এক টুকরো আলো পর্ব-০৯

0
238

#এক_টুকরো_আলো
#পর্ব_০৯
#জিন্নাত_চৌধুরী_হাবিবা

ফাবিহা বাবার সঙ্গে ক্যাম্পাসে যাচ্ছে। তিনি বাড়ি আসার পরই স্ত্রীর কাছে মেয়ের ব্যাপারে জানতে পারলেন। বাইকের পেছনে মেয়েকে নিয়ে সড়কে উঠে জিজ্ঞেস করলেন,“মন খারাপ?”

ফাবিহা অন্যমনস্ক ছিল। বাবার কথা শুনতে পেল না। বাবা একটু জোর দিয়ে ডাকলেন,“ফাবিহা!”

“হুঁ?”

রাস্তা থেকে চোখ সরিয়ে বাবার কথায় প্রত্যুত্তর করল ফাবিহা। বাবা ফের জিজ্ঞেস করলেন,“মন খারাপ?”

“মন খারাপ কেন হবে বাবা?”
ফাবিহা হয়তো বাবার প্রশ্নের গভীরতা বুঝতে পারেনি। তিনি তপ্ত শ্বাস ছেড়ে বললেন,“তাসিন আর তোমার খালা-খালু যা করেছে। ভুলে যাও মা। ভেবে নাও তোমার জন্য তাসিন উত্তম কেউ নয়৷ তোমার জন্য যাকে সৃষ্টি করা হয়েছে, সে এখনো আসেনি তোমার জীবনে। সঠিক সময়ে তার আগমন ঘটবে।”

ফাবিহা মনে মনে বলল,“যাকে আমার জন্য সৃষ্টি করা হয়নি, তার প্রতি কেন আমার মনে অনুভূতি সৃষ্টি হলো?”
মুখে কিছু না বলে নিরব রইল। ফাবিহার বাবাও আর মেয়েকে ঘাঁটাতে চাইলেন না। মেয়েকে সুন্দরভাবে বুঝিয়ে তিনি বাবার দায়িত্ব পালন করলেও তাসিন আর তার পরিবারের প্রতি তীব্র ক্ষোভ জমা রয়েছে। একজন বাবা কখনোই মেয়ের অপমান মেনে নিতে পারেন না। তাঁদের কাছে সর্বাধিক প্রিয় তাঁদের কন্যা।

ক্যাম্পাসে এসে আর খোঁজাখুঁজি করতে হলো না। শাবাব ফাবিহার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রইলো। ঠোঁটে একটা সিগারেট চেপে মাত্রই লাইটার অন করল। ঘুরে দাঁড়াতেই তার পিরিতের রানীকে দেখে ঠোঁট বাঁকা করল। সাথে মধ্যবয়সী লোক দেখে ভ্রু কুঁচকে গেল তার। চেহারায় অনেকটা মিল দেখে শাবাব হুট করে শব্দ করে হেসে ফেললো। পাপা কি পারি পাপাকে নিয়ে এসেছে তাকে থ্রে*ট দেওয়ার জন্য। ফরহাদ সামনে তাকিয়ে বলল,“ভাই আপনার শিকার আসতেছে। সাথে দেখি কারে নিয়া আইছে।”

“আমার শশুর বাবাজানকে নিয়ে এসেছে। বিয়েটা এবার করেই ফেলতে হবে ফরহাদ। আজ থেকে ভাবি ডাকবি সবসময়।”

ফরহাদ আশ্চর্য হয়ে তাকিয়ে রইল শাবাবের মুখপানে। শাবাব ভাইয়ের মুখে বিয়ের কথা মানায় না। এই মেয়েটিকে তো একদমই না। গার্লফ্রেন্ডদের বিয়ের কথা তিনি কখনো মাথাতেই নেননি, মুখে নেওয়া দূরের ব্যাপার। দুমাস না পেরোতেই ব্রেকআপ। আর এই মেয়ের সাথে তো প্রেমের সম্পর্কও নেই। যা আছে কেবল অপমান আর শত্রুতার। শাবাবের মুখভঙ্গি দেখে বুঝার উপায় নেই সে সিরিয়াস না-কি ঠাট্টা করছে! ফাবিহার বাবা আতাউর রহমান শাবাবের মুখোমুখি দাঁড়ালেন। চোখমুখ গম্ভীর। শাবাব ভদ্রতা করেও সিগারেট ফেলল না। সে যা নয়, তা দেখাতে চায় না। ভুস ভুস করে ধোঁয়া ছেড়ে দিল মুক্ত আকাশে। নাক,মুখ দিয়ে ধোঁয়া বের করার দৃশ্য দেখে আতাউর রহমান চোখ কুঁচকে নিলেন। ফাবিহা নির্লিপ্ত। তার মাঝে কোন পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না। সে শাবাবের আচরণের সাথে একটু হলেও পরিচিত৷ তাই এই গুরুতর অপরাধ দেখেও তার চোখে বিস্ময় খেলেনি। সে স্বাভাবিক। আতাউর রহমান দরাজ গলা শুধালেন,“তুমি না-কি আমার মেয়েকে বিরক্ত কর?”

শাবাব ফাবিহার দিকে তাকিয়ে ঠোঁট চেপে হেসে বলল,“করি তো।
কীভাবে বিরক্ত করি, বলনি জানেমান?”

শাবাবের ধূর্ত হাসি দেখে ক্রুদ্ধ হয়ে উঠলো মন। নাকের পাটা ফোলে ওঠে। বাবার সামনে চুপ রইল সে। কেবল চোখের চাহনি দিয়েই ভস্ম করতে চাইলো শাবাবকে।
অভদ্র শাবাব বুকের বাঁ পাশে হাত চেপে নিজেকে অনুভূতি প্রবণ দেখাল। মেকি আসক্তি কন্ঠে ঢেলে দিয়ে বলল,“ইশ্ জানেমান! এমন চাহনি দিলে ম*রে যাব তো।”

আতাউর রহমানের মেজাজ তুঙ্গে। তিনি ভদ্রভাবে ছেলেটাকে বুঝিয়ে বিষয়টা শেষ করতে চাইলেন। এখন দেখতে পাচ্ছেন বে*য়া*দ*ব ছেলে উনাকে সামনে রেখেই মেয়েকে বা*জে ইঙ্গিতে কথাবার্তা বলে। তিনি তিরিক্ষি গলায় বললেন,“অ*স*ভ্য ছেলে। আমি তোমার বাবা-মায়ের কাছে যাব। যথাযথ বিচার না পেলে তোমাকে মে*রে হাত-পা ভেঙে দিতেও আমার সময় লাগবে না।”

শাবাব বেহায়া ঠোঁটে হাসল। তার কথা, তার হাসি তার নির্লজ্জতার প্রমাণ। বলল,“আমি অ*স*ভ্য না হলে তো নানা হতে পারবেন না শশুর আব্বা।”

শাবাবের নিষ্পাপ চাহনি। কান দিয়ে গরম ধোঁয়া বের হল ফাবিহার৷ বাবার সামনে লজ্জায় তার মাথা হেট হয়ে যাচ্ছে। আতাউর রহমান উত্তেজিত হয়ে পড়লেন। উনি নিজেই যেখানে লজ্জা পাচ্ছেন, সেখানে মেয়ের পরিস্থিতি বিবেচনা করে আরো ফুঁসে উঠলেন। ঠা*স করে শাবাবের গালে চ*ড় বসিয়ে দিলেন। শাবাবের মাঝে হেলদোল দেখা গেল না। সে নির্বিকার। যেন কিছুই হয়নি। অথচ রাগে থরথর করে কাঁপছেন আতাউর রহমান। মেয়েকে নিয়ে এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কষ্টকর হয়ে যাবে৷ এই বে*য়া*দ*ব ছেলে আবারও কোনো কথার অ*স*ভ্য কথাবার্তা বলে মেয়েটাকে লজ্জায় ফেলে দেবে।

ফরহাদ এগিয়ে এসে গর্জে উঠল। হুমকি দিল আতাউর রহমানকে। “এ্যাই।”

ফরহাদকে থামিয়ে দিল শাবাব। উপকার হল না। ফরহাদের গালেও পড়ল একটা চ*ড়। গালে হাত দিয়ে হতভম্বের মত একবার শাবাব একবার আতাউর রহমানের দিকে তাকিয়ে রইল সে। মেয়ের হাত ধরে প্রস্থান করলেন আতাউর রহমান। শাবাব পিছু ডেকে বলল,“এক মিনিট শশুর আব্বা। আপনার মেয়ের সাথে আমার ব্যক্তিগত কথাবার্তা আছে। বুঝেনই তো প্রাইভেসি ব্যাপার-স্যাপার।”

আতাউর রহমান চলে ক্যাম্পাসের ভেতর হাঁটা দিলেন। বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গিয়েছে সব কিছু। অধ্যক্ষের কানে কথাগুলো তোলা প্রয়োজন। ফাবিহাকে নিয়ে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে পা বাড়াতে নিতেই ফাবিহা জিজ্ঞেস করল,“কোথায় যাচ্ছো বাবা?”

“আসো আমার সাথে।”

ফাবিহা বাবার মনোভাব বুঝতে পেরে চট করে বলে ফেলল,“ও এখন আর এই ভার্সিটির ছাত্র নয়। প্রাক্তন ছাত্র।”

থেমে গেলেন আতাউর রহমান। তিনি সরাসরি এই ছেলের বাবা-মায়ের সাথে কথা বলবেন। মেয়েকে ক্লাসে দিয়ে তিনি বেরিয়ে যেতে গিয়েও শাবাবকে পূর্বের জায়গায় দেখলেন। থেমে একবার তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে পা বাড়ালেন। শাবাব বলল,“চলুন শশুর আব্বা নাস্তা করবেন আমার সাথে। প্রথমবার মেয়ে জামাইয়ের সাথে দেখা করলেন। খালি মুখে চলে যাবেন?”

দ্বিতীয়বার আর মুখ খুললেন না আতাউর রহমান। সোজা হেঁটে চলে গেলেন।
ফরহাদ পাশ থেকে উৎসুক হয়ে জিজ্ঞেস করল,“ভাই আপনি কি সত্যি সত্যি এই মেয়েকে মানে ভাবিকে বিয়ে করবেন?”

“ভাবি পছন্দ হয়েছে তোর?”

“ভাই সত্যি বলব?”

“বল।”

“এই মেয়ে ওয়াইফ মেটারিয়াল না। আপনার বউ হবে শান্ত, ভদ্র, লাজুক, পানির মতো। আপনি যে পাত্রে রাখবেন, সেই পাত্রের আকার ধারণ করবে। তাছাড়া আপনি যে বিয়েশাদি নিয়ে সিরিয়াস হবেন, তা ভেবেই আমি ডিপ্রেশনে চলে যাচ্ছি।”

“আমি কোনো কালেই সিরিয়াস ছিলাম না আর না এখন সিরিয়াস আছি।”

“তবে?”
অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল ফরহাদ। শাবাবের ঠোঁটে রহস্যময় হাসির বেড়াজালে আটকে রইল দৃষ্টি।
★★★

হুরাইন তার বাবার বাড়ির সকলের সাথে চলে গেল। তাসিনকে নিমন্ত্রণ জানিয়ে গেল জনাব আজাদ। বিড়বিড় করল তাসিন।
“আপনি না বললেও আমি আমার বউকে নিতে চলে যেতাম।”

হাসিমুখে শশুরের নিমন্ত্রণ গ্রহন করল সে। হুরাইন চলে গেলেও সে সিদ্ধান্ত নিল বাড়ির দিকটা সামলে তারপর যাবে। বাবা একা হাতে সব সামলাতে গিয়ে হিমশিম খাবেন। হুরাইন চলে যাওয়ার পরই সাজেদা নিজের মত করে কাজে ব্যস্ত হয়ে গেলেন। তাসিন এখনো খাবার খায়নি। শশুর জোর করলেও সে বসেনি। কারণ তার মা না খেয়ে আছে। সাজেদা জেদ ধরে খাবার পর্যন্ত মুখে তুললেন না। বাড়ির পরিবেশ ঠান্ডা হতেই তাসিন মায়ের কাছে গিয়ে দাঁড়ালো।
“মা।”

সাজেদা সাড়া দিলেন না। নিজের জন্য খাবার তৈরিতে ব্যস্ত তিনি। তাসিন মায়ের হাত চেপে ধরে বলল,“এত খাবার তৈরি করার পরও কেন তুমি আলাদা খাবার বানাচ্ছো?”

সাজেদা হাত ঝাড়া দিয়ে বললেন,“সর। এসব আদিখ্যেতা আমার সাথে দেখাবি না। যা চেয়েছিস, করে নিয়েছিস। আমাকে আমার পরিবার, আত্মীয়-স্বজনের কাছে ছোটো করেছিস। আর কী চাই?”

অসহায় চোখে তাকালো তাসিন। নরম কন্ঠে বলল,“মা যেখানে ফাবিহা মেনে নিয়েছে, সেখানে তুমি আর খালা কেন বুঝতে চেষ্টা করছ না? আমি যদি ফাবিহাকে বিয়ে করতাম, তার সাথে সহজ হতে না পারলে কি সে কষ্ট পেত না? তখন তো প্রতিকারের উপায়ও থাকত না। এক সময় অতিষ্ঠ হয়ে দু’জনই আলাদা হওয়ার রাস্তা বেছে নিতাম। তাতে কী লাভ হত? আমাকে হয়তো কেউ কিছু বলত না। কিন্তু ফাবিহার দিকে সকলেই আঙ্গুল তুলতো।”

“তুই যে এখানে নিজের স্বার্থে কথা বলছিস, সেটা আমি বুঝতে পারছি না?”

তাসিন মায়ের কথা সমর্থন করে বলল,“আমি আমার স্বার্থ ছাড়া কথা বলছি না। অবশ্য আমার স্বার্থ আছে এখানে। সাথে জড়িয়ে আছে ফাবিহার ভালো।”

সাজেদা একমনে খাবার তৈরি করছেন। তাসিন হতাশার নিঃশ্বাস ছেড়ে বলল,“আমি এখনো খাইনি মা।”

সাজেদার হাত থেমে গেল কয়েক সেকেন্ডের জন্য। শত হলেও মায়ের মন। অন্যদের জন্য রুক্ষ হলেও সন্তানের প্রতি সকলের হৃদয়ে স্থান আলাদা। ছেলেকে বুঝতে না দিয়ে আবারও হাত চালিয়ে বললেন,“যার জন্য এত আয়োজন, সে তো দিব্যি খেয়েদেয়ে বাপের বাড়ি গিয়ে উঠেছে। স্বামীর খাওয়ার খোঁজ নেয়নি বুঝি?”

মা যে কথার তীক্ষ্ণ বানে তাসিনকে কুপোকাত করার চেষ্টা করছেন সেটা স্পষ্ট টের পেল তাসিন। মাকে জড়িয়ে ধরে বলল,“আর রাগ করে থেক না মা।”

সাজেদা গমগমে গলায় বললেন,“খেতে বসো গিয়ে।”

নিঃশব্দে হাসলো তাসিন। মায়ের রাগ একটু হলেও কমেছে। সে স্বস্তির শ্বাস নিল।

শশুর বাড়ির আঙিনায় পা রাখল তাসিন। এ নিয়ে পঞ্চমবার শশুর এলো সে। জামাই হিসেবে এবারই প্রথম। তার আপ্যায়নে কোন ত্রুটি রাখছে না কেউ। তবু তাসিনের সবকিছুতে একটা কমতি মনে হচ্ছে। আর সেটা তার বিবি। রাতের খাবারে শশুর আর বড়ো শালকের সাথেই বসল সে। স্ত্রীকে ছাড়া দুঃখী মন নিয়ে খেতে বসল। তাকে চমকে দিয়ে পাশে এসে দাঁড়াল হুরাইন। বাবা, ভাই, স্বামী তিনজনকেই বেড়ে খাওয়ানোর দায়িত্ব পড়ল তার উপর। সকলের পাতে যত্ন করে খাবার বেড়ে দিয়ে বাবার পাশে দাঁড়িয়ে রইল সে। তাসিন করুণ চোখে তাকালো। সারাজীবন তো বাবার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল। এখন তো তার পাশে দাঁড়াতে পারে। হুসাইন বলল,“তুই বসে পড়।”

“আমি পরে সবার সাথে খাব। মা, ভাবি, আপুরা বসে আছেন।”

“ঠিক আছে।”

জনাব আজাদ বললেন,“জামাইয়ের পাতে গোস্ত দিন আম্মু।”

তাসিন নম্র স্বরে বলল,“আর লাগবে না। পরে লাগলে নেওয়া যাবে।”
মনে মনে বলল,“গোস্ত লাগবে না। আমার বউকে দিয়ে দিন। আমি চলে যাই।”

হুরাইন ঘুরে ঘুরে তিনজনেরই তদারকি করছে। নিজ উদ্বেগে সকলের পাতে খাবার দিচ্ছে। জনাব আজাদ মেয়ে জামাইয়ের দৃষ্টি লক্ষ করে মেয়েকে বললেন,“আপনি ভেতরে গিয়ে খেয়ে নিন আম্মু। বাকিটা আমি সামলে নেব। খেয়ে বিছানা ঠিক করে নিন।”

হুরাইন স্বাভাবিকভাবে কথাটি কানে নিয়ে ভেতরে ঢুকে গেল। তাসিন মনে মনে শশুরের প্রতি কৃতজ্ঞ হলো। জনাব আজাদ আরেকবার তাসিনের দিকে তাকিয়ে গলা খাঁকারি দিয়ে বললেন,“একটু ভাত দেব?”

তাসিন বাঁধ সাধলো। তার খাওয়া হয়ে গিয়েছে। মন পড়ে রইল বিবির কাছে।

হুরাইন খাওয়া শেষ করে তাসিনকে নিয়ে গেল তার ঘরে। নিচু স্বরে বলল,“আপনি শুয়ে পড়ুন। আমি একটু পর আসছি।”

খপ করে তার হাত চেপে ধরল তাসিন। বলল,“পুরোদিনে মাত্র কাছে পেয়েছি তোমায়। এখন কোথাও যেতে হবে না।”

হুরাইন লজ্জায় মাথা নিচু করে নিল। থুতনি গিয়ে ঠেকলো বুকে। মিনমিন করে বলল,“মা, আপুরা বসে আছেন। না গেলে কী ভাববেন?”

“বিয়ে তাঁদেরও হয়েছে হুরাইন। তাঁদের সকলের উচিত স্বামীকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে বসে থাকা। আর কেউ ভাবলে ভাবতে পারে তোমার স্বামী তোমায় অত্যধিক মাত্রায় মহব্বত করে।”

পুলকিত নজর হুরাইনের। সে প্রশ্ন করল,“সত্যি মহব্বত করেন আমায়?”

তাসিন চট করেই জবাব দিতে পারল না। ক্ষণ সময় চুপ রইল।

#চলবে…….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে