মন গহীনের শব্দ পর্ব-০২

0
250

মন গহীনের শব্দ
| ২ |
এখনও রুনির চোখমুখ চকচক করছে। নতুন কোনো ইস্যু পেলেই রুনির চেহারা এমন হয়ে থাকে। কফির মগটা টেবিলের উপর রাখতে রাখতে রুনি বলল, “এই লন আফনের কফি। রাইখা জলদিই যাইতে হইব আবার। ঘরের সব কাম তো এই রুনিরই করন লাগে। ওদিকে দাদি আবার সেই কহন থেইকা চিল্লাফাল্লা শুরু করছে। আফনের লগে নাকি মাস্টারের ইটিশ পিটিশ চল…।”

রুনির কথার গাড়ি চলতে শুরু করেছে। অতিসত্বর এই গাড়ি থামাতে হবে। আমি শান্ত অথচ কঠিন স্বরে বললাম, “রুনি, আমার টেবিলের উপরে এই যে স্টাপলারটা দেখতে পাচ্ছিস, এটাতে গতকালই পিন ভরেছি আমি। এটা কীভাবে ব্যবহার করে জানিস তো? তুই যদি এখনই তোর মুখ বন্ধ না করিস তাহলে আমি এটা দিয়ে তোর ঠোঁটদুটো আটকে দেব।”
হুমকিতে কাজ হলো৷ রুনি কফির মগ রেখে সুড়সুড় করে চলে গেল।

ও যাওয়ার পরেই এলো দাদি। রুনিকে ভয় দেখিয়ে তাড়ানো গেলেও এই জিনিস কোনোভাবেই তাড়ানো যাবে না। মস্ত বড় ভুল হয়ে গেছে। আগেই দরজা লক করে নেয়া উচিৎ ছিল। আমি বই পড়তে পড়তে দাদির দিকে তাকালাম। আমাকে কোনোরকম বিরক্ত না করেই সে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ল। আচ্ছা, বুড়ি তাহলে আজ এখানে ঘুমাতে এসেছে।

আমি বই পড়ায় মনোযোগ দিলাম। পড়া শেষ করে যখন উঠলাম তখন ঘড়িতে রাত দুইটা বেজে দশ মিনিট। আমি পা টিপে টিপে বিছানায় গেলাম। দাদি যদি কোনোভাবে জেগে যায় তাহলে এখন বিরক্ত করবে নিশ্চিত। সবে কোলবালিশটা জড়িয়ে ধরে শুয়েছি, এরমধ্যেই কথা বলে উঠল সে, “কাহিনী কী? সত্যি কইরা বল তো আমারে। তোর মতিগতি তো কিছুই বুঝতেছি না।”

“কিসের কাহিনী? দাদি প্লিজ, এই মাঝরাতে বিরক্ত করো নাতো। ঘুমাতে দাও।”
“তোরে আমি খুব ভালো কইরাই চিনি। উপর থেকে দেখতে আলাভোলা মনে হইলেও বাপের মতো মাথার মধ্যে বদবুদ্ধিতে ঠাসা। অনেক বছর ধইরা যাদের সাথে চলাফেরা, তাদেরও সহজে তুই বিশ্বাস করিস না। আর এই মাস্টার তো একমাসও হয়নাই তোরে পড়াইতে আসছে। এরমধ্যেই তোর তারে মনে ধরল কীভাবে?”

“উফ দাদি। তোমাকে তো আগেও বলেছি, ভালোবাসা হলো একটা পবিত্র ব্যাপার। নিজের অজান্তেই মানুষ কখন প্রেমে পড়ে যায় সেটা সে নিজেও জানে না। তোমার মাস্টারকে প্রথমবার দেখেই আমি তার প্রেমে পড়ে গেছি। সে আমার ট্রু লাভ। এখন তোমার অহেতুক সন্দেহ বন্ধ করো, বুড়ি। আমি এখন ঘুমাব। আমাকে আর একদম বিরক্ত করবে না।”
“তুই যতই বলস। আমি জানি, মনে মনে তুই ঠিক কোনো বদ মতলব করতেছোস।”
আমি কোনো জবাব দিলাম না এবার আর। কথা বললে বুড়ি একের পর এক প্রশ্ন করতেই থাকবে।

চোখ বন্ধ করে থাকতে থাকতে কখন ঘুমিয়ে গিয়েছি জানি না, ঘুম ভাঙল দাদির ক্রমাগত ধাক্কায়। ঘুম হালকা হতেই শুনলাম, সে বলছে, “ওই, ঘুম থেকে ওঠ জলদি। ফজরের ওয়াক্ত চইলা যাইতাছে। নামাজ পড়বি না?”

