Thursday, August 28, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 2339



sanam teri kasam part 7

0

@@ sanam teri kasam @@
.
পর্ব : (৭)
.
লেখক : Abdullah al ador mamun(কাল্পনিক লেখক)
.
–না রে ভাই পাম দিচ্ছি না। সত্যি বলছি তোদের মানাবে বেশ।(জাহেদ)
.
–অনেক হয়েছে বক বক বন্ধ কর আর শেরওয়ানীটা পড়ে নেয়।(নীরব)
.
–ভাই এবার চল দেরি হয়ে যাচ্ছে।(অসীম)
.
অবশেষে আমি কাজী সাহেবের সামনে বসে আছি। আমার পাশে বসে আছে আমার জানে দুশমন নূরী।
.
–দুলাভাই শেরওয়ানীটা কিন্তু দারুণ। আপনাকে নীল শেরওয়ানী তে রাজকুমারের মতো লাগছে।(তাহারে আমি চিনি না তাই নামটাও জানি না)
.
–এমা তাই।(আমি)
.
–সত্যি বলছি। ইচ্ছে করছে নূরীর জায়গায় আমি বসি আর আপনার বউ হয়ে যাই।(অচেনা মেয়েটি)
.
–তাহলে তো ভালোই হতো। কিন্তু আপনার ভাগ্য খারাপ। (আমি)
.
–শালী তো আদা ঘরওয়ালী আমাকেও নূরীর সাথে নিয়ে চলুন আপনার করে।(মাইরাল্লা মাইয়া কয় কি)
.
–তাহলে তো আপনি নূরীর সতীন হয়ে যাবেন।(আমি)
.
–তাতে কি আমি আপনার জন্য সতীনের সাথে থাকতেও রাজী।(মেয়েটি)
.
মাইয়ার কথার উওর না দিয়ে আমি সোজা কাজী বেটার দিকে তাকালাম।বেটা দেখি অালাপ সারছে। একদিকে আমার হালুয়া টাইট হয়ে যাচ্ছে। আমি শিওর যে বাঁসর রাতে বউয়ের হাতে মাইর একটাও নিচে পড়বে না সবকটা আমার পিঠে পড়বে।এখন যদি নূরীর দিকে তাকাই আমারে চোঁখ দিয়ে গিলে খাবে।
.
কাজী বেটা অবশেষে বিয়ে পড়ানো শেষ করলো।
মেয়ে বিদায়ের প্রস্তুতি শুরু করছে সবাই।আমার মাথায় কিছুতেই ডুকতেছে না যে মাইয়া তো এ বাড়ীতে ছিলো এখনও থাকবে পরর্বতীতেও থাকবে তাহলে মেয়ে বিদায়ের জন্য সবাই এত প্রস্তুতি নিচ্ছে কেনো।
.
–ওই নীরব এদিকে আয়।(আমি)
.
–কি হয়েছে। (নীরব)
.
–কোথায় যাচ্ছিস আমাকে রেখে। (আমি)
.
–দোস্ত ম্যাডামেরা আসছে তোদের বাঁসর সাজাতে।(নীরব)
.
–ওদের কাউকে দেখলাম না যে।ওরা আসেনি কেনো?(আমি)
.
–ওরা ঠিকই আসছে তুই দেখিস নাই। এসে আবার চলে গিয়েছে এখন তোদের বাঁসর সাজাতে যাচ্ছে।(নীরব)
.
–ওরা তো এখানে থাকবে কোথায় যাচ্ছে।(আমি)
.
–তোর শ্বশুর বাড়ী তো ওরা চিনে না তাই ওদের নিয়ে যাচ্ছি।ওখানে তোদের বাঁসর হবে।এখন যারা চলে যাবে তারা কালকে বৌ ভাতে ওখানে যাবে আর যারা থাকবে তারা সবাই তোদের পিছন পিছন যাবে।(নীরব)
.
এটা কি হলো এতদিন জানতাম বিয়ে পর মেয়েরা আসে ছেলের বাড়ীতে আর আমার ভেলায় তার উল্টো আমাকে যেতে হচ্ছে মেয়ের বাড়ীতে আমারে কেউ এক গ্লাস পানি দাও ডুইবা মরি।
.
–আদর বাবা আজ থেকে আমার মেয়েকে তোমার হাতে তুলে দিলাম।আমার মেয়ের ভালো মন্দের সব দায়িত্ব আজ থেকে তোমার।(শ্বশুর)
.
–আরে বেয়াই আমার ছেলেকে আপনার মেয়ের হাতে তুলে দিবো আজকে।নূরী মা আজ থেকে এই লেজ ছাড়া বান্দরটার সব দায়িত্ব তোর উপর।তুই জানিস বান্দর কে কি করে মানুষ করবি। সুখে থাকিস তোরা।(আব্বু)
.

আব্বুটার জন্য শান্তি নাই।পরিবারের সবাই আমার বিরুদ্ধে।আব্বু যে এ মাইয়াটারে আমার দায়িত্ব দিছে এ মাইয়া তো আমারে এক দিনে মেরে ফেলবে।
আমি শুধু ভাবতেছি কি করে পারলো আব্বু আমাকে জমের মুখে ছেড়ে দিতে।
.
আমি এখন ফুল দিতে সাজানো কারটাতে বসে আছি।ব্যাপারটা সত্যিই অদ্ভুত তাই না।বিয়ে করতে আসছি হেঁটে আর এখন বউ নিয়ে শ্বশুর বাড়ীতে ফিরছি গাড়ী করে হায় রে কপাল।যদি কপালের লেখাটা মুছে নিজের হাতে লিখতে পারতাম তাহলে নিশ্চই আমাকে এসব সহ্য করতে হতো না।
.
শ্বশুর বাড়িতে বউ নিয়ে এসে থুক্কু শ্বশুর বাড়ীতে বউ আমারে নিয়ে আসছে।বাড়ীতে ডুকার সাথে সাথে বন্ধুরা এবং ওদের gf গুলো বের হয়ে আর আমার সামনে থেকে আমার বউটারে নিয়ে চলে গেলো।আমি গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।নূরীরদের বাড়ীতে আগেও অনেক বার আসছি তবে এখানেও আমার জন্য রুম একটা বরাদ্দ আছে।আমি আসলে ওই রুমটাতে থাকি। ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে দেখি সবাই হাজির এখানে।
.
— কি রে বেটা বিয়ে করে সবাই বউ নিয়ে বাড়ীতে যায় আর তুই কিনা শ্বশুর বাড়ীতে আসছিস।হাহাহাহা।(আব্বু)
.
–বিটকেলের মতো দাঁত বের করে হেসো না সবকিছু তোমার জন্য হয়েছে।(আমি)
.
–আরে বাপ আমি কিছু করি নাই এসব কিছুর পিছনে আছে নূরীর হাত।নূরীর কথাতেই এসব হয়েছে। (আব্বু)
.
–তাহলে এখানে দাড়িয়ে না থেকে যাও গিয়ে নূরীর গুনগান কর। যতসব ভাল্লাগে না।(আমি)
.
–আরে কোথায় যাচ্ছিস। (আম্মু)
.
–জাহান্নামে যাচ্ছি যাবা,গাড়ী নিয়ে আসবো।(আমি)
.
–জাহান্নামে যাচ্ছিস যা, তবে কিছুক্ষণ পর ফিরে আসিস।(আম্মু)
.
দূর দূর ঘেন্না ধরে গেলো জীবনের প্রতি। ইচ্ছে করছে কিছুদিনের জন্য জঙ্গলে চলে যাই মঙ্গল করতে তবে একটা সমস্যা আছে আমি যাবো মঙ্গল করতে কিন্তু কেউ যদি আমারে খেয়ে নিজের ভুড়ি ভোজ করে নেয় তখন আমার সদ্য বিয়ে করা বউয়ের কি হবে তারথেকে বড় প্রশ্ন বাংলাদেশ জাতীয় দলের লেগস্পিনারের অভাব কে পূরণ করবে।
এসব চিন্তা ভাবনা করতে করতে অনেকটা দূর চলে এসেছি মোবাইলটাও নিয়ে আসি নাই এদিকে রাত হয়ে গেলো তবে চাঁদের আলোয় হাটতে দারুন লাগছে।
বেশ কিছুক্ষণ পর শ্বশুর বাড়ীতে প্রবেশ করলাম। কথা শুনে যা মনে হচ্ছে সবাই আমাকে খুজতেছে।আমিও এই সুযোগটা কাজে লাগানোর জন্য আস্তে করে সবার চোঁখ ফাকি দিয়ে ছাদে চলে গেলাম আর সুযোগ বুঝে লুকিয়ে পড়লাম।
বুঝো ঠেলা।
অনেক্ষন লুকিয়ে ছিলাম জব্বর ক্ষিদেও পেয়েছে আর লুকিয়ে না থেকে বের হয়ে নিচে নেমে পড়লাম।এখনো দেখছি আমাকে খুজতেছে সবাই আমার আর কি নো টেনশন আমি তো কোথাও যাইনি বাড়ীতে আছি কেউ না খুজে পেলে আমার কি।
বসে বসে টিভি দেখছি আর মিষ্টি খাচ্ছি।
একটু পরে মামাতো ভাই শিবলু দেখতে পেলো আর আব্বু কে গিয়ে বলে দিলো।
.
–এই তুই কোথায় ছিলি এতক্ষন।(আব্বু)
.
–আমিতো ছাদে ছিলাম তোমরা দেখতে না পেলে আমার কি?(আমি)
.
–ঠাসসসস,বেয়াদব পোলা।আমরা এতক্ষন খুজতে খুজতে হয়রান হয়ে গেছি আর তুই বলছিস ছাদে ছিলি তাহলে আমরা খুজে পাইনি কেনো।(আব্বু)
.
–আমি যখন ছাদে যাচ্ছি তোমরা তখন ছাদ থেকে নিচে নেমে গিয়েছো তাই দেখতে পাওনি।আর হাঁ খুব ক্ষিদে লাগছে খেতে দাও আর থাপ্পড় খেতে পারবো না বলে দিলাম।(আমি)
.
–১১ টা বেজে গেছে এখনো কেউ খায়নি তোর জন্য সবাই খাবে তুই এখানে বসে থাক আমি খাবার পাঠাচ্ছি। (আম্মু)
.
–আচ্ছা ঠিক আছে তাড়াতাড়ি পাঠাও। (আমি)
.
চলবে

sanam teri kasam part 6

0

@@ sanam teri kasam @@
.
পর্ব : (৬)
.
লেখক : Abdullah al ador mamun (কাল্পনিক লেখক)
.
–হয়েছে আর পাম দিস না।সক্কাল সক্কাল উঠে পড়ছিস যে।(আমি)
.
–তোর কাছে এখনো সকাল মনে হচ্ছে বান্দর। (নূরী)
.
— দুই মিনিট হয় নাই শুয়েছি এর মধ্যে বক বক শুরু করে দিছিস।তোর জন্য শান্তিতে একটু ঘুমাতেও পারছি না।(আমি)
.
–বক বক না করে উঠ।১ টা বাজে গোসল করে আয়।তোরে রেডি করে আমাকেও রেডি হতে হবে।(নূরী)
.
–শেরওয়ানীটা পড়ে আমি নিজে আসতে পারবো তুই যা তো।(আমি)
.
–আমি তোরে কালকেও বলছি যে অামি আমার মতো করে তোরে সাজিয়ে গুছিয়ে নিবো।(নূরী)
.
–তোর মতলবটা আমায় একটু বলছি।আমাকে কি তুই আটা ময়দা মাখাবি নাকি।(আমি)
.
–আমি বুঝবো আমার বরকে কি করবো তোরে ভাবতে হবে না।(নূরী)
.
–এখনো তোর বর হই নাই।যখন হবো তখন দেখা যাবে।(আমি)
.
–আচ্ছা ঠিকআছে, এখন গোসল করে আয় দেরি হয়ে যাচ্ছে।(নূরী)
.
–যাচ্ছি যাচ্ছি। তোর মতো মাইয়া যেনো কারো কপালে না জুটে।(আমি)
.
–কারো কপালে জুটোক না জুটোক তোর কপালে আমি জুটেছি। (নূরী)
.
কি ডেন্জার মাইয়া মাইরি।যার কপালে এই মাইয়া জুটবে তার জীবন তেজপাতাময় হয়ে যাবে আমি গ্যারান্টি দিতে পারি।
দুঃখের ছোটে মাইরি ভুলবাল বলা শুরু করে দিছি মাইয়া তো আমার কপালে জুটে যাচ্ছে কোন উপায় নাই এই মাইয়ারে পিছু ছাড়ানোর।
দুঃখ ভুলতে শাওয়ারের নিচে দাঁড়াইয়া ইভান ভাইয়ের তামাক পাতা গানটা গাইতেছি আর ওই দিকে জানোয়ার টাইপের মাইয়া দরজা ভেঙ্গে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। এই মাইয়ার উপর কোন বিস্বাস নাই দরজা যদি ভেঙ্গে দেয়।
.
–হাতির বাইচ্ছা, দরজা ধাক্কাচ্ছিস কেনো।ভেঙ্গে ফেলবি নাকি।(আমি)
.
–তুই বের হতে এত সময় নিচ্ছিস কেনো । গোসল করতে এত সময় লাগে নাকি গোসল করতে।(নূরী)
.
–তোর জ্বালায় শান্তিতে একটু গোসল করতেও পারবো না নাকি।(আমি)
.
–আজকে একটু তাড়াতাড়ি বের হও, দেরি হয়ে যাচ্ছে কেনো বুঝতে পারছিস না।(নূরী)
.
–দেরি হলে হবে তাতে আমার কি, আমি আরো পরে বের হবো।(আমি)
.
–মাথা গরম করিস না।দরজা ভেঙ্গে ফেলবো বলে দিলাম।(নূরী)
.
–বের হচ্ছি বের হচ্ছি দাঁড়া জলহস্তিনী। (আমি)
.
–তাড়াতাড়ি বের হও। (নূরী)
.
–আরে এক সেকেন্ড দাড়া জাইঙ্গাটা(শব্দটা ব্যবহার করার জন্য দুঃখিত) পড়ে নিই নাকি সেটাও তুই পরিয়ে দিবি।(আমি)
.
–বান্দর পোলা তুই রেডি হয়ে নিচে আয় আমি যাচ্ছি। (নূরী)
.
যাক শান্তি।এবার আমারে পায় কে শাওয়ারের নিচে বসে থাকবো আর ইভান ভাইয়ের গান গাইবো।
এত সুখ সইলো না আমার কপালে জানোয়ারটা গিয়ে হারামি সবাইরে আমার রুমে ডুকাই দিছে। এমনিতে একজনের জ্বালা সহ্য হচ্ছে না তারউপর আরো সাত সাতটা হারামি জ্বালা এত জ্বালা কোন বস্তায় রাখি।
দুঃখের কথা কারে কইতাম।আমি যদি এক্ষুনি বের না হই তাহলে আমার একটা পারফিউম রাখবে না।
হারামিগুলো আমার চোখেঁর পানি নাকের পানি এক কইরা দিছে।
.
–এই তোদের আমার রুমে ডুকতে দিছে কে।(আমি)
.
–ভাবি তো পাঠিয়েছে তোরে নিয়ে যেতে।(নীরব)
.
–আরে লম্বু আমারে নিয়ে যেতে বলছে আমার পারফিউমের গুষ্টি উদ্দার করতে তো বলে নাই তোদের।(আমি)
.
–তোরে তো নিয়ে যাবো, তার বিনিময়ে আমরা কি কিছু পাবো না।(মুন্না)
.
–মোটু।আমার একটা পারফিউমও তো ছাড়লি না ৭ হনুমানে ৭ টা শেষ করে দিলি।আজকে আন্টিদের জিঙ্গাস করবো তোদের জন্মের পর কি তোদের গায়ে পারফিউম মারছিলো নাকি।(আমি)
.
–রাগ করিস না দোস্ত।আমরা তো দিয়েছি আর তো কেউ দেয় নাই।(অসীম )
.
–ঢান্ডিয়া(এ শব্দটা কোন ধর্ম কে ছোট করার জন্য বলি নাই।কেউ নিজের বা ধর্মের উপর টেনে নিবেন না কথাটি।) মেয়েদের হাতে যখন কেলানি খাওয়াইছিস তখন মনে ছিলো না।(আমি)
.
–আমি বৌদি কে ডেকে আনছি তুই আমারে আজকেও ঢান্ডিয়া বলছিস।(অসীম)
.
–যা না যা, আমাদের সবার মধ্যে তুই একমাএ হিন্দু। তোরে আমরা কত ভালোবাসি।তোরে ভালোবেসে ঢান্ডিয়া ডাকি।(আরশাফ)
.
–তুই কি পাগল নাকি।আমি কি কিছু বুঝি না।এত বছর পযন্ত আমি তোদের বন্ধু আর তুই আমাকে এখনো চিন্তে পারিস নাই।(অসীম)
.
–এই তোদের ডায়লগ বন্ধ কর।আর ফটাফট কেঁটে পড় আমার রুম থেকে।(আমি)
.
–তোরে নিয়ে যেতে হবে। না হলে আমাদের খাওয়া বন্ধ বলছে বৌদি। (অসীম)
.
–কস কি?তাহলে তো আমি ভুলেও ভুলেও যাবো না।আমি তো চাই তোদের কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া বন্ধ হোক।এই সুযোগ আর মিস করা যাবে না।(আমি)
.
–তোরে নিয়ে যেতে পারি আর নাই পারি খাওয়া মিস হবে না।যে করে হোক খাবো খাবো।(জাহেদ)
.
–তাহলে যা ভাগ।(আমি)
.
–তোরা যা আমি আমার বন্ধুকে সাথে নিয়ে যাবো।(নীরব)
.
–তুই এত সাধু সাজিস না। সাবার মধ্যে তুই একমাএ ব্যক্তি যে আমারে বাঁশ দেওয়া ছাড়া কোনদিন ছাড়িস নাই এখন সাধু সাজতে আসছে।(আমি)
.
–ওসব বাদ দেয় তখন তোরে বাঁশ দিছি এখন তো তুই আমাদের আরও বড় বাঁশ দিচ্ছিস। আমরা ৪-৫ বছর শুধু প্রেম করে চলছি বিয়ের কথা এখনো বাড়িতে বলতে পারি নাই আর তুই কোন মাইয়ার ধারে কাছে না গিয়েও বিয়ে করছিস এর থেকে বড় বাঁশ আর কি হতে পারে।(নীবর)
.
–চুপ হারামির দল তোরা সবাই মিলে আমারে বলি দিচ্ছিস। (আমি)
.
–ভাই বলি দিই আর যাই দিই।তোর পরে আমাদের রাস্তা পরিষ্কার। আমি তো ভাবতেছি আজকেই গিয়ে বাড়িতে বলবো বিয়ের কথা।(মুন্না)
.
–বলার কি দরকার।রাস্তা যেহেতু পরিষ্কার বিয়ে করে বাড়িয়ে নিয়ে যা।আমার মাথায় ডুকে না তোর মতো আলুর বস্তাকে শুটকি টা পছন্দ করলো কি করে।(আমি)
.
–মামা সেটাতো আমিও ভাবতেছি।(নীবর)
.
–তুই এত ভাবিস না। তোর মতো জিরাফের সাথে কি মরে হরিণের মতো বেঁটে মেয়েটির সম্পক হলো সেটাই বুঝতেছি না।(আমি)
.
–ভাই তোরে এত কিছু বুঝতে হবে না।দেখ, আশরাফ,রাকিব ওরা সুন্দর ওদের gf অতটা সুন্দর নয়।রায়হান, জাহেদ, আমি কালো তাই আমাদের gf গুলো সুন্দর।(অসীম)
.
–তোরটার মতো একটাও নাই।যাই বলিস হিন্দু মেয়েরা কিন্তু একটার থেকে একটা হেব্বি।(জাহেদ)
.
–নূরী ভাবীর সাথে কিন্তু আদরকে মানিয়েছে ভালো।কারো থেকে কেউ কম না।(নীরব)
.
–হয়েছে হয়েছে আর পাম দিস না বেলুনের মতো ফেঁটে যাবো।(আমি)
.
–না রে ভাই পাম দিচ্ছি না।সত্যি বলছি তোদের মানাবে বেশ।(জাহেদ)
.
.
.
.
চলবে

sanam teri kasam part 5

0

@@ sanam teri kasam @@
.
পর্ব : (৫)
.
লেখক : Abdullah al ador mamun(কাল্পনিক লেখক)
.
–তাহলে তোরা এমন করছিস কেনো।কোথায় আমাকে পালাতে হেল্প করবি তা না করে সবাইকে বলে বেড়াচ্ছিস।(আমি)
.
–তুই ভাবলি কি করে তোরে আমরা হেল্প করবো। (জাহেদ)
.
–কেনো হেল্প করবি না, আমি তোদের বন্ধু না।(আমি)
.
–বন্ধুতো কিন্তু তুই এখন আমাদের উপকার করছিস। এখন যদি তোরে পালাতে হেল্প করি তাহলে আমাদের লোকসান হবে।(জাহেদ)
.
–তোদের কথা আমি কিছুই বুঝতেছি না।(আমি)
.
–দাড়া আমি বুঝিয়ে দিচ্ছি তোরে।তুইই যদি এখন বিয়ে করে নিস তাহলে আমাদের রাস্তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।তোর পরে আমাদের বিয়ের সিরিয়াল। তুই বিয়ে করে নিলে আমাদের বিয়েও তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে।তোর বিয়ের দোহাই দিয়ে আমরাও সিঙ্গেল থেকে জোড়া হয়ে যাবো।তাছাড়া এতদিন পর একটা বিয়ের দাওয়াত পেলাম কব্জি ডুবিয়ে খাবো কিন্তু তুই পালিয়ে গেলে সেটা আর হবে না। তাই আমরা তোরে কোন হেল্প করবো না।(রাকিব)
.
–তোদের সুবিধার জন্য আমারে বলির ফাঠা বানিয়ে দিলি।(আমি)
.
–দোস্ত এছাড়া আর কোন উপায় ছিলো না। (জাহেদ)
.
–দূর, তোদের গুষ্টিরপিণ্ডি। তোদের আমি দাওয়াত দিই নাই তোরা এবার যেতে পারিস তোদের মতো হারামিদের আমার দরকার নাই।(আমি)
.
–আমরা তো কেউ যাবো না রে দোস্ত আমরা এখন সবাই ঘুমাবো।(নীরব)
.
–কেনো যাবি না তোরা।(আমি)
.
–আমি ওদের সবাইকে এবং ওদের পরিবার কে দাওয়াত দিছি।(আব্বু)
.
–কি উপলক্ষে দাওয়াত দিছো।(আমি)
.
–কেনো, তোর বিয়ের দাওয়াত দিছি।(আব্বু)
.
–আমি তে বিয়ে করবো না। (আমি)
.
–তুই করবি না তোর বাপ করবে বিয়ে।(আব্বু)
.
–আম্মু শুনছো আব্বু বিয়ে করবে বলছে আমি করবো না বিয়ে।(আমি)
.
–চুপ বেয়াদব পোলা।নূরী তুই বান্দর পোলাটারে নিয় যা।(আম্মু)
.
–না আম্মু আমি নূরীর রুমে যাবো না।আমি আমার রুমে ঘুমাবো ঠান্ডা লাগছে।(আমি)
.
–সেটা হচ্ছে না চান্দু। তোরে একা ছাড়লে তুই আবার পালাতে পারিস তাই তোরে নূরীর সাথে থাকতে হবে। (আব্বু)
.
–এটা অন্যায় আব্বু।বিয়ের আগে আমি ওর সাথে থাকবো না।(আমি)
.
–কোনটা ন্যায় আর কোনটা অন্যায় সেটা আমরা বুঝবো বাবা তুমি নূরীর সাথে উপরে যাও।(আঙ্কেল থুক্কু শ্বশুড়)
.
–না আমি যাবো না।(আমি)
.
–বাপ তুইতো মেহেদী পড়িস নাই নূরীর সাথে যা ও মেহেদী পড়িয়ে দিবো। (আম্মু)
.
–আমি মেহেদী পড়বো না।(আমি)
.
–তোরা হা করে কি দেখছিস বান্দরটাকে নূরীর রুমে দিয়ে আয়।(আম্মু)
.
বুঝো ঠেলা এবার কি করবো।কিছুই বুঝে উঠার আগে আমারে সবাই আমারে তুলে নিয়ে বিয়ের আগে বাসর করতে পাঠিয়ে দিলো।
বিয়ের আগে বাসর হয়ে যাচ্ছে বলে খুশিতে নাচবো নাকি বিয়ে করবো না বলে কাঁদবো কিছুই বুঝতেছি না।
একটু পরে নূরী এসে রুমে ডুকলো।
ওকে দেখে কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়লাম।
কিছুক্ষণ দাড়িতে দেখে নূরী আমার পাশে শুয়ে পড়লো।

কম্বল নিয়ে টানা টানি শুরু করে দিছে।আর কতক্ষণ সহ্য করবো মুখ বুঝে।
.
–কম্বলটা ছাড় বলবি নূরী। (আমি)
.
–তোর কথা মতো হবে নাকি সবকিছু। (নূরী)
.
–আমার কথা মতো হবে মানে। ১০০ বার হতে হবে,কারন তুই আমারে টেনে হিছড়ে তোর রুমে নিয়ে আসছিস সো আমি যেটা বলবো সেটা হবে।(আমি)
.
–তারমানে এ নয় যে আমি কম্বল গায়ে দিতে পারবো না।(নূরী)
.
–না পারবি না। আমি একা গায়ে দিবো তুই নিচে গিয়ে ঘুমা।(আমি)
.
–নিচে ঘুমাবো বলে তো তোরে নিয়ে আসিনি তোর বুকে মাথা রেখে ঘুমাবো বলে তোরে আমার রুমে নিয়ে আসছি।(নূরী)
.
–তুই তো একটা ছোটখাটো হাতি। তুই আমার উপরে উঠলে আমিতো পটল তুলবো।(আমি)
.
–বাজে কথা বলিশ না।আমি মোটেও মোটা না।(নূরী)
.
–আমি তোরে মোটা বললাম কখন আমি তো বলছি তুই একটা ছোটখাটো হাতি।(আমি)
.
–যা বান্দর পোলা তোর সাথে কোন কথা নাই।ফাজিল।(নূরী)
.
–তুই কথা না বললে আমি অনেক খুশি।যা এবার নিচে গিয়ে শুয়ে পড়।(আমি)
.
–আমি কথা বলবো না বলছি।তোর সাথে ঘুমাবো না সেটা তো আর বলি নাই।(নূরী)
.
–আমার কথা আমাকে ফিরিয়ে দিচ্ছিস। (আমি)
.
–এইতো বুদ্ধিমান ছেলে।হাত দেয় মেহেদী লাগিয়ে দিই।(নূরী)
.
–ফাউ, আমি মেহেদী লাগাবো না।তুই নিজে লাগিয়ে বসে থাক।(আমি)
.
–তুই আমার আমি যেভাবে ইচ্ছে তোরে সাজিয়ে গুছিয়ে নিবো।(নূরী)
.
–আমাকে তাহলে কালকে সাজিয়ে তোর বর করে নিস।(আমি)
.
–তোর কি মনে হয় আমি অন্য কাউকে দিবো তোরে সাজাতে।আমার পছন্দ মতো তোরে কালকেও সাজিয়ে দিবো।(নূরী)
.
–সবকিছু যদি তুই করবি তাহলে কালকে আমার হয়ে কবুল তুই বলে দিস।(আমি)
.
–আচ্ছা ঠিকআছে।এই না না কবুল দুজনকে বলতে হবে।(নূরী)
.
–ঘুমাতে দেয় তো একটু কালকের কথা কালকে দেখা যাবে।(আমি)
.
–ঘুমাবি মানে কি।আমি তোরে মেহেদী লাগিয়ে দিবো হাতে তুই দু-হাত সুন্দর করে মেলে ধরবি।(নূরী)
.
–আমি পারবো না।আমি ঘুমাবো তোর যা করার কর।(আমি)
.
–আচ্ছা ঠিক আছে মেহেদী লাগানোর পর তুই ঘুমিয়ে পড়িস।(নূরী)
.
আজ মনে হয় আমার ভাগ্যে ঘুম লেখা নাই।শালার পোড়া কপাল।

আগে যদি জানিতাম এই মাইয়া জুটবে আমার কপালে তাহলে অনেক আগে হেতিরে উপরে পাঠিয়ে দিতাম এখন আর আমায় এত জ্বালা সহ্য করিতে হইতো না।এই জ্বালা আর প্রানে সহে না।

একটু এদিক সেদিক গড়াগড়ি না খেলে কি আর ঘুম হয়।কিন্তু এ মাইয়ারে বুঝাবে কে।হেতি আমার হাত যেভাবে চেপে ধরে রাখছে মনে হচ্ছে আমি কোন অাসামি।আর ভাল্লাগে না।

ফজরের আযান দেওয়ার পর মাইয়া আমার হাত দুটো ছাড়লো আর আমিও গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলাম।
আমার মনে হয় ৫ মিনিটও ঘুমাইনি এর মধ্যে কে জেনে টেনে টেনে আমারে লম্বা ফেলছে।
মনে মনে তাহার জাত গুষ্টি উদ্দার করতেছি ঠিক এমন সময় আমার ঠোটেঁ পিপড়া কামড়াইছে নাকি কেউ সুঁই ডুকিয়ে দিছে বুঝে উঠতে পারছি না।বিছানা থেকে এক লাফে ডেসিন টেবিলের আয়নার সামনে গিয়ে দাড়ালাম।ঠোটঁ ঠোটেঁর জায়গায় আছে কিনা দেখতেছি না ঠিক আছে ঠোটঁ। যাক বাঁচা গেলো।কিন্তু ঠোটেঁ এত ব্যাথা অনুভব করলাম কেনো।
.
–কিরে জানোয়ার এভাবে তাকিয়ে আছিস কেনো।আমারে আগে কোনদিন দেখিস নাই নাকি।(আমি)
.
–দেখছি, তবে তোরে আজ অন্যরকম লাগছে।(নূরী)
.
–হয়েছে আর পাম দিস না।সক্কাল সক্কাল উঠে পড়ছিস যে।(আমি)

.
.
চলবে

sanam teri kasam part 4

0

@@ sanam teri kasam @@
.
পর্ব : (৪)
.
লেখক : Abdullah Al Ador mamun (কাল্পনিক লেখক)
.

— গুড। এবার সামনে থেকে যা।(আমি)
.
–আর কিছুদিন পর দেখবো তুই কিভাবে আমাকে দূর দূর কুত্তার মতো তাড়াস।(নূরী)
.
–ওরে জানোয়ার ওটা কুত্তী হবে। (আমি)
.
–ওই হলো একটা আর কি।(নূরী)
.
ওরে বাপরে বাপ বকা শুরু হলে বন্ধ হওয়ার নাম নেই।ওর দোষ কি দিবো আমি নিজেও তো তেমনি আমারে কোন ভূতে বলে ওর সাথে বক বক করতে আমি যদি কথা না বলি ও তো বক বক করতে পারবে না।
দূর কোন দুঃখে যে কথাটা মাথায় আসে না বুঝতে পারি না।সবসময় শুধু পালানোর চিন্তা।
.
না না আর থাকা জাস্ট ইয়ামপসিবল আদরের পালানো কেউ আটকাতে পারবে না মাগার বিয়ের কসম পালাবো মানে পালাবো।
.
আহ্ কি শান্তি সবাই বিয়ের কাজে ব্যস্ত আমি মশাই ডান পায়ের উপর বাম পা তুলে বসে আছি আমার আর কি হলুদের রাতে পালবো মানে আজকে পালাবো তাই চিনিযুক্ত চিন্তা করা ছেড়ে বসে বসে ভুড়ি বোজ চালাচ্ছি। যা হওয়ার তা তো রাতে হবে।
.
হলুদের অনুষ্ঠানে…
.
–আমার মেয়ের জামাইটা কে একটু দেখি।কত দিন জামাই কে দেখি নাই।(আন্টি,নূরীর আম্মু)
.
–ওরে বাঁশ,আন্টি বিয়ে করতে চাই না আমি।(আমি)
.
–এখনো আন্টি ডাকবি নাকি পাগল ছেলে মা ডাকবি মা।(আন্টি)
.
–আমি মরি আমার জ্বালায় আর বুড়ি আইছে ডায়লগ দিতে।(আস্তে করে আমি)
.
–কিছু বললি বাবা।(আন্টি)
.
–কিছু তো বলি নাই বলছি শুধু বলছি আগে বিয়ে হোক তারপর না হয় ডাকবো।(আমি)
.
–শুধু তো আজকে রাতটা কালকে তো বিয়ে হয়ে যাবে।(আন্টি)
.
–হওয়াচ্ছি বিয়ে দাড়াও।(আমি)
.
–কিছু বললি নাকি।(আন্টি)
.
–না না কিছু বলি নাই।অনুষ্ঠান শুরু কর।(আমি)
.
অনুষ্ঠান শেষ হতে দাও তারপর বুঝাবো কত ধানে কত চাল হয়।এ মাইয়ারে যদি ৩ বার কবুল বলে যদি বিবাহ্ করি তাহলে আমার জীবনটা পুরো সিগারেটের মতো হয়ে যাবে।
তার থেকে বরং এটাই ভালো হবে যে পালিয়ে গিয়ে কিছুদিন ঘুরে আসি তারপর আবার না হয় বাড়িতে ডুকবো।
.
অনুষ্ঠান শেষ করার পর ঘুমাতে গেলাম।হয়তো ভাবছেন হলুদের অনুষ্ঠানে কোন নাচ গান হচ্ছে না কেনো।সত্যি বলতে আমাদের সমাজে এসব নিষিদ্ধ। আমাদের সমাজের মানুষ মনে করে বিয়ে হলো একটা শুভ কাজ এই কাজে নাচ গান করে পবিএ কাজটা অপবিত্র করা যাবে না। এই কথা সবাই মানে। যত ধনী ব্যক্তি হোক না কেনো সমাজের নিয়ম যেটা আছে সেটাই চলবে।
সমাজের কথা আর নাই বলি ওটা ওখানে থাক আমি পালিয়ে বাঁচি।
সবাই যখন ঘুমে ব্যাগটা কাঁধে নিয়ে গুটি গুটি পায়ে রুম থেকে বের হয়ে নিচে নেমে চারদিকে একবার ভালো করে দেখে নিয়ে দরজা খুলতে যেই না গেলাম তখনি পিছন থেকে কেউ টেনে ধরলো।
.
–কে রে একটু শান্তিতে পালাতেও দিবে না দেখছি।(আমি)
.
–পিছনে তাকিয়ে দেখ কে?(নূরী)
.
–ওহহহ তুই আগে বলবি তো।সবাই ঘুমাচ্ছে তুইও দরজাটা লাগিয়ে দিয়ে শুয়ে পড় গিয়ে। (আমি)
.
–শুয়ে পড়বো মানে কি?তুই কোথায় যাচ্ছিস।(নূরী)
.
–কাউকে বলিস না আমি পালিয়ে যাচ্ছি।(আমি)
.
–এ্যয়য়য়…(নূরী)
.
–মুখ বন্ধ কর মশা ডুকবে। যা লক্ষী মেয়ের মতো গিয়ে শুয়ে পড়।কিছুদিন পর আবার ফিরে আসবো।(আমি)
.
–আমি কিন্তু চিৎকার করবো বলে দিলাম।তুই এভাবে আমাকে ছেড়ে যেতে পারিস না।(নূরী)
.
–আরে আমি ফিরে আসবো তো।(আমি)
.
–আঙ্কেল,আন্টি,মা দেখে যাও আদর পালিয়ে যাচ্ছে আমাকে রেখে।(নূরী)
.
–আরে আরে কি করছিস সবাই জেগে যাবে তো।পরে আমার আর পালানো হবে না।(আমি)
.
–কে কোথায় পালাচ্ছে। (আব্বু)
.
–ও আমাকে রেখে পালিয়ে যাচ্ছে আবার বলছে ও চলে যাওয়ার পর দরজা বন্ধ করে শুয়ে পড়তে।তোমরা বল আমি ওকে ছাড়া কি এক মিনিটও থাকতে পারবো।(নূরী)
.
–তুই পালাতে দিচ্ছিস কেনো বান্দরটাকে। (আম্মু)
.
–আরে আমি তো চুরি করে পালিয়ে যাইনি যেভাবে আসামি বানিয়ে রেখেছো।নূরী তো ছিলো ওকে তো বললাম দরজা বন্ধ করতে আমি যাওয়ার পর তাহলে তোমরা বল এটাকে কি পালানো বলে তাছাড়া পালানোর আইডিয়া তো নূরী দিছে।(আমি)
.
–তুই তো বললি তোর কোন এক বন্ধু পালাবে ওর যার সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছে তাকে বিয়ে করবে না ও পালিয়ে গিয়ে ওর gf কে বিয়ে করবে।(নূরী)
.
–ঠিকই তো আছে, বন্ধু পালানো আর আমি পালানো একি হলো।(আমি)
.
–এই চুপ,মা যা তুই ওকে নিয়ে যা পালিয়ে যেত
দিস না কখনো।(আম্মু)
.
–পালাতে দিবে না বললেই হলো নাকি আমি পালাবো।(আমি)
.
–তুই যদি পালিয়ে যাস তাহলে আমাকে নিয়ে পালাবি নয়তো তোর পালানো হবে না।(নূরী)
.
–তুই বললেই হলো নাকি।আমি পালাবো মানে পালাবো।(আমি)
.
–তোরে পালাতে দিবো না আমি, দেখি তুই কিভাবে পালাস।(নূরী)
.
–কিভাবে পালবো মানে?পালানোর আইডিয়া তো তুই দিয়েছিলি আমাকে।(আমি)
.
–কি এত বড় মিথ্যা কথা।আমি তোরে কখন পালাতে বলছি।(নূরী)
.
–সেদিন তুইতো বললি ছ যেনো পালিয়ে যাই।(আমি)
.
–সেটা তো তোর কোন এক বন্ধু পালানোর কথা ছিলো। (নূরী)
.
–বন্ধু পালানো আর আমি পালানো একি কথা।(আমি)
.
–তবে রে বান্দর পোলা, আমি তোরে পালাতে বলি নাই তুই পালাতে পারবি না।(নূরী)
.
–এই চুপকর দুজনে।তোদের এত কথা শুনতে চাই না। ঘুমাতে যা দুজনে।নূরী ওকে নিয়ে যা।(আব্বু)
.
–আমি যাবো না নূরীর সাথে। (আমি)
.
–কেনো যাবি না নূরীর সাথে।(আম্মু)
.
–আমি বিয়ে করবো না তাই যাবো না।(আমি)
.
–কেনো বিয়ে করবি না। (হবু শ্বশুড়)
.
–বিয়ে করলে আমি আমার স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলবো তাই বিয়ে করবো না।(আমি)
.
–ভাই তুই এটা বলিস না,এটা বল যে মেয়েদের হাতে পথেঘাটে মার খাওয়ার উপায় খুজে পাবি না।(ইমন)
.
–তোরে এখানে কে ডাকছে। যা তুই এখন থেকে।(আমি)
.
–তুই পালাবি আর আমি বসে থাকবো তা কি করে হয়।(ইমন)
.
–আমি পালাবো তুই জানলি কি করে।(আমি)
.
–কেনো তোর বন্ধুরা বলছে।(নূরী)
.
–শয়তানের বাইচ্ছারা এখন কোথায়। (আমি)
.
–চিন্তা করসি না তোর বিয়েটা হয়ে যাবে।(জাহেদ)
.
–আচ্ছা তোরা আমার বন্ধু নাকি শ্রুএ কিছুই বুঝতেছি না।(আমি)
.
–ভাই এভাবে বলিস না তুই আমাদের বন্ধু আর আমরাও তোর বন্ধু।(নীরব)
.
–তাহলে তোরা এমন করিস কেনো।কোথায় আমাকে পালাতে হেল্প করবি তা না করে সবাই কে বলে বেড়াচ্ছিস।(আমি)
.
.
.চলবে

sanam teri kasam part 3

0

@@ sanam teri kasam @@
.
পর্ব : (৩)
.
লেখক : Abdullah Al Ador mamun (কাল্পনিক লেখক)
.
–তুই কথাই বলিস না, তোর শরম থাকা উচিৎ মেয়েদের হাতে মার খেয়ে এসেছিস।(নূরী)
.
–এই চুপ থাক।বক বক করবি নাক ফাটিয়ে ফেলবো মেরে।(আমি)
.
–হক কথা বললেই দোষ।(নূরী)
.
–তোর হক কথার গুষ্টি কিলাই। আমার সামনে থেকে যা।(আমি)
.
–যাচ্ছি যাচ্ছি তুই রুমে যা,আমি মলম নিয়ে আসছি।(নূরী)
.
–তুই কিন্তু এবার মাথা গরম করে দিচ্ছিস।আমার এমন অবস্তা এখনো হয়নি যে ওদের মার খেয়ে মলম লাগাতে হবে।(আমি)
.
–যা তো, তোর ক্ষমতা কতটুকু জানা হয়ে গেছে।(নূরী)
.
এই মাইয়ার কি মনে হয় ওদের মার খেয়ে আমাকে মলম লাগাতে হবে।
ওর কি মনে হয় আমি ওদের কিছুই করতে পারতাম না।মেয়ে বলে কিছু বলি নাই নাহলে ওদের মেরে লুকিয়ে ফেলা আমার বা হাতের খেল।
.
–কিরে তুই নাকি মেয়েদের হাতে মার খেয়ে এসেছিস।(ইমন)
.
–কে বলছে তোরে এসব।(আমি)
.
–আরে বলছে কেউ একজন তুই নাকি মার খেয়ে বর্তা হয়ে বাড়িতে এসেছিস।(ইমন)
.
–এই নূরীর বাইচ্ছা নূরী।এদিকে আয় বলছি।(আমি)
.
–কি হয়েছে ষাঁড়ের মতো চিল্লাস কেনো।(নূরী)
.
–তুই আমাদের নেতা কে কি বলছিস।(আমি)
.
–কই আমি তো কিছু বলিনি।এই ইমন তোরে আমি কিছু বলছি নাকি।(নূরী)
.
–আরে ভাই হবু ভাবি কিছু বলে নাই। আমাকে তোর বন্ধু নীরব বলছে।(ইমন)
.
–জানোয়ার গুলোকে তো আজকে শেষ করে ফেলবো। ওদের জন্য আমাকে আজ মেয়েদের হাতে মার খেতে হয়েছে আবার সবাইকে বলে বেড়ানো হচ্ছে। (আমি)
.
–আরে আরে কি করছিস রামতা (ক্রিস)নিয়ে কোথায় যাচ্ছি।(নূরী)
.
–আরে ভাবি ওকে আটকাও না হলে আজকে কেউ বাঁচবে না।(ইমন)
.
–আমি চেষ্টা করছি তুই ওদের ফোন দিয়ে বল ফালিয়ে যেতে।(নূরী)
.
–ঠিক আছে তাই করছি।আগের মতো খেপেছে আজকে হাতের কাছে ফেলে নির্ঘাত তাদের মূত্যু।(ইমন)
.
যখন ক্রিসটা নিয়ে যাচ্ছিলাম তখনি আব্বু দেখে ফেলে গাড়ি থেকে।কোন অলুক্ষনে সময়ে আব্বু বের হয়েছে।
.
–এই দাড়া বলছি দাড়া।(আব্বু)
.
–কি বলবা বল।(আমি)
.
–কাকে মারতে যাচ্ছিস। (আব্বু)
.
–কাউকে না।এমনি একটু মজা করার জন্য বের হয়েছি।(আমি)
.
–ঠাসসস, তুই আমার কাছে মিথ্যা বলছিস। আমি জানি তুই কাদের মারতে যাচ্ছিস।শুন ওরা তোর বন্ধু ওদের সাথে এক সাথে পড়া লেখা খেলাধুলা করছিস।আজকে ওরা তোর সাথে মজা করছে বলে ওদের মারতে যাচ্ছিস।(আব্বু)
.
–ওরা কি করছে তুমি জানো। (আমি)
.
–আমি সব জানি কি হয়েছে।ওরা তোর বন্ধু একদিন মজা করবে একদিন বুকে টেনে নিবে।তাছাড়া বাইরের কাউকে তো বলে নাই কিছু তোরে রাগানোর জন্য আমাদের বলছে।এসব ঠিক না বাড়িতে চল।(আব্বু)
.
–আমি তো এটা নিয়ে একটু মজা করতে যাচ্ছিলাম।(আমি)
.
–বুঝলাম মজা করতে যাচ্ছিস।হঠাৎ করে যদি ওরা কেউ উল্টাপাল্টা কথা বলতো তাহলে তো ঝামেলা হয়ে যেতো তখন কি করতি।তাছাড়া ওরা তোর বন্ধু ওরা তোকে বুঝবে আর যারা তোরে ক্রিস হাতে দেখছে তাদের চোঁখে তো তুই খারাপ হয়ে গেছিস । (আব্বু)
.
— ভুল হয়ে গেছে আর এমনটা হবে না।স্যরি। (আমি)
.
–চল বাড়িতে চল।রাতে নাকি তোদের খেলা আছে খেয়ে ঘুমাবি তাহলে ভালো কিছু করতে পারবি। (আব্বু)
.
বাড়িতে গিয়ে বান্দরের মতো লাফাতে লাফাতে ছাদে উঠে দেখি নূরী আমার গোলাপ গাছগুলোর পাতা কাঁটছে। চুপি চুপি গিয়ে চুলের মুঠি ধরে তুললাম।
.
–আহহহহ, ছাড়। কেউ এমন করে হবু বউয়ের সাথে।(নূরী)
.
–কিসের হবু।কার হবু। কেমন হবু।(আমি)
.
–হবু মানে যে কিছুদিন পর তোর বা তোর পরিবারের কেউ হবে।(নূরী)
.
–সেটা না হয় বুঝলাম কিন্তু বউ মানে কি?(আমি)
.
–না বুঝলে মুড়ি খা গিয়ে। (নূরী)
.
–নিজেই যেহেতু জানিস না তাহলে আবার বউ হতে চাস কেনো।(আমি)
.
–বউ কারে কয় সেটা কিছুদিন পর বুঝতে পারবি।(নূরী)
.
–পারলে এখন বুঝিয়ে যা।(আমি)
.
–আগে বিয়েটা হয়ে যাক তারপর বুঝাবো।(নূরী)
.
–পাগল নাকি তোরে আমি বিয়ে করবো ভাবলি কি করে।(আমি)
.
–তোরে ভাবতে তো কেউ বলে নাই। বিয়ের পর ভাবিস।(নূরী)
.
–দেখা যাবে।(আমি)
.
–ওই ছেলেটি কি পালিয়েছে।(নূরী)
.
–আবার কার দিকে নজর দিলি তোর নজর তো খুব খারাপ।(আমি)
.
–বাজে বকিস না তো।ওইদিন যে বললি একটা ছেলে পালাবে ও কি পালিয়েছে। (নূরী)
.
–না না ও এখনো পালায়নি পালাবে কিছুদিনের মধ্যে।(আমি)
.
–তুই যে বললি ও সেদিনই পালিয়ে যাবে।(নূরী)
.
–খুব তাড়াতাড়ি পালাবে এটা তুই শিউর থাক।(আমি)
.
— বুঝতে পারছি কে পালাবে?কবে পালাবে?কেনো পালাবে?(নূরী)
.
–গুড।এবার সামনে থেকে যা।(আমি)
.
চলবে

sanam teri kasam part 2

0

@@ sanam teri kasam@@
.
পর্ব : (২)
.
লেখক: Abdullah Al Ador mamun (কাল্পনিক লেখক)

.
–আমার মতে ছেলেটির এখন ফালিয়ে যাওয়া উচিৎ।(নূরী)
.
–ঠিক বলছিস তো, পরে আবার যদি মত বদলাস তাহল তোর খবর আছে।(আমি)
.
–আরে বাবা আমি হলেও ঠিক এমনটাই করতাম।আচ্ছা এটা বল ছেলেটি কে।(নূরী)
.
–আমার পরিচিত একজন। আমি তাহলে ওকে বলি ফালিয়ে যেতে কি বলিস।(আমি)
.
–হুম তাড়াতাড়ি বল ও যেনো ফালিয়ে যায়।(নূরী)
.
–তুই এখানে পায়ের উপর পা তুলে বসে আছিস কেনো যা ফট এখান থেকে।(আমি)
.
— এত ভালো একটা উপায় বলে দিলাম কোথায় একটু বসতে বলবি তা না করে দূর দূর করে তাড়িয়ে দিচ্ছিস।(নূরী)
.
–তোরে কোলে নিয়ে নাচবো নাকি যা ফট।(আমি)
.
–এ্যয়য়য়য়য়…(নূরী)
.
–এই কাঁদবি না যা সামনে থেকে যা বলছি।(আমি)
.
–তোরে আর কোনদিনও কোন উপকার করবো না।(নূরী)
.
–তোর উপকারের গুষ্টি কিলাই যা তো।(আমি)
.
যাক অবশেষে শান্তি।বুদ্ধি আছে বলতে হবে। না হলে কি করে নূরীর বাইচ্ছা কে বোকা বানিয়ে ওর থেকে নিজের পালানোর উপায় বের করে নিলাম।
ভাবছি আজকে রাতে পালাবো কিন্তু না সেটা করবো না আরো কিছুদিন যাক তারপর পালাবো।
.
–ওরে কোন জানোয়ার এত ঠান্ডার মধ্যে গায়ে পানি দিয়ে দিলি।(আমি)
.
–আমি পানি ডালছি তোর গায়ে।(নূরী)
.
–এই কোন সমাজের মেয়েরে তুই। তুই জানিস না শীত কালে পানি মারামারি নিয়ে কত ঝগড়া হয়।(আমি)
.
–তুই জ্ঞান দিতে আসিস না।(নূরী)
.
–এই তুই জ্ঞানের দেখছিস কি।তুই পানি মারলি কেনো আমারে।(আমি)
.
–তুই ঘুমের ঘোরে ফুল কলি ফুল কলি করছিস কেনো।(নূরী)
.
–ফুল কলি ফুল কলি করবো না তো কি নূরী নূরী করবো নাকি।(আমি)
.
–সেটা করলে তো অন্য কিছু দিতাম পানি দিতাম না।(নূরী)
.
— জানোয়ার সর সামনে থেকে। তোর অন্য কিছুর আমার দরকার নাই।(আমি)
.
–ফুল কলিটা কে?(নূরী)
.
–গার্লফ্রেন্ড। (আমি)
.
–ফুল কলি নাকি শুধু কলি।(নূরী)
.
–শুধু কলি।ফুল কলি ডাকি কারন ও ফুলের মতো পবিএ। (আমি)
.
–ওহহহহহ,আচ্ছা। ফ্রেশ হয়ে আয় নাস্তা দিচ্ছি।(নূরী)
.
–আচ্ছা যা আসছি।(আমি)
.
যাক এবার শান্তিতে থাকা যাবে।গার্লফ্রেন্ড আছে শুনে নিশ্চই আর বিরক্ত করবে না সাথে বিয়েটাও ভেঙ্গে যাবে।
প্রবেলম একটাই গার্লফ্রেন্ড আছে বলে নূরী কে না হয় তাড়িয়ে দিলাম কিন্তু আমার তো গার্লফ্রেন্ড নাই গার্লফ্রেন্ড কোথায় পাবো।
নাস্তা করে বের হয়ে হলাম সাথে হারামির দলের সাথে দেখা হয়ে গেলো।যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যা হয়। এই হারামিদের দেখলে আমি ঘোড়ার মতো দৌড়ানি লাগাই।এক মাস হলো ওদের সাথে কোন দেখা নেই কথা নেই ফোন দিলে রিসিভ করি না।ওদের সাথে থাকলে প্রতিদিন সকালে যে আব্বুর পকেট থেকে টাকা চুরি করি সেগুলো ওদের পেটে চলে যায়। এছাড়াও ওদের দ্বারা আরো অনেক কাজ হয় আর সে সব কাজের মাসুল দিতে হয় আমার মতো অবুজ শিশুকে।
এইতো এক মাস আগের ঘটনা হাতির বাইচ্ছা গুলোর সাথে রেস্টুরেন্টএ গিয়েছি কথা ছিলো যার যা ইচ্ছে খাবে কিন্তু নিজের বিল নিজে দিবে।হাতির বাইচ্ছাগুলো ইচ্ছে মতো খাচ্ছে আর আমি হতভাগা হা করে তাকিয়ে আছি। খাওয়া শেষ করে সবাই এক এক করে কেঁটে পড়েছে, আমাকে পাছায় বাঁশ আর হাতে হারিকেন ধরিয়ে দিলো।কি আর করা পাক্কা ৫ হাজার ৩ শত ৩৩ টাকা দিয়ে একটা টিসু চোঁখেরর পানি আর নাকের পানিতে ভিজিয়ে বাড়ি ফিরলাম তারপর থেকে হারামিদের থেকে ১০০ হাত দূরে থাকি।
.
–দোস্ত পালিয়ে যাচ্ছিস কেনো।(জাহেদ)
.
–আরে তোরা হলি আমার জানের প্রানের কলিজার টুকরা দোস্ত তোদের দেখে পালাবো কেনো।(আমি)
.
–তাহেল এক্ষুনি বাড়ির দিকে যাচ্ছিস কেনো মাএ তো বের হলি।(নীরব)
.
–মানিব্যাগ রেখে আসতে যাচ্ছি।তোরা যতই আমার জানের প্রানের কলিজার দোস্ত হও আমার মানিব্যাগের সাথে তোদের কোন সম্পক নেই।(আমি)
.
–আরে পাগল আয় তো তোর মানিব্যাগের উপর কোন চাপ দিবো না। (আরমান)
.
–না ভাই তোদের বিস্বাস নাই।তোরা যেকোন সময় যেখানে সেখানে আমাকে ফাসিয়ে দিতে পারিস।আমাকে ফাসিয়ে দিলেও আমার মানিব্যাগটা তো বেঁচে যাবে।(আমি)
.
–আচ্ছা যা ভাই রেখে আয়।একটু তাড়াতাড়ি আয়। (রাকিব)
.
মানিব্যাগটা বাড়িতে রেখে হারামিদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম আমি বসছি একটা গাছের গুড়ির উপর আর ৬ হারামি বসছে কোমর পযর্ন্ত দেওয়ালের উপর। আমি পশ্চিম দিকে মুখ করে বসছি আর ওরা পূর্ব দিকে। আমি নিচে বসে আছি আর ওরা সবাই দেওয়ালের উল্টো দিকে নেমে গেলো আমি বসে আছি। আমি মনে করছি হয়তো কারো মানিব্যাগ পড়ে গেছে তাই ওটার জন্য নিচে নেমে গেছে।
হঠাৎ করে একটা শব্দ বের হয়ে এলো “”এই সেক্সিরা তোমাদের যা হট লাগছে না””
.
–এই তোরা এটা কাকে বললি।এখানে তো কেউ নাই।(আমি)
.
–বেয়াদব পেছনে তাকা। তোর মতো ছেলেদের জন্য রাস্তায় বের হতেও পারবো না একটু।তোর ঘরে কি মা বোন নাই।(মেয়ে গুলো)
.
–আমি তো আপনাদের কিছু বলি নাই।ওরা বলছে।(আমি)
.
–তুই ছাড়া তো এখানে কাউকে দেখতে পাচ্ছি না।কাদের উপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছিস।(মেয়েরা)
.
–আরে ম্যাডাম আমি আপনাদের তো কিছুই বলিনি।আর আমার বন্ধুরা তো এখানে ছিলো ওরা কিছু বলছে হয়তো।(আমি)
.
–আমাদের কি পাগল মনে হচ্ছে তোর। তোর বন্ধুরা যদি এখানে থাকতো তাহলে ওদের দেখতে পাচ্ছি না কেনো।(মেয়ে)
.
–আরে ওরা তো এক্ষুনি সবাই আমার সাথে ছিলো এখানে আমরা সবাই বসে ছিলাম তারপর হঠাৎ করে ওরা সবাই দেওয়ালের ওপাশে গেলো তারপর তো আপনাদের বকবক করতে হচ্ছে। (আমি)
.
–কোথায় দেওয়ালের ওপাশে তো কেউ নেই।(মেয়েরা)
.
–আরে এটা কি করে হতে পারে ওরা সবাই এখানে ছিলো।(আমি)
.
–সবাই ওকে ধরতো। মেয়েদের ডিস্টার্ব করার শাস্তি কি হতে পারে দেখিয়ে দেয়।
.
উরাধুরা ৩ গাভীর থুক্কু মেয়ের হাতে মার খেয়ে বাড়িতে পৌছালাম।
কলিং বেল বাজাতে নূরী দরজা খুলে দিলো।আমার এমন অবস্হা দেখে হা করে আছে। এমন মার মেরেছে আমার এত শখের নীল শার্ট টা ছিড়ে ফেলছে পুরোটাই।
.
–কিরে তোর এ অবস্হা কে করলো।(নূরী)
.
–আরে আর বলিসনা আজকেও ওরা ফাসিয়ে দিলো।(আমি)
.
–ওরা যেহেতু তোরে বার বার ফাসিয়ে দেয় তাহলে তুই ওদের সাথে থাকিস কেনো।(নূরী)
.
–আরে আমি কি করে জানবো যে আমাকে মেয়ে গুলোর হাতে ছেড়ে দিয়ে সবাই পালিয়ে যাবে আর মেয়েগুলো আমাকে অালু বর্তা বানিয়ে দিবে।(আমি)
.
চলবে

sanam teri kasam part 1

0

@@sanam teri kasam @@
.
পর্ব : (১)
.
লেখক : Abdullah Al Ador mamun (কাল্পনিক লেখক)
.
— ও আম্মু ও আম্মু গেলো রে গেলো আমার নাকটা বুঝি এবার গেলো।(আমি)
.
–কিরে কি হয়েছে চোঁখ খুলতে দেরি কিন্তু তোর চিল্লানি শুরু হতে দেরি হলো না।এত চিল্লাচিল্লি করছিস কেনো। (আম্মু)
.
–আরে রাখ তোমার বক বক আমার নাকটা আগের জায়গায় আছে কিনা দেখ।(আমি)
.
–নাকের আবার কি হলো নাক তো নাকের জায়গায় আছে।(আম্মু)
.
–আম্মু আমার মনে হচ্ছে এই মানব সংসার আমাকে ত্যাগ করে জঙ্গলে গিয়ে থাকতে হবে।(আমি)
.
–কিন্তু কেনো।(আম্মু)
.
–লেজ ছাড়া যেমন বান্দর কে মানায় না তেমনি নাক ছাড়া আমাকেও এই মানব সমাজে মানাবে না।জঙ্গলে গিয়ে হনুমানের সাথে থাকতে হবে।(আমি)
.
–হনুমানের তো নাক আছে।(আম্মু)
.
–আমার নাকটাও হনুমানের মতো হয়ে যাবে চ্যাপটা আকৃতির।(আমি)
.
–তোর নাকটা হনুমানের মতো হবে কি করে।(আম্মু)
.
–কিভাবে হবে তুমি জানো না বুঝি।ঘরের মধ্যে তো একটা শয়তানের বাইচ্ছা আছে ও করবে আমাকে হনুমান। (আমি)
.
–নূরী আবার কি করছে। (আম্মু)
.
–ওই হারামির বাইচ্ছা তো সকাল সকাল আমার নাকের উপর হামলা করে আমাকে হনুমান বানানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।(আমি)
.
–তোর এত বড় সাহস আমার বান্ধবী কে হারামি বলিস।(আম্মু)
.
–তোমার বান্ধবী যদি হারামি না হয় তাহলে ডাইনির মতো মেয়েটি কে কেনো এখানে রাখছে।(আমি)
.
–আমার কপালে মেয়ে নাই তো ৩ টা বান্দর পোলা ছাড়া তাই ওরে আমার মেয়ে করে নিয়ে এসেছি এবং পরর্বতীতে এ বাড়ির বউ হয়ে থাকবে।(আম্মু)
.
–আচ্ছা এটা বল যে কি মনে করে বা কি দেখে তুমি ওর মতো একটা প্রেত্নি কে এ বাড়ির বউ করতে চাইছো।(আমি)
.
–নূরী আমাদের জানা শুনা, বাইরের মেয়ে কেমন হবে কি করে বলবো তাই আগে থেকে ভেবে রেখেছি ও হবে এ বাড়ির বউ।(আম্মু)
.
–নূরীর বাইচ্ছাটা কি জানে ও এ বাড়ির বউ হবে।(আমি)
.
–হুম।(আম্মু)
.
–তোমার ৩ ছেলের মধ্যে কোন ছেলের বউ হবে ওই ফাজিলটা।(আমি)
.
–তোর বউ মানে বাড়ির বড় বউ।(আম্মু)
.
–আম্মু মাংস পুড়ে যাচ্ছে মনে হয় গন্ধ আসছে নাকে।(আমি)
.
–মাংস যদি পুড়ে তোর খবর আছে।(আম্মু)
.
কি ভাবছেন বিয়ের কথা শুনে লজ্জায় মাংস পুড়ো যাচ্ছে বলে আম্মু কে তাড়িয়ে দিছি।
সেটা যদি ভাবেব তাহলে আমি বলবো অযথা ভাবছেন।
এখন শান্তিতে বসে একটু চিন্তা ভাবনা করে কিছুনা কিছু বের করতে হবে।
নূরীর মতো ফাজিল মেয়ে কে বিয়ে করে মৌমাছির মতো জীবনটা নষ্ট করতে চাই না।
পেট শান্তি তো দুনিয়া শান্তি। আগে পেটের মধ্যে দানা পানি দিতে হবে তারপর ভাবতে হবে।
কি একটা বলতে ভুলে যাচ্ছি। কি যেনো মনে পড়ছে না।ওয়াও রুম থেকে ঘুরে আসি যদি মনে পড়ে তাহলে বলবো।
ওহহ মনে পড়ছে মনে পড়ছে, আমার পরিচয় তো জানেন নতুন করে আবার জানিয়ে দিই।আমি আদর।ভার্চুয়াল লাইফে সবাই আদর নামে চিনে।ভার্চুয়ালের বাইরে সবাই আদর এবং মামুন দুই নামে চিনে।খেলার মাঠে সবাই নিলয় নামে চিনে তবে এখন নতুন করে আরেকটা উপাধি যোগ করা হয়েছে লেগি নিলয় (লেগ স্পিনার)
আমরা ৩ ভাই, আব্বু -আম্মু আর সাথে আম্মুর বান্ধবীর মেয়ে নূরী।
.

–আদর ভাইয়া তোরে হবু ভাবি ডাকছে নাস্তা করতে।(রনি)
.
–জানোয়ার জানোয়ার আরেক বার যদি ভাবি ডাকিস না তোর হালুয়া টাইট করে দিবো জানোয়ার। (আমি)
.
জানোয়ার হবু ভাবি বলতে আসছে।আজকে একটা ফয়সালা করতে হবে।
ছোট্র পিচ্ছি ভাইটাও ভাবি ডাকতে শুরু করছে। আরেক জনের তো এখনো পাত্তাই নাই।
মি.ইমন থুক্কু নেতা ইমন।
.
নাস্তা করতে বসলাম সবাই এক সাথে।আমি ছাড়া সবাই মিটিমিটি করে হাসছে।কিছুই বুঝতেছি না।আমাকে কি ওদের পাগল মনে হয় সবার।যদি পাগল মনে করতো তাহলে নূরী কে আমার মাথায় চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতো না এখনে নিশ্চই অন্য কোন মতলব আছে।
.
–খেতে বসছিস খা দাঁত বের করছিস কেনো।(আমি)
.
–আমার দাঁত আমি যা ইচ্ছে তাই করবো তাতে তোর কি।(নূরী)
.
–তুই আমার মুখোমুখি চেয়ারে বসে আমার দিকে তাকিয়ে হাসবি না বলে দিলাম।(আমি)
.
–ভাবির হাসি পাচ্ছে হাসছে তুই রেগে যাচ্ছিস কেনো। (ইমন)
.
–এই বক বক না করে নাস্তা করে বের হও। (আমি)
.
–আব্বু তুমি তাহলে ডেকোরেশনের মালিক হারুন করে বলে দিও।(ইমন)
.
–এই তোরে না বলছি হাসবি না সরে যা আমার সামনের চেয়ার থেকে এটা অন্য কারো নাকে বুক করা আছে।(আমি)
.
–এই বাড়িতে ও ছাড়া যদি অন্য কেউ আসে তাহলে তোরে মেরে ফেলবো।(আম্মু)
.
–আমি মরে গেলে নূরীর কি হবে।(আয় হায় কি বলতে কি বলে দিলাম)
.
–তুই যেহেতু রাজি তাহলে শুভ কাজে দেরি করতে নেই।(আব্বু)
.
–না না শুভ কাজে দেরি করে লাভ কি ১ মাসের মধ্যে সবকিছুই রেড়ি কর।(আমি)
.
তোমাদের শুভ কাজ তোমাদের কে মোবারক আজকে কোন উপায় বের করতে হবে যে করেই হোক।
.
বিকালে ছাদে গোলাপ গাছে পানি দিচ্ছিলাম ঠিক তখনি নূরীর বাইচ্ছাটা লাফিয়ে লাফিয়ে ছাদে এসে সাথে সাথে একটা কালো গোলাপ ছিড়ে নিলো।
আমাকে দেখে ভয়ে চুপশে গেলো।প্রতিদিন একটা করে গোলাপ ছিড়ে ফেলতো।কিন্তু কে এমন করতো জানতাম না।আজকেই সে মহান ব্যক্তি ধরা খেয়েছে।
.
–এই এদিকে আয়।(আমি)
.
–প্লিজ আদর ছেড়ে দেয়।আর কোন দিনও একটাও ফুল ছিড়বো না।(নূরী)
.
–এতদিন তো ঠিকই ছিড়ছো।তখন মনে ছিলো না ধরা গেলে কি অবস্হা করবো।(আমি)
.
–ও গো হবু বর আর কোনদিনও এমন করবো না।(নূরী)
.
–শয়তানের বাইচ্ছা কান ধরে সামনে আয়।(আমি)
.
–কান ধরতে পারি ঠিকই কিন্তু তোর সামনে যাবো না তুই আমাকে মারবি।(নূরী)
.
–যদি না আসিস তাহলে চিকেন রোল বানিয়ে ফেলবো।(আমি)
.
–প্লিজ আদর প্লিজ…(নূরী)
.
–এই কাঁদবি না সোজা সামনে এসে দাড়াবি। (আমি)
.
–মারিস না প্লিজ…(নূরী)
.
–মারবো না যদি একটা উপায় বলে দিতে পারিস তবে বেঁচে যাবি।(আমি)
.
–আমি রাজি।তোর মতো দানবের হাতে মাইর খাওয়ার চেয়ে সমাধান দেওয়া ঠিক হবে।(নূরী)
.
–তোর সমাধান যদি ভুল হয় তাহলে মাইর একটাও মাটিতে পড়বে না সব তোর পিঠে পড়বে।(আমি)
.
–বকবক না করে কি করতে হবে সেটা বল।(নূরী)
.
–শোন একটা ছেলেকে বিয়ে করার জন্য ওর বাবা মা ভাই বোন সবাই জোর করছে।কিন্তু যে মেয়ের সাথে ছেলের বিয়ে ঠিক করা হয়েছে সে মেয়ের সাথে ছেলেটির বনে না তাই ছেলেটি কি করবে ভেবে পাচ্ছে না।এখন তুই বল ছেলেটির কি করা উচিৎ।(আমি)
.
.
চলবে

খেলাঘর পর্ব-৩৫

2

খেলাঘর পর্ব-৩৫
লেখা-সুলতানা ইতি

মিথিলা ভাবছে এতো গুলো দিন পর সে কেনো এলো আমার বাড়িতে যখন তার বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসলাম তখন ও তো সে আমায় ফিরিয়ে নিতে আসেনি তা হলে আজ কেনো?

মিথিলা- উনি কেনো এসেছে কিছু বলেছি কি?

নির্ঝরিণী – অনেক বার জানতে ছেয়েছি উনি বলছে তোমার সাথে কিছু কথা ছিলো,

মিথিলা- আমি এখন পিছনের দরজা দিয়ে বাসায় ডুকবো, তুইগিয়ে বলবি আপু আসে নি ওকে

নির্ঝরিণী – ঠিক আছে, এই আয়ান ব্যাগ গুলো আপুরর সাথে নিয়ে যা তো
নির্ঝরিণী বসার ঘরে ফিরে এলো

ইভান নির্ঝরিণী কে দেখে উঠে দাঁড়িয়েছে
– তোমার আপু এসেছে?

নির্ঝরিণী একটু ইতস্তত করে বল্লো
– না, আপু আসেনি, আমি বলি কি আপনি আজ চলে যান

ইভান- আর একটু অপেক্ষা করি না হয়তো এসে পড়বে তোমার আপু

নির্ঝরিণী আর কিছু না বলে ভেতরে চলে যায়

গত পাঁচ ঘন্টা ধরে বসে আছি অপেক্ষার সময় সত্যি অনেক কষ্টকর কাটতেই চায় না
মিথিলা আমি জানি তুমি বাসায় ফিরেছো শুধু আমার সামনে আসতে চাইছো না, আসলে না আসতে চাওয়া টা ই স্বাভাবিক তোমার সাথে কতো খারাপ বিহেভ করেছি, যার জন্য করেছি তাকে তো পেয়ে সম্পূর্ণ পাইনি,আজ সে আমার সাথে এক ছাদের নিছে থেকে আলাদা রুমে থাকে দুজনের চলার পথ আলাদা হয়ে গেছে, আসলে নায়া কখনো আমায় ভালোবাসেনি একটা লোভী প্রতারক মেয়ে আমি বুঝতে পারিনি ওর মিষ্টি চেহারার পিছনে ভয়ংকর রুপ টা ছিনতে পারিনি
মিথিলা তোমাকে ফিরে আসো এই কথা বলার মুখ আমার নেই কিন্তু ক্ষমা তো ছাইতে পারি অনেক অন্যায় করেছি তোমার সাথে জানি তার ক্ষমা হয়না তবু ও আসলাম,
ইভান আর ও কিছুক্ষন বসে থেকে আয়ান কে ডাকলো

আয়ান- কিছু বলবেন?

ইভান- তোমার আপুকে একটু আসতে বলো

আয়ান- আপু এখন ও আসেনি

ইভান- মিথ্যা বলছো কেনো মিথিলা অনেক আগে ই এসেছে

আয়ান- তা হলে নিশ্চয়ই এতোক্ষনে আপনার বুঝে যাওয়ার কথা আপু আপনার সাথে দেখা দিতে চায় না

ইভান- বুঝতে ফেরেছি আয়ান,তবুও প্লিজ তোমার আপু কে একটু বুঝিয়ে বলো না

আয়ান- স্যরি আমরা আপুর ছোট হয়ে তাকে কি বুঝাতে যাবো আমাদের ছেয়ে অনেক বেশি জ্ঞান আপু রাখে সো বুঝতেই পারছেন

ইভান আর কিছু বল্লো না, ভাবছে চার বছর আগের কথা, তখন এই বাড়িতে এলে পিচ্ছি দুই টা দুলাভাই দুলাভাই করে পাগল করে দিতো আজ ওরা মনে হয় দুলাভাই বলে ডাকতে ও ভুলে গেছে, খুব অন্যায় করেছি আমি তাদের সাথে তাদের বোনের সাথে ইভান নিশ্চুপ উঠে বেরিয়ে গেলো মিথিলা আসবে না বুঝে গিয়েছে

আয়ান আর নির্ঝরিণীর এক্সাম শেষ দুজনেই এখন ফ্রি সময় পার করছে,
মিথিলা- আয়ান নির্ঝর তোরা দুজনেই তো এখন ফ্রি আছিস,আমি চাই তোরা এই অবশর সময়ে বসে না থেকে কম্পিউটার শিখ

আয়ান- আপু কম্পিউটার শিখতে গেলে অনেক টাকা লাগবে

মিথিলা- চিন্তা নেই পরশু থেকে জবে জয়েন করবো, কম্পিউটার খরচ দিতে পারবো

নির্ঝরিণী – আপু আমার কম্পিউটার শিখতে মন চায় না

মিথিলা- তা হলে তুই কি করতে চাস

নির্ঝরিণী – আপু আমি গান টা কন্টিনিউ করতে চাই,

মিথিলা ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে রইলো নির্ঝরিণীর দিকে

মিথিকার তাকানো দেখে নির্ঝরিণী ভয় পেলে ও অনেক সাহস সঞ্চয় করে বল্লো
– প্লিজ আপু রাগ করিস না,আমার খুব ইচ্ছে নিজে কিছু করার আর দেখ না আপু আমি তো গান গাইতে পারি সবাই আমার গানের প্রশংসা করে,প্লিজ আপি একটা সুযোগ দে না আমায়

মিথিলা গম্ভীর কন্ঠে বল্লো বাবা মা বেছে থাকলে কি করতো আমি জানি না তবে গান করা টা আমার মনে হয় উনারা পছন্দ করতেন না
তুই এখন বড় হয়েছিস অনেক কিছুই বুঝতে শিখেছিস, খুব কঠিন সময় পার করেছি, কঠিন
সময় টা কিন্তু এখন ও কাটেনি, সো আমার কিছু বলার নেই তোর যা ইচ্ছে কর তার পর আয়ানের দিকে তাকিয়ে বল্লো কিরে তোর ও কি কম্পিউটার শিখতে আপত্তি আছে?

আয়ান- না আপি আমার কোন প্রব্লেম নেই

মিথিলা – ওকে তোরা যা এখন আমার একটু কাজ আছে

নির্ঝরিণী মুখ ভার করে বসে আছে

আয়ান- এমন পেত্নীর মতো মুখ করে বসে আছিস কেনো? আপু তো বলেই দিয়েছে তোর যা ইচ্ছে করতে আপুর কোন আপত্তি নেই

নির্ঝরিণী – আপু তো বলেছে কিন্তু আমি জানি আপু মন থেকে আমার গানের ব্যাপার টা মেনে নেয়নি

আয়ান- তাতে কি তুই যখন গান গেয়ে সাকসেস হবি লোকে তোকে ছিনবে, যখন আপু রাস্তায় বের হলে সবাই বলবে ঐ দেখ শিল্পী নির্ঝরিণীর বোন যাচ্ছে তখন আপু ঠিক ই ফ্রাউড ফিল করবে দেখিস

নির্ঝরিণী শুকনো মুখ করে বল্লো
– বলছিস তুই?

আয়ান- হুম

নির্ঝরিণী – ভাই তুই পাশে আছিস তো

আয়ান- অবশ্যই,

নির্ঝরিণী – ওকে তা হলে কাল ই আমি গানের স্কুলে যোগাযোগ করবো

আয়ান- এতো তাড়া তাড়ি কি করে করবি?

নির্ঝরিণী – কাউকে বলবি না তো?

আয়ান- না

নির্ঝরিণী – আপুকে ও বলতে পারবি না

আয়ান- তুই সত্যি করে বলতো তুই কার কথা বলতে চাইছিস

নির্ঝরিণী – আয়াপ খানের কথা উনার পার্সোনাল নাম্বার দিয়েছে আমাকে,বলেছে উনার সাথে বললে উনি সব ঠিক করে দিবে

আয়ান- ওকে তোর যা ইচ্ছে

আজ মিথিলার অফিসের প্রথম দিন মিথিলা অফিসে যেতেই ম্যানেজার বল্লো
আফরিনা ম্যাডাম বসস আপনাকে এসেই দেখা করতে বলেছে

মিথিলা- বসস এসে গেছে? এতো তাড়াতাড়ি

ম্যানেজার- জ্বী ম্যাডাম বসস টাইমের ব্যাপারে খুব ফাংচুয়াল,

মিথিলা- ওহ,ঠিক আছে আমি যাই তা হলে

মিথিলা বসের ক্যাবেনি ডুকার জন্য অনুমতি ছেয়ে নক করলো

ভেতর থেকে একটা শব্দ এলো ইয়েস কাম

মিথিলা ভেতরে যেয়ে দেখলো একজন লোক পিছনে ফিরে বসে আছে চেয়ারের জন্য লোক টার পিছনের অংশ ঠিক করে বুঝা যাচ্ছে না

– বসো মিথিলা

মিথিলা বসলো কিন্তু ভয়েজ টা তার কেমন চেনা চেনা, ইন্টার্ভিউ দিতে এসে যার সাথে কথা বলে ছিলো ইনি সে না, কিন্তু ভয়েজ টা আগে কোথাও শুনেছে মনে হচ্ছে,মিথিলা মনে করার চেষ্টা করছে অপর পাশের মানুষ টা কে হতে পারে

-মিসেস আফরিনা মিথিলা আপনি কি এখন ও বই পড়তে ভালোবাসেন?

মিথিলা চমকে উঠলো কথা টা শুনে তার আর বুঝতে বাকি রইলো না ঐ পাশের মানুষ টা কে?
– ইহান তুই?

চেয়ার গুরিয়ে মিথিলার দিকে ফিরে মুচকি হেসে বল্লো
– ইয়েস আমি, ইহান চৌধুরী ছিনতে ফেরেছেন তা হলে

মিথিলা সংগে সংগে উঠে দাড়ালো
– এই অফিস টা তোর?

ইহান- হুম এতে অবাক হওয়ার কি আছে, তুই তো আমার আব্বুকে ও ছিনিস না তাই তুই কালকে সুন্দর ভাবে তার সাথে কথা বলছিলি

মিথিলা- তুই সব শুনেছিস

ইহান- আরেহ কাল তো আমার ই ইন্টার্ভিউ নেয়ার কথা ছিলো,কিন্তু রিসেপশন রুমে তোকে বসে থাকতে দেখে আমি বুঝে নিয়েছি সব বাবার সাথে তোর সব কথা ই আমি শুনেছি

মিথিলা – তা হলে তোর কথাতে চাকরী হয়েছে

ইহান- আমার কথায় নয়, আমি বাবা কে কিছু বলিনি যখন বাবা ই তোকে চাকরী টা দিয়েছে কিন্তু অগ্রিম স্যালারী দিতে রাজি হয়নি তখন আমি একটু হেল্প করেছি এইটুকু ই

মিথিলা- ওহ

ইহান- প্লিজ মিথিলা আমাকে ভুল বুঝে জব টা চাড়িস না

এতো কষ্টে একটা জব পেলাম তা ও ইহানের চোখের সামনে থাকতে হবে সারাক্ষন, কিন্তু জব টা ছাড়লে হবে না নির্ঝরী গান শিখতে চায়, অনেক টাকা লাগবে, নিজের জন্য না হোক ভাই বোনের জন্য হলেও আমায় এই টুকু মানতে হবে

ইহান- কিরে কি ভাবছিস

মিথিলা- না কিছু না,আপাদত আমার কাজ টা আমায় বুঝিয়ে দে

ই্হান- ওকে এই ফাইল গুলো দেখ

ফাইল দেখেই মিথিলা মাথা গুরে গেলো কি করবো এখন, কি করতে হবে এগুলা নিয়ে

ইহান- এগুলার মাঝে কিছু হিসেব আছে,হিসেব গুলো ঠিক আছে কি না দেখ

মিথিলা অবাক হয়ে তাকালো ইহানের দিকে আজ ও ইহান আমার মনের কথা বুঝতে পারে

ইহান- কিরে কি হলো যা,না থাক এখানে বসেই দেখ, যেটা না বুঝবি আমাকে বলবি আমি বুঝিয়ে দেবো

ইহানের কথায় মিথিলার স্মৃতির পাতায় তার শ্বাশুড়ির বলা একটা কথা ভেসে উঠে
– ইভু বউমা কিছু না বুঝলে তুই তাকে বুঝিয়ে দিস, আফটার অল তুই তার স্বামি,কিন্তু মানুষ টা সেদিন কোন মূল্য দেয়নি আমাকে,
মিথিলা মনের সাথে আরেক বার যুদ্ধ করে ফাইলে মনোযোগ দিলো

হ্যালো আয়াপ খান বলছেন? ওহ হা আমি নির্ঝরিণী

আয়াপ খান- হেই কোকিলা, ফোন করলে তা হলে আমায়

নির্ঝরিণী – হুম,আসলে আপনি যে বললেন গানের ব্যাপার হলে যে কোন হেল্প করবেন আমাকে তাই ফোন করা

আয়াপ,খান- হুম,বলো,আমি কি করতে পারি তোমার জন্য

নির্ঝরিণী – আমি গানের স্কুলে ভর্তি হতে চাই

আয়াপ খান- আরেহ তুমি তো গান পারো ই তা হলে গান শিখার কি দরকার,তোমার ভয়েজ দারুন

নির্ঝরিণী – না তবু ও আরেকটু শিওর হয়ে নেয়া ভালো

আয়াপ খান- ঠিক বলেছো,আমি কাল এসে তোমায় নিয়ে যাবো

নির্ঝরিণী – না না আপনার আসার দরকার নাই আপি দেখলে বকবে,আপনি ঠিকানা বলুন আমি আসছি আপনার কাছে

আয়াপ – ওকে ডিয়ার, আমি তোমায় একটা মেসেজ করবো, বাই

অফিসছুটির পর মিথিলা দাঁড়িয়ে আছে রিক্সার জন্য
এমন সময় ইহান গাড়ি নিয়ে এসে বল্লো
কিরে- দাঁড়িয়ে আছিস যে আয় আয় তোকে নামিয়ে দিবো যাওয়ার পথে

মিথিলা- থাক দরকার নাই, আমি রিক্সায় যেতে পারবো

ইহান- আরেহ আয়না,এখন ও আগের মতো ই ঘাড় তেড়া ই আছিস
মিথিলা আর কিছু না বলে গাড়িতে উঠে বসলো
দুজনেই চুপ নিরাবতা ভেংগে মিথিলা বল্লো
– অরণির সাথে যোগাযোগ আছে?

ইহান মিথিলার দিকে তাকিয়ে বল্লো
– ভুলতে পারিসনি অরণি কে তাই না

মিথিলা- আজ ও বুঝি ক্ষমা করতে পারিস নি

ইহান তাচ্ছিল্য হাসি হেসে বল্লো
– তোর সাথে আগের মতো কথা বলে ভেবে ভাবিস না তোকে ও ক্ষমা করে দিয়েছি

মিথিলা অবাক চোখে তাকিয়ে আছে ইহানের দিকে

ইহান আবার বল্লো- মৃত্যুর আগে ও তোরা দুজন ক্ষমা পাবি না

মিথিলা – তা হলে আমাকে হেল্প করছিস কেনো?

ইহান- কারো বিপদে পাশে দাড়ানোর মানে এই নয় তার সব অন্যায় মাপ হয়ে গেছে

মিথিলা আর কিছু বল্লো না,আসলে বলার সাহস তার হয়নি

বেশকিছু সময় পর মিথিলা বল্লো
– শুনেছি অরণি খুব অসুস্থ আমেরিকা সিটি হোসপিটালে ভর্তি আছে

ইহান- খোজ রাখার প্রয়োজন নেই

মিথিলা -এবার তো অরণি কে ক্ষমা কর মেয়েটা তোকে সত্যি অনেক ভালোবাসে,

ইহান হঠ্যাৎ করে হার্ড ব্রেক করে গাড়ি থামিয়ে বল্লো গেট লস্ট

মিথিলা- মানে এখন ও তো অনেক দূর আমার বাসা

ইহান- হোক দূরে তুই নাম,নাম বলছি
মিথিলা আর কিছু না বলে চুপ চাপ গাড়ি থেকে নেমে গেলো
ইহান গাড়ির স্প্রিড বাড়িয়ে চলে গেলো

মিথিলা যাক ভাভা এমন করলো কেনো,নিজেই সেধে গাড়িতে উঠতে বল্লো নিজেই নামিয়ে দিলো এখন তো কোন রিক্সা পাবো না হেটেই যেতে হবে
মিথিলা হাটছে আন মনে

চলবে
ভুক ক্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন

খেলাঘর পর্ব-৩৪

0

খেলাঘর পর্ব-৩৪
লেখা-সুলতানা ইতি

নাক ফুল বিক্রি করে সেদিন মাছ ভাতের ব্যাবস্থা করলো রাতে সবাই তৃপ্তি করে খেলো কিন্তু দুজনের একজন ও জিজ্ঞাস করেনি,মাছ আনতে টাকা কোথায় পেলো কিন্তু এতে মিথিলার কোন আফসোস নেইই
তার ভাই বোনের খুশির জন্য সব করতে পারে

পরদিন আয়ান নির্ঝরিণী বেরিয়ে যাওয়ার পর
মিথিলা বেরিয়ে গেলো একটা চাকরীর ইন্টার্ভিউ দিতে

অনেক্ষন সময় ধরে রিসেপশন রুমে বসে থাকার পর মিথিলার ডাক পড়লো
ইন্টার্ভিউ নিচ্ছে একজন মাত্র ব্যাক্তি বয়স তার ৫০-৫৫ কাছা কাছি এমন কিছুই হবে মাথা কাচা পাকা চুল দেহের গড়ন শক্ত সামর্থ্য বয়স যে এতো হয়েছে দেখে বুঝার উপায় নেই ইনি হচ্ছেন চৌধুরী গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রির এমডি রায়হান চৌধুরী

মিথিলা- মে আই কামিন

রায়হান চৌধুরী- ইয়েস

মিথিলা যেতেই তিনি তাকে বসতে দিলেন
তিনি মিথিলার সার্টিফিকেটে একবার চোখ বুলিয়ে বল্লো,,
এইচ এস সি কমপ্লিট করা জব তো এটা না এখানে ডিগ্রী মাস্টার্স কমপ্লিট কারী কে নিয়োগ দেয়া হবে,আপনি বিজ্ঞাপন টা ঠিক করে পড়েননি

মিথিলা বিনয়ের সাথে বল্লো
– জ্বী স্যার বিজ্ঞাপন টা আমি পড়েছি, পার্সোনাল অ্যাসেসন্ট ছেয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছেন
আর আমি মনে করি একজন এইচ এস সি কমপ্লিট ব্যাক্তি একজন এমডির পি,এস হওয়ার যোগ্যতা রাখে

রায়হান চৌধুরী- কি করে সম্ভব এটা আমাকে বুঝান

মিথিলা বিনয়ের সাথে আবার ও বলতে শুরু করলো
– একজন লোকের যোগ্যতা প্রমান হয় তার কাজে, এদিকে দেখতে গেলে একজন মাস্টার্স কমপ্লিট কারি লোকের কাজের ছেয়ে একজন এইচ এস সি কমপ্লিট কারির কাজের দিকে এগিয়ে যেতে পারে আবার না ও যেতে পারে,পুরোটা নির্ভর করে ব্যাক্তির কনসেন্ট্রেশন এর উপরে যে যার কাজ যতো মন দিয়ে করবে সে তত এগিয়ে যেতে পারবে,

রায়হান চৌধুরী মুগ্ধ হয়ে মিথিলার কথা গুলো শুনছে মেয়েটা ভুল কিছু বলেনি সার্টিফিকেট দেখে মনে হচ্ছে মেয়েটা পড়াশুনায় অনেক ভালো ছিলো কিন্তু ওর কথা শুনে মনে হচ্ছে শুধু পড়াশুনা নয়, কথায় ও খই ফুটাতে জানে

রায়হান চৌধুরী কে চুপ করে থাকতে দেখে মিথিলা বল্লো,স্যার আমি কি কিছু ভুল বলেছি

রায়হান চৌধুরী- না আপনি ভুল কিছু বলেননি আচ্ছা আমার আরেক টা প্রশ্নের উত্তর দিন একজন এমডির পি এস কে অনেক ধরনের কাজ করতে হয় সেটা অনেক কঠিন কাজ ও হতে পারে আবার নর্মাল ও হতে পারে আবার দেখা যায় যে বাড়ি ফিরতে ফিরতে অনেক রাত হয়ে গেছে, সেখানে একজন ছেলের প্রব্লেম হওয়ার কথা নয় কিন্তু একজন মেয়ের অনেক প্রব্লেম আসার কথা,তা হলে আপনি মেয়ে হয়ে এই কাজ করতে পারবেন?

মিথিলা খুব স্ট্রোং ভাবে বল্লো
– স্যার আমার মনে হয় এই প্রশ্ন টা আমার কাজের সাথে সম্পর্কিত না,তবু ও আমি আপনার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি, আমাদের সরকার নারী পুরুষের সমান অধিকার দিয়েছেন, তা হলে একজন ছেলের কাজ মেয়ে কেনো করতে পারবে না, আর একজন মেয়ের কাজ ছেলে কেনো করতে পারবে না,তা হলে সমান অধিকার দিয়েছে কেনো,আসলে স্যার সব কিছুর জন্য প্রয়োজন সাহসের, একজন ভিতু লোক মুখে মুখে ছেলে মেয়ের সমান অধিকার দাবি করলে ও কাজে প্রমান করতে পারবে না,

রায়হান চৌধুরী আবার মুগ্ধ হলো
– ঠিক আছে তুমি বাইরে যাও গিয়ে বসো, প্রয়োজনে তোমাকে ডাকা হবে

মিথিলা সালাম দিয়ে উঠে দাঁড়ালো বাইরে বসে বসে ভাবছে জব টা হবে তো? এই জব টা না হলে কি করবো আমি

প্রায় তিন ঘন্টা বসে থাকার পর মিথিলার আবার ডাক পড়লো

মিথিলা ভিতরে গিয়ে বসলো
মিথিলার সামনের চেয়ারে বসা লোক টা হাসি হাসি মুখ করে বল্লো
– আমি অনেক ভেবেছি তার পর মনে হলো তুমি আসলে চাকরী টা পাওয়ার যোগ্য,কিছু মনে করো না তুমি আমার মেয়ের বয়সী হবে তাই তুমি করে বললাম

মিথিলা- ইটস ওকে স্যার

রায়হান চৌধুরী- এই নাও এটা তোমার এপারমেন্ট লেটার, আগামি মাসের প্রথম তারিখ থেকে তুমি জয়েন করবে

মিথিলা আগেই সব কথা মনে মনে গুছিয়ে রেখেছিলো তাই বলতে শুরু করলো
– কিছু মনে করবেন না স্যার আসলে জব পেয়ে আমি সত্যি খুব খুশি আর ও খুশি হতাম যদি আমার প্রথম মাসের স্যালারী টা অগ্রিম দিতেন

রায়হান চৌধুরী অবাক হয়ে তাকালো মিথিলার দিকে
মিস আফরিনা মিথিলা এটা কিন্তু আমাদের রুলসে নেই

মিথিলা- হতে পারে স্যার তবু ও এই মুহুর্তে আমার টাকার খুব দরকার তাই বলেছি, আসলে আমার মা একটা কথা সব সময় বলতেন,পেটে খিধা মুখে লাজ রেখে লাভ নাই,,তাই আমি বলেছি এখন পুরোটা আপনার ব্যাপার

এমন সময় রায়হান চৌধুরীর অফিস টেলিফোন এ একটা জরুরী কল আসে টেলিফোনে কথা বলা শেষ করে
মিথিলার দিকে তাকিয়ে বল্লো
– মিস আফরিনা মিথিলা আমি তোমার কথা টা মেনে নিলাম,আমি অফিসের একাউন্টার কে বলে দিচ্ছি তুমি যাওয়ার সময় টাকাটা নিয়ে যেও তোমাকে এখন তোমার স্যালারি থেকে অগ্রিম অর্ধেক স্যালারি দেয়া হচ্ছে পুরো টা তোমার কাজ দেখার পর দিবো

মিথিলা খুশি হয়ে বল্লো
– ওকে স্যার, সেটা ই ভালো

মিথিলা আজ খুশি মনে বাড়ি ফিরলো আসার সময় মার্কেট হয়ে আসলো,, ঘরের প্রয়োজনীয় সব কিছু নিয়ে বাড়ি ফিরলো

ততক্ষনে আয়ান নির্ঝরিণী ও ফিরেছে
মিথিলা- নির্ঝরী এগুলা ভিতরে নিতে আমাকে একটু হেল্প কর

মিথিলার কথা মনে হয় নির্ঝরিণীর কান অব্দি পৌছয়নি
মিথিলা- কিরে শুনতে পাচ্ছিস না

নির্ঝরিণী – আপু দুলা ভাই এসেছে

মিথিলা ভ্রুকুচকে নির্ঝরিণীর দিকে তাকিয়ে বল্লো
– কোন দুলা ভাই?

নির্ঝরিণী – আমাদের মেঝো দুলা ভাই

মিথিলা – মানে ইভান চৌধুরী?

নির্ঝরিণী – হুম,

মিথিলা ভাবছে এতো গুলো দিন পর কেনো সে কেনো এলো আমার বাড়িতে যখন তার বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসলাম তখন ও তো সে আমায় ফিরিয়ে নিতে আসেনি তা হলে আজ কেনো?

চলবে-
ভুল ক্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন

খেলাঘর পর্ব-৩৩

0

খেলাঘর পর্ব-৩৩
লেখা- সুলতানা ইতি

এর মাঝে নির্ঝরিণী এসে যায়,বাসায় এসে আয়ানের কাছে সব কথা শুনে নির্ঝরিণী ভয় পেয়ে যায়, আপু তো এমন কখনো করে না আজ তা হলে কি হলো,আমাকে আনতে যাবে বলে তা ও গেলো না, কি হয়েছে আপুর
নির্ঝরিণী অনেক্ষন মিথিলার রুমের দরজায় নক করলো তার পর কোন রেসপন্স না পেয়ে ঘুমাতে চলে গেলো

মিথিলার নির্ঘুম রাতের মাঝে আর ও একটি রাত জমা হলো, ঘুমের যে তার সাথে শক্রুতা হয়েছে অনেক আগেই

সকাল বেলা মিথিলা ভাই বোনদের নাস্তা বেড়ে দিচ্ছিলো
নির্ঝরিণী আপু কাল রাতে তোমায় এতো ডাকলাম তুমি শুনলে না যে

মিথিলা- ওহ ডেকেছিস নাকি খেয়াল করিনি
নির্ঝরিণী অবাক হলো আপু তো এমন না
কি হয়েছে তার আমি কাল রাতে কখন ফিরেছি কার সাথে ফিরেছি সেটা ও জানতে চাইলো না
– আপু তুমি কি অসুস্থ?

মিথিলা- না আমি ঠিক আছি,আচ্ছা তোদের ফরম ফিলাপ কখন হবে

আয়ান- আর বেশি দিন নেই,কেনো

মিথিলা- এমনি জানতে চাইলাম আর কি

নির্ঝরিণী – আপু আজ তুমি স্কুলে যাবে না, মানে রেডি হচ্ছো না যে

মিথিলা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বল্লো
– নারে যাবো না চাকরী টা আর নেই

আয়ান আর নির্ঝরিণী দুজনেই অবাক চোখে তাকিয়ে আছে মিথিলার দিকে তা হলে কাল রাতে আপুর মন খারাপের কারন এটাই ছিলো

মিথিলা- তোরা কোন চিন্তা করিস না, আরেক টা চাকরী ঠিক পেয়ে যাবো

শুধু টিউশনি দিয়ে সংসার চালাতে পারছে না মিথিলা নানান জায়গায় ইন্টার ভিউ দিয়ে লাভ হয়নি,মোটা টাকা আর মামা আংকেলের অভাবে আজ কাল চাকরী হয় না
চিন্তায় মিথিলার নাওয়া খাওয়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে

তার উপর আয়ান আর নির্ঝরিণী জানালো আগামি পাচ দিনের মধ্যে পরিক্ষার ফি জমা দিতে হবে কই থেকে যে কি করবে
মিথিলা বসে বসে ভাবছে

এর মাঝে নির্ঝরিণী এসে বল্লো
-আপু কি এতো ভাবছিস বল,,টাকা না দিতে পারলে পরীক্ষা দিবো না তবুও তুই এমন মন মরা হয়ে থাকিস না

মিথিলা বোনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বল্লো
– নারে পাগলি সেই সব চিন্তা করছি না, এমনি একটা জব তো যোগাড় করতে হবে তাই না

নির্ঝরিণী – আপু আমি তো খুব ভালো গান পারি না মানে সবাই বলে,তুমি চাইলে আমি আমার গান দিয়ে একটা চেষ্টা চালাতে পারি

মিথিলা ভ্রু কুঁচকে তাকালো নির্ঝরিণীর দিকে
মিথিলার তাকানো দেখে নির্ঝরিণী ভয় পেয়ে গেলো
মিথিলা- ঐ ছেলেটার সাথে কি তোর যোগাযোগ আছে নাকি

নির্ঝরিণী ভয়ে মিথ্যা বললো কই না তো, আমি তো গানের কথা তোমায় এমনি বলেছি

মিথিলা- আর কখনো যেন তোর মুখে এই সব না শুনি এখন যা

এই মাসে সব গুলো টিউশনির টাকা এক করে ও
কোন লাভ হয়নি আর ও কিছু টাকা বাকি থেকেই যায়

আয়ান- আপু আসবো?
মিথিলা – হুম আয়

আয়ান কোন ভনিতা না করেই বল্লো
-আপু তোমার দেয়া টিফিনের টাকা থেকে কিছু টাকা আমি জমিয়েছি প্রায় আটশো হবে,

সেগুলা তোমার টিউশনির বেতনের সাথে যোগ করে দেখো কতো হয়,আমাদের দুজনের পরীক্ষার ফি হয় কি না

মিথিলা অবাক হয়ে ভাইকে দেখে আবার গভীর মমতায় কাছে টেনে নিলো

মিথিলা- পাগল ভাই আমার ঐ টাকা টা তোর কাছেই রাখ, আসা যাওয়ার খরচ লাগবে না

আয়ান- তা হলে তুমি কোথা থেকে দিবে

মিথিলা- বিয়েতে আব্বুর দেয়া সোনার চেন টা বিক্রি করে দিয়েছি আজকে বিকেলের মধ্যে টাকা টা হাতে চলে আসবে

আয়ান- কিন্তু আপু চেন টা তো তোমার খুব প্রিয়ো

মিথিলা- আমার ভাই বোনের থেকে প্রিয়ো নিশ্চই নয়

আয়ান কিছু বলতে যাবে…
মিথিলা আয়ান কে থামিয়ে বল্লো আর কোন কথা নয় যাও পড়তে বসো
আয়ান চুপচাপ উঠে গেলো

আয়ান আর নির্ঝরিণীর পিছনে সব টাকা খরচ হয়ে গেছে,এখন সংসারের নিত্য দিনের খরচ চালাতে হিম সিম খাচ্ছে মিথিলা,আজ পাঁচ দিন থেকে ডাল আর কাচা মরিচ দিয়ে ভাত খেতে খেতে বিরক্ত হয়ে গেছে আয়ান,

নির্ঝরিণী ও বিরক্ত কিন্তু তবু ও কিছু বলছে না, কি বা বলবে বোন কে আর ছাপ দিতে চায় না তাই মুখ বুজে সহ্য করছে কিন্তু আয়ান চুপ থাকেনি
– আপু আমি আর এই সব খেতে পারছি না

মিথিলা- একটু কষ্ট কর, দু একটা জবের ইন্টার্ভিউ দিয়েছি দেখি কি হয় তার পর আর এসব খেতে হবে না

আয়ান- তুই জানিস আমি মরিচ খেতে পারি না

নির্ঝরিণী – ভাই একটু সহ্য করলে কি হয় বল,আপু একা হাতে কয়দিক সামলাবে বল,আমরা দুজন কি পারি আপু কে হেল্প করতে

আয়ান – ধূর ভালো লাগে না,ভাতের প্লেট রেখে উঠে যায়

নির্ঝরিণী – ভাই সামনে খাবার রেখে উঠে যেতে নেই

মিথিলা – থাক বাদ দে নির্ঝর, দেখি রাতের জন্য ভালো কিছু আনতে পারি কি না

মিথিলা ও খাবার অসম্পূর্ণ রেখে উঠে যায় মন টা তার ভিষন খারাপ কি করবে সে, আয়নার সামনে দাড়াতেই নিজের নাক ফুলের দিকে নজর পড়ে মুহুর্তেই চোখ টা আনন্দে চিক চিক করে উঠে মিথিলা
আর দেরি না করে নাক ফুল খুলে নিয়ে বেরিয়ে গেলো,,নাক ফুল বিক্রি করে সেদিন মাছ ভাতের ব্যাবস্থা করলো
রাতে সবাই তৃপ্তি করে খেলো কিন্তু দুজনের একজন ও জিজ্ঞাস করেনি,মাছ আনতে টাকা কোথায় পেলো কিন্তু এতে মিথিলার কোন আফসোস নেই
ভাই বোনের খুশিই তার খুশি

চলবে
ভুল ক্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন