Tuesday, July 22, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 1610



মেঘের আড়ালে পর্ব-০৯

0

#মেঘের আড়ালে 💞
#পর্ব__০৯
#লেখিকাঃফাতেমা জোহরা নাভিলা

১৯.
“সাদিয়া স্কুলে যাওয়ার পরই বাধে সমস্যা”।ইয়াদ অর খালামনি কে বলে ও সাদিয়াকে বিয়ে করতে চায় আজ এখনি।।। সবায় ইয়াদ এর কথা শুনে বড় সড় হার্ট ফেইল টাইপ বিষম খায়।।। ইয়াদ এই সব কি বলছে??? আদৌ কি বুঝে বলছে??? আর তার থেকে বড় কথা সাদিয়া সবে মাএরো দশম শ্রেনীতে পড়ে আর বয়স ও মাএরো ষোল।এখন বিয়ে কিভাবে সম্ভব,,,,,,,,ইয়াদ এর কথায় সেই দিন আমরা কেউই রাজি হয়নি আর রাজি হবো বা কেন,এভাবে কি মুখের কথায় কোন বিয়ে দেওয়া যায় । কিন্তু অর জিদের ভসে পরে এক প্রকার হেরে ইয়াদ আর সাদিয়ার বিয়ে ঠিক করা হয় তিনবছর পর সাদিয়ার এইচ এস সি পর হবে ওদের বিয়ে। ইয়াদ প্রথমে রাজি না হলেও পরে রাজি হয়ে যায় কারন সাদিয়া যে এখন খুব ছোট বিয়ের জন্য। বিয়ের বিষয় কথা সবায় জানলেও সাদিয়াকে এই ব্যাপারে কিছু জানাতে আপাততো পরীহ্মা শেষ হওয়া না পর্যন্ত নয়ন না করে।।।।।

.

.
আমার পঁচিশ বছর এর ছেলে যেই কিনা কোনো মেয়ের দিকে এর আগে ভালো করে ভুলে ও চোখ তুলে তাকাতো না, সেই কিনা হঠাৎ এইভাবে ষোল বছরের এক মেয়ের মায়ার মোহতে এমন ভাবে পরে যাবে, যাকে সেই প্রথম দেখাতেই বিয়ে করতে চায় ডাইরেক্ট ।।(মুচকি হেসে)।

.

.

সেইদিনের পর থেকে শুরু হয় ইয়াদ এর অদ্ভুত পাগলামো গুলো সাদিয়ার প্রতি ধীরে ধীরে। সাদিয়াকে ঘিরে তার সব চিন্তা ভাবনা ছিলো উম্মাদ এর মতো সাদিয়াকে ভালোবাস তো আমার ছেলে।

.

.
“উনি কাউকে এতো ভালোবাসে শুনেই বুকে বা পাশে কেমন জানি এক পিনপিন ব্যাথায় অনুভবে মোচড় দিয়ে উঠল,,,,,,,, কথা গুলো শুনতে কোথাও আমার খুব খারাপ লাগছে কেন।।।। আর চাপা অভিমানই বা হচ্ছে মনে উনার উপর ? কেন জানি না অই সাদিয়া মেয়ের উপর খুব রাগ উঠছে বিষাদহীন ও লাগছে শুনতে,,,,, কাপা কাপা আওয়াজে তার পর,,,,,, কি হয়েছিলো মামনি।

.

“এর পর না হয় আমি বলি নূর”,,,,,

.
হঠাৎ কথার আওয়াজ অনুসরণ করে পিছে প্রশ্ন বোধক চোখে তাকিয়ে দেখি জিজু দাঁড়িয়ে আছে।।।।। জিজু তুমি,,,,,,

.
হ্যা আমি মলিন ভাবে তাকিয়ে চোখ দুইটো পানিতে কিছুটা ছলছল করছে,,,,, মামনির সামনে এসে কাধে হাত দিয়ে,,,, আম্মু আমি বলছি অকে সব,,,,,,,, দীর্ঘ শ্বাস ত্যাগ করে,,,,,

.

ভাই সাদিয়াকে খুব রেস্ট্রিকশনে রাখতো সেইদিন এর পড় থেকে, চোখের কড়া নজরে শাসনে রাখতো একটু উনিশ থেকে বিনিশ হলেই পুরো বাড়ি মাথায় তুলে ফেলতো আমার ভাই (মলিন হেসে)। সাদুকে কাউর সাথে সহজে মিশতে দিতো না ভুলে কোন ছেলের সাথে তো আরো আগেনা ।।। অপরিচিত কোনো ছেলের সাথে কথা বলতে দেখলে কাউর কাছ থেকে এই তথ্য শুনলেই খুব রেগে যেতো (আমার ভাই যে খুব পুরতো সেই লেবেল এর অকে হেসে কেউর সাথে কথা বলতে দেখলেই)। আর বেচারি সাদিয়ার উপর রাগের সব টনেডোর ঝড় বয়ে যেতো।।। কোথাও ভুলে একা বের হতে ও দিতো না। কোন ছেলের বা অপরিচিত কাউর সামনে ও বেশিক্ষণ থাকতে দিতোনা আর ঘোমটাহীন ছাড়া গেলেতো কথা নেই ও রেগে যেতো খুব।।।।। দিন দিন অর ভালোবাসায় উম্মাদ হয়ে যাচ্ছিল আমার ভাই তাইতো অর সামান্য সমস্যা হলে চোখের পানি দেখলে ও সহ্য করতে পারতো না। তখন ভাই নিজেকে এক প্রকার দোষারোপ করতে শুরু করতো সব কিছুর জন্য পাগলের মতো করে। ভাইয়ের ভালোবাসায় পাগলামোটা আর বাচ্চামো টা বড্ড বেশী ছিলো, অভস্য এতে আমাদের দুই পরিবার কোনো সমস্যা ছিলো না আমরা অর এতো ভালোবাসা আর পাগলামো দেখে খুশি হতাম,আর বলতাম যে ও সাদিয়াকে অনেক ভালো রাখবে অর কোনো কষ্ট কখনো অনুভব হতে দিবে না ,,,, না আজ আর না ভবিষ্যৎ।।।।

.

মামুনিঃ জানিস মামনি আমার ছেলে এতোই পাগল ছিলো নারায়ণগঞ্জ থেকে খুলনা রোজ সকালে বাই রোডে করে যেতো সাদিয়াকে একবার এক নজর দূর থেকে দেখার জন্য । (আচল দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে)

২০.
ইরফানঃ সাদিয়া প্রথমে ভাইকে একদমই সহ্য করতে পারতোনা তার পাগলামো তে খুবই বিরক্তি হতো, অবশেষ ভাইয়ের ভালোবাসা দেখে পরে ধীরে ধীরে অয় ও আস্তে আস্তে মেনে নিতে শুরু করে ভাইয়াকে,,,,,, ভালোবেসে ফেলে। এর মাঝে আমাদের দুই পরিবার হাসি খুশিতে দেখতে দেখতে কখন যে তিনটি বছর কেটে যায়। এর মধ্যে ভাইয়ার সাদিয়ার প্রতি পাগলামো গুলো কিছুটা কমে আসে কিন্তু ভালোবাসা আগের থেকে অনেক গুন বেরে যায় । বলে না দূরে থাকলে ভালোবাসাকে ভালো করে উপলব্ধি করা যায়। দিন গুলো অদের খুব ভালো যাচ্ছিল একে উপরকে ঘিরে।।।।।।

.

.

” এখন সাদিয়া কোথায় জিজু কাপা কাপা গলায়,,,,,,,উনার সাথে কেনো নেই??? এতোই যদি একে উপকে ভালোবাসতো তারা,,,,,, ওদের কি বড় সড় কোন ঝগড়া হয়েছিলো??? আর উনার অব্যস্থা এমন কি করে হলো!!!!

.

.
“নেই।।।।ভ্যাবলেশহীন ভাবে।।।।

.

নেই মানে???? কোথায় উনি??

.

“যেখান থেকে ফেরা আদৌ সম্ভব না কখনো।।।।। কান্নামিশিতো কাপা কাপা আওয়াজে”।।।

.

মানে!!!!

.

মামনিঃ সাদিয়ার এইচ এস সি পর,,,, ইয়াদ আর সাদিয়ার বিয়ের ডেইট ঠিক করা হয় প্রায় এক মাস পর ,,,,,, এনগেইজমেন্ট এর বেশ কিছুদিন আগে ঢাকা থেকে বান্দরবন যাচ্ছিলো সাদিয়া নয়ন আর অর বাবা সাদিয়ার ফুঁপির বাসায় কিছুদিন এর জন্য ঘুরতে আর ওদের ইনভাইট করতে।অইখান থেকে আসার পথেই অদের কাপা কাপা আওয়াজে ওরা যেইই বা ববাসে টায় করে আসছিলো সেই বাস,,,,,,, স স সড় আড়ক দ দূরঘটনা হয় কান্না মিশিতো শুরে।।।।।।জা জা জানিস মামনি অকে দূরঘটনার স্থলে অ অনেএএক খুঁজেছি কিন্তি পাইনি আমরা। কিন্তু নয়ন আর সাদিয়ার বাবার নিথর দেহ পেয়েছি,,,,,,,ফুঁপিয়ে কান্না করে।যেখানে এক্সিডেন্টটা হয় অটা পুরোটা ছিলো পাহাড়ি এলাকা। অইখান থেকে পরলে আদৌ বাচাঁ সম্ভব না কাউর।।।।।।। আমার ছেলে পাগল ছিলো না পাগল হতে বাধ্য হয়েছে।।।।অনেক খুঁজেছে অকে পাইনি।।।।।।।। দিন এর পর দিন মাস এর পর মাস আমার ছেলে পাগল এর মতো নির্ঘুম হয়ে ওকে তন্য তন্য করে খুঁজে বেড়িয়েছ সেই যায়গায় কিন্তু পাইনি।।।।।। ইয়াদক তখন উম্মাদ এর মতো করতো সামলানো,,,,,, শান্ত করা খুব দ্বায় হয়ে যাচ্ছিল আমাদের কাছে দিন দিন।।

“তখন ইয়াদ এর মানসিক অবস্থা ভালো যাচ্ছিল না দিন দিন অর পাগলামো গুলো বেরে যাচ্ছিল।শারিরিক অবস্থা দিন দিন আস্তে আস্তে ও খুব খারাপ যাচ্ছিল। তখন না পেরে বাধ্য হয়ে ছেলেকে হসপিটালে ভর্তি করাতে হয় আমাদের। ডাক্তার, নার্স যাকেই সামনে পেতো তাকেই চিল্লিয়ে বাচ্চাদের মতো বায়না করে কান্না করে বলতো সাদিয়াকে এনে দিতে।।।।।।।আচল দিয়ে চোখের পানি মুছে।।।।।।।। তোর আব্বু ইয়াদ এর এই করুন অব্যস্থা দেখে তখন আমাদের সাজেস্ট করে সাইকিয়াট্রেস্টের কাছে যেতে।।।।।। হসপিটাল এর ডাক্তার ও আমাদের তখন ঢাকা এক সাইকিয়াট্রেস্টের নীল এর কথা বলেন । কোন উপায় না পেয়ে ইয়াদকে সেইখানে নিয়ে যাই আমরা…….
জানিস মামনি আমার ছেলের শারীরিক অসুস্থতা যটতা না খারাপ ছিলো তার চেয়ে বেশি কষ্ট অর অসুখ মন মানসিকতায় ছিলো।। পরিস্থিতি সম্মুখীনে আমার চঞ্চল হাসি খুশি সর্বদা থাকা আমার ছেলে চুপ চাপ গম্ভির ঘর বন্দী হয়ে যায় দিন দিন ও হাসতে কথা বলতে যেমন ভুলেই গেছে আমাদের সাথে। কিন্তু হঠাৎ ইরফান এর বিয়ের দিন ও তিন বছর পর সেই দিন হেসেছিলো তোর কথায়।।।।।।।আমি জানি মামনি আমি তোর বাবা সেইদিন তোর সাথে ঠিক করিনি।।।।।আমার ছেলের দিকে তাকিয়ে অনেকটাই সার্থপর হয়ে গিয়েছিলাম তাইতো তোর আব্বু থেকে তোকে চেয়ে বসলাম,,,এই তিনটে বছর পর আমার ছেলে যদি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে থাকে তাহলে তোর জন্য হয়েছে।।।।। আগের মতো যদি কিছুটা আমাদের সাথে নরমাল হতে পেরেছে শুধু তোর কারনে।। হাত ধরে।।।।পারবিনা মামনি আমার ছেলেকে আগের মতো করে তুলতে বলনা মামনি।।।

চলবে,,,,
[ভুলগুলো ক্ষমার চোখে দেখবেন আসা করি।]

মেঘের আড়ালে পর্ব-০৮

0

#মেঘের আড়ালে💞
#পর্ব___০৮
#লেখিকাঃফাতেমা জোহরা নাভিলা

“মামনি সত্যি গুলো এতো তিত্ত হয় কেন?? বলতে পারবে”!!! কান্নামিশিতো সুরে।।।।।।

বাবু তুই কি পারবিনা পুড়ানো ক্ষত গুলো ভুলে সামনে আগাতে!!(নিরবে কান্না করে)পারবি না নূরকে ভালোবাসতে?? নূরের মায়ায় পরে কি নতুন করে কি বাচাঁ যায় না।। (দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে)

.

চুপ করে আছিস কেন??(মাথায় হাত বুলিয়ে) দেখ বাবু আমি তোকে বলছিনা,,,,,, তুই সব ভুলে যা,,কিছু কিছু ক্ষত জীবনে এমন গম্ভীর দাগ কেটে যায় যা চাইলেও ভুলা অাদৌ সম্ভব না।। তাই বলে কি পুরো জীবন তুই আধারে ধুয়াসা কাটিয়ে দিবি এভাবে?? নূরকে কি মানা যায় না,,,, যায় না অর সাথে নতুন করে পথ চলা নতুন করে বাচাঁ।।।আমি বলছিনা তুই সাদিয়াকে ভুলে যায়,, সাদিয়ার যায়গা নূরকে দেয়,,,,,, নূরকে নূর এর মতো করে যায়গা দেয়। জানিস তো!! আল্লা যা করে কোনো ভালো কারন বুঝেই করে হয়তো সাদিয়া তোর কপালে লিখা ছিলো না,,,তোর কপালে নূরই ছিলো।। কিস্মাত যার সাথে লিখা থাকে যেতোই ঝড় বাধা আসুক না কেনো তার সাথেই এসে জুড়ে যায়। (মাথায় হাত বুলিয়ে) একটা কথা জিজ্ঞাস করবো বলবি??? তুই কি নূর নিয়ে কিছু অনুভব করিস??চুপ করে থাকিসনা।।।

.

হয়তো,,, হয়তো না!!!

.

হয়তো!!! এই হয়তো ঘোরে আটকে রাখিস না নিজেকে ।।। ওকে নিয়ে যদি কিছু নাইই ভাবতি কিছু নাই অনুভব করতি, তাহলে সেইদিন অর সামান্য দুই ঘন্টায় গায়ের হওয়া তুই এতো ঘাবড়ে গিয়েছিলিস কেন???

.

ভয়,,,,একজনকে হারিয়েছি ভেঙছি গুরো গুরো হয়েছি।আবার কাউকে নতুন করে হারার সাহস নেই আমার!!! (ঘুমো ঘুমো জড়িতো কণ্ঠে)

.

দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে।।।।।। ন নননূর মা মমমনি তুই এখানেয় কিই করছিস!! কিছুটা ভয়ে অবাক চাহনিতে।।।

.

হুসসস আ আ আস্তে উনি ঘুমাচ্ছেন মামনি।। কাপা কাপা আওয়াজে।।।।

১৮.
ড্রয়িংরুমে বসে আছি আমি মাথা গুরছে আমার শত শত প্রশ্ন যার উত্তর আদৌ জানা নেই, জানতে পারবো কিনা তাও জানা নেই।।।পাশে বসে আছে মামনি।।। নিরবে চোখের জল ফেলছে।।।।পুরো রুম ঝুরে পিনপিন নিরবতা ।।।। হঠাৎ নিরবতা ভেঙে….

.

সত্যি গুলো বড্ড তিত্ত হয় জানিস মামনি??নিচের দিকে তাকিয়ে।। সেই সব সত্যি জোড়ে আমাদের জীবনে রঙ হারিয়ে কলো কুটকুট আধার হয়ে যায়।। বদলে যায় অনেক কিছু,,, অনেক সময় কিছু সেইই সত্যি জোড়ে সম্পর্ক ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায়,,,, সত্যি যে সচ্ছল আয়নার মতো।।।কান্নামিশিতো কাতর সুরে।।।।

.

মামনির কথা শুনে কিছুক্ষণ থ হয়ে বসে থেকে, চট করে সোফা থেকে উঠে মামনি পায়ের সামনে এসে বসে হাত মুঠো শক্ত করে ধরে।।।(মিনতির সুরে) মামনি উনার এমন কি হয়েছে আজ অতন্ত্য আমাকে সবটা বলো???কিছু লুকিয় ও না!! কি এমন সত্যি আছে যেটা সম্পর্ক ভাঙার ক্ষমতা রাখে??? আর উনার মধ্যে এতো কিসের অস্থিরতা উদাসীনতা,,,, (থেমে থেমে)কালকের ইয়াদ এর সাথে আজকে ইয়াদের এতো কিসের পার্থক্য??? উনার সাথে এমন কি হয়েছিলো যে উনি এতো পরিবর্তন হয়েছে আজ অতন্ত্য সবটা আমাকে বলো।।।।। প্লিজ্জজ।।।।

.
দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে।।।।।


সময়টা ছিলো ২০১৫ ইয়াদ অস্ট্রেলিয়া থেকে সবে মাএরো গ্রেজুয়েশন কমপিলিট করে এসেছে।।। দিনগুলো খুব ভালো কাটছিলো আমাদের হাসি মজায় । ইয়াদ আগে খুব চঞ্চল ছিলো জানিস মামনি , ইয়াদ এর দুষ্টু মিতে পুরো বাড়ি তখন গমগম হয়ে থাকতো অর দ্বারা চুপ থাকা স্থির থাকা সম্ভব ছিলোনা (মলিন হেসে)। দেশে আসার দুইদিন পরই ছেলে বাবা কোম্পানি জয়েনিং করে, সবে মাএরো একা হাতে সব সামলাতে শুরু করেছিলো। খুব ব্যস্তায় অর দিনগুলো যাচ্ছিলো। এর মধ্যে হঠাৎ একদিন ইরা কোচিং থেকে এসে জিদ করে বসে গ্রীষ্মের ছুটি চলছে ওর সব ফ্রেন্ডরা তাদের গ্রামের বাড়ি ঘুরতে গিয়েছে আমাদের তো গ্রামের এর বাড়ি নেই। তাই ও যাবে আমার ছোটবোন নয়ন এর গ্রামের বাড়ি ঘুরতে খুলনা। এক প্রকার বাধ্য হয়ে ইরার জিদে রাজি হতে হয় আমাদের তারপর কিহ রওনা দেই খুলনার উদ্দেশ্য। এর মধ্যে ইয়াদ আবার কন্ডিশন দেই আমরা যে যাব নয়ন যাতে চুল পরিমান জানতে না পারে।নয়ন এর খুব আদরের ছিলো ইয়াদ ও অর খালামনিকে খুব ভোরে গিয়ে চমকিয়ে দিবে একদম তাই। অর কথা অনুযায়ী নয়ন কে আমি কিছু বলিনা। সেইদিন রাত এর বাসে রওনা দেই আমরা খুলনার উদ্দেশ্য ভোর পাঁচটাই গিয়ে পৌছাঁয়। ইয়াদকে এতো বছর পর দেখে নয়ন খুব অবাক হয়ে যায়। ইয়াদকে জড়িয়ে ধরে ও হাউমাউ করে কান্না করে দেয়,,,,,,,,,,

.

আমরা বাহিরে দাঁড়িয়ে ইয়াদ আর নয়ন এর কান্না দেখছিলাম।।।। আমাদের চোখের কোণায় ও পানি ছিলো।।।

.

“এই কি আম্মু তুমি কান্না করছো কেনো??? (চিন্তিতো হয়ে)আর এই যে আপনি ম্রিস্টার হোয়াট ইভার( মুখ ভেঙে) এসেই আমার আম্মুকে এভাবে ইমোশনাল ব্লাকমেইল করছেন কেনো?? এমন কি বলছেন যে আম্মু কান্না করছে???? আর জড়িয়ে ধরার দূর সাহস কেই দিলো আপনাকে??? রাগিতো সুরে।।। সাদু,,,,,,পিছে গুরে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে কেরে,,,,,

.

আরে মামনি তোমরা যে হোয়াট এ প্রেজেন্ট সারপ্রাইজ (অবাক হয়ে)।

.
আবে ডাক্কান মুখতো বান্দ কার।।।। (৩২ বাতি দেখিয়ে) মশা, মাশি, গরু ছাগল, হাতি সবই ঢুকবো তো।।।

.

ইরফাইন্না তুই আর এই জীবনে ভালা আর হইলিনা শালা বদ এর নানা যখনই মুখ খুলবি বাজে বকবি।

.

ইয়াদঃ খালামনি এই গোবরচাকায় পদ্মফুল আসলো কোথায় থেকে। (কাধে হাত দিয়ে ভাবার ভঙিতে)

খালামনিঃ এইইই ইয়াদ একদম না ও কিন্তু রেগে যাবে তারপর শান্ত করার খুব দ্বায় (কান টেনে)। ও সাদিয়া তোর সেই সাদু বুড়ি।

ইয়াদঃ ও ও আমাদের পুচকি আই মিন সাদু বুড়ি অবাক হয়ে।।

“সাদিয়া ইয়াদ এর কথা কিছুটা রাগ হলো কিন্তু সজনে মুখে হাসি রেখা টেনে।।খালামনি তোমরা রেস্ট নেও এখন কতোটা পথ জার্নি করে আসছো।। আমার এখন স্কুলে যেতে হবে না হলে তোমাদের সাথে বসে গল্প করতাম।কি আর করা বলো মেরি আম্মিজান তো আর মিসটিস করতে দিবোনা।।।(অসহায় ফেস করে)

ইয়াদ মাঃ আহারে আমার বাচ্চাঁটা কপালে চুমো দিয়ে।তো কি হইসে তুই আসলেই আমরা সবায় আড্ডা দিবো মামনি।তোকে ছাড়া কি আর আমাদের আড্ডা জমবে।(মুচকি হাসি দিয়ে)

“সাদিয়া ইয়াদ এর দিকে আড়চোখে তাকিয়ে দেখে ইয়াদ অর দিকে কেমন করে জেনো ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে। অর চাহনিতে কিছু অস্থির লাগে তাই সেই অইখান থেকে চলে যায়।

.

“সাদিয়া স্কুল যাওয়ার পড়ই বাধে সমস্যা”।।।।ইয়াদ অর খালামনি কে বলে ও সাদিয়াকে বিয়ে করতে চায় আজ এখনি। সবায় ইয়াদ কথা বিষম খায়।।।ইয়াদ এই সব কি বলছে?? সাদিয়া সবে মাএ ক্লাস দশম শ্রেণিতে পড়ে আর বয়স মাএরো ষোল। এখনই বিয়ে কিভাবে,,,,,,,,,

চলবে……….

[ভুলগুলো ক্ষমার চোখে দেখবেন আসা করি।]

মেঘের আড়ালে পর্ব-০৭

0

#মেঘের আড়ালে 💞
#পর্ব__০৭
#লেখিকাঃফাতেমা জোহরা নাভিলা

১৬.
আসলেই সময় চলমান কাউর জন্য অপেহ্মা করে থাকে না, তাইতো কিভাবে এতোগুলো দিন চলে গেলো বুঝতেই পারিনি। দেখতে দেখতে আজ দুই মাস হয়ে গেলো বিয়ে নামক পিরিতে বসেছি। এই দুই মাসে এমন একদিন ও যাইনি ইয়াদ আমার উপরে পড়া নামক অত্যাচার থেকে একচুল রেহাই দিয়েছে। জীবনটাই এখন আমার ত্যানা ত্যানা যবে থেকে এই ইয়াদ নামক সাইকোর বেটার আগমন রটেছে এই ছোট জীবনটায়। এই সব আকাশ কুসুম গম্ভীর চিন্তা করছি কোচিং সেন্টার এর বাহিয়ে দাঁড়িয়ে। মূলত ইয়াদ এর জন্য অপেহ্মা করছি কোচিং সেন্টার বাহিরে মিনিট বিশ তো হবে দাঁড়িয়ে আছি কিন্তু এই মহাশয় আসার কোনো নামই নেই। এখন খুব বিরক্ত লাগছে লাগলেও কিছু করার নেই(দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে)। যতোই দেরি হোক মহাশয় পারমিশন ছাড়া এক চুল ও নড়া নিশেধ আমার আর লড়তে ও চাই না (গালে হাত দিয়ে)। এই তো সেইদিন এর কথা ইয়াদ এর আসতে লেট হচ্ছিলো তাই ভাবলাম আজ হয়তো কাজ এর চাপ বেশী। তাই হয়তো আসবে না আমাকে নিতে এই ভেবে খুশি মনে সামনে হাটা দিলাম কতোদিন হবে এভাবে খোলা আকাশের নিচে রাস্তায় হাটি না,,,,,,,,, দোস্ত দোস্ত।।।।।।

“পিছে তাকিয়ে দেখি তাসফিন আর আয়াত দাঁড়িয়ে আছে কমোরে দুই হাত দিয়ে জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিচ্ছে আমার দিকে তাকিয়ে।”কি হইচ্ছে।। এভাবে কাকের মতো রাস্তায় তোদের সুরিলা কাকের গলা দিয়া চিল্লাইতাসোস কেন বেয়াদব বদ এর হাড্ডি গুলা, মানুষগো শুনাইতাসোস তোদের দুইটার গলা যে কাকের মতো সুন্দর ।। বাই দ্যা ওয়ে কিছু বলবি?? এভাবে দৌড়িয়ে আসলি যে?

