Friday, July 11, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 1898



Dangerous_Villain_Lover part 20

0

Dangerous_Villain_Lover
part 20
#Writer_Tanjina_Akter_Misti

ম্যাসেজ টা করেছে টিয়া আর যা লেখেছে তা দেখে আমার পায়ের নিচে থেকে মাটি সরে গেল। টিয়া লিখেছে ” ছোঁয়া তুই আমাদের রেখেই এনংগেজমেন্ট করে নিচ্ছিস ছি ছি একবার বললি ও না। এভাবে ভুলে গেলি একসিথে পড়া শেষ তোর ভুলা ও শেষ আমি তোকে এমন ভাবি নি । জানতেই তো পারতাম না বাই এনি চান্জ আমি রিফাত ভাইয়ার সাথে এড ছিলাম ওনি পোস্ট না করলে তো জানতেই পারতাম না আমাদের ছোঁয়া কাল বাদে পরশু এনংগ্রেজমেন্ট ”
টিয়ার মেসেজ দেখে যেন আমি আসমান থেকে পরলাম আমার এনংগ্রেজমেন্ট আর আমি ই জানি না। কি বলছে ও ও কি পাগল হল নাকি আর কি বলছে ভাইয়া পোস্ট করেছে মানে কি আগে করেছিল নাকি এখন। ভেবে চিন্তা ফেসবুকে ঢুকলাম আর ভাইয়ার আইডিতে ঢুকে আমার চোখ চরক গাছ এটা তো কাল রাতে পোস্ট করেছে। কিন্তু কেন ভাইয়া কি পাগল হলো নাকি ভাইয়া কে তো রাহুলের ব্যাপারে সব বলেছি তবুও এসব কি? মাথা কাজ করছে না কাল ভাইয়া এই পোস্ট কি করে করলো মাথা টা গেল নাকি অন্য কিছু ভাইয়া কি তাহলে বিয়ে বন্ধ করে নি কিন্তু কেন? আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি জেনে ও কিভাবে আমাকে নিয়ে এসব লিখেছে আর ভালোবাসি কেন লিখেছে?
মাথা কাজ করছে না কি করবো বুঝে উঠতে পারছি না ফোন হাতে নিয়ে ভাইয়া কে কল করলাম কিন্তু নাম্বার বিজি দরকারে কিছু হয় না। কিন্তু আমার তো এখন না জেনে শান্তি নেই।
আচ্ছা আববুর কাছে গিয়ে কি শুনবো দূর আববুর কাছে কি করে জানতে চাইবো।

চিন্তা নিয়ে আর থাকতে না পেরে উঠে আববু কাছে গিয়ে বসলাম আববু আজ অফিসে যাচ্ছে না শুনলাম কিছু কার্ড নিয়ে বসেছে। আমি যেতেই কার্ড লেখা বাদ দিয়ে আমাকে কাছে ডেকে বসালো। আর যা বলল তা শুনে আমার চোখে পানি চলে এলো ভাইয়া নাকি বলেছে তারাতারি এনংগ্রেজমেন্ট করে বিয়ের দিন ও ঠিক করে ফেলতে তাই এতো তারাহুরা। কিন্তু ভাইয়া এসব কেন করছে আমি তো বলেছি আমি রাহুল কে ভালোবাসি তাহলে ভাইয়া আমার সাথে এমন বাজে বিহেভ এমন কিছু কি করে করতে পারছে ভাইয়াকে এর জবাব দিতেই হবে। আববু আমায় কাদতে দেখে ইমোশনাল হয়ে গেল আর ভাবলো আমার বিয়ে হয়ে চলে যাবো তাই কাদছি না না কিছু বলে কপালে চুমু খেলো আমি চুপ করে রেগে আছি।

রুমে এসে আবার ফোন দিলাম কিন্তু ভাইয়া ফোন ধরছে না। নিজেকে এতো অসহায় লাগছে বলে বুঝাতে পারবো না মরে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে । ভাইয়া আমার সাথে এসব কি করে করতে পারছে। সারাদিন আর ভাইয়ার সাথে যোগাযোগ করতে পারলাম না। বিকেলে ভনে হলো রাহুল আমাকে সারাদিন ফোন লিলো না কেন প্রতিদিন তো কতো বার আর আজ একবার ও দিলো না।

হঠাৎ ফোন বেজে উঠলো হাতে নিয়ে দেখি ভাইয়া তারাতারি রিসিভ করে ভাইয়াকে বলতে না দিয়ে আমি বলতে লাগলাম।

— এসব কী ভাইয়া তুমি বিয়ে না আটকিয়ে আর এগিয়ে আনলে কেন? আমি তোমাকে বলেছি না আমি রাহুল কে ভালোবাসি তুমি তাও এই বিয়ে নিয়ে কিভাবে ভাবতে পারছো। আমি তোমাকে একজন ভাই ভাবি এর থেকে বেশি কিছু না প্লিজ বিয়ে টা ভেঙে দাও তুমি ও তো আমাকে বোন মানো আমাকে কি তুমি বউ হিসেবে মানতে পারবে পারবে না । আমরা কেউ সুখি হবো না আমি রাহুল ছাড়া অন্য কাউকে মানতে পারব না তুমি প্লিজ বিয়েটা ভেঙে দাও।

—অসম্ভব আমি বিয়ে কখনো ভাঙবো না।

— ভাঙবে না মানে কি তুমি বুঝতে পারছো না আমি কি বলছি আমি একজন কে ভালোবাসি। তুমি তাও বিয়েটা কি করে করতে চাইছো?

—কারণ আমি তোকে ভালোবাসি সেই ছোট বেলা থেকে তোকে আমার বউ করবো এই আশায় আছি।

—কি যাতা বলছো ভালোবাস মানে কি?

—ভালোবাসি মানে ভালোবাসি খুব ভালোবাসি।

— হুয়াট বাজে কথা বাদ দাও ভাইয়া। তুমি আর্মকে ভালোবাসলে ও আমি জাস্ট রাহুল কেই ভালোবাসি তুমি আমাদের মাঝে এসো না প্লিজ।

— তুই রাহুল কে ভালোবাসি সিরিয়ালি? ও কি তুই জানলে ওকে ভালো না জাস্ট ঘৃণা করবি?

—কি বলছো তুমি আমি আমার রাহুল কে ঘৃণা করবো অসম্ভব?

— হুম ঘৃণা করবি রাহুলের মতো রাস্কেলের আসল পরিচয় জানলে ওর মুখ ও তুই দেখবি না ভালোবাসা তো দূরে থাক। তাই ওকে ভুলে বিয়ে নিয়ে খুশি থাক। রাহুল কতো খারাপ তুই ভাবতে ও

— স্টব আমার ভালোবাসার মানুষের নামে কোনো খারাপ কথা আমি শুনবো না আমি আমার রাহুলকে খুব ভালো করে চিনি। ওকে বাই এই বিয়ে তো আমি আটকাবোই।

বলেই ছোঁয়া ফোন কেটে দিলো কিছু শুনবে না ও এই বাজে লোকের থেকে। ভাইয় ভেবেছি সে বলছে ভালোবাসে মগের মুল্লুক নাকি আমি কিছুতেই এই বিয়ে করবো না। রাহুল কে সব জানাতে হবে বলে কি আমার রাহুল খারাপ অসম্ভব আমি কিছু তেই বিশ্বাস করি না। আমার রাহুল অনেক ভালো ভাইয়া আমাকে বিয়ে করার জন্য মিথ্যে বলে রাহুল কে খারাপ করতে চাই আমি কিছু শুনবো না। হঠাৎ ফোন বেজে উঠলো মেসেজ এসেছে ভাইয়া লেখেছে।

” তোর রাহুল কতোটা খারাপ আর ওর রিয়েল পরিচয় আমি তোর ফেসবুক প্রমাণ সহ দিয়েছি দেখ”

আমি দেখবো না কোন প্রমাণ ও দেখবো না। আমাকে কিছু তেই ঠকাতে পারবে না। রাহুল শুধু আমার ভালোবাসা না জীবন আমার হাজবেন্ট এখন। ফেসবুকে আর ঢুকলাম না। রাহুল কে কল করছি নাম্বার বন্ধ। হঠাৎ কাগজ চোখে পরলো রাহুল লিখেছে নিশ্চয়ই লেখা আছে।

* জান আজ একটু ব্যস্ত আছি তাই ফোন বা যোগাযোগ করতে পারবো না। তুমি ফোন দিলে নাম্বার বন্ধ পাবে তাই চিন্তা করো না ফ্রী হয়ে কল আমি করবো কেমন বউ।

রাহুল বউ লেখাটা দেখেই মনে আলাদা এক অনূভুতির হলো। খুব ভালো লাগছে কথাটা শুনে। আমি আর ফোন দিলাম না পরদিন।
সকালে উঠে ফোন হাতে নিতে যাবো আববু এসে ঢুকলো ফোন বালিশের নিচে রেখে আববুর দিকে হাসি মুখে তাকালাম।

— আববু তুমি এতো সকালে আমার রুমে?

— তারাতারি যা ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে আয়। আর সকাল কই এগারোটা বাজে দেখ।

ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি সত্যি তো। রাহুল কি ফোন করেছিল আমি তো রাত বেশি জেগেছিলাম তাই হয়তো এতো বেলা হয়েগেছে।

— কিন্তু রেডি হয়ে কোথায় যাবো আববু?

আববু বলল শপিং এ আমি বললাম আমার যাওয়ার কি দরকার কিন্তু কে শুনে কার কথা আববু আমাকেই যেতে বলছে। ওফ যেটা হবে না তা নিয়ে ও এখন চুপ করে থাকতে হচ্ছে আগে রাহুল কে জানাতে হবে নয়তো কি করবো বুঝতে পারছি না। আববু রুমে বসে রইলো আমি রেডি হয়ে এলাম কোন রকম।

জ্যামে বসে আছি গাড়িতে আমি আববু আর সামনে ডাইভার কাকা।অনেকক্ষণ ধরে বসে আছি সবাই বলছে সামনে নাকি দুইটা বড় মাফিয়া পার্টি লড়াই করছে। মারামারি হচ্ছে অনেক আববু বেরিয়ে গেল দেখতে আমি না করছিলাম শুনলো না আমার কথা এমন খুনোখুনির মধ্যে আববু গেল আমার ভয় করছে আববু নাক্ষতি হয়ে যায়। ভয়ে ভয়ে বসে আছি আধা ঘন্টা হয়ে গেল আববু আসছে না আমি ও আর না থাকতে পেরে বেরিয়ে গেলাম। ড্রাইভার কাকা মানা করছে যেতে কিন্তু আমি থাকতে পারছি না অনেক টেনশন হচ্ছে আববুর জন্য কয়েক কদম এগিয়ে গেলাম খালি রক্ত সবাই কি বাজে ভাবে মারামারি করছে। হঠাৎ কিছু দেখে আমার পা থেমে গেল এ আমি কি দেখছি না চিৎকার করে উঠলাম এমন কিছু দেখবো আমি সত্যি ভাবিনী…..

চলবে❤

Dangerous_Villain_Lover Part 19

0

Dangerous_Villain_Lover
Part 19
#Writer_Tanjina_Akter_Misti

ছিটকে দূরে সরে গেল ছোঁয়া কি বলছে এসব রাহুল। ও কিভাবে এখন আমাকে বীয়েয কথা বলতে পারছে কি করে আমি আগেই বলেছি পরিবারের সবাইকে ছাড়া কিছু তেই বিয়ে করবো কিন্তু ও এগুলো ভাবছে কিভাবে। রাহুল আবার আমার কাছে এসে বলতে লাগল…

— কি হলো জান তুমি আমায় ভালোবাস না? এমন রিয়েক্ট করছো কেন একদিন আগে পড়ে তো তুমি আমার বউ ই হবে তাই না জান তাহলে সেটা আজ হলে সমস্যা কি?

