Sunday, July 13, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 1517



তোকে খুব ভালোবাসি পর্ব-০১

0

#তোকে_খুব_ভালোবাসি
#পর্ব_১
#জাফিরাহ_জারিন

অন্ধকার ঘরে শুয়ে আছে রিদি। সারা শরীর তার ব্যাথা।কিছুক্ষন আগে রিদির মা তাকে বেত দিয়ে প্রচন্ড পরিমাণে মেরেছে।শুধুমাত্র সন্দেহের বশে।যেখানে রিদির কোনো দোষ ছিল না।রিদি শুয়ে শুয়ে ব্যাথায় কাতরাচ্ছে।কিন্তু রিদির এই ব্যাথা কম করার জন্য কেউ নেই।বাসায় শুধু তার মা আছে।কিন্তু যে মানুষটি নিজেই রিদির এই অবস্থা করেছে সে আবার কেনো রিদিকে বাচাতে যাবে??
কিছুদিন আগে,
রিদির মা রিদির রুমে এসে বলছে,
রিদির মা: এই শোন!! কালকে তোকে ছেলেপক্ষ দেখতে আসবে। কালকে তোর কলেজে যাওয়ার দরকার নেই।
রিদি:মা কালকে আমার জরুরি ক্লাস আছে।
রিদির মা: এই শোন, তোর জরুরি ক্লাস আমাকে দেখাতে আসবি না।তুই কালকে রেডি থাকবি ব্যস।আর আরেকটা কথা, যদি কালকে এমন কিছু করিস যার কারণে তোর এই বিয়েটা না হয় তাহলে কিন্তু আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না।
এই বলে রুম থেকে চলে গেল রিদির মা।
(রিদি রহমান। বয়স ১৭ বছর। ইন্টার ২য় বর্ষে পড়ে।উচ্চতা ৫’৩”। দেখতে মাশাআল্লাহ সুন্দরী।বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান রিদি)
পরের দিন রিদিকে ছেলেপক্ষ দেখতে এল।ছেলের মা, বাবা এবং ছেলে।ছেলের মা বাবার রিদিকে খুব পছন্দ হয়েছে।রিদি এবং ছেলেটিকে একা কথা বলতে রিদির রুমে পাঠানো হলো।
ছেলে: শুনুন আমি ডিরেক্টলি কথা বলতে ভালোবাসি।যা প্রশ্ন করব সত্যি করে বলবে।
রিদি:জ্বি বলুন।
ছেলে: আপনি কি ভার্জিন??
রিদি:এসব আপনি কি বলছেন??
ছেলে: যা বলছি ঠিকই বলছি।এখনকার মেয়েরা সাধারণত অনেকগুলা রিলেশন করে।তারপর তাদের সাথে বেডে যেতে দ্বিতীয়বার ভাবে না।তাই বলছি।আপনি কি ভার্জিন??
রিদি: দেখুন দুই একটা মেয়ের জন্য সব মেয়েদেরকে এরকম ভাবা উচিৎ না। তাছাড়া আপনি যে আমাকে বলছেন তার আগে আপনি বলুন তো আপনি নিজে কি??
ছেলে: দেখুন ছেলেদেরকে নিয়ে কিছু যায় আসে না।আমি যেমনি হই না কেন আপনি ভার্জিন হলেই চলবে।
রিদি: আপনার মত ছেলেকে বিয়ে করা আমার পক্ষে অসম্ভব।
রিদি তৎক্ষনাত বাহিরে গিয়ে বলল যে সে এই বিয়ে করতে পারবে না।এটা শুনে ছেলের মা বাবা রেগে গেল এবং নিজেরা বিয়ে ভেঙে দিয়ে চলে গেল। তারা সেখান থেকে যাওয়ার পরই রিদির মা তার রুমে গেল।
রিদির মা:এমন কেন করলি তুই? বিয়েটা কেন ভাঙলি??
রিদি: মা তুমি জানো ওই ছেলেটা….
পুরো কথাটা শেষ করতে পারল না রিদি।তার আগেই নিজের পায়ে ব্যাথা অনুভব করল সে। সামনে তাকিয়ে নিজের মায়ের হাতে বেত দেখে রিদির আর বুঝতে বাকি রইল না যে তার সাথে ঠিক কি হয়েছে।রিদি আর কিছু বলার সুযোগ পেল না।রিদির মা নির্মম ভাবে রিদিকে মারতে শুরু করল।রিদি চিৎকার করে তাকে বলেছিল তার কথাটা একবার শুনতে কিন্তু তার কানে যেন রিদির কোনো কথায় পৌছায় নি।টানা ১ ঘন্টা রিদিকে মারার পর যখন বেতটা ভেঙে গেল তখন রিদির মা রুম থেকে বেরিয়ে গেল।রিদি তখন শুয়ে শুয়ে ব্যাথায় কাতরাতে থাকল।রিদির মনে হচ্ছে এই মুহুর্তে মরে গেলেও হত।এত যন্ত্রণা সহ্য করার থেকে মরে যাওয়া অনেক ভালো।আত্মহত্যা যদি মহাপাপ না হত তাহলে রিদি অবশ্যই নিজেকে শেষ করে দিত।এভাবেই ব্যাথায় কাতরাতে কাতরাতে একসময় রিদি ঘুমের দেশে পাড়ি দিল।
পরের দিন কলেজে,
টিফিন টাইমে চুপচাপ বসে আছে রিদি।নিধি অনেক্ষণ যাবত রিদিকে খেয়াল করছে।কাল পর্যন্ত যেই মেয়েটা হাসিখুশি ছিল সেই মেয়েটা আজকে মনমরা হয়ে বসে আছে।কারণটাও অবশ্য অজানা নয় নিধির। সে জানে যে গতকাল রিদির মা তাকে বেধম পিটিয়েছে।এটা প্রায়ই হয় রিদির সাথে।রিদির মা তাকে প্রায়ই এরকম মারে। কখনও কোনো কারণ ছাড়া শুধুমাত্র নিজের রাগ মেটাতেও তিনি রিদিকে মারে।রিদির বাবা দেশের বাহিরে থাকে।তাই তিনি চাইলেও কিছু করতে পারে না।যদিও রিদির বাবা তার স্ত্রীর এইরকম অত্যাচার সম্পর্কে কিছুই জানে না। রিদির মা কখনও তাকে জানতে দেয় নি।মেয়েটার উপর খুব মায়া হয় নিধির।মেয়েটাকে অদ্ভুত সহ্য ক্ষমতা দিয়ে দুনিয়ায় পাঠিয়েছে আল্লাহ তায়ালা।
নিধি: চল না রিদি।আজকে একটু কলেজের বাগান থেকে ঘুরে আসি।
রিদি: চল।
এরপর তারা চলে গেল কলেজের পিছে বাগানে ঘুরতে।চারপাশে গাছপালা ঘেরা মাঝখানে একটা ছোট ঝিল।কলেজের বাগানের এই সাইডের প্রকৃতিটা খুব সুন্দর।এখানে আসার পর রিদির মন মুহুর্তের মধ্যেই ভালো হয়ে গেল।নিধিও তা দেখে খুব খুশি হলো।মূলত রিদির মন ভালো করতেই নিধি তাকে নিয়ে এই বাগানের সাইডে এসেছিল।
________________________________________
বাগানের বড় একটা আমগাছের নিচে বসে আছে শুভ ও তার বন্ধুরা। ওরা সবাই অনার্স ৩য় বর্ষে পড়ে।এই কলেজের সাথেই ভার্সিটি আছে।সেখানেই ওরা পড়ে।
(শুভ আহমেদ।বয়স ২১ বছর। অনার্স ৩য় বর্ষে পড়ে।উচ্চতা ৬’২”।ভার্সিটির ক্রাশবয়।শুভর একটা ছোট বোন আছে।নাম শুভ্রা।)
শুভরা সবাই গল্প করতে করতে শুভর চোখ গেল একটা মেয়ের দিকে।আকাশি কালার থ্রি পিস পরা। চুলগুলা বেণি করা।মুখে কোনো সাজ নেই।তবুও তাকে দেখতে অসাধারণ লাগেছে।তাকে দেখে অজান্তেই শুভর মুখ থেকে বেরিয়ে এলো ” মায়াবিনী “।
আকাশ: কে মায়াবিনী??
আকাশের কথায় শুভর ধ্যান ফিরে আসে।
শুভ: কোথায় মায়াবিনী??
আকাশ: তুই তো এইমাত্র বললি?? আচ্ছা দ্যা গ্রেট শুভ আহমেদ আবার কারো প্রেমে পরে নি তো??
শুভ: কি যা তা বলছিস?? বাদ দে তো এসব।
এই বলে মেয়েটির দিকে তাকাতেই দেখে মেয়েটি সেখানে নেই।শুভ আবার বন্ধুদের সাথে গল্প করায় মন দিল।
______________________________________
রিদিদের টিফিন টাইম শেষ হওয়ার সাথে সাথে রিদি সেখান থেকে চলে আসে।নিধি আরও কিছুক্ষন সেখানে থাকতে চেয়েছিল।কিন্তু রিদির জন্য সেখান থেকে চলে আসতে হয়েছে।
ছুটির পর,
শুভ তার বন্ধুদের বিদায় দিয়ে পার্কিং এ গেল নিজের গাড়ির কাছে।গাড়ির কাছে যেতেই সে দেখতে পেল গেট দিয়ে তখনকার সেই মেয়েটি বের হচ্ছে। সে দেখল মেয়েটি হাটতে হাটতে তার দিকেই আসছে।মেয়েটি তার কাছে আসতেই সে মেয়েটির সামনে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করল,
শুভ: আপনার নামটা জানতে পারি??
এদিকে,
গেট দিয়ে বেরিয়ে নিধিকে বিদায় দিয়ে আনমনে হাটছিল রিদি।বাড়িতে যাওয়ার কথা মনে পরতেই তার মনটা বিষন্ন হয়ে উঠল।এসব ভাবতে ভাবতে রিদি হাটছিল।হঠাৎ কেউ সামনে আসতেই রিদি ভয় পেয়ে সামনে তাকাল।দেখল তার সামনে একজন সুদর্শন যুবক।দাঁড়িয়ে আছে।ছেলেটিকে দেখে এক মুহুর্তের জন্য রিদির খুব ভালো লেগেছিল।ইচ্ছে করছিল যে সেখানে দাঁড়িয়ে ছেলেটির সাথে পরিচিত হতে।কিন্তু পরক্ষণেই মাথায় আসল মায়ের কথা।মা যদি জানতে পারে যে রিদি কোনো ছেলের সাথে কথা বলেছে তাহলে সে রিদিকে মেরেই ফেলবে।এই ভেবে রিদি সেখানে এক মুহুর্তের জন্যেও দাঁড়াল না।সে ছেলেটিকে পাশ কাটিয়ে দৌড়ে সেখান থেকে চলে গেল।রিদিকে এভাবে চলে যেতে দেখে শুভ খুব অবাক হলো।
শুভ: মেয়েটা ওভাবে চলে গেল কেন?? ও কি আমাকে দেখে ভয় পেল নাকি আমাকে ইগনোর করলো?? আর যদি ইগনোর করেও থাকে তাহলে কেন করলো? ও কি অন্য কাউকে ভালোবাসে নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে??
এসব ভাবতে ভাবতেই শুভ নিজের গাড়িতে উঠল এবং নিজের বাসায় চলে গেল।
অন্যদিকে,
রিদি অনেক্ষণ দৌড়ানোর পরে এসে থেমেছে।সে এতক্ষণ দৌড়ানোর কারণে হাপাচ্ছে। একটুর জন্য বেচে গেছে সে।মা যদি জানতে পারে তাহলে যে কি হত তা শুধুমাত্র আল্লাহ তায়ালা জানে।রিদির এখনো মনে আছে এক বছর আগের কথা।
অতীত,
রিদি ক্লাসে ফার্স হওয়ায় তাদের ক্লাস টিচার রিদির উছিলায় সবাইকে ট্রিট দিবে।এই জন্য সে স্কুল ছুটির পর তার স্যারের সাথে রেস্টুরেন্ট এ যায়।সেখানে স্যার সবাইকে ট্রিট দেয়।সেখানে সবাই খুব মজা করে।এমনকি রিদিও খুব মজা করে।কলেজ থেকে ফেরার পর রিদি নিজের রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নেয়।গোসল শেষ করে বেরিয়ে দেখে তার মা বসে আছে।
রিদি: কিছু বলবে আম্মু??
রিদির মা: আজকে আসতে এত দেরী হলো??
রিদি: আসলে আম্মু আমি ফার্স হওয়ায় স্যার আমাদের সবাইকে ট্রিট দিয়েছিল।তাই আসতে একটু দেরি হয়ে গিয়েছিল।
রিদির: তুই তোর স্যারের সাথে রেস্টুরেন্ট এ গিয়েছিলি??
রিদি: আম্মু আমি তো একা যায় নি। সবাই গিয়েছিল।
রিদির মা: সবাই যাবে বলে তুইও যাবি?? তোর সাহস কি করে হয় স্যারের সাথে রেস্টুরেন্ট এ যাওয়ার??
এই বলে সে গরম খুন্তি দিয়ে রিদিকে মেরেছিল।রিদি তার মাকে অনেক বোঝায়।কিন্তু তিনি বুঝতে চান নি।তিনি রিদিকে প্রচুর মেরেছিল। গরম খুন্তির কারণে রিদির গায়ে অনেক জায়গায় পুড়ে গিয়েছিল।এমনকি এখনও রিদির হাতে সেই পুড়ে যাওয়ার দাগ আছে।
বর্তমান,
সেই কথা মনে আসতেই রিদির অন্তরাত্মা কেপে উঠল।রিদি আর কিছু না ভেবে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিল।
চলবে………….

তোমার জন্য সাইকো পর্ব-২৪ এবং শেষ পর্ব

0

তোমার জন্য সাইকো
লেখক: নুসরাত জাহান অংকুর
শেষ পর্ব

মুন নিজের চোখ খুলে দেখে একটা অন্ধকার ঘরে হাত পা বাঁধা অবস্থায় পরে আছে
মুন নিজেকে বের করার অনেক চেষ্টা করছে কিন্ত পারছেনা চিৎকার দিতে চাইছে মুখ বাধা থাকার কারণে পারছে না ।

কিছুক্ষণ ছুটা ছুটি করে হার মেনে থেমে গেলো।
মুনের এই সময় রোদের কথা মনে পড়ছে রোদকে কি আর কখনই দেখতে পারবে না
এসব ভাবতেই মুন কান্না করে দিল।



কিছুক্ষণ পর ওখানে কয়জন লোক আসলো তাদের কথাতে বুঝা গেলো ওদের হেড এখন আসবে। লোকগুলো মনের মুখ খুলে দিল।

একটু পর একটা ছেলে রুমে ঢুকলো কালো কোর্ট আর ব্লু জিন্স পরে ।
ছেলেটার মুখ ভালো ভাবে মুন দেখতে পারছে না ছেলেটা আরো সামনে আসলে মুন দেখতে পারলো ছেলেটা কে ।
মুন ছেলেটাকে দেখে অবাক হয়ে যায়
মুনের মুখ থেকে আপনাআপনি বেরিয়ে গেলো

মুন: আরুশ

হ্যা মুনের সামনে আরুশ দাড়িয়ে আছে পকেটে হাত গুজে একটা ভিলেন স্মাইল দিয়ে ।

আরুশ : আরে আমার সুইটহার্ট যে আমাকে চিনতে পেরেছে এই তোমরা আমার জানকে এভাবে কষ্ট কেনো দিচ্ছ
মুন: আরুশ আপনি আমাকে এখানে কেনো এনেছেন ? ছাড়েন বলছি
আরুশ: আরে জান এভাবে কেনো ছুটছ তুমি যে এখান থেকে বের হতে পারবে না সেটা খুব ভালো করে জানো তাই চুপ চাপ আমার কথা শুন

মুন তাও নিজেকে ছাড়াতে চেষ্টা করছে

আরুশ কিছু না বলে মুনের চুলের মুঠি ধরে একটা চর মেরে দেয়।

মুন কাদ কাদ ফেস করে তাকিয়ে আছে।

আরুশ: বলেছিলাম না আমার সামনে একদম বাড়াবাড়ি করবে না বলেছিলাম না( রেগে)
তুমি কি ভাবছো আমি তোমাকে ভালোবাসি কখনো না আমি প্রতিশোধ নিয়ে চাইছি ওই রোদ আহমেদ চৌধুরীর থেকে

মুন অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে

আরুশ : কিসের প্রতিশোধ বুঝতে পারছো না তাই তো ওকে বুঝিয়ে বলছি তোমার সাথে আমার কোনো শত্রুতা নেই কিন্ত কি করবো তোমার পেয়ারের জান যে আমার ভাই কে মেরে ফেলেছে আমার জানের ভাই যে আমার সব কিছু ছিল
( কথাটা বলতে গিয়ে আরুশ এর গলা আটকে আসলো)

কিছুক্ষণ থেমে আবার বললো

আরুশ : যানো আমার দাদু আর আমার ভাই ছাড়া আমায় কেউ বুঝে না । আমরা এমন ভাবে বেড়াতাম যে কেউ দেখলে মনে করবে নিজের ভাই । হ্যা ও আমার নিজের ভাই ছিল না মামাতো ভাই ছিল কিন্ত নিজের ভাইয়ের থেকে কম কিছু ছিল না।
সেই ভাই কে তোমার রোদ মেরে ফেলেছে যেভাবে এখন আমি তোমাকে মারবো
( রেগে)

মুন: আমার রোদ কখনো কাউকে মারতে পারে না আপনার ভুল হচ্ছে আমি জানি আমার রোদকে

আরুশ : এতো ভালোবাসা তোমার বরের জন্য কিন্ত তোমার বর তো একটা খুনি হা খুনি আমার ভাইয়ের খুনি
আয়াশ কে তোমার মনে আছে

আরুশের কথা শুনে মুনের মনে পড়ে গেলো মুন যখন এখানে আসে তখনই রোদের সাথে ওর ভার্সিটির অনুস্থানে যায় আর সেখান থেকে ওর পিছনে একটা ছেলে লাগে যাকে রোদ সবার সামনে অপমান করে তার নাম ছিল আয়াশ

মুন: আয়াশ এনি তো রোদের ফ্রেন্ড ছিল আমাকে বিরক্ত করতো
আরুশ : তোমাকে খুব ভালোবাসতো তুমি তখন তেমন বুঝতে না সোসিয়াল মিডিয়া তোমার পিক দেখে প্রম পরে যায় আর রোদের সাথে ভার্সিটিতে দেখে তোমার পিছনে পরে যায়।
কিন্ত তোমার রোদ সবার সামনে ওকে অপমান করে সবার সামনে মারে তাতে না কম হয়নী বলে ভার্সিটি থেকে বের করে দেয় আমার ভাই এত অপমান সহ্য করতে না পেরে সুইসাইড অ্যাটেমদ করে।
সেদিন একা আমার ভাই মারা যাইনি তার সাথে আমার সব খুশি মারা গেছে যেদিন ওকে কবরে রেখেছিলাম সেদিন থেকে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম আমার ভাইয়ের খুনি কে ছাড়বো না আমি জানি রোদের কলিজা তুমি তাই তো এই ভার্সিটিতে ভর্তি হই আর তোমার পিছনে পরে যাই ভেবেছিলাম তোমাকে বিয়ে করে রোদ কে তিলে তিলে মারবো কিন্ত হলো না এখন তোমাকে মেরে রোদকে তিলে তিলে শেষ করবো ।

রোদ যে ইয়াশ হয়ে ফিরে এসেছে সেটা আমি জানি এতটা বোকা আমি নই যাই হোক সব তোমাকে বলে দিলাম এখন তোমাকে টাটা বাই বাই করার সময় হয়েছে

বলে গানটা মুনের দিকে তাক করলো

মুনের এই মুহুর্তে রোদের কথা মনে পরছে
মুন: রোদকে কি আর দেখতে পাবো না ওকে কি জানাতেই পারবো না আমি আর উনি একা না আমাদের সাথে আর একজন আসছে রোদ কোথায় আপনি আমাদের বাঁচান ( চোখ বন্ধ করে এসব ভাবছে)

আরুশ কিছু না ভেবে সুট করলো



৬মাস পর

এই কি মাসে অনেক কিছু বদলে গেছে রুমা আর নিরব স্যার এর বিয়ে হয়ে গেছে

আজ লামিয়া আর বাঁধনের বিয়ে
সবাই চলে আসছে কিন্ত একজন এখন ও আসেনি লামিয়া ফোন দিচ্ছে কিন্ত লাভ হচ্ছে না

রুমা: কিরে ওরে ফোন দিচ্ছিস ?
লামিয়া: হা কিন্ত ধরছে না
রুমা: ওরে আজ আসতে দেবে না জানিস তো ওর কি অবস্থা
লামিয়া মুখ গোমড়া করে চলে গেলো

এদিকে ঘরে একজন মুখ গুমড়া করে রেগে আরেক জনের দিকে তাকিয়ে আছে

রোদ: ওভাবে তাকিয়ে লাভ নেই তোমার যাওয়া হচ্ছে না মানে হচ্ছে না

( জী ছেলেটা রোদ আর মুখ গোমড়া করে মুন তাকিয়ে আছে)

মুন: আপনি ওমন কেনো আমরা ওনলি ওন বন্ধুবি তার বিয়েতে আমি গেলে কি হবে

রোদ: অনেক কিছু হবে আগের বার রুমা বিয়েতে কি করছিলে মনে নেই এই অবস্থায় নাচতে গিছিলা আমি ঠিক টাইম মতো না গেলে কি হতো
মুন: এবার ওমন কিছু করবো না সত্যি
রোদ: জী না আমি আমার বেবি আর বেবির আম্মুকে নিয়ে কোনো রিস্ক নিতে চাইনা।

( মুন ৬ মাসের প্রেগেনট)

মুন মুখ গোমড়া করে বসে রইল

রোদ উঠে গিয়ে আবার ফিরে আসলো

রোদ: এই দেখো
মুন: না
রোদ: দেখো না দেখলে কিন্ত তোমার লস

মুন তাকিয়ে দেখে লেপটপে লামিয়ার বিয়ে দেখা যাচ্ছে
মুন খুশিতে লাফ দিতে গেলে রোদ ধরে ফেলে

রোদ: এই মেয়ে তোমার কি মাথা গেছে এখনই জী কিছু একটা বাধিয়ে ফেলতে স্টুপিড একটা( রেগে)

মুন চুপ করে বিয়ে ইঞ্জয় করছে।

কিছু বুঝলেন না তো ওকে অতীতে ঘুরে আসি

৬ মাস আগে
আরুশ যেই মুনকে সুট করবে তখনই রোদ আরুশ এর হাতে লাথি মারে আর মুনের গায়ে না লেগে অন্য কোথাও লাগে

আরুশ তাকিয়ে দেখে রোদ দাড়িয়ে আছে

রোদ: কি ভেবেছিলি আমার জান কে এতো সহজে মারতে পারবি আমি আগে থেকে সব জানতাম তোর লোকদের কাল আমি বেশি টাকা দিয়ে কিনে নিচি তারা এতো দিন যা করছে সব আমার কথায় আমি জানতে চাইছিলাম তুই কেনো এমন করছিস তাই তো আজ মুনের চোখে লেন্স আর মেশিন লাগিয়ে দি যাতে ও যা দেখে সব আমি দেখতে পারি আর ও না শুনে সব আমি শুনতে পারি।
তোর ভাই আমার কলিজায় হাত দিয়েছিল তাই তাকে আমি উচিৎ শিক্ষা দিছি আর তুই ও তার থেকে ও বেশি বড়ো অপরাধ করছিস এবার দেখ তোর কি হয়

রোদ চোখের ইশারা করতে ওর লোক আরুশ আর পিয়ালী ধরে

রোদ: ওদের এমন মৃত্যু দাও যেনো ওদের রুহু ও কেপে উঠে।

রোদের লোকরা আরুশ আর পিয়ালী নিয়ে গেলো।

রোদ গিয়ে মুন কে বাঁধন থেকে ছড়ায়
মুন কিছু না ভেবে রোদকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে

রোদ: এই পাগলী কান্না কেনো করছো আমি তো এখানেই আসি কান্না থামাও

মুন তো কেড়েই যাচ্ছে

মুন: আমি ভাবছিলাম আমি আর আপনাকে দেখতে পাবো না আপনি আমাদের হারিয়ে ফেলবেন খুব ভয় হাসছিল

রোদ আমরা শুনে অবাক হয়
রোদ: আমরা মানে?

মুন রোদের বুক থেকে উঠে
মুন: রোদ আপনি আব্বু হতে যাচ্ছেন কাল ডক্টর এর কাছে গিয়ে চেক আপ করে জানতে পারি আজ সকালে রিপোর্ট দিয়েছিল আপনাকে বলার আগেই

বলে আবার কাদতে লাগলো

রোদ মুনকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো
রোদ: তুমি জানো না আজ আমি কত খুশি আমার পিচ্ছি বউটা আজ মা হতে যাচ্ছে আমি আব্বু হবো আমি যে আজ কতো খুশি কি বলবো ।
চলো এক্ষুনি বাড়ি চলো আজ সবাই কে জানাতে হবে এতো খুশি খবর আমাদের আর একটা ছোটো মুন আসছে।

রোদ মুনকে কোলে তুলে বাড়ি নিয়ে আসে বাড়ি এসে সবাইকে মিষ্টি খাওয়ায়
রোদের খুশি দেখে কে মুন বসে বসে রোদের পাগলামি দেখছে

তার ২মাস পর রুমা আর নীরবের বিয়ের দিন রোদ আসতে পারেনি একটা কাজে ।
মুন একা যায়

রোদ যখন ওখানে যায় গিয়ে দেখ মুন আর লামিয়া উরাধুরা নাচছে।
রোদের দেখে তো মিজাজ গরম হয়ে যায়

মুন এমন ভাবে নাচছে যেন ও যে প্রেগেনট ভুলেই গেছে সাথে লামিয়া

মুনের একমাত্র বান্ধবীর বিয়ে নাচবে না আর নিজের বিয়ে তো সাইকো রোদের জন্য সব শেষ তাই এভাবে নাচছে যেনো ওর বিয়ে

( নিজের বিয়েতে ও উরাধুরা নাচবো সেটাই আসাই আছি)

রোদ মুনের কাছে যায়
মুন তো রোদকে দেখে যান যায় যায় অবস্থা রোদ মুনকে কোলে করে বাড়ি নিয়ে আসে সেদিন থেকে মুনকে আর একটা কোথাও যেতে দেইনা রোদ ও বাড়ি থেকে সব কাজ করে।

অতীত শেষ

বর্তমান

মুন মন দিয়ে ওদের বিয়ে দেখছে আর রোদ মুনকে দেখছে ।
মুন: ইসস আমি যদি আবার বিয়ে করতে পারতাম

কথাটা রোদের কানে গেলো
রোদ: বিয়ে করতে ইচ্ছা করছে
মুন: হবে না সব তো আপনার জন্য শেষ সালা সাইকো ছোটো করে বিয়ে করছে আমার ছেলে মেয়ে বরো হয়ে দেখতে চাইলে কি দেখাবো যে তার আব্বু কিপটা( রেগে)
রোদ: কি আমি কিপটা ( ভূ কুচকে)

মুন ভয় পেলো না কারণ মুন জানে রোদ মুনকে একটু ও বকবে না
মুন: হা বলছি
রোদ: খুব সাহস বেড়েছে তোমার তাইনা
মুন: হ্ন

বলে মুন শুয়ে পরলো

মাঝরাতে
মুনের ঘুম ভেংগে যায়
মুন: এই রোদ উঠুন না প্লিজ
রোদ: কি হলো
মুন: আমার খিদে পেয়েছে
রোদ: আচ্ছা আমি খাবার নিয়ে আসছি
মুন: না আমি ওসব খাবো না ফুসকা খাবো
রোদ: এখন এই রাতে
মুন: হুম এখনই মানে এখনই

রোদ কিছু বললো না রোদ জানে মুন যা বলবে তাই করতে হবে এটা মুনের প্রতিদিন এর কাজ মাঝ রাতে রোদকে ডেকে এটা খাবে ওটা খাবে আবদার করা ।

রোদ উঠে গিয়ে ওর বডিগার্ড কে ফোন করে ফুসকার আনতে বলে



মুন ফুসকা খাচ্ছে আর রোদ মুনকে দেখছে
মুন: অভাবে তাকিয়ে লাভ নেই আপনার খেতে ইচ্ছা হলে খান
রোদ: তুমি খাও

মুনের খাওয়া শেষ হলে
রোদ: খাওয়া শেষ ?
মুন: হুম
রোদ: এবার চলো
বলে মুনকে নিয়ে ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পরলো

৪ বছর পর
তোহা মুনের দিকে একবার তাকাচ্ছে আর একবার রোদের দিকে
রোদ: কি হয়েছে মামনি

( তোহা মুন আর রোদের একমাত্র মেয়ে)

তোহা: পাপা মাম্মা আমার চকোলেট খেয়েচে
মুন: ওই আমি কখন খেলাম
রোদ: মামনি আমি তোমাকে অনেক গুলো এনে দেবো তোমার মামনি তো চোর যানো না আমার জিনিস ও চুরি করছে
তোহা: তোমার চকোলেট খেঁয়েছে
রোদ: না মামনি আমার মন চুরি করেছে

মুন লজ্জায় চলে গেলো

তোহা: পাপা আমার অনেক গুলো চকোলেট কিনে দিবা
রোদ: এখনই দিচ্ছি
রোদ ওর বডিগার্ড কে ফোন করে চকোলেট আনতে বলে
রোদ: তোমার চকোলেট এখনই চলে আসবে এখন পাপা কে একটা চুমু দাও তো

তোহা ওর পাপা কে চুমু দিল

রাইমা: কি আমার দাদুভাই শুধু পাপা কে আদর করলে হবে
তোহা ওর দাদুর কাছে যায়

নিহাল চৌধুরী আর রাইমা চৌধুরী কলিজার টুকরা

রোদ উঠে ওদের ঘরে গিয়ে দেখে
মুন বারান্দায় দাড়িয়ে আছে
রোদ মুনকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে

মুন: আপনি
রোদ: হা আমি তুমি কি অন্য কাউকে চাও
মুন কিছু বললো না
রোদ: আমার মামনি টা খুব একা তাই না
মুন: কই একা সবাই তো আছে
রোদ: হুম কিন্ত একটা খেলার সাথী হলে ভালো হয় তাইনা
মুন: খেলার সাথী তো আছে
রোদ: উফফ ওর একটা ভাই বন হলে ওর খুব ভালো লাগতো

মুন এতক্ষণে বুঝলো রোদ কি বলতে চাচ্ছে

মুন কিছু না বলে রোদের বুকে মুখ লুকালো

রোদ: আমার সাইকো গিরি কি আবার শুরু করবো?
মুন: সাইকো
রোদ: তোমার জন্য সাইকো হতে পারি
খুব ভালোবাসি
মুন: আমি ও খুব ভালোবাসি

তোহা: আমি ও ভালোবাসি

রোদ মুন পিছনে তাকিয়ে দেখে তোহা কোমরে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে

রোদ গিয়ে তোহা কে কোলে নিল
রোদ: ওরে আমার মামনি আমি ও তোমাকে ভালোবাসি
মুন: আমি বুঝি বসি না?
রোদ: না না তোমার মাম্মা ও ভালোবাসে
তোহা: পাপা সাইকো মানে কি

রোদ আর মুন হেসে দিল

রোদ: সেটা তোমার ম্যামমা কে বলো
মুন: সাইকো হলো কাউকে ভালোবাসলে তারজন্য পাগলামির শেষ পর্যায়কে সাইকো বলে
তোহা: ওহ
মুন: হুম এবার আমাকে একটু আদর কর
তোহা মুন কে আদর করে দিল সাথে রোদকে ও


এভাবেই ওদের ভালোবাসা বেচে থাকুক
সত্যি কারের ভালোবাসা গুলো বেচে থাকুক
মিথ্যে ভালোবাসা বন্ধ করা হোক।
ভালোবাসা দিয়ে সব কিছু জয় করা যায়।
ভালোবাসার মানুষের জন্য সাইকো হতে রাজি

সমাপ্ত

তোমার জন্য সাইকো পর্ব-২৩

0

তোমার জন্য সাইকো
লেখক: নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_২৩

সকালে,
মুন ঘুম থেকে উঠে দেখে রোদ নেই মুন ফ্রেশ হয়ে নিচে যায় গিয়ে দেখে রোদ আর ওই পিয়ালী হেসে হেসে কথা বলছে মুনের তো গা জ্বলে যাচ্ছে।
মুন গিয়ে রোদের পাশে বসলো
রোদ একবার মুনের দিকে তাকিয়ে খাওয়া শুরু করলো

মুন : পাপাই আমি একটু পর বের হবো
নিহাল: কিন্ত মামনি তুমি ওখানে একা কি করে থাকবে ?
মুন: পাপাই আমি পারবো প্লিজ আমি যাবো না করো না দরকার পড়লে লামিয়া আর রুমা কে ডেকে নেবে
নিহাল: তা ও
মুন: পাপাই প্লিজ
বিপ্লব: কেনো মামনি তোমার কি এখানে থাকতে সমস্যা হচ্ছে ?
মুন: না তেমন কিছু না কিন্ত আমার ভার্সিটিতে খুব দরকার
নিহাল: আচ্ছা তুমি যা ভালো বুঝ তাই করো
মুন: পাপাই আমি একটু পর বের হবো
রাইমা: এখনই
মুন: হা মামনি এখন থেকে সোজা ভার্সিটিতে যাবো।
নিহাল: কিন্ত
রোদ: আচ্ছা থাক না ও যদি একা থাকতে চায় তাহলে থাক
রোদ নিহাল চৌধুরী কে চোখ দিয়ে বুজিয়ে দিলেন
নিহাল: আচ্ছা যা ভালো বোঝ তাই করো
পিয়ালী: বেবি আমাকে খাইয়ে দাও না
( ঢং করে)

মুনের তো এখন রোদের মাথা ফাটাতে ইচ্ছা করছে
মুন টেবিলের তল দিয়ে রোদের হাতে চিমটি কাটছে
রোদ বুঝতে পেরে পিয়ালী কে বলে
রোদ: বেবি তুমি একটু টেবিলের নিচে দেখো তো কি?
পিয়ালী নিচে তাকালেই রোদ মুনের মুখে জোর করে খাবার পুরে দেয়

টেবিলের সবাই তো মুচকি মুচকি হাসছে আর মুনের মনে হচ্ছে মাটি ফাঁক করে নিচে চলে যেতে।

পিয়ালী: কই বেবি কিছু তো না
রোদ: ওহ মনে হয় বিড়াল ছিল
যাই হোক তুমি খেয়ে না আমাদের বের হতে হবে

খাওয়া শেষে মুন গুছিয়ে নিচে নামলো।

নিহাল: মামনি তুমি কিসে যাবা?
মুন: পাপাই আমি একটা ক্যাপ বুক করবো
বিপ্লব: না দরকার নেই তুমি ইয়াশ এর সাথে যাবে ওরা তো ওমনি যাবে

পিয়ালী: আংকেল আমরা তো ঘুরতে যাচ্ছি
নিচে নামতে নামতে
বিপ্লব: কিন্ত মা মুন একা যাবে কি করে আর আজ ইয়াশ ও অফিসে অনেক কাজ আছে ঘুরতে গেলে তো কিছু হবে না
পিয়ালী: কিন্ত
রোদ: আহা থাক না অন্য দিন যাবো
তুমি কোথাও যেতে চাইলে আমি নামিয়ে দিচ্ছি
পিয়ালী: আমি পার্লারে যাবো
বলে পিয়ালী রেগে গাড়ির কাছে যায়

নিহাল: রোদ মুনের খেয়াল রেখো
রোদ: হা আব্বু তোমরা ও নিজেদের খেয়াল রেখো সাবধানে থেকো আমি বডিগার্ড বাড়িয়ে দিছি
নিহাল: হুম
মুন: পাপাই মামনি আসছি
নিহাল+ রাইমা: সাবধানে থেকো
মুন: ওকে বাই

বলে মুন আর রোদ গাড়িতে গিয়ে উঠলো

রোদ গাড়ি চালাচ্ছে আর পিয়ালী রোদের পাশে বসে বক বক করে যাচ্ছে ।
রোদ একটু পর পর মুনের দিকে তাকাচ্ছে
মুন ব্যাপারটা বুঝতে পেরে রোদকে একটা চোখ মারে।

রোদ সাথে সাথে গাড়ি ব্রেক করে
পিয়ালী: কি হলো এভাবে গাড়ি থামালে কেনো?
রোদ: মনে হলো সামনে কিছু আছে
চলো

রোদ আবার গাড়ি চালানো শুরু করছে


মুন জানালায় উঁকি দিয়ে বাইরের দিক দেখছে আর গান শুনছে
রোদ আর পিয়ালির কথা মুনের ভালো লাগছে না


কিছু কিছু সময় যা সহ্য করা যায়না সেইখান থেকে নিজেকে একটু দূরে রাখতে হয় নাহলে রাগের মাথায় অনেক ভুল হয়ে যায়
মুনের মত আমি ও যা সহ্য করতে পারবো তার থেকে দূরে থাকি


কিছুক্ষণ পর মুনের ভার্সিটি চলে আসলো
মুন রোদের দিকে তাকিয়ে চলে গেলো

রোদ আর পিয়ালী ও চলে গেলো

মুন ভার্সিটির ভিতরে ঢুকে ওর বান্ধবীদের কাছে যায়।

লামিয়া: হাই মাম্মা
মুন: হাই ফাই পরে আগে চল ঘুরতে যাব
রুমা: কিন্ত কেনো ক্লাস করবি না
মুন: একদিন ক্লাস না করলে কিছু হবে না চল তো

৩বান্ধবী মিলে সারাদিন ঘুরে সন্ধ্যায় মুন বাড়ি ফিরে।

মন বাড়ি এসে নিজের রুমে যায় ফ্রেশ হয়ে দেখে রোদ বসে আছে

মুন: কি ব্যাপার আপনি কখন এলেন
রোদ কিছু বলছে না
মুন: কি হলো বলুন
রোদ: কোথায় ছিলে( শান্ত গলায়)
মুন: আসলে আমি বান্ধবীদের সাথে ছিলাম
রোদ: ওহ বান্ধবীদের সাথে ঘুরতে যাবা আমার কাছে একবার ও শুনেছ
মুন: না মানে
রোদ: না মানে কি তোমার সাহস হয় কি করে আমাকে না জানিয়ে বাইরে যাওয়ার যদি কোনো বিপদ হতো তখন ( চিৎকার করে)

মুন: আমি বুঝতে পারিনি
রোদ এবার উঠে এসে মুনকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে

রোদ: কবে বুঝবে তুমি হা কবে যানো তো আমাদের যেকোনো মুহুর্তে বিপদ হতে পারে তাও

মুন রোদের দিকে তাকিয়ে আছে রোদের চোখে আজ কোনো রাগ নেই আছে শুধু মুনকে হারিয়ে ফেলার ভয়

রোদ: কি হলো কথা বলছো না কেনো?

মুন কিছু না বলে রোদের ঠোঁটে নিজের ঠোঁট মিলিয়ে দেয়


কিছুক্ষণ মুন রোদকে ছেড়ে দিয়ে মাথা নিচু করে আছে

রোদ: কি হলো এটা
মুন কিছু বলছে না
রোদ: ভেবো না যে এটা করে আমার রাগ কমে গেছে শাস্তি তোমাকে পেতে হবে

বলে রোদ মুনকে কোলে তুলে বিছানায় নিয়ে যায়

বাকিটা বুঝে নেন



মাঝ রাতে মুন রোদের বুকে শুয়ে আছে আর রোদ মুনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে

রোদ: মুন
মুন: হুম
রোদ: কাল কিন্ত আমাদের জন্য অনেক বড়ো একটা দিন রেডী তো যা খুশি হতে পারে কিন্ত আমাদের শক্ত থাকতে হবে
মুন: হুম আমি রেডি আছি আমার সাইকো যে আমার সাথে আছে
রোদ: তবে রে

এই বলে মুনকে সুড়সুড়ি দিতে লাগলো
আর মুন খিলখিল করে হাসছে

মুন: রোদ প্লিজ আর না আমি আর পারছি না( হাসতে হাসতে)
রোদ থেমে গেলো

রোদ কিছুক্ষণ ভেবে বললো

রোদ: যা খুশি হয়ে যাক নিজেকে শক্ত রাখবা
মুন রোদকে জড়িয়ে ধরলো
মুন: সব কিছু ভালো ভাবে হবে তো?
রোদ: দেখা যাক কি হয় তবে সব আমার প্ল্যান মত হবে
মুন: হুম
রোদ: এখন ঘুমাও
মুন: ওকে



রোদ মুন শুয়ে পরলো

সকালে
রোদ ঘুম থেকে উঠে দেখে মুন ওর বুকে শুয়ে আছে রোদ মুনের কপালে ভালোবাসার পরশ একে দিয়ে মুন কে ডাকতে লাগলো

রোদ: মুন উঠ অনেক বেলা হয়ছে ভুলে গেছো আজ কি?
মুন: উহু সব মনে আছে কিন্ত আর একটু থাকি যদি আর না পান
রোদ: সকাল সকাল আমার হাতে মার খাওয়ার খুব ইচ্ছা হচ্ছে তাই না
মুন: উফফ আপনি ও না কথায় কথায় শুধু রাগ করে একটু রোমান্টিক হতে পারেন না
রোদ: রোমান্টিক তো তোমাকে কাল দেখলাম দেখ এখন ও তোমার গালে কাধে তার নিশান আছে।
মুন: হয়ছে আপনাকে আর বলতে হবে না আমি উঠলাম

বলে মুন উঠে গেলো

রোদ: তোমাকে এভাবে খুব সুন্দর লাগে

মুন: সাইকো একটা
বলে ওয়াশরুমে ঢুকে গেলো

মুন বেরিয়ে এসে দেখে রোদ ওর রেডী হয়ে আছে

রোদ: যা বলেছিলাম সব মনে আছে তো
মুন: হুম

এখন তুমি ভার্সিটিতে যাও
মুন: ওকে
যেতে গেলে কি একটা ভেবে আবার ফিরে এসে রোদকে জড়িয়ে ধরলো

মুন: আমি যদি আর ফিরে না আসি
রোদ: চুপ আর একবার ওমন কথা বলবা না আমি থাকতে তোমার কিছু হবে না আমি আছি তো
মুন: হুম
রোদ মুনের কপালে গালে কিস করলো

মুন বেরিয়ে গেলো।
তার কিছুক্ষণ পর রোদ ওর বেরিয়ে পরলো

মুন ভার্সিটিতে গিয়ে ওর বান্ধবীদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিল তখন মুনকে একটা মেয়ে ডেকে নিয়ে যায় বাইরে মুন ও যায়
বাইরে একটা গাড়ি এসে মুনকে ধরে নিয়ে যায় মুন কিছু বুঝে উঠার আগেই সেন্সলেস হয়


রোদ অফিস বসে কাজ করছিল তখনই ওর ফোন কল আসে
রোদ কল টা ধরে বেরিয়ে পরে

রোদ: যে করে হোক আমার ওকে চাই যে কোনো মূল্যে
বডিগার্ড : স্যার আমরা খুঁজছি ম্যাডাম কে খুব তাড়াতাড়ি পেয়ে যাবো
রোদ: যে কোনো ভাবে

রোদের আজ যেনো পাগল পাগল লাগছে ওর মনে হচ্ছে ওর মুন ওর থেকে অনেক দূরে চলে গেছে
রোদের বার বার মুনের চেহেরা ও সকালের কথা মনে পড়ছে

রোদ: কোথায় তুমি আমি তোমাকে কিছু হতে দেবো না একটু ধৰ্য্য ধরো আমি তোমার কাছে আসছি

কিছুক্ষণ পর বডিগার্ড আসলো
বডিগার্ড: স্যার আমরা সর্ব্বোচ চেষ্টা করছি কিন্ত মেম কে পেলাম না
রোদ: কি বলতে চাও আমার ওকে চাই যে কোনো মূল্যে
বুঝছ তোমরা ( কলার ধরে)

বদিগার্ড চলে গেলো

রোদ: মুন্নএনএনএনএনএনএনএন

বলে মাটিতে বসে পড়লো

চলবে

তোমার জন্য সাইকো পর্ব-২২

0

তোমার জন্য সাইকো
লেখক: নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_২২

মুন তাকিয়ে দেখে ইয়াস আর পিয়ালী হাত ধরে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হচ্ছে।

মুনের দেখে খুব খারাপ লাগলো।
মুন কিছুক্ষণ ওদের দিকে তাকিয়ে গাড়ি নিয়ে চলে গেলো।



মুন বাড়ি পৌঁছে ওর মামনির রুমে গেলো।
মুন: মামনি আসবো?
রাইমা: আরে আয় তোর আবার পারমিশন লাগে
মুন: না তোমাকে কিছু বলার ছিল?
রাইমা: হা বল কি বলতে চাস?
মুন: মামনি আমি এখানে থাকবো না আমি বাড়ি যেতে চাই
রাইমা: কেনো রে কোনো সমস্যা ?
মুন: না মামনি কিন্ত আমি আমার বাড়ি যেতে চাই রোদকে ছাড়া আমার কিছু ভালো লাগছে না। ওই বাড়িতে থাকলে রোদের জিনিস পত্রের সাথে দিন পার হয়ে যায় কিন্ত
রাইমা: তোর পাপাই
মুন: আমি ওতো কিছু জানিনা এখনই আমি ওই বাড়ি যাবো।
রাইমা: এখনই তোর মাথা কি গেছে ?( রেগে)
মুন: মামনি প্লিজ তুমি তো আমাকে বুঝো আমি এখানে থাকবো না।

এখানে কি করে থাকবো চোখের সামনে দেখতে পারবো না আমি যদি বাড়ি ছেড়ে যাই উনি যদি সত্যি রোদ হয় তাহলে ঠিকই আসবে ( মনে মনে)

রাইমা: তোর যা ভালো লাগে তাই কর। কিন্ত এখন কোথাও যাবি না কাল সকাল হোক তখন দেখা যাবে ।

মুন কিছু না বলে চলে গেলো।

রাইমা: এই মেয়েটাকে যে কি করে বুঝাবো ।
বলে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল।

মুন নিজের ঘরে বসে বসে গান শুনছে কাল রাতের কথা মুন কিছুতেই মুছে ফেলতে পারছে না ওর মনে হচ্ছে ওর ভালোবাসার মানুষ ওর সাথেই আছে শুধু ওকে চিনে নিতে হবে ।

মুন রোদের ছবি বের করে তার সাথে কথা বলছে।
মুন: খুব কষ্ট দিছেন আমায় অনেক কষ্ট দিছেন আমাকে বাদ দিয়ে ওই পেত্নীর সাথে ঘুরাঘুরি এবার বুঁজবেন মজা আপনি যদি সাইকো হন আমি ও সাইকো ওয়াইফ।



রাতে সবাই খাওয়ার টেবিলে বসে আছে ।
মুন এক বারের জন্য ও ইয়াশ এর দিকে তাকায়নি।

ইয়াশ আর পিয়ালির ঢং দেখলে গা জ্বলে যায় ।

মুন ওদের কে just ignore করছে।
ইয়াশ: কি হলো কাল তো আমার পিছনে পড়ে ছিল তাহলে আজ কেনো তাকাচ্ছে না ব্যাপার কি ( মনে মনে)
পিয়ালী: কি হলো বাবি খাচ্ছ না কেনো?
ইয়াশ: খাচ্ছি তো

মুন উঠে গেলো।
নিহাল: কি ব্যাপার মামনি উঠে গেলে কেনো?
মুন: পাপাই আমার একটা ফ্রেন্ড আরুশ এর কাছ থেকে নোট নেবো । আমার খাওয়া শেষ
( ইয়াশ এর দিকে তাকিয়ে)
নিহাল: আচ্ছা যাও।

মুন চলে গেলো।


রাতে লামিয়ার সাথে হেসে হেসে কথা বলছে তখনই ওর রুমে ইয়াশ ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিচ্ছে।

মুন তো ওকে দেখে অবাক।
মুন: একি আপনি আমার ঘরে এতো রাতে কি করছেন? একটা মেয়ের ঘরে এতো রাতে আসা ঠিক না আপনি জানেন না। আপনি

আর কিছু বলার আগে ইয়াশ মুনকে দেঁয়ালে চেপে ধরে।
ইয়াশ: কার সাথে কথা বলছিলে হা (রেগে)
মুন : যার সাথে কথা বলি আপনার তাতে কি অন্যের বউ এর গায়ে হাত দিতে লজ্জা করে না কেমন মানুষ আপনি( নিজেকে ছাড়াতে)
ইয়াশ: আমি কেমন মানুষ সেটা তোমাকে দেখতে হবে না কার কাছ থেকে যেনো নোট নিবে বলছিলে আর একবার বলো তো দেখি তোমার সাহস কি করে হয় ( জোরে চেপে ধরে)
মুন: আমি কার কাছ থেকে কি নি আর না নক তাতে আপনার কি কিসের এত অধিকার আপনার আমার উপর আপনি ভুলে যাচ্ছেন আপনার ওয়ুড বিওয়াইফ ওই পাশের রুমে( ইয়াশ কে ধাক্কা দিয়ে)

মুনের ধাক্কা খেয়ে ইয়াশ কিছুটা দূরে যায়।

মুন: এতো শান্ত কেনো ঝড়ের আবাস পাচ্ছি আবার আগের মত সাইকো গিরি শুরু করবে না তো ( মনে মনে)

কিছু ক্ষণ চুপ থেকে মুনের কাছে গিয়ে ওকে দেয়ালে চেপে ধরে ওর ঠোঁটে নিজের ঠোঁট ছুঁইয়ে দেয়।


।কিছুক্ষণ পর ইয়াশ মুনকে ছেড়ে দিয়ে ওর দিকে একটা রাগী লুক দিয়ে বলে
ইয়াশ: আশা করি আমার অধিকার আর বুজিয়ে দিতে হবে না আগে ও বলেছি এখন আবার বলছি ছেলদের থেকে দূরে থাকো তোমার উপর শুধু আমার অধিকার ।
বলে চলে যাচ্ছিল।
পিছন থেকে মুন ওর কলার ধরে বিছানায় ফেলে ওর উপরে উঠে বসে ।

মুন: ওই কি ভেবেছেন আপনি হা যখন যা খুশি তাই করবেন। আপনি যা খুশি করবেন আর আমি কিছু করলে সাইকো গিরি শুরু তাই তো কত দিন আমার থেকে দূরে ছিলেন এখন সামনে এসে ও নাটক করছেন আমার কি কষ্ট হয়না । আর ওই এয়ালি না হেইয়ালি
রোদ: পিয়ালী..
মুন: হা ওটাই ওর সাথে এতো কিসের ঢং আর আপনি ওকে বিয়ে করবেন মানে কি হা আমি বেচে থাকতে এমন কিছু হচ্ছে না বুঝছেন। আপনি সাইকো হলে আমি ও সাইকো queen
রোদ: আমি তো তোমার জন্য সাইকো আর তুমি?
মুন: আমি ও আপনর জন্য সাইকো।
আপনি ওকে বিয়ে করলে আমি ও

এতক্ষণ রোদ মুনের কথা শুনছিল কিন্ত এই কথা শেষ হাওয়ার আগে রোদ মুনকে নিচে ফেলে বিছানায় ওর হাত চেপে ধরে। আর রাগী গলায় বলে

রোদ: কি বলতে যাচ্ছিল হা বলো এতো সাহস কে দিচ্ছে কিছু দিন আমি সাথে ছিলাম না বলে অনেক সাহস বেরেছে তাই না তোমার সাহস আমি কুমাবানে ( রাগী চোখ দেখিয়ে)
মুন: যা সাহস বেড়েছে আপনার queen হলে তো একটু সাহস হতে হবে তাই না
রোদ: তোমার সাহস অন্য কোথাও দেখবা আমার সামনে না ওকে।
মুন: হুই
সাইকো
রোদ: তোমার জন্য
বলে রোদ মুনকে ছেড়ে দিল।

মুন রোদকে জড়িয়ে ধরে সে কি কান্না।
রোদ ও মুনকে থামছে না।

( হ্যা আপনারা ঠিক ধরেছেন ইয়াশ রোদ। রোদ কেনো এটা করছে সেটা রোদ নিজেই বলুক )


কিছুক্ষণ পর রোদ মুনকে বুক থেকে উঠিয়ে বলে।
রোদ: এই পাগলী কি হয়ছে আমি ত এখানেই আছি কিছু হয়নি চুপ কোনো কান্না না তোমার সাইকো তোমার সাথে আছে তাহলে কাদছ কেনো হুম তুমি জানো না তোমার কান্না আমি সহ্য করতে পারিনা।
মুন তো কেদেই যাচ্ছে।
রোদ: চুপ আর একবার কাদলে কিন্ত পিয়ালির কাছে চলে যাবো।

মুন কিছু না বলে রোদকে মারতে লাগে ।

রোদ: আরে এভাবে কেউ মারে উফফ লাগছে তো।
মুন: লাগুক আপনি আর একবার ওই পেত্নীর কথা বলেন তাহলে আমি আপনাকে মেরে ফেলবো( মারতে মারতে)
রোদ: আমি মরলে তুমি বিধবা হবে
মুন: আপনি খুব খারাপ কেনো এতো কষ্ট দেন আমায় বলুন তো
বলে আবার কাদতে লাগলো

( মুন কিন্ত এই গুন টা আমার থেকে পাইছে আমি ও কিছু হলে আগে কাদি আর যখন খুব রাগ হয় তখন ও কাদি)

রোদ: আরে পাগলী আমি আমার মিষ্টি বউকে ছেড়ে অন্য কারোর কাছে কেনো যাবো। আমি যা করছি সব তোমার আমার ভালোর জন্য ( মুনকে বুকে নিয়ে)
মুন: হা আমাকে কষ্ট দিয়ে আপনার আর আমার ভালো হয়েছে ।
রোদ: উফফ তুমি সব কথা শুনবে তো।
মুন: আচ্ছা সরি বলুন।
রোদ: সেদিন আমি অফিস এর কাজে বাইরে যাই আর আমার গাড়ির ব্রেক ফেল করা ছিল আগে থেকে এটা আমি জানতাম কারণ তোমার উপর আমার লোক লাগানো ছিল । কোয়েক দিন ধরে আমাদের পিছনে লোক ঘুর ঘুর করছিলো কিন্ত তারা জানে না তাদের পিছনে ও আমার লোক ছিল। তাদের মধ্যে একজন কে বন্ধী করে জানতে পারি ওই দিন আমার উপর আক্রমণ হবে ।
গাড়ির ব্রেক ফেল আগে থেকে জানার ফলে আমি সেদিন বেচে যাই আমার গাড়িটা নিচে পরে যায় আর আমি এক পাশে দাড়িয়ে দেখি কিন্ত তারা ও খুব চালাক আমি পাহাড় থেকে উঠে ফিরে আসার সময় তারা আমার উপর গুলি চালায়।
এই দেখো( বলে নিজের শার্ট টা তুলে পেটের দিকে দেখায় মুন দেখে তো অবাক)

সেদিন ওখানে বিপ্লব রহমান ছিল বলে আমি বেচে যাই আর আমার সুস্থ হতে কিছু দিন সময় লাগে ।
আমি তখনই ফিরে আসতে চাইলাম কিন্ত আমার লোকেরা জানায় যে তোমার উপর বিপদ আসছে তাই আমি নিজেকে আড়াল করে তোমার উপর নজর রাখছি।
আর তাদের কয়েক জনকে আমি খুঁজে বের করছি কিন্ত মাষ্টারমাই কে খুঁজে বের করার জন্য পিয়ালির সাথে এই সব।
পিয়ালী সব জানে আর তাদের মধ্যে কাজ করে।
আব্বু আম্মু আগে থেকে সব জানতো কিন্ত তোমাকে বলতে বারন করছি কারণ তোমাকে টেনশন দিতে চাইনি ।
সুস্থ হওয়ার পর প্রতিরাতে আমি তোমাকে দেখতে যেতাম । একবার তো তুমি আমাকে দেখেছো।
বিশ্বাস করো তোমার থেকে দূরে আমি একটু
ভালো থাকতে পারিনি অনেক কষ্ট হতো কিন্ত কিছু করার ছিল না তোমার সব কাজের উপর নজর রাখে তারা তাই তোমার
সামনে আমি যেতে পারতাম না।
সেদিন তুমি আমার ঘরে এসেছিলে আমি তোমাকে সব বলতে চায়ছিলাম
কিন্ত ওখানে পিয়ালী দরজার পিছনে লুকিয়ে ছিল তাই সরি বউ। মাপ করে দাও তোমাকে এতো কষ্ট দেওয়ার জন্য শুধু একজন কে ধরার জন্য।

এখন ও আসল লোককে বের করতে পারলাম না।

মুন কিছুক্ষণ ভেবে বললো।
মুন: চিন্তা করবেন না আল্লাহ আমাদের সাথে আছে আমরা ঠিক আসল লোকটাকে বের করতে পারবো ।
রোদ: হুম আর একটা উপায় আছে কাল পিয়ালী দেখা করতে যাবে তখনই আমরা জানতে পারবো।
মুন: আপনার খুব কষ্ট হচ্ছিল তাই না?( কিউট ফেস করে)
রোদ: উহু একটু ও না আমার মিষ্টি বউ যে আমার সাথে আছে তার জন্য আমি সব কষ্ট সহ্য করতে পারি।
মুন রোদের গালে হাত দিয়ে ওর কপালে গেলে ভালোবাসার পরশ দিলো।

রোদ: কি হলো আজ এত ভালোবাসা
অনেক দিন পর দেখা সেই জন্য কি ?
মুন: আমি আমার জামাই কে আদর করছি তাতে আপনার কি
রোদ: তাই না
মুন: হা তাই
রোদ: আচ্ছা মেডাম আপনার যদি আদর করা শেষ তাহলে আমি এবার আমার ঘরে যাই ।
মুন: উহু কোথাও যাবেন না এখানে বসে থাকেন এটাই আপনার ঘর ।
এখানে ঘুমান।

এই বলে রোদকে বিছানায় শুয়ে দিয়ে রোদের বুকে মাথা দিয়ে শুয়ে পরলো।

রোদ: আরে অনেক কাজ বাকি আছে তো
মুন: কোনো কাজ না কতো দিন আপনর বুকে মাথা দেইনি
রোদ: কালই তো দিলে
মুন: আমি জানতাম ওটা আমার সপ্ন ছিল না।
রোদ: জী মেডাম এবার ঘুমান
মুন: হ্ন

মুন ঘুমিয়ে পরলো আর রোদ মুনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।



রোদ: কি করে সেই লোকটার কাছে পৌঁছাবো মুনকে এভাবে বিপদের মুখে ফেলে দিতে পারিনা না মুনের কিছু হলে আমি থাকতে পারবো না যা করতে হবে খুব তাড়াতাড়ি( মনে মনে)

চলবে

তোমার জন্য সাইকো পর্ব-২১

0

তোমার জন্য সাইকো
লেখক: নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_২১

মুন লোকটাকে দেখে মুনের মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেলো
মুন: রো…. দ দ দ দ কাপা গলায়)

ইয়াশ ওর চশমা টা খুলে মুনের দিকে তাকালো।
বিপ্লব: মামনি ও ইয়াশ আমার ছেলে।
মুন কারোর কথা না শুনে লোকটার কাছে ছুটে যায়।
মুন: আমি জানি এই আমার রোদ আমি জানি আপনার কিছু হতে পারে না আপনি আমার রোদ কেনো এতো দিন দূরে ছিলেন বলুন কেনো( কান্না করতে করতে।
লোকটা মুনকে নিজের থেকে ছড়িয়ে বলে
ইয়াশ: are u drunk?
আমি ইয়াশ আহমেদ ।কোনো রোদ ফোদ না।
মুন: কি হয়ছে আপনার আপনি কেনো এমন করছেন আমি কি দোষ করছি বলুন না কি করছি?
ইয়াশ: পাপা এই পাগলটা কে কেনো এমন করছে?
বিপ্লব: ইয়াশ ওভাবে বলতে নেই ও মুন তোমার নিহাল আংকেল এর ছেলের বউ। মুনের হাসব্যান্ড আর তুমি একি রকম দেখতে তাই।
মুন: একি দেখতে মানে এই আমার রোদ আমি জানি।
কি হলো আপনি এমন করছেন কেনো আমাকে শাস্তি দিতে চান ওকে দেন কিন্ত এভাবে আমার থেকে দূরে না( রোদের হাত ধরে)
ইয়াশ : ওহ প্লিজ আমি রোদ না ইয়াশ। পাপাই ওকে একটা ভালো ডক্টর দেখাও ।
বলে ইয়াশ চলে গেলো।
মুন ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো।

রাইমা: মুন ও আমাদের ছেলে না ।
মুন: না মামনি ও আমার রোদ। আমি রোদকে চিনি।
নিহাল: না মামনি

তখনই ওখানে একটা মডার্ন মেয়ে আসে।
শর্ট ড্রেস পরা। শরীর তো সব দেখায় যাচ্ছে যাই হোক।
এসে ইয়াশ ইয়াশ বলে ডাকতে লাগলো।
বিপ্লব: আরে পিয়ালী তুমি এখন
মেয়ে টার নাম পিয়ালী।
পিয়ালী: হা আংকেল ইয়াশ এর সাথে দেখা করতে কত বছর পর আসলো।
এখন আমি ওর সাথে ওর বাড়ি থাকবো।

ইয়াশ পিয়ালির ডাক শুনে নিচে আসে।
পিয়ালী তো ইয়াশ কে গিয়ে জড়িয়ে ধরে।
সাথে ইয়াশ ও কিন্ত মুন এটা সহ্য করতে পারেনি। মুন কিছু বলতে যাবে তার আগে।
পিয়ালী: ওহ babe তোমাকে কতো বছর পর দেখছি বাই দে বাই তুমি কিন্ত আগের থেকে হ্যান্ডসাম হয়ছো।
ইয়াশ: তুমি ও আগের থেকে অনেক হট হয়েছো( চোখ মেরে)

বিপ্লব: পিয়ালী এনি হলে আমার বন্ধু ওর উনার পরিবার।
পিয়ালী: হেলো
বিপ্লব: আর পিয়ালী আমার ছেলের ভালবাসা মানে এই বাড়ির হবু বউ।
মুন এই কথাটা শুনে ওর পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যায় ।
মুন ওখানে আর এক মুহুর্ত না দাড়িয়ে নিজের রুমে চলে যায়।

পিয়ালী: এর আবার কি হলো
ইয়াশ : বাদ দাও তো তোমার কি খবর বলো।
পিয়ালী: সব কি এখানেই বলবো।( চোখ মেরে)
বিপ্লব: আচ্ছা তোমরা উপরে যাও।
ইয়াশ তুমি পিয়ালির রুমটা দেখিয়ে দাও।
ইয়াশ: হাম
পিয়ালী: ওকে everyone বাই

ইয়াশ: যাওয়া যাক
পিয়ালী: ইয়া বাবি( ইয়াশ এর হাত ধরে)

ইয়াশ আর পিয়ালী উপরে চলে গেলো।

এদিকে মুন বসে বসে কান্না করছে।
ওর যে আজ খুব কষ্ট হচ্ছে।

মুন : উনি আমার সাথে এমন কেনো করলো।
কি দোষ করেছি আমি কেনো কেনো এমন করলো( কাদতে কাদতে)
না আমাকে উনার সাথে কথা বলতে হবে হয়তো কোনো কারণে এমন করছে আমি জানি উনি আমাকে খুব ভালোবাসেন।
মুন উঠে ইয়াশ এর রুমের দিকে যায়।

মুন: এর মধ্যে কোনটা হতে পারে ?
এটার লাইট জ্বলছে মানে এটাই।

মুন ইয়াশ এর দরজা খুলার সাথে সাথে ও বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে।
ইয়াশ আর পিয়ালী একে উপরকে জড়িয়ে ধরে আছে।
মুন নিজেকে সামনে ভিতরে
গিয়ে সোজা পিয়ালির হাত ধরে টেনে
ঠাস স স ঠাস স স করে ২টা থাপ্পড় মারলো।

হটাৎ কেউ এভাবে টেনে নেওয়াতে পিয়ালী নিজের ব্যালান্স হারিয়ে ফেলে তারপর আবার চর মারাতে পিয়ালী নিচে পড়ে যায়।

মুন: তোর সাহস কি করে হয় আমার জামাই কে জড়িয়ে ধরার ছেলে দেখলে নিজে কে ঠিক রাখতে পারিস না তাই তো আমার জামাই এর থেকে দূরে থাক না হলে।
পিয়ালী নিজেকে ঠিক করে উঠে মুনের গালে ও একটা চর দেয।মুন পরে যেতে নিলে ইয়াশ ওকে ধরে ফেলে।
মুন ইয়াশ এর বুক থেকে উঠে ইয়াশ এর দিকে করুন চোখে তাকিয়ে আছে।
যেনো এই চোখ অনেক কিছু বলতে চায়
যেনো এই চোখে অনেক দিনের অভিযোগ আছে যা বলে বুঝানো যাবে না



চোখ যে মনের কথা বলে
চোখে চোখ রাখা শুধু নয়
চোখের সে ভাষা পড়তে গেলে
চোখের মতো চোখ থাকা চাই

পিয়ালী মুনকে টান দিয়ে ইয়াশ এর বুক থেকে নিয়ে এসে বলে
পিয়ালী: তোর সাহস কি করে হয় আমার ঘরে আমার ভালোবাসার মানুষকে নিজের জামাই বলতে । তুই আমার গায়ে হাত দিয়েছিস তোর এত বরো সাহস তোকে তো
ইয়াশ: ক্লাম ডাউন ওর হাসব্যান্ড মারা গেছে তাই ও ওমন করছে।
পিয়ালী: কিন্ত ও আমাকে
ইয়াশ: তুমি ও তো ওকে মেরেছ বাদ দাও।
মাথায় প্রবলেম আছে ।
মুন: রোদ আপনি এসব কী বলছেন।
ইয়াশ: just shut up তোমার সাহস কি করে হয় পিয়ালির গায়ে হাত দেওয়ার বাড়ির মেহমান মেহমানের মতো থাকো নাহলে ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেবো।
Now get out
মুন: রোদ( ছল ছল চোখে)
ইয়াশ: out( চিৎকার করে)
মুন ওখানে না দাড়িয়ে সোজা নিজের রুমে চলে আসলো।

পিয়ালী: তুমি ওর থেকে দূরে থাকবে কিভাবে আমাদের রোমান্টিক মুহুর্ত টা নষ্ট করে দিল।
ইয়াশ: ইয়াপ এখন তুমি তোমার ঘরে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নাও।
পিয়ালী চলে গেলো।

মুন নিজের ঘরে বসে বসে কাদছে
মুন: কেনো রোদ কেনো এভাবে আমাকে কষ্ট দিচ্ছেন কেনো কি করেছি আমি।
তখনই আরুশ এর ফোন আসলো।
মুন ফোনের দিকে তাকিয়ে বিরক্তি ভাব নিয়ে ফোন টা বন্ধ করে দেয়।

আরুশ : কি হলো ফোন বন্ধ করলো কেনো?
ফোনে বন্ধ করে কি আমার থেকে মুক্তি পাবে তোমাকে তো আমার কাছে ধরা দিতেই হবে।
একটা ডেভিল স্মাইল দিয়ে।

মুন বসে বসে রোদের সাথে কাটানো দিন গুলো ভাবছে। তখনই রাইমা চৌধুরি আসলেন।
রাইমা: কি রে এখানে বসে বসে কি করছিস?
মুন: কিছু না মামনি
রাইমা: তাহলে খেতে চল
মুন: মামনি আমার ভালো লাগছে না
রাইমা: চুপ কর কিছু না খেলে চলবে।
মুন একটা কথা বলি অনেক সময় চোখে যা দেখি টা কখনো সত্যি হয়না চোখের দেখা ও ভুল হয়। মানুষ যা করে তার পিছনে কোনো কারণে থাকে।
মুন মামনির কথা ভাবতে থাকে।
রাইমা: হয়ছে আর ভাবতে হবে না চল খেতে চল। কোনো কথা শুনছি না ।
রাইমা মুনকে জোর করে নীচে নিয়ে গেলেন।

মুন নিচে গিয়ে তো ওর চোখ কপালে ।
মুন : এই পেত্নী টা আমার রোদকে খায়িয়ে কেনো দিচ্ছে আর রোদ ও ওকে খাইয়ে দিচ্ছে ( মনে মনে)

মুন আর রাইমা গিয়ে ওদের সামনে বসলো।

সবাই খাওয়া শরু করলো।

ইয়াশ আর পিয়ালির ড্রামা দেখে মুনের তো মনে চাচ্ছে গরম তেলে ভাজতে।

মুন: এই এয়ালী না হেয়ালি আমার রোদের সাথে কেমন চিপকে আছে মনে চাচ্ছে চুল ধরে টেনে বাড়ি থেকে বের করে দি আর আমার জামাই টা ও কেমন করছে উফফ আর সহ্য হচ্ছে না।
( রাগে কট মট করতে করতে মনে মনে বললো)

(সত্যি বলতে ভালোবাসার মানুষকে অন্য কারোর সাথে দেখা খুবই কষ্টের কিন্ত এটা ও বুঝতে হবে যে মানুষ নিজে থেকে অন্যের কাছে যায় কোনো কারণ ছাড়াই তার মানে সে কখনো নিজের ছিল না)



খাওয়া শেষে সবাই যার যার রুমে গেলো।

মুন একটু পর ইয়াশ এর রুমে গিয়ে ইয়াশ এর মুখ চেপে ধরে।
মুন: ওই আপনার কি হয়ছে কেনো এমন করছেন আর এতো দিন কই ছিলেন হা?
ইয়াশ: উম উম
মুন: কি হলো উম উম করছেন কেনো?
ইয়াশ মুনকে চোখ দিয়ে বুজিয়ে দিলো যে ওর মুখ থেকে হাত সরিয়ে নিতে।
মুন: উফফ সরি সরি আপনি ঠিক আছে। তো আমি বুঝতে পারিনি ( মুখ থেকে হাত সরিয়ে)
ইয়াশ কিছু না বলে মুনের গালে চর বসিয়ে দেয়।
মুন ছল ছল চোখে ইয়াশ এর দিকে গালে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে।

ইয়াশ : তোমার সাহস কি করে হয় আমার ঘরে আসার কিছু বলছি না মানে যা খুশি করবা বিকালে আমার জানের গায়ে হাত দিলে এখন আবার আমার ঘরে এসছো। তোমাদের মত মেয়েদের ভালো করে জানা আছে।
আমার মনে হয় কি যানো তোমার স্বামী মরে যাইনি তোমার এই এসব জেনে সুইসাইড করেছে।
মুন: রোদ
ইয়াশ: চুপ একটা কথা না যাও আমার ঘর থেকে বেরিয়ে যাও যাও( চিৎকার করে)

মুন ওখানে না দাড়িয়ে চলে আসলো।
রুমে এসে স্যাওয়ার অন করে ভিজছে আর কাদছে।

।মুন: কেনো রোদ কেনো না না আপনি আপনার রোদ হতে পারেন না আমার রোদ আমাকে কখনো এভাবে কষ্ট দিতে পারে না আপনি আমার রোদ না
রোদ দ দ দ দ দ (কাদতে কাদতে)

অনেকক্ষণ ভিজার ফলে মুন সেন্স হারায়।



মাঝ রাতে মুনের মনে হচ্ছে কেউ ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে ।
মুন পিট পিট করে তাকিয়ে দেখে রোদ।

মুন: রোদ আপনি আসছেন জানেন আমার না খুব কষ্ট হচ্ছিল এই জায়গাটা ফাঁকা ফাঁক লাগছিলো ( বুকে হাত দিয়ে)
আপনি আর আমাকে ছেড়ে কখনো যাবেন না কথা দিন কথা দিন( কাদতে কাদতে)
রোদ: না আমি আমার নিশ্বাস ছাড়া কি করে থাকবো কোথাও যাবো না তোমাকে ছাড়া কোথাও না এবার তুমি একটু ঘুমাও।
মুন: না আমি ঘুমাবো না ঘুমালে আপনি আবার চলে যাবেন । আপনি চলে গেলে আমি মরে যাবো ( কাদতে কাদতে)
রোদ: হুশ খুব সাহস বেড়েছে তোমার তাইনা আমার সামনে এই সব কথা বলতে বারন করেছিলাম না
মুন: বলবো আমি যত ভুল করবো আপনি তত আমার কাছে আসবেন আমাকে শাস্তি দিতে। আপনি আমাকে বকুন মারুন তবু ও আমাকে ছেড়ে যেয়েন না প্লিজ
রোদ: আমি কোথাও যাবো না তোমাকে ছেড়ে কোথাও না।
মুন: সত্যি তো
রোদ: হুম সত্যি ( মুনের কপালে ভালোবাসার পরশ দিয়ে)
এবার একটু ঘুমান।
মুন: উহু
রোদ: what উহু?
মুন: আমি আপনার বুকে ঘুমাবো ।
রোদ মুনের পাসে শুয়ে মুনকে বুকে জড়িয়ে নিলো।
কত দিন পর মুন রোদের বুকে ঘুমাতে পারছে এটা যেনো এক অন্য রকম অনুভুতি
( আমার এমন কিছু হয়নী তাই বেশি বলতে পারলাম না)
মুন: রোদ
রোদ: কোনো কথা না ঘুমাও শাওয়ার এ ভিজতে কে বলছিল এখন জোর বাঁধালে তো । এবার থেকে আমার কথা না শুনলে একবার যেমন মেরেছিলাম তেমন মরবো বুঝছো।
মুন: হি হি হি
রোদ: হাসি কেনো?
মুন: আপনার কথা শুনে আপনি আমাকে মারতে পারবেন না আমি জানি আপনি আমাকে খুব ভালোবাসে। খুব
রোদ: তাই না।
মুন: হুম।
রোদ: এবার ঘুমাও না হলে কিন্ত মরবো
মুন: ওকে ।
মুন রোদকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পরলো আর রোদ মুনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো।



সকালে
মুনের ঘুম ভেংগে গেলে মুন ওর পাসে তাকিয়ে দেখে রোদ নেই রাইমা চৌধুরী আদসয়া হয়ে মুনের পাশে শুয়ে আছে।
মুন আশে পাশে রোদকে খুঁজতে লাগলো।

মুনের নরতে দেখে রাইমা চৌধুরী উঠে বললো।
রাইমা: কিরে মুন কাকে খুঁজছিস?
মুন: মামনি রোদ কোথায়?
রাইমা: কি যা টা বলছিস রোদ কোথা থেকে আসবে?
মুন: কাল তো আমার সাথে ছিল
রাইমা: কাল রাতে আমি তোর সাথে ছিলাম।
ভিজে তো সেন্স হারিয়ে ফেলেছিলি আমি তোকে নিয়ে এসে বিছানায় শুয়ে দি তোর মাথায় জলপট্টি দি।
মুন: কিন্ত মামনি রোদ ছিল
রাইমা:: তুই কোনো সপ্ন দেখছিস রোদ কোথায় থাকবে ও তো
মুন: না মামনি রোদ আছে ও আমাকে ছেড়ে যেতে পারে না
রাইমা: মুন চুপ কর তোর শরীর ভালো না চুপ করে শুয়ে থাক আমি খাবার দিয়ে যাচ্ছি।
বলে রাইমা চলে গেলেন।

আর মুন বসে বসে ভাবতে লাগল।

মুন: রোদ ছিল আমি জানি কাল রাতে রোদ ছিল আমি সপ্ন দেখছি না।উফফ মাথাতে খুব ব্যাথা করছে( মাথায় হাত দিয়ে)

মুন উঠে ফ্রেশ হয়ে রেডী হয়ে নিচে গেলো।



মুন নিচে গিয়ে দেখে সবাই বসে আছে পিয়ালী আর ইয়াশ ও কালকের মতো বসে নাস্তা খাচ্ছে।
মুন ওদের দেখে ও না দেখার ভান করলো।

রাইমা: কি রে তোকে না বললাম নিচে না আসতে আমি খাবার পাঠিয়ে দিবো ।
মুন: ভালো লাগছিলো না তাই। পাপাই তোমার গাড়ির চাবি দাও তো।
নিহাল: মামনি তোমার তো শরীর ভালো না তুমি বরং শুয়ে থাকো গাড়ির চাবি নিয়ে কি করবা?
মুন: পাপাই আমি ঠিক আছি একটু বাইরে যাবো বান্ধবীদের কাছে ওদের সামনে আসতে বলেছি।
নিহাল: কিন্ত
মুন: পাপাই প্লিজ
নিহাল: ওকে
রাইমা: তুই কোথাও যাবি না।
মুন: মামনি তুমি কি চাও আমি মরে যাই এখানে থাকলে এমনি মরে যাবো তার থেকে বান্ধবীদের আছে গিয়ে সুস্থ হয়ে আসি।
রাইমা চৌধুরী আর কিছু বললেন না উনি বুঝতে পারছেন মুন কি বলতে চায়।

মুন চাবি নিয়ে বেরিয়ে পড়লো।

লামিয়া রুমা এদের কে একটা পার্কে আসতে বলছে।
মুন গিয়ে ওখানেই দাড়ালো।

কিছুক্ষণ পর ওরা ও চলে আসলো।
লামিয়া: হাই what’s up ?
মুন: সেই ( তাসিলের হাসি দিয়ে)
রুমা: তোর না জোর আসছে তো আমাদের এখানে কেনো ডাকলি।
মুন: বলছি
তারপর মুন ওদের সব বললো।

লামিয়া: কি বলছিস এতো রূপকথার মতো মনে হচ্ছে।
মুন: রূপকথা না আমার লাইফ।
রুমা: সে সব বুজলাম এক কাজ কর তুই লোকটাকে বাজিয়ে দেখ। মানে রোদ যা সহ্য করতে পারতো না যেভাবে তোকে দেখতে ভালোবাসতো তুই তার উল্টা কর যাতে রোদের রাগ হয় আর ও সব বলে দেয়
মুন: ঠিক বলছিস আমি ও তাই করবো ভাবছি।
দেখা যাক কি হয়।
লামিয়া: এটাই বেষ্ট হবে।
তো কাজে লেগে পর।
মুন: তাতে কিন্ত তোদের হেল্প লাগবে।
লামিয়া+রুমা: আবার জিগায়।

৩বান্ধবী হাসতে লাগলো।

অনেকক্ষণ আড্ডা দেওয়ার পর মুন গাড়ি নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দেয়।

রাস্তায় যেতে যেতে হটাৎ মুনের পাশে নজর যায় মুন গাড়ি থামিয়ে মনোযোগ দিয়ে দেখতে থাকে।

চলবে

তোমার জন্য সাইকো পর্ব-২০

0

তোমার জন্য সাইকো
লেখক: নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_২০

মুন তাকিয়ে দেখে যে ওর দিকে কেউ ঝুঁকে আছে। মুন দেখে ভয় পেয়ে চিৎকার দিতে যাবে তার আগে অজানা মানুষ ওর মুখ চেপে ধরে।
অজানা: চুপ খুব ভালোবাসি খুব ( মুনের কানের কাছে গিয়ে)তোমাকে খুব আপন করে নিতে ইচ্ছা করছে কিন্ত সেটা করা তো যাবে না । খুব তাড়াতাড়ি ফিরব, খুব তাড়াতাড়ি তোমাকে আপন করে নেবো।

মুন নির্বাক শ্রোতা হয়ে সব শুনছে।
অজানা মুনের কপালে গালে অনেক গুলো চুমু খেয়ে চলে গেলো।

মুনের যেনো কথা ছোয়া সব চেনা লাগছে ।

মুন দেরি না করে বারান্দায় এসে দেখে আরুশ নিচে দাড়িয়ে আছে মুনের মুহুর্তে খুব রাগ হলো।
মুন ঘরে এসে একটা মুচকি হাসি দিয়ে । ঘুমিয়ে পরলো।

সকালে মুনের ঘুম ভাঙ্গল মুন বাইরে উকি মেরে চারিদিক দেখে ওর খুব ভালো লাগলো। অনেক দিন পর আজ মুনের খুব ভালো লাগছে।
মুন রেডী হয়ে নিচে গিয়ে দেখে ওখানে সবাই আছে। মুনকে দেখে রাইমা চৌধুরী এসে মুনকে বসিয়ে খায়িয়ে দিতে লাগলেন।

রোদের মামী: ঢং দেখে আর বাচি না ।
কথাটা কেউ না শুনলে ও নিহাল চৌধুরী শুনছে।
নিহাল চৌধুরী কিছু না বলে বসে পরে।
মুন: গুড মর্নিং পাপাই।
নিহাল: গুড মর্নিং মামনি।
আফজাল হোসেন : দুলাভাই আমি বলছি কি মুনের একটা বিয়ে দেওয়া দরকার কোনো দিন এভাবে থাকবে?
মুন তো রেগে ফায়ার।
নিহাল চৌধুরী একটা হালকা হাসি দিয়ে বললো।
নিহাল: আমার মনে হয় কি তোমাদের এখন যাওয়া উচিৎ। অনেক দিন তো হলো এখন তোমরা ফিরে যাও আর মুনের চিন্তা তোমাদের করতে হবে না ওর জন্য আমরা আছি।
আফজাল হোসেন: দুলাভাই তুমি
নিহাল: আহা আমার কথাতে কষ্ট পেও না আমি তো বলছি কারণ আমরা বাইরে ঘুরতে যাচ্ছি। তোমরা ফাউ থেকে কি করবে তাই চলে যাওয়া ভালো ।
মুন: পাপাই আমরা কোথায় যাবো ( খুশি হয়ে)
নিহাল: আমার এক বন্ধুর বাসায় ওখানে কিছু দিন থাকবো।
রাইমা: তুমি তো আমায় কিছু বলো নি?
নিহাল: সকালেই ফোন করলো তাই বলার টাইম পাইনি।
মামনি আজ তাড়াতাড়ি এসো আমরা সকাল সকাল বের হবো।
মুন: ওকে পাপাই আমি এখন যাই।
টাটা মামনি।
মুন নাচতে নাচতে চলে গেলো।
রোদের মামা , মামী এর মুখ তো দেখার মত ।
রাইমা চৌধুরী কিছু বলছে না উনি ও জানেন উনার ভাই ভাবি খুব লোভী।
নিহাল: তোমাদের এখানে রেখে কি আমি আমার প্ল্যান নষ্ট করব। মুন কে এইখান দেখে যে করে হোক বের করতে হবে । খুব সাবধানে ( মনে মন) বলে একটা রহস্য ময়ি হাসি দিল।
খাওয়া শেষে নিহাল অফিস এ গেলো আর রোদের মামা মামী ও প্যাকিং করে বাড়ি চলে আসলো।( ওদের এনেছিলাম অন্য একটা কারণে কিন্ত আমার পাঠকরা পছন্দ করছে না তাই বিদায় করলাম )

মুন ভার্সিটিতে গিয়ে ওর স্কুটি এক পাসে রেখে ভিতরে গেলো।
মুন ওর ফ্রেন্ড দের কাছে যাওয়ার আগে আরুশ ওকে টেনে খালি ক্লাস রুমে নিয়ে গেল।
মুন: হাত ছাড়ুন( ছড়ানোর চেষ্টা করে)
আরুশ : কেনো ?
মুন: কেনো মানে আমার হাত ধরার অধিকার আপনাকে কে দেছে
আরুশ: দেখো মুন সোজা কথা সোজা ভাবে বলি আমি তোমাকে ভালোবাসি আর এটাই ফাইনাল এখন আর রোদ নেই সো
আর বলতে পারলো না
মুন: অনেক বলেছেন এবার আমার টা শুনেন আমি আপনাকে ভালোবাসি না বুঝছেন আমি রোদকে ভালোবাসি । আর রোদ বেচে আছে আমার নিশ্বাসে বেচে আছে আমার প্রতিটি শিরা উপশিরায় বেচে আছে ওর জায়গা কেউ কখনো দিতে পারবে না আমার নিশ্বাস থাকা পযন্ত তো না।
কথাটা বলে মুন চলে গেলো ।
আরুশ: আমি ও দেখি তুমি কতদিন আমার থেকে দূরে থাকো আমার কাছে তো তোমাকে ধরা দিতেই হবে।
( একটা ডেভিল স্মাইল দিয়ে রুম থেকে চলে গেলো)

মুন ক্লাস করে বাইরে আসতেই আরুশ এর জ্বালাতন আবার শুরু। মুনের তো রেগে গা জ্বলে যাচ্ছে।

মুন কিছু টা দূরে গিয়ে বসে পরে ।
ফোনে রোদের ছবির দিকে তাকিয়ে আছে।
মুন: কবে আসবেন আপনি আমার যে আর ভালো লাগছে না প্লিজ চলে আসুন। আপনার সাইকো গিরি যে আমি খুব মিস করছি আর কত কষ্ট দেবেন এবার সামনে আসলে আগের বারের থেকে ও বেশি বড়ো শাস্তি দেবো । হ্ন প্লিজ চলে আসুন প্লিজ।

মুন রোদের ছবির দিকে তাকিয়ে আছে তখনই ওর পাশে কইটা ছেলে এসে বসলো।
মুন উঠে যেতে চাইলো। কিন্ত পিছন থেকে ছেলেগুলো ওর হাত ধরে ফেললো।
মুন: কি হচ্ছে কি ছাড়ুন আমার হাত।
একটা ছেলে: কেনো সুন্দরী আমাদের সাথে ও একটু কষ্ট share করো।
আরেক টা ছেলে: আরে কষ্ট বলতে হবে না চলো তোমাকে কষ্ট ভুলিয়ে দিতে চলো।
মুন তো ছড়ানোর জন্য অনেক চেষ্টা করছে।
শেষে না পেরে একটা কে লাঠি মেরে চলে আসলো।
ছেলেগুলো ওর পিছন পিছন আসে।
মুন দৌড়ে লামিয়া দের আছে যায়।
লামিয়া: কিরে তুই এভাবে দৌড়াছিস কেনো?
মুন…
লামিয়া: কি হলো
মুন ওদের সব বললো ওরা দেখে পিছনে ছেলে গুলো দাড়িয়ে আছে।
লামিয়া ছেলেগুলোর কাছে গিয়ে সব মেয়েদের দিয়ে ছেলেগুলো কে মার খাওয়ায়।
ওদের ঝামেলা দেখে আরুশ দের গ্রুপ এর সবাই এসে যখন শুনে যে মুনের হাত ধরছে।
আরুশ তো ছেলে গুলোর কাছে অনেক মারে।
শেষে আরুশ এর বন্ধুরা এসে থামায়।
ছেলে ২ টো তো জান বাচিয়ে ফেরত যায়।

আরুশ মুনের কাছে গিয়ে বলে
আরুশ: একা ওখানে কেনো গিয়েছিলে?( রেগে)
মুন…
আরুশ: কি হলো কথা বলছো না কেনো তুমি জানো না যে ওই জায়গায় তেমন কেউ যায়না যদি আজ কিছু হতো তো
মুন কিছু না বলে চলে যায় সাথে ওর বান্ধবীরা।

আরুশ: এই মেঁয়েকে তো
আরুশ ও রেগে চলে যায়।

এদিকে একজন এসব শুনে রাগে ফুসছে ।
ম্যানেজার: স্যার কি করবো?
…..
ম্যানেজার: ওকে স্যার
ম্যানেজার চলে গেলো।
লোকটা একটা রহস্যময়ী হাসি দিয়ে বলে
লোকটা: i am back
বলে অট্ট হাসিতে ফেটে পরে।

মুন ভার্সিটি থেকে বেরিয়ে সোজা বাসায় যায়।
বাসায় গিয়ে দেখে ওর সব কিছু গুছানো।
মুন ও ফ্রেশ হয়ে রেডী হয়ে নিল।

কিছুক্ষণ পর ওরা বেরিয়ে পরলো।

গাড়িতে রাইমা চৌধুরী আর মুন বক বক করে যাচ্ছে।
নিহাল চৌধুরী কাকে যেনো একটা মেসেজ পাঠাল।

আধা ঘন্টা পর পৌঁছালো।
নিহাল সবাইকে নিয়ে ভিতরে গেলো বিশাল বড়ো এক বাড়ি ( ওতো ব্যাখা দিতে পারবো না সরি)
নিহাল: ওই তো আমার বন্ধু।
বিপ্লব রহমান: আরে দোস্ত কত দিন পর দেখা।
বলে নিহাল চৌধুরী কে জড়িয়ে ধরলেন।
নিহাল: হা রে সেই কবে দেখা হয়ছিল।
এই হলো তোর ভাবি ।( রাইমা কে দেখিয়ে)
বিপ্লব: ওহ কেমন আছেন ভাবি ?
রাইমা: জী ভালো আপনি?
বিপ্লব: আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
নিহাল: আর ও হলো আমার মেয়ে মুন
বিপ্লব : ওহ তাহলে এই হলো মুন
নিহাল: হুম ।
মুন: অ্যাসালুমালায়কুম
বিপ্লব: অলায়কুম সালাম
টা তোর পরিবার কই।
বিপ্লব: আমার পরিবার বলতে ও এক ছেলে আর এক মেয়ে। মেয়ে বিয়ে হয়ে গেছে আর ছেলে অফিস।
একটু পর আসবে।
নিহাল: ওহ আচ্ছা
বিপ্লব: যা তোরা ফ্রেশ হয়ে নে।
এই ওদের রুম দেখিয়ে দাও।

ওরা ৩জন রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিচে আসলো।
কিন্ত মুন বিছানায় শুয়ে ঘুম ।

সবাই মিলে আড্ডা দিতে লাগলো।

মুন ঘুম থেকে নিচে যায়।
নিচে গিয়ে সবার সাথে আড্ডা দেয়।

কিছুক্ষণ পর একটা ছেলে আসলো।
বিপ্লব: হে my son ইয়াস আহমেদ।
সবাই ছেলেটার দিকে তাকালো।
মুন তো ছেলেটা কে দেখে শকড ।
লোকটা সবার সাথে হেসে হেসে কথা বলছে ।
মুন তো শুধু দেখে যাচ্ছে

চলবে

তোমার জন্য সাইকো পর্ব-১৯

0

তোমার জন্য সাইকো
লেখক: নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_১৯
২দিন পর

এই ২দিন মুন সেন্সলেস ছিল। অতিরিক্ত শকড পাওয়ার জন্য সেন্স হারায়।
মুনের যখন সেন্স ফিরলো মুন নিজেকে বিছানায় আবিষ্কার করলো।
পিট পিট করে তাকিয়ে দেখে রাইমা চৌধুরী বসে আসে মুন মামনির দিকে উঠে বসে।
মুন কে উঠতে দেখে রাইমা চৌধুরী বলে
রাইমা: একি তুই উঠছিস কেনো তোর শরীর ভালো না
মুন: মামনি রোদ ( কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে অনেক কষ্টে বললো)
রাইমা :…….
মুন: কি হলো মামনি বলো
রাইমা:….
মুন: তুমি বলছো না কেনো
তখনই রোদের বডিগার্ড আসে।
মুন রোদের বডিগার্ড কে দেখে বলে
মুন: আপনার স্যার কোথায় ?
রাইমা চৌধুরী চোখের ইশারায় না করে সেটা মুনের চোখ এড়ালো না
মুন: কেউ কি আমাকে বলবে রোদ কোথায়? ও কি আমার সাথে লুকুচুরি খেলছে আমার কিন্ত ভালো লাগছে না।
মুন অস্থির হয়ে পরলো।
রাইমা: মুন একটু শান্ত হো মা আমার এক ছেলেকে তো হারিয়েছি তোকে হারাতে চাইনা( কান্না করে)
মুন: এক ছেলেকে হারিয়েছ মানে?( অবাগ হয়ে)
রাইমা…
মুন: তোমরা কি কেউ আমায় বলবে ( চিৎকার করে)
সবাই….
মুন পাগলামি করছে দেখে রাইমা চৌধুরী বললো
রাইমা: তুই একটু শান্ত হো
মুন যেনো শুনতে পাচ্ছে না
রাইমা: রোদ আর নেই রোদ মারা গেছে( চিৎকার করে)
মুনের যেনো সব কিছু ঝাফসা লাগছে।
মুন: কিইই বলল ছো আআআআমমর রোদের কীইইছুই হতে পারে না ( কথা আটকে যাচ্ছে )
রাইমা: হা এটাই সত্যি রোদ আর নেই রোদের গাড়ি পাহাড় থেকে পরে গেছে( কান্না করে)
মুন তো ধপ করে বসে পরলো ওর মুখ দিয়ে যেনো কোনো কথা বের হচ্ছে না ।
রাইমা: মুন নিজেকে ঠিক কর
মুনের মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছে না ।
রাইমা: মুন
মুন: আমি একা থাকতে চাই
রাইমা: কিন্ত
মুন: প্লিজ ( চিৎকার করে)
সবাই ঘর থেকে বের হয়ে গেলো।

১মাস পর
এই ১মাসে অনেক কিছু বদলে গেছে সবার জিবনে। মুন এই ১মাসে ঘর থেকে একবারের জন্য বের হইনি। সারাক্ষণ রোদের ছবি বুকে নিয়ে কাদে খাওয়া দাওয়া ও বন্ধ করে দেছে।
মাঝে মাঝে মুন কাদতে কাদতে সেন্স হারায় । না খাওয়ার জন্য শরীর দুর্বল হয়ে পরে।রাইমা চৌধুরী ও আগের মত তেমন কথা বলে না সব কাজ এখন সার্ভ মেন্ট করে রাইমা চৌধুরী দিনে একবার মুনের ঘরে গিয়ে ওকে খাওয়ানোর চেষ্টা করে কিন্ত লাভ হয়না।
নিহাল চৌধুরী সারাদিন অফিস এ থাকে উনার শরীর ও তেমন ভালো না কিন্ত কিছু করার নেই। উনি এখন আর বাড়ি খায় না। লামিয়া আর রুমা মাঝে মাঝে এসে দেখে যায় মুনকে।রোদ দের বাড়িতে এখন রোদের মামা মামী, মামার ছেলে নাহিদ আর মেয়ে তানিশা থাকে।
রোদের চলে যাওয়ার পর ওরা এখানে এসে থাকে ।
সব চলছে কিন্ত মুন থেমে আছে ।

মুন রোদের ছবি আকরে কাদচে আর বলছে ।
মুন: কেনো চলে গেলেন আমাকে ছেড়ে আপনি না বলতেন কখনো আমাকে ছেড়ে যাবেন না তাহলে কেনো গেলেন খুব খারাপ আপনি প্লিজ একবার ফিরে আসুন আর কখনো আপনার কথার অবাধ্য হবো না প্লিজ ( কাদতে কাদতে)
তখনই রাইমা চৌধুরী আসলেন
রাইমা: মুন এই দেখ তোর বান্ধবী আসছে।
মুন কিছু বলে না শুধু রোদের ছবির দিকে তাকিয়ে থাকে।
রাইমা কিছু বলতে কবে লামিয়া আটকিয়ে দেয়।
রাইমা চৌধুরী কাদতে কাদতে চলে যায়।
লামিয়া: মুন কিছু খেয়ে নে একটু কিছু খা প্লিজ।
মুন চুপ করে আছে।
রুমা: মুন এভাবে আর কত দিন থাকবি রোদ ভাইয়া যদি তোকে এভাবে দেখে তাহলে উনি কত কষ্ট পাবে রোদ তো বেচে আছে তোর মধ্যে আমাদের সবার মধ্যে তুই যদি এমন করিস তাহলে তো তুই রোদ ভাইয়া কে কষ্ট দিচ্ছিস ।
রোদ ভাইয়া তো তোর হাসির মধ্যে বেচে আছে তোর জিবনে বেচে আছে তুই কেমন ভালবাসিস যে রোদ ভাইয়া কে কষ্ট দিচ্ছিস আসলে রোদ ভাইয়া সেদিন মারা যায়নি মারা যাচ্ছে ।
মুন: তোরা চলে যা।আমার রোদ মরে নি। আমার উপর রাগ করে দূরে আছে
লামিয়া: মুন প্লিজ কিছু খেয়ে নে আর কত দিন এভাবে থাকবি।
মুন: তোরা কি যাবি ( রেগে)
লামিয়া আর রুমা কিছু না বলে চলে গেলো।

মুন: আমি কেনো কাদছি কেনো কষ্ট পাচ্ছি আপনি তো কোথাও যাননি শুধু আমার উপর রাগ করে একটু দূরে আছে আমি জানি আপনর কিছু হয়নী আপনর কিছু হতে পারে না। আপনি আছেন আমি জানি । আমি এভাবে আছি বলে কি আপনি আসছেন না প্লিজ ফিরে আসুন তাড়াতাড়ি আমি আর কাদব না। আপনি যা লাইক করেন না টা আমি কখনো করবো না আর না আমি আপনার সব কথা শুনবো।
এসব নিজে নিজে বলে মুন রোদের ছবি বুকে নিয়ে ঘুমিয়ে গেলো।

আফজাল হোসেন: দুলাভাই আপনি আর কত সামলাবেন রোদ ও তো এখন আর নেই এখন আমাদের মধ্যে শুধু নাহিদ আছে ওকে অফিসের কাজে বসিয়ে দেন মনে করে ও রোদ( রোদের মামা)
নিহাল চৌধুরী কিছু বললো না ।
আফজাল হোসেন: দুলাভাই মন খারাপ করেন কেনো এক ছেলে গেছে তো কি হয়েছে আরেক ছেলে তো আছে । আমরা সবাই আছি আপনার পাসে আমরা মিলে এই সব সামলাবো।
নিহাল: আমরা এই সব নিয়ে অন্য সময় কথা বলি এখন আমার কিছু ভালো লাগছে না।
বলে চলে গেলো।
আফজাল হোসেন কিছুক্ষণ বসে উনি ও চলে যায়।

সকালে মুন ঘুম থেকে উঠে ফ্রশ হয়। রেডী হয়ে নিচে নামে ।
মুনকে দেখে সবাই অবাগ
রাইমা: মুন মা কিছু লাগবে কোথায় যাচ্ছিস?
মুন: মামনি আমি ভার্সিটিতে যাচ্ছি।
রাইমা: সত্যি তুই আগের মত হয়ে যা তোকে নিয়ে তো আমরা বেচে আছি।( চোখের পানি ফেলে)
মুন: হা মামনি সব আগের মত হয়ে যাবে ।আমি এখন যাচ্ছি।
বলে মুন চলে গেলো।
রাইমা চৌধুরী ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থেকে উপরে চলে গেলেন।

মুন নিজের স্কুটি নিয়ে ভার্সিটিতে চলে গেলো সেখানে গিয়ে সে তার বান্ধবীদের কাছে যায়।
সবাই তো মুনকে দেখে খুব খুশি ।
লামিয়া রুমা তো খুশির জন্য মুনকে জড়িয়ে ধরে কেদে ফেলে।
সবাই মিলে ক্লাস করতে যায়।
ক্লাস শেষে মুন বাইরে এসে যেই বের হতে যাবে ওমনি ওর সামনে আরুশ এসে দাড়ায়।
আরুশ: কেমন আছো মুন?
মুন: জী ভালো থাকার তো কথা
আরুশ: হা ভালো থাকলে তো আমি ও ভালো। টা এখন কি বাড়ি যাচ্ছাও?
মুন: হুম বাই
আরুশ: মুন পুরনো সব কিছু ভুলে নতুন করে শুরু করো। তাকিয়ে দেখো সবাই তোমার নতুন লাইফ এর জন্য wait করছে।
মুন: হুম
আরুশ: আমি কিন্ত এখন ও তোমায় আগের মত ভালোবাসি।
মুন কিছু না বলে চলে গেলো।
আরুশ ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।

মুন বাড়ি এসে সোজা রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে রোদের ছবির সামনে দাঁড়ায়।
মুন: দেখছেন আমি আপনার সব কথা শুনছি এখন তো আপনি ফিরে আসুন। এখন ও কি রেগে আছেন আমার উপর আমি
আর কিছু বলতে পারলো না নিহাল চৌধুরী ওর মাথায় হাত বুলিয়ে বলল
নিহাল: মারে এবার তো নিজেকে ঠিক কর নতুন করে শরু কর।
মুন: হা পাপাই
নিহাল: তোর সুখে আমরা সুখী।
মুন: জানি পাপাই তুমি কি খেয়েছো?
নিহাল: তুই খায়ছিস?
মুন: না আচ্ছা চলো। এক সাথে খাই
এই বলে নিহাল কে কিছু বলতে না দিয়ে হাত ধরে টেনে নিয়ে গেল।
খাওয়া শেষ করে মুন নিজের ঘরে রোদের ছবি দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়ে।

মাঝ রাতে মুনের মনে হচ্ছে কেউ ওকে খুব ভালো করে দেখছে।
শীতের রাতে মুনের চোখ খুলতে নারাজ।
অনকে কষ্টে চোখ খুলে দেখে।

চলবে

তোমার জন্য সাইকো পর্ব-১৮

0

তোমার জন্য সাইকো
লেখক: নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_১৮
মুন: কি হলো এটা ?
রোদ: বউএর কুলে মাথা দিছি তোমার কোনো সমস্যা। বাই দা বাই তোমাকে খুব কিউট লাগছে
মুন: হম উঠুন খেতে হবে না
রোদ: না চুপটি করে বসে থাকো সারাদিন কত কাজ করছি মাথাটা একটু টিপে দাও না।
মুন কিছু না বলে রোদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো।
মুন: আচ্ছা রোদ একটা কথা বলবো।
রোদ: হুমম বলো তোমার কথা ছাড়া কার কথা শুনবো।
মুন: আপনি আমার সাথে এমন কেনো করেন এই মারেন তো এই ভালোবাসেন । বুঝি না আপনি আসলে কি( মাথা টিপতে টিপতে)
রোদ মুনের হাত নিয়ে কিস করে বললো।
রোদ: আমি ইচ্ছা করে কিছু করিনা তোমাকে যে অন্য কারোর সাথে স্বপ্নে ও ভাবতে পারিনা সেই ছোটো বেলা থেকে। যখন তুমি আমায় ছেড়ে চলে গিয়েছিলে তখন আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল ।
মুন: রোদ আমি ইচ্ছা করে
রোদ: জানি সব বুঝি কিন্ত তোমার উপর একটা অভিমান থেকে এসব করেছি আর আরুশ এর সাথে দেখে আমার মাথা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল তাই ওভাবে কষ্ট দিছি i am sorry jan
মুন: হয়েছে আর বলতে হবে না তার শাস্তি তো আপনি পেয়েছেন( হালকা হেসে) এবার থেকে আর কষ্ট দিলো এর থেকে ও বেশি শাস্তি দেবো।
রোদ: রাজি ভুল করলে শাস্তি দিবা কিন্ত ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা ভাবলে খুন করে ফেলবো।
মুন: ওরে বাবা এ তো থ্রেট
রোদ: যা খুশি ভাব কিন্ত কথা টা মাথায় রাখবা(ভারী গলায়)
মুন: হুই দেখা যাবে উনি যদি সাইকো হয় আমি ও সাইকো queen ( মনে মনে)
মুন: এখন উঠুন খেতে যেতে হবে
রোদ: উঠতে ইচ্ছা করছে না মনে হচ্ছে সারাজীবন এভাবে থাকি।
মুন: সে থাকা যাবে কিন্ত এখন উঠুন
রোদ: আর একটু
মুন: উঠতে বলছি না( রাগী গলায়)
রোদ: বাবা বউ তো আমার সেই সাহস হয়েছে
মুন: বউ টা কার দেখতে হবে না।
এবার উঠুন।
রোদ আর মুন নিচে গেলো।

খাওয়া শেষে রোদ উপরে আসলো একটু পর মুন ও আসলো।
এসে দেখে রোদ বারান্দায় দাড়িয়ে আছে ।
মুন রোদকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলো।
রোদ একটা মুচকি হাসি দিয়ে মুনের হাত ধরে সামনে নিয়ে এসে পিছন থেকে মুনের কোমর জড়িয়ে ধরে গান গাইলো।
রোদ:
তুমি হাসলে আমার
ঠোঁটে হাসি তুমি আসলে
জোনাকি রাশি রাশি
রাখী আগলে তোমায় অনুরাগে
বলো কিভাবে বুঝায় ভালোবাসি
সব চিঠি সব কল্পনা জুড়ে রং
মিশে যায় রুক্ষ দুপুরে
সেই রং দিয়ে তোমাকে আকি
আর কিভাবে বুঝায় ভালোবাসি
প্রাণ দিতে চাই মন দিতে চাই
সব টুকু ধেণ তোমাকে দিতে চাই
( গানটা আমার খুব পছন্দের আপনারা ও শুনবেন খুব ভালো লাগবে)
মুন রোদের গান চোখ বন্ধ করে শুনছে রোদের গান মুনের খুব ভালো লাগে রোদ খুব ভালো গান পারে রোদের কাছ থেকে মুন একটু একটু শিখছে ।
গানটা শেষ করে রোদ মুনের গালে একটি ভালোবাসার পরশ দিয়ে মুনকে কলে নিয়ে বিছানায় নিজের বুকের উপর মুনকে শুয়িয়ে ঘুনের দেশে পারি দিলো।

সকালে,
মুন উঠে রোদকে পায়না ।
মুন ফ্রেশ হয়ে এসে নিচে এসে দেখে মামনি কাজ করছে।
মুন উনার কাছে গিয়ে শুনে যে রোদ অনেক সকালে বেরিয়ে গেছে।
রাইমা চৌধুরী সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে
নাস্তা করে মুন ভার্সিটিতে চলে যায়।

ভার্সিটিতে
লামিয়া: কিরে মাম্মা সোজা বিয়ে করে ফেলি।
রুমা: করবে ছাড়া কি তোর জন্য wait করবে।
লামিয়া: ওই রাক্ষসী তোকে কথা বলতে কে বলছে।
মুন: ওই চুপ করতো নাহলে বাঁধন ভাইয়া কে বলে দেবো।
লামিয়া: আমায় একা কস না নিরব স্যার এর কথা ও বল।
রুমা: তোকে তো
লামিয়া: তোলে তোলে টেম্পু চালাবা আর কেউ জানবে না আমাদের তো বলতে পারটি।
রুমা: ওমন কিছু না বাই দা জমিন বিয়ে কেমনে হলো রে মুন।
তারপর মুন ওদের সব কথা বললো
সব শুনে তো সবাই শকড
লামিয়া: ভাই তুই বেচে আছিস তো
রুমা: ঢং দেখে বাচি না ওর তো বর মারছে তোর তো বফ ও মারে।
লামিয়া: তোরে কিডা কয়ছে রে হুদাই পেঁচাল পারে।
রুমা: চুপ থাক আমরা সব জানি
মুন: ওই তোরা ক্লাস এ চল।
৩জন মিলে ক্লাস করলো।

রোদ : যেভাবেই হোক ওদের প্ল্যান আমাদের জানতে হবে।
বডিগার্ড: স্যার আমাই অলরেডী লোক লাগিয়ে দিয়েছি। কিন্ত স্যার আমাদের খুব সাবধানে থাকতে হবে। বিশেষ করে মুন ম্যামকে
রোদ: ওরা মুনের কিছু করবে না আমার মনে হয় ওদের আঘাত আগে আমার উপর হবে । মুনকে টার্গেট করে।
বডিগার্ড: স্যার আমাদের এখন কি করতে হবে।
রোদ: যা বললাম তাই
বডিগার্ড: ওকে স্যার
বলে চলে গেলো
রোদ: কি ভাবছিস আমি কিছু বুঝতে পারবো না তোরা যেই স্কুল থেকে শিখছিস আমি সেই স্কুল এর পড়ানো স্টুডেন্ট। আগে আগে দেখ কি হয়।
বলে একটা ডেভিল স্মাইল দিলো ।
এখন ও মুন ভার্সিটিতে আছে আর একটু পরে ফোন দি। জানি অনেক রেগে আছে।

মুনের ক্লাস শেষে মুন বসে বসে ভাবছে
মুন: আজ রোদের কি হলো একবার ও খোজ নিল না আর কোথায় গেছে আমায় না জানিয়ে
একবার ফোন দেবো না থাক ওর ইচ্ছা হলে দেবে না একবার দিয়ে দেখি উফফ কি করবো ( মনে মনে)
রুমা: ওতো টেনশন না করে ফোন দে
মুন: তোকে কে বলছে
রুমা: আমি সব বুঝি বুঝলি ওই দেখ আরেক টা চুটিয়ে প্রম করছে।( লামিয়া আর বাঁধন কে দেখিয়ে)
মুন: না থাক
রুমা কিছু বলতে যাবে তার আগে নিরব স্যার রুমা কে ডাক দেয়
মুন: ওই যে তোমার ডাক পরছে
রুমা: চুপ কর
বলে রুমা চলে গেলো ।
আর মুন বেচারি বসে বসে ভাবছে
মুন: ধুর এত না ভেবে ফোন দি জামাই তো আমার।
মুন ফোন দেওয়ার সাথে সাথে রোদ ধরলো।
রোদ: হেলো
মুন: কি ব্যাপার কি আপনার আমাকে না জানিয়ে কোথায় গিয়েছেন।
রোদ: দরকারি কাজ ছিল আর তুমি তো ঘুমাচ্ছিলে।
মুন: তাই বলে কি ডাকা যায় না( অভিমানী কণ্ঠে)
রোদ: হুম যায় কিন্ত আমার কিউট বউ টা কত সুন্দর করে ঘুমাচ্ছিল তাই আর ডাকতে মন চায়নি
মুন: একটা ফোন ও তো করা যেত
রোদ: আচ্ছা সরি
মুন: হু
রোদ: what hu?
মুন: কিছু না কি করছেন
রোদ: বসে বসে আমার মিষ্টি বউ এর সাথে কথা বলছি। খুব মিস করছি তোমায়।
মুন: কত মিস করছেন জানা আছে সেই জন্য তো একটা ও ফোন দিলেন না
রোদ: বুঝতে পারছি আমার বউ টা খুব রেগে আছে সমস্যা নেই রাতে সব ভেঙ্গে দেব।
মুন লজ্জা পেলো।
রোদ: কি হলো
মুন: কিছু না
রোদ: তাই না
মুন: হা তাই
রোদ: love you
মুন: love u too

আরও কিছুক্ষণ কথা বলে।
মুন ক্লাস এ চলে গেলো।

ক্লাস শেষে মুন বাড়ি এসে ফ্রেশ হয়ে নিল।

রোদ বাড়ি এসে মুন কে খুঁজতে লাগলো কিন্ত পেলো না।
রোদ: আম্মু মুন কই?
রাইমা: ছাদে গেছে।
রোদ: ওহ আচ্ছা।
রোদ ছাদে গিয়ে দেখে মুন দোলনায় বসে বসে চকোলেট খাচ্ছে আর গল্পের বই পড়ছে।

রোদ: তুমি এখানে আমি সেই কখন থেকে তোমাকে খুঁজছি।
মুন তাকিয়ে দেখে রোদ রেগে দাড়িয়ে আছে।
মুন: আপনি কখন আসলেন
রোদ: তুমি এখানে কেনো?( ভূ কুচকে)
মুন: আসলে ভালো লাগছিলো না তাই।
রোদ মুনের পাসে বসলো।
মুন: আপনার কাজ শেষ?
রোদ…
মুন: কি হলো কথা বলছেন না কেনো?
রোদ…
মুন: রাগ করছেন? আমি তো কোথাও যায়নি
রোদ: তোমাকে দেখতে না পেয়ে আমার কেমন হচ্ছিল তমী জানো?
মুন: সরি ( কান ধরে)
রোদ: হয়ছে
তোমাকে একটা কথা বলবো।
মুন: হা বলেন।
রোদ: ধরো আমি কিছু সময় এর জন্য হারিয়ে গেলাম সবাই আমাকে খুঁজছে কিন্ত পাচ্ছে না তখন তুমি কি করবা?
মুন কিছু না বলে রোদকে জড়িয়ে ধরে
মুন: আপনি এসব কথা কেনো বলছেন আপনি জানেন না আমি আপনাকে ছাড়া থাকতে পারিনা তাও কেনো এমন কথা বললে। প্লিজ এমন মজা করবেন না আমি আর কাউকে হারাতে চাইনা ( কেদে কেদে)
রোদ: কিন্ত এটা ছাড়া তো কোনো উপায় নেই আমাদের এক হাওয়ার জন্য আপনাকে একটু দূরে থাকতে হবে( মনে মনে)
আরে তুমি ওতো ভয় পাচ্ছো কেনো আমি তো এমনি বললাম আমি আমার মুনকে ছেড়ে থাকতে পারি কখনো না।
মুন…
রোদ: পাগলী চুপ ( মুনের মাথায় হাত বুলিয়ে)
মুন: আচ্ছা আমি যদি হারিয়ে যাই তো( রোদের বুক থেকে উঠে)
রোদ: চুপ একদম মেরে ফেলবি সেদিন কের মারের কথা ভুলে গেছো ( রাগী ভাবে)
মুন: আপনি বললে কিছু না আমি বললে দোষ
রোদ: হা দোষ ।
ওসব বাদ দাও আগে বলো কবে দিবা
মুন: কি( চোখের পানি মুছে)
রোদ: কি মানে আমার রাজকুমারী
মুন রোদের বুকে কিল মারতে লাগলো
রোদ: আরে মারছ কেনো বর কে এভাবে মারে
মুন: হা মারে আপনাকে আমি বুঝি না এই কাদান আবার এই ভালোবাসেন
রোদ: যেদিন আমাকে আমার মত ভালোবাসবে সেদিন আমাকে বুজবে।
মুন: হুম
রোদ: রাজকুমারী তো আনতেই হবে( চোখ টিপ দিয়ে)
মুন: কিসের মধ্যে কি
রোদ: মুনের মধ্যে শুধু তুমি।

এভাবে ওদের দিন চলতে লাগলো হাসি কান্না সব মিশে আছে ওদের ভালোবাসায়।

একদিন রাতে মুন রোদের বুকে ঘুমিয়ে আছে।
আর রোদ মুনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে
রোদ: জানিনা আমি না থাকলে তুমি কিভাবে থাকবা কিন্ত তোমাকে তো শক্ত থাকতেই হবে সামনে কি হবে আমরা কেউ জানিনা বিপদ তোমার হতে পরে বা আমার কিন্ত রোদ বেচে থাকতে মুনের কিছু হতে দেবে না। সব ঠিক করে দেবো কিছু সময় দাও শুধু একটু সময়(মনে মনে)
রোদ মুনের কপালে ভালোবাসার পরশ একে দিল।

একদিন মুন বেলকনিতে দাড়িয়ে আছে তখন রোদের বডিগার্ড এর কল এসে।
মুন call টা ধরে ওর দুনিয়া ঘুরে গেলো।
হাতের থেকে ফোন আপনা আপনি পরে গেলো।
মুনের চোখ আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে গেলো।

চলবে,

তোমার জন্য সাইকো পর্ব-১৭

0

তোমার জন্য সাইকো
লেখক: নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_১৭
সকালে
রোদের ঘুম ভেংগে যায় রোদ চোখ ডলতে ডলতে নিজের উপর তাকিয়ে দেখে মুন রোদের বুকের উপর চুপটি করে শুয়ে আছে।
রোদ মুনের দিকে ভালো করে তাকিয়ে দেখে মুনের গায়ে দাগ পরে গেছে রোদের খুব খারাপ লাগছে। রোদ মুনের কপালে চুমু খেয়ে আঘাতে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।
তখনই মুনের ঘুম ভেংগে যায় মুন তাকিয়ে দেখে রোদ ওর দিকে তাকিয়ে আছে।
মুন চোখ নামিয়ে উঠতে গেলে রোদ উঠতে দেয় না । মুনের মনে একটা চাপা অভিমান কাজ করছে । করাটাই স্বাভাবিক ।
রোদ: কি ব্যাপার উঠছো কেনো ?
মুন: বাসায় যেতে হবে তো ( অভিমানী কণ্ঠে)
রোদ বুঝলো যে মুনের মনে অনেক অভিমান জমে আছে ।
রোদ মুনকে আরো কাছে টেনে বললো
রোদ: কোথাও যাবে না চুপ করে শুয়ে থাকো। তোমার জন্য কাল ঘুমাতে পারিনি ভালো মত ঘুমিয়ে তারপর যাবো।
মুন: না আমি উঠব( নিজেকে ছাড়িয়ে)
রোদ: দেখো একদম রাগিয়ে দিবা না চুপ করে শুয়ে থাকো।
মুন কিছু বললো না
রোদ: মুন আমি তোমাকে কষ্ট দিতে চাইনা কিন্ত কি করব মাঝে মাঝে তুমি আমাকে যেভাবে রাগিয়ে দাও। খুব ভালোবাসি তোমায় কখনো ছেড়ে যেও না তাহলে মরে যাবো বিশ্বাস করো আর কখনো কষ্ট দিব না। তোমাকে ছাড়া যে আমার নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। খুব ভালোবাসি খুব ( করুন কণ্ঠে)
মুনের খুব খারাপ লাগলো । রোদকে এভাবে করুন কণ্ঠে কখনো কিছু বলতে শোনেনি।
মুন: আমার কি ওকে একটু বুঝা উচিৎ দোষ তো রোদের না যে কেউ ওই পিক দেখলে ভুল ভাববে আমাকে রোদকে সব বলতে হবে।( মনে মনে)
মুন: রোদ আমার আপনাকে অনেক কিছু বলার আছে।
রোদ: এখন কোনো কথা না চুপ করে শুয়ে থাকো তোমার ও শরীর খারাপ ( মুনের কপালে চুমু খেয়ে)
মুন: রোদ আমার কথাটা একটু শুনুন।
রোদ: উফফ বললাম না ঘুমাও চুপ।
মুন আর কিছু বলল না । কিছুক্ষণ পর রোদ ঘুমিয়ে পরলো।
কিন্ত মুনের চোখে ঘুম নেই মুন তো কালকের ঘটে যাওয়া সব কথা মনে পড়ছে।মুনের খুব খারাপ লাগছে শরীরে খুব ব্যাথা।

অনেকক্ষণ পর
মুন আর শুয়ে থাকতে না পেরে উঠতে গেল কিন্ত উঠবে কি করে রোদ যেভাবে ওকে ধরে আছে । মুন নিজের অজান্তেই রোদকে দেখে হেসে দিল। রোদ বাচ্চাদের মত শুয়ে আছে।
মুন: ঘুমের ঘোরে কি কিউট লাগে কিন্ত জেগে থাকলে পুরাই সাইকো।
মুন রোদের কপালে চুমু খেল ২গেলে চুমু খেয়ে উঠে পরলো।
মুনের উঠতে খুব কষ্ট হচ্ছে ধীরে ধীরে উঠে ওর আব্বু আম্মুর রুমে গেলো।
ওর আব্বু আম্মুর রুমে ওদের ৩জনের বড়ো ছবি।
মুন ছবিটা দেখে কাদতে লাগলো।
কিছু ক্ষণ কেদে ওর আম্মুর ক্যাবার্ড থেকে সারী বের করলো।
ওয়াশ্রুমে গিয়ে সারী পরে বেরিয়ে আসলো।
মুনের ওর আব্বু আম্মুর সব কথা বার বার মনে পড়ছে মুন নিজেকে ধরে রাখতে না পেরে কেদে দিলো। এই তো কিছু দিন আগের কথা ওরা ৩জন কত খুশি ছিল কিন্ত একটা ঝড় মুনকে একা করে দিল।
মুন কেদেই যাচ্ছে তখন হটাৎ কেউ মুনকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলো।
মুনের বুঝতে বাকি নেই এটা কে কারণ রোদের সব কিছু যে মুনের খুব চেনা এমন কি গায়ের গন্ধ ও।
মুন চোখ মুখ মুছে পিছনে তাকালো।
মুন: আপনি এখানে।
রোদ: হুম আমার বউটা একা একা করছিলো তাই আমি চলে আসলাম।( কোমর জড়িয়ে)
মুন কিছু বললো না
রোদ: আব্বু আম্মুর কথা খুব মনে পড়ছে( মুনের গালে হাত দিয়ে)
মুন নিজেকে ধরে রাখতে না পেরে রোদকে জড়িয়ে ধরে কেদে দিলো।
রোদ ও মুনকে জড়িয়ে ধরে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।
কিছুক্ষণ পর
রোদ মুনের মুখ তুলে
রোদ: দেখি আর কত কাদ্বে। কাদতে কাদতে মুখ লাল হয়ে গেছে আর কাদতে হবে না আমি তো এখন ও মারিনি।
মুন: রদদ্দ প্লিজ এমন ধরনের কথা বলবেন না।
রোদ: কেনো আমি মরলে তুমি খুশি হবা না কাল যে এত মারলাম
মুন: খুশি হব না মানে খুব খুশি হব এতো খুশি আগে কখনো হবো না ( অভিমানী কণ্ঠে)
রোদ: ওহ আচ্ছা তাহলে তো এখনি মরতে হবে আমার বউ এর খুশির জন্য
এবার মুন কেদে দিল।
রোদ: কি হলো কাদছো কেনো।
মুন: আপনি না খুব খারাপ
রোদ: আমি জানি আমি খুব খুব খুব খারাপ
মুন: প্লিজ আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবেন না আমি বাঁচতে পারব না( জড়িয়ে ধরে)
রোদ: তুমি ভাবলে কি করে আমি এতো সহজে মরবো আমি মরলে তোমাকে জ্বালাবে কে তোমাকে জ্বালানোর জন্য আমার সন্তান কে খুব তাড়াতাড়ি আনতে হবে তার পর ২জন মিলে তোমাকে জলবো( চোখ টিপ মেরে)
মুন লজ্জা পেয়ে কিছু বললো না ।
রোদ: চিন্তা করো না তোমার দলে ও কিছু দেবো
মুন এবার রোদের বুকে কিল মারতে লাগলো।
রোদ: কি হলো এভাবে কেউ স্বামী কে মারে পাপ লাগবে যে
মুন: আর কাল যে আপনি আমায় মারলেন তখন(মারতে মারতে)
রোদ: সরি বউ।
মুন: সরিতে কাজ হবে না
রোদ: তাহলে।
মুন: আমি যা বলব তাই করতে হবে।
রোদ: ওকে রাজি।
মুন: তো শুরু করুন।
রোদ: কি ( অবাগ হয়ে)

আধা ঘন্টা পর
রোদ: ও বউ প্লিজ এবারের মতো মাপ করে দাও আর কখনো ওমন করবো না সরি।
মুন: কোনো কথা হবে না
রোদ: আর যে পারছি না পা ব্যাথা করছে
মুন: আর আমার যে কত ব্যাথা লেগেছিল তার বেলায়।
রোদ: বউ গো মাপ করে দাও।( কান ধরে)
মুন: থামলে চলবে না এখন ও আধা ঘন্টা ( হেসে)

হ্যা মুন রোদকে কান ধরে উঠবস করাচ্ছে।
রোদ: খুব হাসি পাচ্ছে না আমর ও দিন আসবে।
মুন: আসুক না দিন কে ও রাত আসুক সমস্যা নেই।
তখনই ফোন বেজে উঠে।
রোদ: বউ ফোন বাজছে ধরবো কোনো ইম্পর্ট্যান্ট কাজ
মুন: হুম ধরেন আমি আপনার জন্য কফি আনছি।
রোদ: এই একদম না এই শরীর নিয়ে তুমি কোথাও যাবে না।
মুন: কিন্ত আপনি প্রতিদিন কফি খান।
রোদ: সমস্যা নেই আজ অন্য কিছু খাবো
বলে ফোন নিয়ে বাইরে গেলো।
আর মুন বসে বসে হাসছে।
মুন: খুব হয়ছে আজ সাইকোটাকে মজা বোঝাতে পারছি আমাকে কতো কষ্ট দিয়েছিল ।

এদিকে
রোদ: কি দেশের বাইরে গেছে মানে।
ওপাশ থেকে: হা স্যার দেশের বাইরে চলে গেছে আমাদের কিছু বুঝে উঠার আগেই।
রোদ: ওকে সমস্যা নেই আমি দেখছি ব্যাপারটা
ওপাশ থেকে: ওকে স্যার
( রোদ এতক্ষণ ওর বডিগার্ড এর সাথে কথা বলছিল)
কথা বলা শেষে রোদ মুনের কাছে গেলো।
গিয়ে দেখে মুন বারান্দায় দাড়িয়ে আছে।
রোদ মুনকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলো।
রোদ: কি এখানে দাড়িয়ে কিছু করছো বাড়ি যেতে হবে না
মুন: হুম চলেন ।
রোদ: যাবো তার আগে আমার মিষ্টি
মুন: এখানে মিষ্টি কই পাবো
রোদ কিছু না বলে ওর মিষ্টি নিয়ে নিল ।
রোদ: এটাই আমার মিষ্টি।
মুন: অসভ্য লোক( ঠোঁট মুছে)
রোদ: সব তোমার এবার কল।

রোদ আর মুন বেরিয়ে পড়লো।
গাড়িতে টক মিষ্টি দুষ্টুমি তো লেগেই আছে।

অনেক ক্ষণ পর ওরা বাড়ি পৌঁছে গেলো।
রাইমা: কিরে সেই কাল গেলি আর আজ খোজ পাওয়া গেলো ।
মুন: আসলে মামনি
রাইমা: থাক তোকে আর কিছু বলতে হবে না।
যা গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আয়।
মুন: ওকে মামনি
মুন আর রোদ গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিচে খেতে আসলো।
রোদ: উফফ আম্মু তাড়াতাড়ি দাও তো খুব খুদা লাগছে।
রাইমা: হে দিচ্ছি।
মুন: এমন ভাব করছে যেনো কত দিন খায়নি( মনে মনে)
মুন: মামনি পাপাই কই?
রাইমা: তোর পাপাই অফিসে
মুন: মামনি খাওয়ায় দাও।
রোদ: না আজ আম্মু আমাকে খায়িয়ে দেবে
মুন: আজব তো আপনি নিজে হাতে খান না
রোদ: আমি আমার আম্মুর হাতে খাবো তাতে তোমার কি?
মুন: আমার সব
রোদ: হিংসুটে একটা
মুন: আপনি হিংসুটে ( ভেংচি কেটে)
রোদ: বেয়াদোব মেয়ে স্বামীর সাথে ঠিক ভাবে কথা বলতে পারো না কি শিখেছ?
মুন: আপনি।
রাইমা: এই থাম তো তোরা বাচ্চাদের মত করে বিয়ে হয় ছে তোদের এখন ও আগের মত।
রোদ: তোমার মেয়েকে একটি শিখিয়ে দাও কিভাবে স্বামীর সেবা করতে হয়
মুন: হুই আয়ছে আমার সোয়ামি
রাইমা: ওই চুপ কর ২টা নাহলে কানের নিচে দেবো। খা তোরা আমি গেলাম (বলে চলে গেলো)
মুন:😒
রোদ: অভাবে তাকানোর কি আছে?
মুন: আপনার জন্য সব হয়ছে
রোদ: আমি কি করলাম তুমি তো বেশি বকো
মুন: কিইই
থাকেন আপনি।
বলে মুন চলে যেতে গেলে রোদ মুনের হাত টান নিয়ে নিজের কোলে বসায়।
রোদ: কোথায় যাচ্ছ খাবার না খেয়ে হুম
মুন: খাবো না আমি ( মুখ গুমরা করে)
রোদ: বোকো যাই করো নিজের যত্ন না নিলে কালকের মতো আবার মরবো।
মুন: আপনার একটু ও খারাপ লাগেনি অভাবে মারতে (ইনোসেন্ট ফেস করে)
রোদ: লেগেছিল তো খুব কষ্ট লেগেছিল কিন্ত রাগটা ওর বেশি ছিল।( কোমর জড়িয়ে)
মুন: হুই ( ঠোঁট উল্টিয়ে)
রোদ: আর মরবো না খেয়ে নাও
বলে খাবার মুখে দেয় মুন ও চুপচাপ খায় ।
মুনের খাওয়া শেষ।
মুন: এবার আমি আপনাকে খায়ইয়ে দি
রোদ: আমার সব কিছুর উপর শুধু তোমার অধিকার কোনো কিছুর জন্য অনুমতি নেওয়ার দরকার নেই।
মুন একটা মুচকি হাসি দিয়ে রোদকে খায়ীয় দেয়।
দুর থেকে ওদের ২জনকে দেখে রাইমা চৌধুরী খুব খুশি হয়।
রাইমা: আল্লাহ এদের এভাবে সব সময় হাসি খুশি রেখো কারোর নজর যেনো ওদের ভালোবাসার উপর না পরে।

খাওয়া শেষে মুন রোদ ঘরে যায়।
রোদ: মুন
মুন: জী
রোদ: আমাকে এখন যেতে হবে
মুন: এখনই
রোদ: হুম তাড়াতাড়ি চলে আসবো।
মুন: আচ্ছা
রোদ: নিজের খেয়াল রেখো।
মুন: হুম সাবধানে যাবেন।
রোদ মুনের কপালে ভালোবাসার পরশ দিয়ে চলে যায়।
মুন রাইমা চৌধুরীর সাথে কথা বলতে যায়।

রাতে রোদ বাড়ি আসে ।
রোদ: মুন মুন কই তুমি
মুন: এই তো
রোদ: কোথায় ছিলে।
মুন: বারান্দায়
রোদ: নাও এগুলো ধরো ( প্যাকেট হাতে দিয়ে)
মুন: কি আছে এর মধ্যে?
রোদ: খুলে দেখো।
মুন খুলে দেখে ওর মধ্যে অনেক ধরনের চকোলেট আছে।
মুন: আমার ফেভারিট
রোদ: হম খুশি তো
মুন: খুব খুব খুব।
মুন চকোলেট খেতে লাগলো।
রোদ ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে এসে দেখে মুন এখন ও বসে বসে বাচ্চাদের মত করে চকলেট খাচ্ছে।
রোদ: পাগলী একটা।
রোদ একটা হাসি দিয়ে মুনের কোলে গিয়ে শুয়ে পড়ে।

চলবে,

তোমার জন্য সাইকো পর্ব-১৬

0

তোমার জন্য সাইকো
লেখক: নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_১৬
মুন: মামনি
রাইমা চৌধুরী: কিরে এতো তাড়াতাড়ি উঠলি।
মুন: এমনি খুব ভেঙ্গে গেছে।মামনি রোদের জন্য কফি দাও
রাইমা: ওহ আচ্ছা আয়
মুন গিয়ে ওর মামনির কাজে হেল্প করতে লাগলো।
রোদের ঘুম ভেংগে গেল । রোদ চারিদিকে তাকিয়ে দেখে মুন নেই। হটাৎ ওর কালকের কথা মনে পরলে।
রোদ: উফফ এটা আমি কি করলাম মুনকে এত কষ্ট দেওয়ার উচিত হয়নি। ওর অনুমতি ছাড়া। না আমি তো ওর হাসব্যান্ড আমার অধিকার আছে।
কিন্ত উফ আর ভাবতে পারছি না মাথা টা ব্যাথা করছে।
রোদ উঠে ফ্রেশ হয়।
ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে এসে দেখে মুন কফি নিয়ে দাড়িয়ে আছে।
মুনকে আজ খুব সুন্দর লাগছে। একদম নিল পরীর মত।রোদ মুনকে আগে কখনো সারী পরতে দেখিনি। রোদ অপলক নয়ণে মুনের দিকে তাকিয়ে আছে।
হটাৎ রোদের মুনের গলার দাগের দিকে নজর যায়।
রোদ কিছু না বলে কফিটা নিয়ে বেলকলনিতে চলে যায়।
মুন ওখানে আর না দাড়িয়ে নিচে চলে আসে।

খাবার টেবিলে সবাই বসে আছে।
রাইমা: কিরে মুন রোদ কই?
মুন: মামনি আমি ডাকতে যাচ্ছি।
তখনই রোদ নিচে নামলো।
রোদ এসে বসে পরলো।
মুন দাড়িয়ে গেলো।
নিহাল: কিরে মা দারালি কেনো?
মুন: পাপাই তোমরা খাও আমার খিদে নেই আমি একটু পর খাবো।
রাইমা: খিদে নেই মনে ভার্সিটিতে যেতে হবে না।
মুন: না মানে আসলে।
( আমি যদি এখন বসি তো রোদ তো চলে যাবে)মনে মনে
রোদ বুঝতে পারছে মুন কেনো উঠে গেলো।
রোদ কিছু না বলে খেয়ে যাচ্ছে।
নিহাল: রোদ যা হয়ছে ভুলে যাও নতুন করে সব শরু করো মুনকে ভার্সিটিতে যেতে দাও।
রোদ কিছু না বলে খেয়ে যাচ্ছে।
নিহাল: আমি কি বলছি তুমি শুনছো।
রোদ: আমি বেরোলাম
বলে উঠে গেলো
নিহাল: রোদ মুনকে নিয়ে যাও।
মুন: পাপাই আমি একা যেতে পারবো।
নিহাল: না তুমি বাসার গাড়িতে যাবা।
মুন: পাপাই আমি ভাবছি কি আমি আমার বাড়ি যাবো ওখানে আমার স্কুটি আছে আব্বু কিনে দিয়েছিল ওটা নিয়ে আসবো আর বাড়িটা ও দেখা হয়ে যাবে।
রাইমা: কিন্ত ওতো দুর তুমি যাবে কি করে?
মুন: মামনি আমি গাড়িতে যাবো।
নিহাল: আচ্ছা যা ভালো বোঝ করো একটা নতুন কিনলে তো হয়
মুন: না পাপাই ওটাতে আমার আব্বু স্মৃতি আছে।
রাইমা: আচ্ছা তাহলে তুই খেয়ে বেরিয়ে পর
মুন: হুম মামনি ।

মুন খেয়ে বেরিয়ে পরলো।

রোদ অফিস বসে বসে ভাবছে মুনের সাথে যা করলো টা কি ঠিক হলো।
এসব ভাবছে তখনই রোদের বডিগার্ড এর ফোন আসলো।
রোদ ফোন ধরে
রোদ: হুম বল।
ওপাশ থেকে: …
রোদ: আচ্ছা ওর দিকে নজর রাখ আর কোথায় যায় সব আমায় জানাও
ওপাশ থেকে…
রোদ: হুম
বলে রোদ রেখে দিল।
রোদ অফিসার কাজ করতে লাগলো।

মুন যাচ্ছে তখনই ওর গাড়ির সামনে আর একটি গাড়ি এসে দাড়িয়ে পড়লো। ড্রাইভার গাড়ি ব্রেক করলো।
মুন: কি হলো?
ড্রাইভার: ম্যাডাম সামনে
মুন সামনে তাকিয়ে দেখে অন্য একটি গাড়ি দাড়িয়ে আছে।
সেই গাড়ি থেকে আরুশ বেরিয়ে আসলো।
মুন তো আরুশ কে দেখে অবাগ।
আরুশ গাড়ির কাছে এসে মুনকে বের করলো।
মুন: কি ব্যাপার আপনি জেল থেকে ছাড়া কিভাবে পেলেন ?
আরুশ: কেনো জান তুমি কি ভেবেছিলে আমি ওখানেই থাকবো। আমাকে আটকাতে কেউ পারবে না বুজলে।
মুন: ফালতু কথা বাদ দিয়ে আমাকে কেনো নামালেন সেটা বলেন( রেগে)
আরুশ: তোমাকে আমি ভালোবাসি কেনো বোঝ না
মুন: আমি অন্য কেউ কে ভালোবাসি আর আমার বিয়ে হয়ে গেছে তাই আমার আসা বাদ দিন আমার স্বামী জানলে আপনার যে কি করবে সেটা আপনি জানেন না।
আরুশ: কি করবে একটু বলো শুনি
এই বলে হুট করে মুনকে জড়িয়ে ধরলো।
মুন অনেক চেষ্টা করছে ছড়ানোর শেষে ছাড়িয়ে
ঠাসস করে একটা কর বসিয়ে দিল
মুন: পেয়েছেন আপনার উত্তর সেদিন কিছু বলতে পারিনি বলে ভাববেন না যে যা খুশি তাই করবেন আর আমি চুপ করে থাকবো নেক্সট টাইম আমার সামনে আসলে জানে মেরে দেবো।
বলে মুন গাড়িতে উঠলো।
মুন: ড্রাইভার গাড়ি চালান।

আরুশ: দেখি তুমি আমার থেকে কোথায় পালায় তোমাকে তো আমার আছে ধরা দিতেই হবে যেভাবেই হোক।বলে একটা বাকা হাসি দিল।

মুন ওর বাড়ি গিয়ে ওর আব্বু আম্মুর সব জিনিস গুলো দেখতে লাগলো।
মুন: আব্বু আম্মু দেখো তোমাদের মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে যার সাথে তোমরা চেয়েছিলে তার সাথে। আজ যদি তোমরা থাকতে তাহলে কত খুশি হতে।
মুন ওর আব্বু আম্মু কবরে গিয়ে কান্না করতে লাগলো।

অনেকক্ষণ সেখানে থেকে মুনের বাড়ি গিয়ে সব কিছু ঠিক করতে লাগলো।
তখনই রোদ আসলো।
মুন তো রোদকে দেখে খুশি মুন ভাবছে রোদ ওকে নিয়ে আসছে।
মুন: রো..
আর কিছু বলতে পারলো না রোদ এসে মুনের গালে ঠাস করে চর বসিয়ে দিল।
মুন গালে হাত দিয়ে রোদের দিকে তাকিয়ে আছে। রোদের চোখ অনেক লাল হয়ে আছে।
রোদ : ভেবেছিলাম কাল কের ঘটনার পর থেকে হয়টো আমাকে ছেড়ে যাওয়ার কথা মাথায় আনবি না কিন্ত আমি ভুল ছিলাম।
বলে বেল্ট খুলে মুনকে ইচ্ছা মত পিটাতে লাগলো ।
মুন ব্যাথায় কেদে দিচ্ছে বার বার ক্ষমা চাচ্ছে কিন্ত রোদের মনে আজ মুনের জন্য একটু ও দয়া নেই।
মুন ব্যাথা সহ্য করতে না পেরে সেন্সলেস হয়ে পরে।
টা ও রোদের পাষাণ মুন গোলে নি ইচ্ছা মত পিটিয়ে রোদ মুনের রক্তাক্ত শরীরের দিকে তাকিয়ে আছে।
রোদ চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। রোদ মুনকে এভাবে দেখতে পারছে না।
কিন্ত আজ ওর রাগ ও যে অতিরিক্ত হয়েছিল।

অতীত
রোদ যখন অফিসের কাজ করছিল তখন রোদের কাছে একটা মেসেজ আছে রোদ মেসেজটা ওপেন করে দেখে ওতে আরুশ আর মুনের পিক যেখানে আরুশ মুনকে জড়িয়ে ধরে আছে।
এটা দেখে রোদের মাথায় রক্ত উঠে যায়।
তখনই ওর কাছে ফোন আসে রোদ ফোনটা ধরে।
আরুশ: কিরে আমার দেওয়া গিফট পেয়েছিস এটা তোর বিয়ের গিফট।
রোদ: তোর সাহস কি করে হয় মুনকে টাচ করার।
আরুশ: হাসালী মুনকে আমি ছাড়া কে টাচ করবে তুই তো ওকে বিয়ে করে নিলি কিন্ত ও এখন ও আমায় ভালোবাসে। তাই তো বাড়িতে মিথ্যে বলে আমার সাথে দেখা করতে আসছে। উফফ যা ভালোবাসে আমায় কি বলবো
রোদ: তোকে তোর আমি
আরুশ: আমাকে কি হা জেলে দিবি কিন্ত কত দিনের জন্য সেই তো আমি মুনের কাছে আসবো।
রোদ কিছু না বলে ফোন কেটে ওর বডিগার্ড এর কাছে ফোন দিয়ে শুনে যে মুন আরুশ এর সাথে দেখা করেছিল কি না।
যখন জানতে পারে যে হা তখন রোদ মুনের কাছে যায়।
তারপর তো আপনরা জানেন।

বর্তমান
রোদ ডক্টর কে ডেকে মুনের চেকআপ করলো।
ডক্টর: একটা বাচ্চা মানুষকে কে এভাবে মারলো?
রোদ: আমার স্ত্রীর গায়ে আমি ছাড়া কে হাত দেবে
ডক্টর কিছু না বলে মুনকে একটা ইনজেকশন দিয়ে কিছু ওষুধ দিয়ে চলে গেলেন ।
রোদ মুনের কপালে চুমু খেয়ে মুনের হাত ধরে বসে আছে।
রোদ: আমি এটা করতে চাইনি যানো সত্যি আমি তোমার গায়ে হাত দিতে চাইনি কিন্ত তুমি আমার রাগ উঠিয়ে দিয়েছ। কেনো তুমি আরুশ এর সাথে দেখা করলে কেনো আমি কি তোমাকে ভালোবাসি না বলো ।
পাশে থাকা কাচের টেবিলে বারি দিয়ে।
রোদের হাত দিয়ে রক্ত পড়ছে কিন্ত রোদের সেদিকে খেয়াল নেই রোদ তো ঐ ছবি গুলোর কথা মনে করে ওর রাগ আরও বেড়ে যাচ্ছে।
রোদের চোখ দিয়ে কয়েক ফুটা পানি গড়িয়ে পরলো।

রাত ২ টাই মুনের সেন্স ফিরলো।
মুন তাকিয়ে দেখে রোদ নিচে পরে আছে আর ওর হাতে রক্ত শুকিয়ে গেছে।
মুন অস্তে আসতে উঠে রোদ পাসে গিয়ে বসলো তারপর টেবিল থেকে ফাস্টাসেবক্স নিয়ে রোদের হাতের রক্ত মুছে দিয়ে ওষুধ লাগিয়ে দিল।
রোদ তাকিয়ে দেখে মুন ওর হাতে ওষুধ লাগিয়ে দিচ্ছে।
রোদ উঠে বসতে ।মুন ভয়ে পিছিয়ে গেলো।রোদ মুনের কাছে যেতে গেলে
মুন: রোদ প্লিজ আমাকে আর মেরো না আমি আর পারছি না ( কেদে কেদে)
রোদ মুনকে কাছে টেনে মুনকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।
মুন ভয়ে কিছু বলতে পারছে না।
রোদ: কেনো আমাকে এত কষ্ট দাও বলো তো কেনো ।তুমি যদি আরুশ এর সাথে দেখা করতে না যেতে তাহলে তো আমি এমন কিছু করতাম না কেনো দেখা করতে গেলে কেনো?
মুন বুঝলো যে রোদকে ভুল বুঝানো হয়েছে।
মুন রোদ বুক থেকে উঠে কিছু বলতে যাবে তার আগে আবার রোদের বুকে শুয়ে পড়ল শরীর দূর্বল থাকার কারণে ।
রোদ বুজলো যে মুনের শরীর খুব দূর্বল তাই রোদ মুনকে কোলে নিয়ে বিছানায় বসালো।
কপালে একটা চুমু দিয়ে খাবার আনতে গেলে
মুন রোদের হাত ধরে।
মুন: রোদ আমার অনেক কিছু বলার আছে।
রোদ কিছু না বলে হাত ছাড়িয়ে মুনের জন্য খারাপ আনতে যায়।তখনই রোদের ফোন কল আসে।রোদের ব ফোন দেছে রোদ ধরে
ওপাশ থেকে…
রোদ: what
ওপাশ থেকে…জী স্যার
রোদ: তুমি sure তো
ওপাশ থেকে…
রোদ : ওকে খুঁজে বের করো।
রোদ ফোন রেখে নিজেকে নিজের মারতে ইচ্ছা করছে।
রোদ: আমি এতো বড়ো ভুল করলাম কি করে একটা বার ও মুনের কথা ভাবলাম না। আমার বেচে থাকার কোনো অধিকার নেই
এটা আমি কি করে করলাম ছি আমি না জেনে শুনে মুনের গায়ে হাত তুললাম।
আমায় মুনের কাছে যেতে হবে ।
রোদ ঘরের দিকে যায় গিয়ে দেখে মুন ওভাবেই বসে আছে রোদ গিয়ে মুনের পাসে বসে মুন কে খাওয়াতে লাগলো আর মুন ও বাধ্য মেয়ের মত খেয়ে নিল।
খাওয়া শেষে রোদ মুনকে ওষুধ খাইয়ে দিল।
মুন: রোদ আমার কিছু বলার আছে( ভয়ে ভয়ে)
রোদ: আমি জানি তুমি কি বলবে কিন্ত এখন ওসব কথা না তোমার শরীর খুব খারাপ তার জন্য আমি দায়ী( মনে মনে)
মুন: রোদ
রোদ: হুশ কোনো কথা না লক্ষ্মী মেয়ের মতো শুয়ে পরো।
মুনকে আর কিছু বলতে না দিয়ে মুনকে বুজে জড়িয়ে শুয়ে পরলো যেনো মুনকে ছেড়ে দিলে মুন কোথায় চলে যাবে।
আজ যে রোদের আনন্দের দিন কত দিন পর নিজের ভালোবাসার মানুষকে বুকে নিতে পারছে।
রোদ: অনেক কষ্ট দিয়েছি তোমাকে আর না আর কখনো কষ্ট দেব না নিজের কাছে আগলে রাখবো আজকের জন্য সরি জানি সরি বললে ও ক্ষমা পাবো না কিন্ত খুব ভালোবাসি তোমায় । যার জন্য তোমাকে আঘাত করেছি তাকে ছাড়বো না( মনে মনে)
মুন: রোদকে সব বলতে হবে সব কিছু নাহলে আরো ভুল বুঝাবুঝি হবে ( মনে মনে)
মুন রোদের বুকে চুপটি করে শুয়ে আছে আর রোদ মুনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।

২জন এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পরলো

চলবে