Thursday, July 24, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 1938



লুকোচুড়ি_ভালোবাসা ?পর্বঃ- ৪০

0

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা ?পর্বঃ- ৪০
#লেখিকাঃ-তানজিনা আক্তার মিষ্টি

রেস্টুরেন্টে বসে আছি আমি আর তিথি এক পাশে অপর পাশে রাজ। রাজ আমাকে ওর পাশে বসতে বলেছিলো কিন্তু আমি ইচ্ছে করে বসিনি। তিথি হয়তো কিছু আক্ম করতে পেরেছে আমার আর রাজের মধ্যে কিছু হয়েছে তাই ও আমার কানের কাছে ফিসফিসিয়ে কথা বলতে চলে এলো।

— মিষ্টিইই
আমি ভ্রু কুচকে ওর মুখের দিকে তাকালাম এমন আস্তে কথা বলছে কেন ও একদম আমার মুখের কাছে চলে এসেছে।
আমি ভ্র নাড়িয়ে জিগ্গেস করলাম,, কি??
ও আর ও আস্তে করে বলল,
— সত্যি করে একটা কথা বলতো। তোর আর ভাইয়ার মধ্যে কি কিছু হয়েছে? সকালে ও দেখেছি কথা বললি না এখন ও কিছু বলছিস না।

–না তো কি হবে কিছু হয়নি।

— মিথ্যা বলছিস তুই আমার সাথে আমি সিউর কিছু হয়েছে আমাকে বল আমাকে বলতে সমস্যা কি? আমি কিন্তু আমার আর মাসুদ এর কিছু তোর কাছে লুকায় না।

কি মুশকিল এ পরলাম? এই মেয়ে নাছড় বান্দা সন্দেহ যেহেতু করেছে সব জেনেই ছারবে।

–ওই চুপ করে কি ফন্দি আকঁছিস আমাকে বলবি না তাই তো। আমার কেন জানি না মনে হচ্ছে তুই আমার থেকে অনেক কিছু লুকিয়ে ছিস।
বলেই তিথি ভ্রু কুচকে একবার আমার ও রাজের দিকে তাকায়,,
আমার তো ভয় হতে লাগে বিয়ের ব্যাপার টা কোন ভাবে জেনে যায় নি তো। তাহলে তো আমি শেষ, হঠাৎ রাজের কথায় আমার চোখ বেরিয়ে আসার উপ কম,
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
–এই যে মিস শালিকা আমার বউটার সাথে এতো কি গুজুর ফুজুর করছো?

বউ কথাটা শুনতেই রাগ ও ভয় হতে লাগে আমি তিথির দিকে তাকিয়ে দেখি ও কেমন সন্দেহ চোখে তাকিয়ে একবার আমার ও একবার রাজের দিকে তাকিয়ে আছে।

–ভাইয়া কি বললেন বউ মানে বিয়ে কবে করলেন? আপনাদের তো এখন ও বিয়ে হয়নি বউ বললেন কেন?
কিরে মিষ্টি ভাইয়া তোকে বউ বলল কেন তোরা কি আবার একা একা বিয়ে করে নিয়েছিস নাকি?

এটা শুনেই মিষ্টি কেশে উঠলো,,
রাজ তো হা হয়ে আছে ও ভেবেছে তিথি হয়তো জানে বিয়ের ব্যাপার কিন্তু এখন তো মনে হচ্ছে জানে ভালোই হয়েছে মিষ্টি কে জব্দ করার অস্ত পেয়েছে আমার সাথে রেগে থাকা কথা না বলা এখন দেখবো মেডাম আপনি কী করেন?

–বউ মানে বউ আমার বউ। কেন তুমি জানো না, [ বলেই মিষ্টির দিকে তাকালো] কী মিষ্টি তুমি তিথি কে বলো নি সত্যি টা কেমন তুমি ব্রেষ্টফ্রেন্ড কিছু বলোনি।

শুরু হলো তিথির প্যানপ্যানানি, একের পর এক কথা বলেই যাচ্ছে। মিষ্টি অগ্নিদৃষ্টি দিয়ে রাজের দিকে তাকায় রাজ মুখের ইশারায় কিছু বুঝায়, তিথি মিষ্টির দিকে তাকিয়ে বলে যাচ্ছে মিষ্টি বুঝার চেষ্টা করছে কি বলছে রাজের কথা,,,
যা শুনে রাগ আর ও সপ্তম আকাশে উঠে গেল বিয়ের খবর বললে সমস্যা নাই কিন্তু এতো লেট করে বলার জন্য আমাকে মরেই ফেলবে।

–লাগবো না ট্রিট তোর সাদে আর আমার কথা নেই। আমার থেকে লুকিয়ে ছিস ভালো বলতে হবে না। যেঈ উঠে যাবে ওমনি ওর ফোন ভেজে উঠে মাসুদ ভাইয়ের ফোন কথার ধরণ দেখে বুঝতে পারলাম। এই সুযোগ রাজের কাছে এসে বসলো মিষ্টি।

–আপনি এতো খারাপ কেন সামান্য কারণে আমাক এভাবে ফাসিয়ে দিলেন এখন কি হবে তিথি যদি জানে আমি ইচ্ছে করে লুকিয়েছি ও আমার সাথে আর কথা বলবে না ওর যা জেদ আপনি আমাকে এভাবে ফাসাতে পারলেন।

–কি সামান্য এটা তোমার কাছে সামান্য লাগছে জান কিন্তু আমার কাছে সব চেয়ে বাড সময়। তুমি সকাল থেকে কথা বলছো না আমার সাথে কতো কষ্টে আছি জানো।

–ঠিক করেছি কেন কথা বলবো আপনি আমার কোন কথা শুনেন শুননেন না তাহলে আমার কথা বলার কি দরকার আপনি সাথে আছি কথা বলে কি হবে যার কথা শুনবেন না তার কথা বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না।

–বাপরে কি রাগ ওকে সরি আর এমন করবো না যাও এই দেখো হাত একদভ ঠিক অযথা টেনশন করো। এজন্য বলতে চাইনা কিছু হলে।

–তা বলবেন কেন আমি আপনার ক যে বলবেন?

–তুমি আমার কে তা বলতে পারলে তুমি আমার জীবন
এমন কথা আর বললে কিন্তু এই যে তোমার গুন্ডি ফ্রেন্ড কে সব বলে দেবো যে তুমি কি বলো নি আমাদের বিয়ের ব্যাপার টা।

মিষ্টি সাথে সাথে রাজের হাত চেপে ধরে,, না না এমন কইরেন না প্লিজ।

–করতে না পারি যদি তুমি আর রেগে নাই বলো তাহলেই।

মিষ্টি তাতেই রাজি হয় আর রাজের পাশের বসে থাকে। তিথি কথা শেষ করে বাইরে চলে যায় আর মাসুদ কে নিয়ে আসে। মিষ্টি তো ভয় পেয়ে গেছিলো রেগে চলে না যায়। কিন্তু সাথে সাথে ফিরে আসতে দেখে নিশ্চিন্ত হয়। আর রাজকে বলে রেখেছে ও যেহেতু প্রবলেভ তৈরি করেছে তাই ওকেই ম্যানেস দিতে হবে। মিষ্টি এতে কোন হেল্প করবে না।
তিথি আর মাসুদ এসে তিথি রাজের সাথে তাক পরিচয় করিয়ে দেয়। দুজন দুজনের সাথে পরিচিত হয় তার পরই তিথি বাইরের দিকে হাটা দেয় আর মিষ্টি গিয়ে টেনে নিয়ে আসে মাসুদ কিছু বুঝতে পারছে না কি হয়েছে।

–দোস্ত যাস না রাজ তোকে মিথ্যে বলেছে আমি তেমন কোন মিথ্যে বলিনি। আয় রাজই শিকার করবে দেখিস।

–বিশ্বাস করিনা তাহলে রাজ বললো কেন এই কথা।

–সেটা ওকে জিগ্গেস কর।

তিথি ভাবে আসলেই কিছু মিথ্যে বললে তা রাজের পেট থেকেই এর করতে হবে ভেবে ফিরে আসে আর এদিকে মাসুদ আর রাজ ওদের দুজনে কান্ড দেখছিল।

–ভাইয়া আপনি বলুন তো সত্যি টা কি কি বলেনি আর কি লুকিয়ে মিথ্যে বলেছে মিষ্টি আজই সব জানতে চাই।
মিষ্টি খুশি হ।য়ে বসে আছে কিন্তু কি হলো খুশি রইল না রাজ গরগর করে মিথ্যে বলল যা দেখে মিষ্টি অবাক। এমন ভাবে বলল যে তিথি চুপ করে বসে পরলো আর
আমাকে বলল, সরি?
একটু পর খাবার চলে এত এলো সবাই মিলে মজা করেই খেলাম রাজ কে কিন্তু আহাতে খাইয়ে দিতে হয়েছে ওর তো হাত কাটা তাই আর কি তাকে ছাড়া তো আর আমি খেতে পারি না তাই।

?

পরদিন
হলে বসে আছি তিথি পেছনে থেকে কথা বলছে আর আমি সামনে থেকে শুনে যাচ্ছি।

–মিষ্টি রে আমার না মনে হচ্ছে আজ আমি কিছু দিতে পারবো না। কিছু তো পরিনি তোকে বলেছিই মাসুদের সাথে কথা বলে দিয়েছিলাম এক ঘুম একেবারে সকালে জাগানা পেয়েছি একটু পরিনি। যা পরার নয়টা পযর্ন্ত পরেছিলাম। তারপর খাওয়া দাওয়া করে একটু কথা বলছিলাম শুয়ে কথা একটু বলতেই ও রেখে দিলো আর আমি ভাবলাম একটু চুখ বন্ধ করে রাখি শেষ এইটাই আমার দোষ রে।

–চোখ কে বন্ধ করতে বলেছিল এখন দাও আমি কিছু হেল্প করতাম না একদম ডাকবিনা আমাকে।

–এমন করে না মিষ্টি পাখি আমার আমি না তোর ব্রেষ্টু আজ হেল্প কর আর কইতাম না।

–কাল কে বলেছিল।

–কাল পরে এসেছি তাও কমন পরেনি কি করুম ক।

–তুই কি করবি আমি কেমনে জানবো।

–তোরে আমি……
তিথি আর বলতে পারলো না স্যার ক্লাস এ চলে এসেছে। কিন্তু বিড়বিড় করে মিষ্টি কে বকতে লাগলো মিষ্টি তা শুনে হাসছে হালকা সাথে সাথে স্যার জিগ্গেস করলো,,
হাসছে কেন মিষ্টি চমকে উঠে হাসা অফ করে খাআয় র্মজেন কাটতে লাগলো। স্যার টা এক নাম্বারের চারাল একটু হাসছি তাই আবার ধমক দিতে হয় জোর হা হা করে ও তো হাসি নাই যওসব বলেই আর হাসলো না। একটু পরই স্যার প্রশ্ন দিয়ে গেল আর শুরু হলো তিথি ডাক কয়টা কমন পরেছে ইত্যাদি। আমি ভুল করে ও ওর দিকে ফিরলাম না কিন্তু বলেছি মুখদিয়ে আর কয়েকটা ক ও আমাকে বলে দিয়েছে আর আমিও দুজন হালকা মিলে লেখলাম।

পরিক্ষা শেষে…..

–দোস্ত আমার পরিক্ষা ভালো হয়েছে আজ।
আমি সাথে সাথে বড় বড় চোখ করে ওর দিকে তাকালাম । ও বলেছিল পরে আসেনাই আহলে ভালো হরো কেমনে, সন্দেহ চোখে তাকিয়ে আছি নকল করেনি তো আবার।

–তুই নকল করেছিস।

–হুয়াট কি বলিস নকল করুম আমি জীবনে করিনাই আমি ওতোটাও খারাপ না যে নকল করুম।

–আমি তোরে খারাপ বলি নাই পরে আসলিনা কমন পরলো না ভালো হলো কেমনে।

–সব বানাই লেখছি তাই আমি অনেক লেখছি আজ বানাই বানাই শিখে আসলে ও আমার এতো পেজ লাগে না বুঝছিস।

আমি মাথায় হাত দিয়ে আছি বলে কি মেয়ে বানাই লেখছে আল্লাহ জানে ফেল না করে বসে।
গেটের বাইরে আসতেই রাজের দেখা গাড়িতে হের্লন দিয়ে দাড়িয়ে আছে চোখে সানগ্লাস। পরনে সাদা শার্ট, কালো পেন্ট ফর্সা শরিরে সাদা রং টা বেশ মানিয়েছে। আমি হা হয়ে তাকিয়ে আছি। কখন রাজ কাছে চলে এসেছে বুঝি নি ও আমাকে দেখেই কাছে আসে তিথি বাই দিয়ে মাসুদ ভাইয়ার কাছে চলে যায় আর রাজ আমার হাতে পানির বতল দেয় গাড়ির কাছে নিয়ে আমি পানি নিয়েই গাড়িতে উঠে বসি। তারপর পানি খাই। রাজ ও গাড়িতে উঠে বসে হঠাৎ আমি পেছনে তাকিয়ে একটু অবাক হয় এই গাড়ি টা কাল ও আবার আজ ও এখানে আছে আমাদের টার পেছনে কেন? একটু সন্দেহ হয় মিষ্টি কিন্তু এখন আর ভাবছে না কারণে রাজের কথা শুনছে কেমন হয়ছে কমন পলেছিলো কিনা। সব আন্স করতে পেরেছি কিনা আমি কিছু না বলে চুপ করে সিটে হেলান দিয়ে রইলাম ভাবনায় আসছে। মনটা কূ ডাকছে কিছু হবে না তো কারো কাল একটা বাজে সপ্ন দেখেএ মিষ্টি হঠাৎ সেটা মনে পরে। গালে রাজে স্পর্শ পেয়ে তাকায়,

–মিষ্টি আর ইউ ওকে তুমি ঠিক আছো তো।

–হুম

একটা হাসি দিয়ে রাজকে চিন্তা ফেলতে চায়না মিষ্টি তাই বলল না সপ্নের কথাটা।
আর মিষ্টির কেন জানি মনে হচ্ছে কেউ ওদের ফলো করছে সব সময় নজর রাখছে।
রাজ ড্রাইভ করছে ফাইল পেছনে রাখতে মিষ্টি পেছনে থাকাতেই আরেক ঝটকা খায় আমাদের পেছনে ওওই গাড়ি টাই আসছে কিন্তু কেন এই গাড়ি কি আমাদের ফলো করে। কিছু ক্ষণ তাকিয়ে থাকে হঠাৎ রাজের কথায় সামনে তাকায়,,

–কী হয়েছে ওইদিকে তাকিয়ে কি দেখছো?

—ওই গাড়ি টা ভার্সিটিতে ও আমাদের গাড়ির পেছনে থামা ছিলো এখন ও আমাদের পেছনেই আসছে।
রাজ একবার পেছনে তাকায়,,

—হয়তো এইদিকেই বাসা তাই আসছে তাই আসছে।

–হতে পারে।

?

চারদিন পর আজকে মিষ্টির পরিক্ষা বিকেলে এর মাঝে একটা হয়ে গেছে আজ একটা হলে চারটা শেষ হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠলো মামুনির ডাকে চোখ খুলেই মামুনিকে দাড়িয়ে থাকতি দেখলো মিষ্টি। প্রতিদিন রাজ ডাকে আজ মামুনি কেন একটু ভাবছে মিষ্টি মামুনি হয়তো বুঝতে পেরেছে তাই বলেন দিলো।

–বাবুনের কথা ভাবছিস তো ও অফিস এ গেছে। তোর আন্কেলের সাথে জোর করে নিয়ি গেলে ও তো যাবেই না তোর এক্মাম শেষ না হওয়া পযর্ন্ত কিন্তু আমি ও বললাম পড়া শেষ এখন বিয়েও করবে অফিসের হাল ধরা উচিত বেশিক্ষণ থাকতে হবে না আজ সবার সাথে খালি পরিচয় করিয়ে দেবে তাই আমি ডাকতে এলাম।

মামুনির নিজের মতো বলে আবার রান্না মো তারবলে চলে গেল।
আমি উঠে ফ্রেশ হয়ে আসলাম এর মাঝেই মামুনি আবার চলে এসেছে ডিম সিদ্ধ নিয়ে মামুনি কিছু দিলে না ও করতে পারনা তাই হাতে নিলাম চলে গেল নিচে যেতে বলল খেতে । ঘরিতে আটটা বাজে,
নিচে যেতে হাটা দিবো হঠাৎ ফোন বেজে উঠলো এতো সকালে আবার কি ফোন দিলো। হাতে নিয়েই দেখি রাজের ফোন ভ্রু কুচকে তাকালাম ফোন দিলো কেন,

–হ্যালো আসসালামু আলাইকুম?

–ওয়ালাইকুম আসসালাম, আমার জান টা কি করছে এখন?

–আপনি না অফিস এ গেছেন তাহলে ফোন দিলেন যে?

— কাজে গেলে কি ফোন দেওয়া যাবে না বউকে কোথায় লেখা আছে? উঠেছো, ফ্রেশ হয়েছো, কি করছো এখন,?

–কিছু করিনা।

–খেয়েছো?

–না আপনি খেয়ে গেছেন?

–উল্টা প্রশ্ন ওকে বলছি না খাইনি।

–মানে না খেয়ে গেছেন।

–হ্যা

–কেন না খেয়ে গেছেন?

— আববুর তারাতারি ছিলো তাই আর খাওয়া হয়নি আর এতো সকালে খাই না তুমি জানো তো।

–তাই না খেয়ে যাবেন এখন তো নিশ্চয়ই খিদে পেয়েছৈ তাইনা।

— চিন্তা করো না আমি আর আববু এখন খেতে যাবো।

— আচ্ছা।

রাজ ফোন রেখে দেয় আর তার আগে লাভ ইউ বলতে ভুলে না যা শুনেই মিষ্টি কান থেকে ফোন নামিয়ে নেয়।সারে দশ টায়ই রাজ বাড়িতে এসে হাজির আমি তো অবাক এতো আগেই আজ রাজ অফিসে কিছু ই কলেনি শুধু ঘুরাঘুড়ি আর সবার সাথে পরিচিত হয়ে এসেছে। পরিক্ষার পর ঠিক মতো যাবে।

সারে পাচঁটা বাজে বের হলাম আজ বেরিয়ে শুধু কয়েক ছাড়া সবাই চলে গেছে। বেরিয়ে দাড়িয়ে আছি রাজ এখন ও আসে নি নাকি দেখছি না তিথি আমার পাশে আছে।

–আজকে মাসুদ কে ও দেখছিসনা ভাইয়াকে ও না এমনি লেট হয়েছে এরা কি আসেনি নাকি।

–আমি কি জানি তুই যেখানে ছিলি আমি ও তো সেখানেই ছিলাম তাই না।

–হুম কিন্তু রাজ ভাইয়াই ফবা লেট করছে কেন সে তো কখনো লেট করে না।

–আসলে জানতে পারবো এখন কি করে জানবো।

–তাও কথা তুই দাড়া আমি মাসুদকে কল করে আসি।

তিথি ওইদিক টাই চলে গেল। আমি দাড়িয়ে আছি ফোন হাতে নিয়ে দেখি ৫:২৫ বাজে পনেরোতে শেষ হয়েছে এক্মাম দশ মিনিট লেট একটা ফোন করবো কি? অটোতে যেতে পারতাম কিন্তু যদি আমি যাওয়ার পর আসে তখন তাই একা যাওয়ার সিদ্ধান্ত বাদ দিল। একটু অপেক্ষা করতেই হবে রাজ কতো কষ্ট করে প্রতিদিন তো ঠিক সময় ই আসে আজ হতো দরকারে লেট হচ্ছে। তিথির দিকে তাকালো কিছুটা দূরেই চলেগেছে খথা বলছে সিউর বকছে।
হাত থেকে ফট করে ফোনটা নিচ পরে যায় সাথে সাথে নিচু হয়ে ফোন হাতে নেই উচু হওয়ার আগেই বিকট একটা শব্দ হয় সাথে একটা কুকুরের চিৎকার যা শুনে আমি কানে হাত দিয়ে সামনে তাকিয়ে হতদম্ভ আমার সোজা একটা একটা কুকুর রাস্তায় পরে আছে রক্তে ভরা আমার ফোনটি পরে একটু সামনে চলে গেছিলো তাই নিচু হয়ে এক কদম সামনে গেছিলাম।

এদিকে তিথি এমন শব্দ আর মিষ্টির হালকা চিৎকার শুনে দৌড়ে ফোন রেখে আসে আর দেখে মিষ্টি কেমন যেন কাপছে সামনে একটা কুকুর পরে আছে রক্ত ভরা।
দৌড়ে এসে মিষ্টির পাশে বসে ওকে উঠানোর টাই করে পারে না।

–কি হয়েছে মিষ্টি?

মিষ্টি কিছু বলছে না ওর মাথায় একটা কথায় বারি খাচ্ছে আমি যদি সামনে না আসতাম ফোন নিতে তাহলে এই গুলিটা আমার শরীর লাগতো। শুধু ফোনটা নিতে যাওয়ার জন্য বেচে গেছি। ভয়ে ওর হাত পা কাপছে প্রচণ্ড রকমের।

এর মাঝেই রাজ গাড়ি নিয়ে চলে আসে আজ ও আথে লেট হয়েছে কারণে রাস্তায় প্রচুর জ্যাম বিকিরে বলে এমন হলো মিষ্টি কতো সময় ওয়েট করে ছে। একা একা তাই গাড়ি থামতেই তারাতারি বেরিয়ে আসে আর বেরিয়েই ও দেখে মিষ্টি গেটের সামনে নিচে বসে কাদছে আর পাশে বসে তিথি কি যেন বলছে মিষ্টি কোন কথা বলছে এটা দেখেই রাজের বুকে ধুক করে উঠে। ভ য় পায় মিষ্টি কি হলো এভাবে কাদছে কেন রাজ দ্রুত পায়ে হেটে আসে।
রাজকে দেখতেই মিষ্টি রাজের বুকে ঝাপিয়ে পরে।
রাজ তো শক কি হয়েছে ওর মাথায় ঢুকছে না।

–মিষ্টি আর ইউ ওক। কি হয়েছে তোমার এমন করছ কেন? কাদছো কেন কান্না অফ করো তোমার কান্না আমার সহ্য হয়না জানো তো আমার বুকে গিয়ে লাগে কষ্ট হয়। প্লিজ স্টপ দিজ।

মিষ্টি কিছু বলছেনা চুপ করে কেদে যাচ্ছে। রাজ মিষ্টি কে ধরে উঠায় আশেপাশের অনেকে জরো হয়ে গেছে এখানে আর থাকা যাবে এভাবে বসে। একটু কিছু হলেই সবাই ভির করতে চলে আসে। মিষ্টির ফাইল তিথির হাতে দিয়ে মিষ্টি কে দার করায় মিষ্টি ঠিক মতো হাটছে ও না ভয়ে ও কেমন জানি হয়েছে গেছে রাজ কোলে তোলে গাড়িতে উঠে বসায়।

–মিষ্টি স্টপ ইট কি হয়েছে বলবে তো, এভাবে চুপ করে থাকলে বুঝবো কিভাবে আমি।

কিন্তু মিষ্টি কিছু বলছেনা রাজ আর জিগ্গেস করলো না মিষ্টি রাজের হাত আকরে ধরে আছে। রাজ এবার তিথির দিকে তাকালো তিথি নিজেও জানে না কি হয়েছে শুধু শব্দ পেয়েছে আর কুকুরটা দেখেছে। যেটুকু বুঝেছে তাই বলেলো ও। মিষ্টি ভ য় পেয়ে আছে তাই আর জিগ্গেস করতে ও না করলো তিথি ও অনেক বার জিগ্গেস করেছে বলেনি।

এর মাঝেই মাসুদ এসে হাজির তিথি মিষ্টি কে বাই বলে চলে গেলে। রাজ কি করবে গাড়ি ড্রাইভ করতে পারছে না মিষ্টি হাত ছেড়ে জরিয়ে ধরে আছে ও যে ভয় পেয়েছে মুখ বলে দিচ্ছে কিন্তু কী দেখে এতো ভয় পেলো ও।

–মিষ্টি কি দেখে ভয় পেয়েছো? ওকে না বললে এখন কেন ভয় পাচ্ছো আমি আছি তো তাই না কিছু হবে না তোমার প্লিজ ভয় পেয় না আর আমাকে ছেড়ে বসো ধা হলে ড্রাইভ করবো কি করে।

মুখে কিছু বললো না ছেড়ে দিলো। নিজের ছিটে বসে রইলো রাজ হঠাৎ পানি বের করে দিল মিষ্টি পানিটা নিল নিয়ে গটগট করে খেয়ে নিলো। ঘেমে একাকার হয়ে আছে এসি আছে তবুও ঘামছে রাজ টিসু বের করে কপালে ও গাল মুছে দিলো তার পর ড্রাইভ করতে লাগলো ওর মাথায় আকাশ সুমান চিন্তা এসে ভর করলো কি হয়েছে যে এতো ভয় পেয়েছৈ আর কুকুর টাকে কে গুলি করলো। এটা ভেবে ও চিন্তা র আভাস পেল এটা কি মিষ্টি কেই করা হয়ে ছিল নাকি আর পশু পাখিতো সহজে মারা হয় না তাহলে গুলি আসলো কোথা থেকে।

?

এদিকে লোকটা কোন মতে পালিয়ে গিয়েছে একটুর জন্য মেয়েটাকে মারতে পারলাম না,,, ইসস,
মেডাম তো আজ আমাকে মেরেই ফেলবে কালই বলেছে আজটা করতে না আরলে আর রাখবে না টাকা ও ফিরত দিতে হবে এখন টাকা কোথায় পাবো মায়ের চিকিৎসা ত দিয়েছি এখন টাকা দিবো কিভাবে, শত চিন্তা নিয়ে গাড়িতে বসে আছে হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠলো মেডামের কল ভয়ে হা পা কাপছে কি বলবে রিসিভ করে,,
কিন্তু না ধরলেও সমস্যা আর তাই ধরলো,

–হ্যালো মেডাম।

–হ্যা তোমার কাজ হয়েছে তো আমি সিউর তুমি কাজটা করতে পরছো আমি সো হ্যাপি তোমার জন্য আর ও পুরস্কার আছে । আমার চির শএু কে শেষ করেছো তোমাকে তো আমার,…..

–[ মাঝে থামিয়ে দিয়ে ভয়ে ভয়ে] মেডাম সরি আসলে কাজটা হয় নি।

–হুয়াটটট হয়নি মানে কি বলতে চাইছো ওই মিষ্টি এখন ও বেচে আছে।

–মেডাম আমি অনেক টাই করেছি আজকে কোন ভুল হয়নি কিন্তু হঠাৎ মেয়েটি নিচু হয় আর এগিয়ে যায় তাই মেয়েটির জায়গার একটা কুকুর……

–আমি তোমাকে এইসব বলতে বলিনি। ফেল কাজ করা কথা আমি শুনতে চাইনা তুমি কাজটাকরথে পারনি ওকে তোমাকে কালকেই বলেছি শেষ সুযোগ তোমার সময় শেষ আর টাকা ফেরত দিয়ে দেবে তোমাকে আর কিছু করতে হবে না আ আমি নিজে করবো যা করার।

–মেডাম এমন করবেন না প্লিজ। আর একটা সুযোগ আমাকে দিন।

–নো আর কোন সুযোগ পাবে না তুমি টাকাটা বিকেলেই দিয়ে যাবে।

–প্লিজ ম্যাম টাকা টা কি করে দেব আমি টাকা কো………

ফোন কেটে দিয়েছে লোকটা ফোনের দিকে তাকিয়ে আছে ।

.

নেক্মট এক্মাম টা মিষ্টি এলোমেলোভাবে দিলো ভয়ে ভয়ে রাজ কেন কারো সাথেই কথা বলে না। মিষ্টি মা মিনা সবাই ফোন করে বেশি কথা বলে না ওর মধ্যে এটা আলাদা ভয় কাজ করেছে তার উপর সেটা আর ও প্ররোক্ষ হয়েছে পাচঁ নাম্বার পরিক্ষার দিন। সেদিন একটা বোরকা আলা মহিলা মিষ্টির হাতে চাকু দিয় কেটে দিয়েছে। ফাস্ট মহিলাটি মিষ্টির কাছে সাহায্য চায় অন্ধ বলে রাস্তায় পার করতে হবে। মিষ্টি উদাসিন হলেও কেউ সাহায্য চাইছে না করে না নিজের যাই হোক কাউকে ফিরিয়ে দেয় না। অন্ধ জেনে আর ও খারাপ লাগে তাই তাকে ধরে এক্মাম শেষে পার করতে যায়। আর তখন ই মহিলাটি ওর হাত দাগ দিয়ে দৌড়ে একটা গাড়ি তে উঠে চলে যায়।
মিষ্টি চিৎকার না করে হতদম্ভ হয়ে তাকিয়ে আছে মেয়েটির দিকে। ওর ব্যাথা ও করে না তা না কিন্তু এতোটাই শক খেয়েছে যে কিছু বুঝছে না। রাজ গাড়ি আনতে গেছিলো এনেই মিষ্টি কে অন্য পাশে দেখেই একটু ঝটকা খায় একা কি করে?
রাজ মিষ্টি কাছে যেতে মিষ্টি ঢুলে পরে রাজ ভয় পেয়ে যায় হঠাৎ এভাবে পরে য়াওয়ায় হঠাৎ হাতে চোখ যেতেই আর ও ভয় পায় বিলিন্ডং হচ্ছে কি করে? মিষ্টি মিষ্টি করে চিৎকার করে হসপিটালে নিয়ে আসে। পাগলের মতো কলতে থাকে একবার ফোন করে বাসার জানায় সবাই ছোটে আসে রাজ বাইরে দাড়িয়ে মেয়েদের মতো কেদেই যাচ্ছে এগুলো কি হচ্ছে কিছু ভাবতে পারছে না। রাজের ভা রেহেনা বেগম ও রাজের বাবা আসতেই রাজ ওর মাকে ধরে কান্না করে।ছেলেল এমন কান্না দেখে তিনি ও কাদতে থাকে মিষ্টি কে নিজের মেয়ের চোখে দেখে তার এই অবস্থায় তো তার চোখের পানি আর আটকাতে পারছে না। আবার ছেলের চোখের দিকে তাকানো যাচ্ছে না কতোটা ভালোবাসলে এভাবে কাদতে পারে কোন ছেলে হয়ে কাদতে পারে।

চলবে❤

লুকোচুড়ি_ভালোবাস?পর্বঃ-৩৯

0

লুকোচুড়ি_ভালোবাস?পর্বঃ-৩৯
#লেখিকাঃ-তানজিনা আক্তার মিষ্টি

মিষ্টি রাগ দেখিয়ে না না কথা বলে যাচ্ছে কিন্তু শব্দ খুবই কম তার কষ্ট হচ্ছে রাজ এতো আঘাত পেয়েছে আর তা কিনা সে জানে না। এটা কোন কথা রাজ কেন তাকে বলল না একে তে লেখাপড়া নিয়ে বেশি বিজি ছিলো তাই বলেকি এটা বলা যেত না যেত ইচ্ছে করে বলেনি। কিন্তু মিষ্টি রাগ দেখিয়ে বকা দূরে কাদছে বেশি মনে হচ্ছে ব্যাথা রাজ না মিষ্টি পেয়েছে। মিষ্টির সব থেকে খারাপ এজন্য লাগছে খেতে বলাতে কেন সে খেতে চাইলো রাজর হাতে রাজ যেহেতু প্রথমে ইচ্ছে করে খাইয়ে দেয় নি তার মানে কোন প্রবলেম ছিলো আমি কেন বুঝলাম না সেটা। এতোটা আহাম্মক কি করে হলাম আমি। এতো কষ্ট সহ্য করে আমাকে খাইয়ে দিলো আর আমি হাসি মুখে খেলাম একটু বুঝতে পারলাম না রাজের কতো কষ্ট হচ্ছে ও যন্ত্রণায় মরে যাচ্ছে। আবার তার উপর কামড় কি করে সহ্য করলো এতো কষ্ট ভাবতেই নিজের কাছে নিজেকে অযোগ্য মনে হচ্ছে। আমি আদো কি রাজের জন্য পারফেক্ট একদম না রাজের মতো ভালো কখনো ভাসতে পারবো না আমি। রাজ সব সময় আমাকে সাপোর্ট করে আমি নিজে বোকামি করে ওকে কষ্ট দিয়ে ফেলি। এমন কেন আমি কেন আপন জনের কষ্ট বুঝতে পারলাম না। মিষ্টি হাতে ধরে রাজ যেভাবে খেতে নিয়ে এসেছিলো কিছু না বলে মিষ্টি ও রাজের হাত ধরে সেভাবেই রুমে এনে খাট বসায় রাজ কি বলবে ভাবছিলো কিন্তু তার বলার আগেই মিষ্টি তাকে টেনে রুমে এনে খাটে বসিয়ে দেয়।
তারপর শুরু হয় ডাক্তার গিরি করা মিষ্টি ফাস্ট ওয়াক্মের বক্ম এনে ব্যান্ডেজ করে দেয়। রাজ মুগ্ধ নয়নে তার প্রিয়তমাকে দেখছে। মিষ্টি ব্যান্ডেজ করছে আর কাদছে চোখ দিয়ে টুপটুপ করে পানি পরছে।
রাজ মিষ্টির ওর প্রতি এই ভালোবাসার জল দেখে খুব খুশি হচ্ছে। মিষ্টি ব্যান্ডেজ শেষ করে রাজের হাতে ব্যান্ডেজের উপরেই কয়েকটা চুমু খেলো। রাজ হা করে তাকিয়ে আছে।

–আমি আপনাকে খুব কষ্ট দেয় তাই না কখনো বুঝতে চাইনা অনেক খারাপ আমি।

কান্নার মাঝে বলে উঠে রাজ মিষ্টি কে জরিয়ে ধরে এভাবে কেউ কাদে কাদতে কাদতে নাকের পানি চোখের পানি এক করে ফেলেছে একেবারে। চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে কাদছে আর নাক টানছে রাজ মিষ্টি কে বুকে জরিয়ে ধরে,,

–স্টপ দিজ আর কাদবে না এভাবে কেউ কাদে এভাবে কেদে কি অবস্থা করেছো মুখের দেখো। আর কাল না তোমার এক্মাম তার চিন্তা আছে তো এখন কতো বাজে দেখো। ছারু আমাকে আমার তেমন কিছু হয়নি একটু কেটেছে আর এখন তো একদম ঠিক হয়ে গেছে তুমি যে সেবা যত্ন করলে। এতো দিনে আজ আমার মনে হচ্ছে আমি বিয়ে করেছি বউ আমার সেবা করছে।
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
বলেই রাজ হেসে উঠে মিষ্টি রেগে তাকায় কি বলথে যাবে রাজ মিষ্টি কে ছেড়ে দিয়ে উঠে দাড়িয়ে পরে,,
–যাও শুয়ে পর।
বলেই রাজ চলে আসতে যায়। কিন্তু আসতে পারে না মিষ্টি হাত ধরে নেয় রাজ অবাক হয়ে পেছনে তাকায়, ভ্রু নাড়িয়ে কি বলে?
মিষ্টি মাথা নেড়ে না জানিয়ে হাত ছেড়ে দেয় রাজ লাইট অফ করে মিষ্টি সাথে সাথে শুয়ে পরে রাজ হালকা হাসি দিয়ে দরজা চাপিয়ে চলে আসে।
মিষ্টি রাজের হাত ধরেছিল কারণে এ বলতে চেয়েছিল রাজকে এখানেই থাকতে কিন্তু রাজের থাকার আগ্রহ নাই তাই নিজে ও আর বলল না ওর চাওয়া সব সময় কিছু ঘটে। মিষ্টি কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে রাখতেই ঘুমিয়ে পরে।

কানের কাছে কেউ অনবরত চেচিয়ে যাচ্ছে যেটা আসতেই মিষ্টি বালিশ চেপে ধরে আছে উঠছে না এবার কেউ বালিশ টা টান মেরে নিয়ে নিলো সাথে সাথে চোখ মেলে তাকালো তাকিয়ে রাজের মুখ দেখলো রাজ দাড়িয়ে আছে ও বুঝতে পারছে না এখন আবার উনি এখানে কেন একটুআগেই না ঘুমালাম আবার বিরক্ত করছে কেন ঘুমে। তখন তো বলে গেল ঠিক মতো ঘুমাতে। এখন কেন ডাকছে চোখ মুখ কুচকে তাকিয়ে আছে রাজের দিকে রাজ আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো আমি তাকাতে বলল,,

— মিষ্টি উঠো তোমাকে কখন থেকে ডাকছি আমি উঠছ না কেন?
–উঠবো কেন? একটু তো ঘুমালাম আপনি ও বলেছেন আমি যাতে ঠিক মতো ঘুমাই তাহলে এখন আবার ডাকছেন কেন? সকাল হয়ে যাবে তো যান এখন আর উঠছি না।
বলেই মিষ্টি চোখ বন্ধ করে ফেলল, রাজ হা হয়ে তাকিয়ে আছে তার মানে মিষ্টি ভেবেছে এখন ও সকাল ই হয় নি গড সাতটা বেজে গেছে ইনি বলছে সকাল হয়নি।
–মিষ্টি ওপেন ইউর আইস । তুমি কি সব বলছো তুমি জানো এখন কতো বাজে এই দেখো সাতটা পনেরো বেজে গেছে।
মিষ্টি চোখ কেবলি অফ করেছিল সাথে সাথে রাজের কথা কানে যেতেই ধরফরিয়ে উঠে বসে।
—কি
–জি তারাতারি উঠো।
—এতো বেজে গেছে আর আপনি আমায় এখন ডাকছেন ছয়টায় সে ডাকবেন। এই জন্য রাতেই শেষ করতে চেয়েছিলাম সকালে বলে এখন লেট হয়ে গেল।
মনে মনে বিরবির করতে করতে ওরনা নিয়ে বাথরুমে ঢুকে গেল। রাজ হা ও তো আগেই এসেছিল কিন্তু মিষ্টির উঠে নি তাই তো লেট হয়েছে এখন আমার দোষ হয়ে গেল।
মিষ্টি পনেরো মিনিটের মাঝে ফ্রেশ হয়ে এলো তারপর আর কোন দিক না তাকিয়ে পরায় মন বসালো। টেবিলে বসে পরেছে আর রাজ খাটে বসে আছে মিষ্টি এখন পড়া নিয়ে ব্যস্ত রাজ যে এখন ও রুমে আছে ওর খেয়াল ই নেই। মিষ্টি জোরে পরে না আস্তে পরে তাই মুখে শব্দ হয় না শুধু পিষ্ঠা উল্টাচ্ছে রাজ মুখের দিকে তাকিয়ে আছে এক সারা কিছু বলে যাচ্ছে। হঠাৎ কি ভেবে যেন নিচে চলে এলো। মিষ্টি গভীর মনোযোগ দিয়ে পরছে হঠাৎ কেউ ওর সামনে কিছু ধরলো মিষ্টি পড়া বাদ দিয়ে তাকিয়ে আছে ডিম রাজ এনেছে সিদ্ধ ডিম আমি খেতে চাইনা ডিম আমার পছন্দ কিন্তু এই সকালে সিদ্ধ ডিম তাও প্রতিদিন এটা খেতে একদম ভালো লাগে না আমি কি করবো রাজে ব্যান্ডেজ হাত দিয়েই ধরে রেখেছে সকালে উঠে দেখাও হয় নি হাতটা উঠেই পড়া নিয়ে বেশি বিজি হয়ে পরেছি।
আমি ডিম না খেয়ে হাত নিজের হাতে নিয়ে দেখলাম জায়গা টা কাটা দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু ব্যান্ডেজ দেখা যাচ্ছে ওই ভাবেই একটা চুমু খেলো মিষ্টি তারপর রাজের দিকে তাকিয়ে
–হাতের ব্যাথা কি কমেছে?
–তা না কমে যাবে কোথায় যে সেবা করছে বউ। বিশেষ করে তার নরম ঠোঁটে ছোঁয়া দিয়ে দিচ্ছে যাতে আমার সমস্ত ব্যাথা দূর করার জন্য,,
–হয়েছে আমার বলতে হবে না আমি কি বলি আর আপনি কি উওর দেন। আমি ডিম খাবো না এটা নিয়ে যান।
রাজ উক্তিতে কিছু বলল না,,
মিষ্টি পড়ার মন দেয় একটু এর মাঝেই রাজ কান্ড ঘটিয়ে ফেলে মিষ্টির মুখে ডিম ঢুকিয়ে দেয় পুরো দেওয়ায় মিষ্টি ঘটনা আকর্ষমিক হা হয়ে যায় কি বলবে ডিম মুখে থেকে বের করে রাগি চোখে রাজের দিকে তাকায়।
–এটা কি হলো এভাবে কেউ ডিম মুখে ঢুকিয়ে দেয়।
–হ্যা দেয় এইযে আমি দিলাম। ভালো কথায় তুমি কিছু তে রাজি হওনা ওই জন্য এভাবে দিলাম খাও।
মিষ্টি কটমট চোখে তাকিয়ে রইল ,,,,
তারপর আর কি মুখে দিয়েছিলো এখন এটা না খেলে ফালানো যাবে তাই বাধ্য হয়ে খেলো।

কিছু ক্ষণ পর

মিষ্টি ফোন বেজে যাচ্ছে মিষ্টি পরছে তাই দেখেনি। মামুনি ওকে ডাকতে এসে দেখে ফোন বাজছে উনি ফোন হাতে নিয়ে মিষ্টির পাশে গেল।
— মিষ্টি মামুনি তুমি এখন ও পরছো খাবে না। আর এই যে তোর ফোন বেজে যাচ্ছে শুনতে পাসনি নে দর।
মিষ্টি মামুনির কথায় পড়া অফ করে ফোন হাতে নিলো তিথি কল করেছে। মিষ্টি হ্যালো বলতে ও জিগ্গেস করলো কখন বের হবে। মিষ্টি ঘরির দিকে তাকিয়ে দেখে সারে আটটা বাজে বলল, নয়টা পনেরো তে। তিথি ও ওই সময় ই বের হবে বলল মিষ্টি বলল কার সাথে আসবি, ও বলল, ওর উডবি নাকি নিয়ে আসবে। মিষ্টি ফোন রাখতেই মামুনি নিচে গিয়ে খেতে বলল,
মিষ্টি আসছি বলে মামুনি কে যেথে বলল, মামুনি চলে গেল ও আর একটু পরেই বই অফ করে উঠে খেতে চলে গেল। বেশি না করলে রাজ আমায় আজ মেরেঈ ফেলবে তাই আর সেই রিক্স নেয় নি।
৯:২০ এ রওনা হলো পাচঁ মিনিট লেট মিষ্টির জন্যই হয়েছে। গাড়িতে উঠে মিষ্টির রাগ সাত আসমানে উঠে গেল।
–এই আপনি ড্রাইভ করবেন?
–হ্যা তো আর কে করবে তুমি।
–আমি কি তাই বলেছি আপনি ড্রাইভ করবেন কেন একে তে হাতের এই অবস্থা একদম না আপনি করবেন না।
–আমি করবো না কে করবে তুমি কি পাগল হলে নাকি। আর আমার তেমন কিছু হয় নি যে আমি ড্রাইভ করতে পারবো। কিছু প্রবরেম হবে না অযথা হাইপায় হয়ে লেট করে ফেলছো কিন্তু তোমার ১০ এক্মাম ভুলে গেলে নাকি।
–না আমি কিছু শুনতে চাইনা আপনি ড্রাইভ করবেনা না। ড্রাইভার কাকা কে নিয়ে চলেন তাহলেই তো হয়।
–ড্রাইভার কাকা গ্রামে গেছে তাকে কোথায় পাবো।
–তাহলে নামেন রিক্সা চলে যাবো।
–আমি রিক্মাত যাবো লাইক সিরিয়ালি মিষ্টি। তুমি চুপ করে বসো আমার কিছু হবে না।
মিষ্টি কিছু বলবে রাজ তার কথার তোয়াক্কা না করে গাড়ি ছেড়ে দিলো। মিষ্টি চেচামেচি শুরু করে লাভ হয় না তাই অভিমান নিয়ে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকে রাজ বুঝতে পেরেছে মিষ্টি রাগ করেছে কিন্তু এখন যাওয়া টা বেশি ইম্পটেন্ট তাই আর কিছু করে রাগ ভাঙাতে।

?

মারিয়া একটা গুন্ডার সাথে কথা বলছে ফোন এ তাকে বলছে।

–মেয়েটাকে যে করেই হোক আমি মৃত দেখতে চাই। আজ ওর পরিক্ষা তাই আজ ও বির হবে আজকেই ওকে লাশ হতে দেখতে ও আমার ভালোবাসা কেরে নেবে ওকে আমি এই পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেব।
–মেডাম এতো হাইপায় হয়েন না আমি ওদের ফলো করছি মেয়েটা নামলেই মেরে দেব।
–গুড আর একটা কথা ছেলেটার যেন কিছু না হয় বি কেয়ার ফুল ওকে।
–ওকে ম্যাম।
বলেই কল কেটে দিলো লোকটি। তারপর ছোটলো রাজের গাড়ির পেছনে। একদম ভার্সিটিতে এসে থামলো রাজের গাড়ি রাজ আগে নেমে মিষ্টির পাশের দরজা খংলে দিলো মিষ্টি নেমে পরল।
–সাবধানে এক্মাম দিও আর একদম চিন্তা করবে না তোমার এক্মাম খুব ভালো হবে দেখো।
রাজ মিষ্টির সামনে দাঁড়িয়ে বলছে মিষ্টি তাকাচ্ছে না কিছু বলছে ওনা ওর কথা শুনলো না এটার জন্য অভিমান হয়েছে। রাজ বুঝতে পেরেছে কিছু বলবে তার মাঝেই তিথির আগমন রাজ মিষ্টির সামনে থেকে সরে দাড়ায়।

তিথি মিষ্টি সাথে কথা না বলে রাজের সাথে বলতে লাগে দুজন কথা বলছে তিথি এনগেজমেন্ট নিয়ে রাছের সাথে তর্ক করছে। তাকে ট্রিট দিতে হবে আজকেই। রাজ রাজি হয়ে গেছে বিয়ের ব্যাপারটা তিথি জানে না এখন ও বলে নি মিষ্টি। মিষ্টি ওদের কথা বলতে দেখে আর ও রেগে গেছে অসভ্য ফ্রেন্ড আমার কই এতো দিন পর দেখা হলো আমার সাথে কথা বলবে মিস করেছে বলবে তা না ট্রিট চাইছো কি হেসে হেসে কথা বলছে আমি যে পাশে আছি দুজনের কারো কি সেই খেয়াল আসে। রেগে সামনে এগিয়ে গেল এবার সেই লোকটা সুযোগ পেলে গাড়ি থেকে এই সুযোগ টাই খুজছিলো সে সবার রাজের পাশে ছিলো বলে কিছু করে নি কারণে মেডাম ছেলেটার কিছু করতে না করেছে। দুই কদম এগিয়ে গেছে একবার পেছনে ফিরে ওদের দিকে তাকালো না একই ভাবে গল্প করছে আবার হাটা ধরলো,,

যেইগুলি করবে ওই সময় ই রাজ হঠাৎ মিষ্টির হাত ধরে কাছে টেনে আনে। তারাতারি গুলি করা একে বিরত থাকে লোকটা। একটুর জন্য অপেক্ষা করতে থাকে কিন্তু আর সুযোগ হয়না।
ছুটির পর মিষ্টি আর তিথি একসাথেই বের হয়।
দেখে রাজ দাড়িয়ে আছে গাড়ি নিয়ে তিথি বলেই গিয়েছিল ট্রিট দিতে তাই রাজ মিষ্টি আর তিথি রেস্টুরেন্টে যায় মিষ্টি অবশ্য রাজের সাথে একটা কথা ও বলে নি।

চলবে❤

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা ?পর্বঃ- ৩৮

0

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা ?পর্বঃ- ৩৮
#লেখিকাঃ-তানজিনা আক্তার মিষ্টি

মিষ্টি ভ্রু কুচকে রাজের দিকে তাকিয়ে আছে এভাবে টেনে আনলো বই পযর্ন্ত অফ করতে পারিনি। রাজ কেমন করে যেন তাকিয়ে আছে কিছু বলবো না থাক চুপ থাকি দেখি কি বলে। মিষ্টি কি কিছু বললো না একটা জিনিস এগিয়ে দিলো যা দেখে মিষ্টি চোখ মুখ বড় বড় করে থাকালো,,
রাজ হাতে দুধের গ্লাস যেটা মিষ্টির দিকে ধরে আছে। আর মিষ্টি দুধ জিনিস টা একদম সহ্য করতে পারে না। চোখ মুখ খিচে ছোট্ট করে ঢোক গিলছে কিছু তেই খাবেনা এটা সন্ধ্যায় ও খাইয়েছে মামুনি জোর করে। বমি করে দিতো কিন্তু মামুনিকে মানানো গেছে অর্ধেক খেয়েছি বাকিটা না কিন্তু রাজকে কে তো আমি কিছু বলতে পারবো না।
–কি হলো নিচ্ছো না কেন? কতোক্ষণ এভাবে ধরে থাকবো তারাতারি শেষ করো তারপর ঘুমিয়ে পরবে। এতো রাত অবধি পড়ার কী দরকার সকাল হয়ে আসছে এভাবে ঘুম নষ্ট করলে অসুস্থ হয়ে পরবে তখন আর এক্মাম ই দিতে পারবে না তখন এতো পড়া কি দাম থাকবে। লেখাপড়ার সাথে শরীরের দিকে ও যত্ন বান হতে হবে তোমাকে একটু নিজের যত্ন নিচ্ছো না। ভালো করে আয়নার সামনে গিয়ে মুখ দেখেছো এক সপ্তাহে চোখ নিচে কালি পরে গেছে তোমার। ঠিক মতো খাচ্ছো না আজ ও তো রাতে খাও নি এতো বলার পর ও এখন তারাতারি এটা শেষ করো আর কোন বাহানা না পুরো টা শেষ করতে হবে।
মিষ্টি হাত মুচরাচ্ছে কিছুতেই হাতে নিবে না এটা খাবে না একে তে ক্ষিদে পেয়েছে এখন এটা খেলে বমি হয়ে যাবে। মিষ্টি নিচ্ছে না তাই রাছ এবার ধমকের সুরে বলে উঠে….
–কি হলো এভাবে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছো কেন? তাকিয়ে না থেকে যা বলছি তাই করো আমাকে আর রাগিয়ু না মিষ্টি। পরিক্ষা আর কেউ দেয় না তো শুধু তুমি একমাত্র স্টুডেন্ট তাই না।
মিষ্টি মাথা নেড়ে না জানালো,,
–তাহলে এমন করছো কেন তোমার মতো করতে আমি কাউকে দেখি নি। নিচ্ছো না কেন?
–আমি এটা কিছুতেই খাব না এটা খেলেই বমি হয়ে যাবে। আর আপনি ভালো করে জানেন যে আমি দুধ খাই না একদম বিচ্ছিরি গালে।
–কোন এক্মকিউজ শুনছিনা খাও দ্রুত না হলে ছারা পাবে না।
–অসম্ভব একবার খেয়েছি একেতে এটা আমার পছন্দ না তার উপর মামুনি সন্ধ্যায় খাইয়েছে। এখন কিছুতেই না বললাম তো খেলে বমি হবে আপনি কি চান আমি বমি করে অসুস্থ হয়ে পরি একে তো খিদে পেয়েছে।
আনমনে মিষ্টি খিদে পেয়েছে কথা টা বলে উঠে……
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
রাজ তো কঠিন চোখে মিষ্টির দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে আছে। ওর কানে মিষ্টি খিদে পেয়েছে কথা টা যেতে রাগে কপাল কুচকে উঠে কী অসভ্য মেয়ে খিদে নিয়ে বসে আছে। আবার খাওয়ার সময় আম্মু আমি এতো করে খেতে বললাম তখন কি বলল,,
আমার খিদে পায়নি বিকেলে খেয়েছি আর খেতে পারবো না।
মিষ্টি রাজের দিকে তাকিয়ে ছিলো রাজের হঠাৎ কঠিক চেহারা দেখে মিষ্টির ভয় হতে লাগে এতোক্ষন রাগ নিয়ে কথা বললে ও এতো রাগি লাগে নি। এখন এমন করে রেখেছে কেন?
–কি হয়েছে আপনার এরকম করে রেখেছেন কেন মুখটা। আগের মতো কি ভয়ংকর লাগছে?
— মিষ্টি তুমি কোন কথা বলবে না আমি প্রচণ্ড রেগে আমি এতোটা রেগে আছি আমার এখন কি করতে মন চাইছে জানো তুমি।
–কি?
–থাটিয়ে একটা চর মারতে মন চাইছে তোমার গালে এতোটা কেয়ারলেস কেন তুমি? ডিনারের জন্য যখন ডাকলাম কি বলেছিলে আমার খিদে নেই অথচ, এখন বলছো তোমার খিদে পেয়েছে তার মানে ইচ্ছে করে তুমি খাওনি। এমন কেন করছো কি করেছি তোমার
আমি এভাবে আমাকে কষ্ট দিচ্ছো কেন?
–আপনি আমাকে মারবেন। এটা করতে পারেন না আগে কিছু ছিলাম না তাই কিন্তু এখন ও।
–এখন আবার কি হয়েছে আর মারতে পারিনা। আগের মার গুলো ভুলে গেছ তাইনা তোমাকে।
–কি তোমাকে আগে মেরেছেন কিছু বলিনি কিন্তু এখন এমন কিছু থেকে দূরে থাকুন না হলে বউ নিযাতনের জন্য আমাকে আমি….
–কি বললে নির্যাতন আমি তোমায় নির্যাতন করি। ওকে তোমার এই কেয়ারলেসের জন্য মারাটা নির্যাতন হো তাহলে তাই করবো।
মিষ্টি হা হয়ে তাকিয়ে আছে এই ছেলে একটু ও শুধরাবে না সাথে সাথে মনের কথায়ই জ্বিভ কাটলো,,
এই ছেলে কেন বলছি এটা তো আমার একটা মাএ হাজবেন্ট এই ছেলে বলাটা একেবারে বেমানান। উনি কি পাগল হয়ে গেল নাকি কি বলছে কষ্ট উনাকে কখন কিভাবে দিলাম। কি সব আবুল তাবুল বলছে।

–আবার বিড়বিড় করছো তুমি?
–কই না তো,,,, আপনি কি বলছেন আপনাকে কখন কষ্ট দিলাম না খেলে তো কষ্ট আমার হবে তাই না।
–হুম কিন্তু তুমি একা না আমার ও হবে।
–মানে
–এতো মানে বুঝাতে পারবো না দুষ্টু মিষ্টি বউ আমার। চলো,,
–কোথায়, আরে এভাবে টানছেন কেন আর বাইরে কোথায় যাচ্ছে ছারুন হাত। ওফ ছারুন না।
–কথা কম। আর ঠিক মতো হেটে আসো হাটছো না বলেই মনে হচ্ছে টানছি।
মিষ্টি রাজের কথায় হাটা ধরলো রাজ একা হাতে দুধের গ্লাস আরেক হাত দিয়ে মিষ্টি কে টেনে নিচে নিয়ে যাচ্ছে। পরনে কালো টাউজার আর হাতে খয়রি গেন্জি পরে আছে। খয়রি রং এ অপূর্ব লাগছে মিষ্টি যাচ্ছে আর হা করে রাজকে দেখছে আর ভাবছে এই লোকটা শুধু আমার হ্যা আমার ভাবতে খুশিতে মনটা নেচে উঠছে। রাজ তাকে আজ আর পরতে দিবে না বুঝেছে মিষ্টি সকালের জন্য কিছু পড়া রাখে না সব রাতেই শেষ করতে চাই তাই এখন ও জেগে ছিলো। কিন্তু হলো না রাজের এন্টি শুরু। রাজ নিচে ডায়নিং টেবিলের কাছে এসে হাত ছেড়ে দিলো তারপর দুধের গ্লাস টেবিলের পাশে রেখে আমাকে নিয়ে চেয়ারে বসালো।

–এখানে নিয়ে এলেন কেন?
–খাবে বলে।
–মানে আমি এখন খাবো না।
–খাবি না আবার এবার সত্যি মারবো কিন্তু। চুপচাপ খেতে বসবে।
মিষ্টি আর কথা বাড়ালো না ওর সত্যি খিদে পেয়েছে কিন্তু তবুও খায়নি। আসলে খেতে চেয়েছিল খেতে পারেনি। বিকেলের দিকে মামুনি জোর করে খাইয়ে দেয়। আবার সন্ধ্যায় দুধ হাফ খেলে ও খেয়েছে তাই দশটায় যখন সবাই খত বসে আমাকে জিগ্গেস করলে পেট ভরা বরা লাগে না করে দেয়। আর পড় নিয়ে বেশি বিজি ছিলাম দুপুরে খাওয়া বিকেলে মামুনি খাইয়ে দিয়েছে তাই আর রাতে খাইনি পড়ার ছিল পেট আমার ভরায় লেগেছে। পরতে পরতে ঘুমে জোকে পরি আর ধরফরিয়ে উঠে দেখি দশ মিনিট ছিলাম তাই ঘরির দিকে তাকায় একটা বাজে। এখন পেটে হাত চলে যায় হ্যা ঠিক ধরেছে এখন খিদে পেয়েছে কিন্তু এতো রাতে একা একা আর খেতে ইচ্ছে হয় না সবাই কি ভাবে। বলবে তখন ডাকলাম খেলো না এখন আবার সবার পরে খাচ্ছে নিজের কাছে লজ্জা লাগলো খাওয়া থেকে বিরত থাকলাম খাব না ঠিক করলাম।

রাজ খাবারের পিলেট সামনে দিয়ে আরে চেয়ার আমার পাশে ঘেষে বসে খেতে বলে। কিন্তু একটু হাত দিয়ে খেতে মন চাইছে না এই এক সপ্তাহে মামুনি আমাকে খাইয়ে দিয়েছে হাত দিয়ে খেতে না খেতে এখন পেটে খিদে থাকলে ও খাচ্ছি না। যদি রাজ খাইয়ে দেয় সেই আসায়। রাজ তো বিরক্ত হয়ে বকে যাচ্ছে হাত দিতে বলছে আমি হাত উঠাছি না।
–কি হলো এমন করছো কেন? হাত কই লুকিয়ে রেখেছো বের করো আমি খাও।
হাত টেবিলের তশে দিয়ে রেখেছি বের করছি না।
–তুমি আমাকে এতো জালাও কেন মিষ্টি খাবে না?
এবার মিষ্টি মুখ খুলল আগে ও কিছু হলেই খাইয়ে দিতো কিন্তু আজ কেন দিচ্ছে না এতো বার বলছে না বলে খাইয়ে দে না। কিন্তু রাজ ভুলে ও সে কথা বলছে না। এবার মিষ্টি লজ্জার মাথা খেয়ে বলল,,
— এতো বার বলছেন খেতে খাইয়ে কেন দিচ্ছেন না।আমার হাত দিয়ে খেতে ইচ্ছে হচ্ছে না সেটা কী বুঝতে পারছেন না। আগে তো একটু কিছু হলেই খাইয়ে দিতেন আর এখন। কালো হয়ে গেছী একটু আগেই বলেছেন তার মানে কি আপনি এখন আর আগের মতো ভালোবাসেনা আমাকে। চর মারতে চান সেই আগের রুপে চলে এসেছেন।
মিষ্টি কাদোকাদো মুখ করে তাকালো রাজের দিকে রাজ অসম্ভব রাগ নিয়ে তাকিয়ে আছে মিষ্টির দিকে। সব সময় এক কথা ভালোবাসেন না আজ এটা শুনতেই রাগটা চরাও হয়ে উঠেছে রাজের রাগে রাজ মিষ্টির চেয়ার টেনে একদম কাছে নিয়ে এলো মিষ্টি মাথাটা কাছে টেনেই এমন একটা কাজ করে ফেলল যে মিষ্টি ঘটনা আকষমিক হতদম্ভ হয়ে গেল। ঠোটে হাত দিয়ে চোখের জল ফেলছে এটা করবে মিষ্টি কল্পনা ও করেনি। কষ্ট হচ্ছে রাজকে বলেছিল এখন যাতে কিছু না করে কিন্তু রাজ,, মিষ্টির চোখ দিয়ে নোনা জল পরছে।
রাজ রাগে কি করেছে বুঝতে পেয়ে নিজেকে ছোট্ট মনে করছে। এটা কি করে ফেলল এভাবে ওর বিশ্বাস ভেঙে ফেললাম এখন কি হবে মিষ্টি কি আমাকে ক্ষমা করবে,
–মিষ্টি আই আম সরি আমি ইচ্ছে করে করি নি বি লিভ মি। তুমি বারবার ভালোবাসা নিয়ে প্রশ্ন করো যা আমি মেনে নিতে পারিনা। তোমাকে কতোটা ভালোবাসি জানো তো বলো তাহলে কেন সন্দেহ করো বারবার।

মিষ্টি রাজের দিকে তাকাচ্ছে না রাজ কি করবে ভেবে পাচ্ছে না। মিষ্টি দু গালে হাত দিয়ে,
–প্লিজ জান সরি আমি ইচ্ছে করে করিনি তোমাকে কখন এভাবে টাচ করতে চাইনি কিন্তু আজ কি করে ফেললাম আমি নিজেই বুঝতে পারিনি।
মিষ্টির দিক থেকে কোন সারা শব্দ নেই রাজ কি করবে ও পাগলের মতো এটা ওটা বলে যাচ্ছে মিষ্টি কি ওর সাথে কথা বলবে না আর। ভাবতেই বুক কেপে উঠে না এই মেয়েটাকে খুব ভালোবাসে ও কি ভুলে বুঝে সরে যাবে তাহলে রাজের কি হবে। মরে যাবে।
হঠাৎ মিষ্টি রাজের ভাবনার মাঝেই রাজকে জরিয়ে ধরে শক্ত করে কান্না করে দেয়।
রাজ কিছু বুঝতে পারছে না মিষ্টি কান্না কারণ ওই জন্য কী রাজ মিষ্টিকে ধরে, আর ও কয়েকে বার সরি বলতে থাকে এমন কখনো করবে না বলতে থাকে। মিষ্টি হঠাৎ মাথা উচু করে রাজের মুখের দিকে গভীর ভাবে তাকায় রাজের চোখে পানি। ওর জন্য কাদছে কি এমন করছে যার জন্য আমি রাগ করে ওকে কষ্ট দিচ্ছি। এঈ তো আমার স্বামী তার সম্পূর্ণ অধিকার আছে টার্চ করার তবুও রাজ আমার কথার মূল্য দিয়ে নিজেকে দূরে রেখে। এবং চেষ্টা ও করেছে আর আমি তার এই ভালোবাসা বার বার ভুলে কষ্ট দেয়।
মিষ্টি দুহাত রাজের গালে রেখে চোখের পানি মুছে দেয়। সাথে সাথে রাজ আবার সরি বলে উঠে,,
মিষ্টি রাজে মুখে হাত দিয়ে আটকে ধরে,,
—–চুপ আর না আমি সরি। আপনাকে বুঝতে পারিনা সরি ক্ষমা করে দেন আমি কিছু মনে করি নি আপনি আমাকে টার্চ করতে পারেন কিছু বলবো এতে আপনার সম্পূর্ণ অধিকার আছে।
—-এভাবে বলো না জান আমি কষ্ট পাচ্ছি তোমার কথা রাখতে পারলাম না। আর অধিকার সেটা আমি কখনো দেখাবো না জান তুমি না চাইলে কখনো তোমার কাছে আসবো না কিন্তু আমাকে ভুল বুঝো না আমি,
–বলছি না সাফাই দিতে হবে না। আমার কিন্তু খিদে পেয়েছে এবার ছারেন খাবো।
–ওকে দাড়াও খাঈয়ে দিচ্ছি।

বলেই রাজ মিষ্টি কে ছেড়ে খাবার পিলেন হাতে নেয়। মিষ্টি নিতে চাইলে নিতে দেয়না। একলোকমা ভাত মাখতে গিয়ে হাত জ্বলে উঠে ওর কিন্তু মুখে হাসি নিয়ে মিষ্টি মুখে ভাত এগিয়ে দেয়। মিষ্টি ভাত নেয় কিন্তু ভাবে রাজ তখন তাহলো খাইয়ে দিল না। অবশ্য আমি খাইয়ে দিতে বলে চুপ ছিলাম কখন এক নাগাড়ে আজেবাজে বকে গেছি রাজ তো তার পর যা করলো। খুশি মনে খাচ্ছে আর এদিকে রাজের হাতে জ্ফলে পুরে শেষ মিষ্টি কে বলতে ও পারছে না ওর হাতে কাটা আছে। মিষ্টি জানে না কারণে হাতে ব্যান্ডেজ করেনি মিষ্টি বুঝে যাবে যে কিছু হয়েছে হাতে তাই এই ব্যবস্থা। এইজন্য খাইয়ে দিতে চায়নি। কষ্ট সহ্য করছে রাজ দাতে দাত চেপে। খাওয়ানো শেষের দিকে এবার আর রাজ চুপ থাকতে পারলো না আহ করে উঠলো,,
মিষ্টি সঙ্গে সঙ্গে খাওয়া অফ করে দেয় ও তো বেশি জোরে কামড় দেয়নি হালকা করে দিতেছে এতে রাজ এমন করে ব্যাথায় কুকরে উঠলো কেন। এই কাজ তো মিষ্টি আগেও করেছে রাজ আঙুল নিজের মুখের কাছে এনে ফূ দিতে লাগলো মিষ্টি ভয়ার্ত চোখে তাকিয়ে আছে। হতের দিকে রাজ ফূ দিয়েই হাত ওই ভাবেই ব্যাসিং চলে গেল মিষ্টি বুঝতে পারছে না কি হয়েছে এভাবে গেল কেন। আমার কামড় কি এতো জোরে লেগেছে যে উনি এভাবে গেলেন মিষ্টি ও রাজের পেছনে গেল হাত ধুয়ে ফূ দিচ্ছে। মিষ্টি কে আসতে দেখেই রাজ হাত লুকিয়ে ফেলে।

–মিষ্টি তুমি এখানে কেন আমি তো হাত ধুতে এলাম তুমি কেন এলে।
—-আপনি এভাবে চলে এলেন কেন হাতে কি বেশি জোরে লেগেছে আমি তো এতো জোরে দিতে চাইনি দেখি কেটে গেছে কি?
—তেমন না একটু তরকারি ছিলো তো তাই একটু লেগেছে চলো।
–না দেখি আগে আমাকে হাত দেখান লুকিয়ে রেখেছেন কেন?
রাজ হাত দেখাচ্ছেনা দেখে মিষ্টি সন্দেহ হয় আবার তা বাদ দিয়ে দেয় রাজ কষ্ট পায় ওইসব বললে।
মিষ্টি আর কিছু না বলে হাত টেনে নিলো আর যা দেখলো তাতে আতকে উঠলো,, কি জখম হাতে কেটে গেছে দুই আঙুল এ আবার তালুতেও আছে এভাবে কাটলো কিভাবে আমার কামড় তো আঙুল এ দিয়ে ছি তাহলে তালুতে আসলে কি করে। মিষ্টি ভ্রু কুচকে তাকায় রাজ কি বলবে তা ভেবেই মাথা নষ্ট কি বলবে মিষ্টি কে?

চলবে❤

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা ?পর্বঃ- ৩৭

0

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা ?পর্বঃ- ৩৭
#লেখিকাঃ-তানজিনা আক্তার মিষ্টি

সাথে সাথে রাজ চোখ মেলে তাকায়। মিষ্টি লজ্জা পেয়ে অন্য দিকে ঘুরে। রাজের রাগ ভাঙাতে করলে ও এখন লজ্জা মরে যাচ্ছে মিষ্টি। রাজ তো চরম রকমের অবাক হয়েছে কি বলবে বুঝতে পারছেনা। মিষ্টি এইকাজ করবে ওর কল্পনার বাইরে ছিলো। মিষ্টিকে কিছু বলতে যাবে তার আগেই মিষ্টি বলে উঠে ওই দিকে থেকেই।

–প্লিজ কিছু বইলেন না আমার খুব লজ্জা লাগছে। আপনি রেগে ছিলেন তাই রাগ কমানোর জন্য এমন টা করেছি সরি।

— রাজ মিষ্টির দিকে তাকিয়ে আছে। একবার মিষ্টির লজ্জা মাখা মুখটা দেখতে ইচ্ছে করছে কিন্তু মিষ্টি তো অন্য দিকে ফিরে শুয়ে আছে। কিন্তু মিষ্টি তো বলল এখন কিছু বলবে না ওকি ঘুমিয়ে গেল নাকি সারা শব্দ পাচ্ছি না। রাজের চোখ তো একটু ঘুম নেই সব শেষ মিষ্টি কে দেখতে মন চাইছে ওর লজ্জা মাখা মুখটা। নিজে থেকে চুমু দেবে ভাবতেই পারছে না রাজ ও এখন পযর্ন্ত এই কাজটা করেনি।

–মিষ্টি [রাজ]

–ঘুমিয়ে গেছ? [রাজ]

–এই মিষ্টি প্লিজ একবার এই দিকে ফিরো না তোমার লজ্জা মাখা মুখটা না দেখলে আমি ঘুমাতে পারবো না। তুমি তো আমাকে নিজে থেকে চুমু দিছো আমি কিন্তু কিছু করিনি। সব সময় তুমি ই দূরে থাকার কথা বলো এখন নিজেই চুমু খেলে আমি বিশ্বাস করতে পারছি না একবার তাকাও না তুমি কি সত্যি নাকি আমি সপ্ন দেখেছি বলো।[ রাজ]

মিষ্টি জেগেই আছে কিছু বলছে না ঘুমের ভান করে আছে। আর রাজের সব কথা ও শুনে যাচ্ছে লজ্জা আর ও ঘিরে ধরছে মিষ্টি কে না কিছু তেই বুঝতে দেওয়া যাবে না আমি জেগে আছি তাহলে রাজ আমাকে লজ্জা দিবে আর ও অনেক কিছু বলে। আসলেই তো রাজ জরিয়ে ধরা ছাড়া কিছু করেনি আমার সাথে আমি একবার বলেছিলাম ওর মত একজন হাজবেন্ট পেয়ে আমি,,
আর কিছু ভাবার আগেই কেউ আমার হাত ধরে ঝাকাতে লাগলো, এটা কে বুঝতে অসুবিধা নাই আমার ইচ্ছে করেই চোখ শক্ত করে বন্ধ করে রইলাম। যদি সত্যি ঘুমে থাকতাম তাহলে এই ঝাকুনিতে উঠে যেতাম কিন্তু আমি তো ইচ্ছে করে উঠতে চাইনা উঠাবে কি করে।
কিছুক্ষণ পরই ঝাকুনি অফ রাজ ব্যর্থ হয়েছে আমি উঠিনি তার পর আর কিছু মনে নেই ওইভাবে থাকতে থাকতে কখন ঘুমিয়েছি খেয়াল নেই।

মিনার ডাকে সকালে ঘুম ভাঙলো আমার মিনা রেডি হয়ে আছে। আমি ভ্রু কুচকে ওর দিকে তাকিয়ে আছি এতো সকালেই এমন রেডি হয়ে কোথায় যাচ্ছে। আমার তাকানোতে হয়তো কিছু বুঝলো,…..

–আপু উঠ তারাতারি।

–কেন কি হয়েছে তুমি কোথায় যাচ্ছিস এই সকালে?

–বাড়ি যাচ্ছি আর ওতোটাও সকাল রয় নি এখন আটটার উপরে বাজে।

–বলিস কি আমি তো প্রতিদিন আগেই জেগে যাই আজ এতো ঘুমালাম।

–হ্যা আমরা সবাই অনেক আগে উঠেছি তোকে আমি তখনই ডাকতে চেয়েছিলাম কিন্তু আম্মু আটকে দিয়েছে। বলে রাতে তো অনেক জাগা হয়েছে তুই ঘুমা তোকে না বলেই চলে যাতে চাইছিল।

এটা শুনেই মিষ্টি খেপে উঠলো,, তা তো চাইবেই এখন আর আমাকে ভালোবাসে নাকি দূরে পাঠিয়ে পর করে দিয়েছে এখন আমাকে বলবে কেন? এক মেয়েতো আছেই আমাকে কি দরকার আর।

রেগে মিষ্টি উঠে বসলো তারপর কোন রকম একটু ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে পরল সোজা নিচে এসে থামলো। আম্মু সোফায় বসে আছে পাশে রাজ কি যেন বলছে রাজ কে রাজ বাধ্য ছেলের মতো মাথা নারাচ্ছে।
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
–আম্মুহহ

হঠাৎ মিষ্টি চিৎকার শুনে রাজ ও মিষ্টির মা দুজনেই অবাক হয়ে তাকায় মিষ্টির দিকে এভাবে চিৎকার করে ডাকার কারণ কি? মামুনি রান্না ঘর থেকে চলে এসেছে এভাবে ডাকার জন্য। মিনা ও এসেছে মিষ্টির পেছনে পেছনে রাজ বুঝতে পারছে না মিষ্টির কি হয়েছে? রাজ মিষ্টির দিকে হা করে তাকিয়ে আছে মিষ্টি ঘুম থেকে উঠে শুধু পানি দিয়েই নিচ চলে এসেছে পানি এখন মুখে লেগে আছে ভালো করে মুছে ও নি। চুল গুলো এলোমেলো ভাবে ছরিয়ে আছে কিছু সামনে কিছু পেছনে আজ ওরনা মাথায় দেয়নি তাই এলোমেলো চুল গুলো বারবার মুখে আসছে মিষ্টি বিরক্ত হয়ে কানে গুজৈ রাখছে। রাজ নেশাতুক চোখে তাকিয়ে আছে হঠাৎ চোখ সরিয়ে অন্য দিকে ফিরে রইল এভাবে দেখলে নিজেকে কন্টোল করতে পারবোনা। অন্য দিকে ফিরে আছে হঠাৎ মিষ্টির কান্না মিশ্রিত কথা আসতে তারাতারি ফিরে তাকালো কি হয়েছে দেখতে দেখলো আন্টি কে জরিয়ে কাদছে আন্টি মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। মিষ্টি নানা অভিমানের কথা বলছে এর মাঝেই আমার আম্মু এসে লাগলো সে মিষ্টি কে বলছে,,
— আমি কি তোর মা না? আমি কি তোকে আদর করি না নাকি খালি কষ্ট দেয় যে এতো কাদছিস আমার কাছে থাকতে তোর ভালো লাগেনা বল। কয়দিন পর থেকে তো এখানেই থাকতে হবে তখন কি করবি?
শুরু হয়ে গেল আবার সবাই মিলে কান্না কান্না জিনিস টা একদম লাইক করে না রাজ। তার উপর মিষ্টির কান্না তো আর ও না। অনেকক্ষণ চললো কান্না অতপর আন্টি আর মিনা কে নিয়ে আমি বেরিয়ে পরলাম।

মিষ্টি রুমে বসে আছে হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠলো নাম্বার টা দেখেই মুখে হাসি ফুটে উঠলো,, তিথি খর করেছে কাল ওক ফোন করে হঠাৎ ই বলেছিলাম রাজা আর আমার এনগেজমেন্টের যা শুনে তো ও ফোনেই লাফালাফি করা শুরু করে দিয়েছিলো খুশিতে। কিন্তু আসতে পারেনি কারণ বেচারি ঢাকাতে নেই বেরাতে গেছে। আর আমি সিউর ছিলাম না তাই আগে বলিনি এনাউজমেন্ট হওয়ার পর বলেছিলাম।

–হ্যালো জানটু কেমন লাগছে তোর ভাইয়া সাথে এনগেজমেন্ট হয়ে আর কাল পিক তুলেছিস তো সব সেন্ড কর তারাতারি দেখার জন্য পাগল হয়ে আছি তোদের কি সুন্দর ই না লাগছে খুব মানিয়িছে সবাই বলেছে তাইনা। বলবেই তো তোরা পারফেক্ট কাপেল। আগে বললে আমি কিছুতেই বেরাতে আসতাম না তোদের এনগেজমেন্ট ছেড়ে কি মিস টাই না করলাম।

আমাকে কিছু বলায চান্স ই দিচ্ছে না একাই বকবক করে যাচ্ছে।

–আরে থাম আমাকে কিছু বলতে দে নিজেই প্রশ্ন করছিস নিজেই উওর দিচ্ছিস তাহলে আমাকে কেন কল করেছিস।

–জানি না দোস্ত আই আম সো হ্যাপি দোস্ত তোর আমার রাজ ভাইয়ার বিয়ে হবে এটা ভেবে। কিন্তু তুই যে বলেছিলি মারিয়ার সাথে..

–মুখে থেকে কথা কেড়ে নিয়ে,, ওইটা ভুল ওনারা জাস্ট ফ্রেন্ড আমি ভুল বুঝেছিলাম।

–ওকে মন খারাপ করিস না। সেসব তো শেষ এখন জাস্ট ইনজয় ওকে আমাকে ট্রিট দিতে হবে বলে দিলাম।

মিষ্টি আর তিথি কিছু ক্ষণ কথা বলে ফোন রেখেদিলো।
ফুন রেখে পেছনে ঘুরতেই দেখি রাজ দাঁড়িয়ে আছে। আমি তাকাতেই চুমু দেখালো সাথে সাথে রাতে কথা মনে পরে গেল আবার সেই লজ্জা।

মাথা নিচু করেই বললাম,, আপনি কখন এলেন, আম্মু আর মিনা কে….

মিষ্টি কথা বলার মাঝেই উচু করে একবার রাজের দিকে তাকায় সঙ্গে সঙ্গে কথা অফ হয়ে যায় রাজ ওর দিকে আসছে মিষ্টি,, আপনি এগিয়ে আসছেন কেন?

রাজ কিছু বলছেসনা এগিয়ে আসছে মিষ্টি উপায় না পেয়ে পিছাতে থাকে। একদম দেয়ালের সাথে আটকে যায়। রাজ ওর গা ঘেষে দাড়িয়ে দু পাশে হাত রাখে।

–কাল আমার কোন খালে যেন চুমু দিয়ে ছিলে।

এটা বলতেই মিষ্টি লজ্জা লাল হয়ে উঠে মাথা নিচের দিকে করে রেখেছে তাকাবেনা কিছু তেই না। কেন যে রাগ ভাঙাতে চুমু টা দিয়েছিল এটা আমার সব চেয়ে বড় ভুল।

–আমার দিকে তাকাও।

রাজ তাকাতে বলছে মিষ্টি তাকাচ্ছে না। রাজ মিষ্টির থুতনি তে হাত দিয়ে মুখ উচু করে। সাথে সাথে মিষ্টির শরীরের কারেন্টের শক লাগে ও সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে নেয়।

–ওফ জান তোমার এতো লজ্জা এই লজ্জা পেয়ু না নিজেকে কন্টোল করতে কষ্ট হয়।

বলেই রাজ মিষ্টি কে ছেড়ে দূরে গিয়ে দাড়ায়।

–এই লজ্জা মাখা মুখ দেখতেই এতো কিছু করলাম। এবার যাই এখানে আর একটু থাকলে কিছু করে ফেলবো।

বলেই রাজ দ্রুত পায়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়।

সময় টা খুব ভালোই যাচ্ছে মিষ্টির মামুনি সাথে রাজের সাথে সময় পেলেই ঘুরতে যাওয়া ছাদে বসে আড্ডা দেওয়া বিয়ে নিয়ে পরিকল্পনা আবার দুবার বিয়ে এটা ভাবতেই হেসে উঠা। পরিক্ষা চলে এসেছে এর মাঝে পরা হয়ে উঠে নি অনেক দিন তাই মিষ্টি একেবারে পড়া মন দিয়ে দিয়েছে। এটা ও বাবা মায়ের সপ্ন পূরণ করতেই হবে। আর একসপ্তাহ পর পরিক্ষা তাই এই কয় দিন অন্য সব মনোযোগ বাদ দিয়ে এক দমে পরবে। তাই করছে রাজ হেল্প করছে মাঝে মাঝে আর মামুনি তো আর ও ঠিক মতো খাচ্ছি না দেখে খাইয়ে দিচ্ছে সে সময় নিজের আসল মাকে ভুলে যাই সত্যি আমি খুব ভাগ্যবান এমন একটা পরিবারের পেয়েছে। মা পেয়েছি বাবা পেয়েছি নিজের বাবা নেই তবুও ও কষ্ট নেই রাজের আববু আমাকৈ নিজের মেয়ের মতো ভালোবাহসে এখন তো সে ও বলে আন্কেল না আববু বলে ডাকতে কয়দিন পর তো তাইই বলতে হবে তখন ই লজ্জা পায় মিষ্টি।

এক সপ্তাহে পেরিয়ে গেল কালকেই এক্মাই এখন বাজে রাত দুই টে মিষ্টি ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে বই নিয়ে বসে আছে। হঠাৎ কারো ডাকে মিষ্টির ঘুম ভাব কেটে যায়। হুম আর কেউ না রাজ দাড়িয়ে আছে এই কয়দিন রাজ আসে নি রাতে পড়ায় ডিসটার্ব হবে বলে আজ হলো যে রাজ এসে মিষ্টি কি টেনে বিছানায় নিয়ে গেল।
চলবে❤

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা ?পর্বঃ- ৩৬

0

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা ?পর্বঃ- ৩৬

#লেখিকাঃ-তানজিনা আক্তার মিষ্টি

মিষ্টির খুশি আর ধরছে না রুমে বসে আছে ড্রেস ও চেন্জ করে নি। পা দুলিয়ে দুলিয়ে গান করছে আবার একটু পর পর হাত উঠিয়ে আংটির উপর কিস করছে। মনে আনন্দ লেগেছে আজ মিষ্টির এতো দিন দুষ্চিন্তায় থেকেছে সব সময় বাই ইনি চান্জ যদি সবাই বিয়ের ব্যাপার টা জেনে যায়। কি বলবে মানবে নাকি মুখ ফিরিয়ে নিবে সেই চিন্তায় মিষ্টি দু চোখের পাতা এক করতে পারে নি। রাজের সাথে শেয়ার ও করতে পারে নি রাজকে নিজের দুষ্চিন্তার কথা বললে আমাকে বকে দিতো আর বলতো,,
এতো চিন্তা কেন করছো এসব বিষয়ে কেউ জানবে না আমরা না চাইলে। এটা গোপন থাকবে অযথা এসব ভেবে রাতের ঘুম হারাম করো না।
আমি যখন আবার বলতাম,,, বিয়ে কথা না হয় গোপন থাকবে, কিন্তু আমাদের বিয়ে কথা বলবেন কিভাবে? তারা যদি মানতে রাজি না হয় আপনার সাথে আমাকে।
তখন রাজ আমাকে আসস্ত করেছিল,, ওইসব নিয়ে তুমি মাথা গামিয়ু না আমি সব ম্যানেজ করে নেব। তোমার তো এক সর্ত আমি যাতে বিয়েটা গোপন রাখি ওইটা না বলেই বিয়েতে সবাইকে রাজি করানোর দায়িত্ব আমার উপর ছেড়ে দিয়ে নিষ্চিন্তে থাকো মাই ডিয়ার ওয়াইফ।
রাতে কথা গুলো বলেছিলাম রাজের এ কথায় কিছু টা শান্তি পেয়েছিলাম যার জন্য আমার চিন্তা ও কমে গেছিলো। চিন্তা হলে ও কম হতে থাকে আগের থেকে বাসার গিয়ে আমি ওতোটা চিন্তা ই করিনি শুধু রাজকে মিস করেছি। ওই দিন হঠাৎ বাসায় রাজের উপস্থিতি আমাকে সত্যি অবাকের চরম সীমায় পৌঁছে দিয়েছিল।
আর যখন জানতে পারলাম এনগেজমেন্ট আমি তো আর ও শক খেয়েছিলাম। সাথে অবিশ্বাস্য ও মনে হয়েছে ভেবেছি রাজ বেশিই ভাবছে এষব হবেঈ না অন্য কিছু হবে হয়তো। কিন্তু আবার সারপ্রাইজ হলাম সত্যি আমাদের এনগজমেন্ট পরিবারের সবার মতে ভাবতেই শরীরের প্রতিটি লোম খাড়া হয়ে গেছিলো। চোখ দিয়ে পানি পরছিল রাজ যা দেখে ব্যস্ত হয়ে পরে কেন? আসলে এটা কষ্টের না অতি আনন্দের যা আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না সব আমার কাছে সপ্ন মনে হয়েছে। যেন ঘুম ভাঙলেই এই সুন্দর সপ্ন টা শেষ হয়ে যাবে। রাজ যেদিন আমার বিয়ে করে সেদিন ও আমি খুশি হতে পারিনি। কারণ ভয় ছিলো সবার জন্য আনন্দ টা আমি নিরবে একা পেয়েছিলাম। কাউকে বলতে পারিনি সবাইকে ঠকিয়েছি এটা মনে হয়েছে বারবার।
কিন্তু আজ আমি সম্পূর্ণ সুখি। রাজ যখন সবার সামনে আমার অনামিকা আঙুলে আংটি টা পরিয়ে দিয়েছে তখন থেকেই অদ্ভুত প্রশান্তি পাচ্ছি। আন্কেল আই মিনরাজেয বাবা হাসি মুখে সবাইকে আমার আর রাজের কথা বলছিল নিচে আম্মু মিনার মুখে হাসি শুধু তখন মামুনিকেই দেখিনি আর সবাই কতো খুশি ছিলো যা আমার আনন্দের মাএা বারিয়ে দিচ্ছে।রাজ যে ভাবেই হোক সবাইকে মানাতে পেরেছে ভাবতেই রাজকে একটা চুমু দিতে ইচ্ছে করছে।
কথা টা নিজের মনে ভেবেই লজ্জায় লাল হয়ে গেল মিষ্টি। দু হাতে মুখ ঢেকে বসে রইল হঠাৎ কেউ ঘারে হাত রাখতেই লজ্জা আর পেল ও সিউর এটা নিশ্চয়ই রাজ রাজ এসেছে। চোখ না খুলে ওইভাবে বসে আছে হঠাৎ হাত টা নাই কেউ টান মেরে আমার মুখে থেকে হাত সরিয়ে নিলো আমার হাত ধরার সময় কেমন অন্য কারো হাতে মতো লাগছিল। সঙ্গে সঙ্গে চোখ মেলে তাকাতেই অট্রো হাসিতে ফেটে পরে মিনা রাগী মুখ করে ওর দিকে তাকিয়ে আছি। কি অসভ্য এভাবে কেউ হাত সরায়।
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুনl5
–এই তুই এখানে কি করিস আর এভাবে কিউ হাতে টান দেয় ব্যাথা করে দিলি।

–তা রে আপু তুই কি ভাবছিলি রে যে এতো লজ্জা যে মুখ ডেকে ছিলি। আর আমি ওইভাবে হাত সরিয়েছি কারণ আছে?

–কি কারণ?

–তুই আমাকে ভাইয়া ভেবেছিলি তাই না রে আপু।

— সাথে সাথ মিষ্টি বড় বড় চোখ করে মিনার দিকে তাকালো। ও বুঝলো কি ভাবে আমি কি বুঝেছি আমি যে রাজকে ভেবেছি এটা ও বুঝল কেমনে।

–এভাবে তাকিয়ে থেকে লাভ নেই আমি কিভাবে বুঝেছি তা তোকে বলতাম না।

–বল না কি করে বুঝলি?

–তোর লজ্জা,, বলুম না বলছিনা। যাই আমি ঘুমাতে জাআ নিতে আসছি তোর রুমে তো তখন ব্যাগ রেখেছিলাম।

–যাই মানে কোথায় যাবি।

–ঘুমাতে,,,

–ঘুমাতে এখানে শুবি না।

–না আম্মুর সাথি শুবো তার নাকি ভালো লাগছে না তাই।

–কেন কি হয়েছে আমাকি বলিস নি কেন চল আমি ও তোদের সাথে ঘুমাবো।

–না না তোর যাওয়ার দরকার নাই।

–মানে আমার যাওয়ার দরকার নাই কেন? কি বলতে চাইছিস মা অসুস্থ আমি যাবনা এক থাপ্পড় দিব কিন্তু।

–দূর এই জন্যই কারো ভালো করতে নেই। আম্মুর কিছু হয় নি।

–এই না বললি আম্মু অসুস্থ আবার এখন বলছিস কিছু হয়নি তুই কি পাগলী হলি কি সব বলছিস একেক সময় একেক কথা।

–আম্মুর কিছু হয়নি। ভাইয়া আমাকে ওই রুমে শুতে বলেছে।

মিষ্টি ভাইয়া শুনতেই শক খেলো রাজ মিনা কে মানা করেছে কেন? নিজে আসবে বলে অসভ্য লোক একটা মিনা কিনা কি ভাবছে কে জানে মিনাকে আর কিছু বলথে পারলো না মিনা জামা নিয়ে বেরিয়ে গেল রুম থেকে।

বারোটা বাজে মিষ্টি জেগেই আছে। ঘুম আসছে না কোন ভাবেই সেই কখন থেকে রাজের অপেক্ষা করছে কিন্তু রাজের পাত্তা নেই এখন ও আসে নি। সব সময় বিরক্ত লাগতো রাজ আসতো বলে কিন্তু আজ মিস করছে রাজকে। আসবে বলেছে মিনাকে তাহলে আসছে না কেন। রাজই আমার বদ অভাস তৈরি করেছে প্রতিদিন রাজির বুকে মাথা রেখে ঘুমাতে ঘুমাতে এখন আমার ভালো লাগছে না।
খাট থেকে উঠে বসলো মিষ্টি একবার কি যাবে রাজ কি করছে দেখতে যেই ভাবা সেই কাজ।
দরজা খুলে বাইরে বের হয় দু কদম এগুতেই দেখতে পায় কেউ উপরে থেকে নিচে নামছে ভালো করে দেখে এটা আন্কেল আই মিন রাজের বাবা মিষ্টি দৌড় দেয় উল্টো ঘুরে রুমে চলে আসে আর একটুর জন্য যদি আন্কেলের সামনে পরে যেতাম তাহলে কি বিচ্ছিরি কাণ্ড না হতো। বুকে হাত দিয়ে জোর জোর শ্বাস টেনে নেয়। খাটে শুয়ে পরে রাজকে বিয়ের ব্যাপারে অনেক কিছু বলতে চাইছিলাম আমার আনন্দের কথা । কিন্তু সে তো আসলোই না। চোখ বন্ধ করে ছিলো কখন ঘুমিয়ে গেছে খেয়াল নেই।

চারটার দিকে জাগানা পাই কারো শক্ত হাতে জরিয়ে আছি আমি তাকিয়ে দেখি রাজ আমাকে জরিতি ধরে ঘুমিয়ে আছে। উনি এখানে কখন এলো আমি তো অপেক্ষা করছিলাম অনেক ক্ষণ যেত ও চেয়েছিলাম কিন্তু আন্কেল কে দেখে আর সাহস করিনি। তার রুমে এসে শুয়ে ছিলাম কখন ঘুমিয়েছি মনে নেই আমি ঘুমানোর পরই এসেছে তাহলে আমাকে ডাকলো না না ডেকেই ঘুমিয়ে ছে। মিষ্টি রাজকে ডেকে জাগানা করলো,,

–কি হয়েছে ডাকছো কেন ঘুমাতে দিবে না নাকি আমি কিন্তু খুব টায়ার্ড একটু ঢ়মাতে দাও জান নরো না।

–আপনি কখন এলেন আমি তো অনেক ক্ষণ জেগে ছিলাম তখন তো আসেন নি।

–একটু বিজি ছিলাম তাই লেটহয়েছে আসতে তুমি তখন ঘুমে ছিলে।

–আমাকে ডাকলেন না কেন?

–এতো প্রশ্ন কেন করছো? ঘুমাও না সকাল হয়ে এলো তো।

— হোক আগে বলে নেন।

–ওফ মিষ্টি আমি কি বলবো?

–বিয়েটা কবে ঠিক হলো। সবাই ত বলছিলি এই সপ্তাহেই।

— হুম আমি না করে দিছি।

–মানে কি না করছেন?[ অবাক হয়ে ]

–বিয়ে

–বিয়েতে না করে দিছেন। তার মানে আপনি আমাকে বিয়ে করতে চান না তাই তো একা তো তখন জোর করে করলেন এখন সবাই দিতে চাইছে আপনি মানা করলেন কেন খরলেন বলেন এখন আবার সেটা বলছেন আমাকে জরিয়ে ধরে।

বলেই মিষ্টি রাজকে ধাক্কায় দিয়ে সরিয়ে দিলো কষ্টে ওর বুক ফেটে যাচ্ছে রাজ বিয়েথে না করতে পারলো কিন করলো এমন আবার আমাকে জরিতে ধরে আছে। রাজ আচমকা ধাক্কা খাওয়ায় ঘুমের রেশ কেটে গেল মিষ্টি কি বলছে ভালো করে শনে নিজেই ভিমরি খেয়ে পরলো এসব কখনো বলেছে। ঘুমের ঘোরে যে রাজ কি বলেছে কিসের উওর এ কিছু মনে নেই।

–কি হয়েছে জান এমন করছো কেন?

–একদম আমার কাছে আসবেন না আর কে আপনার জান এসব বলতে না করেছি আর বলবেন না। আমাকে বিয়ে করবেননা এটা কেন বলেছেন বলেন।

–হুয়াট কি বলছো জান বিয়ে করবো না কে বলেছে। বিয়ে তো করেই ফেলেছি আর আববু আম্মু ও রাজি সো নাসকেন করবো তুমি কি পাগল হলে এই ভাঝরাতে কি সব বলছো।

–কি আমি আমি পাগল? আপনি এই মাএ বলেছে বিয়েতে না করেছেন আর আমি কিছু বললেই পাগল হয়ে যাই তাই না।

রাজ মিষ্টির দিকে এসে মিষ্টি কে জরিয়ে ধরতে চায় মিষ্টি সরে বসে রাজ বুঝতে পারে ঘুমে কিছু গন্ডগোল করেছে তাই জোর করে মিষ্টি কে জরিয়ে ধরে মিষ্টি ছুটার চেষ্টা করে কিন্তু পারেনা।

–জান তুমি কি আমাকে বিশ্বাস করো না একটু ও। আমি তোমকে বিয়ে করবো না এটা বলি নি ঘুমে হয়তো গন্ডগোল হয়েছে তোমার বুঝতে বা আমার বলাতে। তোমাকে কতোটা ভালোবাসি কতোটা চাই সেটা তো এতোদিনে একটু হলেও বুঝেছো তাই না এখন যদি এসব বলো আমার খারাপ লাগে শুনতে। তোমাকে ঠকাবো আমি এটা বলতে পারলে তুমি তোমাকে ঠকানো মানে নিজেকে ঠকানো। তুমি আর আমি আলাদা নাকি যেদিন তোমায় ভালোবাসেছি সেদিন থেকেই তোমাকে নিজের ভাবি। আর আজ তুমি আমার স্ত্রী সবাই হয়তো জানে না তুমি তো জানো তাও এইটা ভাবলে কি যে তোমাকে সবার আড়ালে বিয়ে করেছৈ সবাইকি মানিয়ে রাজি করিয়েছে সে তোমাকে ঠকাবে।

–সরি কিন্তু আপনি যে বললেন বিয়েতে না করছেন??

–ওইটা বুজতে ভুল হয়েছি না কেছ ঠিকই কিন্তু বিয়েতে না। এখন যাতে বিয়ের আরেন্জমেন্ট না করে। কারণে তোমার এক্মাম এসে গেছে এইসবের মাঝে পড়ায় একদম মন দিচ্ছো না তুমি আমি চাইনা এসবের জন্য তুমি নিজের প।ড়ার ক্ষতি করো। এক্মামের পর বিয়ের অনুষ্ঠান হবে এটাই বলেছি না করিনি।

-মিষ্টি রাজের বুকে থেকে মাথা উঠিয়ে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। কতো ভাবে আমাকে নিয়ে আর আমি কিনা ভুল বুঝি আসলেই বিয়ে নিয়ে ভাবতে ভাবতে পড়ালেখার অনেক ক্ষতি হয়েছে আমার এক্মাম আমি ই ভুলে গেছিলাম।

–সরি,,,

–ইটস ওকি জান এভাবে বললে আমার কষ্ট হয়।

–আর হবে না এমন।

ইনোসেন্ট মুখ করে মিষ্টি সরি বলল রাজকে খুব খারাপ লাগছে নিজের কাছে এভাবে রিয়াক্ট করার জন্য। রাজের মনটা ভার লাগছে ভালো লাগছে না সব সময় কষ্ট দেয় মিষ্টি কি ভেবে যেন আবার মাথা উচু করলো রাজ ওকে ছেড়ে শুয়ে পরে মিষ্টি ও খাটে শুয়ে পরে পাশে কিন্তু রাজের জন্য খারাপ লাগছে হঠাৎ রাজের গালে চুমু দিয়ে বসে। রাজ শুয়েই চুখ বন্ধ ছিলো হঠাৎ গালে নরম স্পর্শ পেয়ে চোখ মেলে।

চলবে❤

লুকোচুড়ি ভালোবাসা ?পর্বঃ- ৩৫

0

লুকোচুড়ি ভালোবাসা ?পর্বঃ- ৩৫
#লেখিকাঃ-তানজিনা আক্তার মিষ্টি

— মামুনি কি হয়েছে তোমার পরে গেলে কিভাবে তুমি? কোথায় লেগেছে তোমার বলো আমাকে আর এখন তুমি বাগানে কি করছো। ওইখানে না থেকে এখানে কেন এসেছো বলো।

মিষ্টি ওর মামুনির পাশে বসে একের পর এক কথা বলেই চলেছে। ওর মাথায় আসছে না এখন ওর আর রাজের এনগেজমেন্ট হলো তখন মামুনি ওদের কাছে না থেকে এখানে কি করছে। আর পড়লো কি করে?

–আম্মু আর ইউ ওকে। তুমি ঠিক আছো।

–হ্যা আমি ঠিক আছি তোরা চিন্তা করিস না। হঠাৎ এমন ভাবে হাত ছাড়িয়ে চলে গেল যে নিজেকে সামলাতে না পেরে পরে গেছি। মিষ্টি মা আমাকে ধরে উঠা আমি উঠতে পারছি না।

–কি বললে মামুনি হাত ছাড়িয়ে গেছ মানে কে গেছে বুঝলাম না। কে ছিলো তোমার সাথে আর এভাবে তোমায় ফেলে দিলো।

রেহেনা বেগম তালে তালে বলে ভয়ে ভয়ে রাজের দিকে তাকায় রাজ যদি জানে মারিয়ার জন্য এতো কিছু তাহলে তো ও কি করে বসবে ঠিক নেয় আর আজকে ছেলেটার জীবনের স্পেশাল দিনের মধ্যে একটা এইসব বলে নষ্ট করতে চায় না।

–না কেউ না কি বলতে বলেছি আমি একাই পরে গেছি।

— একাই তুমি কেবল না বললে কেউ হাত……

–[ রেহেনা বেগম কথার মাঝে আটকে দেয়] দূর কি বলতে কি বলেছি আসলে পরে গিয়ে অনেক ব্যাথা পেয়েছি তো এই দেখ উঠতে পারছি না আমাকে ধরে রুমে নিয়ে চল তো কথা বাদ দিয়ে।

রাজের দিকে মিষ্টি তাকায় রাজ এতোক্ষন আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকলেও এখন পেছনে তাকিয়ে কাউকে খুজছে। মুখে রাগ স্পষ্ট এদিক ওদিকে তাকাতাকি করছে। মামুনির সামনে কিছু জিগ্গেস ও করতে পারছি না। মামুনিকে উঠাতে গেলাম একা উঠানো কষ্ট হচ্ছে তাও একাই চেষ্টা করছি হঠাৎ রাজ আমাদের দিকে ফিরে রেগে তাকায় আমার দিকে। রাগের কারণে বুঝছি না আমি আমাকে রাগ দেখাচ্ছে কেন?

রাজ এসে মামুনিকে ধরে তুলল তারপর দুজনে ধরে রুমে এনে মামুনিকে শুইয়ে দিলাম। মামুনি নাকি বেশি ব্যাথা পায় নি বলল তাই আর ডাক্তার ডাকা হলো না আইস ব্যাগ এনে মাজায় দেওয়া হলো আমার মা এসে মামুনির পাশে বসে সেবা করতে লাগলো। নিচে সবাই খাওয়া দাওয়া করেন চলে যাবে আর কিছু হবে না আন্টির এই অবস্থায়। রাজকে খুজছি কাকে যেন খুজলো দেখলাম এখন আবার কই গেল।

–মিনা তোর ভাইয়াকে দেখেছিস।

–হ্যা আপু ভাইয়া তো বাগানের দিকে গেল কেন কি হয়েছে?

–কিছু না এমনি।

বলেই মিষ্টি বাগানের দিকে যেতে লাগলো কিন্তু মাঝ পথে আটকে গেল আন্কেল পেছনে থেকে ডাকছে।

–জি আন্কেল কিছু বলবেন?

–এদিকে এসো আমার বন্ধুদের সাথে তোমার আলাপ করিয়ে দেয়।

মিষ্টি আর কি করবে রাজের কাছে যাওয়ার থেকে এখানে থাকা বেশি ইম্পটেন্ট। মিষ্টি তার পাশে গিয়ে দাড়ালো আর পরিচয় করাতে লাগলো আমার ছেলের বউ ইত্যাদি বলে।

এদিকে রাজ ওখানেই যেতেই মারিয়াকে দেখেছে। তাই ওর বুঝতে বাকি নেই যে এই কাজটা কে করেছে মা অশান্তি চায় না তাই লুকিয়ে গেছে। রাজ মারিয়াকে আটকে দিয়েছে একজনের সাহায্যে আর সে হলো দাড়োয়ান কাকা আম্মুকে রুমে দিয়ে এসেই আবার এখানে এসেছে আজকে আর ওকে ছাড়বে না একেতে বিয়ে ভালোবাসা এসব নিয়ে মিথ্যে বলেছিল এখন আবার আম্মুর ক্ষতি করার টাই করেছে। রাগে ওর কপালের রগ ফুলে উঠছে। মারিয়ার সামনে যেতে মারিয়া কান্না শুরু করে দেয়।
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
–রাজ বিলিভ ইট আমি ইচ্ছে করে আন্টি কে ফেলি নি। আসলে তখন তোদের এনগেজমেন্ট হচ্ছিলো আমি কি ভাবে আটকাবো ভেবে পাচ্ছি লাম না তার উপর আন্টি আমায় আটকে ধরে তাই তারাহুরা করে হাত ছাড়িয়ে যেতে নেয় আর এসব ঘটে। এতে আমার কোন দোষ নেয় রাজ আন্টি নিজে নিজের জন্য দোষ আমাকে না আটকালে আমি এমন করতাম না। তুই তো জানিস আমি তোকে কতোটা ভালোবাসা সি তোর জন্য আমি কি কি করতে পারি। তুই প্লিজ ওই মেয়েকে ছেড়ে আমার কাছে ফিরে আয় রাজ। তোকে ছাড়া বাচবো না আমি।

মারিয়া কথাগুলো বলতে বলতেই কান্নায় ভেঙে পরে।

–স্টপ দিজ। নেকা কান্না বন্ধ কর এসব আমার দেখতে ইচ্ছে হয় না তুই আমাকে ভালোবাসি মানলাম কিন্তু তুই এটাও জানিস আমি তোকে ভালোবাসি না সব জেনে শুনে তুই আমার পরিবারের সবাইকে মিথ্যে বলেছিলি কেন?

–তোকে পাবার জন্য। তোকে আমি হারাতে পারবো না তাই।

–জোর করে ভালবাসা হয়না সেটা কি তুই জানিস না।

–আমি কিছু জানতে চাইনা আমি শুধু তোকে চাই এতে জোর করতে হলে আমি করবো। তুই আমাকে বিয়ে করবি বল।

বলেই মারিয়া রাজের হাত আকড়ে ধরে। রাজ সঙ্গে সঙ্গে হাত ছাড়িয়ে নেয়।

–এতো কিছু করেছিলি তাও কিছু বলিনি আম্মুর জন্য। আর আজকে আম্মুকেই কষ্ট দিলি তুই।

–আমি ইচ্ছে করে কিছু করিনি।

–তুই ইচ্ছে করেই করেছিস।

–না ইচ্ছে করে করিনি।

–তোকে পরিষ্কার কিছু কথা বলি আমি শুধুমাত্র মিষ্টি কেই ভালোবাসি আর ওকেই বিয়ে করবো। সারাজীবন ওর সাথেই কাটাবো মাঝে তুই কোথায় ও নেই। তুই আমার জাস্ট একটা ফ্রেন্ড এর থেকে বেশি কিছু না। কথাগুলো মাথায় ভালো করে ঢুকিয়ে নে। আম্মু তোর জন্য কষ্ট পাচ্ছে তোর জায়গার অন্য কেউ থাকলে কি করতাম জানি না। তোকে ভালো ফ্রেন্ড মনে করি তাই কিছু বলছি না নেক্মট এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকবি।

— আমি কিছু করবো না শুধু আমাকে মেনে নে।

–এটা অসম্ভব।

–যা বাসায় যা বন্ধ বলে পার পেলি সেটা মাথায় রাখিস। আবার কিছু করলে ছারা পাবি না।

রাজকথা গুলো বলেই ভেতরে চলে গেল।

মিষ্টি এদিক টা পরিচয় পর্ব শেষ হতেই তারাতারি বাইরে যেতে লাগলো দরজায় বাইরে পা রাখতেই রাজকে এদিকে আসতে দেখলো।

–কোথায় যাও?

মিষ্টি রাজকে দেখেই দাড়িয়ে পরে রাজ এসেই প্রশ্ন ছুড়ে।

–কি হলো কোথায় যাচ্ছিলে?

–না মানে আসলে,

মিষ্টি কি বলবে বুঝতে পারছে না ও যে রাজের পিছু নিতে চাইছিলো বললে রাজ বকে দিবে তাই কি বলা যায় ভাবছে।

মিষ্টির ভাবনায় মাঝেই রাজ মিষ্টি হাত ধরে ভিতরে ঢুকে এলো।

–আপনি কি কাউকে খুজেছিলেন তখন।

–কখন

স্বাভাবিক ভাবেই বলল রাজ।

–মামুনি যখন ব্যাথা পেয়েছে।

এটা শুনার সাথে সাথে রাজ নড়েচড়ে বসলো। মিষ্টি কে জানতে দিতে চায় না মারিয়া এতো কিছু করেছে।

–না তো।

— না আমার যে মনে হলো কাউকে খুজছেন।

–ধ্যাত কাকে খুজবো আমি। আর যাকে সব সময় খুজতাম এখন সে তো আমার কাছেই আছে আর কাকে খুজবো বলেই রাজ মিষ্টি কে কাছে টেনে নেয়।

মিষ্টি নিজেকে ছারানোর চেষ্টা করতে থাকে।

–ছারুন আপনি কিছু লুকিয়ে করছেন না তো আর হঠাৎ সবাই এনগেজমেন্টের আয়োজন করলো আর আপনি সিউর ছিলেন কিভাবে বলেন।

–আরে আমি কিছু বলিনি সত্যি শুধু আম্মু বলেছিলো কাউকে ভালোবাসি কি না আর আমি তো মিথ্যে বলিনা তাই বলে দিয়েছি। আর সব আববু আর আম্মু করেছে।

–হঠাও কাউকে ভালোবাসেন কিনা তাদের মাথায় এলো কেন?

–ছেলে বড় হয়েছে বিয়ে করাবে বলে। তুমি এতো কিছু জানতে চাইছো কেন খুশি হও নি এসবে।

রাজের কথায় অভিমান দেখতে পেল মিষ্টি তাই আর কিছু জিগ্গেস করলোনা।
আর কিছু বললো ও না শুধু রাজকে জরিয়ে ধরে বুকে মুখ গুজে রইলো।

বিয়েয ডেট ও ফাইনাল করে ফেলেছে মিষ্টির মার সাথে কথা বলে খুব তারাতারি কাজ শেষ করতে চাই দুই পরিবার ই।

চলবে❤

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা ?পর্বঃ- ৩৪

0

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা ?পর্বঃ- ৩৪
#লেখিকাঃ-তানজিনা আক্তার মিষ্টি

মারিয়ার খুশি যেন আর ধরেছে না। আনন্দে আত্ম হারা হয়ে আছে এই বুঝি বলে উঠবে ওর আর রাজের কথা। কান খাড়া করে তাকিয়ে আছে কিন্তু বলতে এতো লেট করছে যে ও অধৈর্য হয়ে পরছে। রাজের আববু তো ছেলের ছোট থেকে সব কথা বলে চলেছে। মারিয়ার তর সইছে না কখন বলবে। অস্থির হয়ে আছে। অবশেষে অপেক্ষার প্রহর ঘটিয়ে বলে লাগলো।

–আজ আমার একমাএ ছেলে রাজের এনগেজমেন্ট সেটা একটু আগেই বলেছি। কিন্তু কার সাথে তা আপনারা এখন ও জানেন না। এখনই জেনে যাবেন সেই কে আমার ছেলের ভালোবাসা সে। আমরা ও ছোট্ট বেলায় ই তাদের বিবাহ ঠিক করে রেখেছিলাম। তা না জেনে ও তারা একে অন্যের ভালোবাসে। মাই সান রাজ মিষ্টি কে নিয়ে এখানে আসো সবাই তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।

রাজ মিষ্টি কে নিয়ে যেতে বলাতেই মারিয়ার চোখ বড় বড় হয়ে উঠে সাথে অবাকের চরম সীমায় পৌঁছে যায় কি বলছে কি উনি। রাজকে মিষ্টিকে নিয়ে যাওয়ার কথা বলল কেন কি হচ্ছে এসব। মারিয়া দৌড়ে স্টেজে যেতে যাবে না এসব হতে দেওয়া যাবে না আমাকে ঠকানো হচ্ছে এনাউজমেন্ট তো আমার আর রাজের হওয়ার কথা ছিলো তাই তো তাহলে এখানে মিষ্টির নাম আসলো কিভাবে। রাগে ওর শরীর কাপছে এর কৈফত তো দিতেই হবে আমি থাকতে রাজের সাথে ওই মেয়েটার হতে দেবো না কিছু তেই না আমাকে ঠকানোর শাস্তি তো পাবেই। এক কদম এগিয়ে যাবে তার আগেই পুরো ডয়িং রুমের লাইট অফ হয়ে যায় আচমকা লাইট অফ হওয়ায় মারিয়া এগুতে পারে না। তার পর হঠাৎ করেই লাইট জ্বলে উঠৈ কিন্তু পুরো জায়গায় না লাইট যেখানে জ্বলে সেদিকে তাকাতেই মারিয়া আগুন হয়ে যায় রাজ আর মিষ্টি উপর লাইট জ্বলেছে। মারিয়া সেদিকে যেতে যাবে হঠাৎ ওর হাত কেউ শক্ত করে ধরে নেয়।
কিছু বুঝে উঠার আগেই সেই মারিয়াকে টেনে কোথায় যেন নিয়ে যেতে লাগে।

.“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন

মিষ্টি নরতে পারছে না কথা শুনা মাএ ওর শরীর অবশ হয়ে গেছে। রাজের উপর নিজের ভার ছেড়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে। রাজ অবশ্য আগে থেকে সব বলেছিল কিন্তু মিষ্টি বিশ্বাস করে নি। এখন তো আর অবিশ্বাসের কিছু নেই।

–মিষ্টি আর ইউ ওকে তুমি ঠিক আছো তো।

মিষ্টি নিজেকে সামলিয়ে নিয়ে চোখ মেলে তাকায়। রাজের মুখ দেখে ওর দিকে তাকিয়ে আছে চিন্তিত হ য়ে মিষ্টি সোজা হয়ে দাড়িয়ে মাথা নেড়ে সায় দেয়।
কথা বলতে পারছে না মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না মিষ্টি ও অতি আনন্দে নিরব হয়ে গেছে যা এতো সহজে পেয়ে যাবে ওর কল্পনার বাইরে ছিলো। কিন্তু ওর মনে হচ্ছে রাজ কিছু তো করেছে না হলে কিছু হতো না ও না বললে ও আমি জানি। এখন জিগ্গেস করার সময় না
পরে জিগ্গেস করতে হবে। কথার মাঝে লাইট অফ হয়ে যায় আর সাথে সাথে আবার জ্বলে উঠে শুধু আমাদের উপর।

–এটা কি হলো শুধু আমাদের উপর কেন?

–সেটা তুমি বুঝবে না চলো।

–আমার খুব লজ্জা লাগছে সবাই আমাদের দেখছে আর চিৎকার করছে লাইটা অফ করুন।

— কি বলছো অফ কেন করবে এটা আমাদের জন্য সবাই আমাদের দেখার জন্য ওয়েট করছে। আর স্পেশালি তোমাকে সো একটু আয়োজন তো হবে লজ্জা লাগবে ওইদিকে তাকালে। আমার দিকে তাকিয়ে চলো তাহলে আমার লজ্জা করবে না।

বলেই রাজ নিজের হাতে মিষ্টির হাত নেয়। স্টেজে দিকে যেতে থাকে আশেপাশের সবাই তো চিৎকার করে অনেক কিছু বলছে।

মিনা আর মিনার মা ও একসাথে মিষ্টিকে দেখছে দুজনের মুখে হাসি। মিষ্টির মা তো আনন্দে কেদে দেওয়ার মতো অবস্থা সে চাইতো এই বিয়েটা হোক কিন্তু ভয়ে ও ছিলো যদি না হয় ছোট্ট বেলায় কথা যদি তার বান্ধবী না রাখে এখন তার বান্ধবীর প্রতি আর ও ভালোবাসা তৈরি হচ্ছে। এমন একটা ফ্যামিলিতে মেয়েকে দিয়ে সে চিন্তা মুক্ত থাকত পারবে।

বোনের খুশি তে মিনা ও প্রচণ্ড খুশি হয়েছে সে তো জানতো আপু ভাইয়াকে কতো ভালোবাসে তারা এক হবে ভাবতেই ভালো লাগছে।

স্টেজে দাড়িয়ে আছে মিষ্টি পাশে আন্কেল ও আরেকপাশে রাজ খুব নার্ভাস লাগছে এভাবে সবাই তাদের দিকে দৃষ্টি দিয়ে রেখেছে লজ্জা মাথা উচু করতে পারছে না মিষ্টি।
রাজ আর আমাকে একে অপরেরে দিকে তাকিয়ে আছি পাশে মিনা রিং এনে দুজনের হাত দুইটা দিলো। রিং হাতে নিয়ে আছি মিনার দিকে তাকাতেই, ইশারায় পরিয়ে দিতে বললো লজ্জা নিয়ে পরিয়েয়ে দিতে রিং সামনে এগিয়ে নিলাম। রাজ কিছু বলবে মনে হয় ফিসফিস করছে কিন্তু আমি মাথা উচু করে ওর দিকে তাকাতে পারিনি খুব লজ্জা করছে। উপায় না পেরে বেচারা হাত এগিয়ে দিলো রাজের হাত ধরতে ও আমার কেমন জানি ফিলিংস হচ্ছে।কাপছি আমি খুব ওইভাবেই রাজের আঙুল এ আংটি পরিয়ে দিলাম সাথেসাথে চারপাশ থেকে হাত তালি কানে এলো।

–ভালোবাসি আর সারাজীবন ভালোবাসবো। জীবনের শেষ নিশ্বাস পযর্ন্ত তোমার সাথে কাটাতে চাই। সুখে দুঃখে তোমাকে আমার পাশে চাই। কখনো ভুল বুঝ না এই রাজ শুধু তার এই মায়া পরীকেই ভলোবাসে। কোন পরিস্থিতিতে ছেড়ে যেও না হাতে হাত রেখে বহু দূর যেতে চাই। বেষ্ট কাপেল হতে চাই। কী হবে তো থাকবে তো পাশে।

মিষ্টি মাথা নেড়ে সম্মতি দেয় রাজ রিংটা হাতে পরিয়ে একটা কিস করে উঠে দাড়ায়।

.

–আপনি আমাকে এখানে কেন নিয়ে এলেন। আর এসব কি হচ্ছে রাজের সাথে আমার নাম এনাউজমেন্ট করার কথা ছিলো কিন্তু এখন সেখানে মিষ্টি নাম কি করে এলো। কী হলো আপনি এভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন কেন রাজকে আমি ভালোবাসি সেটা আপনাকে আগেই বলেছি । এভাবে আমাকে মিথ্যা বলে এখানে এনে অন্য জনের সাথে আপনারা আভাকে ঠকাচ্ছেন কিন্তু।

— কি বললে ঠকাচ্ছি?[ রাজের আম্মু মারিয়াকে ওখানে থেকে টেনে বাগানে নিয়ে এসেছে। ]

— ইয়েস ধোকা দিলেন আমাকে সরুন আমার সামনে থেকে এই এনগেজমেন্ট আমি কিছু তেই হতে দেব না। রাজ কে আমি ভালোবাসি ষসো লাজ শুধু আমার আপনাদের সাথে অনেক ভালো ব্যবহার করেছি কিন্তু বিনিময়ে কি পেলাম। এভাবে ঠকালেন।

বলেই মারিয়া রেহেনা বেগমকে সরিয়ে এগিয়ে যেতে চাইলো কিন্তু পারলো না ওর হাতে টান পরলো।

–হাত ছারুন।

–একদম এখানে থেকে এক পা নরার চেষ্টা করবে না তাহলে ফল ভালো হবে না।

–কি করবেন আপনি?

–অনেক কিছু করতে পারি কিন্তু কিছু করতে চাইছি না। সোজা একটা কথা বলতে চাই তুমি যে মিথ্যে বলে রাজের জীবনে ঢুকতে চেয়েছিলে তা আমরা জেনে গেছি।

–হুয়াট কি বলছেন কি মিথ্যে বলেছি আমি।

–নাটক করো না রাজ তোমাকে ন য় মিষ্টি কে ভালোবাসে। আর তুমি আমাদের কি বলেছিরে রাজ তোমাকে ভালোবাসে এতো ব ড় মিথ্যাচার কেন করেছো।

–এটি ঠিক মিথ্যে বলেছি কিন্তু রাজকে ভালোবাসি এতে কোনো মিথ্যা ছিলো না। আমি রাজকে খুব ভালোবাসি ওকি ছাড়া বাচতে পারবো না আমি কিন্তু ও আমাকে ফ্রেন্ড ছাড়া কিছু ভাবে না তাই আমি আপনাদের মিথ্যে বলেছি শুধুমাত্র ওকে পাওয়ার জন্য। এটা কি আমার অপরাধ যাকে ভালোবাসি সে আমাকে না অন্য কাউকে ভালোবাসে জেনে কি করতাম তাই তো আপনাদের কাজে একটু মিথ্যা বলে রাজকে নিজের করে পেতে চেয়েছি। এটা যদি আমার অপরাধ হয় আমি এই অপরাধ করেছি করবো কিন্তু রাজ শুধু আমার ওই মিষ্টি কে রাজকে পেতে দেব না।

–তুমি বাবুন কে ভালোবাস বুঝলাম কিন্তু জোর করে ভালোবাসা পাওয়া যায় না তা কি জানো। এক তরফা ভালোবাসা কখনো সফল হয় না। তুমি মিথ্যাচার করে খুব বড় অপরাধ করেছো কিন্তু আমি তোমার ভালোবাসা বাবুনের প্রতিদেখে কিছু বলতে চাইনা। অতিরিক্ত ভালোবাসা বলে তুমি ঠিক ভুল বুঝতে পারছো না কিন্তু তোমাকে বুঝতে হবে বাবুন তোমার জন্য ন য় সে মিষ্টি কে ভালোবাসে ওক নিয়ে সুখি হবে এর মাঝে তুমি এসো না। নিজেকে সামলিয়ে নাও তোমাকে ভালোবাসে এমন কেউ হয়তো তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।

–অন্য কাউকে আমার চাইনা আমার শুধু রাজকেই চাই।

–এটা সম্ভব না। রাজ তোমার এই সব জেনে কতো টা রিয়াক্ট করেছিল জানো তোমাকে সামনে পেলে না জানি কি করে বসে। তোমার ভালো র জন্য বলছি চলে যাও।

–রাজ কে বলতে মানা করেছিলাম আপনি রাজি ও হয়েছিলেন তাহলে রাজ জানল কি ভাবে।

–তুমি হয়তো জানো না রাজ আমার একমাএ ছেলে আমাদের আর বেবি নেই বলতে হয়নি। অনেক কষ্টের ফলে এক ছেলের মা হয়েছি তাকে আমরা জান দিয়ে ভালোবাসি। তার জীবনের এত বড় সিদ্ধান্ত তাকে না জানিয়ে করতে পারতাম না তবুও চুপ করেই ছিলাম কিন্তু হঠাৎ করেই পরশো রাত ও সব জেনে যায় রাজ আমরা বলতে চেয়ে ও বলিনি ও আমাদের কথায় মাঝেঢুকে পরে। আর আমি যখন জানলাম তুমি মিথ্যে বলেছো কি যে রাগ হয়েছিল বলে বুঝাতে পারবো না কিন্তু নিজেকে শান্ত রাজকে শান্ত করি। আর তোমার জায়গার মিষ্টির কথা বলে দেয়।

–যাই হোক আমি এই এনগেজমেন্ট কিছু তেই হতে দেব না ছারুন। আপনি আমার সাথে প্রতারনা করেছেন। কিছু জানতে চাইনা জানতে ও চাইনা।

মারিয়া রেহেনা বেগম কে ধাক্কা দিয়ে ছাড়িয়ে দৌড়ে ভেতরে যেতে থাকে কিন্তু এগুতে পারে না সামনে রাজ এসে দাড়ায় রাজকে দেখে একটু পিছিয়ে দাঁড়ায়। রাজ রক্ত লাল চোখ দিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। রাজে রেগে কিছু বলতে যাবে কিন্তু বলতে পারে না কেঅ পেছনে থেকে চিৎকার করে উঠে বাবুন বলে। মারিয়াকে সামনে থেকে সরিয়ে পেছনৈ তাকিয়ে আতকে উঠে নিচে বসে কাতরাচ্ছে ওর আম্মু।

–আম্মু…

মারিয়ার ওই ধাক্কায় নিজেকে সামলাতে না পেরে নিচে পরে মাঝায় ব্যাথা পেয়েছে। সহ্য করতে না পেরে চিৎকার করে উঠে। মিষ্টি রাজের পিছু নিয়েছিল একটু আসতেই রাজের চিৎকার শোনে দৌড়ে আসে আর মামুনিকে এভাবে পরে থাকতে দেখে নিজেও তারাতারি তার পাশে বসে জিগ্গেস করতে লাগে কি ভাবে কি হয়েছে?

চলবে❤

[ সবার বকা শুনে ভয় পেয়ে গেছিলাম আলাদা করলে আমায় তো সবাই কাচাঁয় খেয়ে ফেলতেন। ওফ আল্লাহ কি বকা টাই না শুনলাম তাই আর রিক্ম না নিয়ে এক করে দিলাম। এবার সবাই আমাকে বকা দেওয়া অফ করে বিয়ে খাওয়া জন্য গিফট এর ব্যবস্থা করে ফেলুন]

লুকোচুড়ি ভালোবাসা?পর্বঃ- ৩৩

0

লুকোচুড়ি ভালোবাসা?পর্বঃ- ৩৩
#লেখিকাঃতানজিনা_আক্তার_মিষ্টি

পুরো বাসা আত্মীয় স্বজন এ ভরপুর। কি জন্য এতো কিছুর আয়োজন তা না জানা রাজ ও মিষ্টি। রাজ ও জানে না আর মিষ্টি ও রাজের ওই কথা গুলো শুনার পর থেকে লজ্জা পেয়ে আর মামুনি কে বলতে পারেনি সত্যি যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে জিগ্গেস করে আর লজ্জা পেতে চায় না মিষ্টি। লজ্জা ভয় যাই পাক না কেন মনেমনে চাইছে রাজের কথা গুলো যেন সত্যি হয়। তাহলে রাজকে পাওয়া হবে আর আমাদের বিয়ের কথা ও চাপা পরে যাবে। রাজকে তো বিশ্বাস নেই সবাই রাজি না হলে তখন আমাকে তোয়াক্কা না করে বিয়ের ব্যাপারটা না তুলে বসে। আর আমি চাইনা এমন কিছু হোক তাহলে মামুনি এতো ভালোবাসা আর থাকবে না আমার প্রতি যতই হোক এমন বিয়ে কেউ মেনে নেয় না। আর আমার মা জানলে তো আমাকে কি যে করবে বলবে লেখা পড়া করতে পাঠিয়েছিলাম আর তুমি বিয়ে করে বসে আছিস। সবাই ভুল বুঝে দূরে ঠেলে দেবে না এমন কিছু কখনো হতে দেওয়া যাবে না।

পাচঁটা বাজে,,
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে আছে মিষ্টি কাজ কাম সব শেষ এখন শুধু সবার আশার পালা। গায়ে কাটা দিয়ে আসছে মামুনিরা আমাকে নিয়ে রাজকে ভাবছে। এটা কেন জানি বিশ্বাস হচ্ছে না মনে মনে ভয় হচ্ছে না জানি হয়। আনন্দ ও হচ্ছে সাথে মনটা কূ ডাকছে খারাপ কিছু হবে মনে হচ্ছে খুশি হতে চাইছি কিন্তু খুশি হতে পারছি না। ভেজা চুপ ছেড়ে আয়নার সামনে গিয়ে দাড়িয়ে নিজকে দেখতে লাগলো মিষ্টি আমি কি রাজের জন্য পারফেক্ট আজকে ওর জন্য আমাকে সাজতে হবে খুব করে যেন রাজ তার মিষ্টির থেকে চোখ সরাতে না পারে। রাজ কাল রাতেই বলে রেখেছে আজ যেন ভালো করে সাজ গোজ করে নিচে যায়। ড্রেস ও রাজ সকালেই নিয়ে এসেছে কেউ তা জানে না লুকিয়ে আমি পরতে বাদ সেধে ছিলাম কিন্তু সে বলে আজকে না সেজে গেলে আমার খবর করে দিবে। এই ড্রেস পরলে মামুনিরা তো জিগ্গেস করবে এটা কোথায় পেলাম। চিন্তা মাথায় এলে ও রাজের জন্য ভয় করে পরতে মন স্থির করলাম।
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
রাজ সাদার মাঝে গোল্ডেন কালারের কাজের একটা গাউন এনেছে। লম্বা হাতা ফুল অনেক সুন্দর জামা টা এমন জামা আগে কখনো আমার পরা হয় নি। রাজকে বলেছি ছিলাম এসব পরে তো আমি অবস্থ না এগুলো কেন এনেছে আমার জন্য ও বলেছে। অভস্থ না হলেও পরতে হবে আজকে যদি সত্যি আববু আমাদের বিয়ের সারপ্রাইজ দেয় তাহলে সবার সাথে তোমাকে আমার উডবি বলে পরিচয় করে দিবে তখন সবাই যখন দেখবে তুমি ভালো কিছু পরো নি তখন সবাই অন্য ভাবে তাকিয়ে দেখবে। আর আমি চাইনা আমার বউ কোথায় এ নিচু হোক সব জায়গায় তোমাকে উচো হতে হবে বুঝেছো। রাজের কথা গুলো আমার খুব ভালো লেগেছে আমাকে রেডি হতে বলে আবার স্টেশনে মা আর মিনা কে আনতে গেছে। মামুনির জরাজরি তে আজকে আসবে আবার কাল সকালেই চলে যাবে মিনার আজ এক্মাম নেই আজ কাল ও নেই পরশো আছে। গনিত পরিক্ষা তাই দুই দিন অফ তাই আসতে পারবে তারা।

–আপু

মিনার আওয়াজ কানে আসতে মিষ্টি ড্রেস টা রেখে দিলো এসে আবার কতো কথায় না বলে উঠে কে জানে মিনা দৌড়ে এসে আমাকে জরিয়ে ধরলো।

–আপু আমি তো সেই খুশি তোর আর ভাইয়া বিয়ে ওফফফ বলে বুঝাতে পারবো না কতো খুশি হয়েছি আমি সারা রাস্তায় আমি কেমন করেছি জানিস না কখন তোর আর ভাইয়ারসাথে দেখা হবে আমার।

–ছার তো এভাবে কেউ ধরে ছার আমাকে।

বলেই মিষ্টি জোরে ছারিয়ে নিলো নিজেকে।

–আপু তুই একটু ও ভালো না আমাকে একটুও ভালোবাসিস না। আমি তোদের জন্য এতো কিছু করলাম আর এখন এভাবে ইগনোর করছিস।

–কি করছিস তুই? আর কি ইগনোর করলাম।

–এই যে ভাইয়া বিজি বলে চলে গেল তুই কথা বলছিস না একটু ধরলাম তাতেও ফুসকা পরলো। ভাইয়া যখন ধরে তখন তো ঠিকই ভালো লাগে বোন ধরলেই এমন বিহেভ তাই না।

–মিনা মাইর রাগাবো কিন্তু এসব কি বলছিস ছোট ছোটর মতো থাক। দেখছিস না আমি চিন্তিত আর তুমি এসব ফাউল কথা বলে আমার মাথা খাচ্ছিস।

— চিন্তিত কেন কি হ য়েছে।

–জানি না রে আমার মন কু ডাকছে কিছু একটা ঘটবে সেটা ভালো না খারাপ বুঝতে পারছি না।

–অবশ্যই ভালো কিছু হবে।তুই নেগেটিভ কিছু মাথায় আনিস সবাই নিচে এসে গেছে মনে হয় চিৎকার কানে আসছে তুই এখন ও কিছু করীস নি রেডি হও তারাতারি। ও মাই গড সো সুইট ড্রেস এটা নিশ্চয়ই ভাইয়া এনে দিয়েছে তাই না আপু।

–হুম।

–চল তোকে রেডি করে দেয়।

মিষ্টি মন মানতে না চাইলেও রেডি হতে রাজি হলো। ড্রেস পরে এসে হালকা সাজতে লাগলো আয়নার সামনে দাড়িয়ে কিন্তু হালকা সাজতে দিলো না মিনা। পাকনামো শুরু করে দিলো ও রেডি করে দেবে না করলে ও শুনবে না তাই বাধ্য হয়ে ই বসলাম ওর পাশে ও কিন্তু বলে দিলাম বেশি গরজিয়াস যেন না সাজায়। রাজি হলো বেশি গরজিয়াস সাজাবেনা। ওই দিন শাড়ির পরিয়েছিল অনেক বেশি গরজিয়াস হয়েছিল আজকে যেন তেমন না হয়।

আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে দেখছি এতোটা সুন্দর কি আমি। নিজেকে চেনে যাচ্ছে না অন্য রকম লাগছে একদম। সুন্দর লাগছে অনেক।

–কি কেমন সাজিয়েছি বল তো আজকে শুধু ভাইয়া না পার্টির সবাই হা করে তাকিয়ে থাকবে তোর দিকে।

আমি কিছু বলতে যাবো ওমনি রাজ রুমে প্রবেশ করে ও তো দরজায় কাছে এসেই হা করে তাকিয়ে আছে চোখে যেন পলকই পরছে না। আমি ওর দিকে তাকিয়ে আর ও হা হয়ে যায় আমার ড্রেস এর সাথে ম্যাচিং করে পরেছে রাজকে ও খুব সুন্দর লাগছে। আমি আর রাজ দুজন দুজনের দিকে হা করে তাকিয়ে আছি মাঝে মিনা চিৎকার করে উঠলো আর দুজনেই নিজেদের সামলে নিলাম।

–আপনার বউ কে কেমন সাজিয়েছি বলেন।

–বিউটিফুল শালিকা। আজ তো চোখ সরানো দায় হয়ে পরবে।

–তা তো হবে আমার গিফট দেন এখন এতো কষ্ট করে আপনার বউকে যে সাজালাম।

–গিফট ওকে যাও পরে দিয়ে দেবো এখন তোমার নিচে আসো।

বলেই রাজ নিচে চলে গেল।

.
.

মিষ্টি আর মিনা নিচে সবার মাঝে দাঁড়িয়ে ছিলো মিনা হঠাৎ কোথায় যেন চলে যায় এখন মিষ্টি একাই আছে নানা মানুষের ভীড় সব মুখ অপরিচিত কাউকে চিনি না। রাজকে ও আর দেখি নি কোথায় আছে কে জানে এখানে একা সবার মাঝে কেমন জানি লাগছে। সবাই পার্টি মেন কারণে টা জানতে আগ্রহী হয়ে আছে সবাই কানা ঘোষা করছে কি জন্য এই পার্টি কিন্তু এখন ও বলে নি। কি জন্য পার্টি ভাবতে ভয় করছে কতো কিছু ভেবে রেখেছে রাজ এখন যদি অন্য কিছু হয় তখন কি হবে।

হঠাৎ কাধেঁ কারো ছোঁয়া পেলাম বুঝে উঠার আগেই এক হাতে জরিয়ে ধরলো আমাকে। ভয় পেয়ে গেলাম কে কিন্তু কিছু ক্ষণের মাঝে ভ য় থেকে বের হলাম এটা রাজ। আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিচ্ছি। এবার খেয়াল এখানে তো আম্মু মামুনি সবাই আছে যদি এভাবে আমাদের দেখে নেয় কী হবে।

–আপনি আমাকে এভাবে সবার মাঝে জরিয়ে ধরেছেন কেন? সবাই কি ভাববে ছারুন

–কিছু ভাববে না এখন কিছু ভাবলে ও একটু পর সবাই বুঝে যাবে। ওই দেখে আববু স্টেজে যাচ্ছে কারণেটা কি বলবে এখন ই।

–আপনি এতো সিউর কেন হচ্ছেন এটা তো নাও হতে পারে।

–কারণ আছে।

–কী কারণ বলেন। আমার ভয় করছে খুব।

–আমি আছি না তোমার পাশে ভয় কিসের। আমি যেহেতু বলছি তো আজকে তোমার আর আমার জন্য স্পেশাল দিন সো রেডি ফর ইউ। মুখ গোমড়া করে লাখছো কেন হাসো তোমার মুখ এমন থাকলে আমার কি ভালো লাগে বলতো।

মিষ্টি গোমড়া মুখ করে স্টেজের দিকে তাকাল আন্কেল মাইক হাতে নিয়ে আছে এখনই বলা শুরু করবে। মিষ্টির হাত পা কাপছে শরীরে কাটা দিয়ে উঠছে কি বলবে কে জানে। রাজ এখন ও এক হাতে জরিয়ে ধরে আছে। আমি চোখ বন্ধ করে নিজেকে শান্ত করতে চাইছি। হঠাৎ গালে নরম কি অনুভব করলাম সঙ্গে সঙ্গে চোখ মেলে তাকালাম। রাজের দিকে রেগে তাকালাম একে তে জরিয়ে ধযে আছে এখন আবার এতো সবার মাঝে চুমু খেলো আশেপাশের সবার দিকে তাকালাম না কেউ দেখে নি সবাই স্টেজের দিকে মনোযোগ।

আন্কেল বলতে লাগলো,,

—– লেডিস এন্ড জেন্টরম্যান্ড সবাই অনেক আগ্রহ নিয়ে আছেন যে আজকের এই পার্টিটি কি জন্য। আপনারা কেউ জানেন না এই পার্টির মূল কারণ এখন সবাইকে বলবো আসল কারণ টা কী আমার একমাএ ছেলে রাজ আজ তার এনগেজমেন্ট।

মিষ্টি এইটুকু শুনেই রাজের দিকে তাকালো। রাজের কথাই সত্যি তাহলে রাজ চোখের ইশারায় জিগ্গেস করলো কী মিষ্টি কিছু না বলে সামনে তাকালো।

.

এদিকে মারিয়া লাল রঙের গাউন পরে এসেছে। ও তো খুশিতে আত্ম হারা হয়ে আছে। একাই এসেছে ওর আববু ও আসে নি। কাউক চায় না ও একাই রাজকে নিজের করে নিবে। র্পালারে সাজতে সাজতে লেট হয়ে গেছে তারাতারি ভেতরে ঢুকে আসে এসেই রাজকে খুজতে লাগে কিন্তু পায় না সামনে এগিয়ে স্টেজের দিকে খেয়াল ও শব্দ কিনে আসে এনাউজমেন্ট করছে। মারিয়া তো সেই আনন্দ নিয়ে দুই কদম এগিয়ে যা দেখে রেগে উঠে রাজ মিষ্টি কে জরীয়ে ধরে দাড়িয়ে আছে তা চোখে পরে দাত কিড়মিড় করে বলে,
এই ধরাই শেষ আর একসাথে থাকতে পারবে না তোমার।
বলেই স্টেজের কাছে যায়। এখন ওর আর রাজের এনগেজমেন্টের কথা এনাউজমেন্ট হবে হাসি মুখ করে তাকিয়ে আছে।

চলবে❤

[ মিষ্টি আর রাজ কে আলাদা কলে দিলে কেমন হবে]

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা ?পর্বঃ- ৩২

0

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা ?পর্বঃ- ৩২
#লেখিকাঃ-তানজিনা আক্তার মিষ্টি

গাড়ি থেকে রাজ আর মিষ্টি দুজনে নেমেই অবাক হয়ে বাসার দিকে তাকিয়ে আছে পেছনে বাগানে কয়েকজন অপরিচিত লোক বাগান পরিষ্কার করছে। বাগান তো পরিষ্কার ই তাহলে আবার আজ কেন করছে আর দরজা খুলা কেন। রাজ কথা গুলো ভাবছে সাথে মিষ্টি ও পুরো বাসা পরিষ্কার কথা হয়েছে মনে হচ্ছে ভেতরের লোকগুলো সাজাচ্ছে মনে হয়। একটু এগিয়ে দেখতে লাগলো ঠিক তাই তো। বাসা সাজানো হচ্ছে কিন্তু কেন কোন অনুষ্ঠান আছে নাকি কি অনুষ্ঠান রাজ তো কিছু বলল না, এর জন্যই কি এতো তারাহুরা করে নিয়ে আশা কিন্তু রাজ আমাকে বলল না কেন, ইচ্ছে করে কিছু বলে নাই ইডিয়েট। মিষ্টি আবার পেছনে ফিরে রাজকে ডেকে কদা শুনাতে যাবে তার আগেই রাজের চিৎকার কানে এলো কাউকে ইচ্ছে মতো ঝারছে। তারাতারি মিষ্টি পিছনে ফিরলো দেখলো রাজ বাগানে চলে গেছে আর একটা লোককে বকে যাচ্ছে হাতে একটা গাছ এটা কেটে ফেলেছে বুঝি যাচ্ছে তাই এমন আমি এগিয়ে যাবো তার আগেই রাজ আমার দিকে ত।আসতে লাগলো। রেগে আছে মুখ দেখে বুঝা যাচ্ছে নিজের ইচ্ছে ধমিয়ে রেখে চুপ করে থাকলাম কিন্তু মনে ভিতরে আকুবিকু করছে কথা গুলো না বলে থাকতে পারবো না তাই রাজ আসতেই প্রশ্ন ছুড়ে দিলাম তার দিকে।

–বাসায় কি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে আপনি তো আমাকে কিছু বললেন না। এই জন্যই কি এতো তারাহুরা করে আসলেন।

রাজ না বুঝার মতো করে তাকিয়ে আছে কারণে ও তো এসব কিছুই জানে না।

–এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন অবাক হয়ে কি বুঝাতে চাইছেন আপনি কিছু জানেন না।

–বুঝানোর কি আছে আমি তো জানিই না সত্যি কি হচ্ছে এসব আববু আম্মু কিসের আয়োজন করছে আমাকে কিছু জানালো না কেন?

–আবার মিথ্যা বলছেন একদম মিথ্যে বলবেন না তাহলে কিন্তু ভালো হবে না। মামুনি আপনাকে না জানিয়ে কিছু টি করে না আজ বলছেন আপনাকে বলে নি সারা বাসার এতো বড় আয়োজন করছে আপনাকে না বলে এটা বিশ্বাস করবো আমি অসম্ভব।

–ওফ মিষ্টি বিলিভ মি সত্যি আমি এসবের কিছু জানি না। আর জানলে তোমার মতো অবাক হতাম বলো যাওয়ার সময় আমি আম্মুকে জিগ্গেস করেছিলাম কেন তোমাকে আনতৈ পাঠাচ্ছে কিন্তু সে বলে নি। আর এই সব তখন ছিলো না তাই এইসবের কিছু জিগ্গেস ও করি নি।

— সত্যি বলছেন তো।

–তুমি আমায় বিশ্বাস করো না একটু ও। আর তোমাকে জানালে প্রবলেম কি আমার বলো তো। কি অনুষ্ঠান বলো তো আম্মু আববু আমাকে বলল না, কেন?

— কারো জম্মদিন নাকি আচ্ছা আপনার নাতো হয়তো সারপ্রাইজ দিতে বলে নি। আজকে বা কালকি আপনার জম্মদিন।

–না আমার এই মাসেও না আর ও দুই মাস পর।

–তাহলে কি আচ্ছা মামুনি আন্কেল তাদের বিবাহ বার্ষিকী নাতো।

–নাহ মিষ্টি সেটা তো ঊনএিশ তারিখ এ আর আজ একুশ তারিখ।

–তাহলে এটা কিসের অকেশন।

মিষ্টি চিন্তা করতে লাগল আর সামনে এগুতে লাগলো।
রাজ ও পেছনে আসছে হঠাৎ রাজ কিছু ভেবে ফেলল সাথে খুশি ও হলো কথা মনে আসতেই দৌড় লাগালো মিষ্টির দিকে মিষ্টি পেছনে হাটছিল কিন্তু রাজ পেছনে ছিলো বেশি। আর কথাটা মনে আসতেই রাজ বেশি এক্মাইডেড হয়ে তারাতারি মিষ্টি কাছে গেল মিষ্টি সে পযর্ন্ত দরজা কাছে চলে এসেছে। ভেতরে ঢুকতে যাবে রাজ দৌড়ে এসে মিষ্টি সামনে দাঁড়ালো। হঠাৎ রাজ সামনে আসাতে মিষ্টি খানিকটা পিছিয়ে গেল।

— আবার কি হলো এভাবে দৌড়ে এলেন কেন? আমি তো ভয় পেয়ে গেছি এভাবে কেউ সামনে এসে দাড়ায়।

–তুমি এতো ভয় কেন পাও বুঝি না মিষ্টি। একটু তেই কী ভয় পায় বলো তো কেউ তুমি না। আচ্ছা এখন কিছু বললাম না কারণে আমি অনেক খুশি এখন। আমি যা ভাবছি তাই যদি হয় আম্মু আববু যদি সেই সারপ্রাইজ দেয়।

–কি সারপ্রাইজ কী ভাবছেন আপনি বলুন তো শুনি? আর এতো খুশি কি নিয়ে হচ্ছে আমার মাথায় কিন্তু কিছু ঢুকে নি আমি বুঝিনি কিছু। পরিষ্কার করে বলুন।

–মিষ্ঠি আমার মনে হচ্ছে আববু আম্মু আমাদের নিয়ে কিছু ভাবছে।

–মানে কি বলছেন? আমাদের নিয়ে ভাবছে মানে কি আমাদের নিয়ে আবার কি ভাববে।

মিষ্টি কিছু বুঝতে পারছে না ভ্রু কুচকে রাজের দিকে তাকিয়ে আছে বুঝার জন্য কি বলছে রাজ।

–ওফ বুঝতে পারছো না। শুনো আমার মনে হচ্ছে তোমার আর আমার…….

–মিষ্টি নাকি রে হ্যা তো মিষ্টি বাবুন তোরা কখন এলি আর এখানে দাঁড়িয়ে কি বলছিস। মিষ্টি তারাতারি আয় মা একা হাতে এতো কিছু কি করা যায় বল। তাই তো সকাল সকাল পাঠিয়ে দিয়েছি তোকে আনতে। তবুও কতো দেরি হয়ে এসেছীস তারাতারি আয়।

রাজের কথার মাঝেই মামুনির এন্টি তাই রাজ কথা শেষ করতে পারলো না। মামুনি এসেই বলতে লাগলো নানা কথা আমাকে ছাড়া তিনি খুব কষ্ট ছিলেন একা নাকি বাসায় ভালো লাগে না তার উপর আবার এই আয়োজন করতে দৌড়াদৌড়ি করছেন আমি থাকলে চিন্তা মুক্ত হতে পারতো।
এক ভাবে বলে যাচ্ছে থামছেই না। রাজ এসে অফ করলো মামুনি কে তার পর জিগ্গেস করতে লাগলো।

–এসব কি আম্মু? বাসায় পার্টির এরেন্জমেন্ট করছো আর আমি কিছু জানি না আমাকে না জানিয়ে করছো। কীসের পার্টি আমাকে বলো তারাতারি।

মামুনি চুপ করে আছে কিছু বলছে না মুখে তার খুশি ও চিন্তার ছাপ। আমি একবার মামুনি ও একবার রাজের দিকৈ তাকাচ্ছি। রাজ বারবার জিগ্গেস করছে মামুনি চুপ করে আছে কিছু বলছে না। হঠাৎ বলে উঠলো, সারপ্রাইজ দেবে এখন কিছু বলবে না যা জানার কাল জানতে পারবে আজ কিছু বলবে না বলেই মামুনি আমাকে ফ্রেশ হয়ে নিচে আসতে বলে চলে গেল।

রাজের দিকে তাকালাম ওকে কিছু বলে নি বলে রেগে আছে তাই কারণে ওল রাগ অনেক আবার এখন বললো না তাই রাজের দিকে তাকিয়ে আমি ৪৪০ ভোল্টেজের শক খেলাম একি এই ছেলে রেগে নাই আমার দিকে তাকিয়ে চুমু দেখেচ্ছে আমি তো চিন্তা পরে গেলাম। রাজ না রেগে এ সব কি করে করছে তাহলে ও কি সব জানে মামুনি যে বললে রাজকে সারপ্রাইজ দিবে এখন কিছু বলবে নাসতার মানে কিছু জানে না না জেনে এতো হ্যাপি কি করে থাকতে পারছে।

–আপনি কি পাগল হয়ে গেলেন নাকি?

–হুম পাগল হয়ে গেছি শুধু তোমার জন্য।

— কি বলছেন পাগলের মতো? এখন কি এসব বলার সময় আপনাকে কিছু বলল না মামুনি না রেখে এইসব বলছেন।

–রাগবো কেন?

–[মিষ্টি হা করে তাকিয়ে আছে।] রাগবেন কেন জানেন না।

–এখন নো রাখা রাগি আমার যা মনে হচ্ছে সেটাযদি সত্যি হয় তাহলে তো আমার থেকে ও তুমি বেশি খুশি হবে। কিছু না করতেই সব কিছু হয়ে যাব মনে হয়।

–কী হয়ে যাবে?

–আমাদের বিয়ে।

–বিয়ে

–ইয়েজ মাই ডেয়ার ওয়াইফ। একবার একা করেছি এবার সবার সামনে মতে করবো তার ব্যবস্থা করছে।

মিষ্টি হা করে তাকিয়ে আছে কি শুনলো ও বিয়ের কথা। মামুনিরা কি তাহলে আমাদের বিয়ে নিয়ে ভাবছে রাজ কি কিছু বলেছে।

— আপনি কি কিছু বলেছেন আমাদের কথা মামুনিদের।

–না আমি কিছু বলিনি।

–তাহলে

মিষ্টি চিন্তা পরে গেল সাথে লজ্জা এসে ঘিরে ধরলো মামুনির সামনে যাবো কেমনে মামুনি কি আমাদের দেখে বুঝতে পেরেছে আমাদের মাঝে সম্পর্কে আছে। মামুনির সামনে যাবো কিভাবে আমি।

সারাদিন মামুনির কাছে কম ঘেষলাম দূরে থেকে যা বলেছে করে গেছি।

রাতে

–কে কে

মিষ্টি আচমকা ভয় পেয়ে যায় কেউ ওর পাশে শুয়ে পরেছে আর শুয়েই ক্ষান্ত হয় নি জরিয়ে ধরেছে। প্রথম ভয় পেলে ও পরে বুঝতে পারে এটা আর কেউ না রাজ।

–ওফ ছারুন ধুম বন্ধ হয়ে গেল।

–উহহু

–ছারুন ওফ ছারুন না আপনি এখানে কেন এসেছে মামুনি আন্কেল বাসায় আছে সেই খেয়াল আছে আপনি। ছারুন আর নিজের রুমে যান।

–নরো না তো আর এতো জোরে কথা বলো না তোমার কথায় ই সবাই বুঝে যাবে। চুপ করে থাকো। আমি খুব টায়ার্ড ঘুমাবো নো ডিসটার্ব ওকে। গুড নাইট।

চলবে❤

লুকোচুড়ি ভালোবাসা ?পর্বঃ- ৩১

0

লুকোচুড়ি ভালোবাসা ?পর্বঃ- ৩১
#লেখিকাঃ-তানজিনা আক্তার মিষ্টি

রেহেনা বেগম বাসায় এসেছে তিন দিন হলো। বাসায় এসেই মারিয়ার বাবার সাথে কথা বলেছে বিয়ের ব্যাপারে। রাজের আববু ছেলের পছন্দের কথা শুনে আর অমত করে নি। আর মারিয়ার আববুর নাম শুনে ও চিনে গেছে একসাথে বিজনেস করেছে তারা। তাই রাজের আববু অমত করে নি কারণ লোকটা অনেক শত ও ভালো মানুষ। এনগেজমেন্টের এথ কথা ও তারাতারি ই ডেট ফিক্স করেছে। ডেট ফিক্সড করার পরই রাজের আম্মু রাজকে সব বলতে চেয়েছিল কিন্তু মারিয়া মাঝে এসে ব্যাঘাত ঘটায়।

–আন্টি আপনাকে একটা কথা বলার ছিলো।

–হুম বলো।

–আন্টি রাজকে এই সব কিছু বলেন না।

–মানে কি বলছো এমনিতেই ওকে না জানিয়ে এতো কিছু করলাম। এখন সব জানাতে হবে না হলে রাগ করবে আমার ছেলে ওকে আমি খুব ভালো করে জানি।

–প্লিজ আন্টি আমি রাজকে সারপ্রাইজ দিতে চাই। আপনি যদি এখনই সব বলে দেন তাহলে তো আর সারপ্রাইজ হবে না একটু বুঝার চেষ্টা করেন।

মানতে চাইনি কিন্তু মারিয়া ও ছারার পাএী না সে মানিয়েই ছারছে। অবশেষে না পেরে রাজি হয়ে যায়। যতই ভালোবাসুক এতো বড় একটা সিদ্ধান্ত না বলে করে ফেললাম ভাবতেই ভ য় করছে আবার নিজেকে শান্ত করছে এই ভেবে ওর ভালোবাসার মানুষের সাথেই তো।
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
নানা কথা ভেবে চলেছিল সোফায় বসে হঠাৎ কানের কাছে কথার আওয়াজ আসতেই ধ্যান ভাঙলো তাকিয়ে দেখে রাজের আববু।

–এভাবে বসে কি ভাবছো? তুমি কি চিন্তিত রাজকে নিয়ে। এতো চিন্তা করছো কেন ছেলের কথা ভেবেই তো আমার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি ওর ভালোবাসার মানুষের সাথেই বিয়ে দিচ্ছি। এতো ভেবো না অসুস্থ হয়ে পরবে।

বলেই পাশে বসলো।

–হুম তবুও মনটা ভালো নেই কেন জানি। মিষ্টি টাও নেই রাজ ওকে নিয়ে কখন ফিরবে কে জানে। কতো আশা ছিলো ওই হবে আমার রাজের বউ কিন্তু ছেলের সুখের থেকে তো আর আমার ইচ্ছে টা বড় না। মেয়েটা বাড়িতে গেছে মাএ তিন দিন হলো আজকেই আবার আনতে পাঠালাম রাজকে। বাড়িতে থাকতে ও পারলো না কিন্তু কিন্তু কি করবো বলো এতো বড় কাজ ওকে ছাড়া করবো নাকি ও বাসায় নেই কি ফাকা লাগছে তাই সকালেই পাঠিয়ে দিয়েছি রাজকে।

পুরো বাসায় সাজানো হচ্ছে কাল রাজের এনগেজমেন্ট এটাই ফাইনাল হয়েছে তাই। একমাএ ছেলের এনগেজমেন্ট বলে কথা যেই সেই আয়োজন করলে হবে নাকি বড় করে আয়োজনের ব্যবস্থা করছে। ডেকোরশনের লোক এসে লাইটিং ফুল নানা জিনিস দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছে সময় লাগবে তাই আগেই সব করা।

.
.

মিষ্টি ঘুমিয়ে আছে মনটাএকটু ও ভালো না। সকাল নয়টার উপলে বাজে একবার ফজরের সময় উঠে নামাজ পরে ঘর ঝাড়ু দিয়ে আবার শুয়ে পরেছে আর উঠে নি মা ও আর ডাকে নি। মিনা স্কুলে চলে গেছে। খুব মিস করছি রাজ কে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে।
কাছে থাকলে বুঝতে পারি না এখন খুব কষ্ট হচ্ছে। মাএ তিনদিন হলো কিন্তু মনে হচ্ছে কতো দিন ধরে দেখী না। চোখ বন্ধ করেই রাজের সাথে সময় কাটানো মুহূর্তে গুলো মনে পরছে।

— মিষ্টি ওই মিষ্টি দেখ কে এসেছে রাজ এসেছে তারাতারি উঠে আয়।

আম্মুর ডাক কানে আসতেই উঠে বসলাম কতো বেলা হয়েছে। কিন্তু সাথে সাথে রাজ এসেছে শুনে অবাক ও হলাম ৪৪০ ভোল্টেজের শক খেলাম সাথে সাথে দৌড়ে বেরিয়ে গেলাম কোন রকম ওরনা মাথায় দিয়ে বেরিয়ে গেলাম। দরজার কাছে এসেই বারান্দায় চোখ গেল রাজ দাড়িয়ে আছে নীল শার্ট কালো ফান্ট, শার্ট ইন করা হাতে ঘরি, সানগ্লাস ও আছে হাতে মনে হয় চোখে ছিলো খুলে রেখেছে। অনেক সুন্দর লাগছে মনে হচ্ছে আর ও সুন্দর হয়ে গেছে। মার সাথে কিছু কথা বলছে বলতে বলতে রুমে চলে গেল। আমি ও পেছনে পেছনে চলে গেলাম। রাজ খাটে বসে আছে সামনে মা আছে আমি একটু রাজের পাশে গিয়ে দাড়ালাম। যাতে আমাকি দেখতে পায় আমি এক ভনে রাজের দিকে তাকিয়ে আছি অথচ রাজ একবার ও ভুল করে ও আমার দিকে তাকাচ্ছে না।
মার সাথে কথা বলে যাচ্ছে মা তো সেই খুশি আজই রাজ প্রথম আমাদের বাড়ি এসেছে। রাজকে জিগ্গেস করছে, কি কোন দরকার নাকি বেরাতে রাজ বলল, মামুনি নাকি আমাকে নিয়ে যেতে বলেছে কেন তা বলে নি সাথে মাকে ও মিনা কে ও নাকি যেতে বলেছে। আম্মু বলল, কেন রাজ বলল, সে নাকি অত কিছু জানে না।আমি ও অবাক হ য়ে ভাবছি হঠাৎ মামুমি এমন কথা বলল কেন আমাদের যেতে কেন বলল, আমি তো আসার দিন বললাম পনেরো দিন থাকবো এখন এতো আগেই আবার মাকে ও যেতে বলছে। রাজ কি বিয়ে নিয়ে কিছু বলেছ। আমি ইশারায় কিছু জিগ্গেস করবো তার ও উপায় নাই। রাজ আমার দিকে ফিরে ও তাকাচ্ছে না।
এতো অবহেলা তিনদিন ধরে দেখা হয় না আর সে আমাকে দেখছেই না। একটু ও কষ্টের কিছু দেখতে পাচ্ছি না খুব ভালোই আছে আমি নেই আনন্দে আছে। আর এই দিকে আমি তার বিরহে কেদে মরছি হূহ। রেগে চলে আসতে যাবো মা ডাক দিলো পেছনে থেকে। আবার পেছনে ফিরলাম না চাইতেও মার কথা না শুনলে একশ কথা শুনাবে আমাকে।
মা বলল, রাজকে শরবত করে দিতে আর হালকা নারু মুয়া দিতে। আর সে যাবে রান্না করতে।
রাজ, সে না করে যাচ্ছে কি করতে এখন ই র ওনা দিবে কিন্তু মা কিছু না শুনেই বেরিয়ে গেল।
আমি ও আর পিছনে না তাকিয়ে চলে আসতে যাবো কেউ হাত টেনে ধরলো। এটা রাজের ই কাজ জানি আমি পেছনে ফিরলাম না।

–কি হলো ওইদিকে তাকিয়ে আছো কেন? আমার দিকে তাকাও।

–আমি কিছু না বলে ওই ভাবেই আছি। রাজ ও আর কিছু না বলে আমার হাত ছেড়ে দিলো এতে আমার রাগ আর ও বেড়ে গেল কি অসভ্য। আর কিছু বলল না আমি যে রাগ করেছি সেটা কি বুঝতে পারছে না। পেছনে ফিরে ইচ্ছে মতো কিছু বলতে যাবো তার আগেই রাজ আমায় পেছনে থেকে জরিয়ে কাধে মাথা রাখলো। দুইহাত পেটে রেখেছে আচমকা এমন কাছে আমি ফ্রিড়িজ হয়ে গেছি। কথা বলতে পারছি না ধম বন্ধ হয়ে আসছে রাজ কাছে আসলেই এমন হয়। চখ বন্ধ করে নিজেকে শান্ত করে রাজকে ধাক্কায় দিতে লাগলাম ছারাতে তারপর আস্তে করে বললাম।

–ছারুন ন দরজা খুলা মা দেখলে কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে।

–হোক আগে বলো এতো রাগ কেন তোমার। এতো রাগে আসো কেন রাগে লাল টকটকে হয়ে গেছ।

–তো রাগবো না একবার আমার দিকে তাকালেন না আমি তো একধ্যানে তাকিয়ে আপনাকে দেখছি আর আপনি মার সাথে কথা বলছেন। আমাকে খেয়ালই করেন নি কেন?

–কি বলেছে দেখি নি আমি তো দেখেছী তোমার দিকেই তো তাকিয়ে ছিলাম কিন্তু তুমি বুঝনি। তোমার দিকে তাকিয়ে তো আমার চোখ ফিরানো দায় হয়ে গেছিলো। ঘুম ঘুম মুখ করে আমার সামনে এলোমেলো চুল নিয়ে আর কখনো আসবে না তাহলে কিছু করে ফেলবো। আর আজকে কতো কষ্টে ছিলাম জানো একমাএ শাশুড়ি আম্মা আমার তার সামনে কিছু করে ফেললে কি হতো তাই তো তাকাই নি বেশি তবুও আড় চোখে বারবার দেখেছি আর তোমার রাগি চেহারা বাপরে এতো রাগ তোমার আগে তো ভ য় পেতে আমাকে আর এখন আমি ই তোমার ভয় পায়।

–ছারুন তো মা দেখবে।

–নিজের বউকে একটু ধরতে পারবো না কি পোড়া কপাল আমার।

বলেই রাজ আমকে ছেড়ে দিয়ে খাটে বসে পরলো।

–হুম পারবেন না সবাইকে জানিয়ে যেদিন বিয়ে করবেন সেইদিন সব করতে পারবেন মিস্টার। এখন না তাই কন্টোল করুন নিজেকে। আর মামুনি আজ কেন সবাইকে যেতে বলেছে। মা তো যাবে না মিনার পরিক্ষা।

–জানি আমি শুধু সকালে উঠতেই বলল বাবুন মিষ্টি নিয়ে আয় সাথে পরিবারের সবাইকে যদি আসে কিন্তু কি কারণে বলে নি।

–ওহ আপনি বসেন আমি আসছি।

রাজ কিছু বলার আগেই মিষ্টি চলে গেল। একটো পর মিষ্টি শরবত করে আনলো রাজকে দিলো রাজের পানি পিপাসা লেগেছিল তাই শরবত খেয়ে ফেলল দিতেই আর ও অনেক বানানো জিনিস এনেছিল খায় নি। যেমন, নাড়ু, মুড়ির মুয়া, খৈয়, মিষ্টি, সন্দেস, পিঠা ছিলো কিছু মিষ্টি এসেছে তাই ওর জন্য তৈরি করেছি সংসারের পিঠা, পাকন পিঠা, বাজা কলি। মিষ্টি ইয়া বড় একটা ট্রে তে এতো জিনিস এনেছে। রাজ তো শরবত খেয়ে হা করে তাকিয়ে আছে এতো জিনিস খাবে কে কয় জনের জন্য এসেছে এগুলো।

–শুশুর বাড়ি আসলে এতো সব দিতে হয় নাকি জামাইকে খেতে এতো খাবার খেলে আমাকে আর খুজে পাবে না তুমি সিরিয়ালি।

–আবার ইয়ারকি করছেন আপনি। খান তো আম্মু পাঠালো এত আমি বলেছিলাম আর কি জামাই বারবার বলেছেন মা শুনতে পাবে তো।

–জামাই ই তো বলো আমি কি মিথ্যে বলছি আর এতো খাবার কেন আমি একটা ও খাব না রেখে দাও আর তারাতারি রেডি হও তারাতারি যেতে বলেছে।

–মা এখন যেতে দেবে না রান্না বসাবে আপনাকে খেতে হবে তারপর।

–নো লেট হয়ে যাবে। এখান থেকে খাচ্ছি প্লিজ আর কিছু রান্না করতে না করো।

–আমি কিছু করতে পারবো না আপনি দেখেন।

–কি বউ রে আমার একটু বরকে ভালোবাসে না। একটু হেল্প করলে কি হয়।

মিষ্টি কিছু বলল না হাসলো খালি।
রাজ একটা পিঠা কামর দিচ্ছে আর ভাবছে ওমনি মিষ্টির আম্মু এলো আর শুরু হলো জরাজরি। রাজ কে জোর করে পিঠা খাওয়াতে রাগলো একটি ও রাখবে না একেরপর একটা হাতে দিচ্ছে আর খেতে বলছে কয়েকটা খাওয়া র পর আর যখন পারছে না মিষ্টির মা মুখে তুরে দিচ্ছে। সে রাজকে প্রচণ্ড ভালো বাসে আশা আছে একেই মেয়ের জামাই করবে তাই তো এতো খাতির করা প্রথম এসেছে বাসার লজ্জা করে খাচ্ছে না ভেবে খাওয়াচ্ছেই আর রাজ পরেছে জামেলায়। না পারছে সইতে না পারছে কিছু বলতে। মিষ্টি তো মজা নিচ্ছে তার মা এমন আপন ভাবে যাদের তাদের সাথেই করে খাইয়ে তার অবস্থা খারাপ করে দেয়।

রাজ খাওয়ার পর ঠাস করে খাটে শুয়ে পরলো পেট ফেটে যাওয়ার অবস্থা। কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে একটু ভালো ফিল করে উঠে বৈরিয়ে পরলো একানে থাকলে মরতে হবে খেতে খেতে জান বাচাতে চাইলে পালাতে হবে। মিষ্টির রুমে ঢুকে ওকৈ রেডি হতে বলল আর মিষ্টির মাকে রান্না ঘরে পেয়ে খুব করে বুঝালো এবং ফোনে কথা ও বলালো তারপর ছারা পেল ও বেরিয়ে পরলো দুজনে।

চলবে❤