Saturday, July 26, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 1941



লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?পর্ব: ১৮

0

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?পর্ব: ১৮
#লেখিকা: তানজিনা আক্তার মিষ্টি ( Tanjina Akter Misti)

মিষ্টি কানে হাত দিয়ে এই পযর্ন্ত বিশ বার সরি বলেছে তিথি কে কিন্তু তিথি ফিরে ও তাকাচ্ছে না। মেয়ে টা কেকেন যে আমি রাগাতে গেলাম আল্লাহ এখন একে মানাতে আমার কতো ক্ষণ যায় কে জানে।

–কি রে সরি বললাম তো এবারের মতো মাপ কর ভা আর জীবনে আমি তোকে ধমক দেব না?

–কথা বলবি না আমি কে যে আমাকে সরি বলছিস। কে আমি আমাকে কি তুই নিজের কেউ ভাবিস ভাবিস না। তাহলে এসবের মানে কি সামান্যতম কষ্টের কথাও তুই আমায় বলিস না সব কিছু নিজের মাঝে রাখিস লুকিয়ে কেন? রাখবে আর কখনো জিগ্গেস ও করবো না তুই তোর মতো আমি আমার মতো।

–আরে বোন ক্ষমা কর প্লিজ, খুব মন খারাপ আমার। তুই আমাকে বুঝবি না একটু এখন রাগ দেখাবি।

নরম গলায় কথা টা বলল মিষ্টি। মিষ্টি কান্না মাখা কথা শুনেই তিথির রাগ উবে গেল। আবার চিন্তা হতে জিগ্গেস করতে লাগলো কি হয়েছে সরি উল্টো বলতে লাগলো। মিষ্টি জানতে এমন ই করবে তাই এই কান্নাকাটি শুরু করেছে।

গেটের বাইরে দাড়িয়ে আছি গাড়ির জন্য তিথি আর মিষ্টি।

–তুই চলে যা তোর ওনি তো আবার বাসায় আসছে কেন রে খারাপ ব্যবহার করলি?

–ওই হাধারামের কথা বাদ দে তো। এমনে কিন্তু একবার না আজ ডিসটার্ব করে মেরেছে খচ্চর এ আমাকে আমি বলি পরে কথা বলবো তাও আর রাগছি বলে বাসা চলে আসতে হবে এমনিতে তো একশ বার বলে তার সময় বের হয় না দেখা করার।

–ওই সব বাদ দে তো আমার জন্য কিনা ভাইয়া কে এভাবে রাগ জারলি। বেচারা কতো না ভালোবাসে তোকে আহা এমন যদি আমাকে কেউ বাসতো।

–ওরে ব্যস বলিস কি? তুই কি প্রেম করবি নাকি?

–হুম করুম কোন ভালো ছেলে থাকলে বলিস। সবাই করতে পারশে আমি বাদ যাব কেন?

–রাজ ভাই দিবো নি তোরে। এটা মুখে ও আনিস না মনে নেই নবীন বরণে কি করছিলো।

–বাদ দে তত সে নিজের করতে পারবে আমি করলেই দোষ আমি ও করবো কে সে যে তার কথা শুনতে হবে।

–খুব তো বলছিস এখন। সামনে আসলে তো মিনমিন করতে থাকিস।

— কি বললি আমি মিনমিন করি!

–হুম

–তোকে তো আজ আমি

বলেই মিষ্টি দৌড় দিলো তিথির পেছনে,

তিথি সামনে আর মিষ্টি পেছনে দৌড়ে যাচ্ছে হঠাৎ কারো সাথে ধাক্কা লেগে তার সাথে জরিয়ে ধরলো মিষ্টি। নিজেকে ঠিক করে সরি দাড়ালো সামনের লোকটার দিকে তাকিয়ে আকাশ থেকে পরলো,

–হুয়াট এ সারপ্রাইজ মিষ্টি তুমি আমি তো বিলিভ করতে পারছি না। কেমন আছো? আগের থেকে আর ও সুন্দর হয়ে গেছো দেখছি।

মিষ্টি হা করে তাকিয়ে আছে এ এখানে কি করে।

মিষ্টি কিছু বলতে যাবে হঠাৎ কেউ ঝরের গতিতে কেউ হাতে টান মারলো পেছনে ফিরে দেখে রাজ। আগুন চোখে তাকিয়ে আছে লাল টকটকে যা দেখেই শুকনো ঢোক গিলল, মিষ্টি ভয়ে জান যায় যায় অবস্থা।

রাজ কিছু না বলে টেনে গাড়িতে এনে বসায় মিষ্টি কে,

–হাত ছারুন কি হয়েছে কি?

–চুপ বেশি কথা বললে কিন্তু কানে নিচে দেব একটা।

— দিন দিতে বাদ রেখেছেন নাকি? এতো দিন পর সুজয় দেখলাম আর আপনি আমায় নিয়ে এলেন। ছারুন আমি ওর সাথে কথা বলবো।

–কথা বলবে সিরিয়াসলি,[ অবাক হয়ে]

–হ্যা,
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
–ও তোমাকে প্রপোজ করেছিল ভুলে গেছ তাও ওর সাথে তুমি দাড়িয়ে ছিলে।

–তো করতেই পারে আপনার কি আগে জিগ্গেস করেছি আজ ও বলছি আপনার কি ও যদি আমায় পছন্দ করে। ভালোবাসতে চায় তাতে আপনার কি আপনি কেন বাধা দিচ্ছেন। নিজে তো ঠিকই প্রেম করে বেরান আমি করলেই দোষ সব সময় আপনি এই নিয়ে আমার সাথে খারাপ বিহেভ করেন কখনো কিছু বলি না তাই বলে এই না যে আপনার কথা সব সময় শুনবো। আগে আপনার সমস্ত বাজে বিহেভ মেনে নিয়েছি যখন তখন গায়ে হাত তুলেছেন আর মানবো না কে আপনি কেন এতো অধিকার দেখান?

সাহস করে মিষ্টি এক দমে কথা বলে গেল আমলে আর বলতে পারবে না ও জানে মুখে বললেও রাজের বিরুদ্ধে যাওয়ার সাহস ওর নেই। কথা গুলো বলে রাজের চরম শাস্তি পাওতার অপেক্ষায় চোখ বন্ধ করে আছে যা সব বলেছে এতে রাজ কি যে করবে। অনেক ক্ষণ হয়ে গেল রাজের রিয়াকশণ নাই কি তাই এক চোখ খুলে পরিস্থিতি বুঝতে দেখতে লাগলো রাজ ড্রাইবিং সিটে বসে আছে চোখ বন্ধ করে হাত মাথায় রেখে।

কি করছে বুঝতে পারছে না মিষ্টি দুচোখ খুলে রাজের দিকে তাকিয়ে আছ এতো শান্ত হয়ে আছে কি করে? চিন্তার বিষয় বড় কোনো শাস্তির কথা ভাবছে নাকি।
কিন্তু রাজ কিছু বলল না গাড়ি শান্ত ভাবেই চালিয়ে চলে এলো বাসা সারা রাস্তায় আমি অবাক হতে হতে এলাম রাজ একবার ও আমার দিকে তাকায় নি।

বাসায়

–মামুনি কি করছো?

–তোর আন্কেলের জন্য পায়েস রাধি।

–আন্কেলের না মিষ্টি খাওয়া বারণ?

–হুম কাল থেকে পাগল করে খাচ্ছে আর বলছে মরে গেলে বলবে খাওয়াতে পারলাম না তখন আফসোস করে ও কোল কিনারা পাবে না। তাই মিষ্টি কম দিয়ে করছি।

–ওহ করো ভাইয়া কই?

–রুমেই আছে মনে আজ তো আর বেরুলো না।

— আচ্ছা।

বলেই মামুনির কাছে থেকে রাজের রুমে এলাম। দরজায় কাছি দাড়িয়ে উকিঁ দিচ্ছি কি করছে ঘরে আমাকে কিছু বলল না কেন?কথা টা আমাকে ভাবাচ্ছে দরজার আড়ালে দাড়িয়েই কথা ভাবছি হঠাৎ দরজা খুলে বেরিয়ে আসতে যাবে রাজ আমি সেখানে দাড়িয়ে ছিলাম পরে যাচ্ছি কোন রকম রাজের হাত ধরে পরা থেকে বাচলাম।
কিন্তু বেচে গিয়ে ও মরলাম পা দরজায় বেজে রাজ কে নিয়ে নিচে পরে গেলাম। আমি বড় বড় চোখ করে রাজের দিকে তাকিয়ে আছি রাজ ও একই অবস্থা, নিচে থেকে শব্দ শুনে মামুনি ও চিৎকার করে জিগ্গেস করছে কি হয়েছে কে পরলো,

–হোয়াট দ্যা হেল, তুমি এখানে কি করছো?

–আমি তো আসলে কি করছিলাম যেন,

— উঠো আমার উপর থেকে ডিজগাসটিং,

–হুম

বলেই মিষ্টি তারাতারি উঠে পরলো,

— সরি সরি আসলে আমি খেয়ার করি নি।

–তুমি আড়ালে দাড়িয়ে কি করছিলে?

–কই কিছু না তো আমি তো আপনাকে ডাকতে এসেছিলাম?

–আমাকে কেন?

–আপনি তো খান নি তাই[ কি বলবে ভেবে না পেয়ে বললে আল্লাহ না জেনে খাওয়ার কথা বললাম এখন খেয়ে থাকলে কি হবে ]

— সত্যি নাকি মিথ্যে।

রাজ হালকা তাকিয়ে বেরিয়ে যেতে লাগলো মিষ্টি হাফ ছেড়ে বাচলো তার মানে খায় নি খুব বাচা বেচে গেছি। মিষ্টি আবার পেছনে থেকে ডাকলো রাজকে, রাজ ভ্রু কুচকে তাকালো,

–একটা কথা জিগ্গেস করি?

চোখের ইশারায় করতে বলল,

–বলছিলাম কি সরি? আসলে তখন….

রাজ আমার কথা অগায্য করে চলে গেল,

— আরে শুনুন তো,

চলবে❤

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?পর্বঃ- ১৭

0

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?পর্বঃ- ১৭
#লেখিকাঃ-তানজিনা আক্তার মিষ্টি (Tanjina Akter Misti)

রাজ মিষ্টি দিকে তাকিয়ে আছে আর এদিকে মারিয়া নিজের মতো সব বলে যাচ্ছে। রাজের সেদিকে খেয়াল নেই শুধু শিকার করে যাচ্ছে। মারিয়া রাজের এমন অন্য মনষ্ক দেখে ওর দৃষ্টি অনুসরণ করে দরজায় দিকে তাকিয়ে দেখে মিষ্টি দাড়িয়ে আছে। যা দেখে মারিয়া অবাক হয় কারণ মিষ্টি কখনো এখানে আসে না রাজকে ভয় পায়। আজ এখানে কি করছে ভ্রু কুচকে ভাবছে। রাজের কথায় ঘোর কাটলো…

—তুই এখানে কি করছিস?

—আমি আসলে [ মিষ্টি কি বলবে বুঝতে পারছে না ও তো কেন এসেছে নিজে ও জানে না। হঠাৎ কিন জানি রাজকে দেখতে ইচ্ছে হলো তাই কিছু না ভেবেই চলে এসেছে এখন কি বলবে? আচ্ছা আমাকে অপমান করবে আবার সব সময় তো অপমান ই করে। স কেন যে আসতে গেলাম]

—আরে মিষ্টি তুমি এখানে আসো ভেতরে আস। রাজকে কিছু বলবে নাকি মিষ্টি তুমি তো এখানে আস না কখনো !!

মাথা নিচু করে আকাশ পাতাল ভেবছিলাম এরমাঝে মারিয়া আপুর কথা শুনে মাথা উচু করে উনার দিকে তাকালাম, হেসে হেসে কা বলছে আমাকে ভেতরে যেতে বলছে। আচ্ছা রাজের সাথে কি কথা বলছি মারিয়া রাজ ওর হাত ধরে আছে কেন? এখনো ধরে আছে আমার ভেতরে যেতে একদম ইচ্ছে হচ্ছে না। ভেতরে থেকে একটা রাগ বেরিয়ে আসছে কিন্তু কিন? হাতের দিকে তাকালাম এখন রাজ না মারিয়া ধরে আছে আমি তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে আছি অসহ্য লাগছে।

—কি হলো ওই ভাবে দাড়িয়ে কি ভাবছো?

—কিছু না।

–এখানে কি জন্য এসেছিস?[রাজ]

—এ এ মমনি [ তোতলিয়ে]

–এমনি [ অবাক হয়ে] আগে কখনো আসিস নি তো আজ কেন? যা ক্লাসে যা ক্লাস না করে ঘুরে বেরাচ্ছিস। এসবের জন্য ভার্সিটিতে আসিস তাই না।

—আমি ঘুরে বেরায়!

—হুম

—কই আমি সব ক্লাস ই করি এখন ক্লাস নাই তাই [ মুখে থেকে কথা কেরে নিয়ে ]

—ক্লাস নাই তাই ঘুরতে বেরিয়ে যাবি। হোয়াই ক্লাসে বসে পরা যায় না আর আমার এখানে কেন এসেছিস আর কখনো জানি তোকে আমার আশেপাশে ঘুরঘুর করতে না দেখি!

