Thursday, July 10, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 1504



সিক্রেট গ্যাংস্টার পর্ব-১১

0

#সিক্রেট_গ্যাংস্টার♥
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
#পর্ব_১১
সব গুলো ক্লাস শেষ করে ঋতুর সাথে বের হলাম।
বাইরে এসে দাঁড়িয়ে আমানের জন্য অপেক্ষা করছি।
সাথে কিরন ভাইয়া ও আছে।
–কি গো আপু নতুন সংসার কেমন চলে?
–আলহামদুলিল্লাহ ভাইয়া ভালো।
আপনি কেমন আছেন?
–খুব ভালো,
ভাইয়ার কথা শেষ হতে না হতে আমান হাজির।
–মেঘ এসো।
–দোস্ত বাই।
–ওকে বাই।
আমি আমানের সাথে বাসায় চলে এলাম।
বাসায় এসে গোসল করে দুপুরের খাওয়াটা সেরে নিয়ে বসলাম।
বাবা নেই অফিসে খাবেন তাই আমি আর আমান খেয়ে নিলাম

আমি খাওয়া শেষ করে মাকে ফোন করলাম।
মায়ের সাথে কথা বলে বেশ ভালো লাগলো।
–মেঘ এখন ঘুমাও রাতে পড়তে হবে।
–হ্যা একটু ঘুম ঘুম পাচ্ছে।
কিন্তু মাথাটা টা ব্যাথা করছে।
আমান আমার কথা শুনে আমার দিকে এগিয়ে এলো,
এসে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো।
–ঘুমাও।
আমি মৃদু হেসে চোখ বন্ধ করে নিলাম।
কিছু সময়ের মধ্যে ঘুমিয়েও গেলাম।
আমান তার মেঘকে দেখছে খুব কাছ থেকে দেখছে।
এ দেখার কোব শেষ নাই।
মহাকাশ যেমন অসিম সীমানার অধিকারী।
তেমনি মেঘকে দেখাটাও আমানের কাছে অসিম সিমানার অধিকারী।
খুব ভালো লাগে চোখের সামনে নিজের ভালোবাসাকে এতো কাছ থেকে দেখতে।
ভেতরে এক রাস ভয় নিয়ে মেঘের ঘুমন্ত মায়া ভরা রুপে তলিয়ে আছে আমান।
,
,
,
বিকালে,
♩ ♪ ♬
♬ ♩ ♪
বিষাদের দুপুর
গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমেছে,
চাঁদ নামেনি এখনোও
প্রাণহীন সন্ধ্যাতারা ফুটেছে।
ইচ্ছে ও স্বপ্ন
মিশে গেছে আঁধারে,
তোমার চলে যাওয়া
বদলে দিয়েছে আমাকে।
অহেতুক তুমি ছুটেছো
মিঠি স্বস্তি খুঁজেছো,
তোমার আমার ব্যবধান
এখনো সর্বোচ্চ।
আয়নায় চেয়ে দেখো
চোখ কী বলে,
ঠোঁটে হাসি নেই তোমার
আমি আজ নেই বলে।
বিষাদের দুপুর
গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমেছে,
চাঁদ নামেনি এখনোও
প্রাণহীন সন্ধ্যাতারা ফুটেছে।
ইচ্ছে ও স্বপ্ন
মিশে গেছে আঁধারে,
তোমার চলে যাওয়া
বদলে দিয়েছে আমাকে
বদলে দিয়েছে পুরোটা আমাকে,
তোমার চলে যাওয়া
বদলে দিয়েছে আমাকে।
চাইলে তুমি পারতে
একটু আস্হা রাখতে
আমি ঠিকই, সব গুছিয়ে নিতাম।
তুমি বিশ্বাস রাখোনি
চলে গেছো সুখের মোহে,
আমার কান্না পায়ে মাড়িয়ে।
হারিয়ে, হারিয়ে
গেছো ঐ সুদূরে,
হারিয়ে, হারিয়ে
গেছো কোন সুদূরে।
অহেতুক তুমি ছুটেছো
মিঠি স্বস্তি খুঁজেছো,
তোমার আমার ব্যবধান
এখনো সর্বোচ্চ।
আয়নায় চেয়ে দেখো
চোখ কী বলে,
ঠোঁটে হাসি নেই তোমার
আমি আজ নেই বলে।
বিষাদের দুপুর
ড়িয়ে সন্ধ্যা নেমেছে,
চাঁদ নামেনি এখনোও
প্রাণহীন সন্ধ্যাতারা ফুটেছে।
ইচ্ছে ও স্বপ্ন
মিশে গেছে আঁধারে,
তোমার চলে যাওয়া
বদলে দিয়েছে আমাকে, আমাকে।
♬ ♩ ♪
♬ ♩ ♪
গানটা খুব যত্ন কষ্ট আর আবেগের সাথে সম্পূর্ণ করলো আমান।
আমানের কন্ঠে এমন গান শুনে মেঘের চোখে পানি টলমল করছে।
কিসের জন্য সে এমন গান গাইছে।
আমান ও কাঁদছে গিটার টা হাতে রেখেই।
সামনে তার আর মেঘের বিয়ের বিশাল এক ছবি।
আমানের মনে যেন মেঘকে হারাবার ভিশন ভয় কিন্তু মেঘ কেন ওর থেকে দুরে যাবে এটা ভেবে পাচ্ছে না মেঘ।
কিছু সময় আগে,
ঘুম থেকে কারোর গিটারের শব্দে উঠে আশে পাশে খোঁজ করছিলাম কই থেকে আসছে আওয়াজ।
কিছু সময় পর গানটা শুরু হলো আমনের কন্ঠে।
উঠে সেই কন্ঠো অনুসরণ করে এগিয়ে গিয়ে দেখলাম আমাদের রুমের সামনে একটা রুমে সে বসে আছি।
আমি সে রুমের দরজার সামনে দাড়িয়ে রইলাম৷ ভেতরে না গিয়ে পুরো গানটা বাইরে থেকে শুনলাম।
আমান গান শেষ করে পাশে দিকে তাকিয়ে আমাকে লক্ষ্য করতে চোখের পানি গুলো লুকিয়ে ফেলে।
কিন্তু ওগুলো যে আমার চোখ এড়ায় নি।
–কি ব্যাপার ঘুম ভালো হয়েছে।
মৃদু হেসে আমার দিকে এগিয়ে এসে।
–হুম আপনি এতো সুন্দর গান করেন আগে জানতাম না।
–আরে মাঝে মাঝে একটু একটু করি।
তুমি এসো।
আমাকে সরিয়ে ঘরটা তালা বন্ধ করে দলেন আমান।
–এখানে তালা দিলেন কেন।
–এমনি তুমি বুঝবে না এসো।
আমাকে এড়িয়ে গেলেন উনি।
আমাকে নিয়ে ঘরে এলেন,
–খাবার খাবে কিছু?
–না।
–আমি সুন্দর চা বানাতে পারি এটা ট্রায় করাই যায়।
–ওই বেলকনিতে দোলনায় আপনার পাশে বসে ঠিক আছে?
আমান আমার কথা শুনে হেসে দিলেন,
–হুম এক দম ঠিক আছে। তুমি যাও আসছি আমি।
উনি কথাটা বলে এগিয়ে গেলেন আমি বেলকনিতে তার দোলনায় বসে বসে তার সেই গানের কথা ভাবছি।
সত্যি কি মায়া কি পরম আদরে গাওয়া ছিল সেই গানটা।
কিন্তু কেন এতো কষ্ট নিয়ে গানটা গেয়েছেন তিনি।
আমার ভাবনার অবসান ঘটিয়ে কিছু সময় পর আমান হাতে চা নিয়ে হাজির।
সন্ধ্যার লাল আভা কাটিয়ে রাত নামতে চলল
আকাশটা এই বিল্ডিং এর উপর থেকে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে।
কারন আাশে পাশে কোন তেমন বড়ো বিল্ডিং নাই।
আমি আমনের কাঁধে মাথা রাখলাম,
–একটা কথা বলবো?
–হুম ১০০০ টা বলো।
–এতো মায়া এতো কষ্ট কিসের জন্য?
–মায়া তোমার জন্য কষ্ট তোমাকে হারাবার ভয়।
–কেন আমাকে হারাবার ভয় কেন?
–জানি না কেন জানি না ভয় করে।
–কিছু কি হয়েছে আমান?
আমান বুঝতে পারে মেঘের কিছু সন্দেহ হচ্ছে এবং সে ভালো ফিল করছে না।
তাই সে চা টা রেখে মেঘকে জড়িয়ে ধরে,
–না রে সোনা বৌ টা আমার কিছু হয় নি।
–সত্যি তো।
–এক দম ৩ সত্যি।।
মেঘ হেসে আমানের বুকে মুখ লুকায়।
এভাবে তারা সময় কাটায় অনেকটা।
তার পর আমন মেঘকে পড়তে বসায়।
পড়া শেষে মেঘ আমান আর আরিফ খান মিলে গল্প করে ডিনার করে।
তার পর যে যার রুমে ঘুমাতে যায়।
,
রাত প্রায় ২ টা,
সেই অচেনা মুখোশ পরা লোকটা তার ল্যাবে কিছু নিয়ে কাজ করছে।
আশে পাশে কড়া গার্ড।
এক জন লোক তাদের মধ্যে দিয়ে বলে উঠলো,
–স্যার কাজটা কি ঠিক হচ্ছে।
–কেন?
–না মানে সব কিছু ভেবে এই পদক্ষেপ টা নিলে ভালো হতো।
–১০ বছরের পরিকল্পনা আজ থেকে তার কাজ শুরু করতে চলেছে আর তুমি এমন অবস্থায় এসে বলছো ঠিক হচ্ছে কি না?
–না মানে তখন এক রকম ছিল আর এখন এক রকম।
চাইলে কিন্তু সুন্দর সুস্থ একটা জীবন পেতে পারি আমরা সব থেকে বেশি আপনি।
–আমারা সুন্দর জীবনের ই অধিকারী হবো তুমি চিন্তা করো না। এটা তা যা কখনো আমাদের উপর প্রভাব ফেলবেই না।
–স্যার আমাদর উপর প্রভাব পড়বে না সেটা জানি কিন্তু,
–কিন্তু কি?
–কিন্তু এটা তো বেআইনী কাজ।
–তুমি কি বলতে চাইছো এতো দুর এসে থেমে যাবো?
–স্যার আপনি যা ভালো বুঝেন সব সময় আমরা আপনার পাশে আছি।
–গুড।
মুখোশ পরিধানকারী লোকটা আবার তার কাজ শুরু করে।
,
,
,
সকালে,
সকাল সকাল উঠে আমানকে ওয়াসরুম থেকে বের হতে দেখে প্রশ্ন করলম,
–এতো সকলে গোসল?
–তুমি উঠে গেছো।
–হুম।
–ওই খুব গরম পরেছিল তো তাই চলো নামাজ আদায় করি।
–আপনার চোখ দুটো লাল কেন?
রাতে ঘুমান নি।
–তুমি পাশে আছো আমি না ঘুমিয়ে পারি।
ওটা এমনি লাল।
–ওকে।
আমি উঠে ওজু করে ওনার সাথে নামাজ আদায় করে নিলাম।
সত্যি লোকটা আমার মনের মতো এক জন।
চলবে,
(বানান ভুল হলে ক্ষমা করবেন আমি)

সিক্রেট গ্যাংস্টার পর্ব-১০

0

#সিক্রেট_গ্যাংস্টার♥
#পর্ব_১০
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
সব কিছু খুব সুন্দর করে কাটছে।
মা বাবা খুব খুশি।
সবার আনন্দ আর হাসি খুশি মুখটা দেখে আমিও খুব বেশি খুশি হয়ে গেলাম।
ওদের আনন্দ আর খুশিতেই আমার শান্তি।
আমানও সবার সাথে মিশে গেছে।
ওকে দেখে বার বার মনে হচ্ছে এমন এক জন কেই তো প্রয়োজন ছিল যে কিনা আমার সব আপন মানুষ দের আপন করে নিবে।
আমার ভালোবাসা নয় এক পাশে থাক।
আমি আমানের সাথে সবাইকে হাসতে দেখছিলম তখন হটাৎ করে লাইট অফ হয়ে গেল।
তার পর একটা আলো আমার উপর এসে পরলো,
আমি অবাক হয়ে গেলাম কিছুটা।
–আমার জীবনে আমার ঘরে আমার অস্তিত্বে তোমায় সাগতম জানাচ্ছি মিসেস.আমান খান

আমান কথাগুলো বলে আমার দিকে এগিয়ে এলেন,
–আমার বৃদ্ধ বয়সে আমার পাশে থেকে পাকা চুল গুনে দিও।
আমার বাচ্চা গুলোকে মায়ের স্নেহ দিও।
আমার বাবাকে তার প্রাপ্য ভালোবাসা টুকু দিও।
আর আমাকে তোমার মনের ওই গভীরের সব টুকু জায়গা দিও।
ব্যাস আর কিচ্ছু চাই না তোমার থেকে।
আমার সব থেকে বড়ো প্রাপ্তি তুমি।
আমার ঘরের আলো।
আমান হাঁটু গেড়ে একটা আংটি পরিয়ে দিলো।
–তুমি আমার তুমি নামক প্রাপ্তি❤️আমার এই ছোট্ট ঘরে তোমায় সাগতম জানাচ্ছি ছোট্ট এলটা উপহার দিয়ে। ❤️
আমি মায়া ভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি।
যে লোকটা সব সময় নিজের চেহারাটাকে শক্ত করে রাখতো।
সেই ছেলেটা আমাকে এতো ভালোবাসা দিচ্ছে।
আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম।
আশে পাশে সবাই হাতে তালি দিচ্ছে।
আমি আর কিছু ভাবতে পারলাম না তাকে উত্তর দিলাম,
–ধন্যবাদ মি.খান আপনার সব প্রাপ্তির কারন আমি হবো ইনশাআল্লাহ।
যদি ওয়াদা করেন এক সাথে চুল পাকা পর্যন্ত থাকবেন তাহলে।
আমান এক আকাশ সমান হাসি মুখে নিয়ে আমার হাতে চুমু খেলেন।
আর তখনি লাইট জ্বলে উঠলো।
সবার মুখে হাসি।
এই আনন্দে মধ্যে দিয়ে কাটলো সন্ধ্যা।
সবাই চলে গেছে প্রায়।
মা বাবা আর ঋতু আছে রওনা দিবে।
বাবা কিছু খাবার পাঠালেন তাদের সাথে।
কিরন ভাইয়া ঋতুকে নিতে এলেন।
তার একটা কজের জন্য সে রিসিপশনে আসতে পারে নি।
কাজ শেষ করে যাবার সময় ঋতুকে নিয়ে গেলো।
ঋতু যাবার সময় আমাকে বলল,
–,দোস্ত আমন ভাইয়া তোকে অনেক ভালোবাসবে।
সব পুরোন কথা ভুলে যাবি কথা দে আমাকে আর ভাইয়াকে তার অধিকার। অধিকার মানে তুই বুঝতে পারছিস আমি বুঝাতে চাইছি?
–হুম।
–সব অধিকার তাকে দিয়ে দিস। এখন তুই তার। অন্য কারোর কথা ভাবিস না সোনা।
–হুম ঠিক আছে
ঋতু আমায় জড়িয়ে ধরল।
–আমার বুঝমান বেবু। টাটা।
–টাটা।
সবাই চলে গেছে
বাবা টায়ার্ড রুমে রেস্ট করছে
আমিও নিজের ভারি কাপড় খুলে কম্ফোর্ট এলটা জামা পরে নিলাম।
অনেক ধকল গেল।
আয়নার সামনে বসে চুল বাধছি।
ঘরটাকে সুন্দর করে সাজানো হইছে
আন্টি (আমানের মামি হন সম্পর্কে) আমাকে আমন না আসা পর্যন্ত সেজে থাকতে বলেছিল কিন্তু আমি তা করি নি।
কেন করি নি তা আমি নিজেও জানি না।
চুল বেঁধে উঠতে যাবো তখন ঘরে আমানের আগমন।
আমাকে দেখে একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলল,
–বাহ বাসর ঘরে বৌ এর এমন ন্যাচারাল সাজ ই ত দরকার।
আমি একটু লজ্জা পাইছি কিন্তু ওনাকে দেখাই নি।
তিনি এসে সোজা বাধরুমে চলে গেলেন।
ফ্রেশ হয়ে বের হলেন,
–নামাজ পড়তে হবে।
–,ওহ হ্যাঁ পড়তে তো হবে চলো এক সাথে পরি।
–হুম চলুন।
তার সাথে এক সাথে নামাজে দাঁড়ালাম
নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে দোয়া করলাম,
–আমাকে সব ভুলিয়ে এই মানুষ টার সাথে জীবন কাটানোর তৈফেত দান করো ।
আমি তাকে ভালোবাসতে চাই।
,
নমাজ শেষ হলে আমান বলল,
–তুমি শুয়ে পরো অনেে টায়ার্ড দেখাচ্ছে তোমায়।
আমার কিছু কাজ আছে।
–আচ্ছা।
সত্যি খুব ঘুম পাচ্ছে আমি ঘুমিয়ে গেলাম শোয়া মাত্র।
মেঘ ঘুমোতে তার নিষ্পাপ মুখের দিকে তাকিয়ে দেখে আমান।
একটা মেয়ে যার মায়াবি চোখের পলক হিন চাহনি গে আটকে যাওয়া যায় ১০০ বার।
একটা মেয়ে যার হাসিতেই হার্ট ১০০০ থেেে বেশি স্পন্দন এর শিকার হয়।
তুমি হলে হৃদয় পুরির রানি।
সত্যি বলতে মায়াবিনী তুমি আমার কল্পনার সে অর্ধাঙ্গিনী❤️।
–আমি জানি না আমাদের সম্পর্কের পরিনতি কি।
আমার ভয় হয় তোমায় নিয়ে কিন্তু আমি এটা জানি আমি তোমায় হৃদয়মাঝে রাখবো সব সময়।
আমি যতোই কনফিডেন্স হই না কেন ভেতরে ভেতরে ভয় টা কেমন আটকে ধরছে চারি পাশ দিয়ে আমাকে।
মেঘ পারব তো সব কিছু সঠিক করে করতে।
কথা গুলো বলে মেঘকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পরে আমান।
আমানের ভয়ের কারন টা কিন্তু অজানা কোন রহস্যের মাঝে আছে।
,
,
,
সকালে সূর্য তার কিরন দিলো।
মেঘ উঠে আমানকে নিয়ে নামাজ আদায় করে নেয়।
তার পর সকলের জন্য নাস্তা তৈরি করতে লাগে।
কেউ তাকে বলে নি সার্জেন্ট রা বার বার বারন করা স্বত্তেও মেঘ বসেছে রান্না করতে।
সুন্দর করে সব রান্না করেছে খুবই আদর আর পরম যত্নে।
রান্না গুলো সাজিয়ে রাখার সময়।
আরিফ খান বাইরে এলেন সিড়ি বেয়ে নিচে নামতে নামতে সরু চোখে মেঘের দিকে তাকিয়ে রইলেন,
–কি ব্যাপার রাজকুমারী তুমি রান্না কেন করেছো?
–বাবা আসলে,
–থাক কোন কথা বলো না একটা কথা মা এখন তোমার পড়ালেখার সময়। তুমি মাত্র ১ম বর্ষে এখনো অনেকদুর যেতে হবে আমি চাই না পড়ালেখা শেষ না হবা পর্যন্ত তুমি এসব গিন্নি দের কাজ করো।
এগুলা করার জন্য সার্ভেন্ট আছে।
বাবার কথায় অফুরান্ত হাসি দিলাম
বাবা খেতে বসে বললেন,
–আমান কই?
–এই যে বাবা আমি।
আমানও শিড়ি বেয়ে নেমে আসলো।
–মেঘ তুমি ফ্রেস হয়ে কাপড় পাল্টে নেও তোমাকে নিয়ে ভার্সিটি যাবো।
–সে কি কাল বাড়িতে অনুষ্ঠান হলো আজই যাবে।
–হ্যাঁ বাবা এই অনুষ্ঠানের জন্য হয় তো ওর মাথায় যা কিছু ছিল তাও ফাকা হয়ে গেছে।
–আপনি এমন কেন বলছেন আমি যথেষ্ট পড়াশোনা করি।
–হ্যাঁ ক্লাসে দেখা যায়।
–বাবা তোমার ছেলে আমাকে অপমান করছে।
–হ্যাঁ আমন তুমি আমার মেয়েকে এমন বলবা না।
–তোমার মেয়েকে একটু পড়ালেখা করতে বলো বলব নানে।
–হুহ যুধিষ্ঠি আমার আমি ভালো করেই পড়ালেখা করবোনি।
–করলেই ভালো আমরা অপেক্ষা করছি যাও রেডি হয়ে এসো।
আমি একটা ভেংচি কেটে চলে এলাম।
সব সময় এমন বলে আমি কি পড়ালেখা এক দম করি না নাকি আজব।
ফ্রেশ হয়ে একটা জাম রঙের থ্রি-পিস আর হাতে ঘড়ি লাগিয়ে চুল গুলে সামনে থেকে বেঁধে নিচে এলাম।
আমি আসায় সবাই খাবার শুরু করলো

বাবা আমার রান্নার প্রশংসা করলেন।
খেয়ে বেরিয়ে গেলাম ভার্সিটির উদ্দেশ্য
আমান আর আমি গাড়িতে ছিলাম।
আমান চুপচাপ ছিল।
ভার্সিটি তে পৌঁছে ঋতুর সাথে দেখা।
আমান গাড়ি পার্ক করে লাইব্রেরি তে চলে গেল আমি ঋতুর কাছে,
–দোস্ত বাসর রাত কেমন কাটলো (চোখ মেরে)
–মার খাবি?
–ধুর এমন করিস কেন বল না।
–অন্য দের থেকে আলাদা।
–ও আচ্ছা তাই।
–হয় তোমার আর ভাইয়ার বাসর ঘরে আই সিসিটিভি রেখে দিবো হাজার হোক প্রেমের বিয়ে বলে কথা।
–দোস্ত তোর না বিয়ে হয়ে গেছে তাও ফাজলামি কমাবি না।
–না কমাবো না (দাঁত বার করে)
চলবে,

সিক্রেট গ্যাংস্টার পর্ব-০৯

0

#সিক্রেট_গ্যাংস্টার♥
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
#পর্ব_০৯(wedding special ০২🥳)
সকালে সূর্য উদায় হবার সাথে সাথে একটা নতুন দিন আর নতুন জীবনের শুরু হলো।
আমি নমাজ পড়ে উঠতে দেখি আমান এখনো ঘুম।
ডাকবো নাকি না।
না ডাকা উচিৎ।
উনি কি নামাজ পড়েন না।
আমি গিয়ে হালকা হাতে তার পিঠে হাত দিলাম।
সে উবু হয়ে শুয়ে আছে।
–স্যার।
–হু(ঘুমের ঘোরে)
–বলছি নামাজ পড়বেন? না নামাজ পড়েন না?
আমার এমন প্রশ্ন শুনে সে আমার দিকে ঘুরে পিটপিট করে তাকালো।
তার চাহনি দেখে আমি অবাক।
কি মায়া আর মিষ্টি একটা মুখ।
আর এভাবে তাকানো যেন এক রাস মায়া।
–নামাজ!
–হ্যা নামাজ উঠুন নামাজ পড়ুন।
সে চোখ ঢলতে ঢলতে উঠলো।
তার পর সোজা বাথরুমে।
আমার কিছুটা হাসি পেল কিন্তু কারোর উপর হাসতে নেই বাবা বলে।
হি হি।
কিছু সময় পর তিনি বাইরে আসলেন,
–নামাজ অনেক দিন পড়া হয় না বদ অভ্যাস হয়ে গেছে
–এ মা সে কি কথা আজ থেকে রোজ ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হবে
কোন কথা নাই।
সে আমার দিকে তাকিয়ে একটু হেসে বলল,
–যথা আগ্গা মহারানী।
উনি নামাজ পড়ে নিলেন।
–আচ্ছা আমার কিছু কাজ আছে আমি বাইরে যাচ্ছি তুমি বসো বাবা আসবেন একটু পরে।
কথাটা বলে উনি বেরিয়ে গেলেন,
,
,
,
এদিকে,
হাঁটতে বার হয়ে মেঘকে খুব মিস করছে ঋতু।
কিরনকে নিয়ে একটা গাছের তলে বসে তার কাঁধে নিজের মাথাটা দিয়েছে।
পৃথিবীর মধ্যে সব থেকে শান্তির যায়গা কিরনের কাঁধ।
মাথা দিলে মনে হয় যেন সব কষ্ট ভুলে যাচ্ছে ঋতু।
–ঋতু।
–হুম।
–মেঘ কে মিস করছো না।
–হুম অনেক।
–তোমরা আসলে দুই বান্ধবী খুব বেশি একটা অটুট বন্ধুত্বের সম্পর্কে থাকো।
এটা ভালো লাগে।
–হুম মেয়েটার ইচ্ছের বিরুদ্ধে এক প্রকার বিয়েটা হয়েছে।
–কি আর করার বলো,
ওদের কথার মাঝে ঋতুর ফোন বেজে ওঠে,
–কিরন দেখো মেঘ ফোন করেছে,
–ফোন ধরো
ঋতু ফোন রিসিভ করে,
–হ্যালো দোস্ত। (ঋতু)
–কেমন আছিস? (মেঘ)
–এই ত ভালো তোকে খুব মিস করছি রে। (ঋতু)
–আমিও এখন আমাদের হাঁটতে বার হবার কথা ছিল না?
–হুম আমি তোর ভাইয়ার সাথে বার হইছি কিন্তু বসে আছি এক জায়গায় ইচ্ছে হচ্ছে না কিছু।
সব ঠিক আছে তো মেঘ?
–হুম সব ঠিক আছে কাল রাতে ভাবছিলাম সব ভুলে যাওয়া ভালো।
–হুম এটাই তো বলছি সেই কতো বার।
–এবার বল ভাইয়ার তো চাকরি হয়ে যাচ্ছে তোদের বিয়ে টা কবে হচ্ছে।
–আরে হবে হবে একটু সময় নিতে চাচ্ছি আমি।
–আচ্ছা তাই ভালো নেও নেও সময় নেও আজ আসবি ত?
–হুম আসবো পাগলি আমি না আসলে রিসিপশন হবে নাকি।
–তাই তো আই মিস উ।
–মি টু বেবু।
আচ্ছা নতুন সংসার যা গিয়ে আঙ্কেল কে চা করে দে।
–হ্যাঁ ভালো বুদ্ধি দিছিস।
–হুম যা রাখি।
–আল্লাহ হাফেজ।
ঋতু ফোনটা কেটে আবার কিরনের কাঁধে মাথা দেয়।
সারা দুনিয়ার শান্তি এক গুচ্ছ পদ্ধতিতে তার মনে নেমে আসে এই সময় টায়।
,
,
,
ঋতু বলল বাবা কে চা খাওয়াতে।
ভালোই বুদ্ধি।
যে ভাবা সে কাজ।
ঘর থেকে বেরিয়ে সোজা রান্না ঘরে চলে এলাম।
খুঁজতে দেরি হলো না।
এসে সুন্দর করে এক কাপ চা বানিয়ে বাবার রুমের বাইরে চলে এলাম।
–বাবা।
বলে দরজায় টুকা দিলাম।
হ্যাঁ মা ভেতরে আয়।
আমি চায়ের কাপ নিয়ে ভেতরে গেলাম
বাবা কাজ করছিলেন,
–কাজ করছিলেন বাবা?
–হুম একটু আসলে তোদের বিয়ের ঝামেলায় কিছুই করা হয়ে ওঠে নি।
–ওহ চা নিয়ে এসেছি।
আমার হাতে চা দেখে বাবার চোখ দুটো চিকচিক করে উঠলো,
যেন বহু বছর তিনি এই রকম কাজের সাথে মেলামেশা বন্ধ করেছেন।
–তুই চা করেছিস আমার জন্য?
–হ্যাঁ বাবা।
–মেঘ তুই জানিস মা আজ ২০ বছর পর কেউ আমাকে এই সকালে চা করে দিলো।
তোর মায়ের কথা মনে পরে গেল।
ও সকালে আমাকে চা করে দিতো।
বাবার কথা শুনে খারাপ লাগলো।
ওনার পাশে বসে বললাম,
–এখন তোমার মেয়ে চলে এসেছে চিন্তা করো নারোজ চা করে দিবো।
বাবা খুব খুশি হয়ে গেলেন।
খুব আনন্দের সাথে চা টা খেলেন।
,তার পর আমি আমার রুমে চলে এলাম

বিছনায় বসে বসে পুরো বিয়েটার কথা ভাবছি।
হুট করে সব হয়ে গেল।
সব কিছু!
আমার ভাবনায় ছেদ ঘটিয়ে হটাৎ আমান ঘরে এলো,
আমি তার দিকে তাকিয়ে হটাৎ থমকে গেলাম।
আমান মাক্স পরে আছে।
তার চোখ দুটো আমার যেন তার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।
আমি তো কখনো এভাবে আমান কে খেয়াল করি নি।।
আমি অবাকের চরম পর্যায়ে আছি
আমাকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে সে তরিঘরি করে মাক্স খুলে ফেলল,
–কি বলব বলো করোনা বেড়েছে মাক্স ছাড়া চলা সম্ভব না।
আমি উঠে ওনার দিকে এগোতে হাত বাড়িয়ে দিলে,
–না থামো ওখানে থামো আমি বাইরে থেকে আসছি গোসল না করা পর্যন্ত তোমার কাছে আসবো না।
সরে থাকো।
–করোনা নিয়ে এতো ভয়ের কি আছে বুঝলাম না।
–আমার আছে আমি গোসল করে আসছি আমার কিছু ধরবা না জুতাটা বাইরে আছে ওটা একটু পর সার্ভেন্ট এসে নিয়ে যাবে।
আমান জীবাণু নিয়ে খুব সেনসিটিভ।
সে সোজা বাধরুমে চলে গেল।
আমি বুঝলাম না সে এতো ভয় কেন পেলো।
আমি বসে পরলাম আবার।
কিছু সময় পর আমান বেরিয়ে এলো।
ভেজা চুল নিয়ে টাওয়াল কাঁধে।
এসে সোজা আমাকে জড়িয়ে ধরলেন,
–তুমি আসতে চেয়েছিলে আমি বাঁধা দিয়েছি তার জন্য সরি।
আমি পুরাই থ হয়ে গেছি।
হুট করে এভবে জড়িয়ে ধরেছে তিনি আমাকে।
বুকের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
আমি এতেটাও কাছে যেতে চাইনি 😑।
–কি ভাবছো।
আমানের কথায় ধ্যান ফিরল।
–কিছু না।
–সন্ধ্যায় একটা ব্লাক শাড়ি পরবে।
–রিসিপশনে কেউ ব্লাক পরে।
–হুম পরে আমান খানের স্ত্রী। unique যে তুমি তাই।
কথাটা বলে সে আমার থেকে সরে আসলেন।
আসলে তিনি অদ্ভুত।।
দিন পেরিয়ে সন্ধ্যা হলো,
আমাকে তার কথা মতো একটা ব্লাক শাড়ি পরিয়ে সাজিয়ে দেওয়া হলো।
আমান রুমে এসে আমার দিকে তাকিয়ে চোখ নামিয়ে নিলো,
–তুমি দেখছি আজ মেরেই ফেলবা।
কথাটা শুনে লজ্জা পেলাম।
উনি আমার হাত ধরে নিচে সবার মধ্যে নিয়ে এলো।। অনেক মেহমান।
কিছু সময় পর আমার মা বাবা আর ঋতু চলে এলো।
ঋতু এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো,
–কুইন তোমায় অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে বেব।
–তোমাকেও বেব।
–স্যার অবশেষে আপনি দুলাভাই হয়ে গেলেন এবার আর বকা ঝকা শুনবো না।
–নাহ বকা ঝকা কমি দিবো এবার থেকে যতোই হোক শালি তো অর্ধেক ঘর ওয়ালি তাই না।
–হুম সেটাই তো।
সবার মুখেই মিষ্টি একটা হাসি।
ঋতুর ফোন বেজে উঠতে সে একটু আড়ালে গেল।
–আচ্ছা শুনেন। (মেঘ)
–জি বলেন,(আমান)
–মিহা আপুকে কিন্তু কাল আইসক্রিম দেওয়া হয় নি।
–তুমি তো মনে করো নি। ওনার জন্য তো আইসক্রিম আমি স্পেশালি অডার করেছি।
–হ্যাঁ আজ যদি না দিন তবে আপনার নামে মামলা হবে কিন্তু।
–এই যাহ ভুলে গেলে তুমি মামলা হবে আমার নামে এটা কেমন কথা।
–এটাই কথা আপনি আমার স্বামী না আমি ভুলে গেলে তো আপনি মনে করবেন।
–আচ্ছা জো আগ্গা মহারানী ওনাকে ওনার আইসক্রিম আমি দিবো।
চলবে,

সিক্রেট গ্যাংস্টার পর্ব-০৮ ( wedding special)

0

#সিক্রেট_গ্যাংস্টার♥
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
#পর্ব_০৮(wedding special 🥳)

বাবার কথায় মলিন হেসে তার হাত দুটো ধরে আমান,
–নিশ্চিন্তে থাকো আমার মেঘ আর তোমার কিছু হবে না আমি আছি তো।
–তুমি আমার পৃথিবী আমান আমার পৃথিবীতে তুমি ছাড়া কেউ নেই নিজের বাবাকে এতিম আর নিঃসঙ্গ করে দিবি না তো।
–আমি বেঁচে থাকতে না বাবা।
আমানকে তার বাবা জড়িয়ে ধরে,
এদিকে,
দিন পেরিয়ে রাত হলো,
মাত্র এই রাত টার ব্যবধান আছে।
রাত টা পে-রোলে কাল আমার বিয়ে আমান স্যারের সঙ্গে।
জীবনের জন্য তার কাছে বাঁধা পরে যাবো।
না আমার এই অজানা ভালোবাসার কথা কেউ জানবে না কখনো এই অর্ধেক ভালোবাসা পূর্ণতা পাবে।
অপূর্ণ ভালোবাসার হাত ধরে বেঁচে থাকতে হবে চিরকাল।
কথাগুলো জানালার কাছে বসে ভাবছি আর আকাশের বুকে থাকা ওই অর্ধেক চাঁদ টাকে দেখছি।
মনের আকাশে যতদুর পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে ধুধু কালো মেঘের আচ্ছন্ন।
তার কাছে আসা, তার ছোয়া, তার কথা সবি এখন স্মৃতি।
–মেঘ,
হটাৎ ঋতুর কন্ঠ পেয়ে কিছুটা কেঁপে উঠলাম।
–হুম।
–দোস্ত জানিস আমাদের জীবন টা না একটা বাইসাইকেল এর মতো।
Just control, look straight and run.
পেছনে অনেক কিছু হয়েছে।
হ্যাঁ অনেক কিছু হয়েছে কিন্তু তার দিকে তাকাবো না কারন পেছনে তাকাতে গেলে একটা দুর্ঘটনা ঘটবে।
আর একটা দুর্ঘটনা সারা জীবনের দুঃখের কারন।
সামনে এগিয়ে যা অনেক কিছু আছে যা পেছনে ফিরে তাকানোর কথা ভাবাবে না।
কখনো না।
তুই চিন্তা করিস না সব ঠিক হয়ে যাবে আমার বিশ্বাস স্যার তোকে খুব বেশি ভালোবাসবে।
আর সত্যি বলতে এখন চাইলেও কিছু করা সম্ভব নয়।
আর তুই তো বলিস যা সম্ভব নয় তা করা উচিৎ না।
ঋতুর কথা গুলো মন দিয়ে শুনলাম।
তার পর ওকে জড়িয়ে ধরলাম।
সত্যি ওর কথা গুলো মানতে হবে ও যেগুলা কথা বলল তা সব সঠিক।
আমার মন টা অনেকটা হালকা হলো।
তখনি মা খাবার নিয়ে এলো।
আজ মা নিজ হাতে আমাকে খাইয়ে দিলো।
বাবা এসে আমাকে বলল,
–রাজকুমারী কাল রানি হয়ে কারোর ঘরে প্রবেশ করবে।
আমি জানি এটা অনেক কঠিন হবে প্রথম প্রথম কিন্তু আমি জানি আমার রাজকুমারী সব কিছুকে আপন করে নিবে
মা বাবার চোখের পানি আর কথায় আজ বুঝতে পারলাম তারা আমাকে কতোটা ভালোবাসে।
কালকের পর থেকে আমি আর এ বাড়িতে থাকবো না আমি ঠিকানা বদলে যাবে।
আমার ২০ বছরের অবহিত জীবন এর স্মৃতি সব আমার মস্তিষ্ক এবং মনে থাকবে।
আমি কালকের পর থেকে কারোর স্ত্রী কারোী বৌ মা কারোর চাচি কারোর মামি কারোর ভাবি। ইত্যাদি আরো কতো সম্পর্কে পরিনত হবো।
আমার দাঁয়িত্ব অনেক।
ছোট্ট মায়ের মেঘ কাল বড়ো হয়ে যাবে।
তার সংসার হবে স্বামী হবে।
একটা মেয়ের জীবনের সব থেকে পরিবর্তন আসে যে সময় টায় কাল আমার জীবনে সেই সময় টা।
আমাকে ভুলতে হবে সব কিছু নতুন এই সম্পর্ক গুলাকে গুরুত্ব দিতে হবে।
মা বাবা ঋতুর সাথে অনেক কথা হলো এ রাতে প্রায় রাত ১ টা বাজে।
তখন ঋতুর সাথে শুয়ে পরলাম।
সারা দিনের ক্লান্তি তাই ঘুমিয়ে গেলাম।
,
সূর্য তার আলোর বিস্তার করেছে চারিদিকে,
ফজরের নামাজ আদায় করে সকালের খাবার খেয়ে নিলাম।
বিয়ে বাড়ি মেহমানে ভরপুর।
আমি রুমের মধ্যে বসে আছি সবাই যে যার কাজে ব্যাস্ত।
ঋতু মাঝে মাঝে এসে টু টা দিচ্ছে।
বাকি সময় একা বসে থাকছি।
হাতের মেহেদী দেখছি মাঝে আমান নামটা লেখা আছে।
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললাম।
১২ টা বেজে ২০ মিনিট,
বিয়ের সাজ সাজানো শুরু হলো।
প্রায় ২ ঘন্টা পর লাল বেনারসি আর নানা রকমের জুয়েলারি তে সেজে উঠলাম আমি।
ঋতুও খুব সুন্দর করে সেজেছে,
বেনারসি টাইপ লাল শাড়ি কুঁচি করে পরে সেজেছে।
–আজ ভাইয়া জ্ঞান হারাতে বাধ্য।
–হুম স্যার ও।
স্যার কথাটা শুনে কিছুটা কষ্ট পেলাম।
যাকে কল্পনা করেছিলাম সে তো নেই।
–ওরে আমার কলিজা প্লিজ তুই আর এমন মুখ করিস না আমি আর এভাবে তোকে দেখতে পারছি না।
বুঝেছিস।
কথাটা বলে আমাকে জড়িয়ে ধরলো।
আমারা ছবি তুললাম কিছু।
,
,
,
ঋতু বাইরে কিছু ফুল সাজাতে বসেছিল এমন সময় কিরন তার পাশে এসে হুট করপ কানের কাছে বলল,
–হার্ট এটাক করানোর চিন্তা।
–ও মা তুমি কখন এলে (চমকে)
–এই মাত্র আমার বৌ টাকে দেখে তো আমি সত্যি জ্ঞান হারাবো।
–ইস রে ঢং।
–ধুর ঢং বলছো কিছু দিন পর আমিও তোমায় নিয়ে যাবো।
–হ্যাঁ হ্যা দেখা যাবে।
–আচ্ছা ওর কি খবর?
–কাল বুঝালাম সব ও বুদ্ধিমান মেয়ে ইনশাআল্লাহ বুঝবে।
–হুম সেটাই যেন হয়।
–তুমি দেখো তো বর আসছে মনে হয়।
–তুমি না গেটে দাড়াবা।
–হ্যাঁ তার জন তো ফুল সাজাইতেছিল।
–ওহ দেখো চলে আসছে মনে হয়।
কিছু সময় পর,
বর আসলো,
সব নিয়ম কানুন মেনে বিয়েটা সম্পূর্ণ হলো।
সব ধরনের খুনসুটি হলো ঋতু আর আমনের মাঝে।
মেঘের কোন কাছের বোন নেই যেহেতু ঋতুই সব করেছে।
মেয়ে দুইটার মধ্যে বন্ধুত্ব অটুট।
★★★
গাড়িতে আমান স্যারের পাশে বসে আছি।
সব কিছুর পর বিয়েটা হলো।
খুব ভালো করেই মিটমাট হলো সব।
হয়ে গেলাম তার।
আমার স্বপ্ন তা তো স্বপ্ন ই থেকে গেল।
কিছু রঙিন স্বপ্ন কুরবানী হয়ে আজ জন্ম নিলো নতুন এক সম্পর্কের।
গাড়িতে আমান স্যার আমার সাথে একটা কথাও বলেন নি।
কিছু সময় পর আমরা তাদের বিশাল বাড়িতে চলে আসি।
এখানে আসতে সবাই আমাকে অভিনন্দন জানাতে ব্যস্ত।
ফুল ছেটাতে ব্যাস্ত।
ঘরের দরজার সামনে আসতে দেখি স্যারের বাবা (আজ থেকে আমাও বাবা) হাতে এক গুচ্ছ ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
আমি আসতে আমাকে ফুল গুলে দিলেন,
–অভিনন্দন এ বাড়িতে কোন মেয়ে মানুষ নাই তুমি আজ থেকে এই রাজ্যের রানি মা।
বাবার মুখের হাসিটা দেখার মতো।
সে যে অনেক খুশি তা বুঝা যাচ্ছে।
সব আয়োজন শেষে আমাকে আমানের ঘরে বসিয়ে দেওয়া হলো।
এই ভারি সব কাপড় গয়না পরে খুব কষ্ট হচ্ছে আমার। কিন্তু তাও কাপড় পরে বসে আছি তার জন্য।
কিছু সময় পর,
তিনি রুমে এসে কিছু না বলে আলমারির দিকে গেলেন,
একটা হালকা কম্ফোর্ট শাড়ি আমাকে দিলেন,
–এগুলা ছেড়ে গোসল করে নেও ভালো লাগবে।
আমি তার আচরণে মুগ্ধ।
তার হাত থেকে শাড়িটা নিয়ে তার বলা মতো কাজ করলাম
বাধরুম থেকে বেরিয়ে আয়নার সামনে চুল গুলা ছাড়াতে শুরু করলাম। ওরা চুল ফুলানোর জন্য চুল গুলালে এক দম বাজে বানিয়ে ফেলছে।
চুল গুলা ছাড়িয়ে উঠতে আমান আমার হাত ধরে বসালো৷ বিছনায়। —
–মেঘ আজ থেকে আমার স্বামী এবং স্ত্রী। খুব পবিত্র সম্পর্ক তৈরি হলো আজ।
আমি আমার বাবাকে খুব ভালোবাসি পৃথিবীতে উনি ছাড়া আমার কেউ নেই।
এক মাত্র দুনিয়া তিনি সে যেন কখনো তোমার থেকে কষ্ট না পান এটুকু আমি আসা করতে পারি?
–জি অবশ্যই।
–ঘুমিয়ে পরো।
আমার এক পাশে শুয়ে পরলেন তিনি।
আমিও আমার স্থানে শুয়ে পরলাম
এই যে পার্থক্য শুরু হচ্ছে।
কখনো এমন কল্পনা করি নি। আজ বিয়েটা আমার হয়েছে তার প্রমান সরুপ তিনি আমার পাশে শুয়ে আছেন।
আমাকে সব ভুলতে হবে এই সংসার আর পরিবার টাকে আপন করে নিতে হবে ❤️

চলবে,

সিক্রেট গ্যাংস্টার পর্ব-০৭

0

#সিক্রেট_গ্যাংস্টার♥
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
#পর্ব_০৭(হলুদ স্পেশাল 🥳)
ঋতু বুঝতে পারে কিছু বলে কিছু হবে না তাই কথাকে ঘুরাতে চেষ্টা করে,
–আরে বেব তোর বিয়ে তাও সবার ক্রাশ আমান স্যারের সাথে ভাবতে পারতেছিস উফ আমার তো ভেবেই মজা লাগছে।
কতোনা অপেক্ষা করেছি এই বিয়ের জন্য ফাইনালি সেই বিয়ে হতে চলেছে
তাও সবার ক্রাশ দ্যা গ্রেট আমান স্যারের সাথে,
আমি তো মহা খুশি স্যার এখন দুলাভাই হয়ে যাবে।
ঋতুর কথার ভঙ্গি দেখে হাজার কষ্টের মাঝে ফিক করে হেসে দিলাম।
আমি হাসতে ও আমাকে জড়িয়ে ধরল।
আমি এই মায়ার টানটা বুঝতে পেরে ওকে জড়িয়ে ধরি,
,
,
,
হলুদ রঙের একটা পাঞ্জাবি আর উপরে কটি পরে হাতে একটা ঘড়ি নিতেই আমান কে অসম্ভব সুন্দর দেখাচ্ছে নজর কাড়া সুন্দর যাকে বলে,
সবাই অনুষ্ঠানে ব্যাস্ত,
একটা ফাকা সময় পেয়ে আমান মেঘকে ফোন করে,
কিন্তু তখন তার ছবি তোলা হচ্ছিল বলে মেঘ ফোন ধরতে পারে না।
,
,
,
অনেক গুলা ছবি তোলা হলো আমার না চাইতেও মলিন হাসি হাসতে হলো আমায়।
মা বাবার মুখের হাসি আমার কলিজা জুড়িয়ে
যাচ্ছে।
এতো খুশি তাদের আগে দেখি নি।
মেয়ে বিদায় হবার খুশি নাকি ভালো পাত্রের হাতে তুলে দেবার খুশি!
–ঋতু অনেক ছবি তোলা হইছে আমি একটু রুমে যাচ্ছি হলুদ এর অনুষ্ঠানের আগে নিয়ে যাস।
–আচ্ছা যা,
,
মেঘ রুমে চলে এলো,
এদিকে এতো সুন্দর ঋতুর সাজ দেখে কিরন এর হার্টবিট তো সেই জোরে লাফালাফি করছে,
মেঘের ভার্সিটির বড়ো ভাই হিসাবে কিরন ভাইয়া কেও আসতে হয়েছে নিমন্ত্রিণ এ,
–মেঘের কি অবস্থা ঋতু।
–ভালো না আমি বুঝতেছি না কি করব।
–তুমি শুধু ওর পাশে থাকো আর ওকে স্যারের সম্পর্কে ভালো ধারনা দেও।
–ভালো আর অভালোর কিছু নাই
ওর মনের অবস্থা বোঝার ক্ষমতা তোমার আমার আছে।
আমাদের সাথে এমন হলে,
কথাটা পুরো বলার আগে করিন ঋতুর মুখে হাত দিয়ে দেয়,
–এমন বলো না আমি মরেই যাবো।
ঋতু মায়াভরা চোখে তাকিয়ে থাকে কিরনের দিকে।
,
,
রুমে এসে দরজা লাগিয়ে সামনে তাকাতে চমকে উঠি,
–আল্লাহ! আপনি এখানে কেন?
–কি হলো চমকে উঠার কি আছে,আমি তো বলেছিম তোমায় প্রথম হলুদ আমি লাগাবো।
–কিন্তু আপনি আসলেন কেথা দিয়ে বাইরে এতো মানুষ কেউ আপনাকে দেখে নি কেমনে কি?
–তোমার বোঝার প্রয়জন নাই কি করে এসেছি,
আমান আমার দিকে একপা একপা করে এগোতে থাকে আর আমি ক্রমশ দেয়ালের দিকে পেছতে থাকি।
এক পর্যায়ে ঠেকে যায় দেয়ালে,
–হলুদ রঙের ঢাকাই শাড়ি মেয়েটার ঠোঁটে গোলাপি লিপস্টিক,
কিন্তু এগুলার কিছুই আকর্ষণীয় না,
আকর্ষণীয় তো ঠোঁটের উপরে সবার চোখ এড়ানো ওই ছোট্ট একটা তিল,
আর মায়াবী এই চোখ দুটো।
স্যারের কথা শুনে রীতিমতো আমি থ হয়ে দাঁড়িয়ে আছি।
এই উগান্ডা টাইপ মানুষ টা এতো রোমান্টিক। আল্লাহ!
উনি আমাকে তাকিয়ে থাকতে দেখে মুচকি হেঁসে তার হাতে থাকা হলুূ টুকু আমি মুখে লাগিয়ে দেয়।
আর নিজে আমার মুখ থেকে হলুদ মেখে নেয়।
এই কাজ হবার সময় সে আমার অতিরিক্ত কাছে ছিল যার ফলে তার নিশ্বাস তার হৃৎস্পন্দনের গতি মনে হচ্ছিল আমার সব বুঝা।
কিন্তু তার কাছে আসা তার ছোয়া আমার কাছে খুব চেনা লাগে।
কিন্তু কেন এমন ফিল হয় তা আমি জানি না।
হলুদ লাগানো শেষ হলে আমার থেকে সরে আসে,
–প্রথম হলুদ টুকু আমি লাগালাম মিসেস.খান।
কথাটা বলে বিশ্ব উজার করা হাসি দিয়ে আমার রুমের দরজা দিয়ে বেরিয়ে গেল
আমি এখনো তাকিয়ে আছি তার যাবার দিকে,
অবাকের সপ্তম আকাশে আমি এখন।। কিন্তু সব কিছুর মাঝেও আমি যার সাথে আমার জীবন কল্পনা করেছি সেই নেই,
সব কিছু ভেবে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বসতে যাবো
তখনি ঋতু এলো ঘরে,
–কিরে তোর হলো রেস্ট নেওয়া?
–হুম হলে,
–তাহলে আয় অনুষ্ঠান শুরু করতে হবে।
ঋতু আমাকে নিয়ে বাইরে স্টেজ এ বসিয়ে দিলো,
একটা সুন্দর গানে ও আর কিরন ভাইয়া ডান্স করলো।
সত্যি দু জন কে দেখলে কলিজা জুড়িয়ে যায়
অসাধারণ তারা।
তার পর আমাদের ভার্সিটির আরও কিছু বন্ধু বান্ধবী আসছে সবাই মিলে ডান্স করলো।
সবার সাথে ছবি তোলা হলো,
এবার হলুদ লাগানোর পালা,
প্রথম মা এলেন হলুদ লাগাতে।
তার পর একে একে সবাই,
অনেক ছবি তোলা হলো,
সত্যি ভিশন টায়ার্ড হয়ে আছি আমি,
মাথা ঝিম ঝিম করছে।
বিকালে খাবার খেয়ে যে যার বাসায় চলে গেল।
এখন ঋতুর যাবার পালা।
কিন্তু কাল যেহেতু বিয়ে তাই মা ঋতুকে আর যেতে দেয় নি।
ও বিয়ের দিন আমার বিদায়ের পর যাবে,।
গোসল করে সুতি কাপড় পরে ঘরে এসে আয়নাতে তাকালাম,
সত্যি আমার ঠোঁটের উপর ছোট্ট করে একটা তিল আছে যা এই পর্যন্ত আমার চোখে পরে নি তা ওই লোক টার চোখে পরে গেল।
আল্লাহ কেমনে সম্ভব,
–কিরে কি দেখিস?
–দোস্ত আমার ঠোঁটের উপর যে এই তিল তা তুই দেখেছিস কখনো?
–না তো কোথায় তের মুখে কোন তিল নাই।
–নারে আছে এই দেখ।
–তুই হটাৎ তিল নিয়ে পরলি কেন?.
–না মানপ এমনি হুট করে চোখে পরলে তাই,
–আমাকে ইতিহাস পড়িয়ে লাভ নাই আমান স্যার আসছিল বল।
–কি করে জানলি?
–তোর মুখে প্রথম হলুদের দাগ দেখে কেউ না বুঝলেও আমি বুঝে গেছি।।
–ওহ আচ্ছা।
–হুম।
–দোস্ত,
–হ্যাঁ,
–সত্যি বিয়েটা হয়ে যাচ্ছে তাই না।
ঋতু আমার কথা শুনে আমার দিকে এগিয়ে আসে,
–হুম হয়ে যাচ্ছে তাই অতিত ভুলে এখন বর্তমান আর ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবো।
যা কপালে নেই তা ভেবে লাভ নাই আল্লাহ যা লিখছে তাই হবে তুই কষ্ট পাস না সোনা।
আমি ঋতুর দিকে তাকিয়ে একটু হেসে গিয়ে বিছনায় শুয়ে পরলাম।
আর ঋতু কাপড় নিয়ে ওয়াসরুমে ডুকলো,
,
,
,
আমান এর বাসায় হলুদের অনুষ্ঠান শেষ,
আমান কাপড় পাল্টে ফ্রেশ হয়ে বসে আছে,
তখনি তার রুমে তার বাবা আসে,
–বাবা আমান,
–হ্যা বাবা।
–তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে।
–হ্যাঁ বাবা বলো।
–তোমার বিয়ে কাল তুমি তো জানো ঠিক এই দিনে আমিও তোমার মাকে বিয়ে করেছিলাম।
–হ্যাঁ বাবা কাল তোমাদের ম্যারেজ এনিভার্সিটি।
–হুম কাল আমাদের বিবাহ বার্ষিক।
তুমি জানো প্রথম যখন তোমার মাকে আমি আমার বাসায় নিয়ে এলাম তখনও অদ্ভুত ভাবে এমন সিচুয়েশন ছিল তোমার দাদি মারা গেছিল আমি আর তোমার দাদা থাকতাম।
আমার বিয়ের দুই বছর পর যখন তুমি তোমার মায়ের পেটে তখন তোমার দাদজান মারা যায় আর তুমি হবার সময় আমার কোলে তোমায় দিয়ে গিয়ে আমাকে একা রেখে চলে জান তোমার মা।
কাল আমার বাড়ি ঘর আলো করে আবার তোমার বৌ আসবে।
আজ প্রায় ২৭ বছর পর আমার ঘরে আবার কোন মেয়ে আসবে বৌ হয়ে।
আমি চাইনা আমার বৌমা লোন কষ্ট পাক।
আমি চাই তুমি যা তুমি তা হয়েই থাকো।
তুমি তোমার সিক্রেট কে সিক্রেট রেখো ওটাকে ধামাচাপা দিয়ে মেরে দেও।
মেঘ আর তুমি তোমাদের সংসারে কোন খারাপ কিছু ছায়া আমি দেখতে চাই না।
আমি আসা করব আমি যা বলছি তুমি তা বুঝতে পারছো।
–জি বাবা আমি আপনার কথার মানে বুঝেছি।
–যদি বুঝে থাকো তাহলে আমাদের উপরে মৃত্যুর ছায়াটা আর থাকবে না
চলবে,

সিক্রিট গ্যাংস্টার পর্ব-০৬

0

#সিক্রিট_গ্যাংস্টার♥
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
#পর্ব_০৬

–কি করব আমি ঋতু?
–তুই ওনার সাথে কথা বল।
–কি বলব?
–বল যে তোর বিয়ে,
–বাবা আমাকে যেভাবে বলেছে তার উপর দিয়ে আমি কিছু করার ক্ষমতা রাখছি না।
–তাহলে বিয়েটা করতে হবে।
–আমার ভাগ্য টা খুব আজব খেলা খেলল তাই না।
–কাদিস না পাগল এক কাজ কর তুই আমান স্যারের সঙ্গে কথা বল
–কি বলব ওনাকে।
–ওনাকে বল তুই অন্য কাউকে ভালোবাসিস ওনাকে বিয়ে করতে পারবি না।
–কিন্তু উনি যদি বাবাকে বলে দয়।
–বুঝিয়ে বলিস একটু।
–বুঝবে না রে।
–আচ্ছা তুই ওনার সাথে কথা বল।
ঋতুর কথাটা বলার মাঝে ফোনটা আবার বেজে উঠলো,
আমি ওর দিকে তাকালাম,
তার পর ফোনটা কেটে সেই নাম্বার টাও ব্লক করে দিলাম।
সে দিন রাত কাঁদতে কাঁদতে কাটলো ঋতু সন্ধ্যার দিকে বাসায় গেলো।
মা বাবার আড়ালে খুব কান্নাকাটি করলাম
এক সময় ঘুমিয়ে গেলাম।
এভাবে চলতে থাকলো দিন সে অনেক গুলা নাম্বার দিয়ে আমার ফোনে ফোন করেছিল কিন্তু আমি সব গুলাই ব্লক করে দিয়েছি।
বাবার এ অনুরোধ আমার পক্ষে উপেক্ষা করা সম্ভব নয়।
দিন পার হতে লাগলো।
আমি ভার্সিটি যাওয়া বন্ধ করেছি আজ ৩ দিন।
প্রতিদিন ঘরের মধ্যে বসে কাদি।
আজ আমান স্যার আর তার বাবা আসবে আমাদের বাসায়।
অনেক সুন্দর করে ঘর ঘুছিয়েছে মা
আমাকে কোন কাজ করতে দিচ্ছে না।
মা খুব খুশি বাবাও।
এটা দেখে মনের মাঝে যাও বলার আসা ছিল তাও চলে গেছে।
আমাকে একটা লাল ঢাকাই শাড়ি পরিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে দিলো মা।
ঋতুও আসছে বাসায়
ও মেকাপ করিয়ে দিলো
আমার মুখে হাসির কোন ছাপ নেই।
তার কথা মনে পরলে বুকের মধ্যে হাহাকার করে ওঠে

মাত্র কিছু দিনে মায়ায় পরে গেছি আমি।
,
কিছু সময় পর আমান স্যার আর তার বাবা চলে এলো।
মা বসতে দিয়ে অনেক খাতির আপ্যায়ন করলো
কিছু সময় পর মা আমাকে আসতে বলল,
ঋতুর সাথে বসার রুমে গেলাম।
মা ঋতুকে ইসারা দিয়ে আমাকে আমান স্যারের পাশে বসাতে বলল।
ঋতু সেই কাজ করল।
কিন্তু আমান স্যারের পাশে বসে কেন জানি না আমি সেই অদ্ভুত সুগন্ধি টা পাচ্ছি যেটা আমি ওই লোকটার কাছে আসা থেকে পেতাম।
হটাৎ করে এমন কিছু হওয়াতে বুকের মধ্যে ধক করে উঠল।
আমার পাশে ফিরে তাকানোর মতো ক্ষমতা নেই।
এই যোমকে আমি যোমের মতো ভয় পাই।
মাথা নিচু করেই বসে রইলাম আমি।
হটাৎ আরিফ কাকু বলে উঠলেন,
–কি গো মা মন খারাপ?
আরিফ কাকুর কথায় মাথা তুলে তাকালম,
–জি না (মলিন হেসে)
–তাহলে এতো চুপচাপ কেন রে মা?
–জি কি বলব (মাথা নিচু করে)
–কেমন আছিস এটা আগে বল
–জি আলহামদুলিল্লাহ আপনি?
–হুম আমার ছেলের এতো মিষ্টি একটা বৌ হবে সেটা ভেবে তো খুশি ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না।
–(মাথা নিচু করে রইলাম)
–আমারও তো অনেক খুশি ভাইজান (মা বলল)
–হ্যাঁ তবে আমান আর মেঘকে একটু একা কথা বলতে দেও ততক্ষণে আমরা বিয়ের দিন নিয়ে আলোচনা করি।
–হ্যাঁ ভাইজান এটা ঠিক বলেছেন।
–ঋতু ওদের একটু,
–হ্যাঁ আন্টি।
–স্যার আসুন।
আমান স্যার আর আমাকে ঋতু আমার ঘরে দিয়ে আমাকে আস্তে করে বলল,
–সময় কিন্তু এখনি,
কথাটা বলে ও বেরিয়ে এলো,
–(তুই তো বলে গেলি সময় কিন্তু এখনি কিন্তু আমি যে বাবার কথা ফেলতে পারবো না ভরতে ভেতরেই মরে যাবো মনে, মনে,)
–কি ব্যাপার পড়ালেখার কি খবর? (গম্ভীর শুরে)
আমি মাথা তুলে তাকালাম,
–জি ভালো।
–দেখে তো মনে হচ্ছে খুব বেশি ভয়ে আছো আমি কি বাঘ নাকি?
–(বাঘের থেকে কম না মনে মনে,)
–এমনি সময় তো কথার বন্যা বইয়ে দেও এখন এতো চুপচাপ কেন?.
–কি বলব?
–কথা বলো,
–কথা।
আমার কথা শুনে তিনি ফিক করে হেসে দিলেন,
ওনার মুখের দিকে তাকালাম,
তাকিয়ে আবার মাথা নিচু করে নিলাম,
–বুঝলে তোমার মতো একটা বৌ হলে মন্দ হয় না।
–(আমি আপনার বৌ হতে চাই না মনে মনে,)
–মনে মনে কি আমার ১৪ গুষ্টি উদ্ধার করছো নাকি?
–কেন?
–না তোমার মুখ দেখে মনে হচ্ছে।
–(কথাটা বলব নাকি বলব না মনে মনে,)
–কিছু বলবা?
–জি না (ভয়ে)
–ভয় পাচ্ছো তুমি?
–জি না (আরও ভয়ে)
–সমস্যা নাই তুমি কম্ফোর্ট ফিল করছো না আমি বুঝতেছি।
ভালো থাকো দেখা হবে জলদি আর খুব জলদি নিয়ে যাবো সাথে করে।
কথাটা বলে তিনি রুম থেকে চলে গেলেন।
আমি সেখানে বসে চোখের পানি ফেলতে লাগলাম,
৩০ মিনিট পরে,
সবাই চলে গেছে শুধু ঋতু পাশে বসে আছে,
–কাঁদিস না সোনা।
–কবে ঠিক হয়েছে বিয়ে?
–শুক্রবার ২৬ তারিখ।
–এতো জলদি।
–হুম।
–ঋতু মা খেয়ে আয় সোনা সারা দিন দৌড়াদৌড়ি করছিস কতো বার বললাম খেয়ে নে খেলি না এখনো দেরি করছিস। (মা)
–খেয়ে আয় যা মা ডাকছে।
–হুম তুই কাঁদিস না শাড়ি পাল্টে নে।
–হুম।
ঋতু বাইরে চলে গেল
আমি ওয়াসরুমে গিয়ে কিছু সময় নিরবে কান্না করে গোসল করে বের হলাম
,
,
বিকলে,
ঋতু বাসায় চলে গেল,
আমার বাসায় পরলো বিয়ের ধুম।
কি করে কি হবে কার কি করতে হবে।
সব কিছুতে মেতে উঠলো আমার মা বাবা।
এদিকে সবাই অভিনন্দন দিচ্ছে
বিয়েটা তার মানে আর না হবার চান্স নাই হয়েই ছাড়বে,
রাতটা খুব কষ্টে কাটালাম নির্ঘুম।।
সে কি দেশে আসছে?
নাকি আমার কথা তার মনে হয় নি এক বারও?
অবশ্য কতোগুলো সিম তার ব্লক করেছি আমি তার খোজ নাই।
আচ্ছা সে কি আমাকে প্রতারক ভেবেছে?
কিন্তু আমি কি করব।
কিছুইতো আর আমার হাতে নেই।
ধিরে ধিরে সময় অবহিত হতে লাগলো।
প্রতিটি সেকেন্ড আমি ওনার কাথা ভাবছি।
এমন একটা সেকেন্ড আমার কাটে নি যখন আমি ওনাকে না ভেবেছি।
মা বাবা আমাকে সব সময় হাসি খুশি দেখতো।
নিজের কষ্ট নিজের মধ্যে রাখতে চাই মা বাবা কে দেখাতে চাই না।
কাল আমার হলুদ আজ আমার হাতের অনেকটা অংশে মেহেদীর ডিজাইন করে দেওয়া হইছে।
মাঝে লেখা হয়েছে আমান এর নাম।
মেহেদী লাগিয়ে রুমের মাঝে বসে আছি।
প্রায় শুখিয়ে গেছে।
আর একটু হলে গোসল করব।
কিছু সময় পর গোসল করে বের হলাম
রুমে এসে দেখি ফোনটা ক্রমাগত বেজে চলেছে,
ফোনটার কাছে গিয়ে ফোনটা উঠাই,
–হ্যালো আসসালামু আলাইকুম,
–আলাইকুম মসললাম।
কেমন আছো?
–জি আলহামদুলিল্লাহ,
–তোমায় কাল প্রথম হলুদ টুকু আমি লাগাবো।
–আমান স্যার?
–আজ বাদে কাল আমদের বিয়ে আর তুমি এখন আমাকে চিনতেই পারছো না।
–না মানে তা নয়।
–তো কি?
–সেটা কি করে?
–কোনটা কি করে?
–হলুদ লাগাবেন,
–সেটা কাল দেখা যাবে কি করে কিন্তু প্রথম এটা আমি করবো দেখো।
–দেখা যাবে।
আল্লাহ হাফেজ।
ফোনটা আমি কেটে দিলাম ওনার কথা না শুনে।
দিনটা আমি ঘুমিয়ে কাটালাম
বিয়ের জন্য বাড়ি ভর্তি মেহমান। কাউকে তোয়াক্কা না করে আমি চুপচাপ ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিলাম দিন আর রাত।
পরের দিন,
সকাল থেকে হলুদ এর কাজ শুরু হইছে,
এটা সেটা কতো কি।
আমাকে সুন্দর করে শাড়ি পরিয়ে দিয়ে সাজিয়ে দিয়ে গেছে কিছু মহিলা।
একটু পর আমার রুমে কাঁচা হলুদ রঙের শাড়ি পরে আসলো ঋতু।
ওকে দেখতে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে আজ।
ভাইয়াও আসছে বোধহয় কিন্তু আমার কিছুতেই কোন আগ্রহ নাই,
মনের মাঝে যতদুর দেখা যায় শুকনো মরুভূমির মতো হয়ে আছে।
–দোস্ত তোকে সুন্দর দেখাচ্ছে।
ঋতুকে হেসে কথাটা বললাম
কিন্তু আমার হাসির মাঝে মলিনতা তার চোখকে ফাকি দিতে পারে নি।
ও এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে,
–কষ্ট পাস না।
–কষ্ট কি না বলে পায় বল। যদি কষ্ট পাস না বললে কষ্ট না পাওয়া হতো তাহলে কতোই না ভালো হতো,
চলবে,

সিক্রেট গ্যাংস্টার পর্ব-০৫

0

#সিক্রেট_গ্যাংস্টার♥
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
#পর্ব_০৫
রাতে,
পড়ালেখা শেষ করে খাবার খেয়ে এসে জানালার কাছে বসলাম।
আকাশে অর্ধেক চাঁদ উঠেছে।
মনের মাঝে বাদামী রঙা চোখ দুটোর বিস্তার অস্বীকার করা সম্ভব না।
তার কথা ভেবে অজান্তেই ঠোঁটের কনে হাসি চলে আসে।
বাইরে আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবছিলাম কথা গুলো।
এমন সময় ফোন শব্দ করে বেজে উঠলো।
ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখি অচেনা কোন নাম্বার,
ফোনটা হাতে নিয়ে ফোনটা ধরলাম,
— হ্যালো আসসালামু আলাইকুম,
–আলাইকুম আসসলাম প্রিয়।
অর্ধ চাঁদ টদ হেঁসে আমাকে তোমার কথা বলছিল। তুমি কি তার খোঁজে রাখো।
তার কন্ঠ শুনে হেঁসে দিলাম আমি বুঝতে পারলাম সে কে।
–না আমি খোঁজ রাখি না যাকে চাঁদ হেঁসে হেঁসে বলে সে খোঁজ রাখলেই হবে।
–আচ্ছা তাই নাকি।
–এক দম তাই।
–পড়ালেখা শেষ?
–হুম শেষ।
–খেয়েছো?
–হুম আপনি?
–হুম খেয়েছি।
তো ম্যাম কার কথা ভাবছিলেন আপনি।
–কার কথা ভাব্বো ভাবার মতো মানুষ নাই আমার।
–আচ্ছা তাই নাকি।
–হুম।
–কিন্তু আমার তো মনে হয় আছে,
–আপনার যদি মনে হয় আছে তো আপনি বলে দিন সে কে,
–কেন যার সাথে কথা বলছো সে।
–আপনি কোন দেশে গেছেন?
–বেশি দুরে না ইন্ডিয়া আসছি।
–ওহ,
কখন পৌছায়ছেন?
–এই তো কিছু সময় আগে হোটেলে এসেই তোমায় ফোন করেছি।
–ওহ আচ্ছা বুঝেছি।
–কি বুঝেছো?
–কিছু না।
–আচ্ছা আমি রাখছি তুমি ঘুমিয়ে পরো।
–হুম আল্লাহ হাফেজ।
–আল্লাহ হাফেজ।
ফোনটা কেটে গেল।
আমি গিয়ে শুয়ে পরলাম
তার শুতেই ঘুম চলে এলো,
,
,

–মেঘ আমার মেঘ সত্যি আমার অস্তিত্ব তোমায় ছাড়া সম্ভব না খুব বেশি ভালোবাসি তোমায়।
,
,
,
সকালে,
হেঁটে এসে বাসায় মাকে বললাম খেতে দিতে,
মা খেতে দিলেন,
গোসল করে খাবার খেয়ে সোজা ঋতুর সাথে ভার্সিটি তে চলে এলাম।
এসে ঋতুকে বললাম কালকের ঘটনা।
,–কি বলিস রে এতো দুর।
–অনেকটা দুর।
,–দোস্ত ছেলেটাকে কখনো দেখিস নি। ঠিক হচ্ছে এগুলা।
–আমি কিছু জানি না দোস্ত তিনি আমার অস্তিত্ব হয়ে গেছেন তাকে ভুলা সম্ভব না।
তুই একটু বোঝ।
–হুম আমি সব সময় তোর পাশে আছি।
–ধন্যবাদ সোনা।
–আমাকে ধন্যবাদ দিতেছিস (চোখ সরু করে)
–আরে না না তুই যে কি বলিস।
–হুম চল ক্লাসে।
আমরা ক্লাসে চলে এলাম।
,
,
,
আরিফ খানের অফিসে,
–আজিজ রায়হান স্যার আপনাকে বড়ো স্যার ডেকে পাঠিয়েছে।
পিয়নের কথায় আজিজ রায়হায় চেয়ার ছেড়ে উঠে বসের কেবিনের দিকে যায়।
–স্যার আসবো।
–আরে আজিজ তুই আসবি তার জন্য আবার ফর্মালিটির কি দরকার।
–আরে যতোই হোক বস তো বসি তাই না।
–আয় আয়।
আজিজ রায়হায় ভেতরে প্রবেশ করলো
–বস।
–হুম বল (বসতে বসতে বলল আজিজ রায়হান)
–দেখ তোর আমার বন্ধুত্ব অনেক দিনের।
–হ্যাঁ অনেক দিনের।
–তুই তো জানিস আমার একটা মাত্র ছেলে।
ওর হবার সময় ওর মা মারা যায়।
–হ্যাঁ তোর ছেলে তো মাসআল্লাহ আল্লাহ তাকে নিজ হাতে তৈরি করছে।
–তোর আমার ছেলেকে পছন্দ তো।
–হ্যাঁ পছন্দ তো অবশ্যই তোর ছেলে পছন্দ হবার মতো মানুষ।
–দেখ বন্ধু আমি আমাদের বন্ধুত্ব কে আরো একটা মধুর সম্পর্কে পরিনত করতে চাই ।
–তুই কি বলতে চাচ্ছিস?
–আমি তোর মিষ্টি মেয়েটাকে আমার বাড়ির বৌ করতে চাই।
–কি বলছিস তুই এ তো খুশির খবর।
–হ্যাঁ সময় এসে গেছে আমাদের বন্ধুত্ব কে বেয়াই বেয়াইয়ের সম্পর্কে পরিনত করার তোর মেয়েটাকে আমার খুব ভালো লাগে।
আমার ঘরে কোন মেয়ে মানুষ নেই ও চারিদিকে আলো করে রাখবে আমি জনি ও পারবে।
–তুই আমার মেয়ের উপর ভরসা রাখিস এটা শুনেই আমি খুশি।
–তোর মেয়েটা আসলে খুব নরম মনের একটা মানুষ। আর সত্যি বলতে আমার একটা মেয়ে চাই বৌ না।
দিবি তোর মেয়েকে আমার ঘরের মেয়ে হিসাবে।
(আজিজ রায়হান এর হাতটা ধরে কথাটা বলল)
— কি বলছিস তুই ইনোসোনাল করে দিলি। আচ্ছা তাহলে তুই কাল আমার বাসায় আয়।
–আসবো অবশ্যই আসবো কিন্তু আমার ছেলেটা দেশের বাইরে আছে ও দেশে আসলে এক বারে এসে বিয়ের দিন ফেলবো
–আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে সেটাই হোক।
–হুম।
এই খুশিতে মিষ্টি মুখ করাই চল অফিসের সবাইকে।
–চল,
আজিজ রায়হান আর আরিফ খান মিলে সবাইকে মিষ্টি বিতরন করলো।
,
,
,
ভার্সিটি থেকে বাসায় এসে কাপড় ছেড়ে শুয়ে পরলাম,
আমি শুতেই মিস্টার সাইন্টিস্ট ফোন করল,
–কি ব্যাপার এতো সময় পর মনে পরলো,
–কাজে ছিলাম কাজ করতে এসেছি তুমি জানো।
–হুম বুঝেছি,
–তুমি তো সব বুঝো পিচ্চি।
–এই আমি পিচ্চি না,
–মেঘ মা (মেঘের আম্মু)
–এই আম্মু ডাকে বাই।
–ওকে বাই।
ফোনটা কেটে মায়ের কাছে গেলাম,
–হ্যা মা বলো।
–এদিকে এসো বসো।
–বাবা তুমি কখন এলে?
–এই তো মাত্র মা।
–কি হইছে তোমরা খুব খুশি মনে হচ্ছে?
–হ্যাঁ একটা খুশির খবর আছে।
–কি খবর।
–মেঘ মা,
বাবা আমার হাত দুটো ধরলেন,
–তুমি আমাদের মেয়ে তুমি তো জানো আমরা কখনো তোমার খারাপ চাইবো না।
–হ্যাঁ বাবা জানি।
–ছোট থেকে তো সব অভাব পুরোন করেছি তাই না সব দিয়েছি যা চেয়েছো।
–হ্যাঁ বাবা
–তাহলে আমি আজ তোমার থেকে কিছু চাইবো দিবে?
–অবশ্যই বাবা কি চাও বলো?
–তোমার বিয়ে ঠিক করেছি আরিফ খানের ছেলে আমান খানের সাথে,
বাবার মুখে বিয়ে কথাটা শুনে বুকের মধ্যে ৪২০ ভোল্ট এর ঝটকা খেলাম।
অজান্তে চোখের কোনে পানি চলে এলো
–আরিফ আজ আমার কাছে তোকে তার বাড়ির মেয়ে হিসাবে চেয়েছে।
আমি তার কথা ফেলতে পারি নি আমি জানি আমি তাকে তোর কাছে না শুনে কথা দিয়েছি।
কিন্তু আমরা জানি তোর কোন পছন্দ নেই তাই রাজি হয়েছি।
মা তুই না করিস না আমান কোন অংশে খারাপ ছেলে নয়।
–বাবা কিন্তু একটা বার,
–মারে আমি আমার সব থেকে কাছের বন্ধু কে কথা দিয়েছি মা।
আমি আর কিছু বলার মতো অবস্থা তে নাই চুপচাপ ঘরে থেকে বেরিয়ে এলাম।
ঘরে এসে দেখি ১০ টা ফোন কল।
সব গুলা ব্লক করে দিয়ে ঋতুকে ফোন দিলাম,
–হ্যালো দোস্ত,
–ঋতু তুই কই বাসায় আয় জলদি। (কেঁদে)
–তুই কাঁদছিস কেন কি হইছে?
–তুই বাসায় আয় জলদি।
কথাটা বলে ফোন কেটে দিলাম।
–ও মা কি হলো হটাৎ করে,
ঋতু জলদি ওড়না পেঁচিয়ে মেঘের বাসার দিকে রওনা হয়।
মেঘের বাসায় এসে কলিং বেল বাজাতে মেঘের মা দরজা খুলে,
–কিরে মা কেমন আছিস?
মেঘের মায়ের হাসি দেখে ঋতু বুঝতে পারে শুধু মেঘের কিছু হইছে,
–এই তো ভালো আন্টি মেঘ কই।
–ওর রুমে বোধ হয়। খুশির খবর আছে একটা।। —
–কি খবর।
–ওকে ঘরে না আসতে দিয়ে তুমি খবর শুনাচ্ছো।
–ওহ হ্যাঁ ঘরে আয়।
ঋতু ঘরে আসতে মেঘের মা দরজা লাগিয়ে দিলো,
আর ঋতুকে সব বলল,
এবার ঋতু বুঝতে পারলো মেঘের কি হইছে,
–আলহামদুলিল্লাহ আন্টি আমি একটু মেঘের কাছে যাই।
–হ্যাঁ যা।
ঋতু মেঘের রুমে চলে এলো,
ঋতু রুমে আসতে দরজা বন্ধ করে ওকে জড়িয়ে কাঁদতে লাগলাম,
–দোস্ত কাদিস না।
–কি করব আমি। বাবা আমার হাত ধরে কথাটা বলেছে জীবনে প্রথম আমার থেকে কিছু চেয়েছে। (হেঁচকি তুলে)
–কি করতে বলব কি বলব আল্লাহ কিছু বুঝতেছি না তুই কদিস না।
আমার ভালো লাগে না তোর কান্না
চলবে,
(আমি রিচেক দিতে পারি নি বানা ভুল হতে পারে তার জন্য অগ্রিম ক্ষমা প্রার্থী)

সিক্রেট গ্যাংস্টার পর্ব-০৪

0

#সিক্রেট_গ্যাংস্টার♥
#পর্ব_০৪
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
–আমি কাল আজিজ এর সাথে কথা বলব তোদের বিয়ের বিষয় এ আমান।
–বাবা আমার কিছু দিন সময় লাগবে লাইক ১৫-১৬ দিন।
এই কিছু দিন সময় দেও তার পর বইলো আঙ্কেল কে।
–কেন তোমার সময় কেন লাগবে
–একটা প্রোজেক্ট এ কাজ করছিলাম তোমার জন্য
–ওহ সেই লন্ডন এর সরি বাবা আমি তো ভুলেই গেছিলাম।
–হ্যা বাবা আমার মনে আছে সো তুমি একটু দেরি করো।
–ঠিক আছে,
রাতে খাবার শেষে বাবা আর ছেলে দু’জন দু’জনের ঘরে চলে যায়,
এদিকে,
খাবার শেষ করে রুমের মধ্যে বসে বোরিং ফিল করছি।
–ধুর কি করমু ঋতুরে ফোন দেই।
যেই ভাবা সেই কাজ।
ঋতুকে ফোন দিলাম,
–হ্যালো দোস্ত,
–হ্যাঁ দোস্ত কি খবর?
–দোস্ত খবর তো দুপুরে হলো
–কি খবর।
–সেই লোকটা না আবার আসছিল।
–কি বলিস।
–হ্যাঁ এবার বলল যদি আর দেখেছি লেকট টা খুলতে তাহলে খবর আছে।
–এই যাহ এটা তো সমস্যা হয়ে গেল যে লোক না বলে কয়ে ঘরে আসতে পারে সে তো অনেক কিছু করতে পারে।
–হুম সেটাই ভাবছি তার পর আবার আমার বাবাও তো।
–থাক আমি তো জানি সব।
–হুম
কি করব দোস্ত?
–আচ্ছা এখন আপাতত ঘুমা কাল ভার্সিটি তে কথা হবে।
–আচ্ছা ওকে।
–আচ্ছা রাখি।
–আল্লাহ হাফেজ।
ফোনটা কেটে শুয়ে পরলাম
ঘুম চলে এলো কিছু সময়ের মধ্যে।
,
সকালে,
ঘুম থেকে উঠে নিয়ম মতো নামাজ পড়ে বের হলাম হাঁটতে,
সকলের মিষ্টি বাতাস খুব ভালো লাগে।
আজ ঋতু আসে নি ওর নাকি ভালো লাগছে না।
ঋতু আসে নি কিরন দাদা তো আসবে না।
তাই একলা ই বের হলাম।
কিরন দাদা বারন করেছিল কিন্তু আমি বের হলাম ইচ্ছে করে।
যাক সময় টা সুন্দর
হেডফোন কানে দিয়ে হাঁটছি,
হটাৎ সামনে কোথা থেকে উড়ে এসে হাতে কিছু রজনীগন্ধা ফুল নিয়ে দাঁড়ালো সেই বাদামি চোখের অধিকারি লোকটা।
তাকে দেখে থমকে গেলাম আমি।
–কি গো মায়া পরি আজ একা কেন?
–বন্ধু অসুস্থ।
–ওহ আচ্ছা তাই বলে একা বার হলে কেন?
–আপনার সমস্যা?
— সমস্যা তো আমারি সোনা তুমি যে আমার বৌ হবে আমার সমস্যা না তো কার সমস্যা হবে।
–দেখুন আমার আপনার সাথে কথা আছে।
–বলে ফেল।
–বসতে হবে তার জন্য।
–ওকে,
লোকটাকে নিয়ে একটা বেঞ্চে বসলাম।
বেশ অনেকটা দুরত্বে।
এটাই সময় আমাকে জানতে হবে ওর সম্পর্কে,
–দেখুন আপনি কে?কেন করছেন এগুলা? কি চান?
আমি আপনাকে কখনো দেখি নি এভাবে আপনার আমার বাড়ি আসাটা কখনোই ঠিক নয়।
মানুষ দেখলে আমাকে খারাপ বলবে।
আর আপনি অদ্ভুত একটা মানুষ মাত্র দু দিনে আমার ব্রেনে আমার মনে সব স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন।
সব সময় আপনাকে নিয়ে ভাবি আমি আসলে আপনি কে? কি চান?আমি আর পারছি না এগুলা নিতে।
পড়তে গেলে, খেতে গেলে,ঘুমতো গেলে, ইত্যাদি ইত্যাদি মানে সব সময় আপনার বাদামি চোখ দুটো ভাসে।
আমার কথা গুলো শুনে দম মেরে রইলো লোকটা কিছু সময়।
–আমি কে?
আমি এক জন সাইন্টিস্ট।
কেন করছেন এগুলা?
ভালোবাসি তোমায় আজ থেকে নয় ২বছর আগে থেকে।
কি চান?
শুধু তোমাকে চাই পৃথিবীর আর কিছু চাই না।
–সাইন্টিস্ট! নাম কি আপনার?
–নাম শুনে কি হবে আমি এখনো দুনিয়ার সামনে আসি নি তবে খুব শীঘ্রহি আসবো। বড়ো একটা সারপ্রাইজ নিয়ে।
–আপনি কি পাগল কি বলছেন এগুলা।
–এক প্রকার আমাকে পাগল বলতে পারো কিন্তু সেটা তোমার পাগল আর কারোর নয়।
–কি আজব।
–আমি তোমাকে আমার মুখ দেখাতে পারব না কিন্তু তোমাকে খুব ভালোবাসি এটা চিরন্তন সত্যি।
তার কথা গুলো শুধু শুনছি।
খুব চেনা চেনা লাগছে যেন আগে কখনো শুনেছি।
অবাক নয়নে তার দিকে তাকিয়ে আছি,
–কি হলো এভাবে কি দেখছো?
–আমি কিছু জানি না আপনি সব ক্লিয়ার করুন আমার সামনে।
–করব সময় দেও সব বলব সব করব কিন্তু কথা দিতে হবে আমি ছাড়া অন্য কারোর হতে পারবে না।
–আমি কাউকে এমন কথা দিতে পারবো না কারন আমার মা বাবা আমার সব।
–সমস্যা নাই তোমার বিয়ে আমার সাথে ছাড়া হবেও না।
সো চিল।
কথাটা বলে তিনি উঠে আমার কপালে একটা চুমু দিয়ে ঝড়ের গতিতে চলে গেলেন।
তার স্পর্শ পেয়ে আমি ঠান্ডা ফ্রিজ হয়ে গেছি। কি করল ছেলেটা।
এটা কি ছিল?
আল্লাহ মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে সব।
কিছুই ভাবতে পারছি না।
আমি কিছু সময় বসে থেকে বাসায় চলে এলাম।
বাসায় এসে গোসল করে খেয়ে ভার্সিটি তে চলে এলাম।
ঋতু আজ একটু আগে আসছে।
,
–দোস্ত।
–হ্যা বল।
আমি ওকে আজকের ঘটনা বললাম।
–কি বলিস লোকটা সাইন্টিস্ট!
–হ্যা।
–নাম?
–বলে নি তো
–কি আজব কথা বর্তা।
–আরে আমি তো গুলায় যাচ্ছি রে।
–একটা সত্যি কথা বল মেঘ।
–কি?
–সত্যি বলবি তো?
–হুম।
–তুই পছন্দ করিস ওনাকে?
–সত্যি বলব?
–হুম।
–অনেকটা।
–কি বলিস!
–হুম দেখ আমার তো কোন হাত নেই আমার ভালো লাগা না লাগার উপর বল তুই।
–হ্যা তা নেই কারোরই থাকে না কিন্তু।
–কিন্তু কি?
–এতো কম সময়ে তাকে তো দেখিও নি আমরা কেউই চিনিও না।
–আমি বুঝতে পারতেছি না কিছু।
দোস্ত কি করব আমি?
–আমি তো কিছু বুঝতেছি না কি করতে বলব।
–তুই এই কথা বলছিস?
–না না রাগ করিস না।
–ধুর।
–আচ্ছা শোন।
–কি বল,
–আজ যদি উনি তোর সামনে আসে তবে ওনাকে সব বলবি তুই দুর্বল হয়ে পরছিস ইচ এন্ড এভরিথিং সব কিছু বলবি কোথায় সমস্যা কি কি সব।
–তার পর?
–তার পর উনি ঠিক কি উত্তর দেয় তোকে সেটা তুই আমাকে বলবি।
–আচ্ছা ওকে।
–হুম চল ক্লাসে।
–হুম চল।
দু’জনে ক্লাসে চলে এলাম।
এসে এক খবর শুনতে পায় আমান স্যার আসবে না কিছু কাজের জন্য দেশের বাইরে গেছে।
তাই অন্য স্যার ক্লাস নিবে।
কথাটা শুনে ক্লাসের বেশির ভাগ মেয়ের মুখ মলিন হয়ে গেল।
কারন স্যার কথা গুলা অনেক সুন্দর যার জন্য সব মেয়েগুলা তার উপর ক্রাশ।
আমি আর ঋতু ক্লাস শেষ করে বাসায় চলে এলাম
বাসায় এসে আমি খাবার খেয়ে দুপুরে ঘুম দিলাম।
,
,
,
–বুঝলে মেঘের মা দেশের ভেতর কিছু সাইন্টিস্ট একটা জীবাণুর উপর গবেষণা করছে।
–কি রকম?
–জীবাণু টা করোনা থেকে শক্তিশালী এবং জটিল যার শরীরে প্রবেশ এর সাথে সাথে মানুষের ১-২ দিনের মধ্যে মৃত্যু হবে।
–ও মা সে কি তাহলে এগুলা নিয়ে গবেষণা করে কি লাভ।
–এমন কিছু আসলে তার ঔষধ তৈরি করা খুবই কঠিন।
–তাই তো বলছি এট করে লাভ কি।
–এটা শুধু গোয়েন্দা দের ধারনা আসল প্রমান এখনো পাওয়া যায় নি।
–ওহ আচ্ছা। না সত্যি হলেই মঙ্গল।
–সব কিছুর জন্য আল্লাহকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত।
–হুম তা ঠিক শুকরিয়া সব কিছুর জন্য।
,
,
,
দুপুরে অনেক সময় ঘুমানোর পর ঘুম ভাঙলো বিকাল ৫ টায়।
ঘুম ঘুম চোখে বিছনায় শোয়া থেকে উঠে বসলাম।
চোখ ডলতে ডলতে সামনে হাম ছাড়ছি।
–এতো সময় ধরে কেউ ঘুমায়।
হটাৎ করে কোন ছেলে মানুষ এর কন্ঠ পেয়ে চমকে উঠলাম।
পাশে তাকাতে দেখি লোকটা দিব্বি আমার পড়ার চেয়ারে পায়ের উপর পা তুলে বসে আমার দিকে তাকিয়ে মিটি মিটি হাসছে,
আমার চোখ রসগোল্লার মতো বড়ো বড়ো হয়ে গেছে,
–এই সমস্যা কি আপনার আমার রুমে কি করে এলেন?
–ওই জানালা দিয়ে।
আমি তাকিয়ে দেখি জানালা টা খোলা।
–বাহ জানালা খোলা তাই বলে ঘরে চলে আসবেন?
–হুম আমি আসবো না তো কে আসবে?
–দেখুন আপনি এভাবে আর আমার রুমে আসবেন না।
–ঠিক আছে আসবো না। আমি বাইরে যাচ্ছি কিছু দিনের জন্য সময় মতো ফোন ধরবে বুঝেছো?
–কেন কই যাচ্ছেন?
–যাচ্ছি একটা কাজে দোয়া করো আল্লাহ হাফেজ।
–হ্যাঁ আল্লাহ হাফেজ।
— ও হ্যা কিছু একটা দিতে এসেছি।
–কি?
লোকটা কিছু চকলেট বের করে আমার টেবিলে রেখে তার আসার জয়গা দিয়ে চলে যায়।
আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম তার যাবার দিকে।
তার উপস্থিতি আমর ভালোলাগে।
সত্যি ভিশন ভালো লাগে।
চলবে,
(গঠন মূলক মন্তব্য করবেন প্লিজ)

সিক্রেট গ্যাংস্টার পর্ব-০৩

0

#সিক্রেট_গ্যাংস্টার♥
#পর্ব_০৩
#লামিয়া_রহমান_মেঘাল
–মেঘ খেতে আয় মা।
আমি মায়ের কথা শুনে ডাইনিং টেবিলে এলাম,
–কি ব্যাপার মামনি তুমি রাতে ঘুমাও নি?
–কেন আব্বু হটাৎ এই প্রশ্ন করছো কেন?
–তোমার চোখ দেখে মনে হয় রাতে ঘুম হয় নি।
–না আব্বু তেমন কিছু না।
–হুম ঠিক আছে।
খাবার শেষ করে রওনা হলাম ভার্সিটির উদ্দেশ্যে,
রাস্তা থেকে ঋতু উঠলো,
আমাকে কিছুটা উদাস দেখে ঋতু বলল,
–কিরে বেব তোর কি হইছে?
–বেব তোর সাথে না কথা আছে?
–কি কথা?
–ভার্সিটি চল বলছি।
–ওকে।
দেখতে দেখতে রাস্তা শেষ হলো আমরা ভার্সিটি পৌঁছে গেলাম
এবার ভেতরে প্রবেশ করে ঋতুকে নিয়ে একটা গাছের ছায়াতে বসলাম,
–বল কি বলবি,
আমি ওকে গত কিছু দিনের ঘটনা সব খুলে বললাম।
–কি বলিস এতো কিছু কি করে কি।
–হুম এতো কিছু কি করব বলতো বুঝতে পারছি না।
এই দেখ সেই লকেট
আমি ওকে লকেট টা দেখালাম।
ও দেখে বলল,
–আমারো না একটা কথা ছিল।
–কি কথা?
–বেব তোকে সে দিন বাসায় পৌঁছে দেবার পর কি হলো,
–কি হলো,
–স্যার ফোন দিয়েছিল।
–আমান স্যার?
–হ্যাঁ আমান স্যার।
–কি বলল,
–বলল তুই ঠিক আছিস কি না?
–কেন বলতো।
–আমার মনে হচ্ছে ওই লোকটা আমান স্যার।
–নারে ঋতু এটা হয় কেমনে আমান স্যার আর ওই লোকটা সম্পূর্ণ আলাদা দুটো মানুষ।
–তাও ঠিক আমান স্যার একটা খুব নিতির মানুষ।
–হুম।
–একটা বুদ্ধি পাইছি।
–কি বুদ্ধি?
–তুই এই লকেট টা খুলে ব্যাগে রাখ।
–তার পর?
–যদি ভার্সিটি থাকা কালিন ওই মুখোশ পরা লোকটা আসে তবে ভাব্বি ওটা আমান স্যার আর যদি না আসে তবে ওটা অন্য কেউ।
–কিভাবে কি ্
–আরে কিভাবে কিছু না তুই শুধু আমার কথা মতো কাজ কর।
–হুম।
ওর কথায় আমি লকেট টা খুললাম।
খুলে ব্যাগে রেখে আমরা ক্লাসে চলে এলাম।

ক্লাসে গিয়ে দেখি স্যার এখনো আসেন নি।
তাই দু’জন বসে গল্প করছিলাম।
প্রায় অনেকটা সময় পর ক্লাসে আসলেন স্যার আমান স্যার।
ওনার ক্লাসে আমি ভেবেছিলাম আজ অপমানিত হবো কিন্তু দেখি না লোকটা আজ খুব সুন্দর করে ক্লাস করিয়ে বেরিয়ে গেল
আমি আর ঋতু দু’জন দু’জনের দিকে তাকালম।
–মনে হচ্ছে না সেই লোকটা আমান স্যার। (ঋতু)
–হুম সেম হেয়ার বেব।
–হুম
–আচ্ছা চল আমরা গিয়ে একটু ফার্স্ট ফুড খাই।
–হুম চল।
আমি আর ঋতু চলে এলাম এক ফুচকা দোকানের সামনে।
দু’জন বেশ মজা করে ফুচকা খেলাম
আমরা টাকা দিয়ে আসতে যাবো তখন পেছন থেকে কিরন ভাইয়া ডাক দিলো,
–এই ঋতু মেঘ,
আমরা পেছনে ফিরে দেখি ভাইয়া
আমাদের দিকে এগিয়ে আসছেন,
–কি ব্যাপার তোমরা আজ জলদি জলদি,
–ভাইয়া আজ তো একটা ক্লাস ছিল
–ওহ তাই তো
–হুম তোমার কি অবস্থা এমন শুকনা লাগে কেন মুখ (ঋতু)
–হায় হায় কি প্রেম উফ(হেসে বললাম)
–মার খাবি মেঘ।
–আসলে আজ সকালে খেয়ে আসতে পারি নি খাবার পছন্দ হয় নি তাই।
–ও মা তা নিজে রান্না করতে (ঋতু)
–নাহ ভাবছি এক বারে তোমার হাতে রান্না খাবো।
–কি আজব কথা আমার হাতের রান্না কি করে।
–এই মুখে মুখে।
আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ওদের প্রেম দেখছি আর হাসছি,
–কিরে হাসিস কেন.
–সিঙ্গেল মানুষের কাছে এগুলা হাস্যকর।
–হ্যা তা ঠিক বলেছো আপু। তা করব নাকি ব্যাবস্থা তোমার?
কিরন ভাইয়ার কথায় সবাই হেসে দিলাম।
–আচ্ছা ঋতু তুই ভাইয়ার সাথে যা ঘুরে আয় আমি বাসায় যাই।
–আচ্ছা একা পারবি।
–তোর আমাকে বাচ্চা মনে হয়?
–,না ঠিক তা না কিন্তু তোর তো শরীর ভালো না।
–আরে না সমস্যা নাই তুই যা এমন সময় আর পাবি না।
–আচ্ছা ঠিক আছে,
তুমি ওকে রিকশায় তুলে দেও।
–হ্যা আপু আসো আমার সাথে,
ভাইয়া আমাকে রিকশায় তুলে দিলো আমি বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
বাসায় এসে কাপড় পাল্টে ফ্রেশ হয়ে বিছনায় শুয়ে পরলাম।
খুব টায়ার্ড লাগছে।
চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছি, দেখি ঘুম আসে নাকি।
,
এদিকে মেঘের বাসয় এসে চুপচাপ মেঘের মাকে ফাকি দিয়ে মেঘের রুমে ঢুকেছে সেই অচেনা লোকটা।
মেঘের রুমে এসে মেঘকে এভাবে চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকতে দেখে মুচকি হেসে আস্তে আস্তে তার কাছে গিয়ে বসে,
–আমার দেওয়া লকেট টা তুমি খুলে ফেললে মেঘ আচ্ছা থাক সমস্যা নাই এবার পরিয়ে দিবো পরের বার খুললে দেখো কি করি।
(মনে মনে,)
★★,
আলো থেকে হটাৎ ছায়া হয়ে গেছে আমার সামনে কিছুটা অস্বাভাবিক ফিল হতে চোখ খুলে সামনে থাক লোকটাকে দেখে যেই না চিৎকার দিবো তখনি আমার মুখটা চেপে ধরে লোকটা,
–ওরে আল্লাহ তুমি কি করতে যাচ্ছিলা।
–উম,
–চুপ থাকো আমার লকেট খুলছো কেন পাজি মেয়ে।
আজ আবার পরিয়ে দিয়ে গেলাম এর পর যদি খুলছো মনে করো খবর আছে তোমার।
–উম(রেগে)
–আমার আকাশের মেঘের রাগ হচ্ছে নাকি।
–রক্তচক্ষু নিয়ে তাকিয়ে আছি আমি।
আমাকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে লোকটা আমার মুখ থেকে হাত সরিয়ে দেয়,
,–সমস্যা কি আপনার? কে আপনি? এভাবে আমার বাসায় কি করে আসছেন আমি আজি মাকে বলব।
–আমি কেন আসছি জানো?
–কেন?
–ভালোবাসি তাই।
–মানে কি!
–মানে টা সোজা, খুব বেশি ভালোবাসি।
লোকটা আমার এতোটা কাছে যে তার নিশ্বাস ঠিক আমার মুখের উপর পরছে হৃৎস্পন্দন ক্রমশ বেড়ে চলেছে।
তার চোখে এক অদ্ভুত মায়া আছে যে মায়ার আলোতে তলিয়ে যাচ্ছি আমি।
এই লোকটার চোখ দুটোকে দেখে বড্ড চেনা চেনা মনে হয়।
আমাকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে লোকটা মুচকি হেসে আমাকে চেইন টা দিয়ে আমার চোখের সামনে দিয়ে চলে গেল।
বুকের ভেতর ধকধক ভুমিকম্প চলছে
ভূপৃষ্ঠ মনে হয় এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় এক দম ডুম ডুম খেল খেলাচ্ছ।
লোকটার পারফিউম টা unique। কি সমস্যা আমি ও কি তাকে না দেখে ভালোবেসে ফেলতেছি নাকি। তার কাছে আসা আমার ভেতরে ভালো লাগা সৃষ্টি করে কেন।
ধুর কি সব ভাবছি আমি।
এভাবে আর চলে না আমাকে এর একটা ব্যাবস্থা করতে হবে।
,
,
,
সন্ধ্যা বেলা,
আমান তার বাবার সাথে বসে চা খাচ্ছে,
–বুঝলি বাবা তের জন্য মেয়ে দেখেছি।
–বাবা তুমি সব সময় এই কথা কেন বলো,
–এই তুই চুপ কর তো আমার কথাটা শোন,
আজিজ রায়হান আছে না আমার অফিসের কলিক। ওর একটা মেয়ে আছে। মেয়েটা তোর ভার্সিটি তে ইংরেজি ডিপার্টমেন্ট এ পড়ে। বেশ ভালো দেখতে।
–হুম মেয়েটার নাম জান্নাতুল মেঘে।
–কিরে তুই ওকে চিনলি কি করে?
–আমার স্টুডেন্ট,
–হ্যাঁ তো আজিজ রায়হান শুধু আমার কলিক না আমার বন্ধু ও বটে আমি ওর মেয়ের সাথে তোমার বিয়ে দিতে চাই।
কথাটা শুনে আমান কিছু সময় চুপ রইলো,
–কেন বাবা হাজার টা মেয়ে থাকতে ও কেন?
–কারন আমি জানি তুমি ওকে ছাড়া কারোর জন্য সৃষ্টি হও নি।
–ওর যদি পছন্দ থাকে?
–সে সব পরের কথা,
–বাবা
আমান মলিন চোখে তার বাবার দিকে তাকায় যার অর্থ তার বাবা ঠিকি বুঝতে পারে।
–চিন্তা করো না সব ঠিক হবে ইনশাআল্লাহ
–ইনশাআল্লাহ
,
এদিকে মন থেকে কি আর ব্রেন থেকে কি দুটোর কোনটা থেকেই যেন মুখোশ পরা সেই বাদামি রঙা চোখ দুটো সরতেই চাইছে না মেয়ের।
সারাটা দিন শুধু এই এক কথা ভাবতে আছে,
চলবে,
(মেঘ ভাবছে এক জনের কথা বিয়ে ঠিক হচ্ছে অন্য জনের সাথে আসলে হচ্ছে টা কি ভাবার বিষয় 🤔)

সিক্রেট গ্যাংস্টার পর্ব-০২

0

#সিক্রেট_গ্যাংস্টার♥
#পর্ব_০২
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
হটাৎ পেছন থেকে কেউ এসে আমাকে ধরে বসে।
তৎক্ষনাৎ আয়নার দিকে তাকিয়ে দেখি একটা মুখোশ পরা লোক আমার হাত দুটো সামনের দিকে ধরে দাঁড়িয়ে আছে,
–কে আপনি? মা মা
–চেচিও না তোমার মা এখন নাই চেঁচালে কিন্তু সমস্যা হবে।
ভয়ে চুপচাপ করে দাঁড়িয়ে রইলাম ।
ডাকাত নিশ্চিত কি করব চিৎকার দিবো কিন্তু ভয়ে গলা দিয়ে সাউন্ড বার হচ্ছে না।
লোকটা তার পকেট থেকে একটা লকেট সহ চেইন বার করে আমার গলায় পরিয়ে দিলো।
কি ব্যাপার ডাকাত তো নিতে আসে এ লোক কি আমাকে দিতে আসছে নাকি।
–এটা সব সময় পরে থাকবা। খুললে খবর আছে।
কথাটা বলে আমাকে ছেড়ে দিলো।
কিছু সময় এভাবে তাকিয়ে রইলাম লোকটার কাছে আসা ভয় দিচ্ছে, কিন্তু কেন জানি না ভালো লাগা কাজ করছে।
কিছু সময় এভাবে তাকিয়ে থাকার পর লোকটা দৌড়ে জানালা দিয়ে লাফ দিলো।
আমি আয়নার সামনে পাথরের নেয় দাঁড়িয়ে রইলাম।
কিছু সময় পর হুস আসতে দৌড়ে জানালা বন্ধ করলাম
হচ্ছে টা কি এসব আমার সাথে।
গলায় হাত দিয়ে লকেট টা দেখলাম
এটা পাথরের সেই লকেট টা যেটা আমি ৫০ টাকার জন্য কিনতে পারি নি। কিন্তু আমার খুব বেশি পছন্দের ছিল।
কিন্তু উনি কে ছিল এভাবে কি করে আসলো আর এটা বা কেন দিলো।
ধুর সব কেমন গুলায় যাচ্ছে। কিন্তু সত্যি বলতে লকেট টা খুলতে ইচ্ছে হচ্ছে না মোটেও৷
লকেট টার দিকে তাকিয়ে কিছু সময় বসে রইলাম তার পর বই নিয়ে আবার বসলাম

অনেকটা সময় পড়ালেখা করার পর উঠে বাইরে এলাম।
মায়ের ডাক শুনতে পেয়ে,
,
এদিকে,
সেই মুখোশ পরা লোকটা তার ল্যাপটপ এর স্ক্রিনে মেঘের সব কান্ড দেখে হাসছে
–একটা বাচ্চা মেয়ের প্রেমে পরছি আমি।
সত্যি মেয়েটা আমার জীবনের উপর যেভাবে প্রভাব ফেলেছে ওকে ছাড়া বাঁচা সম্ভব না।
–স্যার আপনার খাবার সময় হয়ে গেছে। বড়ো স্যার আপনাকে ডেকেছেন ডাইনিং টেবিলে
–হুম আসছি,
,
,
অন্য দিকে,
আমান তার বাবার সাথে বসে গল্প করছে
–আমান বিয়ের সময় হইছে বাবা।
বিয়ে কথাটা শুনে আমান কিছু সময় চুপ থেকে উত্তর দিলো,
–বিয়ের সময় কি আদোও হবে বাবা কখনো
কথাটা বলে মাথা উঁচু করে বাবার দিকে তাকিয়ে হেঁসে দিলো আমান,
আমনের হাসির গভীর মানে টা তার বাবা বুঝতে পেরে তার ঘাড়ে হাত দেয়,
–মহান আল্লাহ তায়লা চাইলে সব হবে।
–আমি জানি বাবা কিন্তু তুমি তো জানো যে,
–স্যার ক্ষমা করবেন আপনাদের মধ্যে চলে আসলাম আসলে বাইরে এক জন বৃদ্ধ মহিলা এসে বার বার আমান স্যারের কথা বলছে,
আমান কথা থামিয়ে গার্ড এর সাথে সেই বৃদ্ধ মহিলার কাছে চলে এলো,
বৃদ্ধ মহিলা আমানকে দেখে খুব খুশি হলেন,
–আমার আকাশের চান্দ তুই আইছিস বাবা এখানের কেউ আমাকে তোর কাছে যেতে দেয় না রে বাপ।
–দাদি মা তুমি কি দরকার বলো।
ওনাকে ছাড়ো।
গার্ড রা মহিলাকে ছেড়ে দিলো,
–বাবা আমার একখান নাতনী ছিল যে পাতানো মনে আছে তোর?
–হ্যাঁ মনে আছে,
–ওর না ভিশন জ্বর অনেক নুন পানি মিশিয়ে পোট্টি দিছি কিন্তু কাম হয় না তুই যদি ওরে একটু হাসপাতালে নিতি তাহইলে মনডা কয় নাতনী আমার বাঁইচা যাইতো বাপ।
–তুমি চিন্তা করো না দাদি মা আমি দেখছি।
আমান সেই মহিলার সাথে কিছু লোক পাঠায় তার নাতনী কে হসপিটালে নিতে এবং কিছু টাকা দিয়ে দেয়
বৃদ্ধ মহিলা খুবই খুশি হয়।
,
,
,
রাতে মেঘ বিছনায় শুয়ে শুয়ে বার বার সেই মুখোশ পরা লোকটার কথা ভাবছে আর তার হাতটা ঠিক সেই লকেট টায়।
তার স্পর্শ কোন মতেই ভুলা সম্ভব না।
ঘুমই হচ্ছে না মেঘের।
খুব কষ্টে নিজেকে সামলে ঘুমিয়ে পরে,
এদিকে,
এগুলা দেখছে সেই অচেনা আগন্তুক,
–আমার বোঝা হয়ে গেছে যতোটা আমি তোমাকে চাই ততোটা তুমিও আমাকে চাও।
ভালোবাসার কমতি হবে না।
,
,
,
সকালে সূর্য উঠেছে চারিদিকে পাখির কিচিরমিচির ডাকে মেঘের ঘুম ভেঙে যায়,
ঘুম ভাঙতে উঠে তার নামাজ শেরে মর্নিং ওয়াক এ বের হয় ।
–ধুর এই ঋতু রোজ লেট করবে করবে তো করবেই ওকে আমি ধরে মারব।
কথাটা বলতে বলতে ঋতুকে ফোন করলাম,
–হ্যালো।
–হ্যা হ্যালো দোস্ত এই তো দুই মিনিট।
–তোরে আমি,
–সরি দোস্ত সরি,
–জলদি আয়,
–হ্যা এই তো তোর পেছনে,
পোছনে ফিরে দেখি ঋতু সাথে কিরন ভাইয়া।
ওদের দু’জন কে মানাই ভালো
কিরন ভাইয়া পুরো নাম কিরন দত্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস ডিপার্টমেন্ট এর স্টুডেন্ট, চিকুন চাকান ফর্সা ৫ ফুট ৯ ইঞ্চির এক জন লম্বা ছেলে। আমার বান্ধবি কিন্তু কম সুন্দর না। হলুদ ফর্সা ভাইয়ার মতোই চিকুন চাকান একটা মেয়ে। ওদের দু জন কে খুব বেশি মানায়।
সত্যি বলতে দু জন দু’জন কে ভিশন ভালোবাসে।
–কিরে চল (ঋতু)
–হুম দুই প্রেমের পাখিদের সাথে আমার কাজ নাই তোমরা আগে হাঁটো আমি পেছনে হেডফোন কানে হাটবো।
–কি যে বলো বোন (কিরন ভাইয়া)
–কি বলব বলেন ভাইয়া বলতে তো অনেক কিছু ইচ্ছে হয় (দাঁত কটা বের করে কথাটা বললাম)
–মেঘ মার খাবি। (ঋতু)
–না বেব মার খাবো না।
–আপু কালকে জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।
–বাদ দিন ভাইয়া কালকের কথা না মনে করি।
–হুম চলো হাটি।
–হুম চলুন,
ওরা সামনে আর আমি পেছনে কানে হেড ফোন গুঁজে হাটছি।
বেশ কিছুটা সময় পর আসছে এলটা গোলি এটা পার হলে উল্টো দিকে ঘুরে বাসার দিকে রওনা হবো।
তখন ভাইয়া বলল,
–মেঘ তুমি সামনে এসো এই যায়গা টা ভালো না।
–না ভাইয়া সমস্যা নাই হাঁটেন আমি আপনাদের পোছন পেছনই আসছি।
–সত্যি তো।
–হ্যাঁ ভাইয়া।
ওরা হাঁটছে আমি পেছন পেছন।
হটাৎ করে হাতে হেঁচকা টানে পাশের একটা দোয়ালের আড়াল হয়ে গেলাম।
আমি চিল্লাতে যাবো তখনি সামনে থাকা মানুষ টা আমার মুখ চেপে ধরল,
চোখ তুলে তাকিয়ে দেখি সেই মুখোশ পরা লোকটা,
–উম উম
–কি উম উম তোমায় দেখতে ইচ্ছে হচ্ছিল এর থেকে ভালো জায়গা পাই নি তাই চলে এলাম।
মাতুব্বরি করে ভাইয়াকে সামনে পাঠালাম এবার যদি এই ব্যাটা কিছু করে ভেবেই কলিজা কেঁপে উঠছে রে।
আমি সমান তালে ছুটাছুটি করছি কিন্তু লোকটা আমাকে ছাড়ছেই না।
কিছু সময় পর ক্লান্ত হয়ে লোকটার দিকে তাকালাম।
লোকটা পলক হিন ভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। তার চোখে কোন খারাপ মানসিকতার ছাপ দেখছি না আমি দেখতে পাচ্ছি খুব বেশি ভালোবাসার ছাপ।
আমি আবার শব্দ করে উঠলাম
এবার লোকটা আমাকে ছেড়ে দিলো,
–যাও,
আমি দৌড়ে বের হলাম।
এসে দেখি ভাইয়া আর ঋতু আমাকে খুঁজছে,
আমাকে দেখে ঋতু এসে জড়িয়ে ধরে,
–গেছিলি কই গাধি।
–কোথাও না রে,
–মার খাস নি অসভ্য ভয় পাইছি জানিস।
–সরি।
–চল আর হাঁটতে হবে না বাসায় যাবো ক্লাস আছে আজকে।
–হুম চল।
ভাইয়া আমাদের দু’জন কে বাসায় পৌঁছে দিলো
বাসায় এসে গোসল করে খেয়ে রেডি হলাম ভার্সিটির জন্য।
কাজ আমি কাজের মতো করছি কিন্তু বার বার সুধু সেই অচেনা লোকের মুখোশ পরা মুখটা আমার সামনে ভেশে উঠছে।
কথাটা কাউকে বলতে তো পারছি না কিন্তু আমার কেন জানি না বার বার সেই লোকটার কথাই ভাবতে মন চাইছে,
চলবে,