Thursday, July 10, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 1891



চারুর_সংসার পর্ব_১৪(অন্তিম পর্ব)

1

চারুর_সংসার
পর্ব_১৪(অন্তিম পর্ব)
#Wirtten_by_Nowshin_Noor

.
.
.
___আমি সব বলছি……সব বলছি….

চারুঃএইতো লাইনে এসেছো….তাড়াতাড়ি বলো….(আগ্রহ নিয়ে)

উনি সব কিছু বলতে শুরু করেন…….কিভাবে ওরা মেরেছিলো সব বলল।রকির কথাও বলল।সব শুনে রাগে আহানের চোখ লাল হয়ে যায়।

আহানঃঅপরাধ যখন করেছো শাস্তি তো পেতেই হবে।তবে ওই রকিকে আমি নিজ হাতে মারবো।(রেগে)
ডক্টরঃভুল হয়ে গেছে আমার।ক্ষমা করে দাও
আহানঃএকজন মানুষকে খুন করেছো আর বলছো ক্ষমা করে দিতে??????
ডক্টরঃ(নিচের দিকে তাকিয়ে আছে)

আহান পুলিশকে ফোন দিয়ে সবকিছু জানায়।পুলিশ ডক্টর কে ৪ বছরের সাজা দেয়।আর পুলিশ রকিকে খুজতে থাকে।।আহানও চারিদিকে মানুষ লাগায় রকিকে খুজতে।

এরপর চারু ও আহান বাসায় চলে যায়,,মা ও শবনমকে সবকিছু বলে।এসব শুনে দুজনেই কান্না করে দেয়।আস্তে আস্তে দুজনেই শান্ত হোন।

অন্যদিকে চারু ও আহান রুমে বসে আছে…..কারও মুখেই কোনো কথা নেই…..

আহানঃচারু কী সিদ্ধান্ত নিলে?
চারুঃকোন ব্যাপারে?
আহানঃডিভোর্সের ব্যাপারে?।
চারুঃসাইন কী করতেই হবে?

এই বলে চারু চলে যায়।আহান কথাটির কিছুই বোঝে না।

কিছুদিন পর রকিকে খুজে পায় পুলিশ।আহান নিজে ওকে মারতে চায়,কিন্তু পুলিশ তা দেয় না।পুলিশ বলে শাস্তি দিবে ওরা তাই আহানও আর কিছু বলেনা।রকির শাস্তি ৫ বছর কারাদণ্ড।আহান ভেবেছিলো নিজ হাতে ওকে মারবে কিন্তু পুলিশদের জন্য তা পারেনি।

এভাবেই কয়েকদিন চলে যায়, দুজন বেশি কথা বলে না।আলাদা দূরে দূরে থাকে

একদিন আহানের মা চারুকে ও আহানকে ডেকে বলেন…

মাঃতোদের বিয়ে তো ভালো কিরে আনুষ্ঠানিক ভাবে দেওয়া হয়নি। তাই আমি ভাবছি কী সবাইকে ইনভাইট করে তোদের বিয়েটা আবার দিবো!কী বলিস?

এই কথা শুনতেই চারু আহান দুজনের দিকে তাকায়।এরপর আহান বলে…

আহানঃমা তুমি যা ভালো বুঝ তা করো!
মাঃআচ্ছা?।



চারু ও আহান দুজনের রুমে চলে যায়।রুমে গিয়ে….

চারুঃডিভোর্স পেপারের কী হবে?
আহানঃআবার কী এক হওয়া যায় না চারুউউ?(চারুর হাত ধরে)
চারুঃহুমম!!!
আহানঃসত্যি!!

হঠাৎ চারু আহানকে জড়িয়ে ধরে বলে ভালোবাসি আপনাকে আহান?।আহানও বলল আমিও অনেক অনেক ভালোবাসি তুমাকে চারু।

এরপর চারু নিজেকে আহানের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিলো…

আহানঃকী হলো পালাচ্ছো কেনো?
চারুঃপালালাম কই??যা হবার সব বিয়েরদিন হবে অকে??
আহানঃআচ্ছা দেখা যাবে!(চোখ টিপ দিয়ে)

চারু দৌড়ে গিয়ে ডিভোর্স পেপারটি নিয়ে আসে…এনে আহানের সামনে টুকরো টুকরো করে ছিড়ে ফেলে।আহান হেসে দেয় চারুর কান্ডে!সে গিয়ে চারুর কাধে মুখ গুজে দিয়ে বলে….

আহানঃভালো যখন বাসতেই তাহলে ডিভোর্স কেনো চেয়েছিলে চারুপাখি?
চারুঃআমি চাইলাম আর আপনি দিয়ে দিলেন?
আহানঃআমিতো রাগে -অভিমানে দিয়েছি?।

বলেই চারুকে নিজের সাথে চেপে ধরে…নিজের ঠোঁট চারুর ঠোঁটে র দিকে আগাতে থাকে…চারু আহানের মুখ আলতো হাতে ধরে বলে…

___উহু!বলেছিলাম না বাসর রাতে।

___???বিয়ে হয়ে গেছে তো

___তবুও!

___হুহ??

আজ চারু ও আহানের বিয়ে।চারিদিকে শুধু হইচই।সবাই মিলে নাচ গান করছে।হই হুল্লোড় চলছেই।সব আত্মীয় স্বজন এসেছেন।অনেক বড় করে আয়োজন করা হয়েছে।চারু আর আহান দুজনেই অনেক খুশি।হ্যা চারু আনাফকে ভুলতে পেরেছে আনাফ ছিলো ওর অতীত।আর আহান এখন ওর বর্তমান তাই ও এখন আহানকে নিয়েই ভাববে।

চারুকে আজ অনেক সুন্দর লাগছে।বউ সেজে স্টেজে বসে আছে।আর আহান এক দৃস্টিতে চারুর দিকে তাকিয়ে আছে।অবশেষে তাদের বিয়ে সম্পুর্ন হলো?।

রাতে……..

আহানের রুমে বউ সাজে কয়েকজন চারুকে রেখে গেছে।চারু ঘুরে ঘুরে দেখছে রুমটি। খাটে লাভ শেপ আকা হয়েছে গোলাপফুল দিয়ে আর বিছানার চারিদিকে বিভিন্ন রকমের ফুল দিয়ে সাজানো।

হঠাৎ দরজা খুলার শব্দ শুনে চারু সামনের দিকে তাকায় দেখে বর বেশে আহান রুমে ঢুকছে। চারু গিয়ে আহানের পা ধরে সালাম করে।আহান ওকে বুকে তুলে নেয়।ওর কপালে চুমু খায়।এরপর ওকে কোলে নিয়ে বেডের দিকে এগিয়ে যায়,,ভালোবাসার সমুদ্রে দুজন ডুব দেয়?।

আহান তার ভালোবাসায় চারুকে পরিপুর্ন করবে আজ।

৫ বছর পর…..

আয়ানঃআম্মু লুপ আমাকে মেরেছে অনেক জোলে(কেদে কেদে)
চারুঃরুউউউউউউপ এদিকে আসো।
রুপঃহ্যা আন্তি বলো….
চারুঃতুমি নাকি আয়ান কে মারছো?
রুপঃনা ও আমাকে প্রথমে মেরেছে এরপর আমি ওকে মারছি?(মুখ ফুলিয়ে)
আয়ানঃনা ও আমাকে আগে মারছে….

দূর থেকে শবনম আর আহান এসব দেখছে আর হাসছে।।।শবনমের বিয়ে হয় আবিরের সাথে।রুপ হচ্ছে আবির ও শবনমের মেয়ে।আর আয়ান হচ্ছে আহান ও চারুর ছেলে।

ররুপ ও আয়ান সারক্ষন ঝগড়া-মারামারি করতেই থাকে।সাপে-নেউলে সম্পর্ক দুজনের!

আয়ান আহানের কার্বন কপি একদম বাপের মতো আচার আচরন।বাপ-ছেলে মিলে তো মাকে পচায়?।

হুম চারু এখন অনেক সুখী।স্বামী সন্তান কে নিয়ে অনেক ভালো আছে।নিজের অতীত ভুলতে পেরেছে?।

?সমাপ্ত?

[আমি জানিনা গল্পের এন্ডিং কিভাবে দিতে হয়।হয়তো কারোরই ভালো লাগবে না শেষ পর্বটি।যেরকম চেয়েছিলেন সেরকম দিতে পারিনি।পর্বটি দুইদিনে লিখেছি।জ্বর-সর্দিতে ভুগছি।বেশিক্ষন টাইপিং করলেই মাথা ব্যাথা চলে আসে।যা ভেবেছিলাম সব ভুলেই গেছি!তাই শেষ করে দিলাম গল্পটা।সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ গল্পটির সাথে থাকার জন্য এবং আমাকে সাপোর্ট করার জন্য।এই পর্বে অন্তত গল্পটু কেমন লেগেছে/পুরো গল্প পড়ে কেমন লেগেছে সেই কথাটি জানাবেন?।আপনারা চাইলে আমি #সিজন_২ দিতে পারি।নাহলে নতুন গল্প নিয়ে হাজির হবো]

আল্লাহ হাফিজ?

চারুর_সংসার পর্ব_১৩

0

চারুর_সংসার
পর্ব_১৩
#Written_by_Nowshin_Noor

.
?
.

আহান সন্দেহ করেছিলো রকিকে কিন্ত পরে সবকিছু ভুলে যায়।।।

(চারুর সাথে যার বিয়ে হয়েছে সে হচ্ছে আহান।)

বর্তমানে……..

চারু ডায়েরি টা হাতে নিয়ে বসে আছে। ভেবেই পাচ্ছে না কী করবে।কিছুক্ষন পর সে শবনমকে একটা ফোন দিলো—

চারুঃহ্যালো শবনম।
শবনমঃআপু,কী খবর।
চারুঃনা এইতো।আচ্ছা তোমরা ৩ ভাই-বোন তাই না??
শবনমঃহ্যা!
চারুঃআমার সব মনে পড়ে গেছে শবনম।এখন বলো আনাফের কী হয়েছিলো।আমার বিশ্বাস ই হচ্ছে না ক্যান্সার হয়েছে।আমি জানি এটা ষড়যন্ত্র।
শবনমঃতোমার সব মনে পড়ে গেছে?ওওয়াও! আমি ভাইয়াকে বলে আসি।
চারুঃনা না উনাকে বলার কোনো দরকার নেই।আমি তোমাকে যা জিজ্ঞেস করেছি তার উত্তর দাও।
শবনমঃআচ্ছা।হ্যা ক্যান্সার হয়ে মারা যায় ভাইয়া দুই বছর আগে।
চারুঃকিন্তু আমার মনে হচ্ছে ক্যান্সার হয়নি!
শবনমঃকিভাবে সম্ভব?ডক্টর ই তো বলল…
চারুঃহস্পিটালের নাম বলো আমাকে…..আর ডক্টরের নাম বলো..
শবনমঃ*******।
চারুঃওকে আমি এখন রাখছি। পরে কথা হবে।

চারু শবনমের সাথে কথা বলে ফোন রেখে দেয়।

চারুঃআনাফকে খুন করা হয়েছে।আমি ১০০% সিওর।আমি ছাড়বো না একজনকেও যারা এই কাজ করেছে।(মনে মনে)

চারু আহান ফোন দেয়।আহান তখন।রুমে চারুর ছবিই দেখছিলো। চারুর ফোন পেয়ে ধরবে কী না ভাবতে ভাবতে কেটে যায় চারু আবার দেয়।এইবার আহান ধরে….

চারুঃহহহেলো!শুনছেন?
আহানঃহুউ বলো।ডিভোর্স পেপার পেয়েছো?
চারুঃহুম পেয়েছি।
আহানঃসাইন করেছো?(আগ্রহ নিয়ে)
চারুঃনা।
আহানঃকেনো?
চারুঃযে জন্য ফোন দিয়েছিলাম,আমাকে নিতে আসবেন?

আহানঃঅবাক হয়ে যায়….

আহানঃ২ দিন আগেই না আসতে চাইলা..এখন আবার চলে আসবে কেনো??
চারুঃকাজ আছে আমার…বেশি কথা বলেন আপনি।(ধমক দিয়ে)
আহানঃআচ্ছা বিকালে নিতে আসবো…রেডি থেকো।
চারুঃআচ্ছা।

চারু বিকেলে রেডি হয়ে আহানের অপেক্ষা করতে থাকে।আহান আসলে আহানের সাথে দু একটা কথা বলে দুজনে বের হয়ে যায় আহানদের বাসার উদ্দেশ্যে।

গাড়িতে…..

চারুঃআমাকে প্রথমেই সবকিছু জানালে কী হতো?
আহানঃকিসের কথা বলছো তুমি?
চারুঃআনফের কথা!আপনার অভিনয় সবকিছু?
আহানঃতুমার মনে পড়ে গেছে সবকিছু?(অবাক হয়ে)
চারুঃহ্যা….
আহানঃ…….

আর বেশি কিছু বলে না দুজন।আহানও কিছু জিজ্ঞেস করতে যায় না।দুজনে বাসায় পৌছালে, শবনম এসে চারুকে জড়িয়ে ধরে….মা অনেক খুশি হন চারু আসায়…এবং চারুর সবকিছু মনে পড়ায়।চারু রুমে চলে যায়।গিয়ে দেখে আহান শুয়ে শুয়ে মোবাইল চালাচ্ছে।সে আস্তে করে ডিভোর্স পেপার টা টেবিলে রেখে দেয়।এরপর ফ্রেশ হয়ে আসে….

চারুঃআপনার সাথে কিছু কথা ছিলো…

আহানঃহুমম বলো….

চারুঃআনফের কী সত্যি ই ক্যান্সার হয়েছিলো?

আহানঃহ্যা!ডক্টর ই তো বলল…

চারুঃকিন্তু আমি জানি এটা মিথ্যা কথা…কেউ ষড়যন্ত্র করেছে মনে হচ্ছে আমার….

আহানঃবলো কী…(অবাক হয়ে)

চারুঃহুমম….আমি ওই হসপিটালে যাবো..এবং ডক্টরের সাথে কথা বলবো….

আহানঃআমিও যাবো তুমার সাথে…তবে কেউ যদি এমন করে থাকে তাহলে তো সত্যি টা তো বলবে না….

চারুঃদেখা যাবে…..

বিকালে দুজন হস্পিটালে যায় যেখানে আনাফের রোগ ধরা পড়েছিলো….যে ডক্টর ওর ট্রিটমেন্ট করেছিলো সেই ডক্টর কে খুজতে থাকে ওরা……খোজ নিজে দেখে এখানে নেই উনি শিফট হয়েছেন…….উনার বাড়ির ঠিকানা নিয়ে ওরা সেখানে চলে যায়……

বাড়িতে ঢুকে নক করে…….উনি দরজা খুল্লে ওদেরকে বসতে বলেন…..এরপর ওরা পরিচয় দেয়…..উনি অভিনয় করে বলেন……

____হ্যা ছেলেটা মারা গেলো অনেক কস্ট পেয়েছি আমি…ক্যান্সার বড়ই মারাত্মক রোগ….সবাইকে মেরে ফেলে….এই রোগ যেনো আমার শত্রুর ও না হয়….

আহানের মাথা গরম হয়ে যায় এমন কথা শুনে…..সে উঠে গিয়ে লোকটির শার্টের কলার ধরে বলে……

____খুব অভিনয় হচ্ছে না?আমার ভাইকে খুন করেছেও তোমরা….সব সত্য বলো….আর কে কে জড়িত ছিলো এসবের সাথে….সব বলো….নাহলে পুলিশের কাছে দিয়ে দিবো….

____শান্ত হোন….. কী বলছেন এসব….খুন হবেন কেনো উনি?উনার তো ক্যান্সার হয়েছিলো…

____মিথ্যা কথা….সব সত্যি বলে দে এক্ষুনি…. নাহলে ভালো হবেনা বলে দিলাম…..

____দেখুন আপনারা ভুল বুঝছেন….কোথাও একটা ভুল হচ্ছে আপিনাদের…..

আহান রেগে ডক্টরের নাকে এক ঘুষি মারে…..এতেই নাক থেকে গলগলিয়ে রক্ত বের হতে থাকে….. তবুও কিছুই স্বিকার করছে না….আহান পেটে একটা ঘুষি দেয়…ডক্টর টি ব্যাথায় কুকিয়ে উঠে……

একটু মার খেয়েই নাজেহাল অবস্থা উনার…এরপর উনি কোকাতে কোকাতে বলেন…..

___আমি সব বলছি……সব বলছি….

চারুঃএইতো লাইনে এসেছো….তাড়াতাড়ি বলো….(আগ্রহ নিয়ে)

উনি সব কিছু বলতে শুরু করেন…….

চলবে……

আমি অনেক অসুস্থ তাই কাল গল্প দেইনি+পর্বটি ছোট হয়েছে….সবাই দোয়া করবেন আমার জন্য…..

চারুর_সংসার পর্ব_১২

0

চারুর_সংসার
পর্ব_১২
#Written_by_Nowshin

.
?
.

আনাফঃচারু আমাকে ধরে নিয়ে একটু বারান্দায় দিয়ে আসো তো।
চারুঃআমি সব জেনে গেছি!আপনার খেল খতম আহান চৌধুরী (রেগে)
আনাফঃমানে কী বলছো চারু কিছুইতো বুঝতে পারছিনা–(মা ও শবনমের দিকে তাকিয়ে)
চারুঃপ্রচুরনাটক হয়েছে আর না।আপনার সিনেমায় অংশগ্রহণ করা উচিত।আপনার সবকিছু আমিজেনে গেছি!!!
আনাফঃ(কিছু বলছে না)
চারুঃকেনো করলেন এমন?কেনো?এই নাটকের মানে কী?
আনাফঃআমার পুরো কথা তো শুনো চারু…….
চারুঃআমি কিচ্ছু শুনতে চাই না…..

বলে চারু রুমে গিয়ে জুতা পড়ে হ্যান্ড ব্যাগ নিয়ে বাইরে চলেযায়।সে সিদ্ধান্ত নেয় এখানে আর থাকবে না।সে বের হয়ে আসে বাসা থেকে।শবনম আটকাতে গেলে হাত দিয়ে মানা করে দেয় চারু।কান্না করতে করতে বের হয়ে যায়।সে জানে না এখন কোথায় যাবে তবে বাসার সীমানা এখনো পেরোয় নি।

ফ্লাশব্যাক??………….

নীলিমাঃচারু আমি যে কথাটি বলবো সেটা হয়তো তুমি বিশ্বাস করবে না তবে এটাই সত্য!আমি তুমায় সব প্রমান দিবো!
চারুঃআচ্ছা বলো..
নীলিমাঃতুমি কী জানো আনাফ চোখে দেখে!ও তোমার সামনে অভিনয় করছি।এমনকি ওর নাম আহান।আনাফ ওর নাম নয়।সব অভিনয়,সব মিথ্যা,তুমার প্রতি ভালোবাসাটাও মিথ্যা!!!!
চারুঃনা আমি বিস্বাস করিনা।আনাফ কখনই এমন করতে পারেনা!(মুখে হাত দিয়ে)
নীলিমাঃজানতাম বিশ্বাস করবে না। মনে নেই সেদিন আন্টি আহান বললেন?তারপর দেখো এই ভিডিওটি দেখো!আর হ্যা তুমি ছাদের স্টোর রুমে যাবে সেখানে গেলেই সব বুঝতে পারবে এবং অখানে একটা ডায়রি আছে ওটা পড়লেই সব বুঝতে পারবে!!

নীলিমা একটি ভিডিও দেখায় যেখানে আনাফ নীলিমার সাথে হেসে হেসে হেটে আসছে।দেখেই বুঝা যাচ্ছে সে দেখতে পারিছে।চারু এটা দেখে কান্না করে দেয়।সে নীলিমাকে কিছু না বলেই শবনমদের কাছে যায়——

চারুঃমা আনাফ দেখতে পান তাইনা?
মাঃকী বলো।
চারুঃআর লুকাতে হবে না মা!আমি সব জেনে গেছি।কেনো করেছিলেন আপনারা এমন।মিথ্যা দিয়ে একটি সম্পর্ক গড়তে চেয়েছিলেন?শবনম?কী ভুল ছিলো আমার?বলো?উনার নাম আনাফ তাই না?আমি চলে যাচ্ছি ভালো থাকবেন।(কান্না করতে করতে)
মাঃচা….চারু,শুনো।শুনো!!!

শবনমঃআপু,আপু,প্লিজ্জজ না জেনে,না শুনে ভুল করনা।সব শুনে যাও।আপুউউউ!

চারু চলে যায়।এরপর আনাফের সাথে কী হলো উপরেই তো দেখলেন?।

বর্তমানে……

আনাফ মাটিতে বসে কান্না করছে বাচ্চাদের মতো করে—

আনাফঃচারু তুমিও আমাকে ভুল বুঝে চলে গেলে?কেনো পুরোটা না শুনে চলে গেলে?তুমার জন্যই তো আমি এসব করেছি।আমার কিছু করার ছিলো না।(কান্না করতে করতে)

শবনমঃযা হওয়ার হয়ে গেছে। যখন সব জানতে পারবে তখন এমনিই ফিরে আসবে।

অন্যদিকে চারু……

চারুঃআমি এখন কই যাবো?বাড়িতে তো যাওয়া সম্ভব না? তারচেয়ে যেয়ে উনাদেরকে বলি আমাকে বাড়ি পৌছে দিতে।

চারু আর কিছু না বলে বাসার দিকে যায়।সে আনাফের কাছে যায়—-

আনাফঃআমি জানতাম চারু তুমি আসবে!তুমি বসো আমি সব বলছি তোমাকে(কান্না মুছতে মুছতে)

চারুকে ধরতে গেলে চারু একপা পিছিয়ে গিয়ে বলে…

চারুঃডোন্ট টাচ মি!!!!!আমাকে আজই এই মুহুর্তে বাড়িতে দিয়ে আসবেন।এন্ড আই নিড ডিভোর্স। আমি মুক্তি চাই?।মিথ্যা দিয়ে একটি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা যায় না।
আনাফঃচারুউউউ…..
চারুঃআপনি দিবেন নে পৌছিয়ে? বেশ!আমি একাই বের হচ্ছি।
আনাফঃঅকে তুমি যখন চাচ্ছো আমি নিয়ে যাবো। চলো।আর হ্যা চিন্তা করো না ডিভোর্স দিয়ে দিবো।(শক্ত হয়ে)

চারুর হঠাৎ মনে পড়ে নীলিমা তাকে ডায়েরি র কথা বলেছিলো।হয়তো সেই ডায়েরিতে কোনো না কোনো রহস্য থাকবে তাই সে দৌড়ে চাবি নিয়ে ছাদে গিয়ে ডায়েরি টা নিয়ে আসে।এরপর ব্যাগে ঢুকিয়ে নে।








আনাফ চারুকে পৌছিয়ে দেয় চারুর বাড়িতে।গাড়িতে দুজন একটাও কথা বলেনি।আনাফ নিজেকে শান্ত রাখলেও ভিতরে ভিতরে কস্টের স্রোত বইছে।আনাফ গাড়িতেই থাকে ভিতরে যায়না।যাওয়ার সময় চারু একবারও পিছনে ফিরে তাকায়নি।আনাফও গাড়ি নিয়ে বাসায় ফিরে যায়।

চারু না জানিয়ে না বলে হঠাৎ চলে আসছে দেখে সবাই-ই ওকে অনেক কিছু জিজ্ঞেস করে।সবার একটাই কথা আনাফ চলে গেলো কেনো?বাসার ভিতরে আসলোনা কেনো?চারু কিছুই বলেনি!প্রশ্নগুলোকে এড়িয়ে নিজের রুমে সে চলে যায়।

অন্যদিকে আনাফ কান্না করতে করতে,ড্রিংক করে গাড়ি চালাচ্ছিলো!চোখে ঝাপসা দেখছিলো।হঠাৎ সে এক্সিডেন্ট করে।কেউ একজন হাসপাতালে ভর্তি করে ওর মা কে ফোন করে।উনারা দ্রুত হাসপাতালে যান। যদিও বেশি কিছু হয়নি একটু আধটু আঘাত পেয়েছে।শবনম চারুকে ফোন করে জানায় এক্সিডেন্ট করেছে আনাফ।চারু এটা মাথায় ই নেয়নি।সে অহহহ আচ্ছা বলে ফোন রেখে দেয়।কোনো দয়া-মায়া দেখায় না সে।অন্যদিকে আনাফ চারুর অপেক্ষা করে যে ওকে অসুস্থ শুনে আসবে।কিন্তু চারু তো আর আসে না!

দুইদিকে দুজনেই কান্না করছে।চারুর সবচেয়ে বেশি কস্ট হচ্ছে যাকে ভালোবাসলো সে ই অভিনয় করলো,মিথ্যা বলল!!!আনাফ ও চারু দুজনের আগের স্পেশাল মুহুর্ত গুলো মনে করতে থাকে।

দুইদিন পর………..





চারুর সেই ডায়েরির কথা মনে পড়ে সে ভাবে ডায়েরিটা পড়বে…..তাই ব্যাগ থেকে ডায়েরিটা বের করে।ডায়েরিটা পড়তে নিলেই কলিংবেল বাজে।চারু দরজা খুলে দেখে আনাফ ডিভোর্স পেপার পাঠিয়েছে।মন শক্ত করে ডিভোর্স পেপারে সাইন করতে যাবে তখনি মনে হয় ওর ডায়েরি টা পড়ে নেয়।

সে ডায়রিটা খুলে,,,প্রথম পাথায় লিখা…..

♥আমার চারু♥

এরপরের মাথায় আনাফের সাথে কয়েকটি ছবি যেগুলো চারুর মতে কখনই তারা তুলেনি!!চারু অবাক হয়ে যায়।এরপরে আরো অনেক অনেক কিছুলেখা!একদম শেষ পাতায় লিখা —-আমি জানি চারু যখন তুমি এই ডায়েরিটা পাবে তখন আমি তোমার থেকে অনেক দূরে অনেক!যেখান থেকে চাইলেও ফিরে আসা সম্ভব না!আমি আহানের কাছে রেখে গেলাম তোমাকে।আনাফ তুমাকে ভালো রাখবে।এই মোটেও কান্না করবে না!আহানের মাঝে তুমি আমাকে খুজে পাবে।ভালো থেকো।

সব চারু পড়ে এবং কান্না করে দেয়।সে মাটিতে বসে পড়ে।

চারুঃআ…..আনাফ?আমার সব মনে পড়ে গেছে।আনাফ কখনই মরতে পারে না।সব মিথ্যা সব।আনাফের ক্যান্সার হয়নি।সব মিথ্যা।আমি প্রমাণ করবো।(কান্না করে)

১ বছর আগে……….

রিমঝিম এক বৃষ্টির দিনে দেখা হয় আনাফের চারুর সাথে,প্রথম দেখাই ই চারুকে ভালোবেসে ফেলে আনাফ।এরপর কথা হয়,মারামারি -ঝগড়া।তারপর প্রেম শুরু হয় দুজনের।আনাফ রা ছিলো দুই ভাই। একজন আহান, একজন আনাফ।আনাফ সবার বড়।আনাফ ও আহান যমজ ভাই।আনাফ চোখে দেখতো না।সে-ই আনাফকেই ভালোবেসেছিলো চারু।এতদিম আনাফ নামে এবং অন্ধ হয়ে যে অভিনয় করেছে সে হচ্ছে আহান।পরিবারের সবাই-ই আনাফ ও চারুর সম্পর্কে জানতো!

তাদের মধ্যে রকি নামের ছেলেটি চারুকে ভালোবাসতো।তাদের প্রেম দেখে সে সিদ্ধান্ত নেয় আনাফকে মেরে ফেলবে কিন্তু কিভাবে???ভাবতে ভাবতে সে ষড়যন্ত্র করে।খুবই জটিল ভাবে।আনাফের একটা সমস্যা ছিলো মাথায় সেজন্য সে প্রতিমাসে ডক্টরের কাছে যেতো।সেবারও গিয়েছিলো আর রকি ডক্টরকে টাকার লোভ দেখিয়ে ফেইক রিপোর্ট বানিয়ে বলে যে ব্রেইন ক্যান্সার হয়েছে।আনাফ এসব শুনে কান্না
করে দেয়।সে সবাইকে জানায় শুধু চারু বাদে কারণ চারু এসব শুনলে কাদতে কাদতে মরেই যাবে।সবাইকেও নিষেধ করে যাতে চারুকে না জানায়।

এভাবে ইঞ্জেকশন মেরে আনাফকে অসুস্থ রাখে ডক্টর। কয়েকমাস পর বিষাক্ত ইঞ্জেকশন মেরে আনাফকে মেরে ফেলে তারা।আর জানিয়ে দেয় ক্যান্সারে মারা যায়।সবাই কান্নাগ ভেংগে পড়ে।আর সবাই জানতো এমনটাই হবে।আনাফের মৃত্যুর পর চারুকে জানানো হয়।চারু শুনে কান্না করতে করতে অনেকবার বেহুশ হয়ে।শেষ মেশ কেউই আটকাতে পারেনি চারুকে!চারু দ্রুত আনাফদের বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। আর যাওয়ার পথে এক্সিডেন্ট করে।মাথায় বড়সড় আঘাত পায় ফলেআগের সব স্মৃতি হারিয়ে ফেলে। অতীতের কিছুই মনে ছিলোনা তার।১ মাস পর সুস্থ হয় চারু।।তখন এসব কিছুই মনে নেই তার। নতুন করে সব শুরু করে চারু।









।।

মৃত্যুর আগে আনাফ আহানের হাত ধরে বলে যে—–সে যেনো চারুকে বিয়ে করে।চারুকে ভালোবাসে।চারুকে কস্ট না দেয়।চারু যেনো আহানের মাঝে আনাফকে খুজে পায়।সে তার নামটাই যেনো ব্যাবহার করে,এবং অন্ধ হওয়ার অভিনয় করে।

প্রথমে আহান মানা করলেও আহানের শেষ ইচ্ছা ভেবে সবকিছু ভুলে রাজি হয়।চারুকে আনাফ কখনই বলেনি যে ওর ভাই যমজ।চারু শুধু এটা জানতো যে আনাফের ভাই আছেএবং ১টি বোন। যমজ কি না সেটা জানতো না!!

আনাফের মৃত্যুর পর পুরো পরিবার স্তব্ধ হয়েছিলো!!তারাকিছুতেই মানতে পারছিলো না।প্রায় ২মাস লাগে সবকিছু স্বাভাবিক হতে।

আহান সন্দেহ করেছিলো রকিকে কিন্ত পরে সবকিছু ভুলে যায়।।।

(চারুর সাথে যার বিয়ে হয়েছে সে হচ্ছে আহান।)

বর্তমানে……..

চলবে……..

কেমন লাগলো এই পার্ট?এই পার্টটি লিখতে গিয়ে আমার নিজেরই মাথা ঘুরতেছিলো??।যা ভেবেছিলাম সব ভুলে গেছি!আমি আজ জানতে পারলাম যে আমার মাথায় এমন প্যাচ ঘুচ আছে?।

চারুরু_সংসার পর্ব_১১

0

চারুরু_সংসার
পর্ব_১১
#Written_by_Nowshin

.
?
.

এভাবে দুইদিন চলে যায়,,,,,,দেখতে দেখতে সেইদিন চলে আসে।এতদিন নীলিমা চারুর সাথে অনেক ভালো আচরণ করে।একদম নিজের আপন বোনের মতো।চারুও মনেকরে হয়তো ভালো হয়ে গেছে নীলিমা!!

রাত ১২ টায়,সবাই সব আয়োজন করে ফেলে চারুর বার্থডে র।এখন ১২ টা বাজার অপেক্ষায়!শবনম চোখ বেধে চারুকে নিয়ে আসে!১২ টা বাজতেই চারুর চোখ খুলে দেয় শবনম♥।সে সামনে তাকিয়ে দেখে আনাফ,নীলিমা,মা আছেন দাড়িয়ে।আর চারিদিকে বেলুন আর বেলুন।আর টেবিলে একটি বড় চকলেট কেক রাখা।সবাই চিৎকার করে বলল—-

__ Happy Birthday To You Charu❤❤

চারু অবাক হয়ে মুখে হাত দিয়ে কান্না করে দেয়।এরপর চারু সবাইকে জড়িয়ে ধরে।সবাই মিলে কেক কাটে।চারু সবাইকে খাওয়ায়।সবাই তাকে শুভকামনা করে!ফোন করে অরু,মামা,মামী চারুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানায়।চারুর আজ নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ মনে হচ্ছে❤।

সবাই চারুকে ছোট খাটো গিফট দেয়।নীলিমা চারুকে একটি বড় সুন্দর ডল উপহার দেয়,শবনম চারুকে অনেকগুলো চকোলেট দেয়।মা দেন একটি অত্যাধিক সুন্দর শাড়ি এবং কয়েকটি ড্রেস।আনাফ কিছু দিচ্ছে না দেখে শবনম বলে….

শবনমঃকীরে ভাইয়া তুই আপুকে কিছু দিবিনা?

আনাফঃহুম দিবো কিন্তু এজন্য চারুকে আমার সাথে যেতে হবে।
চারুঃআচ্ছা আমি আসছি!

আনাফ ও চারু হেটে সামনের দিকে যায়।কিছুক্ষন হাটতে হাটতে চারু সামনের দিকে তাকিয়ে দেখে।বিচের মধ্যখানে স্টেজের মতো করে বানানো হয়েছে আর চারিদিকে কেন্ডেল আর কেন্ডেল।বালির মাঝে ব্লাংকেট রাখা হয়েছে, আর চারিদিকে বালিশ রয়েছে।আর সামনে লিখা———Happy Birthday To U Charu?.

চারু হা হয়ে দাড়িয়ে আছে।মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না ওর!

চারুঃএগুলো আমার জন্য?
আনাফঃহ্যা তোমার পছন্দ হয়নি?
চারুঃখুবববব পছন্দ হয়েছে! অনেক সুন্দর!আমার অনেক ভালোলেগেছে।

দুজন সামনের দিকে আগাতে থাকে।মধখানে ব্লাংকেট দিয়ে যে স্টেজ টি বানানো হয়েছে সেখানে গিয়ে দাড়ায় দুজন।একদম কাছাকাছি দাড়িয়ে আছে দুজন।কোনো দুরত্ব নেই।হঠাৎ আনাফ হাটু গেড়ে বসে একটা রিং হাতে নিয়ে বলল….

___আই লাভ ইউ চারু।আই লাভ ইউ সো মাচ!

___আপনি কেনো?আই মিন অবশ্যই আপনি মানে এটা তো আমার করার কথা ছিলো।আমার প্লান ছিলো আমার জন্মদিনে আমি আপনাকে ভালোবাসি কথাটা বলবো।

___না এবার তো আমার পালা।

___(চারু কান্না করার মতো করে)

____কী ভালোবাসো না????

____না না না, অবশ্যই ভালোবাসি।ভালোবাসবো না কেনো??

____অহহহ অকেই।

আনাফ চারুর হাতে রিং পড়িয়ে দেয় আর চারু মুখে হাত দিয়ে হেসে বলে____Thankyou So Much.I’m So Happy?.

এরপর আনাফ চারুর একদম কাছে চলে আসে।চারু চোখ বন্ধ করে ফেলে।আনাফ হুট করেই চারুর ঠোঁটে কিস করে বসে।চারু আরো শক্ত করে চোখ বন্ধ করে ফেলে।আনাফ চারুর কোমড় জড়িয়ে ধরে চারুকে কিস করতে থাকে।

(ভাই এত্ত শখ কেন মানুষের রোমান্স দেখার,যান ভাগেন??)

এরপর দুজনে সবার কাছে যায়।আনাফকে চারুর হাত ধরে থাকতে দেখে তো নীলিমা জ্বলে উঠে। সে চুপচাপ সব সহ্য করে!

নীলিমাঃসব সত্য জানিয়ে দিবো আমি চারুকে!দেখে নিবো চারু কিভাবে ভালোবাসে তোমাকে আনাফ।(শয়তানি হেসে)

এভাবে কক্সবাজারের দিনগুলি কেটে যায় সবাই ঢাকায় ফিরে যায়।

চারু ও আনাফের ভালোবাসা আরো গভির হতে থাকে।মান-অভিমান,ঝগড়া-ঝাটি,ভালোবাসা-খুনসুটির মধ্য দিয়ে ১ মাস কেটে যায়।।

১ মাস পর…..

চারুঃওই শুনেন না?
আনাফঃহু বলো!
চারুঃকী করেন?
আনাফঃকিছু করছি না তবে এখন তোমার সাথে দুস্টামি করবো!??
চারুঃএই মোটেও না। আমি গেলাম(রেগে)

আনাফ আর কিছু বলে না হাসতে থাকে!আর চারু রান্না ঘরে চলে যায়।চারু রান্না করছিলো।সেখানে আনাফ গেলো।গিয়ে পিছন থেকে চারুকে জড়িয়ে ধরে।

চারুঃক্কে….কে!

চারুঃউফফফ আপনি আমি তো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।আচ্ছা আপনি উঠে আসতে গেলেন কেনো?আমাকে বলতেন আমি নিয়ে আসতাম।যদি পড়ে যেতেন?
আনাফঃউহুউউউউ!পড়তাম না পাখি!তুমি আছো না?
চারুঃহুহহহহ ঢং!!!!

আনাফ চারুর কাধে মুখ গুজে দেয়!চারু বলে–

চারুঃআচ্ছা আপনি না দেখে এগুলো কিভাবে পারেন??আমার তো মাঝেমধ্যে সন্দেহ হয়!
আনাফঃজানিনা!

আনাফ চারুর ঘাড়ে কিস করতে থাকে। চারুর কোমড় পর্যন্ত লম্বা চুল ছেড়ে দেয়।চারুর চুলে নাক ডুবিয়ে দেয় আনাফ।আর চারু তো অসস্থি ফিল করছে!

চারুঃছাড়ুন বলছি।দেখছেন না রান্না করছি।মা -শবনম হঠাৎ যদি এসে পড়ে তখন কী হবে ভাবছেন???

আনাফঃউহু কেউ আসবে না!

চারুঃহ্যা আপনাকে বলেছে!(হালকা রেগে)

আনাফঃআচ্ছা তোমাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করি?

চারুঃওকে।

আনাফঃআচ্ছা কখনো কী তুমি আমাকে ভুল বুঝে ছেড়ে চলে যাবে চারু?

চারুঃনা কক্ষনই না।তবে আমি জানি আপনি এমন কিছু করবেন না যাতে আমি আপনাকে ঘৃণা করি!

আনাফঃআমি যে এমন কিছু করে ফেলেছি চারু(মনেমনে)

হঠাৎ শবনম আসে সেখানে।

শবনমঃউহু,উহু(কেশে)

শবনম কে দেখে আনাফ চারুকে ছেড়ে দেয়।এবং দূরে সড়ে দাড়ায়।

শবনমঃকী কিচেন রোমান্স হচ্ছে?(চোখ টিপ দিয়ে)
আনাফঃএই পাকনি এসব কইথেক্কে শিখেছিস?
শবনমঃহিহিহিহিহিহিহিহিহি??।

সবাই মিলে গল্প করে কিছুক্ষন। এরপর আনাফ নিজের রুমে চলে যায়।হঠাৎ বাসার কলিংবেল বাজে। চারু গিয়ে দরজা খুলে দেয়। দেখে নীলিমা এসেছে।নীলিমা চারুকে জড়িয়ে ধরে কুশল বিনিময় করে।

দুজনে কিছুক্ষণ গল্প করে।

নীলিমাঃচারু আমি তোমাকে অতি জরুরি কিছু কথা বলতে এসেছি।যা তুমি জানো না এবং তুমাকে জানতেই হবে।

চারুঃহুম বলো দেখি তুমার জরুরি কথা।(শাড়ির আচলে ঘাম মুছতে মুছতে)






নীলিমা যা বলল তা শুনে চারু ধপ করে মাটিতে বসে পড়লো।সে অঝড়ো কাদতে লাগলো।এরপর চোখের পানি মুছে শবনমদের কাছে যায় তাদের সাথে কথা বলে গিয়ে তাদের সাথে কথা বলে সে আনাফের রুমে যায়।আর চারুর পিছু পিছু শবনম,মা যান উনারা অনেক ভয়ে আছেন!!!!!!

রুমে যেতেই আনাফ চারুকে বলে——-

আনাফঃচারু আমাকে ধরে নিয়ে একটু বারান্দায় দিয়ে আসো তো।
চারুঃআমি সব জেনে গেছি!আপনার খেল খতম আহান চৌধুরী (রেগে)
আনাফঃমানে কী বলছো চারু কিছুইতো বুঝতে পারছিনা–(মা ও শবনমের দিকে তাকিয়ে)
চারুঃপ্রচুরনাটক হয়েছে আর না।আপনার সিনেমায় অংশগ্রহণ করা উচিত।আপনার সবকিছু আমিজেনে গেছি!!!

চলবে……..

কেমন লাগলো আজকের পার্টটি??ভেবেছিলাম এই পার্টে সব প্যাচ খুলে দিবো!কিন্তু পারিনাই??।নেক্সট পার্টে সব খুইলা দিমু?।ইনশাআল্লাহ♥।

প্লিজ্জজ নাইস,নেক্সট কমেন্ট কইরেন না।গঠনমূলক মন্তব্য চাই?।

চারুর_সংসার পর্ব_১০

0

চারুর_সংসার
পর্ব_১০
#Written_by_Nowshin_Noor

.
?
.

নীলিমা শ্যুট করতে নিলেই কেউ একজন এসে নীলিমার হাত ধরে ফেলে এবং গান টান মেরে হাত থেকে নিয়ে নেয়!!!সে আর কেউ নয় চারুর পাস্টের একমাত্র ভিলেন রকি।রকি গান টান মেরে নিয়ে বলে–

রকিঃঅহহহ, নীলিমা তুমি মেরে ফেলবে ওকে?আমি যে ওকে ভালোবাসি।তুমি এককাজ করো চারুকে আমার হাতে তুলে দিয়ে আনাফকে নিয়ে নাও।
নীলিমাঃবেশ!!

চারুঃকে আপনি?(রেগে)
রকিঃআমি রকি চারু? মানে ১ বছরেই আমাকে ভুলে গেলে!
চারুঃনা চিনিনা আমি। নীলিমা প্লিজ্জজ আমাকে ছেড়ে দাও আমাকে আনাফের কাছে নিয়ে যাও প্লিজ!
রকিঃএইতো সুযোগ এই ফাকে আহানের কাছে চারুকে নিয়ে গিয়ে ওর কাছে ভালো হয়ে যাবো।(মনে মনে)

রকিঃনীলিমা এদিকে আসো তো।

দুজন আড়ালে গিয়ে কী যেনো কানাকানি করে।দুজনে হাইফাইভ করে।এরপর ফিরে আসে।এসে দেখে চারু অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে।আসলে চারু ভয়ে,চিন্তায় অজ্ঞান হয়ে যায়।তারা দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায় চারুকে।

???

অন্যদিকে,শবনমরা চারুকে আশেপাশে না পেয়ে খুজতে থাকে। অনেক খুজে কিন্তু কোথাও পায় না।আনাফ কে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করে যে চারু কী আনাফের কাছে?আনাফ না করে দেয়।তারা অনেক চিন্তায় পড়ে যায়, আনাফ কে কিভাবেই বা বলবে যে চারুকে খুজে পাচ্ছে না।শেষমেশ নীলিমাকে ফোন দেয় নীলিমা বানিয়ে বানিয়ে বলে যে সে এদিকেই আসছিলো আর হঠাৎ দেখে চারু অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। হয়তো কড়া রোদের জন্য এমন হয়েছে।হাসপাতালে আছে ও।হাসপাতালের নাম বলে নীলিমা।শবনমরা যায় সেখানে দ্রুত।

ডক্টরঃউনি তো আগেও একবার মাথায় আঘাত পেয়েছেন এখন আবার বড় সড় কিছু হতে পারে! সাবধানে রাখবেন উনাকে।
মাঃওকে।

(শবনমরা আসার আগেই রকি কিন্তু চলে যায়)

শবনম ও মাকে নীলমা একটু রুম থেকে বের হতে বলে।উনারা বের হতেই নীলিমা দৌড়ে চারুর কাছে যায়।

নীলিমাঃচারু প্লিজজজজজজ আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমি বুজতে পারছি এখন তুমিই আনাফের জন্য বেস্ট প্লিজজজজজ ক্ষমস করে দাও।মানুষ মাত্রই ভুল! আমিও একটিভুল করেছি ক্ষমা করে দাও আমাকে!
চারুঃহুমমমম!
নীলিমাঃক্ষমা করে দিয়েছো?
চারুঃহ্যা!

নীলিমা এসে চারুকে জড়িয়ে ধরে।চারু অবাক হয়ে যায়।তবুও বিশ্বাস করে!!!

হস্পিটাল থেকে চারুকে হোটেলে আনা হলো। চারু সুস্থ ই প্রায়।আনাফ এতক্ষনে জেনে গেছেই প্রায়। এরপর তো চারুকে অনেক বকেছে যে কেনো সাবধানে ছিলো না।একা একা গেলো কেনো এই সেই।

নীলিমা তার সাথে যা যা করেছে এই ব্যাপারে কাউকেই চারু কিছু বলল না এবং মাথা থেকে সেই ব্যাপার ঝেড়ে ফেলল!

রাতে……..

আনাফ ও চারু শুয়ে আছে পাশাপাশি।কারও চোখেই ঘুম নেই। দুদিনপরই চারুর জন্মদিন।চারুকে কী সারপ্রাইজ দিবে সেটা ভাবছে আনাফ। তখনি নীরবতা ভেংগে চারু বলে…….

চারুঃএই বাইরে যাবেন?
আনাফঃনায়ায়ায়ায়া!
চারুঃনা আমি যাবো আমাকে নিয়ে চলেন!
আনাফঃনা।
চারুঃআমি যাবো! আমি জানিনা।
আনাফঃচারু এমনিতেই তোমার শরীর খারাপ এখন বাইরে যাওয়ার কোনো দরকার নেই! চুপচাপ ঘুমিয়ে পড়ো!
চারুঃনা আমি যাবো।

অবশেষে চারুর জেদের ঠেলায় আনাফ চারুকে নিয়ে গেলো।চারু অবশ্য আনাফকে ধরে ধরে নিয়ে গেছে!

দুজন একটি দুলনায় বসে আছে।হঠাৎ চারু আনাফের বুকে নিজের মাথা রাখলো। আনাফ কিছুই বললো না সে শুধু চারুর চুলে হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো।তখনি আনাফ চারুকে বললো!

_ভালোবাসো কাউকে?
_হুম!
_কাকে????(অবাক হয়ে)
_আপিনাকে বলতে যাবো কেনো?
_হুহহহহহহ!
_আচ্ছা আপনি কী কাউকে ভালোবাসেন??
_হ্যাঃ)
_অহহহহ(মন খারাপ করে)

এরপর দুজন গল্প করলো!কিছুক্ষন হাটলো। তারপএর রুমে চলে গেলো।

আনাফ ভাবে কক্সবাজারেই চারুর জন্মদিন সেলিব্রেট করবে।এবং সে সব প্লান করে রাখে।চারুকে কিছুই জানায় না।সে চারুকে অনেক বড় একটা সারপ্রাইজ দিবে!!

এভাবে দুইদিন চলে যায়,,,,,,দেখতে দেখতে সেইদিন চলে আসে।এতদিন নীলিমা চারুর সাথে অনেক ভালো আচরণ করে।একদম নিজের আপন বোনের মতো।চারুও মনেকরে হয়তো ভালো হয়ে গেছে নীলিমা!!

চলবে……..

ভাবছেন চারুকে মারার সুযোগ পেয়েও নীলিমা চারুকে মারলো না?উল্টো বাচিয়ে দিলো?ভালো ব্যাবহার করলো!ক্ষমা চাইলো?পরবর্তী পর্বে সব বুঝতে পারবেন!রকিকে খুব ভালো ভাবে চিনতে পারবেন।রকি আসলে কে সে কী করেছে সব!

(রাতে বড় করে দিবো।পরের পার্টে রহস্য-প্যাচ খুলতে পারে!!!)

চারুর_সংসার পর্ব_৯

0

চারুর_সংসার
পর্ব_৯
#Written_by_Nowshin_Noor

.
?
.

চারু এইসব আর ভুলে যায়।|||||||পুরো পরিবার মিলে প্লান করে কক্সবাজার যাবে ১ সপ্তাহের জন্য।সবাই খুশি!সবাই পেকিং করছে।কিন্তু নীলিমা একটু বেশিই খুশি।পরশুদিন তাদের ফ্লাইট।চারু নিজের পেকিং শেষে করে আনাফের টা পেকিং করছে।

পেকিং করচিলো চারু আর গল্প করছিলো আনাফের সাথে।

চারুঃআচ্ছা নীলিমা কী যেন বলল!আপনি চোখে কী দেখেন নাকি না এসব!
আনাফঃমানেএএএ! নীলিমা এসব বলেছে?(রেগে)
চারুঃহ্যা।
আনাফঃআচ্ছা।
চারুঃআপিনাদের ছাদে যে ছোট স্টোর রুম রয়েছে সেটি….
আনাফঃতুমি অখানে গিয়েছিলে?(রেগে)
চারুঃহ্যা।
আনাফঃআর কোনদিন যদি তোমাকে ওই রুমে যেতে দেখেছি! আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না মনে রেখো।

চারুঃকী আছে ওই রুমে?যে আমি যেতে পারবো না!আমি তো ওইই রুমে যাবইইই যাবো।চাবি আমাকে খুজে বের করতেই হবে।(মনে মনে)

তখনি সেখানে শবনম আসে।

শবনমঃআপু এদিকে একটু আসো তো!একটু কথা আছে।
চারুঃআচ্ছা আসছি।

চারু শবনমের রুমে যায়।

চারুঃহুম বলো।
শবনমঃআপু তোমার কী আগের কিচ্ছু মনে নেই?
চারুঃনা তো!!মানে তুমি কী বলতে চাইছো?ভালো করে ক্লিয়ার করে বলো!
শবনমঃনা এমনিতেই বল্লাম।আচ্ছা আমি আসি আপু।

চারুঃএই,এই শবনম শুনো!!

শবনম চলে যায় সেখান থেকে।হঠাৎ চারুর মনে পড়ে আহান নামটার কথা!সে ভাবে আনাফকে জিজ্ঞেস করবে তাই রুমে চলে যায়।

???

চারুঃআচ্ছা আহান কে?
আনাফঃহু?
চারুঃআহান কে?
আনাফঃজানিনা!হয়তো কারো নাম হবে।তুমাকে কে বলেছে?
চারুঃমা-ই তো বললো আহান কোথায়।
আনাফঃকী জানি!হয়তো মা মজা করে বলেছে।
চারুঃহুউউউ!

চারু ভাবে হচ্ছেটাকে।আনাফ |আহান?অন্যদিকে সেই ছবি!নীলিমার প্রশ্ন?স্টোর রুমে যাওয়ায় আনাফের রাগ করা!!নিশ্চয়ই কোনো রহস্য আছে।

সবাই ঘুমিয়ে পড়ে একটু তাড়াতাড়ি কারণ কাল কক্সবাজারের উদ্দেশ্য রওয়ানা দিবে সবাই।

পরেরদিন সকালে…..

সবাই উঠে পড়ে তাড়াতাড়ি।চারু ও আনাফ ফ্রেশ হয়ে রেডি হচ্ছিলো।আনাফ চারুকে বলে যে তার চুল গুলো আচড়ে দিতে চারু প্রথমে পারবে না বল্লেও পরে রাজ্বি হয়ে যায়।চারু যত্ন করে আনাফকে চুল আচড়িয়ে দিচ্ছিলো হঠাৎ আনাফ চারুর কোমড় জড়িয়ে ধরলো আর চারু কেপে উঠলো।

চারুঃছাড়ুন বলছি!দেখছেন না চুল আচড়াচ্ছি।অসভ্য কোথাকার!
আনাফঃঅসভ্যতামির দেখলে কী?

তখনি নীলিমার উপস্থিতি ঘটে। নীলিমাকে দেখে চারু চুল আচড়ানো শুরু করে আর আনাফ চারুর কোমড় ছেড়ে দেয়।

আনাফঃরোমান্সের সময় সবসময় এই বেডি আইসা হাজির হয় যত্তসব(মনে মনে)

নীলিমাঃআরে চারু তুমি আনাফের চুল আচড়িয়ে দিতে পারছই না দাড়াও আমি দেই।আমার কাছে চিড়ুনি টা দাও।

চারু নীলিমার হাতে দেয়।যখনি নীলিমা আনাফের মাথায় হাত দিতে যাবে তখনি শবনম ডাক দেয় নীলিমাকে।

উফফফফ(নীলিমা)

নীলিমা চলে যায় আর চারু আনাফের ওয়াড্রবে হাত দেয় কী একটা খুজতে খুজতে।তখনি কাপড়ের চিপায় একটা লকেট পায়।যেটা সে অনেক আগে দেখেছে বলে মনে হচ্ছে কিন্তু কিছুতেই মনে করতে পারছে না অনেক ভাবলো তবুও মনে করতে না পেরে আনাফকে জিজ্ঞেস করলো———

চারুঃআচ্ছা দেখেন তো এই লকেট টা কার। আমার মনে হচ্ছে আমি কোথাও এটা দেখেছি কিন্তু কিছুতেই মনে করতে পারছিনা।
আনাফঃ_______________
চারুঃঅহহ হ্যা আমি ভুলেই গিয়েছিলাম যে আপনি দেখতে পারবেন না!সর‍্যি।
আনাফঃতুমি কী এটা আমার ওয়ার্ড্রব থেকে নিয়েছো?
চারুঃহ্যা!!

এটা শুনতেই আনাফ ছু মেরে চারুর হাত থেকে লকেট টি নিয়ে নেয়।

আনাফঃতুমি কেনো এগুলো দেখতে গেলএ?এটা কার এসব তুমাকে জানতে হবে না ওকে?
চারুঃপ্লিজ্জজ্জজ্জজ বলেন না এটা কার প্লিজ্জজ্জ!

আনাফ কিছু না বলে চলে যায়।আর চারু অবাক হয়ে যায়।লকেট টি কার আর সে কোথায় দেখেছে এসব ভাবতে ভাবতে তার মাথা ব্যাথা চলে আসে।

চারুঃনা আর ভাবতে পারছি না!!উফফফফ!

চারু আর কিছু না বলে চলে যায়।



সবাই বাসা থেকেবের হয় বিমানবন্দরের উদ্দেশ্য। সবাই পৌছে সব ঝামেলা শেষ করে সবাই প্লেনে উঠে।

প্লেনে♥

চারু ঘুমিয়ে গেছে আনাফের কাধে মাথা রেখে আর আনাফও বসে আছে চুপটি করে।আনাফ চারুর শান্তশিষ্ট ঘুমন্ত চেহারার দিকে তাকিয়ে আছে।হঠাৎ আনাফ আনমনেই চারুর কপালে ভালোবাসার পরশ একে দেয়।কেউ খেয়াল না করলেও নীলিমা ঠিকই খেয়াল করেছে।নীলিমা সারা পথ দুজনের দিকে কড়া নজর দিয়ে রেখেছে।এই রোমাঞ্চকর দৃশ্য দেখে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে নীলিমা।

নীলিমাঃআর বেশি দেরি নয় চারু তুমি মরতে।দেখবো আমার হাত থেকে তুমাকে কে বাচায়?(শয়তানি হাসি দিয়ে)

????

কক্সবাজার পৌছিয়ে……..

মোট ৩ টা রোম নেওয়া হয়েছে।একটিতে চারু,আনাফ।অন্যটিতে মা,শবনম।আর অন্যেকটিতে নীলিমা একা।

তারা পৌছাতেই প্রচুর বৃষ্টি হয়।থামার কোনো নাম নেই। তাই আজ আর ঘুরতে বের হওয়ার প্লান করে না তারা।

পরেরদিন………

সবাই বের হওয়ার প্লান করে।সবাই বিচে যাবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়।খালি আনাফ বাদে সবাই যাবে।আনাফের যেতে ভালো লাগছে না তাই সে যাবে না।সবাই আর জোর করেনা!

নীলিমাঃআচ্ছা আমি একটু পরে যাবো তোমারা চলে যাও।আমি কাজ শেষ করেই চলে আসবো।

সবাইঃআচ্ছা ঠিকাছে।।

???

সবাই বের হয়ে যায়।

সবাই বিচে পৌছায়।অনেক্ষন ঘুরাঘুরি করলো সবাই।তারা ভুলেই যায় যে নীলিমা এখনো আসেনি।শবনম ও মা ছবি তুলছিলো আর চারু অন্যদিকে দৌড়াতে থাকে।চারু দেখে সে উনাদের থেকে অনেক দূরে চলে আসছে এসব তোয়াক্কা না করে সে বালি দিয়ে এই সেই বানাতে লাগলো!!

????

হঠাৎ………

কেউ পিছন থেকে চারুর মুখ চেপে ধরে।চারু চিৎকার করতে নিলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে!




চোখ খুলতেই নিজেকে অন্ধকার রুমে আবিস্কার করে চারু।বুঝতে পারে তার হাত,পা,সব বাধা।সে সামনের দিকে তাকায় দেখে নীলিমা কপালে হাত দিয়ে, পায়ের উপর পা রেখে বসে আছে।আর হাতে একটি গান।

চারুঃনীলিমা তুমিইইইইই??
নীলিমাঃহ্যা আমি!
চারুঃকী চাও তুমি? কেনো এমন করছো তুমি আমার সাথে?
নীলিমাঃআমি আনাফকে চাই আনাফকে।তুমি আমার পথের কাটা হয়ে আছো।তুমি আমার সবচেয়ে বড় শত্রু!আমি তুমাকে মেরে আনাফের হবো।
চারুঃছি!ছি!নীলিমা তুমি এতো নিচু?লজ্জা করে না তোমার?খালি একবার এখান থেকে ছাড়া পাই আমি দেখ বে তোমার কী হাল করি আমি।(রেগে)
নীলিমাঃতুমি এখান থেকে ছাড়া পাবে কিভাবে ভাবলে?এখনি মৃত্যু হবে তুমার!বাই বাই ফরএভার (গান সামনে এনে শয়তানি হাসি হেসে)

নীলিমা শ্যুট করতে নিলেই কেউ একজন এসে নীলিমার হাত ধরে ফেলে এবং গান টান মেরে হাত থেকে নিয়ে নেয়!!!

চলবে………..

গঠনমূলক কমেন্ট না করলে চারুকে মেরে আনাফকে বিধবা বানিয়ে দিয়ে বজ্জাত নীলিমার সাথে বিয়ে দিবো কিন্তু??

চারুর_সংসার পর্ব_৮

0

চারুর_সংসার
পর্ব_৮
#Written_by_Nowshin_Noor

.
?
.

বিল পেয় করতে গিয়ে দেখে সব টাকা শেষে আরো অনেকগুলো লাগবে।নীলিমা যেগুলো সাথে করে নিয়ে এসেছিলো সেগুলোতে হবে না।এরপর আরো ১ ঘন্টা দাড়িয়ে টাকা আনিয়ে পেয় করে বাসায় আসলো। দুজনেই টায়ার্ড।

বাসায় এসে….

চারুঃবেশ মজা দেখিয়েছে!উফফ কী যে আনন্দ লাগছে না?।যখন দেখতে পারবে চুলে চুইংগাম তখন আরো ভাল্লাগবে!

নীলিমাঃকেনো যে মুখে আনছিলাম চারুকে নিয়ে শপিংমলে যাবো??।আমাকে নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরিয়েছে।বদের হাড্ডি?।

নীলিমা চুল আচড়াতে আচড়াতে হঠাৎ দেখে চুলে চুইংগাম রাগে তার মাথা ফেটে যাচ্ছিলো।

নীলিমাঃআমি নিসচিত এই কাজ অই মেয়েই করেছে।কত্ত শখ করে চুল বড় করেছি।না এর একটা হেস্তনেস্ত করতেই হবে ??।

নীলিমাঃচারুউউউউউউউউউউউউউউউ!
চারুঃকী কী?কী হয়েছে ঘরে কী ডাকাত পড়েছে?এভাবে চিল্লাছো কেনো?
নীলিমাঃচিল্লাছি কেনো????????আমার চুলে চুইংগাম কে লাগিয়েছি?
চারুঃআমি লাগিয়েছে!
নীলিমাঃকেনো(জোরে, চিল্লিয়ে,রেগে)
চারুঃবেশ করেছি!
নীলিমাঃতুমিইইইই বেশি বেড়ে গেছো।আমি এক্ষুনি গিয়ে আন্টিকে তোমার কুকর্মের কথা জানিয়ে দিচ্ছি(রেগে)

চারুঃহিহিহি!তেলাপোকা চিনো???
নীলিমাঃহ্যা…হ্যা…..তো..তো কী হয়েছে!(ভয়ে,তোতলিয়ে)
চারুঃ৪/৫ টা এনে শরিরে ছেড়ে দিবো??।
নীলিমাঃএএএএএইইইইইই ন্না নায়া

নীলিমা ভয়ে দৌড় দেয় আর চারু হাসতে হাসতে হাসতে শেষ।

নীলিমাঃকী সাংঘাতিক মেয়েরে বাবা।আর এখানে থাকা যাবে না কেটে পড়ি রে বাবা। উফফফফ?।

???

চারুর সেবা যত্নে আনাফের পা ঠিক হয়ে যায়।এভাবেই ১ সপ্তাহ কেটে যায়।আনাফ আর চারু অনেকটাই কাছাকাছি এসেছে এ কদিননে♥।

কিছুদিনপর……

নীলিমা আবার চারুদের বাসায় আসে কিছুদিন পর।নীলিমা, চারু,শবনম সবাই বসে আড্ডা দিচ্ছিলো!

নীলিমাঃআচ্ছা আসো আমরা একটা ট্রিপে যাই ফুল ফ্যামিলি অনেক মজ্জা হবে!কী বলো চারু,শবনম?
চারুঃউফফফফ জোস হবে?।
শবনমঃএকদম♥।

চারুঃআগে বাসার সবার সাথে তো কথা বলতে হবে নাকি?।
নীলিমাঃহ্যা?।

নীলিমাঃতুমি আমার কাছ থেকে আনাফকে কেড়ে নিয়েছো।আমিও আনাফের কাছ থেকে তুমাকে কেড়ে নিবো????।(মনে মনে)

নীলিমাঃশবনম তুমি একটু যাও তো এখান থেকে আমার চারুর সাথে একটু কথা আছে।
শবনমঃকী কথা?আমার সামনে বল্লে কী হয়?।
নীলিমাঃশবনম!!(চোখ রাংগিয়এ)
শবনমঃহুহ??যাচ্ছি?।

শবনম চলে যায়!

নীলিমাঃআচ্ছা চারু তোমার কী সত্যিই মনে হয় আনাফ চোখে দেখে নাঃ)

চারুঃমানেয়য়?

নীলিমাঃআনাফ কী আসলেই চোখে দেখে না!

চারুঃতুমি কী বলছো আমি কিছুই বুঝতে পারছিনা সব মাথার উপর দিয়ে যাচচ্ছে!! উফফফ?।আমাকে মা ডাকছে আমি গেলাম।

নীলিমাঃশিট?????।

চারু চলে যায় আর নীলিমা এখানেই থাকে!চারু মায়ের কাছে যায়❤।

চারুঃমা আমায় ডেকেছিলেন??
মাঃহ্যা!আচ্ছা আহান কোথায়?
চারুঃমানে আহান কে?
মাঃম…..মা…..নে আ…নাফ?।
চারুঃঅহহহ??উনি রুমে আছেন।

চারুর মাথায় ঘুরতে থাকে আনাফ কে?কিছুক্ষন পর ভুলে যায়।চারু ভাবে এ বাড়িতে আছে অনেকদিন কিন্তু ছাদে যায় নি এখনো!ভাবে আজ ছাদে যাবে♥।

চারু ছাদে যায়। ছাদ টা অনেক সুন্দর ছিলো।চারুর মন ভরে যায়?।চারু হাটছিলো কিছুদুর যেতেই দেখে একটা রুম সেখানে স্টোর রুমে মতো।সে আগ্রহ নিয়ে সেখানে যায়।দরজা খুলতে যাবে দেখে লক করে মানে তালা লাগবে?।

চারুঃউফফফ??‍♀।আমি এখন চাবি কই পাবো?

চারু সেখান থেকে আসতে নিলে দেখে দরজার নিচে কিছুএকটা পড়ে আছে!সে সেটা তুলতেই দেখে একটি ছবি।সেখানে আনাফের ছবি আছে অদ্ভুত হচ্ছে গিয়ে দুটো ছবি আর দুটোই আনাফের।যদি বুঝা যেতো যে একই ড্রেসে তাহলে মানতাম।কিন্তু দুই ড্রেসে দুজন আনাফ।চারুর মাথা ঘুলিয়ে আসছিলো সে দৌড়ে ছবিটি যেভাবে দরজার নিচে ছিলো সেভাবে রেখে চলে যায়।

চারুঃউফফফ এখানে আর কিছুক্ষণ থাকলে আমি পাগল হয়ে যেতাম। কিন্তু কিছু তো রহস্য আছে?।

চারু এইসব আর ভুলে যায়।|||||||পুরো পরিবার মিলে প্লান করে কক্সবাজার যাবে ১ সপ্তাহের জন্য।সবাই খুশি!সবাই পেকিং করছে।কিন্তু নীলিমা একটু বেশিই খুশি??।পরশুদিন তাদের ফ্লাইট।চারু নিজের পেকিং শেষে করে আনাফের টা পেকিং করছে।

চলবে…….

জানি পার্ট টা সুন্দর হয়নি।মাথায় কিছুই আসছেনা। মাথায় খালি গল্পের এন্ডিং ঘুরপাক খাচ্ছে??‍♀

চারুর_সংসার পর্ব_৭

0

চারুর_সংসার
পর্ব_৭
#Written_by_Nowshin_Noor

(সবারই একটা প্রশ্ন আনাফ কী চোখে দেখে?আবার অনেকে মনে করছেন আনাফ চোখে দেখতে পায়।যাই হোক মনে হতেই পারে।কারণ আমি বলছি যে আনাফ ল্যাপটপ চালাচ্ছে।[যারা চোখে দেখতে পায়না তারা কিন্তু বই পড়তে পারে এতদ্বারা বুঝায় ল্যাপটপ চালানো বেশ কঠিন কিচ্ছু না।]এবং আনাফ চারুকে সোফায় যেতে দেখেছে? এটা আমি লিখেছিলাম।এটা রহস্য!আসতে আসতে সব জানতে পারবেন।যেহেতু বেশিরভাগই বলেছেন গল্প বড় করতে আর অনেকে না বলেছেন।আমি গল্প বড় করবো।যাদের প্যাচ গুচ ভাল্লাগেনা তারা পড়বেন না জোর করবো না।অনেকে বলছেন বড় করবেন না বড় করলে পড়ত ভাল্লাগেনা,প্যাচ ভাল্লাগেনা। তাদের বলছি পড়বেন ন।আমার কী এত ঠেকা পড়ছে যে সময় নস্ট করে বড় করে প্যাচ দিয়ে লেখবো?আমি তো চাইলেই অগোছালো করর গল্পটা শেষ করে দিতাম!লিখি তো আপনাদের জন্য!আপনাদের থেকে উৎসাহ পাই ভালোলাগে লিখি!তো যাদের ভালোলাগে পড়বেন।প্যাচমুচ থাকবেই রহস্য থাকবেই??)

[আজকের পার্ট টা একটু ছোট হবে বেশি লিখতে পারিনি অনেক মাথা ব্যাথা ছিলো।আগের পার্টও ছোট করে দিছি কাল বড় করে দিবো ইনশাল্লাহ?]

.
?
.

আনাফের জোরাজোরি তে বিছানায় আনাফের পাশে গিয়েই শুয়ে পরলো চারু।মধ্যখানে একটা বড় আকারের কোলবালিশ রয়েছে কিন্তু হুম?।

সকালে♨

চারু ঘুম থেকে উঠে দেখে আনাফ এখনও ঘুমিয়ে আছে।নিজে উঠে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে মা,শবনমের সাথে নাস্তা করে।

অন্যদিকে……

নীলিমাঃচারুর বাচ্চা??।শয়তানের হাড্ডি। কাল আমার সাথে কী করলো??!!!আমার মুখে কালি লাগিয়ে দিলো!কাল সবার সামনে আমাকে অপমান হতে হয়েছে!কত্ত হেসেছে সবাই।তোকে তো আমি দেখে নিবো তুই আমার আনাফকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছিস?।আমি আনাফের সব সত্যি বলে দিবো দেখবো কিভাবে সংসার করো আনাফের সাথে।গেট রেডি বেবি!আমি আসছি তোমাদের সংসারে আগুন লাগাতে??।(শয়তানী হাসি দিয়ে)

???

আনাফ ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে বারান্ধায় বসে আছে।তখনি শবনম আসে সেখানে……

শবনমঃভাইয়া….
আনাফঃআরে শবনম! বল..
শবনমঃভাইয়া এভাবে আর কত দিন?(অসহায় দৃস্টিতে)
আনাফঃনারে,আর বেশিদিন নয়!১ বছর পুর্ণ হতে বেশিদিন নয়।ওই রকির জন্য আমাকে শাস্তি পেতে হচ্ছে।বিনা অপরাধে আমি শাস্তি পাচ্ছি।১ বছর পুর্ন হোক আমি ওই রকিকে তিলে তিলে মারবো(প্রচন্ড রেগে)
শবনমঃকুল ভাইয়া কুল?।
শবনমঃভাইয়া আপু যখন সব সত্যি জানতে পারবে তখন কী হবে বুঝতে পারছ কী হবে?
আনাফঃহ্যা রে কিন্তু কিচ্ছু করার নাই?।

চারু এদিকেই আসছিলো। অখান থেকেই সবকিছু শুনতে পেলো।রুমে ঢুকেই বলল…

চারুঃএই কিসের ১ বছর আরও কি যেনো? কী বলছিলে তোমরা?।আমাকে একটু বুঝিয়ে বলতো।
শবনমঃনা…..না কিচ্ছু না।
আনাফঃহ্যাঁ হ্যাঁ আমরা এমনিতেই গল্প করছিলাম
চারুঃহুম??।

????

বিকেলে…..

নীলিমা আসে চারুদের বাসায়।নীলিমাকে দেখে চারুর ওকে আরেকটু শিক্ষা দিতে মন চায়।তাই সব প্রিপারেশন নিয়ে রাখে।

নীলিমাঃআনাফ আমি শপিং এ যাবো বুচ্ছিস কিন্তু একা যাবো না চারু যাবে আমার সাথে প্লিজ্জ পার্মিশন দে প্লিজ প্লিজ প্লিজ প্লিজ।
আনাফঃওকে নিয়ে যা।আমার কোনো আপত্তি নেই?।
নীলিমাঃতুমি যাবে না চারু?
চারুঃহ্যা হ্যা।(জোরে হেসে)

হঠাৎ চারুর মাথায় শয়তানী বুদ্ধি আসে।সে বলে…

চারুঃঅবশই যাবো!তুমি বলেছো আর আমি না গিয়ে পারি? বলো?
নীলিমাঃহ্যা হ্যা?।

চারুঃকিছু খাবা নীলিমা?
নীলিমাঃকালকের ঘটনা মনে পড়তেই নীলিমা জোরে বলে এই না,না,, না খাবো না?

???

দুজন শপিং করতে চলে যায়।আর চারুর মাথায় ঘুরতে থাকে কিভাবে নীলিমাকে জব্দ করবে।মুখে চুইংগাম ছিলো চুইংগাম চিবোতে চিবোতে বিড়বিড় করছিলো হঠাৎ মাথায় দুস্টু বুদ্ধি চলে আসে।সে চুপিচুপি নীলিমার চুলে চুইংগাম লাগিয়ে দেয়?।

চারুঃবেডি বুঝ মজা অন্যের স্বামীর সাথে লুচ্চামী করিস না?এখন দেখ! না পারছি খুন করতে না পারছি কিছু বলতে!এখন বুঝবি চারু কী জিনিস কত প্রকার ও কী কী?।(মনে মনে)

দুজনে শপিংমলে ঢুকে….

নীলিমা বেছে বেছে ড্রেস কিনছিলো।আর চারু যেটা দেখছিলো সেটা দেখে বলছিলো এটা নেই এটা নেই নীলিমাও হ্যা বলছে কী আর বলবে বেচারি!

চারু শপিংমলের অর্ধেক ড্রেস কিনে ফেলে।নীলিমা না পারছে কিছু বলতে না পরছে সইতে।রাগে নীলিমার মাথা ফেটে যাচ্ছে তবুও কিছু বলছে না।

বিল পেয় করতে গিয়ে দেখে….

চলবে..♥

এগেইন সর‍্যি ছোট করে দেওয়ার জন্য প্রচুউউউউর মাথা ব্যাথা ইচ্ছা ছিলো বড় করে লিখবো কিন্তু পারিনি???

চারুর_সংসার পর্ব_৬

0

চারুর_সংসার
পর্ব_৬
#Written_by_Nowshin_Noor

.
?
.

নীলিমার অনেক রাগ উঠে।আর অন্যদিকে চারু কফি বানাতে বানাতে মাথায় একটা বুদ্ধি এলো।সে নীলিমার কাপে ৪ চামচ মরিচ মিশিয়ে দিলো।

চারুঃব্যস! এবার বুঝবা চারু কী জিনিস।চারুর পিছনে লাগা না?

নীলিমা আনাফকে বেডে শুইয়ে চেক করছিল।এরপর কিছু ঔষধ লিখে দিয়ে নিয়মিত খেতে বলে।

__________________________________

নীলমাঃআচ্ছা তুই কিভাবে এরকম একটা গাইয়া,খেত,আন্সমার্ট মেয়েকে বিয়ে করলি?আমাকে বিয়ে করতি।নাহলে আমার মতো কাউকে বিয়ে করতি!
আনাফঃআমার সাথে চারু ই যায়।তোদের মতো কেউ আমার সাথে যায় না।তুই কী আমার মতো অন্ধ লোককে বিয়ে করতি?

উত্তরর নীলিমা কিছুবলেনা।চারু কফি নিয়ে আসছিলো আর তাদের কথা গুলো শুনতে পেলো।চারু অনেক কস্ট পায় নীলিমার এমন কথায়।

চারুঃলুচু মাইয়া।লজ্জা করে না!তোকে আমি দেখে নিবো নীলিমা না ফিলিমার বাচ্চা?।

চারু কফি নিয়ে রুমে যায়।এককাপ আনাফকে দেয় আর এককাপ নীলমাকে!নীলিমা চুমুক দিতেই——–

নীলিমাঃআহহহহহহহ কী ঝাল!উফফফ!আল্লাহ কেউ পানি দেও।কফি এত্ত ঝাল হয়????
আনাফঃচারু ওকে এনে পানি দাও।
চারুঃহ্যা হ্যা দিচ্ছি।

চারু গ্লাসে পানির বদলে ময়দা ঢুকিয়ে আনে।আর নীলিমাও ঝালের চোটে না তাকিয়ে মুখে দেয়!!

নীলিমাঃথু!থুউউউউউউ!

নীলিমা চারুর দিকে চোখ রাঙিয়ে তাকায়।আর চারু হাসতে হাসতে শেষ।চারু একটি টিস্যু এগিয়ে দেয় নীলিমার দিকে।নীলিমা রাগে গজগজ করতে করতে হাতে নেয়।নিয়ে নিজের মুখ মুছে।চারু আবারও হেসে দেয়।চারু হাসতে হাসতে লুতুপুতু খাচ্ছে।আর নীলমা অনেক রেগে গেছে সাথে অবাকও।আসলে ওই টিস্যু টি তে ছিলো কাজল লাগানো আর নীলিমার পুরো মুখের চারিদিকে কাজল লেপ্টে আছে তাই দেখে চারু হাসছে।

অন্যদিকে নীলিমা তো রেগে আগুন?।

নীলিমাঃথাকবইনা এখানে????।
আনাফঃআরে আরে নীলিমা শুন?।

নীলিমা চলে যায়।নীলিমা চলে গেলে আনাফ চারুকে জিজ্ঞেস করে কেনো এত্ত বেশি হাসছিলো তখন?চারু সবকিছু বলে,শুনে আনাফও হাসতে থাকে।

?????

রাতে……?

খাওয়াদাওয়া শেষে আনাফ বিছানায় শুয়ে আছে আর চারু ড্রেসিংটেবিলে বসে চুল আঁচড়াচ্ছে।

আনাফঃচারু কী করো?
চারুঃএইতো আয়নার সামনে চুল আচড়াই!
আনাফঃআমি যদি দেখতে পেতাম তাহলে কী করতাম জানো?
চারুঃকী করতেন?(ভ্রু কুচকে)
আনাফঃএসে তুমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরতাম এরপর তো…..
চারুঃহইছে হইছে আর বলতে হবে না লুচু কোথাকার?।

চারু লজ্জায় লাল হয়ে যায় আনাফের এমন কথা শুনে।আর আনাফ চারুর এমন কথা শুনে হাসতে থাকে।

এরপর চারু আনাফকে ঘুমিয়ে যেতে বলে নিজেও সোফায় ঘুমাতে যায়।চারুকে সোফায় যেতে দেখে আনাফ বলে—-

সোফায় যাচ্ছ কেনো।(আনাফ)
শুতে যাচ্ছি।(চারু)
না, সোফায় কেনো শুবে বিছানায় জায়গা থাকতে?(আনাফ)
না না আমি আপনার পাশে ঘুমাবো না?।(চারু)

আনাফের জোরাজোরি তে বিছানায় আনাফের পাশে গিয়েই শুয়ে পরলো চারু।মধ্যখানে একটা বড় আকারের কোলবালিশ রয়েছে কিন্তু হুম?।

????

পরেরদিন সকালে…….♥

চলবে♥…..

আপনাদের হাবভাবে মনে হচ্ছে ভালোলাগছে না।আমি কী আর ২/৩ পার্টে শেষ করে দিবো???মতামত অবশ্যই দিবেন☹।

কয়েকজন ছাড়া সবাই..Next,nc,nice!!এগুলো কী ভাই?আপনারা নেক্সট না বল্লেও আমি দিবো নেক্সট পর্ব!তাই বলছি গঠনমূলক কমেন্ট চাই??।

চারুর_সংসার পর্ব_৫

0

চারুর_সংসার
পর্ব_৫
#Written_by_Nowshin_Noor

.
?
.

চারুঃআচ্ছা তোমরা কথা বলো আমি আসছি।ও হ্যাঁ আবির তুমি কফি খেয়ে যেওয়।

এরপর আবির শবনমের সাথে কথা বলে চলে যায়।

চারু শবনমের রুমে যায়।ওখানকার বারান্দায় দাড়িয়ে আছে।

চারুঃআচ্ছা আবির কী আবার আমার কোনো ক্ষতি করতে এসেছে?ও কী চায়!না এখন তো শবনম কে ও ভালোবাসে।আমি ভুল ভাবছি।

কিছুক্ষণ পর সেখানে শবনম আসে।

চারুঃচা খাবে?
শবনমঃউমমম খাওয়া যায়।
চারুঃওকে তুমি বসো আমি নিয়ে আসছি।

চারু চা বানিয়ে নিয়ে আসে।চারু দুই কাপ চা বানায়।শবনম কে এক কাপ দেয়।আর নিজে এক কাপ নিয়ে দোলনায় বসে।চারু দোল খেতে খেতে চায়ে এক চুমুক দিয়ে বলে।

চারুঃশবনম ছেলেটা কে ছিলো?
শবনমঃআপু তুমি বেশ চা বানাও!আমার অনেক ভালোলেগেছে।
চারুঃশবনম তুমি কথা ঘুরানোর চেস্টা করছো।(চোখ রাংগিয়ে)
শবনমঃআমার ফ্রেন্ড ছিলো আপু আর কিচ্ছু না।একটা নোট নিতে এসেছিলে।বিলিভ মি!!
চারুঃশুধু ফ্রেন্ড? আর কিছু না?
শবনমঃ(নিচের দিকে তাকিয়ে আছে)
শবনমঃনা আর কিছু নায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া।
চারুঃআচ্ছা বুঝতে পারছি।(চারু বুঝতে পারে শবনম বলতে চাচ্ছে না।তাই আর জোর করলো না।)

দুজন মিলে কিছুক্ষন গল্প করে।এখন কথা হচ্ছে আবির কে?অকে পরিচয় দেই……

???

আবির হচ্ছে চারুর স্কুল-কলেজের ক্লাসমেট।আবির চারুকে ভালোবাসতো।কিন্তু চারুর এসবের প্রতি কোনো আগ্রহ ছিলো না তাই চারু ও রাজ্বি হয়না।তবুও আবির চারুর পিছনে ঘুরতো।একসময় ত্যাক্ত হয়ে রাগে জিদে আবির চারুর সাথে খারাপ কাজ করে।চারু ভয় পেয়ে এক সপ্তাহ যায়-ই না কলেজে।এরপর আবির চারুর কাছে ক্ষমা চায় এবং শবনমকে ভালোবাসে!

.
?
.

অন্যদিকে…..?

চারুঃমা আমায় ডেকেছিলেন??
মাঃহ্যা!আচ্ছা চারু আজ একবারও আনাফকে এদিকে আসতে দেখলাম না।কোথাও কী গিয়েছে?আর কোথাও গেলেও তো আমাকে বলে যেতো!
চারুঃআসলে……

চারু পুরো ঘটনা খুলে বলে উনাকে…….

মাঃবলো কী!তুমি আমাকে আগে বলোনি কেনো?আমি এক্ষুনি ডক্টর কে কল করছি।
চারুঃঅকে….

চারু রুমে যায় গিয়ে দেখে আনাফ চোখ বুজে শুয়ে আছে।

চারুঃঘুমিয়ে পড়েছেন?
আনাফঃনা না,এমনিতেই চোখ বুজে আছি?
চারুঃঅহহহ আচ্ছা?।
আনাফঃআচ্ছা কে এসেছিলো বাসায়?
চারুঃশবনমের ফ্রেন্ড!
চারুঃঅহহ হ্যাঁ মা ডক্টর কে কল করেছে এসে আপনাকে দেখে যাবে
আনাফঃওকে।

চারু আনাফের সাথে আরো কিছুক্ষন কথা বলে।এই সেই নিয়ে দুজন গল্প করছিলো?‍♀।

চারুঃএইইইইইইইইই কফি খাবেন?
আনাফঃহ্যা খাওয়া যায়।
চারুঃঅক্কে আমি বানিয়ে আনছি দুজন মিলে খাবো।
আনাফঃএই আমারটা তে চিনি কম দিও।একদম কম!আমি চিনি মোটেও পছন্দ করিনা?।
চারুঃওকে??(শয়তানি হাসি দিয়ে)

চারু কফি বানাতে চলে যায়।চারু ইচ্ছে করেই আনাফের কাপে ৩ চামচ চিনি দিলো যা আনাফের কাছে ৬ চামচের মতো। হাসতে হাসতে কফি নিয়ে গেলো আনাফের কাছে।আনাফ এক চুমুক দিতেই……

আনাফঃইয়াক!থুউউউ,,থু!এত্ত মিস্টি কে দিয়েছে?।এইরকম কফি কেউ খায়?
চারুঃহাহাহাহাহাজা(চারু হেসেই চলছে আনাফের এমন রিয়েক্সন দেখে)
আনাফঃচারুর বাচ্চচ্চচ্চচায়ায়ায়ায়া??

আনাফ একটা বালিশ নিয়ে চারুকে মারতে শুরু করে।

চারুঃআহহহহ লাগছে তো!
আনাফঃলাগুককককক

চারুও কম কিসে একটা বালিশ নিয়ে মারতে শুরু করে আনাফকে।দুজন দুজন কে বালিশ দিয়ে মারছে আর হাসছে।একপর্যায়ে চারু শাড়ীর আচলপায়ের সাথে প্যাচ লেগে যায়।আনাফকে আবার মারতে গেলে ঠাসসসসসসসস করে গিয়ে পড়ে আনাফের বুকে।চারু চোখ বন্ধ করে ফেলে। আনাফের হার্টবিটের ধ ধুকপুক শব্দ শুনতে পাচ্ছে সে।।চারুর গরম নিশ্বাস আনাফের মুখের উপর পড়ছে।চারু আনাফের গলা জড়িয়ে ধরে আছে।হঠাৎ আনাফ চারুর মুখের সামনে থাকা চুলগুলো কানের পিছনে গুজে দেয়।আনাফের স্পর্শে কেপে উঠে চারু?।চারুর থুতনি হাত দিয়ে ধরে সামনের দিকে নিয়ে আসছে আনাফ।চারুর শ্বাস বন্ধ হয়ে আসছলো।

হঠাৎ……..

কলিংবেল…….

চারু কলিংবেলের শব্দ শুনে ধড়ফড়িয়ে আনাফের বুক থেকে উঠে বলে…….

——আ….আ…মি দেখে আসি কে আসলো!!

????

চারু দরজা খুলে দেখলো একটি মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে শর্ট ড্রেস পড়ে।হাতে একটি ব্যাগ।

——এই মেয়ে তুমি এখানে কী করছো??আগে তো দেখিনি?
——আ…আমি চারু…..
——সরো তো আমি ভিতরে যাবো।

মেয়েটি চারুকে ধাক্কা দিয়ে চলে গেলো ভিতরে।চারু অবাক হয়ে যায়।

——–আনাফ,,আনাফ,,,কই রে তুই…..
——উনি উনার রুমে আছেন।
——আমি কী তোমাকে জিজ্ঞেস করেছি?যত্তসব ফালতু কোথাকার?।যাও নিজের কাজে যাও।

এমন কথা শুনে চারুর অনেক রাগ উঠে। মনে মনে ভাবে এই মেয়েকে একটা শিক্ষা সে দিবেই দিবে✊।

মেয়েটি আনাফের রুমে গেলো। চারুও পিছু পিছু গেলো।

????

——আররে আনাফ কী খবর?আন্টি বলল তুই নাকি পায়ে ব্যাথা পেয়েছিস।
——-তুই কখন আসলি নীলিমা?

নীলিমাঃএইতো মাত্র আসলাম।আচ্ছা আয় আগে আমি তোকে চেক করি।পায়ের যে কী অবস্থা করছিস।
আনাফঃআচ্ছা চারু তুমি যাও কফি নিয়ে আসও ৩ জন মিলে খাবো।
চারুঃআচ্ছা।

চারু কফি বানাতে চলে গেলো।কফি বানাতে বানাতে একটু আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলো সে মনে করতে থাকে আর লজ্জা পেতে থাকে।

অহ হ্যা নীলিমা?নীলিমা হচ্ছে আনাফের ছোট বেলার বন্ধু।দুজনে একসাথেই বড় হয়েছে বলা যায়।নীলিমা একজন ডক্টর।কিন্তু একটু বেশিই স্টাইল,অভার স্মার্ট।স্বভাব অতো ভালোও না।মনে মনে কিনন্তু আনাফকে পছন্দ করে????।

????

নীলিমাঃমেয়েটা কে রে???
আনাফঃআমার বউ।
নীলিমাঃমানে???তুই কখন বিয়ে করলি আর আমাকে একবারও জানালি না??
আনাফঃনারে হুট করে বিয়ে করেছি।পরে অনুশঠান করে আবার হবে তখন সবাইকে জানাবো।

নীলিমার অনেক রাগ উঠে।আর অন্যদিকে চারু কফি বানাতে বানাতেভমাথায় একটা বুদ্ধি এলো।সে নীলিমার কাপে ৪ চামচ মরিচ মিশিয়ে দিলো।

???

চলবে…….

পরের পর্বে একটু চমক আছে?।তাই এই পর্ব এতটুকু কারণ বেশি দিয়ে দিলে পরের পর্বের মজা চলে যাবে?