Saturday, July 12, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 1900



পৃথিবী এখন নেশাতে ডুবে – কলমে- আভীদ খান

0

#গল্পপোকা_লিখন_কবিতা_প্রতিযোগিতা

কবিতা- পৃথিবী এখন নেশাতে ডুবে
কলমে- আভীদ খান

বর্তমানে যত মানুষ আছে
সকলে প্রায় নেশাগ্রস্থ।

কেউ হিরোইন ও ইয়াবা, ফেন্সিডিলে
নেশা করে নেশাগ্রস্থ,

আবার কেউ কেউ টিভি ও সিরিয়াল
দেখতে নেশায় নেশাগ্রস্থ।

আর প্রায় মানুষে বর্তমানে
এই স্মার্ট ফোনে বেশি নেশাগ্রস্থ।
কেউ ইউটিউব চ্যানেল দেখতে
নেশায় নেশাগ্রস্থ,

আবার কেউ এনড্রোয়েট ফোনে
গেইমস খেলাতে নেশায় নেশাগ্রস্থ।

আবার বেশিরভাগ লোকে
সকল বয়সি ছেলে মেয়ে থেকে
বৃদ্ধ ও বৃদ্ধারা ফেইসবুক নিয়ে
বেশি নেশায় নেশাগ্রস্থ।

পৃথিবী বর্তমানে বড্ড নেশাময়
জগৎ এখন হাতের মুঠোয়।

কেউ ফেইসবুকে গ্রুপ পেইজ নিয়ে
আসক্তে বেশি নেশাগ্রস্থ,
কেউ লাইক কমেন্ট শেয়ার পাওয়ার
আশাতে বেশি নেশাগ্রস্থ।

হাইরে জগৎ কী নেশাতে জড়িয়ে
আজ নেশায় কাটে না।

অসময়ের অতিথি – লেখা: রেজাউল করিম

0

#গল্পপোকা_কবিতা_লিখন_প্রতিযোগিতা

কবিতা: অসময়ের অতিথি
লেখা: রেজাউল করিম

শয়ে শ’লোক দেখিতে ব্যস্ত
প্রবীণ লোকের মুখ,
সকালে নাকি শান্ত হয়েছে
পাড়াতে পড়েছে শোক।

আপন জনেরা কান্নার সুরে
উঠোন করেছে ভার,
বাবা তোমার ভালবাসা
আর পাবো না আর।

ছেলের বউয়ে চিৎকার দিয়ে
কেঁদে কেঁদে কয়,
পাশের ঘরে থাকতো বাবা
ছিল না কিছুর ভয়।

প্রতিবেশী সবাই বলে
ভালো হয়েছে খুব,
বছর খানেক একাই চলেছে
আজকে হয়েছে চুপ।

পা দু’খানি অসাড় হয়েছে
মাস ছ’খানেক হয়,
একা একা একটা ঘরে
কেমন করে রয়?

গল্প করার খায়েশ ছিল
দেখতে আসলে লোক,
মলিন মুখে হাঁসি ফুটিতো
জলে ভরিত চোখ।

সবার কাছে কতোই দামী
কতোই গুণগান।
সময়ে যদি আসিত তারা
হয়তো বাঁচিত প্রাণ।

বিষাদময় প্রবাস – লেখনীতে: মমতাজ আক্তার উর্মি

0

#গল্পপোকা_কবিতা_লিখন_প্রতিযোগিতা

কবিতার নাম: বিষাদময় প্রবাস
লেখনীতে: মমতাজ আক্তার উর্মি

এ পৃথিবীতে আমাদের বাস
জীবন চলে, চলে উপহাস
ডাঙ্গায় প্রাণী, জলেতে মাছ
উভয় স্থানে কুমিরের বাস।

জীবনের নানামুখী প্রয়োজনে
গমন করতে হয় বিভিন্ন স্থানে,
গড়তে হয় ভিন্ন ভিন্ন আবাস
অনেকে বরণ করে প্রবাস।

প্রবাসে নেই কোনো অবকাশ
সেখানে সবসময় চলে রুদ্ধশ্বাস
প্রবাসে আছে সুন্দর আবাস
তবুও দেহে থাকে না মনের বাস।

প্রবাসে আছে অনেক কষ্ট
এখানে একটুতেই হয় অভিযুক্ত
অভিযোগের বিচার নেই সুষ্ঠু
টাকাতে মন হয় না তুষ্ট।

এখানে নেই কেউ আপন
এখানে ঘটে না মনের মিলন
চোখে ভাসে যখন স্বদেশ জীবন
দু’চোখ কান্নায় ভরে যায় তখন।

প্রবাসে থাকুক যতই সুখ
সবসময় থাকে শূন্য বুক
হারিয়ে যায় হৃদয়ের সুখ
খাঁ খাঁ করে শূন্য এ বুক।

প্রবাস নয় স্থায়ী আবাস
এখানে মমতা পায়না প্রকাশ।
এখানে যদিও পাওয়া যায় তাজ
মন ভরে না সেই কারুকাজ।

যত মনোরঞ্জন থাকুক না পাশে
মন চলে যায় মায়ের কাছে।
এখানে মেঘ চলে না আকাশে
কেন এসেছিলাম এই প্রবাসে।

খুব অল্পই চেয়েছিলাম – কলমে: শারমিন মিতু

0

#গল্পপোকা_কবিতা_লিখন_প্রতিযোগিতা
কবিতা: খুব অল্পই চেয়েছিলাম
কলমে: শারমিন মিতু

পুরোনো ডায়রীর পাতার ভাঁজে
যত্নে রাখা শুকনো বেলীর খুচরো পাপড়িতে
যতটুকু ভালোবাসা জমিয়ে রেখেছিলাম,
তার কিঞ্চিৎ নেই তোমার দামী ফ্ল্যাটের দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখা ছবির ফ্রেমে।

কী ভীষণ ভালোবাসা জমিয়ে রেখেছিলাম
ওড়নার পাশে গেঁথে রাখা সিপ্টিফিনে।
তার আধ ফোঁটাও নেই
তোমার জানালা জুড়ে আবরিত কারুকাজের
দৃষ্টিনন্দন ভারী পর্দায়।

প্রভাতের প্রথম প্রহরে দূর্বাঘাসে জমে থাকা
শিশিরের রৌদ্র ছোঁয়ার তীব্র প্রতীক্ষার মতো
তোমার হেঁটে যাওয়া ব্যস্ত পথের প্রান্তে,
রেখে যাওয়া পদচিহ্নে দু’কদম হাটবো বলে মুঠোবন্দি অপেক্ষাদের নীরব যন্ত্রণায় তড়পে মরেছিলাম।
অথচ দু’দন্ড সময় নেই
তোমার রঙচঙে আর ভারী কাঁচের দামী গাড়ীটির।

আমি খুব অল্পই চেয়েছিলাম।
দিন শেষ সমস্ত ব্যস্ততা গুছিয়ে ঘরে ফিরে এলে,
দামী কোনো উপহার নয়,
শুধু কপাল জুড়ে এক জোড়া ঠোঁটের কমল স্পর্শ চেয়েছিলাম।

চাওয়াটা খুব অল্পই ছিলো।
শেষ বিলেকের করিডরে গোধূলীর রক্তিম আভা ছুঁয়ে দেয়া এক টুকরো মুহূর্ত,
সন্ধ্যে নামতেই চায়ের কাপে তোমার চুমুক দেয়ার শব্দ, এক আধটু খুনসুটি।

প্রশস্থ নয়, একটি বিশ্বস্ত বক্ষ চেয়েছিলাম।
যেখানে মাথা এলিয়ে দিতেই মিলিয়ে যাবে
সমস্ত গ্লানি।
খামছে ধরা নয়, এক জোড়া আগলে রাখা হাত চেয়েছিলাম।
যেন নির্ভরতায় হাত রাখতেই কেটে যাবে
তোমায় হারিয়ে ফেলার ভয়।

তুমি আমার – লিখাঃসাবরিনা মরিয়ম স্নিগ্ধা

0

#গল্পপোকা_কবিতা_লিখন_প্রতিযোগিতা
কবিতাঃতুমি আমার
লিখাঃসাবরিনা মরিয়ম স্নিগ্ধা

তুমি আমার নয়ন মণি, তুমি প্রাণের আলো,
যতন করে ওগো প্রিয়া, তোমায় বাসি ভালো।
তোমায় ছাড়া এ জগতে, চাই না আমি কিছু,
সারাজীবন দিয়ে দেবো, আমি তোমার পিছু।
তুমি থাকো বুকের মাঝে, বাঁ পাজরটা জুড়ে,
তোমায় ছেড়ে চাইনা যেতে, অচেনা কোন দূরে।
মায়া ভরা ওই দুচোখে, মাতাল করা হাসি,
ক্ষণে ক্ষণে ভালোবাসি, সেই সে মধুর হাসি!
কন্ঠ তোমার অতি মধুর, যেন কোকিল পাখি,
পরাণ বলে সকাল সন্ধ্যা, শুধু তোমায় দেখি।
তোমায় ছাড়া এক মুহূর্ত, থাকি কেমনে বলো,
তুমি আমার মন ভূবণে, আশার প্রদীপ জ্বালো।
তোমায় আমি ভালোবাসি, ভালোবাসি অতি,
তুমি হারা হয়ে আমি, চাইনা ছাড়তে জ্যোতি!
ঘোমটার আড়ে যখন তুমি, বদন খানি লুকাও,
ভালোবাসার মানে তখন, আর একটিবার শিখাও।
লাজ মাখানো মুখটি তোমার, আমায় টানে যে খুব,
তোমায় নিয়ে প্রেম যমুনায়, দেবো গভীর এক ডুব।
মন গহীনে আছো তুমি, থাকো হৃদয় জুড়ে,
তোমায় ছাড়া জীবন ছন্দ, বাজে অচীন সুরে।

“নতুন শহর” – লেখনীতেঃ মহতামীম হাসান মীম

0

#গল্পপোকা_কবিতা_লিখন_প্রতিযোগিতা
কবিতার নামঃ “নতুন শহর”
লেখনীতেঃ মহতামীম হাসান মীম

কাব্যের চরণে ছন্দপতন,
গানের সুরে বেতাল কথন,
সাদা ক্যানভাস ভরে না রঙেতে,
গদ্যের বর্ণনা রয়ে যায় অসম্পূর্ণ শব্দচয়নের অভাববোধে,
আসলে আমিতে আমিটাই তো নেই এ ভুবনে,
হারিয়েছি এক নাম না জানা উজানে।
যেথায় শুধু কালোর রাজত্ব,
আর্তনাদের বসবাস আর
অশ্রু পতনের অসহ্য ধব্বনি।

নতুন সে শহরটা আমার অচেনা তবুও
কেমন যেন আপন,
শহরটা আমার ভাষা বোঝে না তবুও
কান্নার ভাষা তার চিরচেনা,
শহরটা দুঃখের চাঁদরে মোড়ানো তবুও
প্রশান্তির বাতাসে মাতানো,
শহরটা বড্ড ছোট তবুও
কান্নার স্বাধীনতায় কঠোর।

নোনাজলে ভরা নদীর দেখা মেলে সেখানে,
সেই পানিতে ভেসে ওঠে শত শত বিনিদ্র রাতের কাহিনী।
চাঁদের মৃদু রূপালি আলোর দেখা মেলে সেখানে,
সেই আলোয় চকচক করে গাল বেয়ে নেমে আসা মুক্তোগুলি।
বৃষ্টির ফোঁটায় নেয়ে ওঠে শুকনো গাছগুলি সেথায়,
সেই বৃষ্টির ছন্দেই তো শোনা যায় আর্তচিৎকারের গানগুলি।

এপিটাফ – লেখনীতে: ফাতিমা আক্তার অদ্রি

0

#গল্পপোকা_কবিতা_লিখন_প্রতিযোগিতা

কবিতা : এপিটাফ
লেখনীতে: ফাতিমা আক্তার অদ্রি

ওহে প্রেয়সী!
মম অশ্রুসিক্ত আঁখিপল্লব আজি ব্যাকুল হইলো
চিরতরে বুজিবার লাগি, মলিন হইলো বদনখানি।
আজি বেদনাক্লিষ্ট দেহখানি শায়িত হিমশয্যায়
চারিপাশে আজি নাহি কেহ রে,
নাহি কেহ মোর আপন আলয়ে!

ওহে প্রেয়সী!
চিত্ত মোর অনুরক্ত হইলো প্রেমকাব্য রচিতে
নাহি পারিলাম রচিতে কোনো প্রেম কাব্য
সময়ের তরে, কালের বিবর্তনে রচিত হইলো বিষাদ-কাব্য!
তারই বিষাদে নীল হইলো মোর অঙ্গখানি,
আজি ফেলি দীর্ঘশ্বাস ব্যর্থতার তরে!

ওহে প্রেয়সী!
ওই তো নিভু নিভু করিছে প্রদীপের শিখা
ম্রিয়মান হইলো আলো উন্মত্ত হাওয়ার তোড়ে।
এহেন নিস্তব্ধ, নীরব তমসাচ্ছন্ন নিশিতে
মম হৃদয়ের উদাত্ত আহবান শুনিতে কি পাও?

ওহে প্রেয়সী!
রচিয়াছি প্রেমকাব্য; হইয়াছে তা বিষাদে নীল!
তারই দহনে আজ নীল হইলো মোর অঙ্গখানি!
আজি নিভু নিভু নয়নে ভাসমান জীর্ণ, শীর্ণ;
আবছা দৃশ্যমান হইলো মহাকালের বিবর্তনে প্রায় বিধ্বস্ত এপিটাফ!

ওহে মহাকাল!
মম চিত্তখানি আজি পুড়িছে জ্বলন্ত চিতায়
হৃদয় মন্দিরে প্রসারিত শ্মশান, দৃষ্টিতে দৃশ্যমান!
মোহাবিষ্টের মতোন প্রমত্ত হইলো অন্তর্দেশ
মম উন্মত্ত চিত্ত, প্রমাদ হইলো ভ্রান্তিরও ছলনে।

ওহে মহাকাল!
শুনিতে কি পাও আজি মোর উদাত্ত আহবান?
দাও মোরে একটুখানি জায়গা ধরনীর বুক চিরে।
খুঁজি শান্তির নীড়, যাহা পাইলাম না ধরণীর বুকে।
আজি ধরনীর বুক বৃদ্ধ করিয়া রচিতে চাহি মোর সমাধিখানি।

ওহে মহাকাল!
এ নহে মোর অযাচিত আহবান!
এ সময়ের তরে সময়ের লাগি যথোচিত সনির্বন্ধ মিনতি।

ওহে মহাকাল!
আজি অতল স্পর্শে নিমজ্জিত হইয়াছে মোর বদনখানি,
হৃদয়খানি বড়ো ব্যাকুল হইলো শ্রাবণের বারিধারা ছুঁইবার লাগি,
হৃদয়ের মানসপটে আজি নাহি রে,
নাহি রে তব পদচিহ্ন, মোর প্রেমালয়ে।

ওহে প্রেয়সী!
চিরতরে ছুটি লইয়া যাইতেছি অম্লান বদনে
করিতে বরণ জীর্ণ শীর্ণ প্রায় বিধ্বস্ত এপিটাফ।
আজি মম ব্যর্থতার জালে হারাইয়া গিয়াছে
বিষাদ কাব্য নামক মোর প্রেম পত্রখানি!

ওহে মহাকাল!
আজি জীবন প্রদীপ শিখা নিভু নিভু করে
দেখিতে কি পাও মহাকাল?
ধরণীর বুক বিদ্ধ করিয়াই কি তথায় ঠাঁই হইবে মোর দেহখানির?
কালের বিবর্তনে কিংবা সময়ের পরিক্রমায়,
জানি একদিন তাও হইবে প্রায় বিধ্বস্ত এপিটাফ!

আহ্বান – তাসলিমা আক্তার অনন্যা

0

#গল্পপোকা_কবিতা_লিখন_প্রতিযোগিতা
আহ্বান
তাসলিমা আক্তার অনন্যা

আর কতকাল রইবে নিরব, মুখ বুজে সহ্য করবে অন্যায়?
মিনতিপূর্বক শোষকের তরে জীবনের কতকাল করবে ব্যয়?
প্রখরতা আনো ব্যক্তিত্বে, রুখে দাঁড়াও হিংস্রতার বিরুদ্ধে।
তিক্ততায় জীবনকে না বিষিয়ে লড়তে হবে জীবন যুদ্ধে।
বাঁশির সুরে মূর্ছাতুর নয়, সত্যের পথে গড়তে হবে প্রতিবাদী আন্দোলন।
দীঘির জলে ফোঁটা পদ্ম না হয়ে হও দীঘির তীরে কাঁপন তোলা আলোড়ন।

আড়ালে তোমার নিন্দে করে, আছে যত নিন্দুকের দল।
মিছিলে হয় শামিল, খুঁজতে তোমার দূর্বলতার ফল।
প্রত্যয়ে হতে হবে তোমায় দৃঢ়, সত্যের আহ্বানে দাও সাড়া।
তিরস্কারে থেমো না, ডাকছে তোমায় আগামীর ধরা।
বাধাকে করতে হবে অতিক্রম, হতে হবে তোমায় আগুয়ান।
দীর্ঘ হোক না চলার পথ, তাতে কী? তুমি তো নওজোয়ান।

আড়ম্বরপূর্ণ জীবনে ভাবছো তুমি, পুষ্পাগমে পেয়েছ সুখের ছোঁয়া।
মিনিট খানিক ভাবো তবে, বোধ কি করছো পূর্ণ হলো হিয়া?
প্রজন্মের তরে নেই কি কিছু করার? একাই করবে ভোগবিলাস?
তিমিরে রইলে তুমি, বৃথা জীবন! যদি না থাকে স্বকীয় অভিলাষ।
বালুচরে বেঁধেছ বাসা, সময় এবার উঠে দাঁড়ায় করো হুঙ্কার!
দীক্ষা নাও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সর্বদা থাকবে সোচ্চার।

আজ তব এসেছে সেই ক্ষণ, দূর নীলিমা হতে করছি আহ্বান।
মিতালি হোক তোমার সাগরের সাথে, তার ন্যায় সম্মুখে হও ধাবমান।
প্রগতি করুক তোমার সন্ধান, তুমি ছুটে চলো বীরের বেশে।
তিমির কেটে আসুক প্রভা তোমার হাত ছুঁয়ে, সোনার বাংলাদেশে।
বাক্যে তোমার থাকুক ঝাঁঝ, যখন তোমার মাঝে থাকে প্রতিবাদী ঝড়।
দীপ্তি প্রভা আঁধার কাটুক, তোমার হাত ধরে আসুক আলয়ে নব প্রহর।

(বিঃদ্রঃ যদিও কবিতাটি অহ্বান মূলক কিন্তু প্রতিটি অনুচ্ছেদের প্রথম বর্ণ মিলালে হয় আমি প্রতিবাদী)

বন্ধু – লেখায়ঃফাইজা হাবীব

0

#গল্পপোকা_কবিতা_লিখন_প্রতিযোগিতা
কবিতাঃবন্ধু
লেখায়ঃফাইজা হাবীব
নির্মল সেই শৈশব কি ভুলে যেতে পারি?
চকলেট থেকে পেন্সিল সেই পুরাতন দিন!
এক বেঞ্চে বসে সেই শিশুপাঠ পড়া
সেই দিনগুলিতে কি ফিরে যাওয়া যায়?

শুয়োপোকা থেকে প্রজাপতি হবার স্মৃতি
বন্ধুত্ব তখন লাভ ক্ষতির হিসাবের বাইরে
সেই নির্ভেজাল ভালবাসা, পবিত্রতা
আজকের কলুষিত পৃথিবীতে কি পাওয়া যায়?

আজ স্মৃতির সিড়ি গোড়ায় দাড়িয়ে
পিছু ফিরে চাই সেই নির্মল হাসিমুখ দেখার আশায়,
জীবনের শেষ প্রান্তে দাড়িয়ে,
মন হারিয়ে যায় বন্ধুত্বের বিকেল বেলায়।
কিন্তু সেই মুখগুলি যে আর দেখা যায় না,
না পাওয়া যায় সেই নিষ্পাপ ভালবাসা
তাই তো তারা রয়ে যায় স্মৃতির মণিকোঠায়।

ছেড়াপাতার কাব্য – লেখনীতে: আয়েশা সিদ্দিকা

0

# গল্পপোকা_কবিতা_লিখন_প্রতিযোগিতা
কবিতা: ছেড়াপাতার কাব্য
লেখনীতে: আয়েশা সিদ্দিকা(খাদিজা সেফার বোন)

রাস্তার ধারের ঐ হিজল গাছটা,
ধুলো পড়ে পাতাগুলো নোংরা হয়ে আছে।
হঠাৎ একদিন বর্ষা এলো,
আসল সুখের বানী নিয়ে।
একটি একটি করে গড়িয়ে পড়ল জল,
কাশফুলের মতো কোমল পাতাগুলোতে।
নোংরা পানিগুলো আামার পদযুগল স্পর্শ করল।
আমার মনে হলো, ওরা যেন আমাকে ভর্ৎসনা করছে।
আমি উদাসীন কিনা ?
আমি ভাবুক কিনা?
আমার জীবন সেই হিজল পাতাগুলোর মতো ধুলো পরে নির্জীব হয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু তুমিও আমার জীবনে মুক্ত ঝরিয়ে এলে।
তোমাকে দেখিনি কতদিন,
কতদিন তোমায় স্পর্শ করিনি।
তোমাকে মনে করে বানিয়ে ফেলি ‘ছেড়াপতার কাব্য’।
তোমাকে বলতে ইচ্ছে করে, “যেও না, আরেকটু সময় থেকে যাও”।
আমি জানি তুমি শুনবে না তবুও,
তুমি অপেক্ষা করবে না তবুও,
তোমার কথা এ হিয়ার পরতে পরতে গঁাথা।
দেখো,একদিন ঠিক আমাদের দেখা হবেই।
তোমার হাত ধরে হাটব খালি পায়,
বকুল ঝরানো পথে, তোমারই সাথে।