লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?র্পবঃ-১৬

0
1921

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?র্পবঃ-১৬
#লেখিকাঃ-তানজিনা আক্তার মিষ্টি (Tanjina Akter Misti)

ছাদে দাড়িয়ে গাছে পানি দিয়ে দোলনায় বসে পরলাম। চোখ জ্বালা করছে এখন রাত ভোর জেগে থাকার জন্য এমন হচ্ছে। চোখ বন্ধ করে বসে আছি হালকা ঠান্ডা হাওয়া শরীরে শুয়ে যাচ্ছে। সকালের এই মিষ্টি বাতাস মন ছোঁয়ার জন্য যথেষ্ট। দোলনায় হেলান দিয়েই চোখ বন্ধ করে আছে মিষ্টি কখনো যে ওইভাবে ঘুমিয়ে পরে নিজে ও খেয়াল করে উঠতে পারে না।
ঘুমের ঘুরে মনে হচ্ছে বৃষ্টি পরছে কিন্তু কি ভাবে আমি তো রুমে শুয়ে আছি তাহলে বৃষ্টি হচ্ছে তা আমার শরিরে পরছে কেমনে, ছাদ ফুটো হয়ে যায় নি ভাবতেই ছোঁয়া ধরফরিয়ে উঠতে গেল ওত ভেবেছে খাটে আছে তাই হাত পা মেলে বসতে গিয়ে দোলনা থেকে পরে গেল।
বেচারা এমন কিছুর জন্য মোটে ও প্রস্তুত ছিলো না। শরীর ভিজে গেছে আর নিচে বসে আছে। আমি এখানে কি করছি আমি তো রুমে…..
আর ভাবতে পারলো না ওর মনে পরে গেছে ও তো ছাদে এসেছিল তারপর দোলনা তারপর তার মানে আমি সেখানেই ঘুমিয়ে পরেছিলাম। বৃষ্টি থেমে গেল চারপাশে দেখতে লাগলো কি আশ্চর্য বৃষ্টি শুধুমাত্র আমার উপরেই পরেছে নাকি আশেপাশে তো ভিজে নাই আমার শরীর ই খালি ভিজা কেন? কতো বেলা ও হয়ে গেছে আমি কতো সময় ঘুমিয়ে ছিলাম।
একমনে কথা ভেবে যাচ্ছি আমার সামনে যে রাজ দাড়িয়ে আছে আমার খেয়াল ই নেই। হঠাৎ চিৎকার শুনে তারাতারি বসা থেকে উঠে দাড়িয়ে গেলাম। রাজের দিকে তাকিয়ে দেখি হাতে পানির পাইপ নিয়ে দাড়িয়ে আছে আমার দিকে অদ্ভুত রাগ নিয়ে।
আমি এতোক্ষণ যেটাকে বৃষ্টি ভেবেছি সেটা তার মানে রাজ ইচ্ছে করে করেছে আর আমি কিনা কি ভাবলাম।

—আপনি ইচ্ছে করে আমার উপর পানি দিয়েছেন তাই না,,!!
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
রাজ কিছু না বলে একটা ইগনোর ভাব করে ঘুরে চলে যেতে গেল।

—কি হলো বলুন? আপনি আমাকে ইচ্ছে করে ভিজিয়েছেন কেন আমি কি না ভাবলাম কতোটা ভয় পেয়েছি জানেন ! কাল এতো বাজে বিহেভ করলে আজ আবার ভিজিয়ে দিলেন এই সাত সকালে। কি হয়েছে আপনার কাল কি জন্য ডেকেছিলেন বলেন না !

মিষ্টি কথা গুলো বলেই রাজের হাত চেপে ধরলো,
রাজ চরম রেগে পেছনে ফিরলো ও প্রচণ্ড রেগে আছে মিষ্টির উপর কালে এতো কিছুর আরেন্জমেন্ট করলো আর মিষ্টি কিনা ওক ইগনোর করে চলে এলো। যত বার ভেবেছে সব ভুলে মিষ্টি কে মনের সবটা খুলে বলবে তত বার মিষ্টি এমন করে। সব সময় আমার মনটা ভেঙে দেয়। আবার এখন জিগ্গেস করা হচ্ছে কি জন্য ডেকেছিলাম!
রেগে পেছনে ফিরে মিষ্টি বকতে যাবে কিন্তু রাজ বকতে পারলো না মিষ্টির অবুজ মাখা মুখ যেটা দেখে রাজের রাগ উবে গেল। পানি দেওয়ায় মিষ্টির চুল থেকে পানি গরিয়ে মুখ বেয়ে নিচে পরছে যা রাজ নেশা চোখে তাকিয়ে দেখছে। ভেজা শরীরে মিষ্টির জামা আটকে আছে যা দেখে রাজ আর তাকিয়ে থাকতে পারলো না এভাবে দেখলে নিজেকে আটকাতে পারবে না আবার পেছনে ফিরে গেল।

—কি হলো ওইদিকে তাকালেন কেন আবার আমার দিকে তাকান? আর বলেন কাল কি জন্য ডেকেছিলেন যে এতো রাগ খাবার ফেলে দিলেন।

—মিষ্টি হাত ছার!

—নাহ ছারবো না বলেন আগে আমি আপনার কিছুতে কখনো কিছু বলি না। কিন্তু আজকে আপনাকে বলতেই হবে আপনি কেন আমার সাথে এতো খারাপ ব্যবহার করেন কি করেছি আমি সেই ঘটনায় জন্য সেটা তো আপনি ও দেখেছেন।

—আমি তোকে হাত ছারতে বলেছি।

—বললাম না ছারবো না। আচ্ছা সুজয় যদি আমাকে পছন্দ করেও থাকে ও কেন যে কোন ছেলেই যদি আমাকে প্রপোজ করে তাতে আপনার কি আপনি কি রিয়েক্ট করেন।

—তুই বাচ্চা না যে বুঝিস না কিছু আর না বুঝলে নাই আমি আর কখনো তোকে বুঝাবো না অনেক টাই করেছি কিন্তু তুই বুঝিস নি।

—কি বলেন প্লিজ?

রাজ মিষ্টির কথার তোয়াক্কা না করে হাত ছারিয়ে দ্রুত বেগে নিচে নেমে এলো। মিষ্টি হা করে রাজের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছ আমার দিকে তাকালো না কেন হঠাৎ নিজের দিকে তাকিয়ে ওরনা ঠিক করে নিলোছি ছি মিষ্টি তোর এতো অধ পতন ওরনা ঠিক করে রাখতে পারিস না। নিজের মনে বিরবির করতে করতে নিজে ও নেমে এলো।

?

ক্লাস রুমে বসে আছি পাশে তিথি বকবকানি করেই চলেছে।

—এই তুই চুপ করবি আমার মাথা ব্যাথা করছে?

— কেন দোস্ত তোর আবার কি হয়েছে? আমার কথা শুনবি না কাল রাতে কি হয়েছে জানিস মাসুদ কে ইচ্ছে মতো কথা শুনিয়েছি ও কিনা আমার সাথে দেখা করতে এলো তুই বল কতো সুন্দর করে সেজে এসেছিলাম ওর সাথে ঘুরতে যাব বলে আর ও কিনা এলো না কি জন্য তার হসপিটালে কাজ ছিলো। আমাকে একটু ও ভালোবাসে না বলেছি তারপর কান ধরিয়ে দাড়িয়ে থাকতে বলেছি রাতে। ও ফোনে একটু পর পর বলেছে এখন,

—ওফ চুপ কর তোর ওই হাদারামে কথা বলা বন্ধ কর। আমার মাথা ব্যাথা করছে বলছি না পরে শুনবো।

—কেউ আমায় ভালোবাসছ না শুনবি কেন? কারো লগে আর কতা কমু না সর আর কিছু কমু না মাসুদ রে ও কইছি আর কথা কমু না বিয়ে কানছেল। তুই ও আমার কথা শুনবি না সবাই পর,

ওফ আল্লাহ কেউ এর হাতে থেকে আমারে বাচাও এই এক জ্বালা তিথিকে নিয়ে ওর উডবি মাসুদ দুইমাস পর বিয়ে এখন এনংগেজমেন্ট হয়েছে খালি। তাক নিয়ে সারা দিন আমার কান জালাপালা না করলে ওর হয় না কি কথা বলে রাগ সব আমার কাছে বলবে। আর না ও করা যাবে না তাহলেই পর এখন আবার তার রাগ ভাঙাতে হবে কি আর করার ফ্রেন্ড তো। এমনিতে তিথির মনটা অনেক ভালো কোয়েলের পর ওকেই বেস্ট ভাবি।

তৃতীয় ক্লাস আজ হবে না স্যার আসে নাই। তাই বাইরে বের হলাম চারপাশে তাকিয়ে আছি হঠাৎ মনে হলো রাজ যেখানে বষে থাকে একবার ঘুরে আসি কেন জানি যেতে ইচ্ছে হলো তিথি তো ফোন কানে চেপে আছে একু আগে বলল, আর নাকি কথা বলবে না এখন ই কথা শুরু করে দিয়েছে।

দরজায় কাছে এসে দাড়ালাম ভেতরে রাজ আর তার ফ্রেন্ড সবাই আছে। রাজ বেঞ্চে বসে আছে সামনে মারিয়া আপু আছে কিছু বলছে রাজ মুখটা কেমন রাগি করে রেখেছে হঠাৎ আমার দিকে তাকালো কখনো আমি এখানে আসি না আজই আসলাম আমাকে দেখে যে অবাক হয়ছে তা মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে। হঠাৎ রাজ মারিয়ার হাত ধরে ফেলল,
—আহ মারু তুই কিছু বলবি আর আমি মানবো না তা কখনো হয়। আচ্ছা তুই যা বলবি তাই হবে।
—সত্যি বলছিস।
খুশিতে রাজকে জরিয়ে ধরলো আমি কিছু বুঝতে পারলাম না কিন্তু জরিয়ে ধরাটা দেখে বুকে চাপা কষ্ট পেলাম। যা আমি সহ্য করতে পারছিলাম না।
— কি রে মিষ্টি তুই এখানে কি করছিস?
–না মানে আসলে…
—কি হলো বল?

চলবে❤

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে