Thursday, July 10, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 1503



সিক্রেট গ্যাংস্টার পর্ব-২১

0

#সিক্রেট_গ্যাংস্টার❤️
#পর্ব_২১
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
–তোর পারতে হবে কারন আমার বন্ধু হবার আগে তুই এক জন ডক্টর। অপেক্ষা করছেন তোর ল্যাবে ডক্টর অরিন্দম।
–স্যার ল্যবে বসে আছেন কিন্তু আমার মন সায় দিচ্ছে না মেঘ
–আকাশ প্লিজ আমাকে তুই একট সাধারণ মানুষ ভাব।
–একটা সাধারণ মানুষ ভাবলেও এ কাজ আমি করতে পারতাম না।
–আকাশ সময় চলে যাচ্ছে।
আকাশ মুখ ঘুরিয়ে চলে গেল।
ওদিকে অন্য এক জন ডক্টর এবং কিছু নার্স এলো,
আমার হাতে কিছু পুশ করার অনুভুতি আমার হলো।
মেঘের শরীর থেকে রক্ত বের হচ্ছে ক্রমশ ও ধবধবে সাদায় পরিনত হচ্ছে।
এ দৃশ্য আকাশের দেখা সম্ভব না।
এ যেন যেনে শুনে কোন একটা মানুষ কে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া তাও নিজের বান্ধবী কে।
আকাশ বেশ বুঝতে পারে হয় ত মেঘের কাছে আর বেশি সময় নেই।
এক জন মৃত মানুষের মতো ফ্যাকাসে রুপ ধারন করছে মেঘ ধিরে ধিরে।
চোখ বন্ধ করতে মনে হচ্ছে একটা বাগান । চারিদিকে পুষ্পে ভরা অসাধারণ মোহিত এক পরিবেশ।
এ সুগন্ধ আমাকে অন্য এক রকম ফিল দিচ্ছে।
এতো সুন্দর করে এতো যত্ন করে এই বাগান টা মনো হচ্ছে শুধু আমার জন্য তৈরি কর হয়েছে।
একটু সামনে একটা পরিষ্কার পুকুর।
সপটা পেরোতে এক জন মুখোশ পরা লোকের দেখা।
পকেটে হাত গুজে দাঁড়িয়ে আছে আমার দিকে তাকিয়ে।
মুখোশের তলে মিষ্টি সেই হাসিটা অসম্ভব সুন্দর।
আমি দেখতে পাচ্ছি না সেই হাসি কিন্তু আমি ফিল করতে পারছি।
আমি বুঝতে পারছি যে সে আমার প্রথম এবং শেষ ভালোবাসা।
চোখের সামনে ভেসে আসছে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সব।
প্রথম সেই অনাকাঙ্ক্ষিত চড়টা।
তার পর এই মুখোশ পরে আমাকে ভালোবাসার কথা বলাটা।
বিয়েটা ভালোবাসার ছোট্ট ছোট্ট মুহূর্ত গুলো। সেই সব কিছু যা হয়ত পৃথিবীর বুকে বেঁচে থকবে চিরকাল।
যদিও মানুষ থাকে না চিরকাল
কিন্তু তাদের কৃতকর্মের জন্য তারা লোকমুখে বেঁচে থাকে চিরকাল।
সেই মানুষ টাকে ভিশন ভাবে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে হচ্ছে।
এক ছুটে তাকে আকড়ে ধরে এই সময় টাকে আমার উপভোগ করতে ইচ্ছে হচ্ছে।
এই মিষ্টি ফুলের ঘ্রাণ গুলো তার শরীরের ঘ্রাণের কাছে হার মানে।
তার বুকে মাথা দিয়েই কাটিয়ে দেওয়া যায় চির কাল।
এটা যে সেই #সিক্রেট_গ্যাংস্টার
আমার ভালোবাসা।
অসম্পূর্ণ ভালোবাসার কথা বেঁচে থাকে চিরকাল।
এতো সুন্দর অনুভুতি হটাৎ যেন সব কিছু অন্ধকার হয়ে আসছে সামনে থাকা মানুষ টা আমার থেকে বহু দুরে চলে যাচ্ছে আমি চাইছি তার কাছে যেতে কিন্তু পারছি না।
খুব ইচ্ছে হচ্ছে ছুটে ওর কাছে গিয়ে ওকে জড়িয়ে বলি ভালোবাসি তোমার সাথে থাকতে চাই কিন্তু পারছি না।
পায়ে কেউ সেকল দিয়েছে বন্দি হয়ে যাচ্ছি আমি একটা যায়গায়।
পৃথিবীর সমস্ত কষ্ট হয়ত আজ আমার ভেতর এসে যায়গা নিয়েছে।
ভিশন কষ্ট অনুভব হচ্ছে।
নিমিষেই আমার চারিদিকের মৌ মৌ করা সুন্দর পরিবেশ টা কেমন ফ্যাকাসে কালো হয়ে গেল।
সুগন্ধি গুলো হাওয়াতে বিলিন হয়ে গেল।
ফুল গুলো ঝড়ে গেল।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
এতোটুকু বলেই ঋতুর চোখ গুলো খুলে দিলো।
তার চোখে কান্নার অজস্র বিন্দু।
পানিগুলো বাঁধ মেনেছে ভিশন ভাবে নিঃশব্দে কান্না করে চলেছে ঋতু।
–মা তার পর কি হলো?
আরাবের কথায় ধ্যান ফিরলো ঋতুর।
চোখের পানি মুছে ছেলের দিকে তাকালো।
৩ টা ছেলেই তার জানার ভিশন আগ্রহ নিয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে।
সে পেছন ফিরতে তারা ৩ জন আবার প্রশ্ন করলো,
–কি হয়েছিল মা তার পর (আদ্রিয়ান)
–হ্যাঁ মা কি হয়েছিল সেই আন্টি টা কই (আদ্র)
–মা বলো না আন্টি আর আঙ্কেল দু’জন কই এখন(আরাব)
কিরন বাহির থেকে তাদের কথা শুনে ভেতরে প্রবেশ করে,
–আরে তোমরা তো দেখি গল্প ভিশন ভাবে করছো এখন আর কিছুর প্রয়োজন নাই পরে রাতে বাকি গল্প হবে এখন চলো আমার সাথে।
–কই যাবো বাবা?
–খেতে এসো ঋতু ওদের খেতে দিতে হবে।
ঋতু চোখ মুছে ফ্রেশ হয়ে বাইরে আসে
সবার মুখে হাসি।
খাবার টেবিলে সবাই বসে গল্প করছে আর খাচ্ছে।
–মা আন্টির কথা না জানতে পারলে না আমার খাবার গলা দিয়ে নামছে না (আদ্রিয়ান)
–হুম আঙ্কেল ও এমন ভালোবাসা কি সত্যি হয়। (আরাব)
ওদের কথায় ঋতু স্তব্ধ হয়ে কিছু সময় বসে রইলো।
সত্যি এতো ভালোবাসা কি হয়।
এ ভালোবাসা তো শুধু গল্পে হয়। কিন্তু কে জানত তা সত্যি হয়ে এভাবে প্রকাশ পাবে।
আর কেই না জানত এ ভালোবাসার পরিনাম শুখের না দুঃখের হবে।
এ পরিনাম কারোর জানা নেই।
কিন্তু ১৪ বছরের আরাব ঠিক বুঝতে পারছে এটা কোন গল্প না এটা সত্যি।
সত্যি তারা দু’জন দু’জনকে এতো ভালোবাসত যে তাদের কে ভুলা সম্ভব নয়।
এটা তো ভালোবাসা যা মানুষ কে চিরকাল জীবিত রাখে।
প্রতি মুহূর্তে অনুভব দেওয়ায় যে ভালোবাসা আছে।
সত্যি মানুষের মধ্যে কতোট টান থাকলে এতোটা ভালোবাসা যায়।
এতো রঙিন একটা অধ্যায় কি সত্যি কালো সমাপ্তি দ্বারা শেষ হবে।
নাকি কোন উপন্যাসের মতো এর কেন শেষ ই হবে না।
এতো মায়া এতো মমতা মিশ্রিত ভালোবাসার গল্পটাকি সত্যি শুভ পরিনতির মুখ দেখতে পেলো না নাকি এর পেছনে আরও কিছু গল্প আছে।
তা নিয়ে ভাবতে ভাবতে এক সময় ৩ ভাই ক্লান্ত হয়ে যায়।
আর ঋতু জানালার কোনে মাথা ঠেকিয়ে ভাবতে থাকে পুরোনো দিনের কথা গুলো

সত্যি দু’টো মানুষ তার জীবনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ দু’টো মানুষের মধ্যে পরত।
তাদের কে ভালোবাসার মানুষ হিসাবে বলতে পরাটা সত্যি একটা গর্বের বিষয়।
,
এ গল্পের শেষ কোথায় ছিল তা এক মাত্র ঋতুই বলতে পারবে।
তার সাত পাঁচ না ভেবে ৩ ভাই সোজা ঋতুর কাছে চলে যায়,
–মা এতো রঙিন একটা গল্পের শেষ অন্ধকার করে রাখলে কেন। (আদ্রিয়ান)
–হ্যাঁ মা আমরা জানতে চাই পরবর্তী তে ঠিক কি হয়েছিল প্লিজ মা চুপচাপ করে বসে থেকো না। (আরাব)
–তোমার চোখের পানি দেখে মনে হচ্ছে ওরা তোমার খুব কাছের কেউ ছিল তাই না মা (আদ্র)
–হ্যা মা খুব কাছ থেকে তাদের কে দেখেছো তুমি প্লিজ বাকি টুকু বলো (আদ্রিয়ান)
–বাকি সমাপ্তি টা ঠিক কি ছিল সত্যি কি এখানে সব কিছু অন্ধকার হয়ে গেছিল মা (আদ্র)
চলবে,

সিক্রেট গ্যাংস্টার পর্ব-২০

0

#সিক্রেট_গ্যাংস্টার❤️
#পর্ব_২০
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
বোতলটা নিয়ে এগোতে গেলে সামনে থেকে কিছু মানুষ চাঁদনি খানের পথ আটকে ধরে।
চাঁদনি খান দেখতে পায় তাদের সবার মুখে কালো কাপড় এর আবরণ।
বেশ একটা বড়ো সমস্যার পূর্বাভাস পাচ্ছে চাঁদনি খান।
এদিকে ল্যাবের দায়িত্বে পাহারায় যারা ছিল সবাই মাটিতে লুটিয়ে পড়ছে।
যার মানে হলো খুব বাজে কিছু হতে চলেছে,
চাঁদনি খান পেছতে থাকে লোক গুলো এগোতে থাকে।
পেছতে পেছতে এক দম দেয়ালের সাথে ঠেকে গেলে পাশে থাকা একটা ক্যামিকাল মাটিতে ফেলে দেয় চাঁদনি ফলে তার থেকে কিছু ধোয়া বের হয় যা পুরো ল্যাবকে আবৃত করে ফেলে।
সবাই যখন ব্যাস্ত হয়ে পরে তখন চাঁদনি সুযোগ বুঝে দৌড় দেয়।
–হে আল্লহ কোন মতে আহানার বাসায় পৌঁছাতে পারলে বাজি মাত হয়ে যাবে।
হে আল্লাহ আমাকে শক্তি দেও।
এদিকে ফোন টাও পরে গেছে।
ল্যাবের পেছনের জঙ্গলে ঢুকে গেছে চাঁদনি।
গন্তব্য আহানার বাসা।
সে প্রানপন ছুটেছে।
আশার একটা কিরন দেখতে পায় চাঁদনি খান।
সে দেখতে পায় সামনে রাস্তা আর এই রাস্তা ধরেই আহানার বাসায় পৌঁছাতে পারবে সে।
বেশ অনেকটা পথ দৌঁড়ানোর পর সে আহানার বাসায় পৌঁছে যায়।
কিন্তু এখনে এসে ও সব থেকে বড়ো ঝটকা টা খায়।
এখানে আহানা সেই কালো পোশাক পরা লেকগুলোর সাথে আছে,
যেখানে আরও আছে ইরফান।
এটা দেখে চাঁদনি খানের বুঝতে দেরি হয় না সে ভুল যায়গায় এসেছে,
কিন্তু এখান থেকে বের হবার কোন রাস্তা নেই।
চাঁদনি পেছনে দৌড়াতে গেলে তাকে ধরে বসা হয়।
চাঁদনির থেকে ব্যাগটা ওরা কেঁড়ে নেয়,
–চাঁদনি খুব বোকারে তুই তোর কষ্টের ফেল এখন আমরা উপভোগ করব কি বলিস।
–আমি সবাইকে সবটা বলে দিবো প্রমান করে দিবো সব আহান।
–সেই সুযোগ টা তুই পাবি না।
অতি দুঃখের সাথে জানানো যাচ্ছে সে তোর সন্তান আর তোকে মা বলে ডাকতে পারবে না ডাকতে পারলেও সে ডাক শোনার সৌভাগ্য তোর হবে না।
আরিফকেও শেষ বারের মতো চোখ বন্ধ করে দেখে নে।
কারন এর পর আর সুযোগ পাবি না।
চাঁদনি বুঝতে পারে ওর সময় ফুরিয়ে এসেছে তাই নিজের মনের ভেতরে থাকা সেই মাতৃত্বের ছোট্ট ইচ্ছে টা প্রকাশ করে,
–একটা শেষ ইচ্ছে আমার ছেলেটা আমার কোলে উঠতে চেয়েছিল ওকে শুধু দুর থেকে দেখতে চাই।
–পাগল পেয়েছিস আমাদের তোকে দুর থেকে দেখায় আর তুই বাজি মাত করে নে।
–ওকে এতো কথা বলার সুযোগ দেওয়াটাই উচিত নয়
ইরফান নিজের বন্দুক এর ৬ টা গুলি চাঁদনি খানের বুকে ঢুকিয়ে দেয়।
এক জন মা আর সন্তানের শেষ সেই ইচ্ছে টা আর পুরোন হলো না।
ভালোবাসার দুটো মানুষের ছোট্ট সেই সংসার টা তখন অপূর্ণ থেকে গেল।
ওরা বলল চাঁদনির এক্সিডেন্ট হইছে সেই ভাবে সব কিছু প্লান করে পুলিশ কে টাকা দেওয়া হলো।
এদিকে আরিফ খানের অবস্থা তখন ভলো ছিল না তার স্ত্রী এর এই কাজটার পর হয়ত তাদের অবস্থা ভালো হতে পারত।।
সে দিন আরিফ কিছুই করতে পারে নি নিকের স্ত্রী এর জন্য।
যে পিচ্চি আমনের মায়ের কোলে ওঠার কথা ছিল সে মায়ের লাশের পাশে বসে কান্না করেছিল।
চাঁদনি খানের বানানো সেই আবিষ্কার কেন এক ভুলের কারনে তাদের হাত ছাড়া হয়ে যায়।
তার পর হাজার এক্সপেরিমেন্ট করেও তারা পারে নি সেটাকে পুনোরায় তৈরি করতে।
এটাই হয়ত সৃষ্টিকর্তা চেয়েছিল।
সেদিনের পর থেকে আমানের মুখে শুধু মা কই মা কই ছাড়া কোন কথা শোনার সৌভাগ্য আরিফ খানের হয় নি।
আমান আরও একা হয়ে যায় যখন আরিফ কাজে যায়।
বর্তমান,
ধিরে ধিরে ছেলেটা আমার বড়ো হতে লাগল।। একটা সময় তাকে এই সবটা আমি খুলে বললাম।
তখন থেকে সে তৈরি করতে চেয়েছে এমন কিছু যা দ্বারা সে আহানা এবং ইরফান কে এক সেকেন্ড এ মেরে ফেলতে পারবে।
আর তা ছিল সেই সুক্ষ্ম জীবাণু টা যা মানুষের দেহে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে মাত্র কয়েক সেকেন্ড এ মানুষের মৃত্যু ঘটবে। যার ভ্যাক্সিন তোর মা তৈরি করেছিল।
কিন্তু এ ক্ষেত্রে সমাজ হলো এটা ছোঁয়াচে আমান যখন তাদের কে এটা পুশ করবে তখন পুরো দুনিয়ায় এটা মাত্র কিছু দিনে ছড়িয়ে যাবে আর সেটাই হচ্ছে।।
ওকে বলেছিলম এটা ভয়ানক কিন্তু ও শুনে নি।
ও এর নিরমল কি দিয়ে তৈরি করেছে আমার জানা নেই কিন্তু এটাকে থামাতে হবে এটাকে না থামালে সব শেষ হয়ে যাবে।
আমার ছেলেটা হয় ত নিজের মায়ের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে গিয়ে নিজেকে সেই মৃত্যুর মাঝে ঠেলে দিয়েছে।
বাবার মুখে সব কিছু শোনার পর আমার পৃথিবী যেন ঘুরতে থাকছে স্থির হয়ে এক জায়গায় থাকছে না।
কিছু বুঝতে পারছি না কি হচ্ছে।
যদি এটা খুব জলদি না ঠেকানো হয় তবে বাবার উপর প্রভাব পরবে বাবাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে আর আমানকেও ভুল ভাবা হবে।
না আমি এটা হতে দিতে পারি না।
যা করতে হবে আমাকে করতে হবে।
–বাবা আমানের ল্যাব কোথায়।
–বাসার গ্যারেজের তলে সিক্রেট রুম আছে।
–বাবা আপনি ঘরে থাকুন আমি না আসা পর্যন্ত আপনি সেভ থাকবেন আমি আসছি বাবা।
কথাটা বলে,
আমি দুই মিনিট দেরি না করে দৌড়ে চলে এলাম।
এখানে এসে আরেক ঝটকা খেলাম।
আমানের সব মুখোশ পরা ছবি গুলো এখানে।
আর এই মানুষ টাকে আমি চিনি।
এই সে যাকে আমি প্রথম ভালোবেসেছিলাম।
সেই প্রথম আর সেই শেষ।
–আমি কিছু হতে দিবো না আমাদের ভালোবাসার নামে কোন দাগ লাগতে দিবো না।
আমি জানি তুমি ঠিক আছো তোমার কিছু হতে পারে না।
আমি ঠিক করব এই সব কিছু শুধু তুমি ফিরে এসো আমান খুব বেশি ভালোবাসি তুমি ছাড়া চমি শূন্য আমি বাঁচবো না।
অনেকটা সময় কাদার পর আমি খুঁজতে শুরু করলাম।
আর যা ভেবেছিলাম তাই ঠিক তাই হয়েছে ও এগুলার ভ্যাক্সিন ও তৈরি করেছে কিন্তু সেটা খুবই অল্প।
আমি কি করতে পারি।
আমি সেটা নিয়ে সোজা হসপিটালে এলাম। আমার এক বন্ধুর কাছে,
–আকাশ,
–কিরে তুই এখানে আরে দেখতে পাচ্ছিস এখানে ভিশন একটা ভয়াবহক অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে বাইরে মৃত্যুর লাইন পরেছে তুই এর মধ্যে এখনে কেন এলি।
–আমি এই মৃত্যুর লাইন কে শেষ করতে এসেছি।
–মানে।
–মানে এর ঔষধ।
–কিহ ঔষধ।
–হ্যাঁ।
–এই নে।
–তুই কি বলছিস।
–তোকে যা বলি তুই তাই কর এটা দিয়ে তুই এখানের রুগি গুলাকে বাঁচা তার পর এটার উপর রিসার্চ কর দেখ এতে কি বছে সেভাবে ভ্যাক্সিন তৈরি করবি।
–আর উ সিওর মেঘ।
–আকাশ আমি মজা করছি না প্লিজ।
প্রাশাসন জানার আগে এই কাজ তোকে করতে হবে প্লিজ।
আকাশ আমার থেকে ঔষধ টা নিয়ে বাইরে যায়।
কিছু সময় পর ফেরত আসে,
–মেঘ তুই এটা কই পেলি।
–কাজ হয়েছে
–হ্যাঁ।
–গুড এবার রিছার্জ কর এর উপর।
–হ্যাঁ,
আকাশ তার ছোট্ট ল্যাবে এটাকে রাতে ঘাটাঘাটি করতে শুরু করে।
প্রায় ১২ ঘন্টা পর সে আমার দিকে মুখ তুলে তাকায়।
রাত ৩ টা বাজে তখন,
–মেঘ।
–বল।
–এটা তোর রক্তে তৈরি করা হয়েছে।
আর যা দ্বারা আমরা সব মানুষ গুলাকে তো বাঁচাতে পরব কিন্তু তুই এতো রক্ত দিতে গেলে তোর মৃত্যু ও ঘটতে পারে।
আকাশ কথাটা খুব কষ্টের সাথে আমাকে বলল।
–আমাকে নিয়ে চিন্তা করিস না আমি শুধু চাই এই মানুষ গুলো সুস্থ হোক যার ফলে আমি আমার আমানকে বাঁচাতে পারব বাবাকে বাঁচাতে পারব এটাই আমার শেষ প্রাপ্তি হোক।
আমার কথায় আকাশ আমার দিকে তাকায়।
ওকে আমি সবটা খুলে বলি।
ও করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমার দিকে,
–তুই এতো ভালোবাসিস ওনাকে।
–ভিশন আকাশ তুই সময় নষ্ট করিস না।
–মেঘ তুই আমার বান্ধবী আমি কি করে তোকে যেনে শুনে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিবো।
চলবে,

সিক্রেট গ্যাংস্টার পর্ব-১৯

0

#সিক্রেট_গ্যাংস্টার❤️
#পর্ব_১৯(রহস্য সমাধান -০১)
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা

বান্ধবীর হলুদের অনুষ্ঠানে জন্য সুন্দর করে সেজে নিলাম।
এদিকে আমান ও রেডি।
–চলুন বের হই
–হুম মাক্স পরে নেও।
–আপনি পরবেন না।
–না।
–কেন?
–এমনি চলো
আমি ওনার কথায় কিছুটা অবাক হলাম
তার পর মাক্স পরে ওনার সাথে বেরিয়ে গেলাম
ঋতুর বাসায় আসার পর দেখলাম ওকে পুতুলের মতো লাগছে।
ছবি তোলা শেষ করে অনুষ্ঠানের শুরু হলো।
বেশ হাসি ঠাট্টা মজার মধ্যে দিয়ে দিন কাটলো।
রাত প্রায় ১০ টা বাজলো বাসায় আসতে।
বাসায় এসে গোসল করে বের হলাম
ভিশন গরম।
তার পর আমান ও ফ্রেশ হলেন,
মিষ্টি আমার কোলের উপর উঠে বসে আছে।
সারা দিন আমাকে ছাড়া থাকেছে তাই।
বিড়াল এবং যে কোন পশুপাখি হয় খুব প্রেশন এবং আদরের খুব জলদি প্রভু ভক্ত হয়ে যায়।
আমি বসে বসে এগুলা ভাবছি হটাৎ আমান আসলেন,
আমি ওনার দিকে তাকালম,
কালো প্যান্ট আর সাদা সার্ট পরা উপরের ৩ টা বোতাম খোলা।
এক হাতা ফোল্ড করা অন্য হাতা ছেড়ে দেওয়া নিচ পর্যন্ত।
চুলে বিন্দু বিন্দু পানি।
চুল মুছতে মুছতে বের হলেন তিনি।
সে যেন ঠিক আমার স্বপ্নের সেই মানুষ টা।
যার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে এভাবে কাটিয়ে দিবো হাজার বছর।
“কোন মানুষ কে যদি সুন্দর না লাগে তবে ভালোবাসসর চোখ দিয়ে দেখো যার উপর আছে সে পৃথিবীতে সব থেকে সুন্দর মানুষের মধ্যে একজন। ”
কেন জানি না ওকে শুধু দেখতেই মন চাইছে ইচ্ছে হচ্ছে না চোখ দুটো অন্য দিকে সরুক।
ভালোবাসি আমি কিন্তু হারাবার ভয় ও করি।
কেন জানি না মনে হয় যদি কোন ঝড় আসে তবে সব তচনচ হয়ে যাবে আমার আনন্দে থাকা সোনার সংসার টা তাসের ঘরের মতো এক ধাক্কাতে শেষ হয়ে যাবে।
ভাবলেই বুকের মধ্যে মোচড় দিয়ে ওঠে।
আমি তো ওর দিকেই তাকিয়ে আছি কিন্তু হটাৎ অনুভব করলাম সে জায়গা বদল করেছে তখন সে আয়নার সামনে ছিল এখন সে আমার সামনে আমার কোলে হাত রেখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
আমি চোখ সরিয়ে নিলাম,
–এতো সময় দেখলে মিষ্টিকে কোল থেকে নামিয়ে শুইয়ে দিলাম তাও টের পাইলে না তোমার সামনে এসে তোমার কাছে বসলাম তাও টের পেলে না।
আর এখন লজ্জা পাচ্ছো কেন?
ওনার কথায় অবাক হলাম কি আজন এতো সময় তাকিয়ে ছিলাম সে এতো কিছু করল টেরও পেলাম না।
যাহ বর তো আমারি আমি তাকাবো না ত কে তাকাবে।
–কি ভাবছো?
–ঘুমোবো।
–হুম।
উনি আমার পাশে শুয়ে পরলেন।
টুপ করে মাথাটা তার বুকে দিলাম।
এটা হলো ভালোবাসা।
তার পর ভিশন শান্তিতে চলে গেলাম ঘুমের রাজ্যে,
সকালে,
ঘুম থেকে উঠে সবার সাথে খাওয়া শেষ করে নিলাম।
দিনটা আমানের সাথে খুনসুটি করে কাটলো।
সন্ধ্যায় রওনা হলাম ঋতুর বাসার দিকে,
লাল রঙের একটা শাড়ি পরেছি।
আমান সব সময়ের মতোই কোর্ট পরেছে কতো বললাম পাঞ্জাবি পরো তাও পরলো না।
ওর নাকি কাজ আছে আজ।
বিয়ে বাড়ি আমাকে পৌঁছে দিয়ে ও কেথাও গেল।
কই গেল বলল না।
ঋতুর সাথে ছবি তোলা হলো অনেক কাজ হলো কিন্তু আমান এলো না এখনো,
ওরা অনেকটা সময় ওর জন্য অপেক্ষা করেছে আমি তো বার বার কল করছি কিন্তু বন্ধ আমার কেমন চিন্তা হতে শুরু করল।
এদিকে ঋতুর বিয়েটা হয়ে গেল।
আমি তখন এক মুহূর্ত দেরি করলাম না।
অভিজিৎ দাদার সাথে বাসায় চলে এলাম।
দাদা বোনের বিয়ের হাজার ব্যাস্ততা ফেলে শুধু মাত্র আমার অস্থিরতা দেখে আমাকে বাসায় পৌঁছে দিলেন,
বাসায় এসে ভেতরে যেতে দেখি বাবা মেঝেতে বসে আছে,
সেই মুহুর্তে আমার পৃথিবীটা কেমন উল্টোপাল্টা হয়ে যাচ্ছিল বাবাকে এই অবস্থায় দেখে,
ভয় হচ্ছে আমান কোথায় ও এলো না কেন কিছুই বুঝতে পারছি না।
আমি ধির পায়ে বাবার কাছে গেলাম,
বাবার কাঁধে হাত দিতে বাবা আমার দিকে তাকালেন,
তার চোখ ভরা পানি।
এক সমুদ্র কষ্ট বুকে।
কিছুই বুঝতে পারছি না হচ্ছে টা কি।
আমি বাবার সামনে বসলাম,
–বাবা
ধির শুরে ডাক দিলাম,
–সব শেষ হয়ে গেল রে মা আমি যে ভয় পাচ্ছিলাম ঠিক তাই হলো।
বাবার কথা শুনে আমার ভেতরে উত্তেজনা আর ভয় দুই বেড়ে যাচ্ছে,
–কি বলছো বাবা কি শেষ হয়েছে।
আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।
–আমান আর আমাদের সাথে নেই রে মা।
মুহুর্তে আমার পৃথিবী থমকে গেল।
কি বলছেন বাবা কেন বলছেন।
–বাবা আপনি মজা করছেন এগুলা কেন বলছেন?
আমি বুঝতে পারছি না আপনি কেন আমার সাথে এই মুহুমজা করছেন।
বাবা আমাকে বলুন উনি কই আমাকে পৌঁছে দিয়ে দেখুন একা একা রেখে চলে আসছে আমি এখানে চুপচাপ বসে আছি বাবা আমাকে বলুন ও কই,
–আমার ছেলে কোন প্রোফেসর নয় মা আমার ছেলে এক জন সাইন্টিস্ট,
–সাইন্টিস্ট!
–হ্যাঁ আমার ছেলে সাইন্টিস্ট কিন্তু দুনিয়ার সামনে সে এক জন প্রোফেসর,
–বাবা কি বলছেন এগুলা,
–আজ তোকে সব বলব আর কিছু লুকাব না,
এ লড়াই শুরু হয় ২০ বছর আছে থেকে,
যখন তোর শ্বাশুড়ি মা মারা যায়,
–কিন্তু মা তো ২৪ বছর আগে মারা গেছেন,
–না ওটা ছিল ভুল,
তোর মা আমানের বয়স যখন ৪ তখন মারা যায় তোর মা ছিলেন এক জন সাইন্টিস্ট,
সে গবেষণা করত তার ৩০ বছরের গবেষণার ফল সে, সে দিন পেল যখন সে জানতে পারলো সে এমন কিছু তৈরি করেছে যা দ্বারা যে কোন শক্তিশালী জীবাণু ধ্বংস করা সম্ভব।
যা দ্বারা সে যে কোন নতুন জীবাণু কে মারতে পারবে, কিন্তু কে জানত এই ভ্যাক্সিন তার মৃত্যুর কারন হবে,
অতিত,
ল্যাবে এক্সপ্যারিমেন্ট সভলতার সংবাদ টা আগে আরিফ খানকে ফোন করে জানায় চাঁদনি খান,
–হ্যাঁ আরিফ,
–হ্যাঁ চাঁদনি তুমি কই আমান তো তোমার জন্য কান্নাকাটি করছে,
–ওরে আমার বাচ্চা টা আজ থেকে আমি ওকে সম্পূর্ণ সময় দিবো একটা সুসংবাদ আছে।
–কি,
–আমি সফল হয়েছি এতো দিনের চেষ্টা সব সফল হয়েছে।
–কি বলো এর থেকে খুশির খবর আর কি।
–হ্যাঁ আমি এখানকার মেডিকেল অফিসার কে এ খবর টা দিবো।
–হ্যাঁ দিবে অবশ্যই দিবে কিন্তু তার আগে এক কাজ করো।
–কি কাজ?
–ইরফান খান যে তোমার সব কাজের সঙ্গী ওকে কথাটা বলো।
–কিন্তু আরিফ কেন জানি না মনে হচ্ছে ওদের বলাটা ঠিক হবে না এটা সিক্রেট কাজ যদি এখন পাবলিক জানতে পারে তাহলে অনেকে চেষ্টা করবে এটাকে নষ্ট করার। যারা দেশদ্রোহী তারা কখনো এটাকে তার পরিনামে পৌঁছাতে দিবে না।
দেশ বাসির মঙ্গলের জন্য এটা আমরা তৈরি করেছি আগে মেডিকেল অফিসার কে জানাতে হবে আর যেহেতু এর ফর্মুলা শুধু আমি জানি তাই এটা আমি আমার ছেলেকে জনািয়ে যাবো আর অহনা জানবে (মেডিকেল অফিসার)শুধু।
–আচ্ছা তুমি যা ভালো মনে করো।
–আমি অহনার বাসায় যাচ্ছি তার পর তোমার সাথে কথা বলছি আর আমার আমানকে বলো মা আসছে,
–মা জলদি আসো তোমাকে দেখবো তোমার কোলে উঠবো মা।
পাশ থেকে ৪ বছরের ছোট্ট ছেলেটার কথা শুনে চাঁদনির চোখে পানি চলে আসে,
–সোনা ছেলে আমার আমি আসছি মা আসছে এখনি।
একটু অপেক্ষা করো।
রাখি আরিফ।
–আল্লাহ হাফেজ চাঁদনি।
চাঁদনি খান ফোনটা কেটে দেয়,
ফোন কেটে দিয়ে সামনের দিকে কাঁচের ছোট্ট বোতল টা তুলে এগোতে গেলেই,
চলবে,

সিক্রেট গ্যাংস্টার পর্ব-১৮

0

#সিক্রেট_গ্যাংস্টার❤️
#পর্ব_১৮(রহস্য সমাধানের দিকে)
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
দিন পেরিয়ে বিকাল হলো।
রুমের মাঝে বসে বসে মিষ্টি কে নিয়ে খুটিনাটি টুকটাক করছি।
এর মাঝে হটাৎ আমান এলো,
–মেঘ বাইরে যাচ্ছি ২ ঘন্টার মধ্যে ফিরে আসবো তুমি থাকো বাবা ও নেই অফিসে গেছে কাজে আমি জলদি ফিরে আসবো।
কথটা বলে আমার কপালে চুমু দিয়ে বেরিয়ে গেলেন।
আমি ওনার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলাম
তার পর মিষ্টির দিকে তাকালাম,
–আমার সাথে আজ তুই যাবি মিষ্টি আজ আমরা হয় তো কোন বড়ো সত্যির মুখোমুখি হবো।
জানিস মিষ্টি ওকে না খুব ভালোবেসে ফেলেছি আমি চাইনা এমন কিছুর মুখোমুখি হতে যাতে আমার ভালোবাসার মধ্যে কোন বড়ো বাঁধা আসুক।
মিষ্টি আমার দিকে তার মায়াবি চোখ দুটো নিয়ে তাকিয়ে আছে।
পশুপাখি হয় তো কথা বলতে পারে না কিন্তু চোখের ভাষা বুঝে।
আমি মিষ্টিকে একটা ব্যাগে নিলাম
সাধারণত এ ব্যাগ গুলো বিড়ালের ই।
এ বাড়িতে আগে একটা বিড়াল ছিল আমান ওর জন্য এই ব্যাগটা কিনেছিল।
আজ আমি মিষ্টি কে ওটার মধ্যে নিয়ে শাড়ি পাল্টে থ্রি পিচ পরে নিলাম।
আর মিষ্টির বাসায় লুকানো সেই ছবিটা আমার পার্সে নিয়ে নিলাম।
তার পর বাসা থেকে সোজা ভার্সিটির উদ্দেশ্য রওনা দিলাম।
রিকশা করে সোজা ভার্সিটি তে পৌঁছে গেলাম।
সেখানে গিয়ে সোজা লাইব্রেরি তে।
যা ভেবেছিলাম তাই মালি দাদা ওখানেই আছে।
আমাকে দেখে উনি কিছুটা অবাক হলো।
–মা তুমি এখন এখানে
–হ্যাঁ দাদা আমি এখানে ।
–সে দিন হলো কি পেছন থেকে কেউ ডাক দিলো সেই ডাক শুনতে গিয়ে দেখি তুমি নেই মা কই গেছিলে।
–সেদিনের কথা বাদ দেও এটা দেখো তো।
আমি পার্স থেকে ছবিটা বের করলাম,
–কি এটা?
–দেখো ত এটাই কি সেই স্যার।
দাদা হাত থেকে ছবিটা নিলেন।
ভালো করে কিছু সময় তাকিয়ে রইলেন,
–দাদা বলো।
মনে মনে আসা করছিলাম যেন দাদা বলেন না।
কিন্তু আমার সমস্ত আসায় পানি দিয়ে দাদা বলল,
–হ্যা।
এই মুহূর্ত টা সব থেকে খারাপ বলে মনে হচ্ছে আমার।
পুরো পৃথিবী টাই উল্টো মনে হচ্ছে।
যা সন্দেহ করছি তার ৫০% ঠিক হলো।
বাকি ৫০% ঠিক হলে।
ভাবতেই মাথা ঘুরছে।
–মা তুমি ঠিক আছো?
–দাদা বাসায় যেতে হবে ভালো থেকো

–কিন্তু কি হয়েছে সেটা তো বললে না। আর এই ছবিটা বা তুমি কই পেলে।
–তেমন কিছু না গো ভালো থেকো দাদি কে সালাম দিও।
কথাটা বলে বেরিয়ে গেলাম

হাঁটার শক্তি হারিয়ে যাচ্ছে।
কি করব কি না করব কিছু বুঝতে পারছি না।
আমান নয় এটা ।
মানে এই ভার্সিটির প্রোফেসর নয় আমান ।
আমান তার নামের সাথে মিল এমন কোন প্রোফেসর এর যায়গায় নিজেকে বসিয়েছে।
কিন্তু কেন।
সব কিছু প্রশ্ন হয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে।
কে আমান?
কি ওর পরিচয়?
কিছুটা সময় একটা যায়গায় বসে থাকলাম
মাথাটা ঘুরাচ্ছে।
তার পর উঠে রওনা হলাম ।
বাসায় পৌঁছাতে হবে জলদি আমানের আসার আগে।
দৌড়ে রিকশায় উঠলাম
যতো দ্রুত সম্ভব বাসায় পৌছালাম
সোজা রুমে গিয়ে ব্যাগ থেকে মিষ্টি কে বের করে শাড়ি নিয়ে বাধরুমে ঢুকলাম।
শাড়ি পরে বাইরে বের হতে ৪২০ ভোল্ট এর ঝটকা খেলাম
আমান সামনে দাঁড়িয়ে।
আমার দিকে স্থির দৃষ্টি নিক্ষেপ করেছে,
আমিও মারাত্মক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম।
–কি হলো মেঘ তুমি এমন করে তাকিয়ে আছো কেন?
আমি সাভাবিক ভাবে বললাম,
–কি ভাবে তাকাবো আমার বরের দিকে আমি তাকাবো না।
আমান ভ্রু কুঁচকে বলল,
–আমি কি বলেছি তাকিও না।
–প্রশ্ন করছেন কেন?
–এমনি।
কথাটা বলে সে বাথরুম গেল।
আমি হাফ ছেড়ে বাঁচলাম।
ও মা মিষ্টি কে ব্যাগ থেকে বের করে ব্যাগ উঠায় নি জলদি করে সেটা উঠালাম
আমান বের হয়ে আমার কাছে এসে আমার হাতটা ধরলেন,
আমি চুপচাপ আছি,
–বাইরে গেছিলে?
–না (সাবাভিক ভাবে)
–ওহ তবে মিষ্টি ব্যাগ বাইরে ছিল যে।
–দেখছিলাম ওর যায়গা হয় নাকি ওর মধ্যে।
–হাহা ও পিচ্চি একটা বিড়াল এতো বড়ো ব্যাগে ওকে ধরবে না।
–আমি তে শুধু দেখছিলাম
–হ্যাঁ তুমি তো তাই পারো।
উফ বাবা বাঁচলাম কিছু সময়ের জন্য দম গেছিল মনে হচ্ছিল

কিন্তু আমার ভেতর যে সমস্যার সৃষ্টি হলো তা তো নিরমল হচ্ছে না।
হবেও না।
রাতে খাবার খেয়ে আমি রুমে এসে মিষ্টি কে খাবার দিয়ে বাবার রুমে দিকে গেলাম
বাবা আর আমান বাবার রুমে আছে,
আমি বাবার রুমে যাবো এমন সময় শুনতে পেলাম,
–তোমার মা যে ভ্যাক্সিন এর জন্য প্রাণ দিয়েছে তুমি সেই ভ্যাক্সিন এর ভাইরাস কি ভাবে তৈরি করতে পারো আমান।
–আমি চাই ওই লোকটা ঠিক ওভাবে মরুক যেভাবে আমার মায়ের মৃত্যু হয়েছে।
–তুমি কি পাগল আমান
তুমি বুঝতে পারছো এই সমস্যা টা তুমি করলে এটা সব যায়গায় ছাড়িয়ে যেতে পারে।
–জানি বাবা সব ভেবেই ঝুঁকি নিচ্ছি।
কি বলছে এনারা কিছুই বুঝতে পারলাম না।
রুমে প্রবেশ করলাম,
–বাবা কি হয়েছে।
আমাকে দেখে আমান আর বাবা ভুত দেখার মতো চমকে উঠলেন।
–মেঘ মা তুই।
–বাবা তুমি খাবার শেষ করে ঔষধ নিয়েছো?
আমার কথায় বাবা যেন শান্তির নিশ্বাস নিলো
–নারে মা।
–ঔষধ নেও অনেক কাজ করেছো এখনো কাজ করছো ঘুমাও।
–হ্যাঁ রে মা ঘুমাতে হবে
বাবা ঔষধ খেয়ে নিলেন,
–আমি এখনি ঘুমিয়ে পরবো।
–আচ্ছা।
আমান আমাকে নিয়ে বাইরে চলে এলেন,
–মেঘ,
–জি?
–তুমি কি করছিলে,
–আরে আর বলো না মিষ্টি কে খাবার দিয়ে তোমাদের রুমপ আসতে যাবো তখনি শুমতে পেলাম। মিষ্টির ডাক বাবা কি জোরে জোরে ডাকছিল।
দৌড়ে আবার ঘরে চলে গেলাম
–ওহ। কেন ডাকছিল।
–ওর লেজের উপর বই পরেছিল।
–ইস কি বলো এখন কি করে।
–খাওয়া শেষ ঘুম।
–ওহ
–হ্যাঁ।
আমান আমাকে নিয়ে ঘরে এলো।
আমি সোজা বেলকনিতে গেলাম
কিছু সময় পর অনুভব হলো কেউ পেছনে দাঁড়িয়ে আছে।
আমি নড়ালাম না।
এক জোড়া হাত কোমড়ে পরলো আর তার মুখ আমার চুলের মধ্যে।
মিষ্টি বাতাস পাশে প্রিয় মানুষ টা।
সত্যি অদ্ভুত শান্তি।
,
এভাবে কাটলো ৫ দিন,
মেঘ এর মধ্যে অনেক চেষ্টা করেছে আমানের সত্যি পরিচয় জানার কিন্তু আমানকে বুঝতে দেয় নি কিছু৷
সব সাভাবিক ই রেখেছে।
আজ ঋতুর গায়ে হলুদ কাল বিয়ে
মেঘ একটা হলুদ শাড়ি পরে সেজে নিলো যাবার জন্য।
আমান ও যাবে। তাই ওকেও রেডি হতে পাঠিয়েছি।
ঋতুর বিয়ে বলে কথা।
বাহিরের সব চিন্তা বাদ দিয়ে দিলাম।
শুধু বান্ধবীর বিয়েতে ফোকাস করবো,
চলবে,

সিক্রেট গ্যাংস্টার পর্ব-১৭

0

#সিক্রেট_গ্যাংস্টার❤️
#পর্ব_১৭
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
আমি হতভাগ হয়ে দাঁড়িয়ে আছি ওর কথার কোন উত্তর পশ্চিম আমার কাছে নেই।
আমি চুপচাপ গালে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি চোখ ভরা আমার পানি।
আমাকে এভাবে দেখে একটা নিশ্বাস ছেড়ে আমার হাত ধরে নিয়ে গাড়িতে বসালেন।
সত্যি বলতে ভয়ে আমি এটাও ভুলে গেছি ঠিক কি জন্য এসেছিলাম আমি।
কিছু সময় পর আমরা বাসায় পৌছালাম।
বাসায় যেতে ভেতরে যেয়ে দেখি বাবা বসে আছেন।
তার মুখেরও চিন্তার ছাপ এই নিশ্চিত আমার জন্য।
আমাকে দেখে বাবা উঠে এলেন,
–মা তুই ঠিক আছিস কই গিয়েছিলি বল তো চিন্তায় চিন্তায় আমাদের তো অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছিল।
বাবার কথায় আমি কোন উত্তর দিতে পারছি না শুধু কান্না পাচ্ছে।
বাবা আবার বললেন,
–তোর গাল এমন লাল হয়ে আছে কেন কি হইছে।
আমি এখনো চুপ।
আমান বলল,
–মেরেছি।
বাবার চোখ বড়ো বড়ো হয়ে গেল।
–মেরেছিস মানে তুই আমার মেয়ের গায়ে হাত তুলার সাহস কই পাইলি (রেগে)
–তোমার মেয়ে হাতের মধ্যে ফোন গুঁজে আমার ফোন এবোয়েট করে।
ভার্সিটির বাগানে গিয়ে বসে ছিল।
কেন তোমার মেয়ের কাছে প্রশ্ন করো ত আমার ফোন কেন তুলে নি ওখানে বসে ছিল ভালো কথা বলে কেন যায় নি।
(প্রচন্ড রেগে)
–বুঝলাম ও ভুল করেছে হ্যাঁ মানছি তাই বলে তুই ওকে মারবি এটা কোন ধরনের কথা।
–ইচ্ছে তো ছিল সুন্দর করে আরো দুইটা দেয়।
–এই তুই ঘরে যা তো এখনে তোর কাজ নেই
বাবার কথায় আমান হন হন করে উপরে চলে গেলেন
আর আমি ঠাই হয়ে দাঁড়িয়ে আছি,
–এদিকে আয় মা।
বাবার আমাকে নিয়ে বসালেন।
নিজে আমার পাশে বসে আমার মাথায় হাত বুলাতে লাগলেন,
,–ওর আচরণের জন্য আমি ক্ষমা চাইছি আসলে কি বল ত ছেলেটা তোকে বড্ড ভালোবাসে রে।
তোকে না পেয়ে এই ২ ঘন্টা ওর কি অবস্থা ছিল তা আমি দেখেছি।
মুখটা ওর দেখার মতো ছিল না।
বড্ড ভয় পায় হারানোর।
মা মরা ছেলেটা আমার তার মায়ের চলে যাবার পর থেকে আমি ওর দুনিয়া তার পর আমাদের বাপ ছেলেট ছোট্ট দুনিয়ায় সামিল হলি তুই।
তোকে ও ঠিক কতোটা ভালোবাসে তা তুই কল্পন করতে পারবি না।
আমি মাথা নিচু করে বললাম,
–সরি বাবা আর এমন হবে না।
বাবা মলিন হেসে বললেন,
–ঠিক আছে মা যা উপরে যা ফ্রেশ হয়ে নে
আমি উঠে উপরে এলাম।
রুমের মধ্যে উকি দিলাম কেউ নেই।
চুপচাপ কাপড় নিয়ে ওয়াসরুমে গেলাম।
আয়নাতে মুখ দেখে অবাক।
কি জোরে না মেরেছে গাল খানা পুরো লাল হয়ে আছে।
কিন্তু আসল কাজটাই হলো না
নাহ আর এটার কথা ভাব্বো না আবার চড় খাবার ইচ্ছে নাই
গোসল করে বের হলাম
তখনও তিনি নেই।
কি জানি কই গেছেন
বসে রইলাম কিছু সময়
তার পর ঘুম
এ অবেলাতে নাকি ঘুমোতে নেই ব্রেন আলু হয়ে যায়, (বিঃদ্রঃ আমার টিচার বলে কথাটা)
কিন্তু আমাকে আর শোনে কে ঘুম আসলে যেখানে কাত শেখানে রাখ।
শুতেই মিষ্টি ঘুম টা চোখের দু পাতায় ছেয়ে গেল।
রাত ৯ঃ০০ টা,
নড়ে চড়ো শুতে গিয়ে ঘুম টা ভাঙলো।
চোখ মেলে তাকিয়ে দেখি বারান্দায় এক জন সুন্দর মানুষ হাত দুটো সামনে দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
আমি তো জানি এই মানুষ টা শুধু আমার।
কিন্তু এখনো রেগে আছে না।
কি করে রাগ ভাঙাবো।
উঠতে তো ইচ্ছে ই হচ্ছে না কি বিপদ।
উঠতেই মন চায় না এমন সময় ঘুম টা যেন বেশ গাড়ো হয় যদিও রাত ভর চোখের পাতা বুঝে না তাও।
বেশ কষ্ট বিছনা ছেড়ে নামলাম।
বিছানা যেন আমাকে আরো কাছে ডাকছে আর আমি বলছি দুরে থাক না চাইতেও।
ওই যে চাইলেও পারবো না তোর কাছে যেতে।
ধুর কি আবল তাবল বকছি।
বিছনা ছেড়ে উঠে ওর কাছে যাবার জন্য পা বাড়াতে দেখে মহাশয় আমার সামনে।
ও মা এ কি এলিয়ান নাকি এতো জলদি চলে এলো কি করে।
তার হাত দুটো পেছনে বাঁধা।
আমি চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলাম
আমাকে এভাবে দাঁড়াতে দেখে বললেন,
–বসো।
আমি চোখ তুলে তাকিয়ে বসে পরলাম।
উনি আমার সামনে একটা ঝুড়ি দিলেন,
আমি অবাক হলাম,
–এটা কি?
–দেখো।
আমি ঝুড়িটা খুলে দেখলাম মিষ্টি একটা বিড়াল ছানা।
দেখেই খুশি হয়ে গেলাম।
–আল্লাহ অনেক সুন্দর।
আমি ওটাকে বের করলাম।
কি সুন্দর ছোট্ট ছোট্ট পায়ে আমার কোলে বসে পরল।
আমি ওনার দিকে তাকলাম
উনি আমার সামনে বসে আমাকে যে গালে চড় দিয়েছে সে গালে চুমু খেলেন,
–সরি মাথা ঠিক ছিল না তাই অন্যায় করে ফেলেছি।
আমি নিরত দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম।
–আসলে তোমায় যখন পাচ্ছিলাম না তখন পাগলের মতো হয়ে গেছিলাম কোন কিছুরই হুস ছিল না।
আমি হেসে দিলাম।
আমার হাসি দেখে সে আমাকে জড়িয়ে ধরতে গেলে বিড়াল ছানা টা মিউ করে উঠলো।
উনি ধরলেন।
আমি ওনার অবস্থা দেখে আবার হেসে দিলাম
আর বিড়াল ছানা টাকে হাতে নিলাম,
–কি নাম রাখা যায় বাচ্চা টার?
— তুমি ঠিক করো।
–ও না খুব মিষ্টি ওর নাম মিষ্টি রাখলে হয়।
–আচ্ছা মিষ্টি ই রাখা হলো।
আমান হাসলেন আমিও।
বিড়াল ছানা টা মানে মিষ্টি সত্যি কিউট।
রাতে খাবার শেষ করে মিষ্টির জন্য খাবার প্লেট। খাবার, আর শোবার যায়গা তৈরি করলাম।
বেশ মিষ্টি ও খেয়ে তার সোবার যায়গায় গিয়ে শুয়ে পরল।
আমার খুব আনন্দ হচ্ছে এটা দেখে মিষ্টি এক দম আমাদের সাথে মিসে গেছে।
পরের দিন সকালে,
বুঝতে পারলাম সকাল হয়েছে।
নামাজ পড়ে মিষ্টি কে নিয়ে বসলাম।
এটা যে কি কিউট। আমার সময় কাটানোর অন্য একটা উপায়।
আমান বাবা মসজিদ থেকে বাসায় আসে আমাকে বসার রুমের মেঝেতে মিষ্টির সাথে দেখে বললেন,
–বাহ মেয়েটা আমার নতুন বন্ধু পেয়ে দেখি বেশ খুশি।
–হ্যাঁ বাবা মিষ্টি ভিশন কিউট।
–হুম তাই তো দেখছি তোমার মেয়ে মিষ্টি কে পেয়ে আমাকেই ভুলে যাচ্ছে।।
আমি সরু চোখে আমানের দিকে তাকালাম।
ও বলল,
–মিষ্টির জন্য কিছু খেলনা নিয়ে আসব দু জন এক সাথে খেলো।
–আমার আপত্তি নেই খেলনার সাথে খেলতে।
–হ্যাঁ তা বোঝাই যাচ্ছে।
আমি হাসলাম।
কিছু সময় পর।
আমান ঘরে কাজ করছে।
–কি করছেন?
–কাজ।
–ওহ করতে থাকুন আমি একটু আসছি।
–কই যাও।
–নিচে।
–আচ্ছা।
আমি বেরিয়ে এলাম।
সোজা স্টোর রুমে ঢুকলাম।
আর সেই ছবিটা খুঁজতে লাগলাম
যেটা দেখেছিলাম আমি সে দিন।
কিন্তু মুসকিল হলো এখানে অন্ধকার আর অনেক ধুলো ময়লা।
আমার কাছে তো ফোন টাও নেই কাল ভেঙে দিয়েছে।
পাশের একটা জানালা খুলে খুঁজতে থাকলাম বেশ অনেকটা সময় খুঁজে না পেয়ে হতাশ হয়ে বেরিয়ে আসব এমন সময় দেখি পায়ের কাছে ছবিটা।
সঙ্গে সঙ্গে ওটাকে উঠিয়ে নি।
শাড়ির ভাজে লুকিয়ে বাইরে চলে আসি।
রুমে এসে দেখি আমান কাজ করছে।
মিষ্টির সোবার যায়গায় যায়।
গিয়ে ওকে তুলবার নাম করে ছবিটা লুকিয়ে ফেলি।।
আমান হটাৎ আমার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকায়,
–পানি খেতে গিয়ে মাথায় মাখরোসার জ্বাল বাঁধিয়ে নিয়ে এলে কেন।
আমি কিছুটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম,
–আব নিচে যাবার সময় লেগেছে।
–মেঘ পানি কিন্তু ঘরেই ছিল।
–তো কি হইছে।
–কিছু না।
উনি আমার দিকে এগিয়ে আমার মাথার ময়লা টা ফেলে দিলেন,
আর আমার দিকে একটা নতুন ফোন ধরে দিলেন,
–মেও নতুন ফোন। তোমার সিম কার্ড আছে দেওয়া।
আমি এটা দেখে খুশি হলাম।
কিন্তু সত্যি বলতে ওকে দেখে অবাক না হয়ে পারি না।।
আমি ওর দিকে তাকিয়ে ছিলাম এমন সময় মিষ্টি মিউ করে উঠলো।
আমার ধ্যান আসলো।
আমি সরে গেলাম,
চলবে,

সিক্রেট গ্যাংস্টার পর্ব-১৬

0

#সিক্রেট_গ্যাংস্টার❤️
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
#পর্ব_১৬
ঋতুর ইশারায় মালি আমানকে দেখলো।
তার মুখে অবাকের দৃশ্য স্পষ্ট।
আমি কিছু মালি দাদার কাছে প্রশ্ন করব তার আগেই আমান চলে এলেন আমার আর প্রশ্ন করা হলো না।
–মেঘ বাসায় যাবে না।
–না।
–মানে (ভ্রু কুচকে)
–মানে আজ ঋতুকে দেখতে আসবে আমি ওর বাসায় যাবো।
–ওহ সালিকা আপনাকে দেখতে আসবে আপনি আগে বলবেন না।
–জি আসলে হুট করেই ঠিক হলো।
–তো পাত্র কে আমাদের করিন মহাশয়।
–জি। (কিছুটা লজ্জা পেয়ে)
–আচ্ছা তাহলে তোমাদের আমি পৌঁছে দেয়।
–আচ্ছা (ঋতু)
গাড়িতে আমান আর ঋতু বেশ গল্প করল কিন্তু আমি কেন জানি না আর সে দিকে মন দিতে পারলাম না আমার মন টা মালি দাদার কথায় আটকে গেল।
কোথাও একটা খটকা রয়েছে খুব বেশি।
মনের মাঝে হাজার প্রশ্ন আমি জানি ওনাকে প্রশ্ন করলে কোন উত্তর পাবো না তাই নিজের মতো করেই খুঁজতে হবে।
ঋতুদের বাসায় পৌছে আমান আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল,
–ফেন করো নিতে আসব।
আমিও হাসি দিয়ে তাকে বিদায় জানালাম।
লোকটা কিছু ঘন্টা আমাকে ছেড়ে থাকতে পারবে না দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
মুখটা চুপসে আছে।
আমি ঋতুর সাথে ভেতরে গেলাম
আন্টি অনেক কাজ করছে।
ঋতুর ভাই অভিজিৎ দাদা আমাকে দেখে বললেন,
–কেমন আছো আপু?
–এই তো ভাইয়া আলহামদুলিল্লাহ আপনি?
–এই তো ভালো করেছো এসে।
–হ্যাঁ বান্ধবীর এতো বড়ো একটা দিন আসবো না।
আন্টিও আমাকে দেখে খুশি হলেন।
যাজ আন্টিকে সাহায্য করতে বসব এমন সময় ঋতুর চিৎকার।
–কিরে পাঠার মতো চিল্লাস কেন?
–তুই ওখানে কি করছিস আমি শাড়ি পড়বো আমাকে হেল্প কর।
–তাই বলে চিল্লাবি?
–দেখ মা সামলে নিবে তুই আমাকে হেল্প কর।
–আচ্ছা ওকে দাড়া্ বাবা।
ঋতুর মার অবস্থা হলো আমার মায়ের মতো কেউই নেই দাদা, ঋতু, আঙ্কেল আর আন্টি থাকেন।
আন্টিকে হেল্প করার মত কেউ নেই।
আমার মাকে ঋতু হেল্প করেছিল।
আমি ও করতে গেলাম কিন্তু ছ্যেমড়ি করতে দিলো না।
যাক ওর সাজা শাড়ি পড়াতে হেল্প করলাম।
আর আমার হাতে চুড়ি পরে নিলাম
আমাকে চুড়ি পরতে দেখে ঋতু বলল,
–কিরে হটাৎ চুড়ি?
–চমি বিবাহিত তা তে বুঝাই যাচ্ছে না চুড়িটা পড়লে হয় তো যাবে।
–ও বাবা মেয়ের আবার বুড়ি সাজার ইচ্ছে জাগে?
–হয় রে।
দু জনে হেসে দিলাম ।
কিছু সময় পর কিরন ভাইয়া তার মা বাবা আর কিরন ভাইয়ার ভাই এলেন,
ওরা আসার পর ঋতুর সাথে কিরন ভাইয়ার মা কথা বললেন,
আন্টি ভালো মানুষ খুব।
সব কথা বার্তা শেষে বিয়ের দিন ফেলা হলো।
আগামি সপ্তাহের শুক্রবারে।
তার আগে বাকি অনুষ্ঠান।
আমি খুবি খুশি ছিলাম।
কিন্তু মনের মাঝে কোথাও মালি দাদার কথা গিলো বেশ নাড়া দিচ্ছে।
আমি ঠিক করলাম এখান থেকে বেরিয়ে সোজা ভার্সিটি যাবো চজ ৪ টা পর্যন্ত মালি দাদা ভার্সিটি তে থাকবেন ওনার থেকে জানতে হবে সব।
–ঋতু আমি এখান আসি।
–ভাইয়াকে ফোন করবি না?
–আব না আমি চলে যাবো সমস্যা নেই।
–সিওর?
কিরন কে বলি?
–আরে না যবো তুই থাক আর কি কি করবি ঠিক আর।
–হুম তুইও।
–হুম আসি আন্টি আসি,
–আসিস মা আবার।
–জি আন্টি বিয়ের আগে হলে তো আজকেই থেকে যেতাম।
–পুতুল মেয়ে একটা যা। অভিজিৎ এগিয়ে দিবে।?
–না আন্টি চলে যেতে পারব।
–আচ্ছা।
সবার থেকে বিদায় নিয়ে বেরিয়ে এলাম ভার্সিটির উদ্দেশ্যে,
জলদি করে ভার্সিটি তে পৌঁছে সোজা মালি দাদার কাছে গেলাম,
এদিকে,
আমান বিকাল ৪ টা বেজে গেছে দেখে মেঘকে ফোন করে।
কিন্তু ফোনে পাচ্ছে না।
মেঘ ফোন তুলছে না।
তাই ঋতুকে ফোন করে,
–হ্যালো ভাইয়া।
–হ্যাঁ মেঘ কই ঋতু?
–ভাইয়া ও তো বেরিয়ে গেছে এতো সময় তো চলে যাবার কথা।
–বেরিয়ে গেছে মানে আমি তো ওকে বেরোনোর সময় ফোন দিতে বলেছিলাম

–ও বলল চলে যেতে পারবে দাদা বলেছিল এগিয়ে দিবে তার পর কিরন বলল কিন্তু ও বলল ও যেতে পারবে।
–ওহ কতো সময় আগে বের হইছে?
–প্রায় ৩০ মিনিট এতো সময় চলে যাবার কথা বোধহয় জ্যামে ফেঁসেছে।
–তাও হতে পারে আচ্ছা রাখছি।
–জি ভাইয়া।
আমানের চিন্তা হতে শুরু করলো।
ফোন কেন ধরছে না মেয়েটা।
বলেছিল ফোন করতে মাতুব্বরি করেছে।
আমানের মনে হলো কিছু সময় দেখা যায়,
এদিকে,
–দাদা থ্যাংক গড তুমি আছো,
–কি হইয়াছে মা তুমি এমন হাঁপাচ্ছো কেন?
–তুমি আমাকে সকালে যা বললে না যে কোন ৪০-৪৫ বছরের কোন প্রোফেসর আসতে চাইছিল?
–হ্যাঁ।
–তুমি তাকে দেখেছিলে?
–হ্যাঁ আমাকে স্যার একটা ফাইল দিতে কইছিল সেই ফাইলে ছবি ছিল।
–তুমি দেখো তো এই লোকটা নাকি (আমি বাবার ছবি দেখিয়ে বললাম)
–না গো মা তুমি কি করবা আমার হয়ত ভুল হইছে।
–না আমার লাগবে মালি দাদা তুমি দেখাতে পারো আমাকে তার ছবিটা?
–হ্যাঁ কিন্তু ৬ মাস নেই তো কোথায় ঠিক ব
কইতে পারুম না।
ভালো কইরা দেখতে হইবো।
–আচ্ছা তুমি যাও দেখো খোঁজ।
–আইচ্ছা তুমি বসো।
মালি দাদা লাইব্রেরির দিকে চলে গেল। আমি বসে রইলাম।
কেন জানি না শান্তি পাচ্ছি না কোন এক অজানা ভয় ভেতরে গ্রাস করেছে।
সব কিছু ধুয়াসা লাগছে।
বেশ কিছুটা সময় কেটে গেল আমান বার বার ফোন দিতে আছে ৫০ বারের উপরে ফোন দিছে আমি পিক করছি না।
কোন মতে মালি দাদার থেকে লোকটাকে দেখতে পারলে হয়।
আমি যখন অস্থির হয়ে আছি তখন দেখলাম লাইব্রেরি থেকে মালি দাদা বের হইছে হাতে একটা কাগজ নিয়ে
দেখে শস্তি পেলাম।
দাদার আমার প্রায় অনেকটা কাছে চলে এসেছে।
আমি উঠে দাঁড়াতে হটাৎ আমাকে কেউ পেছন থেকে হেঁচকা টান দিলো।
পেছনে ফেরার আগে গালে খুব তিব্র আকারে সামনে থাকা মানুষ টার ৫ টা আঙুল পড়লো।
ঘটনা এতো দ্রুত হয়ে গেছে যে কিছুই বুঝে সামনে তাকানোর আগে সামনে থাকা মানুষ টা আমার দুই বাহু ধরে তার দিকে ফেরালো।
সামনে তাকিয়ে আমান কে দেখে অবাক ভিশন রাগ হচ্ছে তার হলুদ ফর্সা মুখ খানা রাগে লাল হয়ে আছে।
আমি গালের ব্যাথা ভুলে ভয়ার্তক দৃষ্টিতে ওর মুখের দিকে তাকিয়ে আছি।
ও আমার হাত থেকে ফোনটা নিয়ে কিছু একটা চেক করে একটা আছাড়ে ফেনটা ফেলে দিলো মাটিয়ে।
সেটা টুকরো হয়ে গেছে,
–ফোন হাতের মধ্যে কি সো অফ করার জন্য থাকে নাকি একটা মানুষ ফোন দিলে সেটা তুলতে হয় এই জন্য থাকে (চিৎকার করে বলল)
ওর চিৎকার শুনে ভয়ে আরেক দফা পিছিয়ে গেলাম
আমাকে পেছোতে দেখে ও এগিয়ে এলো,
–বাসায় আসার আগে ফোন দিতে বলেছিলাম ফোন দেওয়া তো দুরে থাক ১০০ বার ফোন দিয়েছি সেটাও তোল নি হাতের মধ্য ফোন রেখে।
সব বাদ দিলাম বাসায় যাবার কথা ৪ টার দিকে সেখানে এখন বাজে ৬ঃ৪০ সন্ধ্যার আজান দিয়ে দিছে।
ঋতুর বাসা থেকে বের হয়ে গেছ।
তাহলে কোথায় আছো?
নিজের বাসায় ও নেই।
তাহলে কোথায় আছো?
পাগলের মতো বিকাল ৪ঃ৩০ থেকে কোথায় কোথায় খুঁজে বেড়াচ্ছি ।
কোথাও নেই আমি তো ভেবেছি ফোন মনে হয় হারিয়ে গেছে কিন্তু এখানে এসে দেখি তো না আমার স্ত্রী দিব্বি তার হাতের মাঝে ফোনটা রেখে আমার ফোন ইগনোর করছে।
সমস্যা কি মেঘ তোমার কেন করেছো এমন।
কেন আমাকে এতো চিন্তার মাঝে রেখেছো।
বলো! (চিৎকার করে)
কি বলব দিশা পাচ্ছি না এখন সে সন্ধ্যা হয়ে গেছে এটা খেয়াল ই করি নি।
ও যে এতো রেগে যাবে ভাবি নি দোষ টা আমারি বলা উচিৎ ছিল এখন কি করব।
–তুমি এখানে আসবে ওকে ঠিক আছে আমাকে এক বার বলবে না?
তুমি বোঝ নি আমি চিন্তায় থাকবো।
কি বলব বুঝে পারতেছি না আমি,
চলবে,

সিক্রেট গ্যাংস্টার পর্ব-১৫

0

#সিক্রেট_গ্যাংস্টার❤️
#পর্ব_১৫
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
মা বাবা আমাদের দেখে মহা খুশি।
আমিও অনেক দিন পর ওদের পেয়ে ভিশন খুশি।
মা আমার পছন্দের খাবার রান্না করেছে দেখে আরোও খুশি।
দুপুরে খাবার শেষে সবার সবাই এক সাথে অনেক গল্প হলো।
এর মধ্যে আবার বাবাও চলে এলেন।
মা বাবাকে খেতে দিলেন।
বাবাও খেয়ে আমাদের অন্য একটা রুমে রেস্ট করতে গেলেন।
মা বাবা তাদের রুমে আর আমার রুমে আমি আমানকে নিয়ে এলাম।
রুমে এসে খাটের উপর বসে পেছনে মাথা দিলাম।
ক্লান্ত লাগছে আর এই শাড়ি ইচ্ছে হচ্ছে খুলে ফেলি।
–খুব বেশি টায়ার্ড লাগছে মনে হচ্ছে।
–হুম ভিশন।
–শাড়ি প্যারা দিচ্ছে?
–হুম ভিশন।
–তাহলে খুলে ফেল।
–কাপড় আনি নি।
–কেন এখানে নেই?
–হুম আছে তো কিন্তু বাসায় বাবা আছে কি ভাবে পরি সেটা বলুন।
–কেন তুমি বাসাশ কি পরো।
–স্কার্ট প্লাজো আর গেঞ্জি
–আচ্ছা তাহলে তো সমস্যা।
–হুম সমস্যা।
–তাহলে বাসায় যাবো আমরা রাতে?
–মায়ের হাতে খাবার খেয়ে(চোখ বন্ধ করে বললাম)
–হুম তা তো খাবো কিন্তু,
–কিন্তু।।
–আজ চ্যালেঞ্জ মনে হয় আমি জিতেছিলাম তাই না?
ওনার কথায় মৃদু চোখ খুলে বললাম,
–হ্যাঁ তো (ভাব নিয়ে)
–হ্যাঁ তো আজকে দিনে আমি যা বলব তাই হবে।
–আমার ঘুম পাচ্ছে
বলে শুয়ে পরলাম,
–তবে রে তোমায় ঘুমাতে আমি দিবো না।
–এই আমি কিন্তু মায়ের কাছে দৌড় দিবো।
–দরজা বন্ধ, (দাঁত বার করে বলল আমাম)
–পাজি। (ভ্রু কুঁচকে।)
–হ্যাঁ তোমারি তো।
,
এভাবে দুষ্টু মিষ্টি ভালোবাসা বিনিময়ে আর আমানের এক কথায় অত্যাচারে আক্রান্ত আমি।
পাজি ভিশন পাজি।
ও জিতেছে বলে আমাকে দিয়ে আজ কি কি না করালো।
রাতে খাবার খেয়ে মা বাবাকে বিদায় জানিয়ে বাসায় চলে এলাম।
বাবা আগে চলে এসেছিলেন তাই মা বাবার জন্য খাবার পাঠিয়ে দিয়েছে ।
বাসায় এসে বাবাকে খাবার দিয়ে বাবার খাবার শেষ হলে রুমে গেলাম।
মহাশয় বসে বসে ফোন টিপছেন।
আজ বহুত জ্বালিয়েছে আমিও এখন জ্বালাবো।
দাঁড়াও মাথায় কি সুন্দর সুন্দর বুদ্ধি বার হচ্ছে।
একটা একটা কাজে লাগালে হয়।
চুপি চুপি গিয়ে ওর থেকে ফোনটা ছো মারলাম।
আমি ফোন নিতে তিনি তাকালেন,
–কি চলে?
–কাজ আর কি?
–কোন কাজ নাই এখন আমার সাথে বেলকনিতে চাঁদ দেখতে যেতে হবে।
–লক ডাউন দিয়ে দিচ্ছে সরকার ভার্সিটি বন্ধ হবে কাল থেকে সো আমাকে কিছু পুরোনো কাজ সাবমিট করতে হবে আজ আমি এখন কিছু করতে পারবো না মেঘ কাল চাঁদ দেখবো।
–আপনি এমন কেন আমি না আপনার মিষ্টি একটা লাল টুকটুকে বৌ।
এতে মিষ্টি করে বলছি যাবেন না।
কিছুটা কন্না ভাব নিয়ে.
–আরে পাগলি তা না আমার সত্যি কাজ আছে।
–আপনার কাজে গুলি মারি।
–এই মা এটা কি হলো।
–সত্যি যা হবে ভালো হবে চলুন না প্লিজ।
–আচ্ছা চলো।
আমান উঠে আমার সাথে বেলকনিতে গেলেন আমি তার কাঁধে আরামছে মাথা দিয়ে চাঁদ দখছি।
ওয়াহ কি সুন্দর এ মুহুর্ত।
আমান মেঘের বাচ্চামি দেখে মিষ্টি হাসি দিলো।
যে হাসি তে কোন নেই কোন খাদ নেই কোন আক্ষেপ নেই কোন জ্বাল।
এ হাসি নিজের স্ত্রী এর মুখের হাসি থেকে উৎপন্ন হয়।
যা হাজার হাসিকে হার মানাবে।
আজ নিরব পরিবেশ এর মিষ্টি বাতাস জানান দিচ্ছে আমন মেঘকে কতোটা ভালোবাসে।
আকাশে থাকা চাদ বুঝতে পারছে তার আলোতে দুটো প্রেমের পাখি নিজেদের প্রেম বিতরন করছে।
এটা সেই মুহুর্ত যা সব দম্পতির কাছেই স্পেশাল হয়।
এটা সেই ভালোবাসা যার একটা অন্য গল্প লেখা হয়।
এটা কোন চেহারার মোহ না এটা কোন টাকার দম না এটা শুধু ভালোবাসার বুনা জ্বাল যা চারিদিকে এক মোটা আস্তরণ ফেলেছে।
মেঘ আমনের কাধেই ঘুমিয়ে যায়।
আমান তা দেখে তাকে কোলে করে রুমে আসে, আর শুইয়ে দেয়।
মিষ্টি এই মুখটা যেখানে হাসি ফুটাতে হাজার টা কঠিন কাজের সম্মুখীন হতে রাজি আমান।
এ তো তারি ভালোবাসা তার জীবনের সব থেকে সুন্দর পাওয়া।
কিন্তু এসব ভাবতে ভাবতে মনের মাঝে হটাৎ এক অজানা ভয় গ্রাস করতে আমনের মুখটা ফ্যাকাসে হয়ে যায়।
সাথে সাথে সে ঘুমন্ত মেঘকে জড়িয়ে ধরে।
–কিছু হতে দিবো না তোমায়।
তুমি এভাবে আমার বুকের মাঝে থাকবে সব সময়।
তোমার কুছু হলে আমি বাঁচবো না।
কিন্তু এ ভয়টা যে কি তা কারোরই জানা নেই।
,
,
,
এদিকে,
ফোনে এক টানা কতোগুলো ঘন্টা কথা বলে চলেছে কিরন আর ঋতু।
কাল ঋতুকে কিরনের পরিবার দেখতে আসবে।
ওদের বিয়েটা হবে হবে বলছে
ঋতুর মুখে সেই কনে কনে হাসি।
কিছু দিন পর তাদের এতো বছরের ভালোবাসা যে পূর্ণতা পাবে এটা ভেবেই ঋতুর ভালো লাগছে।
আর কিছু বলার নেই।।
–ঋতু রাত হয়েছে ঘুমোবে না।
–হুম ঘুম তো পাচ্ছে তুমি তো ফোন কাটো না।
–আচ্ছা ঘুমাও।
কাল ভার্সিটির শেষ দিন পরে লক ডাউন পরবে তুমি কিন্তু কাল এসো।
–হ্যাঁ হ্যাঁ আসবো মেঘের সাথেও দেখা করে কথা বলতে হবে।
–আচ্ছা রাখো।
–হুম টাটা।
,
,
সকালে,
সকালের সমস্ত কাজ মিটিয়ে ভার্সিটির জন্য রেডি হয়ে নিলাম
আমান ও রেডি হলেন খুব সুন্দর দেখাচ্ছে অন্য দিনের তুলোনায় তাকে।
আমি দেখে বললম,
–কি গো আপনাকে আজ দেখি একটু বেশি সুন্দর দেখাচ্ছে?
আমান আমার কথায় ভ্রু কুঁচকে বললেন,
–তোমার কাছে আমাকে সুন্দর দেখাচ্ছে তাহলে না জানি আজ কি হবে।
–মানে কি!
–মানে কি চলো দেরি হচ্ছে।
উনি আমাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন।
আমরা ভার্সিটি তে পৌঁছে আমান সোজা লাইব্রেরি তে গেলেন আমি ঋতুর কাছে।
–দোস্ত আজ কিরনের পরিবার আমাকে দেখতে আসবে।
–ওয়াউ সত্যি।
–হ্যাঁ।
–বিয়েটা কবে হচ্ছে?
–আজ ঠিক হবে।
–বাহ বাহ আমি থাকবো আজ।
–সেটাই তো বলছি স্যার কি মানবে।
–মানবে না মানে মুখের কথা নাকি তুই ছিলি না আমার সময় ও কিছু বলবে না।
–হ্যাঁ তাও ঠিক।
–আচ্ছা কাল থেকে লকডাউন পরছে।
–হুম।
–তাহলে কি হবে,
–জি হবে,
–চল আক ক্যাম্পাসে ভালো মতো ভোজ করি আবার কতদিন পর খুলবে কোন গ্যারান্টি নাই।
–আচ্ছা চল।
আমি আর ঋতু গেলাম ক্যাম্পাসে আমাদের খুব পছন্দের কিছু খাবার খেয়ে এলাম।
ক্লাসে।
ক্লাস করে বের হলাম তার পর ঘুরা শুরু করলাম।
আমানের একটু কাজ আছে তাই ঋতুর সাথে বসে রইলাম।
তখনি হটাৎ আমাদের ক্যাম্পাসের মালি দাদার সাথে দেখা।
ওনার সাথে আমাদের ভালো সম্পর্ক কিন্তু উনি ৬ মাসের জন্য কোথাও ছিলেন ভার্সিটি তে আসতেন না।
–কি গো মালি দাদা তুমি।
–এই তো মা ঠাকুরনেরা চইলা আইলাম তোমাগো ছাড়া ভালো লাগে না।
(মালি দাদ হিন্দু)
–তা ছুটি কেমন কাটলো দাদা তোমার ছুটির মাঝে তোমার মা ঠাকুরনের তো বিয়ে হয়ে গেল। (ঋতু)
–আসিব্বাদ আমার সব সময় তোমাগো সাথে আছে।
তা আমাগো মায়ের কার লগে বিয়া হইলো।
–তুমি চলে যাবার আগে শুনেছিলেন আমান খান নামে কোন স্যার আসবে? (ঋতু)
–হ হ শুনছিলাম। –
–হুম সেই স্যার এর সাথেই (ঋতু)
–সে কি গো আমার এতো সুন্দর মিষ্টি ফুটফুটে একটা মা ঠাকুরোনের সাথে কোন ৪০-৪৫ বছরের বুড়ার বিয়া হইছে?
মালি দাদার কথায় আমরা দু’জন ই অবাক,
–কি বলো দাদা তোমার জামাই এর বয়স ২৬ বছর আমার থেকে ৫ বছরের বড়ো বেশি বড়ো না।
–কি বলো মা আমি যে স্যার কে দেখেছিলাম তিনি তো অনেক বড়ো।
আমরা মালি দাদার কথায় কিছুটা অবাক হলাম।
তখনি ঋতু বলল,
–ও তুমি স্যারের বাবাকে দেখেছিলে মনে হয় ওই দেখো আমান স্যার।
রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসছে আমান তাকে দেখিয়ে ঋতু কথাটা বলল,
চলবে,
( সময় হতে চলেছে রহস্য সমাধানের। বানান ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন,)

সিক্রেট গ্যাংস্টার পর্ব-১৪

0

#সিক্রেট_গ্যাংস্টার❤️
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
#পর্ব_১৪

বাবা আর আমি মিলে অনেক রকম রান্না করলাম।
বাবা বেশ মজার মানুষ।
আমাদের হাসি মুখ দেখে নামতেই দেয় না।
এমন এক জন মানুষ তিনি।
প্রায় ২ ঘন্টার মধ্যে সব রান্না হয়ে গেল।
খাবার টেবিলে সব সাজিয়ে রাখলাম।
এক সাথে সবাই মিলে খেয়ে নিলাম।
খাবার শেষ করে বাবা গেলেন বাইরে।
আমি রুমে এসে জানালার পর্দা সরিয়ে বাইরে দেখছি।
এখান থেকে সামনের দৃশ্য টা বেশ সুন্দর আমার বাসা থেকে তো শুধু বিল্ডিং আর বিল্ডিং দেখা যেত কিন্তু এখান থেকে বেশ সবুজ সৌন্দর্য দেখা যায় ।
আমি আমার মতো বাইরে দেখতে ব্যাস্ত ঠিক তখনি মনে হলো কেউ পেছন থেকে জড়িয়ে ধরেছে।
আমার তো বুঝতে বাকি নেই সে কে।
তাই চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলাম।
–কি দেখে আমার মেঘ?
–সবুজ গাছ।
–আচ্ছা আমাকেও একটু দেখো তোমার জন্য বসে থাকি দিন ভর।
–ও আচ্ছা তাই।
–এক দম তাই।
–তাহলে একটা কাজ করা যায়।
–কি কাজ।
–একটা ছবি টানানো যায় এ ঘরে আপনার সেখান থেকে দেখা যায়।
–আমি তাজা তন্য তোমার সামনে থাকতে তোমার ছবির দরকার কেন?
–আপনি সমানে থাকলে তো দেখা কম দুষ্টুমি বেশি হবে তাই।
–ওরে পাজি তাই তো এখনো তো দুষ্টুমি শুরুই করলাম না।
কথাটা বলেই আমার পেটে সুরুসুরি দিতে শুরু করে,
–এই না আমার ভিশন সুরুসুরি প্লিজ না।
কে শুনে কার কথা সে তো হাত দিয়ে তার খেলা খেলছে এদিকে হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে গেছে আমার,
–আল্লাহ প্লিজ আর না আর হাসতে পারছি না প্লিজ।
মেঘের কাহিল অবস্থা দেখে আমান ছেড়ে দিলো মেঘ কে।
–কি এতেটুকু তে কাহিল।
–এটাকে এতোটুকু বলে (হাঁপাতে হাঁপাতে)
পাজি বর যাহ কথা নাই।
–ওরে বাবা বৌ দেখে রাগ করে আসো রাগ ভাঙিশে দেয়।
–এই না খবরদার দুরে যাও আমি আর হাসতে পারব না পেটে খিল ধরে গেছে।
–আচ্ছা আর কিছু করছি না আসো।
–না আসবো না।
–এসো।
–না।
–আচ্ছা তবে আমি আসছি,
কথাটা বলে আমান এগোতে নিলে আমি দিলাম দৌড় ।
কিন্তু বেশি দুর যেতে পারি নি তার আগে ধরে ফেলেছে,
–এবার কি হবে,
–আপনার এতো বড়ো বড়ো হাত যে আমি ধরা খেয়ে যাই।
–ও বাবা তাই নাকি।
–হয় 😑
–আচ্ছা ঠিক আছে তবে লুকোচুরি খেলা যাক।
–সত্যি (উত্তেজিত হয়ে)
–হুম সত্যি ।
তুমি লুকাবে আমি খুঁজবো।
যদি খুঁজে পাই এই বাড়ির মধ্যে তাহলে তুমি আমাকে তা সব করতে দিবে যা আমি দিন ভর করতে চাই। আর যদি না পাই ২০ মিনিটের মধ্যে তবে তুমি যা চাও তাই।
–ওকে ডান ছাড়ুন৷
–ওকে
তাহলে আপনি ৫০ পর্যন্ত কাউন্ট করবেন ।
–হুম ডান তোমার সময় শুরু হলো,
১,২,৩….
আমান গুনতে থাকলেন আমি দৌড়ে বেরিয়ে এলাম।
সামনে থাকা স্টোর রুমের মতো ঢুকলাম।
সেখানে অন্ধকার এর মধ্যে নিশ্চিত খুজে পাবে না।
হালকা আলো আসছে বাইরে থেকে থাই গ্লাসের ওপার থেকে।
সেই মৃদু আলোতে আমি একটা বই রাখা rack মনে হলো তার পেছনে গিয়ে লুকালাম।
আমি তার পেছনে যেতেই কিছু একটা পরার শব্দ হলো,
–এই রে ফেসে গেছি এবার ধরে ফেলবে।
জলদি করে সেটাকে ওঠাতে গিয়ে একটা ছবি দেখতে পেলাম।
৪০-৫০ বছর বয়সের কোন পুরুষ মানুষের মনে হলো।
ছবির পেছনে প্রোফেসর আর একটা নাম লেখা বুঝা যাচ্ছে না কিন্তু তার পাশে খান লেখা।
বুঝা যাচ্ছে কোন প্রোফেসর তার কোন নাম এর পদবি খান হিসাবে লেখা।
কিন্তু এটা কে।
আমি বেশ অবাক হলাম ছবিটা দেখে এনাকে আমি কখনো দেখি নি।
ছবি নিশে পর্যবেক্ষণ করছিলাম ঠিক তখনি কেউ ঝড়ের গতিতে আমার থেকে ছবিটা নিয়ে নিলো।
আমি সামনে তাকিয়ে আমানকে দেখতে পেলাম।
ভ্রু কুচকে তাকালাম।
উনি কিছুটা সাভাবিক হয়ে বললেন,
–ধরে ফেলেছি মেঘ ২০ মিনিট এখনো হয় নি।
–ওকে আগে আমাকে একটা উত্তর দিন।
–উত্তর পরে আগে দেখি তোমায় দিয়ে আজ কি কি করাবো।
–আমান কিন্তু,
উনি আমাকে এভোয়েট করে আমাকে কোলে তুলে নিলেন,
–আরে আমি হাঁটতে পারবো,
–না আমি যা বলব তাই,
আমি কিছুটা অবাক নয়নে তাকিয়ে রইলাম।
সে আমাকে নিয়ে রুমে এলো,
–কি হলো এভাবে কি দেখো।
–আমি কিছু,।
–কাপড় পরো তোমার বাসায় যাবো আজ।
–কি!
–কি না জি।
–সত্যি,
–হ্যাঁ সত্যি কাপড় বদলে নেও আমি অন্য রুমে রেডি হচ্ছি।
–ওকে।
আমি মহা খুশিতে কাপড় নিয়ে বাধরুমে গেলাম৷
মেঘ উত্তেজনার বসে সবটা ভুলে গেল।
,
সুন্দর করে রেডি হয়ে নিলাম।
আমার রেডি হবা শেষে আমান আসলো।
ওকে দেখে আকাশ জুড়া হাসি দিলাম।
ও মুচকি হেসে বলল,
–চলো,
আমি ওনার সাথে বার হলাম,
–আচ্ছা বাবা!
–বাবাও আসবে কিন্তু আলাদা।
–ওহ তাহলে অনেক মজা হবে।
–হুম।
আমান গাড়ি চালাতে চলাতে বলল।
কিছু সময় পর আমরা আমার বাসায় পৌঁছে গেলাম।
মা বাবা আমাদের দেখে মহা খুশি,
চলবে,

সিক্রেট গ্যাংস্টার পর্ব-১৩

0

#সিক্রেট_গ্যাংস্টার❤️
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
#পর্ব_১৩

নীল রঙা নদীর পাশে একটা গাছের ছাউনি।
আমার মাথাটা আমানের কাঁধে।
মিষ্টি বাতাস আর আমানের শরীরের মিষ্টি ঘ্রাণ এ যেন মৌ মৌ করছে চারিদিক।
সূর্যের তেজ এখনো ভালোই আছে।
প্রায় ১ থেকে দেড় ঘন্টা তো থাকবে আলো।
আর আজকে বিকলের সব টুকু আলো আমি ওনার কাধে ঠিক এভাবে মাথা দিয়ে কাটাতে চাই।
আমান সমানের দিকে তাকিয়ে আছে আর আমিও।
কিছু সময় নিরবতা পালন করার পর তিনি বলে উঠলেন,
–পরিবেশ টা কি তোমার মনের মতো?
–হুম এক দম।
(বিঃদ্রঃ আমি সত্যি বাংলাদেশে এমন একটা নদী দেখেছি যা সাধারণ এর তুলনায় অনেক পরিষ্কার আর নীল।আর হ্যাঁ কেউ যদি বলো যে আপু অনেক সুন্দর যায়গাই আছে আপনি কি এক নদী নিয়ে পড়ে আছেন তাহলে বলব আমার এখনো বাংলাদেশের তেমন কেন সুন্দর যায়গায় যাবার সৌভাগ্য হয় নি। সত্যি সব নদী গুলো থেকে বেতিক্রম ছিল ওটা )
–মেঘ একটা কথা বলব।
–হুম বলুন।
–যদি কখনো এমন হয় তুমি জানতে পারলে তুমি আমায় যা ভেবেছো আমি তা না তাহলে কি হবে?ছেড়ে চলে যাবে আমাকে?
আমি ওনার এ প্রশ্ন শুনে মাথা তুলে ওনার দিকে তাকালাম।
তার চোখ দুটো চিকচিক করছে যেন আমাকে বহু জমানো কথা বলতে চাইছে।
–এমন প্রশ্ন কেন?
–বলো। যদি কখনো আমি খারাপ এটা বুঝো তবে?
–আপনি খারাপ তা আমি যেন বেঁচে থাকতে না জানতে পারি।
আমি আপনার সাথে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত থাকবো সে সব খারাপ এবং ভালো সময় উভয় সময়েই আমাকে পাশে পাবেন।
আমার কথা শুনে আমান আমাকে জড়িয়ে ধরলেন।
এতোটা শক্ত করে যেন ছেড়ে দিলে হারিয়ে যাবো।
আমি বুঝি না ছেলেটার মাঝে মাঝে কি হয়।
এভাবে ১ টা ঘন্টা কাটানোর পর।
আমাকে নিয়ে শহরের দিকে রওনা দিলেন,
কিছু খাবার খেলাম সাথে প্রিয় আইসক্রিম।
আর এভাবে সুন্দর মুহুর্ত গুলো কাটলো।
রাত ৮ টা বাজে আমরা বাসায় পৌছালাম।
আমি রুমেএসে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে হালকা কাপড় পরে নিলাম।
খুব গরম পরেছে।
ফ্রেশ হয়ে বাবার রুমে গেলাম কফি হাতে।
বাবা খুব খুশি হলেন।
আমরা গল্প করছিলাম তার কিছু সময় পর আমান এলেন এবার ৩ জনেই গল্প জুড়ে নিলাম।
আমার কখনো মনেই হয় না যে আমি এখানে নতুন।
আসলে সেটা আমাকে এনারা ফিল করতেই দেয় না।
রাত ১১ টা,
রাতের খাবার শেষ করে আমরা যে যার রুমে চলে এসেছি।
আমান কিছু কাজ করছে।
আমি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল বাধছি।
কিছুক্ষণ পর আমান এসে পেছন থেকে আমাকে জড়িয়ে ধরলেন,
আয়নার দিকে তাকিয়ে তাকে দেখলাম।
আমি চোখ ইসারা দিলাম যার মানে হলো কি হইছে।
উনি ওনার মুখ আমার ঘাড়ে গুজে দিলেন।
আমি কিছুটা কেঁপে উঠলাম,
তবে তার অনাকাঙ্ক্ষিত চাওয়া গুলো মুখ ফুটে না বললেও আমার কাছে তা স্পষ্ট ।
তার কোন কাজে বাঁধা দিতে আমার একটুও ইচ্ছে হচ্ছে না তার ভালোবাসার পরশ গুলো উপভোগ করতে ইচ্ছে হচ্ছে।
ভালোবাসার পরশ গুলো চোখ বন্ধ করে মেনে নেওয়া যায়,
★★★
সকালের সূর্য তার আলো দিতে না দিতে ঘুম ভেঙে গেল।
আজ শুক্রবার ছুটির দিন।
সব কিছুই বন্ধ আমান ও ভার্সিটি তে যাবে না।
আর বাবাও অফিস যাবে না।
সবাই বাসায় থাকবে যাক একটা আনন্দের দিন হবে।
গোসল করে নামাজ পড়ে।
সোজা নিচে চলে গেলাম।
আজ বাবা জলদি উঠেছে।
আমন আর বাবা মসজিদে গেছেন,
★★
মসদিজ থেকে ফিরছে আরিফ খান আর আমান,
–আমান।
–জি বাবা।
–তুমি তোমার কাজ বন্ধ করো নি।
–কেন বাবা হটাৎ এ প্রশ্ন।
–মেঘের সাথে তোমার বিয়ে আগেই আমি বলেছিলাম আমি শান্তি চাই তুমি কথা দিয়েছিলে আমাকে বাবা। কিছু দিন আগে পর্যন্ত শুধু আমি তোমার জীবনে ছিলাম কিন্তু আজ তোমার সাথে দুটো জীবন জড়ায় আছে আমি আর মেঘ।
কাল তোমাদের সন্তান ও আসবে।
তার পর কি হবে?
তোমার একটা ভুলের জন্য আমাদের পুরো পরিবার যে মেঘ আর যে বাবাকে তুমি এতো ভালোবাসো তারা আর হয় ত এ পৃথিবীতেই থাকবে না।
–বাবা আমি বেঁচে থাকতে যা আমি চাই তাই হবে তোমাদের কোন ক্ষতি অন্তত আমি হতে দিবো না।
–মহান আল্লাহ তায়লা কখন কি করেন বলা সম্ভব নয় বাবা আবার বলছি তুই ফিরে আয় জীবন টা তো চলছে নাকি।
–বাবা এটা আমার প্রতিশোধ যা না নেওয়া পর্যন্ত আমার শান্তি নেই।
–দেখ বাবা একটা কথাই বলার আছে শুধু মেঘ মা তোকে অনেক ভালোবাসে। ও আসাতে আমার নিশ প্রাণ বাড়িটা আবার প্রাণ পেয়েছে।
আমার পরিবার পূর্ণ হইছে।
ওর কোব ক্ষতি হলে আমি কখনো তোকে ক্ষমা করব না।
–আমি বেঁচে থাকতে মেঘের কিছু হতে দিবো না।
তারা দু’জন কথা বলতে বলতে বাসার কাছে চলে আসে।
তাই দু’জন ই চুপ হয়ে যায়।
★★★
বাবা আর আমান মসজিদে গেছিল নামাজ পড়ে আসলেন।
কিন্তু তাদের মুখ বেশ মলিন দেখাচ্ছে।
আমি শিড়ি বেয়ে নিচে এলাম।
ওনারা আমকে দেখে হাসার চেষ্টা করল।
কিছুকি লুকাচ্ছে আমার থেকে বুঝলাম না।
–এই তোমাদের মুখ এমন মলিন ছিল কেন?
–কই রে মা তুই যে বাড়িতে আছিস সে বাড়িতে মলিন করে থাকা যায়।
–আচ্ছা বাবা চলো আজ তুমি আর আমি মিলে রান্না করি।।
–আচ্ছা কি রান্না করবি বল। তোর মাকে আমি রান্না করে দিতাম যখন আমান পেটে ছিল।
খুব অসুস্থ থাকতো তো তাই চেষ্টা করতাম ওর সব কাজ করে দিতে।
–তুমি খুব ভালোবাসতে তাই না বাবা।
–হুম পালিয়ে বিয়ে করেছিল তখন তোমার দাদী শাশুড়ি বেঁচে নাই।
তোমার মাকেও আমার বাবা খুব ভালোবাসতেন।।
বাবা কথা গুলো বলার সময় তার চোখে কোনে পানি চিক চিক করতে দেখে আমি বাবার হাত ধরলাম
–ধুর চিন্তা করো না আমার
মেয়েকে আমি তোমার সাথে বিয়ে দিবো।
বাবা হেসে দিলেন,
–হ্যাঁ সেই আাসায় আছি আমানের আরেক মা এর আসায়।
আমান আমাদের কথা শুনে হাসছিল।
কিছু সময় পর আমি আমার কথায় লজ্জা বোধ করলাম ও যে সামনে আছে তা তো ভুলেই গেছিলাম।
আমি পরিস্থিতি সামাল দিতে রান্না ঘেরের দিকে গেলাম।
—ধুর আমিও না সব সময় পট পট করি একটু কম করলে কি হয় হ্যাঁ।
–নিজে নিজে কি বির বির করছো।
পেছনে তাকিয়ে আমানকে দেখে ভ্রু কুঁচকে বললাম।
–আপনাকে বলব কেন?
–ও মা আমাকে বলবা না আমি না তোমার স্বামী।
–ও মা তাই জানতাম না তো।
–কি!
–কি!
–তুমি ভিশন পাজি।
–এই কই আমি পাজি আমি তে ভদ্র, লক্ষি মেয়ে।
–হ্যাঁ বাবুর আম্মু। হবে কিছু দিন পর।
–আমি রান্না করছি আমাকে জ্বালাবেন না মোটেও।
–এ মা আমি তো কিছুই করলাম না এখনো এটুকু তে হয়রানি।।
কথাটা বলে আমাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলেন,
–বাবা তুমি আসবে না।
–এই মেয়ে আসলেই পাজি
বলেই ছেড়ে চলে গেলেন।
তার ওই মুখটা দেখার মতো ছিল।
আমার বুথুম পেঁচা।
হাহা।
চলবে,
(বানান ভুল ত্রুটি হলে অগ্রিম ক্ষমা প্রার্থী)

সিক্রেট গ্যাংস্টার পর্ব-১২

0

#সিক্রেট_গ্যাংস্টার❤️
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
#পর্ব_১২
–এই যে মিসেস.খান পড়তে বসুন আমার কাছে।
–এখন!
–হ্যা এখন সকালের পড়া ভালো হয়।
–ইয়ে মানে এখন না ইচ্ছে হচ্ছে না।
–লাঠি ধরলে ইচ্ছে হবে।
–ও মা আপনি মারবেন আমাকে?(করুন শুরে)
–হ্যাঁ যদি পড়ালেখা না করতে চান তবে অবশ্যই।
–আপনি ভিশন খারাপ।
(মুড নিয়ে)
–এ মা মাত্র জানলে নাকি আমি তো জানতাম অনেক আগে থেকে জানো।
–কল থেকে বসি।
–মেঘ বিয়ের সময়টায় এমনি পড়ালেখা করো নি আর এখনো যদি না না করো তবে হয় বলো
–ইয়ে মানে আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে কঔি বানিয়ে আনেন তাহলে পড়বো।
–কফি আচ্ছা ওয়েট।
আমান বাইরে গিয়ে সার্ভেন্ট দের বলে দিলো।
তার পর রুমে এলো,
–বসো নিয়ে আসছে।
ধুরে যাহ ভালো লাগে না সারা দিন পড়ালেখা করতে ভালোলাগে নাকি।😑
–কি ভাবছো?
–কিছু না (মলিন শুরে)
–বিকালে বাইরে নিয়ে যাবো সুন্দর একটা যায়গান ঘুরতে।
–সত্যি (হেসে)
–হ্যাঁ সত্যি।
–৩ সত্যি।
–ওরে হ্যাঁ রে পিচ্চি ৩ সত্যি।
আমি খুব খুশি হয়ে গেলাম
,
মেঘের খুশি দেখে আমান মনে মনে বেশ খুশি হলো আর ঠিক আগের মতোই পিচ্চি বলে মনে করছে।
সত্যি মেয়েটা পিচ্চি ছোট ছোট কিছুতে আনন্দ খুজে নিবার চেষ্টা করে।
–বসো পড়তে।
–হুম।
আমি ওনার কাছে পড়ে নিলাম।
পড়া শেষ করে নিচে গেলাম।
বাবা আমি আর আমান খেয়ে নিলাম
বাবা অফিস চলে গেল আর আমি আমনের সাথে ভার্সিটি।
,
,
–কি ব্যাপার কিরন তোমায় এতো চিন্তিত দেখাচ্ছে কেন?
–একটা চাকরির অফার আসছে আমি ইন্টারভিউ দিতে তো গেছি পরিক্ষায় টিকার পর ভাইবা হলো।
এখন আজ জানাবে চাকরি টা হইছে কি না।
–তুমি চাকরি নিয়ে চিন্তিত কেন?
–এই চাকরি টা পেলে তোমার বাসায় বিয়ের কথা বলব ঋতু।
ঋতু কথাটা শুনে কিছুটা হেসে বলল,
–আরে পড়ো ইনশাআল্লাহ ভালো কিছু হবে।
–হ্যাঁ তাই যেন হয়।
–ভাইবা কি ভালো হয়েছিল।
–হুম হয়েছিল।
–তাহলে চিন্তা কিসের।
–আসলে আমি তো টাকা বা ঘুষ পছন্দ করি না সম্পূর্ণ নিজের যোগ্যতায় চাকরিটা পেতে চাই।
–তা এটা তো ভালো কথা।
–কিন্তু বর্তমান যা অবস্থা তাতে তো মনে হয় না,
–আরে ধুর বেশি চিন্তা করো না,
তোমার শূন্য পকেটে আমি তোমার সাথে হাঁটতে রাজি আছি এতোটা সময় কষ্ট করেছি আর না হয় একটু করি।
আর তা ছাড়া ভালোবাসা অপর নাম অপেক্ষা বুঝলা মিস্টার।
আর আমি তোমায় ভালোবাসি সব সময় পাশে পাবে আমাকে।
–তাই সত্যি আমার খুব বেশি ভালো কাজের ফল সরুপ উপর ওয়ালা আমাকে তোমার মতো এক জন কে দিয়েছে।
–আচ্ছা প্রেম বিনিময় শেষ হয়েছে আপনাদের।
হটাৎ পেছন থেকে মেঘের কন্ঠ শুনে কিরন পেছনে তাকালো।
–আরে মেঘ আপু কেমন আছো?
–এই তো ভাইয়া আলহামদুলিল্লাহ আপনি কেমন আছেন?
–এই তো ভালোই। তোমার বান্ধবীর সাথে খুব বেশি ভালো আর কি।
–হ্যাঁ আমি জানি আমার বান্ধবী যে।
–আচ্ছা ক্লাস শুরু হবার দেরি আছে কির তুমি একটা গান শুরু করে আমরা শুনবো কি মেঘ,
–হ্যাঁ দারুন আইডিয়া ভাইয়া অনেক দিন আপনার কন্ঠে গান শোনা হয় নি।
–গাইবো আসলে অনেক দিন গাওয়া হয় না কিন্তু তোমরা যখন বলছো গাওয়া যায়,
–ওকে শুরু করেন,
–আচ্ছা,
ভাইয়া গিটার হাতে নিলেন,
তোমার এলোমেলো চুলে, আমার সাদা মনে
হারিয়ে যেতে চাই
কোন হুটতোলা রিকশায়
এক মুঠো প্রেম নিয়ে,
আমার শূন্য পকেটে
হারাতে দ্বিধা নাই
অচেনা গলিতে

এক শহর ভালবাসা দিতে চাই

এই নরম বিকেলে
মুখোমুখি দাড়িয়ে
শুধু বলতে ভয়, ভালোবাসাতে চাই
দ্বিধার আদরে

আমি খুব সাধারন
সাদামাটা একজন
মরতে পারি, বাঁচতে শিখি
তা দ্বিধা ছাড়াই

তোমার সাথে, এই পথটি যেন আজ শেষ না হয়
এমন করে, তোমার নরম হাতের ঐ ছোঁয়ায়
ইচ্ছে করে, জমা চায়ের কাপে বৃষ্টি নামুক
হোক সন্ধ্যা রাত, তবু এই সময় থেমে থাকুক

বুলিয়ে দাও রাঙিয়ে, ঐ মায়া যাদুহাতে
কি সুখ লাগে

এক শহর ভালবাসা দিতে চাই

এই নরম বিকেলে
মুখোমুখি দাড়িয়ে
শুধু বলতে ভয়, ভালোবাসাতে চাই
দ্বিধার আদরে

আমি খুব সাধারন
সাদামাটা একজন
মরতে পারি, বাঁচতে শিখি
না দ্বিধা ছাড়াই

ও…
তোমার…
ভাইয় খুব সুন্দর গান করলেন আমারা খুব উপোভগ করেছি৷
ঋতুর চোখ উজ্জ্বল তারা মতো দেখাচ্ছিল।
আসলে এরা দুজন দু’জনের জন্য যে এ পৃথিবীতে এসেছে তা কিন্তু মিথ্যা নয়।
ওদের ভালোবাসায় কোন ঘাটতি নাই।
,
আমরা সব ক্লাস শেষ করে বাসায় চলে এলাম।
আমান আমাকে বাসায় দিয়ে কোথাও একটা গেলেন কোন কাজ আছে নাকি।
আমি গোসল করে খাবার সামনে নিয়ে ওনাকে ফোন করলাম,
–হ্যালো মেঘ,
–হ্যা আমান আপনি কই?
–আমি এই বাসার সামনে।
–ওহ জলদি আসুন খাবো।
–আসছি।
আমান বাসায় এসে সোজা গোসলে গেলেন ছেলেটা সকালে এক বার গোসল করেছে এখন আবার।
গোসল শেষ করে আমার সাথে খেয়ে নিলেন,
–বিকালে রেডি থেকো।
–আপনি কই যাবেন?
–আমি বাইরে থাকবো আর তোমায় ফোন দিলে তুমি নেমে আসবে।
–আচ্ছা।
–হুম,
দেখতে দেখতে বিকাল হলো,
মায়ের সাথে কথা বলতে গিয়ে ভুলেই গেছিলাম বাইরে যাবার কথা।
আয়নার সামনে দেখি একটা শাড়ি রাখা আছে,
বুঝলাম মহাশয় সেটাই রেকমেন্ড করেছেন।
আমি শাড়িটার কাছে এগোতে একটা চিরকুট পাই,
–প্রিয় তুমি যা পরবে তোমায় তাতেই ভালোলাগবে।
আমি এটা বলছি না এই শাড়িটা পরো কারন সেটা ভুল হবে কারন আমার কাছে তুমি সুন্দর তুমি কি পরেছো তার উপর তোমার সুন্দর নির্ভর করে না।
এটা শাড়ি কিন্তু আলমারি তে অনেক কিছুই আছে যা তোমার ইচ্ছে তাই পরবে।
আমি চিঠিটা পড়ে খুব খুশি হলাম।
সত্যি এমন করে কেউ ভালোবাসতে পারে জানা ছিল না।
এক শহর ভালোবাসা।
যদিও অনেক কিছুই ছিল কিন্তু চমি সেই শাড়িটাই পরলাম,
আর একটু সাজুগুজু করে নিলাম।
তখন আমান ফোন করল,
–রেডি।।
–হ্যাঁ
–তাহলে চলে এসো।
আমি ফোনটা রেখে নিচে চলে এলাম।
গাড়িতে মহাশয় অপেক্ষা করছেন আমি আসতে খুলে দিলেন।
ভেতরে বসলাম।
যে রাস্তা দিয়ে আমারা যাচ্ছি সেটা প্রকৃতি দ্বারা আবৃত ।
বেশ সুন্দর পরিবেশ।
আবহাওয়া বেশ ঠান্ডা কারন মেঘ করেছে আকাশে।
–কোথায় যাচ্ছি?
–সারপ্রাইজ বলা যাবে না।
–আচ্ছা।
অনেকটা সময় ট্রাভেল করলাম।
তার পর চলে এলাম একটা প্রকৃতি পরিবেশে একটা নদী যার পানিটা ভিশন নীল।
আমি তো অবাক।
এটা কই নিয়ে এলে আমাকে সত্যি অসাধারণ সুন্দর একটা যায়গা৷
আমান আমার হাত ধরে আমাকে নদীর পারে নিয়ে এলো।
সবুজ গাছ গুলো নতুন পাতা ধরেছে।
কচি পাতা নিচে গাড়ো সবুজ।
নদীর পানিটা।
বাতাস আর উপরের কালচে মেঘ।
বাতাস বইছে একাধারে।
আমান আমাকে একটা সাইডে বসালেন।
আর নিজে আমার পাশে বসলেন।
আমার হাতে হাত দিলেন।
–এই হাতটা ছাড়তে চাই না।
–আমিও।
উনি আমার কপালে ভালোবাসার পরশ দিয়ে দিলেন।
সত্যি এই মুহুর্ত টা বেস্ট আমার জীবনে এতো সুন্দর মুহূর্ত কখনো আসে নি।
চলবে,
(বানান ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন)