Thursday, July 10, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 1890



The_Villain_Lover Part_10

0

The_Villain_Lover
Part_10
#Writer:#Tisha_Islam_Nabila

কথাগুলো বলার সময় সম্রাটে’র চোখ থেকে….টপটপ করে পানি পড়ছে হ্যা কান্না করছে সম্রাট….৭বছর আগে সম্রাট লাস্ট কান্না করেছিলো….আর আজ আবার কান্না করছে….সম্রাট চোখের পানি মুছে রুম থেকে চলে যায়….তখন ওর দাদুভাই ডাকে..!!

সম্রাটঃ হ্যা দাদু বলো……

দাদুভাইঃ শুভ তুই..!!

সম্রাট ওনাকে থামিয়ে বলে……

—-আর শুভ বলতে হবেনা….এখন থেকে আমাকে আমার নামেই ডাকবে..!!

দাদুভাইঃ কিন্তুু তুই যে বলেছিলি??

সম্রাটঃ হ্যা আবার আমিই বলছি……

এরমাঝে নিলয় এসে বলে..!!

—-ভাই কি নিয়ে কথা হচ্ছে??

সম্রাটঃ না তেমন কিছুনা……

নিলয়ঃ ওয়েল আমি তাহলে যাচ্ছি..!!

দাদুভাইঃ কোথায় যাচ্ছিস??

নিলয়ঃ দাদু বাড়ি বসে বোর লাগছে….তাই একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসছি বাই দাদু বাই ভাই……

সম্রাট সোফায় বসে আছে….চোখ ছলছল করছে ওর..!!

দাদুভাইঃ দাদুভাই কি হয়েছে তোর??

সম্রাটঃ দাদু জানো??আজকে মম, ড্যাড আর শ্রেয়া কে….খুব খুব বেশী মনে পড়ছে….কেন হলো এমন??

শ্রেয়া সম্রাটে’র একমাএ বোন ছিলো……

দাদুভাইঃ মন খারাপ করিস না দাদু….তুই কান্না করলে কি ওরা ফিরে আসবে??

সম্রাটঃ আমি কান্না করছি না……

বলে সম্রাট রুমে চলে যায়….আর ওর দাদুভাই মলিন ভাবে তাকায়….সম্রাট রুমে গিয়ে দেখে তিশা বসে আছে….সম্রাট যেন নিজের জান ফিরে পেয়েছে….দৌড়ে গিয়ে তিশা কে জড়িয়ে ধরে বলে..!!

—-জান তুমি ঠিক আছো??আমি কতটা টেনশন করছিলাম….তুমি বসো আমি খাবার নিয়ে আসছি….তোমাকে নিজের হাতে খাইয়ে দেবো…….

—-তোর মতো জানোয়ারের হাতে….আমি কিছুতেই খাবার খাবোনা….এরথেকে বিষ খাওয়া আমি বেশী পছন্দ করবো..!!

তিশা’র কথায় সম্রাট দাড়িয়ে পড়ে….সম্রাটে’র রাগ উঠে যায় আর তিশা’র….বিষ খাওয়ার কথা শুনে তো রাগে থরথর করে কাঁপছে….চোখদুটো রক্ত বর্ন ধারন করেছে….উল্টো দিকে ঘুরে যেতে গিয়েছিলো….তিশা’র কথা শুনে চট করে ফেরে ওর দিকে….সম্রাট কে দেখে তিশা’র জান যায় অবস্থা তবুও বলে…….

—-আমাকে মারতে এসেছিস না??নে আমাকে মেরে ফেল অন্তত তোর থেকে মুক্তি তো পাবো..!!

সম্রাট তিশা’র কাছে এসে….ঠাস করে তিশা কে থাপ্পর মেরে চেচিয়ে বলে…….

—-আমি তোকে কেন মারবো??আমি তোকে ভালবাসি তুই কেন বুঝিস না??আর কি বললি আমি জানোয়ার??আমার হাতে খাওয়ার থেকে….তুই বিষ খাওয়া বেশী পছন্দ করবি??দাড়া তুই তোকে তো আমার হাতেই খেতে হবে..!!

বলে সম্রাট পাগলের মতো হাসে….তিশা কাঁচুমাচু হয়ে তাকিয়ে আছে…….

সম্রাটঃ জান তুমি বসো আমি খাবার নিয়ে আসছি..!!

সম্রাট খাবার আনতে যায়….আর তিশা কান্না করতে করতে বলে……

—-আল্লাহ কেন এমন হলো??কোন পাপের শাস্তি পাচ্ছি আমি??শেষে কি না একটা পাগল আমার স্বামী??একটা পাগল, সাইকো কে আমি ভালবাসলাম??কি করবো এখন আমি??তুমি আমাকে পথ দেখাও..!!

—-কিছুই করতে পারবে না জান…….

রুমে ঢুকতে ঢুকতে সম্রাট বলে..!!

তিশাঃ আমাকে যেতে দাও……

সম্রাট রাগী দৃষ্টিতে তাকায়….ভয় পেয়ে তিশা চুপ হয়ে যায়….সম্রাট খাবার নিয়ে তিশা’র পাশে বসে..!!

সম্রাটঃ দেখি জান হা করো…….

তিশাঃ বলেছি না আমি খাবোনা..!!

সম্রাট শান্ত গলায় বলে…….

—-বেবী আমি হা করতে বলেছি..!!

তিশাঃ আমি খাবোনা শুনেছো??

সম্রাটঃ মাই লাভ হা করো..!!

তিশাঃ খাবোনা খাবোনা…….

সম্রাটঃ আমি হা করতে বলেছি হা কর..!!

চিৎকার করে বলে সম্রাট….ভয়তে তিশা তাড়াতাড়ি হা করে….সম্রাট মুচকি হেসে তিশা কে খাইয়ে দেয়….তিশাও লক্ষী মেয়ের মতো খেয়ে নেয়….খাওয়া শেষে সম্রাট নিচে যায় প্লেট রাখতে….ফোনটা রুমেই রেখে যায় এই সুযোগে….তিশা ফোন নিয়ে নীল কে ফোন দেয়….নীল ফোন রিসিব করতেই তিশা বলে…….

—-ভাইয়া কোথায় তোমরা??আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাও….শুভ একটুও ভাল না ও আমাকে মারে….ও একটা পাগল ভাইয়া নিয়ে যাও….আর শুভ আসলে সম্রা..!!

সম্রাট এসে ছো মেরে ফোন নিয়ে নেয়….তিশা ও আর বলতে পারেনা শুভ আসলে সম্রাট….সম্রাট রেগে তিশা কে ধরে বলে…….

—-কি করছিলে তুমি??

তিশাঃ ঠিকই করেছি আমি থাকবো না..!!

সম্রাটঃ থাকতে তো তোমাকে হবেই জান…….

বলে সম্রাট বাঁকা হাসে..!!

২ ঘন্টা পরই নীল, অভি, আবির আর কল্লোল চলে আসে….এসেই তিশা কে ডাকতে থাকে….ওদের মাথায় রক্ত চেপে গিয়েছে….যখন তিশা বলেছে শুভ ওকে মারে……

এদিকে রুমে..!!

সম্রাটঃ প্লিজ জান আমাকে ছেড়ে যেয়োনা…….

তিশা কিছু না বলে নিচে যায়….ওর ভাইয়াদের দেখে জড়িয়ে ধরে..!!

নীলঃ মিষ্টি কলিজা শুভ কোথায়??

আবিরঃ হ্যা মিষ্টি কোথায় শুভ??

অভিঃ ওর সাহস কি করে হয়??তোমার গায়ে হাত তোলে….আজতো ওর হাত আমি ভেঙে ফেলবো……

এরমাঝে সম্রাট নেমে আসে….সম্রাট কে দেখেই অভি এগিয়ে যায়….আর তিশা হঠাৎ খিলখিল করে হেসে ওঠে….তিশা’র হাসি দেখে সবাই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়….শুধু সম্রাট ছাড়া সম্রাট বাঁকা হাসি দেয়..!!

অভিঃ বোন তুমি হাসছো কেন??

তিশাঃ আমার কথা তোমরা সত্যি ভেবেছো??

কল্লোলঃ মানে কি মিষ্টি সোনা??

তিশাঃ আসলে তোমাদের অনেকদিন দেখিনা….এমনি বললে হয়তো আসতে না তাই নাটক করলাম….তোমরা বিশ্বাস ও করে নিলে??

বলে আবার হাসে তিশা……

—-ঠাসসসসসস..!!

তিশা গালে হাত দিয়ে….ছলছল চোখে তাকিয়ে বলে..!!

—-ভাইয়া তুমি আমাকে মারলে??

সম্রাট হাতের মুঠি বন্ধ করে নেয়….ওর চোয়াল শক্ত হয়ে গিয়েছে….তবুও নিজেকে কন্ট্রোল করে রেখেছে…….

আবিরঃ ভাইয়া কি করলে তুমি??

নীলঃ আবির তুই চুপ কর….আর হ্যা মারলাম তোমাকে আর আমি কোনো ভুল করিনি….এভাবে মিথ্যে কেন বললে তুমি??তুমি জানো তোমার মিথ্যে শুনে……

নীল কিছু একটা ভেবে থেমে আবার বললো..!!

—-মিষ্টি কলিজা আই এম সরি….আমার তোমাকে থাপ্পর মারা উচিত হয়নি….এবার তুমি বলোতো সত্যিটা কি??তুমি সত্যি মজা করেছো তো??নাকি ফোনে যেটা বলেছো সেটা ঠিক??

সম্রাট এবার ঘাবড়ে গেলো….নীলে’র কাছে এসে অভিনয় করে বললো…….

—-ভাইয়া এসব কি বলছো তুমি??তোমার মনে হয় আমি বেবী কে মারবো??বেবী তুমি কিছু বলবে না??

তিশাঃ হ্যা আমি মজা করেছি..!!

কল্লোলঃ তাহলে আমরা আসি আজ……

সম্রাটঃ আরে না কি বলছো??আজকে থাকো প্লিজ..!!

অভিঃ না আজ যেতে হবে কাজ আছে……
.
.
.
.
.
.
ওরা ৪জন চলে যায়….তিশা রুমে গিয়ে কান্না করতে থাকে….সম্রাট রুমে এসে তিশা’র পাশে বসে….তিশা সম্রাটে’র কলার ধরে বলে..!!

—-খুশি হয়েছো তুমি??এটাই তো চেয়েছিলে না??আমার ভাইয়া আমাকে মারুক??তোমার জন্য আমি আজ প্রথমবার….আমার ভাইয়াদের কাছে মিথ্যে বললাম……

এবার ভাবছেন তো??তিশা মিথ্যে কেন বললো??চলুন দেখে নেই কি হয়েছিলো..!!

#একটুআগে……

সম্রাট বাঁকা হেসে ড্রয়ার থেকে….একটা পিস্তল বের করে তিশা ভয় পেয়ে….দু কদম পিছিয়ে যায় তা দেখে সম্রাট বলে..!!

—-রিল্যাক্স জান ভয় পেয়োনা….এটা তো তোমার জন্য না……

তিশাঃ তা তাহলে??

সম্রাটঃ এটা তোমার ৪ভাইয়াদের জন্য..!!

তিশাঃ মা মানে??

সম্রাটঃ জানালা দিয়ে নিচে তাকাও……

তিশা নিচে তাকিয়ে দেখে ওর ভাইয়ারা….তিশা ভয় পেয়ে যায় কারন সম্রাট খুনি….সো ও খুন করতেই পারে..!!

সম্রাটঃ এটা দিয়ে ওদের উপরে পাঠিয়ে দেবো…….

তিশাঃ না তুমি কিছু করবে না..!!

সম্রাটঃ তাহলে আমি যা বলছি সেটা করো….নাহলে তুমি ওদের কাছে পৌছাবে….আমি যে মাফিয়া সম্রাট খাঁন সেটাও বলবে….বাট ওরা কিছু করতে পারবে না কারন….আমি ওদের এই পিস্তলের ৪টা গুলি দিয়ে….এই পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেবো…….

তিশাঃ না তুমি যা বলবে আমি করবো..!!

সম্রাটঃ গুড সো কাম উইথ মি…….

এরপর কি হয়েছে সবার জানা..!!

#এখন……

তিশাঃ আমি তোমাকে ঘৃনা করি..!!

বলে বেলকনিতে চলে যায়….সম্রাট একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে….রাতে সম্রাট ছাদে দাড়িয়ে আছে….রাত এখন ১টা সম্রাটে’র চোখে ঘুম নেই….যে কদিন শুভ হয়ে তিশা’র ভালবাসা পেয়েছিলো….সেই কয়দিন ঘুমোতে পেরেছিলো….চোখের কোনায় পানি জমে আছে…….

সম্রাটঃ ভালবাসা কি আমার জন্য না??ভালবাসা কি পাপ আমার জন্য??কেন এমন হয় আমার সাথে??কিন্তুু আমি তোমাকে হারাতে পারবো না জান….তুমি কোথাও যেতে পারবে না….যেদিন তুমি চলে যাবে সেদিন আমি তোমাকে মেরে ফেলবো….তবে তুমি ভেবোনা তোমাকে মেরে….আমি সুখে শান্তিতে বেঁচে থাকবো….তোমাকে মেরে আমিও মরবো….তুমি যেতে চেওনা জান প্লিজ..!!

সম্রাট পুড়ো বাড়ি গার্ড দিয়ে ঘিরে রেখেছে….যাতে তিশা না পালাতে পারে……

১০দিন পর……

সম্রাট তিশা কে অনেক বুঝিয়েছে….কিন্তুু ৭বছর আগে কি হয়েছিলো….সেটা চেয়েও বলতে পারেনি তিশা শোনেনি….নিলয় আর ওর বাবা আবার বিদেশ চলে গিয়েছে….সম্রাট অফিস থেকে এসে রুমে গিয়ে অবাক….তিশা লাল রঙের একটা শাড়ি পড়েছে….ঠোটে লাল লিপস্টিক চোখে কাজল..!!

সম্রাটঃ আমি কি স্বপ্ন দেখছি??

তিশাঃ মোটেও না এটা সত্যি……

সম্রাট আবারও অবাক হলো..!!

তিশাঃ এবার বলো আমাকে কেমন লাগছে??

সম্রাটঃ জান তুমি সেজেছো??তুমি আমার সাথে ঠিকমত কথা বলছো??

তিশাঃ হ্যা সম্রাট আমি বুঝেছি….তুমি আমাকে সত্যি ভালবাসো….তাই আমি ঠিক করেছি আমি এখানেই থাকবো……

সম্রাট তিশা কে জড়িয়ে ধরে বললো..!!

—-আই লাভ ইউ সো মাচ জান….আমি যে কতটা খুশি হয়েছি….তোমাকে বলে বোঝাতে পারবো না……

তিশাঃ আই লাভ মোর দেন ইউ..!!

সম্রাট মুচকি হাসলো……

তিশাঃ এখন যাও ফ্রেশ হয়ে এসো..!!

সম্রাটঃ জ্বি ম্যাডাম……

সম্রাট ফ্রেশ হতে গেলো….তিশা সম্রাটে’র কোট ঠিক করে রাখলো….সম্রাট ফ্রেশ হয়ে আসার পর তিশা বললো..!!

—-চলো তোমার পছন্দের….সব খাবার তৈরী হয়েছে আজ……

সম্রাটঃ রিয়েলী??

তিশাঃ হুম চলো দেখতে পাবে..!!

সম্রাটঃ খেতেও পারবো……

তিশাঃ পাগল এখন চলো..!!
.
.
.
.
.
.
এরপর ওরা একসাথে নিচে যায়….তিশা সম্রাটে’র দাদুভাই কে ডেকে আনে….এরপর ৩জন খাওয়া শেষ করে….সম্রাট আজ অনেক খুশি….তিশা ওকে বুঝেছে ওর ভালবাসা বুঝেছে…….

সম্রাটঃ থ্যাংক ইউ আল্লাহ..!!

তিশাঃ সম্রাট চলো না বাইরে যাই……

সম্রাটঃ কেন??

তিশাঃ ঘুরতে প্লিজ..!!

সম্রাটঃ ওকে চলো……

সম্রাট তিশা কে নিয়ে বাইরে যায়….সম্রাট ভেবেছিলো তিশা পালাতে চাইবে….কিন্তুু না যতক্ষণ ওরা বাইরে হেটেছে….ততক্ষণ তিশা সম্রাটে’র হাত ধরে রেখেছিলো….সম্রাট সস্তির নিঃশ্বাস ফেললো..!!

সম্রাটঃ তাহলে জান আর পালাবে না….সত্যি জান আমার সাথে থাকবে…..[মনে মনে]

ওরা ঘুরে বাড়ি চলে আসে….সম্রাট গার্ডদের রাখে বাট তিশা কে….আগের মতো পাহাড়া দিতে বারন করে….তিশা কলেজে যেতে চাইলে ওকে যেতে দিতে বলে..!!

এভাবে আরো ১০দিন কেটে গেলো…….

আজকে সম্রাট বাইরে যাচ্ছে….তবে অফিসে না একজন কে খুন করতে….তিশা মুখ ফুলিয়ে বসে আছে……

সম্রাটঃ কি হলো জান??

তিশাঃ তুমি অফিসে না গেলে হয়না আজ??

সম্রাট তো খুশিতে গদগদ….বাট ওর যেতেই হবে তাই বললো..!!

—-না জান আমার যেতে হবে……

তিশা নিজের ব্যাগ নিয়ে এসে বললো..!!

—-তাহলে আমাকে কলেজে পৌছে দিতে হবে……

সম্রাটঃ ওকে জান আমি তোমাকে নিয়েও আসবো..!!

সম্রাট তিশা কে কলেজে দিয়ে….নিজের কাজে গেলো এদিকে তিশা রহস্যময় হাসি দিয়ে বললো……

—-বাই মাই ডিয়ার ক্রাশ হাসবেন্ড..!!

তিশা বেরিয়ে নিজেদের বাড়ি গেলো…….

তিশাঃ ভাইয়া আমি রেডি..!!

অভিঃ ওকে তাড়াতাড়ি চলো……

ওরা ৪ ভাই আর তিশা এয়ারপোর্ট গেলো….তিশা এই ১০দিন সম্রাটে’র সাথে নাটক করেছে….যাতে সম্রাট ওকে বাইরে একা ছাড়ে….আর ওর ভাইয়াদেরও বলে সব….কিন্তুু ও চায়না সম্রাটে’র কোনো ক্ষতি ওর ভাইয়ারা করুক….তাই ও দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করে….তিশা প্লেনে বসে আছে থাইল্যান্ড চলে যাচ্ছে….একটুপর প্লেন ছেড়ে দেয় আর সম্রাট জানতেও পারলো না..!!

নিজের কাজ শেষ করে সম্রাট কলেজে আসে….কলেজে এসে জানে তিশা নাকি ক্লাসে যায়নি….গেট থেকেই বাড়ি চলে গিয়েছে….সম্রাট ভাবে তিশা হয়তো অসুস্থ ছিলো….তাই তাড়াতাড়ি গাড়ি নিয়ে বাড়ি চলে যায়….বাড়ি গিয়ে শোনে তিশা বাড়ি আসেনি….সম্রাট তবুও রুমে চলে যায়….হঠাৎ ওর চোখ যায় বিছানায় থাকা….একটা কাগজের দিকে এটা তিশা….রুম থেকে বের হওয়ার সময় রেখেছে….যেটা সম্রাট তখন দেখেনি কারন সম্রাট আগে বের হয়েছিলো….সম্রাট কাগজটা খুলে দেখে কিছু লেখা…….

—-সরি মাই ডিয়ার হাসবেন্ড….আমি তোমার সাথে থাকতে পারলাম না….কারন তোমার মতো পাগলের সাথে….কোনো সুস্থ মানুষ থাকতে পারেনা….আমি তোমার সাথে এই ১০দিন নাটক করেছি….যাতে আমি বাইরে বের হতে পারি….তুমি আর আমাকে খুজে পাবেনা….কারন আমি চলে যাচ্ছি গুড বাই..!!

চিরকুটটা পড়ে সম্রাট স্তব্ধ হয়ে গেলো….চোখ থেকে গড়িয়ে পড়ছে নোনা পানি….ধপ করে বিছানায় বসে পড়লো……..

সম্রাটঃ নাটক করলে জান??আমাকে ফেলে চলে গেলে??কি নিয়ে বাঁচবো আমি??

সম্রাট বিরবির করছে একা….হঠাৎ চোখের পানি মুছে বললো..!!

—-আমি তোমাকে খুজে বের করবো জান…….
.
.
.
.
.
.
৩ ঘন্টা পর ওরা থাইল্যান্ড গিয়ে পৌছালো….বাংলাদেশ থেকে সরাসরি থ্যাইল্যান্ড যেতে ৩ঘন্টা লাগে….ওরা প্রথমদিন তাই থাইল্যান্ডে’র “নাম নাকা”হোটেলে গেলো….এটা থাইল্যান্ডে’র “টপ স্টাফ এন্ড সার্ভিস ফার্স্ট হোটেল”….ওরা রুম বুক করে রেস্ট করলো….পরেরদিন ব্রেকফাস্ট শেষ করে নিজেদের….থাইল্যান্ডে যেই বাড়ি আছে সেখানে চলে গেলো….এদিকে সম্রাট তিশা কে খুজছে….কিন্তুু পাচ্ছেনা পাবে কি করে??তিশা তো বাংলাদেশেই নেই….সম্রাট পাগলের মতো হয়ে গিয়েছে….তিশা’র বাবা, মা কে রিকোয়েস্ট করেছে….যাতে ওনারা বলে তিশা কোথায়….ওনারা মিথ্যে বলেছে তিশা বাংলাদেশে আছে পারলে খুজে নাও….এভাবে কেটে গিয়েছে ১ মাস….কল্লোল আর আবির বাংলাদেশে চলে এসেছে….অভি আর নীল থেকে গিয়েছে..!!

সম্রাট বিদেশেও খুজেছে তিশা কে….কত খুজবে??সম্রাট বাড়ি ভাঙচুর করছে….আর পাগলের মতো চিৎকার করে কান্না করছে….সম্রাটে’র দাদুভাই আটকাতে এসে….এসব দেখে উনি স্ট্রোক করে বসে….সম্রাট ছুটে আসে ওনার কাছে…….

দাদুভাইঃ এমন করিস না সম্রাট..!!

আর বলতে পারেনা চোখ বন্ধ করে নেয়….সম্রাট যেহেতু ডক্টর তাই ও চেক করে যা বোঝে….দাদু বলে একটা চিৎকার দেয়….কারন ওর দাদু মারা গিয়েছে….এতকিছু সম্রাটে’র এই অবস্থা মানতে পারেনি উনি……..

সম্রাটঃ দাদু প্লিজ তাকাও প্লিজ….আমাকে এভাবে একা ফেলে যেওনা….দাদু আমি একা হয়ে যাবো ওপেন ইউআর আইস..!!

সম্রাট এরপর আরো হিংস্র হয়ে যায়……

৩ বছর পর..!!

তিশা বসে আছে থাইল্যান্ডে’র….”মাহিদোল ইউনিভার্সিটি তে” ওয়েট করছে নিজের ফ্রেন্ডের….অতঃপর এসে হাজির হয় সেই ফ্রেন্ড সৌহাদ্র….সৌহাদ্র একজন বাঙালী ছেলে….তিশা এখন সব বুঝতে শিখেছে বয়স ১৯ এখন….সৌহাদ্র কে দেখে তিশা বললো……

—-লুকিং সো নাইস..!!

সৌহাদ্রঃ ইয়া তুমিও……

তিশাঃ আমি কালকে বাংলাদেশে যাচ্ছি..!!

সৌহাদ্র মুখ কালো করে বলে…….

—-আবার কবে আসবে??

তিশাঃ পাপা সুস্থ হলেই চলে আসবো..!!

ওরা কথা বলে অনেকক্ষণ….এরপর তিশা চলে আসে পরেরদিন বাংলাদেশে চলে আসে….সবাই অনেক খুশি হয় তিশা ভাবে….রুপে’র সাথে দেখা করতে যাবে….যেই ভাবা রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে….কালো শার্ট আর কালো জিন্স প্যান্ট পড়ে….গাড়ির চাবি নিয়ে নিজে ড্রাইভ করে বেরিয়ে যায়….তিশা হয়তো ভাবেনি কি অপেক্ষা করছে ওর জন্য….বিকেলে রুপ’দের বাড়ি যাওয়ায়….ওখান থেকে আসতে আসতে রাত হয়ে যায়….ব্রিজের উপরে যখন গাড়ি নিয়ে আসে….তখনি সামনে দেখতে পায় একটা গাড়ি….যেটা ওর রাস্তা আটকেছে….তিশা রেগে গাড়ি থেকে নেমে বলে……

—-হেই ওয়াট দ্যা হেল??আর ইউ ম্যাড??

গাড়ি থেকে যে বেরিয়ে আসে….তাকে দেখে তিশা ভয় পেয়ে যায়..!!

তিশাঃ স সম্রাট??

সম্রাট আগের থেকে যেমন হিংস্র হয়েছে….তেমন কিউটও হয়েছে তিশা হা করে তাকিয়ে আছে……

সম্রাটঃ যাক চিনেছো তাহলে??

বলে সম্রাট এগোতে থাকে….তিশা ব্রিজের রেলিং ধরে আছে….সম্রাট তিশা’র সামনে এসে বলে……

—-ভালবেসেছি তোমাকে বিনিময়ে….তুমি আমাকে ধোকা দিয়েছো….ওয়াও জান তুমিতো আগের থেকে হট, সেক্সি হয়ে গিয়েছো..!!

তিশাঃ সাট আপ আমাকে যেতে দাও……

সম্রাটঃ যাবেতো তবে উপরে..!!

তিশা ভয়ে ভয়ে বলে…….

—-মা মা মানে??

সম্রাট নিজের পিস্তল বের করে….তিশা’র থেকে একটু দুরে গিয়ে তাক করে বলে..!!

—-তোর জন্য আমি দাদু কে হারিয়েছি….তুই আমার বিশ্বাস ভেঙেছিস….আমি বলেছিলাম নিজেকে যে তুই আমাকে ছেড়ে গেলে….আমি তোকে মেরে ফেলবো সো গুড বাই……

তিশা মুচকি হেসে বলে..!!

—-তুমি আমাকে মারবে না আমি জানি……

কিছুক্ষণে’র মাঝেই তিশা’র ধারনা ভুল প্রমানিত হয়….যখন একটা বুলেট ওর বুকে লাগে….তিশা ছলছল চোখে সম্রাট কে বলে..!!

—-তুমি আমাকে মেরে ফেললে??

আরো একবার তিশা কে গুলি করে….তিশা ব্রিজ থেকে নিচে পড়ে যায়….সম্রাট হাটু গেড়ে বসে পড়ে…….

—-আমি আরো একটা কথা বলেছিলাম….তোমাকে মেরে আমিও মরে যাবো..!!

সম্রাট উঠে দাড়িয়ে নিজের বুকে গুলি ধরে….এরপরই আরো একটা গুলির আওয়াজে….সবকিছু স্তব্ধ হয়ে যায় রাস্তায় পড়ে আছে সম্রাট….সারা শরীর রক্তে ভিজে আছে……..

#To_Be_Continued…..♣♣

[সরি গতকাল ফোন কিনে গল্প দেয়ার কথা ছিলো….ফোন গতকালই কিনেছি কিন্তুু গল্প দিতে পারিনি….কারন মাথা ব্যথা করছিলো….আর অনেকে জানতে চেয়েছেন….আমার জামাই’র নাম কি????
আমার জামাই’র নাম #সম্রাট…..??]

The_Villain_Lover Part_9

0

The_Villain_Lover
Part_9
#Writer:#Tisha_Islam_Nabila

তিশা এসে ঠাস করে থাপ্পর মেরে বলে..!!

—-কেন করলে এমন??কেন ঠকালে আমাকে??নিজের পরিচয় কেন গোপন করলে??কেন কেন কেন??

—-বেবী তু তু তুমি ভুল ভাবছো……

তিশাঃ জাস্ট সাট আপ….আমি কোনো ভুল ভাবছি না….কোথায় গিয়েছিলে আজ তুমি??খুন করতে তাইতো??আমি সব দেখেছি আমি ভুল না….কেন এমনটা করলে বলো??আমার বিশ্বাস নিয়ে এভাবে খেললে??তুমি একজন খুনি আই হেট ইউ..!!

—-দেখেছো মানে??

অবাক হয়ে বললো…….

তিশাঃ হ্যা তুমি বাড়ি থেকে যাওয়ার পর….আমিও তোমাকে ফলো করে যাই….সন্দেহ তো আমার সেদিনই হয়েছিলো….যেদিন তুমি আমাকে তোমার শার্ট দিয়েছিলে….আর ওই শার্টে আমি রক্ত দেখেছিলাম..!!

—-ওয়াট??ওয়াট আর ইউ সেয়িং??

তিশাঃ ইয়েস মিস্টার শুভ….ওপস সরি সম্রাট খাঁন বিলিভ হচ্ছেনা??ওয়েট আমি শার্ট নিয়ে আসছি…….

তিশা গিয়ে শার্টটা নিয়ে আসে….যেটাতে স্পষ্ট রক্ত লেগে আছে..!!

তিশাঃ এবার কি বলবে??

—-ইয়েস আমি সম্রাট খাঁন….আমি কোনো শুভ বা অজানা নই….এদুটো নামই নকল ছদ্মনাম ওকে??এবার বলো কি দেখেছো তুমি??

তিশাঃ তাহলে শোনো……

#অতীত..!!

শুভ রুপী সম্রাট বাড়ি থেকে যাওয়ার পর….তিশা ও ওকে ফলো করে যায়….শুভ গাড়িতে যখন ওঠে তখন মুখ দেখা যায়….বাট গাড়ি থেকে যে নেমে আসে….তাকে দেখে তিশা চমকে যায়….কারন গাড়ি থেকে নামে সম্রাট খাঁন….সম্রাট খাঁন যে শুভ তিশা তখনও বোঝেনা….তিশা ভাবে শুভ হয়তো গাড়িতে আছে….সম্রাট গাড়ি থেকে নেমে একটা পোড়া বাড়িতে ঢোকে….যেখানে অনেক বডিগার্ড আছে….আর একটা লোককে চেয়ারে বেধে রেখেছে….সম্রাট গিয়ে লোকটার সামনের চেয়ারে বসে….লোকটা ভয়ে কাঁপছে তিশা এই সুযোগে….গাড়ির কাছে চলে আসে কিন্তুু গাড়িতে আর কেউ নেই….তিশা ও ধীর পায়ে পোড়া বাড়ি চলে আসে….আর ও লুকিয়ে পড়ে এদিকে সম্রাট বাঁকা হেসে বলে…….

—-সো এবার কি করবি তুই??

লোকটাঃ আমাকে ছেড়ে দিন..!!

সম্রাটঃ হা হা ভেরী ফানি তোকে ছাড়বো??সম্রাট ধরতে শিখেছে ছাড়তে না……

বলেই নিজের কাছে থাকা….ধারালো ছুড়িটা লোকটার পেটে ঢুকিয়ে….চিৎকার করে বলে ওঠে..!!

—-তোকে বলেছিলাম না??আমার সাথে বেইমানি করিস না??তুই কি করলি সেই আমার প্রজেক্ট….অন্য একজন কে দিতে গেলি??এবার যা উপরে গিয়ে প্রজেক্ট দে…..

বলেই ছুড়ি দিয়ে….লোকটার পেটে অনবরত আঘাত করলো….এরপর আঘাতের জায়গায় গুড়া মরিচ দিতে লাগলো….আর সাথে পাগলের মতো হাসি….লোকটা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো….গার্ডরা ভয়ে থরথর করে কাঁপছে….তিশা ও ভয়ে কাঁচুমাচু হয়ে মনে মনে বললো..!!

—-শুভ কোথায় গেলো??

সম্রাটঃ রিয়াজ এটাকে ফেলে দে….আমি যাচ্ছি ফাস্ট এটাকে গুম কর…….

রিয়াজঃ জ্বি স্যার..!!

সম্রাট বের হওয়ার আগেই….তিশা বেরিয়ে গাছের পিছনে লুকিয়ে পড়ে….সম্রাট ওখান থেকে বেরিয়েই….মুখের মাস্কটা একটানে খুলে ফেলে….তিশা নিজের চোখ কে বিশ্বাস করতে পারছে না….ওর মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে……

—-শু শুভ..!!

সম্রাটঃ এখন বাড়ি যাই..!!

যেই সম্রাট গাড়িতে উঠবে….এরমাঝে ওর ফোনে আসে….সম্রাট ফোনটা রিসিব করে……

—-হ্যালো..!!

ওপাশঃ………

সম্রাট আশেপাশে তাকিয়ে বলে ওঠে..!!

—-ইয়েস ডক্টর অজানা বলছি….এনিথিং রং??

এবার তিশা’র মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো….সম্রাট কথা বলে গাড়িতে উঠে….গাড়ি স্টার্ট দিয়ে হসপিটালে চলে যায়….আর তিশা কান্না করতে করতে বাড়ি চলে আসে……

#বর্তমান..!!

সম্রাট থম মেরে বসে আছে….তিশা চেচিয়ে বললো……

—-এখন চুপ করে আছো কেন??

—-আজ আর কিছু লুকাবো না..!!

তিশাঃ লুকাবে কি করে??সব তো আমি জেনেই গিয়েছি….তোমার সাথে আমি থাকবো না….আমি এক্ষুণি এখান থেকে চলে যাবো…….

তিশা’র চলে যাওয়ার কথা শুনে….সম্রাটে’র মাথায় আগুন ধরে গেলো….তিশা দরজা খুলে বের হতে গেলেই….সম্রাট তিশা’র হাত চেপে ধরে বলে..!!

—-কি বললি তুই??আমার কাছ থেকে চলে যাবি??

তিশা ভয় পেয়ে গেলো….সম্রাটে’র চোখ মুখ লাল হয়ে আছে……
.
.
.
.
.
.
তিশাঃ তু তুমি ছাড়ো আমাকে..!!

সম্রাটঃ ছাড়বো বলে ধরিনি জান….যখন জেনেই গিয়েছো সব….তাহলে এটাও জেনে নাও তুমি এখান থেকে….কোথায় যেতে পারবে না আমি যেতে দেবোনা….তোমার জন্য নিজেকে নিজে আঘাত করেছি….সম্রাট থেকে শুভ হয়েছি এখন ভাবছো তো??সম্রাট থেকে শুভ কবে হলাম??ওয়েল বেবী আমি নিজেকে কাভার করতাম ঠিক….আচ্ছা তুমি বলো তো শুভ হয়ে আমি….তোমার সামনে কবে গিয়েছিলাম??

তিশাঃ ১ বছর আগে স্কুলে……

সম্রাটঃ রাইট ১ বছর আগেই আমি চেয়েছিলাম….দুনিয়ার সামনে আসতে প্রেস কনফারেন্সে….সবাই কে নিজেকে দেখাতে গাড়িতে যাচ্ছিলাম….বাট ওইদিন স্কুলের সামনে তোমাকে দেখি….চোখ আটকে গিয়েছিলো মাফিয়া সম্রাট খাঁন….একটা পিচ্চি কে ভালবেসে ফেলেছিলো….আমি জানতাম সম্রাট হয়ে তোমার সামনে গেলে….তুমি আমাকে ভয় পাবে দুরে থাকবে….মনে করে দেখো রুমাল বেধে আমি….তোমার সামনে গিয়েছিলাম কিন্তুু তুমি….আমার নাম শুনেই ভয় পেয়ে কান্না করে দিয়েছিলে….সেদিন আমি প্রেসের সামনে যাইনি….সারারাত ভাবতে থাকি কি করবো??আইডিয়া পেয়েও যাই শুভ হয়ে তোমার সামনে যাই….কথা না বললেও সেদিন তুমি ভয় পাওনি….হয়ে যাই সম্রাট থেকে শুভ….আর যদি অজানার কথা জানতে চাও….আমি একজন ডক্টরও বাট….হ্যা আমি অজানা সেজে আছি….মানুষের পাশে থাকার জন্য আমি বিনা কারনে….কাউকে খুন করিনা জান ট্রাস্ট মি….আমি সত্যি তোমাকে অনেক ভালবাসি….তোমার জন্য আমি কলেজে এডমিশন নিয়েছি….গার্ডদের সামনে নাটক করেছি….ভাঙচুর করেছি যাতে ওরাও ভাবে….শুভ, অজানা, সম্রাট আলাদা লোক….নিজেকে নিজে গুলি করিয়েছি….যাতে তুমি ডাউট না করো….বাট তুমি জেনেই গেলে..!!

তিশাঃ হ্যা কারন সত্যি গোপন থাকেনা……

সম্রাটঃ আই ডোন্ট কেয়ার….বাট তুমি যাবেনা..!!

তিশাঃ যাবো তোমাকে ডিভোর্স দেবো……

সম্রাট অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে….ঠাস করে তিশা কে থাপ্পর মারলো….টাল সামলাতে না পেরে তিশা ফ্লোরে গিয়ে পড়লো….সম্রাট তিশা কে টেনে তুলে গাল চেপে ধরে বললো..!!

—-কি বললি তুই??আমাকে ডিভোর্স দিবি??এত বড় সাহস তোর??আর একবারও যদি আমাকে ছেড়ে যাওয়ার কথা বলিস….তোর কি হাল আমি করবো তুই জানিস না….আমি যেমনই হই তুই আমার সাথেই থাকবি….তুই চাইলেও তুই আমার….আর তুই না চাইলেও তুই আমার……

তিশাঃ থাকবো না আমি তোর সাথে….তুই একটা খুনি জানোয়ার..!!

সম্রাটঃ কি আমি জানোয়ার??

তিশাঃ শুধু তাইনা তুই একটা পাগল, সাইকো……

সম্রাট যেন এবার অগ্নিমূর্তি হয়ে গেলো….নিজের সব শক্তি দিয়ে….তিশা কে থাপ্পর মারলো তিশা নিচে পড়ে গিয়ে….খাটের কোনায় লেগে কপাল কেটে সেন্সলেস হয়ে গেলো..!!

সম্রাট তাড়াতাড়ি তিশা’র কাছে এলো……

সম্রাটঃ জান কি হলো তোমার??জান কথা বলো আমার সাথে…ও গড এটা কি করলাম আমি??

সম্রাট নিজেই তিশা কে দেখলো….তিশা’র কপাল কেটে রক্ত পড়ছে….সম্রাট তাড়াতাড়ি ব্যান্ডেজ করে দিলো….তিশা কে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে….তিশা’র একটা হাত ধরে কান্না করতে করতে বললো..!!

—-কেউ খুনী হয়ে জন্মায় না জান….ভাগ্য কখন কাকে কি বানায়….কেউ জানেনা তোমাকে আমি ভালবাসি….তুমি আমাকে ছেড়ে গেলে আমি তোমাকে মেরে ফেলতে বাধ্য হবো….এরপর নিজেও মরবো……

#To_Be_Continued….♣♣

[আমার জন্য মনে হয় এই সপ্তাহটা খারাপ….আইডি প্রবলেম তার উপর আজকে ফোনেও প্রবলেম হচ্ছে….আমার ফোন গত ৪ ঘন্টা যাবত হ্যাং হয়ে আছে….কিছুতেই ঠিক হচ্ছেনা….ফোন বন্ধও করা যাচ্ছেনা বিকজ ব্যাটারী খোলার সিস্টেম নেই….আজকের মধ্যে ঠিক না হলে ফোন কিনতে হবে….শনিবারের আগে ফোন কিনতে পারবো না….দোকান বন্ধ ভাইয়ার ফোন থেকে এই পার্টটা দিলাম….সবাই কে জানিয়ে রাখলাম…..]

The_Villain_Lover Part_8

0

The_Villain_Lover
Part_8
#Writer:#Tisha_Islam_Nabila

[আগে কিছু কথা বলি….সেটা হচ্ছে যে আমার আইডিতে….বারবার প্রবলেম হচ্ছে আইডি ডিজেবল হচ্ছে….আবার ব্যাক আসছে অন্য আইডি থেকে আজ গল্প দেয়ার কথা ছিলো….এটা দিয়ে দিলাম বিকজ রাতে এই আইডি ব্যাক পেয়েছি….একচুয়েলি আমার প্রথম আইডিতে যখন প্রবলেম হয়….তখন আমি আরো ২টা আইডি রেখে দেই….যাতে একটা আইডি ডিজেবল হলে….আরেকটা আইডি দিয়ে গল্প লেখতে পারি….বাট এত প্রবলেমের জন্য গল্প লেখতে ইচ্ছে করেনা….তবুও রানিং গল্প তাড়াতাড়ি শেষ করে দেবো….আর গল্প লেখবো না লেখলেও অনেক লেট হবে….আর এর জন্যই গল্প পোষ্ট করতে লেট হলো….আশা করি সবাই প্রবলেমটা বুঝবেন….]

২দিন পর আজকে তিশা আর শুভ’র রিসেপশন….কিছু সমস্যার জন্য আজ রিসেপশন হবে….সকাল থেকেই বাড়িতে সবাই কাজ করছে….তিশা শুভ’র রুমে বসে আছে….এখন তো দুজনেরই রুম শুভ গিয়ে বললো..!!

—-বেবী খেয়ে নাও……

তিশাঃ আমি খাবোনা শুভ..!!

শুভঃ কেন খাবেনা কেন??

তিশাঃ আমার ক্ষিদে নেই তাই……

শুভ খাবার প্লেট পাশে রেখে….তিশা’র পাশে বসে বললো..!!

—-মন খারাপ??

তিশা মাথা নাড়িয়ে হ্যা বললো……

শুভঃ কেন মন খারাপ??

তিশাঃ সবাই আসছে না কেন??

একচুয়েলি আজ রিসেপশন….তাই তিশা’র বাড়ির সবার আসার কথা….এখনো আসেনি আসবে তো রিসেপশন পার্টি শুরু হলে….শুভ তিশা’র কপালে চুৃমু দিয়ে মুচকি হেসে বললো..!!

—-ওনারা আরেকটু পর চলে আসবে….আগে তুমি খেয়ে নাও……

শুভ তিশা কে খাইয়ে দেয়….আর তিশা ঠোট উল্টে খেয়ে নেয়….খাওয়া শেষ শুভ প্লেট রেখে আসে..!!

দুপুর ১টা তিশা কে সাজাচ্ছে….ব্লু লেহেঙ্গা পড়িয়েছে….ব্লু’র মধ্যে গোল্ডেন স্টোন বসানো….গলায় ডায়মন্ড নেকলেস কানে ঝুমকো….হাতে চিকন চুরি চোখে মোটা করে কাজল….ঠোটে লাল লিপস্টিক তিশা কে সাজিয়ে বসিয়ে রাখলো….একটুপর শুভ এলো শুভ কে দেখে তিশা’র চোখ আটকে গেলো….শুভ ব্লু কালার পান্জাবী পড়েছে….ব্লু কালারের পান্জাবীতে গোল্ডেন স্টোন….স্টোন গুলো গলার কাছে দুটো বোতাম খোলা….পান্জাবীর হাতা ফোল্ড করা ফর্সা হাতে কালো বেল্টের ঘড়ি….চুলগুলো স্পাইক করা চোখে কালো সাইন গ্লাস….আর ঠোটের কোনে কিলার হাসি….সব মিলিয়ে ক্রাশ লুক…. শুভ কে দেখে সবাই চলে গেলো….শুভ তিশা’র সামনে গিয়ে বললো……

—-কি ম্যাডাম আমাকেই দেখবেন??

তিশা চোখ ছোট ছোট করে বললো..!!

—-তোমাকে কেন দেখবো??

শুভঃ আমাকেই তো দেখছিলে……

তিশাঃ মোটেও না হু..!!

শুভঃ ওকে বাট ইউআর লুকিং সো প্রিটি…..

তিশাঃ হয়েছে পাম দিতে হবেনা….এবার নিচে চলো..!!

শুভ আর তিশা হাত ধরে নিচে যায়….সবাই হা করে তাকিয়ে আছে….একদম মেড ফর এচ ওদার….তিশা ওর বাড়ির লোকদের দেখে….দৌড়ে গিয়ে সবাই কে জড়িয়ে ধরে……

তিশাঃ তোমরা এত লেট করলে কেন??

নীলঃ মিষ্টি কলিজা আমরা ঠিক টাইমেই এসেছি..!!

আবিরঃ হ্যা মিষ্টি তোমার মনে হচ্ছে……

তিশাঃ না তোমরা লেট করেছো..!!

কল্লোলঃ আরে মিষ্টি সোনা থাক না….চলো সবার সাথে পরিচয় হই……

শুভ সবার সাথে আলাপ করে….সবার সাথে ওদের পরিচয় করিয়ে দেই..!!

রিসেপশন শেষে তিশা আর শুভ কে….তিশা’দের বাড়িতে নিয়ে যায়….এখানে এসে শুভ পড়েছে বিপাকে….কারন শুভ কে ইচ্ছেমতো খাওয়াচ্ছে….তিশা কে যে বলবে তিশা চলে গিয়েছে গল্প করতে….শুভ খাবার টেবিলে খাচ্ছিলো তখন ওর চোখ গেলো শিরিতে….শুভ’র চোখ ছানাবড়া হয়ে গেলো……

শুভঃ এই পিচ্চি আমার বউ..!![মনে মনে]

শুভ’র এটা বলার কারন….তিশা শিরি দিয়ে নামছে গায়ে পিংক কালার টি শার্ট….কালো থ্রি কোয়াটার প্যান্ট….মাথায় দু পাশে ঝুটি করেছে….আর ডল ব্যান্ট নিয়েছে মাথায়….তিশা নেমে এসে শুভ’র পাশে বসে বললো……

—-কি হলো তাকিয়ে আছো কেন??

শুভঃ বেবী শাড়ি পড়োনি কেন??

তিশাঃ শাড়ি পড়ে আমি পড়ে গিয়েছিলাম..!!

শুভঃ তাহলে পড়তে হবেনা……

পরেরদিন সকালে তিশা ঘুম থেকে উঠে….শুভ কে পেলোনা হাজার খুজেও পেলোনা..!!

তিশাঃ আরে শুভ কোথায় গেলো??একটা ফোন করে দেখি……

তিশা শুভ কে ফোন করলো….কিন্তুু শুভ ফোন তুললো না….তিশা গাল ফুলিয়ে বসে রইলো….বেলা ১০টায় শুভ এলো রুমে গিয়ে দেখলো….তিশা গাল ফুলিয়ে বসে আছে..!!

শুভঃ বেবী কি হলো তোমার??

তিশাঃ কিছু করেছিস যে হবে??

শুভ ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো….বাট বুঝতে পারলো তিশা রেগে আছে….তাই তিশা’র পাশে গিয়ে বসলো….মিনমিন করে শুভ বলে উঠলো……

—-বেবী রেগে আছো কেন??

তিশাঃ কোথায় গিয়েছিলে তুমি??

শুভঃ আমি বাইরে গিয়েছিলাম..!!

তিশাঃ আমাকে না বলে??এভাবে লুকিয়ে কেন গিয়েছো??

শুভঃ দরকার ছিলো বেবী……

তিশাঃ ওহ আচ্ছা..!!

তিশা উঠে চলে গেলো….শুভ তিশা’র যাওয়ার দিকে তাকিয়ে….এরপর নিজেও উঠে গেলো…….
.
.
.
.
.
.
পরেরদিন শুভ আর তিশা চলে যায়….দিন কাটছে বাট শুভ এখনো….তিশা কে কাছে টেনে নেয়নি তিশা’র অদ্ভুত লাগে ব্যাপারটা….যে শুভ ওকে এত ভালবাসে….সে এখনো কাছে টেনে নেয়নি কেন??

কলেজে বসে আছে তিশা….শুভ নিজের ক্লাসে গিয়েছে….তিশা আর রুপ বসে আছে বেন্চে….দুর থেকে একটা ছেলে বাজে নজরে তিশা কে দেখছে….শুভ এসে তিশা কে নিয়ে চলে যায়….আর রুপ ভ্যাবলাকান্ত হয়ে বসে থাকে….এরপর নিজেও বাড়ি চলে যায়..!!

চৌধুরী বাড়িতে সবাই কথা বলছে….বিশেষ করে বড়রা এতদিন পর এক জায়গায়….আবির বসে গেমস খেলছিলো তখন আহানিতা এলো….আবির ভ্রু কুঁচকে বললো……

—-কি রে সামনে এসে দাড়ালি কেন??

আহানিতাঃ কি সারাদিন গেমস খেলো..!!

আবিরঃ তো কি করবো??

আহানিতাঃ চলো আমরা ঘুরতে যাই……

আবিরঃ তোর যাওয়ার হলে তুই যা..!!

আহানিতাঃ তুমিও যাবে সাথে……

কল্লোল দেখে বললো..!!

—-এই কি এত ফুসুর ফুসুর করছিস??

আবিরঃ ভাইয়া এটাকে সরাও……

নীলঃ কেন ও কি করলো??

আহানিতাঃ ঘুরতে যেতে চেয়েছি শুধু..!!

আবিরঃ আমি কোথাও যাবোনা ওকে??

আহানিতা মুখ ফুলিয়ে বসে পড়লো….সেটা দেখে আরশাল চৌধুরী বললো…..

—-আবির ওকে নিয়ে ঘুরতে যাও….যেতে চাইছে যখন নিয়ে যাও..!!

আবিরঃ বাট পাপা আমি……

আরশাল চৌধুরীঃ নো মোর টক গো..!!

আবিরঃ যা রেডি হয়ে আয়……

দাতে দাত চেপে বললো আবির….আহানিতা দাত কেলিয়ে বললো..!!

—-আমি তো রেডি……

আবির খেয়াল করে দেখলো সত্যি..!!

আবিরঃ তাহলে আর কি চল……

আহানিতাঃ তুমি রেডি হবেনা??

আবিরঃ আমি ঠিক আছি চল..!!

আবির আহানিতা কে নিয়ে গেলো….বাকীরা মুচকি মুচকি হাসছে……

শুভ কলেজ থেকে এসেই বেরিয়ে গিয়েছে….এখন দুপুর ৩টা বাজে এখনো ফেরেনি..!!

তিশাঃ শুভ এখনো আসছে না কেন??
.
.
.
.
.
.
তখনি গাড়ির শব্দ পেলো….তিশা গিয়ে বেলকনিতে দাড়ালো….দেখলো শুভ আসছে তাই তিশা রুমে গেলো….শুভ ওর গায়ের শার্ট খুলে বললো……

—-বেবী এটা ওয়াসরুমে রেখে আসবে প্লিজ??

তিশাঃ হ্যা দাও রেখে আসছি..!!

শুভ তিশা কে শার্ট দিলো….তিশা ওটা নিয়ে ওয়াসরুমে গেলো….শুভ বিছানায় গা এলিয়ে দিয়েছে….৫মিনিট হয়ে গিয়েছে বাট তিশা আসছে না……

শুভঃ বেবী কি হলো??আসছো না কেন??

তিশাঃ আসছি..!!

তিশা ওয়াসরুম থেকে বেরিয়ে বললো……

—-কোথায় গিয়েছিলে তুমি??

শুভঃ অফিসে গিয়েছিলাম..!!

তিশাঃ ওহহহহ আচ্ছা শুভ….তুমি তো আমাকে এত ভালবাসো….তাহলে আমাকে কাছে টেনে নিচ্ছো না কেন??

শুভঃ তুমি ছোট তাই……

তিশাঃ তাহলে আমাকে বিয়ে কেন করেছো??

শুভঃ আরে বেবী কি শুরু করলে??

তিশাঃ কিছুনা..!!

শুভঃ ওকে আমি একটু ঘুমাই……

তিশাঃ তুমি কে শুভ??ইদানিং তোমাকে আমার সন্দেহ হয়….তুমি নিজেকে যেটা দেখাও….সেটা তো তুমি না তাহলে কে??আমাকে জানতেই হবে..!![মনে মনে]

৫দিন পর হঠাৎ শুভ খাওয়া রেখে….তাড়াহুড়ো করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়….তিশা ও শুভ কে ফলো করে বেরিয়ে যায়….আর তিশা যেটা দেখে যেটা জানে….তিশা’র পায়ের তলার মাটি সরে যায়….তিশা নিজেদের বাড়ি যেতে গিয়েও চলে আসে……

এদিকে শুভ আগেই বাড়ি ফিরেছে….শুভ মনে মনে কিছু একটা বলছে….এরমাঝে আওয়াজ করে বলে..!!

—-কি নামে ডাকবে??

তিশা হাততালি দিতে দিতে এসে বলে ওঠে……

—-আমিও সেটাই ভাবছি….তোমাকে আমি কি বলে ডাকবো??শুভ, অজানা নাকি তোমার আসল নামে মিস্টার সম্রাট খাঁন??

তিশা’র কথা শুনে শুভ’র হাত থেকে….ফোনটা ফ্লোরে পড়ে যায় ভীতু কন্ঠে বলে……

—-মা মানে কি কি ব ব বলছো??

তিশা এগিয়ে এসে ঠাস করে থাপ্পর মারে..!!

#To_Be_Continued….♣♣

[একেতো আইডি প্রবলেম….তার উপর গল্পে আগের মতো রেসপন্স নেই….গল্প শেষ করে দেবো ২/১দিনের মধ্যে….??]

The_Villain_Lover Part_7

0

The_Villain_Lover
Part_7
#Writer:#Tisha_Islam_Nabila

আবির, অভি, নীল যাওয়ার পরই….তিশা শুভ কে ফোন করলো..!!

শুভঃ হ্যালো বেবী আমি একটু বিজি আছি….তোমাকে পরে ফোন করছি…..

তিশাঃ কিন্তুু শুভ..!!

তার আগেই শুভ কল কেটে দিলো….তিশা ঠোট উল্টে বিছানায় বসে পড়লো….একটা সময় ঘুমিয়েও পড়লো….হঠাৎ মাঝরাতে তিশা’র মনে হলো….ও শূন্যে ভাসছে তাই চোখ খুললো….চোখ খুলে দেখলো শুভ’র কোলে….তিশা ভুত দেখার মত চমকে বললো…..

—-তুমি এখানে??

শুভঃ ইয়েস আমি বেবী তুমি জানো??আজকে আমি কত খুশি….আমি তোমাকে বলে বোঝাতে পারবো না….ভাবলাম এই খুশিটা সেলিব্রেট করবো….কিন্তুু একা একা তো করতে পারিনা….তাই তোমার কাছে চলে এলাম..!!

তিশাঃ তুমি যে বললে বিজি আছো??

শুভঃ ওটা না বললে তুমি ঘুমাতে না….তুমি যাতে ঘুমিয়ে পড়ো তাই বলেছি….বাট কি হলো বলো তো??সেই তুমি তো জেগে গেলে…..

তিশাঃ ঘুমিয়ে থাকলে কি হতো??

শুভঃ কিছু হতো না এখন চলো..!!

তিশা ভ্রু কুঁচকে বললো, কোথায় যাবো??

শুভঃ বাড়ির বাইরে যাবো……

তিশাঃ ওয়াট??আর ইউ ক্রেজি শুভ??

শুভঃ নো বেবী আই এম নট ক্রেজি..!!

তিশাঃ ক্রেজি না হলে এতরাতে আমাকে….বাইরে নিতে চাইতে না শুভ….কেউ দেখলে কি হবে??

শুভঃ কি আবার হবে??আমি আমার উডবি ওয়াইফ কে নিয়ে বাইরে যাচ্ছি….আর তাছাড়া কেউ টের পাবেনা তুমি চলো……

তিশাঃ শুভ আর ইউ ম্যাড??

শুভঃ ওকে ইয়েস আই এম ম্যাড ফর ইউ….নাউ ডোন্ট সাউন্ড, এন্ড কাম উইথ মি বেবী..!!

তিশাঃ আমি আর কি যাবো??তুমি তো কোলে করেই নিয়ে যাচ্ছো……

শুভ মুচকি হেসে বেরিয়ে এলো….আস্তে আস্তে শিরি দিয়ে নামলো….এরপর খুব সাবধানে দরজা খুললো….তিশা হা করে তাকিয়ে আছে….শুভ গেটে এসে দেখলো দারোয়ান ঘুম….এটা যেন মেঘ না চাইতেই জল….তিশা কে কোলে নিয়েই বেরিয়ে গেলো….গাড়িতে বসিয়ে গাড়ি স্টার্ট দিলো..!!

তিশাঃ কোথায় নিয়ে যাচ্ছো??

শুভঃ আমাকে বিলিভ করো??

তিশাঃ নিজের থেকে বেশী বিলিভ করি……

শুভ গাড়ি ড্রাইভ করে….একটা ঝিলের পাড়ে এলো….তিশা তো মুগ্ধ হয়ে ঝিল দেখছে….জ্যোৎস্না রাত হওয়ায় চাঁদের আলো এসে ঝিলের মাঝে পড়েছে….মাঝে পদ্মাফুল ফুটে আছে….চারপাশ থেকে ঝিড়ি ঝিড়ি বাতাস ভেসে আসছে….আনমনেই তিশা দু হাত টান করে….নিজের চোখ দুটো বন্ধ করে ফেললো….শুভ ধীর পায়ে এগিয়ে এসে….পেছন থেকে তিশা কে জড়িয়ে ধরলো….তিশা চট করে ঘুরে শুভ কে বললো..!!

—-থ্যাংক ইউ শুভ এই জায়গাটা সুন্দর….অনেক বেশী সুন্দর আই লাভ ইট….তুমিও খুব ভালো আই লাভ ইউ……

শুভঃ আই লাভ ইউ সো মাচ বেবী..!!

তিশাঃ এবার আমাদের যাওয়া উচিত……

শুভ কে ছেড়ে দিয়ে বললো….শুভ মুচকি হেসে বললো..!!

—-ওকে লেটস গো…..

শুভ তিশা কে নিয়ে গাড়িতে উঠলো….তিশা শুভ’র ঘাড়ে মাথা রাখলো….শুভ গাড়ি স্টার্ট দিয়ে তিশা’র দিকে তাকালো….তারপর আবার সামনের দিকে তাকালো….দেখতে দেখতে বাড়ি পৌছে গেলো..!!

শুভঃ চলো দিয়ে আসি……

তিশাঃ বাড়ির ভেতর আমি একা যাবো….তুমি এখন চলে যাও..!!

শুভঃ সামনের সপ্তাহে তুমি আমার কাছে থাকবে….সো গেড রেডী বেবী…..

তিশাঃ কেন??

শুভ চোখ বড় করে বললো, তুমি জানোনা??

তিশাঃ কি জানবো??

শুভঃ সামনের সপ্তাহে আমাদের বিয়ে….তুমি বাচ্চা বলে তো ওনারা রাজী হচ্ছিলো না….অনেক কষ্টে রাজী করিয়েছি…..

তিশাঃ মানে নেক্সট উইকে বিয়ে??

শুভঃ ইয়াহ বেবী নেক্সট উইকে..!!

তিশা’র কাছে স্বপ্নের মতো লাগছে….আর খুশিও হয়েছে অনেক….কারন শুভ কে বড্ড ভালবেসে ফেলেছে….শুভ’র ডাকে ভাবনা থেকে বের হলে তিশা……

শুভঃ কি ভাবছিলে??

তিশাঃ আই এম সো হ্যাপি শুভ..!!

শুভঃ আর তুমি ওই সম্রাট বা অজানা….ওদের কাউকে নিয়ে ভয় পেয়োনা….ওরা কিছুই করতে পারবে না……

তিশাঃ কি করে বলছো??

শুভঃ সম্রাট দেশে নেই লন্ডনে আছে….আর অজানা আমার কাছে..!!

তিশা চোখ গোল গোল করে বললো……

—-তোমার কাছে মানে??

শুভঃ বেবী প্লিজ আমাকে খারাপ ভেবো না….আমি চাই আমার আর তোমার বিয়েটা….ঠিকমত হোক কোনো ঝামেলা চাইনা….তাই আমি অজানা কে কিডন্যাপ করেছি….বাট আমি ওর ক্ষতি করবো না….বিয়ে হলেই ওকে ছেড়ে দেবো..!!

মুখটা কালো করে বললো শুভ….তিশা বুঝতে পারলো ব্যাপারটা……

তিশাঃ আমি তোমাকে খারাপ ভাবছি না….তুমি যা করেছো আমার জন্য করেছো….বাট সম্রাট লন্ডনে এটা কি করে জানো??

শুভঃ সম্রাট খাঁন দ্যা মাফিয়া ভিলেন….ও কখন কি করে ভাইরাল হয়ে যায়..!!

তিশাঃ বাট সম্রাট যদি চলে আসে??

শুভঃ কিছু হবেনা টেনশন করো না……

তিশাঃ হুুম ওকে এখন বাড়ি যাও..!!

শুভঃ গুড নাইট বেবী, লাভ ইউ…..

তিশাঃ গুড নাইট, এন্ড লাভ ইউ টু..!!

শুভ গাড়ি স্টার্ট দিলো….তিশা ও বাড়ির ভেতরে চলে গেলো….নিজের রুমে গিয়ে সস্তির নিঃশ্বাস ফেললো….এরপর রিল্যাক্সে ঘুমিয়ে পড়লো….পরেরদিন কলেজে গেলো তিশা….গিয়ে রুপ কে বললো বিয়ের কথা….রুপ তো মহা খুশি…..

রুপঃ দোস্ত আমি তো ভাবতে পারছি না….যাক ফাইনালী তোদের বিয়ে..!!

তিশাঃ হুুম তোর কিন্তুু আজই যেতে হবে……

রুপঃ কোথায় যাবো??

তিশাঃ আমাদের বাড়ি..!!

রুপঃ মানে বিয়ে ৭দিন পর….আর আমি আজ কেন যাবো??

তিশাঃ আমি বলেছি তাই……

রুপঃ না রে আমি আজ যেতে পারবো না….আমি বিয়ের ২দিন আগে চলে যাবো..!!