— সেদিন আর আজ অনেক পার্থক্য আপনি কি বুঝতে পারছেন না। আমি আববু আম্মু সবাইকে জানিয় বিয়ে করতে চাই এভাবে একা করে তাদের ঠকাতে চাই না।

— আমরা যে বিয়ে করছি এটা তাদের জানাবো না তাহলেই তো হবে। এই বিয়ের ব্যাপারে শুধু আমি আমার তুমি জানবো আর কেউ না। সবাইকে জানিয়ে আবার বিয়ে করবো। প্লিজ মায়াবতী রাজি হয়ে যাও আজ তোমাকে নিজের করতে না পারলে আমি অশান্তি তে ভুগবো মনে শান্তি আনতে পারবো না।

রাহুল আমার হাত ধরে এক মনে না না কথা বলে চলেছে। রাহুলের মুখটা ছোট হয়ে গেছ। হঠাৎ বলে উঠলো… ছোঁয়া তুমি আমায় ভালোবাস না তাই না ভালোবাসলে সামান্য বিয়ে র জন্য এমন করতে পারতে। তুমি কি অন্য কাউকে বিয়ে করতে চাও।
রাহুল এমন কথায় রেগে গেলাম কতো কষ্ট করে বিয়ে আটকালাম এখন বলছে ভালোবাসি না। রেগে রাজি হয়ে গেলাম তার জন্য সে কি খুশি? রাহুল যে অনেক খুশি হয়েছে ওর মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে আমাকে জরিয়ে ধরে চুমু খেলো সারা মুখে একেক সময় এতো পাগলামো করে মনে হয় বাচ্চা।
রাহুল আমাকে এই প্রথম ওর বাসায় নিয়ে এলো গাড়ি একটা বড় গেইট দিয়ে ভেতরে ঢুএ এলো আমি হা করে তাকিয়ে আছি এটা তো আমাদের বাসার থেকে ও অনেক বড়। গাড়ি থেকে নেমে ভ্রু কুচকে তাকালাম এতো লোক কি করছ সবাই কালো পোশাক পড়া আমি সন্দেহ চোখে তাকিয়ে আছি রাহুলের হাত খামচে ধরে বললাম…

— রাহুল এরা কারা? এভাবে দাড়িয়ে আছে কেন?

–জান তুমি ভয় পাচ্ছো ভয় পেয়ো না এরা তোমার কিছু করবে না।

— এরা আপনার বাসায় কি করছে এভাবে হায়ে রিভলবার নিয়ে?

— আমার তো অনেক শএু তাই পাহারা দিচ্ছে।

তবুও ছোঁয়া সন্দেহ গেল না এরা এতো গুলো লোক ভিতরে এসে ও অবাক এতো বড় বাসা কিন্তু মানুষ নেই। ছোঁয়া আশে পাশে মানুষ খুজছে রাহুলের আত্মীদের দেখার জন্য কিন্তু কেউ নেই। একটা মহিলা আসলো বয়স্ক। খাবার দিয়ে গেল খাবো না তবুও জোর করে রাহুল নিজের হাতে খাইয়ে দিলো। কিছু ক্ষণ পর একটা হুজুর টাইপের লোক এলো সাথে দুজন কালো পোশাকের লোক। এমন পোশাকের লোক কোথায় যেন দেখেছি দূর মনে পরছে না।
অবশেষে শেষ কঠিন মুহূর্ত আসলো আমাকে কবুল বলতে বলছে তখন রেগে রাজি হয়েছিলাম কিন্তু এখন তো সবার কথা মনে পরছে আমি কি ঠকাচ্ছি তাদের। রাহুল তো বলেছে এই বিয়ের ব্যাপারে কাউক কিছু বলবে না।
আমি কিছু বলছি না রাহুল আমার দিকে হাত এগিয়ে দিয়ে এক হাতে জরিয়ে ধরে জিগ্গেস করলো কি আর রাহুল মুখের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলাম চোখ বন্ধ করে।

রাতে
হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠলো হাতে নিয়ে ধরবো তার আগেই কেউ পেছনে থেকে জরিয়ে ধরলো আমি চমকে পেছনে তাকিয়ে দেখি রাহুল।

— একি আবার আসছেন বলছি না রাতে আসবে না।

— ওফ জান রাতে আসবো না কি বলছো আজ আমাদের বিয়ে হয়েছে আর রাতে বাসর না করবো না। রাতে না আসলে তা হবে কি ভাবে।

— এই বিয়েটা কিন্তু আমি জাস্ট আপনার জন্য করেছি বাসর করতে না। সবাই কে জানিয়ে যেদিন বিয়ে হবে সেদিন সব হবে এখন ছারুন আর চলে জান।

কিন্তু রাহুল কথা শুনলো না। আমাকে জরিয়ে ধরে শুয়ে পরলো। ফোনের কথা ভুলে গেলাম। আমি ছুটতে চাইছি রাহুল ছারছে না।

–জান নরচরা কর না আমি কিছু করবো না জাস্ট তোমাকে জরিয়ে ধরে শান্তি তে গুমাতে চাই অনেক দিন ধরে ঘুমাতে পারি না।

আর কিছু বললাম না কথা টা শুনে চুপ করে রইলাম।

পরদিন ফোনের শব্দ জেগে উঠলাম তাকিয়ে দেখি রাহুল নেই। ফোন হাতে নিয়ে ওপেন করতে ই এমন একটা জিনিস দেখলাম যা দেখে আমার পায়ের নিচে থেকে মাটি সরে গেল।

চলবে❤

Dangerous_Villain_Lover Part 18

0

Dangerous_Villain_Lover
Part 18
#Writer_Tanjina_Akter_Misti

ভাইয়াকে ফোন করে দেখা করতে বলেছি সকালে উঠে। আজই সব বলতে হবে যে আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি। ভাইয়া ও হয়তো বিয়েতে রাজি না ফুফি জোর করে বিয়ের জন্য তাই এসেছে আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি জানলে ভাইয়া আমাকে হেল্প করবে জানি। ভাইয়াকে রাহুলের ব্যাপারে সব বলযে হবে।

সকাল এগারোটার দিকে আমি কফি সফে বসে আছি ভাইয়া বলেছিল বাড়িতে এসে কথা বলবে আমি ই বলেছ না বাড়িতে নি। ভাইয়া রাজি হয়ে যায় আমি আগেই এসে বসে আছি ভাইয়া কে না জানানো পযর্ন্ত আমার শান্তি নেই।
সারে এগারো টার দিকে ভাইয়া আসবে বলেছে ঠিকে সেই সময় আ ভাইয়া এলো আর আমাকে দেখে মুচকি হেসে সামনের সিটে বসে বলতে লাগল… কি রে এতো জরুরি তলব করে আনলি যে কাল তো অসুস্থ হয়ে পরছিলি আজ কষ্ট করে এখানে না এসে বাড়িতে কথা বললেই তো হতো।
আমি কিছু না বলে একটা হাসি দিলাম। কিভাবে যে কথা টা ভাইয়াকে বলবো। নিচের দিকে তাকিয়ে ভেবে চলেছি এক মনে কিভাবে বলা যায় আচ্ছা ভাইয়া রাগ করবে না তো। দূর কি ভাবছি ভাইয়া তো আমাকে অনেক ভালোবাসে আমার ভালোবাসার কথা শুনলে অবশ্যই আমাকে হেল্প করবে। আমাকে হাত মুচরা মুচি করতে দেখে ভাইয়া জিগ্গেস করলো…. কি হয়েছে এভাবে নিচের দিকে তাকিয়ে আছি কেন?
মনে অসীম সাহস নিয়ে মাথা উচু করে গড়গড় করে সব এক ধুমে বলে দিলাম যা হওয়ার হবে। দেখী ভাইয়া রাগি চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে সাথে অবিশ্বাস মনে হয় বিশ্বাস করে নি।
আমি ভাইয়াকে কিছু বলতে না দিয়ে ফোন দেখালাম। আমি আর রাহুলের ছবি যা দেখে ভাইয়া আর ও রেগে গেল। কিন্তু মুখে কিছু না বলে।

— ছোঁয়া তুই বাড়ি যা?

— ভাইয়া আমি রাহুল কে খুব ভালোবাসি তুমি এই বিয়েটা ভেঙে দাও প্লিজ। আমি বললে আববু অনেক কষ্ট পাবে তাই বলে পারছি না। তুমি যদি বলো আববু কিছু মনে করবে না তুমি ও তো এই বিয়েতে মন থেকে রাজি না তাই না।

– তোকে বাড়ি যেতে বলছি।

রেগে কথা বলল আমি কিছু বুঝতে পারলাম না। আমি উঠে বেরিয়ে এলাম। কি চলছে ভাইয়ার মনে কে জানে। ভাইয়া কি বেশি খুশি হয়ে এমন করলো হতে পারে আচ্ছা ভাইয়া খুশি।লে রাগ দেখাল কেন? যাই হোক সব যেহেতু বলেছি ভাইয়া আর এই বিয়ে করবে না। বাড়িতে এসে একটা শান্তির নিশ্বাস ছারলো ছোঁয়া।
দুই দিন ভালোই কাটলো এর মাঝে আববু আর বিয়ে নিয়ে বাড়িতে আলোচনা করে নি ছোঁয়া তো ভেবেই নিয়েছে বিয়ে ভাইয়া ভেঙে দিয়েছে। রাতে ছোঁয়া রুমে ঘুমিয়ে আছে হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠলো ঘুম পাতলা তাই ছোঁয়া জেগে গেল। চোখ মেলে ভাবছে এতো রাতে কে কল করছে। ফোন হাতে নিয়ে দেখি জেসি আমি ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি নয়টা বাজে আল্লাহ কি হয়েছে আমার সন্ধ্যায় ঘুমিয়ে এখন ভাবছি অনেক রাতহয়ে গেছে। নিজের মাথায় ঠুকা মেরে ফোন রিসিভ করলাম। কিছুক্ষণ কথা বললাম।

পরদিন
হঠাৎ রাহুল কল করলো সকাল ছয়টা বাজে তখন এতো সকালে কেন ফোন করছে। কে জানে ঘুমের ঘুরে ফোন কানে দিলাম।

— হ্যালো?

–জান কি করছো?

— এতো সকালে কি আর করবো ঘুমিয়ে আছি।

— তারাতারি উঠ আর দরজায় কাছে যাও তোমার জন্য র্পাসেল আছে।

— এতো সকালে কিসে আর কে দিয়েছে?

— আগে নিয়ে আস তারপর বলছি?

— আমি এখন উঠতে পারবো না ঘুমাবো।

— তুমি না গেলে তোমার বাড়ির অন্য কারো হাতে পরলে কি তুমি খুশি হবে?

— কী অন্য কারো হাতে পরলে তো?

— ওকে বাই।

রাহুল কল কেটে দিল ছোঁয়া তারাতারি করে উঠে বসলো সত্যি যদি অন্য কারো হাতে পরে তাহলে তো বিপদ ঘটবে। উঠে মুখে পানি দিয়ে নিচে আসতেই কলিং বেল বেজে উঠলো। দেখি আম্মু যাচ্ছে আমি আম্মুকে রেখে নিজে চলে গেলাম। একটা প্যাকেট দিয়েছে।

— কি রে কে এলো?

— আম্মু ওই ভুলে বেল বাজিয়েছে?

–ওহ

আমি লুকিয়ে প্যাকেট টা রুমে নিয়ে এলাম। খুলে দেখবো ওমনি ফোন বেজে উঠলো।

— প্যাকেটে যা আছে দ্রুত পড়ে রেডি হয়ে নয়টার মধ্যে বাড়ির সামনে আসবে আমি ওয়েট করবো। আর বেশি সাজার দরকার নাই তুমি এমনিতেই সুন্দর।

আমাকে কথা বলতে না দিয়ে ফোন কেটে দিল। পেয়েছে কি আমার কথা শুনবে না দূর ভালো লাগে না। প্যাকেট খুলে একটা নীল শাড়ি পেল সাথে ম্যাচীং সব কিছু জুয়েলারি ও আছে।

সবুজ ঘাসের আমি আর রাহুল বসে আছি। রাহুল আমার হাত নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে আছে একটু পর পর চুমু খাচ্ছে। আমি রাহুল কাধে মাথা দিয়ে আছি। আর আববুর কথা ভাবছি আচ্ছা রাহুল কে কি বলবো আববু বিয়ে ঠিক করেছিল। না এটা ঠিক হবে না ও কষ্ট পাবে। হঠাৎ রাহুল আমাকে নিজের মুখ মুখি করে বসালো আর বলল…..

— জান আমার খুব ভয় করছে আমার মনে হচ্ছে তুমি আমার থেকে দূরে চলে যাচ্ছো।

— কি সব বলছেন দূরে যাব কেন আমি সব সময় আপনার সাথে থাকবো।

— কখনো যদি জানতে পারো তুমি যা ভাবছো আমি তা না তখন কি আমাকে একা করে চলে যাবে।

— আমি কি ভাবছি আর আপনি কি? কি বলেন না?

ছোঁয়া কথা ঘুরিয়ে নিলো বুঝলো না।

— আমার ভয় করছে কেন জানি না কিন্তু খুব ভ য় করছে তোমাকে হারিয়ে ফেলবত মনে হচ্ছে জান। এভাবে আমি থাকতে পারবো না তুমি কি কিছু লুকাচ্ছো আমার থেকে।

— কি লুকাবো( একটু ভয়ে)

হঠাৎ রাহুল ছোঁয়া কে কপালে চুমু খেয়ে এমন একটা কথা বলল ছোঁয়া ছিটকে দূরে সরে দাড়ালো।

চলবে❤

Dangerous_villain_Lover part 17

0

Dangerous_villain_Lover
part 17
#writer_Tanjina_Akter_Misti

আসিফ ছোঁয়ার পাশে বসে পরলো। ছোঁয়া কে অনেক সুন্দর লাগছে কিন্তু কাদছে কেন ছোঁয়া বুঝতে পারছে না।আসিফ আর একটু কাছে গিয়ে জিগ্গেস করলো….

—কি রে কাদছিস কেন? কি হলো কথা বল তুই কি ভাবছিস আমি তোকে এখন ই নিয়ে যাবো সাথে করে আরে না। এখন জাস্ট আংটি পরাবো। আজ শুক্রবারে আমাদের এনংগ্রেজমেন্ট হবে মামু মামির জন্য কষ্ট পাচ্ছিস তুই চাইলে বিয়ের পর এখানেই থাকতে পারিস।

আমি কিছু বলছি না রেগে আছি সাথে কষ্ট ও আববু আম্মু এভাবে আমাকে ঠকালো। শেষে কিনা রিফাত ভাইয়ার সাথে বিয়ের কথা হচ্ছে আর এখন আবার আংটি পরাবে কিছু বলতে পারছি না আববু কষ্ট পাবে ফুফুর তো খুশি যেন ধরছে না কি বলল ভাবতেই রাগ হচ্ছে আবার রাহুল জন্য ও কষ্ট হচ্ছে ও যদি জানে কি যে করবে। এখন এটা আটকাবো কি করে। ভাইয়া আমার হাত ধরে আংটি পড়াতে গেলেই আমি ঢলে পরলাম যা আমার অভিনয় এটা আটকাতে। সবাই তো পাগল প্রায় অবস্থা।

—কি হলো রিফাত ছোঁয়া এমন পরে গেল কেন?

—জানি না মামা কি হলো এখন তো ঠিক ই ছিলো।

আমি ইচ্ছে করে চোখ বন্ধ করে আছি যাতে সবাই আমাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরে আর এইকথা মাথা থেকে চলে যায়। আমি কোন ভাবেই এই বিয়ে করতে পারবো না প্রচুর ভালোবাসি রাহুল কে তাকে ছাড়া আর কারো কথা ভাবতে ও পারি না। আর ভাইয়া কে তো ভাই ছাড়া অন্য কিছু অসম্ভব এতোক্ষন কেদে কেদে কিছু হয় নি কেউ আমার কান্না বুঝে না। এইটাই করতে হবে। সবাই আমার চিন্তা মুশগুল হয়ে গেছে রুমে এনে পানি দিতে লাগলো আববু তো ডাক্তার কে ও কল করতে যাবে না না ডাক্তার আসা যাবে না তাহলে তো ধরা পরে যাবো। সঙ্গে সঙ্গে চোখ মেলে তাকালাম সবাই নানা কথা জিগ্গেস করছে আম্মু তো বলছে পরিক্ষা দিয়েছি কেবল ঠিক মতো খাই নি ঘুমাই নি তাই হয়তো আমি র্দূবল হয়ে গেছে তাই নিয়ে কদা বলছে সবাই বিশ্বাস ও করছে ।

হঠাৎ আববু আমার পাশে বসে বললতে লাগল আমার এখন কেমন লাগছে ঠিক লাগছে কিনা আমি মাথা নেরে বললাম… ভালো লাগছে না। এতেই আমি আর ও বললাম…. আমার এখন ভালো লাগছে না আববু ঘুমাবো।
আববু কি আর পায় কে সবাইকে নিয়ে চলে গেল।
উঠে নিজের বুদ্ধির জন্য নিজেই খুশিথে নাচানাচি করতে লাগলাম কিন্তু কিছক্ষণ আগে কি কান্না টাই না করছিলাম। ভেবেই আফসোস করতে লাগলাম। কিন্তু এই বিয়ের ভূত বের করতে হবে আমি তো বলতে পারবো না বাড়িতে। ভাইয়ার সাথে কথা বলতে হবে।

[ আগেই একটা কথা বলে নিচ্ছি আসিফ আর রিফাত এক জন। ছোঁয়া বাড়ির সবাই ওকে রিফাত বলে আর আসিফের বাড়ির সবাই ওঈএ আসিফ বলে]

বিয়েটা যে করেই হোক আটকাতে হবে। ভাইয়াকে সব বলল হয়তো বুঝবে হয়তো সে ও রাজি না আমার মতো জোর করছে। রাহুল কে কিছু জানানো যাবে না। কথা গুলো ভাবছি হঠাৎ ফোন বেজে উঠলো তাকিয়ে দেখে রাহুল।

–হ্যালো?

— আমার মায়াবতীটা কেমন আছে?

–ভালো আপনি কেমন আছেন?

–ভাল না জান আজ তোমাকে একবার ও দেখে নি?

–একদিন দেখেননি তাই ভালো নেই?

–কি বলছো জান একদিন তুমি ভাবতে পারছো আমার তো মনে হচ্ছে এক বছর তোমায় দেখি না।তাই তো চলে এসেছি।

–মানে

আর কিছু না বলে ফোন রেখে দিল। আমি ভাবছি কি বলল চলে এসেছি মানে কি আমাদের বাড়ি এসেছে ভেবে যেই যাবো বারান্দায় দিকে তার আগেই রাহুল রুমে ঢুকে এলো।

–কি ব্যাপার আপনি এখানে কেন?

— তোমাকে দেখতে জান?

–হুয়াট আপনি কেন এসেছেন রুমে সবাই দেখলে কি হবে ভাবতে পারছেন।

— কিছু হবে না।

বলেই রাহুল এসে আমাকে বুকে জরিয়ে নিলো।

— ওফ রাহুল ছারেন আমাকে এসব কি হচ্ছে ছারুন বলছি এগুলো আমার ভালো লাগে না।

কে শুনে কার কথা।সে তো শুনছেই না। জোরে করে ধরে রেখেছে বুকের মাঝে।

চলবে

ছোট হয়েছে জানি তার জন্য সরি কাল আরেক পার্ট বড় করে দেবো। বুঝি না লিখতে বসলেই হাত ব্যাথা হয়ে যায় কেন?

Dangerous_Villain_Lover part_16

0

Dangerous_Villain_Lover
part_16
#writer_Tanjina_Akter_Misti

ছোঁয়া রাহুলের হাতে পরম যত্নে ব্যান্ডেজ করে দিলো। রাহুল ব্যান্ডেজ শেষ হতেই ছোঁয়া কে নিয়ে বেরিয়ে এলো পেছনে সিট থেকে ছোঁয়া কে সামনে বসিয়ে নিজে ও পাশের সিটে বসে পরলো ড্রাইভ করতে।

– কি হচ্ছে স্যার আপনি এই হাত ব্যাথা নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন কেন?

– জান তুমি ইদানিং বেশি স্যার বলছো।

– মানে কি আপনি স্যার আমি স্যার বলবো না তো কী বলবো?

– নো আমি কারো স্যার না এটা জাস্ট তোমার জন্য। এখন থেকে আর স্যার বলবে না ওকে। তোমার কাছাকাছি থাকার জন্য এই স্যার হয়েছি।

– হুয়াট আপনি কী আমাকে আগে থেকেই চিনতেন তাহলে।

– হুম জান।

– কিন্তু কিভাবে?

– ওসব পরে বলবো এখন কথা বাদ দাও নয়তো দেরি হয়ে যাবে।

– কোথায় যাচ্ছি আমরা?

– গেলেই দেখতে পাবে।

আমি তবুও জিগ্গেস করেই যাচ্ছি কিন্তু রাহুল কিছু বলছে না আমাকে। তাই রেগে অন্য দিকে তাকিয়ে আছি এই মাঝ রাতে এই ভাবে আনলো আবার হাতে ব্যাথা নিয়ে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে বলছে ও না রাগ লাগছে। হঠাৎ বাইরে তাকিয়ে আতকে উঠি একি এটা কোথায় এলাম এতো অন্ধকার জন্গলে কি জন্য এলো রাহুল আমি সঙ্গে সঙ্গে ভ্রু কুচকে তাকালাম রাহুলের দিকে কিছু জিগ্গেস করতে যাব সে আচমকা আমার কোমর ধরে নিজের কাছে নিয়ে এলো।

– কি হচ্ছে আমরা এমন জন্গলে এলাম কেন?

রাহুল কিছু না বলে ছেড়ে দিয়ে দরজা খুলে বেরিয়ে গেল আমি অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছি। রাহুল আমার পাশে এসে দরজা খুলে হাত ধরে বাইরে নিয়ে এলো তার পর পেছনে গিয়ে আমার চোখে হাত রাখলো।

– কি হচ্ছে আমি কিছু বুঝতে পারছি না। এটা কোথায় এ জন্গলে কেন নিয়ে এলেন আপনার এই হাতে ব্যাথা নিয়ে শরীর গরম লাগছে এখন আবার চোখ আটকালেন কেন?

– মায়াবতী একটু চুপ থাক আর আমার সাথে পা মিলিয়ে চলো।

– কেন হাত চোখ থেকে সরান?

কিছু না বলে রাহুল হাটতে লাগলো আমি উপায় না পেয়ে হাটছি কিন্তু কথা বন্ধ করি নি। কি চাইছে কি পাগল হয়ে গেল নাকি এতোরাতে এ কোথায় নিয়ে এলো আচ্ছা কোন ভাবে পাগল হয়ে যায় নি তো বা ভূত প্রেত ধরে নি তো আমাকে মেরে ফেলবে না তো। এবার আর শান্ত না থেকে কিছু বলবো হঠাৎ রাহুল একাই চোখ থেকে হাত সরাতে লাগলো আমি রেগে পেছনে ঘুরতে যাব কিন্তু তা আর হলো না।
সামনের দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেলাম সমস্ত রাগ নিমিশেই শেষ হয়ে গেল। নিজের চোখে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছি সামনে অসংখ্য জোনাকির আলো দিয়ে আলোকিতো হয়ে আছে। জোনাকি
গুলো খেলা করে বেড়াচ্ছে আমি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে দেখছি।
রাহুল ছোঁয়া মুখে মুগ্ধ দেখে রাহুলের মুখে হাসি চলে আসে ও তো এই হাসি দেখার জন্যই এখানে এসেছে। রাহুল পেছনে থেকে ছোঁয়া কে জরিয়ে ধরলো।
ভালোবাসার মানুষ পাশে থাকলে সবার ই ভালো লাগে সময় টা অন্য রকম এক সপ্নের মতো চলতে থাকে ছোঁয়া ও তাই রাহুলকে প্রথম থেকে ওর ভালো লাগতে। আর যখন জানতে পেরেছে রাহুল ওকে ভালোবাসে তখন থেকে ও ওর খুশির সীমা আর থাকে না সব সময় আনন্দে কাটে। দেখতে দেএক মাস চলে গেল। এখন ছোঁয়া পরিক্ষা চলে এসেছে এইচ এস সি পরিক্ষা। এখন পুরো দমে পড়ায় নিজেকে ব্যস্ত থাকে।
এই এক মাস ছোঁয়ার অনেক ভালো কেটেছে প্রতিদিন রাহুল ওকে পিক করতে আসতো এক সাথে কলেজে যাওয়া। সপ্তাহে দুই দিন কলেজ শেষে ঘুরতে যাওয়া। হাতে হাত রেখে নদীর পারে হাটা। রাহুল ছোঁয়া কোলে মাথা রেখে সবুজ ঘিসের উপর শুয়ে থাকে কখনো ছোঁয়া করে। ভান অভিমান সব মিলিয়ে খুব ভালো কেটেছে। এখন পরিক্ষার জন্য কথা কম হবে কিন্তু প্রতি ঘন্টার একবার করে ফোন করে খাবার জন্য রেসট করতে বলবেই। না ধরলেই তুলকালাম বাধিয়ে দিবে।

প্রথম পরিক্ষার দিন আববু আমার সাথে গেল বলল প্রতি দিন যাবে কি জেমেলা হলো রাহুল বলেছে সে যেতে চায় এখন আববু কে মানা করবো কি করে। কিন্তু আমার জামেলা মুক্ত করে আববু অফিসের কাজ রে গেল আর আমি নিশ্চিত হতে পারলো। পরপর সব গুলো পরিক্ষা রাহুল আমার সাথে গেছে জীবনটা এতো সুন্দর আর ভালো কখনো লাগে নি রাহুল জীবনে আসার পর একে ভালো কাটছে সপ্নের মতো সুন্দর জীবন কাটছে সারাজীবন আমি এই লোকটার সাথে থাকতে টাই। প্রচণ্ড ভালো বেসে ফেলেছি যাকে বলে। রাহুল ছাড়া আর কিছু মাথাআসে না।
পরিক্ষা শেস করে শান্তির একটা ঘুম দিলাম। এখন আমি মুক্ত ওফ সারা দিন রাহুলের সাথে কথা বলবো নো পড়া শুনা।
দুই দিন পর
হঠাৎ আম্মু আমার রুমে এসে শাড়ি দিয়ে গেল পড়ার জন্য বারবার জিগ্গেস করছি কেন না বলে জোর করে পরিয়ে দিল কি জালা শাড়ি কেন পরাচ্ছে বলছেই না। এখন সাজাতে বসালো দূর ভালো লাগে না। আমি সাজবো না বারবার বলছি কিন্তু আম্মু সাজিয়ে চলেছে।

সুখ কি এমন এভাবে আমার সব সুখ কেড়ে নেব আমি ভাবি নি দুচোখে জল নিয়ে আববুর দিকে তাকিয়ে আছি।

-কিরে আসিফ আংটিটা তারাতারি পরিয়ে দে।

সঙ্গে সঙ্গে হাত গুটিয়ে নিলাম এই আংটি কিছু তেই আমি পরবো না। আমার রাহুলের কি হবে ও যে পাগল হয়ে যাবে না না কিছু তেই না রাহুল কি ছাড়া অন্য কারো হতে পারবো না আমি অসহায় চোখে তাকিয়ে আছি কিন্তু আববু কিছু বলছে না।

চলবে❤

Dangerous_Villain_Lover part 15

0

Dangerous_Villain_Lover
part 15
#writer_Tanjina_Akter_Misti

পরম শান্তিতে ঘুমিয়ে আছে ছোঁয়া কিন্তু বেশিক্ষণ এই শান্তি থাকলো না। ফোন বেজে উঠলো যা এখন ছোঁয়া পৃথিবীর সব চেয়ে বাজে মুহূর্ত ছোঁয়া চোখ মুখ বিচ্ছিরি করলো কিন্তু চোখ খুলল না সাথে ফোন ধরলো ও না ইগনোর করে যাচ্ছে ঘংমের মধ্যে ফোনটাকে। কিন্তু এই ফোন থামছে না শব্দ টা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই বালিশ উঠিয়ে কানে চেপে ধরলো নাহ তবুও ফোন থামছে না আজকে পণ করেছে যে পযর্ন্ত না উঠাবো ইনি থামবে না। রেগে চোখ বন্ধ করেই ফোন হাতলিয়ে খুজতে লাগল অবশেষে পেয়ে ও গেল ওই ভাবে চোখ বন্ধ রেখে ফোন কানে ধরলো আজ ইচ্ছে মতো বকে দিমু আমার ঘুম নষ্ট কলা তাই না।

— কে রে তুমি আমার এই সুন্দর ঘুম নষ্ট করছিস। আর একবার যদি ফোন করিস না পচা পানিতে চুবামো তোরে।

বলেই এক মুহূর্ত ও দেরি না করে ফোন কেটে দিল। ঠিক হয়েছে আমাকে ডিসটার্ব করা না বুঝ ঠেলা। আবার ঘুমানোর জন্য চোখ বন্ধ করলো ছোঁয়া কিন্তু বেশিক্ষণ রাখতে পারলো না আবার ফোন বেজে উঠলো রাগে দুঃখে আরও বকা ভেবে ফোন রিসিভ করে কিছু বলতে যাবে কিন্তু তা হয়ে উঠলো না ঔপর পাশ থেকে স্যার এর কণ্ঠ শুনে। ছোঁয়া লাফ দিয়ে শুওয়া থেকে উঠে বসলো তারপর চোখ ঠলে ফোন দেখলো আবার কানে নিলো। এটা তো স্যার ই তাহলে তখন ও কী স্যার ছীলো এইজন্য এতো কিছু বলছে কিন্তু স্যার এতো রাতে কেন কল করলো।

— স্যার আপনি এতো রাতে।

— এসব কি ছোঁয়া তুমি এসব ভাষা ব্যবহার করছো।

— সরি আসলে ঘুমের মধ্যে ছিলাম তো কিন্তু আপনি এতো রাতে ফোন কেন দিয়েছেন।

—নিচে আসো ফাস্ট আমি অপেক্ষা করছি?

—হোয়াট এতো রাতে আমি নিচে কেন যাব। আর আপনি অপেক্ষা করছেন মানে কি আপনি কি নিচে?

—হুম তারাতারি আস। বাই

—স্যার আমার কথা টা তো শুনেন আমি

ফোন হাতে নিয়ে দেখি কল কেটে দিয়েছে কি মুশকিলে পরলাম। এখন নিচে যাব স্যার অপেক্ষা করছে কি হচ্ছে কি এসব? আর এতো রাতে কেন আবার ফোন বেজে উঠলো স্যার কল করেছে।

—কি হলো জান তুমি আসছো না কেন?

—এতো রাতে আমি আসতে পারবো না স্যার আমার প্রবলেম হবে। আর আপনি কি করছেন এখন আমি কিছু বুঝতে পারছি না।

—ছোয়া আমার মাথা খারাপ করো না। তুমি যদি না আস তাহলে আমি উপরে চলে অসবো তাও মেইন দরজা দিয়ে তখন সবাই দেখলেও কিন্তু আমার কিছু হবে না।

—কি বলছেন কি স্যার আপনি উপরে আসবেন না না প্লিজ স্যার এমন করেন না। আববু দেখলে কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে।

— ওকে আসবো না তুমি নিচে আসো।

— আচ্ছা।

ছোঁয়া চিন্তায় পরে গেল কি করে বের হবে। যদি কেউ টের পায় তো কি যে হবে আল্লাহ জানে। কিন্তু স্যার কি সত্যি এসেছে নাকি মিথ্যে বলছে। ভেবেই বারান্দায় চলে গেল ছোঁয়া দেখার জন্য সত্যি এসেছে নাকি। নিচে তাকিয়ে দেখে স্যার সত্যি দাড়িয়ে আছে আমি তাকানোর সাথে সাথে রেগে তাকায় ইশারায় নিচে যেতে বলে তারাতারি আমি তো শক হয়ে তাকিয়ে আছি আমি একটুর জন্য ভেবেছিলাম হয়তো মিথ্যা বলছে কিন্তু এখন তো দেখছি সত্যি এসেছে। কি আর করবো বাধ্য হয়ে নিচে যাওয়ার জন্য বের হলাম আববু আম্মুর রুমে উকি দিয়ে গেলাম না তারা ঘুমে আছে আমি তারাতারি বেরিয়ে এলাম বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিলাম।

স্যার এর দিকে তাকিয়ে মুগ্ধ হয়ে আছি সাদা শার্ট ইন করা, চুল গুলো এলোমেলো হয়ে আছে কিন্তু তবুও অসম্ভব সুন্দর লাগছে কেমন জানি নেশা ধরা চোখে তাকিয়ে আছে আমি অবাক হয়ে তাকালাম এভাবে কেন তাকিয়ে আছে। আমি স্যার এর দৃষ্টি ঠিক করে নিজের দিকে তাকালাম আর হাত দুটো বুকে চেপে ধরলাম আমি তারা হুরা করতে গিয়ে ওরনা না নিয়েই এভাবে চলে এসেছি লজ্জা এখন নিজের চুল নিজেরই ছিরতে ইচ্ছে হচ্ছে। কিভাবে এলাম আমি অসহ্য আর স্যার কি লুচ্চা এভাবে তাকিয়ে ছিলো রাগ লজ্জায় আমি স্যার এর থেকে একটু দূরে দাড়িয়ে আছি সামনে আর এগুতে পারছি না।
হঠাৎ এক জোর হাত আর কোমর ধরে নিজের মধ্যে বন্ধি করে ফেলল তাকিয়ে দেখি স্যার মুখে দুষ্টু হাসি মন চাইছে ঘুষি দিয়ে নাক ফাটিয়ে দেয় ইডিয়েট। এভাবে আসতে না বললে কি আমি এভাবে আসতাম। স্যার আমার কোমরে চেপে ধরে একদম নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়। আমি লজ্জা নিচের দিকে তাকিয়ে আছি হঠাৎ স্যার এর হাত আমার কানের পেছনে টাচ করে আর আমি কেপে উঠি আমার হাটবির্ট বেরে গেছে এভাবে আর এক মুহূর্তে থাকলে আমার সিউর হ্যাট অ্যাটাক হয়ে যাবে।

–স্যার ছারুন আমাকে।

–উহু

— এসব কি স্যার ছারুন প্লিজ এটা আমার বাসা কেউ দেখে ফেললে কি হবে ভাবতে পারছেন।

— আই ডোন্ট কেয়ার।

— ছারুন প্লিজ আপনি কেয়ার র না করলে ও আমি করি বিকজ।

স্যার আমার মুখে হাত দিয়ে থামিয়ে দিল,,, চুপ

স্যার আমার কপালে চুমু খেলো আমি আর কিছু না ভেবে স্যার কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলাম। এখনো ও হার্টবিট জোরে জোর হচ্ছে। আমার ধাক্কা খেয়ে স্যার হাত ধরে আহ করে উঠো আমি হঠাৎ স্যার কে ব্যাথিত হতে থেকে ভয় পেয়ে গেলাম। আমার জন্য কি ব্যাথা পেল কিনা দেখার জন্য ছুটে স্যার এর কাছে গিয়ে হাত ধরে বললাম।

— কি হয়েছে স্যার দেখি?

–কিছু না

স্যার হাত সরিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে আমি জোর করে হাত ধরে টেনে দেখতে লাগলাম। আর যা দেখলাম তা দেখে আমি আতকে উঠলাম। কারণে স্যার এর হাতে জখম হয়েছে কেটে সেখানে রক্ত শুকিয়ে আছে কিন্তু স্যার সেখানে ব্যান্ডেজ করে নি।

— একি স্যার আপনি হাতে কি হয়েছে আর ব্যান্ডেজ করেননি কেন?

— ও কিছু না এমনি একটু

— এইটা একটু কতো খানি। আপনি দাড়ান আমি আসছি।

বলেই ছোঁয়া ভিতরে চলে গেল রাহুল ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। ছোঁয়া দ্রুত ফাস্ট ওয়ার বক্ম নিয়ে বেরিয়ে আসে।
রাহুল ছোঁয়ার দিকে একনজরে তাকিয়ে আছে পলক ফেলছে না। ছোঁয়া এমন ভাবে ব্যান্ডেজ করছে আর ফূ দিচ্ছে যেন ব্যাথা ছোঁয়া পেয়েছে রাহুল মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে ছোঁয়া দিকে। এটাই তো চেয়েছিল রাহুল ছোঁয়া ও ওকে ওর মতো ভালোবাসুক ওর কষ্ট কষ্ট পাক তাই হচ্ছে ভেবেই রাহুল খুশি হয়ে উঠলো ছোঁয়া ব্যান্ডেজ শেষ করে রাহুল হাতে ঠোট ছুয়ো দিলে রাহুল চোখ বন্ধ করে তা উপভোগ করতে লাগল।

চলবে❤

[ দেরি করার জন্য সরি ইনশাআল্লাহ এখন থেকে প্রতিদিন দেবো দুটো গল্প ছিলো তাই লেট হতো এখন একটা প্রতিদিন দিতে চেষ্টা করবো]

Dangerous_Villain_Lover part 14

0

Dangerous_Villain_Lover
part 14
#Writer_Tanjina_Akter_Misti

— বস এবারের মতো মাফ করে দেন।

— তোকে মাফ করবো।

বলেই আসিফ হিংস বাগের মতো তাকালো সামনের লোকটির দিকে। যে ব্যক্তি টি আসিফের পা ধরে আছে নিজের জান ভিক্ষে চাইছে কিন্তু আসিফের সেদিকে খেয়াল নেই। ওর মাথা রাগে ফেটে যাচ্ছে সব শেষ করে দিতে চাইছে। ওর হাত উচু করে সামনে ছেলেটির বুকের কাছে ধরে যেই গুলি করে দেবে। পাশে থেকে একজন বলে উঠে…..

— বস ওকে মারবেন প্লিজ এভাবে যদি রাগের মাথায় ওকে মরে ফেলেন আমাদের ই প্রবলেম হবে আমরা সংখ্যায় কভে যাবো আর ওই রাহুল আমাদের সাথে পেরে উঠতে সমস্যা হবে না। ও তো জানতো না আপনার পরিচিত ওই মেয়ে জানলে কি আমরা তাকে তুলে আনতাম আপনি তো বলেপ নি কিছু আগে ওই মেয়ে ব্যাপারে।

গুলি করতে গিয়ে ও হাত সরিয়ে ফেলল…. আসিফ তো বলেছে রাগের মাথায় নিজেদর লোক কে মারা যাবে না। একে তো ওই বাস্টার দলে কতো গুলো কে নিয়ে গেছে এভাবে চলতে থাকলে আমি শেষ হয়ে যাব নো নো আসিফ শেষ হতে পারে না আর আমার নিজেকে ধর‍ে রাখতে হলে রাহুল কে শেষ করতেই হবে। সামনে না পারলো আড়ালে কৌশলে যেভাবে হোক। ছোঁয়া চিন্তা চলে এলো এই কুওার বাচ্চারা আমার ছোঁয়া কে ধরে এনেছিল ভাবতেই সামনে লোকটাকে লাথি দিয়ে বসলো। সামনের লোকটি আতনার্ত করে সিটকে পরলো। আসিফ ফোন থেকে ছোঁয়া হাসি মাখা একটা ছবি বের করে তাকিয়ে রইল তারপর সবার দিকে ধরে বলতে লাগলো…?

— এই মেয়ে তোদের ভাবি ওর গায়ে যেন কখনো কারো হাত না পরে। দেখে রাখ এবারের মতো ক্ষমা করলাম নেক্মট এমন হলে জানে মেরে দেবো।

কথাগুলো বলেই ছবির দিকে তাকিয়ে ঠোঁট চুমু খেলো এমন আকৃতি করলো যেন সত্যি মুখে খেয়েছে। আর বলতে লাগলো খুব তারাতারি তোমাকে নিয়ে আসবো আমার কাছে…! তারপর আর কিছু ভাবার আগেই ফোন বেজে উঠল চরম বিরক্তি নিয়ে ফোনের দিকে তাকালো ধরার ইচ্ছে নেই তবুও ফোন হাতে নিলো। আর হাতে নিয়ে ভয়ে গলা আটকে এলো জহিরুল হকের নাম্বার দেখে কাপা হাতে ফোন কানে নিলো আর বিকৃত ভাষায় গালি কানে এলো সাথে হুমকি জোরে আছাড় মরে ফোন মেঝেতে ফেলে দিলো। আশেপাশের সবাই ভ য়ে আটসাট হয়ে আসিফের দিকে তাকালো।
মনে মনে বলল তোকে আমি ছাড়বো না কুওার বাচ্চা তোর জন্য এতো গুলো কথা আমায় হজম করতে হলো। জহিরুল হকের জন্য মেয়ে এনেছিল কিন্তু সব বরবাদ করে দিয়েছে ও এখন জহিরুল আমাকে তা নিয়ে হুমকি কাটলো টাকা নিয়ে তিনলাখ টাকা নিয়েছিল এ নিয়ে এখন সেটা হয় টাকা নয় মেয়ে চাইছে কোন বিপদে পরলাম। টাকা এখন কোথায় পাবো সব তো খরচ করা শেষ যা দেওয়া সম্ভব নয়।

.
.

সারারাত চিন্তা এক দন্ড চোখ বুঝতে পারে নি জেসি প্রচুর চিন্তা হচ্ছে ছোঁয়া কে নিয়ে। আর কালকে সেই ভয়ংকর মুহূর্তে কথা মনে আসতে ভয়ে জড়সড় হয়ে যাচ্ছে কি ভয়ংকর মুহূর্তে সময় মতো রাহুল স্যার তাদেকে রক্ষা করে। কিন্তু এ নিয়ে শত ভেবেছে এতো দিন কি করে চিনলো না সে সাথে ছোঁয়া ও এর জন্য তো ছোঁয়া বলো স্যার কে কেন আমার চেনা লাগে। কিন্তু ভুল করে ও সেই কথা কানে নেই নি। কাল সচোক্ষে না দেখলে হয়তো কখনো এমন একটা মানুষকে আমি মাফিয়া ভাবতাম না কল্পনা করতাম। চোখের সামনে শত মানুষ শরীর কেটে রক্ত জরালো কি ভয়ংকর লাগছে যেন চোখ দিয়ে আগুন জরছিল তখন কিন্তু ছোঁয়া কে বাহুডরে বন্ধি করে তার হিংসতা কেটে ভয়ে চলে আসে। অজস্র ভালোবাসা দিতে থাকে ছোঁয়া মুখে এতে প্রমাণ হয় স্যার ছোঁয়া কে কতোটা ভালোবাসে ছোঁয়া কে পাগলের মতো ডাকতে থাকে। সেদিন ও তো হসপিটালে এমন ই করেছিল কিন্তু এই মাফিয়া টা কলেজের প্রফেসর হলো কি করে মাথা ঘুরে থাকলো। স্যার কে জিগ্গেস করতে ছুটে বেরিয়েছিলো স্যার আমাকে ভূত দেখার মতো চমকে উঠে।

— তুমি এখানে?

— ছোঁয়ার সাথে আমাকে ও ধরে এনেছে। কিন্তু স্যার আপনি এখানে এইভাবে আপনি তাহলে সেই দিনের শপিং মলের….

— তুমি ঠিক ধরেছো। কিন্তু এই কথা যেন ছোঁয়া বা অন্য কারো কানে না যায় যাও তোমাকে ওরা পৌঁছে দিবে।

আমাকে কিছু বলযে না দিয়ে স্যার চলে গেল গাড়িতে। আমি কি বলবো মাথায় আসছে না হঠাৎ স্যার আবার আমার কাছে এসে দাড়ালো আর বলতে লাগল….. আর যদি বলেছো তো আমাকে তো চেনো আমি ঠিক কি কি করতে পারি হয়তো আন্দাজ করতে পারছো তাই। মুখটা ওফ রেখো বাই শালিকা ফর ট্রেক কেয়ার অফ ইউ।
বাকাঁ হেসে নিজের গন্তব্য গেল আর জেসি হতদম্ভ হয়ে গেল। ফোনের রিংটন বেজে উঠলো ফোন হাতে কানে ধরে রইল। ও পাশে থেকে একজন নানা কথা বলেই যাচ্ছে কিন্তু জেসির কথা বলতে ভালো লাগছে এখন ছোঁয়া কে নিয়ে অনেক টেনশন হচ্ছে না কাউকে বলে পারছে আর না কিছু করতে পারছে।

— কি হলো সোনা তুমি কথা বলছো না কেন? কি হয়েছে জান কথা বলো? ওই কথা বলো না আমার কিন্তু টেনশন হচ্ছে তুমি ঠিক আছো আমি কি আসবো।

— আমার কথা বলতে ভালো লাগছে না। পরে কথা বলি?

আর অপেক্ষা না করে কল কেটে দিলো কান্না পাচ্ছে খুব। কিন্তু এখন কল থাকলে সেটা শিতল বুঝে ফেলতো আর তা নিয়ে তুলকালাম করতো ছেলেটা যে খুব ভালোবাসে ওকে। একমাস হলো রেজিস্টি করে রেখেছে শুধু ওর বড় বোন আসার অপেক্ষা যে পাড়ি জমিয়েছে বিদেশের মাটিতে। বিয়ের পর সেখানেই সেটেল হয়ে গেছে। পারিবারিক ভাবে বিয়ে ঠিক হয়েছে প্রথমে জেসি তেমন একটা পছন্দ করতো না কিন্তু এখন সেই তাকে ভালোবাসে প্রচণ্ড রকমের ভালোবাসে কিন্তু মুখে বলে না। ফোনে মেসেজ এলো শিতলের মেসেজ….” কি হয়েছে জান তোমার আমার খুব কষ্ট হচ্ছে আমাকে বলো প্লিজ। আমি থাকতে পারছি না শেয়ার করো না আমি নয়তো দম বন্ধ হয়ে মারা যাবো”
একটা ছোট নিশ্বাস ফেলে কল করলো যতো ক্ষণ ভালো করে কথা না বলবে এভাবেই করে যাবে।

ছোঁয়াদের বাসার সামনে গাড়িতে বসে আছে রাহুল আর ছোঁয়া। বাড়িতে আসার সাথে সাথে দরজা খুলে বেরিয়ে আসতে গেলে আচমকা ছোঁয়ার হাত টেনে ধরে রাহুল পেছনে ফেরার আগেই রাহুল ছোঁয়ার কোমর জরিয়ে কাছে টেনে নিলো। আচমকা এমন করায় হা হয়ে আছে ছোঁয়া।

— এভাবে টেনে আনলেন কেন আমি বাড়ি এসে গেছি নামতে দিন।

রাহুল কথা না বলে ছোঁয়া সামনে কপালে পরে থাকা চুল গুলো কানের পেছনে গুজে দিলো।

— কি হলো ছারুন কেউ দেখে ফেলবো ছারুন।

— উহু

— মানে কি?

— একটা চুমু দাও।

কোন সংকোচ না করে বলে ফেললো রাহুলের কথায় অবাকের চরম সীমায় পৌঁছে গেলে বলে কি? কি নিলজ্জ বাবা এভাবে কেউ কোন দিন চুমু চেয়েছে লজ্জা লাল হয়ে গেল ছোঁয়া সঙ্গে সঙ্গে মাথা নিচু করে ফেললো।

— কি হলো?

— ছারুন আমার দেরি হচ্ছে?

— চুমু দেও তাহলে ছেড়ে দেবো দাও না জোর করে নিতে মন চাইছে না। তুমি নিজে থেকে দাও না।
বলেই ঠোট এগিয়ে দিল।

ছোঁয়া কিছু তেই দেবে না কিন্তু রাহুল নাছর বান্দা নিয়েই ছারবে কিন্তু ছোঁয়া দিলো না মুখটা শুকনো করে অন্য দিকে তাকিয়ে বলল…..ওকে যাও দিতে হবে না।
কথা টা শুনেই ছোঁয়া বুকে টিপটিপ করতে লাগলো। কেন যেন খারাপ লাগছে কেন জোর করে নিলেই তো হয় না এনাকে আমার ইচ্ছে করে দিতে কিন্তু আমার যে লজ্জা করে সেটা কি বুঝে না কিন্তু রাহুল স্যার এর মুখ দেখে খারাপ লাগলো দ্বিধা দ্বন্দ্ব করে অবেশেষে দিয়েই দিলো আর ছোটে বেরিয়ে পরলো আর একবার ও পেছনে ফিরে তাকায় নি অনেক লজ্জা করছে। মনে হচ্ছে ভাটি ফাক করে ঢুকে পরি।

রাহুল গালে হাত দিয়ে বসে আছে অসম্ভব ভালো লাগছে। ছোঁয়া নিজে থেকে আমাকে চুমু খেয়েছে কি করবে ভেবে পাচ্ছে খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেছে অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করছে। তার ভানে ছোঁয়া ও আমাকে ভালোবাসে নয়তো আর ভাবতে পারছি না।
কিন্তু খুশি বেশিক্ষণ রইলো না ফোনে কথা বলে রাগে কপালের রগ ফুলে উঠলো। আসিফ জামেলা করতাছে রাস্তায় ওর লোকদের মারছে সেই খবর দিতে ফোন এসেছিল।
বড় সড় একটা জামেলা হয়ে গেল কেউ কারো থেকে কম না দু দলের লোক ই সমান তালে লেগেছে কেউ থামার নাম নিচ্ছে না।
পুলিশ এসে থামিয়েছে রাহুল হাতে ব্যাথা পেয়েছে কেটে গেছে। সবাই অস্থির হয়ে ব্যান্ডেজ করতে চাইলো কিন্তু রাহুল করলো না।

রাত বাজে একটা রাহুল ছোঁয়াদের বাড়ির সামনে দাড়িয়ে আছে। হালকা জ্বর সাথে হাতে ব্যাথা এই নিয়ে রুমে ঢুকে মায়াবতী দেখতে পারছে না। কিন্তু না দেখে যে থাকতে পারবে না তখন ছোঁয়া ওকে টাচ করে বুকে আগুন জালিয়ে দিয়েছে এখন এক মুহূর্তে ও থাকতে পারছে না। এমনি জোর করে টাচ করে যে অনুভূতি না হয়ে ছোঁয়া দেওয়া একটু ভালোবাসা পাগল করে তুলছে। না না কথা ভেবে ফোন দিল ছোঁয়া কে?

চলবে❤

Dangerous_Villain_Lover part 13

0

Dangerous_Villain_Lover
part 13
#writer_Tanjina_Akter_misti

কানে কাছে শব্দ পাচ্ছি কিন্তু কিসের আমি কোথায় আছি আমি কি বেচে আছি নাকি মরে গেছি। বেচে কি করে থাকবো আমাকে তো ওই লোকটা গুলি করে দিয়েছিল। কিন্তু শব্দ কোথায় থেকে আসছে নরতে যাবো একি কেউ মনে হচ্ছে আমার শক্ত করে ধরে আছে কিন্তু মরার পর কে ধরে আছে আমাকে। মিটিমিটি করে চোখ মেলে তাকালাম আর যা দেখলাম তাতে আমার চোখ কপালে স্যার আমাকে ধরে আছে কিন্তু স্যার কি করে আমি যদি মরে গিয়ে থাকি স্যার কোথায় একে এলো স্যার ও কি মরে গেছে সঙ্গে সঙ্গে মুখে হাত দিলাম ছি ছি কি সব ভাবছি।
স্যার আমাকে চোখ খুলতে দেখেই এক প্রকার লাফিয়ে উঠলো খুশিতে তার চোখে পানি। আমার মুখে চুমুতে ভরিয়ে দিতে লাগল,

— মায়াবতী তুমি ঠিক আছে দেখ তোমার কিছু হবে নি প্লিজ চোখ খুলে থাক।

আমি সঙ্গে সঙ্গে চোখ বন্ধ করে ফেলছি। একি স্যার এভাবেকথা বলছে তার মানে আমি মরে যাই কিন্তু কিভাবে ওই লোকটা তো আমার মাথায় রিভলবার ধরেছিল। হঠাৎ গুলির আওয়াজের কথা মনে পরলো সঙ্গে সঙ্গে ভয়ে কোকরে উঠলাম।

— ওরা তো আমায় মেরে দিচ্ছি লো স্যার আমি বেচে আছি কি করে।

বলেই চোখ মেলে আকালাম স্যারের মুখ মুহূর্তে অগ্নি মূর্তি ধারণ করে আমাকে বিছানায় চেপে ধরলো। ঘটনা আর্কষমিক আমি হতন্বভ হয়ে গেলাম স্যার লাল চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি হাতে ব্যাথা পেয়ে আহ করে উঠলাম স্যার সঙ্গে সঙ্গে চোখ বন্ধ করে হাতের বাধন ডিলা করে দিলো। আমি সাথে সাথে স্যার কে ধাক্কা দিয়ে উঠে বসলাম,,

— স্যার প্লিজ আমার থেকে দূরে আকবেন খালি গা ঘেষেন কেন আর আমি তো ঠিক ই বলেছি ওরা তো আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল এখন আমি এখানে কেন বাচলাম কি করে জানবো না।

— জানি না আমি তুমি মরার কথা কোন সাহসে উচ্চারণ করলে। যে তোমার দিকে চোখ তুলে তাকা বে তাকে ও আমি মেরে পুতে ফেলবো আর মারা তো দূরে কথা।

বলেই আমাকে কাছে টেনে বুকে জরিয়ে নিলো। আমি স্যারের কথার আগামাথা কিছু বুঝতে পারছি না হঠাৎ জেসির কথা মনে পরলো ও তো আমার সাথে ছিলো ওর কোন ক্ষতি হয় নি তো আমি জোর করে মাথা উঠিয়ে।

— স্যার আমি এখানে কি করে এলাম আর আমার সাথে তো জেসি ছিলো ও কোথায়? ও ঠিক আছে তো ওর কোন ক্ষতি হয়নি তো প্লিজ বলুন।

— ও ঠিক আছে মায়াবতী তুমি শান্ত হয়ে বস প্লিজ। ওকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

— আমি এখানে কি করছি এটা কার বাসা আর আপনি আমাকে পেলেন কি করে?

— এটা আমার বাসা আর আমি তোমাকে এখানে নিয়ে এসেছি।

— কিন্তু আমি তো

— এতো কথা বলো না তোমার শরীর এমনি তেই র্দূবল চুপ করে থাক এতো ভেবে কি হবে?

— নাহ প্লিজ বলুন ওরি তো আমাকে মেরে দিতে চাইছিল আমি কি করে বেচে গেলাম।

— এটা মনে রাখ যত দিন এই আমি বেচে আছি কেউ তোমার শরীর একটা আচর ও কাটতে পারবে না।

বলেই আমার কপালে ঠোট ছোয়ালো আমি হা করে আছি স্যার আমি কথা বলতে গেলেই হাত দিয়ে থামিয়ে দিচ্ছি। কিন্তু আমি শান্ত থাকতে পারছি না কি করে কি বলো সব জানতে ইচ্ছে হচ্ছে কিন্তু স্যার তো কিছু বলছে না। ফোন বের করে কাকে যেন ফোন দিলোকি যেন বলতে লাগল। আমি স্যার এর দিকে তাকালাম স্যার একটা সাদা টাউজার আর উপরে নীল শার্ট পরে আছে দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে বরাবরের মতো আমি সব ভুলে হা করে তাকিয়ে আছি স্যারের দিকে। একটু পর স্যার আমার পাশে এসে বসলো সাথে সাথে একজন সার্ভেন্ট এসে খাবার দিয়ে যায়। স্যার নিজের হাতে আমার দিকে খাবার তুলে দেয়।

– আমি খাবো না বাসার যাব আমাকে বাড়ি দিয়ে আসেন সবাই চিন্তা করছে।

— না আজ এখানেই থাকতে হবে।

— হুয়াট

— হুম কারণে তোমার বাড়ির সবাই জানে তুমি জেসিদের বাড়ি আজ থাকবে কাল সকালে দিয়ে আসবো এখন তারাতারি খেয়ে ঘুমিয়ে পরো তো।

— এখন কয়টা বাজে?

— এগারোটা

আমি চোখ কপালে তুলে স্যার এর দিকে তাকালামকতো সময় পেরিয়ে গেছে হাত দিয়ে খেতে গেলে স্যার আমার হাত সরিয়ে নিজে খাইয়ে দিতে লাগে। আমি হা করে স্যারের দিকে তাকাচ্ছি স্যার যে আমাকে ভালোবাসি বলেছিল এখন মনে পরলো সাথে সাথে লজ্জা কোকরে উঠলাম।
খাওয়া শেষে।

— ছোঁয়া এখানে শুয়ে পর।

— আচ্ছা আপনি বের হোন আমি দরজা লাগিয়ে ঘুমাবো।

— হুয়াট আমি বের হবো তাহলে আমি ঘুমাবো কোথায়?

— সেটি আমি কি করে বলবো। আপনাদের কি আর রুম নাই।

— আছে কিন্তু এখানে ছাড়া ঘুম হয় না।

— তাহলে আপনি এখানে শুয়ে পরোন আমি অন্য রুমে শুয়ে পরবো।

— নাহ

— মানে কি আপনি ও যাবেন না আমি ও না তাহলে কি না ঘুমিয়ে জেগে থাকবো।

— এক রুমে ঘুমায়।

— পাগল নাকি এ রুমে কি বলছেন একদম না আমি তাহলে ঘুমাবোই না।

রাহুল স্যার আমার পাশে এসে বসে আমার দিকে তাকিয়ে বলল,,, আমাকে বিলিভ করতে পারো মায়াবতী তোমার সাথে খারাপ কিছু করবো না। অধিকার নিয়েই যা করার করবো তার আগে কিছু করবো না।

আমি কি বলবো বুঝতে পারছি না কিন্তু তবুও একটা ছেলের সাদে এক রুমে ঘুমাবো ভাবতেই কেমন জানি লাগছে। কিছু বলতে যাব স্যার আমাকে জোর করে খাটে শুয়য়ে দিয়ে মাথায় বিলি কেটে দিতে লাগল। কেন জানি বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হলো স্যারের দিকে তাকিয়ে থেকে কখন ঘুমিয়ে পরেছি জানি না।

.
.

রাহুল ছোঁয়া কে ঘুম পারিয়ে দেয়। চোখে আগুন জলছে ওর মায়াবতীর দিকে নজর এতো বড় সাহস ওদের বলেই ডয়ার থেকে দুটো বন্ধুক আর ড্রেস পরে বেরিয়ে যায় এতোক্ষণ ছোঁয়া চিন্তায় কিছু করতে পারে নি। রাহুলের লোকেরা যারা ছোঁয়া কে বন্ধি করে নিয়ে গেছিল সেখানে থেকে আটজনেকে বন্ধি করে এনেছে। রাহুল বাসা থেকে বের হয়ে বাইরে ইসস্টোর রুমে দিকে এগিয়ে গলো কারো অজ রক্ষে নেই রাহুলের জানের দিকে হাত বাড়িয়ে ছে।

রাহুলের সামনে সবাইকে বসিয়ে রাখা হয়েছে সবাই প্রাণ ভিক্ষা চাইছে।

— তুই আমার জানকে গুলি করতে গিয়েছিলি তাইনা।

একজনের সামনে গিয়ে দাড়িয়ে।

— সরি আমি জানতাম না ওই মেয়ে আপনার পরিচিত।

— তাই জানতি না কিন্তু ভুল করে যে আমার কলিজায় হাত দিয়েছি এর শাস্তি তো তোকে পেতেই হবে।

ছেলেটিকে আর কিছু বলতে না দিয়ে রিভলবার বের করে শুট করে দেয় আর ছেলেটি উল্টো হয়ে পরে যায়।

— আমি বাসার যাচ্ছি ছোঁয়া জেগে যেতি পারে তোরা এদের ব্যবস্তা কর।

— বস মেরে দেব নাকি।

— হুম মেরে দে মেয়েদের পাচার করার এটাই ভালো শাস্তি আসিফ বুজবে এবার।

রাহুল বেরিয়ে আসে।

চলবে❤

Dangerous_Villain_Lover part 12

0

Dangerous_Villain_Lover
part 12
#Writer_Tanjina_Akter_Misti

ছোঁয়া নিজের রুমে দরজা বন্ধ করে আয়নার সামনে বসে আছে একবার নিজের দিকে তাকাচ্ছে তো একবার চিন্তা করছে স্যার কী বলল? স্যার আমাকে ভালোবাসে। এটা কি করে সম্ভব ওর্র যা বলছিল সব সত্যি এর জন্য স্যারের বিহেভ আমার অদ্ভুত লেগেছিল। চিন্তায় এসে যাচ্ছে সেই কলেজে থেকে এসে এভাবেই ভেবে চলেছে দরজা বন্ধ করে বাইরে থেকে কতো ডাকলো সবাই কিন্তু ছোঁয়া দরজা খুলে নি ওর মাথা এখন ও ভন ভন করছে স্যারের বলা কথা গুলো। রিফাত ভাইয়ার সাথে দেখে স্যার এতোটা রিয়েক্ট করে ভাবা যায় এসব কতো রেগে ছিলো হাতে চোখ পরলো ব্যাথা হয়ে আছে। কারো সামনে যাচ্ছে না কি ভাবে যে সবার থেকে পালিয়ে এসেছে এই ঘর পযর্ন্ত আল্লাহ জানে স্যার এই গালে কামড় দিয়েছে দাগ স্পর্শ জেসি টিয়া জিগ্গেস করেছিল। কোন রকম মিথ্যে বলে পালিয়েছি। বাড়িতে আম্মুর আববুর সামনে গেলে ও এক বিপদে পরবো না এর থেকে ঘরেই বসে থাকি আজ খাবোই না ডাকুক যত ইচ্ছে। ছোঁয়া বিছানায় দিকে এগিয়ে গেল শুয়ে পরার জন্য।

শুয়ে পরেছি কিন্তু ঘুম আসছে না কি বিপদে পরলাম ঘ ড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি দশটা বাজে ছোঁয়া উঠে বসলো না বের হতেই হবে কিন্তু কিভাবে যে কি করে না খেয়ে ঘুম আসবে না উঠে বাইরে উকিঁ দিলো আম্মু নাই তারাতারি কিচেনে চলে এলো খাবার নিয়ে যেই আসতে যাবে সামনে দেখি আম্মু। আম্মুকে দেখেই একটা মন ভুলানো হাসি দিলাম এ কোথায় থেকে এলো একেতো তখন দেখলাম না।

– আম্মু তুমি !

– হুম মা আমি তোমার খাবার নিয়ে বসে আছি।

– ওহ আচ্ছা এই যে নিয়েছি আমি রুমে যাই।

– না এখানে বসে খাও আর দেখি তোমার গালে কিসে কামরেছে দেখি।

এটা শুনে আর দাড়ালাম না পেছনে ঘুরেই দৌড় আর চিৎকার করে বললাম,, আম্মু আমার ঘুম পাচ্ছে রুমে খেয়ে শুয়ে পরবো কাল তোমার সাথে কথা বলছি কেমন?

– না ছোঁয়া দেখি তোমার কি হয়েছে?

– কিছু হয়নি আম্মু।

রুমে এসে জোরে ধম নিলাম। আল্লাহ খুব জোর বাচিয়ে দিয়েছে।

পরদিন
ছোঁয়া বাইরে দাড়িয়ে আছে জেসির জন্য জেসি আসার সাথে সাথে দুজনে হাটা দেয় কলেজ পথে জেসি বারবার জিগ্গেস করছে কালকের কথা অবশেষে আর না বলে পারলাম না সব খুলে বললাম সব শুনে যেন অবাকে চোটে আমাকে রাস্তায় দার করিয়ে হা করে আছে।

– এই কিহলো এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন?

– দোস্ত স্যার তোরে ভালোবাসে রে কি সুন্দর পোলাডা আমার তো হিংসে হচ্ছে তোর ভাইয়ের সাথে দেখে এই অবস্থা।

– জানিস তখন কতো ভয়ংকর লাগছিল আমি তো ভ য়ে কাপা কাপি করেছি।

দুজনে রাস্তার মাঝে দাড়িয়ে এসব বিভেচনা করছি হঠাৎ কিছু লোক আমাদের ঘিরে ধরে আমি আর জেসি তো ভ য়ে শেষ গোন্ডা টাইপের লোক আমাদের জোর করে গাড়িতে উঠিয়ে নেয়। আমরা ছুটার চেস্টা করছি কিন্তু পারলাম না। কিছু একটা মুখের সামনে ধরে আর কিছু মনে নেই। যখন চোখ খুলি নিজেকে একটা রুমে পাই অবাক করা বিষয় রুমে আর ও অনেক মেয়ে আছে যাদের বয়স আমার মতো আমি চোখ খুলতেই একজন পাশে এসে জিগ্গেস করে কেমন লাগছে এখন। আমি কথা না বলে জেসি কে খুজতে লাগি আমার পাশেই জেসি ওর ও জ্ঞান আসছে চোখ খুলেই আমাকে দেখে জিগ্গেস করলো।

– আমরি কোথায় আছে রে ছোঁয়া এরা কারা।

– আমি জানি না কিছু।

ওই মেয়ের সাথে কথা বলেই আমার পায়ের তলে থেকে মাটি সরে গেল। জেসি তো চিৎকার করে কাদা শুরু করে দিয়েছে। হঠাৎ একটা বন্ধুক হাতে লোক রুমে প্রবেশ করলো আর বলল যে না কাদি কাদলে খবর করে ছারবে চুপচাপ থাকতে বলে চলে গেল লোকটি। ওই মেয়ে ও বলল এরা নাকি পাচার কারি তাদের কে ও পাচার করার জন্য ধরে এনেছে আজ সন্ধ্যায় হবে।

ছোঁয়া ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো তিনটা বাজে। চোখ বড় বড় করে একে অপরের দিকে তাকায় কারণ আমরা কলেজের যাচ্ছিলাম দশটার দশ মিনিট আগে আর এখন তিনটা এতো ক্ষণ ছিলাম বেহুশ।

– জেসি আমাদের এখানে থেকে যে করেই হোক পালাতে হবে চল টাই করি।

– কি ভাবে করবি কতো লোক পাহারা দিচ্ছে দেখতে পাচ্ছিস।

– হুম কিন্তু এভাবে চুপ করে বসে কি বিক্রি হবি।

– না আমার কি হবে রে ছোঁয়া শেষে কিনা বিক্রি হবো। আমাকে বাচা তুই আমার জানের কি হবে ও তো আমাকে একদিন না দেখলেই পাগল হয়ে যায়।

বলেই কান্না শুরু করলো।

– তুই তোর ফালতু পেচাল বাদ দিবি আর ভাব কি করে পালানো যায়।

– আমি কি ভাববো আমার মাথায় কিছু আসবে না রে বোন তুই ভাব আমার মতে কিছু করতে পারবো না।

-ধূর চুপ থাক।

ছোঁয়া ভেবে চলেছে কি করে পালানো যায় রুমে জানালা একটা এ কেমন রুম রে বাবা সব মেয়েরা বসে আছে আমি জেসি কে নিয়ে ওদের কাছে গেলাম। আর সব বললাম ওরা খুশি হলো পালানো র কথা শুনে কিন্তু মূহুর্তে মুখ শুকিয়ে ফেলল কারণে এতো পাহারার লোক তাতে পালানো মুশকিল।

তাও সাহস করলাম আমি। একটা রিক্ম নিতে ই হবে। সব বলল ভয় নিয়ে একটুআশায় রাজি হলো সবাই।
রাএি কে অজ্ঞানের আটটিং করতে বলল শুরু হলো চেচামেচি আমরা সবাই চিৎকার করছি যাতে দরজা যারা আছে তাদের ভেতরে আনার জন্য আর সফল হলাম ও সবাই বলতে চারজন এসেছে দেখের জন্য কি হয়েছে। আমরা দরজার কাছে ছিলাম তারা দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করতেই সব গুলো রুমে বাইরে বেরিয়ে দরজা বাইরে থেকে লাগিয়ে দিলাম।

?

সবার মুখে হাসি কিন্তু বেশিক্ষণ টিকলো না এই হাসি রুমের বাইরে তো এসেছি কিন্তু সামনে যে আর ও বড় বিপদ রাকবে কে জানতো দশ জনের মতো লোক আমাদের গিরে ধরলো এরা নিশ্চয়ই বাইরে ছিলো এদের কথা মনেই ছিলো না। ভয়ে সবাই শেষ এখন আমার ও ভ য় করছে ভয়ে সব সাহস শেষ আমি কাপছি জেসি তো কাদে দিয়েছে। সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে ওরা জিগ্গেস করছে এই পালানোর বুদ্ধি কে দিয়েছে কেউ মুখে বলে নি কিন্তু আমার দিকে তাআনোতে হয়তো বুঝে গেছে আমি এবার শেষ লোকটা হাতের বন্ধুক আমার মাথায় ধরলো। ভ য়ে আমি চোখ বন্ধ করে আছি এই বুঝি শেষ নিশ্বাস ছারতে হবে আর আম্মু আববুকে দেখা হবে না চোখ দিয়ে পানি পরছে হঠাৎ স্যারের মুখটা ভেসে উঠলো। কালকেই স্যার আমাকে ভালো বাসি বলল আর আজই স্যার কে দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে।
অতি ভয় আর রক্তে আমি দিশেহারা হয়ে যায় আজ ও তাই হচ্ছে জেসি না না কিছু বলে আমাকে ছেড়ে ইতে বলছে কিন্তু কে শুনে কার কথা হঠাৎ গুলির শব্দের সাথে সাথে আর চোখ বন্ধ হয়ে গেল একবার চোখ মেলে তাকিয়ে দেখলাম কিন্তু বেশিক্ষণ রাখতে পারলাম না।

চলবে…….

Dangerous_Villain_Lover part 11

0

Dangerous_Villain_Lover
part 11
#Writer_Tanjina_Akter_Misti

হঠাৎ পেছনে থেকে কেউ চোখ ধরলো আচমকা এমন হওয়ায় ঘাবরে গেল ছোঁয়া অন্য সময় হলে হয়তো হতো না এমন অনেক সময় আববু ও করে কিন্তু আজ রাগ হচ্ছে এমনিতেই না না কথা ভাবছিল স্যার কে নিয়ে স্যার কেন এমন করছে তার মাঝে ব্যগাত ঘটাল এই হাত রেগে হাতের উপর হাত রেখে বলতে লাগল….

— ওফ আববু আমার ভালো লাগছে না সরাও হাত। কি হলো আমার সামনে এসে বসো দূরে আমি তো চিনেছি তোমাকে

বলেই ভুখ বন্ধ করে ফেলল একি এটা তো আববুর হাত না। আববুর হাতে আংটি আছে তিনটা যা ধরে বুঝতে পারি এটা আববু কিন্তু এই হাতে তো আংটি আছে দুইটি এটা কে তাহলে হাত ও সরাচ্ছে না। এবার ভ য় হতে লাগল ভয় মিশ্রিত গলায়,,, কে কে,,, বলে উঠে সারা না পেয়ে যেই কেদে দেবে কেউ হাত সরিয়ে সামনে এসে বসে। আমি তাকে দেখে অবাক হয়ে যায় এ আমি কাকে দেখছি প্রায় ছয়মাস পর দেখছি আমি হা করে তাকিয়ে আছি।

— কি হলো এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন?

— ভাইয়া তুমি!

— হুম আমি কেন?

— আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছে না তুমি এতো দিন।

— খুব ব্যস্ত ছিলাম।

— ওহ কিন্তু তুমি এতো দিন আমাদের কারো সাথে যোগাযোগ করো নি কেন ফুফি তো তোমার চিন্তা শেষ।

— বিজি ছিলাম রে কাজে অনেক তাই।

— যত বিজিই থাক না কেন তোমার যোগাযোগ রাখা উচিত ছিলো যোগাযোগ করে একটু কথা বললে কি এমন ক্ষতি হতো।

সামনের লোকটি কানে হাত দিয়ে সরি বলল।

— এই যে কানে ধরে বলছি আর কখনো এমন করবো না হয়েছে।

ছোঁয়া যার সাথে কথা বলছে সে হচ্ছে ছোঁয়ার ফুফাতো ভাই রিফাত। ছয় মাস আগে রিফাত হঠাৎ ই উদাও হয়ে যায় তাই সবাই খুব চিন্তা কোথায় আছে কি করছে রিফাত শুধু বলেছিল ব্যবসা করবে। আজ হঠাৎ দেখে অবাক হয়েছে।
সব শুনে জানতে পারলো কি ব্যবসা করছে সেটা এখন ভালো আছে তাই এখন থেকে এখানেই থাকবে। কিছুক্ষণ গল্প করলাম কিন্তু আমি গল্প মন দিতে পারছি না বারবার স্যার এর ব্যবহার মনে পরছে কিন্তু ভাইয়া কে বলতে ও পারছি না।

— আচ্ছা ভাইয়া আমার না অনেক ঘুম আসছে কাল কথা বলি।

— আচ্ছা তাহলে ঘুমা কিন্তু কিল তো আর হবে না আমি তো সকালেই চলে যাচ্ছি।

— ওহ

— হুম একটা কথা কাল কোথায় ও ঘুরতে যাবি।

— আমার তো কলেজ আছে।

— কলেজ শুরু আগে।

— আচ্ছা।

রিফাত চলে গেল। ছোঁয়া আববু ঠোঁটে হাত দিয়ে আয়নার কাছে গেল স্যার আমাকে এখানে। না না ভাবতে কেমন লাগছে কিন্তু এটা স্যার কেন করলো অন্য কিছু করে ও তো ঝাল কমাতে পারতো ওটাই কেন, জেসি আর টিয়া যে বলল স্যার আমাকে ভালোবাসে সত্যি কি বাসে।

রাহুল গোডাউনে রাগী মুখ করে বসে আছে রাগে ওর শরীর কাপছে সবাই ভয়ে ভয়ে তাকিয়ে আছে।
চিৎকার করে উঠে।

— বস আমরা খুজ নিয়ে এসেছি?

সঙ্গে সঙ্গে রাহুল এর মুখ উজ্জল হয়ে উঠল ও রাগ সংবত করে তাকাল।

– বস আসিফ রবিবার মেয়ে পাচার করবে আর কালকে সবাইকে ওর গোপন গোডাউনে আনবে দুইজন মেয়ে এখন ও পায় নি।

— ভ্যারি গুড। আমরা তাহলে পরশু যাব সবাইকে উদ্ধার করতে ওকে।

সবাই মাথা নেরে সম্মতি দেয়।

পরদিন

রাহুল কলেজে যাওয়ার আগে ছোঁয়া নিতে আসে কিন্তু ছোঁয়া কে পায় না অনেক ক্ষণ ওয়েট করে অধীর আগ্রহ নিয়ে কিন্তু খবর নেই এক ধ্যান জানালা দিয়ে তাকিয়ে আছে ছোঁয়া কে দেখা যাচ্ছে না ছোকি চলে গেছে। ভালো লাগছে না কাল রাতে ও আসতে পারে নি ওই চিন্তা করে কখন থেকে মায়াবতী কে দেখি না কোথায় আছে কি করছে।
এক মূহুর্তে না দেখলে পাগল পাগল লাগে নিজেকে। ওই ভাবে দ্রুত কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দিল কলেজে গেলেই দেখা পাবে। কলেজে এসে সারা কলেজ খুজতে থাকে কিন্তু কোথায় ও নাই চাতক পাখির মতো খুজে চলেছে। আশেপাশের সবাই হা করে তাকিয়ে আছে সবাই ভাবছে স্যার এতো ঘুরে কাকে খুজছে।
ব্যর্থ হয়ে বারান্দায় দাড়ালো। হঠাৎ চোখ গেল গেটের কাছে ছোঁয়া দাড়িয়ে আছে সাথে ক।একটা ছেলৃ যার মুখ দেখা যাচ্ছে না ছোঁয়া হেসে হেসে কথা বলছে হঠাৎ ছেলেটা ছোঁয়া গালে হাত দিলো ছোঁয়া হেসে সরিয়ে দিলো তারপর বাই বলে গাড়ি তে উঠে বসলো ছোঁয়া হাত নারিয়ে দিলো।

আর রাগ সংবত করতে পারছে না রাগে ফর্সা মুখ লাল টকটকে হয়ে গেছে যেন সবাই ধংস করে দিবে। কে ওই ছেলে ওর সাহস কি করে হলো আমার মায়াবতীর সাথে হেসে হেসে কথা বলার ওর এতো বড় সাহস ও ছোঁয়ার গালে হাত দেয় ওকে আমি খুন করে ফেলবো।
ভেবেই জোরে হাটা দেয় ছোঁয়ার দিকে। হঠাৎ কেউ ছোঁয়ার হাত টেনে শক্ত করে ধরে তাকিয়ে দেখের আগেই সে হাত টেনে একটা খালি ক্লাস রুমে এনে দরজা বন্ধ করে দেয় তারপর ছোঁয়াকে দেয়ালে চেপে ধরে দুহাত মুচরে। ছোঁয়া হতবাক হয়ে তাকিয়ে আছে কি হচ্ছে কি সব ওর মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। এতত জোর হাত ধরেছে যে হাত ব্যাথা করছে স্যারের দিকে তাকিয়ে আতকে উঠে ছোঁয়া চোখ জোরা অসম্ভব লাল হয়ে আছে দেখেই বয় পেয়ে যায় ছোঁয়া।

কিছু বলতে যাবে স্যার বলে উঠে…..

— কে ওই ছেলে কি কথা বলছিলি ওর সাথে তুই?

— স্যা র

ভয়ে কথা বলতে পারছে না।

— কি হলো বল ওই ছেলের সাহস কি করে হলো তোর গালে হাত দেওয়ার।

বলেই আমার গালে হাত দিল তারপর অন্য হাত দিয়ে হাত শক্ত করে ধরে আছে।

— স্যার আমার লাগছে প্লিজ ছারুন কি বলছে এসব আমি কোন ছেলের সাথে কথা বললে আপনার কি তাতে।

কথা বলতে দেরি হলে ও তার দেরি হলো না চিৎকার করে বলল,,

– কি বললি আমার কি আমার ই তো সব। তোর সব কিছু আমার সব তুই আমার সাথে কথা বলবি আমি তোর গালে হাত দেব ওই ছেলে কেন দেবো হুয়াই ওকে আমি।

আর কিছু বলল না আচমকা আমার গালে কামরে ধরলো আমি ব্যাথায় আহ করে উঠলাম চোখ বন্ধ স্যার কি বলছে কি।

— কি বলছেন এসব স্যার আপনার সব মানে কি? ছারুন সামান্য কারণে এমন করছেন কেন কি হন আপনি যে আমার সাথে এমন করছেন কাল রেস্টুরেন্টে এসবের মান কি?

রেগে কথা গুলো বললাম।
স্যার এবার আমার হাত ছেড়ে দিয়ে দুগালে হাত রেখে বলল

— বিকজ আই লাভ ইউ।

চলবে❤

[লেট করার জন্য সরি। আমার আইডিটা হ্যাক হওয়ার জন্য এতোদিন গল্প দিতে পারি না। এখন থেকে নিয়মিত গল্প দেব]