড়লে বৌ আমায় ছেড়ে দৌড়ে পালাবে। বলেই হিরা আবার শুয়ে পড়লো কাথা নাখে মুখে টেনে।
— হীর ভেংচি কেটে বললো। ঢং তা কথা এক্টু কম বললেই পাড়িস। যত্তসব।
.“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন


ড্রেয়ার থেকে টাকা নিয়ে হাটা দিলাম। ড্রইং রুমে।মাকে ও একপ্রকার চিল্লিয়ে ডাক দিলাম আজ আমার কি হলো আমি নিজেই জানিনা।
— আম্মু????? কই থাকো??
— হীরের মা হুবুজুবু হয়ে কিচেন থেকে ড্রইং রুমে এলো!তিনি বিস্ফারিত হয়ে বললেন! কি হয়েছে কি হয়েছে চিল্লাচ্ছিস কেনো এভাবে ??
— রাগ হলো মার কথা শুনে। মানে কি আম্মু এভাবে ডাকবোনা আমার নাস্তা কই? আমি ভার্সিটি যাবো নাস্তা করে জানো না তুমি????
— হীরের মা কপট রাগ দেখিয়ে বললেন। তা নাস্তা কি ড্রইং রুমে থাকে না। ডাইনিং এ থাকে??
— হীর বিরক্তি নিয়ে বললো। ওহ আম্মু তুমি জানো আমি ড্রইং রুমেই খেতে পছন্দ করি!! কথা না বাড়িয়ে খাবার দাও।
— হীরের মা ভেঙো করে বললো।ইশশ!! ড্রইং রুমে খাবার দাও। তা ড্রইং রুমে খাবার খাবি নাকি টিভি গিলে খাবি??
— মা তুমি ঝগড়া কম করো আমার সাথে!! চিল্লাবানা একদম ভালোলাগেনা।
— আমি ঝগড়া করি?? কত বার বলি এই সব তোর চলাফেরার ভঙ্গী বদলা হীর এভাবে টিভি দেখে খাওয়া ভালোনা।
তুই শুনিস আমার কথা???
— আচ্ছা মা টিভি অফ করে খাবো।এবার তো খাবার দাও??? ঝগড়া না করে। উফফ!!
— হ্যাঁ হ্যাঁ। যা গিয়ে বস আনছি।
.
হীরের মা তাড়াতাড়ি কিচেনে যায়। উনার চোখে পানি চকচক করছে।কিন্তু ঠোঁটে তার একরাশ প্রশান্তির হাসি। আজ কত দিন পড় সেই আগের মত ঝগড়া করতে পারলো হীরের সাথে। এই হীরকেই তো খুজছিলো হীরের মা। কতো কেঁদেছে আল্লাহ ওর কাছে তার মেয়েটা জেনো আগের মতো হয়ে যায়!! আল্লাহ এতোদিন পড় হয় তো উনার কথা শুনেছেন। হীরের মা ব্রেকফাস্ট বেড়ে চোখের পানিটা মুছে নেয়। তারপর হীরকে ড্রইং রুমে খাবার দেয়। সেখানেও একপাটি ঝগড়া করে নেয় মেয়ের সাথে। অদের ঝগড়ায় হিরার ঘুম ভেঙে যায়।আগে এমন হলে হিরা রাগ করতো মা বোনের ঝগড়া দেখে বিরক্ত হতো কিন্তু। আজ ওদের ঝগড়া শুনে ঘুম থেকে উঠে এসে ড্রইং রুমে সোফায় চুপটি করে বসে মা বোনের ঝগড়া উপভোগ করেছে। হিরাও যেমন রোজ সকালের এই যুদ্ধ খুব মিস করছিলো। ১৫ মিনিট তুমুলঝগড়ার পড় হীর রেগেমেগে ভার্সিটির জন্য বেরিয়ে যায়। হিরা তখনো ড্রইং রুমে বসে হীরের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। তখনি হীরের মা হিরার পাশে বসে বলে উঠে কান্নাজড়িত কণ্ঠে।
— দেখেছিস হিরা। আজ হীর..?
— হিরা মার আগে নিজেই মুচকি হেসে বললো। আজ হীর একদম আগের মতো করলো তাইনা।
— হীরের মাও এবার কেঁদেই দিলো। হ্যাঁ আমার মেয়েটা কতোদিন পড় আমার সাথে এভাবে কথা বললো। আমার মেয়েটা এবার নরমাল হবে তো হিরা। আমি আর পারছিনা ওকে এভাবে দেখতে। জানিস আজ কতদিন পড় ও সকালে নাস্তা করেছে?? মিনিমাম ৬ মাস পড়!! কি চেহারা হয়েছে মেয়েটার আমার চিনতে পারিনা ওকে আমি!!
— হিরা মাকে জড়িয়ে ধরে মাকে শান্ত করার চেস্টা করে বলে উঠে। মা কেঁদে ও না দেখবে আস্তে আস্তে হীর একদম ঠিক হয়ে যাবে।আগের থেকেও হাসিখুশী হয়ে যাবে!
— হীরের মা আচঁলে চোখ মুছে বলে উঠে। তাই জেনো হয় বাবা। আমার মা টা জেনো আগের মতো হাসে।
.
হিরা দীর্ঘশ্বাস ফেলে মনে মনে রাহুল কে ধন্যবাদ দেয়। কারণ হিরা বুঝতে পারে রাহুল যদি হীরের পাশে না থাকতো তো আজ হীর ঠিক হওয়া তো দূর হয়তো আরো অন্ধকারে তলিয়ে যেতো। হারিয়ে যেতো সবার অজান্তেই হাসি খুশী তার বোনটা। আর কেউ জানতোইনা কিছু হীর কেনো অন্ধকারে তলিয়ে গেলো??হিরা ভাবে যা হয় ভালোই হয়। হয় তো শিহাবের থেকে রাহুলি ব্যাটার হীরের জন্য তাই তো আল্লাহ রাহুল কে পাঠিয়েছে হীরের লাইফে হীরকে আগলে রাখার জন্য!!ভেবেই হাল্কা হাসে হিরা। কারণ ভাই হিসেবে এই টুকু হিরা বুঝেছে রাহুলি হীরকে আবারো হাসি খুশী একটা জীবন দিতে পারবে।
.
.
.
বিল্ডিং থেকে বেড়িয়েই দেখি ড্রাইভার গাড়ী নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে একরাশ মহা বিরক্তি নিয়ে গিয়ে গাড়ীতে উঠে বসলাম।
মার সাথে ঝগড়া করে মুড খারাপ থাকলেও আশ্চর্য ব্যাপার কথায় জানি একটা শান্তি শান্তি লাগছে। কিন্তু এই গুন্ডাটার ঢং দেখলে বাঁচিনা। নিজে আমার তার সামনে পড়তে না করেছে। তাই নিজেও আমায় সামনে আসেনা হুহ। কিন্তু ঢং করে রোজ গাড়ী পাঠায় আমায় ভার্সিটি ছেরে আসতে। এবং ভার্সিটি শেষে আমার বাড়ী নিয়ে আসতে। আমি বাধ্য হয়ে বসি কারণ প্রথম দিন যেদিন ড্রাইভার আমায় দেখে বলে…….
— আপনি হীর ম্যাডাম????
.
মাত্রই বাসা থেকে বেরুই ভার্সিটি যাবো বলে। আর এর মধ্যে এক লোক এই প্রশ্নে পাশে তাকিয়ে দেখি ২৭/২৮ বছর এর এক লম্বা সম্বা লোক। আমায় ম্যাডাম বলায় অবাক হলাম কিন্তু। কিছু না ভেবেই বললাম।
— জ্বী আমি হীর কিন্তু কেনো??
— লোক টা হেসে বললো। স্যার পাঠিয়েছেন আমায় আপনাকে ভার্সিটি দিয়ে আসতে!!
— আমি ভ্রু কুঁচকে বললাম। স্যার?? কোন স্যার??
— রাহুল স্যার ম্যাম? চিনেছেন?
— আমি চিনেও বললাম। না চিনিনি হয়তো ভুলে গেছি।
.
বলেই সামনে হাটা দিলাম।এর মধ্যে ফোন ভেজে উঠলো আমার। রাস্তায় তাই না দেখেই ফোন রিসিভ করলাম। আর ফেসে গেলাম।
— হ্যালো!!
— গাড়ীতে উঠো গিয়ে নাও!!
— এই বাজেকায় ধমক শুনেই চট করে ফোনের দিকে তাকালা রাহুল লেখাটা চকচক করছে তা দেখে রেগে বললাম। আমি বলেছি গাড়ী পাঠাতে?? আমি কেনো বসবো তাহলে??
— রাহুল উফফ বলে তার বিরক্তি প্রকাশ করে রেগে বলে উঠে। ওকে ফাইন তুমি উঠোনা গাড়ীতে তুমি ওয়েট করো আমি আসছি আমিই নিয়ে যাবো তোমায়। আর যেহেতু তোমার সাথে দেখা হচ্ছে তো আমার উত্তর ও চাই।আর উত্তর না দিলে তোমার ঠোঁটের বারোটা বাজাতে চাই। আচ্ছা আসছি………
— এই সব কথা কানে আসতেই দ্রুত বললাম। না না না নায়ায়ায়া আমি ড্রাইভার এর সাথেই যাচ্ছি যাচ্ছি!! প্লিজ আপনার আসতে হবে না।আমি যাচ্ছি।
— রাহুল বাঁকা হেসে বলে উঠে। গুড গার্ল টেক ক্যায়ার। বায় স্লিপিংকুইন।
.
বলেই কেটে দেয় রাহুল আর আমি বাধ্য হয়ে রাহুলের গুষ্টসুষ্টি উদ্ধার করতে করতে গিয়ে গাড়ীতে বসি। সেদিন থেকে এভাবেই আসছি। ড্রাইভার এর কথায় ভাবনায় ছেদ পড়ে আমার।
— ম্যাম আসছি!!
— জ্বী!!
.
বলেই নেমে ভার্সিটিতে ঢুকে গেলাম। ইদানীং সবাই তাকায় থাকে আমার দিকে অবাক হয়ে যারা ক্লাস মেট আমার।তার অবশ্য কারণ আছে। কারণ আমি হঠাৎ করেই এতো দামী গাড়ী দিয়ে ভার্সিটি আসি তাই। সবাই অবাক চোখে তাকায় ফ্যালফ্যাল করে। কিন্তু আমার কিছু করার নেই রাহুল এসব বললেও বুঝবেনা গাড়ী পাঠাবেই।তাই বলেও লাভ নেই। তাই বলিও নি। কিন্তু অস্বস্তি হয় খুব আমার। এসব ভাবনার মাঝেই আমার পথ আটকায় কেউ!! আমি মাথা তুলে উপর এ তাকিয়ে দেখি শিহাব করুণ চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
আমার মায়া হলো কেনো জেনো হয় তো ভালো নেই শিহাব তা বুঝতে পেরে। এই কদিন শিহাব কলের উপর কল দিয়েছে আমায় কেনো জানি ধরিনি।হয় তো ঠিক করিনি ধরা দরকার ছিলো তাই আমি হাল্কা হেসে জিজ্ঞেস করলাম।
— কেমন আছো শিহাইব্বা??
— শিহাব অবাক হলো এতোদিন পড় সেই শিহাইব্বা ডাক হীরের মুখে শুনে। তাও করুণ কণ্ঠে বললো। ভালো নেই হীর আমায় কি ক্ষমা করা যায় না একবার????
— আমি মুচকি হেসে বললাম। চলো বসে কথা বলি??
— শিহাব দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো। চলো।
.
দুজনে গিয়ে বট তলায় বসলাম।আমি এদিক সেদিক দেখছি অনেকদিন পড় শিহাবের সাথে এভাবে কলেজে বসা।আগেতো রোজ বসে প্রেম করতাম। বেশকিছুক্ষণ পড় শিহাব বললো।
— সাতদিন ধরে কল দিচ্ছি!! ধরোনি কেনো?? ভার্সিটি তেও দেখা মেলেনা কোন সময় আসো কোন সময় যাও!!
— আসলে………….
— হীর আমায় কি ক্ষমা করা যায় না??
— আমি একটা মুক্তশ্বাস নিয়ে বললাম। অবশ্যই ক্ষমা করা যায়।কেনো যাবেনা তুমি যা ঠিক মনে করেছো তাই করেছো।
.
.
.
চলবে!
[অনেকেই আজকের পার্ট পড়ে ভাববা। আমি হাবিজাবি বেশী লিখছি রাহুল নেই কেনো কোথাও। তাদের বলি!!গল্প কিন্তু হীরকে নিয়ে আর আমি এটাই বুঝাতে চাইছি গল্পে। আমারা একজন মানুষের কাছে ঠকি কষ্ট পাই। আবার একজন মানুষের সংস্পর্শ এই আমরা স্বাভাবিক জীবন পাই। জীবনে একবার ঠকে কাউকে বিশ্বাস না করা পাবলিক দের জন্য আমার এই গল্প। যেমন শিহাবের মতো নিতুর মতো মানুষ আছে। তেমনি খুব অপরিচিত রাহুলের মতো মানুষ ও আছে যাদের বিশ্বাস করতে ভয় করলেও। তারা খারাপ না!! নিশ্বার্থ ভাবেই ভালোবেসে যায় তারা!!তাদের একটা সুযোগ দেওয়াই যায়।
বিঃদ্র – আমি কত টুকু ঠিক লিখছি জানি না। ছোট মানুষ ভুল বললে ক্ষমা করবেন। ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য। আর হ্যা কাল গল্পে সারপ্রাইজ আছে একটা ?☺]
Roja Islam

প্রতারক part 20

0

প্রতারক part 20
#Roja_islam

মুহূর্তেই রাগ চন্ডি ভড় করলো আমার উপর চোখে পানি বাহাতের পিঠ দিয়ে মুছে আমিও রাহুলের পিছন পিছন গেলাম। উদ্দেশ্য কামড় দেওয়ার বিচার কামড় দিয়েই করবো। গুন্ডাটা যদি হয় ভ্যাম্পপায়ার তো আমি ভ্যাম্পপায়ারনী হুহ। দুতালায় নামতেই দেখি রাহুল নেই। এক্টুও ভয় পেলাম না এতো রাতে একটা হস্পিটালে ঘুরঘুর করছি আমি তাও। কারণ মাথায় যে প্রতিশোধ এর নেশা উঠেছে। প্রতিশোধের নেশা উঠলে মানুষ সব ভুলে যায় আমি ভুলে গেছি।ভয় ডর সব ভুলে গেছি। একা একাই নিচ তালায় এসে পড়লাম। হ্যাঁ রাহুল কে দেখতে পাচ্ছি। হস্পিটালের এক সাইডে তার কারের সাথে হেলান দিয়ে আকাশ দেখছে নির্জন রাস্তায় দাঁড়িয়ে। শয়তানীমার্কা হাসি দিয়ে এগিয়ে গেলাম তার কাছে।
.
রাহুল দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবছে। কতই না মেয়ে তার পিছন ঘুরলো কিন্তু সে কিনা কি সব করছে একটা মেয়ের জন্য। রাগে গাঁ শিরশির করছে রাহুলের!! এমন না যে রাহুল ছ্যাঁকা ফীল করছে। কিন্তু হীরকে বুঝানো রাহুলের ধৈর্য্যের বাধ ভেঙে যাচ্ছে। আর যার ফলস্বরূপ হীরকে দেখলেই রাহুলের মাথা নষ্ট হয়ে যায়। আর রাহুলের মন চায় তুলে নিয়ে হীরকে বিয়ে করে। হানিমুন সেরে ফেলতে। তারপর ঠাশ করে থাপ্পড় দিয়ে জিজ্ঞেস করতে নেমেছে শিহাবের ভূত মাথা থেকে ইডিয়ট??? এগুলা চিন্তার মধ্যেই কাধে ব্যথা অনুভব করে রাহুল। তাই আকাশ থেকে চোখ নামিয়ে নিজের দিকে তাকাতেই রাহুলের চোখ ছানাবড়া। একি দেখছে রাহুল!! হীর তার কাধে কামড় দিচ্ছে??? রাহুল কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে যায়। তার বিশ্বাস হচ্ছে না হীর বাচ্চা দের মতো কামড় ব্যাক দিতে একা একা এখানে এসেছে??
.“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন


হীর মন মতো দাঁত বসিয়ে দিয়ে নিজের রাগ কমিয়ে মাথা তুলে তাকায় রাহুলের দিকে তারপর। সুন্দর করে হেসে বলে।
— আমার প্রতিশোধ নেওয়া হয়ে গেছে। কি ভেবেছেন আপনিই শুধু কামড় দিতে পারেন হুহ আমি পারিনা??আমি ও দিতে পারি দেখিয়ে দিলাম হুহ।আমার কাজ শেষ সো আমি যাচ্ছি?? বায় বায় ভ্যাম্পপায়ার!!
— রাহুল হীরের কথায় বিস্ফারি ভাব কাটিয়ে গম্ভীর কণ্ঠে বলে উঠে।এসেছো নিজের মর্জিতে। বাট যাবে আমার মর্জিতে। বলেই বাঁকা হাসে রাহুল।
— হীর আমতাআমতা করে বলে। দেখুন আপনি কামড় দিয়েছেন আমি ও দিয়েছি শোধবোধ। আপনি ভ্যাম্পপায়ার হলে আমি ভ্যাম্পপায়ারনী বুঝেছেন। নেক্সট টাইম কামড়া কারড়ি করতে এলে। আমি দাঁত বসিয়ে দিবো হুহ।
— রাহুল মুচকি হেসে বলে উঠে।ঠিক আছে কামড়া কামড়ি করবো না। আমি এখন অন্য কিছু করবো।
— হীর চেঁচিয়ে উঠে। এই আপনার সমস্যা কি?? কেনো গুন্ডামি করেন শুধু আমার সাথে?? হুহ??
— ঠিক আছে আর গুন্ডামি করবোনা রোমেন্স করবো!!
— ম মা মানে??
— দেখতে পাবে!!! বলেই রাহুল হীর কে ছ্যাঁচকা টানে ধাক্কা দিয়ে গাড়ীর সাথে ঠেকায়।
— হীর চেঁচিয়ে উঠে। এই গুন্ডা কি করছেন ছাড়ুন আমি চিৎকার করবো কিন্তু??
— রাহুল নেশাগ্রস্ত কণ্ঠে বলে উঠে। গোঁ অন চিৎকার করে দেখাও!!!
— ভা………..!
.
হীর চিৎকার দেওয়ার আগেই রাহুল হীরের ঠোঁটে নিজের ঠোঁট চেপে ধরে মুখ বন্ধ করে দেয়। হীর সাথে সাথে চোখ খিঁচে বন্ধ করে। রাহুল কে ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করে। তাতে রাহুল হীরের দুই হাত তার হাত দিয়ে দুই দিকে কারের সাথে চেপে ধরে। আর নিজের ঠোঁটের বিচরণ হীরের ঠোঁটে ক্রমশ বাড়িয়ে দেয়।তাতে হীর পাথরে পরিণত হয়। হীরের সাথে ঠিক কি হচ্ছে ভাবতেই তার বন্ধ চোখের কোণা বেয়ে দু ফোটা পানি গড়িয়ে পড়ে। হীরকে শান্ত হতে দেখে রাহুলের হীরের ঠোঁট মুক্ত করে দিয়ে। হীরের কোমড় চেপে ধরে নিজের সাথে মিসিয়ে। হীরের কপালে কপাল ঠেকায় রাহুল। হীর কাঁদছে তা দেখে রাহুল বলে উঠে।
— সরি!! এক্সট্রেমলি সরি!!! এই টুকু বলেই হাসে রাহুল। তারপর মুখ গম্ভীর করে বলে উঠে। ভুলেও ভেবোনা আমি এমন কিছু বলবো। বরং শুনে রাখো শিহাবের ভূত তোমার মাথা থেকে না যাওয়ার আগ পর্যন্ত তুমি আমার সামনে এলে আমি এই কাজ রিপিট করবো। মাইন্ড ইট।
.
এই জঘন্য টাইপ কথা শুনে রাগে গাঁ পিত্তি জ্বলে উঠলো। আমি রাহুলকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলাম নিজের থেকে তারপর চেঁচিয়ে বললাম।
— যাবে না আমার মাথা থেকে শিহাবের ভূত। কেনো করলেন এমন????
— হ্যাঁ যাবে নাই তো খুব ভালো তো শিহাব তোমার তাই না??
— হ্যাঁ তাই আপনার মতো অসভ্য না!!
— হ্যাঁ আমি অসভ্য। আমায় আরো অসভ্য হতে বাধ্য করোনা। নেক্সট টাইম দেখা হলে আমার উত্তর চাই। অনেক ছাড় দিয়েছি তোমায় আর না!
— আমি অবাক হয়ে বললাম। উত্তর কিসের উত্তর??
— আই লাভ ইউর!!!
— অহ আচ্ছা তাহলে শুনে রাখুন। আপনার মতো অসভ্যকে আই লাভ ইউ টু আমি বলবো না!!
— তো কাকে বলবে শিহাবকে যে তোমার সাথে প্রতারনা করেছে তাকে?? নাকি লনিকে যে তোমার সাথে……! উফফ সেটা নাই বলি আর। শুনে রাখো!! আমায় তুমি আই লাভ ইউ। বলো আর না বলো উত্তর আমার হ্যাঁ চাই। তা না হলে আমার সামনে এসোনা। মনে জেনো থাকে ইউ ডাম্প!!
— হীর এসব শুনে রেগে বলে উঠে।আপনি আস্ত অসভ্য বেয়াদব আর গুন্ডা ছেলে!! আপনাকে আমি না কেউ ভালোসবে না।
— যা বলার বলো বাট আমার সামনে পড়লে উত্তর হ্যাঁ চাই গট ইট??
— কোনো দিনি ই না!!
— দেখা যাবে।
.
বলেই রাহুল রাহুল তার ব্রায়বেড হওয়া ফোন্টা হীরের সামনে রিসিভ করলো। লাউড স্পিকার দিয়ে। যার ফলস্বরূপ হীর ছোট ছোট চোখ করে চেয়ে রইলো রাহুলের দিকে। কারণ ফোনের ওপাশ থেকে একটা মেয়ের কণ্ঠ ভেসে আসছে।যার কথা গুলা এমন!!
— হ্যালো!! রাহুল বেবি ওয়ের আর ইউ। আই মিস ইউ হানি। আই রেলি লাভ ইউ। প্লিজ বিলিভ মি সুইটহার্ড। প্লিজ ক্যাম ব্যাক হেই আর ইউ……!
.
এই সব শুনে হীরের কান্না কেমন জেনো বেরে গেলো যা দেখে রাহুল বাঁকা হেসে ফোন কেটে দিলো। কোনো উত্তর না দিয়ে।তারপর হীর কে উদ্দেশ্য করে বললো।
— বায় মাই স্লিপিংকুইন!!
.
বলেই রাহুল হন হন করে উপরে চলে গেলো। আর আমি বাচ্চাদের মতো কাঁদছি কেনো কাঁদছি জানা নেই আমার। রাহুল এর অসভ্যতায় কাঁদছি নাকি। রাহুলকে অন্যকেউ আই লাভ ইউ বলছিলো বলে তা ভেবে পাচ্ছিনা আমি। মন চাইছে নিজের মাথার চুল নিজেই ছিড়ে ফেলি কে বলেছিলো??নিচে আসতে ভেবে নিজের প্রতি রাগ হচ্ছে খুব। কেউ ঠিক বলেছে প্রতিশোধ নিতে গেলে নিজেরি লস। আমার তাই হলো। ভেবে কান্না বেড়ে গেলো। না প্রতিশোধ নিতে আসতাম আর না নিজের ফার্স্ট কিস এভাবে জোর পূর্বক হতো তাও এই গুন্ডাটা করলো। ছিঃ ?
.
.
এদিকে পূর্নি কে জড়িয়ে ধরে রেখে নিজের বুকে হিরা।পারলে কলিজায় ঢুকিয়ে রাখতো হিরা পূর্নিকে। পূর্নির কান্না থামলেও। এক্টু পড় পড় দীর্ঘশ্বাস ফেলছে আর হেচকি তুলছে মেয়েটা। পূর্নি গুটিসুটি মেরে হিরার বুকে লেপ্টে থাকা অবস্থায় ই মাথা তুলে হিরার দিকে তাকালো। হিরাও কেঁদেছে আজ।এতো দিন পড় পূর্নিকে দেখে নিজেকে সামলাতে পারেনি। হিরার চোখ মুখ ও ফুলে গেছে। পূর্নি মুচকি হেসে বললো।
— তুমি কিন্তু এখনো আমায় বলোনি??
— হিরা অবাক হয়ে বললো। কি??বলিনি??
— কপাল কুচকালো পূর্নি। ভুলেই গেলে?? আচ্ছা আমি ই বলছি। আই লাভ ইউ বলোনি!! এখনো না হুহ।
— হাসলো হিরা তারপর পূর্নি মুখোমুখি বসে পূর্নি গাল দু হাতে ধরে বললো। আই লাভ ইউ। আই লাভ ইউ পূর্নি। অনেক ভালোবাসি তোমায় সেটা বলে বুঝাতে পারবোনা। শুধু এই টুকুই বললো। যতোটা ভালোবাসলে কাউকে ছাড়া বাঁচা যায় না। আমি ঠিক তটাই ভালোবাসি তোমায়। তোমাকে ছাড়া বাঁঁচবোনা যে!!
— পূর্নির ঠোঁটে হাসি চোখে পানি নিয়ে বলে উঠে। আমিও খুব ভালোবাসি আমার রাগী পাগল টাকে। ছেড়ে যেও না প্লিজ।
— হিরা পূর্নিকে জড়িয়ে ধরে বলে উঠে। আর কখনো এই ভুল করবোনা। কখনো ছেড়ে যাবোনা তোমায়।
.
বলেই!!!!
হিরা হাল্কা হেসে পূর্নির কপালে ঠোঁট ছোঁয়ায়। পূর্নির মনে হচ্ছে আজ সে আকাশের চাঁদ টা হাতে পেয়েছে। কতোই না চোখের জল ফেলেছে এই দিন টার অপেক্ষায়। একবার প্রিয় মানুষ টার মুখে ভালোবাসি কথাটা শুনবে বলে!! আজ পূর্নি মরে গেলেও কোনো কষ্ট নেই। প্রসান্তির হাসি পূর্নির মুখে আজ।
.
.
চলবে!
[গল্প শেষের দিকে ☺]

Roja Islam

প্রতারক part 19

0

প্রতারক part 19
#Roja_islam

আমি হ্যাঁ বলার সাথে সাথে রাহুল চোখ খুলে আমার দিকে শান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো। চাহনি শান্ত হলেও আমার ভয় করছে!! সাথে অস্বস্তিও লাগছে!! কিছু বলতেও পারছিনা। রাহুলের চাহনি অপেক্ষা করে। বেশকিছু ক্ষণ পড় আমায় ছেরে দাঁড়ায় রাহুল তারপর এক্টু দূরে গিয়ে বলে উঠে।
.
.
— কাল পূর্নির জ্ঞান ফিরেছে। হিরাকে দেখতে চাইছে। আমি এড্রেস মেসেজ করবো তোমায়। হিরাকে কাল হস্পিটাল পাঠিয়ে দিও। নাও আউট।
.
.
আমার খুব কষ্ট হলো রাহুলের ব্যাবহারে এভাবে কথা বলায়। কেনো তা বুঝলাম না। আমি কিছু না বলে দাঁড়িয়েই আছি। তাই রাহুল চেঁচিয়ে উঠে।
.
— আই সেইড আউট হীর!!
.
আমি কিছু বললো।
— রা………!
— আই সেইড গেট লস্ট!!!
.
আমি আর দাড়ালাম না। ছুটে বেরিয়ে যাই ওখান থেকে। তারপর রিকশা করে বাসায় চলে আসি। সারাদিন আর একবারো শিহাবের কথা মাথায় আসেনি এসেছে রাহুলের কথা।
.
.“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন


যদিও রাহুল আমার সাথে ওতো
খারাপ ব্যবহার করেনি।
কিন্তু রাহুলের ঐ চাহনি কেমন তাড়া করছে আমায়।
সারাদিন বেডে এপাশ ওপাশ করেই কাটে আমার।
রাতে ভাইয়া এলে খাওয়া দাওয়া করে ভাইয়ার রুমে যাই।
কথা বলতে কারণ এক্টু আগেই রাহুল মেসেজ দিয়ে এড্রেস দিয়েছে সেটা ভাইয়াকে দিতে হবে। কিন্তু
আমি রুমে ঢুকে দাঁড়িয়ে আছি কিছু বলছিনা তাই।
ভাইয়া আমায় ধরে বসায় বেডে।
.
.
— কি হইছে তীর মুখ এমন কেনো দেখাচ্ছে??
কিছু হয়েছে তোর???
.
.
ভাইয়ার প্রশ্ন শুনে মনে হলো। ভাইয়া কে সব বলে কিছু ডিসিশন নেওয়া যায় ভালো মন্দ। একমাত্র ভাইয়াই পারে আমায় এখন সঠিক পথ দেখাতে। কারণ ভাইয়া তো আর আমার খারাপ চায় না। আর তাছাড়া রাহুলের টপিক বাদ দিলেও শিহাব ক্ষমা চাইছে তাকে ক্ষমা করা যায় কিনা তাও ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করবো। এসব ভেবেই বলে ফেললাম।
.
.
— ভাইয়া!!!
— হ্যাঁ বল??
— পরামর্শ চাই তোর??
— বল!! কি পরামর্শ চাই সব পাবি।
.
.
আমি ভাইয়াকে শিহাবের আজকের কথা আর রাহুলের সব কথা ও বলিদেই। তারপর মাথা নুইয়ে রাখি। কারণ বুঝিতে পারছি ভাইয়া রেগে গেছে সব শুনে। বারবার পানি খাচ্ছে বেড সাইড থেকে নিয়ে! ভাইয়া রেগে গেলে বেশী বেশী পানি খায়। অদ্ভুত অভ্যাস পানি খেলে কি হয় বুঝিনা রাগ চলে যায়?? নাকি অন্য কিছু কে জানে!! অনেকক্ষণ পড় ভাইয়া। রেগে বলে উঠে।
.
.
— তুই পাগল হীর??
— কি করলাম আমি?? আমি তো কিছুই করিনি!! করেছে ওরা।
— তুই কি করিসনি তাই বল। এতো কিছুর পড় তুই ঐ বাস্টার্ড এর সাথে কথা বলতে গেলী। কি করে!! নির্লজ্জ হয়ে গেছিস তুই??
— ভাইয়া আমি!!!
— চুপ তুই মহৎ হতে চাস ক্ষমা করে। তাহলে শোন ঐ ছেলেকে ক্ষমা করা গেলেও সে আর তোর যোগ্য নয় হীর বিবাহিত সে!! যাই হোক না কেনো নিতুকে একটা সুযোগ দিয়ে তার সাথে মানিয়ে নিয়ে সংসার করাই শিহাবের জন্য ভালো। তা না করে নিতুর সাথে তোর লাইফ টাও নষ্ট করতে চাইছে সে এখন। বোন তুই আর ওর ফাদে পা দিশ না প্লিজ। এই বোকামো বাদদে হীর প্লিজ।
.
.
চুপ করে বসে চিন্তা করছি। কিছুক্ষণ ভেবে আমি মুচকি হেসে বললাম।
.
.
— আচ্ছা তাহলে আমি শিহাবকে ক্ষমা করে দিবো আর ওকে।কিন্তু ওর লাইফে আর পা দিবোনা। তাহলে ঠিক আছে??
— হালকা হেসে হিরা বললো। হ্যাঁ ঠিক আছে। কিন্তু পারবি তো তুই??? ঐ শিহাব কে ভুলতে??
.
আমি জোরে একটা হাসি দিলাম ভাইয়ার কথা শুনে। তারপর বললাম।
— আরে ভুলেই গেছি কিন্তু খাটাশ টা নিজেই সামনে এসে মনে করিয়ে দেয় বারবার কিন্তু আর না ভুলে যাবো আমি শিহাবকে!!
.
.
হিরা বোনের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে তারপর
কি ভেবে বললো।
.
.
— শিহাকে ভুলে যাবি আর রাহুল কে কি করবি??? সে এতোকিছু করেছে তোর জন্য!!
— হীর অবাক হয়ে বললো। জানিনা ভাইয়া কিছু জানি নাহ।
.
হিরা ভাবছে হীর একদিন ঠিক রাহুলের মায়ায় পড়েই যাবে। সেও তো পড়ে গিয়েছিলো পূর্নির উপর। তারপর হেসে বললো।
— আমি তোকে কোনো কিছুর জন্যই জোর করবোনা হীর। কিন্তু তুই শিহাব কে ভুলে যা এই টুকুই বলবো। এখন বল। আমার পূর্নি কেমন আছে? জানিস কিছু কত দিন দেখিনা!!
.
.
ভাইয়ার মন মরা কথা শুনে সব ভুলে আমি শয়তানী হাসি দিয়ে বললাম।
.
.
— ১০০০ টাকা দে আমি তোকে পূর্নিকে দেখার টিকেট দিবো??
— হিরা ভ্রু কুঁচকে বললো। টিকেট???
— হ্যাঁ???অনলি পূর্নিকে দেখার টিকেট এটা স্পেশাল তাই ১০০০ টাকা লাগবে।
.
.
ভাইয়া আমার কথা শুনে রেগে আমার চুল টেনে ধরলো।আমি ব্যথায় চেঁচিয়ে বললাম।
— ভাইয়া দিচ্ছি দিচ্ছি প্লিজ ছাড়।
— তাড়াতাড়ি দে আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি আর তুই টাকা নিয়ে পড়ছিস?? আল্লাহ আমার অপেক্ষা শেষ হলো এট লাস্ট!!!
.
.
আমি আর কষ্ট দিলাম না এড্রেস দিয়ে দিলাম।সে কি খুশী ভাইয়ার এড্রেস পেয়ে। খুশীতে চোখ চকচক করছে তার। কিন্তু সে কি কি ভেবে ভাইয়া রেডী হচ্ছে হন্তদন্ত হয়ে। আমি কিছু বুঝতে পেরে চেঁচিয়ে উঠলাম।
.
.
— তুই পাগল ভাইয়া এখন ১১ টা বাজে!! ঐটা গ্রাম এলাকা তুই যেতে পারবিনা!–
— চুপ করতো অনেক নিজেকে কন্ট্রোল করেছি আর না। আমি এখুনি দেখবো ওকে। আমি জানি পূর্নি আমায় দেখার জন্য পাগলামী করছে। আমি এখুনি যাবো আমার পেইন এর কাছে।
.
এই কথা শুনে আর কিছু বললাম না কারণ রাহুল বলেছিলো। পূর্নি দেখতে চাইছে ভাইয়াকে। আমি বললাম।
.
.
— আচ্ছা তাহলে আমিও যাবো??
— তুই…….!
— দেখ আমি যাবো। ব্যস ডিস্টার্ব করবোনা তোদের ওকে।
— আচ্ছা আচ্ছা চল।
.
.
হীর আর কথা না বাড়িয়ে নিজের রুমে গিয়ে রেডী হয়ে নেয়। তারপর ভাই বোন বেরিয়ে পড়ে বাইক নিয়ে হিরার। মাকে বলে বেরুয় অবশ্য দুজনি। তারপর এড্রেস অনুযায়ী পৌঁছাতে পুড়ো ১ ঘণ্টা লেগে যায়।
তাও দুজন কথা বলতে বলতে পৌঁছে যায়।
হস্পিটাল পৌঁছে হীর পাঁচ তালায় নিয়ে যায় হিরাকে। সেই লাস্ট কেবিনে ঢুকতেই দেখতে পায় পূর্নি ☺ রাহুল কথা বলছে।
.
.
পূর্নি হীরের পিছনে হিরাকে দেখেই ভ্যা ভ্যা করে কেঁদে দিলো। রাহুল অবাক হয়ে পূর্নির কান্না দেখে পিছন ফিরে হিরা হীর কে দেখে আর কিছু বলেনা পূর্নিকে। হীরের দিকে আর একবারো না তাকিয়ে বেরিয়ে যায় কেবিন থেকে রাহুল। রাহুল বেরিয়ে যেতেই হিরা দৌড়ে গিয়ে ঝাপ্টে ধরে পূর্নিকে দুজনি কাঁদছে। আর হিরা।
সরি, সরি জান সরি পেইন বলছে।
আর পূর্নি কান্নার মাঝেই এসব শুনে হাসছে।
.
.
হীর এসব দেখে কেঁদে দেয় তারপরি তার মনে হয়। অদের একা ছাড়া উচিৎ। মুচকি হেসে বেরিয়ে যায় হীর।
.
.
বাইরে বেরুতেই দেখে রাহুল হস্পিটাল এর বারান্দায় পাতা চেয়ারে বসে আছে। বারান্দার লাইট অতোটা ভালো না তাও আবছা আলোয়। রাহুল কে চিনতে ভুল হয়নি হীরের। হীর আশেপাশে তাকায় কেমন ভূতুরে ভূতুরে কেউ কেউ নেউ আশেপাশে। ও আস্তে আস্তে এগিয়ে যায় আর রাহুলের পাশে বসে পড়ে। রাহুল তাকায়নি হীরের দিকে একবারো। না কথা বলেছে। মাথা নিচু করে চেয়ারে এক ধ্যান এ বসে রাহুল। হীর রাহুল কথা বলছেনা দেখে বসেই ঘাড় ঘুরিয়ে বারান্দার পিছনে তাকায়। গ্রাম অঞ্চল তাও দূরে দূরে এক্টু এক্টু আলো দেখা যাচ্ছে। আর বাকি সব অন্ধকার আর খুব শব্দ করে ডাকা ঝি ঝি পোকার ডাক কানে বেসে আসছে। সাথে গ্রিল দিয়ে মৃদু ঠান্ডা বাতাস।হীরে ভালোলাগছে তবে। রাহুল কথা বলছেনা তাই ভাবছে।
.
.
এখন কি করবো সরি বলবো?? এই গুন্ডাকে?? কিন্তু কি কারণে বলবো?? তাহলে কথা বলছেনা কেনো? তাকাচ্ছেও তো না একবার কথা বলবে দূর? আর কথা বলছেনা তাকাছেনা তাই আমার কেনো খারাপ লাগছে?কেনো তাই বুঝতে পারছিনা এ কোন চিপায় পড়লাম? প্রায় ১৫ মিনিট হাবিজাবি চিন্তা করার পড় আমি রাহুলের সাথে কথা বলার জন্য মরিয়া হয়ে গেলাম তার পাশে বসে থেকে। আর পেটে কথা গুলা মুখে আসার জন্য আকুপাকু করছে তাই জিজ্ঞেস করেই বসলাম।
.
.
— আপনি রেগে আমার উপর??
.
.
রাহুল কিছু বলছে না আগের মতোই বোবা মূর্তি হয়ে বসে আছে।ভাব এমন আমার কথা সে শুনেইনি। এটা আবার কোন নাটক ভাবছি। কিন্তু ঐ যে মরিয়া হয়ে গেছি তাই আবার জিজ্ঞেস করলাম।
.
.
— কথা বলছেন না কেনো??
— কি বলবো?? রেগে মৃদু চিৎকার দিয়ে বললো রাহুল।
— রেগে….
— হ্যাঁ রেগে আছি!! তো??
— রাগ….
— হ্যাঁ কি রাগ??? রাগ ভাঙাতে চাও?? সো কিস মি। রাগ ভেঙে যাবে। বলেই বাঁকা হাসলো রাহুল।
.
.
এই কথা শুনেউ মুখ দিয়ে ছিঃ বেড়িয়ে এলো। আমি উঠে চলে যেতে নেই। রাহল আমায় হাত টেনে বসিয়ে দেয় ধ্রিম করে।
আমি হাত ছাড়ানোর চেস্টায় লেগে পড়ি।
.
.
— যাচ্ছো কোথায়। রাগ ভাঙাবে না?? কিস মি!!
গম্ভীর কণ্ঠে বলে রাহুল।
.
আমি ভয়ে ভয়ে বললাম।
— ছাড়ুন কি বলছেন??
— আমার খারাপ রূপ দেখাতে চাইনি বাট ইউ ডাম্প…. । বিষন রেগে এইটুকু বলেই থামে রাহুল তারপর চোখ বন্ধ করে জোরে শ্বাস নিয়ে বলে উঠে। কেনো এসেছো এখানে?? হ্যাহ আমি বলেছি তোমায় আসতে?? আমি হিরাকে পাঠাতে বলেচি কানে যায় নি???
.
আমি রাগে দুঃখে বললাম।
— সরি ছাড়ুন আর আসবোনা।
.
রাহুল বাঁকা হেসে বললো।
— এসেছো তার দাম দেও আগে??
.
অবাক হয়ে বললাম।
— মানে!!
.
.
রাহুল!!!!
আর কিছুনা বলে হীরে গলায় দ্বিতীয় কামড় বসায়। হীর ঠোঁট চেপে কেঁদে দেয়। জেনো আওয়াজ না হয়। এদিকে রাহুল কারম দিয়ে হীরের দিকে তাকিয়ে। হীরের চোখে পানি দেখে আরো রেগে হীরের হাত সজোরে চেপে ধরে। কিরবির করে বলে উঠে।
.
.
— তোমাকে আমার দশ হাত কাছেও দেখতে চাইনা আর কোনোদিন। আর ঐ শিহাবের সাথে দেখলে দুইটাকেই মেরে পুতে ফেলবো।
.
এই টুকু বলেই রাহুল হীর কে ছেরে হনহন করে নিচের দিকে চলে যায়। হীর বসে কাঁদতে থাকে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে।
.
.
আস্ত গুন্ডা এতো জোরে কামড় দিয়েছে যে মনে হচ্ছে দাঁত ঢুকিয়ে দিয়েছে। জ্বলে যাচ্ছে যেখানে কামড় বসিয়েছে। ভাবছি এটা কেমন কিছু হলেই কামড়??
.
.
চলবে!
[ কি লিখছি আমার আল্লাহ জানে শুধু ?]
Roja Islam

প্রতারক part 18

0

প্রতারক part 18
#Roja_islam

রাহুল খুব স্পীড এ ড্রাইভ করার মধ্যেই আস্ফির কল এলো। রাহুল তাড়াতাড়ি কল পিক করে কানে ধরে।
— আস্ফি কোথায় ওরা।
— রেস্টুরেন্ট বসেছে!!
— কোনটা ???
–…………. তুমি তাড়াতাড়ি এসো ওকে ব্রো।
— ইয়াহ থাকো তুমি আমি আসছি!!
— ওকে ওকে ব্রো।
.
রাহুল ফোন কেটে আরো স্পীড়ে ড্রাইভ শুরু করে। যেমন আকাশে না মাটিতেই বিমান উরাচ্ছে রাহুল।
.
.“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন


বারবার ঘড়ি দেখছি আমি। কারণ শিহাব সব বলতে চাই বলে মাথা নুইয়ে ঝিম মেরে বসে আছে। আমার মেজাজ খারাপ হচ্ছে। আশ্চর্যকথা এমন করার মানে হয়। ক্রমশ আমার মধ্যে রাগ চন্ডিভড় করছে। আমি কখন কি বলে ফেলি শিহাব কে তার ঠিক নেই। প্রায় ৫ মিনিট পড় শিহাব মুখ খুলে বলে উঠে।
— হীর আমি জানি আমি খারাপ আমি মানিও আমি খারাপ। কিন্তু তুমি কি আমায় কি ক্ষমা করা যায় না!!!
.
এই কথা শুনে রাগে গাঁ ফেটে যাচ্ছে আমার আমি চিল্লিয়ে বলি এক প্রকার।
— মজা করতে ডেকেছো আমাকে??ফালতু কথা শুনতে চাইনা আমি শিহাব। কেনো এমন করেছো আমার সাথে তা জানার ইচ্ছা আছে অন্য কিছু নয়।
.
এবার শিহাব বলে উঠে।
— আমি মোগ এ পড়ে গিয়েছিলাম। নিতু তারি সুযোগ নিয়েছে হীর!!
.
আমি অবাক হয়ে বললাম।
— মানে???
.
শিহাব মাথা নিচু করে বলতে শুরু করে।
— ঐদিন আমার বন্ধু রিফাতের বার্থডে ছিলো। তাই রিফাত পার্টী দিয়েছিলো। আমি গিয়েছিলাম। কেনো জানিনা নিতু ও ছিলো পার্টিতে। তোমার খাতিরে এক্টু কথা বলে আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডায় মেতে উঠি। ছেলেদের পার্টী ছিলো তাই এক্টু ড্রিংক ও করে ফেলি। রাত ১২ টার দিকে পার্টী শেষ হয় আমি বাড়ী যাবো বলে বেরিয়ে পড়ি রিফাত এর বাড়ী থেকে। নিচে নামতেই দেখি নিতু একা একা দাঁড়িয়ে আছে আমায় দেখেই লিফট চাইলো কাছে এসে। আমি ঢুলুঢুলু অবস্থায় কিছু বলতে পারলাম না। আমি বাইক বের করতেই আমার পিছনে চেপে বসলো নিতু। আমার অবস্থা ড্রিংক এর জন্য আস্তে আস্তে খারাপ হচ্ছিলো। তাই নিতু আমায় যেভাবে বলছিলো আমি অভাবেই করছিলাম। খুব বাজে ভাবে ড্রাইভ করে আমি ওর বাড়ী পৌঁছি। নিতু বাইক থেকে নেমে আমায় এক প্রকার টেনেই নিজের বাড়ী নিয়ে গেলো। তারপর আমার কাছে সব ধোঁয়াশা!! রাতে আর কি হয়েছিলো আমার মনে নেই। সকালে আমি নিজেকে এবং নিতুকে বিব্রস্থ অবস্থায় আবিষ্কার করি। আমার মাথা ফেটে যাচ্ছিলো এসব কি নিতু কেনো এখানে আমি কই?? এসব ভেবে। এর মধ্যে নিতু উঠে কান্না শুরু করলো। আর বললো আমি ওর সাথে জোর করেছি। আমি ড্রাংক ছিলাম বলে নিতু আমায় ওর বাড়ী নিয়ে যায় আর আমি ওর সাথে এসব করি। আমার এতোটুকু মনে ছিলো আমি ড্রিঙ্ক করেছিলাম। তাই আমি ওএ কথা মিথ্যে ভাবতে পারলাম না। আর যেই অবস্থায় নিজেকে আবিষ্কার করি তা দেখার পড়……….! আমি কোনো রকম ভাবে নিজের বাড়ী যাই কিছু ভাবতে পারছিলাম না আমি। আমার ধারা এতো বড় ভুল কিভাবে হলো কুলকিনারা পাচ্ছিলাম না। এর পড় দিন নিতু ফোন দিয়ে কান্না শুরু করলো বিয়ে করতে ওকে। আমি স্তব্ধ ছিলাম পুরোটা সময়। আমায় চুপ থাকতে দেখে নিতু চেঁচিয়ে বলে। আমার বাসায় পুলিশ নিয়ে যাবে। আমি ভয় পাই কারণ আমার বাবা কেমন তা তুমি তো জানো। এসব শুনলে আমায় মেরে ফেলতো। আমি কোনোরকম ওকে ভরসা দি। এদিকে তুমি ছিলে ঐদিকে বাবা। আর আমার মনে হচ্ছিলো নিতুর সাথেও আমি খারাপ করছি। দিন দিন ওর চাপ বাড়তে লাগলো। ভালোভাসি ভালোবাসি বলে ফোন দিয়ে জ্বালিয়ে মারতো। আস্তে আস্তে মনে হলো নিতু আমায় ভালোবাসে। আর এতোকিছুর পড় ওকে বিয়ে না করলে ভুল হবে। আমি বিয়ের জন্য রাজী হই। আর তোমায় সব বলার সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু নিতু বাস সাধে। সে বলে বিয়ের আগ পর্যন্ত তোমার সাথে সব নরমাল রাখতে। আমিও কিছু বলিনা। কারণ আমি তোমার প্রতি সব সময়ি দুর্বল। আর তুমি আমার অভ্যাস ছিলে যা ছাড়া সম্ভব না। না তোমায় কষ্ট দেওয়া। ভেবেছি বিয়ের আগে বলে দিবো তাই ক্যাফেতে ডেকে বলেদি। তাও সত্যি বলার সাহস ছিলোনা তাই সব বলতে পারিনি। আর তারপর যা করেছি তোমার সাথে আমায় জেনো ভুলে যাও তাই করেছি। আমি ও চেয়েছি নিতুর সাথে ভালো থাকতে সব ভুলে। কিন্তু নিতু!!
.
আমি অবাক হয়ে বললাম।
— কিন্তু নিতু কি??
.
তারপর শিহাব নিতুর কারসাজি সব বলে আমাকে।। মানুষ এতো খারাপ কেমনে হয়। আর আমি নিতুর মতো কাউকে ফ্রেন্ড ভেবেছি ভাবতেই গাঁ রি রি করে উঠলো ছিঃ।
শিহাব আবার বলে উঠলো।
.
— আমার কি মনে হয় জানো??
.
আমি মাথা তুলে বললাম!
— কি??
.
— আমি কিছুই করি নি ঐদিন নিতুর সাথে এটা একটা নাটক ছিলো ওর। আমাকে ফাঁসানোর। কিন্তু কেনো নিতু আমায় ফাঁসিয়েছে তা আমি জানি না।
.
আমি সব শুনে হেং কিছু বলতে পারছি। এতোকিছু আমার আগেচরে হয়েছে তা ভাবতেই খারাপ কাগছে।নিরবতায় ছেয়ে গেছি দুজন। না আমার আর প্রশ্ন আছে বা শিহাবের কিছু বলার। আমি বারবার চোখ মুছতেছি। কান্না করতে না চাইলেও মাঝেমধ্যে চোখের পানি উপচে পড়ে আজ আমারো তাই। শিহাব হঠাৎ নিরবতা ভেঙে বললো।
.
— হীর আমায় ক্ষমা করা যায় না??আমি জানি তুমি অন্যকাউকে ভালোবাসো ন্না।চলো না হীর নতুন করে শুরু করি। ভুলে যাই সব।
.
আমি কি বলবো বুঝতে পারছিনা। কিছু বলা উচিৎ না হাসা উচিৎ না খুশী হওয়া উচিৎ আজ শিহাবের কথা শুনে বুঝতে পারছিনা। তাই চুপ করে আছি। আমায় চুপ দেখে শিহাবলে উঠলো।
— প্লিজ হীর একটা সুযোগ দাও আমায় সুধরানোর। আমি তোমার সব কষ্ট দূর করে দিবো।প্লিজ লাস্টবার ক্ষমা করে দাও হীর।
.
আমি আর কিছু না শুনে উঠে হাটা দিলাম। উদ্দেশ্য বাড়ী যাবো। পেছন থেকে শিহাব ডাকছে শুনতে পাচ্ছি। হয়তো পিছন থেকে আসছেও। কিন্তু আমার তাতে পাত্তা নেই আমার কেমব জানি সব ঘোলাটে লাগছে। সবাইকে প্রতারক মনে হচ্ছে। রেস্টুরেন্ট থেকে বেরুতেই দেখি। রাহুল দাঁড়িয়ে আছে তার কারের পাশে তার চোখের দিকে চোখ পড়তেই আত্মা কেঁপে উঠলো। মুখ আগুন হয়ে আছে তার। চোখে চোখ পড়তেই চোখ নামিয়ে নিলাম। তখনি পিছন থেকে শিহাব আমার হাত ধরে বলে উঠে।
.
— প্লিজ হীর আমি পাগল হয়ে যাবো আমার দোষ কি বলো। ঐ সময় যা……!
.
শিহাব আর কিছু বলার আগেই রাহুল আমার অন্য হাত ধরে টেনে নিয়ে গাড়ীর দরজা খুলে ধাক্কা দিয়ে বসিয়ে দিলো। আমি ও কিছু বলতে পারলাম না। জানালা দিয়ে শিহাবের দিকে তাকালাম। করুন চোখে তাকিয়ে আছে সে। কিন্তু আপাদত আমার কিছু করার নেই।গাড়ী চলতে লাগলো রাহুল ড্রাইভ করছে। আমি আর রাহুলের দিকে তাকাইনা জালানার দিকে তাকিয়েই আমি শিহাবকে ক্ষমা করবো কিনা ভাবছি। সত্যিই তো ঐ সময় নিতুকে বিয়ে করাই ব্যাটার ছিলো। কিন্তু শিহাব চাইলে নিতুকে বিয়ে না করলেও পারতো। কিন্তু সে এমন কিছু করেনি। আমায় ও মিথ্যে সত্যি কিছু বলেনি। তবে কি শিহাব নির্দোষ!! নিতুই সব করেছে। কিন্তু কেনো নিতু এসব করবে?? কি কারন তার!!
ভাবলাম নিতুর সাথে দেখা করতে হবে সব জানতে হবে কেনো করেছে নিতু এসব??
.
শিহাব তাকিয়ে আছে! হীরের যাওয়া গাড়ীর দিকে। চোখ থেকে দু ফোটা পানি পড়ে শিহাবের। নিজের হাত দিয়ে চোখ থেকে পানি নিয়ে মুচকি হাসে শিহাব। তারপর বিড়বিড় করে বলে উঠে।
— আমি জানি হীর তুমি আমায় ক্ষমা করবেই। আই নো ইউ!!
.
শিহাব বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়ে নিতুর বাড়ীর দিকে তার সব জানতে হবে। কেনো এসব করলো নিতু?? তারো জানতে হবে আজ তার জন্য সব উল্টাপাল্টা। খবর আছে নিতুর ভাবতে থাকে শিহাব।
.
.
রাহুল রেগে চুপচাপ মুখ শক্ত করে ড্রাইভ করছে। শিহাব হীরের হাত ধরেছে তা মনে হলেই নিজের পিছনের চুল টানছে এক হাতে। বেশকিছুক্ষণ পড় রাহুল নিজের ফ্লাটের সামনে গাড়ী থামাতেই হীর জিজ্ঞেস করে উঠে।
.
.
— এখানে কেনো বাড়ী যাবো আমি!!
.
রাহুল ঘাড় বাঁকা করে চোখ রাঙিয়ে তাকায় হীরের দিকে হীর মাথা নিচু করে ফেলে। আর কি টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় হীর কে নিজের ফ্লাটে। তারপর ওকে ড্রইং রুমে বসিয়ে নিজের রুমে গিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে মাথায় পানি দেয় রাহুল। মাথা ঠান্ডা করতে। রাগে তার শরীল ফেটে যাচ্ছে কি করবে সে। মন চাইছে নিজেই মরে যেতে রাহুলের।
.
.
১ ঘণ্টা ধরে এই সোফায় বসে আছি। আর ভালো লাগছে না ঐ গুন্ডাটাকেও দেখা যাচ্ছেনা। তাই চুপিচুপি উঠে মেইন ডোরের দিকে এগুলাম উদ্দেশ্য পালিয়ে যাওয়া এভাবে বসে থাকার মানেই হয়না। কোনো! কিন্তু যেই দরজা খুলবো। ওমনি রাহুল আমায় ছ্যাঁচকা টানে দরজার সাথে চেপে ধরে শক্ত করে। আমি চোখ মুখ খিঁচে বন্ধ করে রেখেছি। রাহুল তীক্ষ্ণ কণ্ঠে বলে উঠে।
.
.
— পালাচ্ছো স্লিপিংকুইন??
.
এই কথা শুনে আমি চোখ খুলে মাথা নাড়ালাম। মানে পালাচ্ছিনা।
রাগুল আমার কপালে কপাল ঠিকিয়ে বলে উঠে।
.
— হীর???
.
আমি রাহুলের এতো কাছে আসায় তুতলিয়ে বলি।
— জ জি জ্বী??
.
রাহুল চোখ বন্ধ করে বলে উঠে।
— আর ইউ স্টিল লাভ শিহাব???
.
আমি অবাক হই। চিন্তা করতে থাকি। সত্যি কি আমি এখনো ভুলেছি শিহাব কে এতোই সোজা কাউকে ভুলে যাওয়া?? আর আজ শিহাবের সব কথা শুনে মনে হচ্ছে তার কোনো দোষ নেই!! তাই আর কিছু না ভেবে বলে ফেললাম।
— হ্যাঁ!!!
.
.
চলবে!!
.
.
[এবার রাহুল কি করবে?? হীরকে ভাই বোনেরা?? এক্টু আপনাগো শুনতে চাই??? ?]
Roja Islam