আয়াতঃ আজ তোর ভাইয়া আসেনি নিতে!!(সামনে এসে)

নূরঃ আসলেই তো দেখতেই পারতি,,,, আজ হয়তো কাজের চাপ বেশী তাই আসেনি। তাইতো একা মনের সুখে হেটে হেটে যাচ্ছিলাম বাসায়।

আয়াতঃ গ্রেট,,, তাহলে আমাদের সাথে চল।। কাল তাসফিন এর ব্রেকআপ হইসে সেই সুখে ফুচকা পার্টি দিবো আমাগো ।। এই কিপ্টুসসস শালায়।।(শয়তানি হাসি দিয়ে)

নূরঃ আরেয় বাহহ,,,, তোর দেহি বড় সড় উন্নতি হইসে তাসফিন আমাগো সাথে থেকে।। আর যাই হোক ফুচকারে কি আর না করা যায়, প্রথম ভালোবাসা বলে একটা কথা আছেনা। এখন চল তো এখানে এই তারা খাম্বার মতো না দাঁড়িয়ে থেকে সামনে লেকে পারে জামিল মামার দোকানে গিয়ে বসে জমে খাই আর আড্ডা দেই।।

তাসফিনঃ সেই তো,,,, তোগো লগে থেকে যে আর কি কি দেখতে আর করতে হইবো আমার আল্লা মালুম জানে বইন।(চিন্তিতো সুরে)

নূরঃ এতো টাকা ব্যাংক ব্যালেন্স জমিয়ে করবিটা কি??? যদি সময় থাকতে বেস্টিদের একতু ট্রিট স্রিট না দিতে পারিস। (কাধে চাপট দিয়ে)

“লেকের এসে ফুচকা অডার দিয়ে তিন ফ্রেন্ড মিলে লেকে পারে পা ডুবিয়ে বসে জমে আড্ডা দিচ্ছি। কখন যে বিকেল গিয়ে সন্ধ্যায় নেমে এসেছে বুঝতেই পারিনি। আযানের শব্দে চারপাশে চোখ বুলিয়ে দেখি অন্ধকার নেমে পরেছে। এইইইমা অনেক দেড়ি হয়ে গিয়েছে দোস্ত এখন বাসায় যেতে হবে।।।(উঠতে উঠতে)

তাসফিনঃএই ধারা তোরা এখানে, আমি তোদের রিক্সা করে দিচ্ছি।

নূরঃ হ্যা,দোস্ত জলদি করে একটা রিক্সা কিরে দেয় তো এতো যে লেট হয়ে যাবে বুঝতেই পারিনি।(চিন্তিতো হয়ে)

“বাসায় এসে মামনি আর দাদিমার সাথে কিছুহ্মন কথা বলে রুমে আসলাম ফ্রেশ হতে। ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে এসে দেখি নিচে ফ্লোরে আমার ফোন ভেঙে পরে আছে।। এইইইই কি আমার বাচ্চা আমার ফোন ভাঙল কি করে।।চিল্লিয়ে।।।।

“ঝড়ের গতিতে গালে সাথে সাথেই সোজোরে এক থাপ্পড় পরল,,,,,,,,,,,,, আমি কাঁদোকাঁদো হয়ে গালে হাত দিয়ে সামনে তাকিয়ে দেখি ইয়াদ রুক্ষচোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে এই চোখ দিয়ে আমাকে জেনো উনি বর্স্য করে দিবেন খুব ভয়ংকর দেখাচ্ছে উনাকে আমি উনার এই রুপ পরিচিত নয় ,ভয়ে আমার গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে আছে,উনার শার্টে দুইটো বোতাম খুলা চুলগুলো আলোমেলো খুব অস্থির দেখাচ্ছে উনাকে এই অবস্তা কেন উনার। কাঁদোকাঁদো হয়ে আপনি আমাকে মারলেন,,,,,,,,,,,,,,

” এই মেয়ে এইইইই কোথায় ছিলে তুমি, তোমার সমস্যা কি,,,, এতো তিড়িংতিড়িং করো কেন???? এক জায়গায় স্থির থাকতে পারোনা!!!! আর ফোন তোমারে কোন ছাগলে দিসে যদি ফোন এর সঠিক ব্যবহার করতে না জানো।।।।। কতোবার কতোবার তোমাকে ফোন দিসি রিসিভ করোনি কেন????ঝাঁকিয়ে।।।

“গাড়ির হর্নে কল্পনা জল্পনা থেকে দুনিয়াতে ফিরে আসলাম” তাকিয়ে দেখি ইয়াদ কপাল কুঁচকে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।।।

“দিনে জেগে জেগে কি সপ্ন দেখা শুরু করসো??
কতোবার গাড়ির হর্ন দিচ্ছি শুনতে পাওনা।।।। চিল্লিয়ে।। রিডিকুলাস।।।।উঠো। (ধমক এর শুরে)

.

আমি উনার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে চোখ নামিয়ে ঝট করে গাড়িতে উঠে পরলাম। কেন জানি সেইদিন এর পর থেকে উনাকে খুব ভয় করে।

১৭.
রাত ১২টার বেশি বাজতে চললো কিন্তু আমার ম্রিস্টার সাইকো জামাইর কোনো খবর নাই গেলো কই। খুব চিন্তা হচ্ছে এখন, সেই বিকাল পাঁচটাই আমাকে রুমে রেখে গেসে তারপর থেকেই লাপাতা কোনো খবর নেই। এমন তো উনি কখনো করেনি, উনিতো সব সময় বিকালেই বাসায় এসে পরে তাহলে আজ কোথায় গেলো। ড্রয়িংরুমে কমোরে দুই হাত গুঁজে দাঁড়িয়ে আছি চিন্তায় আমার হাত ঠান্ডা হয়ে আসছে এই শীতে ঘাম ঘাম দিচ্ছে চেহারাতে , পুরো বাড়িতে খুঁজে চললাম উনাকে কোথাও উনি নেই। মনের মধ্যে কেমন জেনো কুঢাক আসছে খুব ভয় করছে উনিকি ঠিক আছে।।।। নাহ এভাবে দাঁড়িয়ে থাকলে চলবে না,,,, মামনিকে জানাতে হবে সবটা।। যেই ভাবা সেই কাজ মামনির রুমে বড় বড় কদমে দৌড় লাগালাম রুমে কাছে এসেই আমি থ ইয়াদ মামনি কোলে শুয়ে কান্না করছে সাথে মামনিও । উনাকে খুব অস্থির দেখাচ্ছে উনার চোখে পানি কেন!! উনাকে এইভাবে দেখে হঠাৎ বুকে পিনপিন ব্যাথা অনুভব হলো।

“মামনি সত্যি গুলো এতো তিত্ত হয় কেন?? বলতে পারবে!! কান্নামিশিতো সুরে।।।।
চলবে,,,,,,,,
[ভুল গুলো ক্ষমার চোখে দেখবেন আসা করি]

মেঘের আড়ালে পর্ব-০৬

0

#মেঘের আড়ালে💞
#পর্ব___০৬
#লেখিকাঃফাতেমা জোহরা নাভিলা

১৪.
ঘুমো ঘুমো চোখে উনার দিকে এক প্রকার ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছি মৃদু ফিউচ ডিম লাইট এর মতো করে।। আর উনি মহাশয় আমার দিকে কোবরা মতো বিরক্তিকর গম্ভির লুক দিয়ে আছেন।।।

.

উঠো!!

.

শুনুন না, এমন করেন কিল্লাই মাএরো তো ছয়টা বাজে আর একটু ঘুমাই। কোচিং এতো নিয়ে যাবেন সেইইই নয়টায় তাহলে সমস্যা কি আপনার?? একটু হিসহুস করেন না,,,,, এই নিরহ মেয়েটাকে দেখে কি আপনার এই পাষান দিলে মায়া টয়া হয়না,সেই মায়াতে নাহ হয় আমার উপর করুনা করেন একটু ঘুমাইতে দিন আমাকে ।।।।। (ঘুমঘুম কণ্ঠে)

.
দেখো রাগ উঠাইও না, চুপচাপ উঠে পরো ভালো ভালোই না হলে কিন্তু,,,,

.

কি???

.

তুলে এক আছাড় দিবো।।

.

আই হেভ এ এই মূহুতে গম্ভীরতম কোশেন?? (খাট থেকে নেমে) আপনাকে কি মামনি জন্মের পর মুখে মধুর যায়গায় ভুলে টুলে বাই এনি চান্স নিমপাতা রস দেয়নিতো!!(চিন্তিতো ভঙিতে)

.

হোয়াট রাবিশ।।। (রেগে)

.

তাহলে যখন তখন মুখ খুললে নিমপাতা রসকস সিংগারার মতো এতো বাজে বাজে বকেন কেন।।আর শুনুন কোচিং এ নিয়ে যাচ্ছেন সেই ভালো কথা, কিন্তু শুনে রাখুন আমি কোন ভর্তি তুর্তি হবো না,কোচিং ভবন করে এসে পরবো বাসায় বুঝছেন।।। আমার আব্বুর সাথে এইই নিয়ে বহুত আগেই ডিল কনফ্রম হয়েছে তাই এর মধ্যে আপনার এই লম্বা যুক্ত নাকটা ঢুকিয়ে অযথা বোচা করেন না।। ( ভাব নিয়ে)

.

কি কথা হয়েছিলো??? সেই যাই কথা হয়ে থাকুক না কেন তোমার আব্বুর সাথে হয়ে ছিলো আমার সাথে না তাই আমি তোমার ডিলকে বয়কট করলাম।।।। আর আমার নাক নিয়ে তোমার এতো চিন্তা না করলে ও চলবে।।

.

আপনি বয়কট করার কে??? আর করলেও আমি মানবো কেন?? শুনেন আমি আমার আব্বুর পরম আদরের মেয়ে আব্বু যাই বলবে আমি তাই করবো।।।হুহু।।।

.

তো কি করবা আমি ও একটু শুনি।(শান্ত চাহনিতে)

.

শুনুন আব্বু আমাকে বলসে নূর এই দুইটো বছর একটু কষ্ট করে পরো মা তারপর যে তিন মাস সময় পাবা খালি খাবা দাবা ঘুরবা নো পড়াটুড়া অনলি ঘুরাফিরা। তারপর রেজাল্ট দিলে প্রাইভেট ভার্সিটিতে এডমিশন করিয়ে দিবো। তাই নো প্যারা বস অনলি চিল।।। (ভাব নিয়ে)

.

“ভ্রু চুল্কে তা এই ডিলটা শশুড় মশায় কবে করছিলো তোমার সাথে!!”

“সেকেন্ড ইয়ারে থাকতে কেন বলুন তো?”

অহহ তাহলে তো তখন তুমি তোমার বাবার পররররররম আদরের মেয়ে ছিলা। (চিন্তিতো সুরে)আর এখন তো তোমার ভাষায় বলতে গেলে এই সাইকো আই মিন আমার বউ তো তোমার কি মনে হয়!!তোমার এতো সুখ আদৌঁ আমার সহ্য হইবো?? মাইর খাইতে না চাইলে জলদি করে রেডি হও নূর।।। (রাগিতো সুরে) তখন তুমি তোমার বাবা মেয়ে ছিলা আর এখন আমার ওয়াইফ আমার responsibility তাই এখন থেকে এইমূহুতে আমি যা বলবো তা তুমি শুনতে মানতে করতে বাধ্য।।।।।

.

আপনি আমাকে মারবেন!! (কাঁদোকাঁদো হয়ে)
.
আলবাদ।।কোনো ডাউট আছে!!
.

নাহ আপনার উপর নো ডাউট সাউট (আলমারি থেকে কাপড় নিতে নিতে) কাপড় নিয়ে গুরে ইয়াদ এর দিকে কপাল নাক ফুলিয়ে,,,,,, কেয়া কারু মে মার যায়ু মেরি কয়ি ফিলিং নেহি হ্যা সাধা ফিলিংস ফিলিং মেরা ফিলিং ডোরেমন মুখ ভেঙচি দিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো নূর।

.

নূর এর যাওয়ার পর নূরের কথা বলার রিয়েকশন দেখে ইয়াদ খিল খিল করে হাসছে চোখের কোণায় তার পানি এসে জমে গেছে তার হাসির ফলে।।।।। নূর থাকলে হয়তো ইয়াদ এর সেই মুগ্ধ করা হাসিটা দেখতে পারতো।। কিন্তু দরজার বাহিরে দাঁড়িয়ে ইশারা আর ইরফান সেই হাসি অপলক ভাবে দেখছে।। ইরফানের চোখে পানি।।। বাবা ঠিকই বলেছে ইশারা আমার শালি সাহেবা পারবে ভাইকে আগের মতো করে স্বাভাবিক করে তুলতে আজ কতোদিন পর ভাই এভাবে মন খুলে হাসলো।।

.
ইনশাল্লাহ (ইরফানের কাধে হাত দিয়ে)

১৫.
বিকাল চারটায়,,,,,,,,
কিরে নাত বউ মুখখান এমন পেঁচার মতো ফুলাইয়া রাখসোত কে??? জামাই বুজি আদর কম দিয়ে ফেলছে আজ।(দাত কেলিয়ে) আর এই বুড়ির ঘরে এই তোর আসার সময় হলো।(অভিমান এর সুরে)

.

রাখো তোমার আদর সাদর আগে আমাকে একটা কথা বলো তো??(খাটে বসতে বসতে)

.

কি কথা নূর মামনি আর এতো রাগ হঠাৎ কার উপর। (ভ্রু নাচিয়ে জিজ্ঞাস করলো )

.
ওই তো মামনিও এসে পরছে,,,, আচ্ছা মামনি তুমি বাবা দাদিমা ইরা জিজু আমার অতি মাএরার প্রান প্রিয় রসগোল্লা মতো অতিয়য়য়য়য় লেভেল এর সুইট তাহলে এই আতো আতো অতির মধ্যেই এই ওয়ান পিস চিরতা আর নিমপাতা মিশিতো জুস মিস্কাশয়তান আসলো কিভাবে??(দুঃখী দুঃখী সুরে)

মানে!!!

মানে তোমার গুনোধর হোলা কথা বলছি( গাল ফুলিয়ে)

.
তোর মাথায় এই আজগুবি কথা বার্তা আসে কোথা থেকে রে মামানি। আমার ছেলে ও তোর ভাষায় অতি মাএরায় ভালো সুধু সময় ব্যবধানে একটু পরিবর্তন হয়েছে। (দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে)

.

কঁচু।।।।

.

ইয়াদঃ কোথায় থেকে আর আসবে খালি মাথায় শয়তান এত কারখানা বুঝসো আম্মু। এই আজগুবি কারখানা থেকেই সব আসে।।।(দরজার বাহিরে পকেটে হাত ঢুকিয়ে দাঁড়িয়ে বলল)

.
এইইইইই আপনি আমাকে কি বললেন,,,, (ইয়াদ এর সামনে গিয়ে কোমরে দুই হাত গুঁজে ) শয়তান এর কারখানা বললেন দেখসো মামনি কতোটা বড্ড তোমার ছেলে।।।।রাগিতো সুরে।আর কেউর পারমিশন ছাড়া এভাবে পিছে দাঁড়িয়ে খরগোশ এর মতো কান খাড়া করে কথা শুনা যে বেড ম্যানাস আপিনি জানেন না!!!!
.
দেখা দেখি বাদ এখন চলো।। হাত টেনে।।

.
এইইই কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আমাকে মেরে টেরে ফেলার কোনো নিয়তফিয়ত নেই তো আপনার। অভস্য থাকতেই পারে আপনার যে,,,,,
.
জাস্ট সাটঅাপ।।।। চিল্লিয়ে।

.
বললেই হলো আর আপনি আমাকে স্ট্রেডি রুমে কেন নিয়ে আসলেন।।।।। এনি কে ভ্রু-কুঁচকে??? (সামনের দিকে ইশারা করে)

.

মিট রাহাত আমার কলেজ ফ্রেন্ড আর রাহাত ও নূর যার কথা বলেছিলাম তোকে। আর নূর এই হলো তোমার হোমটিউটর।।

.
হোয়াট।।।।।চিল্লিয়ে।

.
কানে দুই হাত দিয়ে এখন থেকে নো আড্ডাবাজি অনলি পড়া বিড়িংবিড়িং থেকে তিড়িং ফিড়িং হলে ঠান্ডাবাজি,,,,,,,,,,

চলবে,,,,,,,

[ভুলগুলো ক্ষমার চোখে দেখবেন আসা করি।

মেঘের আড়ালে পর্ব-০৫

1

#মেঘের আড়ালে💞
#পর্ব___০৫
#লেখিকাঃফাতেমা জোহরা নাভিলা
১২.
দেখতে দেখতে আজ পনেরো দিন কেটে গেছে, এই সামান্য কিছু দিন এর ব্যবধানে সবার সাথে নূরের বন্ডিং জমে পুরো খির হয়েছে। বাড়িতে এখন সবায় নূর এর দুষ্টু মিতে মেতে থাকে, নূরের অদ্ভুত অদ্ভুত কান্ড আজগুবি কথাগুলো সবায় যেমন খুব উপভোগ করে। অভস্য এর মধ্যে নূর অনেক বার নানা রকম কথার ঝুলির ফাঁকে ফাঁকে জানার চেষ্টা করেছিলো ইয়াদ এর সাথে এমন কি হয়েছিলো। কিন্ত সবায় তাকে এড়িয়ে গেছে ব্যাপারটা কিন্তু মামনি বলেছে এখনো জানার সঠিক সময় আসেনি সঠিক সময় আসলে তাকে সব বলবে। সবার সাথে সমর্পক আস্তে আস্তে সাবাবিক হলেও নূর তার সাইকোর সমর্পক সেই আগের মতোই আছে টম এন্ড জেলি, কিন্তু একে উপকে এখন আর সেই বিরক্তি লাগেনা আগের মতো করে,,,,,,,,,,,,,

“আরে আরে কি করছেন কি সরুন তো সরুন হুস হুস হুস”।।।(চিপ্স খেতে খেতে)

এইইই মেয়ে এইইই কি করছো কি তুমি?? আর রুমের এই কি অবস্থা করে রেখেছো !!(রাগিত শুরে)

“ওফফফফ,,, এতো দিন জানতাম রাত কানা আছে, এখন তো দেখি রাত কানার সাথে সাথে দিন কানা ও আমাদানি হয়েছে বাহহ”।।। দেখতেই তো পারছেন মশায় আমি ডোরেমন দেখছি তাহলে জিজ্ঞাস বা কোন দুঃখে করছেন। সরুন তো টিভির সামনে থেকে এমন খাম্বার মতো না দাঁড়িয়ে থেকে, আমাকে শান্তিতে দেখতে দিন।

তুমি কি বাচ্চা যে ডোরেমন দেখছো।।। আর দেখছো তো দেখছো রুমের এই কি হাল করে রেখেছ।। পুরো রুমে জুড়ে চিপ্স ছিটিয়ে রেখেছ কেন?? খাচ্ছো কম ফেলছ বেশি, এটা কি আদৌ কোন রুম না তোমার জন্য ডাস্টবিন কোনটা(ধমক এর শুরে)। সারাদিন অফিস এর খাটুনি করে, এখন আমি তোমার জন্য বাসায় এসে বুয়ার ও ডিউটি করবো।।।।

ব্যাপারটা কিন্তু মন্দ না (চিন্তিতো ভঙিতে),,করলে করতে পারেন আপনাকে কিন্তু সেইইই মানাবে এই ডিউটিতে ম্রিস্টার ,,,,,,,

দেখো,,, আমি এখন অযথা কোনো তর্কে যেতে চাচ্ছিনা তোমার সাথে। তাই পাঁচ মিনিট এর সময় দিলাম তোমাকে। আমি জেনো ফ্রেশ হয়ে এসে দেখি তুমি পুরো রুমকে ক্লিন করে রেখেছ।। আর যদি তুমি পরিষ্কার না করো তাহলে এর ব্যবস্তা কিন্তু ভয়াবহ হবে তোমার জন্য।।।

কচু হবে,,, শালা উগন্ডার রাক্ষস খালি কথায় কথায় ধমকাই আমাকে,,,দেখিস তোর বউ একজন নিতান্ত শেওলা গাছের ছেঁকা খাওয়া বেকা হওয়া প্রেত্নি হবে যে তোর ঘাড়ে বসে বসে সারাদিন তোর ঘাড় মটকাবে হুহ, আর সাথে তার দাত গুলো হবে ফোকলা ফোকলা যখন হাসবে তার চিরল দাত দিয়ে, তখন সবায় বলবে দেখো ইয়াদ সাইকো বউ দাত ফোকলা আমিন তুই ও কি এই নূরকে মনে রাখবি, যাহ বদ দোয়া করে দিলাম হুহহ।।। হে আল্লা এইই আমি কি করলাম এই পাগল এর সাথে থাকতে থাকতে আমি নিজেই হাফ পাগল কবে হলাম।।। এই সাইকো বেটার বউ তো আমিই, নিজেকে নিজেই এতো বাজে অভিশাপ গুলো দিয়ে দিলাম হাউউউ,,, (নিতান্ত মনে মনে কথা গুলো বলছে)

মনে মনে আমার গুষ্টি উদ্ধার করা হলে আর আমাকে বিশেষ বিশেষ গালি পর্ব দেওয়া শেষ হলে ফটাফট কাজে লেগে পরো। (ওয়াশরুমে যেতে যেতে)

১৩.

“রাত ৯ টায় সবায় এক সাথে বসে ডিনার করছে”।

“ইশারা ইফরান কোথায়”!!
.

এইতো আম্মু আমি এখানে জলদি করে খেতে দেওতো খুব খুধা লেগেছে।।
.

বস আমি দিচ্ছি আজ তোদের দুই ভাই এর প্রিয় পছন্দের কাচ্চি রান্না করসি।।

.

ওফফফ আম্মু জলদি করে দাও তাহলে, আচ্ছা আব্বু একটা কথা ছিলো তোমার সাথে।।(চেয়ারে বসতে বসতে)

আব্বুঃ হ্যা বল, ইফরান কি বলবি?

ইফরানঃ নূর এর তো সবে মাএ পরীহ্মা শেষ হলো এর মধ্যে বিয়ে হয়ে গেলো। কোথায় তো আর যাওয়া হয়নি অর তাই ভাবছি নূর, ইশারা, ইরা আমি ভাইয়া কোথাও থেকে ঘুরে আসি কি বলো??

নূরঃ ঠিক বলেছ জিজু, একদম আমার মনের কথা বলসো তাই তো তোমাকে এতো এতো ভালোবাসি , চলো সাজেক যাই সবায় মিলে?

আব্বুঃ মন্ধ না, নূর মামনি আর বাকিরা যদি যেতে চায় তাহলে যাহ গিয়ে ঘুরে আয় তোরা কিছু দিন এর জন্য,আমার কোনো আপত্তি নেই।(মুচকি হাসি দিয়ে)

নূরঃ ধন্যবাদ আংকেল (জিভে কামর দিয়ে) স্যরি বাবা। আই লাভ উউউউ।।(৩২ বাতি বের করে)

ইয়াদঃ কোথাও যাওয়া হবে না তোমার।। ইফরান তোদের যেতে মন চাইলে তোরা যায়। নূর আর আমি যাব না।।( নিজের দিকে তাকিয়ে খেতে খেতে)

নূরঃ বললেই হলো আমি যাবো না, আপনার যেতে মন না চাইলে আপনি থাকুন বাসায় আমিতো যাবোই।

ইয়াদঃ তুমি যাবা না মানে যাবা না বেসস।।

নূরঃ কেন জামুনা কোন সুখে জামুনা শুনি (রেগে)

ইয়াদঃ আমি বলসি তাই,আর তুমি আমার কথা শুনতে বাধ্য।

নূরঃ মগেরমুলুক বললেই হলো।।

ইয়াদঃ হ্যা হলো (কিছুটা ধমক এর শুরে)

“ইয়াদ কি হচ্ছে কি? নূর কেন যাবেনা আর তুমি অর সাথে এমন ভাবে কেন কথা বলছো।”

ইয়াদঃ আব্বু প্লিজ এটা আমার আর আমার ওয়াইফ এর ব্যাপার। আমি চাইনা এর মধ্যে কেউ কিছু বলুক।

“সবায় এক প্রকার অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ইয়াদ এর দিকে, ইয়াদ নূরকে নিজের বউ বলে দাবি করছে তাহলে কি সে ধীরে ধীরে তাদের সমর্পকে মেনে নিতে শুরু করেছে”,,,,,,

নূরঃ তাহলে আমাকেই বলেন আমি কোন দুঃখে যাবো না।

ইয়াদঃ কারন কাল থেকে তুমি কুচিং এ যাবা।

নূরঃ কোন কুচিং??কিসের কুচিং!! অবাক হয়ে।।

ইয়াদঃ বহুত হইসে তিড়িংবিড়িং তোমার। তুমি যে HCS দিয়েছো সেই খেয়াল কি আছে?

নূরঃ তো,, HSC সাথে সাজেক যাওয়ার কি সমর্পক।।

ইয়াদঃ আলবাদ সমর্পক আছে।।

নূরঃ ভাইরে ভাই কথা না পেঁচিয়ে আপনি যদি সারাংশটা একটু ব্যাখাটা দিতেন।আর জিজু তোমার ভাইকে কিছু বলতো আমি হাপিয়ে যাচ্ছি উনার সাথে অযথা তর্ক করে করে।

ইয়াদঃ ইফরান কি বলবে, আমি বলছি,, এক মাস তো চলেই গেলো আছে আর মাএ দুই মাস, এখন যদি এই দুই মাস ভালো করে না পড় তাহলে রেজাল্ট দেওয়ার পর ভার্সিটিতে এডমিশন নিবে কিভাবে??? তাই তুমি যাবা না। এখন থেকে নো তিড়িংতিড়িং অনলি পড়া বিড়িংবিড়িং বুঝসো,,,,,,,,,,

চলবে…………

[ভুলগুলো ক্ষমার চোখে দেখবেন আসা করি]

মেঘের আড়ালে পর্ব-০৪

0

#মেঘের আড়ালে 💞
#পর্ব__০৪
#লেখিকাঃফাতেমা জোহরা নাভিলা

০৯.
কিরে নাতবউ যাচ্ছিস তো সেইই দুই দিন এর জন্য তাহলে এতো বড় ব্যাগ সাথে করে নিয়ে যাচ্ছিস যে।।

সেই তুমি বুঝবা না দীদা সিঁড়ি দিয়ে ব্যাগ টেনে টেনে নামতে নামতে কাজ আছে তাই নিয়ে যাচ্ছি।।

—–সেই যাহ, কিন্তু তারাতারি বাড়িতে আসা চাই, এই দুইদিন তোর গল্পের ঝুড়ি খুব মিস করবো রেয়।।

—-দোয়া করো দীদা আর যাতে না আসা লাগে মনে মনে।হ্যা এসে পরবো চিন্তা করো না দীদা আর হ্যা তোমাকেও আমি খুব মিস করবো জড়িয়ে ধরে।

“ইয়াদ কোথায় নূর”??

” পিছে তাকিয়ে দেখি আংকেল, আমি তো জানিনা।”

—- ও কি বাসায় নেই, ছেলেটা কে কতো করে বললাম তোমাদের সাথে করে আজ যেতে কে শুনে কার কথা।এখন তোমার আব্বুকে কি জবাব দিবো বলতো আম্মু !!(চিন্তিতো হয়ে)

ইফরানঃ আব্বু চিন্তা করো না, ভাইয়া বাহিরে গাড়িতে বসে আছে, আর এই যে শালিকা নাক আলতো করে টেনে ।তুমি আমার ভাই এর খবর জানবা কি করে তুমি তো তোমার গল্প ঝুড়ি নিয়ে বসেছো,এখন চলো জলদি করে তোমার আপু আর বর বসে আছে গাড়িতে।

আসিফ আংকেলঃ সাবধানে গাড়ি ড্রাইভ করবি,আর শুন ইফরান বাসায় পৌছে আমাকে ফোন দিবি।।

ইফরানঃ আচ্ছা আব্বু।

.

.
“গাড়ির জানালা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে আছি মনটা আমার খুব ফুরফুরে হয়তো বাড়ি যাচ্ছি তাই।মাএ দুইদিন হলো এই বাসায় আছি কিন্তু মনে হচ্ছে এক যুক পরে যাচ্ছি। হয়তো এটাকে ফিলিংস বাবা বাড়ি টু শশুড় বাড়ি বলে। গাড়ির ব্রেক হতেই কল্পনা জল্পনা ধ্যান থেকে বাহিরে আসলাম, তাকিয়ে দেখি বাসায় এসে পরেছি।আচ্ছা শুনেন,,,,,,,,, (গাড়ি থেকে বের হতে হতে)

এভাবে ভ্রু-কুঁচকে তাকিয়ে আছেন কেনো , আপনাকেই বলছি মশায়।।

.

বলো কি বলবে।। (বিরক্তি শুরে)

.

আসার সময় না আমার ব্যাগটা সাথে করে নিয়ে আসবেন।।(৩২ বাতি বের করে)
.
আমার ঠ্যাকা,,,,,,, কে বলেছিলো তোমাকে এতো বড় বস্তা সাথে করে নিয়ে আসতে, এখন নিজেই তার ভার বহন করো।।। (ভাব নিয়ে)

.

দেখুন ভাইদের কাজ হলো বোনদের ভালো করে দেখে শুনে রাখা কথায় কথায় খোঁটা দেওয়া না বুঝালেন , আর এই ভাব কাকে দেখাছেন। (কমোড়ে দুই হাত দিয়ে)

.
হোয়াট রাবিশ।।।। আমি তোমার ভাই হই???

.

নাতো,,,, চিন্তার ভঙিতে আপনিতো আমার ভাই প্লাস পয়েন্ট সাইকো জামাই চোখ টিপ দিয়ে।।( কথাটা বলেই এক দৌড় )

.

নূরররররররররররর আমি তোমাকে কাচা চাবিয়ে খাবো ফাজিল মেয়ে।।।( ধমক এর শুরে)

“সেই তো খাবেনই আপনি যে মানুষ রুপি আস্তা রাক্ষস”।।

১০.
“কিরে জামাই কই? আর এভাবে দৌড়াছিস কেনো??”

বাহ আম্মু মেয়ে এতোদিন পরে এসেছে, কোথায় জিজ্ঞেস করবে কেমন আছিস তা না জিজ্ঞাস করে করছো কি, জামাই কই?? কিছুটা অভিমান এর শুরে।। বাহ দুই দিনে এতোটা আমাকে পর করে দিলে আম্মু।।। এতোদিন ভাবতাম আপু হয়তো মিথ্যা কথা বলতো যে আমাকে ট্রেন স্টেশন থেকে কুড়িয়ে এনেছো, এখন তো মনে হচ্ছে সত্য কথা,,,,, আজ যদি আমার আম্মু থাকতো ,,,,,,,,

.

তুই এতো ড্রামা কোথা থেকে শিখেছিস বলতো(কান টেনে)।।।

.

আর কোথা থেকে শিখবে তোমার স্টার জলসা থাকতে আর কোথাও থেকে শিখার দরকার পরে।।।।

.
কি বললা তুমি ইশারার আব্বু (রেগে)

.
কই কি বললাম, এখন সরতো আমাকে আমার মা দুইটার সাথে কথা বলতে দাও।। কেমন আছিস,,

ইশারাঃ ভালো আব্বু জড়িয়ে ধরে, তুমি কেমন আছো?

আব্বুঃ তোদের ছাড়া কি আর ভালো থাকতে পারি।বাবাইটা কেমন আছিস,, কথা বলবিনা আব্বুর সাথে,,বাবাইটা কি এখনো রাগ তার আব্বুর উপর??

নূরঃ ভালো না।অভিমান এর শুরে।।।

আব্বুঃ কেনো কেনো!!

নূরঃ কি করে আর ভালো থাকবো, তুমি যে মিরজাফর এর মতো কাজ করেছো আমার সাথে।।

আব্বুঃ মুচকি হাসি দিয়ে,,মাঝে মাঝে সন্তানদের ভালোর কথা চিন্তা করে একটু আকটু মিরজাফর হতে হয়।।(মাথায় হাত দিয়ে) তা বাবাইরা ইরফান আর ইয়াদ বাবা কোথায় দেখছিনা যে??

“আমরা এইখানে আব্বু ”

আব্বুঃ এইইই কি তোমাদের হাতে এতো ব্যাগ কেন।।

ইফরানঃ কোথায় এতো ব্যাগ আব্বু সামান্য তো, আর এটাকে এতো বললে কিন্তু মামনি আর আব্বু রাগ করবে আপনার উপর।

আব্বুঃ ওফফফফ এই আসিফ বেটা আর ভাবি কে বলে আর পারি না, আমরা কি পর যে যখনই আসবা তখনই গিফট সাথে করে নিয়ে আসতে হবে।।। এখন বাবারা যাও রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসো, তারপর এক সাথে সবায় জমে বসে গল্প করে লাঞ্চ করবো।

১১.

রাত দশটা বাজে সব কাজিন রা ছাদে একজোট হয়ে গল্প আসর নিয়ে বসেছে।।। সবায় সবার দুইদিনে জমিয়ে রাখা কথা গুলো বলছে একে অপরকে মনে হচ্ছে দুইদিন না পাক্কা দুই বছর হয়ে গেছে এদের কথা শুনে তাই মনে হচ্ছে🙄 ,,,, নিরব দশকে এক প্রকার বাধ্য হয়ে তাদের মাঝে বসে ইয়াদ আর ইফরান কে শুনতে হচ্ছে এই কাজিন নামক টেপ রেকর্ড এর কথা গুলা,,,,

দিপ্তঃ অনেক তো গল্প হলো,, চল এভার গানের কলি খেলি এই শীতের মধ্যে খেলতে ভালো লাগবে,, আর সাথে তো আজ নতুন দুইজন সদস্য ও আছে।।

নূরঃ এই বাচ্ছা পোলাপানদের খেলা বাদ দেও তো।।। এসব ফালতু গেইম ভালো লাগেনা।। অন্য কিছু খেলি চলো।

অনিকঃ অরে আমার ৮০ বছর এর বড় বুড়িটারে দেখি তো,,, তা বুড়ি তোমার বিয়ে হয়ে গেছে বলে কি নিজেকে বড় মনে করছো,,, এইখানে যদি কেউ বাচ্চা হয় তাহলে কিন্তু নিতান্ত তুমি ভুললে চলবে পুচকি।।

নূরঃ ভাইয়য়য়য়য়া,,,,,,,(রেগে) আমি মোটে ও অতো ছোট না now i’m 20+ বুঝছো। তাই পুচকি বলবানা।ভাব নিয়ে।

দিপ্তঃ অরে আমার 20+ রে, তা 20+ আমরা কিন্তু এইখানে সব ২৫ এর উপরে বাবু চোখ টিপ দিয়ে।আর আমি বুঝতে পারছি ঠিক আর কেউ বুঝতে না পারলেও, তুই যে গান গাইতে পারিসনা তাই বলছিস বাদ দিতে। কি মনে হয় সব নিঞ্জা টেকনিক তুই জানিস আর কেউ জানে না।শুন যেহেতু তুই এইখানে সবার থেকে ছোট তাই তুই দুতভাত যাহ,,,,,, তুই ও কি মনে রাখবি আমাকে এই দিপ্তকে।।।।

ইশারাঃ আচ্ছা ইয়াদ ভাই, আমি শুনেছি আপনি খুব ভালো গান করতে পারেন,,, স্কুল, কলেজ, ভার্সিটিতেও আপনি সব সময় ফাংশনে গান করতেন আজ আমাদের একটা গান গেয়ে শুনাবেন,,,,,,,, প্লিজ ভাইয়া না করবেন না,,,,প্লিজ্জজ্জজ্জ,,,,,,,,

ইফরানঃ হ্যা ভাই ধর না একটা গান প্লিজ,,,অনেক দিন ধরে তোর কোনো গান শুনি না, আজ একটা গান গেয়ে আমাদের শুনা না,,,,,,,,

ইয়াদঃ আজ ভালো লাগছেনা ইফরান কোনো আর একদিন, আজ তোরা গান গায় আমি শুনি,,,,

নূরঃ এতো ভাব নিচ্ছেন কেন,,,,বললেই হলো আপনি গান পারেন না,,,,হুহ( মুখ বাঁকিয়ে)

“দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে মলিন হেসে সবার দিকে তাকিয়ে”

