Thursday, July 10, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 1505



সিক্রেট গ্যাংস্টার পর্ব-০১

0

#সিক্রেট_গ্যাংস্টার♥
#পর্ব_০১
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা

ভার্সিটির সবার সামনে মাঠের মধ্যে কান ধরে দাঁড়িয়ে আছি।
ঘেমে নেয়ে গেছি।
আমার পাশেই একটু দুরে দাঁড়িয়ে আছে ভার্সিটির ইংরেজি ডিপার্টমেন্ট এর প্রোফেসর, যার দেওয়া শাস্তি হিসাবে আমি গত ১ ঘন্টা যাবত কানে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি।
সবাই দেখে হাসছে।
এটা তো হাস্যকর ব্যাপার লজ্জায় আমার কান্না আসছে।
এদিকে আমার মুখ লাল হয়ে গেছে।
এতেও স্যার এর কোন দয়া হচ্ছে না । সে ছায়ার মধ্যে হাত খানা পকেটে পুরে দাঁড়িয়ে আছেন।
এভাবে বেশ কিছু সময় থাকার পর উনি আমার সামনে আসলেন,
–এই শাস্তি এর পর আমি আশা করবো না , তুমি আর জীবনে এমন কোন কাজ করবে না যা আমার পছন্দ না।
রাগে, দুঃখে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছি কোন কথা বলছি না।
–হাত নামাও আর সং সেজে থাকতে হবে না সবার মাঝে।
কথাটা বলে হনহনিয়ে তার গাড়ির মধ্যে উঠে ভার্সিটি থেকে চলে গেল লোকটা।
আমি কান থেকে হাত নামিয়ে হাঁটতে যাবো কি চোখের সামনে কালো হয়ে এলো।
তখনি পেছন থেকে ঋতু আমাকে ধরে বসল,
–দোস্ত ঠিক আছিস।
–হুম ঠিক আছি রে।
–না রে ঠিক নাই । সরি দোস্ত, দোষ টা আমার শাস্তি তুই পেলি।
–ধুর বাদ দে তো । একটা রিকশা দেখ আমি না আর পারছি না।
–হ্যাঁ দেখছি।
ঋতু গিয়ে রিকশা দেখলো।
একটা রিকশায় উঠলাম আমি আর ও।
বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
–দোস্ত তোর খুব খারাপ লাগছে ?
–শরীরের খারাপ লাগার থেকে মনের খারাপ লাগাটা বেশি রে।
–দোস্ত আমি সরি রে।
–ধুর আর সরি বলিস না । ওই লোকটা তো সব সময় ধান্দায় থাকে আমাকে নিচু দেখানোর জন্য।
–বুঝি না স্যার এমন কেন !
–সত্যি বলছিস ! যদি বুঝতে পারতাম রে তাহলে তো হয়ে গেছিল।
রিকশা তার আপন গতিতে চলছে।
আমি রিকশার উপরে বসে আছি, ঋতু আমাকে ধরে রেখেছে যাতে পরে না যাই । কারন ২ ঘন্টা রোদে দাঁড়িয়ে থেকে অবস্থা আমার খুব খারাপ।
পরিচয় দেয়,
আমি জান্নাতুল মেঘ। এবার অনার্স ১ ম বর্ষের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী।
বাবা মা আর আমি মিলে ছোট্ট একটা সংসার আমাদের।
বাবা অতটা উচ্চবর্তী স্থান এর মানুষ নয়।
সল্প আয়ের সংসার আমাদের।
মা গৃহিণী।
যে আমাকে এতোটা সময় রোদে দাঁড় করিয়ে রেখেছে সে হলো ঢাকা ভার্সিটি এর ইংরেজি ডিপার্টমেন্ট এর প্রোফেসর।
আমার ডিপার্টমেন্ট ও ইংরেজি।
ওনার নাম আমান খান।
শহরের নাম করা বিজনেসম্যান আরিফ খানের বড়ো ছেলে।
আমি বুঝি না তাঁর আমাকে নিয়ে সমস্যা টা কি ! সব সময় আমাকে এভাবে হেনস্তা করে লাভটা কি পায় উনি।
ক্লাসের সবার সাথে ভালো করে কথা বলে আমার বেলায় তুই তোকারি করেন সব সময়।
আজ শুধু শুধু আমাকে এতো বড়ো বাজে শাস্তি দিলেন উনি,
সকালে ভার্সিটি তে এসে ঋতুর সাথে ক্লাসে এলাম।
তখন ঋতু বলল,
–দোস্ত তোর ভাইয়া আমাকে একটা চিঠি দিতে এতে চেয়েছে।
–কিসের চিঠি?
–জানি না জীবনের প্রথম চিঠি দিচ্ছে ও আমাকে।
–ওহ তা ভালো।
–হুম কিন্তু সমস্যা হইছে,
–কি সমস্যা,
–দাদা না আমাদের পাশের বিল্ডিং এ আসছে আজকে।
–কেন তোর দাদা এখানে কেন?
–জানি না একটা দরকারে । তুই প্লিজ চিঠিটা এনে দে।
–এখন?
–হ্যাঁ এখন।
–ওকে সমস্যা নাই ক্লাস শুরু হতে এখনো ১০ মিনিট দেরি আছে আমি নিয়ে আসছি।
–ওকে।
ওকে কথাটা বলে আমি বাইরে বের হলাম।
বের হতে দেখি ভাইয়া দাঁড়িয়ে আছে,
–আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া।
–ওয়ালাইকুম আসসালাম ।
কেমন আছো আপু?
–আলহামদুলিল্লাহ ভালো আপনি?
–আলহামদুলিল্লাহ এই যে চিঠি।
–দিন।
ওনার হাত থেকে চিঠিটা আমি নিবো এমন সময় চিঠিটা অন্য এক জন ছো মেরে নিয়ে গেল।
আমরা দু’জন ই তার দিকে তাকিয়ে পরলাম।
তার দিকে তাকাতে কলিজার পানি আমার অটোমেটিক শুকিয়ে যাচ্ছে।
এটা তো আমান স্যার।
চিঠিটা উনি খুলে পড়লেন।
আমি আর ভাইয়া পাথরের মতো তাকিয়ে আছি,
–কি ব্যাপার কিরন তোমার না ইতিহাস ডিপার্টমেন্ট?
–জ্বি স্যার।
–তাহলে এই ডিপার্টমেন্ট এ কি?
–স্যার আসলে,
–আসলে ফাসলে শুনতে চাচ্ছি না এক্ষুনি ৫ মিনিটের মধ্যে আমার চোখের সামনে থেকে সরো।
–জ্বি স্যার।
সবাই স্যারকে খুব ভয় পায় যার জন্য ভাইয়া কিছু না বলেই চলে গেল।
আর আমি দাঁড়িয়ে রইলাম ।

ভাইয়া যেতেই সবার সামনে ঠাস করে একটা চড় বসিয়ে দিল আমার গালে।
গালে হাত দিয়ে ছল ছল দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম।
–লজ্জা করে না হিন্দু একটা ছেলের সাথে এসব করতে?
–ওটা আমার,
–চুপ একটা কথা বলবি না তুই,
ওই মাঠ দেখছিস সবার সামনে ওখানে কান ধরে ২ ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকবি ঠিক ২ ঘন্টা।
–কিন্তু স্যার,
–তুই আর একটা কথা বললে তোকে আমি এখান থেকে বার করে দিবো । তুই জানিস এ ক্ষমতা আমার আছে ।
স্যারের কথা শুনে আর কিছুই বলার শক্তি ভেতরে থাকলো না।
চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলাম।
কারন সে চাইলে সত্যি আমাকে বার করে দিতে পারে।
বর্তমান,
–দোস্ত বাসায় চলে আসছি।
–ওহ ধন্যবাদ ঋতু তোর বাসা ছেড়ে তুই আমাকে এগিয়ে দিলি,
–আরে ধন্যবাদ তো তোকে আমার দেওয়া উচিৎ আজ তো তুই আমার জন্য,
–থাক বাদ দে,
–হুম।
আমি নেমে বাসার মধ্যে চলে এলাম ।
এক দম ওয়াসরুমে গিয়ে লম্বা সাওয়ার নিয়ে বিছনায় শরীর এলিয়ে দিলাম।
গালটা ব্যাথা হচ্ছে।
দারুণ জোরপ চড়টা মেরেছে।
সত্যি এলটা আস্ত রাক্ষস।
সব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেলাম।
,
,
,
–হ্যালো ঋতু।
–জ্বি স্যার।
–তোমার বান্ধবির কি অবস্থা?
–বাসায় পৌঁছে দিয়েছি মনে হয় ঘুম…..
–ওহ আচ্ছা।
তুমি ওকে বলো না ওর খরব নিয়েছি তোমার থেকে।
–জ্বি স্যার।
–ওকে রাখি।
–জ্বি স্যার।
,
আমান ফোনটা কেটে দেয়।
হাতে থাকা চিঠিটা দিকে লক্ষ্য করে,
চিঠিতে লেখা ছিল,
–ভালোবাসা কি তা তুমি না জীবনে আসলে বুঝতাম না।
তুমি সে প্রথম নারী যে আমার জীবনে এসে পুরো জীবন টাকে আলোকিত করেছো।
এটা আমার লেখা প্রথম চিঠি প্রিয় আজ তবে এতটুকু লিখি ভালোবাসি।
আমায় প্রিয় ঋতু,
নিচে আমার প্রিয় ঋতু লেখাটুকু আমান এখন লক্ষ্য করে দেখছে।
আসলে ও চিঠির প্রথম দুই লাইন পড়ে এতোটাই রেগে গেছিল যে নিচের কিছু পড়েই নি।
–হায় আল্লাহ মেয়েটাকে এতো কঠিন শাস্তি দিলাম আমি।
ঠিক হয় নি এটা করা।
,
এদিকে,
সন্ধ্যা হয়ে গেছে । মেঘকে এভাবে ঘুমাতে দেখে মেঘের মা গিয়ে মেঘকে টেনে তুলে,
–মা শরীর খারাপ নাকি?
–না মা।
–তাহলে এভাবে ঘুমিয়ে আছিস কেন।
–এমনি মা ডাকো নি যে।
–ওহ আয় খেতে আয় । তুই তো খাস নি।
–হুম খাবো।
–আয়।
মায়ের সাথে খেয়ে নিলাম।
তার পর বই নিয়ে বসলাম।
কাল তো ওনার ক্লাস আছে। কিন্তু আজ যা হলো এর পর কিভাবে যাবো আমি ভার্সিটি তে।
লজ্জা আর লজ্জা ! এই স্যার টা ভীষন খারাপ।
বই টা বার করে কিছুই ভালো লাগছে না শুধু বার বার ওই কথা মনে হচ্ছে।
–ধুর ভালো লাগে না।
উঠে জানালার কাছে এসে জানালা খুলে চুল আঁচড়াতে লাগলাম।
তখনি হটাৎ পেছন থেকে কিছু একটার শব্দ পেলাম।
চিরুনি টা হাত থেকে রেখে দেখতে গেলাম কিসের শব্দ।
তখনি হটাৎ পেছন থেকে কেউ,
চলবে,

তুমি শুধু আমার পর্ব-২৪ এবং শেষ পর্ব

0

#তুমি_শুধু_আমার❤(3 characters)
#part:24(শেষ)
#Writer:#TanjiL_Mim❤
.
.
🍁
রান্না ঘরে মনমরা হয়ে বসে আছে তানিশা!!এর কারন একটাই সেটা হলো সিসি ক্যামেরা!!সেদিন আবিরের বোকামির তার বাসরটাও ঠিকমতো হয় নি!!আজকে মিতু,আর মিমের বাসর ঘর!!এটা ভেবে আর নিজের বাসর ঘরের কথা ভেবে মনমরা হয়ে কাজ করছে তানিশা!!এমন সময় পিছন থেকে আবির জড়িয়ে ধরল তানিশাকে!!!
!
আবিরঃ আমার বউটা মনমরা হয়ে আছে কেন?!!
!
তানিশাঃচুপ………..
!
আবিরঃ কি হলো কথা বলবে না আমার সাথে……..
!
তানিশাঃ কিছু হয়নি এমনি ভাল লাগছে না!!
!
আবির হালকা হেসে তানিশার হাতে একটা লাল টকটকে শাড়ি আর কিছু জুয়েলারি দিয়ে বললঃ
!
যাও এগুলো পড়ে সুন্দর করে সেজে এসো!!
!
তানিশাঃ এগুলো দিয়ে কী হবে!!
!
আবিরঃ সেদিন যা হয় নি আজ তা হবে!!রোহান,আর আরিয়ানের মতো আমাদেরও আজকে বাসর ঘর হবে সোনা!!
!
আবিরের কথায় তানিশা লজ্জায় লাল হয়ে গেল তা দেখে আবির বললঃ
!
লজ্জায় দেখি লাল হয়ে গেছে আমার বউটা!!তারপর তানিশার হাতে জিনিস গুলো দিয়ে রান্না ঘর থেকে বেরিয়ে যায় আবির!!
!
!
!
লাল শাড়ি,সাথে কিছু জুয়েলারি, কপালে ছোট্ট একটা কালো টিপ,চোখে গাড়ো কাজল,চুলগুলো খোপা করে, খুব সুন্দর করে সেজেছে তানিশা!!তারপর নিজেদের রুমের দিকে পা বারালো তানিশা!!রুমে ঢুকে তানিশা অবাক হয়ে গেল!!কারন তাদের রুমটি একেবারে প্রথম দিনের বাসর ঘর সাজানোর মতো সাজানো!!আবিরও সেজেছে!!তানিশাকে দেখেঃ
!
আবিরঃআমার বউকে তো খুব সুন্দর লাগছে!!এই বলে তানিশাকে কোলে তুলে নেয় আবির!!তানিশা লজ্জায় আবিরের বুকে মুখ লুকায়!!
!
আবির তানিশাকে বিছানায় শুয়ে দেয়!! তারপর ডুব দেয় ভালোবাসার সাগরে!!!আর এখান থেকে শুরু হবে তাদের নতুন জীবন!!🤗
.
.
.
.
.
.
__________________________________________
.
.
.
.
.
.
-মিতুর দিকে এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে রোহান!!এদিকে মিতু লজ্জায় না মরেই যেতে ইচ্ছে করছে তার!!কি করে বাসর ঘরে জামাইর কোমড় ভেঙে ফেলল সে!!নিজের বোকামির জন্যই এমনটা হলো !!কিন্তু তার কী দোষ সে তো আরশোলাটাকে দেখে ভয় পেয়েই এমন করেছে!!মিতু কিছু বলতে যাবে তার আগেই রোহান মিতুর মুখে হাতে দিয়ে বললঃ
!
হুস………
!
মিতু রোহানের গায়ের উপর থেকে উঠে যায় আস্তে করে!!
!
রোহানও উঠে দাঁড়ায়!!
!
মিতুঃ সরি…..
!
রোহান নেশাক্ত অবস্থায় মিতুর দিকে এগোতে থাকে!!
!
মিতু ভয় পেয়ে পিছানে যেতে থাকে!!একসময় মিতু পিছনে যেতে যেতে দেয়ালের সাথে লেগে যায়!!এদিকে রোহান এগোতে এগোতে মিতুর সাথে মিশি গেছে!!
!
মিতু তাকিয়ে আছে রোহানের দিকে আর রোহান মিতুর ঠোঁটের দিকে!!মিতু আবারও কিছু বলতে যাবে তার আগেই রোহান মিতুর ঠোঁটে নিজের ঠোঁট বসিয়ে দেয়!!ঘটনাচক্রে মিতুর চোখ বড় বড় হয়ে যায়!!পরক্ষণে কি হচ্ছে তা বুঝতে পেরে নিজেও রোহানের সাথে তাল মিলাতে থাকে!!
!
!
!
বেশকিছুক্ষন পর……
রোহান মিতুর ঠোঁট ছেড়ে দিয়ে মিতুর ঘাড়ে চুমু দেয় সাথে সাথে মিতু অন্যরকম নেশায় চলে যায়!!একপর্যায়ে রোহান মিতুকে কোলে তুলে নিয়ে বিছানায় শুয়ে দেয়!!তারপর ডুব দেয় ভালোবাসার সাগরে!!যেখানে আছে শুধু একেক জনের প্রতি আরেক জনের অসম্ভব ভালোবাসা আর বিশ্বাস!!আর এখান থেকেই শুরু হবে তাদের নতুন জীবন!!🤗
.
.
.
.
.
.
__________________________________________
.
.
.
.
.
.
বালিশ দিয়ে উড়াধুরা মারছি আমি আরিয়ানকে!!খুশি হওয়ার চেয়ে অতিরিক্ত রেগে গেছি আমি!!এতদিন এত কষ্ট দেওয়ার কী মানে ছিল যখন আমার সাথে ওরই বিয়ে হবে!!!
!
!
কিছুক্ষণ আগে শুভ্রের জায়গায় আরিয়ানকে দেখে অনেক অবাক হই আমি!!
!
-ভাইয়া তুমি……
!
আরিয়ানঃ তুমি আবার আমাকে ভাইয়া ডাকছো??এই জন্যই এতদিন তোমায় কষ্ট দিয়েছি!!!
!
কী,শুধু ভাইয়া ডাকার জন্য এত কষ্ট দিসো তুমি!!আজকে তোমায় মেরেই ফেলব আমি!!এই বলে বালিশ দিয়ে আরিয়ানকে মারছি আমি!!আমি হয়তো প্রথম মেয়ে হব যে কি না বাসর ঘরে তার জামাইরে বালিশ দিয়ে মারছি!!
!
আরিয়ানঃ সরি প্রিয়শী!!
!
তোর সরি তোর কাছে রাখ!!তুই জানিস কত কষ্ট পেয়েছি আমি!!
!
আরিয়ানঃ তুমি আমাকে তুই করে কথা বলছ!!
!
তুই করে বললে কী করবি তুই!!
!
আরিয়ানঃ কী করব দেখবে তুমি!!!
!
হুম দেখবো!!আরিয়ান হর্ঠাৎ আমায় ধরে বিছানায় শুয়ে দিল তারপর গায়ে উপর উঠে আমার হাত বিছানার সাথে চেপে ধরল!!হর্ঠাৎ করে এমন হওয়ায় কিছুই বুঝতে পারলাম আমি!!চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছি আরিয়ানের দিকে!!
!
আরিয়ানঃ এত উড়ছো কেন আমার কী দোষ!!!তোমায় তো আমি ছবি দিয়ে ছিলাম আমি!!তুমিই তো দেখো নি তাতে আমার কী দোষ?!!
!
আরিয়ানের কথায় আরো অবাক হলাম আমি!!তার মানে তখন মিতু আর তানিশাও বলেছিল!!একবার পিক টা দেখে নে মীম!!
কিন্তু আমি ওদের কথা শুনিনি!কিন্তু কথা হলো আমার জামাই যদি আরিয়ান হয় তবে শুভ্র কে!!আরিয়ান আমার মনের কথা বুঝতে পেরে বললঃ
!
আরিয়ান ও আমি আর শুভ্রর আমি!!আমার পুরো নাম আরিয়ান রহমান শুভ্র!!
!
আরিয়ানের কথায় আরো অবাক হলাম আমি!!তাহলে এত নাটক করার কী দরকার ছিল!!
!
আরিয়ানঃ একটু মজা করেছিলাম!!
!
এইটা একটু মজা তুমি জানো কতটা কষ্ট পেয়েছি আমি!!এই বলে আরিয়ানকে সরিয়ে ওর বুকে কিল ঘুসি মারতে লাগলাম আমি!!
!
তুমি খুব বাজে আমি তোমার সাথে কথা বলব না!!এমন সময় আরিয়ান আমাকে জড়িয়ে ধরে বললঃ
!
সরি প্রিয়সী ভুল হয়ে গেছে!!কিন্তু আমি শুনছি না আরিয়ানের কথা!!
!
ছাড়ো আমায় আমি থাকবো না তোমার সাথে!!এই বলে আরিয়ানকে ছাড়িয়ে বিছানা থেকে নিচে নামলাম আমি!!উদ্দেশ্য এখনি এই মুহুর্তে এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাবো আমি!!কিন্তু কে দেয় যেতে!!আরিয়ান আমার হাত চেপে ধরে বললঃ
!
কোথাও যেতে পারবে না তুমি!!আজকে পর তো আর কোনোদিনও নয়!!
!
কী করবেন আপনি আমি থাকবো না আপনার কাছে!!!
!
আরিয়ানঃকি করব?? এই বলে আরিয়ান আমায় কোলে তুলে নিল!!সাথে সাথে আমি ভয়ে আরিয়ানের হাত চেপে ধরলাম!!
!
আরিয়ান মীমকে বিছানা শুয়ে দিয়ে মেতে উঠল ভালোবাসার দুনিয়ায়!!!
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
দেখতে দেখতে ৫ বছর কেটে গেল!!
রোহানঃ মিস ঝগড়ুটে আমার শার্টটা দেখছো!!
!
মিতুঃ কানা বাঁদর আলমারিতে আছে হয়তো!!খুজে দেখো!!
!
!
রোহান অনেকক্ষণ খুজে আলমারিতে না পেয়ে মিতুকে বললঃ
!
মিস ঝগড়ুটে আমি কোথায়ও পাচ্ছি না তুমি এসো!!-এই বলে
নিচে নামতে যাবে এমন সময় ওদের মেয়ে বলল পাপা আমাতে তোমার জামায় কেমন দেখাচ্ছে…….
!
রোহান ওর মেয়ের দিকে তাকিয়ে বলল খুব সুন্দর লাগছে এই বলে কোলে তুলে নেয় মরিয়মকে!!হুম রোহান আর মিতুর মেয়ের নাম মরিয়ম,৩ বছর বয়স!!এমন সময় মিতুও ঢুকলো রুমে!!বাবা মেয়ের ভালোবাসা দেখে হাসলো মিতু বললঃ
!
আমাকে তো কেউ ভালোবাসে না!!
!
মরিয়মঃকে বলে আমি তোমায় খুব ভানোবাসি!!এই বলে মরিয়ম মিতুর গালে একটা চুমু দিয়ে চলে যায় বাহিরে!!মিতুও বাহিরে যেতে নিলে রোহান হাত ধরে টান দিয়ে মিতুকে নিজের বুকে সাথে মিশিয়ে নিয়ে বলে কে বলছে মিস ঝগড়ুটে তোমায় কেউ ভালোবাসে না!!আমি তো আছি!!আর #তুমি_শুরু_আমার মিস ঝগড়ুটে!!
!
মিতুঃ হুম জানি জানি এই নিয়ে বহুবার বলা হয়েছে!!তাই ভাবছি আরেকটা বিয়ে করে নিব!!তাইলে তো আর শুধু তোমার থাকব না!!
!
রোহানঃ মিতু…..(রেগে গিয়ে) (এখন রোহান রেগে গেলে মিস ঝগড়ুটে নয় মিতু বলে ডাকে)
!
রোহান রেগে গেছে দেখে মিতুও রোহানকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল তারপর রোহানকে বলল জানি তো আর ওটা তো মজা করছি লাম!!আমি এ জন্মেও তোমার আর পরজন্মেও তোমায়!!আর তুমিও শুধু আমি!!
!
#তুমি_শুধু_আমার কানা বাঁদর!!এই বলে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরল রোহান মিতুকে আর মিতু রোহানকে!!!এই ভাবে হাসি কান্না আনন্দ নিয়ে কাটছে মিতু আর রোহানের জীবন!!🤗
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
তানিশা আর আবির একে অপরকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলছে!!
!
#তুমি_শুধু_আমার আবির!!
!
আবিরও জড়িয়ে ধরে বলছে #তুমি_শুধু_আমার তানিশা!!
!
এমন সময় তাদের ছেলে আরমান হাতে তালি দিয়ে বললঃ
!
পাপা মাম্মিকে জড়িয়ে ধরে আছে, কী মজা, কী মজা!!আরমানের কথা শুনে তানিশা আর আবির একে অপরকে ছেড়ে দেয়!!
!
তানিশাঃযা শয়তান ছেলে!!(থাপ্পড় দিয়ে)
!
আবিরঃ একদম আমার ছেলেকে শয়তান বলবে না!!
!
তানিশাঃ হুম তা বলবো কেন?? হয়েছে তো একদম বাবার মতো!!
!
বিনিময়ে আবির আর কিছু বলল না!!ছেলেকে নিয়ে খেলতে বসে পরল নিচে!!আর তানিশা খাটে বসে দেখতে লাগল বাবা ছেলের কাহিনী আর মুচকি হাসছে!!এভাবে হাজারো হাসি কান্না আর দুজনের প্রতি দুজনের অসম্ভব ভালোবাসা নিয়ে কাটছে তাদের জীবন!!🤗
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
বিছানায় শুয়ে আছে আরিয়ান!!আর ওর দু-পাশে ওর দুই ছেলে মেয়ে শুয়ে মাথা টিপছে!!মীম আর আরিয়ানের একটা ছেলে আর একটা মেয়ে!!ছেলের নাম আদ্রিয়ান আর মেয়ের নাম মাইশা!!
মীম আর আরিয়ানের নামে মিল রেখেই তাদের ছেলে মেয়ের নাম রাখা!!এমন সময় রুমে ঢুকলাম আমি!!
!
আদ্রিয়ান আর মাইশা তোমরা এগুলো কী করছ!!
!
আম্মু কিছু না,,এই বলে দুজনেই দৌড় দিল তাদের দাদা-দাদীর কাছে!!
!
!
!
আরিয়ান ঘুমাচ্ছে!!এমন সময় পর্দা সরিয়ে দিলাম আমি!!মুখে রোদ্দুর পড়াতে হালকা নড়লো আরিয়ান!!কিন্তু উঠলো না!!তাই আরিয়ানের কাছে গিয়ে ওর কানের কাছে ঠোঁট নিয়ে বললাম…..
!
ভাইয়া…..সকাল হয়ে গেছে উঠবে না…..(হালকা চেচিয়ে)
!
সাথে সাথে লাফ দিয়ে উঠল আরিয়ান!!আরিয়ানকে এইভাবে উঠতে দেখে উচ্চ স্বরে হাসলাম আমি!!
!
!
এদিকে আরিয়ান হর্ঠাৎ ঘুম থেকে উঠে মীমকে হাসতে দেখে রাগ না হয়ে খুশি হয়ে মীমের হাত ধরে দিল টান!!সাথে সাথে মীম গিয়ে পরল আরিয়ানের বুকের উপর!!
!
এই কী হচ্ছে দরজা খোলা আছে কেউ এসে পরবে….
!
আরিয়ানঃকেউ আসবে না আর আমাকে আবার ভাইয়া ডাকছ!!
!
কে বলেছে ভাইয়া ডেকে ডাকি নি তো!!
!
আরিয়ানঃওহ এখন মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে!!
!
মোটেও না আমি মিথ্যা কথা বলি নি!!
!
আরিয়ানঃঠিক আছে!!তুমি একটু তাকাও তো আমার দিকে!!
!
এই না কোনো তাকাতাকি নাই!!এখন যাও ফ্রেশ এসো আম্মু,আর আব্বু ওয়েট করছে!!
!
আরিয়ানঃ আগে তো আমার মিষ্টি চাই!!
!
এখন কোনো মিষ্টি টিষ্টি নাই!!
!
আরিয়ানঃ কিন্তু আমার তো এখন চাই এই বলে আরিয়ান আমার ঠোঁটের কাছে এগোতে যাবে তার আগেই আরিয়ানকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে চলে আসি আমি!!আমার এমন কাজের আরিয়ান হয়তো ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেল!!হেসে বলল….
!
কোথায় পালাবে প্রিয়সী,আমার কাছ থেকে
!
#তুমি_শুধু_আমার প্রিয়সী,শুধুই আমার!!!এই বলে মুচকি হাসলো আরিয়ান!!এভাবেই খুনসুটি ভালোবাসায় কাটছে আরিয়ান আর মীমের জীবন!!🤗
!
!
সবাই ওদের সবার জন্য দোয়া করবা!!!যেন এভাবে সবাই সবাইকে ভালোবাসতে পারে সারাজীবন!!!🤗♥🤗
!
🍁…………………..সমাপ্ত…………………………🍁
!
[আশা করি সবার গল্পটা ভালো লেগেছে!!কেমন লেগেছে তোমাদের আমার গল্প তানজিল মীমের গল্প!!আশা করি সবারই ভালো লেগেছে!!সবাই কমেন্ট করে বলবা কিন্তু!!আবার নতুন গল্প নিয়ে আবার দেখা হবে সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকো আনন্দে থাকো 🍁আল্লাহ_হাফেজ!!🍁]
#TanjiL_Mim❤

তুমি শুধু আমার পর্ব-২৩

0

#তুমি_শুধু_আমার❤(3 characters)
#part:23
#Writer:#TanjiL_Mim❤
.
.
🍁
-মন খারাপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি মিতুদের বাসায়,আমার আম্মু আব্বুও আছে সাথে রাকিবও!!আজকে আন্টিরা মিতু আর রোহানের বিয়ের পাকা কথা বলবে!!সবাই ঠিক করেছে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আমার আর শুভ্র,, মিতু আর রোহানের একসাথেই বিয়েটা দিয়ে দিবে!!যেহেতু দুটো বিয়েই এক সময় পড়েছে তাই সবাই মিলে ঠিক করেছে একসাথেই সব কাজ করে ফেলবে!!এই মুহূর্তে আমার কিছু করার নেই!!যাকে নিয়ে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখেছিলাম আমি!!সেই যখন নিজেই আমার স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে তাই আর কিছু ভাবার দরকার নেই!!বাবা মার সুখকেই নিজের সুখ বলে মেনে নিলাম আমি!!কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার ছেলে না দেখেই কি করে বিয়েতে রাজি হয়ে গেল!!ফোনটাও ভেঙে ফেলেছি আমি!!যার কারনে তার সাথে কথাও বলতে পারছি না!!
!
মিতুর আম্মু অনেক খাবার খেতে দিলেন আমাদের সবাই খাওয়া দাওয়া শেষ করে কথা বলে নিলেন!!আজকে রোহান ভাইয়ার সাথে আবির আর তানিশাও এসেছে!!তবে আরিয়ান আসে নি!!ভাবতেও কষ্ট হচ্ছে কী করে পারল এমন করতে আরিয়ান!!ভেবে দীর্ঘ শ্বাস ফেললাম আমি!!মিতু আর রোহান আজ খুব খুশি!!!!
!
!
আম্মুঃ চল মীম!!
!
হুম চল!!
!
মিতুঃ মীম সাবধানে থাকবি আর যা হয়েছে ভুল যা!!ওর কথা শুনে ওকে জড়িয়ে ধরলাম আর আস্তে বললামঃ
!
চাইলে কী সব ভুলে যাওয়া যায় দোস্ত !!কিন্তু তুই নিশ্চিত থাক আমিও ভালো থাকবো!!
!
বিনিময়ে মিতু কিছু বলল না!!
!
!
তারপর তানিশাও আসল পাশে!!
!
তানিশাঃ আমি ভাবতেও পারছি না আরিয়ান ভাইয়া এমন কিছু করবে!!
!
বাদ দে ভালো লাগছে না!!আম্মু চল!!এই বলে বেরিয়ে আসলাম আমি!!হয়তো আর কিছুক্ষন থাকলে ওখানেই কেঁদে দিতাম আমি!!!
!
!
নিচে এসে গাড়িতে বসে পরলাম আমি!!জানালার বাহিরে তাকিয়ে আছি আমি!!কষ্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছে আমার!!এমন সময় আম্মু এসে বসল পাশে!!কিছু বললাম না আমি!!সবাই বসে পরল!!আব্বু আর রাকিব!!তারপর ড্রাইভার কাক্কু গাড়ি চালাতে শুরু করল!!!
!
!
!
!
!
কাঁচের জানালা ভেদ করে বাহিরে তাকিয়ে আছি!!আশেপাশের গাছপালাগুলোর দিকে তাকিয়ে আছি একে একে করে সব পিছনে ফেলে চলে যাচ্ছি আমি!!বাহিরের বাতাসে চুল গুলো উড়ছে আমার!!চোখ বন্ধ করে শুধু অনুভব করছি আমি!!আর দীর্ঘশ্বাস ফেলছি!!এর বেশি তো আর কিছু করা সম্ভব নয়!!জীবন আমাকে একটা জিনিস খুব ভালোভাবে বুঝিয়ে দিলো যে কাউকে অসম্ভব রকম ভালোবাসলে তাকে ভোলা খুব কষ্টের হয়!!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
🍁দেখতে 🍁দেখতে🍁 পনেরো 🍁দিন🍁 চলে 🍁গেল!🍁
-🍁আজকে🍁 আমার 🍁বিয়ে!!
!
!
!
-খুব কষ্ট হচ্ছে!!ভাবতেও পারছি না যাকে -ভালোবেসে ছিলাম তাকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করব আমি!!তবে অদ্ভুত ব্যাপার হলো ছেলেকে এখন পর্যন্ত দেখি নি আমি!!অবশ্য দেখি নি বললেও ভুল হবে দেখতে চাই নি!!আম্মু যতবার ছবি দিয়েছে একবারও দেখি নি আমি!!কেন জানি না ভালো লাগছে না!!আজকে মিতুকেও বউ সাজানো হয়েছে!!আমাকেও সাজানো হয়েছে!!লাল বেনারসি পড়িয়ে সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে তবে একবারও দেখিনি আয়নায় নিজেকে আমি!!দেখতে ভালো লাগছে না আমার!!হর্ঠাৎ আম্মুর কথায় ধ্যান ভাঙল আমার কারন এখন নিয়ে যাবে আমায়!!এতদিনে যত শপিং করার ছিল সব আম্মু আব্বু, মিতুর আম্মু আব্বু, রোহানের আম্মু আব্বু, শুভ্রের আম্মু আব্বু ওনারা সবাই মিলে করেছে!!আমিকে যেতে বলেছিল কিন্তু যাই নি!!
!
!
আম্মুঃ চল মীম…..আম্মুর দিকে ছলছল চোখে তাকিয়ে ছিলাম আমি!!তারপর ঝাপটে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলাম!!খুব কষ্ট হচ্ছে সবাইকে ছেড়ে আজকে চলে যাব!!আম্মু কিছু বলল না!!এমন সময় মিতুর আম্মু ঢুকলো মিতুকে নিয়ে যেতে!!ও সেইম ভাবে আন্টিকে জড়িয়ে ধরল!!!পাশে তানিশাও দাঁড়িয়ে ছিল!!
!
!
!
তারপর আম্মু আর আন্টি নিয়ে যেতে নিলেন আমাদের!!
!
!
!
সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামছি আমি!!মাথা নিচু করেই আছি!!সামনে একটা সাদা পর্দা দেওয়া রয়েছে!!আমাকে ওপাশে বসানো হয়েছে আর এপাশে হয়তো শুভ্র!!আমার ডান পাশে মিতু!!আর ওর সোজা সুজি হয়তো রোহানকে!!!প্রথমে কাজী মিতু আর রোহানের বিয়ে পরানোর কথা ভেবেছেন!!
!
!
!
কাজী কিছুক্ষন কিছু পড়ে রোহান ভাইয়াকে বলতে বলল, বাবা বলো কবুল!!!
!
রোহান ভাইয়া আগে পিছে কিছু না ভেবেই গড় গড় করে কবুল বলে দিলেন সাথে সাথেই আশে পাশের সবাই হেসে দিল!!
!
রোহানের আব্বুঃ অপদার্থ একটা,মনে হচ্ছে বউ পালিয়ে যাবে!!
!
রোহানের আম্মুঃ হুম একদম বাবার মতো!!এই বলে চলে গেলেন উনি!!
!
রোহানের আব্বুঃ ঠিক বলেছো!!কিছুক্ষন ভেবে এই কী বললে তুমি!!……..
!
!
!
তারপর কাজী মিতুকে কবুল বলতে বলল মিতু পাক্কা ৫ মিনিট বসে কবুল বলল!!!ওদের বিয়ে সম্পন্ন হলো!!
!
!
!
এখন আমার আর শুভ্রের পালা!!কাজী সাহেব কিছু পড়ে শুভ্রকে কবুল বলতে বলল!!সেও ধীরে সুস্থে কবুল বলে দিলেন!!
!
!
এখন কাজী সাহেব আমার পাশে এসে বসলেন উনি কিছু পরছে!!এদিকে আমার চোখে পানি চলে এসেছে!!বুকের ভিতর ফাঁকা ফাঁকা লাগছে আমার!!শুধু আরিয়ানের কথাই মনে পরছে!!শরীরের ভিতর অস্থিরতা কাজ করছে!!মিতু হয়তো আমার অবস্থাটা বুঝতে পেরেছে তাই শক্ত করে আমার হাত চেপে ধরল!!এদিকে কাজী সাহেব কবুল বলতে বলছেন!!বুকে অসম্ভব ব্যাথা অনুভব করছি আমি!!তারপরও একবুক সাহস নিয়ে কবুল বলে দিলাম আমি!!সাথে সবাই বলে উঠল আলহামদুলিল্লাহ বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে!!এখন সব ধোঁয়াশা মনে হচ্ছে!!আমাকে বসা থেকে উঠানো হলো!!তারপর আব্বু হয়তো শুভ্রের হাতে আমার হাত দিয়ে কিছু বলতে শুরু করলেন!!এদিকে চোখ বেয়ে অজস্রহারে পানি পরছে আমার!!হর্ঠাৎই সব অন্ধকার হয়ে গেল তার মানে আমি অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছি !!!তারপর আর কিছু মনে নেই!!
!
!
!
!
!
!
!
এদিকে মিতু কেঁদে চলেছে আন্টিকে ধরে!!সাথে মিতুর আব্বুও!!মিতুকে গাড়িতে বসানো হলো!!মিতু গাড়িতে বসেও কাঁদছে প্রচুর!!রোহান মিতুর হাত ধরে বললঃ
!
মিস ঝগড়ুটে একদম না তোমাকে কাঁদলে একটুও ভালো লাগে না!!রোহানের কথা শুনে মিতু রোহানকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিল!!রোহান আর কিছু বলল না!!গাড়ি চলছে তার আপন গতিতে!!!
!
!
!
!
অজ্ঞান অবস্থায় গাড়িতে বসানো হয়েছে মীমকে সাথে শুভ্রকে!!গাড়ির সাথে লাগিয়ে শুয়ে আছে মীম!!শুভ্র আর মীমকে গাড়িতে বসাতেই গাড়ি চালাতে শুরু করল ড্রাইভার কাক্কু!!এদিকে বাতাসে মীমের চুল উড়ে শুভ্রের গায়ে পরছে!!শুভ্র বিরক্ত মাখা মুখ নিয়ে তাকালো মীমের দিকে!!!তারপর মুচকি হেসে মীমকে জড়িয়ে ধরল সে!!আর বলল আর কাঁদতে দিবো না “প্রিয়সী”!!অনেক কেঁদেছো কিন্তু আর নয়!!এই বলে মুচকি হেসে মীমের কপালে চুমু একে দিল “শুভ্র”!!
!
!
!
!
!
!
!
জ্ঞান ফিরতেই নিজেকে নরম বিছানায় দেখতে পেলাম আমি!!অসম্ভব সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে ঘরটাকে!!এমন সময় একটা মেয়ে আসল রুমে!!মেয়েটাকে এর আগেও দেখেছি আমি কারন সেদিন এই মেয়েটাই এসেছিল দেখতে আমায় মানে শুভ্রের বড় বোন আফরিন আপু!!উনি আমার চেয়ে বড় কিন্তু সেদিন ভাবি বলে এমনি ডেকে ছিলো হয়তো!!
!
আফরিনঃ কি গো এখন কেমন আছো তুমি!!
!
হুম ভালো!!!
!
আফরিনঃএখন আরো ভালো থাকবে কিছুক্ষন পরই চলে আসবে সে!!এতটুকু বলে হেসে চলে গেলেন উনি!!আমিও আর কিছু বললাম না!!!
!
তাকিয়ে ছিলাম তার যাওয়ার পানে!!
.
.
.
.
.
.
__________________________________________
.
.
.
.
.
.
বাসর ঘরে বসে আছে মিতু!!ভয়,ভালো লাগা সব মিলিয়ে অদ্ভুত ফিলিংস হচ্ছে তার!!দরজার টোকার শব্দে নড়ে চড়ে বসল সে!!সামনে একটা বুড়ো লোককে দেখতে পেল সে!!কিছুটা অবাক হলো!!বুড়ো লোকটি হলো রোহানের “দাদু”!!
!
দাদুঃ নাত বউ কেমন আছো??
!
মিতুঃ জী ভালো!!
!
দাদুঃ আচ্ছা তুমি আমাকে ছেড়ে আমার নাতিকে কি করে ভালোবাসলে বল তো!!
!
মিতুও কম যায় কিসে বললঃ
!
আসলে দাদু তোমায় তো আগে দেখিনি!!দেখলে তো ওকে ছেড়ে তোমায় ভালোবাসতাম!!!!নিতুর কথা শুনে হাসল দাদু!!তারপর মিতুকে অনেক দোয়া দিয়ে চলে গেলেন উনি!!আবার নীরবতায় ভর করে বসল মিতুর!!তারপর আবার মাথা নিচু করে বসে রইল মিতু!!
!
!
!
কিছুক্ষণ পর আবার দরজায় টোকা দিল কেউ!!এইবার রোহান আসল!!মিতুকে সালাম দিয়ে জড়িয়ে ধরতে যাবে এমন সময় মিতু চিৎকার দিয়ে বিছানা থেকে উঠে দাঁড়ালো বলল!!
!
আরশোলা…ওরে বাবা!!এই বলে বিছানার উপর থেকে লাফ দিতে নিল সে সাথে সাথে রোহানের গায়ে উপর পড়ে যায়!!এদিকে রোহান আচমকা এমনটা হওয়াতে তাল সামলাতে না পেরে সে পড়ে যায় নিচে!!আর মিতু রোহানের উপরে!!
!
রোহানঃ ও আল্লা গো আমার কোমড় গেল রে…(চিল্লিয়ে)
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
দরজা খোলার আওয়াজ পেয়ে নড়ে চড়ে বসলাম আমি!!এমন সময় দরজা খুলে ভিতরে ঢুকলো কেউ!!সে আমার কাছে এসে আমাকে সালাম দিল আমিও সালাম দিলাম!!তারপর তার দিকে তাকিয়ে ১৪০ ভোল্টকা জাটকা খেলাম আমি মুহুর্তে চোখ বড় বড় হয়ে গেল আমার!!মুখ থেকে শুধু একটা জিনিসই বেরিয়ে আসলঃ
!
ভাইয়া “তুমি”…………..
!
!
#চলবে……….
!
❤[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ!!আর সবাই গল্পের আলোকে কমেন্ট করার চেষ্টা করবেন¡!]❤
#TanjiL_Mim❤

তুমি শুধু আমার পর্ব-২২

0

#তুমি_শুধু_আমার❤(3 characters)
#part:22
#Writer:#TanjiL_Mim❤
.
.
🍁
আজকে তানিশার বৌ-ভাত!!আবির ভাইয়াদের পুরো বাড়ি খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে!!সবাই খুব সুন্দর করে সেজেগুজে চলে গেছে নিচে!!কাল শেষরাতের দিকে তানিশাকে অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে আবির ভাইয়াকে রুমে পাঠালাম!!
!
তারপর রুমে এসে সেই ঘুম দিলাম আমি!!ঘুম ভাঙল একটু আগে তাও মিতুর জোরাজোরি তে!!!
!
তারপর কোনোমতে সেজেগুজে চলে আসলাম নিচে!!!সবাই অলরেডি তৈরি হয়ে চলে এসেছে!!
আমিও আস্তে আস্তে সিড়ি বেয়ে নিচে নামলাম!!সামনে আরিয়ান দাঁড়িয়ে!!আরিয়ানকে দেখে মুচকি হাসলাম আমি তারপর সেও হাসল আমায় দেখে!!তারপর একে একে অনেক মেহমান আসল!!তারপর ধীরে ধীরে পুরো অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেল!!!
!
!
!
!
খুব সুন্দর ভাবেই তানিশার বৌ-ভাত হয়ে গেল!!তারপর আমাদেরও বাসায় যাওয়ার সময় হয়ে এসেছে………আমরাও সবার সাথে চলে যাব আজকে!!
.
.
.
.
.
.
.
দেখতে দেখতে দু-মাস কেটে গেল!!এই দুই-মাসে অনেককিছু বদলে গেছে আবার আমার লাইফের অনেক সুন্দর সুন্দর মুহুর্ত কেটেছে!!প্রতিদিন ভার্সিটি যাওয়া আসা অনেক ব্যস্তটার সাথে কেটেছে আমার!!সাথে আরিয়ানও অনেক ব্যস্ত ছিল!!তবে রোজ রাতে সবাইকে লুকিয়ে ঘুরতে যাওয়া একদিনও মিস হতো না!!প্রতিদিন জোৎসা রাতে ঘুরতে যেতাম আমরা!!এখন আরিয়ান আমার অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে এখন আমরা দুজন একে অপরকে অসম্ভব রকম ভালোবাসি!!মাঝে মাঝে কিছুটা অভিমানে হলেও!!আরিয়ান ঠিক আমার রাগ ভাঙিয়ে দেয়!!এই দুই মাসে মিতু আর রোহানের ব্যাপারটা তাদের দু-পরিবারে জানাজানি হয়ে গেছে!!কিন্তু মিতু আর রোহানের পরিবারের কারোই কোনো সমস্যা নেই!!যেহেতু রোহান একজন বিজনেস ম্যান তার সাথে ছেলে হিসেবেও অনেক ভালো!!তার থেকেও সবচেয়ে বড় কথা মিতু ভালোবাসে রোহানকে তাই কারো কোনো আপওি নেই তাদের মেনে নিতে !!খুব তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দিবে আংকেল আর আন্টিরা!!!এখন ওরা অনেক খুশি!!দিন কাটছে খুব সুন্দর ভাবে!!!
.
.
.
.
.
.
.
রাত_২ঃ০০টা______
জোৎসা ভরা রাত!!পুরো আকাশটা তাঁরায় ভরে গেছে!!অসম্ভব সুন্দর লাগছে!!রোজকারের মতো আজও আরিয়ান আর আমি একসাথে ঘুরতে বেরিয়ে ছি!!!গাড়ির উপর বসে আমি আরিয়ানের কাঁধে মাথা দিয়ে শুয়ে আছি!!এটা আমাদের রোজকারের ডিউটি!!
!
ভাইয়া আমার খুব ঘুম পাচ্ছে!!!
!
আরিয়ানঃ এই দু-মাসে কোনদিন ঘুম পায় নি তোমার!!আর কতোবার বলেছি ভাইয়া ডাকবে না!!
!
কি করব বল অভ্যাস হয়ে গেছে!!
!
আরিয়ানঃ তোমার অভ্যাস ভাঙছি দাঁড়াও!!
!
দাঁড়াবো কেন বসে আছি চোখে দেখ না!!!
!
আরিয়ানঃ মীম…..
!
হুম………
!
তারপর শোনো কালকে অফিসে একটু চাপ থাকতে পারে তাই নাও আসতে পারি!!
!
ঠিক আছে(মুখ গোমড়া করে)!!
!
আরিয়ান কিছু বললো না……..
তারপর আরিয়ানের হাত শক্ত করে জড়িয়ে ধরে চোখ বন্ধ করে দিলাম আমি”!!এক পর্যায়ে ঘুমিয়ে পরলাম আমি!!!
!
!
!
!
বেশকিছুক্ষন পর…………
আরিয়ান মীমের ঘুমন্ত ফেসের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসল!!তারপর মীমকে কোলে তুলে গাড়িতে বসিয়ে দিল!!তারপর ড্রাইভার সিটে বসে মীমকে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নিল!!তারপর গাড়ি চালাতে শুরু করল!!এটাও তার রোজকারের কাজের মধ্যে একটা!!!গাড়ি চলতে শুরু করল তার আপন গতিতে………..
!
!
!
কয়েক ঘন্টা পর……….
আরিয়ান মীমকে তার রুমের বিছানায় শুয়ে দিল!!তারপর আলতো করে কপালে ছোট্ট একটা চুমু দিয়ে!! বলল কালকে তোমার জন্য অনেক বড় সারপ্রাইজ আছে সোনা!!তুমি ভাবতেও পারছো কালকে কী হতে চলেছে তোমার সাথে এতটুকু বলে!!যেভাবে মই বেয়ে এসেছিল ঠিক সেই ভাবেই আবার চলে গেল!!রোজ রোজ এক জিনিস করতে করতে এখন আর ভয় লাগে না আরিয়ানের!!!
-ড্রাইভার সিটে বসে হালকা হাসলো আরিয়ান!!তারপর চলে গেল তার বাসায়!!
!
!
!
!
সকাল ৯ঃ০০_____
সূর্যের আলো মুখে পরাতে ঘুম ভাঙল আমার!!শোয়া থেকে উঠে বসলাম আমি!!সামনে আমার আম্মাজানকে দেখতে পেয়ে কিছুটা অবাক হলাম!!তারপর মুচকি হেসে আম্মুকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলাম!!!
!
আম্মু গুড_মনিং
!
আম্মুঃএগুলো পড়ে তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে থাক!!
!
কেন মা,এগুলো তো শাড়ি!!এগুলো পরব কেন???
!
আম্মুঃ আজকে তোকে দেখতে আসবে!!
!
কী,মুহূর্তেই শরীর কেঁপে উঠল আমার!!এখন কী করব আমি!!মা আমি এখন বিয়ে করব না!!
!
আম্মুঃএতকিছু জানি না তোর আব্বু বলছে!!
!
তুমি আব্বুকে বল!!
!
আম্মুঃআমি পারবো না!! তোমার আব্বুকে তুমি বল আর দেখতে আসলেই তো বিয়ে হয়ে গেল না!!
!
কিন্তু মা,,
!
কোনো কিন্তু না,এই বলে আম্মু চলে গেল!!
আম্মু কথায় মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পরল!!আরিয়ানকে ছেড়ে কি করে থাকব আমি!!মুহূর্তে চোখের কোনায় পানি জমে গেল!!এখন কী করব আমি!!
!
কিছুক্ষন ভেবে……..
ফোনটা বের করে আরিয়ানকে কল করলাম!!!প্রথম বারের কল ধরলো না আরিয়ান!!এদিকে টেনশনে মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে আমার!!আবার কল করাতে ওপাশ থেকে আরিয়ান বলে উঠলঃ
!
কী হয়েছে!!!আমি একটা জরুরি মিটিং এ আছি!!
!
আমাকে দেখতে ছেলে পক্ষ আসবে!!এখন আমি কী করব কিছু বুঝতে পারছি না!!
!
আরিয়ানঃকী বলছ এসব…..
!
সত্যি বলছি প্লিজ কিছু কর!!!
!
আরিয়ানঃ কিছু করতে হবে না তুমি বিয়েতে রাজি হয়ে যাও!!!
!
আরিয়ানের কথায় আমি অনেক অনেক বড় শকড পেলাম!!কী বলছে এসব…..তুমি কী আমার সাথে মজা করছ!!তাহলে প্লিজ বন্ধ কর!!!
!
আরিয়ানঃ আমি কোনো নাটক করছি না!!তুমি বিয়েটা করে ফেল!!
!
কিসব বলছ তুমি!!আমি তোমায় ভালোবাসি তোমায় ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করা সম্ভব না!!!
!
আরিয়ানঃকিন্তু আমি তো তোমায় বিয়ে করব না!!
!
মানে তবে এতদিন কী ছিল এসব…..
!
আরিয়ানঃ সব নাটক ছিল দিহানের সাথে গেম খেলছিলাম!!
!
what…………..
!
আরিয়ানঃ বেশি নেকামি কর না!!এতদিন যা ছিল সব নাটক ছিল তাই আমাকে ভুলে গিয়ে যার সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছে তাকে বিয়ে করে ফেলল!!!এই বলে ফোনটা কেটে দিল আরিয়ান!!!
!
!
!
আরিয়ানের কথা শুনে পাথরের মতো দাঁড়িয়ে পরলাম আমি!!তবে এত ভালোবাসা সব নাটক ছিল!!এত বড় গেম খেললো আরিয়ান!!চোখ দিয়ে অজস্র হারে পানি পরতে লাগল!!!কষ্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছে আমার!!!এমন সময় দরজায় টোকা লাগালো কেউ!!সামনে মিতুকে দেখে দৌড়ে ওকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলাম!!
!
মিতুঃ কী হয়েছে……
!
দোস্ত আরিয়ান এত দিন আমার সাথে নাটক করছে!!এখন আমি কী করব!!
!
মিতুঃ কি বলছিস এইসব!!!
!
তারপর মিতুকে আরিয়ানের বলা সব কথা বললাম!!আমার কথা শুনে মিতু যে বেশ অবাক হয়েছে তা আমি খুব ভালো করেই বুঝতে পেরেছি!!
.
.
.
.
.
.
.
এমন সময় দরজায় টোকা দিল আম্মু!!আম্মুকে দেখে চোখ মুখ মুছে স্বাভাবিক হলাম আমি!!!
!
!
আম্মুঃ মিতু তাড়াতাড়ি তৈরি করিয়ে দে মীমকে শুভ্ররা এসে পড়েছে!!!
!
শুভ্র কে???
!
আম্মুঃ তোকে যে ছেলে দেখতে আসবে তার নাম শুভ্র!!এতটুকু বলে আম্মু???
!
এই মুহুর্তে কী করব কিছু বুঝতে পারছি না আমি!!
!
মিতুঃ দোস্ত কি করবি ভুলে যা বেইমানকে আর বস তোকে সুন্দর করে সাজিয়ে দেই!!
!
শত বারন করা শর্তেও মিতু জোর করে সাজিয়ে দিল আমায়!!তারপর চলে গেল নিচে!!!
!
বুক ফেটে কান্না পাচ্ছে প্রচুর কিন্তু এই মুহুর্তে সেটা করা কোনো ভাবেই পসিবল নয়!!
!
!
সামনে একজন ভদ্র লোক আর এক ভদ্র মহিলা বসে আছে আর তাদের মাঝখানে একটা মেয়ে!!কিন্তু কোনো ছেলেকে দেখতে পাচ্ছি না আমি!!
!
!
ভদ্র মহিলাঃ আমার ছেলে আসছে??
!
ওনার কথায় পুরো ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলাম আমি!!তারপরও নিজেকে যতটা সম্ভব সংযোত রাখার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি!!
.
.
.
.
.
কিছুক্ষন হর্ঠাৎ পাশে থাকা মেয়েটি বলে উঠলঃ
!
ভাবি তোমাকে কিন্তু আমার খুব পছন্দ হয়েছে!!
!
কিছু বললাম না শুধু হালকা হাসলাম!!!
!
!
!
আরোকিছুক্ষন পর……..
হর্ঠাৎ একটা ফোন আসল তাদের কাছে…….
!
ভদ্র মহিলাঃ শুভ্র তুই কোথায়???
!
ওপাশ থেকেঃ আম্মু আমি একটু আঁটকে গেছি তোমার মেয়েটাকে পছন্দ হলে আন্টি পরিয়ে চলে আসো!!!আর আশার সময় শুধু একটা ছবি তুলে নিয়ে এসো!!!এতটুকু বলে ফোনটা কেটে দিল শুভ্র!!!
!
শুভ্রের কথা শুনে ভদ্রমহিলা বললঃ
!
আমাদের মেয়ে পছন্দ হয়েছে!!বৌ মা তোনার হাতটা দেখি!!
!
মহিলা কথা শুনে আমি নিশ্বাস বন্ধ হয়ে গেল!!তারপরও কাঁপা কাপি ভাবে হাত দিলাম তার দিকে!!!
!
আমি হাত দিতেই হাতের আঙুলে একটা আন্টি পরিয়ে দিলেন!!তারপর আমায় চলে যেতে বলল আম্মু আর আব্বু!!
!
!
!
!
!
রুমে এসে দরজা বন্ধ করে বিছানার চাঁদর বালিশ সব উলোট পালোট করে দিলাম আমি!!রাগে দুঃখে কষ্টে অজস্র হারে কাঁদতে লাগলাম আমি!!
কী করে পারলে আরিয়ান আমার সাথে এই ভাবে খেলতে!!!এর ভিতর ফোনটা বেজে উঠল আমার উপরে আরিয়ানের নাম দেখে ফোনটা তুললাম আমি!!
!
!
!
হ্যালো….
!
আরিয়ানঃ কী ছেলে পছন্দ হয়েছে!!!
!
মুহূর্তেই আরো রাগ চেপে গেল আমার!!উচ্চ স্বরে বললামঃ
!
হুম পছন্দ হয়েছে তোমার চেয়েও ১০০গুন সুন্দর আর বিউটিফুল!!!
!
আরিয়ানঃ তাহলে তো হয়েই গেল!!!তোমার নতুন জীবন অনেক সুন্দর হোক!!
!
আরিয়ানের কথা শুনে স্বজোরে ফোনটা ভেঙে ফেললাম আমি!!তারপর নিচে বসে অজস্রহারে কাঁদতে লাগলাম আমি!!কাঁদতে কাঁদতে কখন যে ঘুমিয়ে পরিছি আমি বুঝতেই পারি নি!!
.
.
.
.
.
রুমের বাহিরে মিতু দাঁড়িয়ে আছে!!ওরও যে খুব কষ্ট হচ্ছে!!কী করে পারল আরিয়ান ভাইয়া এমন করতে মীমের সাথে এত বড় নাটক!!এই এক দীর্ঘ শ্বাস ফেলে চলে গেল মিতু!!
.
.
.
.
.
রাত_২ঃ০০টা__
শরীরের উপর ভারি কিছু অনুভব করছি আমি!!মনে হচ্ছে কেউ খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে আমায়!!সারাদিন কাঁদার ফলে চোখ মুখ ফুলে গেছে আমার তার সাথে মাথা ভার হয়ে আছে!!এই মুহূর্তে ভয়ে আমার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে!!চোখ খুলতে চেয়েও খুলতে পারছি না আমি!!কিছুক্ষন এভাবে যাওয়ার হর্ঠাৎ করে চোখ খুললাম আমি!!কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার কেউ নেই!!তার মানে এতক্ষণ হুদাই ভুল-ভাল ভাবছিলাম!!তারপর আবার আরিয়ানের কথা মনে করে চোখ বেয়ে পানি পরতে শুরু করল আমার………..
!
!
#চলবে……………
!

তুমি শুধু আমার পর্ব-২১

0

#তুমি_শুধু_আমার❤(3 characters)
#part:21
#Writer:#TanjiL_Mim❤
.
.
🍁
দেয়ালের সাথে চেপে ধরে দাঁড়িয়ে আছে আরিয়ান!!ওনার এমন কাজে আমি অবাকের চরম সীমানায় পৌঁছে গেছি!!
!
কিছুক্ষণ আগে……..
গাড়িতে বসে আরিয়ানের মুখে দিহান ভাইয়ার দেওয়া চিঠির কথা শুনে কেঁপে উঠলাম আমি!!তখন গাড়িতে রোহান আর মিতু থাকায় কিছু বলে নি আরিয়ান!!শুধু চোখ লাল করে তাকিয়ে ছিল!!আমি বুঝতে পেরেছি অসম্ভব রেগে গেছেন উনি!!গাড়ি আবির ভাইয়াদের বাসার সামনে আসতেই সবাই তানিশাকে বরন করে ঘরে উঠিয়ে নেই!! সেই সুযোগে আরিয়ান আমার হাত ধরে টানতে টানতে রুমে নিয়ে এসে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে!!!
!
এই মুহুর্তে আমি কিছু বলতেও পারছি ভয়ে আমার পুরো শরীর কাঁপছে না জানি কী করে এখন আরিয়ান!!তারপর এক বুক সাহস নিয়ে বললামঃ
!
ভাইয়া আমি দিহান ভাইয়ার চিঠিটায় কী লেখা আছে তা তো পরি নি!!!
!
আরিয়ানঃ চিঠি কোথায়??(চেচিয়ে)
!
কাঁপা কাঁপা গলায় আমার ব্যাগে!!!
!
তারপর আরিয়ান আমার ব্যাগ টান দিয়ে নিয়ে গেলেন তারপর চিঠিটা বের করে পরতে শুধু করলেন!!!
!
!
!
কে জানে দিহান ভাইয়া কী লিখেছেন!!ভুলভাল কিছু লিখলে তো আমি শেষ!!!আরিয়ান এক দৃষ্টিতে চিঠির দিকে তাকিয়ে আছেন!!ওনার এমন ভাবে তাকিয়ে থাকা দেখে ভয় পেয়ে গেলাম আমি!!চিঠিটা পরে আমার দিকে একবার তাকিয়ে চিঠিটা আমার হাতে দিয়ে বেরিয়ে গেল আরিয়ান!!!আমি ওনার যাওয়ার পানের তাকিয়ে থেকে!!চিঠিটার দিকে তাকিয়ে পরতে লাগলাম!!!
!
চিঠিতে লেখা আছে……..
!
মীম প্রথমেই বলব চিঠিটা যাকে দেওয়ার কথা ছিল তাকে না দিয়ে তোকে কেন দিচ্ছি!!আসলে আমি একটা মেয়েকে ভালোবাসি!!তুই আমায় কি একটু হেল্প করে দিতে পারবি!!আসলে প্রথমবার ভালোবেসেছি তো বুঝতেই পারছিস কতোটা নার্ভাস আমি!!তাই তুই যদি একটু আমার সাথে থাকিস তবে আমি একটু সাহস পেতাম আর কি???বাকি কথা পরে বলব!!!
!
ওনার কথা শুনে আমি তো পুরো বোকা বনে গেলাম যাক বাবা আমি নাকি ওনার ভালোবাসায় হেল্প করব!!আমার চেয়ে তো কাব্য ভাইয়াই ভালো পারত!!!
!
ভাইয়া তুমি তো একটা পাগল………………
.
.
.
.
.
__________________________________________
.
.
.
.
.
বাসর ঘরে বসে আছে তানিশা!!একরাশ ভয় ক্ষোভ, ভালো লাগা সবই কাজ করছে তার ভিতর এমন সময় দরজা খুলে ভিতরে ঢুকলো আবির!!আবির তানিশার দিকে না তাকিয়েই খাটের নিচ দেখতে লাগল!!আবিরের এমন কাজে তানিশার কী রিয়েকশন দিবে ভুলে গেছে!!শুধু “হা” হয়ে আবিরের কান্ড দেখছে!!এদিকে আবির পুরো ঘরের চারিদিকে উঁকি দিয়ে দেখছে কোথাও সি সি ক্যামেরা আছে কিনা!!এই রোহানকে বিশ্বাস নেই সত্যি সত্যি যদি সিসি ক্যামেরা রেখে দেয়!!এই ভেবে খাটের নিচ থেকে শুরু করে বালিশ সরিয়ে, আলমারির চারিদিকে দেয়ালের এপাশ ওপাশ সব জায়গায় তন্ন তন্ন করে খুঁজে চলছে আবির!!আবিরের এমন কান্ডে তানিশা রেগেমেগে এক হাত ঘোমটা সরিয়ে বিছানায় দাঁড়িয়ে পরল!!তারপর চেঁচিয়ে বললঃ
!
এই তুমি এগুলো কী করছ???
!
আবিরঃ সি সি ক্যামেরা খুঁজছি???
!
তানিশাঃ কী????
!
আবিরঃ হুম তখন রোহান বলেছিল বাসর ঘরে নাকি সি সি ক্যামেরা লাগাবে!!
!
তানিশাঃ (রেগে গিয়ে) তোমার মাথা কী খারাপ হয়ে গেছে!!কোনো ফ্রেন্ড তার বন্ধুর বাসর ঘরে সি সি ক্যামেরা লাগাতে পারে!!!
!
আবিরঃ আমারগুলাই সবই পারে!!!
!
তানিশাঃ তুমি ফোন কর রোহান ভাইয়াকে?????
!
আবিরঃ ঠিক বলেছো!!!এই বলে ফোনটা হাতে নিল আবির!!!তারপর লাউডস্পিকার অন করে কথা বলতে বলল তানিশা!!
.
.
.
.
.
__________________________________________
.
.
.
.
.
ছাঁদের এক কিনারায় পা ঝুলিয়ে বসে একে ওপরকে জড়িয়ে ধরে বসে আছে রোহান আর মিতু!!রোহানের কাঁধে মাথা রেখে আকাশের দিকে তাকিয়ে চাঁদ দেখছে মিতু!!এই মুহূর্তে দু’জনই রোমান্টিক মুডে আছে!!রোহান আর মিতুর রোমান্টিক মুডে এক বালতি ময়লা পানি ঢেলে দিল আবিরের কলে!!একরাশ বিরক্ত নিয়ে ফোনটা তুলল রোহান!!এমন সময় ঝাঁঝালো কণ্ঠে আবির বললঃ
!
ওই শালা সিসি ক্যামেরা কই লাগাচ্ছোস!!
!
আবিরের এমন আহামোকের মতো প্রশ্ন শুনে বোকা বনে গেল রোহান!!!
!
আবিরঃ কই রাখছোস বল তাড়াতাড়ি?!!!
!
রোহানঃ তোর মাথা কী খারাপ হয়ে গেছে!!তোর বাসর ঘরে আমি সি সি ক্যামেরা রাখমু!!তুই কী বলদ নাকি???এই বলে ফোন কেটে দিল রোহান!!তারপর আবার তাদের রোমান্টিক মুডে চলে গেল!!!
!
রোহানের কথা শুনে আবির কিছু না বললেও তানিশা প্রচুর রেগে গেছে!!তানিশার দিকে তাকিয়ে একটা শুকনো ঢোক গিললো আবির!!
!
তানিশা একটা বালিশ নিয়ে বললঃ
!
শালা তুই এত সুন্দর একটা রাতে এই সব সিনক্রিয়েট করলি তোরে তো আমি!!এই বলে বালিশ নিয়ে উড়াধুরা মারতে লাগল আবিরকে তানিশাকে!!
!
পুরো রুম তুলো দিয়ে ভরিয়ে ফেলেছে তানিশা!!রাগে তার পুরো শরীর জ্বলে যাচ্ছে‌‌!!
.
.
.
.
.
__________________________________________
.
.
.
.
.
রুম থেকে বাহিরে উঁকি দিচ্ছে আমি!!উদ্দেশ্য হলো বেস্টুর বাসরে ব্যাঘরা দেওয়া!!মিতুর বাচ্চা যেন কোথায় বসে বসে হাওয়া খাচ্ছে!!কোথাও দেখতে পারছি না তাই একা একাই আস্তে আস্তে করে মাথা নিচু করে বাহিরে যাচ্ছি আমি!!হর্ঠাৎ সামনে একটা পিলারের সাথে ধাক্কা খেলাম আমি!!সাথে সাথে নিচে পড়ে গেলাম আমি!!কিন্তু কথা হলো ঘরের মধ্যে কেউ পিলার রাখে নাকি!!আস্তে করে উপরে তাকালাম আমি!!সামনে আরিয়ানকে দেখে ভয়ে ঢোক গিললাম আমি!!
!
আরিয়ানঃ এই ভাবে চোরের মতো করে কথায় যাচ্ছো!!
!
আস্তে হুস,, চুপ বেস্টুর বাসরে ব্যাঘরা দিতে হবে নাকি!!
!
আরিয়ানঃ কী???
!
আরে এতে অবাক হওয়ার কী আছে চলেন আমার সাথে আবির ভাইয়া তো আপনার বেস্টু নাকি!!চলেন দুজন মিলে কাজ করব!!এই বলে আরিয়ানের হাত ধরে নিয়ে আসলাম আমি!!!
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
বাসর ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে আছি!!উদ্দেশ্য হচ্ছে দরজায় টোকা দিয়েই দৌড়ে পালাবো!!
!!
এই বলে যেন না দরজা টোকা দিতে যাবো এমন সময় দরজা খুলে বাহিরে আসলো আবির ভাইয়া!!ওনাকে দেখে ভয়ে আঁতকে উঠলাম আমি!!সাথে সাথে আরিয়ানকে জড়িয়ে ধরলাম আমি!!!চেচিয়ে বললামঃ
!
ভাইয়া ভূত!!!
!
আরিয়ানঃ কী বোকার মতো কথা বলছ!!!
!
ভাইয়া সত্যি বলছি তাকিয়ে দেখুন!!আমার কথা শুনে আরিয়ান তাকালো সামনে!!আবিরের সারা মুখে তুলো দেখে!!হেসে দিল আরিয়ান!!হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাওয়ার মতো!!!
!
আরিয়ানঃ কীরে শালা ঘরে বসে কী কাবাডি কাবাডি খেলছিলি নাকি!!!
!
!
!
আবিরঃ দোস্ত কী কমু দুঃখের কথা “বউ আমার বাসর ঘরেই ঘর থেকে বাহিরে বের করে দিসে”!!
!
বউ তো নয় যেন রাগের গোডাউন!!!!!
!
আরিয়ানঃ কেন কী করছোস তুই!!
!
তারপর আবির সব কিছু বলল আরিয়ান আর আমাকে!!!
!
আবির ভাইয়ার কথা শুনে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাওয়ার মতো অবস্থা আমার!!
!
আরিয়ানঃ তুই কী বোকা নাকি রোহান তো ওটা মজা করে বলেছিল…….
!
আবিরঃ হুম কিন্তু এখন কী করব……
!
আরিয়ানঃ কী আর করবি রবীন্দ্র সংগীত গা……
😂😂
!
!
!
#চলবে…………
!

তুমি শুধু আমার পর্ব-২০

0

#তুমি_শুধু_আমার❤(3 characters)
#part:20
#Writer:#TanjiL_Mim❤
.
.
🍁
-রাত দুটো বেলকনির এক পাশে দাঁড়িয়ে আছি আমি নিশ্চুপ হয়ে!!এই মুহূর্তে সব কিছু খোলাটে লাগছে আমার!!সত্যি কী আরিয়ান আমায় ভালোবাসে!!কিন্তু কি করে সম্ভব এটা!!বাহিরের দিকে তাকিয়ে আশেপাশের পরিবেশ দেখছি আমি!!সবাই এখন ঘুমাতে ব্যস্ত!!কিন্তু আমার চোখে ঘুম নেই!!অদ্ভুত লাগছে আমার!!আচ্ছা আমিও কী আরিয়ানকে ভালোবাসি নাকি!!কিন্তু কিছু বুঝতে পারছি না তো!!হর্ঠাৎ কাঁধে হাত রাখল মিতু!!
!
dost ঘুমাবি না!!
!
আসলে ঘুম আসছে না!!
!
ওও আমারও!!
!
হুম আসবে কেমনে দিনরাত খালি রোহান রোহান করলে!!
!
মিতুঃআসলেই জানিস আমার ওকে প্রথমদিনই ভালো লেগেছিল!!কিন্তু বুঝতে দেই নি!!আমার বেশি ভালো লাগে ওর অল্পতেই মানুষের সাথে মিশে যাওয়া!!সবচেয়ে বড় কথা ও আমার কাছে আসলে অদ্ভুত এক অনুভূতি আসে!!তখন মনে ভিতর একটা বাক্যই বাজেঃ
#তুমি_শুধু_আমার!!তারপর এভাবেই একটু একটু করে কখন যে ভালোবেসে ফেললাম বুঝতেই পারি নি!!
!
আচ্ছা আমি যে কাউকে ভালোবাসি বুঝবো কিভাবে???
!
মিতুঃএটা একটা বোকার মতো কথা!!!
!
তুই বল না!!
!
মিতুঃতুই রাতে ঘুমানোর সময় চোখ বন্ধ করলে যার স্মৃতি মাথায় আসবে মনে করবি তুই তাকেই ভালোবাসিস!!
!
সত্যি এমনটা হয় নাকি!!!
!
মিতুঃহুম এমনটাই!!
এখন চল ঘুমাই গিয়ে!!!!
!
তারপর আমি আর মিতু চলে গেলাম ঘুমাতে!!কিন্তু ঘুম মনে হয় না আসবে কারন চোখ বন্ধ করলে শুধু একটা জিনিসই মাথায় আসে! “আরিয়ান কী সত্যি আমায় ভালোবাসে”!!!!
.
.
.
.
.
__________________________________________
.
.
.
.
.
বিছানায় একটা কাগজকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে রোহান!!কারন কাগজটা হলো মিতুর দেওয়া যেখানে বড় বড় অক্ষরের লেখা আছে!!
!
“আমিও ভালোবাসি তোমায় কানা বাঁদর”!!
!
সেই থেকে কাগজটা বুকে জড়িয়ে রেখেছে রোহান!!!রোহানের এমন কান্ডে আবির আর আরিয়ান দুজনই শুধু মুচকি হাসছে!!!
!
সবাই তার ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে ভাবছে!!এমনকি আরিয়ানও!!!তারপর সবাই এমন ভাবতে ভাবতেই ঘুমের দেশে পারি দিল!!!
.
.
.
.
.
দেখতে দেখতে আরো ৫দিন চলে গেল!!কালকে গেছে তানিশার গায়ে হলুদ!!সবাই খুব মজা করেছে কিন্তু আমি সবসময় আরিয়ানকে নিয়ে ভাবতে ভাবতেই চলে গেছে!!কিছুতেই কোনোকাজেই মন দিতে পারলাম না আমি!!
!
!
!
আজকে তানিশার বিয়ে পুরো বাড়ি যাক যমক করে সাজানো হয়েছে!!সবাই আনন্দে মেতে উঠেছে!!কিছুক্ষনের মধ্যে হয়তো আবির ভাইয়ারাও এসে পরবে!!সবাই খুব সুন্দর করে সেজেছে!!তার সাথে তানিশাকেও বিয়ের কোনের বেশে সাজানো হয়ে গেছে অনেক আগেই!!এ কয়েক দিনে রোহানের সাথে মিতুর ফোনের কথা বলেই দিন চলে গেছে!!এখন আর তারা ঝগড়া না সবসময় প্রেমআলাপ করে!!সবই সুন্দর ভাবে চলছে!!!আর আমার মনে কী চলছে শুধু ওই মনই জানে আমায় বলে নি!!!আজকে আমি একটা ব্ল্যাক শাড়ি পরেছি!!ভয়ে আছি ভিষণ তারপর কেন জানি না ভালো লাগছে ভিষণ!!!হর্ঠাৎ মিতুর কথায় আমার ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসলাম!!
!
কারন ও বলছেঃ
!
মীম চল আবির ভাইয়ারা এসেছে!!!তারপর আর কী খুশি হয়ে চলে গেলাম নিচে!!আর তানিশা কনে সেঁজে বসে রইল আয়নার সামনে!!
.
.
.
.
গেটের সামনে একটা ট্রে নিয়ে তার উপর শরবত আর মিষ্টি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি আমি মিতু আরো কিছু মেয়েরা!!আর ওপাশে আছে আবির ভাইয়াসহ তার দুই বন্ধু তার সাথে আরো কিছু মানুষজন!!আপনাদের তো বলতে ভুলেই গেছি আজকে দিহান ভাইয়ার একটা বান্ধবী আসবে তানিশার বিয়ে উপলক্ষে!!!সে যাইহোক এই মুহুর্তে আমাদের আবদার হলো ২৫,০০০টাকা না দিলে আমাদের বেস্টুকে নিয়ে যেতে দিবো না!!তার সাথে আপনাদেরও ভিতরে ঢুকতে দিবো না!!!
.
.
.
.
এদিকে আমাদের কথা শুনে রোহান বলল আরিয়ানের কানে কানে!!
!
ভাই এরা তো কাব্যের শালীগো চাইতেও ফাস্ট!!
!
আরিয়ানঃহুম দেখছি তো!!!
!
মিতুঃ কী হলো দুলাভাই টাকা বের করেন তারপর বিয়ে কইরেন!!
!
আমাদের জোরাজোরিতে শেষমেশ কোনো উপায় পেয়ে টাকা দিয়ে দিল আবির ভাইয়ারা!!আর আমরাও দুলাভাই আপ্পায়ন করে তাদের ভিতরে ঢুকতে দিলাম!!!সবাই চলে গেল ভিতরে!!
!
হর্ঠাৎ চোখ গেল সামনে থাকা আরিয়ানের দিকে!!মুহূর্তেই চোখ মুখ লাল হয়ে গেল আমার!!কারন আরিয়ান একটা মেয়ের সাথে হেসে হেঁসে কথা বলছে!!মেজাজটা মুহূর্তেই চোটে গেল আমার!!!শালায় আমার ঘুম কেড়ে নিয়ে এখন অন্য মাইয়ার সাথে হেঁসে হেঁসে কথা বলছে!!আজকে তো তোরে খাইছি!!!!এই বলে মিতুকে বললাম
!
আমি একটু আসছি!!সামনে দিকে গিয়ে আরিয়ান আর ওই মেয়েটার মাঝখানে গিয়ে দাঁড়ালাম আমি!!আরিয়ানের দিকে তাকিয়ে বললামঃ
!
এখানে কী হচ্ছে!!
!
আরিয়ানঃ কই কিছু নাতো!!!
!
এত হেঁসে হেঁসে কথা বলার কি আছে!!
!
আরিয়ানঃকই হেঁসে হেঁসে কথা বলছি!!
!
আমাকে কী আপনার কানা মনে হয়!!!
!
আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে আরিয়ানের হাত ধরে একটা রুমে নিয়ে আসলাম আমি!!আমার এমন কান্ডে আরিয়ানসহ ওই মেয়েটা সাথে মিতু,রোহান,দিহান সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল!!!কিন্তু এই মুহুর্তে “আই ডোন্ট কেয়ার”ভাব নিয়ে চলে আসলাম আমি আরিয়ানকে নিয়ে!!!
!
!
!
!
রুমের দরজা বন্ধ করে………
আরিয়ানের দিকে চোখ লাল করে তাকিয়ে আছি আমি!!
!
ওখানে কি হচ্ছিল!!
!
আরিয়ানঃ যাইহোক তোমার তাতে কী???
!
আমার তাতে কী মানে আমার অনেক কিছু???
!
আরিয়ানঃ অনেক কিছু কী??(মুখ চেপে হেসে)
!
আমি চুপ……..
!
আরিয়ানঃচুপ কেন তোমার কী বলবে তো!!তুমি তো আমায় ভালোবাসো না তাই না!!!
!
আসলেই তো আমার কী তাহলে হর্ঠাৎ এমন লাগল কেন???(মনে মনে)
!
আরিয়ানঃকী বল তুমি আমায় ভালোবাসো!!!
!
হুম বাসি তো!!(মুখ চেপে)(হায় এটা কী বলে দিলাম)
!
আরিয়ান মুচকি হাসল!!!তা তুমি যে সত্যি আমায় ভালোবাসো বুঝবো কিভাবে??
!
কী করলে বুঝবেন আপনি???
!
আরিয়ানঃ তাই তো কি করে বুঝবো!!!(কিছুক্ষন ভেবে)
!
সেদিন আবিরদের বাসায় ছাঁদে বসে তুমি যেন কী বলছিলে!!!”
!
আরিয়ানের কথা শুনে শুকনো ঢোক গিললাম আমি!!এই রে নিজের জালে নিজেই ফেসে গেলাম আমি!!!
!
কিছু বলি নাই ওই মিতু আমি আসছি এই বলে রুম থেকে বেরোতে নিলাম আমি!!সাথে সাথে একটান দিয়ে আরিয়ানের বুকের সাথে মিশিয়ে নিলো আমায়!!ভয়ে চোখ খিচে বন্ধ করে ফেলেছি আমি!!
!
আরিয়ানঃ আজকে তো তোমায় ছাড়ছি না জানু!!এ কয়দিন প্রচুর জ্বালিয়েছো আজকে তার শোধ দিতে হবে!!!
!
আশ্চর্য আপনার সাথে তো আমার দেখাই হয় নি জ্বালালাম কখন??!!আর ছাড়েন প্লিজ ওদিকে তানিশার বিয়ে হয়তো শুধু হয়ে গেছে!!!
!
আরিয়ানঃহোক শুরু!!আমাকে হিসাব না দিয়ে কোথাও যেতে পারবে না তুমি!!!
!
আরিয়ান যে কী মিন করতে চাইছে খুব ভালো করেই বুঝতে পেরেছি আমি!!!
!
দেখুন এখন কোনো হিসাব-টিসাব দিতে পারবো না আমি!!আমাকে যেতে হবে!!!
!
আরিয়ানঃ তা হলে তোমাকেও যেতে দিবো না!!!
!
!
!
ওদিকে দরজায় নক করল মিতু আর রোহান!!!
এবার কী করব আমি!!এমন ভাবে ধরে আছে ছাড়িয়ে যাওয়াও জাস্ট ইম্পসিবল!!!!
!
-বেশ কিছুক্ষন ভেবে বললামঃ
!
কী করতে হবে আমায়!!
!
আরিয়ানঃ তোমায় যেটা দিয়েছিলাম!!তার রিপিট করতে হবে!!!
!
এইরে জানতাম এমনটাই বলবে!!!ঠিক আছে চোখ বন্ধ করুন!!!তারপর আর কী নিজের হাত দিয়ে আরিয়ানের চোখ টিপে ধরে আস্তে করে গালে একটা কিস করে দিলাম!!এর ভিতর আরিয়ানের হাত আলগা হওয়াতে সুযোগ পেয়ে আরিয়ানকে ছাড়িয়ে দিলাম এক দৌড়!!! আমায় আর পায় কে!!!
!
দরজা খুলতেই সামনে মিতু আর রোহানকে দেখে কিছু না বলেই আমি মুচকি হেসে দৌড়!!আমার পিছন পিছন মিতুও চলে আসল!!
!
এদিকে রোহান ভিতরে ঢুকে আরিয়ানের মুখের দিকে তাকিয়ে হা হয়ে গেল!!!
!
মামা কি অবস্থা করছ!!!
!
আরিয়ানঃ চুপ…….. [হয়তো এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না মিম তাকে কিস করেছে!!!]
!
রোহানঃ কী হলো কথা বলছিস না কেন???
!
আরিয়ানঃ চুপ…….
!
রোহানঃ ভূতে ধরল নাকি!!!
!
আরিয়ানঃচুপ………
!
রোহানঃ যাক শালা বিয়ে বাড়ি এসে শেষমেশ ভূতে ধরল আরিয়ানকে!!!!
.
.
.
.
.
.
খুব সুন্দর আর আনন্দের সাথে তানিশা আর আবিরের বিয়ে হয়ে গেল!!এখন বিদায়ের পালা!!এমন সময় দিহান ভাইয়া বললঃ
!
মীম একটু এদিকে এসো তোমার সাথে কিছু কথা আছে!!!!
!
ভাইয়া কিছুক্ষন পর আসি!!!
!
দিহানঃ একটু জরুরি!!!
!
তারপর বাধ্য হয়ে চলে গেলাম দিহান ভাইয়ার সাথে!!!
!
!
!
এদিকে আরিয়ানের ইচ্ছে করছে মীমের কানের নিচে দুটো দিতে কিন্তু পরক্ষণেই কিছু ভেবে হাসল আরিয়ান!!কারন সে তো জানে মীমও তাকে ভালোবাসে!!!
!
!
!
!
ভাইয়া তাড়াতাড়ি বল তানিশা তো চলে যাবে!!!
!
দিহান আমার হাতে একটা চিঠি দিয়ে বলল এটা পরো!!এতটুকু বলেই চলে গেলেন উনি!!ওনার এমন কাজে বেশ অবাক হলাম আমি!!তারপর কিছু না বলেই আবার চলে আসলাম তানিশার কাছে!!!!
.
.
.
তানিশার কাছে আসতেই ঝাপটে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিল!!এই মুহূর্তে আমারও খুব কান্না পাচ্ছে!!চোখ দিয়ে আপনা আপনি পানি পরতে শুরু করে দিয়েছে!!!এমন সময় আন্টি বলে উঠলঃ
!
তুই আর মিতু যাবি তানিশার সাথে!!আন্টির কথা শুনে আমি কিছু বলব এর আগেই মিতু বলে উঠলঃ
!
অবশ্যই যাবো অান্টি!!!
!
মিতুর কথায় চোখ গরম হয়ে গেল আমার তারপরও কিছু বললাম না!!
!
তানিশাকে বসিয়ে দিয়ে আবির ভাইয়াও বসল!!তারপর ড্রাইভার কাক্কু গাড়ি চালাতে শুরু করল তার আপন গতিতে………….
!
!
দুই নাম্বার গাড়িতে বসলাম আমি মিতু রোহান আরিয়ান!!সামনের সীটে রোহান আর মিতু!!ভিতরে আমি আর আরিয়ান!!!
!
!
এই মুহুর্তে খুবই বিরক্ত লাগছে আমার!! কোথায় ভাবলাম দিহান ভাইয়ার দেওয়া চিঠিটা পরব তা আর হলো না!!এমন সময় আরিয়ান কাছে এসে বললঃ
!
কি দিহানের চিঠি নিয়ে “ভাবছ”!!
!
#চলবে………
!

তুমি শুধু আমার পর্ব-১৯

0

#তুমি_শুধু_আমার❤(3 characters)
#part:19
#Writer:#TanjiL_Mim❤
.
.
🍁
-আবির ভাইয়াদের ছাঁদে দাঁড়িয়ে আছি আমি!!আমার সাথে আছে আরিয়ান!!মিতুও ছিল কিন্তু রোহান তাকে কোনো কিছু একটা দেখাবে বলে নিচে নিয়ে গেছে!!ব্যাপারটা খুব অদ্ভুত লেগেছে আমার কাছে!! তারপরও কিছু বললাম না আমি!! অনেকক্ষন পর আরিয়ানের মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলাম কেমন যেন দেখাচ্ছে ওনাকে!!চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে গেছে মনে হয় গার্লফেন্ডের চিন্তায় ঘুমায় নি অনেকদিন!!চুলগুলোও অগোছালো ভাবে আছে!!একবুক সাহস নিয়ে বললামঃ
!
ভাইয়া আপনার চেহারা এত শুকিয়ে গেছে কেন?? খাওয়া দাওয়া করেন নি ঠিকমতো মনে হয় ঘুমান নি কেন??
নিশ্চয় গার্লফেন্ডের সাথে ঝগড়া হয়েছে!
!
আরিয়ানঃ না তেমন কিছু না!!.
!
কি জে বলেন ব্রাদার এখনো কি খাই সুজি
একটু হইলেও কি বুঝি!!
!
বেশি চাপ নিবেন না ভাইয়া!!বেশি কিছু না প্রথমে গার্লফ্রেন্ডের কাছে গিয়ে প্রথমে ছোট্ট একটা সরি বলবেন তারপর তার গালে ছোট্ট একটা পাপ্পি দিবেন তারপর সেও খুশি হয়ে আপনার গালে ছোট্ট একটা পাপ্পি দিবে ব্যস সব সমস্যার দুই মিনিটের মধ্যে সমাধান হয়ে গেল না!!!
!
আরিয়ানঃতাই!!(সামনে এগিয়ে)
!
হুম(পিছনের দিকে যেতে যেতে)
!
কী হলো আপনি এই ভাবে আমার দিকে এগোচ্ছেন কেন??(কাঁপা কাঁপা গলায়)
!
আরিয়ানঃ কেন তুমি তো বললে গার্লফ্রেন্ডের গালে পাপ্পি দিতে!!
!
হুম আপনার গার্লফেন্ডের গালে দিতে বলছি আপনি আমার দিকে এগোচ্ছেন কেন(ভয় পেয়ে)
!
এদিকে পিছনে যেতে যেতে দেয়ালের সাথে লেগে গেছি আমি!!আরিয়ান দেয়ালে দু দিকে হাত দিয়ে বলতে লাগলঃ
!
-তুমি জানো এই ১০ দিন আমার ভালোবাসার মানুষকে দেখতে না পেয়ে কী অবস্থা হয়েছিল আমার!!আমি কিছু খেতে পারতাম না সবসময় ওর কথাই মাথায় আসত!!রাতে ঘুমাতে গেলে ওর কথা ভাবতে ভাবতেই সকাল হয়ে যেত!পুরো পাগল হয়ে গেছি আমি!!মা বাবা দিদি কিছু জিজ্ঞেস করলেও কিছু বলতে পারতাম না আমি!!পুরো পাগল হয়ে গেছি আমি!!কেন বলতে পারো!!
!
দেখুন তাইলে আপনি গিয়ে বলুন না আপনার ভালোবাসার মানুষকে তাকে ছাড়া আপনার চলে না!!তারপর আমার দেওয়া ফর্মুলা ইউস করুন দেখবেন সব ঠিক হয়ে যাবে!!,(কাঁপা কাঁপা গলায়)
!
ওকে!!!(আরো কাজে ঝুঁকে)!!!
!
উনি আরো কাছে আসাতে খিঁচে চোখ বন্ধ করে ফেলেছি আমি!!শ্বাস দ্রুত গতিতে উঠা নামা শুরু করে দিয়েছে আমার!!হার্ডবিট দক দক করছে!!!এই মুহূর্তে শুধু একটা কথাই মাথা আসছে “আজকে তুই শেষ মীম”
.
.
.
.
.
__________________________________________
.
.
.
.
.
রোহানকে জড়িয়ে ধরে একটা রুমের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে মিতু!!ভয়ে তার শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম!!তবে এর পিছনেও কারন আছে!!রোহান মিতুকে রুমের মধ্যে নিয়ে এসে একটা আরশোলা দেখিয়ে ভয় দেখাচ্ছে!!তবে আরশোলাটা আসল নয় নকল!!কিন্তু মিতুর কাছে এটা আসলের চাইলেও ভয়ংকর লাগছে!!তাই সে খিচে চোখ বন্ধ করে ফেলেছে!!এদিকে রোহান রহস্যময়ী হাসি দিতে ব্যস্ত!!!
!
কিছুক্ষন পর…..
-মিতুর কোনো হেলদোল পাচ্ছে না রোহান!!যা বুঝতে পেরে রোহান মিতুকে ডাক দিল!!না মিতুর কোনো সারা শব্দ পাওয়া যাচ্ছে না!!এই বার ভয় পেয়ে গেল রোহান!!মনে হয় বেশি বারাবাড়ি করে ফেলেছে সে!!মিতু অজ্ঞান হয়ে গেছে!!মিতুকে বিছানায় শুয়ে দিল রোহান!!এদিকে সে কাউকে ডাকতেও পারছে না!!পাশে টেবিলের উপর পানি দেখে মিতুর মুখে পানি ছিটিয়ে দেয় রোহান!!পানি পড়াতে হর্ঠাৎ লাফ দিয়ে উঠল মিতু!!যা দেখে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল রোহান!!
!
রোহানঃএই তুমি কী পাগল নাকি এই ভাবে কেউ ভয় পায়!!!
!
মিতু রেগে গিয়ে উঠে বসল তারপর বললঃ
!
আমি পাগল!!আপনি কি!!আপনি জানেন না আমি আরশোলাদের ভয় পাই!!(চেচিয়ে রোহানের দিকে এগোতে এগোতে)
!
এদিকে রোহানও ঘাবড়ে গেল মিতুর কথা শুনে সত্যি তো বেশি বারাবাড়ি হয়ে গেছে!!!
!
এগিয়ে মিতু রোহানের দিকে এগোচ্ছে তো এগোচ্ছে থামার নাম নিচ্ছে না!!এক পর্যায়ে রোহান দেয়ালের সাথে লেগে গেছে!!
!
মিতুঃ আজকে আপনার একদিন কী আমার যে কয়দিন লাগে!!আরশোলা দেখিয়ে আপনাকে জড়িয়ে ধরালেন এখন আমিও দেখাবো কারো অনুমতি ছাড়া কাউকে দিয়ে নিজেকে জড়িয়ে ধরলে কী অবস্থা হয়!!
!
রোহানঃ দেখ তুমি আমায় জড়িয়ে ধরেছিলে আমি নই!!!
!
মিতুঃ সেটা আমি বলছি কে কাকে জড়িয়ে ধরে ছিল!!
!
এদিকে রোহান বেচারা অনেকটাই ঘাবড়ে গেছে না জানি তাকে এখন কী করবে!!হর্ঠাৎ রোহানের মাথায় আরেকটা আইডিয়া আসল!!!
!
রোহানঃআরে আবির তুই!!!মিতু পিছনে তাকাতেই রোহান সেই সুযোগে দৌড়ে বাহিরের বের হয়ে আসে!!এদিকে মিতু কিছুটা বোকা বনে যায়!!তারপর ব্যাপারটা বুঝতে পেরে সেও দৌড় লাগায় রোহানের পিছন পিছন!!!রোহান দৌড়াচ্ছে তার পিছনে মিতু!!
.
.
.
.
.
__________________________________________
.
.
.
.
.
আরিয়ান এতটাই কাছে চলে এসেছে যে তার নিশ্বাসের শব্দ পাচ্ছি আমি!!ভয়ে পুরো শরীর কেঁপে কেঁপে উঠছে আমার!!!
!
আরিয়ানঃ তুমি কী সত্যি কিছু বুঝতে পারছো না!!
!
আমি শুধু মাথা নাড়ালাম যার অর্থ “না”!!!
!
হর্ঠাৎ আরিয়ান আমার গালে কিস করে দিলেন!!ওনার এমন কাজে আমি পাথরের মতো শক্ত হয়ে গেলাম!!এটা উনি কী করলেন!!হর্ঠাৎ আরিয়ান আমার কানের কাছে ঝুঁকে বললেন” ভালোবাসি তোমায়”!!এবারের কথা শুনে আমি আরো শকট খেলাম!!কি বললেন উনি ভালোবাসেন আমায়!!কিন্তু কেমনে কি কিভাবে!!আস্তে আস্তে চোখ খুললাম আমি!!সামনে কেউ নেই তার মানে আরিয়ান চলে গেছে!!আমার কানে এখনো বাজছে আরিয়ানের কথা”ভালোবাসি তোমায়”!!আরিয়ান সত্যি আমায় ভালোবাসেন!!!কিন্তু কিভাবে সম্ভব এটা!! উনি তো আমায় ইস্টুপিট ডাফার বলেন তাইলে উনি আমায় ভালো বাসলেন কিভাবে!! “থ” হয়ে দাঁড়িয়ে আছি আমি ছাঁদে!!!!
.
.
.
.
.
এদিকে ছাঁদের দরজার কিনারায় দাঁড়িয়ে মীমের কান্ড দেখে মুচকি হাসছে আরিয়ান!!অনেক ভালো লাগছে এখন অনেক দিনের জমানো কথা বলে দিয়েছে সে!!আর একবার মীমের দিকে তাকিয়ে সিঁড়ে বেয়ে নিচে নামল আরিয়ান!!!
.
.
.
.
.
__________________________________________
.
.
.
.
.
আবিরের রুমের বিছানার উপর বালিশ দিয়ে উড়াধুরা মারছে মিতু রোহানকে!!!!
!
রোহানঃ মিস ঝগড়ুটে,,সরি ভুল হয়ে গেছে এখন থেমে যাও!!
!
মিতুঃ কানা বাঁদর আপনার এত সাহস আমায় আরশোলা দেখিয়ে ভয় দেখান!!আজকে আর কোনো ছাড়া ছাড়ি নাই!!!এই বলে আরো জোরে জোরে মারছে মিতু রোহানকে!!!
!
!
!
কিছুক্ষণ আগে রোহান দৌড়ে আবিরের রুমে আসে আর তার সাথে সাথে মিতুও আসে!!তারপর বালিশ নিয়ে মারতে থাকে রোহানকে!!এমন সময় দরজা দিয়ে ভিতরে ঢুকে আরিয়ান!!রোহান মিতুর কান্ড দেখো “হা” হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে !!পরক্ষণেই কিছু একটা ভেবে ওদের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে বলে আরিয়ান!!
!
এই তোরা কি করছিস এগুলো!!!
!
মিতুঃ ভাইয়া এই কানা বাঁদর খুব বাজে একটা কাজ করেছে আমার সাথে তার শাস্তি দিচ্ছি!!
!
রোহানঃ বিশ্বাস কর আমি বুঝতে পারি নি যে মিস ঝগড়ুটে এতটা ভয় পেয়ে যাবে!!!
!
এদিকে বালিশ ফেটে তুলো দিয়ে ভরে গেছে পুরো রুম!!রোহান আর মিতু পুরো ভুত হয়ে গেছে!!তারপরও মিতু থামছে না!!এক পর্যায়ে মিতু কিছু একটা ভেবে থেমে যায়!!কারন সে হয়তো ভুলে গেছে এটা তানিশার শশুড় বাড়ি!!জিহবায় কামড় দিল মিতু!!!!
!
মিতু আরিয়ানের দিকে তাকিয়ে বললঃ
!
সরি ভাইয়া আসলে মাথাটা প্রচুর গরম গিয়েছিল!!!
!
আরিয়ানঃ আমি বুঝতে পেরেছি রোহান নিশ্চয় তোমার সাথে ভুলভাল কিছু করে ফেলেছে!!তুমি যাও!!এগুলোর সব ঠিক রোহান করবে!!
!
আরিয়ানের কথা শুনে মিতু আর এক মিনিটও দাঁড়ালো না!!তাড়াতাড়ি বেরিয়ে গেল!!আর যাওয়ার আগে আরিয়ানকে বলল ভাইয়া থ্যাংক ইউ!!!
!
আরিয়ানঃit’s okkk
!
এদিকে রোহান আর আরিয়ানের থ্যাংকু হুনতে হুনতেই বোকা বনে গেল!!মিতু যেতেই আরিয়ান হা হা হেসে দিল!!এমন সময় ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আসল আবির!!রুমের অবস্থা আর আরিয়ানকে হাসতে দেখে কিছুই তার মাথা আসল না!!!
!
আরিয়ানঃ তাড়াতাড়ি রুম ঠিক করে নিচে আয়!!!
!
রোহানঃ সব এই আবিরের দোষ ওই তো এগুলো করতে বলেছিল!!!
!
এতক্ষণে হয়তো আবিরও বুঝতে পেরেছে তার রুমের এমন অবস্থা কি করে হলো!!পরক্ষণেই হেসে দিল আবির!!তারপর আবির আর আরিয়ান বসে পরল নিচে আর রোহান গালে হাত দিয়ে বিছানায় তারপর তিনজনই একসাথেই হেসে দিল!! তারপর রোহান আবির আরিয়ান তিনজন মিলে রুম ঠিক করতে লাগল!!!
.
.
.
.
.
__________________________________________
.
.
.
.
.
সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামছিলাম এমন সময় মিতুকে দেখে হা হয়ে তাকিয়ে আছি আমি!! কি অবস্থা করেছে তুলো দিয়ে!!
!
এইভাবে পাগলের বেসে ঘুরছিস কেন???
!
তারপর মিতু রোহানের সাথে হয়ে যাওয়া সব ঘটনা বলল যা শুনে আমিও হেসে দিলাম!!হাসি যেন থামছেই না!!!!!এমন সময় আন্টি ডাকলেন আমাদের!!আমরাও আসছি বলে চলে আসলাম!!!!
.
.
.
.
.
দুপুর ২ টা……….
-খাবার টেবিলে বসে আছি!!আমার পাশে মিতু!!আমাদের সামনে নানা রকমের খাবার রয়েছে!!পোলাও থেকে শুরু করে গরুর মাংস, বিরিয়ানি সব কিছু!! এত কিছু একলা কিভাবে করলেন আন্টি!!এত খাবার দেখে চোখ বেরিয়ে আসার উপক্রম আমার!!এত খাবার কি করে খাবো আমরা!!!তারপরও প্রায় সব আইটেম থেকেই খাবার খেলাম আমরা!!!
!
আধ ঘন্টা পর…….
এখন বিদায়ের পালা আন্টি আবির ভাইয়ার আঙুলের মাপের একটা পুরনো আন্টি দিলেন!!আমরাও সেটা নিয়ে সবাইকে বিদায় দিয়ে বসলাম
গাড়িতে!
!
এমন সময় মিতু বলল আমার ব্যাগটা ভিতরে রয়ে গেছে ওটা আনতে হবে এই বলে বাড়ির ভিতরে চলে গেল মিতু!!আর আমি মিতুর কথা শুনে অনেকটা অবাক হলাম!!আমরা তো কোনো ব্যাগ আনিনি তবে ও কি রেখে আসল!!!
!
!
!
-আবিরের রুমে রোহান বসে আছে গালে হাত দিয়ে!!কারন সে ভেবে ছিল মিতু তাকে তার উওর দিবে!!কিন্তু কিছুই তো বলল না তবে এতে যে তার দোষটাই বেশি খুব ভালো করেই বুঝতে পেরেছে সে!!!
!
দরজা খোলার আওয়াজে সামনে তাকালো রোহান!!দরজার সামনে মিতুকে দেখে শুধু তাকালো রোহান!!
!
মিতু একটা চিঠি ছুড়ে মারল রোহানের দিকে তারপর বললঃ
!
কানা বাঁদর এটা তোমার জন্য বলে আর এক মিনিটও না দাঁড়িয়ে দৌড়ে চলে আসল নিচে!!!!!
!
!
!
মিতুকে গাড়িতে বসতে দেখে ড্রাইভার কাক্কু গাড়ি চালাতে শুরু করলেন!!
!
কোথায় গেছিলি তুই!!!
!
বিনিময়ে শুধু মুচকি হাসল মিতু!!ওর হাসির কারনটা আমার জানা তাই আমিও আর কিছু বললাম না!!
!
!
!
গাড়ির জানালার বাহিরে তাকালাম আমি!!!বাহিরের দৃশ্য দেখতে ব্যস্ত হয়ে পরলাম আমি!!হর্ঠাৎই মাথায় আসল এতক্ষণে আরিয়ানকে একবারও দেখতে পেলাম না আমি!!!
!
এই মুহুর্তে শুধু আরিয়ানের বলা একটা কথাই মাথা বাজছে আমার “ভালোবাসি তোমায়”!!!সত্যি কি ভালোবাসে আমায়!!????
!
!
#চলবে……………….
!

তুমি শুধু আমার পর্ব-১৮

0

#তুমি_শুধু_আমার❤(3 characters)
#part:18
#Writer:#TanjiL_Mim❤
.
.
🍁
আকাশটা হালকা হালকা পরিষ্কার হয়ে গেছে!!হালকা কুয়াশায় ডেকে আছে রাস্তা!!পরিবেশটা এখনো নির্জন!!হয়তো এখনো ভোর হয়নি তেমন!!এখনও আরিয়ানকে জড়িয়ে ধরে আছি আমি!!কেমন জেনো ভালো লাগা কাজ করছে আমার ভিতর!!এক অদ্ভুত মায়া আর এক অদ্ভুত ফিলিংস হচ্ছে আমার!!কাল সারারাত আমি আরিয়ানকে জড়িয়ে ধরে ছিলাম ভাবতেই পারছি না!!আরিয়ান সত্যি খুব ভালো!!ভাবা যায় একটা ছেলেকে সারারাত জড়িয়ে ধরে ছিলাম আমি!!আস্তে আস্তে মাথা সরালাম আমি!!আরিয়ানের মুখ অসম্ভব রকম মায়া আছে!!এই প্রথম হয়তো কোনো ছেলেকে নিয়ে এতটা ভাবছি আমি!!আমি ছেলেদের প্রতি বরাবরি একটু ভীতু টাইপের!!সব সময় ছেলেদের কাছ থেকে দূরে দূরে থাকি আমি!!কিন্তু এই আরিয়ানের কাছ থেকে যতই দূরে থাকার চেষ্টা করি না কেন ঠিক ততই আমার কাছে চলে আসেন!!এই মুহুর্তে আমার খুব ভালো লাগছে!!আবার শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম আমি আরিয়ানকে!!সে এখনও ঘুমে কাতর হয়ে আছে!!হয়তো কাল সারারাত ঘুম হয়নি তার!!এই মুহূর্তে আমি একটু ব্যাটার ফিল করছি!!কিন্তু এই মুহুর্তে আমার মনে হচ্ছে এখনই আমাদের এখান থেকে চলে যাওয়া উচিত!!কারন এই ভাবে যদি কেউ আমাদের দেখে ফেলে তবে ভয়ংকর সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে!!আস্তে করে আরিয়ানকে ডাক দিলাম আমিঃ
!
প্রথম ডাকে না উঠলেও ২য় ডাকে উঠে গেলেন উনি!!
!
আরিয়ানঃ তোমার শরীর ঠিক আছে এখন??
!
হুম অনেকটা!!!
!
আরিয়ানঃ oh god Thank You!!কালকে রাতে প্রচুর ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম আমি জানো তুমি!!!
!
কেন??
!
তোমার কিছু মনে নেই!!
!
না তো………
.
.
.
.
!……………………🌸ফ্ল্যাসবেক🌸………………..!
.
.
.
.
[কাল রাতে আরিয়ানকে জড়িয়ে মীম ঘুমানোর কিছুক্ষন পর আরিয়ানের কেমন জেনো সন্দেহ সন্দেহ লাগছিল……কোনো হেলদোল দেখছিল না মীমের সে!!!
!
আরিয়ান মীমকে ছাড়িয়ে অনেকবার ডাকল !!কিন্তু মীমের কোনো হেলদোল না পেয়ে আরো ভয় পেয়ে যায় আরিয়ান!!পরক্ষণেই আরিয়ান বুঝতে পারে মীম অজ্ঞান হয়ে গেছে!!কী করবে কিছু বুঝতে পারছে না আরিয়ান!! তারপর বৃষ্টির পানি হালকা গরম করে একটা কাপড় ভিজিয়ে সারারাত মীমের মাথা জলপট্টি দেয় সে!!এভাবে করতে করতে কখন যে আরিয়ান মীমকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পরে বুঝতেই পারে নি!!]
.
.
.
.
বর্তমান……..
!
আরিয়ানঃতোমার সত্যি কিছু মনে নেই!!
!
না কিছু হয়েছিল রাতে আমার!!
!
আরিয়ানঃনা কিছু হয় নি চল তাড়াতাড়ি এখান থেকে!!
!
জ্বী চলেন!!
!
তারপর আমি আর আরিয়ান চলে আসলাম আমাদের গন্তব্যে!!!
-পুরো রাস্তাই আমি আরিয়ানকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে এসেছে!!এতে উনিও কিছু বলে নি আর আমিও কিছু ভাবিনি!!আমার খুব ভালো লাগছে ওনার সাথে সময় কাটাতে!!!কাল রাতের পর থেকে ওনার প্রতি আরো বিশ্বাস চলে এসেছে আমার!!শুধু একটা কথা মাথায় ঘুরছে!!উনি রাগি হলেও মন থেকে অনেক “ভালো”!!
.
.
.
.
.
প্রায় তিনঘণ্টা পর……..
বাসার গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছি আমি আর আরিয়ান!!তবে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকার পিছনেও একটা কারন আছে সেটা হলো আরিয়ান কিছু বলবে আমায়!!তবে এখনো বলছে না!!এভাবে কিছুক্ষন যাওয়ার পর হর্ঠাৎ আরিয়ানের ফোনটা বেজে উঠল!!
!
আরিয়ানের আম্মুঃ হ্যালো তুই কই সারারাত কোথায় ছিলে তোকে ফোনে পাচ্ছি লাম না কেন???
!
আরিয়ানঃ আম্মু আমি বাসায় এসে সব বলছি!!এই বলে ফোনটা কেটে দেয় আরিয়ান!!
!
আরিয়ানঃতুমি বাসায় যাও আর নিজের যত্ন নিও!!আর খাবার ভালো মতো খাবে!!ঠিক আছে
!
ওকে!!আর কিছু বলবেন??
!
আরিয়ানঃবলতে তো অনেক কিছুই চাই কিন্তু বলতে পারছি কই (বিড় বিড় করে)
!
ভাইয়া বিড় বিড় করছেন কেন!! কী বলবেন বলে ফেলুন!!!
!
আরিয়ানঃ কিছু না যাও তুমি!!!এতটুকু বলে হন হন করে গাড়ি নিয়ে চলে গেল আরিয়ান!!!
!
আর আমি হাবলাম মতো তাকিয়ে রইলাম!!কি যে বলতে চান বলবে বলবে বলে আর বলতেই পারেন না!!….কিছুক্ষন পর আমিও চলে আসলাম রুমের ভিতর!!!
!
!
বিছানায় শুয়ে আছি শরীর এখনো অনেক ক্লান্ত আমার!!কেমন যেন চোখ বন্ধ করলেই আরিয়ানের মুখটা ভেসে আসে আমার!!কিন্তু কেন হচ্ছে এমন কই আগে তো কখনো হয় নি এমন আমার!!!
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
দেখতে দেখতে ১০ দিন কেটে গেল!!এখন পুরো পুরি সুস্থ আমি!!এই ১০দিনে কারো সাথে কারোই তেমন দেখা হয়নি!!না আরিয়ানের সাথে আমার, আর না মিতুর সাথে রোহানের!!তবে মিতুর সাথে আমার দেখা প্লাস কথাও হয়েছে রোজ!!রোহান যে তাকে প্রপোজ করেছে তাও বলেছে আমায়!!তবে তার দিক থেকে হ্যাঁ হবে কিনা, না হবে সেটা এখনো অজানা আমার কাছে!!আজকে আবার যাবো দিহান ভাইয়াদের বাসায় আর বাকি ৫দিন তাদের বাসায় থাকব এমন একটা পরিকল্পনা করা আছে আমাদের!!কারন কাল থেকে দিহান ভাইয়াদের বাড়ি সাজানো থেকে শুরু করে গায়ে হলুদ বিয়ে সবই শুরু হবে!!বিষয়টায় খুব এক্সাইটেড আমি!!!আমার ভাবনায় ছেদ পরল মোবাইলের রিংটোনের শব্দে!!উপরে মিতুর নাম দেখে মুচকি হেসে কল তুললাম আমি!!
!
মিতুঃ দোস্ত তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে থাক আমি আসছি!!!
!
ওকে আয় সাবধানে আসিস!!!
!
মিতুঃ ওকে!!!
ফোন কেটে দিল!!!
.
.
.
.
.
যেহেতু আম্মুকে সবকিছু বলাই আছে!!তাই নো টেনশন!!!আলমারি থেকে কিছু জমা কাপড় বের করে ব্যাগে ভরে নিলাম আমি!!আর একটা ব্লাক কালার থ্রি-পিচ পরে নিলাম!!চুল খোলা,চোখে হালকা কাঁজল,আর হালকা ঠোঁট গোলাপি রঙের লিপস্টিক!!ব্যাস তৈরি আমি!!এর ভিতর মিতু এসে হাজির হাতে একটা ব্যাগ!!আজকে মিতুও একটা ব্লাক থ্রি-পিচ পড়েছে!!সেইম সাজ আজকে মিতুও খুব একটা সাজে নি!!এতে বেশ অবাক হলাম আমি!!
!
কিরে আজকে এতো কম সাজ??
!
মিতুঃ এমনি!!
!
না তাল মে কুচ তো কালা হে বেবি!!জালদি সে বলো বেবি!!
!
মিতুঃ আরে কোনো কালা বালা নাই এমনি তোর মতো সাজলাম আর কিছু নয়!!
!
তারপরও মিতুর কথা বিশ্বাস হচ্ছে না!!
!
মিতুঃতোর সন্দেহ করা শেষ হলে এখন আমরা যেতে পারি!!!
!
ওকে!! তারপরও কোথাও তো একটা কালা নিশ্চয়ই আছে!!! (মনে মনে)
.
.
.
.
তারপর আম্মু-আব্বু আর রাকিবকে বিদায় দিয়ে চলে আসলাম আমরা!!এসে বসে পরলাম গাড়িতে!!গাড়ি চলতে শুরু করল তার আপন গতিতে………
.
.
.
.
.
_________________________________________
.
.
.
.
.
-রুমের মধ্যে দরজা বন্ধ করে লুঙ্গি ড্যান্স দিচ্ছে তানিশা!!আজকে সে খুব খুশি আর মাএ কয়েকটা দিন পরই সে আবিরের বউ হয়ে যাবে ভাবতেই লজ্জা লাগছে তার!!সাথে একরাশ ভালো লাগা!!পরক্ষনেই আবার মা-ভাইকে চলে যাবে পরের বাড়িতে ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে তার!!সাথে সাথে মিউজিক বন্ধ করে দেয় তানিশা!!চোখ দিয়ে দু’ফোটা পানি পড়ে যায় নিচে!!এমন সময় দরজার বাহিরে রাইসা ভাবি বলে উঠলঃ
!
ননদিনী, আর রুমে বসে কি করবে তোমার বন্ধুরা এসে পরেছে!!পরক্ষণেই মুখে হাাসি ফুটে উঠল তানিশার দৌড়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেল সে!!!
.
.
.
.
দরজার বাহিরে দাঁড়িয়ে আছি আমি আর মিতু!!এমন সময় তানিশা দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরল আমাদের!!!আমরাও মুচকি জড়িয়ে ধরলাম তানিশাকে!!হর্ঠাৎ মনে হলো ও আমাদের জড়িয়ে ধরে কাঁদছে!!
!
কি হলো কাঁদছিস কেন???
!
তানিশাঃচুপ…………
!
মিতুঃ কি হলো বলবি না আমাদের!!
!
তানিশাঃএমনি খুব কষ্ট হচ্ছে তোদের ছেড়ে মা ভাইয়া সবাইকে ছেড়ে চলে যাবো তো তাই!!
!
দুর পাগলি এতে কাঁদা লাগে নাকি আর তুই তো ঢাকাতেই থাকবি নাকি যখন ইচ্ছে হবে তখনই চলে আসবি আমাদের কাছে!!!
!
!
এমন সময় আন্টি বলে উঠল একটা ভুল হয়ে গেছে রে!!
!
মিতুঃ কি হয়েছে!!!
!
আসলে এত কিছুর ভিতর মনে ছিল না আবিরের আঙুলের আন্টির মাপ আনা হয় নি তো!!
!
তাতে কি হয়েছে কাব্য ভাইয়াকে বললেই তো সে নিয়ে আসতে পারে!!
!
আন্টিঃকাব্য আর দিহান তো কিছু জিনিস আনতে চট্টগ্রাম গেছে!!আসবে তো কালকে!!এত কাজের ভিতর এখন কী করব বুঝতে পারছি না!!হর্ঠাৎ মিতু বলে উঠলঃ
!
আন্টি তুমি কোনো চিন্তা কর না আমি আর মীম আছি না আমরা যাবো আবির ভাইয়াদের বাসায়!!!
!
আন্টিঃ কিন্তু
!
মিতুঃ কোনো কিন্তু নয়!!? এখন কথা হলো আমরা তো আবির ভাইয়াদের বাসা চিনি না তবে কিভাবে যাবো!!!
!
আন্টিঃ ড্রাইভার চিনে কোনো সমস্যা নেই তবে কিন্তু তোরা পারবি তো!!
!
মিতুঃ কেন পারবো এই যাবো আর আন্টির মাপ নিয়ে এই চলে আসব!!মিতু আমার আর তার ব্যাগ রেখে আমার হাত ধরে নিয়ে আসল নিচে!!এতক্ষণ মিতুর কথা শুধু শুনেই গেলাম হ্যাঁ না কিছুই তো বললাম না!!!
!
আন্টি ড্রাইভারকে সব বুঝিয়ে বলল তারপর আমরা গাড়িতে বসে পরলাম!!ড্রাইভার কাক্কু গাড়ি চালাতে শুরু করলেন!!!
.
.
.
.
.
প্রায় এক ঘন্টা পর আবির ভাইয়াদের বাড়িতে এসে পৌছালাম আমরা!!এই এক ঘন্টায় প্রচুর জারছি মিতুকে আমি!!মাইয়া ডায় সব জায়গায় বেশি বুঝে!!
!
!
দরজার কলিং বেল চাপ দিতেই আবির ভাইয়ার আম্মু দরজা খুলে ভিতর ঢুকতে বললেন আমাদের!!আমরা মিষ্টি হেসে সালাম দিলাম আন্টিকে!!!
!
আন্টিও সালামের উওর দিয়ে বললঃ
!
তোমরা বসো আমি একটু আসছি!!সোফায় বসলাম আমরা!!এমন সময় সিঁড়ি বেয়ে দৌড়ে নিচে নামল রোহান ভাইয়া আর তার পিছনে আবির ভাইয়া!!কিন্তু কারনটা বুঝতে পারছি না!!রোহান মিতুকে দেখতে পেয়ে “থ” হয়ে দাঁড়িয়ে পরল!!হয়তো সে বিশ্বাস করতে পারছে না এটা মিতু!!রোহান ভাইয়াকে দাঁড়াতে দেখে আবির ভাইয়াও দাঁড়িয়ে পরল!!আমাদের দেখে মুচকি হেসে বললঃ
!
কেমন আছো তোমরা!!
!
জ্বী ভাইয়া ভালো আপনারা!!!
!
আবিরঃ হুম ভালো!!
!
মিতুঃ তা ভাইয়া আপনারা ঘরে বসে কাবাডি খেলছিলেন নাকি!!
!
রোহানঃ আরে না কাবাডি খেলবো কেন আমি শুধু আবিরকে বলছিলাম বা……আর কিছু বলার আগেই আবির রোহানের মুখ চেপে ধরল!!
!
আবিরঃ তোমরা এই পাগলটার কথা শুনো না তোমরা বস আমি ছাগলটাকে এইটাকে নিয়ে যাচ্ছি!!!
!
আবির আর রোহান চলে যাওয়াতে হাসলাম আমরা দুজন!!!
.
.
.
.
.
.
.
[এই বার তবে কারনটা বলা যাক!!কিছুক্ষন আগেই আরিয়ান আর রোহান আসছে আবিরদের বাসায় তারাও মীম আর মিতুর মতো বাকি ৫দিন আবিরদের বাসায় থাকবে!!সে যাইহোক রুমের মধ্যে বসে আড্ডা দিচ্ছিল তিনজনই!!এমন সময় রোহান বলে উঠল ভাই কাব্যের বাসর ঘরে তো চৌকির তলায় লুকিয়ে ছিলাম!!তোর সময় রুমে সিসি ক্যামেরা লাগামু এই বলে রোহান দৌড় দেয় রুম থেকে আর তার পিছন পিছন আবির!!][দুজনের কান্ডে আরিয়ান রুমের মধ্যেই হাসতে থাকে!!তার হাসি থামছে না কিছুতেই]
.
.
.
.
.
.
.
সোফায় বসে আছি আর আমাদের সামনে টেবিলে এক গাধা খাবার রেখে গেছে আন্টি!!নানা রকমের ফল থেকে শুরু করে নুডলস সেমাই সবই আছে এখানে!!অল্প অল্প করে প্রায় সব আইটেম থেকে খাবার খেয়েছি আমরা!!
!
মিতুঃ আন্টি আবির ভাইয়ার আর কিছু বলার আগেই আন্টি বলে উঠলঃ
!
আমি জানি তোমরা এখানে কেন এসেছো কিন্তু তোমাদের দুপুরের খাবার না খাইয়ে ছাড়ছি না আমরা!!
!
বলছিলাম কী আন্টি আজ থাক আবার অন্য আরেক দিন আসব আমরা!!
!
না আন্টি শোনার পাএ নন শেষমেশ আন্টির জোরাজোরি তে রাজি হয়ে গেলাম আমরা!!
!
আন্টিঃ তোমাদের খাবার খাওয়া হয়ে গেলে পুরো বাসাটা ঘুড়ে দেখতে পারো!!
!
বিনিময়ে আমরা শুধু মুচকি হাসলাম!!
!
পিছন থেকে রোহান বললঃ
!
কোনো চিন্তা কর না তুমি মামুনি!!আমরা আছি না!!আমরা আমাদের বিয়াইনদের খুব ভালোভাবে দেখাশুনা করব!!
!
আরিয়ানঃঠিকই বলছ তুই রোহান যত যাইহোক আমাদের বিয়াইন লাগে এরা!!
!
!
এদের দুজনের কথা শুনে আত্মা সমেত কেঁপে উঠল আমার এরা এমন ভাবে বলছে নিশ্চয় এদের মাথায় কিছু চলছে!!মিতুর দিকে তাকাতে আমি বুঝতে পেরেছি ও সেইম ভাবে ভয় পেয়েছে!!!
!
কে জানত এরা এখন এখানে থাকবে তাইলে কখনোই আসতাম না আমি!!!
!
এদিকে আরিয়ান আর রোহান শয়তানী মার্কা হাসি দিচ্ছে আমাদের দিকে তাকিয়ে!!!!!
!
!
#চলবে………………..
!

তুমি শুধু আমার পর্ব-১৭

0

#তুমি_শুধু_আমার❤(3 characters)
#part:17
#Writer:#TanjiL_Mim❤
.
.
🍁
এমন সময় ফোনটা বেজে উঠল আমার উপরে আম্মু লেখা দেখে এই মুহূর্তে কী বলব বুঝতে পারছি না আমি!!হর্ঠাৎ আরিয়ান বলে উঠলঃ
!
!
আমি যা বলছি তাই বল…………
!
!
জী বলেন!!প্রথম বার কল কেটে যাওয়াতে দ্বিতীয় বার আমি কল দিলাম আম্মুকেঃ
!
!
সাথে সাথে ওপাশ থেকে আমার আম্মা জানেন কন্ঠ ভেসে আসলঃ
!
!
কী রে রাত ১১ঃ৩০টা_বেজে গেছে কোথায় তুই!!তারপর আরিয়ানের কথা মতো বললামঃ
!
!
আসলে আম্মু শপিং করতে করতে অনেক দেরি হয়ে গেছে তাই আন্টি বাসায় যেতে বারন করেছে তুমি চিন্তা করো না আমি তানিশাদের বাসায় আছি!!আর আব্বুকে কিছু বলে ম্যানেজ করে নিও!!ব্যাস এতটুকু বলে ফোন কেটে দিলাম আমি!!তবে এইসব কেন বলতে বলল আরিয়াব জানা নেই আমার!!আর এই মুহুর্তে এইসব ভাবা আমার পক্ষে সম্ভব নয়!!
!
!
তারপর আরিয়ান বললঃ
!
চল….
!
!
ভাইয়া এখন কোথায় যাবো আমরা!!তানিশাদের বাসায়??
!
!
আরিয়ান হ্যাঁ না কিছু না বলেই বাইক চালাতে শুরু করল তারপর আর কি কোনোমতে বসলাম গাড়িতে আমি!!
তারপর গাড়ি চলতে শুরু করল তার আপন গতিতে!!তবে এইবার আগের চেয়ে স্পিড অনেক কমে গেছে!!
!
!
কিছুটা দূরে যেতেই হর্ঠাৎ আরিয়ান গাড়ি থামিয়ে দিল!!এদিকে আমার অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যাচ্ছে!!তার সাথে আকাশে বিন্দুৎ চমকাচ্ছে মনে হয় বৃষ্টি হবে ভীষন!!আজকে বোধ হয় বাসা থেকে না বেরোলেই ভালো হতো!!
.
.
.
.
.
__________________________________________
.
.
.
.
.
বাইক থামিয়ে মিতুদের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে মিতু আর রোহান!!পুরো রাস্তাই দুজনে নীরবতার মধ্যে দিয়ে পার করে দিল!!মিতু বাইক থেকে নামতে দেখে রোহান বললঃ
!
মিস ঝগড়ুটে না থুরি মিতু!!
!
মিতুঃ জ্বি
!
!
রোহানঃতোমাকে যেটা দিলাম মন দিয়ে পরবে আর উওর তোমার মনে যা আছে তাই বল!!এতে কোনো জোরাজোরি নেই!!এই বলে আর দু মিনিট ও দাঁড়ালো না রোহান!!ফুল স্পিডে বাইক চালিয়ে হাওয়া হয়ে গেল সে!!
!
!
আর মিতু তাকিয়ে রইল কিছুক্ষন তার যাওয়ার পানে!!!তারপর মুচকি হেসে রুমে ঢুকল সে!!!
!
!
রুমে…..
বিছানায় শুয়ে আছে মিতু!!রোহানের চিঠিটাকে হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করছে সে!!কিছুক্ষন পর অনেক ভেবে চিন্তে দীর্ঘ শ্বাস ফেলে চিঠি টা খুললো সেঃ
!
প্রথমে লেখা!!
!
!
“মিস ঝগড়ুটে” আমি জানি তুমি হয়তো শুরুতেই এই নাম টা দেখে কিছুটা রাগ করবে!!কিন্তু আমি চাইলেই তোমার নাম টা নিয়ে লিখতে পারতাম!!কিন্তু সেটা আমার ভালো লাগতো না!!তোমার সাথে যেদিন প্রথম দেখা হয় সেদিন থেকেই এই নামটা তোমার সাথে মিশে গিয়েছিল!!!! আবার যে তোমার সাথে দেখা হবে তা জানা ছিল না আমার!!কিন্তু হলো তাও খুব কাছ থেকে!!আমি ভাবিনি আমার জীবনেও কোনো মেয়ে আসবে যাকে নিয়ে আমি স্বপ্ন দেখবো!!কিন্তু দেখলাম!!অনেক স্বপ্ন দেখেছি আমি!!তবে জানি না সেই সব স্বপ্ন পূরন করার সুযোগ পাবো কিনা!!সত্যি কথা বলতে আমি তোমাকে খুব ভালোবেসে ফেলেছি!!জানি না কখন কিভাবে ভালোবেসে ফেলেছি তোমায়!!কিন্তু ভালোবাসি খুব আমি!!নিজের চেয়েও বেশি!!তোমার সাথে করা ছোট ছোট ঝগড়াগুলো কখন যে তোমার প্রতি আমাকে আকৃষ্ট করেছে বুঝতেই পারি নি আমি!!যখন শুনলাম তুমি কালকেই চলে তখন আমার ভিতরটা দুমরে মুচরে যাচ্ছিলো!!সেদিনই হয়তো প্রথম ভালোবাসার অনুভূতি এসেছিল আমার!!কিন্তু আবিরের জন্য তোমরা থেকে গেলে!! সেদিন খুব খুশি হয়ে ছিলাম!!তুমি আমার যেদিন জড়িয়ে ধরেছিলে সেদিন এক অদ্ভুত অনুভূতি এসেছিল আমার!!সেই অনুভূতি গুলো কখন যে ভালোবাসায় পরিনত হয়েছে বুঝতেই পারি নি!!এখন আর কিছু বলার নেই আমার!!শুধু এতটুকুই বলারঃ
.
!!”খুব ভালোবাসি তোমায়” “মিস ঝগড়ুটে”!!
.
.
.
“ইতি”
তোমার “কানা বাঁদর”
শেষের লাইন পরে আনমনে হাসল “মিতু”!!মনে মনে কিছু একটা পরিকল্পনা করে ঘুমিয়ে পরল সে!!!
.
.
.
.
.
__________________________________________
.
.
.
.
.
চারদিকে কুটকুটে অন্ধকার!!আশেপাশের তেমন কিছু একটা দেখা যাচ্ছে না!!পুরো পরিবেশটাই অন্ধকারে ঢেকে গেছে!!এমন এক পরিবেশে
বাইকে বসে বাড়ি ফিরছে রোহান!!একবুক ভালো লাগা তার সাথে কিছুটা ভয় দুটোই তার ভিতর কাজ করছে এখন!!না জানি মিতুর কী উওর হবে!!সে যদি তাকে রিজেক্ট করে দেয় তখন কী করবে রোহান!!বহুত কষ্টে চিঠিটা লিখেছিল সে!!এই প্লানিং টা ছিল আরিয়ানের!!সেই তাকে বলেছিল মনের ফিলিংস গুলো চিঠিতে লিখে মিতুকে দিতে!!বহুত কষ্টে যা মাথায় এসেছে তাই লিখে দিয়েছে সে!!না জানি মিতুর পছন্দ হবে কি না!!এইসব নানা জিনিস ভেবে বাড়ি ফিরছে রোহান!!হর্ঠাৎ এক ফোটা পানি এসে পরল তার মুখে!!তার মানে বৃষ্টি পরছে!!হর্ঠাৎ ধীরে ধীরে পানির ফোঁটা পরতে পরতে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল!!রোহান ভিজে যাচ্ছে!!কিন্তু এই মুহুর্তে তার খারাপ লাগছে না!!অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করছে তার ভিতর!!তাই বৃষ্টিতে ভিজেই আজকে বাড়ি ফিরবে রোহান!!
.
.
.
.
.
_________________________________________
.
.
.
.
.
বেলকনিতে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি দেখছে তানিশা!!বাহিরে হাত পেতে বৃষ্টির পানি জমাচ্ছে সে!!আর হাজার হাজার স্বপ্ন মনের ভিতর নাড়া দিচ্ছে তার ভিতর!!হর্ঠাৎ তার মনে হলো আবিরকে একটা ফোন দিলে কেমন হবে!!যেই ভাবা সেই কাজ!!ফোনটা হাতে নিয়ে আবিরকে কল করল তানিশা!!!
.
.
.
.
ল্যাপটপে বসে তানিশার ফটো দেখছিল আবির!!গভীর ভাবে মিতুর ঠোঁটের হাসির মাঝে হারিয়ে যাচ্ছিল সে!! এমন সময় ফোনটা বেজে উঠাতে একরাশ বিরক্ত নিয়ে ফোনটা তুলল আবির!!উপরে তানিশার নাম দেখে মুহূর্তেই তার বিরক্তটা ফুস হয়ে গেল!!এক চিলতে হাসি দিয়ে ফোনটা তুললো সে!”
!
হ্যালো!!
!
তানিশাঃচুপ……..
!
আবিরঃ কী হলো কথা বলছ না কেন???
!
তানিশাঃচুপ……[বেচারী লজ্জায় কিছু বলতে পারছে না]
!
আবির ব্যাপারটা বুঝতে পেরে সেও চুপ হয়ে গেল!!সাথে সাথে তাদের মধ্যে চলে আসল একবুক নীরবতা!!
.
.
.
.
.
__________________________________________
.
.
.
.
.
একটা ছোট্ট কুঁড়ে ঘরে বসে আছি আমি!!আমার পুরো শরীর জ্বরে পুরে যাচ্ছে!!আমার থেকে কিছুটা দূরে আরিয়ান আগুন জ্বালাচ্ছে!!এতে কিছুটা তাপ আসলেও আমার কাজ হচ্ছে না!!পুরো শরীর কাঁপছে আমার!!একই তো শরীরের প্রচুর জ্বর এসেছে তার সাথে বাহিরে বৃষ্টি পরছে দুটো মিলিয়ে আমার অবস্থা প্রচন্ড খারাপ হয়ে যাচ্ছে!!যে কোনো মুহূর্তে আমি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারি!!এই মুহুর্তে আমার একটা নরম বিছানার সাথে গরম কাঁথা লাগত!!কিন্তু তার জায়গায় এখন আমি শুধু আগুনের তাপে বসে আছি!!ওদিকে আকাশে এত জোরে জোরে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে যে ভয়ে আমার শরীর কাঁপছে!!সব মিলিয়ে এই মুহুর্তে আমি এক বিছছিরি পরিস্থিতির মধ্যে আছি!!
তখন আরিয়ান বাইক চালাতে চালাতে এই কুড়ে ঘরটা দেখতে পেয়ে এখানে নিয়ে আসে আমার!!সাথে সাথে বাহিরে বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়!!!আরিয়ানের কথায় ধ্যান ভাঙল আমার!!
!
আরিয়ানঃতোমার কী খুব বেশি শীত করছে!!
!
আমি শুধু মাথা নাড়িয়ে “হ্যাঁ” সমর্থন দিলাম!!কিন্তু কিছু তো করার নেই!!
!
আরিয়ান কিছু বলল না চুপ করে এসে বসল আমার পাশে!!আমিও বসে আছি!!
!
শরীরের তাপমাএা আরো বেড়ে যাচ্ছে আমার!!হর্ঠাৎ আমি আরিয়ানকে বলে উঠলামঃ
!
ভাইয়া আমি আপনাকে জড়িয়ে ধরতে পারি!!বিশ্বাস করুন আমি কিছু মনে করব না!!
!
আমার কথায় আরিয়ান হয়তো অনেক অবাক হয়ে গেছে!! ভাবছে সে??
!
কী বলছে এইসব!!যে মেয়ের কাছে গেলে ভয়ে নাকি শরীর কেঁপে উঠে তার!!সে কিনা নিজ ইচ্ছে জড়িয়ে ধরতে চাইচ্ছে!!!ব্যাপারটা কী??
!
বলছি কী জড়িয়ে ধরব আমার অসম্ভব রকম শীত করছে!!আমি কথা দিচ্ছি আমি যদি কোনোদিন কোনো ছেলেরে বিয়ে করি তবে আপনাকেই করব তবে তো আর কোনো সমস্যা হবে না তাই না!!
!
এবারের কথায় আরিয়ান বুঝতে পেরেছে জ্বরের তাপে মেয়েটা ভুলভাল কথা বলছে!!কিন্তু কী করবে এখন আরিয়ান!!!
!
আরিয়ান কিছু বলার আগেই মীম তাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল!!শরীরের তাপে আরিয়ান বুঝতে পেরেছে মীমের অসম্ভব রকম জ্বর এসেছে!!তাকে জড়িয়ে ধরাতে সে নিজেও পুরে যাচ্ছে মীমের শরীরের তাপে!!কিন্তু কী করবে এখন আরিয়ান!!এই জড়ের মধ্যে কিছু তো করার নেই!!!কিছুক্ষণ পর আরিয়ানও জড়িয়ে ধরল মীমকে!!
!
এইবার মনে হয় শরীরে গরম তাপ অনুভব করছি আমি!!এখন ভালো লাগছে আমার!!বাহিরের মেঘের ডাকে এতক্ষণ আত্মা কেঁপে যাচ্ছিল আমার কিন্তু এখন আর ভয় নেই!! একটু একটু করে ঘুমের দেশে পাড়ি দিচ্ছি আমি!!
!
!
#চলবে……..
!

তুমি শুধু আমার পর্ব-১৬

0

#তুমি_শুধু_আমার❤(3 characters)
#part:16
#Writer:#TanjiL_Mim❤
.
.
🍁
কেউ শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে আমাকে!!আস্তে আস্তে চোখ খুললাম আমি!!জানালা ভেদ করে কুয়াশায় ঘেরা কিছুটা মুখে পরছে আমার!!হালকা মনো মুগ্ধ করা বাতাস মাতাল করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট!!বাতাসে আমার চুলগুলো উরছে অসম্ভব ভাবে!!বিষয়টা খুব ভালো লাগছে আমার কাছে!!খুব বেশি হলে এখন ৫ঃ৩০ টা ৬ঃ০০টা বাজবে…!!..প্রকৃতি মানুষকে অনেক কিছু মনে করিয়ে দেয়!!এমনই একটা পরিবেশে করে এসেছিলাম আমরা এখন চলে যাচ্ছি বিষয়টা কিছুটা কী অদ্ভুত তাই না!!হর্ঠাৎ পাশে থাকা ব্যক্তির দিকে চোখ আমার!!অসম্ভব সুন্দর লাগছে তাকে!!কি সুন্দর দেখতে লাল হনুমানকে কিছু শালার চোখগুলো খুবই ভয়ানক দেখলে তো আমার শরীর কাঁপতে শুরু করে!!আচ্ছা ছেলেদের এত সুন্দর হওয়া চলে নাকি!!হর্ঠাৎ তার বাম চোখের কোনায় চোখ গেল আমার ছোট্ট একটা দাগ আছে!!অদ্ভুত ব্যাপার আমারো আছে!!আরিয়ানকে পর্যবেক্ষণ করতে করতে হর্ঠাৎ সামনে থাকা দুই ব্যক্তির দিকে চোখ গেল আমার!!দুজনেই এক অপরকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে!!ওদের দুজনকে সত্যি খুব সুন্দর দেখাচ্ছে এই মুহুর্তে!!মিস ঝগড়ুটে আর কানা বাঁদর!!আনমনে হাসলাম আমি!!এমন সময় আরিয়ান উঠে গেল!!এই মুহূর্তে রাগারাগি করার প্রশ্নই আসে না!!তাই মিষ্টি হেসে বললামঃ
!
গুড মর্নিং
!
মনিং!!
!
তারপর একে একে সবাই উঠে গেল!!এমন সময় কাব্য ভাইয়া আসল আমাদের কাছে এসে বললঃ
!
সবাই তৈরি হয়ে নেও আমরা এসে পরেছি!!তারপর একে একে সবাই তৈরি হতে লাগল!!
!
ঢাকা রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে আছি আমরা!!এই মুহূর্তে সবাই এক সাথে যাওয়া পসিবল নয়!!কারন এত ব্যাগ তার সাথে এত মানুষ অনেক ঝামেলা হয়ে যেতে পারে!!তাই আমি আর মিতু একসাথে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সবাইকে বাই বলে চলে আসলাম!!যাওয়ার সময় আন্টি বলে দিয়েছেঃ
!
আমরা যেন কালকে বিকালের মধ্যে যাই দিহান ভাইয়াদের বাসায়!!আমরাও বলে দিয়েছি ঠিক আছে!!
!
আসার সময় রোহান মিতুকে কিছু একটা বলবে বলবে বলেও বলতে পারল না!!কিন্তু আমার মনে হয় মিতু হয়তো বুঝতে পেরেছে রোহান কী বলতে চায় তাকে!!কিন্তু আমার কাছে অজানা!!
!
আসার সময় আরিয়ান তেমন একটা তাকাই নি আমার দিকে!!তবে এটা নিয়ে খুব একটা ভাবার বিষয় নয়!!সে যাইহোক!!এই মুহূর্তে অটোতে করে যাচ্ছি আমি আর মিতু আমাদের গন্তব্যে!!!
.
.
.
.
__________________________________________
.
.
.
.
চলন্ত গাড়িতে বসে আছে ৫জন!!আবির,রোহান,আরিয়ান আর আবিরের আব্বু আম্মু!!আবির আর রোহান দুজনেই হাসাহাসি করছে কিন্তু আরিয়ান সামনের সিটে চুপচাপ বসে আছে!!এই মুহূর্তে খালি খালি লাগছে তার!!আর এটার কারনটাও তার জানা!!!হর্ঠাৎ আবিরের তানিশার কথা ভেবে মুচকি হাসল সে!!কতোদিনে ভালোবাসা তার সত্যি হতে চলেছে ভাবতেই পারছে না সে!!আর রোহান বেচারা মিতুকে কিছু বলতে পারল ভেবে আফসুস করছে!!তবে এইবার সে ভেবে নিয়েছে নেক্সট টাইম যখন দেখা হবে তখন সে নির্ভয়ে সব বলে দেবে মিতুকে!!তারপর যা হবে দেখা যাবে…….
.
.
.
.
_________________________________________
.
.
.
.
এদিকে তানিশার ভাবছে আবিরের কথা!!কিছুদিন পর সারাজীবনের জন্য সে আবিরের হয়ে যাবে আর থাকবে না কোনো বাঁধা!!এমন সময় তানিশার মাথা চাটি মারল দিহান!!
!
দিহানঃকি রে জামাইর কথা ভাবছিস নাকি!!বেশি ভাবতে হবে না কিছুদিন পর এমনি তোর হয়ে যাবে!!
!
তানিশাঃতুমি থামবে ভাইয়া!!
!
কাব্যঃকেন থামবে ও আমাদের পেত্নীটার ও যে বিয়ে হয়ে যাবে এত তাড়াতাড়ি ভাবতেই পারি নি!!
!
তানিশাঃভাইয়া তুমি ও দিহান ভাইয়ার মতো শুরু করলে!!
!
রাইসাঃএই কী হচ্ছে তোমার সবাই মিলে আমার ননদিনীর পিছনে লাগছ কেন?!!
!
তানিশাঃদেখ না ভাবি কী বলছে ভাইয়ারা!এই বলে রাইসাকে জড়িয়ে ধরে তানিশা!!সবার এমন কান্ডে আনমনে হাসল সবাই!!
.
.
.
.
_________________________________________
.
.
.
.
দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছি আমি!!বাসায় এসে পৌছালাম মাএ!!মিতুও গেল ওদের বাসায়!!কলিং বেল টিপ দিতেই আমার মা জননী এসে দরজা খুলল আর তার সাথে আসল আমার ছোট ভাই রাকিব!!ও আমার চেয়ে দু-বছরের ছোট কিন্তু ভাব এমন নিবে যে মনে ও বড় আর আমি ছোট!!
!
ঘরে ঢুকে আম্মুকে জড়িয়ে ধরলাম আমি!!
!
কেমন আছো তুমি!!
!
আম্মুঃতোরে ছাড়া কেমন ছিলাম!!
!
হইছে!!যাইহোক এখন খেতে দেও আমার খুব খিদে পেয়েছে!!
!
আম্মুঃতুই ফ্রেশ হয়ে আয় আমি দিচ্ছি!!তারপর আরকি চলে গেলাম আমার রুমে!!!
!
তারপর ফ্রেশ নাস্তা করে নিলাম!!তারপর রাকিবের সাথে কিছুক্ষন গল্প করে লম্বা একটা ঘুম দিলাম!!সারাদিন টুকটাক কাজ করে পুরো দিনটা পার করে দিলাম!!!
!
পরেরদিন সকালে……..
!
এলার্ম নামক একটা অপদার্থের শব্দে ঘুম ভাঙল আমার!!ঘড়ি দিকে তাকিয়ে আমি অবাক ১০ঃ০০টা বাজে…..এমন সময় মোবাইলে একটা মেসেজ আসল!!
!
মিতুঃতাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে থাকিস দিহান ভাইয়াদের বাসায় যাব আজকে তানিশা আর আবির ভাইয়ার বিয়ের শপিং করতে যাবে!!তুই আর আমিও যাব!!!
!
ওকে,,,,,সেন্ড করে দিলাম মিতুকে!
!
তারপর বিছানা থেকে সোজা ওয়াশরুমে!!পুরো এক ঘন্টা ধরে গোসল করে আমার অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে!!চোখপুরো লাল ডিব্বা হয়ে গেছে!!শরীরেও তাপ তাপ অনুভব করছি!!এই রে জ্বর আসবে নাকি আবার!!তাইলে তো গেছে আম্মুর বকা শুনতে শুনতে আমি তো শেষ কারন অনেক মানা করেছিল আম্মু বেশি গোসল না করতে কিন্তু আমি শোনার পাএ নই!!এখন বোঝো ঠ্যালা মীম তুমি!!!এমন সময় দরজা খুলে ভিতরে ঢুকলো মিতু!!আমার দেখে রীতিমতো চোখ বড় বড় হয়ে গেছে তার!!কারন এখনো আমি তৈরি হয় নি!!
!
মিতুঃ তুই এখনো রেডি হোস নি কেন???পিছন থেকে
!
রাকিবঃকি করে হবে আপু সেই এক ঘন্টা গোসল করে এই মাএ বের হয়ছে!!
!
তুই থামবি এখান থেকে যা আমার টা আমি বুঝতে আছি!!!
!
তারপর রাকিব আমায় একটা ভ্যানচি দিয়ে চলে গেল!!এদিকে মিতু রাগী লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে!!
!
বোইন আমারে দুই মিনিট সময় দে আমি ১০ মিনিটের মধ্যে তৈরি হয়ে আসছি তুই বস!!
!
আজকে একটা লাল রঙের চুড়িদার পরলাম আমি!!চুল গুলো খোলা,আর সাথে চোখে হালকা কাজল আর ঠোঁটে হালকা লাল লিপস্টিক!!হয়ে গেল না ১০ মিনিটে মিম তৈরি!!
!
ট্যান……টেনা আমি তৈরি মিতু!!চল!!
!
মিতু এক পলক আমার দিকে তাকিয়ে বলল খুব সুন্দর লাগছে তোকে!!
!
হুম বুঝজি আর পাম দেওয়া লাগবে না!!
!
মিতুঃ সত্যি বলছি!!
!
মুচকি হেসে হুম ঠিক আছে!!তোকেও খুব সুন্দর লাগছে!!
!
মিতুঃThank you!!
!
হুম হইছে এখন চল…….তারপর আম্মু আর রাকিবকে বিদায় দিয়ে চলে আসলাম আমরা!!
.
.
.
.
বিকেল ৪ঃ০০ টা……..
শপিং মলের সামনে দাঁড়িয়ে আছি আমি,মিতু,দিহান ভাইয়া, তানিশা, কাব্য ভাইয়া আর রাইসা ভাবি!!অপেক্ষা কখন আবির ভাইয়ারা আসবে!!দিহান ভাইয়ার বাসায় যাওয়ার পর পাক্কা ৪ ঘন্টা পর বের হলাম আমরা!!!
!
এরই ভিতর আবির ভাইয়ারাও এসে পরল!!আজকে আরিয়ান ব্লাক টিশার্ট আর ব্লাক জিন্স পরেছে চুলগুলো বরাবরের মতো করেই সাজানো!!ভালো লাগছে খুব!!আচ্ছা আরিয়ানকে নিয়ে এত ভাবছি কেন আমি!!দূর বলে মাথা থেকে ঝেরে ফেললাম তাকে!!
!
এক এক করে দোকানে শাড়ি দেখছে তানিশার জন্য!!একটা লাল বেনারসি শাড়ি দেখলাম যেটা অসম্ভব সুন্দর লাগছে!!মিতু একটা গোলাপি রঙের শাড়ি দেখিয়ে বললঃ
!
দোস্ত এটায় আমাকে কেমন দেখাবে…….
!
হুম সুন্দর!!ওখানে আয়না আছে গিয়ে দেখ তুই!!
!
আমার কথা মতো মিতুও ওদিকে গেল!!এমন সময় মিতুর হাত ধরে টান দিল কেউ!!মিতু কিছুটা ঘাবড়ে গেলেও পরে রোহানকে দেখে মনে মনে হাসল হাসল সে!!
!
রোহানঃতোমার সাথে কিছু কথা আছে মিস ঝগড়ুটে না থুরি মিতু!!
!
মিতুঃ জী বলেন???
!
রোহান মুখে কিছু না বলে মিতুর হাতে একটা চিঠি দিয়ে বলল!!আমি তোমার উওরের অপেক্ষায়!! থাকব কিন্তু!!আর কিছু বল না রোহান!!চলে গেল ওখান থেকে!!মিতু মুচকি হেসে চিঠিটা ব্যাগে ভরে নিলো তার!!
.
.
.
.
__________________________________________
.
.
.
.
সব শপিং কমপ্লিড করতে করতে প্রায় ৯ঃ০০টা__বেজে গেছে!!এখন প্রবলেম হলো আমার আর মিতুর এত রাতে একা একা যাব কিভাবে!!এমন সময় রোহান ভাইয়া বলে উঠলঃ
!
কোনো সমস্যা নেই আমি আর আরিয়ান বাইক নিয়ে এসেছি তোমাদের আমরা বাড়িতে নিয়ে যেতে পারি!!আমরাও আর শেষমেশ কোনো উপায় না পেয়ে চলে এলাম!!
!
আবির,আবিরের আব্বু আম্মু তাদের শপিং নিয়ে গাড়ি করে চলে গেল!!
!
তানিশা,কাব্য রাইসা,আর দিহান তাদের শপিং নিয়ে তাদের গাড়িতে করে চলে গেল!!
!
আমরা দাঁড়িয়ে আছি!!আজকে একটা জিনিস খেয়াল করলাম লাল হনুমান আমার সাথে একবারও কথা বলল না!!কেন???
!
রোহানঃমিস ঝগড়ুটে তুমি আমার সাথে আসো আর আরিয়ান তুই মীমকে নিয়ে চল এই বলে তারা চলে গেল!!আর আমি ঠায় দাঁড়িয়ে আছি!!কারন আরিয়ানের কোনো হেলদোলই তো দেখছি না!!এদিকে আমার শরীরের তাপমাএা আরো বেড়ে যাচ্ছে!!মনে হচ্ছে জ্বর আজ রাতেই আসবে!!
!
বেশ কিছুক্ষন পর……….
একবুক সাহস নিয়ে বললামঃ
!
ভাইয়া যাবেন না নাকি এখানে দাঁড়িয়ে থাকবেন!!
দেরি হয়ে যাচ্ছে অনেক!!আরিয়ান অগ্নি চোখ নিয়ে তাকিয়ে কিছু না বলেই আমার হাত ধরে একটা রেস্টুরেন্টে নিয়ে গেল ওনার এমন কাজে আমি চরম অবাক!!
!
রেস্টুরেন্টে একটা টেবিলে বসে কিছু খাবারের অর্ডার দিলেন উনি!!তারপর খাবার নিয়ে আসল ওয়েটার
তারপর দমক এর সুরে আরিয়ান বললঃ
!
খেয়ে নেও তাড়াতাড়ি!!
!
ওনার ধমকে কেঁপে উঠলাম আমি!! সাথে সাথে কিছু না বলেই তাড়াতাড়ি খাবার খেতে শুরু করলাম আমি!!সত্যি কথা বলতে আমারও প্রচুর খিদে পেয়েছে কে জানে কিভাবে বুঝলো লাল হনুমান!!!
.
.
.
.
__________________________________________
.
.
.
.
এদিকে কিছুটা দূরে যেতেই রোহান বাইক থামিয়ে দেয়!!বেশ কিছুক্ষন যাবৎ দুজনেই নীরবতার মধ্যে ছিল!!হর্ঠাৎ বাইক থামানোর জন্য মিতু অবাক হয়ে বললঃ
!
গাড়ি থামালেন কেন???
!
রোহানঃতুমি কিছু খেয়েছো!!
!
মিতুঃনা তাতে কী হইছে???
!
তারপর রোহান মিতুর হাত ধরে রেস্টুরেন্টে ঢুকে ডিনার করে নিল!!তারপর আবার চলে গেল তাদের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে!!কেউ কোনো কথা বলছে না!!দুজনেই নীরবতার মধ্যে দিয়ে চলে যাচ্ছে!!হয়তো দুজনেই এই মুহুর্তে অন্যকিছু ভাবার মুডে নেই!!!
.
.
.
.
_________________________________________
.
.
.
.
ভাইয়া আমার খাওয়া শেষ এখন যাওয়া যাক!!
!
হ্যা না কিছু না বলেই খাবারের বিল দিয়ে বেরিয়ে গেলেন উনি!!ওনার এমন কাজে আমি চরম বিরক্ত!!কথা কেন বলছেন না উনি!!আল্লাহ মালুম!!!
!
তারপর রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে পরলাম আমি!!বসে পরলাম আরিয়ানের বাইকে!!আমাকে বসতে দেখে!!সে তার বাইক স্ট্যাড দিল!!তারপর গাড়ি চলতে শুরু করল তার আপন গতিতে!!
.
.
.
শরীরের অবস্থা আগের থেকেও খারাপ হয়ে আসছে আমার!!চোখ দিয়ে অলরেডি পানি পরা শুরু করে দিয়েছে,চোখ জ্বলছে কিছুটা,অসম্ভব রকম শীত করছে আমার!!তার ওপর বাইকের গতিতে চারিদিকে বাতাসে আরো শীত করছে আমার!!শরীর যে আমার ক্রমশ তার শক্তি কমিয়ে ফেলেছে!!তা খুব ভালো করেই বুঝতে পেরেছি আমি!!
!
কিন্তু কী করব এখন আমি!!পিছন থেকে আরিয়ানকে জড়িয়ে ধরে তার কাঁধে মাথা দিলাম আমি!!চোখ বন্ধ করে ফেলেছি আমি!!আরিয়ান বিষয়টাই অবাক হয়ে বাইক থামিয়ে দিল!!আমার শরীরের তাপমাএা হয়তো অনুভব করলো সে!!হর্ঠাৎ বলে উঠলেন উনিঃ
!
কী হয়েছে তোমার!!
!
ভাইয়া আমার শরীর ভালো লাগছে না!!এই জন্যই আপনাকে বলছিলাম তাড়াতাড়ি চলেন আপনি তো কোনো কথাই শুনলেন না!!(কাঁপা-কাপা গলায়)
!
এমন সময় ফোনটা বেজে উঠল আমার উপরে আম্মু লেখা দেখে এই মুহূর্তে কী বলব বুঝতে পারছি না আমি!!হর্ঠাৎ আরিয়ান বলে উঠলঃ
!
আমি যা বলছি তাই বল…………
!
#চলবে……..
!