তিশাঃ না আজকেই যাবি……

রুপঃ বোঝার চেষ্টা কর তিশা….মা একটু অসুস্থ আমি যাবো….বাট বিয়ের ২দিন আগে..!!
.
.
.
.
.

তিশা বুঝতে পারলো তাই কথা বাড়ালো না….শুভ’র সাথে দেখা করে চলে গেলো……

ড্রয়িংরুমে বসে আছে তিশা….বসে বসে টিভি দেখছে….পাশেই ওর ৩ ভাই যাদের হাতে খাবার….১ ঘন্টা ধরে খাবার নিয়ে দাড়িয়ে আছে….কিন্তুু তিশা কে খাওয়াতে পারেনি….এরমাঝে দরজায় কলিং বেল বেজে উঠলো….র্সাভেন্ট গিয়ে দরজা খুলে দিলো….দরজা দিয়ে ভেতরে এলো একটা ছেলে….বয়স ২৫ নাম কল্লোল চৌধুরী….ছেলেটা তিশা’র কাজিন….বড় চাচ্চুর ছেলে দেখতে যথেষ্ট হেন্ডসাম..!!

কল্লোলঃ মিষ্টি সোনা……

কল্লোলে’র কন্ঠ শুনেই….তিশা পিছনে তাকালো আর বাকীরাও….তিশা কল্লোল কে দেখে এক দৌড়ে কাছে গিয়ে জড়িয়ে ধরলো….কল্লোল ও তিশা কে জড়িয়ে ধরলো….আবির, অভি আর নীলে’র মতো….কল্লোল ও তিশা কে ভালবাসে….তিশা ও সমান ভালবাসে কল্লোল কে….ফুপিয়ে কান্না করতে করতে বললো তিশা..!!

—-তুমি আমাকে ভুলে গিয়েছো ভাইয়া??

কল্লোলঃ না মিষ্টি সোনা আমি ভুলিনি….তোমাকে কি করে ভুলবো??কলিজার অংশ তুমি তোমাকে ভুলতে পারি??

তিশা কল্লোল কে ছেড়ে গাল ফুলিয়ে বললো……

—-তাহলে আসোনি কেন??

কল্লোল কিছু বলবে তার আগে অভি বললো..!!

—-বোন তোমার কল্লোল ভাইয়া….আমেরিকা পড়তে গিয়েছিলো….পড়া শেষ তাই এসেছে……

কল্লোল গিয়ে অভি কে জড়িয়ে ধরলো….আবির, নীল, আরশাল চৌধুরী….কনিকা চৌধুরী সবার সাথে কুশল বিনিময় করলো….এরপর তিশা’র সামনে এসে….ব্যাগ থেকে এক বক্স চকলেট দিলো….তিশা কে ড্রেস দিলো কয়েকটা….ডায়মন্ড নেকলেস হাতের চুরি….তিশা তো লাফাচ্ছে এগুলো পেয়ে….মূলত লাফালাফি চকলেট পেয়ে….সবাই হাসছে আবির বললো..!!

—-কল্লোল ভাইয়া চাচ্চু আসবে কবে??আর কাকী মনি আহানিতা……

আহানিতা কল্লোলে’র বোন….আর ওদের কাজিন..!!

কল্লোলঃ সবাই ৩দিন পর আসবে……

নীল কল্লোল কে ওর রুমে নিয়ে গেলো….কল্লোল ফ্রেশ হয়ে আবার নিচে এলো….দেখলো অভি তিশা কে খাওয়ানোর চেষ্টা করছে….আবির আর নীল ও কল্লোল মুচকি হেসে….তিশা’র পাশে গিয়ে বসে বললো..!!

—-আচ্ছা মিষ্টি সোনা তুমি খাচ্ছোনা কেন??

তিশাঃ আমি খাবোনা ভাইয়া……

কল্লোলঃ আমি খাইয়ে দিলে খাবে??

তিশাঃ তুমি খাইয়ে দেবে??তাহলে আমি খাবো..!!

কল্লোল তিশা কে খাইয়ে দিলো….আর তিশা মনের সুখে টিভি দেখছে….খাওয়া শেষে তিশা’র মুখ মুছে দিলো….নীল হেসে দিয়ে বললো……

—-নে আজ থেকে তুইও এড হলি..!!

কল্লোলঃ তাতে কি??আমাদেরই তো বোন…….

দেখতে দেখতে বিয়ের দিন ঘনিয়ে এলো….সবাই তো আগেই শপিং করে ফেলেছে….শহরের সব থেকে বড় কমিউনিটি সেন্টার বুক করেছে….আরশাল চৌধুরীর কলিজার টুকরা মেয়ে বলে কথা….আজকে ওদের গায়ে হলুদ….সব মেহমান চলে এসেছে….কিন্তুু নীল, আবির, কল্লোল আর অভি’র অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে….আদরের বোন কাল চলে যাবে….আর তাকে কাছে পাবেনা ভাবতেই কান্না পাচ্ছে….কিন্তুু কান্নাটা কে কন্ট্রোল করছে….তিশা দেখলে তিশা ও কান্না করবে..!!

সন্ধ্যায় তিশা কে সাজানো হচ্ছে….গায়ে হলুদে হলুদ লেহেঙ্গা পড়িয়েছে….গায়ে কাচা ফুলের গয়না….মুখে মেকআপ চোখে মোটা করে কাজল….ঠোটে লাল লিপস্টিক দিয়েছে…….

এদিকে শুভ ও রেডী হচ্ছে….হলুদ পান্জাবী যার বুকের কাছে….স্টোন বসানো চিকচিক করছে….কালো জিন্স প্যান্ট চুলগুলো স্পাইক করা….হাতে ব্রান্ডের ঘড়ি ঠোটের পাশে তিল….সব মিলিয়ে পুরো ক্রাশ….এমনিতেও সবার ক্রাশ শুভ আহমেদ….রেডী হয়ে শুভ নিচে স্টেজের কাছে গেলো….মেয়েরা চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে….একটুপর তিশা কেও নিয়ে এলো….শুভ তো নিজের রাজ্যের রানী কে দেখছে….তিশা কে আর শুভ কে পাশাপাশি বসানো হলো….শুভ ফিসফিস করে বললো..!!

—-বেবী ইউআর লুকিং সো হট……

তিশা চোখ বড় বড় করে তাকালো….শুভ চোখ টিপ মারলো….তিশা ঢোক গিলে চোখ নামিয়ে নিলো..!!

আহানিতা ফোন ফেলে এসেছে রুমে….ফোন আনতে ধাপ ধুপ যাচ্ছে….এরমাঝে লেহেঙ্গায় পা বেজে পড়তে গেলেই….কেউ একজন ধরে ফেলে….আহানিতা ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলে…….

—-দেখে চলতে পারিস না??

কারো কন্ঠ পেয়ে চোখ খোলে….তাকিয়ে দেখে আবির হা করে আবির কে দেখছে….আবির আহানিতা কে দাড় করিয়ে রেগে বলে..!!

—-কি রে শুনতে পাচ্ছিস না??

আহানিতাঃ আমি খেয়াল করিনি আবির……

আবির চোখ বড় করে তাকিয়ে বলে..!!

—-থাপ্পর চিনিস??ফাজিল মেয়ে আমি তোর ২ বছরের বড়….আমাকে আবির বলিস কোন সাহসে??আবির ভাইয়া বলবি গট ইট??

বলে হনহন করে চলে যায়….আহানিতা মুখ ভেংচি কেটে বলে……

—-ইস ঢং আবির ভাইয়া বলবি গট ইট??

তিশা আর শুভ’র হলুদ অনুষ্ঠান শুরু হয়….সবাই ওদের হলুদ ছোয়ায়….অনেক ভাল ভাবেই হলুদ অনুষ্ঠান শেষ হয়..!!

পরেরদিন আজকে ওদের বিয়ে….সকাল থেকেই তিশা’র মন খারাপ….সবাই বুঝতে পারছে কেন মন খারাপ….কিন্তুু কেউ প্রকাশ করছে না….তাহলে তিশা কান্নাকাটি করবে….বিকেলে তিশা কে সাজানো হচ্ছে….লাল লেহেঙ্গা তার মাঝে গোল্ডেন স্টোন বসানো….গা ভর্তি গয়না চোখে কাজল ঠোটে লিপস্টিক….তিশা কে স্টেজে নিয়ে গেলো রুপ আর আহানিতা….স্টেজে বর সাজে বসে আছে শুভ….তিশা শুভ কে দেখলো মনে হচ্ছে কোনো রাজকুমার….তিশা কে স্টেজে নিতেই কাজী এলো….তিশা’র বয়স নিয়ে ঝামেলা হয়েছিলো….কিন্তুু শুভ সবটা হ্যান্ডেল করেছে….আগে শুভ কবুল বলেছে আর সাইন করেছে….এরপর কাজী এসে তিশা কে কবুল বলতে বলছে….তিশা চুপ করে আছে বলছে না….বুকটা ভেঙেচুরে যাচ্ছে কি করে থাকবে সবাই কে ছেড়ে??কারা ওকে মিষ্টি কলিজা, মিষ্টি, মিষ্টি সোনা, বোন বলে ডাকবে??কে সোনা বলে ডাকবে??কে মামনি বলে ডাকবে??কে ঘন্টার পর ঘন্টা খাবার নিয়ে দাড়িয়ে থাকবে??এসব ভাবতেই বুক ফেটে যাচ্ছে….তিশা ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করতে লাগলো….চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে নোনা জল….তিশা কে বোঝানোর পর কবুল বললো….এরপর সাইন করলো….ওদের বিয়েটা হয়ে গেলো….আস্তে আস্তে ঘনিয়ে এলো বিদায়ের মুহূর্ত….তিশা এবার হাউ মাউ করে কাঁদতে লাগলো…..
.
.
.
.
.
.
সবাই কে জড়িয়ে ধরে….চিৎকার করে কান্না করছে….তিশা কে এভাবে কাঁদতে দেখে….শুভ’র মনে হচ্ছে কেউ ওর বুকে ছুড়ি চালিয়েছে….কিন্তুু শুভ এখন কি করবে??ওর ও যে তিশা কে চাই নিজের পাশে….তিশা অনবরত কেঁদেই যাচ্ছে সবাই নিজেদের স্ট্রোং রেখেছে..!!

তিশাঃ আমি যাবোনা কোথাও……

নীলঃ এরকম বলে না মিষ্টি কলিজা….আমরা রোজ তোমার কাছে যাবো….আর তুমিও চলে এসো..!!

তিশা কে বোঝানোর পরও….তিশা বারবার বলছে যাবোনা….তাই শুভ তিশা কে কোলে নিয়ে গাড়িতে বসালো….গাড়ি স্টার্ট দিয়ে চলে যেতেই সবাই কান্নায় ভেঙে পড়লো….তিশা ও গাড়ির মধ্যে সেন্সলেস হয়ে গেলো….শুভ ওদের বাড়ির সামনে এসে….তিশা কে কোলে নিয়ে দরজায় দাড়ালো….শুভ’র কাকী মনি বললো……

—-একি কি হয়েছে ওর??

শুভঃ কাঁদতে কাঁদতে সেন্সলেস হয়েছে….যা করার তাড়াতাড়ি করো..!!

তিশা কে বরন করে বাড়ি ঢোকালো….শুভ তিশা কে রুমে নিয়ে গেলো….রুমে নিয়ে তিশা কে শুইয়ে দিয়ে বললো……

—-আজ থেকে তুমি আমার….শুধুই আমার হয়ে থাকবে..!!

তিশা’র কপালে চুমু দিয়ে ফ্রেশ হতে গেলো……

২দিন পর..!!

নিজের চেম্বারে বসে আছে অজানা….ওর কাছেই ওর এসিস্টেন্ট….অজানা হাত মুঠ করে রেখেছে….হঠাৎ করে টেবিলে ঘুষি দিয়ে বললো……

—-আমি তোকে ছাড়বো না শুভ….তোর মরতে হবে সো গেট রেডি..!!

বাড়ির সব ভাংচুর করছে সম্রাট….পাশেই দাড়ানো রিয়াজ….সম্রাট কে এই মুহূর্তে ওর জলন্ত আগুন মনে হচ্ছে….যার উত্তাপে সব জ্বলে পুড়ে ছাড় খার হয়ে যাবে….সম্রাট চেচিয়ে বলে উঠলো……

—-তিশা শুধু আমার….ওকে আমি আমার করবোই….শুভ কে মরতে হবে..!!

এরপর দাতে দাত চেপে বললো……

—-ইয়েস মরতেই হবে….আই এম সম্রাট খাঁন….বাট আই এম নট গুড পার্সন….আই উইল কিল ইউ শুভ..!!

সবাই ভয়ে থরথর করে কাঁপছে….সম্রাট অনবরত ভাঙচুর করেই যাচ্ছে….চিৎকার করে সম্রাট বলে উঠলো……

—-তিশা ইজ মাই লাইফ….জান তুমি শুধু আমার ইয়েস….ইউআর অনলি মাইন জান….তুমি আমার না হলে আর কারো না….সব ধ্বংস করে দেবো আমি….শুভ কে শেষ করে দেবো..!!

#To_Be_Continued….♣♣

The_Villain_Lover Part_6

0

The_Villain_Lover
Part_6
#Writer:#Tisha_Islam_Nabila

তিশা শুভ বলে চিৎকার করলো….শুভ আস্তে উঠে বসে….নিজের হাত চেপে ধরলো….কারন গুলিটা শুভ’র বাম হাতে লেগেছে….উঠে বসে তিশা কে জড়িয়ে ধরে বললো..!!

—-বেবী ডোন্ট ওয়ারী আই এম ওকে……

তিশাঃ কোথায় ওকে তুমি??তোমার গুলি লেগেছে চলো….আমরা হসপিটালে যাবো..!!

তিশা শুভ কে ধরে নিয়ে….গাড়িতে বসিয়ে ড্রাইভিং সিটে বসলো……

শুভঃ তুমি ড্রাইভ করতে পারো??

তিশাঃ আমার ভাইয়ারা আমাকে সব শিখিয়েছে..!!

শুভঃ কিন্তুু তোমার কি লাইসেন্স আছে??

তিশাঃ তোমার তো আছে……

তিশা আর কথা না বলে….গাড়ি স্টার্ট দিয়ে সোজা হসপিটালে চলে এলো….এরপর শুভ কে নিয়ে ডক্টরের কাছে গেলো..!!

তিশাঃ ডক্টর ওকে দেখুন……

শুভ নিচের দিকে তাকিয়ে আছে..!!

ডক্টরঃ উনি তো…..

তিশা ডক্টর কে থামিয়ে বললো..!!

—-জানি ওকে চেনেন….ও শুভ আহমেদ এবার ট্রিটমেন্ট করুন…..

ডক্টরঃ ইয়াহ সিওর..!!

ডক্টর শুভ কে নিয়ে শুইয়ে দিলো….এরপর গুলি লাগা জায়গার পাশে….একটা ইনজেকশন দিয়ে আস্তে গুলিটা বের করলো….শুভ এক হাত দিয়ে তিশা কে ধরে রেখেছে….আর দাতে দাত চেপে রয়েছে….তিশা বুঝতে পারছে শুভ’র কষ্ট হচ্ছে….তিশা ও শুভ’র হাত ধরলো….ডক্টর গুলিটা বের করে ব্যান্ডেজ করে দিলো….সাথে ঔষুধ ও দিয়ে দিলো….ডক্টরের বিল দিয়ে ওরা বেরিয়ে গেলো……

তিশা ড্রাইভ করে শুভ কে নিয়ে….ওর বাড়ির সামনে এলো….শুভ কে নামিয়ে নিজের ড্রাইভার কে ফোন করলো..!!

শুভঃ কাকে ফোন করছো??

তিশাঃ ভাইয়ারা বাড়ি ছিলো না….তাই আমি ড্রাইভার কে নিয়ে আসিনি….তোমার গাড়িতে চলে এলাম গাড়ি আনিনি….ড্রাইভার কে ফোন করে আসতে বললাম….তুমি ভেতরে যাও তুমি সিক আছো……

শুভঃ থাপ্পর চেনো??আমার সাথে ভেতরে চলো..!!

তিশাঃ না অন্যদিন যাবো……

শুভঃ সাট আপ বেবী কাম উইথ মি..!!

তিশাঃ বাট শুভ লিসেন টু মি……

শুভঃ নো মোর দিস টপিক এগেইন..!!

বলে তিশা কে ভেতরে নিয়ে গেলো….তিশা বাড়িটা ঘুরে ঘুরে দেখছে….বিশাল বাড়ি শুভ’দের….বাইরে থেকে যতটা সুন্দর….ভেতর থেকে আরো বেশী সুন্দর….যদিও তিশা’দের বাড়িও বিশাল বড়….তবুও তিশা’র কাছে ভাল লাগছে….এরমাঝে শিরি দিয়ে নিলয় নেমে বললো……

—-আরে ভাবী আপনি??

তিশাঃ জ্বি কেমন আছেন??

নিলয়ঃ আমি আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি….আপনি কেমন আছেন??

তিশাঃ জ্বি আলহামদুলিল্লাহ..!!

শুভঃ নিলয় দাদুভাই কোথায়??

নিলয়ঃ ওইতো দাদু আসছে……

শিরি দিয়ে নামতে দেখে বললো….শুভ’র দাদু আসার পর….তিশা গিয়ে ওনাকে সালাম করলো….উনি অনেক খুশি হলো….তিশা কে দোয়া করলো….শুভ’র হাতে ব্যান্ডেজ দেখে নিলয় বললো..!!

—-এই তোর হাতে কি হয়েছে??

শুভঃ কিছুনা কেটে গিয়েছে……

তিশাঃ কিন্তুু তোমার হাতে তো..!!

শুভ রাগী দৃষ্টিতে তাকালো….তিশা আর কিছু বললো না….তিশা শুভ’র দাদুভাইয়ের সাথে কথা বলছে….এরমাঝে ড্রাইভার এলো….তাই তিশা চলে গেলো….শুভ ও নিজের রুমে চলে এলো……
.
.
.
.
.
.
রাতে শুভ তিশা’র সাথে কথা বললো….তিশা ঘুমানোর পরই সম্রাট এলো….তিশা কে ছেলেদের সাথে মিশতে মানা করলো….এভাবেই কেটে গেলো ১মাস….কখনো সম্রাট তো কখনো অজানা আসে….কিন্তুু তিশা তো শুভ কে ভালবাসে….কলেজে ক্লাস শেষ করে শুভ আর তিশা….প্রতিদিনের মতো ঘুরতে গেলো….তিশা শুভ’র ঘাড়ে মাথা দিয়ে আছে….তিশা’র একটা হাত শুভ’র হাতের মাঝে….এই পথেই অভি যাচ্ছিলো গাড়ি করে….অভি দুর থেকে সব দেখলো….অভি তো রেগে ফায়ার হয়ে গেলো….গাড়ি থেকে নেমে তিশা’র সামনে দাড়ালো….তিশা নিজের ভাইয়া কে দেখে ঢোক গিলছে….অভি অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে….তিশা ভয়ে ভয়ে বললো..!!

—-ভা ভাইয়া আ আসলে আ আ আমি……

অভিঃ জাস্ট সাট আপ বোন..!!

তিশা চুপ হয়ে গেলো….অভি একবার শুভ কে দেখে….তিশা’র হাত ধরে নিয়ে গেলো….তিশা অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে….অভি তিশা কে নিয়ে বাড়ি এসে….সবাই কে ডেকে বললো……

—-মাম্মা তোমার মেয়ে….কলেজে না গিয়ে ঘুরতে যায়….তাও আবার ছেলেদের সাথে..!!

তিশা মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে….সবাই অবাক হলো নীল বললো……

—-ভাইয়া এসব কি বলছো??

অভিঃ ঠিকই বলছি আমি নিজে দেখেছি..!!

অভি সবটা বললো সব শুনে….আবির রেগে বলে উঠলো……

—-মিষ্টি এসব কি শুনছি??

নীলঃ মিষ্টি কলিজা এসব সত্যি??

তিশা আমতা আমতা করে বললো..!!

—-ওর নাম শুভ আহমেদ….আমি ওকে ভা ভালবাসি…..

আরশাল চৌধুরীঃ তিশা কি বলছো তুমি??

তিশাঃ হ্যা পাপা ভালবাসি শুভ কে..!!

নীল দাতে দাত চেপে বললো……

—-নিজের রুমে যাও..!!

তিশাঃ ভাইয়া আমার কথা শোনো…….

নীলঃ রুমে যেতে বলেছি..!!

চিৎকার করে বললো….তিশা এক দৌড়ে রুমে চলে এলো….রুমে এসে কান্না করে শুভ কে ফোন দিলো…….

—-বেবী তুমি ঠিক আছো??

শুভ’র গলার আওয়াজ পেয়ে….তিশা কান্না বাড়িয়ে বললো..!!