আমি একরাশ বিরক্তি নিয়ে ঘুম থেকে উঠলাম। দাদি মনে হয় আগেই নামাজ আদায় করেছে। নামাজ শেষ করে উঠে দেখলাম সে আবার ঘুমিয়ে পড়েছে। কিন্তু আমার আর ঘুম হলো না। শেষে নিজেই রান্নাঘরে গিয়ে একমগ কফি বানিয়ে ব্যালকনিতে গিয়ে দাঁড়ালাম। ঘুম থেকে ওঠার সময় প্রচন্ড রকমের বিরক্ত লাগলেও নামাজ পড়ার পর থেকে মনের মধ্যে অন্যরকম প্রশান্তি কাজ করছে।

এখন গরমকাল চলছে। অথচ বাগানের শেষপ্রান্তের কৃষ্ণচূড়া গাছটা কেমন হালকা কুয়াশায় ঘেরা মনে হচ্ছে। আমি মুগ্ধ দৃষ্টিতে গাছটির দিকে তাকিয়ে থাকলাম কিছুক্ষন। কৃষ্ণচূড়া আমার সবচেয়ে প্রিয় ফুল বলেই বোধ হয় গাছটার প্রতি এত অবসেশন কাজ করে আমার।

কফি শেষ করে স্টাডি টেবিলের দিকে চলে গেলাম। ইদানিং খাওয়াদাওয়া আর পড়াশোনা ছাড়া তেমন কোনো কাজ নেই বললেই চলে। এইচএসসি এক্সামের মাত্র দেড় মাস বাকি। টেস্ট এক্সামের পর কলেজে যাওয়াও বন্ধ। ব্যাচের পড়াগুলো সব বাদ দিয়ে এখন শুধু রিভিশান দিচ্ছি। একমাত্র আবির স্যারই বাসায় এসে পড়িয়ে যান। এবং সেই পড়ানোর একমাত্র কারন হচ্ছে তার প্রতি আমার অতি আগ্রহ।

পড়া শেষ করে আজকেও তুলির কাছে কল দিলাম। তুলি হচ্ছে আমার সবচেয়ে কাছের বান্ধবী। গত কয়েকদিন যাবত তুলির সাথে আমার যোগাযোগ বন্ধ। একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার পর থেকেই একেবারে নীরব হয়ে গেছে মেয়েটা। তুলির কাছে একের পর এক কল করতেই থাকলাম আমি৷ কিন্তু বরাবরের মতই রিং বাজতে বাজতে কেটে গেল৷ ফোন রেখে সিদ্ধান্ত নিলাম, কালই একবার ওদের বাসায় যাব।

আজও স্যার পড়াতে এলেন সন্ধ্যার কিছুক্ষন পরে। পড়ানো শুরু করার পরপরই তিনি বললেন, “প্রত্যেকটা বইয়ের এ টু জেড তোমার নখদর্পণে। এখন কোনোরকম টিচারের হেল্প ছাড়া শুধু রিভিশান দিলেই হয়। শুধু শুধুই আমাকে প্রত্যেকদিন এখানে আসতে বাধ্য করছ তুমি।”
“কেন? এখানে আসায় আপনি কি খুব বিরক্ত?”
“সেরকম নয়, সুজাতা। এরকম না পড়িয়ে মাস শেষে বেতন নিতে আমার আত্মসম্মানে লাগে।”
“আপনার কিছু করতে হবে না স্যার, আপনি শুধু বসে থাকবেন আর আমি আপনাকে দেখব।”
“তুমি পাগল হয়ে গেছ সুজাতা। কী সব উলটাপালটা বলছ।”
“সত্যিই আমি পাগল হয়ে গিয়েছি। এজন্যই এখন আমি পাগলামি করব।”
আবির স্যার দুর্বল কন্ঠে প্রশ্ন করলেন, “মানে?”
আমি বললাম, “আজ আপনাকে আমার কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতেই হবে। আপনার মনে কি আমাকে নিয়ে বিন্দুমাত্র অনুভূতিও নেই?”

আমার কথার জবাব না দিয়ে স্যার চুপচাপ বসে রইলেন। আমি আবার বললাম, “আপনি আমাকে পড়াচ্ছেন আজ সতের দিনে চলছে। যদিও বাপারটা হাস্যকর লাগবে শুনতে, তবুও বলছি এই কয়েকদিনেই আমি আপনাকে ভালোবেসে ফেলেছি। এবং আমার মনেহয় যে আমার এই অনুভূতিটি একতরফা নয়৷ আমার চোখের দিকে তাকিয়ে একবার বলুন তো, এই কদিনে আমার প্রতি আপনার কি একটুও দুর্বলতা জন্মায়নি?”

আবির স্যার দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, “তুমি যখন বুঝেই ফেলেছ, তাহলে আর তোমার থেকে লুকাবো না কিছুই। সত্যি তোমার প্রতি আমার অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করে। এরকম আগে কখনোই হয়নি আমার। আজকাল আমার চিন্তা ভাবনা, কল্পনা সবই তোমাকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে। কিন্তু সত্যি কথা বলতে এই কল্পনাকে বাস্তবে পরিণত করার মত দুঃসাহস আমি কখনই দেখাতে পারব না।”

আমি আকুতি ভরা কন্ঠে প্রশ্ন করলাম, “কিন্তু কেন?”

“কারন তোমার আর আমার ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড একেবারেই আলাদা। আমি মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা একটা ছেলে যাকে এই পর্যন্ত আসতে অনেকটা স্ট্রাগল করতে হয়েছে। আর তুমি উচ্চবিত্ত প্রভাবশালী বাবার একমাত্র মেয়ে। যদিও কথাগুলো সিনেমাটিক লাগছে, তবু এটাই কঠিন বাস্তবতা।”

“আমি এতকিছু বুঝতে চাই না। আমার শুধু আপনাকে লাগবে।”

“এটা অসম্ভব সুজাতা। তুমি আমি হাজারবার চাইলেও এটা সম্ভব না। তোমার পরিবার কখনও এটা মানবে না। যদিও এই কদিনে তোমাকে আমি আমার মনে এতটাই জায়গা দিয়ে ফেলেছি যে সেখানে অন্য কাউকে কখনও কল্পনা করাও সম্ভব না। কিন্তু এটাও সত্যি যে, তোমাকে আমি কখনোই নিজের করে পাব না। একসময় হয়তো তোমার বিয়ে হয়ে যাবে অন্য কোথাও। কিন্তু আমার মনের মধ্যে খুব যত্ন করে তোমাকে আমি রেখে দেব আজীবন।”

“আপনাকে পাওয়ার জন্য আমি সবকিছু করতে পারব। শুধু আমাকে ফিরিয়ে দেবেন না স্যার।”

আমার কথা শেষ হওয়ার পরে আবারও পিনপতন নীরবতা৷ অনেকক্ষন এভাবে পার হয়ে যাওয়ার পর তিনি বললেন, “শেষপর্যন্ত তোমার জেদের কাছেই হার মানতে হলো। তুমি যা চাইবে তাই হবে।”
আনন্দের আতিশায্যে আমি টেবিলের উপর রাখা স্যারের হাতটা আলতো করে ধরলাম। তিনি আমার হাতের উপরে অন্য হাতটি রেখে চোখের ইশারায় ভরসা দিলেন।

স্যার চলে যাওয়ার পর আমি হাসতে হাসতে রুম থেকে বের হলাম। দাদির রুম থেকে চ্যাঁচামেচির আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। সেদিকে এগিয়ে গিয়ে দেখি সেই একই পুরোনো কাহিনী। দাদি সুলেখা আন্টির সাথে রাগারাগি করছে। আমি দাদিকে বললাম, “তোমার সমস্যা কী বলোতো? আন্টির সাথে রাগারাগি করছ কেন?”

“ময়না, এখনই এই ন/টী বেডিরে আমার চোখের সামনে থেকে সরতে বল। আলগা দরদ দেখাতে আসছে। ওর কাছে কি আমি পিঠা খাইতে চাইছিলাম? তারপরেও আসছে ক্যান?”

আমি বিরক্তিতে ভ্রু কুঁচকে ফেললাম। হাজারবার বারণ করা সত্বেও আমাকে ময়না নামেই ডাকতে হবে তার। অন্যান্য দিনের মতো নাম নিয়ে আমি আর তর্কে গেলাম না। আন্টিকে জিজ্ঞাসা করলাম, “কী হয়েছে বলোতো?”
“আসলে গতকাল মা রুনির সাথে বলছিলেন, তার খুব পাটিসাপটা পিঠা খেতে ইচ্ছে করছে। তাই আজকে তার জন্য বানিয়ে নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু মায়ের মনেহয় পছন্দ হয়নি। থাক বাদ দাও।”
কথা বলতে বলতেই কান্না আটকানোর প্রাণপণ চেষ্টা করছিল আন্টি। একসময় চোখের জল লুকাতেই বুঝি বেরিয়ে গেল ঘর থেকে৷

দাদিকে আমি ভালোবাসি খুব, কিন্তু আজ আর নিজের রাগ ধরে রাখতে পারলাম না। চেঁচিয়ে বললাম, “একটা মানুষ এতটা নিষ্ঠুর হয় কী করে? মানুষটা তোমার মন পাওয়ার জন্য কতকিছু করেছে দিনের পর দিন, আর তুমি শুধু তাকে অপমানই করে গেছ। তোমার কি একটুও মায়া হয় না?”

“না। আমার কোনো মায়া নাই। সব দয়ামায়া আল্লাহ শুধু তোদেরই দিছে। আমি তো ভালা না। আজ থেকে আমি আর আমার ঘর থেইকাই বের হব না। আমার খাবার দাবারও রুনি এই ঘরে দিয়ে যাবে। আর তুই এখনও আমার মত খারাপ মানুষের ঘরে করতেছিস কী? বের হয়ে যা এইখান থেকে।”

কথা বলতে বলতে লাঠিতে ভর দিয়েমি.মি. দাদি নিজেই এলো। তারপরে আমাকে টেনে দরজার বাইরে বের করে দিয়ে মুখের উপরেই ঠাস করে দরজাটা আটকে দিল। আমি দরজার বাইরে কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলাম। আজ দাদির সাথে রাগারাগি করতে চেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, তাহলে হয়তো একটু নরম হবে সুলেখা আন্টির সাথে। কিন্তু এখন দেখছি উলটো সেই আমার সাথে রেগে আছে।

রাতে দরজা লক করে ঘুমানোর কথা থাকলেও আমি দরজা খোলাই রাখলাম আজ। রাগ পড়ে গেলে দাদি নিজেই আসবে৷ আজ আর পড়তেও বসলাম না। পড়তে না বসার পিছনে অবশ্য কিছু কারণ রয়েছে। শুয়ে থাকলে দাদি আসার পর তার সাথে একটু আলাপ জমাতে সুবিধা হবে। পড়তে বসলে হুট করেই সেটা করা যাবে না। আর তাছাড়া, আজ সকালেই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এখন থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে নিয়মিত হব। বেশি রাত জাগলে ফজরে উঠতে সমস্যা হয়ে যায়। তারচেয়ে বরং রাতের পড়াটা ভোরবেলা জলদি উঠে পড়ে নেয়া যাবে। বিছানায় শুয়ে কয়েকবারই আমি দরজার দিকে তাকালাম। অনেকক্ষন পার হয়ে যাওয়ার পরেও দাদি এলো না। অপেক্ষা করে একসময় ঘুমিয়ে পড়লাম আমি।

পরের দিন সকালের নাস্তা সেরে রেডি হয়ে নিলাম তুলিদের বাসায় যাওয়ার জন্য। রেডি হয়ে প্রথমেই বাবার রুমে উঁকি দিলাম। বাবা বেড়িয়েছে আরো অনেক আগেই। সুলেখা আন্টি বসে বসে উপন্যাস পড়ছে।

আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “কী করছ আন্টি?”
“আরে সু, আজ দেখি নতুন বোরখা পড়েছ।”
“হ্যাঁ। কেমন লাগছে?”
“মাশাল্লাহ। অনেক সুন্দর। তা কোথায় যাওয়া হচ্ছে?”
“তুলিদের বাসায় যাব।”
“ড্রাইভার কে বলেছ?”
“গাড়ি নিয়ে যাব না আন্টি। রিকশা নেব।”
” সু, গাড়ি নিয়ে গেলে কী সমস্যা?”
“প্লিজ আন্টি জোর করো না।”

“এতটা অবুঝ হলে চলে? কেন বুঝতে চাও না, তোমাকে নিয়ে আমার আর তোমার বাবার চিন্তা হয় খুব। আর কিছুদিন পরেই নির্বাচন। তোমার বাবার চারদিকে শত্রু। যদি কোনো ক্ষতি করে ফেলে। গাড়ি নিয়ে গেলে একটু টেনশান ফ্রী থাকি আমরা।”

“আন্টি, যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেজন্যই তো আমি বোরখা পরে বের হই। এমনকি নিকাব পড়ে মুখটাও ঢেকে রাখি। শুধু চোখের কিছু অংশ দেখে কেউ আইডেন্টিফাই করতে পারবে না আমাকে। তুমি নিশ্চিন্তে থাকতে পার।”

“ওকে বাবা। সাবধানে যেও। পৌঁছেই আমাকে ফোন করে জানিও।”
“ওকে।”
বাসার গলি থেকে বের হয়ে কিছুদূর এগিয়ে মেইন রোডের পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম। রিকশার খোঁজে চারপাশে তাকিয়ে দেখছিলাম, ঠিক তখনই আপাদমস্তক কালো কাপরে আবৃত একজন মহিলা আমার সামনে এসে দাঁড়ালেন।
(চলবে ইনশাআল্লাহ)

#আমাতুল্লাহ_স্বর্ণা

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে