Monday, July 14, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 1518



তোমার জন্য সাইকো পর্ব-১৫

0

তোমার জন্য সাইকো
লেখক: নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_১৫
মুন রোদের ডাকে তাড়াতাড়ি আসে ।
রোদ মুনকে দেখে মুনের কাছে গিয়ে ওর চুলের মুঠি ধরে বলে।
রোদ: কোথায় গিয়েছিলে জান আবার কি অন্য কাউকে বিয়ে করতে গিয়েছিলে?
রোদের চুল ধরাতে মুনের খুব লাগছে
মুন: রোদ আমার খুব লাগছে প্লিজ ছাড়ুন ( নিজেকে ছাড়াতে)
রোদ মুনকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে
রোদ: খুব লাগছে তাইনা খুব কষ্ট হচ্ছে এর থেকে বেশী কষ্ট আমি পেঁয়েছি তার বেলায়।
মুন কিছু বললো না মুন জানে এখন রোদকে হাজার বললে ও রোদ শুনবে না তার থেকে রাগ কুমলে বলবে।
রোদ: এখন চুপ করে আছো কেনো কিছু বলো
আরও জোড়ে চেপে ধরে।
মুন: রোদ আপনি ফ্রেশ হয়ে আসুন
রোদ: একদম দরদ দেখাতে আসবে না তোমার মত মেয়েদের আমার খুব ভালো করে চিনা আছে তোমরা শুধু ছেলেদের ব্যাবহার করতে পারো।
বলে ধাক্কা দিল।
রোদ: যাও আমার জন্য কফি নিয়ে এসো।
মুন কিছু না বলে কফি আনতে যায়।
রোদ: এটা তো সবে শুরু

মুন কিচেনে গিয়ে দেখে মামনি কাজ করছে মুন পিছন থেকে ডাক দেয়
মুন: মামনি
রাইমা চৌধুরী কিছু না বলে নিজের কাজ করছিলেন
তখনই মুন রাইমা চৌধুরী কে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে
মুন: মামনি তুমি তো আমার উপর রাগ করো না আম্মু কে হারিয়ে আরেক আম্মু পাইছি এই আম্মু কে আমি হারাতে চাইনা
রাইমা:….
মুন: মামনি কিছু তো বলো এভাবে কথা না বলে থাকলে আমি তো মরে যাবো
রাইমা চৌধুরী এবার মুনের দিকে ফিরে বলে
রাইমা: আম্মু ভাবটিস তাই তো এত বরো ধোঁকা দিলি
মুন: মামনি বিশ্বাস করো আমি কিছু ইচ্ছা করে করিনি তুমি তো আমায় বিশ্বাস করো সব ওই
তখনই রোদের ডাক পড়ে
রাইমা: থাক আমাকে কিছু বলতে হবে না আগে রোদ কে মানা
মুন: হুম
মুন কফি নিয়ে রোদের কাছে যায়।
রোদ তো রেগে আগুন
রোদ: এতো দেরি লাগে
মুন তাকিয়ে দেখে রোদ রেডী হয়ে আছে।
মুন কিছু না বলে কফি টা দিতে গেলো রোদ কফিটা নিয়ে মুনের হাতে মারে।
মুন ব্যাথায় কুকড়ে উঠে
মুন: আআআআহহহহ
রোদ মুনের মুখ চেপে ধরলো
রোদ : একদম নাটক করবি না তোর নাটক দেখার টাইম আমার নেই । এবার থেকে দেরি করলে এর থেকে ও বেশি শাস্তি পেতে হবে ।
বলে রোদ চলে যায় ।
মুন ওখানে বসে কাদতে থাকে ।
মুন: আর কত কষ্ট দিতে পারো আমি ও দেখবি যতো খুশি কষ্ট দাও সব সহ্য করবো কিন্ত তোমার রাগ ভাঙিয়ে ছাড়বো।
মুন হাত টা ভালো করে উড়না দিয়ে দেখে নিচে যায় ।
রোদ বসে খাচ্ছে মুন যেই চেয়ার নিয়ে বসলো
রোদ উঠে গেলো
নিহাল চৌধুরী: কি রে উঠলো কেনো?
রোদ: যার তার সাথে বসে আমি খাইনা
রাইমা চৌধুরী: কিছু তো খেয়ে যা
রোদ: খাওয়া শেষ
নিহাল : আজ কিন্ত তোমাদের বিয়ের অনুষ্ঠান একটু পর লোক আসবে বাড়ি সাজাতে আজ কোনো ঝামেলা করো না সন্ধ্যায় অনুষ্ঠান
রোদ: হুম
বলে চলে গেলো।
রাইমা চৌধুরী ও কিছু না বলে উঠে গেলো।
নিহাল চৌধুরী কিছুক্ষণ বসে থেকে মুনকে বললো
নিহাল: পাপাই বলটিস সেই পাপাই কে এতো ছোটো করলি
মুন: পাপাই
নিহাল চৌধুরী উঠে গেলেন
মুন সেখান থেকে নিজের রুমে গিয়ে বাবা মার ছবি নিয়ে কাদতে লাগলেন
মুন: আব্বু আম্মু আজ যে আমার পাপাই ও আমাকে ভুল বুজলো আমি যে এটা মেনে নিতে পারছি। তোমরা থাকলে কত ভালো হতে তোমরা তো আমাকে কখনো ভুল বুঝতে না কেনো আমায় একা ফেলে চলে গেলো কেনো আজ নিজেকে খুব একা মনে হচ্ছে পারছি না আর এভাবে থাকতে ।

কিছুক্ষণ বাদে
বাড়ি সাজাতে লোক চলে আসলো।
খুব সুন্দর করে বাড়িটা সাজাচ্ছে ।
মুন নিজের ঘরে এখন ও আছে।
রাইমা চৌধুরী মুনের ঘরে এসে দেখে মুন ওর আম্মু আব্বুর ছবি নিয়ে শুয়ে আছে।
রাইমা চৌধুরী মুনের পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন
মুন জেগে উঠলো
মুন: মামনি তুমি
রাইমা: কেনো এমন টা করতে গিলি বলতো ওমন না করলে তো কেউ তোকে এভাবে কষ্ট দিত না
মুন এবার কেদে দিলো।
মুন: মামনি বিশ্বাস করো আমি ওকে বিয়ে করতে চাইনি ও আমাকে ভয় দেখিয়েছিল যে তোমাদের মেরে ফেলবে ( কেদে কেদে)
আমি চাইনি আব্বু আম্মু মতো তোমাদের ও হারাতে খুব ভালোবাসি তোমাদের ।
রাইমা চৌধুরী মুনকে বুকে জড়িয়ে নিলেন
রাইমা: আমার মুন বলছিল যে তুই আমাদের ধোঁকা দিতে পারিস না । আমাকে মাপ করে দে আমি তোকে ভুল বুঝছি
মুন: ছি মামনি তুমি কি বলবো তুমি তো আমার আম্মু আর মেয়ের কাছে কি মা মাপ চায়
রাইমা চৌধুরী মুনের কপালে চুমু খেল
তখনই নিহাল বলে উঠলো
নিহাল: আমাকে কি আমার মামনি ক্ষমা করবে
মুন: পাপাই ।
নিহাল: মারে তোকে তো আমি ও ভুল বুঝছি আমি কি করে ভুল বুঝলাম আমার মামনি কে ।
মুন: পাপাই বাদ দাও তো সব আমার কপালের দোষ
রাইমা: নারে দোষ আমাদের
বলে মুনের হাত ধরতে গেলে মুন ব্যাথায় আহহ করে উঠে
নিহল: কি হলো মামনি
নিহাল ভালো করে দেখে যে মুনের হাত কালো হয়ে আছে ।
রাইমা: কি রে মুন এটা কিভাবে হলো
মুন কিছু বললো না।
রাইমা: আমি বুঝতে পারছি এটা কে করছে আজকে রোদ বাড়ি আসুক
মুন: না মামনি তুমি ওকে কিছু বলবা না ও যে আমার স্বামী। আমর উপর ওর সম্পুর্ন অধিকার আছে ।
নিহাল: কিন্ত মামনি।
মুন: কোনো কিন্ত না রোদ এখন খুব রেগে আছে তাই এমন করছে কিন্ত ওর রাগ কুমে গেলে ঠিক ও অনুতপ্ত হবে।
রাইমা: তুই ওকে বলে দে ।
মুন: আমার কথা তো ও শুনতে চাচ্ছে না
নিহাল: আচ্ছা আমি ওকে বলবানে
মুন: না আমি বলবো আমার স্বামীর রাগ আমি ভাঙ্গবো
নিহাল: যা ভালো বুঝিস কর ( মুনের মাথায় হাত রেখে)
রাইমা: এখন কিছু খেয়ে নে আয় আমি খাইয়ে দিচ্ছি।
রাইমা চৌধুরী মুনকে খাইয়ে দিচ্ছে আর নিহাল মুনের হাতে ওষুধ লাগিয়ে দিচ্ছে।

বিকালে রোদ বাড়ি এসে দেখে মুন নেই
রোদ মুনের ঘরে গিয়ে দেখে মুন জানার কাছে দাড়িয়ে আছে।
রোদ মুনকে টেনে নিজের ঘরে নিয়ে আসলো
রোদ: আমার ঘরে থাকতে ইচ্ছা করে না । না করলে ও এই ঘরে তোমাকে থাকতে হবে ।
রোদ বাড়ির কাজের লোক কে ডাক দিয়ে বলে
রোদ: মুনের সব জিনিস আজ থেকে এই ঘরে থাকবে এখন গিয়ে সব কিছু নিয়ে আয়
চম্পা: জী ( কাজের লোকের নাম)
মুন: রোদ আমি নিজের ঘরে
আর কিছু বলতে পারলো না রোদ মুনকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে মুনের ঠোঁটে নিজের ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়।
কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দিয়ে।
রোদ: আমাকে উল্টা পাল্টা কিছু করতে বাধ্য করো না ।
রোদ ওয়াশরুমে গেলো ।
মুন কিছুক্ষণ দাড়িয়ে থেকে বাইরে চলে যায় সব সাজানো শেষ একটু পর লোক আসবে ।

রাইমা: কি রে তুই রেডী হতে যা একটু পর সব চলে আসবে।
মুন: যাচ্ছি
মুন উপরে গিয়ে দেখে রোদ রেডী হচ্ছে।
মুন: রোদ আপনার সাথে আমার কিছু কথা আছে ।
রোদ: বাড়ি লোক আসবে আমি কোনো স্ক্রিক্রেট চাইনা
বলে রোদ নিচে গেলো মুন আর কিছু না ভেবে রেডী হতে গেলো।
কিছুক্ষণ পর সব লোক চলে আসলো।
রোদ সবার সাথে খুব ভালো ভাবে কথা বলছে রোদের কিছু বন্ধুরা আসছে।

একটু পর মুন নামলো।
পিংক কালারের বেনারসি একটা সারী পরে কানে হাত ম্যাচিং সব কিছু ।মুনকে আজকে সেই অপ্সরার থেকে কম কিছু লাগছে না ।
রোদ ও ম্যাচিং করে পিংক সেরিয়ানী পড়েছে চুল গুলো জেল দিয়ে সেট করা।
হাতে ঘড়ি। পুরাই হিরো ( কেউ নজর নিবেন না তাহলে মুন সবাইকে মুন পাঠাবে)
রোদ তো মুনের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে ।
একটু পর মুন রোদের আসে এসে দাড়ালো।
রোদ মুনকে নিয়ে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিল।
সবাই ওদের কে দোয়া দিয়ে খাওয়া দাওয়া করে চলে গেলো ।

রাতে মুনকে ফুলের খাটের উপর বসিয়ে রাখা হয়েছে ঘর তাকে খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে।
চারিদিকে মোমবাতি দিয়ে সাজানো খুব সুন্দর লাগছে।
মুন সেই কখন থেকে রোদের জন্য অপেক্ষা করছে রোদ কে সব বলবে কিন্ত রোদের আসার নাম নেই।
এদিকে মুনের ও খুব ঘুম পাচ্ছে সারাদিন এর খাটনিতে।
মুন ঘুমিয়ে পরলো।

মুনের ঘুম ভেংগে যায় কারোর হাতের ছোয়ায়।
মুনের চোখ মেলতে নারাজ খুব কষ্টে চোখ মেলে দেখে রোদ ওর হাতে মলম লাগিয়ে দিচ্ছে।
মুন: রোদ আপনি
রোদ: হুশ একদম কথা না
মুন বুঝতে পারলো রোদ নেশা করেছে।
মুন: রোদ আপনি নেশা করেছেন
রোদ: হাম করেছি বেশ করেছি তোমার তাতে কি আমি যা খুশি করবো।
মুন: রোদ আপনি বসুন আমি আপনার জন্য তেতুল গুলা নিয়ে আসছি।
মুন উঠে যেতে গেলে রোদ মুনের হাত ধরে টান দেয়।
মুন: কি হলো ছাড়ুন।
রোদ: কেনো এতো দরদ আমার জন্য যা কেনো এত দরদ।
মুন: আমি আপনার স্ত্রী
রোদ: হা হা হা স্ত্রী তাই তো সেটা তো জোর করে তুমি তো অন্য কাউকে গিয়েছিলে বিয়ে করতে।
মুন: রোদ আমার কথা একটু শুনুন আরুশ।
অারুশ এর নাম শুনে রোদের মেজাজ খারাপ হয়ে যায়।
রোদ উঠে সব কিছু ভাঙ্গতে লাগে।
রোদ: আরুশ আরুশ আর আরুশ কি আছে ওর মধ্যে যা আমার মধ্যে নেই কেনো ওকে বিয়ে করতে গেলে আমার এতো দিনের ভালোবাসা তোমার কাছে কিছু না তোমাকে টাইম দিয়েছিলাম কিন্ত তুমি সেই টাইম এর কি করলে
হ্যা কি করলে আমায় ধোঁকা দিলে dame it
( চিৎকার করে)
মুন: রোদ একবার আমার কথা টা তো শুনুন।
রোদ: কি বলবে তুমি হা কি বলবে তুমি ওকে বিয়ে করে সংসার করবা ওর বাচ্চার মা হবা আর আমি দেবদাস হবো impossibe
তোমার উপর শুধু আমার অধিকার আর কারোর না বুঝছো ।
আজ আমি তোমাকে দেখাবো মানুষকে ধোঁকা দিলে কি হয়
বলে রোদ মুনকে টেনে বিছানায় নিয়ে গিয়ে অমানুষের মতো আচরণ করে।

সকালে
মুনের ঘুম ভেংগে গেল মুন ওয়াসরুমে চলে যায় ফ্রেশ হয়ে নিচে যায় রোদ এখন ও ঘুমিয়ে আছে

নিচে এসে মামনির কাছে যায়।

চলবে,

তোমার জন্য সাইকো পর্ব-১৪

0

তোমার জন্য সাইকো
লেখক: নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_১৪
রোদ মুনকে টেনে হিচড়ে নিয়ে ধাক্কা মেরে ফেলে দিল ।
রাইমা চৌধুরী নাহিল চৌধুরী কে খাবার দিচ্ছিলেন হটাৎ মুনকে এভাবে ফেলে দেওয়াতে ওনারা অবাগ হয়।
রাইমা: কিরে রোদ আজ আবার মুন কি করলো মেয়েটাকে অভাবে ফেলে দিলি কেনো( মুনের কাছে গিয়ে)
রোদ কিছু বলছে না
নিহাল চৌধুরী: রোদ এবার কিন্ত তুমি বেশি করছো । তোমাকে আমি আগেই বলেছিলাম
রোদ: কি বলেছিলে মুনকে যাতে কষ্ট না দি তাই তো আর আজ যে ও আমাকে কতো টা আঘাত করেছে তার বেলা কি হা । আজ আমি ওকে মেরেই ফেলবো।
রাইমা চৌধুরী: কি করেছে মুন
রোদ: কি করেনি সেটা বলো
নাহিল চৌধুরী: ওতো ভোমিতা না করে সোজা কথা বলো
রোদ: মুন আমাদের না জানিয়ে বিয়ে করতে গিয়েছিলো তাও আবার যে ছেলেটা ওকে বিরক্ত করতো সেই ছেলেটাকে
রাইমা চৌধুরী আর নিহাল চৌধুরী তো আকাশ থেকে পড়লো।
রাইমা: মা রোদ এসব কি বলছে।
মুন তো কেদে যাচ্ছে
রোদ: ও কি বলবে ওর কোনো মুখ আছে
নিহাল চৌধুরী: মামনি তোর যদি কোনো পছন্দ থাকত আমাকে বলতে পারতি। আমি কি তোর কেউ না তোকে যে আমি নিজের মেয়ের মতো ভালোবাসি।
মুন: পাপাই আমি
রাইমা চৌধুরী: তোর আর রোদের বিয়ে তো সেই ছোটো বেলা থেকে ঠিক হয়ে আছে তোর আব্বু রোদ কে পছন্দ করত আমরা ভাবছিলাম তুই ও রোদ কে কিন্ত তোর যদি কোনো পছন্দ থাকত আমাদের বলতি।
রোদ: কি বলবে তোমাদের আমার আর ওর বিয়ে ঠিক হয়ার পর ও এমন কেনো করলো । আজ আমার আর আমার স্ত্রী এর মাঝে কেউ আসবে না । ( রেগে)
রাইমা: স্ত্রী মানে
রোদ: মুনকে যখন আরুশ ধরে নিয়ে গিয়েছিল তখন আমার বডিগার্ড দেখে। মুনের পিছনে আমি অনেক আগে থেকে লোক লাগিয়ে রেখেছিলাম সেই আমাকে জানায়। আমার লোকেরা কাজী অফিসে যায় কাজী সাহেব কে বলে মুনের সাথে আমার বিয়ে করায় আর আরুশ কে একটা ফালতু কাগজে সাইন করাই ।আমি গিয়ে দেখি মুন সাইন করছে। আমি যাওয়ার পর আরুশ কে পুলিশ ধরে নিয়ে যায় । পরে আমরা বিয়ে করে আসি।
নিহাল চৌধুরী : আমাদের বংশে অভাবে কেউ বিয়ে করে না কিন্ত যখন করে ফেলেছো তোমাদের জন্য অনুষ্ঠান করা হবে সবাই আসবে তোমাদের দেখতে ।
রোদ: সে সব পরে আগে আমি আমার স্ত্রীর সাথে কিছু হিসাব মিলানো আছে ।
বলে মুনকে টেনে রুমে নিয়ে গেল।

পিছন থেকে রাইমা চৌধুরী ডাকলেন
নিহাল চৌধুরী: ছেলেটাকে আটকাও
রাইমা : আজ ওকে কেউ আটকাতে পারবে না খুব কষ্ট পেয়েছে আমার ছেলেটা।
নিহাল চৌধুরী চলে গেলেন
রাইমা চৌধুরী ওখানেই ওদের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলেন।

রোদ মুনকে নিজের ঘরে নিয়ে এসে বিছানায় ছুড়ে মারলেন।
রোদেকে আজ খুব হিংস্র লাগছে যে কেউ দেখে ভয় পাবে ।
মুন: রোদ প্লিজ আমার কথা টা একটু শুনুন আপনি যা ভাবছেন সেসব কিছু না
রোদ: কি সব কিছু না বলো ( চিৎকার করে)
আমার চোখে দেখা সব ভুল
তোমাকে বলেছিলাম এমন কিছু করো না যাতে আমার ধর্যের বাদ ভেঙ্গে যায় কিন্ত না সেটা তুমি করলে কি ভেবেছিলে আমার থেকে বেচে যাবে কখনো না মরবো তোমাকে নিয়ে আর বাঁচবো তোমাকে নিয়ে ।
আজ তুমি আমার আসল রূপ দেখবা
কথা বলে রোদ চলে গেলো
মুন ওখানে বসে কাদচে
মুন: রোদ আমার কথা একটু শুনুন আমি ইচ্ছা করে করিনি আমাকে যে করে হোক রোদকে বলতে হবে ।
একটু পর রোদ আসলো হাত সেদিনের মতো বেলেট আর মোমবাতি নিয়ে।
রোদ: সেদিন তোমাকে ছেড়ে দেওয়া আমার ভুল হয়েচিলো বুঝিনি তোমার কলিজা এতো বড়ো হবে ।
তুমি তোমার সাহস দেখিয়েছো এখন আমাকে তোমার সাহসের পুরষ্কার দিতে হবে।
বলে মুনের দিকে এগিয়ে গেলো।
মুন পিছিয়ে আছে
মুন: রোদ প্লিজ বিশ্বাস করুন আমি
রোদ মুনের উরনা টান দিয়ে ফেলে দিয়ে মুনের বুকে বেলেট দিয়ে নিজের নাম লিখতে লাগলো একটা সময় মুন আর সহ্য করতে না পেরে স্ন্সেলেস হয়।
রোদ মুনকে বুকে নিয়ে কাদছে
রোদ: কেনো মুন কেনো আমাকে এত কষ্ট দিলে আমাকে কি একটু ভালোবাসা যায় না ছোটো বেলায় তো বলতে আমায় ছেড়ে কখনো যাবে না তাও চলে গিয়েছিলে বড়ো হয়ে ও কথা দিয়ে রাখলে না কিন্ত আমি তোমাকে আর নিজের থেকে আলাদা করবো না তোমাকে আড়ালে ভালোবাসবো কিন্ত কষ্ট ও দেব বুঝাবো যে ভালোবাসার মানুষ কষ্ট দিকে কেমন আগে তুমি আমার কাছে থেকে ও আমাকে পাবে না ।
মুনের কপালে একটা চুমু খেয়ে নাম লেখা জায়গায় ওষুধ লাগিয়ে কিছুক্ষণ মুনের মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে রোদ চলে গেলো।

রাইমা চৌধুরী: মুনের জন্য আমার খুব ভয় করছে রোদ যা ক্ষেপেছে জানিনা কি করবে ।
নিহাল: সে তো আমার ও করছে। রোদ কথায় এখন?.
রাইমা: বাইরে গেছে
নিহাল: আর মুন
রাইমা: ঘরে আছে ।
নিহাল: কাল রোদ আর মুনের বিয়ের অনুষ্ঠান হবে রোদ আসলে ওকে জানিয়ে দিও।
রাইমা: কাল
নিহাল: হা কালকে আমার সব মানুষকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে আমি চাইনা মিডিয়াতে এটা অন্য ভাবে বের হোক তাই কাল
রাইমা: তুমি যেটা ভালো বোঝ

রোদ গাড়ি নিয়ে একটা ফাঁকা জায়গায় আসে
হাতে হুসকির বোতল একটু পর পর খাচ্ছে।
রোদ: মুন আমি এটা চাইনি আমি কখনো এটা চাইনি খুব ভালোবাসি তোমায় তোমাকে হারানোর কথা আমি স্বপ্নে ও ভাবতে পারিনি আমি এখন থেকে যা করবো তার জন্য তুমি দায়ী তুমি যদি ওটা না করতে তাহলে আমি কখনো এমন করতাম না bt i cannot give up i cannot Sacrifice তুমি আমার ছিলে আমার আছো আর আমার থাকবে ।
বোতলে চুমুক দিয়ে ।

বেশ কিছুক্ষণ পর রোদ গাড়ি নিয়ে বাড়ি যায়
বাড়ি গিয়ে দেখে মুন এখন ও অভাবে আছে রোদ মুনের দিকে তাকিয়ে জোরে ডাক দিল
মুন ধরপরিয়ে উঠলো
তাকিয়ে দেখে রোদ ওর দিকে কেমন করে তাকিয়ে আছে।
রোদ কিছু না বলে মুনের গলা চেপে ধরে
রোদ: কি ভেবেছিলি অন্য কারোর বউ হলে আমার থেকে মুক্তি পেয়ে যাবি কখনো না
তুই আমার ছিলি আর আমার থাকবি
মুনের তো দম বন্ধ হয়ে আসছে।

রোদ মুনকে ছেড়ে দেয়।
মুন তো কাশতে কাশতে শেষ।
রোদ মুনকে বিছানায় নিয়ে মুনের কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ে।
মুন রোদের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে ঘুমিয়ে পরে।

সকালে
মুনের ঘুম ভাঙ্গল মুন নিজের ঘরে যায় ফ্রেশ হতে ।

রোদ ঘুম থেকে উঠে মুনকে না পেয়ে জোরে ডাক দেয়।

চলবে,

তোমার জন্য সাইকো পর্ব-১৩

0

তোমার জন্য সাইকো
লেখক: নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_১৩

রুমা: কিরে মুন খারাপ কেনো?
মুন: ফাংশন হবে না তাই
রুমা: কি আর করবি বলতো আমাদের ও তো খারাপ লাগছে হেড স্যার যদি হটাৎ অসুস্থ না হতো তাহলে তো কিছু হতো bt কি করার
মুন: হা সেটাই

একটু পরে লামিয়া আসলো
লামিয়া: লুচু কোথাকার কি ভেবেছিলাম কি যা খুশি তাই করবে কেন রে আমি কি তোর বিয়ে করা বউ হু( রেগে)
রুমা: কি রে জিজু কি দিলো
লামিয়া: চুপ থাক শয়তান ছেমরি
মুন: ও তো ঠিক ই বলছে বলনা কি দিলো
লামিয়া: তোকে রোদ ভাইয়া কি দেয় বলতো
মুন: কিসের মধ্যে কি কথায় কোথায় শুধু রোদ আর রোদ
লামিয়া: খুব লাগছে তাইনা। তোরে রোদ যা দেয় আমার ও
(আর কিছু বলল না)
বাই দা জমিন কিছু মানে কিন্ত অন্য কিছু না জাস্ট কিসমিস। বেশি কিছু ভাবেন না
রুমা: আজ সিঙ্গেল বলে
মুন: রোদ তো শুধু আমায় ঝাড়ি বোকা থ্রেট এই ছাড়া জিবনে আর কি দেছে
বেরসিক লোক কোথাকার
লামিয়া: এই বদনময় গেবন আমি রাখমু না ( বদনা ময় জীবন)
রুমা: তোদের সাথে আমি আর থাকমু না সালা সব কয়টা তো করছে আর আমি বসে বসে মসা মারি ধুর
মুন: ভাই যেমন আছিস ভালো আছিস
ঝামেলার হাত থেকে বেঁচে গেছিস
লামিয়া: মুন ঠিক বলছে এই জীবন রেখে লাভ নাই
রুমা: চুপ থাক আমি ও প্রেম করমু
মুন: সালা মরার পাখনা গজিয়েছে
লামিয়া: দে তো মরতে দে
তখনই আবার বাঁধন আসে
বাঁধন: হাই শালীকা
সবাই পিছনে তাকাই
লামিয়া: এই সালা আবার এখানে কি করে( মনে মনে)
রুমা: হাই জিজু আবার কি নিয়ে যাবেন ওতো নিয়ে না গিয়ে বিয়ে করে নেন
বাঁধন: ওই মুটকি কে এখন বিয়ে করে আমি কি খাওয়াবো যা খায়
লামিয়া: তুই মুটকি তোর বউ মুটকি
বাঁধন : ছি কি ভাষা ছেলে মেয়ে হাওয়ার আগে একে মানুষ করতে হবে
মুন: জিজু দেখি সব প্ল্যানিং করা আছে
বাঁধন: দেখতে হবে না কার বর
লামিয়া: বন্দর্নীর
বাঁধন : যা বলতে আসছি আজ ক্লাস শেষে তোমাদের সবাই কে আমি ট্রিট দেবো কারণ আমার জান তাকে এতো দিন সামলিয়ে রেখেছ তাই
মুন+রুমা: ওয়াও জিজু কি সুইট
লামিয়া: সুইট না ছাই ( বির বির করে)
বাঁধন : আচ্ছা আমি এখন যাই কেমন
লামিয়া: আসতে কয়ছে কিডা (মনে মনে)
বাঁধন চলে গেলো
মুন রা ও ক্লাস এ চলে গেলো

ক্লাস করে সবাই মিলে রেস্টুরেন্ট এ গিয়ে বসলো

বাঁধন : তো বলো কি খাবে
সবাই বললো

খাওয়া দাওয়া করে সবাই বের হয়ে গেলো

ভার্সিটি শেষে মুন বাইরে এসে দেখে রোদ দাড়িয়ে আছে মুন গিয়ে গাড়িতে উঠলো
মুন: কখন আসলেন ?
রোদ: একটু আগে
টা ক্লাস কেমন হলো
মুন: ভালো
রোদ: সেই ছেলেটা কিছু বলেনি তো
মুন: আজ দেখিনি
রোদ: দেখবে কি করে তার তো অবস্থা খারাপ করে দিছি বোঝাতে হবে না কার কলিজায় হাত দেছে (মনে মনে)

মুন বাড়ি এসে ফ্রেশ হয়ে নিল
তখনই ওর ফোন বেজে উঠলো
লামিয়া ফোন দিছে
মুন ফোন ধরলো
মুন: হা বল
লামিয়া: দোস্ত একটা ঘটনা ঘটছে
মুন: কি হয়ছে?
লামিয়া: আরুশ কে কারা মেরেছে হসপিটাল এ আছে
মুন তো আকাশ থেকে পরলো
মুনের বুঝতে বাকি হইলো না যে কাজটা কে করছে
মুন: তুই জানলি কি করে
লামিয়া: বাঁধন এর সাথে কথা বলছিলাম তখন ও বললো।
মুন: আচ্ছা আমি রাখছি
লামিয়া: আরে শুন
যা রেখে দিল

মুন: না রোদের সাথে আমার কথা বলতে হবে এভাবে কাউকে মারাটা রোদের ঠিক হয়নি
মুন কিছু না বলে রোদের রুম এ যায়
রোদ লেপটবে কাজ করছিল
রোদ: আরে আজ আমার জানটা নিজে থেকে আমার রুমে কেনো মিস করছিলে বুঝি আমাকে বললে তো আমি আসতাম এতো কষ্ট কেনো( বাকা হেসে)
মুন: আপনার ফালতু কথা শুনার টাইম নেই আপনি আরুশ কে কেনো মেরেছেন ?
রোদ: আরুশ টা কে যেনো ( না জানার ভান করে)
মুন: একদম নাটক করবেন না আমি জানি আপনি ওকে মেরেছেন
রোদ লেপটব রেখে মুনের কাছে গিয়ে গেলো মুনের কোমর জড়িয়ে ধরে বললো
রোদ: উহু ওকে তো আমি মারিনি মেরেছে আমার লোক
মুন: কেনো মারছেন আপনি
রোদ: কেনো মরছি জানােনা তোমার কি খারাপ লাগছে
মুন: উফফ ছাড়ুন তো আপনার সাথে কথা বলাই ফাউ
রোদ: না এসেছো নিজের ইচ্ছায় এখন যাবে আমার ইচ্ছায় এখন আমরা রোমান্স করবো
মুন: কি বলছেন মাথা ঠিক আছে তো
রোদ: একদম
বলে মুনকে নিজের দিকে ঘোরালো।
রোদ আস্তে আস্তে মুনের দিকে নিজের ঠোঁট টা এগিয়ে নিয়ে যেতে লাগলো মুন তো পাথর জ
হয়ে দাড়িয়ে আছে ।
রোদ মুনের আর কাছে আসতে মুন চোখ বন্ধ করে নিল।
রোদ একটা মুচকি হেসে মুনের কপালে নিজের ঠোঁট ছুঁইয়ে দিলো
রোদ: চিন্তা করো না ওসব কিছু করবো না তোমাকে টাইম দিলাম কিন্ত টাইম এর ব্যাবহার করলে সেদিন আর ছার হবে না আমার সব থেকে খারাপ রূপ দেখবা।
রোদের কথা শুনে মুন খুব লজ্জা পেলো কিন্ত শেষের কথা শুনে মুনের সব লজ্জা উরে গেলো।
রোদ: এভাবে কি দাড়িয়ে থাকবে যাও আমার জন্য কফি নিয়ে এসো।
মুন কিছু না বলে বেরিয়ে আসে।

মুন: ইসস আমি কি ভাবছিলাম এমা ছি ছি
রাইমা চৌধুরী: কি ছি চি করছিস
মুন: মামনি তুমি মানে
রাইমা: কি মানে মানে করছিস
মুন: মামনি রোদ কফি খেতে চেয়েছে
রাইমা: ওহ আচ্ছা তুই যা আমি পাঠিয়ে দিচ্ছি
মুন: আচ্ছা
বলে মুন ছাদে গেলো
মুন: উফফ এসব নিয়ে না ভাবাই ভালো কিন্ত রোদের জন্য আমার মনে কিসের এত অনুভূতি সেদিন তো বলেছিলাম ভালোবাসি কেনো বলেছিলাম কেনো সেদিন মুখ থেকে আপনা আপনি চলে আসলো
এই কেনো উত্তর আমি কই পাবো।
উফফ আর ভাবতে পারছি না যা হচ্ছে হোক সময়ই সব কিছু বলে দেবে ।

এভাবে আর ও কিছু দিন চলে যায় রোদ আর মুন প্রতিদিন এর মত চলাফেরা করে মুনের রোদের প্রতি দুর্বল হচ্ছে।
একদিন মুন ভার্সিটির কাজে বাইরে আসে তখনই কিছু লোক মুন কে কিডন্যাপ করে।
মুন অনেক চেষ্টা করে কিন্ত সেন্সলেস হয়ে পরে।

মুনের যখন চোখ খুলে নিজেকে একটা অফিস এ আবিষ্কার করে ।
মুন সামনে তাকিয়ে অবাক হয়ে যায়
মুনের সামনে আরুশ বসে আসে।
আরুশ মুন কে দেখে বাকা হেসে বসে
আরুশ : কি হলো জান এভাবে দেখছ কেনো
খুব মিস করছিলে তাইনা (চোখ মেরে)
মুন: আপনি
মুন ভালো করে দেখে রোদ কপালে কাটার দাগ
আরুশ : হে আমি কত দিন তোমাকে দেখিনি
মুন: আমাকে এখানে কেনো নিয়ে আসলেন আমি বাড়ি যাবো
আরুশ: হে যাবে তো কিন্ত আগে বিয়েটা হোক।
মুন: কিসের বিয়ে কার বিয়ে
আরুশ: কার বিয়ে মানে তোমার আর আমার বিয়ে আজ আপনাদের বিয়ে জানু
মুন: সকাল সকাল কি কিছু খেয়েছেন?
আরুশ: জানু তুমি থাকতে আমার অন্য কোনো নেশার দরকার হয়না ।
মুন: এসব ফালতু কথা শুনার টাইম আমার নেই আমি এখন বাড়ি যাবো
আরুশ: বিয়ে টা হোক
কাজী সাহেব বিয়ে শুরু করেন
মুন: কিসের বিয়ে আমি করবো না এই বিয়ে
আরুশ : বিয়ে তো তোমাকে করতেই হবে ভালো ভাবে না করলে অন্য পথ খুলা আছে
এই টা একটু দেখো তো
(বলে ফোনটা মুনের সামনে ধরলো)
মুন আরুষের কথা মতো তাকিয়ে দেখে রাইমা চৌধুরি এর পিছনে একজন গান হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছে ।
মুন: মামনি( কেদে)
আরুশ : কেদে লাভ নেই এখন তো শুধু তোমার মামনি আমার কথা না শুনলে রোদ তোমার পাপাই সবাই কে হারাবে
মুন: না প্লিজ এমন করবেন না ওরা ছাড়া আমার কেউ নেই আপনি যা বলবেন আমি তাই করবো।( কেদে)
আরুশ : আরে জানু এভাবে বলছো কেনো আমি কি ওদের ক্ষতি করতে পারি ওরা তো আমার শশুর বাড়ির লোক এখন চুপচাপ এইখানে সাইন করে দাও তো না হলে
মুন: না আমি করছি ।
আরুশ: গুড ফাস্ট।
আরুশ আগে সাইন করলো তারপর মুনকে দিল।
মুন কলমটা হাতে নিয়ে রোদের কথা মনে করলো তারপর চোখের পানি মাসে কাগজ তাই সাইন করলো

চলবে
(
হ্যাপি রিডিং)

তোমার জন্য সাইকো পর্ব-১২

0

তোমার জন্য সাইকো
লেখক: নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_১২
সারাটাদিন মুন অহনার সাথে ছিল । রোদ অহনাকে বলছে মুনকে সাথে সাথে রাখতে ।
বিয়েতে পার্লার থেকে আসছে অহনাকে সাজাতে। সবাই পার্লার থেকে সাজবে মুন নিজে নিজে সাজবে ওর বেশি সাজ পছন্দ না।
মুন একটা গোল্ডেন কালার এর লেহেঙ্গা পরেছে চুল গুলো ছেড়ে দিয়া। কানে মেচিং ঝুমকো ।মুনকে আজ গোল্ডেন পরীর মতো লাগছে। আমাদের হিরোকে ও কম সুন্দর লাগছে না মুনের সাথে ম্যাচিং করে গোল্ডেন পাঞ্জাবি পরছে হাতে দামী ঘড়ি । চুল গুলো সেট করা।
মুন আর রোদকে দেখলে যে কেউ বলবে এরা একে অপরের জন্য হয়ছে ।
মুন গিয়ে ওর পাপাই এর পাশে দাঁড়ালো ।
রোদ কিছু ছেলেদের সাথে কথা বলছে মেয়েরা তো আজ রোদ কে চোখ দিয়ে গিলে খাসছে।
একটু পর বর জাত্তি আসলো ।
হটাৎ মুনের হাত ধরে কে যেনো টান দিলো মুন তাকিয়ে দেখে আরুশ
আরুশ একটা নীল পাঞ্জাবি আর ব্ল্যাক জিন্স পড়েছে আরুশ কে ও খুব সুন্দর লাগছে ক্রাশ খাওয়ার মত ।
মুন: আপনি এখানে
আরুশ: হা আমার মামাতো ভায়ের বিয়ে আমি ছাড়া কে আসবে
মুন: সে আপনি আসেন কিন্ত আমার হাত ধরলেন কেনো ।
আরুশ : আমার ইচ্ছা তাই এখন কি তোমার পারমিশন নিয়ে চলতে হবে
মুন কিছু না বলে হাত ছাড়িয়ে চলে আসলো
আরুশ ও মুনের পিছন পিছন যাচ্ছে মুন যেখানে যায় আরুশ ও সেখানে।
মুন: আল্লাহ প্লিজ আমার পিছন ছাড়েন
আরুশ : ভালোবেসেছি ছাড়ার জন্য না
মুন: কিসের ভলোবাসা হা আমি আপনাকে ভালোবাসি না ।
তখনই মুন দেখলো রোদ ওর দিকে তাকিয়ে আছে মুন কিছু না বলে নিহাল চৌধুরী কাছে গেলো ।
কিছুক্ষণ পর রোদ মুনের কাছে গিয়ে মুনের হাত ধরে ছাদে নিয়ে গেলো
মুন: রোদ আমরা এখানে কেনো? ( ভয়ে ভয়ে)
রোদ কিছু না বলে চোখবন্ধ করে আছে ।
মুন ঠিক বুঝতে পারছে আজ মুনের কপালে দুঃখ আছে ।
মুন: রোদ আমি
আর কিছু বলতে পারলো না
রোদ মুনকে ঠাসস করে চর মেরে দিল ।
মুন পরে জিতে নিলে রোদ মুনকে টেনে ধরে।
রোদ: চুপ আর একটা কথা না কাল আমায় কি বললে যে আর কোনো ভুল করবে না তাহলে আজ ঐ ছেলের সাথে কি করছিলে হা বিয়ে বাড়িতে সারাক্ষণ ওই ছেলের সাথে ছিলে বলো কেনো( চোখ লাল করে মুনের বাহু ঝাকিয়ে)
মুনের চোখ দিয়ে পানি পড়ছে ।
মুন: রদদোদ আম মার র লাগছে
রোদ: লাগুক আগে বলো তুমি ঐ ছলের সাথে কি করছিলে তোমাকে উরতে দিছি বলে যা খুশি তাই করবো আজ আমি আছি বলে এই করছো কাল যদি আমি না থাকি তখন ( জোরে চিল্লিয়ে)
নিজের জিনিস এর উপর নিজের নাম লিখে রাখা ভালো ।
এই বলে বেরিয়ে গেলো ।
মুন তো সেখান দাড়িয়ে কাদছে মুনের হাত লাল হয়ে গেছে রোদের অভাবে ধরতে।
একটু পর রোদ আসলো হাতে বেলেট আর মোমবাতি নিয়ে ।
মুন এটা দেখে ওর রুহু কেপে উঠলো।
মুন: রোদ এগুলো কিসের জন্য
রোদ: নিজের জিনিস এর উপর নিজের নাম লেখানোর জন্য ।
মুন: রোদ প্লিজ আমায় বিশ্বাস করুন আমি সত্যি কথা বলতে চাইনি
রোদ: চুপ একটা কথা বললে জানে শেষ করে দেবো।
বলে রোদ মোমবাতি জ্বালিয়ে বেলেটা পোড়াতে লাগলো ।
মুন তো রোদের পায়ে পড়ে যায়
মুন: রোদ প্লিজ আমায় এতো বড়ো শাস্তি দেবেন না আমি সত্যি এমন আর করবো না আপনার সাথে সাথে চলবো । প্লিজ আমার কাটাকুটি দেখতে খুব কষ্ট হয় প্লিজ রোদ এমন করবেন না ( কাদতে কাদতে)
মুনের ছোটো বেলা থেকে কাটাকুটি রক্ত এসব দেখতে পারেনা একবার তো অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলো।
রোদ মুনের বাহু ধরে পা থেকে উঠলো
রোদ: কেনো এমন করো বলো তো কেনো আমাকে রাগিয়ে দাও । আমার রাগটাই কি তোমার কাছে সব আমার ভালোবাসা কিছু না ।
মুন শুধু কেদেইই যাচ্ছে
রোদ: অনেক হয়ছে আজ তোমাকে এর শাস্তি পেতে হবে
বলে বেলেট টা মুনের সামনে ধরলো
মুন রোদকে জড়িয়ে ধরে কদছে
মুন: রোদ প্লিজ না আপনি বিশ্বাস করুন আমি শুধু আপনাকে ভালোবাসি অন্য কেউ কে না সেই ছোটো বেলা থেকে খুব ভালোবাসি আপনাকে আমার সাথে প্লিজ এমন করবেন না।
সত্যি আমার কোনো দোষ নেই

রোদ তো মুনের মুখ থেকে এই কথা শুনার অপেক্ষায় ছিল । রোদ জানে মুন ওগুলো সহ্য করতে পারে না রোদ তো মুনকে ভয় দেখানোর জন্য এগুলো করছিলো কিন্ত রোদের কাজে লেগে গেলো আর ও ওর ভালোবাসার মানুষের মুখ থেকে ভালোবাসি শুনেছে।
রোদ: আমি জানি sweetheart তোমার কোনো দোষ নেই আমি তোমার সব কাজের উপর নজর রাখছি আমি জানি আরুশ তোমাকে বিরক্ত করে কিন্ত আমি কিছু বলিনি কারণ আমি চেয়েছি তুমি নিজে আমাকে বলবে কিন্ত তুমি বলনি আমার রাগ সেটাই তুমি আমাকে এই টুকু বিশ্বাস ও করো না । ওই আরুশ কে তো আমি ছাড়বো না ও কার কলিজায় হাত দিয়েছে জানে না ওকে আজ রাতেই বুঝিয়ে দেবো রোদ আহমেদ চৌধুরী কে।( মনে মনে)
মুন রোদকে এখন ও জড়িয়ে ধরে কাদছে।
রোদ মুনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললো
রোদ: তুমি আমায় ভালোবাসো আর না বসো তোমাকে আমার হতে হবে by hook by crock
এখন নিচে আমার হাত ধরে থাকবা আমার থেকে একটু ও দূরে যাবা না আমি যেখানে যাবি সেখানে যাবা।
রোদের বুক থেকে উঠে
মুন: রোদ আমি
রোদ: চুপ কোনো কথা না যা বলছি তাই কর( রেগে)
মুন: হুম
তারপর ২জন নিচে নামলো ।
নিচে এসে রোদ মুনের হাত ১সেকেন্ড এর জন্য ও ছাড়ছে না । মুনের বিরক্তি হলে ও রোদকে কিছু বলার সাহস নেই ।

এদিকে আরুশ মুনকে রোদের সাথে দেখে জ্বলে পুড়ে মরছে
আরুশ : না এতো সহজে মুনকে আমার কাছ থেকে ওই রোদ নিয়ে যেতে পারে না আমার সাজানো বাগান এতো সহজে নষ্ট হতে পারে না কিছুতে নায়া।
আরুশ কয়েক বার মুনের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছে কিন্ত মুন রোদের দিকে তাকিয়ে আছে ।
এভাবে বিয়ে শেষ হলো ।
সবাই খাওয়া দাওয়া করে বাড়ি চলে গেলো ।
রোদ: আম্মু আমি মুনকে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি এখানে আর থাকতে ভালো লাগছে না
রাইমা: এখন যাবি এতো রাতে
রোদ: যা আম্মু
রাইমা: আচ্ছা যা সাবধানে
রোদ: তুমি চিন্তা করো না আমাদের পিছনে আমার বডিগার্ড থাকবে।
রাইমা: আচ্ছা মুন বাড়ি গিয়ে ফোন দিস
মুন: জী মামনি।
রাইমা: কিরে মা তোর মন খারাপ
মুন কিছু বলতে যাবে
রোদ: না আম্মু খুব টায়ার্ড তাই
রাইমা : আচ্ছা যা
রোদ আর মুন বেরিয়ে গেলো।

নিহাল: কি ব্যাপার ওরা কোথায় গেলো
রাইমা: বাড়ি গেছে
নিহাল: মুনকে যেতে দিলে কেনো?
রাইমা: তোমার মনে হয় তোমার ছেলে
মুনকে রেখে যাবে
নিহাল চৌধুরী আর কিছু বলল না

গাড়িতে মুন সারাদিনের ক্লান্তিতে রোদের কাধে ঘুমাচ্ছে আর রোদ ড্রাইভ করছে আর মুনের দিকে তাকাচ্ছে
রোদ: উফফ এই মেয়ে যে কত ঘুমাতে পারে সারাদিন ঘুমিয়ে ও হয়না নাকি আমার কাঁধ খুব পছন্দের ।
সে যাই হোক বিয়ের পর কিন্ত ঘুমাতে দেবো না সারাক্ষণ আমার চোখের সামনে বসিয়ে রাখবো
তখন তোমার এই ঘুম দেখবো কই যায়।
বলে ডেভিল স্মাইল দিলো।

সকালে মুনের ঘুম ভাঙলো দেখলো যে ও নিজের ঘরে ওর বুঝতে আর বাকি হইলো না যে কে নিয়ে এসেছে ।
মুন উঠে ফ্রেশ হয়ে রেডী হয়ে নিচে গিয়ে দেখে রোদ টেবিলে বসে আছে । মুন ও একটা চয়ার টেনে বসে।
মুন: মামনি আসেনি
রোদ: দেখতে তো পাচ্ছো
মুন: খারুস বিটা বললে কি হয় ( মনে মনে)
রোদ: তাড়াতাড়ি খেয়ে নাও আমাকে একটু তাড়াতাড়ি যেতে হবে।
মুন: হুম

খাওয়া দাওয়া শেষে রোদ আর মুন বেরিয়ে পড়লো

গাড়িতে
রোদ: কাল যা বলেছি মনে আছে তো
মুন: হুম
রোদ: কথার নড়চড় হলে কিন্ত আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না এখন যাও
মুন চলে গেলো,

মুন: কি ভাবছে যা বলবে তাই শুনবো হুউ আইচে আমায় ধমকাতে লুচু ছেমর
মুন এসব বির বির করতে করতে যাচ্ছিলো তখনই মুন লামিয়ার সাথে ধাক্কা খেয়ে পরে যায়
লামিয়া: ও জামাই গো এই শয়তান ছেমরি আমায় শেষ করে দিল আমার ফিউচার সন্তানরা কই সব তোমার আম্মু গেলো গো
মুন: ওই চুপ ছেমরি কি কস
( উঠে)
লামিয়া: তুই আমায় ফেলি কেনো আমার কোমর টা শেষ হয়ে গেলো
হটাৎ কেউ লামিয়া কে কোলে তুলে নিলো
মুন আর রুমা তো চেয়ে চয়ে দেখছে
লামিয়া: ওই কোন হুনুমান রে
লামিয়া সামনে তাকিয়ে দেখে বাঁধন ওর দিকে কেমন করে তাকিয়ে আছে
লামিয়া: তুমি এখানে।
বাঁধন : হা তুমি ত আপনাকে দাকলে
লামিয়া: আমি ডাকছি কখন আর তুমি আমায় কোলে নিচো কেনো নামও নামাও বলছি
বাঁধন : তুমি তো জামাই বলে ডাকলে ।
লামিয়া: ওটা আমি তোমাকে ডাকিনী আমি অন্য।
বাঁধন: চুপ একটা কথা বললে ফেলে কোনো ভেঙ্গে দেবো
লামিয়া আর কিছু বলে না
বাঁধন : তো সালিকা তোমরা থাকো আমি তোমাদের বোনের সাথে রোমান্স করে আসি
মুন+ রুমা: ওকে জিজু
লামিয়া: ওই কিসের জিজু রে
বাঁধন : আবার ( চোখ বড়ো করে)
লামিয়া আর কিছু বলে না
বাঁধন লামিয়াকে নিয়ে চলে যায়

মুন: ২জন কে খুব মানিয়েছে
রুমা: হা রে তোদের তো আছে শুধু আমার কেউ নেই
মুন: চুপ থাক তো এখন বল ফাংশন এর কি খবর
রুমা যা বললো টা শুনে মুনের মুন খারাপ হয়ে গেলো

চলবে

তোমার জন্য সাইকো পর্ব-১১

0

তোমার জন্য সাইকো
লেখক: নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_১১
স্যার এর কথা শেষ হতে না হতেই একটা লম্বা লোক গায়ে নিল শার্ট কাল প্যান্ট আর কোর্ট পড়া চোখে চশমা গোলাপী ঠোট পাগল করা হাসি সব মেয়েদের ক্রাশ । মেয়েরা তো হা করে তাকিয়ে আছে কিন্ত একজন তো বড়ো বড়ো চোখ করে তাকিয়ে আছে।
হেড স্যার: এই সেই স্পেশাল মানুষ যাকে ঘিরে আমাদের এতো আয়োজন mr rod ahmed chowdhori
( হ্যা লোকটা রোদ মুনের সাইকো)
মেঁয়েরা সব তো সেই আনন্দ করছে আর টা দেখে মুন জ্বলছে
মুন: উফফ আল্লাহ এই সাইকো এখানে কি করছে আবার নাকি স্পেশাল মানুষ এর থেকে তো রাক্ষস ও ভালো ছিল। দেখ আসছে কিভাবে পাট নিয়ে সব মেয়েদের ইমপ্রেস করার জন্য আর মেয়েরা ও কিভাবে তাকিয়ে দেখছে মনে হচ্ছে সবার চোখ তুলে ফেলি (মনে মনে)
রোদ সবার দিকে একবার তাকিয়ে মুনের দিকে একটা হাসি দিয়ে হেড স্যার এর কাছে গিয়ে সালাম করলেন।
হেড স্যার: রোদ আহমেদ চৌধুরী শুধু একজন ভালো বিজনেস মান না উনি একজন ভালো মনের মানুষ আর আমাদের ভার্সিটির একজন পরানু স্টুডেন্ট ।
মুন: আমাকে তো কখনো বলেনি আর কি কি লুকিয়েছে তাই উনি জানে
হেড স্যার : আমি রোদকে কিছু বলার জন্য অনুরোধ করবো ।
রোদ মাইক টা নিয়ে বলা শরু করলেন
রোদ: আমি এই ভার্সিটির পড়ানো একজন স্টুডেন্ট আমার ও আপনাদের মত অনেক সপ্ন ছিল কিন্ত আমার লক্ষ্য স্থির ছিল বলে আমি আজকের জায়গায় আসতে পেরেছি ।তোমাদের ও লক্ষ্য স্থির করতে হবে
মুন: উফফ এতো লেকচার দিতে পারে বাড়িতে জ্বালিয়ে হয়নী এখন আবার উফফ আল্লাহ ভালো লাগে না ।
কিছু ক্ষণ পর রোদের ভাষণ শেষ সব মেয়েরা
তো মুন দিয়ে রোদের কথা বলা হাসা হাত নাড়ানো দেখছিল ।
মুন লামিয়া আর রুমা ওখান থেকে চলে গেলো।
লামিয়া: কিরে মুন রোদ ভাইয়া এখানে কি করছে আমাদের তো বললি না
মুন: আমি জানলে তো বলবো। আমি নিজে ও জানিনা
রুমা: রোদ আগের থেকে অনেক হ্যান্ডসাম হয়ছে
মুন: তুই না রোদ ভাইয়া বলতি
রুমা: ওই আর কি
তখনই ওখানে রোদ আসলো
লামিয়া: আরে ভাইয়া আপনি কেমন আছেন ?
মুন তাকিয়ে দেখে রোদ দাড়িয়ে আছে হাতে কোর্ট নিয়ে।
রোদ: এই তো ভালো তোমরা কেমন আছো ?
লামিয়া+ রুমা: জী ভালো মুনকে খুঁজতে আসছেন
রোদ: হা আমাদের আজ বেরোতে হবে তো তাই
মুন: কথায় যাবো
লামিয়া: আচ্ছা তোরা কথা বল আমরা গেলাম
বলে ওরা চলে গেলো।
রোদ: আম্মু ফোন করেছে বলছে এখন এ বের হতে নাহলে দেরি যেতে অনেক দেরি হবে
মুন: ওহ কিন্ত আপনাকে তো আজ দুপুর এর আগে ছাড়বে না
রোদ: হা তাই তো দেখছি কি করা যায় ভাবছি
মুন তাকিয়ে দেখে সব মেয়েরা রোদের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে মুনের কেনো যেনো সহ্য হলো না
মুন: আচ্ছা আপনার সব সময় এতো সেজে বেড়ানোর কি দরকার বুঝিনা ( রেগে)
রোদ: মানে
মুন: মানে বোঝেন না কত কত মেয়ে আপনর দিকে তাকিয়ে আছে।
রোদ কিছুক্ষণ ভেবে বললো
রোদ: are u jelious?
মুন: no আমি কেনো jelious হবো।
রোদ: সে তো বুঝতে পারছি এখন চলো আমি তোমার স্যারদের সাথে কথা বলে তোমাকে নিয়ে বের হবো।
মুন কিছু না বলে রোদের সাথে গেলো ।

রোদ স্যারদের বলে ওখান থেকে মুন গিয়ে নিয়ে বের হলো।
বাড়িতে এসে মুন গুছিয়ে নিলো।সব গুছিয়ে নিচে নামলো।
নিচে নেমে দেখে রোদ দাড়িয়ে আছে ব্ল্যাক শার্ট আর ব্ল্যাক প্যান্ট পরা হাত ফল্ড করা সামনের দুটো বোতাম খুলা সেখানে চশমা রাখা মুন তো হা করে তাকিয়ে আছে ।
রোদ: চলো বের হই রাস্তায় কিছু খেয়ে নীবানে
রোদের কথায় মুনের ধ্যান ভেঙ্গে।
মুন কিছু না বলে গাড়িতে উঠে ।
গাড়ি চলছে আপন গতিতে দুজনের মধ্যে নিরবতা।
রোদ: নামো
মুন: জী
রোদ: বলছি নামো
মুন: আমরা কি এসে গিচ্ছি
রোদ: না রেস্টুরেন্ট এ এসে গেছি কিছু খেতে হবে না
২জন গাড়ি থেকে নেবে কিছু খেয়ে নিল
তারপর আবার রওনা দিলো।
রোদ খেয়াল করলো যে মুন জিমোছে
রোদ: তোমার কি শরীর খারাপ করছে
মুন: না এমনি একটু টরাইড লাগছে
রোদ কিছু না বলে এক হাত দিয়ে মুন কে জড়িয়ে ধরলো । মুন ও রোদের কাধে মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লো
রোদ: পাগলী মেয়ে একটা একদম বাচ্চা।

এদিকে
আরুশ তো পাগল হয়ে যাচ্ছে । ঘরের সব কিছু ভেঙ্গে ফেলছে।

কিছুক্ষণ আগে আরুশ দেখে মুন আর রোদ হাত ধরে রেসুরেন্ট এ ঢুকছে আরুশ ও ওদের পিছন পিছন যায় গিয়ে দেখে রোদ নিজে হাতে মুনকে খায়িয়ে দিচ্ছে এটা দেখে আরুশ এর মাথায় আগুন জ্বলে উঠে
সেখান থেকে বাড়ি এসে সব কিছু ভাংচুর করছে
আরুশ : না এতো সহজে আমি মুনকে হাত ছাড়া করবো না মুন শুধু আমার আর না মুন ভার্সিটিতে আসলেই যেটা পরে করতে চেয়েছিলান সেটা এখন এ করতে হবে ।
রোদ চৌধরী মুন তো আমার হবেই তুমি কিছু করতে পারবে না
বলে বাকা হাসি দিয়ে বেরিয়ে গেলো

মুন ঘুম ঘুম চোখে তাকিয়ে দেখে ও বিছানায় শুয়ে আছে আর রোদ ছোফায় লাপটবে কাজ করছে ।
মুন: আমরা কোথায় আমি না গাড়িতে ছিলাম
রোদ: হা তোমাকে ওখান থেকে কিডন্যাপ করা হয়েছে
মুন: আপনি
তখনই সেখানে রাইমা চৌধুরী আসলেন
রাইমা চৌধুরী: কি ঘুম হয়েছে
মুন: মামনি আমি এখানে
রাইমা চৌধুরী: তুই ঘুমিয়ে ছিলি তাই রোদ তোকে কোলে করে নিয়ে এসেছে
মুন: এই লোকের কি লজ্জা বলতে কিছু নেই( মনে মনে)
রোদ: না নেই
রাইমা চৌধুরী: কিরে কি নেই
রোদ: কিছু না
রাইমা চৌধুরী: আচ্ছা চল খেতে যাবি আর রোদ তুই আর আমি আর মুন এই ঘরে থাকবো ওদের বাড়ি অনেক মেহমান তোর আব্বু আসলে তুই আর তোর আব্বু এক রুমে থাকবি।
চল মুন নিচে চল
মুন কিছু না বলে ওর মামনির সাথে যেতে লাগলো পিছন পিছন রোদ ও
মুন ফ্রেশ হয়ে খাবার টেবিলে এসে দেখে অনেক মানুষ মুন গিয়ে ওর মামনির পাশে বসলো ।
রোদ মুনের ডান সাইডে বসেছে ।
মুন কিছু না বলে খেতে যাবে তখনই রোদ ওর হাত শক্ত করে ধরে রাখছে
মুন কিছু বলতে ও পারছে না
রাইমা চৌধুরী: কিরে খসছিস না কেনো
মুন: মামনি তুমি খাইয়ে দাও কত দিন তোমার হাতে খাইনা
রাইমা চৌধুরী: আচ্ছা দারা
বলে রাইমা চৌধুরী খাইয়ে দিতে লাগলেন
খাওয়া শেষে যে যার রুমে চলে গেলেন ।
রাইমা চৌধুরী: মুন কাল কিন্ত অনেক সকালে উঠতে হবে আমার সাথে সাথে থাকবি
মুন: আচ্ছা মামনি
রাইমা চৌধুরী: রোদ তুই ওদের সাথে একটু কাজ করিস ওদের বাড়ি ছেলে নেই
রোদ: ছেলে নেই তাই এই মানুষ আর ছেলে থাকলে।
রাইমা চৌধুরী: চুপ বিয়ে বাড়ীতে ওমন মানুষ হয় তোর বিয়ে তো হবে
রোদ কিছু না বলে মুনের দিকে তাকিয়ে চোখ টিপ দেয়।
মুন কিছু বলে না
সবাই শুয়ে পরে কিন্ত মুনের ঘুম আসছে না ।
আসবে কি করে গাড়িতে তো অনেক ঘুমিয়েছে।
মুন কিছুক্ষণ শুয়ে থেকে উঠে বসলো।
মুন: সবাই ঘুমিয়ে গেছে আমার আসছে না কেনো এক কাজ করি ছাদে গিয়ে ফেসবুকিং করি হা সেটাই ভালো হবে।
মুন পা টিপে টিপে ছাদে গেলো
মুন: ওরে বাবা এখানে তো অনেক শীত উফফ চাদর টা ভালো করে জড়িয়ে নি।
মুন দেখলো একটা দোলনা আছে মুন গিয়ে দোলনায় বসলো।
বসে গান শুনছিল তখনই কেউ একজন দোলনায় দোল দিছিলো মুন পিছনে ফিরে যেই চিৎকার দিতে যাবে তখনই সামনের মানুষটা মুনের মুখ চেপে ধরে ।
রোদ: এই মেয়ে এভাবে চিল্লাও কেনো সবাই যে চলে আসবে
মুন: উম উম
রোদ: কি উম উম করছো
আর একবার চিৎকার দিলে দাত ভেঙ্গে দেব
বলে মুখ থেকে হাত সরিয়ে নিল
মুন: আপনি এত রাতে এখানে কেনো
রোদ: তুমি এত রাতে এখানে কেনো?
মুন: ঘুম আসছিলো না তাই
রোদ: টা আসবে কেনো ? এতো রাতে ছাদে কিসের জন্য আসছ একটা অচেনা জায়গায় কোনো সেন্স আছে তোমার বেয়াদৰ মেয়ে
(রেগে )
মুন: সব সময় এমন করে কেনো বুঝিনা( মনে মনে)
রোদ: কি হলো চুপ করে আছো কেনো ans me dame it( চিল্লিয়ে)
মুন : আর কখনো হবে না
রোদ মুনকে দেঁয়ালের সাথে চেপে ধরলো
রোদ: এই কথা কত বার বলবে হা এতো ভুল কেনো হয় তোমার।
মুন তো রোদের এভাবে বলাতে অনেক ভয় পায়
তাও কোনো মতো বলে
মুন: আমি আর কখনও এমন করবো না আপনি যা বলবেন তাই করবো
রোদ: কথাটা মনে থাকবে তো
মুন: হুমম
রোদ: ওকে এখন নিচে যাও গিয়ে ঘুমাও
মুন কিছু না বলে নিচে এসে ঘুম পরার নাটক করে ।
কিছুক্ষণ পর রোদ আসে এসে শুয়ে পরে।

সকালে মুন ঘুম থেকে উঠে মামনির কাছে যায়
রাইমা চৌধুরী: কিরে তোর ঘুম হলো আয় তোকে পরিচয় করিয়ে দি। আমার বান্ধবী নিলাসা আর ওর husband তুহিন
মুন: আসসালামুআলাইকুম
নিলসা + তুহিন: ওলায়কুম সালাম
রাইমা এই বুঝি তোর মেয়ে খুব সুন্দর ।
রাইমা: হুম যা তো মা ওই ঘরে যা দেখ বিয়ের কোণে আছে ।
একটা মেয়ে এসে মুনকে একটা ঘরে নিয়ে যায়
মেয়েটা: আমার নাম সাইমা তোমার নাম
মুন: আমার নাম মুন
সাইমা: খুব সুন্দর
মুন: তুমি বুঝি বিয়ের কোণে
অহনা: হা
মুন: তুমি খুব সুন্দর দেখতে
অহনা: তুমি ও তোমার কথা ও খুব সুন্দর। বিয়ে পর্যন্ত তুমি আমার সাথে থাকবা
মুন: আচ্ছা ।

চলবে,

তোমার জন্য সাইকো পর্ব-১০

0

তোমার জন্য সাইকো
লেখক: নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_১০

মুন ভার্সিটির ভিতরে গিয়ে লামিয়া আর রুমাকে নিয়ে ক্লাস রুমের দিকে যেতে থাকে তখনই আরুশ সামনে এসে দাঁড়ায়। আরুশকে দেখে তো মুন এর মেজাজ সেই রকম হয়ে গেছে ।
আরুশ: কাল আমাকে না বলে চলে গেলে কেনো যানো আমি তোমাকে কতো মিস করছি
মুন: আপনি কি আমার গার্জিয়ান যে আপনার পারমিশন নিয়ে আমাকে চলতে হবে।
আরুশ: আমি আমি তোমার গার্জিয়ান শুধু গার্জিয়ান না তোমার সব কিছুতে শুধুই আমি তোমার নিশ্বাস পশ্বাস সব কিছুতে আমি
মুন: এ ভাই কেউ একে পাবনায় রেখে আয় মাথা খারাপ হয়ে গেছে যতসব
আরুশ: যাই বলো কিছু মনে করবো না বলছো তো তুমি আর হা আমি সত্যি তোমার পেমে পাগল এবার থেকে কোথাও গেলে আমাকে বলে যাবা আর তোমার নাম্বার টা দাও তো
মুন: আমার নাম্বার কেনো দেবো লিসেন
আরুশ: (মুনকে বলতে না দিয়ে) তোমার কথা সারাজীবন শুনবো আগে আমার কথা শুন
লামিয়া: আরে ভাই আমাকে সেই থেকে বুঝানো হচ্ছে কেনো বুঝছেন না আজব মানুষ তো
আরুশ : তোমরা ওকে কেনো বুজাছো না
মুন: আলতু ফালতু মানুষদের কাছ থেকে কিছু আশা করাই বেকার
বলে মুন চলে গেলো
রুমা: শুনেন ভাই আমাদের বান্ধবীর পিছন ছেড়ে দিন সেটাই আপনার জন্য ভালো হবে না হলে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবেন না
আরুশ: দেখা যাক কে কার পায়ে না দাড়ায় আমি নাকি ( বলে রহস্য ময়ী হাসি দিল )
লামিয়া: নাকি কি
আরুশ : ওতো প্রশ্ন করো কেনো এখন তোমার বান্ধবীর নাম্বার দাও
লামিয়া : দেবো না
আরুশ : না দিলে কিন্ত বাঁধন কে অন্য মেয়ের
লামিয়া ভাবে যদি বাধনকে অন্য মেয়ের সাথে রিলেশন করিয়ে দেয় তাহলে থাকবো কি করে এই ভেবে ভয়ে নাম্বার দিয়ে দেয়।

এদিকে রোদ অফিস এ এসে কাজ করছে আজকে একটা খুব বড়ো কন্টাক্ট পেয়েছে রোদ আজ খুব খুশি মুনকে নিয়ে আজ ঘুরতে যাবে ।
রোদ মুনকে ফোন দেয় ।

মুন শুনে যে আজ ক্লাস হবে না শুধু প্রাক্টিস তাই বাগানে বসে আছে তখনই রোদ ফোন করলো
মুন ফোনটা হাতে নিয়ে ভাবে
মুন: আজ হটাৎ ফোন দিল ও তো ফোন দেয়না
তাহলে
এসব ভাবতে ভাবতে ফোন টা ধরে
মুন কিছু বলার আগে রোদের ঝাড়ি শুনে
রোদ: কি হলো এতক্ষণ লাগে ফোন ধরতে কি করছিলা?
মুন: ঐই তোর কথা মত চলতে হবে সালা যখন তখন শুধু ঝাড়ি দেবে কেন রে আমি তোর বিয়ে করা বউ লাগি জিবনটা তেজপাতা বানিয়ে দিলো। সব সময় বলে যে ভালোবাসি ভালোবাসি এই তোর ভালোবাসা তোর থেকে তো আমার ফ্রেন্ডদের বিফ ভালো(এক দমে)
রোদ তো মুনের কথা শুনে শকড মুন কখনো রোদের সাথে চোখ তুলে কথা বলেনি আর আজ সোজা তুই।
রোদ নিজেকে সামলে বলে
রোদ: খুব সাহস বেড়েছে তোমার তাইনা তোমার সাহস কিভাবে কুমাতে হয় সে আমার জানা আছে রেডী থেকো
বলে ফোন কেটে দেয়
মুন তো বসে বসে ভাবছে কি করবে আজ তো সে রোদ কে খুব খেপিয়ে দিছে
আসলে আরুশ এর জন্য মেজাজ টা গরম হয়ে ছিল তারপর রোদের ঝাড়ি মুন হজম করতে পারেনি তাই যা মনে আসছে বলে দেছে।
মুন: এবার কি হবে রোদ তো আমাকে ছাড়বে না ইসস কেনো যে বলতে গেলাম ধুর ভালো লাগে না। আবার ফোন দিয়ে দেখি।
মুন ফোন দিল কিন্ত রোদ ফোন ধরলো না
মুনের তো এবার কেদে দেওয়ার মতো অবস্থা
একটু পর লামিয়া আর রুমা এসে মুনকে প্রাক্টিস এর জন্য নিয়ে গেলো ।

রোদ বসে বসে মুনের কথা ভাবছে আজ মুন যা করলো তাতে রোদের রাগ না হাসি পাচ্ছে
রোদ: এই মেয়েকে নিয়ে আমায় খুব ঝামেলায় পরতে হবে এই মে এতো অবুঝ কেনো একদম বাচ্চা । একে সামলাতে হলে আমার জীবন শেষ
বেটা রোদ টু তো গেয়া
বলে হাসি দিল তখনই রোদের অল্ড ফ্রেন্ড নেহা আসলো রোদ নেহা কে দেখে সেই খুশি।
রোদ: হেয় what’s up
নেহা: অল গুড কিন্ত তোর তো কোনো খবর নেই আমাদের ভুলেই গিলি
রোদ: তোদের কি ভুলতে পারি আসলে কাজে এতো ব্যাস্ত যে দেখা করার টাইম পাইনা
তারপর ২জন মিলে গল্প করতে লাগলো

মুনের তো আজ কোনো কাজে মুন বসছে না শুধু রোদের কথা ওর মাথায় আসছে ।
মুন বসে আছে তখন ওর মাথায় আসলো
মুন: প্রাক্টিস তো শেষ আর আছে শুধু নাচ ওটা ওরা করুক আমি এখন রোদের অফিস এ যাই।
মুন লামিয়া রুমাকে বলে ওখানে থেকে বের হয়ে গাড়ি নিয়ে সোজা তোদের অফিস এ গেলো
মুন: এসে তো গেলাম কিন্ত যদি রোদ রাগ করে যা হবার হবে গিয়ে দেখি
মুন অফিসের ভিতরে ঢুকে মেনেজার এর কাছে যায়
মুন: আসসালামওয়ালাইকুম
ম্যানেজার: ওয়ালায়কুম সালাম আরে মুন মামনি যে
মুন: হা আংকেল একটু রোদের কাছে এসে ছিলাম।
ম্যানেজার: ওহ আচ্ছা চলো তোমাকে রোদের কেবিন এ নিয়ে যাই
ম্যানেজার মুনকে রোদের কেবিনের সামনে দিয়ে চলে গেলন
মুন ভাবছে কি করবে যাবে কি না শেষে ভিতরে ঢুকে পড়ে
ঢুকে দেখে রোদ একটা মেয়েকে জড়িয়ে ধরে আছে ।মুনের খুব খারাপ লাগলো কিন্ত কিছু না বলে চলে যাচ্ছিলো তখনই রোদের ডাক পড়ে
রোদ: মুন তুমি এখানে ?
নেহাকে ছেড়ে দিয়ে
মুন: না মানে আজ ক্লাস হবে না তাই ভাবলাম আপনার সাথে দেখা করে যাই ( নিচে তাকিয়ে)
রোদ: ওহ আচ্ছা তো চলে যাচ্ছিল কেনো?
মুন: আপনাদের প্রাইভেসি নষ্ট করতে চাইনি তাই আচ্ছা আমি যাই (বলে চলে যাচ্ছিলো)
রোদ বুজলো যে মুন ওদের এভাবে দেখে ভুল ভাবছে
রোদ: দাড়াও তোমাকে কি আমি যেতে বলছি এদিকে এসো
মুন ওভাবেই দাড়িয়ে আছে দেখে রোদ ওর কাছে গিয়ে হাত ধরে নিয়ে আসলো।
মুন: কেমন লোক নিজের গার্লফ্রেন্ড এর সামনে অন্য মেয়ের হাত ধরছে ( মনে মনে)
রোদ: এ হলো আমার কলেজ লাইফ এর ফ্রেন্ড নেহা(নেহার দিকে দেখিয়ে)
নেহা: হাই
মুন: হেলো
রোদ: আর এ হলো মুন আমার লাইফ heart breat everything ( এক হাত দিয়ে মুনকে জড়িয়ে)
মুন তো রোদের দিকে তাকিয়ে আছে
রোদ কিছু না বলে একটা চোখ টিপ দেয়
নেহা: ওহ এই তাহলে আমাদের ভাবি খুব মিষ্টি দেখতে একদম পুতুল
রোদ: দেখতে হবে না কার কলিজা
নেহা: হুম এখন আমাকে যেতে হবে এনগেজমেন্ট এ তোদের ২জন কে আসতে হবে
রোদ: কেনো না তখন আমরা জোড়া হয়ে যাবো
( হালকা হাসি দিয়ে)
নেহা : আচ্চা আমি এখন আসি
বলে চলে গেলো

রোদ মুনকে ছেড়ে দিয়ে পকেটে হাত দিয়ে বললো
রোদ: কি এখন তো সব clear হয়ে গেছ হুম(ভূ নাচিয়ে)
মুন: এ বুজলো কি করে (মনে মনে)
রোদ: আমি অবুঝ না যে বুজবে না আমার জানটা রাগ করছে
রোদ: কখনো আমাকে অবিশ্বাস করবা না ভালোবাসা মানেই কিন্ত বিশ্বাস আর সেই বিশ্বাস যদি না থাকে তাহলে ভালোবাসা থাকে না । আমাকে নিয়ে কিছু মনে হলে সোজা বলে দিবা ।
এখন বলো লাঞ্চ করেছ
মুন: না
রোদ: ওহ তাহলে চলো
মুনের হাত ধরে বেরিয়ে পরলো ।
একটা রেস্টরেন্টে ঢুকে খাবার অর্ডার দিলো
রোদ মুনকে খাটিয়ে দিচ্ছে আর মুনকে চুপচাপ
খেয়ে যাচ্ছে মুনের ভীষণ লজ্জা করছে কিন্ত রোদের উপর কথা বলার সাহস যে কারোর নেই
খাওয়া শেষে রোদ বিল দিয়ে মুনকে নিয়ে একটা জায়গায় গেলো ।জায়গায় টা খুব সুন্দর
২পাশে গাছপালা আর মাজখানে নদী মুনের তো খুব ভালো লাগছে।
রোদ:কি ভালো লাগছে
মুন: খুব এতো সুন্দর জায়গা
রোদ: নৌকায় উঠবা
মুন: হুমম
বলে মুন রোদ কে টেনে নিয়ে গেল
মুনের যে নদী খুব পছন্দের।
রোদ আর মুন নৌকায় বসে আছে মুন পানিতে পা ঝুলিয়ে বসে আছে রোদ ও মুনের পাশে এসে বসলো ।
মুন: জানেন আমার না নদী খুব ভালো লাগে আর যদি এখন বৃষ্টি হতো তাহলে আর ভালো হতো কিন্ত আপসোস এটা শীত কাল( বাচ্চাদের মত ঠোঁট উল্টিয়ে)
রোদ মুনের দিকে তাকিয়ে আছে আজ যে ওর ভালোবাসার মানুষ ওর সাথে মন খুলে কথা বলছে ।
রোদের ইচ্ছা করছে সময় টাকে বেঁধে রাখতে ।
মুন: আমাকে আবার নিয়ে আসবেন জায়গা টা আমার খুব ভালো লাগছে
রোদ: নিয়ে আসবো যখনই বলবে তখনই
মুন খুব খুশি হলো
অনেকক্ষণ পর
ওরা বাড়ি চলে আসলো বাড়ি এসে মুন নিজের ঘরে ফ্রেশ হয়ে আজকের দিনের কথা ভাবতে থাকে কি সুন্দর আজকের দিনটা হলো
মুন: আজকে ওকে একদম আলাদা মনে হয়ছে ঠিক প্রথম দিনের মতো।
এমন থাকলেই তো ভালো লাগে তবে যাই বলো সাইকো তো সাইকো ই
কি যেনো বলে হা তোমার জন্য সাইকো
বলে মুন মুচকি হাসি দিল

চলবে,

তোমার জন্য সাইকো
লেখক: নুসরাত জাহান অংকুর
Extra part

মুন এসব ভাবছিল তখন নিচ থেকে রোদের ডাক পরে রাতে খাওয়ার জন্য মুন দেরি না করে নিচে যায় জানে দেরি করলে রোদ যা করবে।
মুন নিচে এসে দেখে রোদ বসে আছে আর কাউকে না দেখে মুনের মন টা খারাপ হয়ে গেলো। মুন একটা চেঁয়ার টেনে বসে খেতে লাগে তখন ওর মনে পরে যে ওর মামনি আর পাপাই ওকে খায়িয় দিত। মুনের খেতে ইচ্ছা করছে না কিন্ত রোদের সামনে উঠে যাওয়ার সাহস নেই।
রোদ: ওতো ভাবতে হবে না আমি খায়িয়ে দিচ্ছি
মুন: না আমি নিজে খেতে পারব
রোদ: আজ কাল তুমি বেশি কথা বলছো না ( মুনের মুখের সামনে ভাত ধরে)
মুন কিছু না বলে খেয়ে নিল।
মুনের খুব কান্না পাচ্ছে শেষে নিজে কে ধরে রাখতে না পেরে কেদে দিলো রোদ মুনকে জড়িয়ে ধরে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো
রোদ: কি হয়চে কিছু দিন পর তো সবাই এক সাথে হবো এভাবে কাদলে হয়
মুন শুধু কেদেই যাচ্ছে ।
কিছুক্ষণ পর মুন স্বাভাবিক হয়
রোদ: আব্বু আম্মুর কথা মনে পড়ছে
মুন আবার কেদে দিলো।
রোদ তো বলেই বিপদে পরে গেলো সব সভামেন্ট তাকিয়ে দেখছে ।
রোদ কোনো উপায় না পেয়ে হাত ধুয়ে নিল হাত মুন তো রোদের বুকে কেদে যাচ্ছে ।
রোদ মুনকে কোলে নিয়ে নিজের রুম এ গেলো।মুনকে বসিয়ে দিয়ে মুনের মুখে হাত দিয়ে বললো
রোদ: কি হয়েছে এভাবে কেউ কাদে তুমি জাননা তোমার কান্না আমি সহ্য করতে পারিনা।
মুন তো কেদে যাচ্ছে
রোদ: আর একবার যদি কাদ তো আজ তোমার খবর আছে ।
মুন কান্না অফ করলো
রোদ: আজ তুমি আমার সাথে আমার ঘরে ঘুমাও চিন্তা করো না এমন কিছু করবো না যাতে তোমার অসম্মান হয় আর নিজের চোখে নিজে ছোটো হয়ে যাই ।
মুন কিছু বললো না মুন রোদকে নিজের থেকে ও বেশি বিশ্বাস করে মুন জানে যে রোদ ওকে যতই কষ্ট দিক কখনো ওর ক্ষতি চাবে না।
মুন শুয়ে পরলো পাশে রোদ ও কিছুটা দূরত্ব রেখে।
মুন: রোদ
রোদ: হুম
মুন: তুমি আমাকে কখনো ছেড়ে যাবে না তো?(করুন কণ্ঠে)
রোদ কিছু না বলে মুনের কাছে এসে মুনকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে বললো
রোদ: তুমি তো আমার লাইফ আমার সব কিছু আমার নিশ্বাস আর মানুষ নিশ্বাস ছাড়া কি বাঁচতে পারে
মুন রোদের কথায় হালকা হাসি দিয়ে
মুন: সত্যি তো কখনো ছেড়ে যাবে না তো আব্বু আম্মুর মতো । তোমাদের ছাড়া কিন্ত আমি মোর
আর কিছু বলতে পারলো না
রোদ: অনেক সাহস বেরেছে তোমার তাইনা তোমাকে কিন্ত এসব বলতে বারন করছি আমার অনুমতি ছাড়া তুমি কিছু করবা না এখন
চুপ চাপ ঘুমাও (ধমক দিয়ে )
মুন কিছু না বলে ঘুমিয়ে পরে আর রোদ মুনের মাথায় হাত বুলাতে থাকে ।
মুন যখন ঘুমিয়ে পরে তখন রোদ মুনের গায়ে কম্বল দিয়ে অন্য ঘরে গিয়ে শুয়ে পরে
রোদ চায়না মুনকে কেউ খারাপ বলুক আর রোদের ভালোবাসা পবিত্র সেই পবিত্র ভাবে রোদ মুনকে পেতে চায় ।

আর এই দিকে
আরূশ মুনকে সারারাত ফোন দেয় কিন্ত মুনকে পায়না ।

সকালে মুনের ঘুম ভাঙ্গা তাকিয়ে দেখে রোদ রেডী হচ্ছে রোদ মুনকে উঠতে দেখে একটা হাসি দিয়ে বলে
রোদ: গুড মর্নিং
মুন: মর্নিং
রোদ: উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে আসো।
মুন উঠে নিজের ঘরে গিয়ে রেডী হয় তারপর নিচে আসে ।
নিচে এসে রোদ আর মুন নাস্তা করে চলে যায়
ভার্সিটির সামনে এসে মুন নেমে যাই
রোদ: মুন
মুন:জী
রোদ: কোনো সমস্যা হলে আপনাকে বলবে এখন যাও
মুন: আচ্ছা
বড়ো সমস্যা তো আছেই কিন্ত কি করে বলি( মনে মনে)
মুন ভার্সিটির ভিতরে গিয়ে দেখে সবাই সবার মত ব্যাস্ত আজ নাকি কোনো স্পেশাল কেউ আসবে তাই এত আয়োজন ।
মুন ওদের আড্ডা খানায় গেলো
মুন: কিরে আজ কে আসবে ভার্সিটিতে
লামিয়া: জানিনা রে স্যার বললো সারপ্রাইজ
রুমা: যাই হোক আমাগো কি ক্লাস হবে না এটাই অনেক।
মুন: তোরা আর
তখনই মুনের ফোন বেজে উঠে মুন ফোনটা হাতে নিয়ে দেখে unknown number
মুন ধরবে কি না ভাবছে শেষে ধরে
মুন: হেলো কে বলছেন?
আরুশ: কি ব্যাপার কাল থেকে ফোন দিচ্ছি ধরছো না কেনো?
মুন বুজে যায় কে ফোন দিছে।
মুন: আপনি কে যে আপনার ফোন আমি ধরবো দেখে বেশি বাড়াবাড়ি করছেন কিন্ত
আরুশ: বাড়াবাড়ি তো তুমি করছো দাড়াও কাল ভার্সিটিতে আসি তোমার হচ্ছে । আর আজ আসতে পারবো না বাড়ি মেহমান আসছে
মুন: তো আমাকে কেনো বলছেন আজব ।
আরুশ : তোমাকে ছাড়া কাকে বলবো।
মুন কিছু না বলে কেটে ফোন টা বন্ধ করে দেয়
মুন: এই সালা কে আমার নাম্বার কে দিলো
রুমা কালকের সব কথা বললো
মুন: তোকে তো আমি।
লামিয়া: ভাই দেখ আমার দোষ না
মুন কিছু বলতে যাবে তখনই ওখানে বাঁধন আসে আর লামিয়া কে বলে
বাঁধন : কাল তোমাকে ফোন দিয়েছিলাম ধরো নি কেনো
লামিয়া: ইচ্ছা তাই
বাঁধন : অনেক নিজের ইচ্ছায় চলছে এবার থেকে আমি যা বলব তাই করতে হবে
বলে বাঁধন চলে গেলো
মুন+রুমা : আহা কি অধিকার।
লামিয়া: চুপ করো তো
তারপর ওরা ক্লাস এ গেলো

কিছুক্ষণ পর স্যার সবাই কে ডাক দেয় স্পেশাল মানুষ আসছে তাই ।
মুনের তো কোনো ইচ্ছা নেই
মুন: বুঝিনা এতো স্পেশাল মানুষ ফানুস এখানে কি করতে আসে একে তো দেশের এই অবস্থা তারপর এসব ফালতু মানুষ ভালো লাগে না
লামিয়া: টা ভালো লাগবে কেন তোর তো শুধু রোদ ভাইয়াকেই ভালো লাগবে
মুন: কিসের মধ্যে কি
রুমা: এই তোরা চুপ করতো যদি স্পেশাল মানুষ হ্যান্ডসাম হয় তো ওকে আমি পটিয়ে ফেলবো
লামিয়া+ মুন: হ্ন সে মনে হয় তোর সামনে এসে ডান্সে করবে
রুমা: আমায় দেখে জলস তাই না তোমার কেনো জলে রে বন্ধু তোমার কেনো জলে
তখনই স্যার মাইকে বলা শুরু করলেন
মুন: ওরে ভাই এরে কেউ পাস টাকা দিয়ে চুপ করে
লামিয়া: সেম
রুমা: উফফ চুপ কর এখনি স্পেশাল মানুষ আসবে
মুন: এমন ভাব করছে যেনো আমার জামাই আসবে লুচু ছেমরি
হেড স্যার: এখন আপনাদের সামনে আসতে চলেছে সেই স্পেশাল মানুষ
..

চলবে

তোমার জন্য সাইকো পর্ব-০৯

0

তোমার জন্য সাইকো
লেখক: নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_৯
মুন চেয়ে চেয়ে রোদের পাগলামি দেখছে শপিং করতে সবাই আসছে মামনি নিজের মতো শপিং করছে আর মুন কিছু কিনতেই পারছে না রোদ মুনকে কিনতেই দিচ্ছে না সব নিজের মতো করে কিনছে মুনের পছন্দের কোনো দাম নেই। এইটা পছন্দ করছে ওই টা করছে আর মুনকে সেগুলো পরে দেখাতে হচ্ছে ।
মুন: উফফ রোদ আমার আর ভালো লাগছে না তুমি যা যা কিনতে ইচ্ছা হয় কিনে নাও আমি গেলাম( বিরক্তি ভাব নিয়ে)
রোদ: চুপ চাপ এখানে দাড়িয়ে থাকি এখান থেকে এক পা ও নোরলে পা কেটে হাতে ধরিয়ে দেব ( চোখ গরম করে)
মুন কিছু বললো না
রোদ: তোমার ড্রেস কিনা সব শেষ এবার সারী
মুন: পাগল নাকি আমি কি সারী পরি যে সারী কিনছেন
রোদ: আমার উপর কথা বলতে এসো না যা বলছি তাই কর
মুন চুপ করে গেলো
একটু পর রাইমা চৌধুরী আসলো
রাইমা চৌধুরী: কিরে তোদের কি শেষ হল তাড়াতাড়ি কর
মুন: হা মামো…
মুনকে কিছু বলতে না দিয়ে
রোদ: হা আম্মু শেষ আর একটু আছে
রাইমা চৌধুরী: তাড়াতাড়ি কর
রোদ এবার মুনের কিছু সারী কিনে। নিজের জন্য ও শপিং করে নিল
মুন শপিং মলে হাঁটছিলো হটাৎ একটা ছেলে মুনকে ফলো করছে রোদ শপিং করতে ব্যাস্ত তাই খেয়াল করেনি মুন ওর জন্য একটা গাউন দেখছিল তখন ছেলেটা এসে মুন এর কোমরে যেই হাত দিতে যাবে ওমনি রোদ ছেলেটার হাত মুচড়ে ধরে ছেলেটা ব্যাথায় কুকরে উঠে মুন পিছনে তাকিয়ে দেখে রোদ একটা ছেলের হাত ধরে আছে ।
ছেলেটা: ছাড়ুন আমার হাত আমার লাগছে
রোদ: কি করতে যাচ্ছিল আমার কলিজায় হাত দিতে গিছিলী তোর এত সাহস
ছেলেটা: ছাড়ুন আমার হাত লাগছে
রোদ: হা উপর থেকে ছেড়ে দি যাতে নিচে পরে আবার উপরে যেতে পারিস(চোখ লাল করে)
ছেলেটা: ছাড়ুন বলছি
এবার রোদ ছেলেটাকে মারতে লাগলো
রোদ: তোর সাহস কি করে হয় আমার কলিজায় হাত দেওয়ার তুই জানিস ও কে ও আমার would be wife তুই রোদ আহমেদ চৌধুরীর কলিজায় হাত দিতে গিছিস আরে এখানে মিয়েদের জীবন নষ্ট না করে পটিতলায় যা যারা কিছু টাকার বিনিময়ে তোকে সর্বোচ্চ দেবে এভাবে মেয়েদের জীবন নষ্ট না করে তোদের মতো কিছু ছেলেদের জন্য সব ছেলেদের দোষ হয় (মারতে মারতে)
সবাই ভিড় করে দাড়িয়ে দেখছে কারোর কিছু বলার নেই কারণ রোদ তো ভুল কিছু বলছে না
শপিং মলের সব ম্যানেজার এসে রোদ কে টেনে নিয়ে গেল
রোদ : আমাকে টানছে কেনো তখন কোথাও ছিলেন যখন ও আমার কলিজার গায়ে হাত দিতে গিয়েছিলো।
ম্যানেজার: সরি স্যার আমরা ব্যাপারটা দেখছি
রোদ ওদের সাথে কিছু কথা বলে মুনের কাছে আসে
মুন তো একদম পাথর হয়ে দাড়িয়ে আছে রোদ এসে মুন এর কাঁধে হাত রাখলো
রোদ: তোমাকে বলেছিলাম যে আমার থেকে দূরে যেও না তাও কেনো গেলে আমার কথা কি তোমার কানে যায়না আজ যদি আমি না থাকতাম তো কি হতো বুঝতে পারছো
(চোখ লাল করে)
মুন পাথর হোয় দাড়িয়ে আছে রোদ বুঝতে পারলো যে মুন খুব ভয় পেয়েছে তাই কিছু না বলে মুন কে বুকে জড়িয়ে নিলো
রোদ: কিছু হয়নি আমি আছি তো যতক্ষণ তোমার রোদ তোমার সাথে আছে ততক্ষণ তোমাকে কেউ কিছু করতে পারবে না কারোর সাহস নেই ভয় পেয় না
মুন: আমি বাড়ি যাবো ( ভয়ে ভয়ে)
রোদ: হা যাবো তো চলো কিছু খেতে হবে তো সেই কখন খেয়েছ বলে মুনকে এক হাত দিয়ে জড়িয়ে ওর মামনির কাছে গেলো
রাইমা চৌধুরী ওর এক পড়ানো বান্ধবীর সাথে দেখা হলে তার সাথে কথা বলছিল তাই ওতো খেয়াল করেনি যে কি হসছিল ।
মুন আর রোদ রাইমা চৌধুরী কাছে গিয়ে ডাক দেয়
রোদ: আম্মু এভাবে চলো অনেক দেরি হচছে চলো কিছু খেয়ে বেরিয়ে যাই
রাইমা চৌধুরী: হা রে বাবা চল
তারপর ওরা কিছু খেয়ে বাড়ি চলে গেলো ছাড়া রাস্তা মুন কোনো কথা বলিনি
মুন বাড়ি এসে ফ্রেশ হয় নেইয় পরে বসে বসে আজকের কথা ভাবতে থাকে
তখনই লামিয়া আর রুমা গ্রুপ কল আসে মুন মুচকি হেসে কল ধরে
লামিয়া: কি ব্যাপার বাড়িতে কি সব বলছিস
মুন: আমাকে কিছু বলতে হবে না রোদ সব মেনেজ করে নেবে
রুমা: যাক ভালো জিজু যে তোকে খুব ভালোবাসে সেটা ত জানি
তারপর মুন আজকে শপিং মিলের সব কথা বলে
রুমা লামিয়া শুনে তো অবাগ
রুমা: জিজু তো দেখছি পরাই ভিলেন
লামিয়া: ঐই সালা ভিলেন হবে কেনো বল মুনের হিরো
মুন: হিরো না তো ছাই একদম সাইকো
লামিয়া: হা তোর সাইকো
মুন: চুপ হারামী
লামিয়া: কেনরে হারামির কি করলাম
রুমা: তোর যদি জিজু পছন্দ না হয় তো আমাকে দিয়ে দে
এমনিতেই এই করনার মধ্যে বোফ্ পাওয়া খুব কষ্টের
লামিয়া: হূ ঠিক কয়ছস
রুমা: আমি আল টাইম ঠিক বলি
মুন: চুপ বেয়াদব আমার জামাইকে নিয়ে কথা বলতে লজ্জা করে না
রোদ: বাহ তোমার জামাই আবার বলো শুনতে খুব ভালো লাগছে
মুন কথা শুনে পিছনে তাকিয়ে দেখে রোদ দরজায় হেলান দিয়ে দাড়িয়ে আছে ঠোঁটে সব সময়ের জন্য পাগল করা হাসি
মুন: তাড়াতাড়ি কল টা কেটে দিল
মুন: আপনি কখন এলেন
রোদ: যখন তুমি ওদের কে তোমার জামাই মানে আমার কথা বলছিলে
রোদ অনেকক্ষণ আগে এসেছে মুন ফোন বেস্ত ছিল বলে বুঝতে পারেনি
মুন: মোটেই ও আপনি আমার জামাই না আমি তো অন্য কে
আর কিছু বলতে পারলোনা তার আগেই রোদ ঝড়ের গতিতে এসে মুনকে খাটের সাথে চেপে ধরলো
রোদ: আজ যা বলেছ বলেছ নেক্ট টাইম যেনো তোমার মুখে আমি অন্য ছেলের কথা না শুনি (চোখ লাল করে)
মুন শুধু রোদের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে
রোদ নিজেকে কন্ট্রোল করে
রোদ: যা বলতে আচ্ছিলাম আম্মু রাজি হয়ে গেছে তুমি আমার সাথে ২৬তারিখ যাবা আর আম্মু কাল সকালে চলে যাবে
মুন:…
রোদ: এখন তো খুশি
আর তোমার ড্রেস গুলো দিয়ে গেলাম কাল ওর মধ্যে একটা পরে আমার সাথে বের হবা কাল ভার্সিটির পর তোমাকে একটা জয়াগায় নিয়ে যাবো
মুন: কোথায়?
রোদ: আবার কথা তোমাকে কয়ফিয়ত দিতে আমি বাধ্য নই (রাগী ভাবে)
নেক্সট টাইম আমাকে কোনো কিছু জিজ্ঞেস করবে না
মুন মাথা নিচু করে নিল
রোদ: এই আমার দিকে তাকাও
মুন : ….
রোদ: কি বলছি আমি
মুন: ….রোদ: উফফ এই মেয়ে কে তো
বলে মুনের থুতনী ধরে মুখটা উচু করলো
মুন রোদের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে
রোদ: খুব ভালোবাসি তোমায় কেনো আমাকে রাগিয়ে দাও বলো তো যখনই ভাবি তোমার সাথে আর রাগ করবো না তখনই এমন কিছু করো যাতে আমার রাগ উঠে যায় । তোমার সব ছোটো ছোট ভুল আমি ক্ষমা করে দিচ্ছি তাই বলে এই না যে যা খুশি তাই করবে নিজের লিমিট এ থাকবা এমন কিছু করবা না যাতে আমাকে তোমার সাথে খারাপ কিছু করতে হয়
কথাটা মাথায় রাখবা
বলে কপালে একটা কিস করে চলে যায়
মুন: হু আয়ছে উনার কথা সব শুনতে হবে কোথাকার কোন হরিদাস পাল সাইকো একটা শুনবো না তোর কথা তুই যদি সাইকো হোস তো আমি ও সাইকো queen দেখিয়ে দেবো তোকে হূ
তখনই মুনের ফোনটা বেজে উঠে মুন ফোন হাতে নিয়ে দেখে নাহিল চৌধুরি ফোন করেছে মুন মুচকি হেসে ফোন রিসিভ করে
মুন: হ্যালো শেষে আমার কথা মনে পড়লো
নাহিল: আমি কি আমার মামনি কে ভুলতে পারি
মুন: কেমন ভুলতে পারো সে দেখা আছে
নাহিল : আরে মামনি তুমি শুধু রাগ করছো আমি তো ব্যাস্ত ছিলাম আর তুমি ও তো ব্যাস্ত ছিলে
মুন: হি আর বলতে হবে না
নাহিল: আচ্ছা মামনি সরি দেখো কান ধরছি
মুন: হি হি হি থাক কান ধরতে হবে না তুমি ঠিক আছো তো?
নাহিল: হা মামনি তোমার কি অবস্থা কোনো অসুবিধা হচ্ছে না তো
মুন: না পাপাই
নাহিল: কোনো সমস্যা হলে রোদকে বলবে
মুন: ওই তো সব থেকে বড় সমস্যা ( বির বির করে)
নাহিল: কিছু বললে মামনি
মুন: না কিছুনা আচ্ছা তুমি ঘুমিয়ে পরো অনেক রাত hoyche
নাহিল: হা তুমি ও গুড নাইট মামনি
মুন: গুড নাইট
মুন ফোনটা কেটে দিয়ে লামিয়া আর রুমা কে মেসেজ দিয়ে রাইমা চৌধুরী ঘরে যায়
মুন গিয়ে দেখে রাইমা চৌধুরী শুয়ে আছে ।মুন গিয়ে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলো
মুন: মামনি
রাইমা চৌধুরী: কি ব্যাপার মুন তুই এত রাতে ভয়
করছে
মুন: না মামনি এমনি আসলাম
রাইমা চৌধুরী: ওহ
মুন রাইমা চৌধুর কোলে শুয়ে পরলো
রাইমা চৌধুরী মুনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে
মুন: আচ্ছা মামনি আকাশে আব্বু আম্মু আমায় মিস করছে?
মুনের এমন কথায় রাইমা চৌধুরী বুজে গেলেন যে মুন ওর বাবা মার কথা মনে পড়ছে
রাইমা: হা রে মা তোর আব্বু আম্মু খুব মিস করছে তোকে তুই যে ওদের সব ছিলি
মুন: একটু ও না যদি সত্যি তাই হতো তাহলে আমাকে একা ফেলে চলে যেত না
রাইমা : আল্লাহ ডাক পরলে কি কেউ কিছু করতে পারে আমাদের সবাই কে একদিন যেতে হবে
মুন: তুমি আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবে না
রাইমা: না রে মা কোথাও যাবো না আল্লাহ ডাক পরলে তো আর কিছু করার নেই
রোদ: বাহ আমার আদর তো সব নিয়ে নিলে এটা তো হতে দেওয়া যায় না
মুন আর রাইমা চৌধুরী তাকিয়ে দেখে রোদ দাড়িয়ে আছে
রাইমা: তুই এত রাতে
রোদ কিছু না বলে রাইমা চৌধুরী কোলে শুয়ে পড়ে
রোদ: বারে আমি আমার আম্মু ঘরে আসতে পারিনা
মুন: মামনি তোমার ছেলেকে উঠতে বলো।
রোদ: আমি আমার আম্মুর ঘরে অচ্ছি তোমার তাতে কি হুম?
মুন: মামনি
রাইমা চৌধুরী: চুপ করতো ঘুমা
রোদ কিছু না বলে মুনের হাত ধরলো
মুন চোখ বড়ো বড়ো করে তাকিয়ে আছে ।
২জন দজনের দিকে তাকিয়ে ঘুমিয়ে পরলো আর রাইমা চৌধুরী ওদের ঠিক করে শুয়িয়ে নিজে ওদের মাজখানে শুয়ে পরলো।
সকালে
মুন ঘুম থেকে উঠে দেখে মামনি নেই পাশে রোদ ওর হাত বুকে নিয়ে ঘুমিয়ে আছে মুন এক নজরে রোদকে দেখছে
রোদের ও ঘুম ভেংগে যায় তাকিয়ে দেখে মুন ওর দিকে তাকিয়ে আছে
রোদ: আমি জানি আমি সুন্দর তাই বলে এভাবে চোখ দিয়ে গিলে খাবে
রোদের কথায় মুনের ধেন ভেঙ্গে
মুন: মোটেও আমি আপনার দিকে তাকিয়ে ছিলাম না
রোদ: সে লোকে জানে
মুন কিছু না বলে উঠে যায় ।
রোদ মুচকি হেসে উঠে যায়

রাইমা চৌধুরী চলে যায় ।

রোদ আর মুন ও বেরিয়ে পরে
রোদ মুনকে ভার্সিটিতে নামিয়ে দিয়ে চলে যায় ।

চলবে,

তোমার জন্য সাইকো পর্ব-০৮

0

তোমার জন্য সাইকো
লেখক: নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_৮
মুন হাত ছাড়িয়ে সামনের মানুষটাকে দেখে ওর মাথায় রক্ত উঠে গেলো। নিজেকে শান্ত করে ও বললো
মুন: আপনি আমায় এভাবে টেনে কেনো আনলেন আপনার সাহস কি করে হয় আমার হাত ধরার নিজেকে কি ভাবেন একদিন বাঁচিয়েছেন বলে যা খুশি তাই করবেন আমার উপর অধিকার খাটাবেন আমার উপর কারোর অধিকার খাটবে না বুঝছেন(অনেকটা রেগে)
আরুশ: কি হয়েছে তুমি এভাবে রেগে গেছে কেনো আমি তো just তোমাকে কথা বলার জন্য নিয়ে এসেছি।
মুন: কিসের কথা আমার সাথে আপনার হা কিসের এত কথা বুঝিনা ভেবেছেন
আরুশ: দেখো তুমি কিন্ত বেশি করছো একটু হাত ধরলে কি হয় ?
মুন: কার কি হয় আমি জানিনা কিন্ত আমার সহ্য হয় না।
আরুশ: আমি তো তোমাকে থামাতে ধরেছিলাম
মুন: আল্লাহ পরে রোদ ছাড়া আমাকে কেউ থামাতে পারবে না ওয়ার্নিং দিচ্ছি আমার থেকে দূরে দূরে থাকবেন নাহলে ফল ভালো হবে না
আরুশ: আচ্ছা আমি ও দেখি তুমি কি করতে পরো( এই বলে মুনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আর মুন পিছিয়ে যাচ্ছে )
মুন: এই আপনি এভাবে এগিয়ে আচ্ছেন কেনো পিছিয়ে যান বলছি
আরুশ: না দেখি তুমি কি করতে পারো
মুন: আমি কিছু করবি না আপনি সরুন
আরুশ: ওকে যা বলতে আচ্ছি কাল কিছু না বলে চলে গেলে কেনো আর একটু আগে কোন ছেলের নাম নিলে কে ও তোমার মুখে যেনো আর কখনো কোনো ছেলের নাম না শুনি তমি শুধু আমার বুঝছো আমি তোমাকে ভালোবাসি ইজ that’s clear
মুন: না আমি আপনাকে ভালোবাসি না মাত্র কয়েক দিনের পরিচয়ে ভালোবাসা কি করে হয়
আরুশ: ওসব আমি বুজিনা আমি শুধু তোমাকে ভালোবাসি আর তোমাকে ও বাসতে হবে
কথাটা বলে আরুশ চলে গেলো
আর মুন হা করে তাকিয়ে আছে।
মুন: ছেলেটা কি পাগল ছোটো বেলায় maybe pore গিয়েছিলো আহারে কি কষ্ট ।সব কষ্ট বের হয়ে যাবে যদি রোদ জানতে পারে জানিনা তো কে রোদ একটা সাইকো ।আল্লাহ সব পাগল ছাগল কি আমার কপালে জুটে
বির বির করতে করতে মুন ক্লাস রুম থেকে বের হয়ে গেলো।
আরুশ ক্লাস রম্ম থেকে সিষ বাজাতে বাজাতে বের হয়ে যাচ্ছে আর মনে মনে ভিলেনি হাসি হাসছে
আরুশ: রোদ তাইনা যদি রোদই না থাকে তো মুন ….

এদিকে রোদ অফিস এ বসে কাজ করছিল ঠিক সেই সময় ওর ফোন এ একটা ফোন আসে
ফোনটা ধরে কানে দিলো
রোদ: হুম কোনো সমস্যা
ওপাশ থেকে….
রোদ: গুড এখন রাখছি খেয়াল রেখো
রোদ: পিপীলিকার পাখা ওরে মরিবার তোরে জানে না তো কর কলিজার দিকে নজর দিচ্ছে আমি সাইকো মুন এর সাইকো
বলে কোর্ট টা পড়ে বেড়িয়ে গেলো

মুন আনমনে হাটছে আর আরুশ এর কথা ভাবছে তখনই লামিয়া আর রুমা আসলো
লামিয়া: কিরে ফইন্নি কই গিছিলি
রুমা: খুদা লাগছিল
লামিয়া: তোর শুধু খাওয়ার চিন্তা রাক্ষসী
মুন: তোরা চুপ কর তো ভালো লাগছে না
রুমা: কি হয়ছে তোর
মুন: কিছু না
লামিয়া: বলবি কি না
তারপর মুন আরুশ এর সব কথা বলে দিলো
লামিয়া: চিন্তা করিস না বেটাকে আমরা দেখে দিবো
রুমা: ছেলেটা কিন্ত খুব কিউট
লামিয়া: রাখ তোর কিউট ওর থেকে আমার বাধু খুব ভালো( বাঁধন)
মুন: ভালোবাসা জাগছে নাকি
বলে ২জন হাসতে লাগলো
লামিয়া: ভালোবাসা শেষ হলে তো নতুন করে জাগবে
বলে ৩জন চলে গেলো হেড স্যার সবাইকে ডেকেছে
এদিকে লামিয়ার কথাটা অন্য কেউ শুনে মুচকি হেসে চলে গেলো।
( সবাই বুঝতে পারছেন অন্য কেউ ছেলেটা বাঁধন)
হেড স্যার: প্রতিবছর আমাদের ভার্সিটিতে একটা অনুষ্ঠান করা হয় আর সব স্টুডেন্ট অংশ গ্রহণ করে যে যা খুশি নিতে পারে আজ থেকে practise স্টার্ট হবে।
হেড স্যার যা বলছে তাতে সবাই খুব খুশি শুধু মুন বাদে কারণ ও থাকতে পারবে না
মুন এর মন খারাপ দেখে লামিয়া বললো
লামিয়া: কিরে তোর মন খারাপ কেনো
মুন: আমি থাকতে পারবো না
রুমা: থাকতে পারবিনা মানে কি
মুন: মামনির বান্ধবীর মেয়ের বিয়ে সেখানে যেতে
রুমা: মামনির বান্ধবীর বিয়ে তোর তো আর না
মুন: বান্ধবীর মেয়ের বিয়ে
রুমা: ওই হলো তোর তো না
মুন: আমাকে যেতে হবে তো
লামিয়া: বিয়ে কবে
মুন: ২৭ তারিখ
লামিয়া: আর ফাংশন ১তারিখ তার আগে তো চলে আসবি
মুন: সে ঠিক আছে কিন্ত প্রাকটিস তো করতে পারবো না কালকে যেতে হবে
লামিয়া: তুই তো গান নিমি তোর প্রাক্টিস করা লাগবে না ওই কয়দিনে হবে
রুমা: কিন্ত আমি তো ওর নাম নাচে ও দিছি
মুন লামিয়া: বিপদ তো ঘরে বাইরে কি দেখবো
রুমা: আমায় তোরা বিপদ বলতে পারলি( কাদ কাদ ফেস করে)
মুন: না রে আচ্ছা বাদ দে পরে দেখা যাবে এখন আমাকে যেতে হবে দেখি মামনি কে বুঝতে পারি কি না
লামিয়া: ওকে বাই রাতে কথা হবে
মুন: হুম বাই

মুন বাইরে এসে দেখে রোদ গাড়িতে বসে আছে
মুন কিছু না বলে গাড়িতে উঠলো।
রোদ মুনকে দেখে দরজা খুলে দিল
রোদ: তো আজকের দিন কেমন কাটলো?
মুন: হুম ভালো
মামনি কে বলার থেকে রোদকে বলি ও হয়তো আমাকে বুজবে ( মনে মনে)
রোদ আর চোখে মুনের দিকে তাকিয়ে দেখছে মুন কি যেনো ভাবছে
রোদ: কি এতো ভাব সারাদিন
মুন: না কই কিছু না তো
রোদ: সত্যি
মুন: হা
তারপর ২জনের মধ্যে কিছুক্ষণ নিরবতা ছিল
মুন: রোদ
রোদ: হুম ( বাহ আজ ম্যাডাম নিজে থেকে ডাকছে)
মুন: কিছু বলতাম
রোদ: বলো শুনছি
মুন: আমাদের ভার্সিটিতে ফাংশন হবে
রোদ: হা তো
মুন: আসলে
রোদ: তুমি অংশ গ্রহণ করতে চাও
মুন: হা
রোদ: তো করো বারন করেছে কে কিন্ত ছেলেদের সাথে না
মুন: আরে না আমি শুধু গান নিবো কিন্ত
রোদ: কিন্ত কি
মুন: মামনির সাথে যেতে হবে আর প্রাক্টিস
রোদ: ওকে আমি দেখে নিবনে
তুমি চিন্তা করো না (এই তো সুযোগ পেয়েছি তোমার সাথে কাটানোর)
মুন: সত্যি
রোদ: হা
মুন খুশিতে রোদ কে জড়িয়ে ধরে পরে হুশ আসলে ছেড়ে দেয়
রোদ: এভাবে কেউ জড়িয়ে ধরে আর একটু হলে অ্যাকসিডেন্ট হয়ে যেতো ( রাগী গলায়)
মুন: আসলে আমি বুঝতে পারিনি ( মাথা নিচু করে)
রোদ কিছু না বলে এক হাত দিয়ে মুনকে জড়িয়ে ধরলো মুন ও কিছু বললো না
কিছুক্ষণ পর ওদের বাড়িতে চলে আসলো মুন ঘরে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসলো নিচে সবাই এক সাথে নাস্তা করে বেরিয়ে পড়লো শপিং করতে

এদিকে
আরূশ মুনকে ভার্সিটিতে খুঁজে না পেয়ে ওর বান্ধবীদের কাছে যায়
অ্যারুশ: এই তোমরা মুনকে দেখছ সেই কখন থেকে ওকে খুঁজছি কোথাও পাচ্ছি না
লামিয়া: মুন বাড়ি চলে গেছে
আরুশ: বাড়ি চলে গেছে কিন্ত কেনো
রুমা: আপনাকে কেনো বলবো কে আপনি।
আরুশ: আমি তোমাদের দুলাভাই এখন থেকে জিজু বলে ডাকবে আর আমার জানের খেয়াল রাখবে বুঝছো
বলে চলে গেলো ওর বন্ধুদের কাছে
লামিয়া: সত্যি এ পাগল আয়চে আমাদের জিজু হতে
রুমা: হুই আমাদের জিজু যার হাওয়ার সে এমনিতেই হবে
লামিয়া: বাদ দে তো নে শরু কর
আরুশ ভাবছে কি করে মুনকে নিজের করে পাওয়া যায় শেষে একটা বুদ্ধি মাথায় আসে আর একটা ভিলেনী হাসি দিয়ে চলে যায়

চলবে

তোমার জন্য সাইকো পর্ব-০৭

0

তোমার জন্য সাইকো
লেখক: নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_৭
মুন আনমনে রোদের কথা ভাবছে তখন রাইমা চৌধুরী খাওয়ার জন্য ডাকে মুন নিচে এসে দেখে নিহাল চৌধুরী আর রাইমা চৌধুরী বসে আছে মুন চারিদিকে তাকিয়ে দেখে রোদ নেই ।মুন গিয়ে ওদের সাথে বসলো।একটু পর রোদ আসলো।
সবাই খাচ্ছে তখন নিহাল চৌধুরী বললো
নিহাল চৌধুরী: আমি business এর কাজে বাইরে যেতে হবে কয়েক দিন পর আসবো
রাইমা: তুমি তো আমায় আগে কিছু বলনি
নিহাল চৌধুরী: হটাৎ করে ঠিক হলো তাই বলার টাইম পাইনি কাল সকালে চলে যেতে হবে।
মুন: পাপাই তুমি আমায় ছেড়ে যাবা আমি ও তোমার সাথে যাবো (কাদো কাদু ফেস করে)
রোদ: একদম না তুমি কোথাও যাবে না খুব পাখনা গজিয়েছে তাইনা( ধমক দিয়ে)
রাইমা: আহা রোদ তুই মেয়েটাকে এভাবে বকছিস কেনো হম?
নিহাল: রোদ মামনি এর সাথে অভাবে কথা বলতে যেনো তোমাকে আর না দেখি ।মামনির ইচ্ছা হয়েছে তাই আমার সাথে যেতে চায়ছে
রোদ: ওর যদি ওতো ঘুরার ইচ্ছা তাহলে আবার থেকে আমি মিটিং এ বাইরে গেলে ওকে সাথে করে নিয়ে যাবো ( মুন এর দিকে তাকিয়ে)
মুন তো শুধু মাথা নিচু করে শুনছে
রাইমা: সে যাস কিন্ত কাল তুই আমাকে আর মুনকে শপিং এ নিয়ে যাবি আমার বান্ধবীর মেঁয়ের বিয়ে
নিহাল: কবে ঠিক হলো
রাইমা: এই তো সামনের ২৭ তারিখে আমাদের ২৩ তারিখ এ যেতে হবে
নিহাল: আমি তো যেতে পারবো না সোজা ২৭তারিখ বিয়ের দিন যাবো।
রোদ: আমি ও এতো আগে যেতে পারবো না অফিস এর কাজ আছে
রাইমা: ঠিক আছে তাহলে তুই আর মুন ২৬ তারিখ যাস
মুন: না মামনি আমি তোমার সাথে যাবো
রাইমা: তুই না বললি তোর ইম্পর্ট্যান্ট ক্লাস আছে?
মুন: আছে কিন্ত পরে আমি নোট করে নিবানে তোমাকে একা ছেড়ে থাকতে পারবো না
( আর এই রোদের সাথে তো মোটেই থাকবো না)
রোদ: কোনো দরকার নেই ক্লাস বাদ দেওয়ার এমনিতেই লেখা পড়ার যা অবস্থা আবার ক্লাস না করলে মুখ দেখানো যাবে না।
মুন:😒😒
নিহাল চৌধুরী: তাহলে তোমরা থাকো কাল সকালে আমাকে যেতে হবে।
রাইমা চৌধুরী: আচ্ছা আমি সব ঠিক করে রাখবো
মুন: মামনি কাল যখন পাপাই যাবে আমাকে তার আগে ডেকে দিও
রাইমা চৌধুরী: আসছ দেবো এখন যাও গিয়ে ঘুমিয়ে পরো( হেসে)
মুন উঠে গেলো আর ওর পাপাই এর গালে কিস করে গেলো
নিহাল চৌধুরী: পাগলী মেয়ে একটা
রোদ: সবার সাথে কত কথা আমার আব্বুকে কিস করলো কিন্ত আব্বুর ছেলে কে কি চোখে পরে না wait দেখাচ্ছি(মনে মনে)
রোদ ও উঠে গেলো
মুন নিজের ঘরে বসে বসে রাগ ফুসছে
মুন: কি ভেবেছ নিজেকে যা খুশি তাই করে বেড়াবে হু আয়ছে উনার সাথে আমি ঘুরে বেড়াবো কোনো তো কাজ পাইনা আজাইরা সব
রোদ: হা সব আজাইরা আর তুমি খুব ভালো তাই তো।
রোদের কথায় মুন পিছনে তাকিয়ে দেখে রোদ দরজার সাথে হেলান দিয়ে পকেটে হাত দিয়ে হারিয়ে আছে ঠোঁটে বাকা হাসি
মুন: না মানে আসলে
রোদ: কি মানে আসলে করছো
(মুন এর দিকে এগিয়ে গিয়ে)
মুন তো রোদের কাছে আসতে পিছিয়ে যাচ্ছে
মুন: কি হলো আপনি এগিয়ে আসছেন কেনো
রোদ: তুমি পিছিয়ে যাচ্ছ কেনো
মুন ঝরে মামনি বলে ডাকদিবে তার আগে রোদ ঝড়ের গতিতে এসে মুন এর মুখ চেপে ধরলো
মুন: উম উম উম
রোদ: কি উম উম করছ আর একবার চিৎকার করতে গেলে গলা টিপে মেরে ফেলবো
মুন:….
রোদ: যাই হোক তুমি এত সাজো কেনো বলো তো ( কপালের চুল গুলো কানের পিছনে গুজে দিয়ে)
মুন: এই লোক কি পাগল কই সাজলাম কিছুই তো দিনা last কবে সেজেছি টা ও মনে পড়ছে না(মনে মনে)
রোদ: হা তুমি সাজো না কিন্ত তাও তোমাকে এত সুন্দর লাগে কেনো তোমার ঠোঁটের উপর ওই তিলটা আমাকে তোমার দিকে আর ও বেশি টানে ( মুনের কপালে কপাল লাগিয়ে)
মুন এর ঠোঁটের উপরে একটা ছোটো তিল আছে যেটি ওর খুব কাছের না আসলে বুঝা যায়না
রোদ: এখন ঘুমিয়ে পরো তোমার দিকে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকলে উল্টা পাল্টা কিছু করে ফেলবো তখন আবার তুমি বলব
মুন: অসভ্য লোক একটা( মনে মনে)
রোদ: হা ঠিক এটাই বলতে
মুন তো অভাগ
মুন: মনের কথা পরতে পারে নাকি (মনে মনে)
রোদ: হুম পরতে পারি শুধু ভালোবাসার মানুষের টা পারি বুজলে পিচ্ছি
মুনের নাক টেনে
মুন: আমি মোটেও পিচ্ছি না( নক ডলে)
রোদ: হা তুমি পিচ্চি আমার পিচ্ছি
এবার ঘুমিয়ে পরো অনেক রাত হয়েছে
মুনের কপালে একটা কিস করে চলে গেলো।
আর মুন বসে বসে রোদের কথা ভাবছে যা হলো সব ওর মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে
(সত্যি বলতে একটা মানুষ আপনাকে সহ্য করতে পারে না হটাৎ যদি সে বলে আপনাকে ভালোবাসি তাহলে বিশ্বাস করাটা কষ্টকর)
মুন এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেলো ।

সকালে মুন তাড়াতাড়ি উঠে ওর মামনির সাথে নাস্তা বানাতে সাহায্য করছে নিহাল চৌধুরী যাবে বলে
রাইমা চৌধুরী: থাক মা আর কিছু করতে হবে না অনেক করেছিস
মুন: উফফ মামনি তুমি এমন কেনো বলো তো আমি একটু করছি পাপাই কে বলে দেবো কিন্ত
রাইমা চৌধুরী: হয়েছে আর কাউকে বলতে হবে না তুই গিয়ে এই কফিটা তোর পাপাই কে দিয়ে আয়
মুন: ওকে মামনি।
মুন নাচতে নাচতে চলে গেলো
নিহাল চৌধুরী টাই বাঁধছেন তখন মুন আসলো
মুন: পাপাই আসবো
নিহাল চৌধুরী: আরে আমার মামনি যে তোর আবার আসতে পারমিশন লাগে নাকি
মুন: না এই নাও তোমার কফি।( কফিটা এগিয়ে দিয়ে)
নিহাল চৌধুরী: তোকে কে আনতে বলছে বাড়ি কি কাজের লোকের অভাব পড়ছে
মুন: কেনো আমি কি আমার পাপাই এর জন্য আনতে পারিনা( মন খারাপ করে)
নিহাল চৌধুরী: আরে মা আমি অভাবে বলিনি আচ্ছা দে (কফিটা নিয়ে)
হুম খুব সুন্দর হয়ছে তো
মুন: হি হি আচ্ছা তুমি তাড়াতাড়ি চলে আসবা তোমাকে ছাড়া আমার ভালো লাগে না
নিহাল চৌধুরী: হা রে মা চলে আসবো টা তোর জন্য কি আনতে হবে সেটা বলে দিস
মুন: কিছু লাগবে না তুমি তাড়াতাড়ি চলে এসো
আমি যাই নিচে অনেক কাজ আছে
নিহাল: তোমাকে কোনো কাজ করতে হবে না বাড়ি লোক আছে তারাই করবে
মুন: ওকে আমি শুধু তোমার কাজে মামনি কে হেল্প করব।
বলে মুন চলে যায়
নিচে এসে ওর মামনি কে হেল্প করে ।

কিছুক্ষণ পর নিহাল চৌধুরী চলে যায়
মুন নিজের ঘরে বসে ভার্সিটিতে যাওয়ার জন্য গুচাছিল গুছিয়ে নিচে এসে দেখে রোদ দাড়িয়ে আছে
রোদ মুনকে দেখে গাড়ির ভিতরে উঠে দরজা খুলে দেয়।
মুন ও গাড়িতে উঠে পড়ে।
গাড়িতে মুন বার বার রোদের দিকে আর চোখে তাকাচ্ছে
রোদ: আমার দিকে অভাবে তাকিয়ে লাভ নেই আমি জানি আমি খুব সুন্দর তাই বলে বার বার আড়চোখে তাকিয়ে সেটা প্রুফ করতে হবে না
মুন: আমি মোটেও আপনার দিকে তাকাচ্ছিলাম না
রোদ: সেটা তো লোকে জানে( ড্রাইভ করতে করতে)
মুন: লোকে তো অনেক কিছু জানে কিন্ত আপনি যে আজ কাল বেশি করছেন সেটা কি আপনি জানেন?
রোদ: আমি আবার কি করলাম?
মুন: অনেক কিছু
রোদ: তোমার কাছে তো আমি সব সময় বেশি করি এখন যাও তোমার ভার্সিটি চলে এসেছে
মুন সামনে তাকিয়ে দেখে ওরা চলে আসছে মুন কিছু না বলে নেমে পরে
মুন চলে যেতে নিলে রোদ পিছু ডাকে
রোদ: কাল কি বলেছিলাম সেগুলো মনে আছে তো কথার যেনো নড়চড় না হয় আর আমি ২তাই নিতে আসবানে (বলে রোদ চলে গেলো)
আর মুন ভেংচি কেটে ভার্সিটিতে ঢুকলো
ঢুকে ওদের আড্ডা খানায় গেলো
সেখানে : লামিয়া রুমা বসে আছে।
মুন ও ওদের সাথে গিয়ে আড্ডা দিতে বসলো তখনই ওখানে অরুষ্ চলে আসলো।
মুন আরূশ কে দেখে চলে যাচ্ছিলো কিন্ত আরূশ ওকে ডাক দেয় টা ও মুন চলে যায় ।
মুনের দেখা দেখি বাকিরা ও চলে যায়।
মুন: বাড়িতে রোদ আর এখানে এই বেয়াদব কোথাও গিয়ে শান্তি নেই আল্লাহ দরি ফেলাও আমি উপরে যাবো।
লামিয়া: কিরে কি বির বির করছিস
মুন: তোর মাথা
লামিয়া: এতো রেগে যাচ্ছিস কেনো
মুন: কিছুনা চল ক্লাস এ যাই
সবাই ক্লাস এ গিয়ে ক্লাস করলো ক্লাস শেষে মুন বারান্দা দিয়ে হাটছে হটাৎ কে যেনো ওর হাত ধরে টেনে খালি রুম এ নিয়ে গেলো ।

চলবে

তোমার জন্য সাইকো পর্ব-০৬

0

তোমার জন্য সাইকো
লেখক: নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_৬
রোদ কিছু পরার আওয়াজে পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখে মুন দাড়িয়ে আছে রোদ ফোন টা কেটে দিয়ে তাড়াতাড়ি মুনের কাছে গেলো মুন তো পাথর হয়ে দাড়িয়ে আছে রোদ মুনকে বললো
রোদ: কি ব্যাপার তুমি আমার ঘরে কাপ টা পরলো কি করে দেখে চলতে পারো না (ব্যাস্ত হয়ে )
রোদ তাড়াতাড়ি মুনকে নিয়ে খাটে বসলো তারপর ওর পায়ের কাছে বসে মুন এর পা টা নিজের হাঁটুর উপর রাখলো
আর খুব সাবধানে দেখতে লাগলো।
গরম কফি পড়াতে মুনের পায়ে লাগে আর ব্যাথা ও পায় কিন্ত মুনের সেদিকে খেয়াল
নেই মুন তো একটু আগে রোদের কথা শুনে ভয়ে আছে
মুন: রোদ ওটা কি বললো কাকে বললো যে জানে মেরে ফেলতে ওর জানের দিকে তাকানোর জন্য চোখ উপড়ে ফেলতে ।কাকে বলেছিলো ( মনে মনে )
রোদ: কি এতো ভাবছো পায়ের দিকে কি খেয়াল আছে কত খানি লেগেছে।
রোদ এমন ভাবে বলছে যেনো ব্যাথা ও পাসছে
মুন এক দৃষ্টিতে রোদের দিকে তাকিয়ে আছে
একটু আগের রোদ আর এখনকার রোদের মধ্যে মিল পাচ্ছে না আগের রোদটা ছিল
হিংস্র আর এখনকার রোদকে একদম বাচ্চা মনে হচ্ছে কতটা যত্নে পায়ে মলম লাগিয়ে দিচ্ছে।
রোদ: (তুরি বাজিয়ে) কি এতো ভাবছো খুব কি ব্যাথা করছে (করুন চোখে)
মুন: আমি ঠিক আছি
রোদ: কেমন ঠিক আছো টা তো দেখছি একটু সাবধানে চলতে পারো না আর আমার ঘরে আজ হটাৎ কেনো( ভূ কুচকে)
মুন: আসলে মামনি আসতে বলেছিলো ওই কফি
রোদ:মামনি কফি দিতে বলেছিলো না ফেলে দিতে বলেছিলো কোনটা
মুন: না কফি দিতে বলেছিলো কিন্ত
রোদ: কিন্ত কি কতখানি লেগেছে দেখেছো ওষুধ লাগিয়ে দিছি ব্যাথা কুমে যাবে আর পরে বরফ লাগিয়ে নিও
মুন: হাম
হটাৎ রোদের টেবিল এর দিকে নজর পরতে দেখলো পকোড়া রাখা
মুন ঘরে এসে পকোড়া টা টেবিলে রেখে কফি দিতে গিয়েছিল।
রোদ পকড়ার বাটিটা হাতে নিয়ে খেতে গেলে
মুন: ওটা আপনার জন্য না ওটা আমার
রোদ: তোমার তো কি হয়েছে আমি কফিটা তো নষ্ট করে দিলে এখন তোমার পকোড়া আমি খাবো
রোদ জানে যে মুনের পকোড়া খুব পসন্দের আর মুন এটার ভাগ কাও কে দিতে চায়না
মুন: আমি আপনার কফি এনে দিচ্ছি আপনি আপনার পকোড়া ফেরত দিন
রোদ: (গালে পুরে) এটা এখন আমার
মুন তো রাগ ফুসছে
মুন: আপনি আপনার পকোড়া কেনো খেলেন কেনো আপনি মামনির কাছ থেকে তো নিতে পারতেন? ( রাগী গলায়)
রোদ: আমার ভালো লাগছে তাই খায়ছি তোমার তাতে কি?
মুন: আপনার পেট খারাপ করবে ।হজম হবে না আমি মামনি কে বলে দেবো(ঠোঁট উল্টিয়ে)
মুন চলে যেতে নিলে রোদ মুন এর হাত ধরে
নিজের কাছে নিয়ে আসে তারপর মুন এর গালে হাত দিয়ে অন্য হাত দিয়ে পকোড়া মুন এর গালে পুড়ে দেয় আর বলে
রোদ: তোমার সব কিছুর উপর শুধু আমার অধিকার সেখানে এই পকোড়া তো সামান্য।
যতটুকু ভালোবাস পকোড়া তার একটু ভালোবাসা আমায় দিলে খুব কি ক্ষতি হতো ।
মুন গালে পকোড়া থাকার কারণে কিছু বলতে পারছে না ।রোদ আবার বললো
রোদ: একটু ভালোবেসে দেখো আমায় কোনো দিন ছেড়ে যাবো না
মুন রোদের চোখের দিকে তাকিয়ে দেখে সেখানে শুধু মুন এর জন্য ভালোবাসা
রোদ মুনের থেকে সরে আসলো ।
মুন পকরার বাটিটা নিয়ে চলে আসতে গেলে রোদ বলে
রোদ: কখনো কারোর পার্সোনাল কথা লুকিয়ে শুনতে নেই নেক্সট টাইম থেকে খেয়াল রাখবা এখন নিজের ঘরে যাও।
মুন ও চলে গেলো আর রোদের কথা ভাবছে আর পকোড়া খাচ্ছে।

এদিকে অ্যারুস ওর বন্ধুদের সাথে একটা পার্কে ঘুরতে গেলো সেখানে লামিয়া আর ওর বোন গেছে ।
লামিয়া তো বাধনকে দেখে সেই ক্ষেপা খেপছে
বাঁধন এর ও একই অবস্থা
লামিয়া: আমি যেখানে যাবো সেখানে কি তোকে যাওয়া লাগবে ছেচরা ছেমরা ( রাগী ভাবে)
বাঁধন: ওরে আয়ছে রনি মূখাজী যে উনি যেখানে যাবে আমায় ও সেখানে যেতে হবে
লামিয়া: রাখ তোর মূখাজি ফুখাজি তুই এখানে আসলি কেন সেটা বল
বাঁধন: এটা কি তোর বাপের জায়গা যে আমি আসতে পারবো না
লামিয়া: ওই কুত্তা বাপে যাবি না সালা হারামী লজ্জা করে না তোর মেয়েদের সাথে ঝগড়া করতে
বাঁধন: তোর লজ্জা করে না
লামিয়া: নারে করে না তোর সাথে প্রেম করে সব চলে গেছে।
(আসলে লামিয়া আর বাঁধন রিলেশনশিপ এ ছিল কিন্তু ওদের মধ্যে ঝোগড়া লেগে ভেঙ্গে যায়
Bt ২জন একে অপরের খুব ভালোবাসে শুধু সামনে বলে না)
ওদের ২জন এর ঝগড়া বাঁধন এর বন্ধুরা সহ পার্কের সবাই দেখছিল
বাধনকে ওর বন্ধুরা কোনো রকম ওখানে থেকে টেনে নিয়ে আসে টা ও বাঁধন বলে যাচ্ছে
বাঁধন: তোকে দেখে নেবো
লামিয়া: এতো দিন এ ও দেখতে পাসনি whatapp এ পিক পাঠিয়ে দেবো
বাঁধন: তোর পিক তুই খা
লামিয়া আর ওর বোন চলে আসলো।

রাতে রোদ জানলার পাশে দাড়িয়ে মুনের কথা ভাবছিল এমন সময় রাইমা চৌধুরী ঘরে আসলো
রাইমা চৌধুরী: কার কথা ভাবছিস মুনের নাকি
রাইমা চৌধুরী কথায় রোদ পিছনে তাকিয়ে দেখে
রোদ: ওর কথা ছাড়া কার কথা ভাববো ও ছাড়া কে আছে
রাইমা চৌধুরী: অতই যখন ভালবাসিস তাহলে কষ্ট দিস কেনো মেয়েতাকে
রোদ: কষ্ট তো দিতে চাইনা কিন্ত ও আমায় বাধ্য করে( বিছানায় বসে)
রাইমা চৌধুরী: তুই ওর পকোড়া খেয়েছিস আর মাকে নালিশ করেছে( হেসে)
রোদ ও হেসে দিল
রোদ: ও আর বড়ো হলো না ( মায়ের কোলে মাথা রেখে)
রাইমা চৌধুরী: বাচ্চা তো তাই
রোদ: ওকে ছাড়া যে আমার কিছুই ভালো লাগে না এই জায়গা টা খালি খালি লাগে(বুকে হাত দিয়ে)
রাইমা চৌধুরী ছেলের কথা শুনছে কি করে একটা মানুষ এত টা ভালোবাসতে পারে মুন যদি কখনো হারিয়ে যায় তাহলে তো আমার ছেলেটা পাগল হোয়ে যাবে
রাইমা চৌধুরী রোদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।

মুন নিজের ঘরে বসে বসে ফেসবুকিং করছে আর পকোড়া খাচ্ছে হটাৎ রোদের কথা মনে পরতে একটা মুচকি হাসি দিল।

আড়ুশ ওর মায়ের ছবির সামনে দাড়িয়ে বলছে
আড়ুষ: জানিনা মা এটা কেমন অনুভূতি কিন্ত আমার ওর কথা ভাবতে খুব ভালোলাগে এটাই কি ভালোবাসা বলো না মা( কান্না জনিত কণ্ঠে)

৩জন তাদের অনুভূতি নিয়ে আছে কার ভাগ্যে কি আছে কেউ জানে না ।ভালোবাসার এই পরীক্ষায় কে জিতবে আর কে হারবে সেটা শুধু সময় বলে দেবে

চলবে