—আমি আপনার আশেপাশে ঘুরঘুর করি? কখন কবে আমি কখনো এমন করি না আজ তো শুধু…

—তোর কাছে কৈইফত চাইনি আমি। ঘুরঘুর করিস নাকি আমি ভাল করে জানি?

—আহ রাজ বেচারার সাথে এমন করছো কেন? আসো মিষ্টি একটা ঢ়শির খবর আছে তোমাকে ও ইনভাইট করবো আসবে কিন্তু?

কথা টা বলে মারিয়া আপু আমার পাশে এসে দাড়ালো। হাতে একটা কার্ড দিল

—কাল আমার বাথড্রে তুমি রাজের সাথে চলে এসো কেমন ! আর একটা কথা…

বলে আপু আমার কানের কাছে এসে ফিস ফিস করে বলতে লাগলো, কালকে একটা সারপ্রাইজ আছে?

–কি ?
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন

— আববু কে বলে দিয়েছি রাজের কথা আববু কাল আমাদের বিয়ের কথা রাজকে বলবো,

বলেই আপুটা লজ্জা পাওয়ার ভঙ্গিতে হাসলো,

কিন্তু আমি খুশি হতে পারলাম না কথা টা কানে আসতে বাম চোখে পানি চলে এলো কান্না পাচ্ছে প্রচণ্ড কান্না পাচ্ছে গলা ছেড়ে চিৎকার করে কাদতে ইচ্ছে হচ্ছে। হাত পা অবশ হয়ে আসছে দাড়িয়ে থাকতে পারছি না এখানে থাকতে পারবো না রাজের দিকে একবার তাকালাম ওর দৃষ্টি আমাদের দিকেই কেমন করে যেন তাকিয়ে আছে হয়তো কি বলছে জানতে চাইছে। আমি আর দাড়ালাম না পেছনে ফিরে চলে এলাম। পেছনে থেকে মারিয়া আপুর ডাক কানে এলো কিন্তু আমি আর থামলাম না। এমন কষ্ট হচ্ছে কেন আমার আমি তো জানি রাজকে আমি কখনো পাব না সে অন্য একজানের তবুও কষ্ট হচ্ছে কেন । কেন মনে চাইছে রাজের সামনে গিয়ে বলি আমাকে একটু ভালোবাসনা খুব ভালোবাসি তো তোমার। কিন্তু এটা বলার সাহস আমার নেই কোথায় আমি আর কোথায় রাজ আমার মতো একটা মেয়ে রাজ কখনো ভালোবাসবে না। ওর জন্য মারিয়া আপুই ঠিক আছে আর সেও তো আপুকেই ভালোবাসে। একটা সময় মনে হয়েছিল রাজ আমাকে চায় কিন্তু সেইদিনই আমি আমার ভুল বুঝতে পারি।

—এই কোথায় যাচ্ছিস ক্লাস রেখে?

হঠাৎ ধাক্কা আর তিথির কথায় তাকিয়ে দেখি সিড়ি বেয়ে চার তালায় চলে যাচ্ছি আমাদের ক্লাস তিন তালায়।

—কি হয়েছে তোর চোখে পানি কেনো? তুই কাদছিলি মিষ্টি কি হয়েছে আমাকে বল তোর ওই রাজ আবার অপমান করেছে তাই না?

—নাহ কেউ কিছু করে নি আর আমি কাদছি না চোখে কি যেন পরছে তাই?

— আমাকে বোকা বানাতে পারবি না তুই। বল না কি হয়েছে আমি জানি কিছু হয়েছে একটু আগেই তো ঠিক ছিলি এখনই এই করে ফেলেছিস।

—এতো কথা কেন বলিস বললাম না কিছু হয় নাই।

বলেই মিষ্টি চলে গেল হাত ঝামটা দিয়ে ছারিয়ে তিথি ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। কিছু তো অবশ্যই হয়েছে না হয়ে এমন করে কথা বলতি না তুই মিষ্টি কিন্তু আমি খুব কষ্ট পেলাম তোর ব্যবহারে। তিথি মন বেজার করে ক্লাসে ঢুকতে যাবে ফোন বেজে উঠলো,

–হুম বলেন।

–কি হয়েছে মন খারাপ? কণ্ঠ টা কেমন জানি লাগছে?

–রাখি বিজি আছি।

–আরে কি হয়েছে বলে তো নাও আমার উপর রাগ করেছো আবার আচ্ছা সরি এখন থেকে,

–ধুর

ফট করে মুখের উপর ফোন কেটে দিল তিথি। কথা বলতে একদম ইচ্ছে করছে এখন মিষ্টির উপর রাগ করেছি খুব কষ্ট হচ্ছে এভাবে চলে গেল আমি ওকে কতো আপন ভাবি আর ওকিনা আমার সাথে এমন করলো কথা কমু না হূহ।
আবার ফোন বেজে উঠলো রিসিভ করলো না ক্লাসে গিয়ে মিষ্টি পাশে বসে অন্য দিকে ফিরে রইল আবার পেছনে তাকালো একটা সিট ও খালি নাই তাহলে অন্য সিটে বসতো।আবার ফোন বাজলো, এবার তিথির রাগ সাত আসমানে উঠে গেল এমনিতে তো এতো ফোন দেয় না আজ জম্মের ফোন দিচ্ছে তোকে আজ ইচ্ছে মতো কথা শুনাবো হনুমান কোথাকার।

—হ্যালো জান কি হয়েছে ফোন কেটে দিলে কেন আবার এখন রিসিভ ও করছো না।

—এই তোর মতলব কি বলতো এমনে তে তো এতো ফোন দিস না আজ এতো তোকে যদি এখন সামনে পাইতাম না মেরে তকতা বানাই দিতাম। এতো প্রেম উতলিয়া পরতাছে কেন এখন এমনিতে এতো একবার ফোন দিস না দিনে আর এখন কইলাম পরে কথা কমু আর শুরু হইয়া গেল ফোন দেওয়া। বিজি আছি বলছিনা আর একটা ফোন আসলে এখনি তোর অফিসে যাইয়া তোর কি করবো ভেবেও পাবি না।

মাসুদ তারাতারি ফোন কেটে পানি খেয়ে নিলো। বিশ্বাস নেই তিথি সত্যি যদি অফিসে চশে আসে তাহলে তো লঙ্কা কাণ্ড বাদিয়ে ছারবে। ভাবতেই কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম বেয়ে পরতে লাগলো। তিথি একটা পাগলা টাইপের সিরিয়াস মেয়ে যখন যা ইচ্ছে করে ছারে ফোন না দেওয়ায় কাল কি অত্যাচার ই না করেছে তাই আজ এতো ফোন দিয়েছে তাতে ও ভুল কোন দিকে যাব আমি। সব কিছুতেই পার্নিশমেন্ট কিন্তু এতে মাসুদ একটু কষ্ট পায় না কারণে ও তিথিকে ভালোবাসে এসবের জন্য ই। বাড়ির সবাই দেখেই বিয়ে ঠিক করেছে আর তার পর থেকে শুরু হয়েছে প্রেম এখন এই তিথি নামক মেয়েটাকে ছাড়া তার চলে না।
চলবে❤

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?র্পবঃ-১৬

0

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?র্পবঃ-১৬
#লেখিকাঃ-তানজিনা আক্তার মিষ্টি (Tanjina Akter Misti)

ছাদে দাড়িয়ে গাছে পানি দিয়ে দোলনায় বসে পরলাম। চোখ জ্বালা করছে এখন রাত ভোর জেগে থাকার জন্য এমন হচ্ছে। চোখ বন্ধ করে বসে আছি হালকা ঠান্ডা হাওয়া শরীরে শুয়ে যাচ্ছে। সকালের এই মিষ্টি বাতাস মন ছোঁয়ার জন্য যথেষ্ট। দোলনায় হেলান দিয়েই চোখ বন্ধ করে আছে মিষ্টি কখনো যে ওইভাবে ঘুমিয়ে পরে নিজে ও খেয়াল করে উঠতে পারে না।
ঘুমের ঘুরে মনে হচ্ছে বৃষ্টি পরছে কিন্তু কি ভাবে আমি তো রুমে শুয়ে আছি তাহলে বৃষ্টি হচ্ছে তা আমার শরিরে পরছে কেমনে, ছাদ ফুটো হয়ে যায় নি ভাবতেই ছোঁয়া ধরফরিয়ে উঠতে গেল ওত ভেবেছে খাটে আছে তাই হাত পা মেলে বসতে গিয়ে দোলনা থেকে পরে গেল।
বেচারা এমন কিছুর জন্য মোটে ও প্রস্তুত ছিলো না। শরীর ভিজে গেছে আর নিচে বসে আছে। আমি এখানে কি করছি আমি তো রুমে…..
আর ভাবতে পারলো না ওর মনে পরে গেছে ও তো ছাদে এসেছিল তারপর দোলনা তারপর তার মানে আমি সেখানেই ঘুমিয়ে পরেছিলাম। বৃষ্টি থেমে গেল চারপাশে দেখতে লাগলো কি আশ্চর্য বৃষ্টি শুধুমাত্র আমার উপরেই পরেছে নাকি আশেপাশে তো ভিজে নাই আমার শরীর ই খালি ভিজা কেন? কতো বেলা ও হয়ে গেছে আমি কতো সময় ঘুমিয়ে ছিলাম।
একমনে কথা ভেবে যাচ্ছি আমার সামনে যে রাজ দাড়িয়ে আছে আমার খেয়াল ই নেই। হঠাৎ চিৎকার শুনে তারাতারি বসা থেকে উঠে দাড়িয়ে গেলাম। রাজের দিকে তাকিয়ে দেখি হাতে পানির পাইপ নিয়ে দাড়িয়ে আছে আমার দিকে অদ্ভুত রাগ নিয়ে।
আমি এতোক্ষণ যেটাকে বৃষ্টি ভেবেছি সেটা তার মানে রাজ ইচ্ছে করে করেছে আর আমি কিনা কি ভাবলাম।

—আপনি ইচ্ছে করে আমার উপর পানি দিয়েছেন তাই না,,!!
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
রাজ কিছু না বলে একটা ইগনোর ভাব করে ঘুরে চলে যেতে গেল।

—কি হলো বলুন? আপনি আমাকে ইচ্ছে করে ভিজিয়েছেন কেন আমি কি না ভাবলাম কতোটা ভয় পেয়েছি জানেন ! কাল এতো বাজে বিহেভ করলে আজ আবার ভিজিয়ে দিলেন এই সাত সকালে। কি হয়েছে আপনার কাল কি জন্য ডেকেছিলেন বলেন না !

মিষ্টি কথা গুলো বলেই রাজের হাত চেপে ধরলো,
রাজ চরম রেগে পেছনে ফিরলো ও প্রচণ্ড রেগে আছে মিষ্টির উপর কালে এতো কিছুর আরেন্জমেন্ট করলো আর মিষ্টি কিনা ওক ইগনোর করে চলে এলো। যত বার ভেবেছে সব ভুলে মিষ্টি কে মনের সবটা খুলে বলবে তত বার মিষ্টি এমন করে। সব সময় আমার মনটা ভেঙে দেয়। আবার এখন জিগ্গেস করা হচ্ছে কি জন্য ডেকেছিলাম!
রেগে পেছনে ফিরে মিষ্টি বকতে যাবে কিন্তু রাজ বকতে পারলো না মিষ্টির অবুজ মাখা মুখ যেটা দেখে রাজের রাগ উবে গেল। পানি দেওয়ায় মিষ্টির চুল থেকে পানি গরিয়ে মুখ বেয়ে নিচে পরছে যা রাজ নেশা চোখে তাকিয়ে দেখছে। ভেজা শরীরে মিষ্টির জামা আটকে আছে যা দেখে রাজ আর তাকিয়ে থাকতে পারলো না এভাবে দেখলে নিজেকে আটকাতে পারবে না আবার পেছনে ফিরে গেল।

—কি হলো ওইদিকে তাকালেন কেন আবার আমার দিকে তাকান? আর বলেন কাল কি জন্য ডেকেছিলেন যে এতো রাগ খাবার ফেলে দিলেন।

—মিষ্টি হাত ছার!

—নাহ ছারবো না বলেন আগে আমি আপনার কিছুতে কখনো কিছু বলি না। কিন্তু আজকে আপনাকে বলতেই হবে আপনি কেন আমার সাথে এতো খারাপ ব্যবহার করেন কি করেছি আমি সেই ঘটনায় জন্য সেটা তো আপনি ও দেখেছেন।

—আমি তোকে হাত ছারতে বলেছি।

—বললাম না ছারবো না। আচ্ছা সুজয় যদি আমাকে পছন্দ করেও থাকে ও কেন যে কোন ছেলেই যদি আমাকে প্রপোজ করে তাতে আপনার কি আপনি কি রিয়েক্ট করেন।

—তুই বাচ্চা না যে বুঝিস না কিছু আর না বুঝলে নাই আমি আর কখনো তোকে বুঝাবো না অনেক টাই করেছি কিন্তু তুই বুঝিস নি।

—কি বলেন প্লিজ?

রাজ মিষ্টির কথার তোয়াক্কা না করে হাত ছারিয়ে দ্রুত বেগে নিচে নেমে এলো। মিষ্টি হা করে রাজের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছ আমার দিকে তাকালো না কেন হঠাৎ নিজের দিকে তাকিয়ে ওরনা ঠিক করে নিলোছি ছি মিষ্টি তোর এতো অধ পতন ওরনা ঠিক করে রাখতে পারিস না। নিজের মনে বিরবির করতে করতে নিজে ও নেমে এলো।

?

ক্লাস রুমে বসে আছি পাশে তিথি বকবকানি করেই চলেছে।

—এই তুই চুপ করবি আমার মাথা ব্যাথা করছে?

— কেন দোস্ত তোর আবার কি হয়েছে? আমার কথা শুনবি না কাল রাতে কি হয়েছে জানিস মাসুদ কে ইচ্ছে মতো কথা শুনিয়েছি ও কিনা আমার সাথে দেখা করতে এলো তুই বল কতো সুন্দর করে সেজে এসেছিলাম ওর সাথে ঘুরতে যাব বলে আর ও কিনা এলো না কি জন্য তার হসপিটালে কাজ ছিলো। আমাকে একটু ও ভালোবাসে না বলেছি তারপর কান ধরিয়ে দাড়িয়ে থাকতে বলেছি রাতে। ও ফোনে একটু পর পর বলেছে এখন,

—ওফ চুপ কর তোর ওই হাদারামে কথা বলা বন্ধ কর। আমার মাথা ব্যাথা করছে বলছি না পরে শুনবো।

—কেউ আমায় ভালোবাসছ না শুনবি কেন? কারো লগে আর কতা কমু না সর আর কিছু কমু না মাসুদ রে ও কইছি আর কথা কমু না বিয়ে কানছেল। তুই ও আমার কথা শুনবি না সবাই পর,

ওফ আল্লাহ কেউ এর হাতে থেকে আমারে বাচাও এই এক জ্বালা তিথিকে নিয়ে ওর উডবি মাসুদ দুইমাস পর বিয়ে এখন এনংগেজমেন্ট হয়েছে খালি। তাক নিয়ে সারা দিন আমার কান জালাপালা না করলে ওর হয় না কি কথা বলে রাগ সব আমার কাছে বলবে। আর না ও করা যাবে না তাহলেই পর এখন আবার তার রাগ ভাঙাতে হবে কি আর করার ফ্রেন্ড তো। এমনিতে তিথির মনটা অনেক ভালো কোয়েলের পর ওকেই বেস্ট ভাবি।

তৃতীয় ক্লাস আজ হবে না স্যার আসে নাই। তাই বাইরে বের হলাম চারপাশে তাকিয়ে আছি হঠাৎ মনে হলো রাজ যেখানে বষে থাকে একবার ঘুরে আসি কেন জানি যেতে ইচ্ছে হলো তিথি তো ফোন কানে চেপে আছে একু আগে বলল, আর নাকি কথা বলবে না এখন ই কথা শুরু করে দিয়েছে।

দরজায় কাছে এসে দাড়ালাম ভেতরে রাজ আর তার ফ্রেন্ড সবাই আছে। রাজ বেঞ্চে বসে আছে সামনে মারিয়া আপু আছে কিছু বলছে রাজ মুখটা কেমন রাগি করে রেখেছে হঠাৎ আমার দিকে তাকালো কখনো আমি এখানে আসি না আজই আসলাম আমাকে দেখে যে অবাক হয়ছে তা মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে। হঠাৎ রাজ মারিয়ার হাত ধরে ফেলল,
—আহ মারু তুই কিছু বলবি আর আমি মানবো না তা কখনো হয়। আচ্ছা তুই যা বলবি তাই হবে।
—সত্যি বলছিস।
খুশিতে রাজকে জরিয়ে ধরলো আমি কিছু বুঝতে পারলাম না কিন্তু জরিয়ে ধরাটা দেখে বুকে চাপা কষ্ট পেলাম। যা আমি সহ্য করতে পারছিলাম না।
— কি রে মিষ্টি তুই এখানে কি করছিস?
–না মানে আসলে…
—কি হলো বল?

চলবে❤

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?র্পব-১৫

0

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?র্পব-১৫
#লেখিকা: তানজিনা আক্তার মিষ্টি ( Tanjina Akter Misti)

মিষ্টি এদিক ওদিকে তাকাচ্ছে রেস্টুরেন্ট এমন ফাকাঁ কেন ওর মাথায় আসছে না। একবার জিগ্গেস কলবে ভাবছে তো করছে না যদি সুজয় মাইন্ড করে কিন্তু থাকতে ও পারছে না। জিগ্গেস না করে এদিকে কোয়েল কে অবশেষে কোয়েল ফোন রিসিভ করে আর বলে ও আসতে পারবে না কি জন্য সেটা নাকি রাতে বলবে। বললাম এখন বল বলল, এখন সারপ্রাইজ রাতে বলার আগেই বুঝবি।
কিছু মাথায় এলো না কি বলে কি ও? আমি ওকে বকে দিলাম একা এসেছি কোথায় ভাবলাম তিন জন্য মজা করবো এখন একা। সুজয় কে এখন নিজের ব্রেস্টফ্রেন্ড ভাবি কিন্তু ও তো একটা ছেলে আর একটা ছেলের সাথে এভাবে একা থাকাটা কেমন জানি একটা অস্থিরতা ঘিরে ধরলো আমাকে। কিন্তু মুখে প্রকাশ করলাম না।

—সুজয় আজ চলো চলে যাই আমার ভালো লাগছে না কোয়েল টা ও আসলো না। একা ভালো লাগছে না আর আরেকটা কথা রেস্টুরেন্ট এমন ফাকাঁ কেন বলো তো এতো বড় রেস্টুরেন্টে ফাকাঁ….

— মিষ্টি তুমি কি বলো তো আমি আর তুমি দুজন একটু একা টাইম স্প্রে করবো তাই রেস্টুরেন্টে আমি বুক করে নিয়েছি। আর কোয়েল না এসেই ভালো করেছে।

—কী বললে একা টাইম স্প্রে মানে কি? তুমি জানোই আমার এসব পছন্দ না আমি শুধু কোয়েলের জন্য রাজি হয়েছি। রাজ কে ইগনোর করে তোমরা ফ্রেন্ড বলে তোমাদের প্রাইরটি দিয়েছি। এখন এভাবে একা আমি আসলাম আর ও আসলো না আবার বলছে সারপ্রাইজ কি এসব? চলো চলে যাই।

—আমি এতো কি এরেন্জমেন্ট করলাম এখন তুমি চলে যাওয়ার কথা বলছো মিষ্টি। আর কি বললে কোয়েলের জন্য এসেছো তারমানে আমাকে তুমি ফ্রেন্ড ভাব না!!

—তেমন না তোমাকে ফ্রেন্ড ভাবি কিন্তু এভাবে একা আমার ভালো লাগে না। আর তোমাকে কে বলেছে রেস্টুরেন্টে বুক করতে হবার মাঝেই তো ভালো লাগতো। এমন নিস্তব্ধ পরিবেশ ভালো লাগেনা আমার ভয় করে।

—আমি আছি তো তুমি কি আমাকে ভয় পাচ্ছো। এতো দিনে একটু ও আপন ভাবো নি তুমি আমাকে মিষ্টি।

—না তা না প্লিজ রাগ করো না।

—ওকে যাও রাগ করবো না। আজ তোমার কাছে আমি আমার মনে সব খুলে বলবো তাই এসব কোয়েলকে আমি ই আসতে মানা করেছি।

কথার মাঝে সুজয় বলে উঠলো আমি কথা শুনে বসা থেকে দাড়িয়ে চিৎকার করে উঠলাম,

— কি বললে তুমি আসতে মানা করেছো?

—হুম কিন্তু তুমি এমন রিয়েক্ট কেন করছো বসো আর চিৎকার করলে সবাইকি ভাববে ওই দেখো ওয়েটার রা কেমন করে তাকিয়ে আছে!!

বলেই সুজন আমার হাত ধরে আবার চেয়ার এ বসিয়ে দিলো। আমি ওয়েটার এর দিকে দেখি সত্যি কেমন অদ্ভুত দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে আছে। আমি নিজের শান্ত করলাম তারপর ঝাটকা দিয়ে হাত ছারিয়ে নিলাম। রাগে শরীর কাপছে আমার,,,
কি বলল কোয়েল কে আসতে মানা করেছে কিন্তু কেন?

—সুজয় তুমি কোয়েল কে কেন আসতে মানা করেছো? আমি ওর রিকোয়েস্ট এই এসেছি আর তুমি ওকে এভাবে না করতে পারলে ও কি ভাববে আমাদের ছি ও আমাদের ফ্রেন্ড ওকে রেখে তুমি কিভাবে?

—আরে রিলাক্ম মিষ্টি এতো হাইপায় হচ্ছ কেন? ও আমাদের মাঝে আসতে চাইনি আমি বলেছি ও নিজে থেকেই পা আসার কথা বলেছে।

— কি বলেছো যে ও এমন কথা বলল,
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
—আগে খাবার খেয়ে নাও তারপর জানতে পারবে কি?

—না আমি খাব না আগে বলো কি বলেছো?

—আমার খিদে পেয়েছে আমি তাহলে খেয়ে নেয়। আজ রেজাল্ট এর চিন্তায় সারাদিন কিছু খায় নি। প্লিজ খাও তুমি ও তো খাও নি!

মিষ্টি আর কিছু বলল না রেগে বসে আছে। কি এমন বলেছে যে কোয়েল আসলো না আর কি সারপ্রাইজ? সুজয় এর মতি গতি ও ভালো ঠেকছেনা কি বলবে যার জন্য রেস্টুরেন্টে বুক করে নিতে হলো…..

—খাচ্ছো না কেন খাও?

—তোমার খিদে পেয়েছে খাও আমাকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।

—এভাবে বলছো কেন? ওকে না খাইলে আমি খাই।

আর বলল না একাই খেয়ে চলল আমি কিছুক্ষণ তাকিয়ে নিজে ও খেতে লাগলাম। রাগ করে না খেলে আমার ই ক্ষতি সারা দিন খাই নি দুপুরে হালকা খেয়েছি এখন খাব না কেন আর খাবার নষ্ট করা টাও ঠিক না।

—তোমার না খিদে নেই এখন খাচ্ছ কেন?

কিছু বললাম না খেয়ে নিলাম কিছু।

—বলো কি কথা তারাতারি এখন ৫:৫০ বাজে আমি চলে যাবো।

— কেবল না আসলে এখন ই চলে যাবে।

—বলবে কিনা না নাকি না জেনেই চলে যাবো!

— ওকে বলছি

বলছি বলে আবার কোথায় চলে গেল কে জানে।
মিষ্টি কে বসিয়ে রেখে সুজয় কোথায় চলে গেল বেরিয়ে ছয় টা বেজে গেছে এবার যাওয়ার সময় হয়ে আসছে আসছে না। ছটফট করে চলেছে মিষ্টি মনটা খারাপ আজ রাজের সাথে বাজে বিহেভ করে খারাপ লাগছে রাজকে কষ্ট দিলে নিজের মনে ও কষ্ট অনুভব হয় কিন্তু কেন জানি। আজ তার সারে যাই নি বলে কষ্ট পেয়েছে আমি সিউর কিন্তু কি করতাম এখানে আসার কথাতৃ রাজি হয়েছিলাম তাই তো এলাম। আজ না এলেই ভালো হত সুজয় কে কেমন সুবিধা ঠেকছে না। এমন করছে কেন ওর মনে কি চলছে কে জানে ।

চিন্তা করছিলাম বসে হঠাৎ ধ্যান ভাঙলো সুজয় এর কণ্ঠে তাকিয়ে দেখি আমার সামনে হাটু ভাজ করে বসে আছে হাতে ফুলের তোরা আমি তাকাতেই র্নাভাস পেস হয়ে গামতে লাগলো তবুও কাপাকাপা হাতে ফুলে আমার দিকে এগিয়ে দিলো। আমি যা ভয় করেছিলাম তাই হলো এই জন্য ছেলেদের আমি বিশ্বাস করিনা। রাগে উঠে দাড়ালাম সুজয় কে আগেই বলেছিলাম এইসব আমি লাইক করি না ও তাও এসব করছে।

রাজ রেস্টুরেন্টে এর বাইরেই ছিলো কি হয় দেখার জন্য কিন্তু এতো ক্ষণ তেমন কিছু হয়নি তাই ও নিজেই নিজেকে বকছে একটু আগে সুজয় মিষ্টি কে রেখে কই জানি গেলে। কিছুক্ষণ ওয়েট করে ভাবলো মিষ্টি কে নিয়ে চলে যাই রে ভেতরে ঢুকতে যাবে হঠাৎ সুজয় দৌড়ে আসলো হাতে ফুল।

যা দেখে রাজের বুঝা হয়ে গেছে কি হয়েছে কি হবে তারমানে সত্যি আর আমি এতো দিন ভুল ভাবতাম। রাজ রাগে কি করবে বুঝে উঠতে পারছে না চোখ দিয়ে আগুন বের হচ্ছে।
মিষ্টি সুজয় এর হাত থেকে টান মেরে ফল নিলো সুজয় র্নাভাস হয়ে কিছুই বলতে পারছে না। আর মিষ্টি ও কিছু বলতে দেবে না ফুল নিয়ে ফেলে বুঝাবে এসব শুনতে চায় না ও আজকেই ওর হাথে সমস্ত ফ্রেন্ড শীপ নষ্ট করে দেবে। কিন্তু কিছু বলতে পারলো না ফুল নিয়ে সুজয় কে কিছু বলতে যাবে তার আগেই কেউ ঝরের গতীতে ফুল ছিনিয়ে নিলো তাকিয়ে দেখে আর কেউ না রাজ। আচমকা রাজকে মিষ্টি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে এনি এখানে কি করছে। রাজ ফুল নিয়ে নিচে ফেলে পা দিয়ে দুমরে মুচরে ফেলল,

মিষ্টি হা করে তাকিয়ে আছে রাজকে হিংস্র বাগের মতো লাগছে রাগে ওর চোখ লাল টকটকে হয়ে আছে এতো রেগে আছে আমি কিছু বলতে গিয়ে ও বলতে পারলাম না রাজ আমার ই সামনে সুজয় কে মারতে গেল। আমি অনেক কষ্ট ছারিয়ে নিলাম।

— মিষ্টি হাত ছারু ওকে আজ মেরে ফেলবো ওর সাহস কি করে হলো তোমাকে প্রপোজ করার।

— ছারুন বলছি। ছারুন ওকে সুজয় তুমি চলে যাও?

—কে ওনি মিষ্টি আমার সাথে এমন বিহেভ করলো আমি চলে কেন যাব? এই যে মিষ্টার কে আপনি আপনার সাহস কি করে হয় আমার গায়ে হাত তুলার।

— আমার সাহষের এখন ও কিছু দেখায় নি। মিষ্টি কি বলেছিলে ফ্রেন্ড জাস্ট ফ্রেন্ড তাহলে এসব কি? ছারু বলছি মিষ্টি না হলে ভালো হবে না কিন্তু?

— না ছারবো না আপনি এখানে কি করছেন?

— কেন আমি আসাতে প্রেমে ব্যাগাত ঘটলো নাকি আপনার।

— কি বলছেন?

— ঠিকই ই বলছি ছারু।

বলেই রাজ মিষ্টি কে ধাক্কায় দিলো জোরে যার ফলে মিষ্টি সিটকে পরে টেবিলের কোণায় মাথা লেগে ব্যাথা পেল।

আযানের শব্দে মিষ্টি কল্পনা থেকে বর্তমানে ফিরলো। সারা রাত যে এভাবে বসে ছিলো খেয়াল ই করে নি। এখনো সেই দিনের কথা ভাবলে গায়ে কাটা দেয় কি ভয়ংকর লাগছিলো আমার দেখা প্রথম ভয়ংকর রাজ তার আগে কখনো এতো রাগতে দেখি নি।

চলবে❤

[ বাদ দিয়ে দিলাম কল্পনা সবাই বিরক্ত হয়ে গেছেন কল্পনা র জন্য তাই আর কল্পনা দেবো না। এবার সবাই খুশি তো ]
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?র্পবঃ-১৪

0

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?র্পবঃ-১৪
#লেখিকাঃ-তানজিনা আক্তার মিষ্টি ( Tanjina Akter Misti)

রাজ আমার সামনে এসে দাড়িয়ে আছে। আমি ভয়ে ভয়ে তার দিকে তাকালাম কি রেজাল্ট হয়েছে বুঝতে পারছিনা মুখটা কেমন যেন করে রেখেছে। মামুনিকে ডেকে আমার থেকে একটু দূরে গিয়ে কি যেন বলল মামুনি মুখটা গোমরা কিচেনে চলে গেল এবার আমার জান বের হয়ে যাবে আমি নিশ্চিত। আমি সিউর খারাপ করেছি না হলে রাজ মুখ টা ওমন করে আছে আবার মামুনিকে কি বলল…
আমি উঠে রাজের দিকে যাবো ওমনি ফোন বেজে উঠলো তাকিয়ে দেখি কোয়েল।

—হ্যালো মিষ্টি তোর রেজাল্ট কি? আমি রেজাল্ট পেয়ে গেছি আমি 4.57 পেয়েছি। তুই তো গোল্ডেন পাবি জানি আমি তো ওতো ভালো না। কীরে কথা বলছিস না কেন?

আমি কি বলবো আমি গোল্ডেন তো দূরে ফেল ই করেছি কিনা কে জানে? সবাই এমন অদ্ভুত করে রেখেছে কেন?

—-মিষ্টি কথা বলছিস না কেন?

–আমি পরে কথা বলি।

—আরে রেজাল্টটা বলতো।

—জানিনা

—-জানিনা মানে কি তুই কি এখন ও পাচ্ছ নি রেজাল্ট।

—নাহ

ওর কথা না শুনে লাইন কেটে দিলাম। রাজ আমার পাশ বসে আছে ফোন টিপছে। রাগ লাগছে খারাপ করলে ও বল এমন করে আছে কেন? আমার যে কতো চিন্তা হচ্ছে বুঝতে পারছে না। এখানে থাকাটা ভুল হয়েছে আমার। রাগে কষ্টের রাজের সামনে গিয়ে দাড়ালাম আল্লাহ ই জানে কি করেছি আম্মুর কতো সপ্ন আমাকে নিয়ে এখন রেজাল্ট খারাপ হলে কি হবে আমি তো পরিক্ষা ভালো দিয়েছিলাম।

—-আমার রেজাল্ট বলছেন না কেন? আমি কি খারাপ করেছি ভালো করতে পারিনি। বলুন না আমার তো হ্যাট এ্যাটাক হয়ে যাবে এভাবে আর কিছুক্ষণ থাকলে দেখুন হাত পা কেমন কাপছে। আমি কি খুব খারাপ করেছি কিন্তু কি করে আমি তো পরিক্ষা যথেষ্ট ভালো দিয়েছি। কি হলো কিছু বলছেন না কেন আমি টেনশনে মরে যাচ্ছি আর আপনি এখানে নিশ্চিতে বসে ফোন টিপছেন।

রাজ ফোন থেকে মাথা উঠিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে ফট করে মামুনি হাতে মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে আসে রাজ মিষ্টি বের করে আমার মুখে পুরে দেয়। আমি তো অবাক হয়ে দুজনের দিকে তাকিয়ে আছি আমি কি রেজাল্ট করেছি বলল তো নাই উল্টো মিষ্টি দিলো দুজনে হেসে যাচ্ছে আমি কিছু জিগ্গেস করতে পারছি না একটাপুরো মিষ্টি মুখে ঢুকিয়ে দিয়েছে।

—এতো ভীতু তুমি মিষ্টি নিজের উপর তোমার বিলিভ নাই। তুমি তো জানোই তোমার এক্মাম কেমন হয়েছে তাই এটাও জানো যে তুমি সব চেয়ে ভালো টাই পাবে তবুও এতো নেগেটিভ ভাবছিলে। আমি তোমাকে এতোক্ষন জানায়নি মিষ্টির জন্য এটা অর্ডার করেছিলাম। তুমি গোল্ডেন A+ পেয়েছো। আমরা কতো খুশি হয়েছি জানো।

বলেই আমার মুখের শেষ হয়েছে আমি তো খুশিতে চোখ দিয়ে পানি পরছে কিছু বলবো আবার মামুনি মিষ্টি দিয়ে বসলো। আমি মিষ্টি জাতীয় জিনিস পছন্দ কম করি কিন্তু এরা আমাকে আজ মিষ্টি খাইয়ে মারবে। কিছু বলতেই পারছিনা।

—আমি জানতাম তুই ভালো রেজাল্ট ই করবি। যা তোর মাকে কল করে জানিয়ে আয় টেনশন করছে বোধহয়।

বলেই মামুনি চলে গেল। রাজ আমার সামনে দাড়িয়ে আছে আবার মিষ্টি দেওয়ার ফন্দি করছে। আমি মুখে হাত দিয়ে রাখলাম। আর মিষ্টি দিলে নিশ্চিত এখানেই বমি করে দেব।

—আপনি এতো বাজে কেন বলুন তো আমাকে এভাবে টেনশন করালেন। কতো চিন্তা হচ্ছিলো জানেন। আর আপনি আমার টেনশন নিয়ে মজা নিচ্ছে লেন।

—মজা না আসলে তোমাকে টেনশন করলে না দেখতে খুব সুইট লাগে চিন্তা কেমন ভীতু মুখ করে বসে ছিলো আহ কি না লাগছিল একেবারে…

—আপনি কি বলছেন এসব আপনি। আমি চিন্তায় আধমরা হচ্ছিলাম আর আপনি বলছেন সুইট লাগছিল বলে চিন্তিত রেখেছে।

—হুম কি করবো বলো আমি তো

—আপনি তো কি? যাও তোমার আম্মুকে খবর দিয়ে আস এখন কথা না বলে।

বলেই আমার পাশ কাটিয়ে চলে গেল।

রুমে এসে আম্মুর সাথে কথা বললাম সাথে মনিও বলল কথা আম্মু তো খুশি তে কেদে ফেলেছে আমি ও কেদেছি আববু বেচে থাকলে কতো খুশি হতো আজ। সেসব ভেবে মন খারাপ করে রইলাম। হঠাৎ সুজয় এর রেজাল্ট এর কথা মনে পরলো জানা হয় নি কখনো আমি নিজে থেকে কল করি না আজ করলাম। সঙ্গে সঙ্গে রিসিভ হলো আমার কলের জন্য ওয়েট করছিল নিশ্চিত।

সুজয় সাথে কথা বলে জানতে পারলাম ও গোল্ডেন পায় নি। কিন্তু তার তাতে বিন্দু মাএ কষ্ট নেয় খুব খুশি আমার রেজাল্ট শুনে তো আর ও বেশি এমনকি বিকেলে দেখা করবে রেস্টুরেন্টে আমাকে নাকি খাওয়াতে হবে ট্রিট কিন্তু আমি এতো টাকা কই পাবো না করে দিলাম সুজয় হঠাৎ করে বলে তোমার বিল নিয়ে টেনশন করতে হবে না আমি খাওয়াবো তোমাদের কোয়েল কে ও বলো। এতো করে বলাতে এমন ভালো একটা দিনরাজি হয়ে গেলাম।

এদিকে

রাজ আজ মিষ্টি এতো ভালো রেজাল্ট এর জন্য বিকেলে বেরাতে যাবে আর সাথে একটা রেস্টুরেন্টে ও বুক করেছে খাওয়া দাওয়া করবে সাথে ওর মনের কথা বলবে। আজ ও জানাতে চাই যে ও মিষ্টি কে নিয়ে কি ফিল করে মনের জানো সব কথা শেয়ার করতে চায়। মিষ্টি এতো ভালো খবর পেয়েছে আজকের দিনটা অনেক সুভ আজকেই বলবো।

রাজ ফোন করে সব এরেজমেন্ট করতে বলল…..
চারটার দিকে রাজ মিষ্টি রুমে গেল জানাতে যে ওরা বেরুবে মিষ্টি যাতে রেডি হয় রুমে এসে দেখলো মিষ্টি রেডি হচ্ছে রাজ অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আমি তো বলি নি তাহলে মিষ্টি জানলো কেমনে আমরা বেরাতে যাবো আগেই রেডি হচ্ছে। মিষ্টি নীল জামা পরেছে চুল আজ খোলা উপরে কাটা দিয়ে আটকে দিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দূল পরছে কানে এতত সুন্দর লাগছে যে রাজ কিছু না বলে হা করে তাকিয়ে আছে।
রাজ কখন চলতে চলতে মিষ্টি গা ঘেষে গেছে খেয়াল ই করে নি। মিষ্টি কথার ধ্যান ভাঙলো তাকিয়ে দেখে মিষ্টি কে জরিয়ে ধরেছে আর মিষ্টি ছারতে বলছে। রাজ দ্রুত সরে দাড়ালো।
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
—এসব কি আপনি আমায় জরিয়ে কেন ধরেছিলেন?

—না মানে আসলে আমি তো নিজেই জানি না কখন ধরলাম।

—আমাকে কি মনে হয় আপনার পাগলি।

—নাহ তা মনে কেন হবে।

—তাই ভাবেন না হলে এমন কথা বলে কেউ নিজে ধরেছেন আবার নিজেই বলছেন আমি কি করে জানবো।

—আমি সত্যি জানি না

—আবার মিথ্যে।

—ওফ সরি যাও আমি সত্যি। ওকে ওকে সরি বলেছিতো। তুমি জানলে কি করে আজ আমি তোমাকে নিয়ে ঘুরতে যাবো। ভালোই হ য়েছে রেডি হয়ে গেছ আজ রাত করে ফিরবো রাতে তোমাকে রাস্তায় দাড়িয়ে আইসক্রিম খাওয়াবো আর একটা কথা বলবো যা আমি একা অনুভব আমার বিশ্বাস তুমি ও আমাকে থাক এখন না তুমি তো রেডি চলো বেরিয়ে পরি।

–কি বলছেন বুঝলাম না? কোথায় যাবো আমি?

—যেখানে যাওয়ার জন্য রেডি হয়েছো।

—হুম কিন্তু আপনি কোথায় যাবেন?

—আমি কোথায় যাবো মানে আমার সাথেই তো তুমি যাবে।

—আপনার সাথে যাবো কে বলল আমি তো সুজয় এর সাথে দেখা করবো ও আমার জন্য ট্রিট দেবে কোয়েল ও আসবে আপনি কেন যাবেন?

—হুয়াট, তুমি কোথাও যেতে পারবে না আমার সাথে যেতে হবে তোমাকে।

—সেটা সম্ভব না আমি আপনার সাথে কাল যাই আজ ওদের কথা দিয়ে ফেলেছি।

—আমার থেকে ওরা তোমার কাছে বেশি হয়ে গেল কে ওই ছেলে কেন তুমি যাবে।

— ও আমার বন্ধু একবার বলেছিলাম

— মিথ্যা বলেছো ও তোমার বন্ধু না বয়ফ্রেন্ড তাই না।

— কি আজে বাজে বকছেন। জাস্ট বন্ধু এর বেশি কিছু না।

— জানি জানি এতো মাতামাতি আমি বুঝি না কিছু তাই না। মিষ্টি আমি কিন্তু সব এরেন্জমেন্ট করে ফেলেছি তুমি ওদের না করে দাও। না হলে আমি ধরে নেব ওই ছেলের সাথে তোমার অন্য কোনো রিলেশন।

— আপনার ইচ্ছে আমি না করতে পারবো না। সুজয় অন্য ভালো একটা ছেলে ও কখনো এমন কিছু ভাবে না আর না আমি আমরা খুব ভালো ফ্রেন্ড। কিন্তু আপনি আমাকে আর ওকে নিয়ে এসব কি করে ভাবলেন আমি আগেও বলেছিলাম ও জাস্ট ফ্রেন্ড। তবুও এসব বললেন।

মিষ্টি চলে গেল। রাজ মাথা গরম হলে কি বলে জানে না মিষ্টির চোখে পানি ছিলো এটা ওর সহ্য হচ্ছে না। রাজ ও মিষ্টির পেছনে গেল লুকিয়ে।

মিষ্টি রেস্টুরেন্টে এসে দেখে কোয়েল আসে নি আর আসবে কিনা খবর ও নেই ফোন রিসিভ করছেনা সুজয় আর ও।

–কোয়েল কই সুজয় ও আসছে না কেন?

—না আসলে সমস্যা কি আর ও ভালো আমি আর তুমি সময় কাটাতে পারবো একা।

চলবে❤

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?র্পবঃ-১৩

0

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?র্পবঃ-১৩
#লেখিকাঃ-তানজিনা আক্তার মিষ্টি ( Tanjina Akter Misti)

গাড়িতে বসে রাজ ড্রাইভ করছে আর পাশে বসে আছে মিষ্টি। মিষ্টির দিকে তাকিয়ে রাজ মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছে এতো কিউট লাগছে। মিষ্টি আলাদা ঐক সুন্দর লাগছে আজকে আনন্দ ফুটে উঠেছে এর জন্যই তো রাজ বেরাতে এসেছে ও তো আনন্দ দেওয়ার জন্যই এসেছে। কিন্তু কিছু একটা মিস হয়েছে মিষ্টি হালকা সেজেছে চোখে কাজল আর ঠোটে হালকা পিন লিপস্টিক। কানে সাদা পাথরের ছোট দুল । আর পিন কালারের সেলোয়ার কামিজ পরেছে। ওরনা একপাশে চিকন করে অন্য পাশে ছেলে দিয়েছে।হচুল গুলো বেনি করে পেছনে দিয়ে রেখেছে। রাজ বারবার তাকিয়ে মিষ্টি কে পযর্বেক্ষণ করে যাচ্ছে। মিষ্টি আনন্দ মাখা মুখ নিয়ে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে ছোট ছোট কানা ছুল গুলো বার বার চোখে চলে যাচ্ছে মিষ্টি বিরক্ত হয়ে তা সরিয়ে দিচ্ছে। খুব ইচ্ছে ইচ্ছে ওই ছুল গুলো সরিয়ে দিতে রাজের কি হলো কে জানে এক হাতে ড্রাইভ করছে অন্য হাত এগিয়ে নিতে লাগলো মিষ্টির চুল সরাবে তার ফট করে মিষ্টি রাজের দিকে ঘুরে বসলো আর ঘটনা আকষমিক রাজ তারাতারি হাত সরিয়ে নিলো।
মিষ্টি রাজের দিকে তাকিয়ে ই……

—–গাড়ি থামান !

আচমকা মিষ্টি গাড়ি থামাতে বলতে রাজ ভয় পেয়ে যায়। ” মিষ্টি কি বুঝে গেছে আমি না না তাই কি মিষ্টি গাড়ি থেকে নেমে যেতে চাইছে”

—-কেন কি হয়েছে গাড়ি কেন থামাবো?

—- আমি গাড়ি থামাতে বলেছি তাই কি হলো চলে গেলাম তো থামান।

মিষ্টি আমার হাত ঝাকিয়ে দিলো উপায় না পেয়ে ব্রেক করলাম গাড়ি। মনে ভ য় মিষ্টি কি আমার অনুভূতি বুঝে গেছে। ভয় নিয়ে মিষ্টির দিকে তাকিয়ে আছে মিষ্টি আমাকে কিছু না বলেই গাড়ির দরজা খুলে বেরিয়ে যেতে লাগলো আই এম সিউর মিষ্টি জেনে গেছে না হলে এভাবে বেরিয়ে যেতে চাইতো না। আমি রাজ মিষ্টির হাত শক্ত করে ধরে ফেলল…?

—- কি হয়েছে মিষ্টি তুমি কোথায় যাচ্ছো ঘুরতে যাবে না? তুমি যার জন্য এমন করছো তায জন্য আমি সরি আসলে কি ভাবে যে কি হলো আমি নিজের অজান্তেই তোমাকে…

—কি বলছেন আপনি ছারুন হাত আর সরি বলছেন কেন? আর কে বলল আমি ঘুরতে যাবো না।

—-তাহলে নামছো কেন গাড়ি থেকে আর সরি বলছি কেন জানো না তোমাকে ভাল….

—-[ কথার মাঝে থামিয়ে ] চুপ করবেন আর হাত ছারুন দেখি আমি ফুসকা খাবো কতো দিন পর পেলাম বলুন তো তাই তো গাড়ি থামাতে বলেছি। এখন হাত ছারুন এমন করে ধরে আছেন আবার কি সব বলছেন চলুন ফুসকা খেয়ে আসি।

রাজ মিষ্টি কথা শুনে কি করবে ভেবে পাচ্ছে না নিজের উপর নিজের ই রাগ হচ্ছে কি হচ্ছে আর ও কি ভাবছিল এখন ই তো সব বলে দিচ্ছি লো।

—- তুমি ওই নোংরা জায়গার ফুসকা খাবে?

—- নোংরা না ওগুলো দেখেন না ডাকা আছে সব।

—-ও সব খেতে হবে না চলো কোন রেস্টুরেন্টে থেকে আমরা অন্য কিছু খাই।

—-না অন্য কিছু কেন খাব আমি তো অন্য কিছু খাবো না আপনার ইচ্ছে হলে খান ফুসকার সাথে অন্য কিছু যায়। ছারুন হাত।

টেনে হাত ছুটিয়ে বেরিয়ে গেল। রাজ ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে নিজে ও বেরিয়ে এলো কি আর করবে মিষ্টি কে এতো হাইপার হতে দেখি নি ফুসকার জন্য এতো রাগ।

—চাচা দুই পিলেট ফুসকা দেন জাল আর টক টা বেশি করে দেবেন।

—-আইচ্ছা

রাজ এসে দুই পিলেট ফুসকার কথা আর জাল দেওয়ার কথা শুনেছে।

— মিষ্টি তুমি দুই পিলেট কেন নিলে আমি এইসব রাস্তায় থেকে কিছু খাই না।

—আমি কি বলেছি আপনার জন্য?

—মানে

—-আমি নিজের জন্য ই দুই পিলেট অর্ডার করেছি। আপনি খেলে অর্ডার করে নিন।

মিষ্টির দিকে হাবাগুবার মতো তাকিয়ে কতো বড় অপমান। অসভ্য মেয়ে কিন্তু বেশিক্ষণ রেগে থাকতে পারলাম না মিষ্টির দিকে তাকিয় আবার হারিয়ে গেলাম এতো সুন্দর করে যে কেউ খেতে পারে জানা ছিলো না আমি ওর খাওয়া দেখছি হঠাৎ মিষ্টি আমার মুখে একটা ফুসকা ঢুকিয়ে দিলো।

ঢুকিয়ে দিয়েই হা হা হা করে হেসে উঠলো।

আমি রাগী চোখে তাকিয়ে আছি কিন্তু কথা বলত পারছি না। ফুসকা এর আগে একবার মাইশার সাথে খেয়েছিলাম আর আজ সেদিন জাল ছিলো না কিন্তু আজ এতো জাল কেন রাজ জাল একদমি খেতে পারে না। কোন রকম ফুসকা গিলে নিলো এখন জালে অবস্থা শেষ।
মিষ্টি রাজের দিকে তাকিয়ে ভয় পেয়ে যায় মুখ লাল টকটকে হয়ে গেছে। জর করে দেওয়াটা উচিত হয় নি বুঝলো।

—কি হয়েছে আপনার এমন লাগছে কেন?

–জাল

একটা কথাই বলল শুধু।

মিষ্টি জাল শুনেই মনে পরলো রাজ তো জাল খায় না।জোর করে খাওয়াতে গিয়ে যে জাল খাইয়ে দিয়েছি। তারাতারি গাড়িতে আসলাম দৌড়ে পানির বতল নিয়ে দিলাম। রাজ পানি খেয়ে একটু ঠিক হলো। নিজের প্রতি রাগ হচ্ছে কেন খাওয়াতে গেলাম।

—মিষ্টি তুমি মন খারাপ করে আছো কেন আমি কিছু মনে করি নি? তুমি হয়তো জানতে না আমি জাল খায় না কিন্তু ফুসকা টা ভালো ছিলো।

— সরি আমার এভাবে করা উচিত হয় নি।

—ইটস ওকে। আর মন খারাপ কর না এখন আমি একদম ঠিক।

সারা বিকেল আমরা ঢাকা শহর ঘুরে বেরালাম গাড়ি করে বেশি সময় কম ছিলো সন্ধ্যায় আগেই ফিরে এলাম আবার কাল পরিক্ষা তাই।
রাজের সাথে আমার বন্ধুত পূর্ণ সম্পর্ক গরে উঠে দিপ ভালো কাটতে লাগে। আবার টেনশন আসে গারে এইচ এস সি রেজাল্ট আসে। ওফ টেনশন ভরে যাবার অবস্থা কী করবো তা নিয়ে মাথা নষ্ট হবার জোগাড়।
বাড়ি যেতে চাইলাম কিন্তু রাজ বলল সে অনলাইনে জানবে তাই থেকে গেলাম। কিন্তু টেনশন তো যাচ্ছে না আমার এক্মাম ভালো হয়েছে কিন্তু তবুও ভয় কাজ করে একটা। রাজ আমাকে সাহস জুগাচ্ছে। সুজয় ও ফোন দিয়ে বলেছে টেনশন কম করতে কোয়েলের সাথে ও কথা বলেছি সুজয় আমাকেই সান্ত্বনা দেয় ওর নিজের কে নিয়ে একটু চিন্তা নেয় ও বলে আমি তো গোল্ডন এ পিলাস পাব সিউর।

এতো সিউর কি করে হয় জানি না। কোয়েল খুব চিন্তা সাথে আমি কলেজের সব ফ্রেন্ড দেরসাথে ফোনে কথা বলে বসে আছি। এখন বারোটা বাজে রেজাল্ট বেরিয়ে যাবার কথা। রাজ দেখছে রুমে আমি জরোসরো হয়ে বসে আছি সোফায় পাশে মামুনি আমাকে চিন্তা কম করতে বলছে আম্মুর সাথে ও কথা বলেছি একটু আগে।

চলবে❤

“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?র্পবঃ-১২

0

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?র্পবঃ-১২
#লেখিকাঃ-তানজিনা_আক্তার_মিষ্টি(Tanjina Akter Misti)

মিষ্টি রুমে বসে পরছে কাল একটা ক্লাস পরিক্ষা আছে। পড়া শেষই এখন মামুনি সাথে একটু কাজ করি গিয়ে আমাকে তো কিছু করতেই দেয় না এভাবে কি ভালো লাগে? সব সময় বসিয়ে রাখে বাড়িতে থাকতে তো আম্মুর সাথে কাছ করে কাটাতাম সারাদিন কি আর পড়া লাগে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি এগারোটা বাজে। ব ই রেখে খাটে থেকে নেমে দাড়ালো মিষ্টি ওরনা গলায় পেচিয়ে নিলো বের হতে যাবে হঠাৎ রাজ কে রুমে আসতে দেখলো। আচমকা রাজ কে আসতে দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে মিষ্টি। এই বাসার এসেছে আজ আঠারো দিন হলো এর মাঝে রাজ কখনো এই রুমে আসে নি আজ ই ফাস্ট। তাই অবাক টা আর ও বেশি হয়েছে মিষ্টি হা করে তাকিয়ে এগিয়ে যেতে গেল রাজের দিকে কি এমন দরকার যে একেবারে রুমে চলে এসেছে।

—-আপনি এখানে কি করছেন?

—-তোমাকে একটা………

রাজ এসেছে মিষ্টি কে বলতে যে আজ কোথায় ও বেড়াতে যাবে নাকি। মিষ্টি এখানে আসার পর ঝগড়া হয়েছে আমার সাথে আর কখনো কোথায় বেরায় নি ওর মন ভালো করা আর সাথে কিছু সময় টাইম স্প্রে করার জন্য রাজ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেন জানি মিষ্টি সাথে সময় কাটাতে মনে চাই নিজের মস্তিষ্কে বারবার এই মেয়েটা ঘুর পাক খায় কিছুতেই সরাতে পারি না।
মিষ্টির রুমে আসতেই ও হা করে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আমি জানতাম এমন টাই হবে কারণে আজই ফাস্ট এলাম আচমকা ঘরে আসতে দেখলে তো অবাক হবেই। ওর কথা শুনে কিছু বলতে বলতে আমি এগিয়ে যাচ্ছি ওর দিকে। ও এলোমেলো চুল নিয়ে দাড়িয়ে আছে দেখতে এতো সুন্দর লাগছে যে কখন আমি খাটের কোনায় এসে গেছি খেয়াল ই করিনি। খাটের কোনায় এসে পায়ে বারি খেয়ে পরে যেতে নিলাম সামনে মিষ্টি ছিলো নিজেকে রক্ষা করতে ওর হাত ধরলাম ও কী করলো আমার হাত ওর দিকে যেতেই সরে দাড়ালো আর আমি একা ঠাস করে পরে গেলাম।

—এটা কি হলো তুমি এভাবে আমাকে পরে যেতে দিলে [ রেগে] হাত ধরবো তাই সরে গেলে তুমি?

—-আপনি কি বাচ্চা যে পলে যাবেন আর আমি ধরে ফেলবো। আর আপনি আর হাত কেন ধরতে যাচ্ছি লেন আমাকে সিনেমার নায়ক দের মতো পরে গিয়ে জরিয়ে ধরতে। কিন্তু আমি তো তা হতে দেবো না তাই সরে দাড়িয়েছি। আর আপনি এই সময় আমার রুমে কেন?
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
—-হুয়াট তোমাকে জরিয়ে ধরতে আমি পরে গেছি লাইক সিরিয়ালি এসব ভাবছো? আমাকে কি পাগল মনে হয় যে তোমাকে ধরতে আমি পরে যাবার নাটক করবো।

—- ছেলেদের মতলব আমার ভালো জানা আছে। এইজন্য ছেলেদের আমি বিশ্বাস করি না।

—-তুমি আমাকে অন্য ছেলেদের মতো ভাবছো [ রেগে]

মিষ্টি কিছু বলবে কিন্তু তার আগেই ফোনের বেজে উঠলো মিষ্টির রাজ খাটে পরে ছিলো তাই ফোন দেখতে পেল। ফোন হাতে নিয়ে রাগে চোখ মুখ শক্ত হয়ে গেল রাজের কারণ ফোনে সুজয় নামে একটা ছেলে ফোন দিয়েছে ইদানিং মিষ্টি এই ছেলের সাথে বেশির ভাগ কথা বলে কে এবং ছেলে আবার এইমাত্র বলল আমি ছেলে দের সাথে কথা বলি না মিশি না তাহলে এটা কি?

—কি বললে তুমি ছেলেদের সাথে মেশ না কথা বলো না তাহলে এইটা কে?

—-মিশি নাই তো এইটা কে মানে কে ফোন দিয়েছে?

—[রাজ ফোন গুরিয়ে দেখালো মিষ্টি কে]

—সুজয় ও তো আমার ফ্রেন্ড।

—-ছেলে ফ্রেন্ড এইমাত্র কি বললে আমি ছেলেদের….

—[ হাত উঠিয়ে থামিয়ে ] মিশি না কিন্তু সুজয় অনেক ভালো একজন বন্ধু আমার তাই মিশি কিন্তু জাস্ট পরার জন্য ও আমাকে কল করে ক্লাসে ও তেমন কথা বলি না আর বলবোই কি করে ও তো কোচিং এ আসেই না ফোন দিয়ে শুধু নোট গুলো নেয়। আর আপনাকে আমি কইফত কেন দেব !

—-যাই হোক ছেলে তো আমাকে এমন করে বললে যেন ছেলেদের সাথে জীবনে কথা কও না। আমি এলাম একটা ভালো কথা বলতে বেরাতে যাওয়া নিয়ে আর তুমি আমাকে এভাবে এই জন্য কারো জন্য ভাবে নেই।

—–বেরাতে যেতে মানে?

—-ভেবেছিলাম এতো দিন হলো এসেছো এখানে কিন্তু কোথায় ঘুরতে যাওয়া হয় নাই আজ বিকেলে যেতে চাইছিলাম তোমাকে নিয়ে কিন্তু আমার এটা ভাবাই উচিত হয় নি যে আমাকে এভাবে অপমান করতে পারে তাকে নিয়ে কোথায় ও যাওয়ার মানেই হয় না।

মিষ্টি আর কোন কথা কানে নাই ও তো খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেছে বেরানোর কথা শুনে। ওর খুব ইচ্ছে হতো শহরের ঘুরার কিন্তু কে নিয়ে যাবে তাই ইচ্ছে টা মাটি চাপা দিয়ে রেখেছিল এখন রাজের মুখে শুনে খুশিতে লাফিয়ে উঠলো মিষ্টি। কিন্তু আবার রাজের শেষের কথা মনে পরে নিরাল হয় কিন্তু না যাবোই যাব অপমান কেন যে করতে গেলাম।

—-প্লিজ প্লিজ না করবেন না। আমি সো সরি হুম বেরাতে নিয়ে যান না আমার খুব ইচ্ছে ঢাকা শহরের ঘুরে বেরানোর।

মিষ্টি ইনোসেন্ট র্মাকা মুখ করে সরি বলতে লাগলো রাজকে। রাজ জানে এমন কিছু হবে তাই সে ও পার্ট নিচ্ছে যাবে না বলছে কিন্তু মিষ্টি ও সরি বলে যাচ্ছে সে যেতে চাই এই সুযোগ কিছুতেই ছারবে না। মিষ্টির নিজের চুল ছিরতে ইচ্ছে হচ্ছে কেন যে তখন কথা না শুনে এতো কি বলতে গেলাম।

অবশেষে রাজ রাজি হলো বিকেলে যাবে রেডি হথে বলল তারাতারি।

_________________

বিকেলে

রাজ তখন বলে গেছে আজ দেরি হলে কোথায় নিয়ে যাবে না তাই তিনটার মধ্যে রেডি হয়ে গেছে রাজ অবশ্য বলেছে তিনটায় যাবে। কিন্তু মিষ্টি আগেই এসেছে তিনটা বাজতে দশ মিনিট আছে।
আমি সোফায় বসে আছি মামুনি ও খুশি আমাকে ঘুরতে নিয়ে যাচ্ছে বলে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি তিনটা পাচঁ বাজে অথচ রাজ এখন ও আসে নি । এবার আমি ডাকতে লাগলাম তবুও আসছে না আবার বসে পরলাম এতত সময় লাগে পনেরো বাজে এখন ও আসছেনা সেদিন তো খুব ডাকাডাকি পারছিল এখন নিজে লেট করছে আর আমাকে কিনা বলল দেরি করলে বকবে।যাবে না কতো খারাপ খালি তার সাথে যাচ্ছি বলে কিছু বললাম না।

এদিকে রাজ তো রেডি হচ্ছে তত খুলছে কোনটায় বেশি ভালো লাগবে এটা ভেবে মাথা নষ্ট। মিষ্টির কোনটা পরলে ভালো লাগবে এই প্রথম ভালোবাসার মানুষের সাথে বেরাতে যাচ্ছি সুন্দর না লাগলে চলে যেটা পরছি সেটাই তো ভালো লাগছে কিন্তু বেশি কোনটায় বুঝছি না।

মিষ্টি ডাখ কানে আসতেই ঘড়ির দিকে তাকালো ও মাই গড তিনটা পনেরো বাজে রাজ আর খুললো না আয়নার দাঁড়িয়ে চুল নারতে লাগলো তারপর সানগ্লাস চোখে দিয়ে বেরিয়ে এলো।
এসে দেখে মিষ্টি রেগে আছে আমার দিকে তাকাতেই আমি ইস্টাল করে এগিয়ে আসলাম ওর দিকে তাকিয়ে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম এতো সুন্দর কেন তুমি মিষ্টি যেভাবে থাকো তাতেই পাগল হয়ে যাই। সানগ্লাস একটু নিচৈ নামিয়ে তাকালো আর ঝাঝালো কন্ঠে মিষ্টি বকতে লাগলো।

—-কি বলেছিলেন আমি দেরি করে সাজি বেশি? দেরি হলে নিয়ে যাবেন না এখন কে দেরি করলো কে বলুন? আমি মেয়ে আমি না হয় সাজী তাই দেরি হয় আপনি তো ছেলে ছেলেরা ত সাজে না তাহলে তাদের কেন দেরি হ য় কি করছিলেন আপনি এত সময় পর আসলেন কত বাজে দেখুল আধা ঘন্টা লেট।

চলবে❤

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?র্পব- ১১

0

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?র্পব- ১১
#লেখিকা: তানজিনা আক্তার মিষ্টি ( Tanjina Akter Misti)

—-আমার ফ্রেন্ড এর দরকার নাই। প্লিজ আমাকে এতো ডিসটার্ব করো না আমি তোমাকে ফ্রেন্ড করবো না?

——মানে কী কেন? আমি কি তোমার সাথে বাজে বিহেভ করেছি বলো। আর আমি কি প্রেম প্রস্তাব দিয়েছি যে এমন করছো আমি তো বন্ধু হতে চাই বেস্ট ফ্রেন্ড প্লিজ হও না ! তোমার রিয়েক্ট দেখে মনে হচ্ছে আমি তোমাকে প্রেম করার জন্য জ্বালিয়ে মারছি।

—-প্লিজ সুজয় আমাকে…….

—–চুপ [ মুখে আঙ্গুল দিয়ে ] স্টপ প্লিজ এই নাও আমার নাম্বার সেভ করে দিলাম তোমার ফোন এ আমি তোমাকে ডিসটার্ব না,পড়ার জন্য কথা বলতে মাঝে মাঝে ফোন দেব,আসলে প্রতিদিন আমি কোচিং এ আসবো না তাই জিগ্গেস করে জেনে নেব।

—-আরে আমার কথা টা শুন তো,,,

আমার কথা কানে না নিয়ে ইয়ার ফোন কানে দিয়ে ফোন টিপতে টিপতে ক্লাস থেকে বেরিয়ে গেল সুজয়। আমি ওর যাওয়ার দিকে হা করে তাকিয়ে আছি। এই তিন দিন ধরে পিছে লেগেছে তার এক কথা ” আমি তো তোমাকে ফ্রেন্ড হতে বলছি; প্রেমিকা হতে বলি নি যে এতো রিয়েক্ট করছো ” আমি শত না করে ও বুজাতে পারিনি ফ্রেন্ড হয়েই ছারবে।
তার সাথে যোগ হয়েছে কোয়েল সে তো সুজয় বলতে পাগল বলে কিনা ক্রাশ খেয়েছি ! তুই প্লিজ ফ্রেন্ড শিপ কর না…… দুজনে মিলে পিছে লেগেছে কি সুজয় কে খারাপ মনে হয় নি যথেষ্ট ভালো ওর মন…. আর কেউ আমাদের সাথে কথা বলে না কিন্তু সুজয় নিজে থেকেই ও যে বড় ঘরের ছেলে দেখেই বুঝা যায়। পরা লেখায় ওতো টা ও ভালো না দেখেই বুঝা যায় কিন্তু মন টা ভালো। ফ্রেন্ড করায় যায়।

“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন

ছাদে দাড়িয়ে ফুল গাছে পানি দিচ্ছি আযান দিবে এখন ই আমি এসেছি আধা ঘন্টা হয়েছে। এসে পানি দিতে এসেছি মামুনি অবশ্য না করেছিল কিন্তু আমার পানি দিতে ভালো লাগে প্রতিদিনই দেই। হঠাৎ হাতের ফোন বেজে উঠলো এই সময় কে ফোন দিলো মা তো আর ও পরে দেয় এই সন্ধ্যায় তত দেয় না। ফোন হাতে নিয়ে দেখি সুজয় নামে সেভ নাম্বার আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি এই নাম্বার আবার কখন সেভ করলাম। হঠাৎ মনে পরলো সুজয় ই তো জোর করে ফোন নিয়ে সেভ দিয়েছে।
এই সময় ফোন কি বলল আমি যখন তখন ফোন দিয়ে ডিসটার্ব করবো না। কিন্তু এখন এই সময় কিন ফোন এটা কি ফোন দেওয়ার সময় সন্ধ্যায়। পড়া ছাড়া নাকি ফোন দেবে না এখন কি পড়া শুনবে যদি না থাকে কালকেই ফ্রেন্ড থেকে বাদ করে দেব। ভেবেছিলাম ফ্রেন্ড করবো কিন্তু……

——হ্যালো,,, আসসালামু আলাইকুম!!

—-হ্যালো মিষ্টি…. এতো লেট হলো কেন ফোন রিসিভ করতে তোমার?

— এসব কি সুজয় তুমি না বললা ডিসটার্ব করবে না এখন ফোন দিয়েছো কেন? কি পড়া এখন তোমার এঈ সন্ধ্যায় কেউ কাউকে ফোন দেয় এই জন্য আমি ছেলে ফ্রেন্ড করতে চাইনি।

—-আরে আমার কথা শুনো আমি সিউর হওয়ার জন্য ফোন দিয়েছি এটা তোমার নাম্বার কিনা!!

—-মানে….!!

—আসলে তোমার ফোনে নাম্বার সেভ করে আমি আমার ফোনে সেভ না করেই চলে এসেছি এখন ভনে হলো এটা কার! হয়তো তোমার যদি অন্য কারো হয় জানতে কল করেছি বিলিভ মি।

——-ওহ আচ্ছা তাহলে এখন তো বুঝেছো এটা আমার বাই?

—- আরে একটা কথা…………..।

মিষ্টি কিছু না শুনেই ফোন রেখে দিল। পেছনে ফিরতেই দেখলো রাজ দাড়িয়ে আছে চোখ মুখ কেমন লাল হয়ে আছে। মিষ্টি রাজে দিকে তাকিয়ে আছে এভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছে কেন? আচমকা রাজ মিষ্টির হাত শক্ত করে ধরে নিলো।

—- কার সাথে কথা বলছিলে??

——- কেন কি হয়েছে আপনি এভাবে কথা বলছেন কেন?

——যা জিগ্গেস করছি উওর দাও এই সন্ধ্যায় ছাদে দাঁড়িয়ে কার সাথে কথা বলছিলে…??

——আমার ফ্রেন্ড ছিলো…[ ভয়ে ভয়ে রাজ কে ভয়ংকর লাগছে ]

—–ছেলে না মেয়ে…!!

—–এসব কি প্রশ্ন যেই থাক আপনার কি আপনি এমন করছেন কেন? ছারুন হাত আমার লাগছে ছেলে হলেই আপনার কি এভাবে আমার সাথে ব্যবহার করতে পারেন না আপনি।

এতোক্ষনে রাজের টনক নরলো আসলেই তো আমি কেন এমন বিহেভ করছি। যেই থাক তাতে আমার কি আমার এতো রাগ হচ্ছে কেন? সঙ্গে সঙ্গে মিষ্টি হাত ছেড়ে নেমে এলো রাজ নিজের রুমে এসে পরলো। দুহাতে মাথা চেপে ধরে বসে আছে রাজ……
কীছু বুঝতে পারছে না কেন এতো রাগ হচ্ছে আমার কেন? মিষ্টি যদি রিলেশন ও করে তাতে আর কেন কষ্ট হচ্ছে কেন রাগ হচ্ছে? কি হলো আমার সব সময় শুতে গেলে খেতে গেলে শুধু মিষ্টির কথা মনে পরে ওর ভয় বোকা বোকা কথা প্রথম দিনের কথা। সব সময় ওর সাথে সময় কাটাতে মন চাই না হলে চাপা কষ্ট বুকে থাকে।
এগুলো কেন হয় আমার সাথে!

বন্ধুদের সাথে বসে আছে রাজ ধ্যান করে সবাই কথা বলে চলেছে কিন্তু রাজের ভুখে কথা নেই।

—হুয়াটস হ্যাপেন রাজ কি হয়েছে তোর এমন থ মেরে বসে আছিস কেন?

——মাইশা আর বলিস না তুই তো কাল আসিস নি কি অবস্থা এর এমন করে থাকে কি যেন ভাবে? তোকে খুব ভালোবাসে তো তাই এমন করে নিরব থাকে আজ তুই আছিস আর এমন থাকবে না কি বলিস রনি ঠিক না?

—-হুম ঠিক বলেছিস।

মাইশা তো লজ্জায় লাল নিল বেগুনি হতে লাগলো ও তো রাজ কে ভালোবাসে অনেক।

—তাই রাজ আমার জন্য এমন করে আছে। কিন্তু আমি তো আজ আছি ও আমার সাথে কথা বলছেসনা কেন?

—ওকেঈ জিগ্গেস করো আমরা জানি নাকি?

মাইশা এগিয়ে রাজের পাশে বসলো তারপর রাজের হাত ধরে কাধে মাথা রাখতেই ধাক্কায় খেয়ে পরে গেল।

—-মাইশা তোকে বলছিলাম আমার থেকে দূরে থাকবি সব সময় গা ঘেষে আমার একদভ পছন্দ না।

মাইশা সহ সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। রাছ কখনো এমন বাজে বিহেভ করে নি আজ এমন করছে কেন। মাইশা তত কান্না জুরে দিলো।

—–রাজ তুই আমাকে এভাবে ধাক্কা দিতে পারলি দেখ ত কতো ক্ষানি ব্যাথা পেয়েছি।

—-তাহলে গায়ে ঘেষে থাকিস এসব আমার পছন্দ না জানিস না এমনি তেই অসহ্য রাগ হচ্ছে কেন হচ্ছে?

মাইশা সরে গেল রাজ এতো রেগে আছে কেন? রাজের ব্যাপার টা একমাএ রিমন সব জানে। রিভনের সাথেই সব শেয়ার করে রাজ।

—- তুই প্রেমে পরেছিস ভাই কিন্তু শিকার খরতে চাইছিস নাসকেন বলতো।

—তুই আজেবাজে বকা বাদ দে? আমি প্রেমে অসম্ভব এসব প্রেমে টেমে আমি পরব না কখনো।

— সত্যি বলছি ভাই তুই প্রেমে পরেছিস আমি সিউর খুব তারাতারি বুঝতে পারবি।

চলবে❤

[ কাল গল্প দেয়নি তার জন্য সরি। একটা আপু মারা গেছে তাকে কখনো চিন্তাম না কিন্তু হঠাৎ তার মৃত্যুর খবর শুনে আমি গল্প লিখে উঠতে পারি নি। এতো কষ্ট হয়েছে মনে হয়েছে আপন কেউ ছেরে চলে গেছে। গল্প দিতে দেযি হয় বলে সবাই আমাকে বকেন অনেক আমি জানি কিন্তু আমি প্রতিদিন গল্প দিতে পারবো না সরি আমার লেখতে প্রবলেম হয় হাত ব্যাথা করে প্রচুর তাই আমি যখন ভালো লাগে দেয়। দৈয্য ধরে পরতে অনুরোধ রইল। সবাই আপুর জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেন তাকে বেহেশত নসিব দেন]

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?র্পব-১০

0

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?র্পব-১০
#লেখিকা: তানজিনা আক্তার মিষ্টি ( Tanjina Akter Misti)

বারান্দায় বসে আকাশ পানে তাকিয়ে আছে মিষ্টি। ভয় তো ভালোই করছে তখন কিন্তু কাউকে বলা যাবে না মামুনি আমার মুখ গোমরা দেখে বারবার জিগ্গেস করছে কি হয়েছে? তার উপর রাত করে ফিরেছি। চিন্তা করেছে যে মুখ দেখেঈ বুঝা গেছে। তাকে চিন্তায় ফেলে কষ্ট দিতে চাইনা তাই রাজকে বলেছি কাউকে না জানানোই ভালো। নিজেকে এতো অসহায় লাগছিল যে নিজেকে রক্ষা করতে পারবো এটা ভুলেই গেছিলাম। তখন একটা কথায় মনে এসেছে কি করে কি করবো? যখন সব গুলো ছেলে আমার আশে এসে দাড়ায় আর একজন আমাকে টাচ করতে আসে কি ভাবে কি করবো মাথায় নষ্ট হয়ে আসছিল। হঠাৎ কাধের ব্যাগ চোখে পরে আর কিছু না ভেবে ব্যাগ সামনে এনে লোকটার হাতে কলম দিয়ে আচর দিয়ে বসলাম।
এমন ঘটনায় ছেলেটি হাত ধরে উহ্ করে হাত পিছিয়ে নিলো সামনে থেকে সরে হাত দেখতে লাগলো আর গুলো একটু দূরে ছিলো আমি দৌড়ে দিলাম আর সাথে হেল্প বলে চেচামেচি করতে লাগলাম।
সামনে একটা চায়ের দোকান ছিলো আমার চিৎকার শুনে তারা ছুটে এলো আমার দিকে আমি তাদের দেখে ভরসা খুজে পেলাম সাথে দুজন মহিলা ও আছে। এবার একটা দম নিয়ে তাদের কাছে গিয়ে হাপাতে লাগলাম। তারা আমার কাছে এসে বলে চলেছে……” কি হয়েছে তোমার এভাবে দৌড় পারছো কেন? ” আমি কিছু না বলে হাপাচ্ছি কথা গলায় আটকে আছে। ওইভাবে পেছনে তাকিয়ে দেখি ছেলে গুলো এদিকে আসতে গিয়ে ও পেছনে ফিরে দৌড়াচ্ছে মুখে তাদের ভয়। একজন পাশে থেকে বলে উঠলো…… “বুঝেছি ওই জানোয়ার গুলো পিছ ধরেছিল তাই না। তুমি এই নিরিবিলি রাস্তা একা আসছিল কেন? আবার সন্ধ্যায় পর সন্ধ্যায় পর কোথায় যাওয়া টা ঠিক না? ” তারা তো আর জানে না আমি কন এসেছি আর বলা ও হলো না এর মাঝেই কোথা থেকে জানি রাজ চলে এলো লোকগুলোর মাঝে দাড়িয়ে আছে। পেছনে গাড়ি ও আছে কখন এসেছে বুঝতে পারলাম না আমি কোন কথা বলছি না জানি না কি হলো কথা বের হচ্ছে না মুখ দিয়ে। সবাই নানা প্রশ্ন করে যাচ্ছে আমি কিছু বলছি না। রাজ দাড়িয়ে সব শুনলো সব শুনে বুঝতে পেরেছে কি হয়েছিল মনে হয় চোখ মুখ কেমন শক্ত হয়ে উঠে । আমার দিকে তাকিয়ে সবাইকে কি যেন বলল সবাই চলে গেল।

আমার কাছে এসে আমার হাত ধরে গাড়িতে নিয়ে উঠালো আমি শান্ত মেয়ের মতো উঠে সিটে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলল দৌড়ানোতে ক্লান্ত লাগছে অনেক হার্টবিট হাই বিট হচ্ছে অস্থির লাগছে। সারা শরীর কাপছে আমার…….

–পানি খাও ভালো লাগবে!

আমি কিছু না বলে পানির বতলটা হাতে নিলাম সত্যি পানির পিপাসা পেয়েছিল। ঢকঢক করে অনেক খানি পানি খেয়ে নিলাম। এখন এখটু ভালো লাগছে রাজের দিকে তাকিয়ে দেখি আমার দিকে তাকিয়ে আছে একদৃষ্টি তে আমি পানির বতল দিয়ে আবার চোখ বন্ধ করে ফেললাম….. মনে মনে ভাবছি রাজ কি এখন জিগ্গেস করবে কি হয়েছে না বলবো না কিছু যা বুঝার বুঝেছে না বুঝলে নাই। আমাকে নিতেই বা এল কেন সে তো খুব বিজি মানুষ মামুনি নিশ্চয়ই জোর করে পাঠিয়েছে। অন্যের বাড়ি আছি নিজেকে নিজের জন্য তৈরি করে পথ চলতে হবে অন্যের দয়ায় কোন দরকার নেই আমার।

কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে কিছু জিগ্গেস করলো না উল্টো গান ছেরে দিলো হিন্দি গান চলছে রাগে আমার কি যে করতে মন চাইছে কিন্তু কি বললাম না। কিছু জিগ্গেস করলো না বাসার এসে গাড়ি থেকে নামতে যাবো রাজ আমার হাত টেনে ধরলো…. আমি আচমকা ঘটনায় অবাক হয়ে পেছনে ফিরতেই রাজ জোরে টান দিলো একদম কাছে চলে এলাম। এমন ঘটনায় আমার চোখ বেরিয়ে আসার উপক্রম হলো
কিছু বলবো রাজ বলে উঠলো……. বাড়িতে জানিয় না সবাই টেনশন করবে প্লিজ?

আমি অবাক চোখে তাকালাম আমাকে নিয়ে যে সে একটু ও চিন্তা না বুঝা গেল। একবার কিছু জিগ্গেস ও করলো না আবার সবাই কে বলা থেকে বিরত করলো আমি চাপা কষ্ট হলো কিন্তু বললাম না তাকে ছারিয়ে ভেতরে চলে এলাম।

মামুনি খেতে ডাকছে তাই বাস্তবৈ আসলাম।
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
পরদিন

কোচিং একাই এলাম কোয়েলের সাথে কথা বললাম না এই মেয়েটার জন্য আমায় বিপদে পরতে হয়েছে। কোয়েল এলো কাছে আর আমার সাথে কথা বলতে লাগলো আমি ধমক দিয়ে কাছে থেকে যেতে বললাম…..

-কি হয়েছে তোমার? আমার সাথে কি রাগ করেছো?

– তুমি আমার কাছে থেকে সরো তোমার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করছে না !

-কি হয়েছে আমি কি করেছি প্লিজ বলো?

-তুমি যাবে…..

-না তোমাকে আমি ফ্রেন্ড ভাবি তুমি আমার ফ্রেন্ড আমার আর কোন ফ্রেন্ড নাই তোমাকে আমি কিছু তেই ছেড়ে দেব না।

-আমি তোমাকে ফ্রেন্ড ভাবি না তোমার জন্য কাল আমাকে কতো বড় বিপদ হয়েছে জানো আমি বলেছিলাম আমার রাত হলে প্রবলেম তুমি জোর করে।

সব কোয়েল কে বললাম সব শুনে কোয়েল আমার হাত ধরে কাদোকাদো মুখ করে সরি বলল অনেক ক্ষণ আমি কি আর করবো ক্ষমা করে দিলাম। ছুটির পর নিচে নেমেই দেখি রাজ দাড়িয়ে আছে মেরুন কালারের শার্ট চোখে সানগ্লাস দিয়ে গাড়িতে হেলান দিয়ে ফোন টিপছে। দেখতে হিরো লাগছে আমি হা করে তার দিকে তাকিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি মনেই ছিলো না হঠাৎ মনে হলো আমি তত কোচিং এ আছি রাজ এখানে কি করছে।

-ভাইয়া আপনি এখানে কি করছেন?

আমার কথা শুনে আশেপাশে তাকিয়ে বলল….. ভাইয়া কাকে বলছো মিষ্টি নতুন ভাই পেয়েছো নাকি কিন্তু আশেপাশে কাউকে দেখছি না তো?

-আপনাকে বলছি নতুন ভাই আবার কই পাবো আপনাকে কিছু বলি না তাই কাল মামুনি বলে দিলো ভাই বলতে?

-হুয়াট তুমি আমাকে ভাই বলছো?

-হুম

-ও গড প্লিজ ভাই বলো না আর যাই বলো না কেন ভাই বল না?

-মানে কি ভাই বলবো না কেন? এতে সমস্যা বা কোথায় আর অন্য কিছু মানে কি বলতে বলছেন চাচা খালু মামা এইসব?

-মামা চাচা খালু ওহ নো এসব কেন বলতে বলবো আমি পাগল নাকি?

-তাহলে আর আছে টা কি যে বলবো? আপনি এখানে কি করছেন বললেন না কিন্তু?

-এই তো তোমাকে নিতে এলাম কাল যা হয়েছিল আর রিক্ম নেওয়া যাবে না তাই চলে এলাম। আর কিছু পাচ্ছে না মানে কতো কিছু আছে তুমি চাইলে বলতেই পারো।

-মানে

-বাদ দাও না ধরে ডেকো কেমন চলো এখন?

-নাম ধ….

রাজ গাড়িতে উঠে বসে গেছে আমার কথা না শুনেই।

-কি হলো উঠে এসো?

-নাহ আমি আপনার সাথে যাব না।

-বেশি কথা বল তুমি সন্ধ্যায় হয়ে আসছে তারাতারি উঠে আসো।

-বললাম না যাবো না আপনার সাথে আমি একাই

– হয়েছে একা যেতে পারবে না কালকের মতো আজকে ও কিন্তু কিছু হতে পারে।

মিষ্টি কথা বারালো না সত্যি তো হতেই পারে না জেদ করে নিজের বিপদ না বাড়ানোই ভালো।

?

ক্লাসে বসে আছি কোয়েল এখন ও আসে নি। একাই বসে আছি বই নিয়ে পরছি সামনে রেখে হঠাৎ কেউ পাশে থেকে কথা বলে উঠলো তাকিয়ে দেখি একটা ছেলে গায়ের রঙ দবদবে সাদা লাল রঙের শার্ট, কালো পান্ট, কানে একটা দুল হাতে ব্যাসলেট, ঠোট লাল টকটকে যেন লিপস্টিক দিয়েছেকে এই ধলা লোকটা কে জানে আমার দিকে তাকিয়ে হাই বলছে। আমি হা করে তাকিয়ে আছি।

-হেই কিউটি, হোয়াটস ইউর নেম?

আমি কথা কি বলবো এমন সাদা এতো সুন্দর ছেলে দেখে আমি কথা বলার ভাষা হারিয়ে তাকিয়ে আছি। ছেলেটার ধাক্কায় সজ্ঞানে এলাম।

-হে তুমি কথা বলছো না কেন? তোমার নাম কি?

ছেলেটাকে নাম বলতে চাইছি না তবুও অনেক বলায় বললাম নাম শুনে সে কিহাসি তারপর হাসি থামিয়ে নিজের ডিটেল্স বলতে লাগলো আমি শুনতে চাইছি নাকি কি একাই বলে যাচ্ছে। ছেলেটির নাম সুজয় বাসা এখানেই। বাবা এখানকার এমপি ধনী ঘরে ছেলে তা আমি দেখেই বুঝেছি। একটা বড় বোন আছে আর ও। আমি কথা না বললে ও নিজে থেকেই ফ্রেন্ড হবার অফার করলো। মুখের উপর না করে দিলাম আমি আমার ফ্রেন্ড চাই না বিশেষ করে ছেলে তো নাই।

চলবে❤

[ সরি দেরি করার জন্য আর আজকে আরেকটা পার্ট দেবো]

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?র্পব- ৯

0

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?র্পব- ৯
#লেখিকা: তানজিনা আক্তার মিষ্টি ( Tanjina Akter Misti)

— আপনি আমাকে একা রেখে চলে যাবেন না প্লিজ আমি একা বাসায় ফিরবো কেমনে?

— ফিরবে কিভাবে মানে যে ভাবে আসলে সেভাবে।

— আপনি চলে গেলে সেভাবে কি করে যাব?

— সেভাবেই যাবে শুধু আমি থাকবো না বাইরে থেকে তুমি গাড়ি নিয়ে চলে আসবে। আমার তো আর তোমার জন্য কোচিং শেষ হওয়া পযর্ন্ত বসে থাকা পসিবল না।

— হুম তা জানি কিন্তু আমার তো ভয় করছে আমি রাস্তা ভুলে যাব নিশ্চিত।

— হুয়াট রাস্তায় কেন ভুলবে?

–দেখুন আমি শহরে একদম প্রথম বার এসেছি এর আগ ছোট থাকতে আববুর সাথে এসেছিলাম তারপর আর আসা হয় নি। গাড়িতে আপনার সাথে এসেছি তাই আমি রাস্তা ঠিক রাখি নি এখন রেখে গেলে আমি ভুল রাস্তায় চলে যাব। প্লিজ রেখে যাবেন না?

— আর ইউ ম্যাড তুমি কি বলতে চাইছো আমি দু ঘন্টা তোমার জন্য ওয়েট করে থাকি? ঠিক আসতে পারবে? বাই টেক কেয়ার!

বলেই আমার কথার অপেক্ষা না করে বাই বলে যেতে নিলো আমি হা করে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে
আছি।

?
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
রাজ ফোন কানে নিয়ে কথা বলতে বলতে হেটে চলেছে আর ভাবছে মেয়েটা একেক সময় একেক রুপ একবার রেগে রাগিনী হয়ে যায় আবার এখন ভীতু হয়ে গেছে ও কি সত্যি হারিয়ে যাবে। এতো বড় মেয়ে সে সামান্য কারণে কান্না কান্না মুখ করে ফেলেছে। রাজ মিষ্টির ভীতু চেহারার কথা ভাবছে খুব সুইট লাগছিল দেখতে।

কথা গুলো ভাবছে আর মুচকি হেসে লিফটের ভেতরে যাবে এমন সময় ঝরের গতীতে মিষ্টি দৌড়ে হাত টেনে ধরলো আচমকা ঘটনায় ভয় পেয়ে যায় রাজ এমন ভাবে দৌড়ে আসার কারণ কি?

— দাড়ান আমাকে রেখেই তো ঢুকে যাচ্ছে নিয়ে জান?

–হুয়াট যাবে মানে তোমার না ক্লাস আছে।

— নাহ নেই আমার ক্লাস বিকেলে !

— মিথ্যে বলছো না তো একা যেতে ভয় পাও বলে।

— না মিথ্যে বলছি না বিশ্বাস না হলে জিগ্গেস করে আসতে পারেন।

রাজ বিশ্বাস করলো মিথ্যে বললে জিগ্গেস করতে বলতো না। রাজ বিশ্বাস করে নিল কথা।
মিষ্টি রাজের সাথে লিফটে উঠে পরলো…..

মিষ্টি সারা রাস্তায় জিগ্গেস করে করে সব চিনে এসেছে সিড়ি ও দেখে এসেছে সেখানে দিয়ে আশা যাওয়া করবে মিষ্টি দেরি হলে হবে এসবে উঠবে না ভয় করে ওর।

রাতে
মামুনির সাথে গল্প করলাম সব কিছু নিয়ে আজকের বিষয়ে।

?

একাই এলাম কোচিং করতে আজ।
গেটের কাছে দাড়িয়ে আছি সব কিছু দেখতে দেখতে ভেতরে ঢুকছি হঠাৎ কেউ ধাক্কা দিলো তাকিয়ে দেখি একটা মেয়ে দৌড়ে আসায় খেয়াল করে নি আমি তাকাতেই সরি বলল। তারপর মেয়েটি আমার থেকে দ্রুত গতিতে চলে গেল। ব্যস্ত খুব এমন ভাবে গেল আমি ধীরে সুস্থ সিড়ি বেয়ে এলাম। ক্লাসে ঢুকেই সব অচেনা মেয়ে ছেলে বসে আছে। আমাকে দেখে সবাই ভূত দেখার মতো করে তাকালো সবাই সবার এমন ভাবে তাকানোতে লজ্জা লাগছিল আমি মাথা নিচু করে সিট খুজতে লাগলাম পেছনের দিকের একটা সিট বসে পরলাম পাশে কেউ আছে খেয়াল না করে ই। হঠাৎ মনে হলো কেউ পাশে আছে তাকিয়ে দেখি এটা তো সেই মেয়ে যার সাথে ধাক্কা লেগেছিলো।

মেয়েটি ও আমাকে দেখে অবাক হলো এখানে দেখে। দুজন অবাকের সীমা পেরিয়ে পরিচিত হলাম খুব ভালো মেয়েটি নাম কোয়েল। প্রথম দিনেই ফ্রেন্ড হয়ে উঠলাম।
ছুটির পর আমাকে নিয়ে নিচ তালার দোকান এলো কি বলে কিনবে আমি যেতে চাইলে অনুরোধ করে রেখে দিলো পাচঁটা পনেরো য় ওর হলো পনেরো মিনিট ছিলাম।

সরি বলে চলে গেল আমার জন্য দাড়াতে চেয়েছিল কিন্তু গাড়ি আসায় আমি ই বলেছি চলে যেতে। এখন সাড়ে পাচঁটার উপরে বাজে।

কিন্তু গাড়ি পাচ্ছি না যা পাচ্ছি সেগুলো থামছে না ভরা একদম।

কিছুদূর হার্ট দিলাম হেটে যাওয়া সম্ভব না কিন্তু এগিয়ে যদি গাড়ি পায় তাই।হেটে যে আসতে আসতে কখনো নিরিবিলি জায়গায় এসেছি খেয়াল ই করিনি এবার ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ছয়টা পনের বাজে আশে পাশে অন্ধকার হয়ে আসছে গাড়ি ও পাচ্ছি না। কোন বিপদে পরলাম।

হঠাৎ পেছনে কিছু লোকের আওয়াজ পেলাম বাজে কথা বলছে আমি হাটার গতী বাড়িয়ে দিলাম। তারা আমাকে থামতে বলছে আমি থামছি না উষ্ঠা খেয়ে বসে পরলাম তারাতারি করতে গিয়ে উষ্টা খেয়েছি। এবার ছেলে গুলো আমার কাছে এসে গিরে ধরলো আমি বসে তাদের দিকে তাকিয়ে আছি আশেপাশে কেউ নেই। ভয়ে আমার আত্মা শুকিয়ে আসছে এখন কি করবোএরা তো ঘিরে ধরলো কোয়েলের সাথে কেন দেরি করলাম এখন কি বাচাবে আমাকে? আমি উঠে দাড়িয়ে গেলাম সবাইকে বলছি ছেড়ে দিতে তারা আমার পথ ছারছে না একজন আমার হাত ধরতে এগিয়ে আসতে লাগে আমি কি করবো না ভেবে ব্যাগ দিয়ে বারি মারি। চিৎকার করছি আমি লোক ডাকছি কেউ যাতে আসে দৌড়ে এগিয়ে গেলাম।

চলবে❤