Saturday, July 12, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 1899



Dangerous_Villain_Lover part 10

0

Dangerous_Villain_Lover
part 10
#Writer_Tanjina_Akter_Misti

হঠাৎ মুখের সামনে কেউ খাবার ধরলো তাকিয়ে দেখি স্যার আমি অবাক হয়ে তাকালাম। এখনই তো হাতের কাছে থেকে টেনে নিলো আবার এখন মুখে তুলে দিচ্ছে পেয়েছে কি এই স্যারের ব্যাপার স্যাপার আমার মাথায় ঢুকে না কিছু সেকেন্ড সেকেন্ড রুপ বদলাম। আমি কথা গুলো ভাবছিলাম।

– কি হলো এমন বড় বড় করে তাকিয়ে আছো কেন খাও?

– স্যার আপনার মতলব টা কি বলেন তো।( ভ্রু কুচকে)

-মানে।

– মানে হলো আমি খেয়েছি কি না জানলেন কি ভাবে আর আমি না খেলেই বা আপনার কি আপনি কেন আমার জন্য এখানে এলেনে খাওয়াতে।

– এতো কিছু তোমার জানতে হবে না বুঝছো আর ভাবতে ও যে ও না চুপ চাপ খেয়ে নাও ক্লাসের টাইম হয়ে যাবে তো।

– নো আমি খাব না আপনি বললেই আমার করতে হবে নাকি।

– হুম করতে হবে খাও।

– নাহহ

আমি না করে চলেছি কেন খাব। এখনই তো নিয়ে নিলো আবার সাধছে আর স্যার যে কেন আমার সাথে এমন বিহেভ করছে। হঠাৎ আশেপাশে চোখ গেল সব মেয়েরা হা করে তাকিয়ে আছে যেন চোখ দিয়ে গিলে খাবে কেন জানি রাগ হলো কটমট চোখে তাকিয়ে আছি হঠাৎ স্যার আমার মুখে খাবার পুরে দিল।

আমি চোখ বড়বড় করে তাকিয়ে আছি স্যারের দিকে আমি সত্যি ভাবিনি এভাবে খাবার দিবে কথা ও বলতে পারছি না খাবারের জন্য।

– এখন খাবার খেয়ে কথা বলার টাই কর খাবার নিয়ে উম উম করলে তো বুঝি কিছু জান।

স্যারের কথা শুনে রাগে আমার শরীর কাপছে কিন্তু কিছু বলতে পারছি না। খাবার চিবুতে ও মন চাইছে না কিন্তু নয়লে তো কিছু বলতে পারবো না তাই খেতে লাগলাম কিন্তু এটা এতো জাল কেন ওফ প্রচুর জাল লাগছে আমি জাল খেতে পারি না অনেক কষ্ট শেষ করলাম কিছু বলতে যাবো স্যার আবার মুখে খাবার ঢুকিয়ে দিল না কিছু বলতে পারছি না সইতে পারছি জালে চোখ দিয়ে পানি পরা শুরু করছে।গেমে একাকার হয়ে গেছি সিউর ভরিচ ছিলো তাই এমন লাগে ফেলে দিতে গেলে সবাইকে দেখে আর করি না।

রাহুল খেয়াল করলো ছোঁয়া কে দেখতে কেমন জানি লাগছে ঘেমে গেছে ঠোট লাল হয়ে চোখ দিয়ে পানি পরছি কিছু বলতে চাইছে কিন্তু খাবারের জন্য বলতে ও পারছে না এখন রাহুলের নিজের প্রতি রাখ লাগছে কেন যে জোর করতে গেল ছোঁয়া কে এমন লাগছে কেন রাহুল চিন্তা হয়ে ছোঁয়া কে কাছে এনে জিগ্গেস করতে লাগল,,,,

অস্পষ্ট শুরে জাল শব্দ টা কানে এসেছে। রাহুল ছোঁয়া কে ছেড়ে খাবার মুখে দিলো অনেক বেশি জাল হয়েছে বিরিয়ানী টা রাহুল জানে ছোঁয়া জাল খেতে পারে না এই খাবার টা তো অনেক জাল এটা খাওয়ানোর জন্য ছোঁয়া এমন অসুস্থ হ য়ে যাচ্ছে।
কি করে জাল কমাবে রাগে রাহুল লাল হয়ে গেছে চিৎকার চেচামেচি শুরু করে দিয়েছে ওয়েটার রা ভয়ে কাছে আসতে পারছে না সবাই রাহুল কে চিনে সে একজন মাফিয়া।

কি করবে ছোঁয়া কে পানি দিচ্ছে কিন্তু কাজ হচ্ছে না তাই আর কিছু না ভেবে ছোঁয়া কে নিজের সাথে মিশিয়ে ঠোটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিয়ে। রুডলি কিস করতে থাকে আশেপাশের মানুষ যে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে সে দিকে রাহুলের খেয়াল ও পেয় ও আছে ওর মায়াবতীকে নিয়ে।
ছোঁয়া যখন বুঝতে পারলো ওর সাথে কি হচ্ছে তখন ছোটাছুটি করতে লাগে। দীর্ঘ পনেরো মিনিট পর ছেড়ে দেয় রাহুল।

ছোঁয়া কথা কি বলবে ও তো ফ্রিজ হয়ে গেছে এমন কিছুর জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলো না কি রিয়াকশন করা উচিত ভেবে পাচ্ছে না। অবাক করা বিষয় এখন আর ছোঁয়ার জাল লাগছে না। মাথা নিচু করে বসে আছে আশেপাশের মানুষ অদ্ভুত নজরে দেখছে লজ্জা রাগ সব মিলিয়ে ছোঁয়া বোবা হয়ে গেছে।

কলেজ বসে আছে ছোঁয়া, টিয়া আর জেসি টিয়া আর জেসি কথা বলই যাচ্ছে কিন্তু ছোঁয়া চুপ করে আছে কিছু বলছে না।

– কিরে বোবা হয়ে আছিস কেন কিছু বল।

– ছোঁয়া কথা বল তুই আর স্যার এক সাথে এলি কি করে।

– কি হলো বল।

– আল্লাহ এই মেয়ের হয়েছে কি?

– দূর কথা বলবি না।

অবশেষে ছোঁয়া নিজেকে ঠান্ডা করে কথা বলে আর রেস্টুরেন্টের সব খুলে বলে সব শুনে দুজনের চোখ কোটরে থেকে বেরিয়ে আসার উপকম হয়।

– ছোঁয়া তুই ঠিক বলছিস।

– হুম তোর কি মনে হ য় আমি মিথ্যে বলবো।

– নাহ কিন্তু বিলিভ করতে কষ্ট হচ্ছে।

– কেন?

– আমি সিউর স্যার তোকে ভালোবাসে।

– হুয়াট

– হুম আমি সিউর ভালো না বাসলে এসব করতো না স্যার।

সত্যি কি স্যার আমাকে ভালোবাসে। দূর না কি ভাবছি সে আমার স্যার সে কেন এসব কিন্তু তাহলে স্যার ওমন করশো কেন আর ছোঁয়া টা আমার খুব পরিচীত লাগছে যেন আগে ও এই ছোঁয়া পেয়েছি।

রাতে রুমে বসে আছি হঠাৎ কেউ আমার চোখ আটকে ধরলো,,,

চলবে……..

Dangerous_Villain_Lover part 9

0

Dangerous_Villain_Lover
part 9
#Writer_Tanjina_Akter_Misti

রাতে… ছোঁয়া রুমে বসে ভাবছে স্যার এতো হাইপায় হলো কেন? আর আচার খাচ্ছে আম্মু আচার বানিয়েছে আমের যেটা ছোঁয়ার অনেক পছন্দের। স্যার কে নিয়ে মসা চিন্তা মাথায় ঘুর পাক খাচ্ছে স্যার সামান্য মাথা ব্যাথা বলাতে এতো অস্থির হয়ে উঠলো যেন ব্যাথা আমার না তার হচ্ছে কিন্তু কেন? স্যার কে তখন অনেক র্দুবল লাগছিল মুখে স্পশট আমার জন্য কষ্ট কিন্তু আমার জন্য স্যার কেন আমি তো স্যারের আপন কেউ না আমার জন্য সে কেন? দূর মাথায় কিছু ঢুকছে না হঠাৎ ফোনে টুং শব্দ বেজে উঠলো হাতে নিয়ে দেখি ম্যাসেজ এটা তো সেই নাম্বার…. Villain lover….

সঙ্গে সঙ্গে আচারের বাটি রেখে ভালো করে দেখি লেখা আছে,,,, মায়াবতী এতো আচার খেয়ো না তোমার পেট ব্যাথা করবে।

আমার চোখ তো চরক গাছ হয়ে গেল কথা শুনে বেটা কয় কি সে জানলো কি করে আমি আচার খাচ্ছি। আমার রুমে সি সি টিভি রাখে নি তো। ও মোর আল্লাহ আমি কতো কিছু করি তার মানে সব দেখে মাথায় হাত দিয়ে খুজতে লাগলাম কিছু আছে নাকি ঘরে। আবার মেসেজ আসলো দৌড়ে হাতে নিয়ে দেখি,,,
” এতো খুজে লাভ নেয় মোর জান চুপ চাপ শুয়ে পর কতো রাত হয়েছে খেয়াল আছে। শরীর খারাপ করবে তো”

আমি তো হা হয়ে আছি কে এই ভিলেন নিশ্চয়ই ওইদিকার ওই গুন্ডা টা কিন্তু সে আমার পিছু এখন ও ছারে নি কি করে একে ঘার থেকে নামাবো ওফ আমার মাথা নষ্ট হয়ে যাবে একে তে স্যার কে নিয়ে চিন্তা এখন আবার এই ভিলেন দূর আর ভাবতে পারছি না শুয়ে পরে আচার রেখে খাটে শুয়ে পরলাম।

.
.

রাহুল ছোঁয়ার বারান্দায় ছিলো এতোক্ষণ ছোঁয়া কি কি করেছে সব বারান্দায় থেকে দেখেছে আর মেসেজ করেছে ছোঁয়া শুয়ে পরার কিছুক্ষণ পর রাহুল ভেতরে ঢুকে আসে। এসে ছোঁয়ার পাশে খাটে বসে পরে ছোঁয়া ঘুমিয়ে পরেছে রাহুল মুগ্ধ চোখে ছোঁয়ার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে যত দেখে যেন মন ভরে না।

— কেন আমায় পাগল করলি তুই তোকে ছাড়া আমার তো কিছু ভালো লাগে না সব সময় মন চায় তোকে পাশে রেখে তোর দিকে তাকিয়ে থাকি। আমার বুকের মধ্যে রাখতে চায় এই বুকটা খুব খালি থাকে থাকতে পারি না। তুই আমার জীবন হয়ে গেছিস চোখ আড়াল হলেই পাগল হয়ে যায় আমার দুনিয়া অন্ধকার হয়ে যায়।

কথা গুলো বলেই রাহুল ছোঁয়া মাথাটা বালিশে থেকে উঠিয়ে নিজের বুকের মাঝে শক্ত করে চেপে ধরে। ওভাবে ধরেই অনেক ক্ষণ বসে থাকে। তারপর মাথা বালিশে রেখে কপালে কিস করে বেরিয়ে আশে রাহুল।

রাহুল ওর গোডাওনে বসে আছে।

— বস আসিফ কোন একটা সর যত্ন করছে। ওকে দেখা যাচ্ছে না ইদানিং।

— ওর যা খুশি করতে দে আমি ও এখতে চাই ও কি করতে পারে।

অনেক কিছু পরি কল্পনা করতে লাগে। আসিফ যে কোন সময় কোন আঘাত হানতে পারে।

পরদিন……❤

ছোঁয়ার ঘুম ভাঙে মেসেজ এর শব্দে বিরক্ত হয়ে চোখ মেলে তাকায়। দেখে সেই নাম্বার ওফ পাগল করে দেবে রেগে ফোন বিছানায় রেখে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম।

রেডি হয়ে নিচে এলাম।

— কি রে খাবি না?

— না আম্মু আমি কলেজে গেয়ে খেয়ে নবো তুমি এখন খেতে বলো না আমি খেতে পারবো।

— এটা কেমন কথা তারাতারি আয় এতো অনিয়ম আমি কিন্তু কিছু তেই মেনে নেব না।

— আম্মু বুঝার চেষ্টা করো আমি এখন খেতে ব।পারবো না প্লিজ আমি গিয়ে খাবো।

বলেই চলে এলাম পেছনে থেকে আ ম্মু অনেক ডেকেছে শুনি নি।
বাইরে এসেই দেখি একটা গাড়ি এটা তো চেনা লাগছে ওহ এটা তো স্যার এর গাড়ি আমি গাড়ির দিকে এগিয়ে গেলাম। ওমনি দরজা খুলে বেরিয়ে এলো স্যার।
আমি তো হা করে তাকিয়ে আছি আজ স্যার এ্যাশ কালারের র্শাট পরেছে ব্রাওন কালারে পান্ট চোখে সানগ্লাস চুল গুলো ইস্পাই করা মুখে হাসি অপূর্ব লাগে। ছেলেদের যে এতো সুন্দর লাগতে পারে স্যার কে না দেখলে জানতাম না আমি হা করে তাকিয়ে আছি। আমার সামনে এসে স্যার চোখে থেখে সানগ্লাস খুলে নিলো।

— আমাকে পরে দেখো আগে গাড়িতে উঠো।

স্যারের কথা শুনে লজ্জা চোখ নামিয়ে নিলাম ইশ কেন যে তাকালাম স্যার কি ভাবছে আমাকে নিয়ে কে জানে। আচ্ছা স্যার এখানে কেন আমি মাথা উঠিয়ে ভ্রু কুচকে তাকালাম স্যারের দিকে।

— আপনি এখানে কেন স্যার?

— তুমি গাড়ির উঠ।

স্যার দরজা খুলে আমাকে ভেতরে ঢুকিয়ে দিলো আমি হা করে তাকিয়ে আছি। ঘটনা টা এতো দ্রুত হলো যে আমি কিছু বলতে পারলাম না। স্যার গাড়িতে এসে বসলো।

— স্যার এটা কি হলো আপনি আমাকে জোর করে গাড়িতে তুললেন কেন?আর আপনি আমার বাড়ির সামনে কেন?

—এতো কিছু জেনে কি করবে চুপ করে বসে থাক।

— মানে চুপ করে থাকবো কেন? বলুন

হঠাৎ গাড়ি থামিয়ে বলতে লাগল,,, এই তুতো খাও নি তাই না চলো খেয়ে আসি।

— হুয়াট?

আমি মনে মনে ভাবছি এনি জানলো কি করে আমি খাই না ও গড কি হচ্ছে এসব। কাল ওই ভিলেন সব বলল এখন এও আমার সাথেই কি হচ্ছে এসব। হঠাৎ দরজা খুলার শব্দে তাকিয়ে দেখি স্যার বাইরে দাড়িয়ে আছে।

— স্যার আপনি বাইর গেলেন কখন।

আমার কথার উওর না দিয়ে স্যার দরজা খুলে বাইরে বের করে নিলো। সামনে তাকিয়ে দেখি এটা একটা রেস্টুরেন্ট স্যার কি সত্যি খেতে এসেছে আমি খেয়ে আসিনি দেখে। রেস্টুরেন্টে বসে আছি।

— স্যার আপনি জানলেন কি করে আমি খাইনি।

— ওমনি জেনেছি তোমার সব কিছু আমার জানা ( বিরবির করে বলল রাহুল )

— কি বললেন স্যার? জোর বলেন আমি কিছু শুনি নি।

— কি খাবে বলো।

— আমার প্রশ্নের উওর দিন?

— খাবার অর্ডার দাও।

— আমি খাবো না।

স্যার নিজেই অর্ডার দিলো খাবার আমি জিগ্গেস করেই চলেছি কিন্তু কিছু বলছে না রাগে আমার শরীর কাপছে স্যারের বিহেভ অনেক অদ্ভুত কি হচ্ছে আমি মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। আশেপাশে তাকিয়ে দেখি সবাই হা করে স্যারের দিকে তাকিয়ে আছে যেন চোখ দিয়েই গিলে খাবে অসহ্য।

একটু পর খাবার চলে এলো। সব আমার পছন্দের খাবার খিদে পেয়ে ছিলোই খাবার দেখে রাগের কথা ভুলে খেতে যাব হঠাৎ স্যার আমার খাবার নিজে নিয়ে নিলো আমি তো অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি। এভাবে অপমান রাগে মন চাচ্ছে স্যারের সব গুলো চুল ছিরে ফেলতে। অপমান রাগে আর স্যারের দিকে তাকাতে পারলাম না অন্য দিকে ফিরে রইলাম।
হঠাৎ কেউ আমার মুখের সামনে খাবার ধরলো।

চলবে…..

( ভুলক্রটি ক্ষমার চোখে দেখবেন। আর দেরি করার জন্য সরি ছোট করে দিয়েছি বলে অভিযোগ করবেন না আর ও বড় করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আর পারছি না বিকেলে থেকে লেখতে লেখতে এতো টুকু শেষ করেছি এখন হাত পুরো ব্যাথা হয়ে গেছে আর লেখা সম্ভব নয় সবাই ছোট বলে অভিযোগ বানান এর জন্য অভিযোগ করেন। লেখতে আমার সমস্যা হয় তাই ছোট করে দেয় আর বানান ওইটা আমার ভুল আমি লিখে কখনো রিভাস দেয় না আসলে আমার লেখা আমি পরলে কেমন জানি লাগে তাই ভুল গুলো হয়ে থাকে।]

Dangerous_Villain_Lover part8

1

Dangerous_Villain_Lover
part8
#Writer_Tanjina_Akter_Misti

কলেজের মাঠে বসে আছি আমি টিয়া জেসি।
চিন্তায় আমি কোন কথা বলছি না স্যার কি শাস্তি দেবে আমাকে কে জানে।

— ছোঁয়া এই ছোঁয়া

কানের কাছে চিৎকার শুনে রেগে তাকালাম জেসির দিকে। এভাবে চিৎকার করে মাথা খাচ্ছে অসহ্য এমনিতেই স্যারের জন্য চিন্তা মরছি আর ওরা। না কিছুতেই না স্যার কে আমি শাস্তি দেবার সুযোগ দেবোই না আমাকে কিছু করতে হবে কিন্তু কি করবো।

– ছোঁয়া।

— কি হয়েছে এভাবে ষাড়ের মতো চিল্লাচিল্লি করছিস কেন? দেখছিস না ভাবছি ওই স্যারকে কি ভাবে আটকাবো তোরা সাহায্য করা বাদ দিয়ে চিল্লাসসিস।

— আমাদের কথা কি শুনেছিস কিছু চুপ মেরে আসিস। আর স্যার কে আটকাবো কি করে তুই কেন কাল ওই কাজটা করলি।

হঠাৎ মাঝখানে থেকে টিয়া বলে উঠল,,, আমার কাছে একটা প্লান আছে।

— বল তারাতারি।

— তুই আজ বাড়ি চলে যা তাহলে আর স্যার শাস্তি দিতৃ পারবে না আগামীকাল ও আসিস না স্যার ভুলে যাবে তোকে শাস্তি দেওয়ার কথা।

আমি টিয়ার কথা গুলো ভালো লাগল আসলেই তাই করি আজ চলে যাই। ভেবেই উঠে দাড়ালাম। টিয়া ঠিক কথায় বলেছে।
ব্যাগ নিয়ে গেটের কাছে এসেছি যেই বের হয়ে যাব হঠাৎ কেউ হাত ধরে ফেলল। হঠাৎ হাত ধরায় চমকে তারাতারি পেছনে তাকিয়ে আতকে উঠলাম এ তো স্যার রাহুল স্যার আমার হাত ধরে মুখে হাসি জুলিয়ে তাকিয়ে আছে। স্যারকে আজ আর ও বেশি কিউট লাগছে নীল শার্ট চোখে সানগ্লাস। নীল রঙটা স্যারের শরীরে অসম্ভব সুন্দর লাগছে হঠাৎ কথায় সম্মতি পেলাম।

— তা মিস আপনি এভাবে পালিয়ে যাচ্ছেন যে।

— কই না তো পালাবো কেন? ( ভয়ে ভয়ে)

— তাহলে ক্লাস না করে চলে যাচ্ছেন যে।

— না মানে হুম আসলে

— কি ভালো করে বলেন নাকি আমার শাস্তির ভয়ে চলে যাচ্ছো।

স্যার কথা বলতে বলতে একদম আমার কাছে চলে এসেছে এতো কাছে এসেছে যে আমি কথা বলতে পারছি না।

— কি হলো বলুন।

— আপনি একটু সরে দাড়ান প্লিজ।

আমার কথায় স্যার বাকাঁ হেসে সরে দাড়ালো….এবার বলুন কোথায় যাচ্ছিলেন।

— বাড়িতে;

— কেন?

— আসলে ( মাথায় হাত দিয়ে ) মাথাটা প্রচুর ব্যাথা করছে তাই ভাবছি আজ চলে যাই। ( বুঝানোর জন্য যে আমি অসুস্থ )

— হুয়াট তোমার মাথা ব্যাথা করছে। আমাকে আগে বলো নি কেন দেখি ( আমার মাথায় হাত দিয়ে ) খুব কি বেশি ব্য আথা করছে চলো চলো হসপিটালে যাই। এতো কেয়ার লেস কেন তুমি মাথা ব্যাথা নিয়ে কেন এসেছো কলেজে ঠিক মতো ঘুমাও না নাকি।

আমি তো হা করে স্যারের কাণ্ড দেখছি। সামান্য মাথা ব্যাথা বলায় স্যার এতো হাইপায় হবে আমি ভাবি নি। এমন ভাবে কথা বলছে যেন আমি তার খুব আপন কেউ স্যারের মুখের দিকে তাকিয়ে আছি কালকেই তো স্যার কে প্রথম দেখলাম তবুও কেন জানি মনে হচ্ছে আগে ও দেখেছি কথা গুলো কেমন জানি মনে হচ্ছে আগে ও শুনেছি। স্যার তো অস্থির হয়ে গেছে নানা কথা বলছে আমার গালে হাত দিচ্ছে মাথায় কপালে কি থেকে কি করবে বুঝতে পারছে না। আমি তো কিছু বলার ভাষা খুজে পাচ্ছি না স্যারের বিহেবার কেমন অদ্ভুত লাগছে। হঠাৎ স্যার টেনে নিয়ে যেতে লাগল আশেপাশে তাকিয়ে দেখি সবাই বিশেষ করে সব মেয়েরা রাগি চোখে তাকিয়ে আছে আসলে স্যারের উপর সবাই একদিনেই ক্রাশিত হয়েছে এখন আমার সাথে দেখে জলছে কিন্তু স্যার আমাকে টেনে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে সত্যি ডাক্তার এর কাছে নয়তো ও মাই গড এ কোন জামেলায় পরলাম,,,মিথ্যা বলেও দেখছি কেস খেলাম এখন কি হবে। আমি হাত ছুটানোর জন্য টানছি কিন্তু স্যার শক্ত করে ধরে রেখেছ সুটাতে পারছি না।

— স্যার হাত সারুন আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন।

— কোন কথা নয় জান তুমি সব সময় কিছু না কিছু বিপদ ঘটাও এটা ঠিক না জানো না তোমাকে নিয়ে আমি কতো টেনশনে থাকি তোমার কিছু হলে।

আমি তো ফ্রিজ হয়ে গেছে এই ব্যাটা কয় কি স্যার কি পাগল হয়লো নাকি আমাকে জান বলছে আবার কি বলল টেনশনে থাকে। ও আল্লাহ নিশ্চিত স্যার পাগল হয়ছে নয়তো আমি সপ্ন দেখছি। কথা গুলো ভাবছিলাম হঠাৎ গাড়ির দরজা খুলায় ঘোর কাটে তাকিয়ে দেখি স্যার আমাকে গাড়িতে উঠিয়ে নিজে ও উঠে পরে।

— একি স্যার আপনি আমায় গাড়িতে উঠালেন কেন?

— তুমি এখন আমার সাথে হসপিটালে যাবে।

— কেন আমি কোথায় ও যাবো না গাড়ি থামান আমি বাড়ি যাবো।

— চুপ করে বসো। আগে ডাক্তারের কাছে যাবো তারপর বাকি জায়গা।

— ডাক্তারের কাছে কেন যাবো আমার তো কিছু হয়নি।( বলেই জ্বিব কাটলাম কথার তালে হাসাকথা বের হয়ে গেল এখন তো আমি শেষ)

— কি বললে কিছু হয়নি মানে।

— আসলে

— তুমি আমাকে মিথ্যে বলেছো।

ফট করে গাড়ি থেমে গেল তাকিয়ে দেখে স্যার রেগে লাল গেছে। মনে হচ্ছে আমাকে চোখ দিয়ে গিলে খাবে আমি তো চোখ দেখেই শেষ এতো সুইট একটা ছেলে তার এতো রাগ ভাবা যায়। স্যার আমার হাত ধরে নিজের দিকে টেনে একদম নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো আমি আর ও অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি। স্যার এমন বিহেভ কেন করছে আমার মাথা আউট হবার উপকম।

— স্যা র কি ক রছে ন কি?

ঠেকে ঠেকে কথা গুলো বললাম স্যার আমাকে এত কাছে নিয়ে ছে যে আমি কথা বলতে পারছি না স্যারের নিশ্বাস আমার মুখে পরছে।

–হুয়াট তুমি আমাকে মিথ্যে বলেছো তোমার কোন ধারনা আছে আমি কতোটা ভয় পেয়ে গেছিলাম। তোমার সাহস কি করে হলো মিথ্যা বলার বলো।

চিৎকার করে বলছে। আমি তার চিৎকার শুনে ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলি।

রাহুল হঠাৎ ছোঁয়া অসুস্থতা কথা শুনে প্রচুর ভয় পেয়ে যায় কি করবে মাথা গরম হয়ে যায়।
গাড়িতে ছোঁয়ার মুখে কথাটা মিথ্যা ছিলো জানার পর আর ও রেগে যায় কারণে ছোঁয়া কে নিয়ে রাহুল অনেক প্রজেটিভ ওর কিছু হলে নিজে বাচতে পারবে না।
রেগে ছোঁয়া কে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়।কিছু বলতে যাবে কিন্তু বলতৃ পারেনা ছোঁয়া ভয় মিশ্রিত মুখ দেখে যা রাহুল কে আর্কষন করে অনেক ছোঁয়া ভয়ে চোখ খিচে বন্ধ করে আছে আর রাহুল রাগ ভুলে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে আছে।
কিছু চুল ছোঁয়া মুখে এসে পরে রাহুল মুচকি হেসে চুল গুলো কানের পিঠে গুজে দেয়। ছোঁয়া কেপে উঠে হঠাৎ ছোঁয়া ঠোটে উপর চোখ পরে প্রচণ্ড আটছে জায়গা টা আর থাকতে না পেরে যেই ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে দেবে।

ছোঁয়া চোখ খুলে তাকায় যখন রাহুল কানের পিঠে চুল গুজে দেয় কেপে উঠে ছোঁয়া অদ্ভুত শিহরিত হয় ওর মন আস্তে আস্তে তাকিয়ে দেখে স্যার ওর ঠোঁটের দিকে এগিয়ে আসছে এটা দেখেই রেগে ধাক্কা দিয়ে ছিটকে দূরে সরে আসে।
আচমকা ধাক্কা খেয়ে চোখ মেলে তাকায় রাহুল ছোঁয়া রেগে তাকিয়ে আছে ওর দিকে। এবার রাহুল বুঝলো ও কি করছিল। না না এটা ভুল করছিলাম আমার সমস্ত প্লান এখন ই শেষ হতে যাচ্ছি লো। কিন্তু কি করবে রাহুল ছোঁয়া ওর কাছে থাকলে ও নিজেকে সামলাতে পারে না।

ছোঁয়া নিজের রুমে শুয়ে আছে রাত বাজে আটটা।

চলবে….

[ ভুলক্রটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন]

Dangerous_Villain_Lover Part 7

0

Dangerous_Villain_Lover
Part 7
#Writer_Tanjina_Akter_Misti

কেউ আমায় জরিয়ে ধরে আছে। আমি তার বুকের মধ্যে আছি কে আমাকে এভাবে আর শক হয়ে কিছুক্ষণ আগে একে নিয়ে ভেবে এসেছিলাম কতো বড় একটা ক্রাশ খেলাম আর এখন তার বুকে আছি। আমি কি কল্পনা দেখছি না না কথা ভেবে চলেছি আমার তার থেকে নিজেকে ছারানোর কথা মনেই নেই হঠাৎ নিচে পরে যাওয়ার অবাক হয়ে তাকালাম সামনের লোকটির দিকে। সাথে রেগে এভাবে কেউ ফেলে ফেলবি যেহেতু ধরলি কেন কানা কোথায় কার বকা দেবার জন্য মুখ খুলতে যাব কিন্তু তাকিয়ে আবার হা হয়ে গেলাম।
” ওফ ” কি সুন্দর লাগছে এতো সুন্দর দূরে দেখে যতটা না লাগছে সামনে আর ও বেশি কিউট একেবারে কিউটের ডিব্বা। চুল গুলো হাত দিয়ে ঠিক করে চোখ থেকে সানগ্লাস খুলে আমার দিকে তাকালো আট্রিডিউট নিয়ে। আমি হা করে তাকিয়ে আছি হঠাৎ কথায় সজ্ঞানে এলাম আর আমার রাগ সাত আসমানের উপরে চলে গেল।

— হো আর ইউ? আমাকে এভাবে জরিয়ে ধরে আছেন কেন সুন্দর ছেলে দেখলেই কি গা ঘেষে থাকতে মন চাই নাকি? ( ভ্রু কুচকে বলল) আর এভাবে হা করে তাকিয়ে আছেন কেন?

আমি তো শক বলে কি ছেলে আমি তাকে জরিয়ে ধরে ছিলাম। কি মিথ্যুক? নিজের ধরে এখন আমাকে বলছে আর কি বলল আমি হা করে তাকিয়ে আছি। রেগে উঠে দাড়ালাম কিছু বলার জন্য।

— কি বললেন আপনি আমি আপনাকে ধরেছি অসম্ভব নিজে আমায় জযিয়ে ধরে ছিলেন আর এখন।

— আমি মিথ্যে কেন বলবো আপনি তো হচ্ছে করে আমার সামনে এসে পরে যাওয়ার নাটক করেছেন যাতে আমার বুকে আসতে পারেন মেযেরা এতো নাটক কী করে যে করে।

— একদম মিথ্যে বলবেন না আপনি আমাকে মিথ্যুক বলছেন।

আর কিছু বলতে পারলাম না কোথায় থেকে জেসি দৌড়ে এলো আমার কাছে আর টেনে নিয়ে যেতে লাগল।

— এই এই আমাকে টানসিস কেন ছার।

— নাহ তা হবে না প্রিন্সিপাল স্যার ক্লাসে আছে চল তারাতারি কই যে যাস কতোক্ষণ ধরে খুজছি জানিস।

রেগে আছি এখন আবার এইসব। একবার ঘুরে পেছনে তাকালাম দেখি লোকটিকে আমার দিকে এক দৃষ্টি তে তাকিয়ে আছে আমি চাওয়া মাএই চোখ পিট দিল আমি তো ফ্রিজ হয়ে গেছে এই লোকটার মতলব কি কিন্তু আর দেখতে পারলাম না জেসি ক্লাসে ঢুকিয়ে দিল।

সিটে বসে আছি সামনে প্রিন্সিপাল স্যার কি কি যে বলে চলেছে কিন্তু আমার সেদিকে খেয়াল নেই। আমার মাথায় ওই কাণ্ড গুলো ঘুর পাক খাচ্ছে কে লোকটা প্রথম কেমন আট্রিডিউট দেখালো আবার চোখ মারলো ঠোট হাসি মানে কি। হঠাৎ টিয়া টেনে দাড় করিয়ে দিলো আর বলতে লাগল।

– ওফ আমি পাগল হয়ে যাব রে ছোঁয়া দেখ কে এসেছে।

আমার মাথা উচু করে ধরলো তাকিয়ে দেখে অসভ্য লোকটা কেমন করে যেন তাকিয়ে আছে আমার দিকে।
আমি তো রেগে আছি একবার পায় আমাকে এভাবে অপমান আবার কথা শুনানো চোখ মারা দেখাবো।

প্রিন্সিপাল স্যার চলে গেছে এনি নাকি আমাদের টিচার সবাই তো হইহোল্লে মেতে গেছে। স্যার তার পরিচয় দিতে লাগল তার নাম রাহুল চৌধুরী। আর ও অনেক কিছু বলেছে কিন্তু আমি কানে নেই নি। একে স্যার হিসেবে পেয়ৈ সবাই ধন্য এমন একটা ভাব টিয়া তো রীতিমতো গুনগান গাইছে আমার কানে কাছে রেগে দিলাম এক ধমক বেচারী ভয়ে একেবারে সটপ আমি আমার সাথে করা সব বলতেছি হঠাৎ……

— স্টান্ডাপ ( হাত উঠিয়ে আমাকে দেখিয়ে ) এই যে তোমাকে।

আমাকে দেখাচ্ছে আমি দাড়ালাম।

— কি কথা হচ্ছে? বলো আমরা ও শুনি একটু। তুমি ও দাড়াও ( টিয়াকে ইশারা করে )

— ( টিয়া ভয়ে ভয়ে দাড়িয়ে গেল)

— স্যার আসলে

— কী আসলে নকলে বলছো ঠিক করে বলো তোমরা দুজন কি গল্প করছিলে।

টিয়া আমার হাত চেপে ধরে আছে। আমি কি বলবো ভাবছি কেমন রেগে জিগ্গেস করছে দেখতে এতো কিউট আর ব্যবহার তখন ঝগড়া করলো আবার চোখ টিপ দিলো আবার এখন ধমকাচ্ছে। ওফ কিমাথায় আছছে না।

— কি হলো কথা বলছো না কেন স্যার যে ক্লাসে আছে তোমাদের কি মাথায় আছে গল্প করে যাচ্ছো। ( রেগে চিৎকার করে )

এদিকে টিয়া তো ধমক শুনেই কেদে দিলো সে কি কান্না আমি জানি ও এমন ও হুপ ফ্রেন্ড সারকেলের সবাই জানে তাই কেউ তেমন একটা মাদা গামাল না কিন্তু স্যার তো মনে হয় অবাক হয়েছে সে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে সে হয়তো ভাবে পনি এমন কিছু হবে।

পরদিন

সবাই বসে আড্ডা দিচ্ছি মেন টপিক্ম রাহুল স্যারকে নিয়ে।

টিয়া: এভাবে স্যার ধমক দিলো আমাকে কাল। এতো সুন্দর দেখতে কোথায় ব্যবহার সুন্দর থাকবে তা না ধমক।

মন খারাপ করে না না কথা বলেই যাচ্ছে আর আভরা শুনে যাচ্ছি।

ছোঁয়া : বুজ আলা এই স্যার কে নিয়ে কতো কথায় না বলেছিলি এন তেন এখন কি হলো।

টিয়া: আমি সারারাত ভরে ভেবেছি এই কথা গুলো। ভেবেছিলাম এর সাথে লাইন মারবো না বাবা এমন রাগি কাউকে চাই না।

ওর কথা শুনে আমরা হাসতে হাসতে শেষ।

কানটিনে বসে আমরা কথা বলছিলাম হঠাৎ রাহুল স্যার ও এসে আমাদের পাশের সিটে বসলো তারপর একটা কফি অর্ডার করে ফোন টিপতে লাগল। আশেপাশের কাউকে দেখছে না আমি তো একবার তাকিয়ে টিয়ার দিকে তাকালাম বেচারি তাকায় নি উঠেই চলে গেল। আমি বসে আছি সাথে জেসি মনে চাদ হাতে পাওয়ার মতো করে বসে আছি কারণে স্যার কি শাস্তি দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু কিভাবে কি করব ভেবে পায় নি এখন সেই সুযোগ করে দিলাম। জেসিকে নিয়ে বেরিয়ে যাবো হঠাৎ স্যার ডাক দিলো জীবনের বড় ভুল করে স্যার ডাকে সারা দিতে গেলাম পেছনে ঘুরে স্যারের কাছে আর আমি নেই।
স্যারের কোলের উপর বসে আছি নিজের জালে নিজেই ফেসে গেলভ কেন যে তার ডাক শুনতে গেলাম। আমার কোমর জরিয়ে কোলের উপর বসিয়ে রেখেছে উঠার জন্য ছটফট করছি। কিন্তু সে আমায়

— আমাকে ফেলার জন্য এসব তাই না এখন তো নিজেই।
বলেই হেসে উঠলো আমি অসহায় চোখে তাকিয়ে আছি। আশেপাশের সবাই রাগি দৃষ্টি তে তাকিয়ে আছে মনে হচ্ছে খেয়ে ফেলবে আমাকে।

— এইকাজের জন্য আপনাকে শাস্তি পেতে হবে।

– সরি স্যার আর এমন ভুল হবে না এবারের মতো মাফ করে দিন।

— নো তোমাকে শাস্তি পেতেই হবে। কিন্তু আজ না কাল দেবো তোমার শাস্তি।

কি শাস্তি দেবে আমায় কে জানে। ভ য়ে আমি তো শেষ কেন যে ওই কাজটা করতে গিয়েছিলাম। কথাগুলো ভেবেই চলেছি আর বাড়ির আসছি আজ গাড়ি নিয়ে যায় নি।

চলবে……

Dangerous_Villain_Lover part 6

0

Dangerous_Villain_Lover
part 6

#Writer_Tanjina_Akter_Misti

ঘরের ভিতরে বসে আছি আম্মু আমাকে একদফা বকা শুনিয়ে দিয়েছে মাথা নিচু করে তার কথা গিলেছি। আমি সহজে চুপ থাকি না আম্মু বকবক করে নিজেই বকা বাদ দিয়ে আমার দিকে সন্দেহের চোখে তাকিয়ে রইলেন কারণ এই পযর্ন্ত আম্মু কখনো বকলে আমি এতো শান্ত মনে হয় কখনো থাকি না। আম্মুকে উল্টো এক কুড়ি কথা শুনিয়ে দেয় আজ তেমন কিছু না করায় আম্মু শক আর আমি সেই শক থাকা আম্মুকে ফেলে রুমে এসে বসে আছি দরজা বন্ধ করে।

আম্মুকে কি বলল আমি তো নিজেই শক হয়ে আছি কে ওই ভিলেনটা আমার পেছনে লেগেছে কেন কি তার উদ্দেশ্যে। আকাশ পাতাল ভেবেই চলেছি কিন্তু কোন কিছু পাচ্ছি না তার এমন বিহেভার দেখে কেমন কালো বিচ্ছির ড্রেস আপ সবার মনে হয়ে কালো তার জম্মগত ড্রেস। হাতে পযর্ন্ত কালো মুজা দিয়ে ঢাকা আর মুখ সেত আমার র্দূভাগ্য পরের বার দেখলে আর চিনবো না রেগে তাকে ভালো করে দেখি নি।
এসব ভেবেই চলেছি হঠাৎ দরজায় ঠোকা পরলো কণ্ঠ আববুর অবাক হলাম কারণ আটটার আগে কখনো আববু বাড়ি আসে না খুব বেশি দরকার হলে সারে সাতটা। আমি দরজা গুলে দিলাম।

কি হয়েছে আমার মামুনির?

কই কিছু না তো আববু কী হবে আমার আমি তো ঠিক আছি।

আমার কথা শুনে আববু আম্মুর দিকে তাকালো এবার আমার মাথায় এলো নিশ্চয়ই তখন ওমন চুপ করে থাকায় আম্মু ভেবেছে আমি মন খারাপ করে আছি তাই আববু ফোন করে এনেছে।
তাই হলো আববু আমাকে রেখে আম্মুকে নিয়ে চলে গেল নিশ্চয়ই এখন আম্মু খাবে বকা কারণে আজ আববু জরুরি মিটিং ছিলো আর আমার কথা শুনতেই সব কানছেল করে চলে এসেছে।
.
.

রাতে
ঘুমের মধ্যে আজ ও মনে হচ্ছে কেউ আমায় খুব কাছে থেকে পযর্বেক্ষণ করছে। হঠাৎ কপালে নরম কিছুর ছোঁয়া ফেলাম সেটা আস্তে আস্তে গাড় হতে লাগলো কপালে থেকে গালে নাকে থোতনায়। গলায় নামতেই আমি নরে উঠলাম অতিরিক্ত মাএায় ঘুম আমার স্পর্শ করছে বুঝতে পারলাম কিন্তু চোখ মেলে তাকাতে পারছি না ঘুমে তারপর তারপর আর মনে নেই ঘুমের দেশে পারি জমালাম।

এলার্মের শব্দে চোখ মেলে তাকালাম কেবল ছয়টা বাজে ফোন হাতে নিয়ে সেই আননোন নাম্বার। সঙ্গে সঙ্গে আবার কল করলাম অবাক করা বিষয় আজ নাম্বারটা খোলা আমাকে আর পায়কে খুশির ঠেলায় উঠে বসলাম অবশেষে খোলা পেয়েছি কে এই লোক খুজে বের করতে হবে কালকের ওই ছেলের কণ্ঠ আমার মনে আছে দেখি ওনি নাকি খুশিতে খুশিতে ফুন কানে নিয়ে আছি। কিন্তু আমার সব আশায় জল ডেলে দিয়ে ফোন কেটে দিলো আর যত বার ফোন করি নো রেসপনস।

কলেজের বটগাছটার নিচে বসে আছি আমি আর জেসি দুজনের মুখে চিন্তার ছাপ।

ওই তুই বাড়িতে জানাস নি?

না,

কেন?

ওই ভিলেন টা বলেছে আববুর ক্ষতি করে দেবে। আর আমি আমার আববুর কোন ক্ষতি হতে দিতে পারি না।

দূর বলে দে সব তোর আম্মু আববু কে ওই লোকটাকে আমার অনেক ভ য় করে কি ভাবে মারলো লোকটাকে। ইস এখনো চোখে ভাসছে দৃশ্য টা কি ভয়ংকর।

হুম
.
.

সব সময় ইদানিং মনে হয় ফলো করে কেউ আমায় বাড়িতে ও তাই মনে হয় ছাদে গেলে ও রুমে বারান্দায় ও কলেজে আসতে ও ভয় করে কি এক জালায় পরলাম আববুর কথা চিন্তা করে কাউকে বলতে ও পারি না। এতো ভয় নিয়ে আর থাকা যায় না বাধ্য হয়ে বন্ধি হলাম ঘরে কোনে কোথায় যাবো না অসহ্য লাগছে সব আববু আম্মু তো চিন্তায় শেষ সারা দিন জিগ্গেস করেই চলেছে। এক সপ্তাহ হলো কলেজে যাই না যেতে ও মন চায় না কিন্তু কেন যাবো না অযথা ভ য় পেয়ে ঘরে বসে থাকলে কোনো সমস্যা সমাধান হবে না এভাবে বসে থাকা উচিত না।
মনে গভীর সাহস নিয়ে চলে এলাম কলেজে কতো দিন মনে হয় আসি নি।
র্অক জিহান জেসি টিয়া ওই দূরে বসে আড্ডা দিচ্ছে আমি ও ওদের কাছে যেতে লাগলাম। এই এক সপ্তাহ কতো ফোন যে করেছে কিন্তু আমি জেসি ছাড়া কারো ফোন রিসিভ করিনি। কারণে জেসি সব জানে ওকে বলে মন হালকা করেছি আর কেউ তো সেদিন কলেজে ও আসে নি তা জানে ও না।

আমি যাওয়ায় সব নতুন বউ এলে যেমন করে সেমন করে তাকিয়ে রইল তারপর শুরু হলো বকা জেসি বাদি সবাই এতো এতো বকা দিলো কখনো আমাকে বকা দিতে পারে না আমি ওদের কান টেনে ছিরি যে কিন্তু আজ ওদের বকা শুনলাম কিছু বললাম না কারণে দোষ আমার ওদের না। সবাই আমার ভার মতো হা হয়ে আছে।

কিরে তুই ঠিক আছিস তো ছোঁয়া?( র্অক)

কেন;

তোকে এতো কিছু বললাম আর তুই চুপ করে রইল।

আমি কিছু বলতে যাবো কিন্তু টিয়ার কথা শুনে বলতে পারলাম না।

এই এই এখন কথা বাদ দিয়ে ছোঁয়া পেছনে তাকা দেখ ছেলেটা কতো কিউট রে আমি তো দেখেই ফিদা। কি হ্যান্ডসাম?

টিয়া বলেই যাচ্ছে টিয়া সব সময় ই এমন করে যেকোনো নতুন ছেলে দেখলেই ওর কাছে পৃথিবীর সেরা ছেলে মনে হয় তাই আমি ওর কথায় কান দিলাম না। ও বেচারি তো গুনগান গাইতে গাইতে চলে গেল আর জেসি সে ফোন ধরে দূরে দাঁড়িয়ে আছে মেয়েটা সব সময় এমনি করে। অর্ক আর জিহানের সাথে কথা বলতে লাগলাম। হঠাৎ টিয়া এসে আমাকে টেনে নিয়ে যেতে লাগল।

ওই দেখ কি সুন্দর ছেলেটা?

বিরক্ত হয়ে তাকালাম। সাদা শার্ট ইন করে পরা উপরে কালো কোর্ট কালো পান্ট হাতে ঘড়ি চোখে সানগ্লাস হাত নেরে একটু পর পর চুল ঠিক করছে গালে চাপ দাড়ি আমি হা হয়ে তাকিয়ে আছি। এই প্রথম কোন ছেলে দেখে আমি আপনা আপনি বলে ফেললাম ক্র‍াশ খেয়েছি রে টিয়া।

টিয়া : বলেছিলাম না দেখছিস কি আট্রিডিউট ওফ আমার যে কি ভালো লাগছে এতো সুন্দর আমি একেই বিয়ে করতে চাই রে আগের সব গুলো কান্সেল।

আমি ওর মাথায় গুতা মেরে বলে উঠলাম…. এমন কতো বাদ দিলে এর পর আর ও সুন্দর কেউ আসলে একে বাদ দিয়ে তাকে ধরবেন।

টিয়া: না না এর থেকে সুন্দর আর আমি দেখিনি রে কি দেখতে রে আমার তো

থাক বোন তুই চুপ থাক আর বলিস না।

টিয়া গাল ফুলিয়ে চলেগেল।

আমি হা করে তাকিয়ে দেখছি সত্যি এতো সুন্দর ছেলে আমি কখনো দেখি নি কিন্তু কেমন একটা চেনা চেনা লাগছে। কিন্তু খেআল আসছে না। সব ভেবে একাই ক্লাসে চলে যেতে লাগলাম নানা কথা ভেবে চলেছি আর হাটছি কখন যে কার সাথে ধাক্কা লেগে পরে যাচ্ছি লাম খেয়ালই নেই হঠাৎ কেউ কোমরে হাত দিয়ে নিজের সাথে জরিয়ে নিলো আমায় আর আমি ভাবনার ছেদ করে তাকালাম তার দিকে আর তাকিয়ে ই ৪৪০ ভোল্টেজের শক খেলাম সে আমাকে তার বুকে চেপে ধরে রেখেছে।

চলবে..

[❤❤❤ঈদ মোবারক❤❤❤
সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতর এর অনেক অনেক শুভেচ্ছা। ]

Dangerous_Villian_Lover part 5

0

Dangerous_Villian_Lover
part 5
#Writer_Tanjina_Akter_Misti

রাহুল ছোঁয়া কে কোলে করে হসপিটালের বাইরে আসতে লাগে। আশেপাশের সবাই অবাক হয়ে দেখছে।

ছোঁয়া : ছারুন আমাকে নিচে নামান বলছি।

রাহুল : ওফ জান এতো নরো না তো তুমিই পরে ব্যাথা পাবে চুপ চাপ থাক তো।

বলেই রাহুল আরও শক্ত করে ধরে ছোঁয়া কে ছোঁয়া রেগে তাকায় রাহুলের দিকে। কিন্তু রাহুল সে দিকে ভূখেপ না করে হাটতে লাগে। রাহুল গাড়ির কাছে আসার সাথে সাথে সবুজ এসে দরজা খুলে দেয় গাড়ির। ( সবুজ রাহুলের দলের একজন )

ছোঁয়া কি করবে ভেবে না পেয়ে আচমকা রাহুলের গলায় জোরে কামড় দিয়ে বসে। হঠাৎ এমন হওয়ায় রাহুলের হাত আলগা হয়ে আসে ছোঁয়া পরে যেতে নিলে ছোঁয়া ভয় পেয়ে রাহুলের গলা ঝাপটে ধরে।

— একি আপনি আমাকে এভাবে ফালাচ্ছেন কেন? ভালো করে নামিয়ে দেন নয়তো আমি পরে ব্যাথা পাবো।

রাহুলের দিকে তাকিয়ে।

— কেন জান পরে ব্যাথা পাবে কেন তুমি তো এই জন্য আমাকে কামড় দিয়েছো এখন আবার ধরে রেখেছো কেন?

— আমি এভাবে পরতে দেয় নি।

কথা বলতে বলতে রাহুল ছোঁয়া কে গাড়ির ভেতরে বসিয়ে দেয়। দরজা লাগানোতে বুঝতে পারে।

— আমাকে গাড়ির ভেতরে বসালেন কেন? আমি বাইরে নামাতে বলেছি।

রাহুল কথা কানে না নিয়ে নিজের সিটে উঠে বসে আর ওর লোকদের জেসিকে নিয়ে আসতে বলে।
ছোঁয়া নানা কথা বলেই যাচ্ছে রাহুল তার উওর না দিয়ে গাড়ি ইস্টাট দেয়। ছোঁয়া নামতেও পারছে না কারণে গাড়ি লক করা।

— কে আপনি আর আমার সাথে এমন কেন করছেন?

— ( রাহুল ছোঁয়ার দিকে তাকিয়ে বাকাঁ হাসলো তারপর ছোঁয়ার হাত একটা নিজের হাতে ভাঝে নিয়ে গাড়ি চালাতে লাগল)

— কি হলো কথা বলছেন না কেন? কে আপনি আমার পেছনে পরেছেন কেন আর এখন আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন। আমি বাড়ি যাবো আমার গাড়ি কোথায়?

— মায়াবতী তুমি এতো প্রশ্ন করলে আমি কোনটির উওর দেবো বলো তো।

— আপনি সব গুলোর উওর দেন আর জেসি কই ওর যদি কোন ক্ষতি করেছেন আপনাকে আমি ছারবো না।

— আমি তো তাই চাই জান তুমি আমাকে কখনো ছেরো না। আর কারো কোন ক্ষতি হবে না বুঝছো এখন চিন্তা বাদ দাও।

— আপনি কি আমাকে মেরে ফেলার জন্য নিয়ে যাচ্ছেন। একটু আগে তো একজনকে মেরে ফেলেন আপনি ভিলেন।

রাহুল সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি ব্রেক করে তারপর ছোঁয়ার হাত ধরে টেনে নিজের কোলের উপর বসিয়ে দেয়। ছোঁয়ার তো অসহ্য লাগছে এসব করায় উঠে আসতে ও পারছে না দুই হাতের মাঝে বন্ধি হয়ে আছে।

— জান কি বলো তুমি আমি তোমাকে মারবো। এটা তো কখনো সম্ভব না তোমার কিছু হলে আমি বাচবো কি করে। তোমার শরীরে তো কেউ ফুলের টোকা ও দিতে পারবো না এই রাহুল যত দিন বেচে আছে।

ছোঁয়ার গালে হাত দিয়ে নরম কণ্ঠে কথা গুলো বলছিল রাহুল। ছোঁয়া এতোক্ষণে খেয়াল করলো ছেলে দেখতে অনেক সুন্দর গালে খোচাখোচা দাড়ি। ফর্সা গায়ের রং আর কালো ড্রেস দেখতে যতটা সুন্দর ড্রেস টা ততোটাই ভিলেন দেও।

রাহুল ছোঁয়ার কপালে একটা কিস করার সাথে সাথে ছোঁয়া ধাক্কা দিয়ে নিজের থেকে দূরে সরিয়ে দেয়।তারপর নিজের সিটে এসে বসে।

— আপনি এতো চিপকে কেন? খালি চুমু দেন।

বলেই কপালে হাত দিয়ে ঘষে লাগল হঠাৎ রাহুলের দিকে তাকিয়ে হাত সরিয়ে নিলো তখন মুছছিল বলে আবার দিছিলো। রাহুল এটা দেখে বাকা হেসে গাড়ি চালাতে লাগে।

ছোঁয়াদের বাড়ির সামনে এসে গাড়ি থামায়। ছোঁয়া তো নিজের বাড়িতে এসে খুশি আত্ম হারা হ য়ে আবার চিন্তিত হয় জেসিকে নিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখে জেসি এখানেই আছে বাইরে দাড়িয়ে ছোঁয়া বের হতে যাবে রাহুল ছোঁয়ার হাত ধরে আটকে দেয়।

একদম নিজের কাছে এনে কোমর জরিয়ে ধরে। বলতে লাগে,,,,,
— মায়াবতী তোমার বাড়িতে আজকের বিষয় কিছুই জানিয়ো না কেমন?

— আপনি বলবেন আর আমি শুনবো অসম্ভব আমি আববুকে সব বলবো।

— না বলবে না।

— বললাম তো বলবো আপনি উপযুক্ত শাস্তি পাবেন।

— জান সে আমার কিছু করতে পারবেনা উল্টো তুমি যদি জানিয়ে দাও তাহলে তোমার আববুর ক্ষতি হয়ে যাবে কিন্তু আমি আমার শশুর মশাইয়ের কিছু করতে চাই না তাই বলতে নিষেধ করছি। আর আমি কি করতে পারি সেটা নিশ্চয়ই শপিং মলে দেখেছো জান।

ছোঁয়া ভয় পেয়ে গেল শপিং মলের কথা মনে করে সবার সামনে লোকটাকে মেরে ফেললো অথচ কেউ কিছু বললো না। ভয়ে ভয়ে রাহুলের দিকে তাকালো।

— প্লিজ আমার আববুর কোনো ক্ষতি করবেন না।

— ওফ জান কেদো না তোমার কান্না আমার সহ্য হয় না। তুমি না বললে আমি কিছু করবো না।

বলেই রাহুল ছোঁয়ার চোখের পানি মুছে দিলো। ঠোটে হালকা করে চুমু দিয়ে সরে এলো।

– যাও আর ফোন দিলে রিসিভ করো।

ছোঁয়া নেমে গেল আর রাহুল চোখে সানগ্লাস পরে চলে গেল।

জেসি: ছোঁয়া তুই ঠিক আছিস?

ছোঁয়া : হুম তুই

জেসি; হ্যা চল সবাইকে সব বলতে হবে।

ছোঁয়া : নাহ

জেসি : মানে

ছোঁয়া : কাউকে কিছু বলা যাবে না।

সব খুলে বলল।

জেসি: কি dangerous এই লোকের হাত থেকে বাচবি কি করে এ যে তোকে সহজে ছারবে না আমি নিশ্চিত।

ছোঁয়া : আমি কিছু জানি না।

ছোঁয়া ভিতরে চলে গেল জেসি আর ভেতরে যায় নি চলে গেছে নিজের বাড়ি।

চলবে…….

Dangerous_Villian_Lover part 4

0

Dangerous_Villian_Lover
part 4
#Writer_Tanjina_Akter_Misti

রাহুল ছোয়া কোলে করেই হসপিটালে ঢুকে। সবাই তো হা করে তাকিয়ে আছে রাহুলের দিকে। কারণ সবাই রাহুলকে চেনে সে যে কতো বড় মাফিয়া সবাই জানে। সবাই রাহুল কে ভয় পায় প্রচুর সাথে এটাও জানে রাহুল কোন মেয়ের সাথে সম্পর্কে নেই। আজ হঠাৎ একটা মেয়ে কোলে করে হসপিটালে আসায় সবাই অবাক হয়ে দেখছে।

ডাক্তার নার্চকে ডাক্তাছে রাহুল পাগলের মতো করছে ডাক্তার তারাতারি তার কেবিনে থেকে বেরিয়ে এলো চিৎকার শুনে। বাইরে এসে রাহুলকে দেখে সে ভয়ে আতকে গেল। সে ভয়ে ভ য়ে দাঁড়িয়ে আছে সামনে আসতে পারছে না হঠাৎ রাহুলের পাশের দুজন গিয়ে ডাক্তারের কাছে এলো।
রাহুল ছোঁয়াকে কেবিনে নিয়ে শুয়ে দিলো। আর রাহুল লোক দুজন ডাক্তার কে টেনে নিয়ে এলো রাহুলের সামনে। রাহুল ডাক্তারকে দেখেই শার্টের কলার ধরে বলতে লাগল……….

— এই তুই আসতে এতো লেট করলি কেন তোর জন্য যদি আমার মায়াবতীর কিছু হয় তাহলে তোকে জানে মেরে ফেলবো।

— বস ছারুন আগে ম্যডামকে দেখতে তো দিন?

রাহুল ছেড়ে দিয়ে আবার ছোঁয়ার পাশে গিয়ে ওর হাত ধরে রইল। ডাক্তার ছোঁয়া কে দেখতে গিয়ে বলল… আপনি যদি একটু সরে বসতেন তাহলে দেখতে সুবিধা হতো।

— কি বললি তুই আমি সরে বসবো?

ডাক্তার ভয়ে আর কিছু না বলে ওইভাবেই দেখতে লাগল…

— তারাতারি বল কি হয়েছে ও চোখ খুলছে না কেন আগে তো অজ্ঞান হলে পানি দিলেই জ্ঞান ফিরতো আজ খুললো না কেন?

— স্যার ওনার তেমন কিছু হয়নি।

— কিছু হয়নি তাহলে চোখ খুলছে না কেন তুই আমাকে মিথ্যে বলছিস না তো..!

— না ওনার শরীর দূবর্ল তাই দেরি হচ্ছে দশ মিনিটের মধ্যে জ্ঞান ফিরে আসবে।

— ঠিক বলছিস তো।

— জি

রাহুল কথাটা শুনে যেন শান্ত হলো। ডাক্তার কে হাতের ইশারায় চলে যেতে বলল। ডাক্তার যেন বাচলো এক ছুটে পালিয়ে গেল আর কিছু ক্ষণ থাকলে ভ য়েই মরে যেতে কি ভয়ংকর। কি ডেস্পারেট কে এই মেয়ে।

.
.

এদিকে

জেসি কে দুইজন লোক ঘিরে রেখেছে। একটু নরতে দিচ্ছে না। দুজনের হাতে বন্দুক ভয়ে জেসির গলা বারবার শুকিয়ে আসছে কিন্তু কিছু বলতে ও পারছে না। বললেই বুঝি গুলি করে দেবো ভয়ে ভয়ে আছে আবার ছোঁয়া জন্য ও চিন্তা হচ্ছে কে এই ছেলে এ তো মাফিয়া সে হঠাৎ ছোঁয়া কে নিয়ে এমন করছে কেন ছোঁয়ার কোন ক্ষতি করবে না তো। কী করে বাচাবো ছোঁয়া কে এরা তো আমাকে নরতেই দিচ্ছে না।
ব্যথ চোখে তাকালো খাচর লোকগুলোর দিকে।

.
.

রাহুল চিন্তা মুক্ত হয়ে তার মায়াবতীর দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। কখন চোখ খুলবে তার মায়াবতী হাত দুটো নিজের হাতের মাঝে ধরে রেখেছে আর একটু পর পর চুমু দিচ্ছে। হঠাৎ দেখলো ছোঁয়ার হাত নরে উঠলো…
রাহুলের খুশি দেখে কে মুখ ডাকতে হবে তার আগে একবার মায়াবতীকে না ছুতে পারলেই নয়। তাই মাথা উচু করে ছোঁয়ার মুখের কাছে নিয়ে নিলো তারপর ছোঁয়া কপালে গালে চুমু একে দিলো।সরে আসতে যাবে ঠোঁটে চোখ পরলো না পারবে না রাহুল ঠোটে চুমু খেতে লাগল…..

ছোঁয়া আস্তে আস্তে চোখ খুলে নিজকে একটা রুমে পায় ধোম বন্ধ হয়ে আসছে তাকিয়ে দেখে একটা অপরিচিত লোক ওকে চুমু দিচ্ছে এটা দেখে ছোঁয়া তো ৪৪০ ভোল্টেজের শক খায় আর সঙ্গে সঙ্গে লোকটাকে ধাক্কা দিয়ে নিজের থেকে সরিয়ে দেয়। তারপর নিজের হাত দিয়ে ঠোট মুছতে থাকে।

রাহুল ছোঁয়া ঠোঁটে চুমু দিচ্ছিলো খেয়াল ই নেই এখন এমন কিছু করতে চায় নি কিন্তু ওর মায়াবতী সামনে থাকলে নিজেকে কন্টোল করতে পারে না। হঠাৎ ধাক্কায় জ্ঞান ফিরল তাকিয়ে দেখে ছোঁয়া আগুন চোখে তাকিয়ে ঠোট মুছছে এটি দেখে রাহুল রেগে যায়।

— এসব কি আর কে আপনি আমাকে এভাবে টাচ করেছেন আপনার সাহস য়ো কম না।

— আমি কে?

— হ্যা কে আপনি বলুন?

— আমি তোমার ভিলেন লাভার!

— হুয়াট

ছোঁয়া তো অবাক হয়ে শুনছে ভিলেন লাভার এটা কোথায় যেন ওহ হ্যা ওই ম্যাসেছের মধ্যে তো এটাই লেখা ছিলো তাহলে কি এই লোকটাই আমাকে ম্যাসেজ করেছে। এসব কথা মিলাচ্ছিল ছোঁয়া আবার কেউ ঠোটে টাচ করলো দেখে ওই লোকটা। ছোঁয়া রেগে ধাক্কাচ্ছে কিন্তু সরাতে পারছে না এতো জোরে ধরে রেখেছে। কিল ঘুসি দিয়ে যাচ্ছে কিন্তু এক চুল পরিমাণ নরাতে পারছে না ছোঁয়া এবার কেদেই দিলো এমন কিছু হওয়ায় চোখ দিয়ে পানি পরছে।

হঠাৎ চোখের পানি পরায় রাহুল সরে আসলো ছোঁয়ার থেকে।

— জান তুমি কাদছো কেন কি হয়েছে?

ছোঁয়ার হাত ধরে চোখ মুছে দিয়ে।

— ডোন্ট টাচ মি; আপনি আমাকে ছুবেন না ছি ছি ছি আমার ঠোঁটটা খেয়ে ফেললেন এভাবে কেউ ধরে।

বলেই ঠোট মুছতে যাবে। রাহুল হাত ধরে ফেলল….. একদম এই কাজটা করো না তাহলে আবার কিস করবো।

— মানে….!

— তুমি ঠোট মুছলে আবার আমার ছুয়া দিয়ে দেবো তাই এটা করা থেকে বিরত থাকো।

ছোঁয়া কান্না বাদ দিয়ে হা করে তাকিয়ে আছে এ কোন সাইকোর পাল্লায় পরলাম রে বাবা। ছোঁয়া জেসর কথা জিগ্গেস করলে রাহুল ওর লোকদের জেসিকে নিয়ে আসতে বলল।

জেসি এসেই ছোঁয়া কে দেখেই দৌড়ে এসে জরিয়ে ধরে বলতে লাগল……

— ছোঁয়া তুই ঠিক আছিস। এই মাফিয়া তোর কোন ক্ষতি করে নি তো।

— করে নি আবার এই লোকটা আমার এই

বলেই চুপ করে গেল। ঠোঁটে কথা বলবে কি করে এদিকে রাহুল তো হা করে তাকিয়ে ছিলো ছোঁয়ার দিকৃ এইবুঝি বলে দেয় কিন্তু না মাথায় বুদ্ধি আছে বললো না।
রাহুল ছোঁয়া দের বাড়ি পৌঁছে দিতে চাইলে ছোঁয়া যাবি না বলে। তাই রাহুল আবার আগের মতো কোলে নিয়ে হাটতে লাগল…..
ছোঁয়া নামার জন্য ছটপট করছে কিন্তু নামতে দিচ্ছে না জোর করে গাড়িতে উঠিয়ে নিলো।

চলবে……

Dangerous_Villain_Lover Part 3

1

Dangerous_Villain_Lover
Part 3
#writer_Tanjina_Akter_Misti

ছোঁয়া যথা রীতি ভয়ে ভয়ে বাড়ি এলো। সব সময়ই মনে হয় কেউ ফলো করছে কিন্তু বুঝতে পারছি না।
পরদিন শুক্রবার তাই কলেজ ওফ। ছোঁয়া তাই আরাম আয়েশ করে শুয়ে আছে আজ আর আগে উঠতে হবে না। হঠাৎ কানের কাছে চিৎকার শুনে তারাতারি উঠে বসলো তাকিয়ে দেখে জেসি।

[ জেসি হলো ছোঁয়ার বেস্ট ফ্রেন্ড ]

রেগে জেসির দিকে তাকিয়ে বলতে লাগল,,,,

— এই ভাবে কেউ চিৎকার করে আমি তো ভয় পেয়ে গেছি! সাথে আমার কানটা ও গেল..

— ঠিক হয়েছে একদম। দেখ কয়টা বাজে তুই এখন ও শুঢ়ে আছিস…..কাল না তোকে বললাম আজ শপিং এ যাব।( রেগে)

— ওহ তাই তো একদম ভুলে গেছিলাম রে সরি তুই দাড়া আমি পাচঁ মিনিটের মধ্যে আসছি।

বলেই দৌড়ে ওয়াশরুমে চলে গেলাম। আমি জানি আর দুই সেকেন্ড এর জন্য দাড়ালে ও আমাকে এক কুড়ি কথা শুনিয়ে দিতো।
.
.
বের হয়ে দেখি জেসি আগুন হয়ে বসে আছে আমাকে দেখেই……….

— এই তোর পাচঁ মিনিট তাই না! ( রেগে ঘড়ি দেখিয়ে)

—( ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি এগারোটা পনেরো বাজে। আমি উঠে দেখেছিলাম পাচঁ মিনিট কম এগারো টা তার মানে বিশ মিনিট পর এসেছি)

আমাকে এক গাদা বকলো আমি কানে হাত দিয়ে শুনতে লাগলাম……

— এই তুই কানে হাত দিয়ে রাখছিস কেন?

— দোস্ত আমার প্রচণ্ড মাথা ব্যাথা করছে এখন যদি এতো চেচামেচি কানে আসে তাহলে আর শপিং এ যেতে পারবো না তাই নিজেকে ঠিক রাখছি।

— কিহ দাড়া তোর মাথা ব্যাথা আমি ছুটাচ্ছি।

বলেই দৌড় দিলো ছোঁয়ার দিকে লেগে গেল তুমুল ঝগড়া। এতো চেচামেচি শুনে ছোঁয়ার আম্মু নিচে থেকে উপরে চলে এলো আর দেখলো দুজনের ঝগড়া। ছোঁয়ার আম্মুর কথা শুনে জেসি শান্ত হয়ে বসে পরলো……..

.
.
.

শপিং মলের সামনে এসে গাড়ি থামলো ছোঁয়া আর জেসি গাড়ি থেকে থেকে নেমে ভিতরে ঢুকে গেল। দুজনে ইচ্ছে মতো শপিং করছে সব ঘুরে ফিরে দেখছে। হঠাৎ সব মানুষ শপিং করা বাদ দিয়ে ভয়ে পালাতে লাগল…..
কেউ কেউ বলছে গুন্ডা এসেছে তারাতারি পালাও সবাই… আমরা ডেস পছন্দ করেছি সেগুলোর প্রাইজ দিতে গেলাম। সে আন্কেল ও বলল এখন আর কিছু বিক্রি করবে না আমাদের কে পালিয়ে যেতে বলল…..
আমার আর জেসির মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে সব পালিয়ে যাব কেন কে এসেছে আর গুন্ডা এসেছে মানে সবাই তাকে এতো ভয় পায় কেন। পুলিশকে ফোন দিলেই তো হয়।

— আপনারা এতো ভয় পাচ্ছেন কেন পুলিশকে ফোন দিন তাহলেই তো হয়।

— ভুলেও এইসব মুখে এনো না তাদের অনেক ক্ষমতা পুলিশ কিছু করতে পারবে না তোমরা বাড়ি চলে যাও।

অনেক করে আন্কেল বলল……..
তাই আমরা চলে আসতে লাগি কিন্তু কথায় আছে না বিপদ যখন আসে তার থেকে পালানো যায় না…. তাই হলো যেখানে দিয়ে বের হবো।
সেখানে পুরো ফিলাপ আমি আর জেসি এসে দেখি গেটের মধ্যে একদল কালো পোশাক পড়া লোক দাড়িয়ে আছে হাতে বন্দুক পুরো ড্রেস কালো দরজা পযর্ন্ত লাইন করে দাঁড়িয়ে আছে। আমি আর জেসি দূরে দাড়িয়ে তা দেখছি আর ভয়ে কাপছি।

হঠাৎ আরেকটা লোক গাড়ি থেকে নামলো সেও কালো ড্রেস পরা দেখে মনে হচ্ছে এদের বস হবে হয়তো তার মুখটা দেখা যাচ্ছে না একটা রুমাল দিয়ে বাধা আমি আর জেসি মুখ দেখার জন্য উকিঁ জুকিঁ মারছি কিন্তু দেখতে পারলাম না।

লোকটা এসে একটা লোকের সামনে দাড়ালো লোকটা মাঝ বয়সী কিছু লোক ওই মাঝবয়সী লোকটাকে গিরে রেখেছে। দুজনের মাঝে কিছু কথা হলো আচমকা ওই মাঝ বয়সী লোকটাকে গুলি করে দিলো ভয়ে আমার হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে একটা না পরপর অনেক গুলো গুলি করে দিল। লোকটা ব্যাথায় চিৎকার করছে কিন্তু সামনের লোকটির মধ্যে কোন মায়া দয়া নেয় পুরো ফূলূর রক্তে ভেসে যাচ্ছে।

.
.

রাহুল হঠাৎ খবর পেয়েছে আসিফের দলের লোকেরা শপিং মলে বম রেখেছে তাই সঙ্গে সঙ্গে সেখান গিয়ে উপস্থিত হয়। আর আসিফের সব চেয়ে কাছের নাদিমকে ধরে এবং বলে কোথায় বম আছে বলতে কিন্তু নাদিয়া বলতে নারাজ তাই রেগে রাহুল ওকে মেরে দেয়।
হঠাৎ জোরে চিৎকার কানে আসে রাহুলের এই কণ্ঠ তো আমার খুব পরিচিত সাইটে তাকিয়ে নিস্তব্ধ হয়ে যায় তার মায়াবতী এখানে কি করছে। ও কি আমাকে খুন করতে দেখেছে রাহুলের ও ভয় করছে হঠাৎ মুখে হাত গেল আর মনে পরলো ও তো মুখ ডেকে এসেছে তার মানে আমাকে দেখে নি। ছোঁয়া চিৎকার করেই পরে যেতে নেই রাহুল তা দেখে হাতের বন্দুক ফেলে দৌড়ে তার মায়াবতীর কাছে দৌড়ে গিয়ে কোমর জরিয়ি ধরে। ততক্ষণে ছোঁয়া চোখ বন্ধ করে ফেলেছে।

— মায়াবতী এই মায়াবতী চোখ খোল কি হয়েছে তোমার।

মুখে হাত দিয়ে ডেকে চলেছে কিন্তু ছোঁয়ার কোন সারা শব্দ নেই। রাহুল ডেকেই যাচ্ছে……

এদিকে আশেপাশের সবাই অবাক চোখে দেখছে রাহুল একটা মেয়ের জন্য এমন ইমোশনাল হওয়ায়। রাহুলের সেদিকে খেয়াল নেই ও আছে ওর মায়াবতীকে নিয়ে ব্যস্ত।
পাশে দাঁড়িয়ে জেসি ও অবাক হচ্ছে কে এই ছেলে ছোঁয়া কে নিয়ে এমন করছে কেন।

.
.
.

হঠাৎ ডাক্তারের কথা মনে পরে আর সঙ্গে সঙ্গে রাহুল ছোঁয়া কে কোলে উঠিয়ে নেয়। তারপর হাটতে লাগে জেসি তো অবাক হয়ে দেখছে এখন সন্দেহ ছোঁয়ার কোন ক্ষতি করবে নাতো পেছনে থেকে জেসি ডেকে চলেছে কিন্তু রাহুল কথা কানেই নিচ্ছে না। হঠাৎ দুজন কালো ড্রেস পরা লোক আমাকে গীরে ধরলো আমি তো ভয়ে শেষ তারা আমাকে নিয়ে গাড়িতে উঠালো এটা অন্য গাড়ি ছোঁয়াকে অন্য গাড়িতে নিয়েছে।

রাহুল গাড়িতে উঠে ছোয়াকে নিজের সাথে জরিয়ে ধরে বসে আছে আর ডেকে চলেছে…….
কিন্তু ছোঁয়া সারা দিচ্ছে না রাহুল ভয় পাচ্ছে। ওর ভায়াবতীর কোন ক্ষতি হবে না তো। নাহ আমার মায়াবতীর কিছু হবে না কিছু না। বলেই ছোঁয়া মুখ বুকে থেকে সামনে এনে সারা মুখে চুমু দিতে লাগল। তারপর আবার বুকে জরিয়ে ধরলো।

হসপিটালে গিয়ে আরেকদফা ঝগড়া বাজিয়ে দিয়েছে রাহুল।

.
.
চলবে……#Dangerous_Villain_Lover
#writer_Tanjina_Akter_Misti
#Part 3
ছোঁয়া যথা রীতি ভয়ে ভয়ে বাড়ি এলো। সব সময়ই মনে হয় কেউ ফলো করছে কিন্তু বুঝতে পারছি না।
পরদিন শুক্রবার তাই কলেজ ওফ। ছোঁয়া তাই আরাম আয়েশ করে শুয়ে আছে আজ আর আগে উঠতে হবে না। হঠাৎ কানের কাছে চিৎকার শুনে তারাতারি উঠে বসলো তাকিয়ে দেখে জেসি।

[ জেসি হলো ছোঁয়ার বেস্ট ফ্রেন্ড ]

রেগে জেসির দিকে তাকিয়ে বলতে লাগল,,,,

— এই ভাবে কেউ চিৎকার করে আমি তো ভয় পেয়ে গেছি! সাথে আমার কানটা ও গেল..

— ঠিক হয়েছে একদম। দেখ কয়টা বাজে তুই এখন ও শুঢ়ে আছিস…..কাল না তোকে বললাম আজ শপিং এ যাব।( রেগে)

— ওহ তাই তো একদম ভুলে গেছিলাম রে সরি তুই দাড়া আমি পাচঁ মিনিটের মধ্যে আসছি।

বলেই দৌড়ে ওয়াশরুমে চলে গেলাম। আমি জানি আর দুই সেকেন্ড এর জন্য দাড়ালে ও আমাকে এক কুড়ি কথা শুনিয়ে দিতো।
.
.
বের হয়ে দেখি জেসি আগুন হয়ে বসে আছে আমাকে দেখেই……….

— এই তোর পাচঁ মিনিট তাই না! ( রেগে ঘড়ি দেখিয়ে)

—( ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি এগারোটা পনেরো বাজে। আমি উঠে দেখেছিলাম পাচঁ মিনিট কম এগারো টা তার মানে বিশ মিনিট পর এসেছি)

আমাকে এক গাদা বকলো আমি কানে হাত দিয়ে শুনতে লাগলাম……

— এই তুই কানে হাত দিয়ে রাখছিস কেন?

— দোস্ত আমার প্রচণ্ড মাথা ব্যাথা করছে এখন যদি এতো চেচামেচি কানে আসে তাহলে আর শপিং এ যেতে পারবো না তাই নিজেকে ঠিক রাখছি।

— কিহ দাড়া তোর মাথা ব্যাথা আমি ছুটাচ্ছি।

বলেই দৌড় দিলো ছোঁয়ার দিকে লেগে গেল তুমুল ঝগড়া। এতো চেচামেচি শুনে ছোঁয়ার আম্মু নিচে থেকে উপরে চলে এলো আর দেখলো দুজনের ঝগড়া। ছোঁয়ার আম্মুর কথা শুনে জেসি শান্ত হয়ে বসে পরলো……..

.
.
.

শপিং মলের সামনে এসে গাড়ি থামলো ছোঁয়া আর জেসি গাড়ি থেকে থেকে নেমে ভিতরে ঢুকে গেল। দুজনে ইচ্ছে মতো শপিং করছে সব ঘুরে ফিরে দেখছে। হঠাৎ সব মানুষ শপিং করা বাদ দিয়ে ভয়ে পালাতে লাগল…..
কেউ কেউ বলছে গুন্ডা এসেছে তারাতারি পালাও সবাই… আমরা ডেস পছন্দ করেছি সেগুলোর প্রাইজ দিতে গেলাম। সে আন্কেল ও বলল এখন আর কিছু বিক্রি করবে না আমাদের কে পালিয়ে যেতে বলল…..
আমার আর জেসির মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে সব পালিয়ে যাব কেন কে এসেছে আর গুন্ডা এসেছে মানে সবাই তাকে এতো ভয় পায় কেন। পুলিশকে ফোন দিলেই তো হয়।

— আপনারা এতো ভয় পাচ্ছেন কেন পুলিশকে ফোন দিন তাহলেই তো হয়।

— ভুলেও এইসব মুখে এনো না তাদের অনেক ক্ষমতা পুলিশ কিছু করতে পারবে না তোমরা বাড়ি চলে যাও।

অনেক করে আন্কেল বলল……..
তাই আমরা চলে আসতে লাগি কিন্তু কথায় আছে না বিপদ যখন আসে তার থেকে পালানো যায় না…. তাই হলো যেখানে দিয়ে বের হবো।
সেখানে পুরো ফিলাপ আমি আর জেসি এসে দেখি গেটের মধ্যে একদল কালো পোশাক পড়া লোক দাড়িয়ে আছে হাতে বন্দুক পুরো ড্রেস কালো দরজা পযর্ন্ত লাইন করে দাঁড়িয়ে আছে। আমি আর জেসি দূরে দাড়িয়ে তা দেখছি আর ভয়ে কাপছি।

হঠাৎ আরেকটা লোক গাড়ি থেকে নামলো সেও কালো ড্রেস পরা দেখে মনে হচ্ছে এদের বস হবে হয়তো তার মুখটা দেখা যাচ্ছে না একটা রুমাল দিয়ে বাধা আমি আর জেসি মুখ দেখার জন্য উকিঁ জুকিঁ মারছি কিন্তু দেখতে পারলাম না।

লোকটা এসে একটা লোকের সামনে দাড়ালো লোকটা মাঝ বয়সী কিছু লোক ওই মাঝবয়সী লোকটাকে গিরে রেখেছে। দুজনের মাঝে কিছু কথা হলো আচমকা ওই মাঝ বয়সী লোকটাকে গুলি করে দিলো ভয়ে আমার হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে একটা না পরপর অনেক গুলো গুলি করে দিল। লোকটা ব্যাথায় চিৎকার করছে কিন্তু সামনের লোকটির মধ্যে কোন মায়া দয়া নেয় পুরো ফূলূর রক্তে ভেসে যাচ্ছে।

.
.

রাহুল হঠাৎ খবর পেয়েছে আসিফের দলের লোকেরা শপিং মলে বম রেখেছে তাই সঙ্গে সঙ্গে সেখান গিয়ে উপস্থিত হয়। আর আসিফের সব চেয়ে কাছের নাদিমকে ধরে এবং বলে কোথায় বম আছে বলতে কিন্তু নাদিয়া বলতে নারাজ তাই রেগে রাহুল ওকে মেরে দেয়।
হঠাৎ জোরে চিৎকার কানে আসে রাহুলের এই কণ্ঠ তো আমার খুব পরিচিত সাইটে তাকিয়ে নিস্তব্ধ হয়ে যায় তার মায়াবতী এখানে কি করছে। ও কি আমাকে খুন করতে দেখেছে রাহুলের ও ভয় করছে হঠাৎ মুখে হাত গেল আর মনে পরলো ও তো মুখ ডেকে এসেছে তার মানে আমাকে দেখে নি। ছোঁয়া চিৎকার করেই পরে যেতে নেই রাহুল তা দেখে হাতের বন্দুক ফেলে দৌড়ে তার মায়াবতীর কাছে দৌড়ে গিয়ে কোমর জরিয়ি ধরে। ততক্ষণে ছোঁয়া চোখ বন্ধ করে ফেলেছে।

— মায়াবতী এই মায়াবতী চোখ খোল কি হয়েছে তোমার।

মুখে হাত দিয়ে ডেকে চলেছে কিন্তু ছোঁয়ার কোন সারা শব্দ নেই। রাহুল ডেকেই যাচ্ছে……

এদিকে আশেপাশের সবাই অবাক চোখে দেখছে রাহুল একটা মেয়ের জন্য এমন ইমোশনাল হওয়ায়। রাহুলের সেদিকে খেয়াল নেই ও আছে ওর মায়াবতীকে নিয়ে ব্যস্ত।
পাশে দাঁড়িয়ে জেসি ও অবাক হচ্ছে কে এই ছেলে ছোঁয়া কে নিয়ে এমন করছে কেন।

.
.
.

হঠাৎ ডাক্তারের কথা মনে পরে আর সঙ্গে সঙ্গে রাহুল ছোঁয়া কে কোলে উঠিয়ে নেয়। তারপর হাটতে লাগে জেসি তো অবাক হয়ে দেখছে এখন সন্দেহ ছোঁয়ার কোন ক্ষতি করবে নাতো পেছনে থেকে জেসি ডেকে চলেছে কিন্তু রাহুল কথা কানেই নিচ্ছে না। হঠাৎ দুজন কালো ড্রেস পরা লোক আমাকে গীরে ধরলো আমি তো ভয়ে শেষ তারা আমাকে নিয়ে গাড়িতে উঠালো এটা অন্য গাড়ি ছোঁয়াকে অন্য গাড়িতে নিয়েছে।

রাহুল গাড়িতে উঠে ছোয়াকে নিজের সাথে জরিয়ে ধরে বসে আছে আর ডেকে চলেছে…….
কিন্তু ছোঁয়া সারা দিচ্ছে না রাহুল ভয় পাচ্ছে। ওর ভায়াবতীর কোন ক্ষতি হবে না তো। নাহ আমার মায়াবতীর কিছু হবে না কিছু না। বলেই ছোঁয়া মুখ বুকে থেকে সামনে এনে সারা মুখে চুমু দিতে লাগল। তারপর আবার বুকে জরিয়ে ধরলো।

হসপিটালে গিয়ে আরেকদফা ঝগড়া বাজিয়ে দিয়েছে রাহুল।

.
.
চলবে……

Dangerous_Villian_Lover part 2

1

Dangerous_Villian_Lover part 2
#Writer_Tanjina_Akter_Misti

আমার ধুম বন্ধ হয়ে আসছে কিন্তু ছারার কোন নাম ও নিচ্ছে না। হঠাৎ ছেড়ে দিলো এতো টাই ক্লান্ত হয়ে পরেছি যে ঠাস করে বিছানায় পরে গেলাম কে ওই ছেলে আর দেখার শক্তি নেই আমার আর কিছু মনে নেই।
.
.

এদিকে অচেনা ছেলেটি এভাবে ছোঁয়ার পরে যাওয়াতে একটু ভয় পেয়ে যায়। ও ছোঁয়ার কাছে গিয়ে আস্তে আস্তে ডাকতে লাগে না কোন সারা শব্দ নেই। পালস চেক করে দেখে না সব তো ঠিক আছে এ তো মনে হচ্ছে ঘুমাচ্ছে কিন্তু এই ভাবে কেউ ঘুমায়। বলেই বাকাঁ হাসি দিল এইসব আমার মায়াবতীর ধারায় সম্ভব।

লোকটি এক ধ্যানে ছোঁয়ার দিকে তাকিয়ে আছে,,, যত দেখি শুধু দেখতেই মন চাই কি আছে এই মুখে কেন এতো নেশা লাগে যত দেখি মনে হয় এই তো প্রথম দেখছি। ছোঁয়ার চুল গুলো উড়ে আসে মুখের উপর অচেনা লোকটি খুব যত্ন সহকারে চুল গুলো কানের পেছনে গুজে দেয়।

প্রতিদিন রাতেই এভাবে ছোঁয়ার রুমে আসে অচেনা লোকটি ভোরের আগে আবার চলে যায়। আজ তাই হলো ভোর হতেই লোকটি ছোঁয়ার কপালে একটা ভালোবাসার পরশ দিয়ে চলে যায়।

.
.

সকালে—>

ছোঁয়া ফোনের মেসেজ আসায় জেগে যায় ফোন হাতে নিয়ে দেখে একটা সেই নাম্বার এই নাম্বার টা থেকে এক সপ্তাহ ধরে সকালে আর রাতে নিদিষ্ট টাইমে মেসেজ আসে আজ ও তাই হলো ছোঁয়া ভাবতে লাগল কে হতে পারে যত বার ফোন দিয়েছে নাম্বার টায় বন্ধ পেয়েছে। হঠাৎ রাতের কথা মনে পরলো আর সঙ্গে সঙ্গে ছোঁয়া ভয়ে কুকড়ে উঠলো,,,,,

কে ছিলো? কে এসেছিল কয়েকদিন ধরে আমার মনে হচ্ছিল কেউ হয়তো আমাকে খুব কাছে থেকে দেখে কিন্তু কোন প্রমাণ পায় নি। তাই সব সময় মনের ভুল ধারনা ভেবেছি কিন্তু কাল তো তাকে আমি অনুভব করেছি। এটা ঠিক দেখতে পারনি কিন্তু সে আমাকে টাচ করেছে হঠাৎ ছোঁয়ার হাত ঠোটে চলে গেল আর সাথে সাথে চিৎকার করে উঠল,,,,
.
.

?ছোঁয়ার বাবা মাহমুদ হোসেন অনেক বড় বিজনেস ম্যান। সবাই যাকে এক নামে চেনে আর ছোঁয়ার মা তাহমিনা আক্তার হাউজওয়াইফ। ছোঁয়া ইন্টার সেকেন্ড ইয়ার এ পরে পড়া লেখার মুটামুটি খুব একটা ভালো না। কিন্তু দেখতে মাশাআল্লাহ অনেক সুন্দর যেমন মাথা ভর্তি ঘন কালো চুল। গায়ের রং একদম ফর্সা,, লম্বা পাচঁ ফুট। ছোঁয়া অনেক চজ্ঞল টাইপের মেয়ে শান্ত খুব কম থাকে আর অনেক রাগী। মাহমুদ আর তাহমিনা বেগমের চোখের মনি ছোঁয়া মেয়েকে অসম্ভব ভালোবাসা। যখন যা চায় সব দেয় কোন ইচ্ছে অপূর্ণ রাখেনা।?

.
.

ছোঁয়ার মা রান্না ঘরে রান্না করতেছিল হঠাৎ মেয়ের এমন চিৎকার শুনে দৌড়ে এলো। ছোঁয়ার বাবা রুমে ছিলো অফিসের জন্য রেডি হচ্ছিল মেয়ের চিৎকার শুনে ভয় পেয়ে নিজে ও সব বাদ দিয়ে আসে।

— আমার মামুনির কি হয়েছে?( আববু )

— আববু ( ভয়ে কথা বলতে পারছে না)

— কি হয়েছে বলো তোমার কি চাই বল একবার আমি তাই এনে দেবো?( ছোঁয়ার পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে)

— ( ছোঁয়া ও ওর আববু কে জরিয়ে ধরে ) সব খুলে বলে।

ছোঁয়ার আম্মু পাশেই থাকে বাবা কাছে থাকলে যে সে কখনোই কাছে ঘেষতে পারেনা। সব শুনে ছোঁয়া বাবা যাও একটু বিশ্বাস করতেছিল কিন্তু ছোঁয়ার মার কথা শুনে আর পারলো না।

— ছোঁয়া আমার বিশ্বাস তুমি সপ্ন দেখেছো এমন কখনো হয় নাকি। আমাদের বাড়িতে কতো জন দাড়োয়ান তুমি তো জানে কাক পক্খি ও বাড়িতে ঢুকতে পারবে না। তুমি অযথা ভয় পাচ্ছো!( আম্মু)

— না আম্মু আমি অযথা ভয় পাচ্ছি পা ” বিলিভ মি” আমি সত্যি বলছি আববু তুমি বিশ্বাস করো তো আমার কথা আমি একটু ভুল বলছি না কেউ আসছিল আমার রুমে।( ছোঁয়া )

— মামুনি আমি তোমাকে বিশ্বাস করো কিন্তু এই মূহুর্তে আমার তোমার আম্মুর কথাটাই ঠিক মনে হচ্ছে। তুমি নিশ্চয়ই ভুল দেখেছো কেউ কিভাবে আসবে ভাবো।

দুজন মিলে ছোঁয়া কে অনেক কিছু বুঝিয়ে বলে গেল। যে ছোঁয়া ধারনা ভুল ছোঁয়া বসে ভাবছে। আমি কি এতোটাই ভুল দেখলাম ওফ দেখি নি তো অনুভব করেছি। ছোঁয়ার ঠোঁটে কথা মনে পরে গেল সঙ্গে সঙ্গে আয়নার সামনে গেল হুম ঠোট লাল হয়ে আছে আর মানে আমার ধারনা ভুল না সত্যি কেউ ছিলো কিন্তু কে সে।
আববু আম্মু তো আমার কথা বিশ্বাস ই করলো না। কি করে বিশ্বাস করাবো তাদের হঠাৎ কলেজের কথা মনে পরে গেল কাল ক্লাস করতে পারিনি আজ তো যেতে হবে সব চিন্তা বাদ দিয়ে রেডি হয়ে নিলো।
নিচে এসে হালকা খাবার খেয়ে বেরিয়ে পরলো গেট দিয়ে বের হয়ে হাটছে আর ভাবছে কথা গুলো হঠাৎ মনে হচ্ছে কেউ আমার পেছনে পেছনে আসছে। ছোঁয়া পেছনে তাকালো দেখার জন্য না কেউ নেই কিন্তু আমার কেন মনে হচ্ছে কেউ আমাকে সব সময় ছায়ার মতো ফলো করছে।
আবার তাকালো মনে হলো কেউ সলে গেল এখন ছোঁয়া ভয় করছে না আর হেটে যাব পা কাল থেকে গাড়ি নিয়ে আসবো। এসব ভেবেই কলেজে ঢুকে গেল ছোঁয়া।

.
.

এদিকে গাছের আড়াল থেকে বেরিয়ে ভাবতে লাগলো আমার মায়াবতীর মাথায় তো অনেক বুদ্ধি কতো বার পেছনে ফিরেছে। একটু জন্য আজ ধরা পরা থেকে বেচে গেছি আর একটু হলেই ধরা পরে যেতাম। হঠাৎ ফোন বেজে উঠলো,,,,

— হ্যালো

— বস শফিক কে ধরেছি আপনি তারাতারি চলে আসেন?

— হুম ( বাকাঁ হেসে)

.
.

? এই হচ্ছে রাহুল মাফিয়া বস সমস্ত গুন্ডারা যার ভয়ে কাপেঁ। সবাই রাহুল কে দেখলে ভাথা নিচু করে থাকে প্রচণ্ড রাগি আর বদমেজাজি রাহুল। সব সময় রাগি ভুড নিয়ে থাকে যে কখনো ভুলের জন্য ক্ষমা করে না তার কাছে ভুলের একটাই শাস্তি মৃত্যু। রাহুল দেখতে পুরো হিরো সব মেয়ের ক্রাশ যাকে বলে একবার কথা বলার জন্য হাজার হাজার মেয়ে লাইন ধরে থাকে কিন্তু রাহুলের তাতে কোন ইন্টারেস্ট নেই। রাহুলের উচ্চতা ৬ ফুটের উপরে,,, গায়ের রং দবদবে ফর্সা গালে খোচাখোচা দাড়ি।?

কথা শেষ করে রাহুল গাড়ির কাছে এসে দাড়ালো একজন এসে মাথা নিচু করে গাড়ির দরজা খুলে দিলো রাহুল গাড়িতে গিয়ে বসলো।
বাগান বাড়ি এসে গাড়ি থামলো দরজা খুলে বেরিয়ে এলো রাহুল। সবাই মাথা নিচু করে ফেললো রাহুল কে দেখে রাহুল কালো শার্ট কালো ফান্ট কালো পা পযর্ন্ত লম্বা একটা কোট পরে আছে চোখে কালো সানগ্লাস।

রাহুল কে দেখেই পিয়াস দৌড়ে এলো।

— বস?

রাহুল সোজা রুমে ঢুকে গেল। একটা চেয়ার এ হাত পা বেধে রেখেছে শফিককে। রাহুল যাওয়া সাথে সাথে ভয়ে ওর আত্মা কেপেঁ উঠলো ও যানে রাহুল কতো টা ভয়ংকর ভুল করলে কোন ক্ষমা নেই আর বিশ্বাস ঘাতককে তো একেবারে র্নিশেষ করে দেয়। রাহুল নিজের বসার জায়গায় গিয়ে বসে পরলো পায়ের উপর পা তুলে তারপর চোখে থেকে সানগ্লাস টা খুলে পাশের টেবিলে রাখলো তারপর কোটের পকেটে থেকে তিনটা বন্দুক বের করলো সে গুলো ও টেবিলের উপর রেখে একটা বন্দুক হাতে নিয়ে এদিকে ওদিকে ঘুরাতে লাগল,,,

হাতে ইশারায় শফিকের মুখের বাধন খুলে দিতে বলল,,

— বস এবারে মতো ক্ষমা করে দেন। আর কখনো এমন ভুল করবু না?

— তুই জানিস না রাহুল কাউকে দ্বিতীয় হুযোগ দেয় না বিশেষ করে বিশ্বাস ঘাতককে তো নয় ই। তুই আমার দলের হয়ে আসিফের সাথে হাত মিলিয়েছিলি আমার খবরাখবর পৌঁছে দিয়েছত তোর একমাত্র শাস্তি মৃত্যু।

বলেই বাম হাতে বন্দুক নিয়ে ঝাজড়া করে দেয় শফিকের বুক।
শফিক রাহুলের লোক ছিলো কিন্তু শফিক আসিফের হাত মিলিয়ে রাহুলের ক্ষতি করতে চেয়েছিল তাই এই শাস্তি পেত হলো তাকে।

— লাস টা গুম করে দাও।

পিয়াসের দিকে তাকিয়ে।

রাহুল সব গুলো বন্দুক আবার পকেটে বরে নেয় তারপর সানগ্লাস টা চোখে পরে বেরিয়ে যায়।

চলবে………

Dangerous_Villien_Lover part 1

0

Dangerous_Villien_Lover part 1
#Writer_Tanjina_Akter_Misti

ছোঁয়া কলেজে যাচ্ছিল বাড়ি থেকে পাঁচ মিনিটের রাস্তা তাই হেটেই যাচ্ছে। হঠাৎ পেছনে থেকে কেউ ওরনা টেনে ধরলো রেগে পেছনে তাকানোর আগেই এতো জোরে টান মারলো যে ওরনা ওর শরীরের রইল না রাস্তায় তো আর মানুষ কম থাকে না লজ্জায় কুকড়ে উঠলো ছোঁয়া। ব্যাঘ কাধেঁ থেকে নামিয়ে বুকে চেপে পেছনে ঘুরার আগেই গুলির শব্দ কানে ভেসে এলো তরিৎ গতিতে পেছনে তাকিয়ে নিস্তব্ধ হয়ে গেল ছোঁয়া।

ওর সামনে একজন পরে আছে শরীরে রক্তে মাখা ভয় চোখে তাকিয়ে আছে। ছোঁয়া ছোট থেকেই রক্তে প্রচুর ভয় পায়। সামনে তাকালো কে এই কাজ করলো কে মারলো ছেলটাকে সামনে তাকিয়ে দেখলো একটা কালো গাড়ি সঙ্গে সঙ্গে গাড়িটা চলে গেল। ছোঁয়া হতবাক হয়ে চলে যাওয়া দেখলো কে ছিলো গাড়িতে আর সে কেন বা মারলো লোকটাকে হঠাৎ লোকটার হাতের দিকে চোখ গেল।

এটা তো আমার ওরনা তাহলে এই ছেলেই আমার ওরনা টেন ধরছিল কে এ ছেলে আর কে বা ওই গাড়িতে ছিলো। হ্যা ছেলেটা আমার ওরনা ধরে অপরাধ করেছে কিন্তু তাকে এভাবে মরতে দেখে ছোঁয়ার প্রচুর কষ্ট হচ্ছে আবার ভয় ও এতো রক্ত বের হচ্ছে প্রথমে কমই ছিলো এখন আর ও বেরে যাচ্ছে আশেপাশের লোক চিৎকার করতে করতে এদিকে আসছে।

এতো রক্ত দেখে ছোঁয়া নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারলো না সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান হারালো। পরে যাওয়ার সময় মনে হলো কেউ ওকে নিজের বাহুডোরে জরিয়ে নিলো কিন্তু তার মুখটা দেখতে পেলাম না কারণ তখন আমার চোখ অন্ধকারময় হয়ে গেছে। কিছু কথার আওয়াজ কানে এসেছে।

.
.

চোখ খুলে নিজেকে বেডরুমে পেলাম। আমার মাথার কাছে আম্মু বসে আছে আমি মিটিমিটি করে তাকিয়ে পুরো ঘর চোখ বুলালাম,,,,

তা দেখে আম্মু জিগ্গেস করলো,,,, কি হয়েছে কাউকে খুজছিস।

— আম্মু আমি বাড়িতে কিভাবে আসলাম!

— একটা ফোন আসছিল তোর আববুর নাম্বারে যে তুই রাস্তা অজ্ঞান হয়ে গেছিস সেই খবর পেয়ে তোর আববু অফিস থেকে ছুটে চলে আসে।

হুম আমি জ্ঞান হারিয়ে ছিলাম মনে আছে কিন্তু তখন আমাকে জরিয়ে ধরলো কে সে আমাকে বলছিল,,,
জান তোমার কি হয়েছে চোখ খুল প্লিজ চোখ খুল তোমার কিছু হতে পারে না।
অনেক মায়া সেই কথায় মনে হয়েছে খুব আপন কেউ বলছে কথা গুলো কিন্তু তাকে আমি দেখতে পারি নি সে কে।

— কি রে কি ভাবছিস?

আম্মুকে কিছু বললাম না,, কিছু না আম্মু?

আম্মু আমাকে জিগ্গেস করলো ওই ছেলের কিভাবে মারা গেল আমি আবার চিন্তায় পরে গেলাম সত্যি তো কিভাবে কেন কে মারলো লোকটাকে আম্মু কে জানি না বলে দিলাম।

আম্মু দুধ নিয়ে এলো আমার জন্য সব চিন্তা বাদ দিয়ে দুধ না খাওয়া নিয়ে যুদ্ধ করতে লাগলাম। আমার সব চেয়ে না পছন্দের জিনিস হচ্ছে দুধ অনেক বলেও আম্মুকে থামাতে পারলাম না জোর করে খাইয়ে ছারলো।

রাতে কথাগুলো ভাবছি কে ছিলো ওই গাড়িতে আর সে এই ছেলেটাকে মারলোই বা কেন আমার সাথে মিসবিভের জন্য আমি আর তো কোন দোষ দেখছি না।
অনেক ক্ষণ ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পরলাম।

ঘুমের ঘুরে মনে হচ্ছে খুব নরম কিছু ছোঁয়া আমার কপালে গালে, আস্তে আস্তে সারা মুখে পাচ্ছি। আচমকা চোখ খুলে তাকালাম রুমে পুরো অন্ধকার হাত বাড়িয়ে ফোন খুজছি হঠাৎ একটা ছায়া দেখতে পেলাম যেটা আমার পাশে এসে বসলো আমি সঙ্গে উঠে ভালো করে ফোন খুজছি যেই আলো জালাতে যাবো ছায়াটা আমার হাত থেকে ফোন নিয়ে নিলো।

এবার আমি সিউর কেউ আছে এ ঘরে কিন্তু কে আমি ভয়ে কথা বলতে পারছি না তবুও অনেক কষ্টে কে বললাম কিন্তু কোন সারা শব্দ নেয়।

আমি চিৎকার করতে যাবো হঠাৎ একটা হাত আমার মুখ চেপে ধরলো ভয়ে আমি ঘেমে একাকার। এতো ভয় জীবনে আজই ফাস্ট পাচ্ছি। ভয়ে কান্না করে দিলাম।

— চিৎকার করো না সবাই তাহলে জেগে যাবে মায়াবতী।

আমি উম উম করছি।

হঠাৎ আমার মুখে থেকে হাত সরিয়ে নিলো আমি তো আর একটু হলে মরেই যেতাম জোরে জোরে শ্বাস নিতে লাগলাম,,,,

কিছু বলবো তার আগে এমন কিছু করবে আমি শক হয়ে আছি এতোটাই শক হয়েছি যে নরতে ভুলে গেছি যখন বুঝতে পারলাম,, কিল গুসি দিতে লাগলাম কিন্তু ছারছেই না।

চলবে……….?