মনটা আমার ভীষন খারাপ
চার দেয়ালে বন্দী
ইচ্ছে নেই আর করতে নতুন
ভালো থাকার সন্ধি ।

মনটা আমার ভীষন খারাপ
চার দেয়ালে বন্দী
ইচ্ছে নেই আর করতে নতুন
ভালো থাকার সন্ধি। (আকাশের দিকে তাকিয়ে মলিন হেসে)

আমার আমি যেমন আছি
তেমন আছি ভালো
তোমাদের রঙ অনেক রঙিন
আমার প্রিয় কালো।

আমার আমি যেমন আছি
তেমন আছি ভালো
তোমাদেত রঙ অনেক রঙিন
আমার প্রিয় কালো। (আমার দিকে তাকিয়ে)

স্বপ্ন এসে এ দুচোখ তারায় করে খেলা
সব হারিয়ে খুঁজে পেলাম হারানোদের মেলা।

স্বপ্ন এসে এ দুচোখ তারায় করে খেলা
সব হারিয়ে খুঁজে পেলাম হারানোদের মেলা।

একলা থাকার একলা আমি একলা ভালো থাকি
মন খারাপের সময় গুলো নিজের কাছেই রাখি।

একলা থাকার একলা আমি একলা ভালো থাকি
মন খারাপের সময় গুলো নিজের কাছেই রাখি।

মনটা আমাত ভীষন খারাপ
চার দেয়ালে বন্দী
ইচ্ছে নেই আর করতে নতুন
ভালো থাকা সন্ধি।

“আমার আমি যেমন আছি
তেমন আমি ভালো
তোমাদের রঙ অনেক রঙিন
আমার প্রিয় কালো”(চোখের পানি গুলো আড়ালে মুছে)

ইয়াদঃ আমি আসছি একটু ( বলেই উঠে নিচে চলে গেলো)

“সবার মুগ্ধ নয়নে ইয়াদ এর গান এতোক্ষনে শুনছিলো ,কিন্তু কেউ বুঝতে পারলো না গানের ভেতরে ইয়াদ এর লুকিয়ে রাখা আব্ধ কষ্ট গুলো। আর কেউ না বুঝলেও ইফরান ঠিকই বুঝেছে তার ভাইয়ের কষ্ট গুলো তাইতো তার চোখে ও পানিতে চিকচিক করছে “।

“উনার মনে এতো কিসের কষ্ট আমাকে জানতে হবে(নূরের চোখেও পানি),,,,,,,,,,,,,,
চলবে……….

মেঘের আড়ালে বোনাস পর্ব

0

#মেঘের আড়ালে
#পর্ব___(বোনাস পার্ট)
#লেখিকাঃফাতেমা জোহরা নাভিলা

০৮.
কি করছো, তুমি এতো রাতরে এইখানে? রাগিত শুরে।

.

দেখছিলাম, (কমোড়ে হাত দিয়ে)

.
মানে!!
.

না, এতো এতো গাছ থাকতে আপনার পুরো বারান্দাময় জুড়ে ক্যাকটাস গাছের রাজ্য কেনো?

.
কারন ক্যাকটাস আমার খুব পছন্দ তাই।
.
কিহহহহ!!
.
এভাবে তাকিয়ে আছো কেনো।। ইডিয়েট এর মতো করে, আমাকে দেখে কি তোমার এলিয়েন মনে হচ্ছে যে হ্যা করে তাকিয়ে আছো বেকুব।।।

.

হ্যা,ঠিকই বলেছেন এলিয়েন এতো দেখছি এলিয়েন রুপি আস্তা সাইকো একটা বিরবির করে।
.
কিছু বললে??
.
নাহ কিহ বলবো আর।। আচ্ছা বুঝলাম ক্যাকটাস আপনার খুব পছন্দ থাকতেই পারে সাবাবিক মুখ বাকিঁয়ে। তাই বলে পুরো বারান্দাময় এই কাটাযুক্ত ক্যাকটাস করে রাখবেন। দুইটা একটা হলে চলে,,, আরে মশায় বারান্দায় তো থাকবে ফুলের বসবাস যেমন ধরেন,গোলাপ, বেলী,সকাল সন্ধ্যা, গাধাঁ,কসমস, আরো কতো কি,,,,, এসব না লাগিয়ে কি করছেন পুরো বারান্দায় গ্রিলে এই কাটা দিয়ে বরে রেখেছেন। অভস্য আমি আপনার টেকনিক ধরতে পেরেছি কাধে আস্তে করে থাপ্পড় দিয়ে,, আরে এভাবে তাকিয়ে আছেন কেনো ??আমি বুঝতে পেরেছি এতোক্ষনে আপনি যে সেফটির জন্য চোর, ডাকাত এর ভয়ে পুরো বারান্দায় কোণায় কোণায় ক্যাকটাস লাগিয়েছেন বাহ মাথায় গন্ডোগোল থাকলে কি হবে, বুদ্ধি আছে বলতে হবে আপনার। বাই দ্যা ওয়ে আইডিয়াটা চরম ছিলো আমিও কাজে লাগাবো ভাবছি। কাল তো বাসায় যাব যাওয়ার আগে ভাবছি কয়েকটা গাছ নার্সারি থেকে নিয়ে যাব,, নাহহ নূর অযথা বাবার কষ্টের টাকা নষ্ট করে কি লাভ!! এইখান থেকেই কয়েকটা নিলেই তো হলো।বাহ কি চিন্তা আমার দেখছেন।।।

জাস্ট সার্টআপ চিল্লিয়ে।।।।।

.

এভাবে কাকের মতো কাকা কাকা করে চিল্লাছেন কেনো। আমাকে কি দেখে আপনার বয়ড়া মনে হয়।আর আচারণে কিন্তু বংশের পরিচয় পাওয়া যায় বুঝছেন।আপনি দিবেন না বললেই হলো। এভাবে একটা নিরহ মেয়ের উপর চিল্লাছেন কেনো কিপ্টুসসস কোথা কার।।।
.
এই মেয়ে এই বলি মাথা কি ঠিক আছে তোমার??নিজেতো অযথা বকবক করে যাচ্ছো,, আবার নিজেই নিজের মতো মন্তব্য সাজিয়ে যাচ্ছো।।।। রিডিকিউলাস। ধমক এর শুরে।

আমার মাথা ঠিক আছে আপনারই মাথা ঠিক নাই বেটা সাইকো।।।।।।।

চলবে……..

আসসালামু ওয়ালাইকুম,, রিডাস আমি জানি আমার কিছু বানানে ভুল যায়,অনেক সময় লিখতে গিয়ে বানান একটু আকটু ভুল যায়, যা লিখার সময় অনেক সময় চোখে পরেনা হয়তো আমি কাচা লিখিকা বলে তাই।আমি লিখছি গত এক মাস ধরে তাই হয়তো অতো গুছিয়ে আপনাদের তেমন করে দিতে পারছিনা আমি দুঃখীত। অনলাইনে আপু ভাইয়াদের গল্প পড়তে পড়তে লিখার সখ হঠাৎ জাগ্রত হলো এই ছোট মনে তাই লিখার চেষ্টা করছি।আর হ্যা নাবিলা/নাভিলা দুইটো কিন্তু আলাদা নাম। নাম এক হলেও ব/ভ একটা পার্থক্য করে দিয়েছে।
happy reading 🙃🙃🙃
[ভুলগুলো ক্ষমার চোখে দেখবেন আসা করি। এই ছোটখাটো বোনাস পার্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ ]

মেঘের আড়ালে পর্ব-০৩

0

#মেঘের আড়ালে💞
#পর্ব__০৩
#লেখিকাঃ ফাতেমা জোহরা নাভিলা

০৬.
“ওইইইইইই বেটা সাইকো ওইইইইইইইইইইইইইইইইইই উঠ”

উনি বেক্কল এর মতো চোখ খুললেই বসে জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিচ্ছেন এক হাত কানে আর বুকে এক হাত দিয়ে, উনাকে দেখে মনে হচ্ছে বড় সড় কোন এক ভূমিকম্প উনার উপর বয়ে গেছে তাই এভাবে কাঁপছে। উনাকে এইভাবে জ্বালাতন করতে পেরে মনে আহহহহ সেইইই শান্তি লাগছে। এভার বুঝো বেটা কতো ধানে কতো চাল। তোর জন্য কাল এই শীতের মধ্যে মাথা ঠান্ডা করার জন্য আমায় শাওয়ার নিতে হয়েছে তার জন্য এই ছোটখাটো প্রতিশোধ নিলাম হুহ, আমি আবার বড় মনের বালিকা তো তাই কেউর ঋণ রাখা বেশী দিন পছন্দ করিনা। (শয়তানি হাসি দিয়ে)

“উনি ঝট করে বসা থেকে উঠে দাঁড়ালেন আমার সামনে ধীরো পায়ে এসে কিছুহ্মন ভ্রু কুঁচকে আমার দিকে রুহ্মুচোখে তাকিয়ে থেকেই”,,,,,,

“উনার চোখে রাগটা আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি এইমূহুর্তে রাগে উনার কপালে রগ গুলো ফুলে উঠেছে” কোবরা মতো ফুসফুস করে ফুলছেন কতোটা যে ভয়ংকর লাগছে উনাকে দেখতে । আমি ভয়ে ঢোক গিলে জিভ দিয়ে ঠোট ভিজিয়ে কাপা কাপা গলায় বললাম ভভভভভাইয়য়য়া আঅা,,,, আপনার ক ক,,কফিটা আর কিছু বলার বা শুনার সুযোগ না দিয়ে এক দৌড় লাগালাম আপাততো এই সাইকো ছোবলা থেকে বাঁচতে পারলেই আমার বাবার নাম।

সিঁড়ি থেকে নেমেই বুকে হাত দিয়ে জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিচ্ছি আর একটুর জন্য বড় সড় বর্জ্যপাত হাত থেকে বেঁচে গেলাম হুহ।

“কিগো ভাবি এভাবে হাপানি রোগিদের মতো হাপাচ্ছো কেনো”। ভাইয়া বুঝি আদর বেশি দিয়ে ফেলেছে তোমাকে (মুখ টিপে হেসে)

আমি চোখ বড় করে তাকিয়ে আছি ইরার দিকে,,, কতো ফাজিল মাইয়া দেখসো কি কয় এইসব। ইরার দিকে তাকিয়ে দুষ্টু হাসি দিয়ে নাগো ননদিনী আমাকে না আমি উল্টো তোমার ভাইজান কে পরম আদর দিয়ে এসেছি (লজ্জা পাওয়ার ভঙিতে মুখে হাত দিয়ে)

ইরা আমার দিকে অবিশ্বাস চাহনিতে তাকিয়ে আছে হা করে। তাতে আমার জামাইর কি, লও ঠ্যালা এভার হজম করো ননদিনী আমাকে পচাতে আসছিলা না (দুষ্টু হাসি দিয়ে)

দূর থেকে দীদা আর আপি ইরা থতমত অব্যস্থা দেখে মিটমিট করে হাসছে।।।

০৬.

টেবিলে সবায় এক এক করে এসে বসেছে দুপুরে লাঞ্চ করবে বলে।আমি বসতেই,,,,

ইফরানঃ কিগো শালিকা আমার ভাই কই!

নূরঃ আমি কি এখন উনাকে পকেটে করে নিয়ে ঘুরবো সবায় আমাকে কেনো জিজ্ঞাস করো মনে মনে। উনিতো রুমে জিজু।

ইশারাঃ রুমে থাকলে হবে,ডাক দিয়ে নিয়ে আয় একসাথে বসে সবায় লাঞ্চ করবো।

আসিফ আংকেলঃ ইয়াদ আমাদের সাথে লাঞ্চ করেনা। দীর্ঘ তিন বছর ধরে টেবিলে বসতে বসতে তাই ডেকেও লাভ নেই।

ইশারাঃ কেনো?

নূরঃ আরে আপি উনিতো আরামদায়ক প্রেমিক তাইতো দেখোনা রুম থেকে সহজে বের হয়না মহাশয়, ঠিক বলেছিনা আংকেল।

ইশারাঃ নূরর চোখ রাঙিয়ে এতোদিন করেনি আজ করবে যা ডাক দিয়ে নিয়ে আয় ভাইয়াকে।

নূরঃ আমি যাব।।।। আংকেল তো বললো,,, আচ্ছা আচ্ছা যাচ্ছি এভাবে তাকাও কেন।। ভয় করে তো।

” রুমে এসে দেখি রুম পুরো ফাকা উনি কোথায় নেই, কোথায় গেলেন এই মহাশয় আবার বাহিরে ও তো যেতে দেখলাম না তাহলে।ব্যালকনি উক্কি দিয়ে দেখি উনি ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আছেন। আমি ধীরপায়ে ওনার দিকে একটু এগিয়ে গেলাম উনি এখনো আকাশের দিকে তাকিয়ে আছেন। আমি একটু কেশে আমার উপস্থিতি জানান দিলাম তাতে কোন কাজ হলো না। উনি কোন রিয়েক্ট করলেন নাহ। আমি জানি যে উনি হক্কাল হক্কাল ঘুম থেকে উঠে চিরতা রসকস যুক্ত ব্লাক কফি খান ইয়াক!!! ভাবতেই গা কেমন জেনো বমি বমি লাগছে। এতো বাজে টেস্ট কিভাবে হয় মানুষের যাই হোক তাতে আমার কি। আচ্ছা উনাকে কি জিজ্ঞাস করবো।” আজ উনার কফিতে চিরতা কম হয়ে ছিলো কিনা”। সেই চিন্তায় হয়তো মহাশয় মোড অফ কিরে আছে আহহহ কি প্রেম চিরতার সাথে দেখেই আমার চোখে পানি এসে গেলো। না থাক জিজ্ঞাস করা লাগবো না পরে আবার রাম ধমক দিলে। এসব নানারকম কথা ভাবতে ভাবতেই রুমের ভেতরে আসার জন্য পা দিতেই,,,,,,,,,,,,, নূর (নরম শুরে)

“উনার এই নরম শুরে ডাকে আমি কেঁপে উঠলাম এতো সুন্দর করে কেউ ডাকেনি আমাকে এর আগে”। আমি ঘুরে উনার দিকে তাকিয়ে আছি কৌতূহল নিয়ে, উনি এখনো সামনের দিকে তাকিয়ে আছে। আচ্ছা উনি এই নরম শুরে ডেকে বাশ দিবেন না তো আমাকে সকাল এর জন্য?

“I’m sorry”

আমি অবাক এর শেষ চৌড়ায় পৌছিয়ে গেলাম চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছি উনার দিকে, আমি কি কানে ভুল শুনলাম উনি কি আদৌ আমাকে sorry বলেছেন।এভার উনি ঘুরে আমার দিকে তাকিয়ে মাথা নিচু করে বললেন।

I’m sorry তোমার সাথে আমার কাল ওইভাবে কথা বলা উচিত হয়নি। কি করবো বলো বাবার উপর রেগে ছিলাম, আমি ভেবে ছিলাম হয়তো তুমি এই বিয়েতে না করে দিবে। কিন্তু যখন দেখলাম তুমি এই বিয়েতে না করলে না তখন তোমার উপর এক চাপা রাগ হয়।সেই রাগে ক্ষোভ আমি তোমার দিকটা না বুঝেই তোমার সাথে misbehave করি। তুমি যদি কাল আমাকে ওই ভাবে কথা গুলো না বলতে হয়তো আমি তোমার দিকটা কখনো বুঝার চেষ্টা করতাম না।

আমি উনার দিকে হ্যা করে তাকিয়ে আছি কেন জানি কথা গুলো হজম করতে কষ্ট হচ্ছে,মন বলছে বেটা সাইকো যাই হোক অতো ও খারাপ না। আমি উনার দিকে কিছুক্ষন অবিশ্বাস চাহনিতে তাকিয়ে থেকে বললাম ইট’স ওকে, আপনি আপনার ভুল বুঝতে পেরেছেন এতেই আমি খুশি। আংকেল আপনাকে ডাকছেন নিচে খেতে এই বলেই আমি নিচে চলে আসলাম।

ইশারাঃ কিরে ভাইয়া কোথায়।

নূরঃ আমি উনাকে বলছি, হয়তো আসছে।

আসিফ আংকেলঃ আসবে না তোমরা শুরু করো, দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে।।।

০৭.
ওইতো আমার দাদুভাই চলে এসেছে, কি গো দাদুভাই মুখের এমন হাবভাব করে রেখেছে কেন? আদর বুঝি কম হয়েছে নাকি(উনাকে খোঁচা দিয়ে)

দীদা কথায় আমার কাশ উঠে গেলো আল্লাহ আমি কার সামনে কি বলেছিলাম। আপু আমার দিকে পানি এগিয়ে দিয়ে চোখ টিপ দিয়ে মুচকি হাসছেন।ইশশশশশশ কি লজ্জা কি লজ্জজা মরি যাই মরি যাই। দীদা ও না কি দরকার ছিলো এভাবে সবার সামনে লজ্জায় ফেলার, আমার ইজ্জত ফালুদা করে দিলো। আর এই সাইকো বেটাকেও বলি এতোদিন রুমে বসে খেতেন আজ উনাকে এতো কষ্ট করে নিচে আসতে বললেন কে তার জন্য আমাকে অকারনে এই লজ্জা পরতে হলো। আমি এভার আড়চোখে উনার হাবভাব দেখার জন্য উনার দিকে তাকালাম,,,,,দীদার কথায় উনার কোন ভ্রুক্ষেপ নেই উনি চুপ চাপ নিচের দিকে তাকিয়ে খাচ্ছেন তো খাচ্ছেন। আমার হাতে মামনি হাত দেওয়াতে আমি তার দিকে তাকালাম তার মুখে এক বিশ্বজয় করার হাসি,,,,,,,
চলবে………

[ভুলগুলো ক্ষমার চোখে দেখবেন। আসা করি]

মেঘের আড়ালে পর্ব-০২

0

#মেঘের আড়ালে💞
#পর্ব__০২
#লেখিকাঃ ফাতেমা জোহরা নাভিলা
০৪.
—–নূর কেন করলে আমার সাথে এমন? অহহহহ আই সি আমার বাবার টাকার জন্য তাইতো? তাছাড়া আর কিহ বা হতে পারে! তোমাদের মতো মেয়েদের কাজই হলো টাকার জন্য অন্যের জীবন নষ্ট করে দেওয়া।

আমি কি বলবো ভেবে পাচ্ছি না। এই সাইকো আমদানি বলে কি এইসব কতো সহজে সব দোষ আমার ঘাড়ে দিয়ে দিলেন সাথে ভাগ্যক্রমে খারাপ ও লোভী মেয়ের পদবীটা ও উনার জন্য আজ পেয়ে গেলাম। আমি মিডিলক্লাস ফ্যামিলি মেয় বলে যা নোয় তা বলবে আর আমি মুখ বুঝে সব শুনবো।

——- তুমি দেখতে যতোটা ভোলাভালা ইনোসেন্ট বুঝাও তার এক ছিটেফোঁটা ও তুমি নও সেটা তুমি খুব ভালো করে জানো আর আমিও জেনে গেছি। তাই এই ভোলাভালা অবুঝ ইনোসেন্ট লুক দেওয়ার ড্রামা বন্ধ করো। রাগিত শুরে।

——— দেখুন আপনি কিন্তু এভার আপনার লিমিট পার করছেন? হোয়াট ডু ইউ মিন বাই ভোলাভালা ড্রামা বন্ধ করো আমাকে দেখে কি আপনার কোন এংগেলে অভিনেত্রী মনে হয় হ্যা? আপনি কাকে কি বলছেন আপনি আদৌ কি বুজে বলছেন?

“তাস্যছিলো হাসি দিয়ে”

—–কি বললা,,লিমিট?? হাসালে আমাকে। তোমার আদৌ লিমিট বলে কিছু থাকলে তো লিমিট পার করবো তাইনা?? “যদি তোমার মধ্যে সামান্যতম লিমিট আত্নস্মান বোধ বলে কিছু থাকতো তাহলে আমাকে বিয়ে করতে না “।

আমার এভার বুকটা ফাইট্টা যায় বুকটা ফাইট্টা যায় মরা কান্না আসতেছে। বাবা আমাকে শেষ মেস এই কোন পাগল এর সাথে বিয়ে দিলো। এই তো পাগল ও না পাগল এর নামে মিস্কাশয়তান। বলে কি এইসব কোথায় আমি কপাট রাগ দেখাবো এই পোলা উল্টো আমাকেই রাগ দেখাছে। বলি এটা কি স্টার জলসার মঞ্চো পাইসে যে একের ভিতরে সব বলে যাচ্ছে। নাহ জীবনটা কে ওই ফালতু স্টার জলসা হতে দেওয়া যাবে না কিছুতেই না। আমি কমাট রাগ দেখিয়ে শাড়ি আচল কমোরে গুঁজে উনার সামনে গিয়ে আঙুল তুলে

“এই যে ম্রিস্টার ,,,, এটা কি কোনো সিনেমা হোল পেয়েছেন, যে ডাইলোক বাজি দিয়ে যাবেন আর আমি সব শুনে নিরবে হজম করে যাব। আমাকে কি কোনো এংগেলে সাবানা পেয়েছেন যে আপনার এই ডাইলোক শুনে কানে হাত দিয়ে না স্বামী না ওগো বলোনা এইসব বলে মরা কান্না ঝুড়ে দিবো। ফর উ কাইন্ড ইনফোরমেশন আমি নূর সাবানা না। যে আপনার কথা গুলো সব সহ্য করে নিবো। আর কিজানি বললেন,,,,,,,, অহ হে আমি আপনার জীবন নষ্ট করেছি তাইতো অপ্সস হাসালেন আমাকে। জীবন আমি নষ্ট করেছি না আপনি আমার করেছেন কোনটা বলেন তো। আর আমি আপনার কাছে গিয়ে বলেছি একবারো যে আমাকে বিয়ে করো আমাকে বিয়ে ইয়াদ নাহলে তো আমি তোমার বাবার টাকা কিছুতেই পাবো না। বরং আপনার বাবা আমার আব্বুর কাছে এসে হাত জোড় করে বলেছেন ইয়াদ এর সাথে জেনো নূর এর বিয়ে হয়। আর কি জানি বলেছিলেন খারাপ মেয়ে,,,, খারাপ এর কি দেখলেন বলেন তো, আমি যদি চাইতাম তখন বাড়ি ভতি মেহমানদের সামনে একটা সিনক্রেট করতে পারতাম করেছি। কি? চুপ হয়ে গেলেন যে জবাব নাই আপনার কাছে!!!

“উনি আমার দিকে কিছুহ্মন শান্ত চাহনিতে তাকিয়ে ব্যলকনিতে চলে গেলেন “আমি উনার জাওয়ার দিকে তাকিয়ে দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলাম মাথা ঠান্ডা করার জন্য লম্বা এক শাওয়ার প্রয়োজন ।

০৫.
সকাল সকাল দরজায় কড়া নড়ায় আমার ঘুম ভাঙলো। ঘুমঘুম চোখে হেলেডুলে দরজা খুলে দেখি আমার বোন ইশারা দাঁড়িয়ে আছে মুখে সূর্যমুখী লাভা ধারন করে।

——-কি হয়েছে আপি, এমন করে তাকিয়ে আছো কেনো। কেউ কিছু বলেছে তোমাকে চিন্তিতো হয়ে।

——বলি কয়টা বাজে??

——-এমা তোমার ঘরে ঘড়ি নাই আপু।কয়টা বাজে জানার জন্য এই সকাল সকাল আমার শান্তির ঘুমটা নষ্ট করলা। দিস ইজ নোট ফেয়ার আপু ঠোট উল্টিয়ে।

——-নূরররররর

———–চিল্লাও কেন কানে হাত দিয়ে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ৯:১০ বাজতে চললো। চারপাশটা চোখ বুলিয়ে মনে পরলো আমিতো আমার বাসায় না। আসিফ আংকেল এর বাসায় এভার আপি দিকে তাকিয়ে তার রাগার কারন বুঝতে পারলাম।সরি আমি বুঝতে পারিনি যে এতো দেরি হয়ে যাবে।

——নূর তুই কখন বড় হইবি বলতো । যা জলদি করে ফ্রেশ হয়ে নিচে আয় মামনি তোকে ডাকছে সেই কখন থেকে।

——–আচ্ছা, তুমি যাও আমি আসছি।

রান্নাঘরে এক কোনায় সেই কখন থেকে এসে দাঁড়িয়ে আছি আমাকে কেউ কিছু করতে দিচ্ছে না। মামনি আর আপু সব কাজ করছে আমি শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেই যাচ্ছি। বলি আমি তোমাদের একটু হেল্প করি না প্লিজজজজ সেই কখন থেকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেই চলছি। দেখতে দেখতে এখন আমি বড্ডো ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি এভার তো কিছু করতে দাও আমাকে। সবাই কি বলবে বলতো বাড়ির বড় বউ হয়ে দিব্বি দাঁড়িয়ে আছে, শাশুড়ি মা আর ছোট বউ সব কাজ করছে। তোমাদের জন্য আজ সিরিয়াল এর দরজাল বউ হয়ে গেলাম জাও অভিমান এর শুরে,,,,

——– দেখ মেয়ে বলে কি, এইটুকু পুচকি মেয়ে বলে কাজ করবে, আর আমারা কখন বললাম তুই সিরিয়াল এর দরজাল বউ আর হলেও সমস্যা নাই আমারা আমারাই মানিয়ে নিবো, না ইশারা ঠিক বললাম তো মুচকি হেসে।

——–মামনি তোমরা হাসছো নোট ফেয়ার।

——-এখন যা তো আম্মু গিয়ে ইয়াদকে কফিটা দিয়ে আয়।

——-আমি যাব, হতাশ হয়ে।

——- হ্যা যায়, গিয়ে একটু দিয়ে আয় আমিতো কাজ করছি নাহলে আমিই যেতাম।

—–আচ্ছা দাও দিয়ে আচ্ছি খাটাশ কে, এইকি ব্লাক কফি।

——-হ্যা, ইয়াদ ব্লাক কফি খায়।

—— এই কারনেই তো বলি মুখে এতো চিরতা রসযুক্ত কথা কেন বের হয় মনে মনে।

“রুমে এসে সেই কখন থেকে উনাকে ডেকে যাচ্ছি এই যে শুনছেন, ওগো সাইকো স্বামী শুনছো বলে উঠার কোন নামই নেই। ডাকতে ডাকতে আমি রিতিমত হাপিয়ে যাচ্ছি আর মহাশয় আরামসে দিব্বি ঘুমাছেন “। নাহহ কিছুতো করতে হবে কানের সামনে গিয়ে ওই বেটা সাইকো ওইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইই

চলবে…………….

[ভুলগুলো হ্মমার চোখে দেখবেন আসা করি। কেমন লাগলো আপনাদের মতামত কমেন্ট জানাবেন। ]

মেঘের আড়ালে পর্ব-০১

0

#মেঘের আড়ালে 💞
#পর্ব__০১
#লেখিকাঃ ফাতেমা জোহরা নাভিলা

০১.
বধূ সেজে বসে আছি আমার বড় বোনের পাবনা থেকে পালৌকিত সাইকো ভাসুর এর সামনে। কথাটা শুনতে অদ্ভুত লাগছে তাইনা, লাগলেও কিছু করার নাই। লজ্জায় দুঃখে মরে যেতে ইচ্ছা করছে।এইমূহুতে দুঃখে চোখ তুলে কেউর দিকে তাকাতে মন চাচ্ছে না। এতোদিন বান্ধপিদের মজার ছলে কতো শত শত কথায় অভিশাপ দিতাম কিন্তু নিজের কপালই যে এমন কিছু অপেহ্মা করে ছিলো কে জানতো। বার বার মনে হচ্ছে সময়টা এইখানেই থেমে থাকুক আর আমি এখান থেকে একটা দৌড় লাগাতে পারলেই আপাতোত বাচি।কাজি সাহেব বার বার তাড়া দিয়ে যাচ্ছেন কবুল বলার জন্য কিন্তু এই সাইকো ছেঁকা খাওয়া বেকা হওয়া বীর পুরুষকে নিজের স্বামী ভাবতে নিলেই শরীল জেনো ভয়ে কান্নায় কেপে উঠছে………….


আমি জান্নাতুল নূর । বাবা-মার দ্বিতীয় সন্তান এভার এইচ এস সি দিয়েছি। এই এইচ এস সি দিয়েই বিয়ে নামক পিরিতে বসতে হলো আমাকে এক প্রকার বাধ্য হয়ে। এখন আপনারা হয়তো অবাক হচ্ছেন আমি কোন দুঃখে এই বেটা সাইকো কে বিয়ে করছি তাইতো। বিষয়টা খুব হাস্যকর তাই না। হ্যা আমার ও খুব হাসি পাচ্ছে নিজের কপালের উপর। এতোই হাসি পাচ্ছে যে খুশির ঠ্যালায় এইমূহুতে বাড়ির পাশে যে পচা নদীটা আছে অইখানে গিয়ে ঝাপ দিতে ইচ্ছে জাগ্রত হয়েছে আমার এই ছোট মনে, কিন্তু পরিবারের মানসম্মানের কথা ভেবে আর তাদের চোখ রাঙানোর জ্বালায় আপাতোত কিছু করতে পারছিনা। আজ আমার বড় আপি ইশারা বিয়ে ছিলো। এই বিয়েইটা জেনো আমার জীবনের কাল হয়ে দাঁড়ালো। আসিফ আংকেল আব্বুর ছোটবেলার বন্ধু তার ছোট ছেলে ইরফান ভাইয়ার সাথে ইশারা আপির বিয়ে ছিলো আজ। মূলত দুই বন্ধুর বন্ধুত্ব আরো পাকাপুক্ত করার জন্য তারা এই সিদ্ধান্ত নেন। আপু আর ইফরান ভাইয়ার বিয়ের শেষ হওয়ার কিছুহ্মন পরেই আসিফ আংকেল অস্থির হয়ে এসে আব্বুর কাছে এক প্রকার হাত জোড় করে মিনতি শুরে আবধার করে বসে আমার সাথে ইয়াদ ভাইয়ার বিয়ে দেওয়ার জন্য। মুহুতে বাড়িতে বিয়ে বাড়ি আমেজ থেকে ছোটখাটো টনেডো বয়ে যায়। আমি নাকি পারবো তার গম্রা মুখ করা গম্ভির জলে থাকা ছেলেকে আগের মতো করতে। আমার কারনে নাকি তার ছেলে আজ তিন বছর পর হেসেছেন। কই আমিতো একবারো দেখিনি আর হাসলেও বিয়ে করতে হবে এমন কোন কথা আছে আদৌ। আব্বুর কি হলো জানিনা আমার দিকে এক নজর তাকিয়ে আংকেলকে নিয়ে বিতরের রুমে চলে গেলেন। প্রায় পাক্কা এক ঘন্টা পর এসে আম্মু আর আপিকে উদ্দেশ্য করে বললেন আমাকে রেডি করাতে আজ আমার সাথে ইয়াদ ভাইয়ার বিয়ে হবে। এটার শুনার সাথে সাথেই আমার যেমন রৌদ্দুর আকাশে মেঘ গুলো জমে বর্জ্যপাত ঝড় কানে সো সো করে বয়ে গেলো।আমি কিছু বলতে নিতেই আব্বু আমাকে পাশ কাটিয়ে চলে গেলেন। আর আম্মু আমাকে হাত এর ইশারা দিয়ে বুঝালেন এতো মানুষ এর সামনে মুখ খুললেই মাইর। এখন তো আমার রিতিমত মনে হচ্ছে রেলস্টেশন বট গাছ এর নিচ থেকে আসলেই আমকে কুড়িয়ে এনেছে তাইতো আমার সাথে এই ঘোরো অনন্য গুলো করছে।

০২.

“মা বলো আলহামদুলিল্লাহ বলো মা!”

বুঝতে পারলাম আমার কাছে এমন কোনো নিঞ্জাটেকনিক জানা নেই, এই বিয়ে নামক ঝড় থেকে বাচার । তাই বাধ্য হয়ে বলে ফেললাম “আলহামদুলিল্লাহ ” হয়ে গেলাম ইয়াদ নামক সাইকোর বেটার বউ। বউ হেয় বউই তো এমন তেমন কেউর বউ না আবার এই সাইকো টার বউ ভাবতেই কান্না পাচ্ছে। রাগে দুক্ষে ফুসফুসে পাশে বসে থাকা ইয়াদ নামক দানব এর দিকে রুহ্মুচোখে তাকিয়ে দেখি সেই আপাতোত তার গম্ভির চিন্তায় মুগ্ধ আছে। আচ্ছা ওর মনে এখন কি চলছে? ও কি আমাকে নিয়ে ওর মনে পাগলা গারোদের কোনো কাহানী সাজাতে ব্যস্ত নেই তো। ভেবেই গা যেমন মূহুতে কাটা দিয়ে উঠল এখন শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে।


——বাবাইটা আমার, কখন যে তুই এতো বড় হয়ে গেলি বুঝতেই পারিনি গালে হাত দিয়ে কান্না মিশিতো শুরে। এতোদিন আমার ঘর তোর হাসি দুষ্টুমিতে মেতে থাকতো আজ সব শান্ত করে চলে যাচ্ছিস অনের ঘর আলৌকিত করতে।

——- বুঝতে যেহেতু পারনি তাহলে পাঠাচ্ছো কেনো আব্বু ওই সাইকো ঘরে। আমার আলৌকিত কারনে কি তোমার ঘরে বেশি কারেন্ট বিল আসছিলো যে তুমি সেই রাগে আমাকে এইভাবে তারিয়ে দিচ্ছো।

—- বাবাইটা বড্ডো অভিমান হয়েছে আব্বুর উপর তাইনা। আচ্ছা তুই কি ভরসা করিস তোর আব্বুকে!

——- নিজের থেকেও হাজারগুন বেশি করি, কাল ও করতাম আজও করি। কোনো সন্দেহ আছে আমার উপর।

——— তাহলে তোর আব্বুর উপর একটু ভরসা রাখ। আমি যা করেছি তোর ভালোর কথা চিন্তা করেই করেছি, এখন হয়তো আমার কথা তুই বুঝছিস না সময় হলে তুই একদিন ঠিকই বুঝবি তোর আব্বু তোর জন্য কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নেইনি। কপালে চুমো দিয়ে।

—-আব্বুর কথা শেষ হতেই আম্মু কাছে এসে আমার হাত মুঠো শক্ত করে ধরে।

“তুই বয়সে তোর আপি থেকে ছয় বছরের ছোট হলে ও ইশারা থেকে তুই বেশী বুদ্ধিবান “।আমার লহ্মি মেয়ে তোকে কিছু বলতে বা বুঝাতে হবে না আমার। আমার তোর উপর বিষাশ আছে তুই সব পরিস্থিতিতে নিজেকে হ্মাপ খায়িয়ে চলতে পারবি।

“শুন মা ইয়াদ খুব ভালো ছেলে, তুই ইয়াদকে মানিয়ে নিয়ে ওর সাথে সুখে শান্তিতে সংসার করতে পারবিনা”।

আম্মু কথা শুনে ইতিমধ্যে ৪৪০ বোল্ড এর সর্কট খেলাম। ইয়াদকে স্বামী হিসেবে মেনে নিতে বলছে তার উপর আবার শান্তিতে সুখে সংসার আদৌ কি আমি পারবো।

“ইয়াদের পরিবার বেশী দেরি করলো না।খুব তাড়াতাড়ি তারা নূর ও ইশারাকে নিয়ে চলে আসলো “।

০৩.
বাসর ঘরে বসানো হয়েছে নূরকে। বাসায় আসার পর থেকেই ইয়াদের আত্বীয়-স্বজন অনেকেই অনেক কথা বলেছেন সাথে একটা সাথে একটা ফ্রি টাইপ জ্ঞান ও দিয়েছেন।নূরের দাদি শাশুড়ি নূরের অব্যস্থা বুঝতে পেরে ইয়াদ এর ছোট বোনকে বলে বাসর ঘর নামক ঘরে বসিয়ে দিয়ে গেছে।

আপাতোত আমার জীবন এর মতো রুমটা কিছুটা অন্ধকার হয়ে আছে, কিন্তু ডিম লাইটের মৃদ্যু আলোতে চারপাশটা আফছা আফছা বুঝা যাচ্ছে। দরজা খুলে রুমে প্রবেশ করলে প্রথমে গিয়ে চোখ পরে বেডের উপরে ইয়াদ ভাইয়ার বিশাল এক ছবির উপর। বাইক এর সাথে কিলার লুক দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, চোখে সানগ্লাস মুখে আঁকাবাকা দাতে উজ্জ্বল করা হাসি, লাল পাঞ্জাবি পরিহিত হাতা কুনি পর্যন্ত গোটানো। ছবিটার দিকে আমি হা করে তাকিয়ে আছি বড় সড় ক্রাশ খাওয়ার মতো এটা কি এই ইয়াদ যাকে আমি কিছুহ্মন আগে গুমরা লুকে দেখেছিলাম। ছবিটা আজ থেকে ঠিক তিন বছর আগের তোলা ছবির নিচে তারিখ দেওয়া আছে তাই বুঝতে কষ্ট হলো না। হঠাৎ দরজা খুলার আওয়াজে আমি ঘুরে তাকালাম,,,,,
চলবে……..

[ভুলগুলো হ্মমার চোখে দেখবেন আসা করি। কেমন লাগলো অভস্য কমেন্ট জানাবেন]