sanam teri kasam

0
2444

@@ sanam teri kasam @@

.
পর্ব : (১০)
.
লেখক : Abdullah al ador mamun (কাল্পনিক লেখক)
.
দূর ভাল্লাগে না।ঘুমের ঘোরে কি থেকে কি হয়ে গেলো।
ইচ্ছে করছে নিজের কপাল নিজেই ফাটিয়ে দিই।
অনেক্ষন এদিক সেদিক ঘুরাঘুরি করে বাড়ি ফিরলাম থুক্কু
শ্বশুর বাড়ি ফিরলাম।বাড়িতে ডুকে আব্বুর অগ্নি মূর্তি
দেখতে পেলাম।বাপরে আমি বাড়ি থেকে বের হলে
যেনো সব বিপদ ঘটে।আজকে আবার কি হলো।
.
–কিরে তোর কোথায় ছিলি এতক্ষন।।(নীরব)
.
–কেনো একটু বাইরে গিয়েছিলাম এখানে বসে বসে কি
করবো।(আমি)
.
–এখন গিয়ে রেডি হয়ে নেয়। (নীরব)
.
–যাচ্ছি যা,তবে একটা কথা বলে যা আব্বু এত রেগে
আছে কেনো।(আমি)
.
–তোরে যদি হাতের কাছে পেতো তখন বুঝিয়ে দিতো
কেনো এত রেগে আছে।(নীরব)
.
–আরে কি হয়েছে সেটা তো বলবি।(আমি)
.
–তোর মোবাইলে একটা মেয়ে কল করছিলো।তোর বউ
সেটা আঙ্কেলের কানে তুলছে খুব সুন্দর করে সাজিয়ে।
(নীরব)
.
–ওহহহ এই ব্যাপার। ভাই আমারে তোরা একটা রাক্ষসীর
হাতে তুলে দিয়েছিস।এই মাইয়া আমারে একদিন না
একদিন উপরে পাঠিয়ে দিবে।(আমি)
.
–বাজে বকিস না।ওর মতো মেয়ে হয় না।ও। তোরে খুব
ভালোবাসে।ও তোর জন্য মরতেও পারে।(নীরব)
.
–হিহিহিহিহিহি মরতে তো আমিও পারি তবে
ভালোবাসার জন্য না।(আমি)
.
–দাঁত কেলানো বন্ধ করে রেডি হয়ে নেয় না হলে
অাঙ্কেল তোরে উপরে পাঠিয়ে দিবে।(নীরব)
.
ভ্যাগিস বেঁচে গেছি।সময়মত চলে এসেছি না হলে
আজকে কপালে দুঃখ ছিলো।কোন মেয়ে আবার আমাকে
ফোন দিবে।আমি তো কোন দিন কারো সাথে কৌতূহল
বসত কথা বলি নাই আর আজকে আমার নাম্বারে কল
দিলো।
কে জানে এর মাঝে কত শতাংশ মিথ্যা আছে।এক্ষুনি
গিয়ে দেখতে হচ্ছে ব্যাপারটা।
.
–কি মশাই কেমন দিলাম।(নূরী)
.
—————–
.
— মোবাইল খুজছিস তাই তো।সেটা পাবি না।(নূরী)
.
–মোবাইল টা দেয় আমি দেখবো কে সে সৌভাগ্যভান
ব্যক্তি যে আমাকে ফোন দিলো।(আমি)
.
–তোর কি মনে হয় আমি তোরে মোবাইল দিবো। একটা
শর্তে মোবাইলটা দিতে পারি।(নূরী)
.
–কি শর্ত।কালকে এত শর্ত দেওয়ার পরেও আরো শর্ত
বাকি আছে তোর।(আমি)
.
–মোবাইল যদি চাস তাহলে ১০ বার কান ধরে উঠবস কর।
আর হ্যাঁ সকালে একটা ভুল করছিস সেটার অপরাধে ১০
মিনিট এক পায়ে দাড়িয়ে থাকবি কান ধরে।(নূরী)
.
–এই আমার মোবাইলের দরকার নাই।তোর শর্তেরর কোন
দরকার নাই।মোবাইল নিবো না শর্তও মানবো না।(আমি)
.
এখন আমি শিউর। শুধু শিউর না ১০০০% শিউর যে কেউ ফোন
দেয় নাই সব নূরীর কারসাজী। মাইয়াটারে ইচ্ছে করে
মাথার উপর থেকে ছেড়ে দিই।
.
রাতে খাবার পর বাড়ি ফিরতে চাইছিলাম ভালো
লাগছিলো না।আমি যেখানে যাই না কেনো ১ দিন ১
রাতের বেশি থাকতে পারি না।বাড়ীতে আসার চেষ্টা
করেও ব্যর্থ হলাম।মন খারাপ করে গিয়ে শুয়ে পড়লাম।
নূরীর সাথে কথা বলার কোন ইচ্ছে না এই মাইয়ার জন্য
বাড়ীতে যেতে পারি নাই।
বিছানায়র এক পাশে শুয়ে পড়লাম।ক্লান্ত থাকায়
বিছানায় পড়ার কিছুক্ষণের মধ্যে ঘুম।
হঠাৎ করে ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো।চোঁখ খুলে দেখি লাইট
জ্বলছে কিন্তু আমি তো লাইট অফ করে শুয়েছি।নূরী
দিয়েছে মনে হয় কিন্তু ও এত রাতে আলো জ্বালিয়ে কি
করবে।মাথাটা একটু ঘুরিয়ে দেখি নূরী তাকিয়ে আছে।
এবার বুঝতে কোন সমস্যা হলো না যে এটা নূরীর কাজ।
ইচ্ছে করছে চুলের মুঠি ধরে কিছুক্ষণ পিটাই।
ইচ্ছে থাকার পরও কিছু করলাম না ১০ টা না ৫ টা না
একটা মাএ বউ আমার।
.
–কিরে কথা বলবি না আমার সাথে।(নূরী)
.
–তোর সাথে কথা বলার কোন প্রশ্নই আসে না।তোর জন্য
আজকে বাড়ীতে যেতে পারি নাই সে দুঃখ ভুলতে
বসেছিলাম ঘুমিয়ে তুই ঘুমটাও নষ্ট করে দিলি। (আমি)
.
–আমার কি দোষ বল।আজ সারাদিন তুই আমার সাথে কথা
বলিস নাই,এখন আবার একদিকে মুখ করে শুয়ে পড়ছিস যে
জন্য তোর বুকে মাথা রাখতে পারছিনা আমি। (নূরী)
.
–বুকে মাথা রাখতে পারছিস না তাই বলে আমার ঘুম
ভেঙ্গে দিবি।আহ্ কি সুন্দর একটা স্বপ্ন দেখছিলাম
মেয়েটি যেনো কিউটের বস্তা। (আমি)
.
–ওহহহ আমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে তোর ময় চায় না।
বিয়ের পরেও অন্য মেয়ে কে নিয়ে স্বপ্ন দেখছিস।
আজকে এর একটা সমাধান করে তবেই ছাড়বো আমি।(নূরী)
.
–চুপচাপ ঘুমা বলছি নইলে তোর খবর আছে বলে দিলাম।
(আমি)
.
নূরী আর কোন কথা বলেনি,চুপচাপ আমার বুকে মাথা
রেখে শুয়ে পড়লো।একটি বারও কোন প্রকার শব্দ করলো
না।যাক ভালোই হলো শান্তিতে তো ঘুমাতে পারবো।
.
নূরী আবার কি হলো।মেয়েটি সত্যি রহস্যময়। এই হাসি এই
কান্না।এতক্ষন শুয়েছিল চোঁখ বন্ধ করে আর আমি চোঁখ
বন্ধ করার সাথে সাথে কান্না শুরু করছে।
.
–নূরী কান্না বন্ধ কর বলছি।(আমি)
.
–……………
.
–কেনো কাঁদছিস বলতো।(আমি)
.
–………….
.
–এবার কিন্তু তোরে নিচে ফেলে দিবো।কান্না যদি না
থামাস।(আমি)
.
–……….
.
–নূরী আমার কিন্তু ঠান্ডা লেগে যেতে পারে তুইতো টি-
শার্ট পুরোটা ভিজিয়ে ফেলছিস।(আমি)
.
মুখ তুলে একটু চাইলো আমার দিকে তারপর আবার কান্না
জুড়ে দিলো।বিরক্ত হয়ে গেছি নূরীর এমন অাচারনে।দূর
ভাল্লাগে না এইসব নেকামি।
সকালে ঘুম থেকে উঠার পর থেকে নাক টানাটানি শুরু
হয়ে গেছে থুক্কু সর্দি শুরু হয়ে গেছে।সর্দি আমার একদম
পছন্দ না।সর্দি না হয়ে যদি জ্বর হতো সেটাই ভালো
হতো।
.
দেখতে দেখতে আমার আর নূরীর বিয়ের ৬ মাস পূর্ণ হলো।
রাগ, অভিমান, ঝগড়া করে চলে আমাদের দুজনের পথচলা।
বিয়ের ৬ মাস পর আব্বু আমাকে ঢাকা পাঠিয়ে দেওয়ার
সিকদান্ত নিয়েছে। আব্বু চায় আমি ঢাকাতে থেকে
আব্বুর আমাদের বিজনেস সামলাই ইমন আর আব্বু মিলে
এখানে (চিটাগাং) সামলাবে।
.
–সবকিছু রেডি করা আছে তোরা গিয়ে ওখানে উঠবি।
(আব্বু)
.
–আব্বু আমি বলি কি ইমন ওখানে চলে যাক। ও তো
অনেকদিন ধরে ঢাকাতে কাজ করছে ও ভালো ভাবে
সামলাতে পারবে। আমি না হয় এখানে সামলাবো।(আমি)
.
–না তা হবে না আমি যা বলছি তাই হবে।তোরা ঢাকাতে
যাবি।(আব্বু)
.
–আমরা মানে আমি তো একাই যাবো। (আমি)
.
–তোর বউ কোথায় যাবে নূরী কে সাথে নিয়ে যাবি।
বিয়ের পর তো কোন দিন মেয়েটি কে নিয়ে ঘুরতে বের
হয়েছিস বলে মনে হয় না।(আম্মু)
.
–তুমি আবার কখন আসলা এখানে , নূরীর গুনগান গাইতে।
(আমি)
.
–চুপ ফাজিল। (আম্মু)
.
.
চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে