Sunday, August 10, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 1978



প্রিয় প্রকৌশলী সাহেব – Arisha Jannat

0

#গল্পপোকা_চিঠি_প্রতিযোগিতা_২০২০
#চিঠি_নং_২

প্রিয় প্রকৌশলী সাহেব,
পত্রের প্রথমে এক পড়ন্ত বিকেলে ক্ষণিকের দৃষ্টিবিনিময়ে নিজের মূল্যবান হৃদয় নামক বস্তুটি হারিয়ে ফেলে প্রায় সর্বহারা হয়ে যাওয়া এই মেয়েটির সালাম নিবেন।আশা করি আমার অতিপ্রিয় হৃদয়টিকে দখল করে ভালোই আছেন।অবশ্য আপনাকে ভালো থাকতেই হবে কেননা আপনার ভালোমন্দতেই এই আমি,আমার মতো সামান্য মেয়েটির ভালো থাকা।আপনার কর্মস্থলের আমার এক পরিচিত ব্যক্তির কাছ থেকে মাঝেমধ্যেই আপনার খবরাখবর নেওয়া হয়।সেই উপকারী ব্যক্তিটির কাছ থেকে আপনার সহিসালামত থাকার সংবাদ পেয়েছি বলেই তো আমিও এখন অসম্ভব খুশিমনে দিনরাত্রি যাপন করছি।
.
পত্রের শুরুতেই আমার লেখা আবেগপরায়ণ কিছু ইঙ্গিত পূর্ণ সংলাপ দেখেই হয়তোবা আপনি বুঝে গিয়েছেন আমি সাংঘাতিক এক রোগে ভুগছি।রোগটির নাম হলো ‘প্রেম রোগ’।এই রোগের বিস্তার আমার মাঝে উদয় করার জন্য যেমন দায়ী আপনি তেমনি এটির থেকে আমাকে নিস্তার পাওয়ানোর এক এবং একমাত্র উপায়ও আপনি।আমার জানামতে,আমি কে বা আমার পরিচয় কি এই প্রশ্ন তো আপনার চরম কৌতূহলী মনে এতক্ষণে নির্ঘাত উঁকি দিয়ে দিয়েছে।কেননা আপনার মন প্রচুর কৌতূহল আর আগ্রহ দ্বারা পরিপূর্ণ।আপনি যে সবকিছুর প্রতি এভাবে নিজের অতিরঞ্জিত কৌতূহল প্রকাশ করেন তা আমার একদম পছন্দ না,জানেন?
কেনো পছন্দ না তা নিয়েও নিশ্চয় আপনার মনে অনেক প্রশ্ন আনাগোনা করছে।থাক,প্রশ্নদেরকে নিয়ে ভাবনাচিন্তা করার দরকার নেই।আপনি বরং
প্রশ্নগুলোকে তাদের নিজেদের ঠিকানায় চলে যেতে বলুন।আমি নিজেই আমার অপছন্দের কারণ বলছি।
শোনেন,আমি চাই যে আপনার বুকের বামপাশে অবস্থিত ওই ভালোবাসা খঞ্জিত মনে শুধুই আমি এবং আমিই বিরাজ করি।আমি চাই না যে আমি ছাড়া অন্য কাউকে নিয়ে আপনার মনে উৎসাহ,উৎকন্ঠা,উদ্দীপনার সৃষ্টি হোক।বকুলগঞ্জে আপনার বিরাজমান থাকা দিনগুলোতে আপনি যখন কিছু নিয়ে কৌতূহল প্রকাশ করতেন তখন সেই বস্তু বা ব্যক্তিটির প্রতি আমি অনেক হিংসা অনুভব করতাম।
অবশ্য এখন যে কৌতূহল অনুভব করছেন তা নিয়ে কোনো হিংসা অনুভব করছি না কেননা এখনকার সৃষ্টিশীল কৌতূহল আমাকে ঘিরে জন্ম নিয়েছে আর আমাকে ঘিরেই একসময় বাষ্প হয়ে মিলিয়ে যাবে।এতকিছু বলছি বলে আমাকে বেহায়া ভাববেন না আবার,কেমন?যাকে নিজের হৃদয় নামক সম্পদ দিয়েছি তার প্রতি নিজের সকল রকম অধিকার তো জাহির করতেই হবে।
.
জানেন?চিঠিটা লিখতে বসার পর থেকেই একটা গান অনবরত গুনগুন করে গেয়ে চলেছি,
“মিলন হবে কতদিনে
আমার মনের মানুষের সনে”
বড়ই লজ্জাজনক ব্যাপারস্যাপার!
.
আপনার মনে আছে কি না তা জানি না কিন্তু আমার স্মৃতিকথাতে সেই অদ্ভুত সুন্দর দিনটি নিজের ঝলমলানো মহিমা এখনো ঠিক সেই প্রথম দিনের মতোই টিকিয়ে রেখে শীর্ষস্থান দখল করে রয়েছে।বর্ষার সেই মেঘাচ্ছন্ন দিনটিতে যখন দুই বেণী ঝুলিয়ে চিকনচাকন শ্যামবর্ণের আমি কলেজ থেকে নিজ গন্তব্যে ফিরছিলাম ঠিক তখনি নজরকাড়া এক সুদর্শন যুবকের আকর্ষণীয় পুরুষালি কণ্ঠের হাতছানিতে আমি নিজের দৃষ্টি তার দিকে নিক্ষেপ করি।যুবকটিও একবার আমার চোখে চোখ রেখে নজর সরিয়ে ফেলে।
আর দৃষ্টিবিনিময়ের ঠিক সেই মুহূর্তেই আমি সর্বনাশা কাণ্ডটি ঘটিয়ে ফেলি!আকাশপাতাল,রোদবৃষ্টি,গাছগাছালি আর পাখিদের কিচিরমিচির কোলাহলকে সাক্ষী রেখে আমার হৃদয়কে সেই যুবকটি এক প্রকার ছিনিয়ে নেয়।যুবকটি অবশ্য সেই কর্ম নিজের অজান্তেই করে ফেলেছিল।তাই আমি তাকে খুব একটা দোষারোপ করি না।সেদিনকার মতো নিজ গন্তব্যে ফিরে আসলেও পরবর্তীতে ক্ষণেক্ষণে আমার বোধগম্য হয় যে, আমি সর্বহারা হয়ে গেছি।তাই নিজেকে শান্ত করার জন্য হৃদয় ছিনতাইকারী সেই যুবক গ্রামে অবস্থানকালে আমি তার অজান্তেই তার ছায়া হয়ে চলাচল শুরু করি।জানতে পারি শহরের নামকরা একজন প্রকৌশলী সে।সে যেদিন ফিরে যায় তার ঠিকানায়,সেদিন কান্নাকাটি করে নিজেকে বুঝ দিই যে,” বামুন হয়ে চাঁদ ছোঁয়া মানায় না”।এতদিন এই উক্তিটি মেনে চলতে পারলেও আর যে আমি সহ্য করতে পারছি না।তাই লেখা আরম্ভ করে দিলাম আমার মতো সামান্য মেয়ের বাস্তবিক ভালোবাসার অস্তিত্ব দানকারী প্রমাণপত্র।আশা করি আপনি বুঝবেন যে আমার হৃদয় আহরণকারী সেই যুবকটি কে!
.
হঠাৎ করেই বকুলগঞ্জ নামক ছোট পল্লীর এক অজ্ঞাতনামা কিশোরী মেয়ের আবেগময় ভঙ্গিতে নিজ ভালোবাসার বিস্তৃতি সম্পর্কে লিখিত পত্র পেয়ে হয়তোবা নিজের কর্মব্যস্ততার মাঝেও অবসরে পাওয়া কিছু অতি দামি সময় আপনি খুবই বিস্মিত হয়ে অতিবাহিত করছেন।যথাসম্ভব নিজের বকুলগঞ্জে উপস্থিতকালের দিনগুলো অতীতের স্মৃতির পাতা থেকে সরিয়ে বর্তমানে পদার্পণ করিয়ে এই নগণ্য মেয়েটিকে স্মরণ করার যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।অযথা চেষ্টা করবেন নাতো।পূর্ববতী স্মৃতিচারণ করে আমাকে আপনি চিনতে পারবেন না,বুঝেছেন?আমাকে চিনতে,জানতে চাইলে বকুলগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যান।
.
আজকের মতো এখানেই ইতি টানি।সবসময় ভালো থাকবেন আর আপনার আশেপাশের সবাইকে ভালো রাখবেন।আল্লাহ হাফেজ।

ইতি,
বকুলগঞ্জের সেই মেয়েটি

প্রিয় ভালোবাসা-সানজিদা তাসনীম রিতু

0

#গল্পপোকা_চিঠি_প্রতিযোগিতা_২০২০
চিঠি নং-৩
প্রেরক: সানজিদা তাসনীম রিতু

প্রিয় ভালোবাসা,
লিখতে শুরু করার পর বেশ কিছুক্ষণ ভাবছিলাম তোমাকে কীভাবে সম্বোধন করবো! অনেকক্ষন ভাবার পরে এটাই খুঁজে পেলাম, জানি না কেন এমন হলো। এটা কী আমার ব্যর্থতা? না কী তোমাকে চিঠিতে ডাকার মতো কোনো সম্বোধন পৃথিবীতে আমার জন্য তৈরি হয়নি? ভেবেছিলাম তোমাকে একটা বিশেষ দিনে খুব সুন্দর করে একটা চিঠি লিখবো কিন্তু পরে তোমার বলা কথা মনে হলো, “কাল কি হবে সেটা ভেবে আজকের দিনটা নষ্ট করো না, কাল হয়তো বেঁচে নাও থাকতে পারি” তাই আর অপেক্ষা করলাম না। আমি আমার ক্ষুদ্র জীবনে অনেক চিঠি লিখেছি, হাতে হাতে মোবাইল তো কদিন মাত্র আসলো কিন্তু তোমাকে চিঠি লিখতে হবে এটা আসলে সেভাবে ভাবিনি কখনও কারণ, যন্ত্র সভ্যতার যুগে চিঠি কল্পনার বিষয়বস্তু না কিন্তু আমার ভাবা উচিত ছিল, এই একমাত্র মাধ্যম যেখানে প্রাপক পুরোটা পড়ার আগে উত্তর দিতে পারে না। এই যাহ! কথা শুরু করার আগেই কথা হারিয়ে ফেলেছি! বারবার আমার সাথে এমনটাই কেন হয়? কেন আমার বাস্তবিক জীবনটাও এমন কোনো কিছু ভালো ভাবে শুরু করার আগেই শেষ হতে চায়? আচ্ছা বলোতো এভাবে আর কতকাল শেষ দেখবো? শেষ দেখতে দেখতে ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত আর বিদ্ধস্ত হয়ে পড়েছি। যাইহোক, আমার কথা পরে লিখলেও চলবে, আগে তো চিঠির বিষয়বস্তুতে প্রবেশ করি। জানি না কতদূর লিখতে পারবো। পৃথিবীতে এমন কোনো বস্তু যেমন কাগজ, কলম, কালি তৈরি হয়নি যাতে মনের আবেগ পরিপূর্ণ ভাবে প্রকাশ করা সম্ভব কারণ তোমাকে নিয়ে লিখতে চাইলে সারাজীবন লিখে যেতে পারবো। তবুও চেষ্টা করে দেখি…

পিচ্চি,
হঠাৎ একটা কথা মনে পড়ে গেলো, “প্রযুক্তি আমাদের দিয়েছে বেগ কিন্তু কেড়ে নিয়েছে আবেগ” এটা যদিও অত্যন্ত সত্যি একটা কথা তবুও আমার মনে হয় আবেগ কেড়ে নেওয়া হয়নি, সেটা আমাদের ভিতরেই লুকায়িত আছে, শুধু প্রকাশ করাটাই বড় ব্যপার। জানি, আমি এই চিঠিতে আমার আবেগের খুব অল্পই প্রকাশ করতে পারবো তবুও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। নাহ! অনেক কিছু মনে ছিল, এখন আর কিছুই মাথা হয়ে হাতের আঙুলে আসছে না! কী লিখি বলো তো?

আমার রাফিন,
আমার লেখার এতটা শক্তি হয়নি যে আমি লেখার মাধ্যমে তোমাকে প্রকাশ করবো বা আমাদের ভালোবাসা প্রকাশ করবো, এটা সম্ভবই না। আমি তোমার মতো একজনকে এতটা আপন করে পাবো কখনো ভাবিনি। তোমার ভালোবাসার পরিমাণ এতটাই যে, যা শোধ করার সাহস আমি কখনোই দেখাতে পারবো না, এতটা সাহস এখনও হয়নি আমার। তোমাকে নিয়ে আমি সারাজীবন কাটাতে চাই যতদিন মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে বাঁচিয়ে রাখবেন। আমি জানি, তোমার বিকল্প কেউ হতে পারে না। পানি ছাড়া যেমন নদী অপূর্ণ তোমাকে ছাড়া আমিও অপূর্ণ। আমি এতদিন বেঁচে আছি শুধু তোমার ভালোবাসায়, আমার অতীত অভিজ্ঞতা আমাকে অনেক আগেই জীবনের কাছে পরাজিত করে দিয়েছে, বেঁচে থাকার কোনো কারণ বা অবলম্বন অবশিষ্ট ছিল না কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তে মহামহিম আল্লাহ আমাকে শক্তি দিয়েছেন তোমাকে উপহার দিয়ে। তোমার মাধ্যমে আমি নিজেকে নতুন করে দেখতে পেরেছি, নতুন করে চিনতে পেরেছি তবুও অকৃতজ্ঞের মতো বারবার তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি যেগুলো আমার মোটেও ঠিক হয়নি, আমি ক্ষমাপ্রার্থী তোমার কাছে।

আমার অর্ধাঙ্গ,
সমাজ বা পৃথিবী তোমার আমার সম্পর্ককে কিভাবে দেখে সেটা আমার জানার প্রয়োজন নেই। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি তুমি আমার অর্ধাঙ্গ, এটা সমাজ স্বীকৃত না আমি জানি, পৃথিবীর কেউই এই কথা কোনোভাবেই বিশ্বাস করবে না তবুও আমি বলছি তুমি আমার অর্ধাঙ্গ। তুমি ছাড়া দ্বিতীয় কাউকে আমি এটা ভাবতে পারবো না, কোনোদিনও না।

আমার পাগলটা,
আমি জানি আমি যতই লিখি না কেন সেটা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে কারণ… থাক কারণটা না বলি। আমরা মনুষ্য জাতি, আমাদের জীবনে সব সময় কোনো না কোনো সমস্যা থাকাটাই স্বাভাবিক কিন্তু আমরা সেই সমস্যার সমাধান না করে সেটাকে ভাঙ্গনের অজুহাত বানিয়ে ফেলি, এটা করা উচিত না তাই না? আমি জানি আমি তোমাকে খুব বেশি ভালো রাখতে পারবো না, তবে আমি একটা জিনিস পারবো, আমার ভিতরে লুকায়িত যত ভালোবাসা আছে সব তোমাকে দিতে পারবো।

প্রিয়,
আর সম্বোধন পাচ্ছি না। আজ একটা কথা খুব বলতে ইচ্ছা করছে,
“তুমি জানলে না, আমার হাসির আড়ালে
কত যন্ত্রনা, কত বেদনা
কত যে দুঃখ বোনা।”
কী ভাবছো? এটা নিতান্তই একটি গানের লাইন? না গো, এটা আমার মনের কথা তোমার জন্য। তুমি সবসময় যথাসাধ্য চেষ্টা করেছো আমার সব কিছু ভুলিয়ে আমাকে আনন্দে রাখতে, আমাকে হাসাতে কিন্তু…

এইযে,
তুমি কি জানো তুমি অদ্ভুত ক্ষমতার অধিকারী? তা না হলে কোনো ভাবেই আমার মতো উদ্ভট, বেয়াড়া, একগুঁয়ে, বদমেজাজী মেয়েকে এতদিন ধরে রাখা অসম্ভব ছিল। আমি নিশ্চিত আর কারোর পক্ষে এটা সম্ভব ছিল না, হবেও না। তাই আমার মনে হয় তুমি অদ্ভুত গুণে গুনান্বিত আর এই জন্য তোমার মহান আল্লাহকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। তুমি নিশ্চয়ই এতক্ষণ পড়তে পড়তে কল্পনার সাগরে ডুব দিয়েছো? ভাবছো আসলেই কী সব সত্যি! তোমার এমন কিছু ভাবা অস্বাভাবিক নয় কিন্তু আমি তোমাকে নিশ্চিত করে বলছি আমার মনের লুকোনো কথাগুলোই আমি তোমাকে বলছি। আমি কোনো জনপ্রিয় লেখকের সাহিত্য থেকে তোমাকে নিয়ে লিখছি না, আমার মন যা বলছে, মনের গহীনে তোমাকে নিয়ে সুপ্ত যেই কথাগুলো আছে সেগুলোই লেখার চেষ্টা করছি। যদিও আমার মন এর থেকেও বেশি কিছু বলছে কিন্তু দুঃখের বিষয় আমার শব্দভাণ্ডার মনকে শতভাগ প্রস্ফুটিত করতে পারছে না।

আমার লম্বুটা,
তোমাকে কথা দিয়েছিলাম সারাটা জীবন তোমার পাশে থাকবো অন্তত দূর থেকে হলেও। হ্যাঁ, তুমি দেখে নিও আমি যত দূরেই থাকি না কেন ছায়া হয়ে তোমার সাথে সাথেই হাঁটবো। দরকার হলে মরে গিয়ে পেত্নী হয়ে তোমার ঘাড়ে চেঁপে বসে থাকবো তবুও তোমাকে ছাড়বো না। এই প্লিজ, এভাবে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে থেকো না, আমি যে তোমার মায়াবী চাহনীর সাগরের ফেনিল ঢেউয়ে হারিয়ে যাবো! যাইহোক, চিঠি এতো দীর্ঘায়িত করতে হয় না, না হলে অনেক জরুরী কথা দৃষ্টিগোচর হয় না।
অনেকটা! না অনেকটা নয় পুরো চিঠিটায় তোমাকে আবেগে ভাসিয়েছে, তুমি পুলকিত আর সাথে প্রচণ্ড শিহরিত আমি বুঝতে পারছি। রাহমানুর রাহিম আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া আদায় করছি তোমাকে সৃষ্টি করার জন্য।

আমার রাজপুত্রটা,
আমি জানি তুমি বেশ কিছুক্ষণ চুপচাপ থাকবে, হয়তো আনন্দের অতিশয্যে তোমার দু’চোখের কোণে দু’ফোটা তপ্ত অশ্রুও জমতে পারে তাই আর বিলম্ব না করে বিদায় নিচ্ছি। চিঠি থেকে, তোমার কাছ থেকে না। তোমার জীবন তেজপাতা না করে আমি সহজে বিদায় নিবো না, চিন্তা করো না।
ইতি
তোমার বুড়ি।

প্রিয় -sneha

0

#গল্পপোকা_চিঠি_প্রতিযোগিতা_২০২০
চিঠি নং–০২

প্রিয়,
কেনো জানি খুব কান্না পাচ্ছে। শূন্যতা,পূর্ণতা, নির্ভরতা নাকি নিঃসঙ্গতার জন্য জানি না। শুধু বুঝতে পারছি বুকের ভিতরে কোথায় জেনো লুকানো জায়গা থেকে একদল কষ্ট প্রচন্ড কান্না হয়ে দুচোখ ফেটে বেরুতে চাইছে। তুমি কাছে নেই বলে শূন্যতা ইচ্ছা মতো দেখাচ্ছে তার নিষ্ঠুর খেলা। আমি তো তোমাকে একটু দেখেই বাঁচি এখন। কিন্তু তুমি যে আমার আশে পাশে থেকেও অনেক দূরে। মহাকাল যে হাস্যকর ক্ষুদ্র সময়কে জীবন বলে আমাকে দান করেছে, সেই জীবনে তুমিই আমার সব। তোমাকে দেখলেই ইচ্ছে করে তোমার এলোমেলো চুল গুলো ঠিক করে দিতে। তোমাকে দেখলেই ভাবি একটা ছেলেও এতো নিখুঁত হতে পারে। আজ প্রতিটি ক্ষণ হৃদয়ে যে পরম সত্য অনুভব করলাম, আমার মনে শুধুই তুমি। তোমাকে ভালোবাসি প্রচন্ড এর চেয়ে কোনো সত্য আপাতত আর জানিনা।
ভালোবাসি তোমায়……

ইতি,
তোমার অজানা কেউ।

প্রিয় গল্প পোকা-Arushi Asha

0

#গল্পপোকা_চিঠি_প্রতিযোগিতা_২০২০
চিঠি নং : ০১

প্রিয় গল্প পোকা,
পত্রের শুরুতে তোমার জন্য রইল নীল অপরাজিতার শুভেচ্ছা আর আকাশসম ভালোবাসা।

জানো তো, আমার লালন করা ইচ্ছা গুলোর মধ্যে; একটি ইচ্ছা ছিল তোমার কাছে চিঠি লেখার কিন্তু চিঠি লেখার সেই সুযোগটা হয়ে উঠেনি। আজ যখন সুযোগটা পেয়েছি, হাত ছাড়া করিনি। এই মুহূর্তে তোমায় নিয়ে, আমার অব্যক্ত কথামালা গুলো ব্যক্ত করার জন্য আমি মরিয়া হয়ে উঠলাম। তাই আজ লিখে ফেললাম; চিঠি নামের এক সুন্দর অনুভূতি তোমার ঠিকানায়।
জানি না! আমার বাক্স বন্দী অনুভূতিগুলো কতটুকু ব্যক্ত করতে পারবো। কারণ কিছু কথা, কিছু অনুভূতি, কিছু ভালোবাসা চাইলেও ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।

গল্প পোকা, তোমায় নিয়ে যখন লিখছি তখন হঠাৎ এক পশলা বৃষ্টি আমার শহরটাকে ভিজিয়ে দিয়ে গিয়েছে। ঐ এক পশলা বৃষ্টির পানে চেয়ে আমার মনটা ভীষণ আনন্দে পুলকিত হয়ে উঠলো। কেন জানো?
কেননা এই এক পশলা হঠাৎ বৃষ্টির মতোই আমি তোমার সন্ধান পেয়েছি। আমি আপন মনে বলে উঠি, ‘হঠাৎ বৃষ্টি কারো কারো জন্য আশীর্বাদ।’
যেমনটা তুমি আমার জন্য আশীর্বাদ।

প্রিয় গল্প পোকা, তুমি জানো না। তুমি আমার নিকট কতটা প্রিয়। তোমার সাথে আমার পরিচয়টা বেশি দিনের নয়। আবার একেবারে কম দিনেরও নয়। এই এতটুকু সময়ে আমার প্রিয়র তালিকায় তুমি স্থান দখল করে নিয়েছো। তুমি কি জানো? আমার প্রিয় জিনিস গুলোর মধ্যে একটি যে তুমি?
আমিও না! কিযে বলি! জানবেই বা কি করে তুমি। আমি তো তোমায় কখনো বলিনি। হ্যাঁ তবে আজ থেকে কথাটি জেনে রেখো।

হে আমার তালাবদ্ধ ডায়েরির চাবি “গল্প পোকা”। তুমি এটাও জানো না যে, তুমি আমার চাবিকাঠি।
অনেক আগে থেকেই টুকটাক লেখালেখি করার শখ আমার। আমার শখের অগোছালো লেখাগুলো কেবল ডায়েরির পাতায় সীমাবদ্ধ ছিল। কখনো কোথাও প্রকাশ করার সাহস করিনি। অতঃপর একদিন সাহস করে প্রকাশ করেই ফেললাম। “গল্প পোকা” নামক এক মুক্ত ডায়েরির পাতায়। যে পাতা সকলের জন্য উন্মুক্ত।
হ্যাঁ গল্প পোকা, তুমি আমার তলাবব্ধ ডায়েরির চাবি হয়ে এসেছো। আমার তালাবদ্ধ লেখাগুলো মুক্ত করার সুযোগ করে দিয়েছো। তাই আজ আমি গড়ি নতুন কিছু ছন্দ, নতুন কিছু শব্দমালা। আরো জাগ্রত করি অনুভূতি শতক। এই যে আজও আমি দু’চার লাইন লিখতে পারছি। তা শুধু তোমার কারণেই।

ভালোবাসার গল্প পোকা, তুমি শুধু আমায় লেখার সুযোগ করে দাও নি। দিয়েছো “সেরা লেখক” এর খেতাব। এটা শুধু আমার কাছে খেতাব নয়। একটা আস্তো ভালোবাসা। সেই ভালোবাসাকে আমি আগলে রেখেছি আমার মন কুঠুরিতে।

গল্প পোকা, তুমি আমার প্রাপ্তির খাতার প্রথম নাম। জীবনে প্রথম বারের মতো অনলাইন জগতের কোনো প্রতিযোগিতায় আমি অংশগ্রহণ করি। আর সেই অংশগ্রহণটা তোমার এই নিপুণ প্লাটফর্মেই। এবং সেই প্রথম বারেই আমি জয় করি আমার জীবনের সেরা পুরস্কারটা। এটা যে আমার জন্য কী! তা আমি বলে বুঝাতে পারবো না। শুধু বলবো তোমার প্রতি আমি সর্বদাই কৃতজ্ঞ।

আমার উৎসাহের আলোকবর্তিকা “গল্প পোকা”,
তুমি উৎসাহিত করেছো বলেই, আজ আমি আমার বাকি সকল সুপ্ত প্রতিভা গুলোকেও মেলে ধরার সাহস সঞ্চয় করেছি। জাগ্রত করছি বহুদিনের ঘুমন্ত প্রতিভা গুলোকে।

গল্প পোকা, তুমি শুধু দিয়েই যাচ্ছো। তুমি আমাকে দিয়েছো কতগুলো জ্বলজ্বল করা পাঠক আর নবীন লেখক। দিয়েছো কতগুলো ভালোবাসাময়ী ছোট এবং বড় বোন। যাদের ভালোবাসা পেয়েছি অফুরন্ত। আরো দিয়েছো তোমার বিশুদ্ধ ভালোবাসা। তোমার এই ভালোবাসা ও মহৎ কর্মের কাছে আমি সর্বদা ঋণী থাকবো।

গল্প পোকা তুমি জ্বলজ্বল করা নক্ষত্র।
তোমার অবদানের কথা বলার মতো,
নেই আমার কাছে উপযুক্ত কিছু শব্দ।

এগিয়ে যাও তুমি তোমার লক্ষ্যে,
তুমি থাকবে নবীনদের পদচিহ্ন হয়ে।

গল্প পোকা, চিঠির শেষটায় তোমার জন্য রইল ন্যাপথলিনের ভালোবাসা। নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছো?
ন্যাপথলিন ভালোবাসা দেখে?
প্রথমত, ন্যাপথলিনের ঘ্রাণ যেমন আমার প্রিয়। ঠিক তেমনি তুমিও আমার কাছে অতি প্রিয়।
দ্বিতীয়ত, জামা কাপড় পোকায় যাতে না কাটে। তার জন্য যেমন ন্যাপথলিন দেয়া হয়। ঠিক তেমনি আমি আমার ভালোবাসায় ন্যাপথলিন দিলাম। যাতে এই অকৃতজ্ঞ মন তোমার ভালোবাসা ভুলে না যায়। তবে একটুখানি তফাৎ আছে। ন্যাপথালিন এক সময় উড়ে যায়। যদিও সুবাস থাকে। কিন্তু তোমার প্রতি ভালোবাসা কখনো নিঃশেষ হবে না।

আজ এখানেই শেষ করছি। শেষ করছি বলে ভেবো না, আমার সকল অব্যক্ত কথা ব্যক্ত করে ফেলেছি। তোমায় নিয়ে লিখলে লেখারা ইতি টানবে না। এটা শুধু চিঠির ইতি টানা মাত্র। তোমার নিয়ে লেখার ইতি নেই কিন্তু চিঠির তো ইতি আছে। তাই আপাতত এখানেই ইতি টেনে দিলাম।
ভালোবাসি তোমায় প্রিয় গল্প পোকা।

ইতি,
তোমার একজন সদস্য
আশা
————————————
আর্ট বাই : আশা

প্রিয় মা – saima Islam tamanna

0

#গল্পপোকা_চিঠি_প্রতিযোগিতা_২০২০
চিঠি নং -৩

প্রিয় মা,

মা তুমি এখন কি করছো? এই কথাটা আজ বড্ড জানতে ইচ্ছে করছে। মা, তুমি কি আজ আমার খোঁজে ব্যাকুল হচ্ছো। মানিক ফোন দেয় না কেনো এর জন্য? জানো মা,তোমার মানিক তোমার সাথে কথা বলার জন্য আজ কয়দিন ধরে ছটপট করছে জানে না? জানবে কিভাবে? তোমার সাথে আমার কথা হয় না দীর্ঘ তিন মাস হতে চললো। এই তিনটি মাসের মধ্যে একদিনও তোমায় কল দিতে পারি নি আমি। দিবো কিভাবে, আমি যে আজ অসহায় বড্ড অসহায়। বর্তমানে যে মহামারি রোগ “করোনা”। তার প্রকট ধরে আজ আমি কর্মহীন এক যুবক। কাজে নিচ্ছে না কেউ। আর শুনছি এই মহামারি প্রকট আরো স্থায়ী হবে। মা জানো তুমি,তোমার মানিক আজ দুইদিন ধরে না খেয়ে আছে। হাতে টাকা-পয়সা কিছুই নেই। যার জন্য তোমাকে ফোন দিচ্ছি না। জানি তো, সংসারটা আমার টাকার উপর অনেকটাই নির্ভরশীল। দেশে যতটুকু জমিজমা আছে। তাতে কিঞ্চিৎ, অভাব মিটে। আর আমি ফোন দিবো কোন আশায়। ফোন দিয়ে শুনতে পারবো না যে, আমার ছোট্ট বোনটি না খেয়ে আছে। আর আমি ভাই হয়ে কিছু করতে পারবো না তখন। জানো মা? আমার কাছে পাঁচ হাজার টাকা সঞ্চয় ছিলো। এক লোক বলছিলো, তাকে দশ হাজার টাকা দিলে একটা কাজ দিবে আমায়। আমার কাছে ওতো টাকা নেই। জোরাজোরি করার পর ছয় হাজারে রাজি হলো। ধার করলাম এক হাজার টাকা। কিন্তু সে আর কাজ দিলো না মা। টাকাটা নিয়ে পালিয়ে গেছে। তার জন্য এখন আমি পথে বসে আছি। আর তোমার সাথে আমার ব্যক্ত কথা সাদা পৃষ্ঠায় লিখছি। এই চিঠি তুমি পাবে না কখনোই। কিন্তু, আমার এক বুক কষ্ট কিছুটা প্রশান্ত লাভ করলো।

ইতি,
তোমার মানিক।

[বিঃদ্রঃ আমার নাম সাইমা ইসলাম তামান্না। এবার এসএসসি পরীক্ষা দিছি।পরীক্ষার পর এফবি আইডি খুলছি। কিছু কারণে নাম দিছি সুবহা ইসলাম। এখন চেইঞ্জ করা যাবে না।নতুন আইডি,২মাস লাগবে। লেখালেখিটা আসল পরিচয়ে করাই ভালো।তাই আপনাদের বললাম]

প্রিয় উকিল সাহেব-Orshiya Shohid Anu

0

#গল্পপোকা_চিঠি_প্রতিযোগিতা_২০২০
~চিঠিঃ-০২

প্রিয় উকিল সাহেব,

প্রায় বছর ছয়েক পর আপনাকে নিয়ে লিখতে বসেছি এই নিস্তব্ধ রাতে।কাগজে কলমে আপনাকে নিয়ে আঁচড় কাটিনা,তার মানে কিন্তু এই নয় যে আপনাকে আমি ভুলে গেছি।আপনি আমার মন গহীনে এখনো আগের মতই আঁচড় কাটেন প্রতিটি মুহুর্তে।

অনেক কিছুই বদলেছে আজ,সে খোঁজ কি রাখেন আপনি?জানিনা আমার কথা আপনার কতোখানি মনে পড়ে,তবে আমার প্রতিটি নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসে আজো আপনিই জড়িয়ে আছেন। জানেন-ইরু এখন অনেক বড় হয়েছে, বুঝতে শিখেছে বাস্তবতার কঠোর মানেগুলো। ইরু এখন আর সেই ছোট্টটি নেই,এখন অনেক শক্ত হয়েছে মন। এক মুহুর্ত আপনাকে না দেখলে যে ইরু চোখের জলে বুক ভাসাতো, সেই ইরু আজ আপনাকে না দেখেই প্রতিটা দিন অতিবাহিত করতে শিখে গেছে। জানেন উকিল সাহেব-ইরু এখন দায়িত্ব নিতে পারে, আপনার দেখা সেই মায়াবী পাগলী মেয়েটার আজ মস্ত বড় সংসার।সেই সংসারের কর্তী হয়েছে সে।কথায় কথায় প্রতিবাদী হয়ে ওঠা ইরু এখন হাজারো চিন্তাধারার মানুষের সাথে মানিয়ে নিতে শিখেছে।গন্ডা গন্ডা ভুল দেখলেও ইরু আজ আর প্রতিবাদ করেনা।

আপনি বলতেন যে-“এই ইরু,কবে বড় হবে তুমি বলতো, এতো অল্পতেই রেগে যাও কেন? ”
মাঝে মধ্যে আপনার সেই কথাগুলো মনে হলে খুব করে হাসি পায়,কেন জানেন? কারণ ইরু এখন রাগ করতেই ভুলে গেছে!যখন রাগের মূল্য দেওয়ার মতো কেউ থাকেনা তখন কি আর রাগ করে লাভ হয় বলুন? আপনার মতো করে কেউ আর রাগ ভাঙায় না যে! ইরুর এখন আর অভিমান ও হয়না! জানেন উকিল সাহেব- যে ইরু শুধু আপনাকে নিজের সাথে বেঁধে রাখতে চাইতো, যার অন্য কোন পিছুটান ছিলনা,অনেকের মাঝে নিজেকে গুছিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা ছিলনা,সেই ইরু আজ শক্ত হাতে একটা যৌথ পরিবার কে বেঁধে রেখেছে।অনেকের মাঝের সেই একজন হয়ে উঠেছে যার জন্য সবাই হাসতে পারে,নতুন করে বাঁচতে শেখে৷ ইরু নিজে হাসতে ভুলেছে ঠিকই তবে হাসতে শিখিয়েছে অনেক কে।

আপনি সেদিন বলেছিলেন-” ইরু,পাগলামী করো না,এসব তোমার আবেগ,কিছুদিন পর সব ঠিক হয়ে যাবে”। খুব ভালো হতো জানেন-যদি কথাগুলো আপনার বলার মতোই সহজ হতো!ভালো হতো যদি আমার আপনার জন্য অনুভূতিটা শুধুই আবেগ হতো! ভালো হতো যদি আমাকে ছেড়ে যাওয়ার পর আমি আপনাকে ভুলে যেতে পারতাম!তবে কি জানেন-সবটা আপনার চাওয়ার মতো হয়নি। ইরু পাগলামী ছেড়েছে, তবে আপনাকে ভুলতে পারেনি। যদি আবেগ ই হবে তবে কেটে কেন গেলনা?কেন এই অযাচিত আবেগ আমার অন্তঃপুরে এতো বেশি পীড়া দেয়?উত্তর চাইছিনা আপনার কাছে, কারণ আমি জানি এর উত্তর আপনার জানা থাকলেও আপনি দিতে ব্যার্থ্য।আপনি যে বাঁধা সমাজের কাটাতারে,যেখানে আমার ভালোবাসা তুচ্ছ আবেগ ছাড়া আর কোন নামই পাবেনা।

আচ্ছা উকিল সাহেব-বয়সের বাঁধাটা কি এতই বেশি ছিল?একবার কি চেষ্টা করা যেতনা?সারাজীবনই তো সমাজের জন্য করেছেন,একবার কি এই ইরুর আবেগ কে সুযোগ দিতে পারতেন না?জানি আজ এসব প্রশ্নের হয়তো কোন মানে হয়না।তবুও খুব জানতে ইচ্ছে করে জানেন-
“আপনি কি আমাকে একটুকুও ভালোবাসতেন না? ” এর ও উত্তর চাইছিনা। ইরু এখন অভিনয় করতে পারে,আপনি বলতেন-
“তুমি মিথ্যেটাও ঠিক করে বলতে পারোনা ইরু।” অথচ সেই ইরু আজ নিজেকে নিয়ে হাজারো মিথ্যের সান্ত্বনা দিয়ে পাহাড় সাঁজিয়ে বসে আছে। ইরু আজ কষ্ট লুকিয়ে দ্বিধাহীন ভাবেই হাসতে শিখেছে। আপনি বলেছিলেন-
“ইরু তুমি অনেক ভালো মেয়ে,তোমাকে যে জীবনসঙ্গিনী হিসেবে পাবে সে সত্যিই খুব সৌভাগ্যবান হবে,দেখে নিও”।
ইরু যদি এতই ভালো ছিল,তবে তাকে জীবনসঙ্গিনী করে সেই সৌভাগ্যমান মানুষটা আপনি কেন হতে পারলেন না উকিল সাহেব?উত্তর চাইনা আমার, শুধু বলার ছিল আপনাকে।

আপনি বলেছিলেন-” ইরু কখনো হার মেনে নিও না,চাইলেই সব ইচ্ছের পূর্ণতা মেলেনা”।
উকিল সাহেব-ইরু আজ নিজেকে এতোটাই তৈরী করে নিয়েছে যে হার ও তার সামনে আসতে লজ্জা পায়।তবুও দেখুন, নিয়তির কি খেলা ইরু পৃথিবীর সমস্ত হারের উর্ধ্বে উঠে যাওয়ার পরও,আপনার কাছে হেরে বসে আছে। এই হার যে ইরুকে শক্তি দেয়, ইরুকে লড়াই করার নতুন উদ্যমে উদ্দীপিত করে। আপনি চিন্তা করবেন না উকিল সাহেব-“ইরু হারবে না”।

আবেগের সাথে নিত্য দন্দ্বযুদ্ধ করে হলেও ইরু জিতবে। ইরুকে কে যে আপনার জন্য জিততে হবে!ও যে আপনারি মতোন। ইরু অনেক ভালো আছে উকিল সাহেব,শুধু এই ভালো থাকার মানেটা ইরুর অজানা।ইরু আশা করেনা,ইরুর ভালোবাসা চায় আপনিও সারাজীবন ভালো থাকুন।

ইতি
“ইরু নামের সেই মেয়েটা”

প্রিয় স্বর্ণলতা – Momin Shuvo

0

#গল্পপোকা_চিঠি_প্রতিযোগিতা_২০২০

৩০/০৭/২০২০
কষ্টনীড়, শূন্যতাপুর।

প্রিয় স্বর্ণলতা,
আমার প্রত্যাশা জুড়ে সারাক্ষণ শুধু তোমার ভালো থাকা। তুমি ভালো আছো ভেবেই নিজেকে একরাশ স্বস্তি দিই। তুমি জেনে হয়তো খুশি হবে যে, ভাঙা মন নিয়ে আমি বেশ সানন্দেই দিন অতিবাহিত করছি। আমোদে কাটিয়ে দিচ্ছি বিরহজীবন। শুধু এটা ভেবে যে, আমার অন্তরের কুটুম খুব ভালো আছে। আচ্ছা লতা, তোমার কী মনে পড়ে? কোনো এক গ্রীষ্মের খাঁ খাঁ দুপুরে হস্তদন্ত হয়ে আমি বাড়ি ফিরছিলাম রেললাইন ফেরিয়ে সেই মেঠোপথ ধরে। আমার রোদ্রতাপে মলিন হওয়া শুকনো মুখ, রাস্তার উড়ে আসা ধুলোয় উষ্কখুষ্ক চুল। কপাল বেয়ে তিরতির করে ঘাম ঝরে পড়ছিলো। আমার ভেতরে ছিলো বাড়ি ফেরার তাড়া। আশেপাশে কে আছে, ছায়া মাড়িয়ে কে যায় অত দেখার সাধ ছিলোনা মনে। চারিপাশের এত উষ্ণতার মাঝে দখিনা বাতাসের মত হিমেল স্পর্শ হয়ে দেখা দিলে দক্ষিণের সেই সরু রাস্তা ধরে আসা তুমি। তোমার মাথার লম্বা ঘন কালো চুল গুলো উড়ছিল বাতাসে। উড়ছিলো গলায় জড়িয়ে থাকা ওড়নার দুপাশ। একিসাথে উড়ছিলো আমার মন। অপলক দৃষ্টিতে যখন তোমার আসার পানে চেয়েছিলাম তখন আমার বুকের মাঝে কুলকুল করে শীতল বায়ু বইছিলো। হিম হয়ে যাচ্ছিলাম। ক্লান্তি, অবসাদ আর তিক্ততা দূর হয়ে আমার মাঝে বিরাজ করছিলো প্রশান্তির আমেজ।
তুমি আমার অমন তাকিয়ে থাকা দেখে ফিক করে হেসে দিয়েছিলে। জানার অনেক ইচ্ছে ছিলো সেই হাসির রহস্য কি ছিলো। মোহনীয় সেই হাসিতে লুটে নিলে আমার ধ্যান, মন, জ্ঞান সর্বস্ব। অফিস ফেরার পথে রোজ সেই হাসি কেনার খরিদ্দার হতাম। বিনিময় দিতাম আমার ক্যাবলা চাহনি। তুমি ভীষণ মজা পেতে তাইনা? আমার অমন বোকাবোকা চেহারা দেখে। আমার চেহারার মতোই বোকা ছিলাম আমি জানো? তিন তিনটে বছর কেটে গেলো তোমার প্রেমে ডুবে থেকে। আমি কভু বলার সাহস অব্ধি জোগাড় করতে পারলাম না। আমার স্বর্ণলতা বেড়ে উঠলো ধীরেসুস্থে। মাধ্যমিক পাশ করে গেলো সেই ৩য় বছরের মাথায়। অফিস ফেরার পথে আর দেখা হতোনা। বিষন্ন মন নিয়ে রোজ বাড়ি ফিরতাম। তোমার সেই চাঁদবদন খানি না দেখতে পাওয়ার যন্ত্রণা আমাকে ভীষণ পোড়াচ্ছিল। নিজেকে রোজ হাজার বকুনি দিতাম। পণ করতাম আর একটিবার যদি তোমার দেখা পাই, হারাতে দিবোনা কখনো। মেলায় কেনা নীল ডায়েরীর মতোন তোমায় নিয়ে সাজিয়ে রাখবো আমার বুকের লাইব্রেরী তে। তারপর অনেকদিন কেটে গেলো। শরীরের ব্যামোয় বিছানায় পড়ে ছিলাম বেশ ক’মাস। গায়ে যখন একটু জোর পেলাম, বিকেল বেলায় সাইকেল চেপে পোস্ট অফিস গেলাম আমার অফিসে একখান চিঠি পাঠাবো বলে। পিয়ন আমায় বললো, আপনার নামে একটা চিঠি এসেছে সে বেশ ক’দিন হলো। নীল খামে ভরা সেই চিঠিতে কি লেখা ছিলো সেসব তুমি জানো। তোমার চিঠির জবাব দেওয়ার সময় ফুরিয়েছে ডাকবাক্সে পড়ে থেকেই। যখন আমি হাতে পেলাম তখন হয়তো তুমি কারো ঘরের ঘরণী। সদ্য বিবাহিত জীবনে আমার কাল চিঠি পাঠিয়ে তোমার দুঃখ বাড়ানোর সাহস আমি করিনি লতা। তাই তো আজ অনেক বছর পর তোমায় চিঠি লিখলাম। খুব বেশিদিন হয়তো বাঁচবোনা লতা। শেষ বেলায় একটা অনুরোধ করবো তোমায়। বড্ড সাহস জোগাতে হয়েছে তার জন্যেও। শুনবে কী অনুরোধ আমার? বলছি তোমার ঠোঁটে লেপ্টে থাকা অমন হাসি আমি আর একটিবার দেখতে চাই। সর্বস্ব তো আগেই বিলিয়েছি। এবার না হয় জীবন…

আজ আর নয় প্রিয়। বকুল ফুলের লুকিয়ে রাখা সুরভী তোমায় পাঠালাম, পাঠালাম এই বুকের খাদে আটকে থাকা এক মাতাল দীর্ঘশ্বাস। তুমি আয়নায় নিজেকে দেখার কালে আনমনে ভেবে নিও, অমন বোকাসোকা একটা চাহনি…

ইতি
তোমারই বোকারাম।

প্রিয় সই-ইফফাত আরা ঐশী

0

#গল্প_পোকা_চিঠি_প্রতিযোগিতা_২০২০
#চিঠি_নং_০৩

কলমে: ইফফাত আরা ঐশী
________________

প্রিয় সই,

“কাটার মতো ছিল এই বন্ধন।
কখনো ভাবিনি ভাগ্য এমন হবে
কত মায়া কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে
মুছে যাবে ঘুচে যাবে সব কষ্ট
থাকবে না কোনো বাধা
মুক্ত করে দিলাম তোকে
ভালো থাকিস সারা অবেলায়।”

আমি তোকে নিয়ে কি লিখবো সত্যি আজ ভাবনার বাইরে। আমাদের বন্ধুত্বের বিচ্ছেদ ঘটেছে এগারো মাস আট দিন। সম্পর্ক টা হয়তো তোর কাছে মূল্যহীন ছিল, কিন্তু আমার কাছে কখনো তা ছিল না। ঝরা পাতার মতো আমাদের সম্পর্কটা ঝরে গেছে। কখনো কি আমার স্মৃতি গুলো তোর কাছে অনুভূতিহীন মনে হয়েছে? কখনো কি আমার বেদনাদায়ক কথা গুলো তোর কাছে ভাবলেসহীন মনে হয়েছে? আজ ও বড্ড ইচ্ছে জাগে তোর সাথে পুরোনো স্মৃতিময় মুহূর্ত গুলো বিচরণ করতে। মাঝে মাঝে তোর কথা ভেবে আবেগী হয়ে যাই। অশ্রুসিক্ত বেদনা এতো নিষ্ঠুর কেন বলতে পারিস। মন টা যে আজ আকু পাকু করছে তোর সাথে কথা বলার জন্য । জীবন বড় অদ্ভুত তাইনা।সময়ের ব্যবধানে সব কিছু ভুলে থাকা গেলেও স্মৃতি ভুলে থাকা যায় না।

নিয়তি যে বড়ই অদ্ভুত । তোর সাথে সম্পর্কের যে ভাবের অভিব্যক্তি ছিল, তা হয়তো কারোর সাথেই ছিল না।সবার সাথে কি সখ্যতা গড়ে তোলা যায়। ভালোই চলছিল সেই দিন গুলো।মাঝে মাঝে মনে পড়ে তোর খুনসুটি ঝগড়া ।এক বসন্তের দিনে তোর আগমন ঘটে।কখনো ছিল রঙিন স্বপ্ন, কখনো ছিল অন্ধকার নগরী। মাঝে মাঝে নিশ্চুপ হয়ে যাই।একদিন আমাদের এই সম্পর্ক টা ভেঙে যাবে।হয়তো আল্লাহর ইচ্ছা ছিল । বাট ভাবিনি হারিয়ে ফেলবো।আচ্ছা ভালোবাসা তো হৃদয়ের সাথে সংযোগ থাকে। কখনো কি ভেবেছি তা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে?সময়ের গতিতে সব কিছু পরিবর্তন হয়ে যায়।এটাই সৃষ্টির লিলা। পদ্ম পাতার মতো ভেসে যায়। সবকিছু বিভোর থাকে। সূর্যের রক্তিম আভা সকাল টা বলে দেয় কেমন হবে তোমার সারা বেলা। আচ্ছা মানুষ কে কি ভুলে থাকা যায়। হ্যা যায় আমিও যে হৃদয়হীনা। তাই কিছুই আর মনে নেই। আমার স্মৃতিতে সব কিছু হারিয়ে গেছে। বড্ড ইমোশনাল হয়ে গেছি।

কি বলে ডাকবো তা আমার জানা নেই । কারণ সেই অধিকার আমি রাখি না। আদো কি তুই আমার কেউ ছিলি। তোকে আমার বোন+বন্ধুত্বের সম্পর্ক থেকে মুক্ত করে দিয়েছি। না ছিলি আমার বান্ধবী না ছিলি বোন। তুই বলেছিলি যে যাকে কষ্ট দেয় সে সেই একই কষ্ট ভোগ করে। এটাই নিয়তি। আমি চাই না তুই আমার কথা কখনো ভাবিস। আমি চাই না কোনো স্মৃতি তোর কাছে থাকুক। আমি চাই না এই আমি নামক মানুষ টি তোর জীবনে এ আর থাকুক। তুই বলেছিস আমি নিজের দোষে তোকে ছেড়েছি। কখনো জানতে পারলাম না আমার দোষ টা কি ।কখনো জানতে পারলাম না আমাদের বন্ধুত্বের ভিত্তি ছিল কি না।

“ভালোবাসার মায়ায় জরানো
তোর ভেতরে বেচে আছি
মনে হয় কত বছরের চেনা প্রিয় মুখ
তুই জানিস কতটা স্মৃতি জুরে আছিস
হৃদয় পটে কত কথা
আবেগে আপ্লুত হয়ে যাই
তোর মায়াবী হরণী চোখ
তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে
কি আছে ঐ চোখে
মায়ায় জরিয়ে আছি।
ভেবে পাই না তুই এতো অভিমানী কেন।
ভালোবাসার পিঞ্জরে তরে বাধিয়া রাখিবো”

ইতি
‘তোরই’ শুভাকাঙ্ক্ষী

প্রিয় অনুভব -মমতাজ আক্তার উর্মি

0

#গল্পপোকা_চিঠি_প্রতিযোগিতা_২০২০
চিঠি নং:০২

প্রিয় অনুভব,
শুভেচ্ছা নিও।কেমন আছো জানতে চাইবো না।কারণ উত্তরটা বরাবরের মতো ‘ভালো আছি’ থাকবে। অন্দরমহলে অভিমানের বসবাস থাকলে ভালো থাকা যায় না। তাই আমি জানি তুমি ভালো নেই।
আজ তোমার কাছে সমস্ত সুপ্ত অনুভূতিগুলোকে ব্যক্ত করবো বলে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে এসে খাতা-কলম নিয়ে বসা। অনেকবার চেষ্টা চালিয়েছি পত্রখানা তোমার পানে পৌঁছে দিতে কিন্তু তোমার শহরের ‘বাস্তবতা’ নামক ডাকপোস্টের কার্নিশপ্রান্ত আম্র খামের অভ্যন্তরস্থ অনুভূতিরা স্পর্শ করতে ব্যর্থ হয়েছে। কারণ অনুভূতি ব্যক্ত করার মতো শক্তির সঞ্চার এই ক্ষুদ্র মনে জন্মায় নি। তবে আজ আমি স্বয়ং অনুভুতিগুলোকে তোমার পানে বিসর্জন দিবো।কারণ আজ আমি চাই,
” অনুভূতিরা সব মুক্তি পাক,
আর অভিমানেরা নিপাত যাক।”

অনুভূতির সূচনাকালে এক গোধূলিলগ্নে আমাকে পাওয়ার অভিলাষ ব্যক্ত করেছিলে।সেদিন তোমাকে প্রত্যাখ্যাত করেছিলাম ঠিকই তবে পরবর্তীকাল থেকে গোধূলিলগ্ন স্থান পেয়েছে আমার পছন্দ সূচীর শীর্ষে।

উদগ্রীব আঁখিজোড়া খুলে যখন তোমার নিত্যদিনের ব্যবহৃত পথ পানে দৃষ্টি মেলে থাকতাম তখন তুমি ভাবতে আমি প্রকৃতিবিলাসে মত্ত। কিন্তু প্রকৃতার্থে আমি ছিলাম তোমাতে আসক্ত।
আমার ক্লান্ত নয়নের পানে একবার তাকালে বুঝতে সমর্থ হতে সেখানে কতোটা আবেগ লুকিয়ে আছে তোমার জন্য।চক্ষু পল্লবের আড়ালে তোমাকে পাওয়ার আকুতির নোনা জলেরা আটকা পড়ে আছে।

তুমি অনুভূতি বুঝতে ব্যর্থ ছিলে আর আমি নিজের অহংবোধ বাঁচিয়ে রাখতে উন্মাদ ছিলাম। তাইতো অনুভূতি নামক প্রজাপতির ডানা দুটো ভেঙ্গে ফেলেছিলাম। সময় পরিক্রমায় দু’জন দুই মেরুতে আবাস বানিয়েছিলাম।কিন্তু ভাগ্যের খাতিরে এখন দুজন বৃত্তের একই কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে আছি। তবুও চলছে আমাদের মধ্যে মান- অভিমানের দ্বন্দ্ব। এই দ্বন্দ্ব রেখার ইতি কোথায় মিলবে সেটা আমার অজানা। কিন্তু তুমি আমার অতিপরিচিত একটি অনুভূতির নাম।
চিৎকার করে জানিয়ে দিতে ইচ্ছে হচ্ছে,
“আমার অব্যক্ত অনুভূতিগুলো ভ্রান্ত ছিলো না,
ভ্রান্ত ছিলো মৌখিক অভিব্যক্তিগুলো।”
বাস্তবতার জগতটা যে বড্ড নির্মম তাই আমাকে ভ্রান্ত হতে হয়েছে। আজ আমি ভ্রান্ত পথ অনুসরণ করতে করতে ক্ষান্ত হয়ে গেছি। এই মুহুর্তে এই ক্লান্ত হৃদয় একটু বিশ্রাম চায়। অন্তরগহ্বরে চরম অপরাধবোধ কাজ করছে। তাই তোমার অনুগ্রের ক্ষমাপ্রার্থী আমি।

অব্যক্ত অনুভূতিগুলো যদি তোমার বিরক্তের কারণ হয় তবে বেনামী পত্র হিসেবে স্রোতের ফেনায় ভাসিয়ে দিও। সর্বদা ভালো থাকো সেই প্রত্যাশা করি।

ইতি
তোমার শুভাকাঙ্খী
উর্মি

প্রিয় অভিমান -দিবা রাত্রির কাব্য

0

#গল্পপোকা চিঠি প্রতিযোগিতা ২০২০
চিঠি নং-১

প্রিয় অভিমান,

এই নিয়ে তোমাকে কতোগুলো চিঠি পাঠিয়েছি। কিন্ত তুমি আমার একটা চিঠির ও উত্তর দাওনি। অভিমান, অভিমান আর অভিমান। এতো অভিমান কেন তোমার বলতে পারো? না! আমি তোমাকে আর তুমি ডাকবো না। এখন থেকে আমি আপনি করে বলবো আপনাকে। অভিমান আমারওতো হয়।এই নিয়ে আঠারোটা চিঠি পাঠিয়েছি কিন্ত আপনার কোনো সাড়া নায়।আপনার যেমন চিঠির উত্তর না দেওয়া অভ্যাসে পরিনত হয়ে গেছে। আমারও আপনাকে চিঠি লেখাটা কঠিন অসুখের ঔষুধে পরিনত হয়েছে। যেটা না খেলে নয় জীবন বাঁচানো দায়।ঠিক আপনাকে চিঠি লেখাটাও এমনই হয়ে গেছে। আপনি চিঠির উত্তর দেন আর না দেন আমি আপনাকে চিঠি লিখবো, লিখেই যাবো। আপনাকে চিঠি লিখতে আমার খুব ভালো লাগে। আপনি চিঠির উত্তর না হয় নাই দিলেন। এইটুকুতো জানাতে পারেন চিঠিগুলো আপনার হাতে ঠিকমতো পৌঁছেছে কিনা।আপনি পড়ছেন কিনা।
আপনার অভিমানকে আজকাল সবাই অবহেলা নাম দিয়েছে। এই যে এতো চিঠি লিখি কিন্ত উত্তর দেন না। এইটা নাকি অবহেলা। কেউ না জানুক আমিতো জানি এটা অভিমান শুধু অভিমান না তীব্র অভিমান। যার শিখা আমাকে পুড়িয়ে ছায় করে দিচ্ছে। আমি কথা দিচ্ছি বিশ্বাস করুন আর কখনো আপনাকে না জানিয়ে শাড়ি পড়ে রাস্তায় বেরোবো না। এমন ভুল আর হবেনা। দয়া করে ভেংগে ফেলুন অভিমানের দ্বারটি এবার।
আর ও হে ভালোবাসি শব্দটা এখন সহজলভ্য হয়ে গেছে, তোমার অভিমান শেষ হলে আমি তোমার জন্য নতুন শব্দ আবিষ্কার করবো, অপেক্ষায় থেকো প্রিয়।।
হুমায়ন আহমেদ এর সেই প্রিয় সাংকেতিক শব্দ যেইটা তোমার চিঠির শেষে না দিলে আমি ঘুমোতে পারিনা।
একটা পাখি (i)
চারটা পাখি( love)
তিনটা পাখি (you)

ইতি
অভিমানী,,,,