Friday, July 25, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 1939



লুকোচুড়ি ভালোবাসা ?পর্বঃ- ৩০

0

লুকোচুড়ি ভালোবাসা ?পর্বঃ- ৩০
#লেখিকাঃ-তানজিনা আক্তার মিষ্টি

–বউ ও বউ আজ কি তোমার রান্না হবে নাকি না খেয়েই থাকতে হবে আমাকে। আজকে আমাদের বিবাহিত জীবনের প্রথম দিন আর আজকেই এই রকম শাস্তি পাচ্ছি। এগারোটা বেজে গেছে পেটে আমার ইদুর দৌড়াদৌড়ি করছে আর পারছি না।

পেটে হাত দিয়ে রাজ রান্না ঘরের দরজায় কাছে এসে এই ধরনের কথা বলে যাচ্ছে। মিষ্টি একবার রাগী চোখে পেছনে ফিরতেই কথা অফ করে খিদে পেয়েছে বুঝাচ্ছে যা দেখে মিষ্টির আর ও রাগ হচ্ছে। নিজের দোষে রান্নায় লেট হয়েছে এখন তাকেই কথা শুনাচ্ছে। আমার জন্য নাকি রান্না লেট হচ্ছে অসভ্য লোক একটা।
ঠিক সময় ই রান্না করতে এসেছিলাম কিন্তু মাঝখানে রাজ পাকনামো করতে এসেছিল। সে নাকি রান্না করবে তার খুব ইচ্ছে আমাক রান্না করে খাওয়ানোর আমি মানা করা সও্রে ও জোর করে রান্না করতে লাগে আমাকে দাড়া করিয়ে রেখে।

–মিষ্টি তুমি চুপ করে দাড়িয়ে থাকো রান্না আমি করবো ওকে।

–এটা কিন্তু বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে। আপনি কি ভাবে রান্না করবেন আগে কি কখনো করেছেন রান্না। আপনি পারবেন না প্লিজ সরুন আমাকে করতে দেন।

–তোমার আমাকে কি মনে হয় আমি কিছু পারি না হুম এটা ঠিক আগে করিনি কিন্তু পারবো ট্রাই করলেই সব পারবো।

–পারবেন না, এটা মেয়েদের কাজ আপনি পারবেন না।

–আর কোন কথা না চুপ করে থাকো আমি বলেছি যেহেতু করবোই।
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
তারপর শুরু হলো যুদ্ধ সেকি যুদ্ধ দেখছি আর হাসছি কি করবো এমন সব কাণ্ড ঘটছে সামনে যে শত চেষ্টা করে থামতে পারছি না। পেট ধযে হাসছি হঠাৎ হাসা অফ করে মুখ চেপে ধরে আছি রাজ আগুন চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। রাজ রান্না করছে রুটি করবে তার আগে ডিম ভাজতে গিয়ে সেটা করাইতে দিতে যাবে তার আগে ফাটাতে গিয়ে দুটো নিচ ফেলে দিছে কড়াই পযর্ন্ত গেল না। আবার যখন ডিম ফাটাতে যাবে সেটা নিজের শরীরে সিটটিয়ে আসে।

–আমাকে দিন পারবেন না মাঝখানে থেকে তিনটা ডিম নষ্ট করলেন। দেন আপনি পারবেন না বললাম না অযথা চেষ্টা করছেন।

–না দরকার নেই ডিম ভাজবোই না রুটি করবো এখন এটা সহজ আছে এটা পারবো।

–পারবেন না।

–পারবো।

ফোন বের করে ইউটিউব এ দেখছে কি করে বানাতে হয় দেখা শেষ হলে শুরু হয় আটা খুজা। অবশেষে আমি দেখিয়ে দেয় আটা টা একটু উপরেই ছিলো আমি কখনো হাত দিয়ে পারি নি কারণে আমার থেকে খুব উপরে কিন্তু রাজের প্রবলেম হবে না রাজ অনায়াসে আটা পেরে ফেলল। অনেক লম্বা রাজ তাই সমস্যা হলো না কিন্তু প্রবলেম হলো একটু পর যা দেখে আমি না পারি গড়াগড়ি দিয়ে হাসতে। রাজ ময়দার কৌটা নিয়ে ধপাস করে নিচে পরে গেছে আর আটা সব মাথায় উপরে পরেছে ফলে পুরো শরীর সাদা হয়ে গেছে।
রাজ নিচে পরে তো বেকুবের ভতো বসে আছে।এমন কিছুর জন্য একটু ও প্রস্তুত ছিলোনা।

–হা হা হা ? ??

–স্টপ ইট মিষ্টি তুমি হাসছো আমার এই অবস্থা দেখে তোমার কি একটু মায়া হচ্ছে না আমার জন্য একটু ও ভালোবাস না আমাকে। তুমি একটু হেল্প করলে কি এই অবস্থা হতো আমার।

–হাসির ঠেলায় কথা বলতে পারছিনা তবুও অনেক কষ্ট নিজের শান্ত করতে চাইলাম। রাজ রেগে ফাইয়ার হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে আমি কিছু বলতে পারছি না হা হা করে হেসেই যাচ্ছি।
কিন্তু হাসতে বেশিক্ষণ পারলাম না রাজের কাণ্ড দেখে নিজে হাসি অফ করে দৌড়ে দিতে লাগলাম। রাজ নিজের শরীর থেকে ময়দা নিয়ে আমার মুখে একটু লাগাতেই দৌড়ে পালাতে লাগলাম।

–এখন পালাচ্ছো কেন? দাড়াও আমাকে দেখে হাসা না এখন তোমাকে ও আমার মতো হতে হবে।

–আপনি আপনার দোষ এ ফেসেছেন আমি তো না কলেছিলাম ই।

–মিষ্টি স্টপ ইট,

–নো

সারা ঘর দৌড়াদৌড়ি করছে মিষ্টি আর পেছনে রাজ। মিষ্টি হঠাৎ পেছনে তাকিয়ে দেখে কেউ নেই রাজ নেই মিষ্টি নিজের রুমে চলে এসেছে তাই খাট বসে বুকে হাত দিয়ে জোরে জোর শ্বাস নিচ্ছে মিষ্টি। এতো হাসছে আবার দৌড়াতে হয়েছে তাই হাপিয়ে গেছে। চোখ বন্ধ করে শ্বাস নিচ্ছে মিষ্টি হঠাৎ তারাতারি করে চোখ মেলল, কেউ গালে, গলায়, হাতে কিছু ডলছে দেখি রাজ ছুটার চেষ্টা করে পারলাম না।

–এখন হাসো দুজন এক রকম হয়ে গেছি ম্যাচিং বর বউ তাই না।

বলেই রাজ চোখ পিট মারলো আমি গাল ফুলিয়ে অন্য দিকে তাকালাম।

খাবার টেবিলে বসে আছি। রাজ আমাক খাবার ধরতে দিচ্ছে না নিজেই একা বেরে নিচ্ছে। এক প্রেলেটে আমি ভেবেছিলাম আমাকে ও বেরে দেবে কি অসভ্য নিজের খাবার বারছে খালি আমি রেগে তাকিয়া আছি একাই খাবে তাহলে আমাকে কি খেতে ও দেবে না।

রাগ কষ্ট নিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে আছি এভাবে নিজের জন্য বারতে পারলো আমার ও তো খিদে পেয়েছে সে কি বুঝে না। আমাকে বেরে নিতে ও দিল না।

–হা করো।

হা করো শুনেই রাজের দিকে তাকালাম আমার দিকে খাবার ধরে রেখেছে। কি রিয়াকশন করবো বুঝতে পারছি না। আবার রাজ কে ভুল বুঝছিলাম ইসস অথচ রাজ তার যোগ্য না সে তো আমার জন্য এতো করছে কিন্তু আমি বারবার ভুল বুঝছি।নিজের প্রতি রাগ হয়ে ছোখ দিয়ে জল গরিতে পরতেই রাজ চোখের পানি মুছে দিলো।

— কি হলো কাদছো কেন আবার কি হলো?

–জানি না শুধু জানি আমি আপনার যোগ্য না। এতো ভুল কেন বুঝি আপনাকে এতো ভালোবাসেন এতো ভাবেন আমাকে নিয়ে আর আমি আপনাকে বারবার ভুল ভাবি।

রাজ জোর করে আমাকে খাইয়ে দিলো। নিজে একটু ও খেল না তাই আমি আবার রাজকে একটু খাইয়ে দিলাম বিকেলে ছাদে বসে গল্প করলাম মামুনি একবার ফোন দিয়েছিলো কাল চলে আসবে।

সত্যি এতো ভালো সময় আমি কখনো কাটাইনি খুব ভালো কেটেছে আজ সময় দিনটা।

.
.

–আন্টি কেমন আছেন?

–আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। তুমি কেমন আছো?

–ভালো। আন্টি বিয়ে ব্যাপার টা কি হলো পাপ্পা কে পাঠাবো কাল।

–কাল রাজের সাথে তো কিছু কথা হয় নি আমি তো বাসার নাই কাল গিয়ে কথা বলে নেই আগে।

–রাজের সাথে বলার কি দরকার? ও তো রাজিই আপনি বিয়ের ডেট আইমিন এনগেজমেন্টের ডেট ফাইনাল করেন।

–আচ্ছা দেখছি মা আমাকে একটু ভাবতে দাও।

–আন্টি আমি সত্যি রাজকে ছাড়া বাচবো না খুব ভালোবাসি ওকে প্লিজ কিছু করেন।

চলবে❤

লুকোচুড়ি ভালোবাসা ?পর্বঃ- ২৯

0

লুকোচুড়ি ভালোবাসা ?পর্বঃ- ২৯
#লেখিকাঃ-তানজিনা আক্তার মিষ্টি

মনে হচ্ছে ধম বন্ধ হয়ে মারা যাবো এতো জোরে কেউ চেপে ধরে। রাজ শক্ত করে জরিয়ে ধরে শুয়ে আছে। আমি কিছু বলতে ও পারছি না কিছু বললেই বলে উঠে,, মিষ্টি একদম নরাচরা করবে না নরাচরা করলে কিন্তু আজকেই সব করে ফেলবো। আর আমার কথা মতো শান্ত হয়ে শুয়ে থাকলে কিছু করবো না।

কথাটা বলেই রাজ মিষ্টি কে জরিয়ে ধরে শুয়ে পরে। মিষ্টি ভয়ে আর কিছু বলে নাই। যদি সত্যি কিছু করে বসে মিষ্টি তো বাধা ও দিতে পারবে না কারণ রাজ ওর স্বামী এখন। রাজের সম্পূর্ণ অধিকার আছে কিছু করার। কিন্তু আমি এখন কিছু চাইনা সবাইকে মেনে যেদিন বিয়ে হবে সেদিন রাজকে সম্পূর্ণ ভাবে মেনে নেব। এখন রাজের কথা মতো চলায় ভালো জাস্ট তো জরিয়ে ধরেছে। কিন্তু আমি তো ঘুমাতে পারছি না এভাবে ধরে থাকলে কি ঘুমানো যার। বুকের ভেতরে ধুকপুক করছে একটু শান্তি পাচ্ছি না কেমন জানি লাগছে। রাজের শরীরের সাথে লেগে আছি একটা ঘ্রাণ নাকে আসছে ভালো লাগছে কিনা বুঝে উঠছি না। শান্ত থাকতে গিয়ে ও নরে উঠলাম। আর সঙ্গে সঙ্গে রাজে কন্ঠ কানে এলো।

রাজ বিরক্ত হয়ে কি জানি বলল, রাজ গভীর ঘুমে আছে তাই কথা টা অস্পষ্ট আমি বুঝতে পারলাম না।
নানা কথা ভাবতে ভাবতে কখন ঘুমিয়ে পরেছি জানিনা। ফোনের শব্দে ঘুম থেকে জাগানা পেলাম তাকিয়ে ফোন হাতে নিয়ে দেখি আম্মু কল করেছে। ফোন রিসিভ করে কথা বললাম আম্মু গ্রামে যাওয়ার কথা বলল, আমি বললাম মামুনি বাড়ি নাই মামুনি আসলে তখন যাবো। আম্মুর সাথে কথা বলে ফোন পাশে রেখে চোখ বন্ধ করলাম ঘুমানোয জন্য।
কিন্তু ঘুম আসতে পারলাম না সঙ্গে সঙ্গে চোখ খুলে আসে পাশে রাজকে খুজতে লাগলাম। কাল তো এখানে শুয়েছিল সকাল সকাল কোথায় গেল ফোন হাতে নিয়ে কয়টা বাজে দেখলাম ছয়টা বাজে কেবল? তারাতারি উঠে বসলাম নাই রাজ রুমে নাই খাট থেকে নামতে যাবো ওমনি রাজ রুমে প্রবেশ করলো হাতে কফির মগ নিয়ে রুমে ঢুকে এলো।

আমি ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছি রাজের দিকে। রাজ আমার দিকে কফির মগ এগিয়ে দিলো খাওয়ার জন্য না চাইতে ও হাতে নিলাম।

–এসব কেন? আমি তো কফি খাইনা আমার জন্য কফি করলেন যে।
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
–জানি খাও না কিন্তু আজকে খাও প্লিজ।

–আজকে কেন খাব।

–এমনি খাবে আমি কষ্ট করে তোমার জন্য বানিয়ে আনলাম খাবে না।

–[ মিষ্টি হা করে তাকিয়ে আছে ] কেন বানিয়ে আনলেন?

–আমার বউ কে নিজের হাতে কিন্তু বানিয়ে খাওয়াবো বলে।

মিষ্টি কিছু বলতে যাচ্ছিল কিন্তু বলথে পারলো না ওর শরীর কেপেঁ উঠলো বুক ধুকধুক করছে। রাজের মুখে বউ ডাক শুনতে আমার একটা ভালো লাগলা ছেয়ে গেল মন জুরে। ডাকটা শুনে এতো ভালো লাগছে যে বলে বুঝাতে পারবো না সাথে লজ্জা এসে আকরে ধরলো আমাকে লজ্জা নিচের দিকে চেয়ে আছি। বউ শব্দ টা খুব ছোট তবুও এইটা রাজের মুখে শুনে খুব ভালো লাগছে।

বারান্দায় বসে আছি। রাজই নিয়ে এসেছে রাজ দোলনায় বসেই আমাকে পাশে বসায় জোর করে। এক হাতে জরিয়ে ধরে একেরপর এক কথা বলে যাচ্ছে। আমাদের এখন কিভাবে থাকবো বাসায় কিভাবে বলবো এটা কানে আসতেই আবার আকাশ সোমান চিন্তা মাথায় এসে ভর করলো। কীভাবে কি হবে সবাই কী মেনে নেবে নাকি মানবে না।

–মিষ্টি শুনছো আমার কথা। কি এতো ভাবছো বলো তো আমাদের বিয়ের কথা আববু আম্মুকে খুব তারাতারি জানিয়ে দেবো ওকে।

মিষ্টি সাথে সাথে রাজের দিকে তাকায়, বিয়ের কথা জানিয়ে দেবেন মানে কি? আপনাকে কিন্তু আগেই বলেছি বিয়ের ব্যাপারটা একেবারে গোপন থাকবে আপনি কী কথা রাখবেননা।

অসহায় মুখ করে মিষ্টি তাকিয়ে আছে রাজের দিকে। রাগ হচ্ছে প্রচুর রাজের উপর এতো বার বলার পর ও এখন বলছে জানিয়ে দেবে।

–কি হলো কিছু বলছি আমি আপনি কিছু বলছেন না কেন এতোক্ষণ তো এতো কথা বললেন এখন চুপ কেন?

–কি বলবো সেটাই তো বুঝে উঠতে পারছি না।

–মানে বুঝে উঠতে পারছেন না কেন? আর না বুঝযে পারলেও সমস্যা নাই আপনি ভুলে ও বিয়ের কথা বাসার জানানোর কথা ভাববেন না বলে দিলাম।

–আর ইউ ম্যাড। মিষ্টি তুমি কি পাগল হলে আমি কখন বললাম বিয়ের কথা সবাইকে জানাবো।

–একচু আগেই তো বললেন।

–নো তোমার বুঝার ভুল হয়েছে আমি সেটা বলিনি।

–সেটা বলেন নি কোনটা বলেছেন।

–একটু বুঝেই এতো কিছু ভেবে ও বলে ফেললে ওফ ।

রাজ মাথায় হাত দিয়ে আবার নামিয়ে আমার কাছে এগিয়ে এলো আমি হা করে তাকিয়ে আছি কি জিগ্গেস করলাম আর কি করছে? রাজ একদম আমার মুখের কাছে চলে এলো। কি করছে কিছু মাথায় আসছে না ব য়ে আমার আত্মা শুকিয়ে আসছে সঙ্গে সঙ্গে চোখ বন্ধ করে ফেলি অনেক চোখ বন্ধ করে আছি কিছু হচ্ছে না তাই চোখ খুলতেই রাজের উচ্চ সরে হাসি দেখতে পেলাম।
ইচ্ছে করে আমাকে ভয় দেখাতে যে এমন করলো তা বুঝে বাকি নেয় আমার। রাগে উঠে চলে যেতে চাইলে রাজ আটকে দিলো।

–কি হলো উঠছো কেন?

–আপনার সাথে আমার থাকছি না আমি। আমার আশেপাশে ও আসবেন না কোন কথা নেই আপনার সাথে। ছারুন হাত।

–বাপরে বাপ কি রাগ রে। মিষ্টি তুমি কি আমাকে একটু বিলিভ করো না বলতো। কি বললে আমি সবাইকে বলে দেব এটা তুমি কি করে ভাবলে। আমি তো বলেছি আমার বিয়ের কথা বলবো মানে আমাদের বিয়ে নিয়ে যাতে তারা কিছু ভাবে টা নি বললে কি তারা আমাদের বিয়ের কথা ভাববে। আমরা যে বিয়ে করে নিয়েছি এটা কেন বলবো।

মিষ্টি রাজের কথা শুনে অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। আসলেই তো এটা তো মাথায় আসে নি আর আমি কি না কি ভাবছিলাম।

–সরি আমি

রাজ উঠে আমার মুখ চেপে ধরলো, আমি বড় বড় চোখ করে ওর দিকে তাকিয়ে আছি। কি হলো আবার,

রাজ বকতে লাগলো আমি মাথা নিচু করে সরি বলেছি তাই। ও চায় না আমি কখনো মাথা নিচু করি কারো সামনে। এতো ভালোবাসে কেন রাজ আমাকে ছল ছল চোখে ওর দিক তাকিয়ে আছি। কি হলো জানিনা আচমকা রাজকে খুব জরিয়ে ধরে কাদতে ইচ্ছে হচ্ছে। আর কিছু না ভেবে রাজের বুকে মাথা রেখে জরিয়ে ধরলাম। রাজ ও অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে সামনের দিকে আমাকে ধরে ও নি। চরম রকমের শখ খেয়েছে যে আমি কাছে গেসি না সেই আমি এভাবে জরিয়ে ধরেছি ভাবতেই পারছে না।

চলবে❤

লুকোচুড়ি ভালোবাসা ?পর্বঃ- ২৮

0

লুকোচুড়ি ভালোবাসা ?পর্বঃ- ২৮
#লেখিকাঃ-তানজিনা আক্তার মিষ্টি

মিষ্টি রাজের মলিন মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। রাজ মুখটা মলিন করে রেখেছে ওর জন্য আচ্ছা বিয়ে টা হলে কি এমন হবে আমি কেন রাজি হচ্ছি না। যাকে ভালোবাসি তার কথাটা কেন রাখতে পারছিনা। কেন রাজকে খুশি করতে পারছি না আমি তো ওকে ছাড়া বাঁচতে ও পারবো না তাহলে কেন ওর কথা শুনছি না। মনের মধ্যে নানা কথা আসছে সব ফেলে রেখে মিষ্টি রাজের হাত চেপে ধরলো।
রাজ গাড়ি ঘুরিয়ে নিতে যাচ্ছিলো হঠাৎ মিষ্টি হাত চেপে ধরায় রাজ তীক্ষ্ণ চোখে তাকালো তার দিকে। মিষ্টি চোখে পানি নিয়ে তাকিয়ে আছে যা দেখে রাজ রেগে ছিলো তাও নিমিষেই শেষ গেলো জানতে চাইলো কি হয়েছে? আমার জন্য এতো চিন্তা করে আর আমি কিছু করবো না কেন?

–গাড়ি ঘুরানোর দরকার নেই।

রাজ ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে মিষ্টির দিকে ওর মাথায় কিছু ঢুকছে না। বিয়েটাই যেহেতু হবে না তাহলে গাড়ি ঘুরাবো না কেন?

–কি হলো এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন?

–কি বলছো গাড়ি ঘুরাবো না কেন বাসায় যাবে না?

–না বাসায় যাবো কেন বিয়ে না করেই।

–হোয়াট বিয়ে না করে বাসায় যাব না তুমি কি চাইছো বলো তো। এই তো এখন বিয়ে করবে না বললে এখন আবার বিয়ে না করে যাবে না বলছো।

–হুম ঠিকই বলেছি। আপনাকে কষ্ট দিয়ে আমি শান্তিতে থাকতে পারছিনা। ভেতরে ভেতরে কষ্ট মরে যাচ্ছি। বিয়েটা হবে কিন্তু কথা দিন বাড়িতে জানাবেন না আমরা একা বিয়ে করেছি সবাইকে অন্য ভাবে রাজি করাবেন। বিয়ের ব্যাপার টা লুকানো থাকবে।
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
–এখন লুকানো থাকবে কিন্তু যদি রাজি না হয় তখন বলে দিলে তো সবাই রাজি হয়ে যাবে। যদি….

মিষ্টি রাজ কে মাঝ পথে থামিয়ে দিয়ে।

–তার মানে আপনি বলে দেবেন বলছেন।

–না তেমন না যদি মানতে না চায় তখন তো বলবো।

–না কখনোই না বিয়ের কথা না বলে মানাবে জানি না। না হলে বিয়ে হবে না।

রাজ মুখটা ছোট্ট করে শিকার হলো, আচ্ছা।

মিষ্টি রাজের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে কতো খুশি দেখাচ্ছে তাকে। মুখে তৃপ্তীর হাসি মনে থেকে যে খুশি তা রাজের মুখের হাসি বলে দিচ্ছে। মিষ্টি ও অজান্তেই হেসে উঠে রাজের খুশি দেখে। রাজ এটা ওটা বলেই যাচ্ছে। আর হাত দিয়ে আমার হাত ধরে হেটে যাচ্ছে শপিং মলের দিকে। একটু আগেও ও এই ছোঁয়া আমার অন্য অনুভূতি হয়ে এখন যেন কারেন্টে শক দিচ্ছে। যত বার হাত ধরছে আমার শরীরের কাটা দিয়ে উঠছে। এই ছোঁয়া ভালো লাগছে। এটাই স্বামীর ছোঁয়া কিছু ক্ষন আগেই আমাদের বিয়ে হলো ভাবতেই অদ্ভুত লাগছে। মনের মধ্যে হাজারো ভ য় ছিলো বিয়েটা নিয়ে কোন ভুল হবে না তো। সবাইকে ঠকানো হবে না তো না না দ্বিধায় ভুগতে হয়েছে কিন্তু রাজের ভালোবাসার কিছে হার মেনে বিয়ে করলাম। ভয় মনে থাকলে ও ভালো লাগছে খুফ ভালো লাগছে। আজ থেকে রাজ শুধুই আমার এটা ভাবতে শরীর কাটাঁ দিয়ে উঠছে।

–কী হলো কখন থেকে ডাকছি শুনতে পাচ্ছো না।

হঠাৎ রাজের চিৎকার করে কথা কানে আসতেই নিজের ভাবনা থেকে ফিরলাম তাকিয়ে দেখি জুয়েলারি দোকানে দাঁড়িয়ে আছি। রাজ অনেক গুলো ডায়মন্ডের রিং বের করে রেখেছে আমার সামনে। আমি কী বলতেই বলল অনেকক্ষন ধরে নাকি ডাকছিলো আমাকে রিং চয়েজ করতে। আমি ভ্রু কুচকে তাকালাম রিং দিয়ে আবার কি হবে কার জন্য এসব মুখে বললাম না। রাজ হয়তো আমার তাকানো দেখেই বুঝেছে কি বলতে চাইছি। তাই একটা কথা বলল,,

–এভাবে তাকিয়ে না থেকে একটা রিং চুজ করে নাও। এটা তোমার আগে পাওয়ার কথা ছিলো কিন্তু আমি তো তা করতে পারলাম না তাই পরেই দিচ্ছি।

এবার বুঝলাম আমার জন্য এখানে এসেছে।

–এসবের দরকার নেই চলেন তো।

–দরকার আছে কিনা আমি দেখবো তারাতারি চয়েজ করো।

–আমার লাগবে না চলেন।

–আমার কথা কানে যায় না দেখো তারাতারি কোন ভালোলাগে।

বলেই রিং আমার হাতে দিতে লাগলো একটা রাখে একটা দিচ্ছে।

–আমার কোন রিং এর দরকার নেই চলেন তো বাসায় আমার ক্ষিদে পেয়েছে।

খাওয়ার কথা ইচ্ছে করে বললাম যাতে এসব বাদ দিয়ে বাসায় ফিরে আসে। আমি যে ক্ষিদে সহ্য করতে পারি না তা রাজ খুব ভালো করে জানে খাওয়ার কথা বললে।

কিন্তু সেগুরে বালি রাজ ছারলো না খেতে ও দেবে না বাসায় ও যাবে না কি বিপদে পরলাম। রাজের জরাজরি তে আর পারলাম না তাই নিতে রাজি হলাম কিন্তু আমি পছন্দ করলাম না রাজকে পছন্দ মতো কিনতে বললাম।

তারপর রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে রাত দশটার দিকে বাসায় পৌঁছালাম।

আমি আমার রুমে আর রাজ রাজের রুমে চলে গেল। রুমে এসেই পেচানো শাড়ি খুলে ফেললাম। কি ঝামেলায়ই যে ছিলাম খুলুম খুলুম অবস্থা। কী ভাবে যে এটা গায়ে রেখেছি আমি জানি শুধু। জামা কাপড় নিয়ে বাথরুমে চলে গেলাম। ফ্রেশ হয়ে এসেই ঠাস করে খাটে শুয়ে পরলো প্রচুর ক্লান্ত লাগছে এখন ঘুম আসবো।

চিন্তা এই কয়দিন একটু ও ঘুম আসতে পারি নি। আজ একটু শান্তিতে ঘুম আসবো ভেবেই চোখ বুজে ফেললাম।কখন ঘুমিয়ে পরেছি জানি না। তীব্র আওয়াজ কানে আসতেই ধরফরীয়ে উঠে বসলাম। মিটিমিটি করে তাকিয়ে দেখি আমার সামনে রাজ বসে আছে আর চিৎকার করে ডেকে যাচ্ছে। রাগে আমার মন চাইছে রাজের মাথা ফাটিয়ে দিতে আমি ভয় পেয়ে গেছীলাম এতো জোরে আওয়াজ শুনে না জানি কি হয়েছে ভেবে কিন্তু কিছুই না রাজ ইচ্ছে করে আমার ঘুম নষ্ট করেছে।

–এমন ষাড়ের মতো চেচামেচি করছেন কেন এতত রাতে একটু শান্তিতে ঘুমাতেও কিপারবো না?

–না পারবে না। কেন ঘুমাবে?

–মানে কি বলছেন কেন ঘুমাবো এটা কেমন প্রশ্ন। ঘুম মানুষ কেন আসে?

দাতে দাত চেপে কথা গুলো বলল মিষ্টি ঘুমের ডিসটার্ব একদম পছন্দ না ওর। আর রাজ ওর অপছন্দের কাজ বেশি করে এই লোকটা কি একে একটু ভালোবাসে না। ভালোবাসে কি এতো কষ্ট দিতো শান্তি তে একটু গুম ও কিআসতে পারবে না।

–জানি না কে কি করে জানতে ও চাইনা। আর আজ এমন একটা স্পেশাল দিনে ঘুম পারছো।

মিষ্টির মাথায় কিছুই ঢুকছে না ও অবুঝের মতো তাকিয়ে আছে কি বলছে বুঝার জন্য রাজের মুখের দিকে।

–কি হলো এভাবে তাকিয়ে থাকো কেন কিছু বললেই?

–আপনার কথা আমি কিছু বুঝতে পারছি না স্পেশাল দিন মানে কি?

–আমাদের বাসর রাত এটা কি স্পেশাল না বলো। আমাকে রেখেই তুমি এভাবে ঘুমাতে পারলে।

–হুয়াট

–আবার কি বলছো তুমি কি ভুলে গেলে যে আজ আমরা বিয়ে করেছি। আর সেই মতে আজকে আমাদের বাসর রাত তো আজকে নো ঘুম ওকে।

–কিসের বাসর রাত এসব কিছু হবে না। যান রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পরুন এটা জাস্ট এমনিই বিয়ে সবার মত নিয়ে না হওয়া পযর্ন্ত কিছু করবেন না।

চলবে❤

[ অনেক অনেক সরি অনেক দিন পর গল্প দিলাম। খুব তারাতারি গল্প টা শেষ করে দেব সবাই শেষ কবে হবে তা নিয়ে চিন্তিত। তার মানে গল্প টা আর চাইছেন না বড় করতে চাইছিলাম কিন্তু আপনারা যখন চাইছেন না আর বড় করবো না। যারা অপেক্ষা করেছেন তাদের কে এতো গুলো ভালোবাসা বিজি না থাকলে লেট করতাম না। ধন্যবাদ সবাইকে?]

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?পর্বঃ- ২৭

0

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?পর্বঃ- ২৭
#লেখিকাঃ-তানজিনা আক্তার মিষ্টি

–তুই এতো খুশি কেন? আর কী বললি রাজকে পেয়ে গেছিস মানে।

মারিয়ার ফ্রেন্ড তোয়া অবাক চোখে মারিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে কি চলছে ওর মনে ওবুঝতে পারছে না।
মারিয়া কিছুদিন খুব ডেসপারেট হয়ে গেছিল ওর বাবার হ্যাট এ্যাটাক হলো সেদিন ও তেমন কষ্ট ওর মধ্যে দেখি নি। ফোনে খবর টা শুনে দিলাম ও কোন রিয়াকশন করলো না নিজের ইচ্ছে মতো পার্টি করে বাসা চলে গেল আমি সাথে গেলাম ওর বাসায় ডাক্তার নার্স ভর্তি সেদিকে খেয়াল করলো না রুমে গিয়ে ঘুম।
নিজের কষ্ট নিয়ে এতো ভাবছে যে আমি জিগ্গেস করলে বলতো,,” পাপ্পা কে নিয়ে আমি বসে থাকি নাকি ওনাকে দেখার অনেক লোক আছে ঠিক হয়ে যাবে কিন্তু রাজকে এনে দেওয়ার কেউ নেই। পাপ্পা আমার কথা ভেবে যেতে পারলো না রাজের বাড়িতে তাই তো আমি নিজে ই সব সেট করে এসেছি এবার রাজ আমার হবেই। ”

” মানে কি বলছিস কি করেছিস?”

” সময় মতো জানতে পারবি এখন কিছু বলছি না।”

কয়েকদিন ধরে মারু কে একটু বেশি খুশি দেখছি ও কি করেছে এতত কনফিডেন্টলি কি করে বলছে কি করেছে। রাজের জন্য এতো হাইপায় অথচ নিজের বাবার জন্য এর একটু চিন্তা ও দেখছি না।

–কি রে তোয়া কি ভাবছিস এমন করে? চল তারাতারি আজকে রেস্টুরেন্টে চল যা ইচ্ছে খা বিল আমি প্রে করবো। আজ আমি খুব খুব খুশি।

তোয়া কিছু বলার সুযোগ পেল না ওকে টেনে নিয়ে রেস্টুরেন্টে গেল।

.

রেহেনা বেগম গভীর ভাবে চিন্তায় মগ্ন হয়ে আছে। মন টা খুব অশান্ত তার সে মানতে পারছে না কি ভেবেছিল আর কি হতে যাচ্ছে। কতো আশা রাজ আর মিষ্টি কে নিয়ে ওদের বিয়ে দেব। কিন্তু ছেলে আমার নিজেই মেয়ে পছন্দ করে রেখেছে কে জানতো। সেদিন মেয়েটা এসে না বললে তো জানতেই পারতাম না।একবার ও ভাবিনি ছেলের পছন্দ থাকতে পারে ভেবেছি আমার ইচ্ছেতেই চোখ বন্ধ করে মমেনে নেবে। এখন দেখছি এটা ভুল ছেলেও যে পছন্দ থাকতে পারে ভাবা উচিত ছিলো। মিষ্টি মা এসেছিল ওকে তো এবারই বলতে চেয়েছিলাম রাজ আর ওর বিয়ের কথা খুব বাচা বেচে গেছি বলে দিলে কী হতো? কোন দিকে যেতাম ছেলের দিকে নাকি বান্ধবীর দিকে। মেয়েটাকে আমার একটু ও পছন্দ হয় নি দেখতে ভালো হলে ও ড্রেস আপ একটু ও ভালো না। কি সব ভাবছি আমার এক ছেলে ওর সুখই তো আমার সুখ ও যাকে নিয়ে সুখি তাকেই মেনে নেওয়া উচিত আমার।

মাথা ধরেছে খাটে এসে শুয়ে পরলো কাল বাড়ি গিয়ে বিয়ের চিন্তা ভাবনা করতে হবে।

সেদিন

রাজ মিষ্টি চলে ভার্সিটিতে যাওয়ার পর সোফায় বসে ছিলো। হঠাৎ সঙ্গে সঙ্গে কলিংবেল বেজে উঠে।
এখন আবার কে এলো সব তো গেল। কে এলো আবার চিন্তা করছে একের পর এক বেল বেজেই চলেছে। তারাতারি উঠে গেল দরজায় কাছে দরজা খুলে ভ্র ঢ় কুচকে এলো তার এ আবার কে।
তার সামনে দাড়িয়ে আছে একটা মেয়ে। পরনে শর্ট ড্রেস পরা যা তার একদমি পছন্দ না। মেয়েটি গায়ের রং ফর্সা। মেয়েটি কে ভাবছ।

–আন্টি আপনি নিশ্চয়ই রাজে আম্মু।

হঠাৎ একথা জিগ্গেস করায় অবাক হ য়ে তাকিয়ে আছে। এই মেয়ে জানলো কেমনে আমি কে? মাথা নেড়ে সম্মতি জানালো।

–তুমি কে আমাকে চিনলে কি করে আর বাবুনকেই চিনলে কিভাবে?

–আন্টি আপনি আমাকে চিনবেন না আমি রাজের খুব কাছের একজন।
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
–মানে বুঝলাম না।

–আন্টি এখানেই দাড়িয়ে কথা বলবেন নাকি ভেতরে যেয়ে।

–ওহ আমার খেয়ালই ছিলো না আসো ভেতরে আসো।

সোফায় এসে আরাম করে বসলো মারিয়া।

–তা তোমার নাম কি রাজের ফ্রেন্ড নিশ্চয়ই রাজকে খুজতে এসেছো নাকি?

–না আন্টি রাজকে খুজতে আসি নি।

–তাহলে।

— রাজ তো জানেই না এখানে এসেছি। আমি তো না জানিয়ে এসেছি আপনার সাথে আমার কিছু কথা আছে সেগুলো বলতে।

–কি কথা?

–বুঝতেছিনা কি ভাবে কথা টা বলবো? রাজ আপনাদের অনেক মানে আপনাদের কথার বাইরে যাবে না। আর আপনাদের জানাতেও পারে না যে আমরা দুজন দুজন কে ভালোবাসি। বিয়ে করতে চাই কিন্তু আপনাকে জানাতে সাহস পায় না।

একে একে যা বলল মেয়েটা সব শুনে আমি পাথর হয়ে বসে ছিলাম। রাজ মেয়েটাকে ভালোবাসে আমাদের বলতে ভয় পায় তাই বলে নি। মেয়েটা রাজকে না জানিয়ে আমাদের জানাতে এসেছে ওদের কথা। আমি যাতে রাজি হয়ে যাই যাওয়ার আগে এ ও বলেছে রাজকে যেন না বলি রে ও এসেছিল।

.

–এসব কি মিষ্টি তুমি রেডি না হয়ে এভাবে বসে আছো কেন আর শাড়ি এভাবে পেছিয়ে আছো কেন?

–কি করবো আমি শাড়ি পরতে পারি নাকি যাই এভাবে বসে আছি। আপনাকে আগেই বলেছিলাম আমি শাড়ি পরতে পারিনি আগের বার মিনা পরিয়ে দিতেছিলো কিন্তু এখন তোমার আর মিনা নাই কে পরিয়ে দেবে মামুনি ও নাই।

–একটু টাই করো না প্লিজ কোনভাবে পরে ফেলো। এভাবে তো আর যাওয়া যায় না আজ আমাদের একটা বিশেষ দিন আর তুমি শাড়ি পরবে না।

–আমার ভয় করছে বিয়েটা করতে হবে না। মামুনি রা যদি আমাদের মেনে না নেয় তখন কী হবে বলেন তো। হুট করে কিছু করা উচিত না আমার…

–মিষ্টি স্টপ তুমি তারাতারি রেডি হয়ে আসো আমি কিছু শুনতে চাইনা। আর আম্মু আববু কে নিয়ে তোমার এতো ভাবতে হবে না। আমি তাদের একমাএ ছেলে তারা আমার ইচ্ছে কেই প্রাইরটি দেবে আমি জানি।

–হ্যা তাহলে একা কেন সবাইকে ঠকানো হবে এভাবে সবাইকে না জানিয়ে কাজটা করলে।

–আমরা বলবো না বিয়ের কথা। তাদের কাছে আমরা আমাদের ভালোবাসার কথা বলেই রাজি করিয়ে সবার মতে বিয়ে করবো। কিন্তু আজকে বিয়ে হবেই আমার মনে তোমাকে হারানোর ভয় পাচ্ছি প্লিজ মিষ্টি কথা বারিয় না।

মিষ্টি রাজের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে এক দৃষ্টিতে রাজকে ভয় পেতে দেখছে হারানোর। মুখটা মলিন করে
আছে যা দেখে আমার বুকের ভেতরে তীব্র কষ্ট হচ্ছে না রাজকে কষ্ট দিতে পারব না আমি। একদিন আগে পরে তো রাজকেই আপন করে নেব। আজকে নিলে সমস্যা কি? ও যদি খুশি থাকে আজকে বিয়ে করে করে নেয় ওর খুশির জন্য। রাজকে নিচে পাঠিয়ে দিলাম।

আবার শাড়ির পরতে লাগলাম অনেক ভাবে পেচাচ্ছি হচ্ছে না পরতে পারলে ও খুলে যাচ্ছে। বাইরে থেকে রাজের ডাক কানে আসতেই কোন ভাবে পেচিয়ে নিলাম আয়নার সামনে গিয়ে দাড়ালাম হয়েছে কিছুটা এখন খারাপ লাগছে না কিন্তু পেট এতো উচু হয়েছে। কেমন হয়েছে কুচি আর ও ঘুরিয়ে দিলাম তবুও নিচু হচ্ছে না ওইভাবেই আচল দিয়ে শরীর ঢেকে নিলাম।
চুল খোলা পছন্দ করে রাজ তাই চুল খলা রাখলাম আর হালচা সাজলাম। লাল শাড়ি পরেছি এটা রাজ কিনে এনেছে। আবার ডাক আসতেই মিষ্টি দৌড়ে বেরিয়ে এলো সিড়ি দিয়ে নেমেই কুচী খুলার মতো অবস্থা হাত দিয়ে চেপে ধরে হাটছে।

রাজের দিকে চোখ পরতেই লজ্জা চোখ নামিয়ে নেয় মিষ্টি হা করে তাকিয়ে আছে মিষ্টি লজ্জা পেয়ে হাটছে হঠাৎ কুচি ছেড়ে হাটতে লাগে আচল আঙ্গুলে পেচাতে পেচাতে সাথে সাথে কুচিতে পা বেজে ধরাম করে পরবে কিন্তু রাজ সঠিক সময় ওকে বুকে জরিয়ে নেয়।

–এখনই তো গেছিলা ধপ করে নিচে পরতে একটু সাবধানে হাটতে পারো না। আর আমাকে দেখে লজ্জা পেতেপ না করেছিলাম না তোমাকে।

মিষ্টি ভয় পেয়ে গেছে অনেক তাই রাজের বুকে মাথা রেখে আছে চুপ করে কিছুই বলছে না। রাজের কথা কানে আসতেই মাথা উচু করে তাকালো ওর দিকে।

–আপনি ওই ভাবে তাকিয়ে ছিলেন কেন আমার লজ্জা করে না বুঝি।

–আবার লজ্জা আমাকে এতো লজ্জা পাও কেন।

–জানি না।

–তোমাকে দেখে কি মনে হচ্ছে জানো।

মিষ্টি ভ্রু কুচকে তাকালো।

–তোমাকে বলবো না চলো।

রাজ মিষ্টির হাত ধরে গাড়িতে উঠে বসলো। মিষ্টির ভয় করছে মার কথা মনে পরছে মাকে কি ভুল বুঝবে আমাকে। কিন্তু রাজ তো খুব কষ্ট পাচ্ছিল তাই তো রাজি হওয়া। রাজকে খুব ভালোবাসি মা ওর কথা ফেলতে পারলানা তুমি আমাকে ভুল বুজো না প্লিজ।

গাড়ি থেমে যাওয়ায় মিষ্টি তারাতারি রাজের দিকে তাকালো,

–আমরা কি এসে গেছি?

রাজ কিছু না বলে মিষ্টি কে একটানে বুকে এনে ফেলল, তারপর চোখের পানি মুছে দিলো।

–কাদছো কেন কি হয়েছে? আমি কি তোমাকে বেশি জোর করে কষ্ট দিয়ে ফেলেছি আচ্ছা সরি। বিয়ে করবো না চলো চলে যাই তোমাকে কষ্ট দিয়ে আমি কিছু করতে চাইনা। তোমার চোখের পানি দেখলে আমার খুব কষ্ট হয় খুব। তুমি রাজি না থাকলে বাদ সবাই কে না জানিয়ে কিছু করবো।

চলবে❤

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?পর্বঃ- ২৬

0

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?পর্বঃ- ২৬
#লেখিকাঃ-তানজিনা আক্তার মিষ্টি

ঘুম ভেঙে যায় পানির পিপাসায়। মিষ্টি জাগানা পেয়ে হাত দিয়ে ট্রি টেবিলের উপর পানি খুজে নাই। আজ আনতে ভুলে গেছে পানি। আলসামি করে উঠতে মন চাইছে না ওই ভাবেই চোখ বন্ধ করে শুয়ে রইল কিন্তু পানি না খাওয়া পযর্ন্ত মনে হয় না ঘুম আসবে। কি জ্বালায় পরলো রাগ উঠছে? প্রতিদিন পানি নিয়ে আসি আজ আনতেই ভুলে গেছি। এখন উঠতেই হবে আলসামি ফেলে রেখে উঠে বসলো। মিষ্টির ঘুম অনেক বেশি তাই এতো রাগ হচ্ছে একটু উঠতে ইচ্ছে হচ্ছে না কিন্তু পানি না খেলে ঘুম ও আসবে না।

মিষ্টি উঠে বাইরে এলো রুমের নিচে এসে পানি খেয়ে রুমে যেতে যাবে। হঠাৎ চোখ পরলো রাজের রুমের দিকে লাইট জ্বলছে রুমে। এতো রাতে লাইট জ্বলছে কেন দেখার ইচ্ছা জাগলো মনে। একবার যাবে তো একবার যাবে না ভাবছে অবশেষে গেল। ধীর পায়ে দরজায় কাছে এসে দাড়ালো ভয়ে হাত কাপছে উকিঁ দেবার সাহস ও হচ্ছে না। যত বার ই এই রুমের দরজায় কাছে এসে দাড়িয়েছে ততবারই ধরা খেয়েছে মিষ্টি। এখন অবশ্য রাজ ভয় কমই পায় কিন্তু একটি এখানে দেখলে কি লজ্জায় ই না ফেলবে ভাবতে পেছনে ফিরে চলে আষতে চাইলো।

কিন্তু তা আর হলো না কেউ ওর হাত টেনে ধরেছে। মিষ্টির জান যায় যায় অবস্থা এই ভয়টাই পাচ্ছিলো তাই হলো। বুক ধুকধুকনি বেড়ে গেছে ইস কেন যে আসতে গেলাম এখানে। এমন কিছু হয় জানা সক্তে ও আসছি। এখন কি হবে রাজ তো আমাকে দেখে নিয়েছে আমি হাত ছিরাতে মুচরা মুচরি করছি রাজ সেদিকে তোয়াক্কা না করে রুমে নিয়ে গেল আমাকে।

–তুমি এখানে কি করছো এত রাতে? আবার উকিঁ দিচ্ছিলা তোমাকে বলেছিলাম না….

–আমি উকিঁ দিচ্ছিলাম না তো।[ ভয়ে ভয়ে]

–তাহলে এভাবে দরজায় আড়ালে দাড়িয়ে ছিলে কেন। আবার এখন লুকিয়ে চলে ও যাচ্ছ। তোমাকে কি বলেছিলাম এভাবে লুকিয়ে থাকবে না যখন ইচ্ছে রুমে চলে যাবে আমি কিছু বলবো না তোমাকে তবুও এভাবে।
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
–সরি, আসলে

–ওফ মিষ্টি আবার সরি বলছো তুমি এমন মাথা নিচু করে আছে কেন? এসব আমার ভালো লাগে না আর কখনো মাথা নিচু করে থাকবে না আর আমাকে এতো ভয় কেন পাও তুমি।

–জানিনা।

–যাও কফি করে নিয়ে আসো মাথা ব্যাথা করছে।

সঙ্গে সঙ্গে মিষ্টি মাথা সুরু চোখে তাকায় রাজের দিকে কেমন লাগছে দেখতে চোখ লাল টকটকে হয়ে আছে ঘুমে। মিষ্টি ভিতরে তাকালো টেবিলে বই রাখা বিছানায় উপর ও বই পরতাছিলো এতোক্ষণ। সারা বছর পরে না এখন এতো পরে কি অবস্থা করেছে নিজের।

রাজের কাল থেকে ইয়ার চেন্জ এক্মাম তাই এতো পড়া। সারাবছর যাই করুক এক্মামের আগের দিন তার পরা একেবারে ফাস্ট বয় এর মতো। মিষ্টির রাজের ক্লান্ত মুখ দেখে কষ্ট হলো অনেক।

–আপনি এখন ও পরতেছিলেন কতো বাজে এখন?

–হুম একটু পরছিলাম। সারা বছর তো পরি না এখন না পরলে তো ফেল করতে হবে তখন তুমি কি বলবে তোমার বয়ফ্রেন্ড ফেলটু তাই এতো পরা।

–সারা বছর টুটু না করে একটু পরলে এতো কষ্ট করতে হতো না একবার আয়নার দেখেছেন নিজের মুখ কি অবস্থা হয়েছে। আর এখন ঘুভিয়ে পরুন ২ টা বাজে প্রায়। ঘুম না হলে আবার কাল পরিক্ষার হলে গিয়ে ঘুম পারতে হবে।

–কফি কি দেবে নাকি নিজেই করে আনবো।

–আনছি।

মিষ্টি রাজকে ছারিয়ে নিচে নেমে এলো কফি করতে।

–কফি

রাজ মাথা উচু করে মিষ্টি দিকে তাকালো কফি না ধরে মিষ্টির হাত ধরে বেলকনি তে নিয়ে গেল তারপর দোলনায় বসে পরলো।

–এখানে কেন

–বসো

–না আপনি ঘুম আসেন আমি ও ঘুম আসবো।

বলেই মিষ্টি চলে আসতে চাইলো রাজ আসতে দিলো না।

–কি হয়েছে?

–আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মিষ্টি ভ্রু কুচকে তাকালো রাজের দিকে তারপর রাজ যা বলল তাতে ওর ভাথায় আকাশ ভেঙে পরলো। চোখ বড় বড় করে রাজের দিকে তাকিয়ে আছে। এটা কি বলছে রাজ পাগল হলো নাকি।

সব সময় চিন্তা মাথায় নিয়ে বসে থাকৈ মিষ্টি কিছু ওর মাথায় ডুকছে না। রাজকে ও খুব ভালোবাসে রাজের কথা ফেলতে পারবে না কিন্তু রাজের কথা শুনে অন্য দের ধোকা দেওয়া হবে না তো। সবাই যদি মেনে না নেয় তখন কি হবে। মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে মিষ্টি হঠাৎ পাশে থেকে কেউ কথা বলে উঠলো।

— মিষ্টি

তাকিয়ে দেখে মামুনি। রাজের এক্মাম কালকেই শেষ কালের পরই টেনশন কি যে হবে।মামুনি রা কি আমাকে ভুল বুঝবে না মামুনি তো আমাকে খুব ভালোবাসে কিছু বলবে না মনে হয়। মামুনির মুখের দিকে তাকিয়ে ভাবছি মামুনি আমার পাশে এসে বসে ঝাকিয়ে দিলো সিটকে সরে গেলাম ভয় পেয়েছি।

–হুম মামুনি বলো।

–কি হয়েছে তোর বলতো এতো কি চিন্তা করছিলি? আর ইদানিং একটু বেশি মনমরা লাগছে তোকে।

–তেমন কিছু না মামুনি মা মিনার কথা মনে পরছিলো তাই একটু।

–ওহ তুই তো গ্রামে যাস না অনেক দিন হয় তোর মা ও গেল কতো দিন যাবি নাকি একদিন পরিক্ষাতো নেই এখন।

–হ্যা যাবো।

–তা যাবি কিন্তু এখন না আমরা কাল বাবুনের ফুফির বাড়ি যাচ্ছি। দুইদিন থাকবো তারপর যাস রাজ দিয়ে আসবে নি ওর পরিক্ষা ও শেষ হয়ে যাবে।

–কবে যাবে।

–কাল

–ভাইয়ার যে এক্মাম।

–কালই তো শেষ যেতাম না ফোন দিয়ে খুব কেদেছে পরে গিয়ে ব্যাথা পেয়েছে না গেলে খারাপ দেখা যায় তাই যেতেই হবে।

পরদিন রাজ এক্মাম দিতে চলে যাওয়ার সময় মামুনিরা ও চলে যায়। বাসায় আমি একা মামুনিরা থাকলে চিন্তা কম থাকতো মামুনির সাথে গল্প করে কিন্তু একা বাসার চিন্তা বারছে।
আল্লাহ জানে কি যে হবে?

হঠাৎ ফোন বেজে উঠলো হাযে নিয়ে দেখি কোয়েল এতো দিন পর কোয়েল এর নাম্বার দেখে হা করে তাকিয়ে আছি।
ফোন কানে নিতেই চিৎকার করে বলতে লাগলো,,

–দোস্ত রে একটা খুশির খবর আছে। তোকে কিন্তু আসতেই হবে যে ভাবেই হোক কোন এক্মকিউজ আমি শুনবো না।

–কি হয়েছে আগে বল তো।

–আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে। সামনে মাসেই বিয়ে তোকে কিন্তু আসেই হবে ভাইয়া কে নিয়ে।

–কার সাথে তোর না বয়ফ্রেন্ড ছিলো।

–হুম

–তাকে ছেরে অন্য জনকে বিয়ে করবি তাও এতো খুশি তুই।

–কি বলছি অন্য জনকে কে বলেছে ওর সাথেই তো বিয়ে ঠিক হয়েছে।

— সত্যি কী ভাবে তোর বাড়িতে মানলো।

–হুম মানছে কতো কাহিনি করে যে মানাতে হয়েছে বলে বুঝিতে পারবো না আমরা একাই যে বিয়ে করেছি সেটাও জেনে গেছীলো জেনেই রাজি হয়েছে না হলে রাজি হতো না।

কোয়েল সব বলল,

কিছু ক্ষণ কথা বলে ফোন রেখে দিলাম। সারাদিন এটা ওটা করে কাটালাম শেষে রাজের পছন্দের বিরিয়ানী করে ফেললাম,

.

.

— মিষ্টি তারাতারি রেডি হয়ে আসো। আর কতো সময় লাগবে সব সময় আমাকে বলো লেট হয় এখন কার লেট হচ্ছে।

রাজ বিরক্ত হয়ে বসে আছে মিষ্টির আসার নাম নেই। ঘরির দিকে তাকিয়ে দেখলো চারটার উপরে বাজে উঠে দাড়ালো মিষ্টির রুমের দিকে হাটা দিলো।
রুমে এসে অবাক শাড়ি কোন রকম পরে বসে আছে সাজ গোজ কিছু করে নি। রাগে মাথা ফেটে যাওয়ার উপক্রম রাজের এতো সময় ধরে বসে আছৈ তার জন্য আর সেই এভাবে বসে আছে। রেডি না না হয়ে মিষ্টি শাড়ির আচল আঙ্গুল পেচাচ্ছে আর কি যেন ভেবে যাচ্ছে। রাজ রেগে তার দিকে এগিয়ে গেল।

চলবে❤

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?পর্বঃ- ২৫

0

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?পর্বঃ- ২৫
#লেখিকাঃ-তানজিনা আক্তার মিষ্টি

রাজ মিষ্টি কে খাইয়ে দিচ্ছে আর মিষ্টি মুচকি হাসি মুখে রেখে খাবার মুখ নিচ্ছে। খুব আনন্দ আজ ওর মনে রাজ ওর হয়েছে ওকে ভালোবাসি বলেছে ভাবতেই মন টা নেচে উঠছে। আনন্দে ওর চোখ চিকচিক করছে।

–একি তুমি কাদছো কেন?

বলেই রাজ মিষ্টি গাল স্পর্শ করলো। মিষ্টি মুখে হাসি কিন্তু চোখে জল যা দেখে রাজ ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে বুঝতে চাইছে।

–কি হলো বলো কি হয়েছে? কেউ কিছু বলেছে বলো মারিয়া ও কিছু বলেছে।

–না কেউ কিছু বলে নি।

–তাহলে কাদছো কেন?

–আনন্দে

রাজ কপাল কুচকে তাকিয়ে আছে।
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
— আনন্দে আবার কেউ কাদে নাকি। কি সব বলো তুমি মিষ্টি তোমার মাথাটা গেছে?

বলেই আমার চোখের পানি মুছে দিয়ে নিজে খেতে লাগলো।

–আমার সামনে আর কাদবে না তোমার কান্না আমার সহ্য হয় না। জানো তো এখন চুপচাপ খেতে থাকো।

–মাথা নেড়ে সম্মতি দিলাম।

রাতে রুমে শুয়ে আছে। এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেছী কখন বুঝি নি হঠাৎ কানে কারো আওয়াজ যাওয়াতে ধরফরিয়ে উঠে বসলাম। রাতের বেলা কে এলো রুমে। অন্ধকারে দেখতে ও পারছি না।
চিৎকার করতে যাবো আমার মুখ সেপে ধরলো,,

–আমি চিৎকার করো না আম্মু আববু জেগে যাবে। তখন আমাকে চোর ভেবে গন ধূলায় দিবে।

রাজের কণ্ঠ পেয়ে নিজেকে শান্ত করলাম। গলার আওয়াজ ধীর করে বলতে লাগলাম,,

–আপনি এখানে কেন এতো রাতে?

–বাইরে এসো।

–কেন।

–আরে আসো তো এতো কেন কেন করো কেন সব সময়।

বলেই আমার হাত ধরে টানতে লাগলো বের হতে।

–আমি এখন বাইরে যাবো না হাত ছারুন ঘুম আসবো। এতো রাতে ঘুম বাদ দিয়ে এখানে কি করেন আপনি।

–কি বললে যাবে না।

–না বললাম তো ছারুন হাত মামুনি রা জেগে গেলে আমাদের এতো রাতৃ একসাথে দেখলে কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে। রুমে জান আপনি ঘুমিয়ে পরুন কাল কথা বলে।

বলেই হাত ছারিয়ে নিলাম জোর করে খাটের কাছে গিয়ে শুতে যাবো জোরে হাতে টান পরলো। আচমকা এমন হওয়ায় নিজেকে সামলাতে পারলাম না রাজের বুকে গিয়ে পরলাম।

সঙ্গে সঙ্গে আমার হার্টবিট ফাস্ট হ য়ে গেল রাজ কাছে আসলেই এমন হয়। সরে আসতে গেলে সরতে পারলাম না শক্ত করে চেপে ধরে আছে।

–যাবে না।

–না

–সত্যি [ দাতে দাত চেপে বলল,,] যাবে না।

–ছারুন

–আগে বলো যাবে কিনা।

–আচ্ছা যাবো ছারুন।

–গুড গার্ল।

বলেই হাতের বাধন হালকা করে দেয়। এতোক্ষনে আমার জান ফিরে পেলাম মনে হয়। সরে এসে অন্য দিকে ফিরে জোরে জোরে শ্বাস নিতে লাগে মিষ্টি চোখ বন্ধ করে নিজেকে স্বাভাবিক করে চোখ মেলে ভয়ে পিছিয়ে যায় রাজ একদম মুখের কাছে এসে তাকিয়ে আছে।চোখ খুলে এমন কিছু আসা করে নি এতো কাছ আসে কেন বুঝি না।রাজ কে ফেলে আগে আগি পা ফেলে বেরিয়ে এলো রুমে থেকে।

–কই যাও,,

হঠাৎ পেছনে থেকে কথা শুনে পেছনে ফিরে মিষ্টি। এবার নিজে কোথায় যাচ্ছিল দেখলো নিচে নামছিলো।

–নিচে যাচ্ছিলাম।

–কেন আমি কি তোমায় নিচে যেতে বলেছি।

–না মানে আসলে।

আমাকে আর কিছু বলতে না দিয়ে হাত ধরে টেনে ছাদে নিয়ে এলো।

–এতো রাতে ছাদে এলেন কেন?

বলেই মিষ্টি আশেপাশে তাকালো চারদিকে অন্ধকার। ও অন্ধকার এ ভয় পায় আবার শুনেছে রাতে ভূত প্রেত এসব থাকে এখন ছাদে যদি ভূতথাকে ভেবে ভয়ে জরোসরো হয়ে গেল মিষ্টি। রাজ হাত ছেড়ে সামনে এগিয়ে যাবে মিষ্টি রাজের হাত খামচে ধরলো।

হঠাৎ কেউ হাত ধরায় রাজ পেছনে ফিরলো কি হয়েছে দেখতে মিষ্টি নিজে থেকে হাত ধরেছে কেন?

–কি হয়েছে মিষ্টি তুমি এতো চেপে আছো কেন আমার সাথে ছার।

রাজ বুঝতে পেরেছে মিষ্টি ভয় পাচ্ছে তাঈ ইচ্ছে করেই এগুলো বলছে। মিষ্টি ছারছে না বরং আর ও বেশি শক্ত করে হাত ধরে গা ঘেষে দাড়ালো।

–এখানে এসেছেন কেন চলুন রুমে যাই আমার ঘুম আসছে। আর সাথে ভয় ও করছে রাতের বেলাছাদে এসেছেন এখন যদি আমাদের ভূতে ধরলে কি হবে?

বলেই মিষ্টি ভীতু মুখ করলো চেহারায়। রাজ যেন পেয়ে বসলো আরও।

–কি আর হবে তোমার গার মটকাবে। আমার কি তাতে আমাকে তো কিছু করবে না।

–মানে আপনাকে কিছু করবে না কেন?

–এখানে আছে ছেলে ভূত সে তোমাকে ধরবে। আমাকে ধরে কি করবে মেয়ে ভূত থাকলে না আমাকে ধরবে।

–আপনি জানলেন কি করে এখানে মেয়ে না ছেলে ভূত আছে।

–জানি জানি সব জানি মেডাম এবার ভ য় পাওয়া বাদ দিয়ে চলো তো।

–না আমি ওই দিকে যাবো না ছারুন নিচে যাবো আমার ভয় করছে।

–আমি আছি তো এতো ভয় কিসের। আমি থাকতে কে আসতে পারবে তোমার কাছে।

বলেই রাজ মিষ্টি কে নিয়ে ছাদের মাঝখানে বসে পরলো। মিষ্টি নিচের দিকে তাকিয়ে আছে ও যে লজ্জা পাচ্ছে বুঝা যাচ্ছে।

–হাত সরাও

আচমকা হাত সরাও বলাতে মিষ্টি নিজের হাতের দিকে তাকালো হাত কি কিছু ভুল করেছে কিনা। কিন্তু কই আমার হাত তো আমার হাটুতেই আছে তাহলে এই কথা বলল কেন?

ভ্রু কুচকে রাজের দিকে তাকিয়ে আছে।

–কি হলো হাত সরাযে বললাম না।

–মানে হাত সরাবো মানে কি?

রাজ আর কিছু না বলে হাত উপরেই মাথা দিয়ে শুয়ে পরলো। ঘটনা এতো দ্রুত ঘটলো যে মিষ্টি কিছু বলতেও পারলো না হা করে তাকিয়ে আছে। হাতেমাথার চাপ লেগে ব্যাথা করবে তাই হাত সরালো তারাতারি।

–এভাবে হা করে তাকিয়ে আছো কেন?

–আপনি এখানে শুলেন কেন।

–মন চাইছে তাই। এবার মাথায় হাত বুলিয়ে দাও তো।

বলেই চোখ বন্ধ করে ফেলল,

–কি হলো দাও।

মিষ্টির মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না। হাত ও দিচ্ছে না রাগ হচ্ছে কিন্তু কিছু বলতে ও পারছে না রাজ হাত টেনে মাথায় রাখলো।

এদিকে

মারিয়া ডিংক্ম করছে একাধারে চোখে ওর আগুন হয়ে কিছুতেই মানতে পারছে না রাজ আমাকে এভাবেধোকা দিলো। ওই মেয়েটার জন্য আমার সাথে এই বিহেভ করলো ওই মেয়েকে আমি ছারবো না কিছুতেই না।

ক্লাবে বসে ডিংক্ম করেই যাচ্ছে থামছে না।

–এবার চল আর কতো খাবি।

–জানি না যতক্ষণ না ওই মেয়েকে উচিত শিক্ষা দিতে পারছি আমি শান্ত হবো না।

–সে না হয় দিবি এখন বাসায় চল আন্কেল চিন্তা করছে নিশ্চয়ই।

–করুক

সঙ্গে সঙ্গে ফোন বেজে উঠলো মারিয়ার,

–তোর ফোন বাজছে রিসিভ কর।

মারিয়ার সেদিকে খেয়াল নেই। ও মাতাল হয়ে গেছে নিরুপায় হয়ে তরি ফোন রিসিভ করলো [ মারিয়ার ফ্রেন্ড ]

–মারু তোর পাপ্পা হাট এ্যাটাক করেছে।

চলবে❤

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?পর্বঃ- ২৪

0

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?পর্বঃ- ২৪
#লেখিকাঃ-তানজিনা আক্তার মিষ্টি

–তুই কি করে পারলি আমাকে এতো কষ্ট দিতে রাজ। আমি কতো অপেক্ষা করেছি তোর জন্য তোর জন্য আমি কেক অবধি কাটি নি। তুই গেলি না কেন আমাকে এতো কষ্ট দিলি কেন? কি হলো বল?

মারিয়া রাজের সামনে দাড়িয়ে কথা গুলো বলে যাচ্ছে। রাজ গেটের কাছে মারিয়ার ও কথা বলার মাঝে রাজের পাশে মিষ্টি কে দেখেই মারিয়া আর ও রেগে উঠলো,,, মিষ্টি দিকে তাকিয়ে ফুস করে উঠলো, মিষ্টি নিশ্চয়ই রাজকে আসতে দেয় নি ও তো জানতো আমি পাপার সাথে রাজ কে মিট করাব এটা জানে। ও রাজকে পছন্দ করে এই জন্য এই গুলো সহ্য করতে না পেরে রাজকে আটকে দিয়েছে। ওকে আমি মেরে ফেলবো। কাদোকাদো মুখ করে রাজের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো,

–ওই মেয়ের জন্য তুই যাস নি তাই না। ওই মিষ্টি তোকে মিথ্যা বলে আটকে ছে যেতে আমি জানতাম ও এমন কিছু করবে। ও তো তোর সাথে আমাকে সহ্য করতে পারে না হিংসা করে আমাদের। ওকে আমি ছারবো না।

বলে মারিয়া মিষ্টি দিকে এগিয়ে গেল। মিষ্টি ভয়ে ভয়ে মারিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। মারিয়া এসেই চর মারতে হাত উঠায় মিষ্টি ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলে,, কিন্তু অনেকক্ষণ হয়ে যায় কিছু না হওয়ায় কাপঁতে কাপঁতে চোখ মেলে তাকায়, রাজ রক্ত লাল চোখ দিয়ে মারিয়ার হাত ধরে দাড়িয়ে আছে।

–মারু তোর সাহস কি করে হলো ওর গায়ে হাত তোলার।

–কি বলছিস রাজ ওর জন্য আমি এতো কষ্ট পেলাম ওর জন্য তোর সাথে আববু কে মিট করাতে পারলাম না আববুর সামনে কতোটা নিচু হয়েছি জানিস। তোর আর আমার কথা একবার বলাতেই আববু রাজি হয়ে গেছে আর শেষে কিনা তুই যেতে পারলি না। সবার সামনে কতো টা নিচু হয়েছি আমরা জানিস সব এই মেয়ের জন্য। ওই জানতো আববু কে তোর আর আমার বিয়ের কথা বলেছি এটা জেনে ও ইচ্ছে করে তোকে বাধা দিয়েছে তাই না।

–ও যদি বাধা দিতো আমার থেকে কেউ খুশি হতো না কিন্তু ও তা না করে আমাকে জোর করেছে যেতে বুঝেছিস।

–মানে

রাজ মিষ্টি কে এক হাতে কাছে টেনে জরিয়ে ধরে। আচমকা রাজ এমন জরিয়ে ধরায় হা করে তাকিয়ে আছে রাজের দিকে। এদিকে মারিয়া রাগি চোখে তাকিয়ে আছে।

–কাল আমি আমার ভালোবাসার মানুষটার সাথে সময় কাটাতে চাইছিলাম। কিন্তু সে তো তোর ওই মিথ্যা কথার জন্য আমাকে ভুল বুঝে বসে আছে আমি জানতাম ও না। কাল ও পরিস্থিতি না আসলে জানতাম ও না।

–হোয়াট ভালোবাসার মানুষ সেটা আবার কে কি বলছিস। তুই তো আমাকে ভালোবাসিস। আর আমি তো কাল তোর সাথে ছিলাম না। আর আমি কি মিথ্যা কাকে বলেছি।

–তোকে ভালোবাসি আমি সেটা কবে বলেছি।

মারিয়া চুপ করে গেল।

–ফ্রেন্ড বলে কিছু বললাম না। নেক্মট এমন মিথ্যা কথা ছরালে ছেড়ে দেবো না। আর কাকে ভালোবাসি শুনবি শুন তাহলে এই যে যাকে আর পাশে আমার সাথে দেখছি ওকে ভালোবাসি তোর জন্য ও আমাকে ভুল বুঝেছে। তোর জন্য ওর মনে ভুল ধারনা তৈরি হয়েছিল কাল সব জানাতে চেয়েছিলাম আমার মনের অনুভূতি সেখানেও তোর কথা বলাতে মেজাজ গরম হয়ে যায় আমার। তুই জাস্ট আমার ভালো একজন ফ্রেন্ড এর একে আর কিছু মনে করি না। আমি শুধু একজন কেই ভালোবাসি আর সারাজীবন তাকে ভালোবাসবো। আমি শুধুই মিষ্টি কে ভালোবাসি।

মিষ্টি এতো মুখ হা করে রাজের দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে। বলে কি রাজ রাজ আমাকে ভালোবাসে মারিয়া আপুকে না। এতো দিন আমি ভুল বুঝে এসেছি তাহলে।

–কি হলো এভাবে হা করে তাকিয়ে আছো কেন?

–আপনি কি বললেন?

–তুমি কানে শুনো না?[ ভ্রু কুচকে]

–কানে শুনবো না কেন? অবশ্যই শুনি কেন আপনার বলার সাথে কানের কি সম্পর্ক।

–অনেক সম্পর্ক।

কিছু বলবে মারিয়া চিৎকার করে উঠে।

–এটা হতে পারে না রাজ তুই এই মেয়েকে ভালোবাসতে পারিস না। [ চিৎকার করে মারিয়া] আমি তোকে ভালোবাসি পাপাকে ও বলেছি সব। তোকে ছাড়া বাচতে পারব না রাজ প্লিজ বুঝার চেষ্টা কর।

— মিষ্টি ক্লাসে যাও।

— কিন্তু আপু তো

–তোমাকে যেতে বলেছি।

মিষ্টি আর কথা বাড়ায় না। ধীর পায়ে মাঠে দিকে এগিয়ে যায় ওর কাকে একটা কথায় বাজছে রাজ ওকে ভালোবাসে। কিন্তু এতো দিনে একটু ও বুঝতে পারে নি। মারিয়া আপুকে আমাকে মিথ্যা কেন বলল, কতো বাল বলেছে মিথ্যা যখনই মনে হয়েছে রাজ আমাকে ভালোবাসে তখনই তিনি এসে বলেছে তাকে ভালোবাসে।

এখন বুঝেছি সে জানতে তাই আমাকে ভুল বুঝিয়েছে যাতে আমি কখনো রাজকে সত্যি না বলি। আর কাল রাজ ভালোবাসার কথা বলতে ওইখানে নিয়ে গেছিলো আর আমি কি না কি ভাবলাম একবার ও আমার ভনে এলো না রাজ এই কথা বলতে পারে।এত বোকা আমি কতো সুন্দর ডেকোরেশন করেছিলো রেস্টুরেন্টে আচ্ছা মিনা ও কি সব জানে। মনে হয় ও নিশ্চয়ই এগুলো সব জানে জানে বলেই তো আমাকে জোর করে সাজানো মিথ্যা বলে নিয়ে যাওয়া।

মারিয়া আপু তো খুব রেগে আছে খুব। একবার পেছনে ফিরে তাকালো মিষ্টি মারিয়া কি যেন বলছে। বলতে বলতে রাজের কলার টেনে ধরলো আচমকা জরিয়ে ধরলো সঙ্গে সঙ্গে মিষ্টি চোখ বেয়ে পানি পরলো কষ্ট হচ্ছে এতো কাছে অন্য মেয়েকে দেখে রাজ সাথে সাথে সরিয়ে হাত উঠালো কিন্তু চর দিলো না। আগে আগে পা ফেলে তাদের আড্ডা রুমে যেতে লাগলো। মারিয়া সেদিকে তাকিয়ে থেকে নিজের গাড়ি নিয়ে চলে গেল। মিষ্টি কিছু বুঝতে পারলো না কি হলো কোথা থেকে।

ছুটির পর

–এতো কি ভাবছিস বলতো? কেমন চিন্তিত লাগছে তোকে।

–কিছু না এমনি।

–কিছু তো হয়েছে বল না আর আশেপাশের কাকে খুজছিস।

–কাউকে না চল।

বলেই মিষ্টি এগিয়ে গেল। আশেপাশে রাজ কে খুজছে কিন্তু নেই চলে গেছে বোধহয়।

গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছে তিথি ভাইয়ার সাথে চলে গেছেনিতে আসছিল আজ। ” উঠে আসো ” হঠাৎ কথায় আওয়াজ শুনে পেছনে তাকিয়ে দেখে রাজ গাড়ি নিয়ে দাড়িয়ে আছে।

–কি হলো কথা কানে যায় না। উঠে আস তারাতারি।

–আপনি এখন ও যান নি।

–না গেলে কি এখানে থাকতাম তারাতারি আস।

মিষ্টি মাথা নিচু করে আছে লজ্জা করেছে খুব। ভালোবাসি কথাটা জানার পর থেকেই এই লজ্জা এসে আটকে ধরেছে ওকে আগে যেটা ভয় ছিলো তা লজ্জায় পরিণত হয়েছে।

“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন

–আই লাভ ইউ মিষ্টি। কখন কিভাবে তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি জানি না। কিন্তু ভালোবাসি সেটা জানি তোমার সাথে রুড বিহেভ করেছি অনেক তা শুধুমাত্র কষ্ট থেকে তোমাকে মনের কথা যতবার জানাতে চেয়েছে। একটা না একটা জামেলা হয়েছে তুমি আসো নি বা ইগনোর করেছো তার জন্য পরে তোমাকে কষ্ট দিয়ে নিজের কষ্টের ভাগ তোমাকে দিয়েছি। অন্য কোন ছেলে তোমার দিকে তাকালে তাকে খুন করে ফেলতে ইচ্ছে করেছে। কেউ তোমার দিকে তাকালে রাগে আমার শরীর জ্বলে উঠেছেকেন তাকাবে তোমাকে শুধু আমি দেখবো অন্য অন্য কেউ না। সাজলে এতো সুন্দর লাগে যে আমি চোখে ফিরাতে পারিনা তোমার ওই মায়াবি চোখ থেকে। মন চায় জরিয়ে ধরে কিছু করে ফেলে। কিন্তু আমি এভাবে তোমার কাছে যেতে চাই না নিজেকে সংযত রাখী কষ্ট হয় অনেক তাই তোমাকে সাজতে নিষেধ করি। জানি আমার এসবে তুমি অনেক কষ্ট পেয়েছো কিন্তু তোমার থেকে যে আমি বেশি কষ্ট পায়। বারবার বলতে চেয়েছি মনে জমানো সব কিন্তু বলতে পারিনি। শেষে মিনার সাহায্যে বলতে চাইলাম সেখানেও মারিয়া কে টেনে আনলে। তুমি ওকে নিয়ে আমাকে ভাবতে রাগে কি যে করতে মন চায় বলে বুঝাতে পারবো। কি ভাবে ভাবলে ওকে আমি ভালোবাসি আমি কি কখনো ওর সাথে বয়ফ্রেন্ড এর মতো আচরণ করেছি। সব কিছুতে তোমার ওই অবুজ গীরী আমাকে কষ্ট দেয় তুমি কি আমার বিহেভে কখনো বুঝনি আমি তোমাকে ভালোবাসি।

মিষ্টি কিছু রাজ মিষ্টি কাধ ঝাকিয়ে বলছে। মিষ্টি কিছু না বলে রাজ কে জরিয়ে কেদে দেয়।

চলবে❤

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?পর্বঃ- ২৩

0

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?পর্বঃ- ২৩
#লেখিকাঃ-তানজিনা আক্তার মিষ্টি(Tanjina Akter Misti)

পুরো বাসা গেস্ট দিয়ে ভরপুর সোহেল চৌধুরীর একমাএ মেয়ের বার্থডে বলে কথা। মেয়েকে তিনি জান দিয়ে ভালোবাসে। কখনো মেয়েকে দুঃখ পেতে দেয় নি।মা নেয় বলে আর ও বেশি শাসন ছাড়া বড় করছে। দুই ছেলে মেয়েকে তিনি কখনো শাসন করে দেখেনি স্বাধীন ভাবে চলতে দিয়েছে যখন যা চেয়েছে তাই দিয়েছে কখনো কোন চাওয়া অপূর্ণ রাখে নি। আজকে ও সে তার মেয়ের কথা মেনে নিয়ে কাল যখন রাতে এসে মারু বলল,, সে একজনকে ভালোবাসে যাকে ছাড়া বাচবে না। কাল নাকি ছেলেটি আসবে এনগেজমেন্ট কালকেই করবে। মেয়ের মুখে এমন কথা শুনে সোহেল চৌধুরী কিছুক্ষণ হতদম্ব হয়ে গেছিল এমন কথা এতো ইজিলি করে বলল তার মেয়ে। এটা কি তার স্বাধীনতা দেওয়ার ফল। মেয়ে আমার কাছে নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে আসে। একবার জিগ্গেস পযর্ন্ত করে না আমার দিকে থেকে নিজের ইচ্ছে মতো বলছে। কিন্তু কি করবে কিছু বলে নি মেয়ের সুখ চিন্তা করে রাজি হয়। কিন্তু এখন কি হচ্ছে তার মস্তিষ্কে ঢুকছে না মেয়ে তা গম্ভীর হয়ে ঘরে দরজা বন্ধ করে বসে আছে।
কেন বসে আছে সে তো মেয়ের কথা মেনে নিয়েছে তাহলে এমন একটা দিনে সে এমন করে আছে কেন? সব গেস্টরা অপেক্ষা করছে কিন্তু মারু নিচে যাচ্ছে না না কেক কেটেছে আর না বের হচ্ছে। দরজায় বাইরে থেকে কিছু ক্ষণ ডেকে উঠলো মেয়েকে কিন্তু উপর পাশে থেকে সারা না পেয়ে নিচে নেমে এলো। সে এখন বড় মাপের মানুষ সবাই তাকে এক নামে চেনে তার পরিবারে এসব হচ্ছে মেয়ে জম্মদিন কেক না কেটে ঘর বন্ধি হয়ে আছে এসব সবাই জানতে পারলে সকালেই ব বড় নিইজ টিভি পএিকায় এসব খারাপ বলে বুঝানো হবে। কিভাবে সবাইকে সামাল দেবে সে।
নিচে নেভে আসতেই সবাই ঘিরে ধরলো তাকে। সাথে সাংবাদিক রাও কি বলে বুঝ দিবে মাথায় আসছে না। হঠাৎ ই তার ছেলে সুজয় এর দিকে চোখ পরলো তার ছেলেটা ও কি এমন একটু চিন্তা আছে নেই নিজের মতো বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে যাচ্ছে। এতো বড় একচা বিপদে পরেছে সে কাউকে পাশে পাচ্ছে না। চোখ জ্বলে উঠলো কি কমতী রেখেছে এই ছেলে মেয়ে দুটোর জন্য কিন্তু কেউ তাকে বুঝে না। হঠাৎ পাশে থেকে কেউ বলে উঠলো তাতে সোহেল চৌধুরী অবাক হয়ে তাকালো একটা ছেলে দাড়িয়ে আছে। তার পাশে দেখতে শ্যামলা বর্ণের লম্বা দেহের গঠন ভালো। চেহারা টা খুব মায়াবী তার কথায় কিছুটি সস্থী পেলাম।

পেস রা চলে গেল আমি তার দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকালাম কে এই ছেলে এই কি মারিয়ার সেই যাকে বিয়ে করতে চায়। নাকি অন্য কেউ এই হলে আমি রাজি মেয়ে আমার যেমনই হোক না কেন মানুষ ঠিক চয়েজ করেছে।

–আন্কেল আপনি ঠিক আছেন?

–হুম বাবা তোমার নাম কী রাজ?

–নাহ আন্কেল রাজ আসে নি তো দেখলাম না আশেপাশে। আমি রাজ মারিয়ার ফ্রেন্ড সবুজ। আর ওরা ও।

বলে কিছুটা দূরে দাড়িয়ে থাকা চার পাচঁ জনকে দেখালো। একা মেয়ে ও তিনটা ছেলে দাড়িয়ে গল্প করছে। এই রাজ না তাহলে এই ছেলে মারুর পছন্দের না রাজ কে আর কোথায় তার জন্যই কি মারু ঘর বন্ধি।

–রাজ আসবে না।

–জানি না আন্কেল আসবে তো বলেছিলো কিন্তু আসছে না কেন কে জানে? ফোন করেছিলাম ফোন ও অফ আছে।

–অহ।

বলেই একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে এগিয়ে গেল রুমের দিকে ছেলেটাই সামাল দিয়েছে মারু অসুস্থ এইটা বলে এখন সবাই খাওয়া দাওয়া করে চলে যাবে। তাই তিনি রুমে চলে আসতে লাগলো আর ভাবছে এই রাজের জন্য এতো ডেস্পারেট হয়েছে মারু ছেলেটা কি মারুকে পছন্দ করে না করলে আসল না কেন?

মারিয়া ঘরে দরজা বন্ধ করে বসে আছে রাগে লাল হয়ে উঠছে সাথে কষ্ট বুক ফেটে যাচ্ছে রাজ এলোনা। ও কি একটু আমাকে ভালোবাসে না। মিষ্টি ও তো আর ওর মনে নাই তাহলে কেন এলো না আর রাজ তো জানতো ও না এনগেজন্ট এর খবর তাহলে শুধু মিষ্টি কে বলেছিলাম ও কি বলে দিয়েছে। যার জন্য রাজ এলো না মিষ্টি কে তো রাজ সহ্য করতে পারে না তাহলে ওর কথা শুনতেই বা যাবে কেন? সুজন কে দিয়ে ইচ্ছে করে ওইসব করিয়ে ছিলাম যাতে রাজ ওকে ঘৃণা করে কিন্তু এখন যদি সব ঠিক থাকে তাহলে আমার এতো পরিশ্রম কি বৃথা গেছে না। মিষ্টি কে আমি ছারবো না এমন হতে পারে রাজকে মিষ্টি ইচ্ছে করে আসতে দেয়নি ও জানতে আজ রাজ আমার হয়ে যাবে তাই ইচ্ছে করে করেছে ওকে আমি ছারবো না। ওর জন্য আমার সব মাটি হয়ে গেল আমি এতো কষ্ট পাচ্ছি ওকে আমি এর শাস্তি দিতে না পারলে আমার নি ও মারিয়া না।

.
.“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন

এদিকে
গাড়িতে বসে আছে মিষ্টি পেছনের সিটের বসেছে। মুখ দেখে কিছু বুঝতে পারছে না মিনা হা করে তাকিয়ে বুঝতে চাইছে সব কি ঠিক মতো হয়েছে নাকি। মুখে তো হাসির কোন রেখা নাই। এসেই ভিতরে ঢুকে গেছে মিষ্টি মিনা বাইরেই দাড়িয়ে আছে। কি হয়েছে বুঝতে ভাইয়াকে খুজছে পেছনে ঘুরতেই রাজ বেরিয়ে আসে। রাজের মুখ দেখেই কিছু গন্ডগোল হয়েছে বুঝা গেল রেগে আছে ভাইয়া তাহলে কি ভাইয়ার কথায় ঠিক হলো। আপু তো ভাইয়াকে ভালোবাসে আচ্ছা ভাইয়া বলার পর কি আপু রিজেক্ট করে দিয়েছে। আপু তো ভালোবাসে ভাইয়াকে রিজেক্ট কেন করলো?

–ভাইয়া [মিনা]

–মিনা গাড়ি গিয়ে বসো।[রাজ]

–আপনার সাথে কথা ছিলো। বিশ্বাস করেন আপু আপনাকে ভালোবাসে আপু নিজে আমাকে বলেছে। কিন্তু আজ কেন রিজেক্ট করলো বুঝতে পারছি না। আমি আপুকে রাজি করাবোই দেখেন।[মিনা]

রাজ মিনার দিকে অবাক চোখে তাকালো রিজেক্ট আমি প্রপোজ কখন করলাম। আর রিজেক্টই বা কখন করলো বলে কি মেয়ে?

–আমি আপনার কষ্ট টা বুঝতে পারছি আপুকে আমি বুঝাবো কষ্ট পাবেন না। আমি আছি তো আপনাদের এক না করে যাচ্ছি না।[ মিনা]

–আর ইউ ম্যাড। কি যা তা বলছো?[রাজ]

–আপনার জন্য আমার কষ্ট হচ্ছে আর আপনি আমাকে পাগল বলছেন। এটা কিন্তু ঠিক না।[মিনা]

–সেটা না মিনা কি সব ভাবছো তুমি? মিষ্টি আমাকে রিজেক্ট কেন করবে?[রাজ]

–রিজেক্ট করেন নি বলছেনতাহলে আপনি খুশি নন কেন আর আপু ওমন করে রেখেছে কেন মুখ?[মিনা]

–খুশি কি করে হবো আমি তো আমারনে কথা বলতেই পারি নি।[রাজ]

–মানে [মিনা]

–মানে মিষ্টি কি কিছুই বলা হয় নি। তার আগেই মেজাজ খারাপ হয়েগেছে।[রাজ]

–বলেন নি তার মানে আপুকে আপনি ভালোবাসেন এটা বলেনই নাই। [মিনা]

–হ্যা, তোমার আপুকে এতো বোকা সেটা আমি আবার টের পেলাম। বলে কিনা মারিয়াকে আমি ভালোবাসি। আর কি বললে রিজেক্ট তাও আমাকে এতো বড় সাহস কারো আছে বুঝি। আমাকে রিজেক্ট করবে মিষ্টি আর ও করলে ও কি আমি থামবো নিজের জিনিস কিভাবে আদায় করতে হয় আমি খুব ভালো করে জানি শুধু অনূভুতি প্রকাশ করতে অক্ষম আমি। মিষ্টি ভালোবাসলে ও আমার না বাসলে ও আমার বুঝেছো তাই তোমাকে এতো বুঝিতে হবে না ওকে ও না চাইলো আমার হয়েই থাকতে হবে। আর কেউ ওকে ভুল বুঝিয়েছে সেটা কালকেই ভাঙাবো সাথে একজকনকে উচিত শিক্ষা দেব।[রাজ]

–কাকে ভাইয়া? আর মারিয়া টা আবার কে কিছু তো বুঝলাম না।[ মিনা ]

–পরে বলি চলো এখন বাসায় যাওয়া যাক। [রাজ]

–আচ্ছা।[মিনা]

.
.

রাতে ❤

মিষ্টি গালে হাত রেখে আয়নার সামনে দাড়িয়ে আছে। গাল কিছুটা লাল ও ফুলে আছে রাজ আগে ও মেরেছে কিন্তু আজকের মারটা বেশ লেগেছে । কেন মারলো কি ভুল বলেছি আমি যে মারলো। সে তো মারিয়া আপুকে ভালোবাসে আর মারিয়া আপু ও সেটাই তো বলেছি তা বলতেই এতো রেগে গেল কেন? কি জন্য বা ঔখানে নিয়ে গেল কি এমন কথা যা বাসায় বলা যায় না বাইরে যেতে হয়। আজ তার গালফ্রেন্ড এর বার্থডে আর সে নিজেই গেল না। তার থেকে আমাকে বলাটা জরুরি ছিলো কেন? মাথা ব্যাথা করছে ভাবতেই ভালো লাগছে না। মিনা মার সাথে গেস্ট রুমে শুয়েছে কেন শুলো জানি ও না। কথা ও বেশ বলল না আমার সাথে কি রাগ করেছে করতেই পারে ও বেচারি যেতে চাইলো কোথায় আর গেলাম কোথায়? আর রাজের সাথে কথা বলার সময় ওকে আশেপাশে দেখি নি কি করেছে ও তখন। ও কি জানে কি বলতো রাজ জিগ্গেস করতে চাইছিলাম কিন্তু উপায় হলো না সময় বুঝে কেটে পরেছে।

হঠাৎ কেউ আমার ভাবনার মাঝেই আমার গালে রাখা হাত সরিয়ে দিলো। আচমকা ঘটনায় নরেচরে উঠে মিষ্টি ভালো করে আয়নার দিকে তাকিয়ে আতকে উঠে,,,
ঢোক চেপে পেছনে ঘুরতে যায় কিন্তু রাজ নরতে দেয় না। শক্ত করে পেছনে থেকে জরিয়ে ধরে। পেটে হাত রেখে জরিয়ে ধরেছে। থুতনি আমার কাধে রেখেছে এমন ঘটনায় আমি স্তম্ব হয়ে গেছি। রাজের শ্বাস আমার ঘারে পরছে আমি আর সহ্য করতে পারলাম না ধাক্কা দিয়ে নিজের থেকে সরাতে চাইলাম।

–কি হচ্ছে কি ছারুন? কি অসভ্যতামি আপনি এতো রাতে আমার রুমে এসে এমন জাপটে ধরেছেন কেন?

কথাটা বলতেই রাজ রাগে চোখ মুখ শক্ত করে আয়নায় আমার দিকে তাকালো,, তার তাকানো দেখেই আমার আত্মা শুকিয়ে এলো। ভয়ে কাপছি সাথে ধাক্কা ও দিচ্ছি।

–কি বললে আমি অসভ্যতামি করছি? কি করছে জরিয়ে ধরেছি বলেই এতো কিছু। কিন্তু তুমি জানো আমার যখন যা ইচ্ছে হয় আমি তাই করি। মাথাটা প্রচণ্ড গরম আছে মাথাটা একটু টিপে দাও।

চুপ করে মাথা নিচু করে ছুটানোর চেষ্টা করছিলাম কিন্তু তার আগেই রাজ আমাকে ছেড়ে খাটে শুয়ে পরলো,,

–কি হলো এসো?

রাজ চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে মিষ্টি তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে আছি রাজের দিকে।

চলবে❤

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?পর্বঃ- ২২

0

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?পর্বঃ- ২২
#লেখিকাঃ-তানজিনা আক্তার মিষ্টি(Tanjina Akter Misti)

—একটা কোথায় এলাম, এটা তো কোন বাসা মনে হচ্ছে না এটা তো রেস্টুরেন্ট এখানে কেন এলাম? মারিয়া আপুর বার্থডে পার্টি কি এখানে হচ্ছে? কিন্তু এমন নিরব লাগছে কেন জায়গা কোন মানুষ নেই।

মিষ্টি গাড়ি থেকে নেমেই একশ কথা বলে ফেলল,,, পাশে দাড়িয়ে আছে মিনা ওর হাত পা কাঁপছে কি বলবে ও আপুকে ভয়ে আছে। এটা তো অন্য জায়গা ভাইয়াটাও নাই সে তো আগেই নেমে ভেতরে গেছে সব ঠিক আছে কিনা দেখতে। আমাকে একটুপর যেতে বলেছে কিন্তু আপুর যে এই একশ প্রশ্ন আসতে পারে আমার খেয়ালই ছিলো না। চিন্তা হয়ে আকাশ পাতল ভাবছে মিনা কি বলবে কি বলবে?

–কিরে কিছু বলছিস না কেন? তুই ই বা কি বলবি উনি আমাদের কোথায় নিয়ে এলো বল তো। আর কি অসভ্য ভাব একবার আমাদের একা রেখেই চলে গেল। আমার কেমন জানি সন্দেহ সন্দেহ লাগছে কিছু লাকাচ্ছে না তো বার্থডে পার্টি বলে কোথায় নিয়ে এলো বলতো।

মিষ্টি সন্দেহ চোখে মিনার দিকে তাকালো বুঝতে চাইলো মিনা ও সন্দেহ করছে নাকি কিছু জানে ওর সাথে তো খুব ভাব হয়েছে রাজের এই কয় দিনে কিছু জানতে পারে। চারপাশে আর একবারে ফিরে তাকালো মিষ্টি না রেস্টুরেন্ট বাইরে তো দুই একজন ছাড়া লোক ও দেখছি না। পার্টি হবে তা যদি রেস্টুরেন্টে ও হয় গেস্ট তো অনেক হওয়া দরকার কিন্তু এখানে তো।
মিনা মিষ্টি কে সন্দেহ চোখে নিজের দিকে তাকাতে দেখেই আর ও ভয় পেয়ে যায়। না মিনা ভয় পেলে হবে না আপুকে ভুলিয়ে ভালিয়ে তারাতারি ভিতরে নিয়ে চল। না হলে সব বেস্তে যাবে।

–আপু তুই আমার দিকে এভাবে তাকাচ্ছিস কেন? আমি কি জানি এসবের তুইই বল চল না ভেতরে গিয়ে দেখি কি হচ্ছে?

–ঠিক তো তোরাই তো জোর করে আনরি আমার কিছু গন্ডগোল হলে তোর কিন্তু খবর আছে।

মিনা কিছু বলল না প্রতি উওরে মিষ্টি হাত ধরে এগিয়ে যেতে লাগলো মিষ্টি ওর হাত ছিরিয়ে নিলো।

–হাত ধরিস কেন শাড়ি পরেছি দেখতে পাচ্ছিস না এমনিতে পরে যাচ্ছি জালা আমাকে ধরে হাটতে দে না ধপাস করে পরে কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে।

–ওহহহ সরি রে ভুলেই গেছিলাম।

–দেখতো ঠিক আছে কিনা খুলে যায় নি তো কোথায় ও

–নাহ ঠিক আছে।

–আমার খালি মনে হচ্ছে খুলে যাচ্ছে কি যন্ত্রণা এই জন্য আমি শাড়ি পরতে চাই নি। তোর জন্য শুধুমাত্র এমন জামেলা করতে হচ্ছে।

–বকাবকানি বাদ দিয়ে চল তো এমন একটা সময়ে এটাই ঠিক আছে পরে এর জন্য তুই আমাকে ধন্যবাদ দিবে দেখিস।

–মানে ধন্যবাদ বাদ দিতে যাব কেন?

মিনা বিরক্ত হয়ে তাকালো মিষ্টি আর কিছু না বলে সামনে এগুলো কিন্তু চিন্তা যাচ্ছে না এ কোথায় নিয়ে এলো এখানে তো কেউ নেই।

–আপু তুই ভেতরে যা আমি একটু আসছি।

–আসছি মানে তুই আবার কোথায় যাবি।

–গাড়িতে একটু দরকার তুই যা না।
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
কিছু বলবে কিন্তু মিনা আর শুনলে তো চলে গেল দরজায় কাছ চলে এসেছে তাই একাই ভেতরে ঢুকে এলো কিন্তু একি এতো অন্ধকার কেন। লোডশেডিং হয়েছে নাকি কারো আওয়াজ তো কানে আসছে না ঘুটঘুটে অন্ধকার আর মনে হচ্ছে আমি একাই আছি। ফোনের টচ জালি সামনে ধরতেই রাজকে চোখে পরলো আমার থেকে কিছু টা দূরে দাঁড়িয়ে ওইদিকে ঘুরে আছে। পেছনে থেকেই আমি চিনতে পেরেছি তাকে কিন্তু আর তো কেউ নেই একা কেন বিরবির করে কি যেন বলছে। আমি ডেকে কিছু বলবো তার আগেই শাড়িতে বেজে পরে যেতে নিলাম সাথে জোরে চিৎকার দিলাম।

কিন্তু পরতে পারলাম না তার আগেই কেউ ধরে ফেলল আমায় ভয়ে চোখ খিচে বন্ধ করে আছি। চোখ বন্ধ থাকা অবস্থা তেই মনে হচ্ছে কিছু পরছে আমার উপরে সাথে কেউ গভীর ভাবে তাকিয়ে আছে আদোআদো চোখে তাকালাম নিজেকে কিছুটা স্বাভাবিক করে তাকিয়ে দেখি রাজ আমাকে ধরে কেমন দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে আছে। কি পরছে মুখে ও পরছে চোখ বন্ধ করে নিলাম। কারো হাতে স্পর্শে তাকিয়ে দেখি রাজ কিছু ফেলছে সাথে সাথে আলো জ্বলতে শুরু করলো আশেপাশে তাকিয়ে আরো অবাক হলাম আশেপাশে কেউ নেই শুধু আমরা দুজন আছি। পুরো রুমে চোখ বুলিয়ে নিলাম রঙিন বাতি ফুল দিয়ে সাজানো। এখনো ছারছেনা কিন রাজ আর এভাবে তাকিয়ে এ বা আছে কেন? আর এখানে কেন এনেছে এসবের মানে কি মারিয়া আপুরা কেউতো নেই নেই এখানে আর মিনা কোথায় গেল। মিষ্টি অসম্ভব রকমের কাপছে হার্টবিট এতো জুরে কম্পন করছে যেন বেরিয়ে যাবে। রাজ কাছে এলেই এমন হয় নিজেকে দূর্বল লাগছে না এই লোকটা আমার না আমি দৃর্বল হবো না।

–ছারুন এভাবে ধরে আছেন কেন?

রাজ মিষ্টি মুখ পানে তাকিয়ে ছিলো মুগ্ধ হয়ে ওর মায়াবী মুখের দিকে তাকিয়ে হারিয়ে গেছিলো হঠাৎ মিষ্টির কথা শুনে কল্পনা থেকে ফিরলো মিষ্টি রাগী চোখে তাকিয়ে আছে।

–এসব কি আমরা কোথায় আছি এটা কোথায় নিয়ে এসেছেন। আমাদের তো মারিয়া আপুর বার্থডে পার্টিতে যাওয়ার কথা ছিলো তাই না। এখানে তো কেউ নেই এখানে কেন এসেছেন। আপনার মতলব টা কি বলেন তো আমাদের কি ইচ্ছে করে এখানে এনেছেন ওইখানে নিয়ে যেতে চান না। আমাদের কিছু জানাতে চান না আপনার আর মারিয়া আপুর…

আর কিছু বলতে পারলো না রাজের দিকে তাকিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ভীতু হ য়ে গেল মিষ্টি রাজ রাগি চোখে তাকিয়ে আছে এমন করে প্রশ্ন করার জন্য যে এমন করেছে বুঝলো। ভয়ে মাথা নিচু করে ফেলল মিষ্টি,,

–ননা মমানে বলছিলাম কি? [ তোতলাতে লাগলো]

–তোতলাচ্ছো কেন কি বলবে বলো তুমি আমার কাছে কৈফত চাইছো। আর ভাবলে কি করে আমি কৈইফত দেবো তোমাকে আমার যা ইচ্ছে তাই করবো আর কি বারবার এক কথা বলছো বুঝতে পারছো না আমি এখানে যাই নি তোমাকে নিয়ে অন্য জায়গায় এসেছি সেখানে গেলে এমন নিরব পেতে এতো বোকা তুমি মিষ্টি।আর সেসব ভেবে তুমি একবার আশেপাশে ভালো করে দেখেছো কি আছে তা না ফালতু কথা ভেবে যাচ্ছো।

রাজের রাগ লাগছে প্রচণ্ড এতো অবুজ নাকি সাজছে এতোক্ষণে ও কি কিছু মাথায় ঢুকে নি তার। কেন এনেছে এখানে মারিয়ার বলে মাথা খাচ্ছে এতো জম্মদিনের অনুষ্ঠানে যাওয়ার শখ জেগে অসহ্য আমি যে তার মুখে হাসি দেখার জন্য এতো কিছু করছি পুরো রেস্টুরেন্ট বুক করে সাজানো হয়েছে সেদিকে লক্ষ্যে করছে না।

–আমি ফালতু কথা কি বললাম?

–জানি না। আমি কিছু বলতে চাই তোমাকে যার জন্য এখানে এসেছি।

মিষ্টি অবাক হয়ে তাকালো রাজকে কেমন অন্য মনষ্ক লাগছে কি এতো ভাবছে আর কি বা বশবে যে এখানে আসতে হলো। তার ভালোবাসার মানুষের জম্মদিন আজ সেখানে না গিয়ে এখানে নিয়ে এলো আর এতো ডেকোরেশনই বা কেন করা হয়েছে এখানে। চোখ জুরিয়ে যাওয়ার মতো মিষ্টি আড়চোখে দেখছে কিন্তু রাজকে বুঝতে দিচ্ছে না।

–মিষ্টি তোমাকে একটা ইম্পটেন্ট কথা বলবো মনোযোগ দিয়ে শুনবে বুঝেছো।

–হুম [ বলেই মাথা নাড়ালো ]

রাজ কিভাবে কথাটা বলবে বুঝে উঠতে পারছে। মিষ্টি কি সত্যি ওকে ভালোবাসে নাকি মিনা সব মিথ্যে বলেছে। আমি এতো ভাবছি কেন ভালো না বাসলে বাসবে সমস্যা কি কিন্তু ও আর কারো হতে পারবে না। যাই বলুক না কেন রাজ ওর নার্ভাস নেস কমছে না জীবনের ফাস্ট এমন পরিস্থিতির সামনে ও কখনো কোন মেয়েকে এভাবে প্রপোজ করেনি ভাবে ও নি। আজ কিভাবে বলবে কি বলে শুরু করবে। কপালে ঘাম চলে এসেছে বিন্দু বিন্দু হাতে ফুল আছে কিন্তু সামনে আনার সাহস হচ্ছে না আমি কি ভয় পাচ্ছি কিন্তু কাকে মিষ্টি কে এসব কি হচ্ছে আমার সাথে। চোখ বন্ধ করে নিজেকে স্বাভাবিক করেতে ব্যস্ত হলো তারপর চোখ খুলে মিষ্টির দিকে তাকিয়ে দেখলো ও অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আমাকে এভাবে দেখে হয়তো শক হয়ে আছে।

–মিষ্টি আই……

রাগে চেয়াল শক্ত হয়ে এলো রাজের এই সময় ই ফোন টা আসতে হলো কেন যে ফোনটা সাথে এনেছিলাম মিনার কাছে রেখে আসা উচিত ছিলো।ফোন বেল করে দেখে মারিয়া কাটতে গিয়ে ও কাটলো না। রিসিভ করে একটু অন্য দিকে গেল।

এদিকে মারিয়া অস্থির হয়ে আছে যাচ্ছে না বলে একের পর এক কল করছে কিন্তু রাজ রিসিভ করেনি। এখন রিসিভ করাতে মারিয়ে খুশীতে লাফিয়ে উঠে সাথে হালকা অভিমান ও হয়।

–কোথায় তুই রাজ আমি কখন থেকে তোর জন্য ওয়েট করে আছি তুই এখন ও এসে পৌছালি না কেন?

–সরি ইয়ার আমি আসতে পারছি না।

–হোয়াটটট আসতে পারবি না মানে কি রাজ? আমি কিছু শুনতে চাই না তোকে আসতেই হবে আমি কেক কাটি নি এখনো তুই না এলে আমি কিছু করবো না আববু তোকে খুজছে তুই তারাতারি চলে আয় না প্লিজ।

–আমি বিজি আছি এখন আর ওয়েট করিস না বাই।

আর উওরের আশা না করে ফোন কেটে দিলো রাজ ফোন কেটে পেছনে তাকিয়ে দেখে মিষ্টি তাকিয়ে আছে। মিষ্টি এতোক্ষণ সব কথায় শুনেছে রাজের তাতে বুঝেছে মারিয়াই ফোন দিছিলো কিন্তু রাজ সেখানে না গিয়ে এখানে কেন এলো।

–আপনার ওইখানে যাওয়া উচিত ছিলো যতই হোক আজ আপনার ভালোবাসার মানুষের জীবনের এতো বড় একটা দিন আর আপনি সেখানে না গিয়ে এখানে আমাদের কেন নিয়ে এলেন আমার মাথায় কিন্তু কিছু ডুকছে না।

–কি বললে ভালোবাসার মানুষ মানে?

–ঠিকই তো আমি জানি না বুঝেছেন আপু আমাকে সব বলেছে যে আপনারা দুজন দুজনকে ভালোবাসেন।

–হোয়াট, কোন আপু কাকে ভালোবাসি।

–এতো না বুঝার মতো করছেন কেন মারিয়া আপুকে আপনি ভালোবাসেন না। আজকে তার আববু কে আপনার সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে বলেছে। এটা সারপ্রাইজ ছিলো কিন্তু আপনি তো গেলেনই না এখন কি হবে আপু কষ্ট পাচ্ছে হয়তো। এখানে কেন এসেছেন আমাকে কিছু বলতে চাইলে বাসায় ই বলতে পারতেন এখানে আসার কি দরকার। আর কি এমন কথা যে…..

–স্টপ ইট [জোরে চিৎকার করে বলল রাজ কথাটা মিষ্টি ভয়ে চুপ হয়ে গেল। ]

চলবে❤

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা? পর্বঃ- ২১

0

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?
পর্বঃ- ২১
#লেখিকাঃ-তানজিনা আক্তার মিষ্টি(Tanjina Akter Misti)

–এই আপু তারাতারি রেডি হ না রে।

–আমি যাবো না।

–কেন তোকেও তো বলে ইনভাইট করেছে তাহলে যাবি না কেন?

–আমি যাবো না আর ইনভাইট করলেই কি আমাকে যেতে হবে নাকি। তার ইচ্ছে করছে আমার ইচ্ছে আমি যাবো না। তোর এতো আমাকে পাঠানোর ইচ্ছে কেন রে আমার বদলি তুই চলে যা।

–দূর আমি পাগল নাকি। আমি ওইসব পার্টি ফাটি তে যাবো না তুই যা না রে রেডি হ না ভাইয়া তোর জন্য নিচে বসে আছে।

–মানে আমার জন্য বসে আছে কেন?

–এক সাথে যাবে তাই।

–আমি যাবো না খবরটা দিয়ে আয়। আর তার উডবির জম্মদিন সে আগে না গিয়ে আমার জন্য বসে আছে কেন?

–আপু কি বললি?[ জোর ]

–ওফ মিনা এতো জোরে কেউ চেচায়। কান ফাটিয়ে দিলি তো। [ বলেই কান চেপে ধরলো]

–তুই কি বললি আপু উডবি মানে কার উডবি?

–সেটা তোর ভাইয়াকে জিগ্গেস কর আমাকে না। আর একটা কথা তোকে কিছু বলে নি এতো না সারা দিন গুজুর ফুজুর করিস।

–বলেছে তো সব বলেছে।

–সব বলেছে না ছায় সব বললে এটা কেন বলেনি?

–জানি না তুই বল না আমি বুঝেনি প্লিজ আপু।

–এই তুই যা তো আমার রুমে থেকে।

বলেই মিষ্টি উঠে দাড়ালো মিনাকে রুমে থেকে বের করতে এই মেয়ে এখানে থাকলে আমাকে রাজি করিয়েই ছাড়াবে মাথাটাও খাবে।একে রাখা যাবে না মিষ্টি মিনা হাত শক্ত করে ধরে রুমের বাইরে নিয়ে এলো।

–আপু কি করছিস?

–যা তো আর একবার রুমে এলে তোর খবর আছে আমি ঘুমাবো একদম ডিসটার্ব করবি না।

মিনা আর ও কিছু বলছিলো আমি দরজা লাগিয়ে রুমে এসে খাটে বসে রইলাম।

খুব কষ্ট হচ্ছে কি করে যাব আমি চোখের সামনে অন্য একজনের সাথে রাজকে আমি কিছুতেই সহ্য করতে পারবো না। নিজেকে সামলাতে পারব না। যাই হয়ে যাক আমি কিছুতেই যাবো না।
মিষ্টি খাটে শুয়ে পরলো।
এদিকে
মিনা অবাক হয়ে দরজায় কাছে দাড়িয়ে আছে। মাথায় কিছু ঢুকছে না আপু এমন বিহেভ করলো কেন?
দূর ভাইয়াকে এখন কি বলবো ভাইয়াতো বলেছিলো আপো কে রাজি করানো যাবে না ঠিক ই হলো এখন আমাদের প্রিলাণ সফল হবে কি ভাবে। ভাইয়া ঠিকই বলেছে যত বার ই মনের কথা বলার জন্য কিছু পিলান করে সব বেস্তে যায় আজ বুঝলাম। আপু তুই এমন কেন রে একটু যেয়ে দেখ না কতো সুন্দর সময় তোর জন্য অপেক্ষা করছে তা না উনি যাবেন না। আর কি সব উডবি ফটবি বললো। নিজের চিন্তা একটু ও নাকি কার না কি তা নিয়ে বসে আছে যতসব। দূর বাবা এতত মশা খাচ্ছিস কেন একটু চিন্তা ভাবনা ত করতে দে কি করে রাজি করানো যায় আপু কে কতো বড় মুখ খুব ভাইয়া কে বললাম আমার আপু কে আমি রাজি করাবো তোমার সাথে পাঠানোর দায়িত্ব আমার এখন সব এলোমেলো হয়ে গেলে আপুকে যে করেই হোক পাঠাতেই হবে।
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
আপু তো আর জানেনা আমাদের পিলান। আজ ভাইয়া আপুকে প্রপোজ করবে আইডিয়াটা অবশ্যই আমার ই। এই দুইদিন আমি এসব রাজি করিয়েছি ভাইয়ার থেকে জানতে পেরেছি সে ও আপু কে খুব ভালোবাসে। কিন্তু এখন পযর্ন্ত যা না জানা আমার বোকা বোন টা সে যে ভালোবাসে তা ও বলে দিয়েছি। ভাইয়া তো বিশ্বাস ই করে নাই বলেছে আমি মিথ্যে তাই তো এই প্রিলান ভাইয়াকে প্রপোজ করে দেখতে বলেছি রাজি না হলে আমি ভুল। ভাইয়া বলে আগে ও নাকি এই কথা ভেবেছে অনেক কিন্তু কিছুনা কিছু গন্ডগোল করে বেস্তে গেছে। এবার আর বেস্ত যাবে না বলে কথা ও দিয়েছি এখন সব মাটি হলে আমার মান ইজ্জত সব যাবে। না মিনা তো এটা হতে দেবে না কিছু তেই।

মিষ্টির দরজার কাছে দাড়িয়ে মিনা আকাশ পাতাল ভাবছে হঠাৎ রাজের কণ্ঠ শুনে চমকে উঠলো,,,

–কি ব্যাপার তুমি বন্ধ দরজায় দাড়িয়ে আছো কেন?[ ভ্রু কুচকে] বের করে দিয়েছে রুমে থেকে আহা রে বেচারি কি বলেছিলে তোমার কথা শুনে এখন বাইরে দাড়িয়ে নখ কামরাচ্ছো কেন?

–এর জন্য কারো ভালো করতে নেই হূ। যার জন্য করি চুরি সেই বলে চোর থ্যাত ভাল্লাগেনা। একটা বুদ্ধি দেন না ভাই আপনি একটু ট্রাই করেন।

–সরি জানেমান আমি কিছু করতে পারবো না আমার কথা শুনবেই না তখন একটা ধমক দিয়ে বসবো আমার প্রেমের আগেই ব্রেকআপ হয়ে যাবে।

–এতো রাগ কেন আপনার দূর।যান তো আমাকে ভাবতে দিন আমি রাজি করিয়েই ছারবো আজকেই আপনাদের মিল করিয়ে তবে আমি গ্রামে যাব হু।

কথা টা শুনেই রাজ মিনার দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে সাথে কিছু টা আনন্দ কিছুটা আতঙ্ক যাজি হবে তো। কিল থেকে এটাই ভেবেছি মিনা অবশ্যই আইডিয়া টা দিয়েছে আর তাছাড়া আমার মারিয়ার পার্টিতে যাওয়ায় ইচ্ছে ও ছিলো না।
ফোনের উপর ফোন দিয়ে যাচ্ছে বিরক্তের ফলে ফোন অফ করে রেখেছি।

রাজ ঘড়ির দিকে তাকালো ছয়টা ছুয় ছুয় মিনার কোন খবর নেই। ও যে কিছু করতে পারে নি তা সিউর সন্ধ্যায় হয়ে এলো। ভালোবাসে তবুও মুখে কেন শিকার করে না আমি কি কখনো জিগ্গেস করছি। করিনি তাহলে বলবে কেন আমি পাগল হয়েছি। ওর কি একটু ও বুদ্ধি নেই অন্যের বার্থডে পার্টি তে যাওয়ার জন্য এতো রিকোয়েস্ট কেউ করে করে না তাহলে কেন স্পেশাল কিছু ভাবতে পারছে না। মারিয়া না বলে ওকে বলেছে আমি ভালোবাসি আর অনূভুতি কিন্তু মারিয়া জানলো কিভাবে?

–আমরা এসে গেছি।

হঠাৎ মিনার কথায় তাকিয়ে আমার চোখ আটকে গেল দরজায় কাছে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকা মিষ্টির দিকে শাড়ি পরেছে। মিষ্টি মাথা নিচু করে আছে আর বারবার চুল ঠিক করছে চুল আজকে গ।খোর্ল আমার খুলা চুল পছন্দের কিন্তু মিষ্টি কখনো চুল খোলা রাখে না আজকে মিনা নিশ্চয়ই জোর করে। লাল শাড়ি পরেছে হালকা সাজ মায়াবতী লাগছে আমি চোখ সরিতে পারছি না। দুষ্টু মিনার কাশিতে আর কথায় রেগে তাকালাম,,

–খালি ওইদিকে দেখলেই হবে এদিকে ও একটু নজর দাও হ্যান্ডসাম।[ বলেই চোখ টিপলো মিনা ]

–আমি তো তোমাকেই দেখছি কি না লাগছে তোমাকে।

কিন্তু রাজের মাথায় ঢুকছে না এগুলো কিভাবে আর মিনা ও কি যাবে নাকি? চোখের ইশারা জিগ্গেস করলো,,

–আপু তুই মামুনি আর আম্মুকে বলে আয় কেমন?

–উনি তো রেডি হয় নি তাহলে চল আমরাই চলে যাই।

–আরে এই রাতে একা যাবো নাকি কী যে বলিস? ভাইয়ার রেডি হতে পাচ মিনিট ও লাগে না তাই না ভাইয়া। [ কথার তালে তালে মিষ্টির সামনে ভাইয়া বলে জ্বিবে কামর দিলে মিনা। ]

–কি বললি?

–কিছু না যা না বলে আয় প্লিজ।

মিষ্টি কথা না বাড়িয়ে বেরিয়ে এলো কিছু বুঝতে পারছে না ও। রাজ সাথে যাওয়ার ইভেন্ট যাওয়ার কোন ইচ্ছে নেই খুব খারাপ লাগবে নিজেকে সামলাতে পারবো তো এতো বুঝালাম তবুও মিনা বুঝলো না নিজের বোন ও জানে আমি রাজকে ভালোবাসি তবুও এমন জিদ। শেষে কিনা যাওয়াইয়া ছারলো। কতো ইমোশনাল কথা সে জীবনে শহরের জম্মদিন দেখে নে তার খুব ইচ্ছে দেখার তো যানা আমাকে কেন টানিস। আমাকে ছারা যাবে না সেখানে চেনা কেউ নেই আমি না গেলে সে বোর হবে আমাকে বোর হওয়া থেকে বাচার জন্য নিচ্ছে।

আবার সাজা সাজবো না বললাম যাই থ্রীপীর্জ পরে না শাড়ি পর না আমার খুব তোকে শাড়ি পরা দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে। কাল বাদে পরশু তো চলেই যাবো গ্রামে একটু ইচ্ছে পূরণ করতে দে। যেন আমি মরে যাব আর জীবনৈ দেখতে পাবে না।

যতোই বলি একটাই আদরের বোন আমার ওর ইচ্ছে না শুনে থাকতে পারি নি তাই রাজি হয়েছি। রাজের সামনে দাড়িয়ে এতো আনইজি লাগছিলো ফাস্ট টাইম এমন সেজে তার সামনে গেছি।

এদিকে

–এটা আমার কেরামতি বুঝেছেন ভাইয়া বলেছিলাম না আপুকে রাজি করিয়েই ছারবো। আমি আমার কথা রেখেছি কিন্তু একটা সমস্যা হয়ে গেছে।

সমস্যার কথা শুনেই আবার অসহায় মুখ করে তাকালাম ওর দিকে আবার কি সমস্যা। দূরে আমার জীবনের কি কিছু সমস্যা ছাড়া হবে না। এতো সব সময় এখানেই আসতে হচ্ছে কেন?
চলবে❤

[ছোট হয়েছে বলে সরি নেক্মট পার্ট বড় করার টাই করবো। সারা দিন লিখে ও আর বড় করতে পারলাম না। আর ও বড় চাইলে প্রতিদিন দেওয়া হবে না একদিন পর পর বড় করে দেবো। সিদ্ধান্ত কমেন্ট এ জানাবে প্লিজ ধন্যবাদ ]