প্রতারক part 17

0

প্রতারক part 17
#Roja_islam

আমাকে দেখেই মা চেঁচিয়ে উঠলো।
— আমায় কেনো বলিসনি হীর এসব?? রাহুল না হয় বিয়ের কথা বলে গেছে কিন্তু ওর মা কি মেনে নিবে হিরাকে??
.
আমি ভাইয়া মার এই কথার কি উত্তর দিবো খুঁজে পেলাম না। কারণ ঐ মহিলার সাথে রাহুলের কোনো মিল নেই। তাই রাহুলের ব্যাপারে কিছু বলা গেলেও ঐ মহিলার ব্যাপারে কিছু বলা বুঝা দায়। তাই দুজন চুপ করে আছি। মা ও গম্ভীর মুখ করে বসে আছে গভীর চিন্তা করছে বুঝাই যাচ্ছে। মার হাভভাব ভাইয়া কিছু বুঝতে না পেরে মাকে জরিয়ে ধরলো। কাঁদোকাঁদো অবস্থা ভাইয়ার বলতে লাগলো।
— প্লিজ মা তুমি অমত করো না বিয়েতে। আমি ভুল করেছি পূর্নির সাথে। আমায় সুধরাবার সুযোগ দাও প্লিজ। আমি পূর্নিকে ছাড়া থাকতে পারবোনা। প্লিজ মা তুমি এমন কিছু বলোনা যেটা আমি রাখতে পারবোনা।
.
মা ভাইয়ার মাথায় হাত রেখে বললো।
— আমি অমত করিনি হিরা। তোরা আমায় আগে বলিস নি কিন্তু আমি সব জানি ঐ মহিলা আমায় ও নানা কিছু বলেছেন বাসায় এসে একদিন আমি তোকে কিছুই বলিনি চেয়েছি তুই নিজে বল আমায় সব। আমার কষ্ট এটাই তোরা আমায় কিছুই বলিস নি বললে আমি উত্তর দিতে পারতাম কিছু উনাকে। তাই আজ এভাবে জিজ্ঞেস করলাম। আমার কাছে তোরাই সব কখনো মার কাছে কিছু লুকাবি না মনে থাকবে।
.
আমি এবার এসব দেখে বড় একটা নিশ্বাস ছেড়ে বললাম।
— বাপ রে বাপ ভয় পাইয়ে দিয়েছিলে। সত্যি মা তোমার বুঝানোর কি স্টাইল একদম জান নিয়ে নিবে ভাব। বাপ রে এখনি বুঝি জান টা গেলো আমার এক্টুর জন্য বেঁচে আছি উফফ।
.
ভাইয়া মাকে ছেড়ে সোজা হয়ে বসে বললো।
— হীর চুপ কর। মা তোমায় কি বলেছে ঐ মহিলা??
.
মা ভাইয়ার কথার জবাব না দিয়ে কথা ঘুরিয়ে বললো।
— তুই মহিলা কেনো বলছিস তোর শাশুড়ি হবে মহিলা না।
.“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন


ভাইয়া মার কথা বিষম খেলো।আর আমি হাসিতে গড়াগড়ি খাচ্ছি। আর মাকে বলছি।
— সো ফানি মা।
.
ভাইয়া রেগে গেলো।
— চুপ কর। মা তুমিও না।
.
আমার হাসি থামছেইনা। মা আবার বলছে।
— আমি ভুল কি বললাম? তোর শাশুড়ি ই তো হবে উনি??
.
ভাইয়া রেগে উঠে চলেই গেলো এই কথা শুনে। এবার আমি হাসি থামিয়ে মাকে জিজ্ঞেস করলাম।
— মা কথা ঘুরালে কেনো। কি বলেছে উনি??
.
মা আমার হাত ধরে বললো।
— বাদ দে হীর হিরা খুশী থাকলেই আমি খুশী। এসব কথা আর উঠাস না রাহুল যেহেতু এসেছে বিয়ের কথা বলতে তার মানেবই ঐ মহিলাও রাজী। তুই আর এসব কথা উঠাস না। আমি শুধু এটাই বলবো আমার কাছে কিছু লুকাশ না তোরা কেমন??
.
আমি মাথা নাড়ালাম মা উঠে ড্রইং রুম থেকে চলে গেলো। আমি টিভির দিকে তাকিয়ে আছি। বুঝতে বাকি নেই ঐ মহিলা কি কি বলতে পারে। বজ্জাত মহিলা একটা নিশ্চয় ভাইয়ার মতো মাকেও ছোট করেছে। ঐ মহিলা এমন কেনো বুঝিনা? মানুষ কে ছোট করে আনন্দ পায় কিছু রিচ মানুষ তেমনি এই মহিলা।
.
এসব নানান চিন্তার মাঝে হঠাৎ রাহুলের বলা সেই তিন ওয়ার্ড এর কথা মাথায় এলো।
ভাবছি মজা করলো রাহুল?? সব জেনেও কেনো এসব বললো। আমি তো গুন্ডাটাকে ফ্রেন্ড ও ভাবিনা।তার মধ্যে এসব কেমন জেনো লাগছে। যাইহোক যদি রাহুল সিরিয়াসলি ও বলে থাকে আমি নাই করবো। কারণ আর এসবে জড়াতে চাইনা। কিছুতেই না সিদ্ধান্ত একটাই।
________________________________
.
পরদিন সকালে ভার্সিটি চলে গেলাম। তিন তালায় আমার ক্লাস। দু তালায় উঠতেই দেখি শিহাব শিরির পাশে ঘেসে দাঁড়িয়ে আছে।দেখেই আমার বেশ অস্বস্তি লাগছে। তাও পাশ কেটে চলে যাবো তার মধ্যেই শিহাব ডাক দিলো।
— হীর!!
.
ওর মুখে আজ নিজের নাম টা শুনতে ঠিক আগের মতো লাগছে। যখন সব ঠিক ছিলো আমাদের মধ্যে। মায়া ভরা ডাক শুনে বুক টা ধক করে উঠলো। আমি পিছনে ফিরে ওর দিকে তাকালাম। শিহাবকে দেখেই বুকে কষ্ট হচ্ছে আমার। কি হাল হয়েছে শিহাবের। চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে ফর্সা মুখটা ফ্যাকাসে হয়ে গেছে। মাথা নিচু করে রেখেছে শিহাব কিছু বলছেনা ডেকেও তাই আমিই চলে যেতে ধরকাম। সে আবার ডাকলো।
— হীর প্লিজ শোনো।
.
আমি আবার ওর দিকে ফিরে বললাম।
— কিছু বলবে??
.
শিহাব আমার দিকে তাকালো। তারপর কাঁপাকাঁপা কণ্ঠে বললো।
— প্লিজ হীর আমায় আজ লাস্ট ২ ঘণ্টা সময় দিবে প্লিজ?? আই নো আমার এই চাওয়ার কোনো মানেই হয়না তবুও প্লিজ না করোনা!! প্লিজ??
.
আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম এ কোন শিহাব??? আমার অতি দুঃখে হাসি পাচ্ছে ৫ বছর রিলেশনে শিহাব আমার কাছে হাজার ভুল করেও নতো হয়নি। বরং শিহাব ভুল করলেও আমি কিছু বললে আমায় ই তাকে সরি বলতে হয়েছে। আর আজ সেই শিহাব আমার কাছে আকুতিমিনতি করছে। ২ ঘণ্টা সময় এর জন্য?? অবাক আমি অবাক বেশ অবাক। কিন্তু কিছু বললাম না এদিক ওদিক তাকাচ্ছি। জেনো রাহুল কে খুজছি। কিন্তু কেনো ভাবতে লাগছাম।আমি কেনো রাহুল কে খুজছি?? আশ্চর্য!! কেমন একটা পরিস্থিতিতে পড়ে গেলাম। যাবো কি যাবোনা ভাবছি!! কিন্তু ২ ঘণ্টার জন্য কই নিয়ে যাবে। লনির মতো যদি কিছু করে তো??? থাপ্পড় মারার প্রতিশোধ নিতে আসেনি তো। এটা মাথায় আসতেই আমি বললাম।
— সরি শিহাব ক্লাস আছে………!
.
আমি আর কিছু বললার আগেই শিহাব বললো।
— জানি ট্রাস্ট করতে পারছো না। কিন্তু তুমি আমায় জানো আমি যা করি বলে করি। আর আমি বলছি। প্লিজ কোনো ক্ষতি করবোনা তোমার হীর জাস্ট……… প্লিজ হীর না করোনা প্লিজ।
.
শিহাবে ডেস্পারেট নেস দেখে।
কি জেনো হলো আমি রাজী হয়ে গেলাম। শিহাব আমায় নিয়ে ভার্সিটি থেকে বেরিয়ে গেলো।
.
.
এদিকে রাহুল আজ পূর্নিকে নিয়ে বিজি মেয়েটা জ্ঞান ফেরার পড় থেকেই শুধু হিরা হিরা করছে। রাহুল সব বলে পূর্নিকে সামলিয়েছে। এখন পূর্নি ঘুমের ইঞ্জেকশ ন দেওয়ায় ঘুমুচ্ছে তাই রাহুল ভাবলো। হীরকে কল দিবে হিরা কে নিয়ে এখানে আসতে!!না হলে পূর্নি উঠে আবার হাইপার হয়ে যাবে যা পূর্নির জন্য ঠিক না!! যেই ভাবা সেই কাজ। রাহুল ফোন দিলো হীরকে কিন্তু একের পড় এক কল দিচ্ছে কিন্তু ফোন অফ বলছে। কই গেলো মেয়েটা ফোন কেনো অফ ভার্সিটি গিয়েছে হীর কিভাবে জানবো আজ তো জেতেই পারলাম না ওর কাছে। রাহুল ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে এসব ভাবছিলো ঐ সময় ই আস্ফির কল এলো ফোনে। রাহুল কিছু চিন্তা না করে ফোন পিক করে কানে দিলো।
— হ্যালো??
— ব্রো আস্ফি!!
— ইয়াহ ব্রো……..!
— কিছু বলার ছিলো ব্রো??
— ছে প্লিজ।
— একচুলি হীর ভার্সিটি থেকে শিহাবের বাইকে করে কই জেনো গেলো!!
.
কথাটা শুনেই রাহুলে মেজাজ চট করে খারাপ হয়ে গেলো। রাহুল রেগে বললো।
— আস্ফি ফলো করো অদের কই যায় যানাও ওকে এখুনি।
— ওকে ব্রো আমার বাইক আছে প্রবলেম নেই জানাচ্ছি।
— ওকে ফার্স্ট জানাও এড্রেস দাও আমি আসছি।
— ওকে ব্রো।
.
রাহুল ফোন কেটে নার্স কে বুঝিয়ে পূর্নির কাছে রেখে। বেরিয়ে পড়ে। শহরের উদ্দেশ্য এই হস্পিটাল টা রাহুলের বাবা বানিয়েছিলো মনি পুড়ি গ্রামের জন্য। রাহুলের বাবাও ডক্টর ছিলো। তাই রাহুল বোনের চিকিৎসা বাবার হস্পিটালেই করায়। কিন্তু এখান থেকে হীরের কাছে যেতে সময় লাগবে। তাও রাহুল কিছু না ভেবে গাড়ী খুব স্পীডে ড্রাইভ করছে। রাহুলের একটাই চিন্তা হীর আবার বোকামি করে সব ভুলে ক্ষমা করে দিবেনা তো শিহাব কে?? ভাবতেই নিজের মাথার চুল টানলো পিছন দিয়ে আর ভাবতে পারছেনা রাহুল। তার মন চাইছে সব ভস্ম করে দিতে। হীর কি করে গেলো শিহাবের সাথে ভাবতেই রাহুলের রাগে মাথা ফেটে যাচ্ছে।
.
.
আমি বসে আছি কিছুটা গেপ রেখে শিহাবের পিছনে। বাইক ছুটে চলছে এক দিকে। ঠান্ডা হাওয়া গাঁ বেশ জোড়ে ছুঁয়ে দিচ্ছে। এসবের মাঝেও একটাও চিন্তা কি বলবে শিহাব?? আমার চিন্তার মাঝেই। শিহাব একটা রেস্টুরেন্ট এর সামনে দাড়া করালো বাইক আমি আস্তে করে নেমে পড়লাম। শিহাব কে জিজ্ঞেস করলাম।
— এখানে কেনো।
— কথা বলবো এখানে বসে। দাড়াও তুমি আমি বাইক রেখে আসছি।
— হু।
.
বলেই আমি আশেপাশে তাকালাম।না সব ইটপাথর এর রেস্টুরেন্ট এর মতো এই রেস্টুরেন্ট টা নয়। বাঁশ ঝারের ভিতর ছোট বড় টেবিল পাতা। অনেক কারুকাজ করা নকশা আকা মন ভালো করার মতো পরিবেশ। এক্টু পড়ে শিহাব এসে আমায় নিয়ে একটা টেবিলে বসে। মাথার উপর বাঁশঝাড় তার উপরে খোলা আশাক। অনেক ভালো লাগছে কিন্তু শিহাবের কাছে তা প্রকাশ করলাম না। শিহাব জিজ্ঞেস করে আমায়।
— জায়গাটা ভালো না??
— হু!! কি বলবে বলো??
— সরি হীর!!
— হাহা কেনো??
— হীর আজ তোমায় আমি সব খুলে বলতে চাই কেনো এসব হয়েছে।
— আমি ও জানতে চাই প্রতারণা করার কারণ তাও প্রতারক এর কাছেই কারণ তার থেকে ভালো কে জানে সত্যি টা কি??
.
.
চলবে??
Roja Islam