মাতৃত্ব সে তো নির্যাস থেকে আস্ত মানুষে পরিণত করার যুদ্ধ
মাতৃত্ব সে তো নয় মাসের কষ্টের, ত্যাগ তিতিক্ষার ফলাফল,
মাতৃত্ব কি বিষ পানে নীলকন্ঠ হবার আরেক নাম?
মাতৃত্ব কি বৃদ্ধ বয়সে বৃদ্ধাশ্রমে দিন কাটানোর অভিশাপ!
নিজের মুখের গ্রাস তুলে যে সন্তানের পেট ভরা
নিজের রক্ত মাংসের বিনিময়ে যাকে তিলতিল বড় করা,
সেই স্নেহ, মায়াকে পিষে ফেলে কীটপতঙ্গে পরিণত হবার কষ্ট
নিজের আত্ব সম্মানকে তিল তিল করে পিষে ফেলাই কি মাতৃত্ব?
মাতৃত্ব অসম্মান নয়, অজ্ঞতা নয় পরিপূর্ণ মর্যাদার নাম
সহস্র স্বর্ণ মুদ্রা, এক তোলা পয়সার ঝনঝনানি নয়!
ভালোবাসা, স্নেহের বদলে সম্মান আর ভালোবাসার দাবি মাতৃত্বের,
এত কষ্ট, ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে কি এই সম্মানটুকু মাতৃত্ব দাবি করতে পারে না?
বঙ্গবন্ধু এমন একটি নাম,
যে নামে একদিন পুরো দেশ উঠেছিল জেগে।
বঙ্গবন্ধু এমন একটি নাম,
যে নাম শুনে ওই হানাদারেরা কেঁপে উঠেছিলো ভয়ে
বঙ্গবন্ধু এমন একটি নাম,
যে নামে হাজারো যোদ্ধার বন্দুক হতে বুলেট গিয়েছিল ছুটে।
. বঙ্গবন্ধু এমন একটি নাম,
যার বজ্রকন্ঠ মেঘের গর্জনকেও হার মানিয়েছিল শেষে।
বঙ্গবন্ধু এমন একটি নাম,
যে নামে বাংলার আকাশ বাতাস হয়েছিল উত্তাল।
বঙ্গবন্ধু এমন একটি নাম,
যে নামে জনসমুদ্র হয়েছিল মুক্তির নেশায় মাতাল।
বঙ্গবন্ধু এমন একটি নাম,
যে নামে বাংলার সূর্য ওঠে প্রতিদিন জেগে।
বঙ্গবন্ধু এমনই একটি শক্তিশালী নাম,
যিনি ছিলেন মোদের জাতির পিতা, এক মহাযোদ্ধার বেশে।
তাঁরই করণে পেয়েছি বাংলা, লাল সবুজের পতাকা,
পেয়েছি স্বাধীনতা, আর এই বাংলার মুক্ত হাওয়া।
তাই তোমাকে জানাই জাতির জনক সালাম হাজার হাজার,
প্রতিটি বাঙালির এই বুকে রইবে, তুমি পিতা মোদের সবার।।
নগরীর বদ্ধ দেয়ালে
এক ভীরু বোন থাকে ঘা ঘেঁষে
দহন জ্বালা শরীরের ভাঁজে ভাঁজে,
হিংস্র পশুর ক্ষণিকের পর পর আঘাতে
উত্তাপ বিসর্জনে ধুঁকে ধুঁকে মরছে সে
খোদার কাছে শেষ নিঃশ্বাসের হাতছানিতে।
নগরীর বদ্ধ দেয়ালে
এক বৃদ্ধ বাবার বুক কাঁপে
শার্ট ভিজে দুঃচিন্তায় ঘামে
তার ময়না পাখির অপেক্ষাতে,
খোঁজ না পাওয়ার ব্যর্থতাতে
অহেতুক দুঃখের গান বুনে
রাত্রি আঁধারের দীর্ঘশ্বাসে।
নগরীর বদ্ধ দেয়ালে
চিৎকার করে মায়া,আবেগ হারা
নষ্টদলের বর্বর হিংস্র পশু
আজ রাত্রিতে, নিশিকন্যার অভাবে
লুটায় সে সতী শরীরের শতরঞ্জি
দারুন এক সুঘ্রাণ শুঁকিতে শুঁকিতে।
নগরীর বদ্ধ দেয়ালে
এক প্রেমিক হারায় আবেগ, প্রতিশ্রুতি,
দু চোখজুড়ে একটু প্রেম ছোঁয়ার মুখচ্ছবি
স্বপ্নীল গোধূলি বিকেলে হাত ধরার আকুলতি।
আসবে কখন, ধরবে হাত
আসে না কেন সে অভিপ্রায়ে,
রাস্তায় দাঁড়িয়ে একা প্রেমিক গোলাপ হাতে
আর একটুখানি দেখার মিথ্যা ভরা প্রহরটিতে।
তবুও! তবুও!
নগরীর বদ্ধ দেয়ালে
ছাড়া না পায় এমন কতো হতভাগিনী
দুর্ভেদ্য যন্ত্রণায়, কাতরতায়, রক্তমাখায়
হায়েনাদের আসে না হৃদয়ে কোনো অনুভূতি,
বেওয়ারিশ লাশেও তারা মজা লুটায়
এক কোমল, ছিন্নভিন্ন, তুলতুলে শরীরে
ক্ষয়িষ্ণু সুতীব্র উল্লাসে পেয়ে আত্মতুষ্টি।
ছোট থেকে শুনেছি শ্লোকে নেই ক্ষয়
পাপকে ঘৃণা করো পাপীকে নয়।
সময়ের দোলাচলে সবই তো বদলায়
এখানেও ঘষামাজা পরিবর্তন সয়।
সাবরিনা, সাহেদ, সম্রাট,পাপিয়া
পাপে কলুষিত তারা ঘৃণ্য মাফিয়া।
এইসব আগাছা যারা তৈরী করে
তারা কেন আড়লে, সময়ে সরে পড়ে।
মুখ ও মুখোশে যারা চলে অহর্নিশ
আইনের বেড়াতে নিরাপদ, নিশ্চিত।
ধরাছোঁয়ার উর্ধ্বে, উপরে উপরে চলে
ঘৃণা ভরা মনেতে দিব নাকি কান মলে!
সেই সব অন্তরালে যারা বসে থাকে,
তাদের মুখোশটা খোলা হোক সবার আগে।
নতুন শ্লোকেতে তাই একসাথে সবে পড়
পাপকে শুধু নয়, পাপীকেও ঘৃণা করো।