Monday, August 4, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 1964



শুনেন আক্কাস ভাই- মাইসারা মেঘ

0

#গল্পপোকা_চিঠি_প্রতিযোগিতা_২০২০
চিঠি নং-৬

শুনেন আক্কাস ভাই,
ভালোবাসা বলে কয়ে হয় না সেটা আপনার মাথায় ঢুকানো দরকার,প্রত্যেক ক্রিয়ার-ই একটি বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে।অর্থাৎ আপনি আমাকে ভালোবাসেন বলেই আমি আপনাকে ভালোবাসি না,কিছু করার নেই এটাই সত্য।অযথা আমার পেছনে ঘুরে মাথার বাকি চুল গুলি পাকাবেন না,সঠিক বয়সে বিয়ে করলে আজ হয়তো আমার বয়সী আপনার তিনটা বাচ্চা থাকতো।আর শুনেন,
আমার বিয়ের কথাবার্তা চলছে,পোলা বিরাট বাহাদুর।ইয়ো ইয়ো কুদ্দুস কিং,যদিও সবাই তাঁকে ইয়ো ইয়ো কিং বলে ডাকে।ভাবতে পারেন কোন লেভেলের কিউট নাম তাঁর!শুধু তা নয়,এক চড়ে সাতটি মশা আটটি মাছি এবং তেরোটি তেলাপোকা মারার রেকর্ড আছে তাঁর।
আমাকে কোনোদিন মশার কামড়ের কষ্ট সহ্য করতে দেবে না,মাছির ঘ্যানঘ্যান তো অবশ্যই না।
আর তেলাপোকার ভয় তো পেতেই হবে না।আমি এমন বীর বাহাদুর পাত্র ছেড়ে আপনার মত আংকেল মার্কা ভাইকে কিছুতেই বিয়ে করতে পারবো না।
ছোট বোন ভেবে আমাকে ভুলে যান আক্কাস ভাই।তাছাড়া মর্জিনার মা আপনাকে ভীষণ ভালোবাসে,রোজ আপনাকে ভেবে বিরহের গান গায়,আপনি মর্জিনার মায়েরে নিয়ে সুখি হোন,ওই মহিলারে কষ্ট দিয়েন না।ভালো থাকেন আক্কাস ভাই।

ইতি
পাশের বাসার কইতরি।

নিশ্চুপ রাগিনি – আবু ইউসুফ

0

#গল্পপোকা_চিঠি_প্রতিযোগিতা_2020
চিঠি নং 2
নিশ্চুপ রাগিনি,
শৈশব কেটে গেছে অনেক দিন,সেই সাথে হাসির মাঠ আর খেলা-ঘরটাও তাড়িয়ে দিয়েছে। সাগরে উত্তাল তড়ঙ্গ যেমন তীরকে ভালোবেসে কাছে থাকতে চায়,অধিকার খাটিয়ে বারবার আছরে পরে তার বুকে। আমি তা করতে পারিনা। সময়ের মাত্রার উপর আমার কোন প্রভাব নেই। শত ইচ্ছার পরও আমাকে দারিয়ে থাকতে হয় সময়ের অভবাহিকায় শরীর ভাসিয়ে। বসন্তের সুভাস হয়ে আমি বাতাসে মিশতে পারি না।তবে তুমি যেন আগের সেই ছুট্টটিই রয়ে গেলে। সেই দূরন্তশৈশব কেটে গেছে অনেক দিন,সেই সাথে হাসির মাঠ আর খেলা-ঘরটাও তাড়িয়ে দিয়েছে। সাগরে উত্তাল তড়ঙ্গ যেমন তীরকে ভালোবেসে কাছে থাকতে চায়,অধিকার খাটিয়ে বারবার আছরে পরে তার বুকে। আমি তা করতে পারিনা। সময়ের মাত্রার উপর আমার কোন প্রভাব নেই। শত ইচ্ছার পরও আমাকে দারিয়ে থাকতে হয় সময়ের অভবাহিকায় শরীর ভাসিয়ে। বসন্তের সুভাস হয়ে আমি বাতাসে মিশতে পারি না।তবে তুমি যেন আগের সেই ছুট্টটিই রয়ে গেলে। সেই দূরন্তপনা,
সেই খুনশুটি,সন্ধারাতে মায়ের আচলে লেকাবার সেই একই ভীমরতি। আমার দৈহিক গতিময়তার সাথে তোমার চপলতার কী নিদারুন ফারাগ। আমাকে অভাক হতে হয়। ভিখারিনি তোমার চাহনিতে কি অমায়িক সৌন্দর্য। তোমার চলনে সে কি রুপমতা! তোমার সৌন্দর্যের গভিরতা ভেদ করা আমার পক্ষে দুস্মাদ্ধ। আমি শুধু তোমার ধারক। এই ক্ষুদ্র দেহ-প্রানের বাহক তো তুমি। তোমার অনবদ্ধতায় আমি সার্থকসেই খুনশুটি,সন্ধারাতে মায়ের আচলে লেকাবার সেই একই ভীমরতি। আমার দৈহিক গতিময়তার সাথে তোমার চপলতার কী নিদারুন ফারাগ। আমাকে অভাক হতে হয়। ভিখারিনি তোমার চাহনিতে কি অমায়িক সৌন্দর্য। তোমার চলনে সে কি রুপমতা! তোমার সৌন্দর্যের গভিরতা ভেদ করা আমার পক্ষে দুস্মাদ্ধ। আমি শুধু তোমার ধারক। এই ক্ষুদ্র দেহ-প্রানের বাহক তো তুমি। তোমার অনবদ্ধতায় আমি সার্থক।
ইতি
“কবি”

প্রিয় তাঁরারা – Nazratun Nurani

0

#গল্পপোকা_চিঠি_প্রতিযোগিতা ২০২০
চিঠি নংঃ-১
প্রিয় তাঁরারা
কেমন আছিস। জানি কথাটা অনেক হাস্যকর।কেননা তোরা তো কথা বলতে জানিস না। যদি জানতি তাহলে আমার প্রশ্নের উওর আজও কেন দিস না।তোরা তো রাতের আকাশের বুকে
জ্জ্বল জ্জ্বল করে জ্বলে ওঠা আলো।তোদের ওই আলোটা মনে হয় পৃথিবীর বুকে আসেনা। যদি আসত তাহলে আমার চোখের জলটা তোরা কেন দেখিস না। জানিস তাঁরা অনেক গল্পের বইয়েতে পড়েছি, ছবিতে দেখেছি মানুষ মারা গেলে নাকি আকাশের তাঁরা হয়ে যায় । কথাটা আমার কোনো কালে বিশ্বাস হয়নি। জানিস তাঁরা তোদেরকে কখনো তেমন একটা ভালো করে দেখিনি ,দেখা হয়নি রাতের অন্ধকারে মিট মিট করে জ্বলে ওঠা আলো। কেন দেখা হয়নি জানিস , অন্ধকারে যে বড্ড ভয় আমার। কিন্তু যেদিন বাবা আমাদের এই পৃথিবীতে একা করে দিয়ে চলে গেল ,কেন জানিনা গল্পের তাঁরা গুলোর কথা মনে পড়লো হয়ত বাবা তাঁরা হয়ে আমার সাথে কথা বলবে। কিন্তু এতো তাঁরার মাঝে বাবা কোনটা বুঝতেই পারলাম না। আমার অন্ধকারে ভয়টা যেন পালিয়ে গেল, নতুন আরেকটি ভয় যুক্ত হলো । বাবা তোমায় পাব তো।জানোত বাবা তাঁরারা বড্ড নিষ্ঠুর কোনটা তুমি বলতেই না। জানতো বাবা এখন কেউ বলে না আমার মা আমার জন্য রান্না করেছে , মা আমাকে চা করে দাও , তোমায় মতো চা কেউ বানাতেই পারে না।আচ্ছা বাবা তাঁরাদেরকে আমি কত কিছু বলতে বলি তাঁরারা কি তোমায় বলে?
তাঁরারা বাবাকে বলে না বাবাকে যে খুব দেখতে ইচ্ছে করে, আমাকে বাবার কাছে নিয়ে যেতে পারবি। বাবার কুলে মাথা রেখে ঘুমাব। কিরে তাঁরা বলবি তো বাবাকে তার মা যে তাকে ছাড়া ভালো নেই।
ইতি
তাঁরাদের বন্ধু

প্রিয় স্বর্ণলতা – Orshiya Shohid Anu

0

#গল্পপোকা_চিঠি_প্রতিযোগিতা_২০২০
~চিঠিঃ-০৬

প্রিয় স্বর্ণলতা,

তোর থেকে ভালো আমাকে যে আর কেউ চেনেনা আরো একবার প্রমাণ করলি চিঠিতে! তুই তো জানিসই আমি কেমন আছি। জিজ্ঞেস না করে সত্যিই খুব ভালো করেছিস, আরো কতক মিথ্যে বলার হাত থেকে আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছিস, যদিও তার সাথে আমাকে পীড়ন দিতে ছাড়িসনি। আমার নাকি খারাপ থাকার কারণ নেই! জানি এ তোর অভিমানের কথা, তবুও তো তুই বলেছিস, বড্ড বেশি লাগে রে তোর কথাগুলো। একেবারে বুকের ভিতরে তীরের মতোন এসে বিধে যায় এক একটা শব্দ।

সেদিনের বিচ্ছেদ কি সত্যিই প্রয়োজন ছিলনা? তুই ই বলনা- যাকে ভালোবাসি, তাকে সুখী করতে না পারলে কেমন ভালোবাসলাম আমি? আমি জানতাম আমি হারিয়ে গেলে আমাকে তুই ঠিক খুঁজে বের করবি, কিন্তু হারিয়ে যাওয়া থেকে আঁটকানোর ক্ষমতা যে তোর হাতে ছিলনা। থাকলে হয়তো হারিয়ে যেতে পারতাম না। জানিস- আমি তোর থেকে লুকিয়ে ছিলাম ঠিকই, তবে প্রতিনিয়ত আঁড়াল থেকে দেখে গেছি আমার স্বর্ণলতা একটু একটু করে নিজের জন্য বাঁচতে শিখছে! যেদিন তোর বিয়ের খবর পেয়েছিলাম কেন জানিনা, হৃদয় ভাঙার কষ্টের থেকেও তুই সুখী হতে চলেছিস ভেবেই ঠোঁটের কোণে হাসি এসেছিল!

হয়তো সেদিন কান্না আমাকে ছুটি দিয়েছিল! আমার স্বর্ণলতা অন্য কারো হয়ে যাচ্ছিলো, আর আমি আঁড়ালে বসে নিজেকে সামলানোর এক বৃথা প্রচেষ্টা করে যাচ্ছিলাম। আজ তুই বিশাল অট্টালিকার আলিশান বাড়ির বৌমা। তোর জীবনসঙ্গী এই সমাজে, এই বিলাশবহুল পৃথিবীতে তোকে সমস্ত সুখ দিতে প্রস্তুত, যা আমি কোনদিনই চাইলেও তোকে দিয়ে উঠতে পারতাম না! ইচ্ছেতে অনিচ্ছেতেও আজ তোর বায়না গুলো পুরণ হয়ে যায়, আমার কাছে আসলে যে তুই বায়না করতেই ভুলে যেতিস স্বর্ণলতা!

আমি চায়নি সেই দিনটা আমার জীবনে কোনদিন আসুক যেদিন আমার স্বর্ণলতা নিজে থেকেই আমাকে দূরে ঠেলে দিবে, তাই তো নিজেই সরে এসেছিলাম তোর সুন্দর ভবিষ্যৎ এর কামনা করে। তুই তো জানিস- তোকে ছাড়া আমি কতখানি অসহায়, তবুও এই বাস্তবতার কষাঘাতে জর্জরিত হয়ে তোর থেকে বিচ্ছেদকেই বেঁছে নিয়েছিলাম সেদিন।

আমি জানি তোর ভালোবাসার শক্তি অনেক, তাইতো আমাকে এতো প্রস্তুতি নিয়ে হারিয়ে যাবার পর ও তুই খুঁজে নিয়েছিস। আমি কোনোদিন ভাবিনি যে তুই আমার সাথে সংসার করতে পারবিনা। তুই হয়তো ঠিকই আমার সাথে কুড়েঘরে কাটিয়ে নিতে পারতিস, হাজার অভাবকে আমার ভালোবাসা দিয়ে ভরাট করে নিতিস, কিন্তু আমি? আমি কি পারতাম আমার ভালোবাসার মানুষটাকে এই অভাবের বাঁধনে বেঁধে রাখতে? কি করে পারতাম আমি, তোকে আধপেটা খাইয়ে রাখতে? মুখ ফুটে হয়তো তুই সেদিন আমাকে তোর কোন ইচ্ছের কথায় বলতিস না। আমি যে তোকে ভালোবাসি! তোর সব কথা কি আমাকে মুখে বলে দিতে হবে?

একদিন ঠিক আসতো যেদিন আমার অগোচরে তুই কাঁদতে বসতিস, হয়তো এই ভেবে নয় যে আমার কাছে এসে তুই ভুল করেছিস, ভাবতিস আমাকে নিয়ে! এতো কষ্ট করেও আমি তোকে সুখের সন্ধান দিতে পারছিনা এই ভেবে তোর চোখে পানি আসলে, সেই পানি দেখার পর বেঁচে থাকার ক্ষমতা যে আমার আর রইত না স্বর্ণলতা! আমি সেদিন হেরে যেতাম, হারিয়ে দিতাম তোর ভালোবাসাকে।

তার থেকে এই তো ঢের ভালো আছি, দীর্ঘ নিশী আমার রোজ কেটে যায় তোকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে। আমার স্বপ্নের অলিতে গলিতে তোরই বিচরণ চলে সর্বদা। স্বর্ণলতার ভালোবাসায় যে আর কারো ভাগ বসানোর অধিকার নেই, নেহালের হৃদয়জুড়ে সারাজীবন এইভাবেই হেসে খেলে বেঁচে রইবি তুই।

যে রাস্তায় নেহাল কে দেখে স্বর্ণলতাকে চোখ সরাতে হয় সেই রাস্তায় নেহাল ভুলেও পা দেবেনা রে! সশরীরে তোর কাছে যাওয়ার অধিকারকে নিজেই হারিয়েছি জীবন থেকে, তবুও মনের বাঁধনে তো আজীবন আমি জড়িয়ে রইবো তোর সাথেই। স্বর্ণলতা নেহাল কে ছেড়ে বাঁচতে না পারলেও দায়িত্বে বাঁধা সংসারে মুড়ে নিজেকে মানিয়ে নিতে শিখেছে । আজ দু’জন দু’প্রান্তে বসবাস করলেও ভালোবাসার কমতি নেই। বাস্তবতা আমাদের কে মাঝে মাঝে এতোটাই প্রস্তুত করে দেয়, যাতে আমরা এমন মুহুর্ত গুলোতেও সহজে মানিয়ে নিতে পারি যে মুহুর্তগুলো কোন একসময় আমাদের কাছে হয়তো অভাবনীয় ছিল।

শুধুমাত্র পুণর্জন্ম নয়, যতবার নেহাল জন্ম নিবে ততবারই স্বর্ণলতার জন্যই নিবে। নেহালের হৃদয়ের উপর যে স্বর্ণলতারই একচ্ছত্র অধিকার রয়েছে, সকল জন্মেই সে অধিকার স্বর্ণলতার জন্যই বরাদ্দ রইবে!

ইতি
“তোর নেহাল”

প্রিয় প্রবাসীরা – মাসুদ রানা তাসিন

0

#গল্পপোকা_চিঠি_প্রতিযোগিতা_২০২০
চিঠি নং : ৩

প্রিয় প্রবাসীরা,

পত্রের শুরুতে আমার ও পুরো দেশের পক্ষ থেকে জানাই সালাম। আসসালামু আলাইকুম, আশা করছি সবাই বেশ ভালো আছেন?

প্রিয়, আপনারা কোথায় থাকেন জানেন? আমাদের সকলের মাথার মুকুট হয়ে। যেমন আছে ১৯৭১ সালের বীর মুক্তিযোদ্ধারা। তারা তো আমাদের এই দেশ উপহার দিয়েছেন। আপনারা তো আমাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করছেন প্রবাসে।

আকাশে যেমন তারকারাজি জ্বল জ্বল করে আলো দেয়। ঠিক তেমনি আপনারা আমাদের জন্য এক একটা তারা। আমাদের দেশের জন্য আমাদের অর্থনীতির জন্য কল্যাণকর।

জানেন এই পৃথিবীর দুঃসময়ে যখন চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে এক বিষাক্ত মহামারী। তখন আপনারা সেই সব দেশে রয়েছেন, যে দেশগুলোর বেশিরভাগ মানুষ এই মহামারীর শিকার। যার জন্য আমাদের হৃদয় খণ্ড বিখণ্ড হয়ে আছে। আপনারা যে আমাদের জন্য পরিবার ছেড়ে যুদ্ধে গিয়েছেন।

যার মা মারা যায় সেই বুঝে কি যন্ত্রণা। যার পরিবার থেকে একজন ছুটে যায় তারাই বুঝে কি যন্ত্রণা। কিন্তু আপনারা তো আমাদের জন্য আমাদের দেশের জন্য, নিজের পুরো পরিবার থেকেও নেই করে চলে গেছেন। শুধু আমাদের নিজের পরিবারের ও আমাদের দেশের মুখে হাসি ফোটাতে।

আপনারা আছেন থাকবেন সর্বদা সম্মানের সাথে। আপনারা থাকবেন আমাদের ভালোবাসার কাছে সিক্ত হয়ে।আপনারা তো জানেনই যে আপনারা বছরে কত রেমিট্যান্স প্রদান করেন এই দেশে। যা আমাদের মাথাপিছু আয় বাড়তে সাহায্য করে। যা আমাদের জন্য এক কল্যাণকর অধ্যায়।

আপনাদের দেওয়ার মত কিছু নেই আমাদের শুধু ভালোবাসা ছাড়া। তাইতো দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে পারি।

রিক্ত আমরা, সিক্ত আমরা।
দেবার কিছু নাই।
আছে শুধু ভালোবাসা আমাদের।
তাই দিয়ে যাই।

ইতি,
মাসুদ রানা তাসিন

প্রিয় তানিপ্রিয় তানিয়া – আবু ইউসুফ

0

গল্পপোকা_চিঠি_প্রতিযোগিতা-2020
চিঠি নং 1
প্রিয় তানিপ্রিয় তানিয়া
অযাচিত বাক্য ব্যায় হয়তো নিরার্থক। তবে এই নিরার্থক জীবনে তার অর্থটা সীমাহীন। তোমার কাছে অপচয় করার মত কোন সময় নেই। কেন অপ্রয়োজনে কালক্ষেপন করবে? কেন শুনবে নিরার্থক বচন সমূহ? কেন এই নিরার্থকতার মাঝে আমার সার্থকতা জান? তোমার হয়তো মনে নেই সেদিনের কথা। মনে থাকবেই বা কেন। আমিতো চপলতায় এগিয়েছি। আমার হাতে তুলে নিয়েছিলাম একটা কলম। তুমি বুঝতে পারনি আমার ভালোবাসা। কলমের সুক্ষ আচরে তোমার আলোক চিত্র যে কতবার একেছি তা তুমি জানতেও পারনি। আমি আজও কলমটা হাতেই রেখেছি। তবে তোমার অবয়বটা আজ ফিকে হয়ে গেছে। ফ্যাকাশে সেই পথটার দিকে আজও তাকিয়ে থাকি। যদি শীতের কোয়াশা কেটে আবার গ্রীষ্ম আসে সেই অপেক্ষায়। তুমি ভালো থেকো।
ইতি
“কবি”।

প্রিয় চিত্তলতা – Riya Khatun

0

#গল্পপোকা_চিঠি_প্রতিযোগিতা_২০২০
লেখনীতে – রিয়া খাতুন
চিঠি_নং_১

প্রিয় চিত্তলতা,,
কুশল সংবাদ আর না বিনিময় কোনটিই করবোনা। আজ আর সেই পরিস্থিতি নেই হয়তো বা আছে। আবার থাকবেও,,কেননা তুমি ছাড়া প্রত্যদিনের অংশে আমি অস্তিত্বহীনা।

বেশ কিছু মাস হল তোমার সঙ্গে আমার সখ্যতার সৃষ্টি হয়েছে কিন্তু পূর্বের স্মৃতিগুলো তুমি ভুলতে পেরেছো শুধু অসহায়তার অবহেলায় আমি থমকে গিয়েছি‌। তুমি বারংবার আমাকে নিষেধ করো এইসব ভাবতে বারংবার উজ্জীবিত করো নীল আকাশের সাদা বক পাখির মতো উড়তে তবে পারিনি জানো… আর পারছিনা। তোমার কাছে ছোট্ট শিশুর ক্ষন ক্ষন ক্রন্দনের ন্যায় পতিত হচ্ছি : একটা ছোট নিমিত্ততা কাজ করে আর মনে হয় শুধু ‘চিত্তলতা আছে’ এই জীবনে অমার।

বিধাতা ছক করে তোমাকে পাঠিয়েছে। তার অনবদ্যতায় আমরা তো ক্ষুদ্রাংশ নয়। তবে সামনের দিকে এগোতে গেলেই পথ অবরোধ করছি নিজেই। এ পথের যোগ্য আমি নয় আর না এই জীবনের!
বেশ কিছুমাস ন্যাকামির সুর বুনেছি। তোমাকে ছাড়া নাকি আমি থাকতে পারিনা। তবে চিত্ত আমি জানি প্রতিটা দিন তুমি একটু সময় চেয়েছো, সিকিভাগ মাত্র। আমাকে সর্বদায় ছায়ার মত পরিবেষ্টন করেছো, কোন কষ্ট হলে তুমি সব সহ্য করেছো আর আমি….

মনে পড়ে কলেজে কাটানো দিনগুলো,,
বারংবার বুঝিয়ে ছিলে আমায় ‘বন্ধু’ শব্দটির তাৎপর্য ; যা উচ্চারনে সরল এবং গঠনে জটিল। এই জটিলতায় সরলতাকে আঁকড়ে ধরেছিলাম ক্রমাগত। নিজেকে উজাড় করে সকলকে ভালোবাসতাম, সাহায্যের পাহাড় গড়েছিলাম অথচ তুমি আমাকে সাঁই দাওনি এই বিষয়ে‌। তৎক্ষণাৎ আমি ভাবতাম তোমার দিক থেকে কান আর চোখ দুটোই ফেরানো উচিত আর না থাকা উচিত কোন অনুভব। আমি আমার নিজ ইচ্ছায় পাড়ি দেব আর হিমেল পরশে নিজেকে ভাসিয়ে দেব বালিহাঁসের ন্যায় যেখানে সবার সঙ্গে একতায় থাকবো। এক ঐক্যবদ্ধের প্রতীক হয়ে থাকবো আমরা বন্ধুগন।
সবাই মিলে একসঙ্গে হুল্লোড়, গল্প এবং ঝগড়ায় বেশ সুন্দর কাটছিল আমাদের আবেগঘন মুহূর্ত। হয়তো তখন তোমার কথা মনে এলেও চিত্তলতা, ইচ্ছা করেনি তোমাকে প্রাধান্য দিতে। ইচ্ছা করেনি একটু অপেক্ষায় অপেক্ষিত হতে। তবে খুব আঘাত পেয়েছিলাম সেইদিন যেদিন আমাকে কলেজে ম্যাম ভুল বুঝেছিল। রানীর কথা শুনে বিনা দোষে আমাকে শাস্তি পেতে হয়েছিল তখন তুমি ছাড়া আর কেউ ছিলনা প্রতিবাদ করার জন্য। আমি নাকি আমাদের এইচ. ও. ডি ম্যামের অফিসিয়ালি কিছু কথা আদান-প্রদান করি বিপক্ষীয়দের কাছে।তবে সেইদিন বারবার তুমি বলেছিলে না এই কাজ অন্তত করতে পারিনা আমি। বাকিরা সবাই আমাকে পতিত করেছিল, স্পর্শ করিয়েছিল ভূমিতলকে। চরম অপমানের নিরীক্ষণে আমি শেষ হয়ে যাচ্ছিলাম। সেদিন বুঝেছিলাম বন্ধুত্বের আসল স্বরূপতা: ‘বন্ধুত্ব’ শব্দের স্বার্থপরতা। সবাই বন্ধু হতে পারে কিন্তু বন্ধুত্বপূর্ণতায় পরিণত করেনা। এই পৃথিবীতে সঠিকতার সংজ্ঞা খোঁজা বড্ড দুস্কর।

আর সেইদিন মনে আছে চিত্ত,, গন্ধনের কথাগুলো। শারীরিক সম্পর্কে নাকি আমি ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত করতে চাই কিন্তু ওর হাতটা শুধু আমি ধরতে চেয়েছিলাম শুধু ওর হাতের মুঠোয় এক চিলতে নীলাময়কে স্পর্শ করতে চেয়েছিলাম। হয়তো আমার ভুল ছিল। হ্যাঁ তাইতো,, মেঘমুক্ত নীলাভা আসলে সকলের জন্য নয়‌। ওর অপমানের দিকগুলো তুমি আগে থেকেই আভা প্রতীক রূপে রূপায়িত করেছিলে শুধু রূপান্তরিত করতে পারিনি আমি তাই আজ জীবনটা কালিদাসের ডালচোপের মত লাগে। সবটা যেন হারিয়ে ফেলেছি যেমন পরেরটা তেমন আগেরটাও….. চাইলেই যে সবকিছু ঠিক করা যায়, আগের মত নয়: পরের থেকে পূর্বের গুলো পরিবর্তন করা যায় তা তুমি শিখিয়েছো। তবে প্রতিক্ষন এক অপরাধবোধে ভুগি সর্বদায়।
খুব ইচ্ছা করছে আজকে তোমাকে জড়িয়ে ধরতে আর একটা ছোট্ট চুম্বন এঁকে বলতে ইচ্ছা করছে তুমি আমার ধ্রুবতারা। বলতে ইচ্ছা করছো আমার প্রাণভোমরা আমার একমাত্র প্রাণবন্ততা।

অনেকে তার প্রেয়শী, প্রিয়া বা তার সুহৃদদের নিয়ে বন্ধনময়তার কোন বার্তা গঠন আবার কখনো শ্রান্ত পথিকের বিমূঢ়তার ন্যায় নিজের একরাশ অনুভূতি ফুটিয়ে তোলে। তবে তোমাকে নিয়ে ভাবার মানুষ খুব কম। আজ তোমাকে নিয়ে চিঠির পাতায়, জানিনা কেন এই মেঘলা আমাকে উন্মাদ করে তোলে, উদ্দীপিত করে তোলে! বারংবার এক রৌদ্রলৌহ এনে দেয় তীব্র বেদনা। সবাই যদি তোমাকে নিয়ে প্রশ্ন করে কে তুমি,, যদি জানতে চাই ‘চিত্তলতা’ কে! অনেকের মনে এই আকাঙ্খা জড়তার সৃষ্টিও করতে পারে।
তোমাকে নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন জানো,, একদিন মা বলছিল চিত্তলতা কে! যার জন্য আমরা তোর কাছে ছন্নছাড়া। মাঝে মাঝে বাবা তোমার কাছ থেকে আমাকে আলাদা করতে চায়। আচ্ছা আমিতো তোমাকে নিয়ে ভালো আছি, কেন সবাই বোঝেনা! আমি তোমাকে সত্যিই বড্ড ভালোবাসি। তোমাকে খুব জাপটে ধরতে ইচ্ছা করছে: গাঙচিলের মতো বারবার নিজেকে শিমুল বনে রাখতে ইচ্ছা করছে। শিমুলের ঐ রাস্তাজোড়া দখলকে দিগন্তের ন্যায় জাপটে ধরতে ইচ্ছা করছে..

ভাষায় যা প্রকাশ অবোধ্য তা ব্যক্ত করার জন্য কারোর সাহায্য নেওয়া উচিত। আর সেই সাহায্য হল চিঠি। জানো চিত্ত তোমার পরিচয় প্রকাশ করতে ভয় লাগে যদি তোমাকেও স্বার্থপর করে দেয় সবাই। যদি দলছুট সাদাবকের দলে ফেলে! না আজতো আমি প্রকাশকে অবলম্বন করেছি,, তাই আজ উজাড় করে কিছু বলতে চাই। বাঁধ ভাঙা সেতু তৈরি করতে চাই….
চিত্তলতা আমার চিত্ত: মন। এই জীবন যদি পাড়ি দেয় শতসমুদ্রে তাহলে সেটা তোমার জন্য। আমার কাছে প্রেয়শী হল তুমি: আমার মধ্যে যার অবস্থান; আমার মন। শত দুঃখ- কষ্টের মাঝে তুমি আমায় সঙ্গ দাও। সমস্ত কষ্ট তুমি সহ্য করো। অথচ নিজের জীবনের সিকিভাগের দাবিদার তোমাকে রাখিনা।

অবুঝতার ন্যায় সত্যিই আমি বুঝিনি আমার জীবনে প্রকৃত বন্ধু তুমি: আমার চিত্তলতা। নিজস্ব আঙ্গিনায় আমার আসল বন্ধু হিসাবে নাম দিয়েছি চিত্তলতা। জানো এখন যখন সকলকে দেখি বন্ধুত্বের মিথ্যা ছলনায় ভাসছে তখন বলতে ইচ্ছা করে কেন অন্তঃপুরের বন্ধুটাকে খুন করে বাহিরের রামধনুর হাতছনিকে বিশ্বাস করছো! যদি এই জীবনের পরামর্শদাতা না পাও নিজেকে নিজের করে গড়ে তোলো।
হয়তো এই চিঠিটা কারোর মাধ্যমে পৌঁছাবেনা। হাঃ! আর না আছে কোন উপমাধ্যম। তবে তোমার জন্য কোনদিন দুই কলি লেখা হয়না। কাউকে দ্যাখনোর জন্য নয় আর না তোমার অস্তিত্বকে রূপ দিতে। আসলে মনের মানুষের জন্য খুব লিখতে ইচ্ছা করছিল তাই তোমায় নিয়ে লিখলাম। তুমি প্রতিক্ষন দুঃখ-সুখের বেড়াজালে উপন্যাস তৈরি করো আমিও নয় একটা ভীত প্রতিষ্ঠা করলাম। আজ থেকে নিবেদনে রাখলাম শুধু তোমাকে। হয়তো তোমার মতো বিশার অট্টালিকা করতে পারবোনা। তবে একটা ছোট্ট ‘আলোকসেতু’ তৈরি করবো যেখানে তুমি সর্বদা বিকিরিত হও।।

ইতি-
তোমার মনের মানুষ

তাং – 5/8/2020
পশ্চিমবঙ্গ, ভারতবর্ষ

শ্রদ্ধেয় সৈয়দ সাহেব – ইনায়াত হাসান ইনায়া

0

#গল্পপোকা_চিঠি_প্রতিযোগিতা_২০২০
চিঠি নং: সাত

শ্রদ্ধেয় সৈয়দ সাহেব,

প্রথমেই এই সম্বোধন দেখে আপনি অবাক হতে পারেন। কারণ এই সম্বোধনটা সচরাচর বেশি বয়সের ব্যক্তিবর্গের জন্য ব্যবহৃত হয়। যেমন: দাদাভাই, বাবা, মা, মামা… এসব ক্ষেত্রে। তাই আপনাকে শ্রদ্ধেয় বলছি বলে হয়তো আমাদের মাঝখানের সম্পর্ক টা বুঝতে আপনার কষ্ট হতে পারে। কিন্তু কি করবো বলুন আপনার সাথে আমার সম্পর্কটাই যে শ্রদ্ধার। ভালোলাগা টা তো খুবই পরের ব্যাপার। আসলে শ্রদ্ধা দিয়েই তো এই সম্পর্কের শুরু।
জানেন, আপনার আর আমার মাঝখানের সম্পর্কটা কে আমি 3M কানেকশন বলি। এটার পেছনেও একটা কারণ আছে। সেই কারণটা হলো…
“আপনার সঙ্গে আমার মোট তিনবার দেখা হয়েছে। প্রথম দেখা মতিঝিলে, দ্বিতীয় দেখা মৌচাকে আর তৃতীয় দেখা মোহাম্মদপুরে।”
তাই জন্যেই আমার এই নামকরণ।

আপনার এতো এতো স্টুডেন্টের ভীরে আমার চেহারা হয়তো আপনার মনেই নেই। মনে না থাকাটাই স্বাভাবিক। কারণ আপনি রোজ রোজ আমার মতো এমন শত শত স্টুডেন্টের চেহরা দেখেন। কিন্তু আমি তো আপনার মতো টিচার খুব কমই দেখেছি আমার এই জীবনে। তাই আপনি আমার কাছে স্মরণীয়।

আপনার প্রতি এতো সম্মান আর এতো মুগ্ধতা সৃষ্টির কারণটা ছিল আপনার আচরণ। কি সুন্দর করে কথা বলেন আপনি। তবে সবচেয়ে বেশি মারাত্মক আপনার হাসিটা! কতো কঠিন কঠিন কথাও আপনি এই মারাত্মক হাসিটার সাথে খুব সহজেই বলে ফেলেন।

আমার এই ক্ষুদ্র জীবনে
আমি কোন ছেলের উপর ঘায়েল হইনি। আমি কারো প্রতি এতো বেশি মুগ্ধতা খুঁজে পাইনি! কখনো মনে হয়নি যে এই ছেলেটাকে আমার চাই…
আপনিই শুধু এমন একজন সৌভাগ্যবান। বারবার মনে হয় আপনিই হয়তো আমার সেই বহু কাঙ্ক্ষিত একজন।
লাভ এট ফার্স্ট সাইট কি আমি সেটা জানি না। আর প্রথম দেখাতে আপনাকে আমার কাছে ভালোবাসার মতো ভালোও লাগেনি।

আমি আসলে আপনার একটা ফিজিক্স ক্লাসই ভাগে পেয়েছিলাম। আর সেই ক্লাসের পর থেকেই কোচিং এর সব মেয়েদের মনে আপনি জায়গা করে নিয়েছিলেন। সবার মুখেই আপনার প্রশংসা। আপনি সব মেয়েদের ক্রাশ। জানতে পারলাম খুব বেশি ভালো পড়ান বলে আপনি এক নামেই পরিচিত সবার কাছে। সেই নামটা হলো ‘জোশ ভাইয়া’। বিশ্বাস করুন এগুলো শুনেও আমার মনে তেমন কোনো ফিলিংস জন্ম নেয়নি আপনার জন্য।

“এডমিশন টেস্টের আগে একদিন আপনার লাইভ ক্লাস ছিল। ব্যাস! কি যেন হয়ে গেল লাইভ ক্লাস করার পর। আমি সেদিন ই আটকে গেলাম আপনার মায়াজালে। কেন বাঁধা পড়লাম সেটা তখন অজানাই ছিল। তারপর সেখান থেকেই আপনার ফেসবুক আইডি টা পেলাম। আপনার টাইমলাইন ঘুরে তারপর আরও বেশি করে আপনার মায়ায় জড়িয়ে গেলাম।”
এই হলো আপনার মায়ায় জড়ানোর কাহিনী!

সৈয়দ সাহেব, আপনার জন্য এতো রেসপেক্টের পেছনের কাহিনীটাও তাহলে বলি এইবার…
“আমাকে প্রতিদিনই ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের ভিন্ন ভিন্ন টিচারের ক্লাস করতে হতো। আমাদের কোচিং রোজার মধ্যে শুরু হয়েছিল। তো টিচার বলতে সব বুয়েট, ঢাবি, ডিএমসির ছাত্ররা…
মানে সবাই নিজেরাও স্টুডেন্টই ছিল। যেখানে ক্লাস নিতে হয় বলে অন্য টিচার তথা স্টুডেন্টদের অনেকে রোজাই রাখতো না সেখানে আপনি রোজা রেখে সারাদিন ক্লাস করিয়ে আমাদের লাস্ট বেইচের ক্লাসটা শেষ করেই দৌড়ে গিয়েছিলেন মসজিদে। নামাজ পড়ার জন্য। তারপর নামাজ আদায় করে এসে আমাদের পরীক্ষা টা নিয়েছিলেন। শুধুমাত্র এই ঘটনাটার জন্যেই আপনি আমার কাছে স্মরণীয় একজন ব্যক্তি হয়ে থাকবেন সারাজীবন।”

আপনি যেহেতু আমাকে চিনেন ই না সেহেতু আপনাকে আমার জীবনে পাওয়ার সম্ভাবনা শূন্য বলেই ধরা যায়। আমাদের সম্পর্কটা তো ঢাকা শহরের ব্যস্ত রাস্তায় হুটহাট দেখা হওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। আমি ফেসবুকে আপনার সব পোস্ট মন দিয়ে পড়ি, আপনার ছবিগুলো দেখি ঠিকই তবে সে কথা আপনি জানেনও না। থাক, নাই বা জানলেন! কিছু কথা নাহয় অজানাই রয়ে গেল।

‘আপনাকে আমি ভালোবাসি’ একথাটা আমি বলবনা। কারণ আমার অনুভূতি টা আসলে ভালোবাসা না।
তবে, হ্যাঁ! আপনি আমার ভালোলাগা। ভাগ্যে থাকলে হয়তো আপনাকে পেয়েও যেতে পারি। “জানেন তো,
আমি বরাবরই ভাগ্যে বিশ্বাসী!”
ঐ মোহময় শুদ্ধতম হাসি যেন সবসময় আপনার ঠোঁটের কোনায় লেগে থাকে…

ইতি আপনার অপরিচিতা
ইনায়াত হাসান ইনায়া

বিঃদ্রঃ একজন সৈয়দ সাহেব কিন্তু সত্যিই আছে। সম্পূর্ণ ঘটনাই সত্যি…

প্রিয় মা, তুমি কেমন আছো? – Sheam Hosen

0

#গল্পপোকা_চিঠি_প্রতিযোগিতা_২০২০

প্রিয় মা,
তুমি কেমন আছো? আমি জানি তুমি ভালো নেই! তবুও বলবে বাবা আমি খুব ভালো আছি? আর তুমি ভালো কেমনে থাকবে তোমার এই পাগলটাকে ছাড়া! তোমাদের মুখ যেন উজ্জ্বল করতে পারি সেই জন্যেই তো শহরে আসা।যে দিন হতে চোখের সামনে থেকে একটা বটবৃক্ষ আমার সামনে নেই তখন বলো মা কেমনে তোমার পাগলটা ভালো থাকতে পারে। সত্যি কথা বলতে কি জানো মা? আমি তোমাকে ছাড়া এক মূহুর্ত কল্পনাও করতে পারি না। তুমি হীনা শূণ্য যেন সবি নিশ্য-কূলকিনারায়। মা তুমি যেমন আমাকে ১০ মাস ১০ দিন গর্ভে ধারণ করে ছোট্র শিশু হতে বড় সিয়ামে রুপান্তর করেছো। তখন থেকেই আমি সারাটা জীবন ঋনী তোমার কাছে। এই ঋন কখনো আমি সুদ করতে পারবো কি না জানি না মা। তবে আমি তোমাকে ছাড়া কোন দিনও ভালো থাকতে পারবো না এই কথাটা জানি। কারণ,তোমাকে সব চেয়ে বেশি ভালোবাসি মা। মা জানো? কখন তোমাদের আনন্দ হবে, যখন তোমাদের পাগলটা একটা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাবে। তোমার আর আব্বুর মুখ সেদিন উজ্জ্বল হবে। তখন আমি নিজেকে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ মায়ের শ্রেষ্ট সন্তান মনে করবো। মা তোমাকে সত্যি অনেক মিস করতাছি। মা অনেকেই দেখি দিবস হিসেবে মায়েদের ভালোবাসে।আচ্ছা মা তুমি বলো মায়েদের কি দিবস আছে? তোমার পাগলটা বোঝলেও অন্য কেউ বোঝে না।
So I want to say, my mother did not love it any day
365 days before Mother’s Day.
I Really Love you Mom.
মা তোমার শরীরের প্রতি যত্ন নিবে। আর এই পাগল টার জন্য চিন্তা করতে হবে না আপনার, শুধু একটু দোয়া করলেই চলবে।
আব্বাকে আমার সালাম দিও আর শরীরের প্রতি যত্ন নিতে বলবে।
মা, তোমার পাগলটার কলমের কালি ফুরাবে কিন্তু মনের কথা ফুরাবে না। আজ এই পর্যন্তই লিখছি মা।

ইতি,
তোমার পাগল ছেলে (সিয়াম)

প্রিয় করিবকর্মা – Fahad Hosen Fahim

0

#গল্পপোকা_চিঠি_প্রতিযোগিতা_২০২০

প্রিয় করিবকর্মা,

তোমার কাছে চিঠি লিখবো কখনও ভাবিনি। মনের গহীনে বরফজমা কথাগুলি জলস্রোত হয়ে আজকে স্পর্শ দিবে তোমায়। আশা করি করিবকর্মা থেকে একদিন হয়ে উঠবে করিতকর্মা। সেদিন তোমাকে নিয়ে গর্ব করে যাতে বলে উঠতে পারি, তোমাতে আমি হয়ে হয়েছি চিরধন্য। আমি বিশ্বাস করি তুমি পারবে।

তুমি রূপী সেই আমি সত্ত্বার না বলা কথাগুলি তাইতো লিখছি খাকি রঙের পুরনো একটা শার্ট গায়ে দিয়ে। গুছিয়ে লিখতে পারবো কিনা জানি না। তবুও লিখবো।

উচাটন মন নিয়ে হেমন্তের ঝরা পাতায় ডাকপিয়ন সেজে লিখছি তোমার কাছে।অতীতকে নিয়ে চিন্তার অন্ত নেই তোমার। কি অদ্ভুত তুমি!কারণ অতীতের ধূসর খাতায় লুকিয়ে রেখেছো ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি।অতীতে ফেলে যাওয়া মানুষগুলোর প্রতি বিবাগী না হয়ে,করোনাকালীন দুর্যোগে ছুটে চলেছো তাদের হিতার্থে। দিকে দিকে যেখানে মৃত্যুর মিছিল, সেখানে তোমার বেঁচে থাকার জন্য প্রাণ খুলে উচ্চস্বরে বলা উচিৎ ” আলহামদুলিল্লাহ “। আশা করি এবারও করিবকর্মা হয়ে বসে থাকবে না!!

তবে ভুলে যেওনা নিতুকে খুব কষ্ট দিয়েছো।মেয়েটির খবর নিয়েছো একবার! ভুল বোঝাবুঝিতে যদি পুরনো রঙিন স্মৃতিতে ধূসর রঙের ছায়া ভর করে, তাহলে সেই স্মৃতিকে রঙিন করার দায়িত্বটাও তুমিই নিবে। মেয়েরা এমনই হয়। তবে মেয়েটি খুব ভালবাসে তোমায়। আশা করি শীঘ্রই কাছে ফিরিয়ে আনবে ওকে। মেয়েটা রাগ করে বসে আছে। একটি বার ফোন দিয়েই দেখ না! কি ভাবছো আমি কিভাবে জানি এসব? শুনে রাখো আমি তোমার সবকিছুই জানি।

লক ডাউনে বন্দি হয়ে বাসায় নিভৃতে সময় কাটাতে খুব কষ্ট হচ্ছে তোমার। ক্যাম্পাসের হাসিমাখা রঙিন মুখ এবং বন্ধুদের দুষ্টুমি সবকিছুই খুব মিস করছো তুমি।ব্যকুল হয়ে কি লাভ বলো!ধৈর্য ধরে থাকো। আর শুনো মোবাইল ফোনটা কি তোমার বউ! হ্যা, সারাদিন পড়ে থাকো কেনো মোবাইল নিয়ে। মা’কে একটু সাহায্য করেছে ঘরকন্নার কাজে! করোনি, কিন্তু করতে হবে বলে দিলুম। না হলে তোমাকে খুব মারবো, বুঝলে। যদিও ব্যথা আমিই পাব, তাতে কি ! একটা মা-র ও মাটিতে পড়তে দেবো না।

সোনার বাংলায় সোনার মানুষ হয়ে কাজ করবে দেশের জন্য – এইতো তোমার কাছে আমার চাওয়া। মনে আছে ছোটবেলায় শিক্ষক বলতো,
” সবার সুখে হাসব আমি,
কাঁদব সবার দুঃখে,
নিজের খাবার বিলিয়ে দেব,
অনাহারীর মুখে”

আশা করি তুমি পাশে এসে দাড়াবে করোনায় ক্ষতিগ্রস্থদের কাছে, কাজ করবে তাদের হিতে। জীবনের ঊর্ণনাভে লোভের জালক ছেড়ে, আশা করি নিজেকে বিলিয়ে দিবে মানবসেবায়।

তবে সাবধানে থেকো।তুমিই যে পরিবারের ভবিষ্যৎ। তোমার কিছু হলে তাদের কি হবে ভেবেছো কি একটিবার?

ইতি,
তোমারই এক অদ্ভুত সত্ত্বা।

( নিজের কাছে নিজের চিঠি)