—-শুভ সবাই জেনে গিয়েছে….এবার কি হবে??

শুভঃ ডোন্ট ওয়ারী কিছু হবেনা……

শুভ তিশা কে বোঝালো….পরেরদিন গিয়ে রাতে অভি, নীল, আবির….তিশা’র রুমে এলো অভি বললো..!!

—-মনে আছে তোমার??সেদিন কি বলেছিলে??

তিশা মনে করতে না পেরে বললো, কি??

নীলঃ তুমি আমাদের কিছু দিতে চেয়েছিলে….আমরা নেইনি বলে রাগ করেছিলে….তখন আমরা বলেছিলাম যখন চাই তখন দিয়ো……

তিশাঃ হ্যা বলো কি চাও??আমি এখনো দেবো..!!

আবিরঃ প্রমিস তো মিষ্টি??

তিশাঃ প্রমিস ভাইয়া……

অভিঃ আমরা তোমার বিয়ে ঠিক করেছি….আমরা চাই তুমি এই বিয়ে করো..!!

তিশা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে….কাঁপা কাঁপা গলায় বললো…..

—-কা কার সাথে??

নীল মুচকি হেসে বললো..!!

—-তোমার শুভ’র সাথে……

তিশা নিজের কান কে বিশ্বাস করতে পারছে না….খুশি হয়েছে অনেক কিন্তুু লাফাতে পারছে না….ওদের জড়িয়ে ধরে বললো..!!

—-তোমরা খুব ভাল….তোমাদের এত্তগুলো থ্যাংস…..

আবিরঃ পাগলী বোন..!!

নীলঃ তোমার খুশিই আমাদের সব……

অভিঃ তুমি আমাদের কলিজা….তোমাকে কি করে কাঁদাবো??

তিশা ওরা যাওয়ার পরই শুভ কে ফোন করলো..!!

#To_Be_Continued….♣♣

[পার্টটা হয়তো অগোছালো হয়েছে….তার জন্য সরি বলে নিচ্ছি….একচুয়েলি গতকাল রাত থেকে আমার জ্বর….এই আইডিও লকড হয়েছিলো সকালে….এটা নিয়ে আরো বেশী অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলাম….বাট আলহামদুলিল্লাহ আইডি ঠিক হয়েছে….আসলে এটাই বলার ছিলো….জ্বর সারলে গল্প পাবেন জ্বর নিয়ে লেখতে পারছি না….]

The_Villain_Lover Part_5

0

The_Villain_Lover
Part_5
#Writer:#Tisha_Islam_Nabila

[আগেই কিছু কথা বলে নেই….আমি কালকে বলে দিয়েছিলাম….যে কেন হুট করে লাস্ট পার্ট ওভাবে দিয়েছিলাম….আমাকে নোংরা কথা বলা হয়েছিলো….যে একটা মেয়ের কয়টা লাগে….এমন গল্প কেন লেখেন??যেখানে তিশা’র ৩টা ছেলে লাগে….আরো বাজে কথা বলেছে যেটা আমি বলতে পারছি না….আর তাই আমি গতকাল ওভাবে লাস্ট পার্ট দিয়েছিলাম….এটাও বলেছিলো বাস্তব জীবনে আমি ওমন হয়তো….এবার আপনারাই বলুন এত নোংরা কথা বললে….কোন রাইটার সেই গল্প লেখতে চাইবে??যেই গল্পর জন্য এত খারাপ কথা শুনতে হয়….আমি বুঝিয়ে বলেছিলাম কেন গল্প শেষ করতে চেয়েছিলাম….আর এটা আমি গল্পের নিচে বলেও দিয়েছি….তবুও অনেকে বলছেন গল্প না শেষ হলো??আবার শুরু হলো বুঝতে পারছি না হাউ ফানি ইটিসি….আর অনেকে বলছেন গল্পের আগা মাথা নেই….কাহিনী নাকি বুঝতে পারছেন না….হিরো কে?? বুঝতে পারছেন না….তাদের বলছি গল্প কয়টা পার্ট হয়েছে??মাএ তো গল্প শুরু হলো….একটু পেশেন্চ রাখুন….ইনশা আল্লাহ খুব তাড়াতাড়ি সব জানতে পারবেন….]
.
.
.
.
.
.শুভ তাকে দেখে চমকে গিয়ে বললো..!!

—-তুই এখানে??

লোকটাঃ ইয়েস আমি খুশি হসনি??

শুভঃ খুশি হইনি মানে??অনেক খুশি হয়েছি নিলয়….আমি ভাবতে পারছি না রে….এত বছর পর তোকে দেখতে পাবো….বাই দ্যা ওয়ে চাচ্চু কোথায়??

হ্যা এটা নিলয় শুভ’র কাজিন….ছোট থেকে নিলয় বিদেশে থাকে….লন্ডনেই পড়াশোনা করেছে নিলয়….শুভ কে ওর চাচ্চু নিতে চেয়েছিলো….কিন্তুু শুভ জেদ করে যায়নি….শুভ’র ২জন চাচ্চু একজন বাংলাদেশে থাকে….আরেকজন লন্ডন আর তার ছেলে নিলয়….কথা বলতে বলতে শুভ’র চাচ্চু কবির চলে এলো……

কবিরঃ কেমন আছিস বাবা??

শুভ ওর চাচ্চু কে জড়িয়ে ধরে বললো..!!

—-খুব ভাল আছি চাচ্চু….আর আমি খুব খুশি হয়েছি তোমরা এসেছো……

নিলয়ঃ বাহ গুড আমি আগে এসেছি….বাট তুই কিন্তুু আমাকে হাগ করিসনি….আর ড্যাড পড়ে এসেছে তাকে ঠিকই হাগ করলি….দিস ইজ নট ফেয়ার..!!

শুভ গিয়ে নিলয় কে জড়িয়ে ধরে….নিলয় ও শুভ কে জড়িয়ে ধরে….দুরে থাকলেও দুজন দুজন কে অনেক ভালবাসে….নিলয় শুভ’র জন্য মাঝে মাঝেই চলে আসতো….অনেকক্ষণ গল্প করে ওরা রুমে যায়….শুভ রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে….শুভ’র ঘুম ভাঙে সন্ধ্যায় নিলয়ে’র ডাকে….শুভ চোখ কচলে উঠে বসে বলে…….

—-কি হলো ডাকছিস কেন??

নিলয়ঃ আরে এত কেউ ঘুমায়??

শুভ ভ্রু কুঁচকে বললো..!!

—-তাহলে কি করবো??

নিলয়ঃ চল বের হবো এখন…….

শুভঃ কোথায় যাবো??

নিলয়ঃ রাতের শহর দেখতে প্লিজ চল..!!

শুভ আর না করতে পারেনা….উঠে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নেয়….এরপর রেডি হয় একটা লাল টি শার্ট….আর সাদা প্যান্ট পড়ে বেরিয়ে যায়….ওরা গাড়ি নিয়ে ব্রিজের সামনে দাড়ায়….গাড়ি থেকে নেমে ব্রিজের উপর বসে পড়ে….নিলয় একটুপর বলে ওঠে…….

—-তুই কাউকে ভালবাসিস??

শুভ মুচকি হেসে বলে..!!

—-হুম অনেক ভালবাসি…….

নিলয় চমকে গিয়ে বলে..!!

—-ওহ মাই গড রিয়েলি??নাম কি তার??

শুভঃ ওর নাম তিশা আই লাভ হার….সি ইজ মাই লাইফ….মাই এব্রিথিং আই কান্ট লিভ হার……

নিলয়ঃ আরে ভাই তুই তো রোমিও হয়ে গিয়েছিস….তো ভাবী কে কবে দেখতে পাবো??

শুভঃ উম কালকে চল কলেজে….ওখান থেকে দেখিয়ে আনবো……

নিলয়ঃ ওকে ব্রো..!!

শুভঃ নট দ্যা টাইম ওকে??ইউআর মাই সিনিয়র…. জাস্ট রিমেম্বার দ্যাট……

নিলয়ঃ ইয়েস মনে আছে এখন চল…..এই এক জায়গায় থাকবো নাকি??

ওরা আরো অনেকক্ষণ ঘুরে….এরপর বাড়ি ফিরে যায়….বাড়ি ফিরে শুভ আগে তিশা কে কল করে….তিশা ফোন রিসিব করে না….করবে বা কেন??তিশা তো রেগে আছে….শুভ ফোন দিতে দিতে বলে..!!

—-এই রে বেবী মনে হয় রেগে আছে….কলেজ থেকে এসে তো ফোন করিনি….ধুর কি যে করি এখন কি করবো??

শুভ কিছু একটা ভেবে মুচকি হাসে….এরপর ফোনটা রেখে শুয়ে পড়ে….আর ওদিকে তিশা তো রেগে বোম….রাগে গজগজ করতে করতে বলে…….

—-দাড়া কাল আসি কলেজে….এখনি আমাকে ভুলে গিয়েছিস??আর তো দিন পড়েই আছে….আমাকে যাতে না ভুলিস….সেই ব্যবস্থাই আমি কালকে করবো….নাহলে আমিও তিশা চৌধুরী না..!!

এরমাঝে ওর ভাইয়ারা আসে…….

নীলঃ কার কথা বলছো মিষ্টি কলিজা??

তিশা চমকে পিছনে তাকায়..!!

তিশাঃ ওহ গড শুনে নেয়নি তো??[মনে মনে]

অভিঃ কি হলো??বলো কি বলছিলে??

তিশা আমতা আমতা করে বলে……

—-না না কিছুনা আমি তো….ওহ হ্যা রুপে’র কথা বলছিলাম..!!

আবিরঃ বাট মিষ্টি আমরা সব শুনেছি……

তিশা ভয়ে ঢোক গিলছে….কারন ওরা ৩জনই রেগে তাকিয়ে আছে….তিশা নিজেদের ভাইয়াদের রাগ জানে….তাই ভয়ে কাঁচুমাচু হয়ে আছে….হঠাৎ ৩জন একসাথে হেসে দেয়….তিশা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে তাকায়..!!

নীলঃ রিল্যাক্স মিষ্টি পাখি….আমরা তো মজা করছিলাম……

অভিঃ তাহলে আমাদের বোনও ভয় পায়??

আবিরঃ খুব বেশী ভয় পায় সেটা বলো..!!

তিশা মনে মনে খুশি হয়….তবে সেটা জানতে না দিয়ে….গাল ফুলিয়ে দাড়িয়ে আছে…….

নীল গিয়ে তিশা কে বিছানায় বসিয়ে বলে..!!

—-সরি মাই ডিয়ার কিউট সিস্টার….দেখছিলাম তুমি কি করো??
.
.
.
.
.
.
তিশা গাল ফুলিয়েই আছে….অভি আর আবির কান ধরে বললো…….

—-সরি সিস্টার..!!

তিশা ফিক করে হেসে দিলো….৩ ভাই যেন প্রান ফিরে পেলো….পরেরদিন তিশা কলেজে গেলো….সাদা টি শার্ট পড়েছে….লাল থ্রি কোয়াটার প্যান্ট….ঠোটে হালকা লাল লিপস্টিক….মাথায় ব্যান্ড লাগানো যেটাতে দুটো ডল….আর পায়ে ডল জুতো….হাতে একটা আইসক্রিম….যেটা নীল কিনে দিয়েছে….তিশা খেতে খেতে কলেজে ঢুকলো….পুরো বাচ্চা লাগছে তিশা কে….শুভ আর নিলয় দাড়িয়ে আছে….তিশা কে দেখতে পেয়েই শুভ এলো….শুভ কে ভেংচি কেটে তিশা চলে গেলো….শুভ বুঝলো তিশা এখনো রেগে আছে নিলয় এসে বললো…….

—-ভাই কোথায় তোর তিশা??

শুভঃ তুই এখানে দাড়া আমি নিয়ে আসছি..!!

শুভ দৌড়ে চলে গেলো….নিলয় ক্যাবলা হয়ে দাড়িয়ে আছে….শুভ গিয়ে তিশা কে ধরে বললো…….

—-বেবী আই এম সরি..!!

তিশাঃ আমি কি আপনাকে চিনি??

শুভঃ সরি প্লিজ ট্রাই টু আন্ডারস্ট্যান্ড….কালকে আমার চাচ্চু এসেছি….সাথে আমার কাজিন নিলয়….ওদের টাইম দিতে গিয়েই….প্লিজ সরি আর এমন হবেনা…….

শুভ মুখটা কালো করে বললো….তিশা বুঝতে পারলো ব্যাপারটা….তাই শুভ’র হাত ধরে বললো..!!

—-ওকে যাও কিছু বললাম না….বাট আর যেন এমন না হয় ওকে??

শুভঃ ওকে আর হবেনা এখন চলো…….

তিশাঃ কোথায় যাবো??

শুভ কিছু না বলে নিয়ে গেলো….শুভ তিশা কে নিলয়ে’র সামনে নিয়ে বললো..!!

—-বেবী ও আমার ভাই নিলয়….আর নিলয় সি ইজ তিশা……

নিলয় হা করে তাকিয়ে থেকে বললো..!!

—-এটা তোর জিএফ??এটাতো একটা পিচ্চি মেয়ে……

তিশাঃ কি আমি পিচ্চি??আপনি জানেন আমার বয়স কত??আমি অনেক বড় হয়ে গিয়েছি..!!

গাল ফুলিয়ে বললো তিশা….নিলয় হাসি চেপে রেখে বললো……

—-তা কত বয়স তোমার??

তিশাঃ আমার বয়স ১৬ বছর ওকে??

নিলয় এবার জোড়ে হেসে দিলো….তিশা ঠোট উল্টে তাকিয়ে আছে….শুভ নিলয় কে পিঠে থাপ্পর দিয়ে বললো..!!

—-শালা চুপ কর মার খাবি…….

নিলয়ঃ ওকে ওকে সরি ভাবী মজা করছিলাম..!!

ওইদিন আর ক্লাস করলো না….পরেরদিন অজানা আর ওর সাথে যে থাকে….দুজন মিলে বের হলো….অজানা তো তিশা কে নিয়ে ব্যস্ত….গাড়িতে বসে তিশা’র ছবি দেখছে….হঠাৎ গাড়ির জানালা দিয়ে….একটা গুলি এসে লাগলো….কিন্তুু অজানা বুঝতে পেরে নিচু হয়ে গেলো….যার জন্য গুলিটা জানালার কাচ ভেঙে বেরিয়ে গেলো….লোকটা গাড়ি থামিয়ে বললো……

—-স্যার আপনি ঠিক আছেন??

অজানাঃ হ্যা আমি ঠিক আছি তুমি যাও..!!

ওরা গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেলো….কলেজ থেকে বাড়ি এসে….সোফায় গিয়ে বসলো শুভ….ওর দাদুভাই বসে বললো…….

—-কলেজ থেকে এলে??

শুভঃ হ্যা দাদুভাই..!!

দাদুভাইঃ আমার কথাটা শুনবি না??

শুভ উঠে চলে গেলো….কারন ও জানে ওর দাদু কি বলবে….পায়ের উপর পা তুলে বসে আছে সম্রাট….ঠোটের কোনে বাঁকা হাসি….হাসতে হাসতে বললো…….

—-কি বলেছি মনে আছে??

রিয়াজঃ জ্বি স্যার মনে আছে..!!

সম্রাটঃ তাহলে কাজটা করে ফেল……

সম্রাট উঠে চলে গেলো….রিয়াজ ঢোক গিলে বের হলো….শুভ তিশা কে নিয়ে ঘুরতে এসেছে….একটা বিলের পাড়ে এসেছে….শুভ’র ঘাড়ে মাথা দিয়ে রেখেছে তিশা….অনেকক্ষণ হলো এসেছে….তিশা বলে উঠলো..!!

—-শুভ এবার আমাদের যাওয়া উচিত……

শুভঃ হুম চলো তাহলে..!!

ওরা উঠে দাড়াতেই….ঝড়ের গতিতে একটা গুলি এসে….শুভ’র লাগলো শুভ নিচে পড়ে গেলো….তিশা হঠাৎ এমন হওয়ায় স্তব্ধ হয়ে গেলো……

তিশাঃ শুভ..!!

শুভ বলে চিৎকার করে উঠলো তিশা……

#To_Be_Continued….♣♣

[ছোট হওয়ার জন্য ক্ষমা করবেন….ফুরফুরে মন নিয়েই লেখতে বসেছিলাম….বাট লেখার মাঝে এমন কিছু শুনলাম….মনটা মারাত্মক খারাপ হয়ে গেলো….আগে শুনলে হয়তো লেখতামই না….পরের পার্টটা বড় করবো ইনশা আল্লাহ….আর যেহেতু ২টা গল্প লেখছি এখন….তাই এটা সকালে আর….#তুমি_আমার_ভালবাসা রাতে দেবো….]

The_Villain_Lover Part_4

0

The_Villain_Lover
Part_4
#Writer:#Tisha_Islam_Nabila

শুভ আর তিশা ওখান থেকে চলে যায়….তিশা কে পৌছে দিয়ে….শুভ নিজের বাড়ি যায়….বাড়ি যেতেই ওর দাদুভাই ডাকে….শুভ শিরি দিয়ে যেতে গিয়েও থেমে যায়….ওর দাদুভাইর পাশে গিয়ে বসে..!!

শুভঃ কিছু বলবে দাদুভাই??আর চাচ্চু আসেনি??

দাদুভাইঃ না দাদু তোর চাচ্চু আসেনি….আর তোকে আজকে খুশি লাগছে কেন??অন্যদিন তো মুখ ফুলিয়ে আসিস….তা আজ এত খুশির কারন কি??

শুভ মাথা চুলকে মুচকি হেসে বলে…….

—-আজ আমি সত্যি অনেক খুশি….আমি যাকে ভালবাসি….ও আজ বলেছে দাদু….ও আমাকে ভালবাসে….তুমি জানো??আমি ওকে খুব ভালবাসি….ওর জন্য সব করতে পারি আমি..!!

দাদুভাইঃ তা কি নাম মেয়েটার??

শুভঃ ওর নাম তিশা চৌধুরী….আরশাল চৌধুরী’র মেয়ে….একদম বাচ্চা টাইপ….এই মেয়েটা কে আমার চাই দাদু…….

দাদুভাইঃ যাক তাহলে বিয়ে কবে করছিস??

শুভঃ খুব তাড়াতাড়ি এখন আমি রুমে যাচ্ছি..!!

শুভ রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নেয়….এদিকে তিশা ও আজ খুশি….তিশা মনের সুখে গান গাইছে….গান গাইতে গাইতে ঘুমিয়ে পড়ে….তিশা বুঝতে পারে কেউ ওর রুমে….তিশা লাফ দিয়ে উঠে বসে….আর সামনের লোকটা কে দেখে….ভয়ে ওর কলিজা কাঁপছে….ওর সামনে স্বয়ং সম্রাট বসা….চোখগুলো লাল টকটকে হয়ে আছে….হাত মুঠো করে রেখেছে….তিশা কাঁপা কাঁপা গলায় বলে…….

—-আ আপনি এ এখানে??

সম্রাটঃ তোমাকে বারন করেছিলাম না??তোমাকে যেন কোনো ছেলের সাথে না দেখি??তাহলে কেন শুভ কে আই লাভ ইউ বললে??হাউ ডেয়ার ইউ??

তিশা’র অনেক রাগ লাগছে….তাই তিশা রেগে বলে..!!

—-তাতে আপনার কি হ্যা??আপনি কে এসব বলার??আমি শুভ কে ভালবাসি….আপনি কেন মাথা ঘামাচ্ছেন??

সম্রাট শান্ত কন্ঠে বলে ওঠে…….

—-কারন আমি তোমাকে ভালবাসি জান….অনেক বেশী ভালবাসি….প্লিজ এমন কিছু করো না যাতে আমি….এনিওয়ে ঘুমিয়ে পড়ো..!!

বলে আর এক মুহূর্ত না থেকে….সোজা বেলকনি দিয়ে চলে যায়….আর তিশা তাকিয়ে বলে…….

—-এর কি মাথা খারাপ??যখন দেখি শুধু চোখ দেখি….আর রাত কেবল ১০টা….এখন কি করে এলো??কেউ দেখলো না বাট কি করে??

এরমাঝে তিশা কে ডাকে….তিশা ড্রয়িংরুমে চলে আসে..!!

আবিরঃ মিষ্টি তুমি ঠিক আছো??

অভিঃ এদিকে এসো দেখি….তোমার শরীর ঠিক আছে তো??

নীলঃ মিষ্টি কলিজা আর ইউ ওকে??

তিশাঃ উফ আমি ঠিক আছি…….

কনিকা চৌধুরীঃ তাহলে কলেজ থেকে এসে….সেই যে ঘুমিয়েছো….এরপর ডাকলাম বারবার বললে আসছি….আর তো এলেনা সোনা….তুমি কি জানোনা??তোমার ভাইয়ারা তোমাকে কত ভালবাসে??ওরা তো অস্থির হয়ে গিয়েছিলো একদম..!!

নীলঃ মাম্মা ওর ঘুম পেয়েছিলো হয়তো……

তিশা’র এখন খারাপ লাগছে….কানে হাত দিয়ে বলে..!!

—-সরি আমি আর এমন করবো না…….

নীল গিয়ে তিশা’র হাত সরিয়ে….চেয়ারে বসিয়ে দেয় এরপর বলে..!!

—-আমাদের টেনশন হয়েছিলো….আর তোমার সরি বলতে হবেনা….তুমি শুধু বলো আর এমন করবে না….তাহলেই হবে মিষ্টি কলিজা…….

তিশাঃ ওকে মাই অল ব্রাদার….আমি তোমাদের বলছি….আমি আর এমন করবো না..!!
.
.
.
.
.
.
এরপর ওরা তিশা কে খাইয়ে দেয়….তিশা রুমে চলে যায়….রুমে গিয়ে দেখে শুভ’র ফোন….তিশা তাড়াতাড়ি রিসিব করে….ওপাশ থেকে শুভ বলে ওঠে…….

—-হেই বেবী কোথায় ছিলে??কখন থেকে ফোন করছি….আর ইউ ওকে না??

তিশাঃ ইয়া আই এম ওকে….একচুয়েলি আমি ডিনার করছিলাম..!!

শুভঃ টেনশন হচ্ছিলো বেবী……

তিশাঃ আর টেনশন করতে হবেনা….এখন বলো ডিনার করেছো??

শুভঃ হ্যা ডিনার কম্পিলিট….কি করছো এখন??

তিশাঃ বসে বসে তোমার সাথে কথা বলছি..!!

শুভঃ আমি তোমাকে মিস করছি…….

তিশা খিলখিল করে হেসে দেয়….মুগ্ধ হয়ে শুভ শুনতে থাকে….তিশা’র মুখের হাসিই যেন সব….এই হাসির জন্য যে সব করতে পারে শুভ….এভাবে কথা বলতে বলতে….তিশা ফোন বুকে রেখে ঘুমিয়ে পড়ে….শুভ তিশা’র হার্টবিট শুনতে শুনতে….একটা সময় নিজেও ঘুমিয়ে যায়..!!

রোজকার মতো তিশা কলেজে যাচ্ছে….তিশা কলেজে যাচ্ছে আর ভাবছে…….

—-আজ শুভ কে বলে দেবো….এই অজানা আর সম্রাটের কথা….এরা দুজন কি যে চায়??আমি শুভ কে ভালবাসি….আমি চাইনা এরা দুজন আমার জীবনে থাকুক..!!

অভিঃ বোন কি ভাবছো??

তিশা আমতা আমতা করে বলে…….

—-না ভাইয়া কিছুনা তুমি চলো..!!

অভি তিশা কে কলেজে দিয়ে….তিশা কে টাকা দিয়ে চলে যায়….অভি যেতেই তিশা দৌড়ে শুভ’র কাছে আসে…….

শুভঃ বেবী আসতে হাটো..!!

তিশাঃ শুভ তোমাকে কিছু বলার আছে……

শুভঃ হুুম বলো কি বলবে??

তিশাঃ এখানে না সাইডে চলো..!!

শুভ তিশা কে নিয়ে….সেই পুকুরপাড়ে আসে এরপর বলে…….

—-হ্যা এবার বলো..!!

তিশা শুভ কে সবটা বলে….শুভ রাগে ফোস ফোস করছে….চোখগুলো ভীষন লাল হয়ে গিয়েছে….হাত মুঠ করে বলে…….

—-এদের দুজন কে তো আমি খুন করে ফেলবো….ওদের সাহস হয় কি করে??ছাড়বো না এই সম্রাট….আর ডক্টর অজানা কে..!!

তিশা ঢোক গিলে শুভ কে শান্ত করে….শুভ ফোস ফোস করেই যাচ্ছে……..

তিশাঃ জানতাম শুভ রেগে যাবে..!![মনে মনে]

শুভঃ বেবী তুমি বসো পানি নিয়ে আসছি……

শুভ পানি আনতে গেলেই….তার কিছুক্ষণ পর অজানা আসে….হাতে তিশা লিখে ট্যাটু করা….তিশা কে দেখেই চলে যায়….শুভ পানি নিয়ে এসে তিশা কে নিয়ে চলে যায়….তিশা ভাবে আর শুভ কে বলবে না….ও তো শুভ কে ভালবাসে….তাই শুভ’র সাথে বিয়ে হয়ে গেলে….এরা কিছু করতে পারবে না….ওরা ক্লাস শেষ করে বাড়ি চলে যায়..!!

বিকেলে ৩টা তিশা’র ছবির সামনে দাড়িয়ে….এক ধ্যানে ছবিটা দেখছে সম্রাট….পাশেই রিয়াজ দাড়ানো….বেচারা এসেছিলো দরকারে….এখন সম্রাটে’র পাগলামী দেখছে….হঠাৎ সম্রাট দাত কিড়কিড় করে বলে……

—-আমার বারন শুনছো না তো??আমি কি করতে পারি….তোমার কোনো ধারনা নেই জান….আমি কতটা ভয়ংকর হতে পারি….আই এম সম্রাট খাঁন….বাট আই এম নট হিরো….আই এম ভিলেন….আর তোমার জন্য আগেই বলেছি….The Villain Lover জান..!!

শুভ গাড়ি রেখে বাড়িতে ঢোকে….বাড়ি গিয়ে শুভ নিজের চোখ কে….যেন নিজে বিশ্বাস করতে পারছে না….অবাক হয়ে বলে ওঠে……

—-তুমি এখানে??

ওই লোকটাও হেসে বলে..!!

—-ইয়েস আমি খুশি হসনি??

#To_Be_Continued….♣♣

[ছোট করে দিলাম….সবাই কে চিন্তামুক্ত করতে….তখন হুট করে Last Part ওভাবে দেখে….সবাই রাগ করেছিলেন….মন খারাপ করেছিলেন….আসলে এত নোংরা কথা বলেছিলো ইনবক্সে….তাও গল্প নিয়ে যে একটা মেয়ের কয়টা লাগে??আরো অনেক খারাপ কথা বলেছে….যেটা আমি বলতে পারছি না….এমন তো না যে তিশা তিনজন কে ওস্কাচ্ছে….বরং ওরা তিশা’র পিছনে পড়েছে….আর গল্প শেষ হওয়ার আগেই….এসব কি করে বললো ভাবছি…. যাইহোক ক্ষমা করবেন ওরকম ভাবে পোষ্ট করার জন্য….আসলে গল্প লেখতে এসে….এত বাজে কথা মানতে পারিনি….পরে ভাবলাম কুকুর তো ঘেউ ঘেউ করবেই….হ্যাপি রিডিং গাইস…]

The_Villain_Lover Part_3

0

The_Villain_Lover
Part_3
#Writer:#Tisha_Islam_Nabila

সম্রাট শাওয়ার নিতে চলে যায়….শাওয়ার শেষ করে এসে….বিছানায় বসে মদের বোতল খুলে….ঢকঢক করে পুড়ো খেয়ে নেয়….এভাবে প্রায় ৩ বোতল মদ শেষ করে….একটা সময় বিছানায় ঠাস করে শুয়ে পড়ে….ঘুমানোর আশা নিয়ে চোখ বন্ধ করে….কিন্তুু না ঘুম নামক জিনিষটা নেই….যেটা হারিয়েছে আজ থেকে প্রায়….৭ বছর আগে এরপর কবে ঘুমিয়েছে….সেটা হয়তো সম্রাট নিজেও জানেনা….তাচ্ছিল্য হেসে উঠে বসে….আবার মদ খেতে থাকে….মদের নেশা থাকলেও আর কোনো নেশা নেই….যেমন স্মোকিং বা মেয়ে মানুষ….মদ খেতে খেতে তিশা’র ছবির দিকে তাকিয়ে বলে..!!

—-আমি জানি জান তুমি পারবে….তুমি পারবে আমার জীবন থেকে….সব কষ্ট, বেদনা, যর্ন্তনা দুর করতে….আমার বুকের জলন্ত আগুন নেভাতে….তোমাকে খুব তাড়াতাড়ি আমার করবো….আমার জন্য তোমার জন্ম জান…….

বলে আবার শুয়ে পড়ে….রাতে নিজের রুমে টিভি দেখছে তিশা….রুপে’র বলা কথা ভাবছে….ক্যান্টিনে রুপ বলেছিলো….শুভ’র চোখে ও তিশা’র জন্য ভালবাসা দেখেছে….তিশা নিজেই বলতে শুরু করলো..!!

—-আচ্ছা শুভ কি সত্যি আমাকে ভালবাসে??হয়তো বাসে তাইতো এমন করে….আমাকে কেউ কিছু বললে….ভাইয়াদের মতোই তাকে পেটায়….কিন্তুু আমি কি বাসি??আমি কি ভালবাসি শুভ কে??

এরমাঝে কেউ তিশা কে….একটানে জড়িয়ে ধরে তিশা হা করে দাড়িয়ে আছে….ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা করছে….যখন বুঝতে পারে এক ধাক্কায় সরিয়ে দিয়ে তাকায়….তাকিয়ে রেগে চেচিয়ে বলে…….

—-আপনি এখানে??আপনার সাহস তো কম না….আমার বাড়ি আমার রুমে চলে এসেছেম??

—-ইয়েস মাই লাভ চলে এলাম….তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছিলো….কি করবো বলো??একটা পিচ্চি আমার সেটাও তুমি….এত ভালবাসি তোমাকে তাই চলে এলাম..!!

তিশা চোখ মুখ খিচে বলে…….

—-লিসেন ডক্টর অজানা….আই এম ওয়ার্নিং ইউ….ইউ জাস্ট স্টে এওয়ে ফ্রম মি….আদারওয়াইস আই ডোন্ট নো…ওয়াট ক্যান আই ডু উইথ ইউ গট ইট??

অজানা তিশা কে আবার জড়িয়ে ধরে….আর এবার শক্ত করে ধরে বলে ওঠে..!!

—-ওয়াও মাই লাভ আই এম ইমপ্রেসড….এই না হলে অজানা’র লাভ….অজানা’র মতোই তার ঝাজ….রিয়েলি নাউ আই এম সো হ্যাপি….আজকে আসি মাই লাভ??বাই এন্ড লাভ ইউ……

বলে চলে যায় আর তিশা….রাগে ফোস ফোস করতে করতে বলে..!!

—-নেক্সট টাইম আয় শুধু….মেরে আলুর ভর্তা বানাবো….স্টুপিড কোথাকার টোটাল রাবিশ……

একটুপর তিশা ঘুমিয়ে পড়ে….সকালে ঘুম থেকে উঠে….ফ্রেশ হয়ে কলেজে চলে আসে….কলেজে আসতেই শুভ আসে….শুভ এভাবে সামনে চলে আসায়….তিশা বিরক্তি নিয়ে তাকায়….শুভ সেদিকে পাত্তা না দিয়ে….তিশা কে টেনে নিয়ে যেতে থাকে..!!

—-আরে কোথায় নিয়ে যাচ্ছো??শুভ লিভ মি প্লিজ……

শুভ তিশা কে নিয়েই যাচ্ছে….তিশা এবার রেগে চেচিয়ে বলে..!!

—-শুভ আই সেইড লিভ মি….নাহলে খুব খারাপ হয়ে যাবে বলছি….কোথায় নিয়ে যাচ্ছো আমাকে??

শুভ তিশা কে কমন রুমে এনে….এক প্রকার ছুড়ে মেরে বলে……

—-বলো কি নেই আমার??

তিশা বুঝতে না পেরে বলে..!!

—-মানে কি শুভ??

শুভ চেচিয়ে বলে ওঠে…….

—-কেন ভালবাসো না আমাকে??আমি তোমাকে এত ভালবাসি….কেন বোঝোনা আমাকে??কি করলে বুঝবে তুমি??আমি মরে গেলে বুঝবে??আমি কি খুব খারাপ??আমাকে কি একটুও ভালবাসা যায়না??

তিশা কি বলবে বুঝতে পারছে না….আচমকা তিশা বলে উঠলো..!!

—-তোমার যা ইচ্ছে করো….আমাকে এভাবে ডিস্টার্ব করবে না ওকে??আমার এসব আর ভাল লাগেনা শুভ……

বলে তিশা হনহন করে চলে যায়….আর শুভ ধপ করে বসে পড়ে….চোখ দিয়ে পানি পড়ছে….কান্না করতে করতে বলে..!!

—-আমাকে কি ভালবাসা যায়না??আমি কি ভালবাসার এতটা অযোগ্য??কেন বেঁচে আছি আমি??কেন আল্লাহ??হুয়াই??

শুভ’র এই কথা তিশা শোনে….এরপর ওখান থেকে চলে আসে….শুভ ও ওখান থেকে উঠে চলে যায়….তিশা ক্লাসে শুভ’র কথা ভাবছে….কোনোমতে ক্লাস শেষ করে বেরিয়ে আসে….রুপ খেয়াল করে তিশা কিছু ভাবছে তাই বলে…….

—-তিশা কি ভাবছিস??

তিশা অন্যমনস্ক থেকে বলে ওঠে..!!

—-একচুয়েলি আমি শুভ’র কথা ভাবছি……

রুপ চমকে উঠে হেসে বলে..!!

—-সত্যি তিশা??সত্যি তুই শুভ ভাইয়ার কথা ভাবছিস??

তিশা বুঝতে পারে ও কি বলেছে….তাই মুখে রাগ ফুটিয়ে বলে……

—-হ্যা ভাবছি বেয়াদব একটা….এতবার বলি ওকে ভালবাসি না….তবুও পেছনে পড়ে আছে আমার ইডিয়ট একটা..!!

শুভ এখান দিয়েই যাচ্ছিলো….তাই কথাগুলো ওর কানেও পৌছে যায়….শুভ তিশা’র সামনে এসে বলে…..

—-খুব ডিস্টার্ব করি তোমাকে তাইনা??খুব বিরক্ত তুমি আমার উপর??কি বলো তো ভালবাসি তো তাই….তাই তোমার এত অবহেলা করার পরও….বেহায়ার মতো আবার ছুটে আসি..!!
.
.
.
.
.
.
তিশা ভাবতে পারেনি শুভ শুনবে….তিশা আমতা আমতা করে বলে……

—-শুভ আমি আসলে বলতে চাইনি….আমার কথা শোনো প্লিজ..!!

শুভ মুচকি হেসে বলে…….

—-আজ টাইম নেই বেবী….এখন আমার যেতে হবে….কাল আবার দেখা হবে..!!

কথা বলার সময়….শুভ’র চোখ দুটো ছলছল করছিলো….শুভ ওখান থেকে চলে যায়…….

রুপঃ এটা কি করলি তিশা??

তিশাঃ আমি বুঝতে পারিনি রে..!!

রুপঃ শুভ ভাইয়া তোকে ভালবাসে….অনেক বেশী ভালবাসে তিশা….একটু ভেবে দেখিস ওনার কথা……

রুপ ওখান থেকে চলে যায়….তিশা ঠায় দাড়িয়ে আছে….তিশা’র গাড়ি চলে আসে তিশা ও চলে যায়….নিজের কেবিনে বসে পেশেন্ট দেখছে ডক্টর অজানা….এরমাঝে একজন কেবিনে এলো..!!

অজানাঃ পেয়েছিস সব??

লোকটাঃ জ্বি স্যার সব পেয়েছি……

অজানাঃ দ্যাটস গুড এখন যা..!!

লোকটা কাঁচুমাচু করে বললো…….

—-স্যার একটা কথা বলি??

অজানা ভ্রু কুঁচকে বললো..!!

_কি বলবি তুই??

লোকটাঃ স্যার আপনি তো ডক্টর….এটা দিয়ে কি করবেন??

অজানাঃ ননসেন্স এটা দিয়ে কি করে??ওটি করবো তাই লাগবে….নাউ গেট আউট……

চেচিয়ে বললো লোকটা কেটে পড়লো….অজানা বিরক্তি নিয়ে একা বললো..!!

—-আজব কোশ্চেন এটা দিয়ে কি করবো??কোথা থেকে যে আসে এরা??

এরপর অজানা বেরিয়ে যায়….তিশা’র কথা ভেবে মুচকি হাসে….তিশা কে নিয়ে ভাবতে ভাবতে বলে……

—-কবে যে তোমাকে পাবো??একদম নিজের করে শুধু তুমি আমি….আমাদের মাঝে কেউ থাকবে না..!!

রোজ রাতের মতো আজও….তিশা টিভি দেখছে নিজের রুমে….এরমাঝে আবার অজানা আসে….তিশা চিৎকার দিতে গেলেই….অজানা একহাত দিয়ে তিশা’র কোমর….আর আরেক হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে বলে……

—-তুমি কি পাগল??এভাবে কেউ চিৎকার করতে যায়??

তিশাঃ উমমমমম, উমমমমম..!!

অজানাঃ আরে উমমম উমমম করছো কেন??আমাকে কিস করতে মন চায়??

তিশা’র ইচ্ছে করছে….অজানার চুল ছিড়তে….কারন ওর মুখে হাত দিয়ে রেখেছে….তিশা উমম উমম করছে….বুঝতে পেরে অজানা ছেড়ে দেয়….আর ছেড়ে দেয়ার আগে কন্ডিশন দেয়….যাতে তিশা না চেচায়….তিশা রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে…….

—-আপনার প্রবলেম কি??

অজানাঃ প্রবলেম না তো ভালবাসা তুমি..!!

তিশাঃ সাট আপ ওকে??যান বেরিয়ে যান……

অজানাঃ ওকে এখন যাচ্ছি….বাট আমি আবার আসবো….এভরি ডে আসবো মাই লাভ….মনে রেখো তোমাকে পেতে….#The_Villain_Lover হতে….আমার কিন্তুু টাইম লাগবে না সো বি কেয়ারফুল..!!

অজানা যেতেই তিশা শুয়ে পড়ে….রাত প্রায় ২টা বাজে….হঠাৎ তিশা’র মনে হচ্ছে….কেউ গভীর ভাবে ওকে দেখছে….তিশা পিটপিট করে চোখ খোলে….চোখ খুলে তিশা অবাক….এক জোড়া নীলাভ চোখের মালিক….তিশা কে গভীর ভাবে দেখছে….যার মুখটা ঢাকা চোখদুটো দেখা যাচ্ছে শুধু….তিশা যখন বুঝতে পারে ওর রুমে কেউ আছে….তখন চেচাতে যায় লোকটা….তিশা’র মুখে আলতো করে হাত দিয়ে বলে……

—-হিশশশশশ সাউন্ড করবে না….আমি তোমাকে দেখতে এসেছি….দেখে আবার চলে যাবো সো ডোন্ট ডিস্টার্ব মি জান….তোমাকে প্রথম দেখে ভালবেসেছি….আইসক্রিম খেতে খেতে চেচিয়ে উঠেছিলে….সবাই যাকে ভয় পায় যাকে হার্টলেস বলে জানে….সেই সম্রাট খাঁন কি না শেষে….একটা পিচ্চি কে ভালবাসে….ট্রাস্ট মি জান এটা মানতে পারছিলাম না….আর এখন যখন মানতে পেরেছি….তখন বুঝেছি তুমি আমার সব হয়ে গিয়েছে….আমার শ্বাস প্রশ্বাস সব তুমি….আই লাভ ইউ সো মাচ জান….একটা রিকোয়েস্ট ছেলেদের থেকে দুরে থাকবে….নাহলে সেই ছেলে কে শেষ করতে….আমার একটুও হাত কাঁপবে না….বিকস আইম এম ভিলেন….#The_Villain_Lover জান..!!

তিশা তো ভয়ে কাঁচুমাচু করে আছে….সম্রাট বুঝতে পেরে বলে……

—-মজা করছিলাম ঘুমিয়ে পড়ো..!!

বলেই তাড়াতাড়ি চলে যায়….আর তিশা আবালের মতো তাকিয়ে বলে…….

—-আরে এসব কি হচ্ছে??এটা আবার কে??কি নাম বললো সম্রাট??ইনি আবার কোথা থেকে উদয় হলো??ও মাই আল্লাহ ইনি তো খুনি….আমাকে যদি মেরে দেয়??
.
.
.
.
.
.
এসব আকাশ পাতাল ভাবতে ভাবতে….তিশা আবার ঘুমিয়ে পড়ে….তিশা এমনি একটা মেয়ে….যখন ভয় পায় কয়েক সেকেন্ডের জন্য….সকালে ঘুম থেকে উঠে….একটা লাল থ্রি পিচ পড়ে….লাল ঝুমকো লাল লকেট গলায়….হাতে লাল ব্রেসলেট….ঠোটে লাল লিপস্টিক….আজকে কলেজে ফাংশন আছে….তিশা শাড়ি পড়তে পারেনা….তাই থ্রি পিচ পড়েছে….রেডি হয়ে নীলে’র সাথে বেরিয়ে পড়ে….রুপ এখনো আসেনি….কলেজে প্রচুর ভীড়….তাই নীল নিজে গিয়ে….তিশা কে একটা চেয়ারে বসিয়ে দেয়….পাশে নিজেও বসে পড়ে….নীল কে বসতে দেখে তিশা বলে..!!

—-ভাইয়া তুমি থাকবে??

নীলঃ না মিষ্টি কলিজা আমি যাবো….বাট আগে রুপ আসুক…….

তিশাঃ ওই তো রুপ এসেছে..!!

রুপ কে দেখে নীল চলে যায়….যাওয়ার আগে তিশা কে টাকা দিয়ে যায়….সবাই শাড়ি পড়েছে ছেলেরা পান্জাবী….ওরা চেয়ারে বসা এরমাঝে শুভ’র নাম বলে….শুভ এখন গান গাইবে….শুভ স্টেজে উঠতেই তিশা তাকিয়ে থাকে….শুভ কে অসম্ভব সুন্দর লাগছে….শুভ তিশা’র দিকে তাকায়….তিশা নিজের চোখ নামিয়ে নেয়….শুভ তাচ্ছিল্য হেসে বলে ওঠে……

—-হয়তো এটা গান বাট এটা আমার রিয়েল লাইফ..!!

?নারে নারে নারে নারে?
?নারে নারে নারে নারে না?
?বোঝেনা সে বোঝেনা সে তো আজও বোঝেনা?
?বোঝেনা সে বোঝেনা সে গে আজও বোঝেনা?

তিশা চমকে গিয়ে তাকিয়ে আছে..!!

?কাঁদে মনের কথা প্রেম কি শুধু ব্যথা?
?উত্তর আজও মেলেনা মেলেনা মেলেনা?
?বোঝেনা সে বোঝেনা সে তো আজও বোঝেনা?

শুভ’র চোখ ছলছল করছে….তিশা উঠে চলে যেতে গেলেই শুনতে পায়……

?এ বুকে এত প্রেম তার চোখে ঘৃনা?
?চায়না শুনতে সে এ বুকের কান্না?
?আমি চোখের বালি কি করে তাকে বলি?
?এ বুকে কি বেদনা?

তিশা উল্টো দিকে ঘুরে আছে….চোখ দিয়ে পানি পড়ছে….তিশা মনে মনে বলছে..!!

—-না শুভ ঘৃনা করিনা আমি তোমাকে….ভালবাসি তোমাকে শুভ….কখন যে মনের অজান্তে তোমাকে….আমার মনে জায়গা দিয়েছি….সেটা বুঝতেই পারিনি আই লাভ ইউ……

?বোঝেনা সে বোঝেনা সে তো আজও বোঝেনা?
?কাঁদে মনের কথা প্রেম কি শুধু ব্যথা?
?উত্তর আজও মেলেনা মেলেনা মেলেনা?

[বাকিটা নিজ দায়িত্বে শুনবেন….?]

শুভ গান শেষ করেই নেমে যায়….কারন ও তিশা কে কাঁদতে দেখেছে….তিশা কে খুজতে খুজতে পেয়ে যায়….কলেজের পিছনে পুকুরপাড়ে….শুভ দৌড়ে গিয়ে বলে..!!

—-বেবী তুমি কাঁদছিলে কেন??আর ইউ ওকে??

তিশা অবাক চোখে তাকিয়ে আছে….হঠাৎ তিশা বসা থেকে উঠে….শুভ কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে….শুভ তো থ হয়ে গিয়েছে….বিশ্বাস করতে পারছে না যে তিশা ওকে জড়িয়ে ধরেছে….শুভ কে আরেকদফা অবাক করে দিয়ে….কান্না করতে করতে তিশা বলে…….

—-আই লাই ইউ শুভ….পারলাম না তোমার থেকে দুরে থাকতে….খুব ভালবেসে ফেলেছি তোমাকে….তোমার ভালবাসা বাধ্য করেছে আমাকে….তোমাকে ভালবাসতে আই লাভ ইউ..!!

শুভ অবাক হয়ে গিয়েছে….সাথে খুশিও হয়েছে তিশা কে জড়িয়ে ধরে বললো…….

—-ইউ নো ওয়াট বেবী??টুডে আই এম সো হ্যাপি….ফাইনালি তুমিও আমাকে ভালবাসো….আই লাভ ইউ সো ভেরী মাচ..!!

শুভঃ আজকে আমি খুশি বেবী….বাট আমি এটাও জানি….তোমার পরিবার হয়তো আমাকে মেনে নেবে না….আমি যে একটু বখাটে টাইপ….বাট আই ডোন্ট কেয়ার….তোমাকে পেতে সব করতে পারি….ভিলেনও হতে পারি….#The_Villain_Lover বেবী….তুমি শুধু আমার……..[মনে মনে]

এরমাঝে হুট করেই….একটা ছুড়ি এসে শুভ’র হাতে লাগে….হাত অনেকটা কেটে যায়….তিশা শুভ কে ছেড়ে দেয়….শুভ এদিক ওদিক তাকাচ্ছে….তিশা ওর ব্যাগ থেকে….স্যাভলন বের করে শুভ’র হাত পরিষ্কার করে….সেখানে ব্যান্ডেজ করে দেয়….নাক টেনে অস্থির করছে….শুভ বুঝতে পারে তিশা কান্না করছে….তিশা রাতের বলা সম্রাটে’র কথা ভাবে….এরপর শুভ কে নিয়ে চলে যায়….এদিকে কেউ একজন রাগে ফোস ফোস করছে..!!

#To_Be_Continued….♣♣

[অনেকে বলছেন তিশা বেশী ন্যাকামি করে….কি আর বলবো??বুঝলাম না কি ন্যাকামি করলো….১৬ বছরের একটা মেয়ে….সে নিজের ভাইয়াদের সাথে ওমন করতেই পারে….আমি তো তিশা আমি ওমন ছিলাম….??তাই আমার ক্যারেক্টার দিলাম….আর কিছু বলার নেই….??আর একটু পেশেন্চ রাখেন জানতে পারবেন কে হিরো??]

The_Villain_Lover Part_2

2

The_Villain_Lover
Part_2
#Writer:#Tisha_Islam_Nabila

সবাই যখন তাদের ভাবনায় বিভোর….তখন দেখে নেই তিশা কি করছে….তিশা ড্রয়িংরুমে বসে কার্টুন দেখছে….পড়নে কালো টি শার্ট আর….কালো থ্রি কোয়াটার প্যান্ট….লম্বা চুলগুলো দু পাশে ঝুটি করা….এক হাতে রিমোট আরেক হাতে চকলেট….পাশেই বসা তিশা’র ৩ ভাই….এমনি এমনি বসে নেই….গত ১ ঘন্টা ধরে বসে আছে….তিশা কে ফ্রুট জুস খাওয়ানোর জন্য..!!

নীলঃ মিষ্টি কলিজা এবার খেয়ে নাও……

তিশা নাক মুখ শিটকে তাকালো..!!

আবিরঃ মিষ্টি তুমি কিন্তুু বলেছো….এই চকলেট খাওয়া শেষ হলে….তুমি এই ফ্রুট জুস খেয়ে নেবে…….

তিশা নিজের মনোমত চকলেট খাচ্ছে….যেন ওর কানে কথা যাচ্ছেনা….অভি তিশা কে কোলে বসিয়ে….জুসের গ্লাস সামনে ধরলো….তিশা ঠোট উল্টে তাকিয়ে আছে..!!

অভিঃ ঠোট উল্টে লাভ নেই….এটা এক্ষুণি ফিনিশ করো হারি আপ……

তিশা ভেংচি কেটে জুস খেয়ে নেয়….এরপর অভি’র কোল থেকে নেমে….সোফায় সটান হয়ে শুয়ে পড়ে….তিশা এটা তখনি করে যখন মন খারাপ হয়….অভি আবির কে চোখ দিয়ে ইশারা করে….আবির গিয়ে ফ্রিজ থেকে এক বক্স আইসক্রিম নিয়ে আসে….এনে তিশা’র সামনে মিনি টেবিলে রাখে….আইসক্রিম দেখে তিশা লাফিয়ে ওঠে….নিয়েই খেতে শুরু করে….৩ ভাই মুচকি মুচকি হাসছে..!!

আরশাল চৌধুরীঃ মামনি তুমি আইসক্রিম এত লাইক করো কেন??

তিশাঃ ইউ নো ওয়াট পাপা??ইটস সো ইয়াম্মী……

কনিকা চৌধুরীঃ তুমি তো জানো আরশাল….আইসক্রিম হলো তোমার মেয়ের….প্রথম ভালবাসা তাইনা সোনা??

তিশাঃ ইয়া মাম্মা ইউআর রাইট..!!

নীলঃ মাম্মা আমার কি মনে হয় জানো??

আবিরঃ কি মনে হয় ভাইয়া??

নীলঃ মিষ্টি কলিজা আমাদের থেকে….চকলেট, আইসক্রিম বেশী ভালবাসে…….

অভিঃ একদম ঠিক বলেছিস..!!

নীলঃ আই নো ভাইয়া বিকজ….নীল চৌধুরী অলওয়েজ ঠিক বলে……

এদের মধ্যে অভি সবার বড়….তারপর নীল তারপর আবির….৩ ভাই মাশাআল্লাহ দেখতে কিউট….অভি নিজের বাবার বিজনেস সামলায়….ওর পড়াশোনা আগেই শেষ….অভি’র বয়স ২৮ বছর….এরপর নীল নীলও ব্যবসা সামলায়….অফিসে খুব কম যায় নীল….নীলে’র বয়স ২৫ বছর….আবির এখনো পড়াশোনা করে….আবির এবার এলএলবি ফাইনাল ইয়ারে….আবিরে’র বয়স ২৩ বছর..!!

তিশা গাল ফুলিয়ে….আইসক্রিম বক্স রেখে দিয়ে বললো…….

—-না তোমরা ঠিক বলোনি….আমি তোমাদের ভালবাসি….আর আইসক্রিম খাবোনা..!!

বলতে বলতে ভ্যা ভ্যা করে কেঁদে দিলো….৩ ভাই তো ব্যস্ত হয়ে পড়লো….তিশা কে এটা ওটা বলছে কিন্তুু তিশা….সে তো কেঁদেই যাচ্ছে….ঠোট উল্টে বাচ্চাদের মতো বললো……

—-আমি তোমাদের বেশী ভালবাসি….যদি বিশ্বাস না হয়….তাহলে কিছু চেয়ে দেখো….আমি ঠিক তোমাদের দেবো প্রমিস..!!

অভিঃ বোন আমরা মজা করছিলাম……

তিশাঃ না চাও এখনি আমি দেবো..!!

নীলঃ মিষ্টি কলিজা আমাদের কিছু চাইনা……

আবিরঃ হ্যা মিষ্টি তুমি আছো তো..!!

তিশাঃ না আমি দেবো তোমরা চাও….ও মাম্মা ও পাপা বলো না চাইতে……

এবার ওরা পড়ে গেলো মুশকিলে….অভি বুদ্ধি খাটিয়ে বললো..!!

—-আচ্ছা যখন চাই তখন দিয়ো কেমন??

তিশা লাফাতে লাফাতে বললো…….

—-ওকে ভাইয়া আমি দেবো..!!
.
.
.
.
.
.
কনিকা চৌধুরীঃ ওকে অনেক হয়েছে….এবার সবাই ডিনার করবে চলো……

ডিনারের কথা শুনে তিশা….মুখটা কাঁচুমাচু করে বলে..!!

—-মাম্মা আজ খাবোনা প্লিজ??

কনিকা চৌধুরীঃ তিশা তুমি জানো না??আমি খাওয়া নিয়ে বাহানা লাইক করি না……

তিশা মুখটা চুপসে গিয়ে খেতে বসে….কনিকা চৌধুরী প্লেট দেয়..!!

অভিঃ মাম্মা তুমি কি জানোনা??আমরা বোন কে খাইয়ে দেই….ও কি কাটা বেছে খেতে পারে??

এরপর ওরা তিশা কে….নিজেদের প্লেট থেকে খাইয়ে দেয়….খাইয়ে তিশা কে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে….৩ ভাই মিলে ছাদে আসে……

নীলঃ ভাইয়া আমরা খুব লাকি তাইনা??কারন আমাদের বোন আছে….যাকে আমরা এত ভালবাসি….আর মিষ্টি কলিজাও আমাদের এত ভালবাসে..!!

আবিরঃ হ্যা মিষ্টি কে পেয়ে আমরা পরিপূর্ণ……

অভিঃ এরজন্য তো আমি আল্লাহ কে….লাখ লাখ শুকরিয়া জানাই….যে আল্লাহ আমাদের একটা পিচ্চি পরী দিয়েছে..!!

নীল, আবিরঃ ঠিক বলেছো……

অভিঃ আচ্ছা এখন গিয়ে ঘুমিয়ে পড়….আর আবির তোর তো ক্লাস আছে….তুই এখনো জেগে আছিস??

আবিরঃ তোমাদের তো অফিস আছে না??

নীলঃ হ্যা চল ঘুমিয়ে পড়ি……

এরপর যে যার রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে….সকালে ঘুম থেকে উঠে….তিশা আগে ফ্রেশ হয়ে নেয়….এরপর একটা টপস পড়ে….টপসটা একদম কালো….আর সাথে থ্রি কোয়াটার প্যান্ট….সাদা জুতো জুতোর উপর লাল ডল বসানো….চুলগুলো ঝুটি করে নেয়….ঠোটে হালকা লিপস্টিক….রেডি হয়ে ব্যাগ নিয়ে নিচে চলে আসে….শিরি দিয়ে হেলেদুলে নামছে….সবাই তাকিয়ে আছে….মনে হচ্ছে কোনো বাচ্চা মেয়ে নামছে….অভি, নীল, আর ওর বাবা অফিসে যায়….আর আবির তিশা কে নিয়ে কলেজ যায়….ব্রেকফাস্ট ক্যান্টিনে গিয়ে করে তিশা….এই বিষয়ে কেউ জোড় করতে পারেনা….তাহলে রেগে যায় তাই ওরাও অফিসে গিয়ে করে….আর আবির নিজের ভার্সিটি ক্যান্টিনে….তিশা কে ওর কলেজে নামিয়ে দেয়..!!

আবিরঃ মিষ্টি কেউ কিছু বললে….জাস্ট একটা কল করবে….বাকিটা আমরা বুঝে নেবো….আর একদম দুষ্টমি করবে না……

আবির নিজের ওয়ালেট থেকে….১ হাজার টাকার ৩ টা নোট বের করে….তিশা’র হাতে দিয়ে বলে..!!

—-এই টাকা শুধু খাওয়ার জন্য….বাট বাইরের বাজে খাবার খাবেনা ওকে??আর আমি এসে নিয়ে যাবো….নয়তো ভাইয়ারা কেউ আসবে….একা একা বের হবেনা মনে থাকবে??

তিশাঃ ওকে মনে থাকবে ভাইয়া বাই…….

আবিরঃ বাই মিষ্টি..!!
.
.
.
.
.
.
আবির গাড়ি স্টার্ট দিয়ে চলে যায়….রুপ তিশা’র কাছে এসে বলে……

—-তিশা তুই অনেক লাকি রে….এরকম ৩ জন ভাইয়া পেয়েছিস….যারা তোকে প্রানের চেয়ে ভালবাসে..!!

তিশাঃ হুুম আই এম সো লাকি….এখন চল ক্যান্টিনে যাই……

তিশা কে বাজে নজরে দেখছে….আর এই বাজে নজরের লোক কে….দুর থেকে দেখছে সম্রাট….চোখ লাল করে তাকিয়ে আছে….চোখ দিয়ে যেন রক্ত পড়ছে….সম্রাট হাত মুঠ করে রেখেছে..!!

সম্রাটঃ আমার জান কে বাজে নজরে দেখছিস??তুই তো আজ গেলি….তোর হায়াত এই পর্যন্তই….এবার দেখ আমি তোর কি হাল করি…….

তিশা ক্যান্টিনে বসে খাচ্ছে….কোথা থেকে শুভ এসেই….তিশা’র পাশের চেয়ারে বসে পড়ে….তিশা সেদিকে পাত্তা না দিয়ে….নিজের মনোমত খেয়ে যাচ্ছে….শুভ শুধু দেখছে একটুপর বললো..!!

—-বেবী তোমার ৩ ভাইয়া….ওনারা এত খারুশ কেন??

তিশাঃ শাট আপ শুভ তুমি আমার সিনিয়র…. তাই আমি তোমাকে সম্মান করি….আমার পেছনে পড়ে আছো….তোমাকে এখনো কিছু বলিনি….তারমানে এটা নয়….তুমি আমার ভাইয়াদের কিছু বলবে….আর আমি সেটা সহ্য করবো….আমার ভাইয়ারা অনেক ভাল….সো নেক্সট টাইম এমন কিছু বলবে না….আন্ডারস্ট্যান্ড মিস্টার শুভ??

শুভঃ ইয়েস বেবী বুঝেছি….বাট তুমি এখনো অনেক কিছুই বোঝোনি….বিকজ তুমি বাচ্চা এখনো……

তিশাঃ তাহলে বাচ্চার পিছনে….এত ঘুরঘুর করো কেন??

শুভঃ এই বাচ্চাটাকে আমার চাই….সারাজীবনের জন্য চাই….ভালবাসি যে অনেক বেবী..!!

বলে শুভ চলে যায়….এদিকে রুপ তিশা কে বলে……

—-শুভ ভাইয়া তোকে ভালবাসে….অনেক বেশী ভালবাসে তিশা….আমি শুভ ভাইয়ার চোখে….তোর জন্য ভালবাসা দেখেছি..!!

তিশাঃ তাহলে তুই ওকে ভালবাস……

রুপঃ আরে শুভ ভাইয়া তোকে ভালবাসে..!!

তিশাঃ কিন্তুু ওর চোখে ভালবাসা তুই দেখেছিস……

খাওয়া শেষে ওরা ক্লাসে চলে যায়….মন দিয়ে ক্লাস করে….ক্লাস শেষে বেরিয়ে আসে….তিশা আইসক্রিম কিনে….কলেজের বেন্চে বসে খাচ্ছে….এরমাঝে তিশা’র সামনে কেউ দাড়ায়….যার পড়নে কালো শার্ট….কালো জিন্স প্যান্ট….শার্টের হাতা ফোল্ড করা….যার কারনে হাতে করা ট্যাটু দেখা যাচ্ছে….মুখে রুমাল বাধা চোখে সাইনগ্লাস….তিশা ভ্রু কুঁচকে বললো..!!

—-কে আপনি??

লোকটা যেন শকড হলে….তবুও নিজেকে সামলে বললো……

—-আমি তোমার ভালবাসা মাই লাভ..!!

তিশা’র হাত থেকে আইসক্রিম পড়ে গেলো….রাগী দৃষ্টিতে বললো……

—-আর ইউ ম্যাড??পুরান পাগল ভাত পায়না….নতুন পাগলের আমদানি….এই ওয়েট আপনি কি ডক্টর??

অজানাঃ ইয়েস মাই লাভ ডক্টর অজানা..!!

তিশা চোখ মুখ খিচে বললো…….

—-এখানে কি চাই??কেন এসেছেন এখানে??

অজানাঃ তোমাকে চাই তোমার জন্য এসেছি..!!
.
.
.
.
.
.
তিশা নিচু হলো ডাল উঠাতে….ওটা দিয়ে অজানা কে পেটাবে….এটাই ওর ইচ্ছে তাকিয়ে দেখলো নেই……

তিশাঃ আরে এই ব্যাটা গেলো কোথায়??ওহ বুঝেছি ভয় পেয়ে পালিয়েছে….আর এই রুপ কোথায় গেলো??

তিশা হাটতে হাটতে চলে আসে….এসে দেখে রুপ আসছে….তিশা গিয়ে রুপ কে কিল মারে..!!

রুপঃ কি হলো মারলি কেন??

তিশাঃ কোথায় গিয়েছিলি??

রুপঃ পানি খেতে গিয়েছিলাম……

তিশাঃ ওইতো ভাইয়া এসেছে যাই রে..!!

এরপর রুপ ওর বাড়ি….আর তিশা নিজের বাড়ি চলে আসে……

রাত ১ টা বাজে সারা শহর ঘুমে….ঘুম নেই শুধু কয়েকজনের….তার মাঝে সম্রাট একজন….যাকে এই মুহূর্তে হিংস্র বাঘ লাগছে….রাগে চোখ লাল হয়ে আছে….ঘাড়ের রগ সব ফুলে গিয়েছে….চোখ দিয়ে যেন আগুন পড়ছে….হাতে ধারালো ছুড়ি মুখে শয়তানি হাসি….আর সম্রাটে’র সামনের চেয়ারে….কলেজের সেই ছেলেটা….যে তিশা কে লোলুপ দৃষ্টিতে দেখছিলো….সম্রাট দাতে দাত চেপে বললো..!!

—-তোর সাহস হয় কি করে??আমার জান কে লোলুপ দৃষ্টিতে দেখিস??তোর এমন হাল আমি করবো….রাস্তার কুৃুকুরও তোর লাশ দেখে ভয় পাবে……

লোকটাঃ আমাকে ছেড়ে দিন বলছি..!!

সম্রাটঃ ইউ ব্লাডি রাস্কেল আই উইল কিল ইউ….এন্ড রাইট নাউ……

বলেই হাতে থাকা ছুড়িটা….লোকটার চোখের ভেতর ঢুকিয়ে দেয়….লোকটা গলা কাটা মুরগির মত ছটফট করছে….ছুড়িটা বের করে আরেক চোখে ঢুকিয়ে দেয়….এরপর ছুড়ি বের করে লোকটার ছোখে….পাশে থাকা গুড়া মরিচ ছিটিয়ে দেয়….লোকটার বুকে ছুড়ি ঢুকিয়ে….সেখানেও গুড়া মরিচ দিয়ে দেয়….লোকটা ছটফট করতে করতে মারা যায়….মৃত দেহটা কে দেখে সম্রাট পাগলের মত হাসছে….আর সমস্ত শরীর ছিন্নভিন্ন করছে….সারা শরীরে গুড়া মরিচ ছিটিয়ে….গম্ভীর কন্ঠে বলে..!!

—-এটাকে রাস্তায় ফেলে দাও……

রিয়াজঃ ই ইয়েস ব ব বস..!!(বডিগার্ড)

সম্রাট ভ্রু কুঁচকে তাকায়….এরপর গাড়ি নিয়ে হনহন করে বেরিয়ে যায়….বডিগার্ডদের অবস্থা খারাপ….কারন সম্রাট এত ভয়ংকর ভাবে আজ অবদি….নিজের কোনো শএুকে মারেনি….মরে যাওয়ার পর গুড়া মরিচ দেয়….আর ওদের শুধু ছুড়ি পেটে নয়তো বুকে ঢুকিয়ে দেয়….গাড়ি নিয়ে সম্রাট বাড়ি চলে আসে….তিশা’র ছবির সামনে দাড়িয়ে বলে..!!

—-তুমি আমার জান….তোমার দিকে কেউ চোখ তুলে তাকালে….আর আমি যদি সেটা জানতে পারি….কসম আল্লাহর তাকে জানে মেরে দেবো….এতদিন ছিলাম The Villain….আর এবার থেকে#The_Villain_Lover……

বলে সম্রাট বাঁকা হাসে..!!

#To_Be_Continued….♣♣

[গল্পটা শুরু হয়েছে কাল….আর কাল থেকেই ইনবক্সে….কমেন্টে হামলা আপু হিরো কে??তাড়াতাড়ি বলেন হিরো কে??ওয়াট দ্যা হেল গাইস??একটু পেশেন্চ রাখতে পারছেন না??আচ্ছা আমি যদি এখনি বলে দেই….তাহলে কি টুইস্ট থাকবে??আস্তে আস্তে সব জানতে পারবেন….আর কয়েকজন বলেছেন….যে ১৬ বছরে তিশা কলেজে পড়ে??এতে অবাক হওয়ার কি আছে??আমি ১৬ বছরে ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে উঠেছি….১৭ বছরে সেকেন্ড ইয়ারে….আর এখন আমার বয়স ১৮….আমি এবার HSC candidate ২০২০ এর….আই হোপ বুঝতে পেরেছেন….]

The_Villain_Lover Part_1

0

The_Villain_Lover
Part_1
#Writer:#Tisha_Islam_Nabila

ফ্যামিলির সাথে ঘুরতে এসেছে তিশা….সবসময় নিজের ফ্যামিলি কে কাছে পেলেও….একসাথে ঘুরতে আসা খুব কম হয়…. তিশা’র বয়স মাএ ১৬ বছর…. এবার ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে….৩ ভাইয়ের এক বোন তিশা….বাবা শহরের নামকরা বিজনেস টাইকুন….মা একজন উকিল….ভাইদের নাম নীল, আবির, অভি…. তিশা সবার ছোট তাই খুব আদরের…. ৩ ভাইয়ের কলিজা তিশা….তিশা কে কখনো কষ্ট পেতে দেয়না….কখনো যদি তিশা ব্যথা পায়ও….মনে হয় ওরা ব্যথা পেয়েছে….ঘুরতে এসে তিশা’র আনন্দের শেষ নেই….গাড়ি থেকে নেমে এদিক ওদিক ছুটছে….!!

নীলঃ মিষ্টি কলিজা এভাবে ছুটছো কেন??

অভিঃ এভাবে ছুটাছুটি করে না বোন….তুমি পড়ে গেলে ব্যথা পাবে……

আবিরঃ এখানে এসে বসো মিষ্টি..!!

আবির তিশা কে মিষ্টি বলে….নীল মিষ্টি কলিজা বলে….অভি বোন বলে ডাকে……

আরশাল চৌধুরীঃ তুমি যদি ব্যথা পাও….তাহলে ব্যথা তোমার ভাইয়েরা পাবে….সো এখানে চলে এসো কাম মামনি…!! (তিশা’র বাবা)

তিশাঃ নো পাপা ইটস নাইস প্লেস…. আই জাস্ট লাভ ইট…. আমি এখানে আরেকটু থাকি??

আবির, অভি আর নীল গিয়ে….তিশা কে নিয়ে বসিয়ে দেয়….তিশা গাল ফুলিয়ে রেখেছে….তিশা কে একদম পিচ্চি লাগছে….একটা লাল টি শার্ট গায়ে….আর লাল লং স্কার্ট….মুখে তেমন সাজ নেই….শুধু হালকা লাল লিপস্টিক….গলায় লাল একটা স্কার্ফ….মাথায় বাচ্চাদের মতো ব্যান্ড দেয়া….যার দুই সাইডে পুতুল ঝোলানো….চোখগুলো বড় বড়….আবির গিয়ে আইসক্রিম নিয়ে এলো….কারন আইসক্রিম আর চকলেট….এগুলো তিশা’র ফেবারিট….তাই রেগে থাকলেও….আইসক্রিম আর চকলেট পেলেই হলো….রাগ সাথে সাথে গায়েব….তিশা আইসক্রিম দিয়ে পুড়ো মুখ….একদম বাচ্চাদের মতো মাখিয়ে ফেলেছে….আবির, অভি আর নীল সাইডেই আছে….তিশা আইসক্রিম খেতে খেতে….পার্ক থেকে বাইরে চলে এলো….বাইরে এসে মনের সুখে আইসক্রিম খাচ্ছে….এরমাঝে হাটতে হাটতে রাস্তার মাঝে চলে এলো….রাস্তার মাঝে এসে তিশা হা করে তাকিয়ে আছে….কারন রাস্তার পাশেই একটা ছেলে….যার মুখে মাস্ক লাগানো….একটা লোক কে ছুড়ি দিয়ে একের পর এক….অনবরত আঘাত করে যাচ্ছে….আস্তে আস্তে লোকটা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো….লোকটা ছটফট করা বন্ধ করে দিলো….ঠিক তখনই সেই ছেলেটা….লোকটার শরীরে গুড়া মরিচ ছিটিয়ে দিয়ে….পাগলের মতো হাসতে হাসতে বললো..!!

—-হা হা হা বলেছিলাম না??আমার কথার অবাধ্য হবি না….তুই কি করলি??আমার কথা শুনলি না তাইনা??এবার মরতে হলো তো??আমার কথার অবাধ্য হলে তাদের অবস্থা….ঠিক এতটাই ভয়ংকর হয়…. কারন আমি দ্যা ভিলেন আমার নাম……

আর কিছু বলার আগেই….তিশা জোড়ে চিৎকার করলো….ছেলেটা সাথে সাথে চোখ মুখ লাল করে….তিশা’র দিকে তাকালো….কিন্তুু তিশা কে দেখে সব রাগ….এক নিমিষে যেন গায়েব হয়ে গেলো….তিশা চোখ মুখ খিচে রেখেছে….মুখের মধ্যে আইসক্রিম মাখা….সামনে কিছু কাটা চুল….ছেলেটা ঘোর লাগা দৃষ্টিতে দেখছে….তিশা’র চিৎকারে সবাই চলে এলো….ছেলেটা ওখান থেকে চলে গেলো….তিশা ওখানেই সেন্সলেস হয়ে গেলো….আবির, অভি, নীল তো পাগল হয়ে গিয়েছে প্রায়….তিশা কে নিয়ে তাড়াতাড়ি হসপিটালে গেলো..!!
.
.
.
.
.
.
এবার বলি কে এই ছেলে?? এর নাম সম্রাট খাঁন….মাফিয়া জগতের কিং সম্রাট খাঁন….যাকে মাফিয়া জগতের সবাই ভয় পায়….প্রত্যেকটা রাষ্টে যাকে একনামে চেনে সবাই….সম্রাটে’র বয়স ২৫ গায়ের রং ফর্সা….মায়াবী চোখ চোখের মনি হালকা নীল….যার জন্য বেশী ভাল লাগে….লম্বায় ৬.৩” লাল ঠোট….ঠোটের নিচে তিল….কিন্তুু এই সম্রাট কারো সামনে আসেনি….খুন করুক বা প্রেস কনফারেন্স করুক….অলওয়েজ নিজেকে কাভার করে রাখে….কেউ এই ব্যাপারে প্রশ্ন করতে পারেনা….কারন সম্রাট সেটা এলাও করে না….একবার একজন বারবার, জিগ্যেস করছিল….সম্রাট বারন করেছিলো বাট লোকটা….সে তো শুনবেই এটাই তার নিয়ত ছিলো….নিয়তের জন্য নিয়তি তাকে ছেড়েছে….লোকটাকে মরতে হয়েছে….সম্রাট ওখান থেকে বাড়ি চলে আসে….নিজের কাছের ছুড়িটা গরম পানিতে ছেড়ে দেয়….এরপর জোড়ে হাসতে থাকে….গরম পানির মধ্যে হাত দিয়ে….ছুড়িটা আবার উঠিয়ে নেয়….বডিগার্ডরা ভয়ে কাঁপছে….ধারালো ছুড়ি আর এটাই সম্রাটে’র মারার স্টাইল….ছুড়ি দিয়ে মারুক বা পিস্তল দিয়ে….মারার পর গুড়া মরিচ দিয়ে দেয়….ছুড়িটা ড্রয়ারে রেখে বেরিয়ে যায়….!!

এদিকে তিশা কে নিয়ে হসপিটালে এসেছে…. হসপিটালে এসে ডক্টরের কেবিনে ঢুকে যায়….ডক্টর কে দেখে অবাক হয়….কারন ডক্টর মাস্ক পড়া….আর চোখে কালো সাইনগ্লাস….কিন্তুু এটা নিয়ে ভাবার সময় ওদের নেই……

আবিরঃ ডক্টর আমার বোন কে দেখুন..!!

ডক্টরঃ কি হয়েছে ওনার??

নীলঃ দেখতে পারছেন না??আমার বোন সেন্সলেস হয়ে গিয়েছে……

ডক্টরঃ ওকে আমি দেখছি আপনারা বাইরে যান..!!

অভিঃ বাইরে কেন যাবো??

ডক্টরঃ বাইরে না গেলে দেখবো কি করে??

আবিরঃ আমাদের সামনেই দেখুন……

ডক্টরঃ ডক্টর এস আই মিন ডক্টর অজানা….নিজের মনোমত পেশেন্ট দেখো….সো প্লিজ আপনারা যান..!!

ওরা দাতে দাত চেপে বেরিয়ে যায়….এদিকে ডক্টর তিশা কে এক ধ্যানে দেখছে….যখন নিজের হুশ আসে তাড়াতাড়ি তিশা কে দেখে….তিশা’র হাতে একটা ইনজেকশন দিয়ে দেয়….একটুপর তিশা’র সেন্স আসে….সেন্স এসেই ডক্টর অজানা কে দেখে….আর দেয় এক চিৎকার….বেচারা ডক্টর তো থতমত হয়ে যায়….ওরা ভেতরে চলে আসে….আর ডক্টর কে রাগারাগি করে….ডক্টর দাতে দাত চেপে বলে……

—-এই মেয়ে চেচালে কেন??আমি কি তোমাকে কিছু বলেছি??
.
.
.
.
.
.
তিশা আমতা আমতা করে বলে..!!

—-আসলে আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম….তোমরা কেউ ছিলে না তাই….উনি আমাকে কিছু বলেনি….আমি বাড়ি যাবো ভাইয়া……

নীল তিশা কে কোলে নিয়ে….হসপিটাল থেকে বেরিয়ে আসে….তিশা’র মাথা থেকে বেরিয়ে গিয়েছে….যে ও কি দেখে সেন্সলেস হয়েছিলো….এদিকে ডক্টর অজানা বলে..!!

—-কি মেয়েরে বাবা??এত বড় মেয়ে কে কোলে নেয়া লাগে??পাগল নাকি??

এবার বলি ইনি অজানা কেন??কারন এনার নাম কেউ জানেনা….এই হসপিটাল ওনাদেরই….নিজেদের হসপিটালে ডক্টরী করে….সবাই ডক্টর অজানা বলেই চেনে….সব জায়গায় অজানা দেয়া….তাই সবাই ভাবে এটাই ওনার নাম….অজানা তো তিশা কে নিয়ে ভাবছে….তিশা কে নিয়ে বাড়ি চলে আসে….পরেরদিন তিশা কলেজে চলে আসে….গাড়ি থেকে নেমে এক দৌড়ে….নিজের বেষ্টু রুপে’র কাছে চলে যায়….রুপ তিশা কে দেখে বলে……

—-কালকে আসিসনি কেন??

তিশাঃ কালকে আমি ঘুরতে গিয়েছিলাম….আমি মাম্মা, পাপা ভাইয়ারা….জানিস অনেক মজা হয়েছে??

—-রিয়েলি বেবী??খুব মজা হয়েছে??

পিছনে তাকিয়ে দেখে শুভ….এই কলেজের র‍্যাগিং মাষ্টার….তিশা রেগে গিয়ে বললো..!!

—-তোমাকে বলেছি না??আমাকে বেবী বলবে না ফাজিল ছেলে….তোমাকে তো পেটানো উচিত…..

শুভ তিশা’র সামনে এসে বললো..!!

—-তা কে পেটাবে আমাকে??তোমার ওই ৩ ভাই??আমি জানি তুমি আমার কথা….ওদের এখনো বলোনি বলতে পারোনি….আর বলতে পারোনি কারন….তুমিও আমাকে ভালবাসো……

তিশা ভেংচি কেটে বললো..!!

—-আমার এত খারাপ সময়ও আসেনি….যে তোমাকে ভালবাসবো যত্তসব……

বলে রুপ কে নিয়ে চলে গেলো..!!

শুভঃ তুমি শুধু আমার বেবী….শুভ আহমেদে’র তুমি আর কারো না….তোমাকে পেতে সব করতে পারি….প্রয়োজনে খুনও করতে পারি তাছাড়া…..

বলে শুভ বাঁকা হাসলো….তিশা গিয়ে ক্লাস করতে লাগলো…!!

শুভ আহমেদ কলেজের সবার ক্রাশ….মেয়েরা শুভ বলতে পাগল….শুভ’র বাবা, মা নেই তাই একটু বখাটে টাইপ….বাবা, মা না থাকলে যেমন হয়….শুভ ওর চাচ্চুর কাছে থাকে….শুভ বড়লোক বাবার আদরের ছেলে ছিলো….আজ সব থাকলেও বাবা, মা নেই….তিশা কে ভালবাসে কিন্তুু তিশা বাসেনা……
.
.
.
.
.
.
ক্লাস শেষ করে তিশা বেরিয়ে আসে….কলেজের ক্যান্টিনে যায় খেতে….বার্গার আর স্যান্ডুইচ অর্ডার করে….যেই না হাত দিতে যাবে….ওমনি কেউ টান দিয়ে প্লেট নিয়ে যায়….তিশা রেগে তাকায় তাকিয়ে দেখে রিশান….রিশান মেয়েদের অলওয়েজ বিরক্ত করে….কিন্তুু আজকে ভুল জায়গায় হাত দিয়েছে….তিশা বসা থেকে দাড়িয়ে….রিশান কে ঠাস করে থাপ্পর মেরে বলে..!!

—-হাউ ডেয়ার ইউ রাস্কেল??তোর সাহস হয় কি করে??তিশা চৌধুরী’র খাবার নিস??তুই জানিস আমি কে??আমার ভাইয়ারা তোর কি হাল করতে পারে??ইউ হ্যাব নো আইডিয়া….দাড়া আমি এক্ষুণি কল করছি….তারপর দেখ তোর কি হয়??

তিশা ফোন বের করলেই রিশান নিয়ে নেয়……

রিশানঃ এবার কি করবি তুই??খুব অহংকার না তোর??দেখ আজ তোর কি করি..!!

বলতে বলতে রিশান কে কেউ ঘুসি মারে….তিশা তাকিয়ে দেখে শুভ….শুভ’র চোখগুলো লাল হয়ে গিয়েছে….মনে হচ্ছে রক্ত পড়ছে….শুভ ফোন নিয়ে তিশা কে দিয়ে দেয়….তিশা ওর ভাইয়াদের ফোন করে….এদিকে শুভ রিশান কে মারছে….মারতে মারতে অবস্থা খারাপ….কিছুক্ষণ পর আবির, অভি, নীল চলে আসে….ওদের দেখে শুভ রিশান কে ছেড়ে দেয়….অভি গিয়ে রিশান কে ওঠায়….এরপর কয়েকটা ঘুসি মেরে বলে……

—-তোর সাহস কি করে হলো??আমার বোন কে টাচ করার??তুই কি জানিস না ও কে??আমাদের বোন আরশাল চৌধুরী’র মেয়ে….তোকে তো জানে মেরে ফেলবো..!!

তিশা গিয়ে আটকিয়ে বলে……

—-ছাড়ো ভাইয়া ও জানোয়ার….বাট তোমরা তো ভাল….এরপর ও এমন কিছু করলে তখন জানে মেরে দেবো..!!

নীলঃ শুধু ও না কেউ যদি এই ভুল করে….তাকে জানে মেরে দেবো……

আবিরঃ আই হোপ সবাই জানো….আমাদের বোন আমাদের কলিজা….সো এই ভুল কেউ করো না গট ইট??

শুভ সহ সবাই ঢোক গিললো….ওরা ৩ ভাই তিশা কে নিয়ে বাড়ি গেলো..!!

শুভঃ জল্লাদের বোনে’র জল্লাদ ভাইরা….তাতে আমার কি??আমি তো আমার তিশা কে চাই….যে কোন মূল্যে তিশা আমার……
.
.
.
.
.
.
সম্রাট নিজের রুমে বসে আছে….তিশা’র ছবিসহ সব ইনফরমেশন….একদিনে কালেক্ট করে ফেলেছে….ছবির সামনে দাড়িয়ে মুচকি হেসে বললো..!!

—-ইউ নো ওয়াট??তুমি সেই মেয়ে যাকে নিয়ে এই সম্রাট….লাইফে ফার্স্ট স্বপ্ন দেখছে….সো তোমাকে আমার চাই….নিজের বুকে তোমাকে চাই….এই বুকের আগুন নেভাতে….তোমাকে আমার চাই জান……

বলে সম্রাট হাসতে লাগলো….এদিকে অজানাও তিশা কে নিয়ে ভাবছে..!!

—-কি আছে তোমার মাঝে??কেন ভাবছি তোমাকে নিয়ে??তোমার বাচ্চামো গুলো মনে পড়ছে কেন??তাহলে কি এটা ভালবাসা??

অজানা কিছুক্ষণ ভাবলো….এরপর লাফিয়ে উঠে বললো……

—-ইয়েস আই লাভ হার….আই লাভ ইউ পিচ্চি….ভালবাসি তোমাকে আমি….ভালবেসে ফেলেছি তোমাকে….তোমাকে আমার চাই খুব তাড়াতাড়ি..!!

#To_Be_Continued….♣♣

[চলে এলাম নতুন গল্প নিয়ে….গল্পটা সম্পূর্ণ কাল্পনিক….বাস্তবের সাথে মেলাবেন না….আগেই বলে নেই গল্পটা….রহস্য দিয়ে ঘেরা পুড়ো রহস্যময় গল্প….রহস্য, রোমান্স, মজা সব থাকবে…. আশা করি সবার ভাল লাগবে….??]