তোমাকে আমার প্রয়োজন পর্ব-১৮

0
1860

#তোমাকে আমার প্রয়োজন??
#মেঘ পরী??

??পর্ব-১৮??
.
?
.

রিয়াদ হোসেনের কথা শুনে আবির উঠে‌ দাঁড়িয়ে বলতে লাগলো-;

-:ক্ষমা করবেন আংকেল এটা সম্ভব নয়।

-: কিন্তু কেন বাবা।(রিয়াদ)

-:এই একজন প্রেম বিরধী পাবলিক এলেন।শালা নিজে তো অত সুন্দর একটা কিউটিপাই কে রিজেক্ট করে নিজের পায়ে কুড়ুল মেরে‌ইছিস,, এবার এসছিস আমাদের মাঝে চায়না ওয়াল তৈরি করতে,,তোর নিশির সাথেই বিয়ে করতে হবে দেখে নিস,,,যত্তসব।(নিলয় মনে মনে কথাগুলো বলেই,,আস্তে করে আবিরের দিকে তাকিয়ে একটা ভেংচি মারলো সবার আড়ালে)

-:আসলে তিথি সবেমাত্র এইচএসসি পরীক্ষা দিল।আর তাছাড়া ও এখন খুবই বাচ্চা,,ওর বিয়ে নিয়ে আমরা এখন ভাবিও নি।তাই…

আবিরকে থামিয়ে দিয়ে রিয়াদ হোসেন বলে উঠলেন-;

-:দেখো বাবা,,আমি জেনেশুনেই এখানে এসেছি।আমি জানি তিথি মামনি সবেমাত্র এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে,,,আর তাছাড়াও বিয়ের পর তিথি মামনি যত ইচ্ছা পড়াশুনা করতে পারি এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।

-:কিন্তু আঙ্কেল তিথি যদি বিয়েতে রাজি না হয়,, তাহলে আমরা ওর এই বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারবো না।

আবিরের কথা শুনি রিয়াদ মুচকি হেসে বলল-;

-:বাবা কোন কিছু না যাচাই করে আমি কোথাও যাই না,,,আসলে নিলয় এবং তিথি মামনি একে অপরকে ভালবাসে অনেকদিন ধরেই।আর তাই আমি এই প্রস্তাবটা নিয়ে এসেছি,,তোমাদের কাছে।তিথি মামনিকেও আমার বেশ পছন্দ হয়েছে।

রিয়াদ হোসেনের এমন কথায় বাড়ির সবাই ৪৪০ ভোল্টের শক খেয়ে হাঁ হয়ে তাকিয়ে আছে।এদিকে তিথির মামার তো হার্ট অ্যাটাকেই চলে এসেছিল,, একটুর জন্য বেঁচে গেছে এই যাত্রায়।বেচারা বুকে হাত দিয়ে নির্বাক শ্রোতার মতোন রিয়াদ হোসেনের দিকে তাকিয়ে আছেন।

আর তিথি!!তিথির তো মনে মনে ভাবছে সে যদি স্পাইডারম্যানের হতো তাহলে এক্ষুনি এক লাফে তাদের বাড়ি থেকে নিশিদের বাড়ি চলে যেতে পারতো।নিলয় তার মামাকে নিয়ে এসে যে এই ভাবে তাকে ফাঁসাবে,, বেচারী বুঝেই উঠতে পারেনি।নিলয় বসে বসে বেশ ভালোই উপভোগ করছিল তিথির ফ্যামিলি প্রত্যেকের রিয়্যাকশনগুলোকে।আবির তিথির দিকে তাকাতেই তিথি মাথা নিচু করে ফেলল।আবির কিছুক্ষণ ভেবে নিয়ে বলল-;

-:আঙ্কেল আমাদের কিছু সময় দরকার,,বুঝতেই পারছেন আমাদের ঘরের একটা মাত্র পিচ্চি মেয়ে।সুতরাং ভাবার কিছু সময় দরকার।

-:ওকে ইউ টেক ইউর টাইম,,বাট একটু তাড়াতাড়ি তোমরা তোমাদের ডিসিশনটা,,,
আমাদের জানিও কেমন।কারণ আমি চাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তিথি মামনি কে আমাদের বাড়িতে নিয়ে যেতে,, নিলয়ের ব‌উ করে।

-:জি

-:আচ্ছা তাহলে আমরা আজ উঠি।

-:সে কি কথা!!এই প্রথম আমাদের বাড়িতে এলেন আর কিছু মুখে না দিয়ে চলে যাবেন।(মামি)

-:আজ নয় আপা যেদিন বিয়ের পাকা কথা বলতে আসবো,,সেই দিন একাবারে কবজি ডুবিয়ে খাওয়া-দাওয়া করে যাব ক্ষন,,,আজ তাহলে আসি।

-:আচ্ছা ঠিক আছে ভাইজান।(মামি)

তিথির মামী তিথির মামাকে কনুই দিয়ে গুতা দিয়ে রাগী চোখে তাকাতেই,,তিনি সঙ্গে সঙ্গে উঠে বলতে লাগলেন-;

-: হ্যাঁ হ্যাঁ আবার আসবেন কিন্তু আপনারা আমাদের বাসায়।

যেন অতি অনিচ্ছাসত্বেও তিনি কথাগুলো বলছিলেন নিলয়দের।যাবার সময় নিলয় তিথির দিকে তাকিয়ে বাঁকা হেঁসে এক চোখ মেরে গেল,,তিথি সেই মুহুর্তে নিলয়কে তুলে আছাড় মারতে ইচ্ছা করছিল।
.
.
?
.
.

তিথির ফোন বেজেই চলেছে একনাগারে।নিলয় তাকে বারবার ফোন করছে,, কিন্তু তিথি কিছুতেই ফোনটা রিসিভ করছে না।

কেন ধরবে সে তার ফোন,,,কি করে পারল সে তার কাছ থেকে এত বড় একটা কথা লুকাতে। খুব রেগে আছে তিথী তার উপর আজ।একবার বললে কি এমন হতো,,,ধরবে না তিথি তার ফোন,,,দেখি কত বার করে করতে পারে সে।

এসব কথা তিথি নিজের মনে মনে ভাবছিল,,এমন সময় তিথির রুমে আবির প্রবেশ করল।ভাইয়াকে এই সময় তার রুমে দেখে তিথি কিছুটা অবাক হল।তারপর নিজেকে স্বাভাবিক করে বলে উঠলো-;

-:কিছু বলবি ভাইয়া।

আবির কিছুটা গম্ভীর গলায় তিথির দিকে তাকিয়ে বলল উঠলো-;

-:কবে থেকে চলছে এসব??

-:আসলে….

আবিরের কথা শুনে তিথি ভালভাবেই বুঝতে পেরেছে,,,কেন সে তার রুমে এসেছে।কিন্তু কি জবাব দিবে সে কিছুই বুঝতে পারছেনা।

-:কি হলো উত্তর দিচ্ছিস না কেন??

কিছুটা কাচুমাচু হয়ে ধীর গলায় উত্তর দিল-;

-:আসলে ভাইয়া এবারে যখন নিশির সাথে ঘুরতে গেলাম,,সে…সেইবার…

আর কিছু বলতেন না দিয়ে আবির বলে উঠলো-:

-:ও তারমানে এতদিন ধরে এইসব চলছে,,,অথচ আমি কিছুই জানি না।।তুই আমার কাছেও কথা লুকাতে শিখে গেছিস বুড়ি।

-:সরি ভাইয়া আসলে আমি…

-:থাক তোকে আর কিছু বলতে হবেনা যা বোঝার আমি বুঝে নিয়েছি।আমাকে বললে কি এমন হতো তোর।

– আসলে ভাইয়া আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।(কাঁদো কাঁদো গলায় বলল তিথি)আমার ভুল হয়ে গেছে,,,প্লিজ রাগ করে থাকিস না আমার উপর।

তিথির কথা শুনে আবির আরো গম্ভীর গলায় বলে উঠলো-;

-:ভুল যখন করেই ফেলেছিস সেটাকে তো আর শুধরানো যাবে না,,,কিন্তু তুই এটুকু বুঝে রাখ নিলয়ের সাথে তোর বিয়ে হবে না,,কোনমতেই না।

ভাইয়ার এমন কথায় তিথির চোখ মুহূর্তেই অশ্রুতে পরিপূর্ণ হয়ে গেল।আবির বোনের এমন চেহারা দেখে মুচকি হাসলো,,তারপর নিজের দুই হাত দিয়ে বোনের গাল ধরে উচু করলো,,তারপর বলতে লাগলো-;

-:খুব ভালবাসিস তাই নারে।

তিথি ছলছল চোখে মাথা নাড়ালো যার অর্থ হলো হ্যা সে ভালোবাসে তার সেই রাগী বদমেজাজি মানুষটাকে,,বাঁচবে না সে তাকে ছাড়া এক মুহুর্ত‌ও।প্রচন্ড পরিমানে ভালোবেসে ফেলেছে যে তাকে।আবির আর কিছু না বলে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো তিথিকে,, তারপর বলল-;

-:আমার বুড়ি আমার কাছে কিছু চেয়েছে আর আমি তাকে দিই নি,,এমনকি কোনদিন হয়েছে সুতরাং আজও তা হবেনা।আমি তো এমনি বললাম,,তোর ওমন রিয়াকশন দেখার জন্য।নিলয়ের সাথেই তোর বিয়ে হবে।কিন্তু তুই আমার কাছে কেন লুকালি এত বড় কথা,,বুড়ি আমাকে সবকিছু খুলে বলতে পারতিস।এই বাড়িতে একমাত্র তুই আছিস যাকে আমি সব থেকে বেশি ভালবাসি,,বিশ্বাস করি।

-:আসলে আমি ভেবেছি তুই রাগ করবি ভাইয়া। সরি তোকে হার্ট করার জন্য।

-:দূর পাগলী আমি জানি আমার বোন আমাকে খুব ভালোবাসে।সে আমাকে কোনদিন কষ্ট দিতেই পারেনা আর এটাও জানি তুই নিশির ব্যাপারটা নিয়ে আমার উপর রেগে আছিস কিন্তু আমার বিশ্বাস তুই ঠিকই তোর ভাইয়াটাকে ক্ষমা করে দিতে পারবি,,তার এই ভুলের জন্য।কি পারবি না তোর ভাইয়াকে ক্ষমা করতে??

তিথির দিকে অনেক আগ্রহ নিয়ে আবির তাকিয়ে আছে,,,তার উত্তর শোনার জন্য।তিথি মুচকি হেসে মাথা নাড়ালো।আবির তা দেখে মনে মনে কিছুটা হলেও শান্তি পেলো যে তার বুড়িটা অন্তত তাকে ক্ষমা করতে পেরেছে।তিথি আবার আবিরের দিকে তাকিয়ে,,কান্না মিশ্রিত গলায় বলে উঠলো-;

-:কিন্তু ভাইয়া নিশি সত্যিই তোমাকে খুব ভালোবাসে।তুমি তাকে অমনভাবে কষ্ট না দিলেও পারতে।

এবার আবির আর কিছু না বলে তিথি মাথায় হাত বুলিয়ে চলে গেল,,,হয়তো সেও মনে মনে অনুতপ্ত তার ভুলের জন্য।আবিরের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে তিথি মনে মনে বলে উঠল-;

-:আমি পেয়ে গেছি আমার উত্তর ভাইয়া,,,তোমার নিস্তব্ধতায় আমাকে আমার উত্তর দিয়ে দিয়েছে।। আমি আর আমার নিশুমনি কে কষ্ট পেতে দেবো না,,,আমি এইটুকুনি বুঝতে পেরেছি যে তুমি তোমার ভুলের জন্য অনুতপ্ত।এবার তুমি দেখবে কি করে আমি তোমাকে নিশির প্রেমে হাবুডুবু খাওয়ায়,,,যদি না খাওয়াতে পারি তো আমার নাম‌ও তিথি নয়। [আপনাদের ও কি এক‌ই মত???]
.
.
?
.
.

রাতে খাবার টেবিলে মামা,,,মামির উদ্দেশ্যে বলতে লাগলো-;

-:দেখো দেখো খুব তো বলতে যে আমি নাকি তোমার মেয়েকে বিনা কারণে সন্দেহ করি সবসময়,,,এবার দেখেছো তো কেন আমি তাকে বারবার সন্দেহ করতাম।

নজরুল সাহেবের কথায় তার স্ত্রী প্রচন্ড পরিমানে ক্ষেপে গেলেন তার উপর,,,,রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলতে লাগলো-;

-:এই চুপ করো তুমি,,,বেশি বকরবকর করোন না,,, এই বয়সে প্রেম করবে না তো কি তোমার মত টাকলু বয়সে প্রেম করবে যত্তসব।

-:কি এখনো তুমি আমার ভুল ধরে যাবে,,,নিজের মেয়েকে শাসন না করে,,, আমার ওপর চিল্লাচ্ছে তুমি।(অসহায় ভাবে)

-:এতে আমি আমার মেয়ের কোন ভুল‌ই দেখতে পারছিনা।

-:কিইইইইইই??

এবার আবির বলে উঠলো-;

-:তোমাদের সাথে আমার কিছু কথা ছিল।

-:হ্যাঁ বল তুই কেন বাদ যাবি,,, তুইও একটা বোম ফাটিয়ে ফেল,,তোর বোনের মতন।শেষে কোনদিন আমরা বাড়িসুদ্ধ না উড়ে যায় তোদের বোম ফাটানোর চক্করে।

-:আহ তুমি চুপ করবে,,সবসময় বেশি বকবক করো তুমি,,,বল বাবা তুই কি বলছিস বল।

-:আসলে আমি তিথির বিয়ের ব্যাপারে কথা বলতে চাইছি,,,আমি সব খোঁজ খবর নিয়ে দেখলাম নিলয় ছেলেটা ভালো,,ও চৌধুরী গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এর একমাত্র ওনার আর তাছাড়াও বুড়ি আর নিলয় একে অপরকে ভালোবেসে।আর বুড়িও চাই এই বিয়েটা করতে,,,তাই আমি চাই এই বিয়েটা হোক।এবার বল তোমাদের কি মত এই বিষয়ে।

-:আমারতো….

নজরুল সাহেবকে আর কিছু বলতে না দিয়েই ওনার ফাস্ট বোলার সহধর্মিনী বলে উঠলেন-;

-:একদম ঠিক ডিসিশান নিয়েছিস তুই,, আমিও তোর ডিসিশনে একমত।তুই বরং এক কাজ কর কালকে ওদের দুপুরে দাওয়াত দে,,,সেখানে আমরা এই বিষয়ে কথা বলবো ক্ষন।আর তাছাড়া বিয়ের ডেট‌ও ঠিক করতে হবে,,,তাই ওরা এলে ওদের সামনে এসব বিষয়ে আলোচনা করতে সুবিধা হবে বেশি,,,কি বলিস।

-:হ্যাঁ আমিও তাই ভাবছিলাম,,,আমি বরং ফোন করে তাদের জানিয়ে দিবো।(আবির)

-:মামি আমার একটা কথা ছিল।

-:হ্যাঁ মামণি বল কি বলবি তুই??

-:আসলে বলছি যে নিশি যতদিন না পুরোপুরি সুস্থ হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত আমি বিয়ে করবো না।। আমি চাই আমার বিয়েতে আমার একমাত্র বেস্টু উপস্থিত থাকুক,,, তাকে ছাড়া আমি কিছুতেই বিয়ে করব না।

-:আচ্ছা সে হবে ক্ষন,,,আগে তারা আসুক কাল,,, কথাবার্তা হোক তারপর এই বিষয়ে না হয় আলোচনা করব।

-:ওকে মাই ইয়ং বিউটিফুল লেডি।

তিথির কোথায় তিথির মামী খুশিতে গদগদ হয়ে গেলেন।উনার একটা দুর্বল পয়েন্ট আছে ওনার বিউটির প্রশংসা যেই করবে তাকে তিনি মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ভালোবেসে যাবেন।এদিকে নজরুল সাহেব অনেকক্ষণ ধরে তাদের কথাবার্তা শুনছিলেন চুপ থেকে এবার আর চুপ না থেকে বলেই ফেললেন-;

-:বলি আমি যে এই বাড়িতে থাকি,তা কি কারোর মনে আছে নাকি সে টাও কারোর মনে নাই?? আমারও তো ডিসিশন নেওয়ার হক আছে,,,যত‌ই হোক আমি এ বাড়ির কর্তা,,কিন্তু আমি আমার ডিসিশনের কোন ভ্যালুই দেখতে পারছিনা।

-:উফফফ,, শুরু করে দিল টাকলা।

তিথির কানে ফুসুর ফুসুর করে বললেন মামি। মামীর কথায় তিথি অনেক কষ্টে নিজের হাসি থেকে কন্ট্রোল করল।

-:হ্যাঁ তা বল,,বল কি বলবে তুমি বলে ফেল।(মামি)

-: হ্যাঁ বাবা অবশ্যই তুমি মত না দিলে কি করে হবে।

-: হ্যাঁ হ্যাঁ মামা বলে ফেল।

নজরুল সাহেব কিছুটা সংকোচ নিয়ে বলতে লাগলেন-;

-:না মানে আমি বলছিলাম কি বিয়েটা কি এখন‌ই….

-:শোন যা বলবে ভেবে বল,,,ঠিক আছে।???

-:??? হ্যাঁ হ্যাঁ।আসলে আমি বলছিলাম,,এই বিয়েতে আমি খুবই খুশি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিয়েটা হয়ে গেলেই বাঁচি হাহাহাহা।

-:??? ঠিক আছে এবার চুপচাপ ঘরে গিয়ে শুয়ে।

-:???? ঠিক আছে,,যাচ্ছি।

নজরুল সাহেবের এমন রিএকশনে তিথি আর আবিরের প্রচণ্ড রকমের হাসি পাচ্ছিল খুব কষ্টে নিজেদের হাসিটাকে কন্ট্রোল করেছে তারা।নজরুল সাহেব যতই সাহসী লোক হোক না কেন বউয়ের সামনে ভিজে বিড়াল।(তাইতো,,আমার পাঠিকাদের‌ও কি এক‌ই মত আমার মতন???)
.
.
?
.
.

এদিকে নিলয় প্রচন্ড রেগে আছে ৫০০+কল করে ফেলেছে অলরেডি তিথির ফোনে।কিন্তু এই মেয়ের কোন খেয়ালই নেই সেদিকে।কতটা কেয়ারলেস হলেই এমনটা করতে পারে কেউ। মানছে আজকের বিষয়টা তাকে না জানিয়ে ভুল করেছে সে কিন্তু সে তো সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিল তিথিকে।তাইতো নিলয় তাকে কিছুই জানায়নি এই বিষয়ে।কিন্তু নিলয় কি করে বুঝবে যে তিথি কে এমন সারপ্রাইজ দাওয়ায়,,তিথি তাকে এত বড় একটা বাঁশ খাওয়াবে।রাগ করেছে ঠিক হয়েছে তাই বলে ফোনটাও ধরবেনা,,কি জ্বালা।

ব্যাস নিলয় ধৈর্য্যের বাঁধ এবার ভেঙে গেছে আর কোনো কিছু না ভেবেই গাড়ির চাবিটা নিয়ে নিচে নেমে গেল,,,উদ্দেশ্য তিথির বাড়ি হামলা করা,,, তবে সেটা শুধুমাত্র তিথির বেডরুম,,বাড়ি তে হামলা করা মানে নিলয়ের আর জীবনেও তিথিকে বিয়ে করা হবে না।কারণ তার যেই ভুসি মার্কা শালা মহাশয় আছে তার দিয়ে কোনো বিশ্বাস নেই,,,সবসময় পারমানবিক বোমা নিয়ে রেডি থাকেন তিনি,,,যেখানেই প্রেম দেখবেন সেখানেই ছুঁড়ে মারবেন।তাই নিলয়ের কোন রিক্স নিতে চায় না,, তার শালা কে নিয়ে।
.
.
?
.
.

এদিকে তিথির ভাবতেই অবাক লাগছে যে তার পরিবার কত সহজেই নিলয় এবং তার সম্পর্কটা কে মেনে নিয়েছে।প্রথমে একবার ভেবে ছিল নিলয় কে ফোন করে ব্যাপারটা জানাবে,,,, কিন্তু পরক্ষনেই নিলয়ের সকালের চিটিংবাজির কথা মনে পড়ে গেল,,,তাই তার উপরে রাগ করে তাকে ফোন করেনি।শুধুমাত্র নিশিকেই খুশির খবরটা জানিয়েছে,,,নিশি খবরটা শুনে খুব খুশি হয়েছে।তারপর নিশির সাথে কিছুক্ষণ গল্প করে,,তিথি ঘুমিয়ে পরল।
.
.
?
.
.

রাত তখন দুটো,,,খুচ খুচ আওয়াজে তিথির ঘুম ভেঙে গেল,,,চোখ খুলে তাকাতেই দেখলো একজোড়া রাগী চোখ তার দিকে তাকিয়ে তিথি চিৎকার করতে যাবে অমনি……
.
.
.
.
[বাকিটা নেক্সট পর্বে]

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে