sanam teri kasam part 5

0
2602

@@ sanam teri kasam @@
.
পর্ব : (৫)
.
লেখক : Abdullah al ador mamun(কাল্পনিক লেখক)
.
–তাহলে তোরা এমন করছিস কেনো।কোথায় আমাকে পালাতে হেল্প করবি তা না করে সবাইকে বলে বেড়াচ্ছিস।(আমি)
.
–তুই ভাবলি কি করে তোরে আমরা হেল্প করবো। (জাহেদ)
.
–কেনো হেল্প করবি না, আমি তোদের বন্ধু না।(আমি)
.
–বন্ধুতো কিন্তু তুই এখন আমাদের উপকার করছিস। এখন যদি তোরে পালাতে হেল্প করি তাহলে আমাদের লোকসান হবে।(জাহেদ)
.
–তোদের কথা আমি কিছুই বুঝতেছি না।(আমি)
.
–দাড়া আমি বুঝিয়ে দিচ্ছি তোরে।তুইই যদি এখন বিয়ে করে নিস তাহলে আমাদের রাস্তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।তোর পরে আমাদের বিয়ের সিরিয়াল। তুই বিয়ে করে নিলে আমাদের বিয়েও তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে।তোর বিয়ের দোহাই দিয়ে আমরাও সিঙ্গেল থেকে জোড়া হয়ে যাবো।তাছাড়া এতদিন পর একটা বিয়ের দাওয়াত পেলাম কব্জি ডুবিয়ে খাবো কিন্তু তুই পালিয়ে গেলে সেটা আর হবে না। তাই আমরা তোরে কোন হেল্প করবো না।(রাকিব)
.
–তোদের সুবিধার জন্য আমারে বলির ফাঠা বানিয়ে দিলি।(আমি)
.
–দোস্ত এছাড়া আর কোন উপায় ছিলো না। (জাহেদ)
.
–দূর, তোদের গুষ্টিরপিণ্ডি। তোদের আমি দাওয়াত দিই নাই তোরা এবার যেতে পারিস তোদের মতো হারামিদের আমার দরকার নাই।(আমি)
.
–আমরা তো কেউ যাবো না রে দোস্ত আমরা এখন সবাই ঘুমাবো।(নীরব)
.
–কেনো যাবি না তোরা।(আমি)
.
–আমি ওদের সবাইকে এবং ওদের পরিবার কে দাওয়াত দিছি।(আব্বু)
.
–কি উপলক্ষে দাওয়াত দিছো।(আমি)
.
–কেনো, তোর বিয়ের দাওয়াত দিছি।(আব্বু)
.
–আমি তে বিয়ে করবো না। (আমি)
.
–তুই করবি না তোর বাপ করবে বিয়ে।(আব্বু)
.
–আম্মু শুনছো আব্বু বিয়ে করবে বলছে আমি করবো না বিয়ে।(আমি)
.
–চুপ বেয়াদব পোলা।নূরী তুই বান্দর পোলাটারে নিয় যা।(আম্মু)
.
–না আম্মু আমি নূরীর রুমে যাবো না।আমি আমার রুমে ঘুমাবো ঠান্ডা লাগছে।(আমি)
.
–সেটা হচ্ছে না চান্দু। তোরে একা ছাড়লে তুই আবার পালাতে পারিস তাই তোরে নূরীর সাথে থাকতে হবে। (আব্বু)
.
–এটা অন্যায় আব্বু।বিয়ের আগে আমি ওর সাথে থাকবো না।(আমি)
.
–কোনটা ন্যায় আর কোনটা অন্যায় সেটা আমরা বুঝবো বাবা তুমি নূরীর সাথে উপরে যাও।(আঙ্কেল থুক্কু শ্বশুড়)
.
–না আমি যাবো না।(আমি)
.
–বাপ তুইতো মেহেদী পড়িস নাই নূরীর সাথে যা ও মেহেদী পড়িয়ে দিবো। (আম্মু)
.
–আমি মেহেদী পড়বো না।(আমি)
.
–তোরা হা করে কি দেখছিস বান্দরটাকে নূরীর রুমে দিয়ে আয়।(আম্মু)
.
বুঝো ঠেলা এবার কি করবো।কিছুই বুঝে উঠার আগে আমারে সবাই আমারে তুলে নিয়ে বিয়ের আগে বাসর করতে পাঠিয়ে দিলো।
বিয়ের আগে বাসর হয়ে যাচ্ছে বলে খুশিতে নাচবো নাকি বিয়ে করবো না বলে কাঁদবো কিছুই বুঝতেছি না।
একটু পরে নূরী এসে রুমে ডুকলো।
ওকে দেখে কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়লাম।
কিছুক্ষণ দাড়িতে দেখে নূরী আমার পাশে শুয়ে পড়লো।

কম্বল নিয়ে টানা টানি শুরু করে দিছে।আর কতক্ষণ সহ্য করবো মুখ বুঝে।
.
–কম্বলটা ছাড় বলবি নূরী। (আমি)
.
–তোর কথা মতো হবে নাকি সবকিছু। (নূরী)
.
–আমার কথা মতো হবে মানে। ১০০ বার হতে হবে,কারন তুই আমারে টেনে হিছড়ে তোর রুমে নিয়ে আসছিস সো আমি যেটা বলবো সেটা হবে।(আমি)
.
–তারমানে এ নয় যে আমি কম্বল গায়ে দিতে পারবো না।(নূরী)
.
–না পারবি না। আমি একা গায়ে দিবো তুই নিচে গিয়ে ঘুমা।(আমি)
.
–নিচে ঘুমাবো বলে তো তোরে নিয়ে আসিনি তোর বুকে মাথা রেখে ঘুমাবো বলে তোরে আমার রুমে নিয়ে আসছি।(নূরী)
.
–তুই তো একটা ছোটখাটো হাতি। তুই আমার উপরে উঠলে আমিতো পটল তুলবো।(আমি)
.
–বাজে কথা বলিশ না।আমি মোটেও মোটা না।(নূরী)
.
–আমি তোরে মোটা বললাম কখন আমি তো বলছি তুই একটা ছোটখাটো হাতি।(আমি)
.
–যা বান্দর পোলা তোর সাথে কোন কথা নাই।ফাজিল।(নূরী)
.
–তুই কথা না বললে আমি অনেক খুশি।যা এবার নিচে গিয়ে শুয়ে পড়।(আমি)
.
–আমি কথা বলবো না বলছি।তোর সাথে ঘুমাবো না সেটা তো আর বলি নাই।(নূরী)
.
–আমার কথা আমাকে ফিরিয়ে দিচ্ছিস। (আমি)
.
–এইতো বুদ্ধিমান ছেলে।হাত দেয় মেহেদী লাগিয়ে দিই।(নূরী)
.
–ফাউ, আমি মেহেদী লাগাবো না।তুই নিজে লাগিয়ে বসে থাক।(আমি)
.
–তুই আমার আমি যেভাবে ইচ্ছে তোরে সাজিয়ে গুছিয়ে নিবো।(নূরী)
.
–আমাকে তাহলে কালকে সাজিয়ে তোর বর করে নিস।(আমি)
.
–তোর কি মনে হয় আমি অন্য কাউকে দিবো তোরে সাজাতে।আমার পছন্দ মতো তোরে কালকেও সাজিয়ে দিবো।(নূরী)
.
–সবকিছু যদি তুই করবি তাহলে কালকে আমার হয়ে কবুল তুই বলে দিস।(আমি)
.
–আচ্ছা ঠিকআছে।এই না না কবুল দুজনকে বলতে হবে।(নূরী)
.
–ঘুমাতে দেয় তো একটু কালকের কথা কালকে দেখা যাবে।(আমি)
.
–ঘুমাবি মানে কি।আমি তোরে মেহেদী লাগিয়ে দিবো হাতে তুই দু-হাত সুন্দর করে মেলে ধরবি।(নূরী)
.
–আমি পারবো না।আমি ঘুমাবো তোর যা করার কর।(আমি)
.
–আচ্ছা ঠিক আছে মেহেদী লাগানোর পর তুই ঘুমিয়ে পড়িস।(নূরী)
.
আজ মনে হয় আমার ভাগ্যে ঘুম লেখা নাই।শালার পোড়া কপাল।

আগে যদি জানিতাম এই মাইয়া জুটবে আমার কপালে তাহলে অনেক আগে হেতিরে উপরে পাঠিয়ে দিতাম এখন আর আমায় এত জ্বালা সহ্য করিতে হইতো না।এই জ্বালা আর প্রানে সহে না।

একটু এদিক সেদিক গড়াগড়ি না খেলে কি আর ঘুম হয়।কিন্তু এ মাইয়ারে বুঝাবে কে।হেতি আমার হাত যেভাবে চেপে ধরে রাখছে মনে হচ্ছে আমি কোন অাসামি।আর ভাল্লাগে না।

ফজরের আযান দেওয়ার পর মাইয়া আমার হাত দুটো ছাড়লো আর আমিও গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলাম।
আমার মনে হয় ৫ মিনিটও ঘুমাইনি এর মধ্যে কে জেনে টেনে টেনে আমারে লম্বা ফেলছে।
মনে মনে তাহার জাত গুষ্টি উদ্দার করতেছি ঠিক এমন সময় আমার ঠোটেঁ পিপড়া কামড়াইছে নাকি কেউ সুঁই ডুকিয়ে দিছে বুঝে উঠতে পারছি না।বিছানা থেকে এক লাফে ডেসিন টেবিলের আয়নার সামনে গিয়ে দাড়ালাম।ঠোটঁ ঠোটেঁর জায়গায় আছে কিনা দেখতেছি না ঠিক আছে ঠোটঁ। যাক বাঁচা গেলো।কিন্তু ঠোটেঁ এত ব্যাথা অনুভব করলাম কেনো।
.
–কিরে জানোয়ার এভাবে তাকিয়ে আছিস কেনো।আমারে আগে কোনদিন দেখিস নাই নাকি।(আমি)
.
–দেখছি, তবে তোরে আজ অন্যরকম লাগছে।(নূরী)
.
–হয়েছে আর পাম দিস না।সক্কাল সক্কাল উঠে পড়ছিস যে।(আমি)

.
.
চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে