তোমার জন্য সাইকো পর্ব-২১

0
2182

তোমার জন্য সাইকো
লেখক: নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_২১

মুন লোকটাকে দেখে মুনের মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেলো
মুন: রো…. দ দ দ দ কাপা গলায়)

ইয়াশ ওর চশমা টা খুলে মুনের দিকে তাকালো।
বিপ্লব: মামনি ও ইয়াশ আমার ছেলে।
মুন কারোর কথা না শুনে লোকটার কাছে ছুটে যায়।
মুন: আমি জানি এই আমার রোদ আমি জানি আপনার কিছু হতে পারে না আপনি আমার রোদ কেনো এতো দিন দূরে ছিলেন বলুন কেনো( কান্না করতে করতে।
লোকটা মুনকে নিজের থেকে ছড়িয়ে বলে
ইয়াশ: are u drunk?
আমি ইয়াশ আহমেদ ।কোনো রোদ ফোদ না।
মুন: কি হয়ছে আপনার আপনি কেনো এমন করছেন আমি কি দোষ করছি বলুন না কি করছি?
ইয়াশ: পাপা এই পাগলটা কে কেনো এমন করছে?
বিপ্লব: ইয়াশ ওভাবে বলতে নেই ও মুন তোমার নিহাল আংকেল এর ছেলের বউ। মুনের হাসব্যান্ড আর তুমি একি রকম দেখতে তাই।
মুন: একি দেখতে মানে এই আমার রোদ আমি জানি।
কি হলো আপনি এমন করছেন কেনো আমাকে শাস্তি দিতে চান ওকে দেন কিন্ত এভাবে আমার থেকে দূরে না( রোদের হাত ধরে)
ইয়াশ : ওহ প্লিজ আমি রোদ না ইয়াশ। পাপাই ওকে একটা ভালো ডক্টর দেখাও ।
বলে ইয়াশ চলে গেলো।
মুন ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো।

রাইমা: মুন ও আমাদের ছেলে না ।
মুন: না মামনি ও আমার রোদ। আমি রোদকে চিনি।
নিহাল: না মামনি

তখনই ওখানে একটা মডার্ন মেয়ে আসে।
শর্ট ড্রেস পরা। শরীর তো সব দেখায় যাচ্ছে যাই হোক।
এসে ইয়াশ ইয়াশ বলে ডাকতে লাগলো।
বিপ্লব: আরে পিয়ালী তুমি এখন
মেয়ে টার নাম পিয়ালী।
পিয়ালী: হা আংকেল ইয়াশ এর সাথে দেখা করতে কত বছর পর আসলো।
এখন আমি ওর সাথে ওর বাড়ি থাকবো।

ইয়াশ পিয়ালির ডাক শুনে নিচে আসে।
পিয়ালী তো ইয়াশ কে গিয়ে জড়িয়ে ধরে।
সাথে ইয়াশ ও কিন্ত মুন এটা সহ্য করতে পারেনি। মুন কিছু বলতে যাবে তার আগে।
পিয়ালী: ওহ babe তোমাকে কতো বছর পর দেখছি বাই দে বাই তুমি কিন্ত আগের থেকে হ্যান্ডসাম হয়ছো।
ইয়াশ: তুমি ও আগের থেকে অনেক হট হয়েছো( চোখ মেরে)

বিপ্লব: পিয়ালী এনি হলে আমার বন্ধু ওর উনার পরিবার।
পিয়ালী: হেলো
বিপ্লব: আর পিয়ালী আমার ছেলের ভালবাসা মানে এই বাড়ির হবু বউ।
মুন এই কথাটা শুনে ওর পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যায় ।
মুন ওখানে আর এক মুহুর্ত না দাড়িয়ে নিজের রুমে চলে যায়।

পিয়ালী: এর আবার কি হলো
ইয়াশ : বাদ দাও তো তোমার কি খবর বলো।
পিয়ালী: সব কি এখানেই বলবো।( চোখ মেরে)
বিপ্লব: আচ্ছা তোমরা উপরে যাও।
ইয়াশ তুমি পিয়ালির রুমটা দেখিয়ে দাও।
ইয়াশ: হাম
পিয়ালী: ওকে everyone বাই

ইয়াশ: যাওয়া যাক
পিয়ালী: ইয়া বাবি( ইয়াশ এর হাত ধরে)

ইয়াশ আর পিয়ালী উপরে চলে গেলো।

এদিকে মুন বসে বসে কান্না করছে।
ওর যে আজ খুব কষ্ট হচ্ছে।

মুন : উনি আমার সাথে এমন কেনো করলো।
কি দোষ করেছি আমি কেনো কেনো এমন করলো( কাদতে কাদতে)
না আমাকে উনার সাথে কথা বলতে হবে হয়তো কোনো কারণে এমন করছে আমি জানি উনি আমাকে খুব ভালোবাসেন।
মুন উঠে ইয়াশ এর রুমের দিকে যায়।

মুন: এর মধ্যে কোনটা হতে পারে ?
এটার লাইট জ্বলছে মানে এটাই।

মুন ইয়াশ এর দরজা খুলার সাথে সাথে ও বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে।
ইয়াশ আর পিয়ালী একে উপরকে জড়িয়ে ধরে আছে।
মুন নিজেকে সামনে ভিতরে
গিয়ে সোজা পিয়ালির হাত ধরে টেনে
ঠাস স স ঠাস স স করে ২টা থাপ্পড় মারলো।

হটাৎ কেউ এভাবে টেনে নেওয়াতে পিয়ালী নিজের ব্যালান্স হারিয়ে ফেলে তারপর আবার চর মারাতে পিয়ালী নিচে পড়ে যায়।

মুন: তোর সাহস কি করে হয় আমার জামাই কে জড়িয়ে ধরার ছেলে দেখলে নিজে কে ঠিক রাখতে পারিস না তাই তো আমার জামাই এর থেকে দূরে থাক না হলে।
পিয়ালী নিজেকে ঠিক করে উঠে মুনের গালে ও একটা চর দেয।মুন পরে যেতে নিলে ইয়াশ ওকে ধরে ফেলে।
মুন ইয়াশ এর বুক থেকে উঠে ইয়াশ এর দিকে করুন চোখে তাকিয়ে আছে।
যেনো এই চোখ অনেক কিছু বলতে চায়
যেনো এই চোখে অনেক দিনের অভিযোগ আছে যা বলে বুঝানো যাবে না



চোখ যে মনের কথা বলে
চোখে চোখ রাখা শুধু নয়
চোখের সে ভাষা পড়তে গেলে
চোখের মতো চোখ থাকা চাই

পিয়ালী মুনকে টান দিয়ে ইয়াশ এর বুক থেকে নিয়ে এসে বলে
পিয়ালী: তোর সাহস কি করে হয় আমার ঘরে আমার ভালোবাসার মানুষকে নিজের জামাই বলতে । তুই আমার গায়ে হাত দিয়েছিস তোর এত বরো সাহস তোকে তো
ইয়াশ: ক্লাম ডাউন ওর হাসব্যান্ড মারা গেছে তাই ও ওমন করছে।
পিয়ালী: কিন্ত ও আমাকে
ইয়াশ: তুমি ও তো ওকে মেরেছ বাদ দাও।
মাথায় প্রবলেম আছে ।
মুন: রোদ আপনি এসব কী বলছেন।
ইয়াশ: just shut up তোমার সাহস কি করে হয় পিয়ালির গায়ে হাত দেওয়ার বাড়ির মেহমান মেহমানের মতো থাকো নাহলে ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেবো।
Now get out
মুন: রোদ( ছল ছল চোখে)
ইয়াশ: out( চিৎকার করে)
মুন ওখানে না দাড়িয়ে সোজা নিজের রুমে চলে আসলো।

পিয়ালী: তুমি ওর থেকে দূরে থাকবে কিভাবে আমাদের রোমান্টিক মুহুর্ত টা নষ্ট করে দিল।
ইয়াশ: ইয়াপ এখন তুমি তোমার ঘরে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নাও।
পিয়ালী চলে গেলো।

মুন নিজের ঘরে বসে বসে কাদছে
মুন: কেনো রোদ কেনো এভাবে আমাকে কষ্ট দিচ্ছেন কেনো কি করেছি আমি।
তখনই আরুশ এর ফোন আসলো।
মুন ফোনের দিকে তাকিয়ে বিরক্তি ভাব নিয়ে ফোন টা বন্ধ করে দেয়।

আরুশ : কি হলো ফোন বন্ধ করলো কেনো?
ফোনে বন্ধ করে কি আমার থেকে মুক্তি পাবে তোমাকে তো আমার কাছে ধরা দিতেই হবে।
একটা ডেভিল স্মাইল দিয়ে।

মুন বসে বসে রোদের সাথে কাটানো দিন গুলো ভাবছে। তখনই রাইমা চৌধুরি আসলেন।
রাইমা: কি রে এখানে বসে বসে কি করছিস?
মুন: কিছু না মামনি
রাইমা: তাহলে খেতে চল
মুন: মামনি আমার ভালো লাগছে না
রাইমা: চুপ কর কিছু না খেলে চলবে।
মুন একটা কথা বলি অনেক সময় চোখে যা দেখি টা কখনো সত্যি হয়না চোখের দেখা ও ভুল হয়। মানুষ যা করে তার পিছনে কোনো কারণে থাকে।
মুন মামনির কথা ভাবতে থাকে।
রাইমা: হয়ছে আর ভাবতে হবে না চল খেতে চল। কোনো কথা শুনছি না ।
রাইমা মুনকে জোর করে নীচে নিয়ে গেলেন।

মুন নিচে গিয়ে তো ওর চোখ কপালে ।
মুন : এই পেত্নী টা আমার রোদকে খায়িয়ে কেনো দিচ্ছে আর রোদ ও ওকে খাইয়ে দিচ্ছে ( মনে মনে)

মুন আর রাইমা গিয়ে ওদের সামনে বসলো।

সবাই খাওয়া শরু করলো।

ইয়াশ আর পিয়ালির ড্রামা দেখে মুনের তো মনে চাচ্ছে গরম তেলে ভাজতে।

মুন: এই এয়ালী না হেয়ালি আমার রোদের সাথে কেমন চিপকে আছে মনে চাচ্ছে চুল ধরে টেনে বাড়ি থেকে বের করে দি আর আমার জামাই টা ও কেমন করছে উফফ আর সহ্য হচ্ছে না।
( রাগে কট মট করতে করতে মনে মনে বললো)

(সত্যি বলতে ভালোবাসার মানুষকে অন্য কারোর সাথে দেখা খুবই কষ্টের কিন্ত এটা ও বুঝতে হবে যে মানুষ নিজে থেকে অন্যের কাছে যায় কোনো কারণ ছাড়াই তার মানে সে কখনো নিজের ছিল না)



খাওয়া শেষে সবাই যার যার রুমে গেলো।

মুন একটু পর ইয়াশ এর রুমে গিয়ে ইয়াশ এর মুখ চেপে ধরে।
মুন: ওই আপনার কি হয়ছে কেনো এমন করছেন আর এতো দিন কই ছিলেন হা?
ইয়াশ: উম উম
মুন: কি হলো উম উম করছেন কেনো?
ইয়াশ মুনকে চোখ দিয়ে বুজিয়ে দিলো যে ওর মুখ থেকে হাত সরিয়ে নিতে।
মুন: উফফ সরি সরি আপনি ঠিক আছে। তো আমি বুঝতে পারিনি ( মুখ থেকে হাত সরিয়ে)
ইয়াশ কিছু না বলে মুনের গালে চর বসিয়ে দেয়।
মুন ছল ছল চোখে ইয়াশ এর দিকে গালে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে।

ইয়াশ : তোমার সাহস কি করে হয় আমার ঘরে আসার কিছু বলছি না মানে যা খুশি করবা বিকালে আমার জানের গায়ে হাত দিলে এখন আবার আমার ঘরে এসছো। তোমাদের মত মেয়েদের ভালো করে জানা আছে।
আমার মনে হয় কি যানো তোমার স্বামী মরে যাইনি তোমার এই এসব জেনে সুইসাইড করেছে।
মুন: রোদ
ইয়াশ: চুপ একটা কথা না যাও আমার ঘর থেকে বেরিয়ে যাও যাও( চিৎকার করে)

মুন ওখানে না দাড়িয়ে চলে আসলো।
রুমে এসে স্যাওয়ার অন করে ভিজছে আর কাদছে।

।মুন: কেনো রোদ কেনো না না আপনি আপনার রোদ হতে পারেন না আমার রোদ আমাকে কখনো এভাবে কষ্ট দিতে পারে না আপনি আমার রোদ না
রোদ দ দ দ দ দ (কাদতে কাদতে)

অনেকক্ষণ ভিজার ফলে মুন সেন্স হারায়।



মাঝ রাতে মুনের মনে হচ্ছে কেউ ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে ।
মুন পিট পিট করে তাকিয়ে দেখে রোদ।

মুন: রোদ আপনি আসছেন জানেন আমার না খুব কষ্ট হচ্ছিল এই জায়গাটা ফাঁকা ফাঁক লাগছিলো ( বুকে হাত দিয়ে)
আপনি আর আমাকে ছেড়ে কখনো যাবেন না কথা দিন কথা দিন( কাদতে কাদতে)
রোদ: না আমি আমার নিশ্বাস ছাড়া কি করে থাকবো কোথাও যাবো না তোমাকে ছাড়া কোথাও না এবার তুমি একটু ঘুমাও।
মুন: না আমি ঘুমাবো না ঘুমালে আপনি আবার চলে যাবেন । আপনি চলে গেলে আমি মরে যাবো ( কাদতে কাদতে)
রোদ: হুশ খুব সাহস বেড়েছে তোমার তাইনা আমার সামনে এই সব কথা বলতে বারন করেছিলাম না
মুন: বলবো আমি যত ভুল করবো আপনি তত আমার কাছে আসবেন আমাকে শাস্তি দিতে। আপনি আমাকে বকুন মারুন তবু ও আমাকে ছেড়ে যেয়েন না প্লিজ
রোদ: আমি কোথাও যাবো না তোমাকে ছেড়ে কোথাও না।
মুন: সত্যি তো
রোদ: হুম সত্যি ( মুনের কপালে ভালোবাসার পরশ দিয়ে)
এবার একটু ঘুমান।
মুন: উহু
রোদ: what উহু?
মুন: আমি আপনার বুকে ঘুমাবো ।
রোদ মুনের পাসে শুয়ে মুনকে বুকে জড়িয়ে নিলো।
কত দিন পর মুন রোদের বুকে ঘুমাতে পারছে এটা যেনো এক অন্য রকম অনুভুতি
( আমার এমন কিছু হয়নী তাই বেশি বলতে পারলাম না)
মুন: রোদ
রোদ: কোনো কথা না ঘুমাও শাওয়ার এ ভিজতে কে বলছিল এখন জোর বাঁধালে তো । এবার থেকে আমার কথা না শুনলে একবার যেমন মেরেছিলাম তেমন মরবো বুঝছো।
মুন: হি হি হি
রোদ: হাসি কেনো?
মুন: আপনার কথা শুনে আপনি আমাকে মারতে পারবেন না আমি জানি আপনি আমাকে খুব ভালোবাসে। খুব
রোদ: তাই না।
মুন: হুম।
রোদ: এবার ঘুমাও না হলে কিন্ত মরবো
মুন: ওকে ।
মুন রোদকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পরলো আর রোদ মুনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো।



সকালে
মুনের ঘুম ভেংগে গেলে মুন ওর পাসে তাকিয়ে দেখে রোদ নেই রাইমা চৌধুরী আদসয়া হয়ে মুনের পাশে শুয়ে আছে।
মুন আশে পাশে রোদকে খুঁজতে লাগলো।

মুনের নরতে দেখে রাইমা চৌধুরী উঠে বললো।
রাইমা: কিরে মুন কাকে খুঁজছিস?
মুন: মামনি রোদ কোথায়?
রাইমা: কি যা টা বলছিস রোদ কোথা থেকে আসবে?
মুন: কাল তো আমার সাথে ছিল
রাইমা: কাল রাতে আমি তোর সাথে ছিলাম।
ভিজে তো সেন্স হারিয়ে ফেলেছিলি আমি তোকে নিয়ে এসে বিছানায় শুয়ে দি তোর মাথায় জলপট্টি দি।
মুন: কিন্ত মামনি রোদ ছিল
রাইমা:: তুই কোনো সপ্ন দেখছিস রোদ কোথায় থাকবে ও তো
মুন: না মামনি রোদ আছে ও আমাকে ছেড়ে যেতে পারে না
রাইমা: মুন চুপ কর তোর শরীর ভালো না চুপ করে শুয়ে থাক আমি খাবার দিয়ে যাচ্ছি।
বলে রাইমা চলে গেলেন।

আর মুন বসে বসে ভাবতে লাগল।

মুন: রোদ ছিল আমি জানি কাল রাতে রোদ ছিল আমি সপ্ন দেখছি না।উফফ মাথাতে খুব ব্যাথা করছে( মাথায় হাত দিয়ে)

মুন উঠে ফ্রেশ হয়ে রেডী হয়ে নিচে গেলো।



মুন নিচে গিয়ে দেখে সবাই বসে আছে পিয়ালী আর ইয়াশ ও কালকের মতো বসে নাস্তা খাচ্ছে।
মুন ওদের দেখে ও না দেখার ভান করলো।

রাইমা: কি রে তোকে না বললাম নিচে না আসতে আমি খাবার পাঠিয়ে দিবো ।
মুন: ভালো লাগছিলো না তাই। পাপাই তোমার গাড়ির চাবি দাও তো।
নিহাল: মামনি তোমার তো শরীর ভালো না তুমি বরং শুয়ে থাকো গাড়ির চাবি নিয়ে কি করবা?
মুন: পাপাই আমি ঠিক আছি একটু বাইরে যাবো বান্ধবীদের কাছে ওদের সামনে আসতে বলেছি।
নিহাল: কিন্ত
মুন: পাপাই প্লিজ
নিহাল: ওকে
রাইমা: তুই কোথাও যাবি না।
মুন: মামনি তুমি কি চাও আমি মরে যাই এখানে থাকলে এমনি মরে যাবো তার থেকে বান্ধবীদের আছে গিয়ে সুস্থ হয়ে আসি।
রাইমা চৌধুরী আর কিছু বললেন না উনি বুঝতে পারছেন মুন কি বলতে চায়।

মুন চাবি নিয়ে বেরিয়ে পড়লো।

লামিয়া রুমা এদের কে একটা পার্কে আসতে বলছে।
মুন গিয়ে ওখানেই দাড়ালো।

কিছুক্ষণ পর ওরা ও চলে আসলো।
লামিয়া: হাই what’s up ?
মুন: সেই ( তাসিলের হাসি দিয়ে)
রুমা: তোর না জোর আসছে তো আমাদের এখানে কেনো ডাকলি।
মুন: বলছি
তারপর মুন ওদের সব বললো।

লামিয়া: কি বলছিস এতো রূপকথার মতো মনে হচ্ছে।
মুন: রূপকথা না আমার লাইফ।
রুমা: সে সব বুজলাম এক কাজ কর তুই লোকটাকে বাজিয়ে দেখ। মানে রোদ যা সহ্য করতে পারতো না যেভাবে তোকে দেখতে ভালোবাসতো তুই তার উল্টা কর যাতে রোদের রাগ হয় আর ও সব বলে দেয়
মুন: ঠিক বলছিস আমি ও তাই করবো ভাবছি।
দেখা যাক কি হয়।
লামিয়া: এটাই বেষ্ট হবে।
তো কাজে লেগে পর।
মুন: তাতে কিন্ত তোদের হেল্প লাগবে।
লামিয়া+রুমা: আবার জিগায়।

৩বান্ধবী হাসতে লাগলো।

অনেকক্ষণ আড্ডা দেওয়ার পর মুন গাড়ি নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দেয়।

রাস্তায় যেতে যেতে হটাৎ মুনের পাশে নজর যায় মুন গাড়ি থামিয়ে মনোযোগ দিয়ে দেখতে থাকে।

চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে