Tuesday, September 2, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 2330



সমাপ্তি পর্ব : ১ম

0

সমাপ্তি পর্ব : ১ম

লেখাঃ তাসকিনা

১৫ বছরের কিশোরী তুলিকে যেদিন প্রথম দেখতে যায়,,,তুলি আমার সামনে চুপটি করে বসে ছিলো। বাবা মা যখন তুলির কাকা কাকির সাথে কথা বলছিলো আমি তখন বেহায়ার মতো লুকিয়ে লুকিয়ে তুলিকে দেখছিলাম। ঠিক তখনি ব্যাপার টা খেয়াল করলাম,,

তুলি ঘোমটার আড়াল থেকে সামনে রাখা নাস্তার টেবিলের দিকে কিছু সময় পরপর তাকাচ্ছে ত আবার ঘোমটার আড়ালে মুখ ঢেকে নিচ্ছে।

ব্যাপার টা আমি কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না,,,তবে কেনো তুলি এমন করছে জানার জন্য মায়ের কানে কানে ফিসফিসিয়ে বললাম,,ব্যাপার টা জানতে…

মা তুলি…তুমি কি কিছু বলবা??(আম্মি)

তুলি এবার ঘোমটা টা ফেলে দিয়ে,,, আন্টি,, আপনারা যদি মিষ্টিগুলো না খান ত আমি কি খেতে পারি?? না মানে দেখেন ওগুলো ত নষ্ট হয়ে যাইতেছে…তাই আর কি…(তুলি)

তুলির কথা শুনে আমি, বাবা, মা,, ৩ জন ই অবাক হয়ে তুলির দিকে চেয়ে ছিলাম। আর ওদিকে তুলির কাকা কাকি তখন রাগে ফুঁসতেছিলো….ব্যাপার টা বুঝলাম না। ওনারা এমন করছে কেনো??

কয়েক সেকেন্ড পরে আব্বু আর আম্মু ২ নো জন হেসে দিলো…

তারপর আম্মি বললো,,,

এই কথা,,, হা হা,৷ তোমার যেইটা ইচ্ছা তুমি সেইটাই খাও হুম আম্মু..(আম্মু)

ধন্যবাদ আন্টি…বলেই তুলি সামনে রাখা নাস্তা গুলো খেতে শুরু করলো।

আরে আরে কি করিস,, এগুলো তোর জন্য নাতো,, এগুলো ওনাদের জন্য। (কাকিমা)

কাকিমা চিন্তা নিয়েন না,, ওকে ওর কাজ করতে দিন…(আমি)

আরো কিছুটা সময় কথাবার্তা বলে বিয়ের ডেট টা কনফার্ম করে আমরা চলে আসি।

কিন্তু ১৫ বছরের মেয়ে তুলির মধ্যে কি ছিলো যা আমি কিছুতেই ভুলতে পারছিলাম না। এতটা মায়া,, মিষ্টি হাসি,, দুষ্টুমি করে তাকানো সব কিছু কেমন যেনো আমি ভুলতে পারছিলাম না। দিন যতই যাই,,,আমি কেমন যেনো অস্থির হয়ে পড়ছিলাম,,, তুলিকে আমার করে কবে পাবো,, আর কবে ওর ওই মিষ্টি হাসি দেখতে পাবো??

কিন্তু আমার আসায় জল ঢেলে দিলো তুলির কাকিদের একটা ফোল কল,,,

বাবা মা আমার দিকে তাকিয়ে বললো,,,

তুলি নাকি এ বিয়ে করবে না। ও নাকি আরো পড়াশোনা করতে চায় তাই…

আমার মন তখন আব্বু আম্মুকে বলছিলো,,, বলো আমি নিজে তুলিকে পড়াবো,,, ওর যত টা ইচ্ছা ও পড়বে কিন্তু তবুও আমি তুলিকে চায় আম্মি,,,

কিন্তু আম্মি আমার মনের কথা হইতো বুঝতে পারেনি ওইদিন…

এটাকে লাভ বলে নাকি আবেগ ছিলো আমি সেটা জানি না। কিন্তু প্রতি রাতেই তুলিকে খুব করে মিস করতাম।

একদিন বাসায় বসে আছি,, সামনে টিভি অন করে খবর দেখছি হঠাৎ কেউ হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এলো…

কে কে আপনি,, আর আপনাকে দারোয়ান ঢুকতে দিলো কেমনে?? (আমি)

স্যার আমি ত ঢুকতে দিতে চায় নি,, আমারে ধাক্কা দিয়ে চইলা আইছে..(দারোয়ান পিছু পিছু এসে)

মেয়েটা মাথা থেকে উড়না টা সড়াতেই দেখি তুলি..

ত, তুলি তুমি??(আমি)

তাজ সাহেব,, আমায় আপনি বিয়ে করে নিন। আমি ও বাড়িতে আর থাকতে পারবো না,, আপনার ২ টো পায়ে পড়ি,, দয়া করুন..(তুলি)

এ, এই কি করছো?? উঠো উঠো,, ও বাড়িতে থাকতে পারবা না মানে?? কি হয়েছে??(আমি)

এরপর তুলি এক এক করে সবকিছু বলে দেয়…

কাকা কাকিমা ওকে ছোট থেকেই অবহেলা আর অনাদরে মানুষ করছে। আর এখন ত ওনারা তুলিকে বিয়ে দিয়ে ওর দায়িত্ব থেকে বেরোতে চায়। কিন্তু তুলি বিয়ে করতে চায় না জন্য নানাভাবে অত্যাচার করছে তুলির উপর দিয়ে,, ৩ দিন ওকে কোন খাবার দেয় নি কাকি। রুম আটকে রেখে দিয়েছে আর বলেছে আগে বিয়েতে রাজি হবি তারপর তোকে রুম থেকে বের করানো হবে…

আমি তুলির পা থেকে মাথা অবধি তাকিয়ে দেখি,, তুলির দাঁড়িয়ে থাকার মতো অবস্থাও নেই। পায়ে কোন জুতা বা সেন্ডেল ছিলো না জন্য,, পা কেটে জায়গায় জায়গায় রক্ত বেরোয়ছে। তুলিকে সোফাতে বসিয়ে,, আম্মু আব্বুকে ডাক দিলাম,,,

আব্বু আম্মু ত বেজায় খুশি। ওনারা বললেন,, তাইলে আজ ই বিয়ের সব আয়োজন করে ফেলি আমরা।।।

না বাবা…(আমি)

কেনো তাজ,, তুমি কি তুলিকে বিয়ে করতে রাজি না?? ওকে তোমার পছন্দ হয়নি??(বাবা)

আমি তখন তুলির দিকে তাকিয়ে দেখি ওর মুখটা মলিন হয়ে আছে,,, হইতো আমার না বলাটা শুনে,,,

বাবা,, তুলি বিপদে পড়ে এ বাড়িতে এসেছে। আর মেইন কথা একটা আশ্রয়ের জন্য। আমাকে বিয়ে করার জন্য না। তাই না তুলি??(আমি)

তুলি কিছু না বলে চুপ করে রইলো,,

আমি তখন হালকা হেসে,,, আজ থেকে তুলির সমস্ত দায়িত্ব আমার বাবা…(আমি)

বাবা মা কিছু বললেন না। চুপচাপ চলে গেলেন…

ওনাদের আমার কথাটাতে ভালো লাগেনি এটা আমি ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছি..

এরপর প্রায় ৩ বছর চলে যায়,,, তুলি এখন ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে পড়ছে…তবে তুলির প্রতি আমার যেই আবেগ নাকি লাভ ছিলো সেটা কিন্তু তখনও বিরাজ করছিলো,, প্রতি রাতে আমি তুলির পড়ার রুমের পাশে গিয়ে ওকে দেখার চেষ্টা করতাম। লাইটের আলো ওর সৌন্দর্য টাকে আরো বাড়িয়ে দিতো…

একদিনঃ

মেয়ের বাসা থেকে লোক এসেছে আমাদের বাসার পরিবেশ দেখতে,,,

ড্রয়িং রুমে বসে আছি আমি আব্বু, আম্মু…

এই টুকটাক কথা হচ্ছিলো আমাদের,,,

হঠাৎ তুলির আগমন। ওর হাস্যোজ্জ্বল মুখটা নিমেষে কালো হয়ে গেলো।কিন্তু কি কারনে,, এটা বুঝতে পারলাম না। তুলি ছুটে উপরের ঘরে চলে গেলো।

আব্বু আম্মু এদিকে ওনাদের সাথে কথাবার্তা বলে,, বিয়ের দিন ঠিক করে চলে গেলে,, আমি তুলির রুমের বাহিরে গিয়ে,,,

আসবো…(আমি)

তুলি ভেতর থেকে জবাব দিলো,, আপনাদের বাড়ি আপনাদের ঘর,,প্রবেশ করতে অনুমতি নিচ্ছেন কেনো??

বুঝতে পারলাম তুলি প্রচন্ড পরিমাণে রেগে আছে,,,

আমি তুলির রুমে প্রবেশ করে দেখলাম ওর চোখমুখ ফোলা,, এই ৩ বছরে তুলির ব্যাপারে আমি প্রায় সব কিছুই জেনে গেছি। অফিসে যাওয়ার আগে যখন ওকে স্কুল বা কলেজে নামিয়ে দিতাম,, গাড়ির মধ্যেই ওর থেকে প্রায় ওর ব্যাপারে সবকিছু জেনে গিয়েছিলাম।

আর ও কান্না করলে যে ওর চোখ ফুলে যায় এটাও জানতাম।

তুলি,, তুমি কান্না করছো কেনো?? কেউ কি তোমায় কিছু বলেছে??(আমি)

আপনাকে কে বলেছে আমি কান্না করছি?? (তুলি)

এই যে তোমার চোখ ফুলে গিয়েছে,,, এইটা থেকে বুঝতে পেরেছি..(আমি)

তুলি আর কিছু বললো না…চুপ করে রইলো…

কি হলো বলো,, কেউ কিছু বলেছে তোমাকে??(আমি)

আপনার এত বিয়ে করার শখ জাগছে কেন??(তুলি)

চলবে…

গরীবের প্রেম শেষ পাট

1

গরীবের প্রেম
লেখা/ রুবেল(হিংসুটে ছেলে)
——part2 -শেষ পাট

!
সাদিয়া বাসায় গিয়ে সায়মন কে কল করলো কিন্তু সায়মন ফোন রিসিফ করছে না,
সাদিয়ার মেজাজ অার ও গরম হয়ো গেল,
অবশেষ সায়মন ফোন রিসিফ করলো,

এ হারামি ফোর রিসিফ করিস না কেন?( সাদিয়া)
তুই ফোন কিনে দিছিস জন্য কি তোর ফোন রিসিফ করতে হবে?( সায়মন,,)
হ রিসিফ করতে হবে (সাদিয়া)
নিয়ে যা তোর ফোন, লাগবে না অামার(সায়মন)
রাগ দেখে বাচি না, অাচ্ছা শোন কাল একটু অাসতে পারবি(সাদিয়া)
কোথায় (সায়মন)
অাজ যে খানে দেখা করলাম (সাদিয়া)
অাচ্ছা ঠিক অাছে, অাসবো, অার শোন একটু খাবার নিয়ে অাশিস(সায়মন)
অাচ্ছা ঠিক অাছে (সাদিয়া)

!
পরের দিন সকাল ১০ টা….
সাদিয়া এসে বসে অাছে, সায়মন এর অাসার কোন খবর এ নাই
সাদিয়া অনেক টা রেগে অাছে
হঠাৎ সায়মন পাশে এসে বসলো

!
কয়টা বাজে (সাদিয়া)
১১ টা (সায়মন)
তোরে অাসতে বলছি কয়টায় (সাদিয়া)
১০ টায় ( সায়মন)
লেট করলি কেন(সাদিয়া)
জিএফ এর লগে দেখা করতে গেছিলাম(সায়মন)
কি??????(সাদিয়া)
জিএফ জিএফ। শুনছিস(সায়মন)
অাচ্ছা যা তার সাথে ডেটিং কর(সাদিয়া)
ও জানু রাগ করো না, অাসলে ঘুম থেকে উঠতে লেট হইছে (সায়মন)
তাহলে জিএফ এর কথা কইলি কেন(সাদিয়া)
অারে না তুই তো অামার জিএফ, (সায়মন)

ফাজলামো করিস না নে অাগে খা (সাদিয়া)
হুম দে (সায়মন)
শোন তোর ভালো কোন শাট অাছে (সাদিয়া)
কেন? অার শোন না অাজকের খাবার টা দারুন হইছে (সায়মন)
হুম অামি নিজে রান্না করছি (সাদিয়া)
উফপ অামার কপাল অনেক ভালো তোর মত একটা বউ পাবো (সায়মন)
অাবার শুরু করলি (সাদিয়া)
শোন বিয়ের পর কিন্তু রোজ অামাকে এ ভাবে রান্না করে খাওয়াবি? (সায়মন)
এটাই তোর শেষ খাওয়া বুজলি (সাদিয়া)
মানে?????(সায়মন)
মানে কালা অামায় ছেলে পক্ষ থেকে অাংটি পড়াবে (সাদিয়া)
মজা করছিস(সায়মন)
অামি তোর মত না যে মজা নিয়ে থাকবো যা বলছি সত্যি বলছি, তাই তোক বললাম ভালো শাট পড়ে কাল অামার বাসায় অাসবি(সাদিয়া)

!

সাদিয়ার মুখে এমন কথা শুণে সায়মনের মাথয় যেন অাকাশ ভেঙ্গে পড়লো,
কারন সাদিয়া সায়মন কে ফ্রেন্ড মনে করলেও সায়মন সাদিয়াকে বুকের মধ্যে বউ সেজে রেখেছে,
সায়মন ভাবতো সাদিয়া মুখে যাই বলুক সাদিয়া অামাকে অনেক ভালোবাসে,
হ্যা সাদিয়া সায়মন কে অনেক ভালোবাসে সেটা শুধু বন্ধু হিসাবে। সায়মনের চোখ এ দিয়ে পানি পড়ছে।

কি রে কাঁদছিস কেন(সাদিয়া)

কই না তো (সায়মন)
না তো মানে এই তো তোর চোখে পানি (সাদিয়া)
না মানে কিছু দিন পর তুই অার এ ভাবে অামার সাথে দেখা করবি না, খাবার অানবি না এটা ভেবে কান্না পাচ্ছে (সায়মন)
হুম এবার একটা জব খুজে তুই ও বিয়েটা করে নে, অাচ্ছা শোন অামি গেলাম কাল অাসিস কিন্তু (সাদিয়া,)
!
সায়মন রুমে গিয়ে অঝরে কান্না করছে কিছু তেই মানতে পারছে না সাদিয়া অন্যনো কারো হয়ে যাবে, বুকটা যেন ফেটে যাচ্ছে চিৎকার করে বলতে ইচ্ছা করছে সাদিয়া তুই শুধু অামার অার কারো না, বাঁচবো না তোক ছাড়া,

!
রাতে না খেয়ে সায়মন ঘুমিয়ে গেছে,
সকাল ৯ টা একটা শাট বের করে সেটা ভালো কর লন্ডী করে , শাটটা পরে সাদিয়ার বাড়ি চলেগেল।

সাদিয়ার বাড়িতে অনেক মেহমান,
পুরো বাড়িটাকে খুব সুন্দর করে সাজিয়েছে, সাদিয়ার বর নাকি অনেক বর বিসনেস ম্যান, সাদিয়া অনেক খুশি সেটা সাদিয়া কে দেখে বুজা যাচ্ছে,
সাদিয়া তার হবু বরের হাতটা ধরে অাছে,
অনেকে ফটো সুট করছে,,
এ গুলো দেখে সায়মনের যেন বুকটা ফেটে যাচ্ছে,
সায়মনের খোজ নেযারো কোন প্রয়জন মনে করছে না সাদিয়া
সব অায়োজন শেষ এবার অাংটি পরাবে

ঠিক এ সমায়ে সায়মন চিৎকার করে বললো,
সাদিয়া তুই শুধু অামার অার কারো না, অামি তোকে ছাড়া বাচবো না রে,
সায়মনের মুখে এমন কথা শুনে সবাই চুপ হয়ে গেলো,
সাদিয়ার বাবা মাথু নিচু করে অাছে,
সাদিয়া সায়মনের কাছে এসে

তুই কি পাগল হলি অামি তোক তো ভালো বন্ধু ভাবতাম
অার তুই কি না অাজ অামার এত বড়ো সবনাশ করলি ছি, বের হয়ে যা এখান থেকে(সাদিয়া)
সাদিয়া অামি তোক ছাড়া বাচবো না রে তুই শুধু অামার, (সায়মন,)

সাদিয়া সায়মনেন গালে অনেক গুলো থাপ্পর দিলো

অারে তোর কি যোগ্যতা অাছে অামাকে বিয়ে করার, অামার হবু কি করে যানিস। অনেক বড়ো বিসনেস ম্যান যা এখান থেকে (সাদিয়া)

সাদিয়া এ কথাটা বলে দৌড়ে নিজের রুমে চলে গেল,
এ দিকে সাদিয়ার বাবা তার পোশা সিকিরুটির দিয়ে অনেক মার মারলো
রক্তে ভিজে গেছে সায়মনের শাটটা,

সায়মন কে বাহিরে রেখে অাসলে
সায়মনের কিছু বন্ধু সায়মন কে হসপিটালে নিয়ে যায়,
দু দিন পর সায়মন একটু সুস্থ হয়,

অাজ সাদিয়া বিয়ে,
সায়মনের পক্ষ থেকে সাদিয়া কে একটা বক্স গিফট করা হলো
উপরে লেখা ছিলো যানি অনেক রেগে অাছিস, প্লিজ বক্সটা বাসর রাতে গিয়ে খুলে দেখিস,
,
সাদিয়া বক্স টা নিজের কাছে রেখে দিলো,
বাসর রাতে সাদিয়া বক্স টা খু্লে একটা চিঠি অার একটা চাকরির apartment লেটার। যে চাকরিরে জয়েন করলে সায়মন মাসে, ৪০০০০ হাজার টাকা বেতন পাবে,
চিঠিটা সাদিয়া পরতে লাগলো

ডিয়ার জানু,

সরি সরি রাগ করলি? অাসলে অনেক দিন ধরে তোকে জানু বউ সোনা বলছি তো তাই অভ্যাস হয়ে গেছে,
লাল শাড়ি পড়ে বসে অাছিস তাই না?
যানিস প্রায় রাতে অামি স্বপ্ন দেখতাম তুই লাল শাড়ি পড়ে বাসর ঘড়ে বসে অাছিস অামার জন্য,
তার পর যখন অামি রুম এ অাসতাম তুই খাট থেকে নেমে অামাক অনেক কিল ঘুসি দিয়ে বলতি কুত্তা হাড়ামি কতক্ষন থেকে বসে অাসি।
হা হা হা সত্যি স্বপ্ন কখনো বাস্বব হয় না।
ঐ শোন না কথা দিচ্ছি অার কখনো হোস্টেল বিল বাকি রাখবো না,
তোর হাতের খাবারটা অনেক মিস করবো রে,
হা হা হা এখন অামি না খেয়ে থাকলেও কেউ খাবার নিয়ে অাসবে না,
অাচ্ছা শোন না সে দিন খুব কস্ট পাইছিস তাই না?
কি করবো বল তোর কেউ হাত ধরুক / অাংটি পড়াক এটা অামি মানতে পারছিলাম না,
তাই হঠাৎ ও গুলো বলে ফেলছি,
তুই তো যানিস অামি অনেক ফাজলামো করি,
এটা যানার পরও তুই……..
তোরে ফাজলামো করে বলছিলাম বউ
অার তুই অামার যোগ্যতা দেখলি,
অামি তো তোর বাড়িে দাড়োয়ান হওয়ারো যোগ্যতা োরাখি না,
ফাজলামোটা বুজলি না,
তুই রুমে যাওয়ায় পর যানিস অামাক অনেক মার মারছে রে
অনেক রক্ত বের হইছিল,
একটা কথা বলি সত্যি অামি তোক অনন্যে কারো সাথে শেয়ার করতে পারবো না,
তাই তো চলে যাচ্ছি অনেক দুর
যে খান থেকে কেউ ফিরে না।
ভালো থাবিস জানু

!
সাদিয়া চিঠিটা পড়ার পর অঝরে কেদে যাচ্ছে,
সাদিয়া রাতে বের হলো সায়মন কে খুজতে
সায়মন ততোক্ষন এ চলে গেছে না ফেরার দেশে।

সমাপ্ত

গরীবের প্রেম part 1

0

গরীবের প্রেম

লেখা/ রুবেল(হিংসুটে ছেলে)

——part 1—–

!

সায়মন এ ভাবে অার কত দিন চলবি বলতো?(সাদিয়া)
কেন অামি অাবার কি করলাম(সায়মন)
অাল্লাহ যে কেন তোর নামের সাথে অামার নামটা মিলে দিছে উনি ভালো যানে(সাদিয়া)
হাহাহা অাচ্ছা জানু তুমি এ ভাবে বলছো কেন?(সায়মন)
শোন ফাজালামো করবি না এই নে ধর(সাদিয়া)
কি এটা(সায়মন)
প্যাকেট খুলে দেখ(সাদিয়া)
ওয়াও thank you জানু(সায়মন)
এ নিয়ে তিনটা ফোন দিলাম তোক অার কিন্তু দিতে পারবো না (সাদিয়া)
উফপ জানু তুমি কত ভালো (সায়মন)
জানু মনু বাদ দে অামি তোর প্রেমিকা না (সাদিয়া)
তোক কে বলছে তুই অামার প্রেমিকা? তুই তো অামার বউ(সায়মন)
দেখ ফালতু কথা কস না, সকালে কি খাইছিস(সাদিয়া)
কি যে খাইলাম গো ঠিক মনে নাই(সায়মন)
থাক অার মিথ্যা বলতে হবে না(সাদিয়া)
কই মিথ্যা বললাম( সায়মন)
এবার বল হোস্টেল বিল কত টাকা বকেয়া অাছে(সাদিয়া)
২ মাসের (সায়মন)
এই নে ধর(সাদিয়া)
হুম(সায়মন)
হুম না, বাজে খরচ করবি না, বকেয়া টাকা পরিশোধ করে দিবি(সাদিয়া)
অাচ্ছা(সায়মন)
চল কিছু খাবি (সাদিয়া)
না থাক( সায়মন)
যা বলি তাই কর উঠ( সাদিয়া)
উফপ কানটা ছাড় লাগছে তো (সায়মন)
হুম ছাড়লাম এবার উঠ( সাদিয়া)
অাচ্ছা চল(সায়মন)

!
সাময়ন কে নিয়ে সাদিয়া একটা রেস্টুরেন্ট এ গেলো,
সাদিয়া ভালো করে বুজতে পারছে সায়মন সকাল থেকে কিছু খায়নি,
খাবে কি ভাবে হোস্টেল বিল বাকি,
কে ওরে খাবার দিবে,

!

এ ভাবে অার কত দিন বলতো? (সাদিয়া)
কি কত দিন(সায়মন)
অামার টাকায় চলবি(সাদিয়া)
যতো দিন শশুরের টাকা অাছে(সায়মন)
মানে(সাদিয়া)
মানে তুই অামার বউ তোর বাবা অামার শশুর তোর বাবার টাকায় তো খাচ্ছি তাই না? (সায়মন)
তুই কি সিরিয়াস হবি না, সব সমায় ফাজলামো ভালো লাগে না ( সাদিয়া)
,
খাইতে দিবি না উঠে যাবো(সায়মন)

রাগ দেখে বাচি না, খা তোরে কে বারন করছে?(সাদিয়া)
ও তোর টাকায় খাচ্ছি বলে তুই কথা শুনাবি, যা খাবোই না(সায়মন)
খাবি কেমনে পেট তো ভরে গেছে( সাদিয়া)
হ পেট ভরছে তোরে কইছে
অামি অারো খেতাম তোর জন্য খাইলাম না(সায়মন)
চল অাবার খাবি (সাদিয়া)
না থাক শশুরের টাকা মানে অামার টাকা বেশি খরচ করা যাবে না (সায়মন)
তোরে যে কি করবো রে হারামি (সাদিয়া)
কি অার করবি তোর অার অামার বেবির দেখা শুনা করবি(সায়মন)
প্লিজ দোস্ত একটা কিছু কর, অামি না থাকলে তোর কি হবে বলতো(সাদিয়া)
অামি না থাকলে মানে? কই যাবি তুই অামাক ছেড়ে?(সায়মন)
তোর মত অামি অাইবুড়ি হয়ে থাকবো নাকি, বিয়ে তো করতে হবে তাই না(সাদিয়া)
ও তোর অার অামার বিয়ের কথা ভাবচ্ছিস(সায়মন)
দেখ ফাজলামো অার ফালো লাগছে না তুই থাক অামি গেলাম(সাদিয়া)
যা যা তোরে কে অাসতে বলছে(সায়মন)

!
সাদিয়া রাগ করে চলে গেলো, সায়মন এর ফাজলামো গুলো অার ভালো লাগছিলো না।
সায়মন গ্রাম থেকে অাসছে শহরে লেখা পড়া করতে শহরে অাসার ১ বছর পরে ওর বাবা মারা যায়।
তারপর সায়মন গ্রামে যেতে চাইছিলো কিন্তু ওর মা অাসতে দেয়নি
মার স্বপ্ন ছেলে লেখাপড়া করে বড়ো চাকরি করবে,
কিন্তু সায়মনের মা অার খরচ চালাতে পারছিলো না, সায়মন ও অাশায় অাছে ভালো জব পেলে মা কে শহরে নিয়ে অাসবে,
কিন্তু মামা খালু অার টাকা ছাড়া অাজ কে কাকে চাকরি দেয়
সায়মন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে হয়তো একদিন জব পাবে।
সাদিয়া সায়মনের বেষ্ট ফ্রেন্ড, সাদিয়া ওর বেপারে সবি যানে,
সাদিয়া সায়মন কে অনেক ভাবে সাহায্য করে যাচ্ছে, ।
সাদিয়া কুটি পতি বাবার একমাত্র মেয়ে,
তাই সায়মনে সাহায্য করতে একটু কষ্ট হয় না,
সাদিয়া ইচ্ছা করলে বাবা কে বলে সায়মনের চাকরির ব্যবস্থা করতে পারে।
সাদিয়া চায় ও ওর যোগ্যতায় কিছু একটা করুক

চলবে…..

খাট নিয়ে বিরম্বনা শেষ পর্ব

0

খাটনিয়েবিরম্বনা শেষ পর্ব

কুমু ওয়াশ রুমে যতেই আমি কানে হেড ফোন লাগিয়ে আমার পছেন্দর গান টা শুনতে শুরু করলাম।

গানটা এক এক করে চারবার শুনলাম।কিন্তু কুমু তো এখনো বের হচ্ছে না।এতক্ষণ তো লাগার কথা না,,,,

বাথরুমের দরজায় গিয়ে নক করতেই,,,

ভেতর থেকে কুমু বলল,

–দুই মিনিট, আসতেছি।

কুমু আসার পর কুমুকে জিজ্ঞাস করলাম আগের বার এমন করলেন কেন।

–কেমন করেছি

–বাথরুমে গিয়েই দৌড়ে এসে এক লাফে খাটে উঠলেন কেন।

–তখন তো আমি ভয় পেয়েছিলাম।

–এখানে তো কেউ ছিল না তাহলে কাকে দেখে ভয় পেলেন,,

–ছিল তো।

–কে ?

–আরশোলা,,,

–কিহ্

–আমি আরশোলা কে খুব ভয় পাই।

–আরশোলা কে ভয় পান ভালো কথা,তাই বলে লাফ দিয়ে খাট ভেঙে ফেলবেন।

–আমি কি ইচ্ছা করে লাফ দিছি নাকি।

–লাফ দেওয়ার আগে একবার চিন্তা করে তারপর লাফ দিতেন।

–কি চিন্তা করব ?

–আমি যে লাফ দিয়ে খাটে উঠব আমার ভার কি এই খাট টা সমলাতে পারবে।

–এত ভাবাভাবির সময় পাইনি তখন।আর আপনার এই খাটের তো আত্বা নেই।আজ না ভাঙলেও দুদিন পর এমনেই ভেঙে যেত।

–হইছে এখন ঘুমান।

–নিচে ঘুমাবো।

–কিছু করার নেই আজকে নিচেই ঘুমাতে হবে।

খাটের জন্য আমার খুব কষ্ট হচ্ছে।কত বছর যে এই খাটে ঘুমিয়েছি তার কোন হিসাব নেই।খাট টার প্রতি এক ধরনের মায়া জন্মে গেছে।

খাটের কথা ভাবতে ভাবতে কখন যানি ঘুমিয়ে গেছি,,,

সকালে ঘুম থেকে উঠার পরে যার সাথে দেখা হচ্ছে সেই আমাকে দেখে কেমন যানি মুচকি মুচকি হাঁসছে।

এই হাঁসির কোন কারণ খুঁজে পাচ্ছি না।

যাই হোক বাড়িতে আর বেশিক্ষণ থাকেনি।চলে গেলাম বন্ধুদের কাছে।সেখানে যেতেই সবাই আমাকে অভিনন্দন জানাল।

বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার এক পযায়ে রিপন বলে উঠল ভাই তুই তো লিজেন্ড।

–কেন কি করেছি আমি।

–কাল রাতে তুই নাকি ক্রিকেট খেলে খাট ভেঙে ফেলছিস।

রিপন এই কথা বলতেই সবাই হো হো করে হেঁসে উঠল,,,

এখন সবাই আমাকে নিয়ে হাঁসাহাঁসি করছে।

দূর,,, এদের কথাবার্তা শুনে মেজাজটাই গরম হয়ে গেল।এরা আমার বন্ধু নাকি শক্রু এটা নিয়ে আমার ডাউট আছে।

রাতে বাড়ি ফিরে রুমে ডুকতেই চোখে পরল একটা নতুন খাট।কুমুর দিকে তাকিয়ে দেখি ওকে কেমন যানি খুশি খুশি লাগছে,,,

তাই কুমুকে জিগ্যেস করলাম কি ব্যাপার আপনাকে এত খুশি খুশি লাগছে কেন।

–আমাদের নতুন খাট দেখে।

–খাট দেখে এত খুশি হওয়ার কি আছে।

–আজ থেকে আর নিচে শুতে হবে না।

–ওহ্ এই ব্যাপার,,

কিন্তু আমাদের রুমে নতুন খাট আসলো কোথা থেকে ?

–আমাদের কাল রাতের খাট ভাঙার কথা শুনে বাবা আজকে নতুন খাট পাঠিয়ে দিছে,,,

–আপনি কাল রাতের কথা আপনার বাবাকে বলে দিছেন ?

–আমি বাবাকে এই ব্যাপারে কিছু বলেনি।বাবা কার থেকে যেন শুনল,,,

অবশেষে এই খবর আমার শুশুর বাড়ি পযন্ত চলে গেল,,,আমার আর মান সম্মান বলে কিছু রইল না,,,

–কোথায় যাচ্ছেন কুমু ?

–ওয়াশ রুমে।

–দাড়ান,,,দাড়ান,,,

–কেন ?

–আমি আগে ভেতর থেকে দেখে আসি।

–কি দেখবেন ?

–ভেতরে কোন আরশোলা আছে কিনা

–আজকে আরশোলা থাকলেও কোন সমস্যা নেই।আজকে নতুন খাট লাফ দিলেও ভাঙবে না।

–আমি আর কোন ধরনের রিস্ক নিয়ে চাইনা,,,

একবার খাট ভেঙে যে বিরম্বনায় আমি পরেছি।সে রকম বিরম্বনায় আমি আর পরতে চাইনা।

-(সমাপ্ত)-

লেখা~ Tuhin Ahamed

খাট নিয়ে বিরম্বনা দ্বিতীয় পর্ব

0

খাট নিয়ে বিরম্বনা দ্বিতীয় পর্ব


কুমুর চিৎকার আর খাট ভাঙার শব্দে বিয়ে বাড়ির সবাই এসে আমাদের দরজায় খট খট আওয়াজ করছে আর জিজ্ঞাস করতেছে কি হয়েছে,,,,

কুমু পরে গিয়ে কোমরে খুব ব্যথা পেয়েছে তাই ইশশশ,,,,,ও বাবা,,,,,,কি ব্যথা,,,,,মরে গেলাম,,,

এসব বলে চিৎকার করতেছে,,,

আমিও কোমরে ব্যথা পেয়েছি,,, তাও উঠে গিয়ে দরজা খুললাম।দরজা খুলতেই একে একে সবাই এসে রুমে ডুকে পড়ল।

কিভাবে এমন হল তা জিজ্ঞাস না করে সবাই মিট মিট করে হাঁসছে।এটা দেখে আমি অবাক হলাম।

এসবের ভিতর দিয়ে হটাৎ চোখ চলে গল বাবার দিকে।চেয়ে দেখি বাবা আমার দিকে রাগী একটা লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে।আমার চোখ বাবার চোখে পড়তেই।

বাবা বলল,,,,

“রাম ছাগল একটা”

এটা বলেই বাবা এখান থেকে চলে গেল।বাবার সাথে সাথে ‘মা’ও এখান থেকে চলে গেল।কিন্তু মা কিছু বলেনি।

ঠিক তখনেই আমার বড় দুলাভাই ‘মানে আমার বড় আপুর জামাই আমার কানে কানে এসে বলল সবকিছুই রয়ে সয়ে করতে হয় তারাহুরা করলে এমনই হয়।

যাহ্ বাবা আমি আবার কি করলাম।

বড় দুলাভাই বলে শেষ না করতেই ছোট দুলাভাই বলল,,,

এটা কি করলা,,,,প্রথম দিনেই খাট ভেঙে দিলা।এটা কি ক্রিকেট খেলা নাকি,যে যত ইচ্ছা তত গতিতে বল করবা।

এখানে ক্রিকেট খেলার কথা আসলো কোথায় থেকে।ওনার কথা আমি কিছুই বুঝলাম না।

সবাই চলে যেতেই বিছানাটা ফ্লোরে করলাম।আজকে রাতে নিচেই থাকবো,,,ছোট বোন বলেছিল তার রুমে চলে যেতে।সে মায়ের সাথে থাকবে।কিন্তু আমিই যাই নি।

বিছানাটা করে,বিছানায় শুতেই কুমু আবার বলল,,,

–আমি ওয়াশ রুমে যাবো।

–না ওয়াশ রুমে যাওয়ার দরকার নেই।

–কেন ?

–একবার ওয়াশ রুমে যাওয়াতেই এই অবস্থা হয়েছে।আবার গেলে যে কি হবে ওটা আমি এখন কল্পনাও করতে চাই না।

–তাই বলে আমি এখন ওয়াশ রুমে যাব না।

–তা তো ঠিকই ওয়াশ রুমে যাওয়া ছাড়া কি থাকা যায় নাকি,,,, ওকে যাও তাহলে

কুমু ওয়াশ রুমে যতেই আমি কানে হেড ফোন লাগিয়ে আমার পছেন্দর গান টা শুনতে শুরু করলাম।

গানটা এক এক করে চারবার শুনলাম।কিন্তু কুমু তো এখনো বের হচ্ছে না।এতক্ষণ তো লাগার কথা না,,,,

বাথরুমের দরজায় গিয়ে নক করতেই ???

চলবে….

লেখা Tuhin Ahamed

খাট নিয়ে বিরম্বনা  প্রথম পর্ব

0

খাট নিয়ে বিরম্বনা প্রথম পর্ব


‘মা’ কে বিয়ের আগেই বলেছিলাম,বাবাকে বলতে আমার রুমের খাট টা চেন্জ করে দিতে।খাট টা অনেক পুরনো হয়ে গেছে,আর এই খাট টা ছোট হওয়ায় এটাতে দুজন থাকা কষ্টকর হয়ে যায়।

মা’ বাবাকে কথাটা ঠিকি বলেছিল।কিন্তু ঝামেলাটা বাঝায় আমার শশুর মশাই।ওনি নাকি আমাদের কে নতুন ফার্নিচার দিবে।ফার্নিচার এর কাজ এখনো কমপ্লিট হয়নাই তাই তিনি বলেছেন তোমরা কয়েক দিন একটু কষ্ট করে থাকো।ফার্নিচার বানানোর কাজ কমপ্লিট হলেই আমি তোমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিব।

ওনি যদি ফার্নিচার গুলি বিয়ের আগে দিতেন তাহলে আজ আমাকে এই দিন দেখতে হতো না।

গতরাতে ছিল আমার আর কুমুর বাসর রাত,,,

কুমু হচ্ছে আমার বাবার বন্ধুর মেয়ে।বাবাই বিয়েটা ঠিক করেছিল।আমার কোন পছেন্দর মানুষ না থাকায় এই বিয়েটাতে আমি রাজি হয়ে যায়।

গতরাতে রুমে ঢুকতেই সদ্য বিবাহ করা বউটা
আমার পা ধরে সালাম করলো,এরপর চুপচাপ নিজের মত করে বিছানায় বসে আছে,আমিও কিছু বলার জন্য খুজে পাচ্ছিনা অপরিচিত একটা মানুষকে কিইবা বলার আছে। সময় শুধু বেড়েই যাচ্ছে দুজনই চুপচাপ,কিছুক্ষন পর তাকে উদ্দেশ্য করে বললাম,,,,

–কুমু নাম টা খুব সুন্দর।

–ধন্যবাদ। আপনার নামটাও সুন্দর।

–মিথ্যা প্রশংসা করার জন্য ধন্যবাদ।

ছেলেদের দূর্বলতা কিসে আপনি
জানেন ?

–হ্যা জানি।

–কিসে ?

–মেয়েদের শরীরে।

–আমার ক্ষেত্রে হয়তো তা একটু ভিন্ন।

–যেমন ?

–আমার দূর্বলতা আপনার এ মেহেদী দেওয়া দুটা হাতে,আপনি যখন হাসেন আপনার গালে টোল পরে আমার দূর্বলতা আপনার এই গালে টোল পরা হাসিতে। আমার সবচেয়ে বেশি
দূর্বলতা কিসে জানেন ? আমার সবচেয়ে বেশি দূর্বলতা আপনার এ কাজল দেওয়া দুটা অপরূপ সুন্দর চোখে।

কুমু হয়তো এমন কিছু শুনার জন্য প্রস্তুত ছিলো নাহ,সে লজ্জা পেলো,লজ্জায় মাথা নিচু করে চুপ করে রইলো।

হটাৎ বারান্দাটার দিকে তাকিয়ে দেখলাম ভেতরে প্রবেশ করা জ্যোৎস্নার মিষ্টি আলোটাও আমাদের এ বিশেষ রাতটার স্বাক্ষী হয়ে
থাকতে চাইছে।

কুমুকে বললাম,,,

–চাঁদ এর আলো আপনার পছন্দ ?

–অনেক বেশি।

–চাঁদ এর সাথে কখনও একা একা কথা
বলেছেন ?

–নাহ তা বলি নি কখনও।

চলুন বারান্দায় যাই,জ্যোৎস্নার আলোরসাথে কিছু সময় কাটিয়ে আসি।

আমি বারান্দায় চলে আসলাম,কুমু একটু পরই
ভয়ে ভয়ে আমার পিছে এসে দাড়ালো। বারন্দায় দুটা চেয়ার রাখা,একটাতে কুমুকে বসতে বললাম এরপর আমিও বসলাম।

মেয়েটা খুবই চুপচাপ স্বভাবের কথা কম বলে,হয়তো লজ্জায় কিংবা ভয়ে তা জানা নেই আমার।

অনেকটা সময় দুজনে একসঙ্গে চাঁদ দেখার পর রুমে চলে আসলাম।

রুমে এসেই কুমু বলল,,,

–আমি একটু ওয়াশ রুমে যাব,,,

–আমার রুমে এটাচ বাথরুম,আমি কুমুকে বাথরুমটা দেখিয়ে দিয়ে খাটে এসে শুইলাম।

ঠিক তখনেই কুমু চিৎকার দিয়ে এসে এক লাফে খাটের উপরে পরল।

খুব জোরে ঠাস এরে একটা শব্দ হল।

তারপর চেয়ে দেখি আমি আর কুমু দুজনেই খাটের বিছানা ভেঙে নিচে পরে আছি,,,

কুমুর চিৎকার আর খাট ভাঙার শব্দে বিয়ে বাড়ির সবাই এসে আমাদের দরজায় খট খট আওয়াজ করছে আর জিজ্ঞাস করতেছে কি হয়েছে,,,,

কুমু পরে গিয়ে কোমরে খুব ব্যথা পেয়েছে তাই ইশশশ,,,,,ও বাবা,,,,,,কি ব্যথা,,,,,মরে গেলাম,,,

এসব বলে চিৎকার করতেছে,,,

আমিও কোমরে ব্যথা পেয়েছি,,, তাও উঠে গিয়ে দরজা খুললাম……

চলবে….

লেখা Tuhin Ahamed

অনুভবেতোমায়খুঁজি শেষ পর্ব

0

অনুভবেতোমায়খুঁজি শেষ পর্ব


–কী চান আপনি ?

–কিছু না।

–আর কোনদিন কল করবেন না!

–যেদিন দেখবো মেয়েটির চোখ মেঘ ছুঁয়েছে সেদিনের পর আর জ্বালাবো না।

–এই যে মিস্টার এ,, বি,, সি,, যাই হোন না কেন এসব ছাড়ুন,,,,,নো মোর,,,,

–ওকে,,,, ছাড়লাম।

–হ্যালো!

… হ্যালো!

…হ্যালো!

আমি কিছৃ শুনতে পাচ্ছি না। লাইন কি কেটে
গেলো ?

–না,,, কারো উদ্বেগ দেখতে ভালো লাগছিলো!

–আপনি একটা যাচ্ছেতাই।

–এই অধম যাচ্ছেতাই এর পরিচয় জানার জন্য কেউ অস্থির এটা ভাবতে বেশ ভালো লাগছে কিন্তু,,,,

–ছাই অস্থির,,

–অস্থির না ?

–না

–ফোন রেখে দিলে অস্থির হবে কেউ ?

–খবরদার ফোন রাখবেন না। আজ আপনাকে বলতেই হবে কে আপনি!

–আজ না,,, অন্য কোন সন্ধ্যায়,,, যেদিন কেউ আমাকে সত্যিকারের খুঁজবে,,,সেদিন,,,

–আমি সত্যিকারেই খুঁজি বারান্দায় যাবার ইচ্ছেরা আমায় খুব জ্বালায়।

মনে হয়…

–কী মনে হয় ?

–কিচ্ছু না।

–হুম,,,কিচ্ছু না তাহলে ?

–মনে হয় কে এই মানুষ ? কেন সে আমায় দেখে ? এতো অপেক্ষা কেন করে ? হয়েছে এবার ?

–না হয়নি।

–আর কী ?

–কেউ একবার যদি তাঁর বাড়ির সামনের রাস্তায় এসে দাঁড়াতো,,,

–দাঁড়ালে আপনার অনুবীক্ষণ দিয়ে দেখতেন আমার কপালে টিপ আছে কি না ? এর বেশি আর কীইবা পারেন আপনি।

–নাহ,,,এতোটাও এখন পারবো না।এখন একটু ঝামেলা আছে।পরে কথা হবে।ফোন রাখছি এখন।ভালো থাকবেন খুব।

–মানে কী ?

–মানে কিছু না! হলুদ দোতলা বাড়ির মেয়েটি রাস্তায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে।ফোন ছেড়ে আমার তার হাত ধরতে হবে।সময় নেই আপনার সাথে কথা বলবার।

–আপনি,,,,আপনি একটা যাচ্ছেতাই,,,

–যাচ্ছেতাই কী ?

–যাচ্ছেতাই রকমের বাজে আর পচা।কেউ এখন এই পচাটার জন্য হলুদ বাড়ির সামনে দাঁড়াবে ভাবতেও রাগ হচ্ছে,,,

–রাগ ভালো তো,,,যাচ্ছেতাই এক্ষুনি আসছে মেয়েটি যেন টিপ না পরেই আসে।ওখানে আজ যাচ্ছেতাই কেউ আলতো করে ছোঁবে।

–ছোঁবে,,,

–হু,,, ঠোঁট দিয়ে না আঙুল দিয়ে ছোঁবে সে,,,

—আমি কী জানতে চেয়েছি কিভাবে ছোঁবে ?

আশ্চর্য,,,,,,,,

আসলেই আপনি একটা যাচ্ছেতাই…

–হম,,,,রেডি হয়ে হলুদ বাড়ির সামনের রাস্তায় দারিয়ে থাকুন,,,,যাচ্ছেতাই আসছে,,,,

–আসুক আমি কি তাকে ভয় পাই নাকি,,,,

অতঃপর মেয়েটি হলুদ বাড়িটার সামনের রাস্তায় দারিয়ে আছে যাচ্ছেতাই কে দেখার জন্য।

(সমাপ্ত)

লেখা || Tuhin Ahamed

অনুভবেতোমায়খুঁজি প্রথম পর্ব

0

অনুভবেতোমায়খুঁজি প্রথম পর্ব

–নীল শাড়িতে তো আপনাকে বেশ মানায়।

–আপনি ?

–আমার ফোন নাম্বার সেভ করা ছিল না ?

–অচেনা কারো সাথে কথা বলতে আমার একদম ইচ্ছে করে না।আর আপনার নাম কি আমি জানি নাকি ? কি নামে নাম্বার সেভ করবো,,,,

–একটা কিছু লিখে কি সে করে রাখলেই পারতেন।তাহলে আর আমাকে চিনতে কষ্ট হতো না।

–আপনি তো মানুষ হিসেবে একদম ভাল না। কথা হবার পর আপনি ফোন বন্ধ করে ফেলেন

–আপনি আমার নাম্বারে কল দিয়েছিলেন,,,, এটা আগে বলবেন না,,,তাহলে তো আর আমি ফোন বন্ধ করি না।

–বলার দরকার নাই।

–কেন ?

–এমনি,,,এখন বলুন,,,,আমাকে কোথায় নীল শাড়ি পরা দেখলেন ?

–আপনার বান্ধবীর বিয়েতে।

–আপনি সেখানে কেন গেছিলেন ?

–আপনাকে দেখতে,,,

–কেন আমাকে আগে কখনো দেখেন নি ?

–দেখছি,,,তবে আজকের মতো নীল শাড়িতে দেখিনি।

–আপনি একটা পাগল।

–এক পাগলেই তো আরেক পাগলের সাথে সাথে কথা বলে,,,,

–আমাকে পাগল বললেন ?

–আপনি পাগল হতে যাবেন কেন,,,,

এখন বলুন তো আজকে বিকেলে কেন বারান্দায় আসেন নি ?

–আপনি কে বলুন তো ? বাসার আশেপাশে থাকেন এটা ভালই বুঝতে পারছি,,, কেন ফোন করেন ? আর আমার কাছে কী চান আপনি ?

–এতো প্রশ্ন একবারে করলে কোনটার উওর আগে দেব,,,,

–এক এক করে সবগুলোর উওর দিবেন।

–সবগুলোর উওর দিতে পারবো না।তবে আপনার কাছে কী চাই এটার উওর দিতে পারি।

–বলতে হবে না।আগে আপনার পুরো পরিচয় দেবেন তারপর অন্য কথা। না হলে না।

–কী না ?

–আমাকে আর কল দেবেন না।

–এতে কি আপনার ভালো লাগবে ?

–আপনার কি মনে হয়।

জানা নেই, চেনা নেই, কে না কে আপনি,,, আপনার ফোন না এলে আমার মন খারাপ হবে কেন,,,

–হবে,,,

–মাথা খারাপ আপনার

–তা একটু আছে অবশ্য,,

-একটু না,,, পুরোটাই খারাপ,,,,,

–আজকে নীল শাড়ি পরা কাউকে দেখবার পর মাথা পুরো খারাপ হয়ে গেছে,,,নীল শাড়িতে আমার অনেক দূবলতা আছে,,,তাই মাথা একটু খারাপ হয়ে গেছে,,,

আচ্ছা, আপনি টিপ পরেন না কেন ?

–পরি,

— কিন্তু আজ পরলেন না যে ?

-আপনি কি অনুবীক্ষণ নিয়ে বসে বসে শুধু মেয়েদেরই দেখেন নাকি।এছাড়া আর কোন কাজ নেই আপনার,,,

–কাজ আছে। তবে মেয়েদের না। শুধু মাএ একটা মেয়েকেই দেখি।

–কেন ? পরিচয় দিচ্ছেন না,,,,আর এসবের মানে কী ?

–কেউ এক জন প্রতিদিন বারান্দায় দারিয়ে কাউকে খুঁজে কিন্তু তাকে আর পায় না।

আর একটা কথা, আপনার ঠোঁটের নিচের ঐ ছোট কাল তিলটা আপনার সৌন্দর্য কয়েক গুন বাড়িয়ে দেয়।

–তিল টাও দেখে ফেলেছেন ?

বাহ,,,,,,,

আর কে বলেছে আমি কাউকে খুঁজি ? অদ্ভুত সব কথা!

–নীল শাড়ির সাথে নীল চুড়ি।এই দৃশ্য দেখলে চোখ জুরিয়ে যায়।

–আপনার চোখ দুটি বাঁধিয়ে রাখার মতো,,,

–কেন ?

–এই যে কত নিখুঁত দৃষ্টি আপনার,,,কোন কিছুই আপনার চোখ এরিয়ে যেতে পারে না।

–এটা দেখার জন্য হঠাৎ আসা বাতাসকে একটা ধন্যবাদ দিতেই হয় সে এসে আপনার চুল এলোমেলো করলো বলেই না নীল চুড়ি পরা হাতটা দেখতে পেলাম,,,,

–কী চান আপনি,,,,,,, ?



চলবে,,,,,

লেখা || Tuhin Ahamed

মন ফড়িং ❤ ১৮. 

1

মন ফড়িং ❤

 

১৮.

ডান হাতে ব্যথা পেয়ে অদ্রি চাপা স্বরে উঁহু বলে উঠলো। চোখ মুখে স্পষ্ট ব্যথার ছাপ। নিদ্র অদ্রির ডান হাতের দিকে তাকিয়ে দেখলো, ফোসকা টা গলে গেছে। মনে হয় তার হাতেই লেগে।

– স্যরি, আমি খেয়াল করিনি।

– স্যরি বলার কিছুই হয়নি। দোষ আমারই ছিলো।

ব্যথায় অদ্রির চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়তে শুরু করলো।

– এই প্লিজ কাঁদে না। আমার কাছে মনে হয় বার্ন ক্রিম আছে। ক্ষত স্থানে লাগালে কিছুটা ভালো লাগবে।

অদ্রি আপনি বিছানার উপর বসুন। আমার ব্যাগে খুঁজে দেখতে হবে। নিদ্র বার্ন ক্রিম খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো।

অদ্রি হাত নাড়াতেও পারছেনা। অসহ্যকর লাগছে। একটু আগেও সুন্দর সময় পার করছিলো আর এখন!

– বার্ন ক্রিমে কাজ হবে কিনা জানিনা। ফোসকা ফেটে গেছে।

ক্রিম দেয়ার সময় অদ্রি হাসতে হাসতে বললো

– এভাবে মানে এতো আস্তে আস্তে ক্রিম দিয়ে দিলে কোনোদিনও শেষ হবেনা দেয়া। আর এভাবে কেউ ক্রিম দিয়ে দেয়? ক্ষত স্থানে লাগছেই না। আশেপাশেই ঘোরা ফেড়া চলছে আরকি।

নিদ্র তোতলাতে লাগলো।

– ভয় লাগছে, যদি আপনি ব্যথা পেয়ে বসেন।

– ব্যথা অলরেডি পাচ্ছি। তাই দয়া করে একটু দ্রুত কাজ সারুন।

ক্রিম দেয়া শেষ হলে নিদ্র বললো

– আপনি তো দেখছি  শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছেন দিনদিন। খাওয়া দাওয়া কি করেন না?

ওড়না ঠিক করে অদ্রি বললো

– করি বৈকি।

– আমার উপর রাগ হচ্ছে না আপনার?

– কেনো?

– না মানে ইয়ে আপনাকে এভাবে জাপটে ধরে…… মানে….

 

নিদ্রের ঠোঁটে আলতো করে চুমু দিয়ে অদ্রি বললো

– রাগ না অভিমান ছিলো। এখন নেই, উবে গেছে!

নিদ্র অদ্রির গলায় গভীর চুমু দিলো। তারপর অদ্রির ঠোঁটে ঠোঁট চেপে তীব্রভাবে চুমু খাওয়ার চেষ্টা করতে লাগলো। আনাড়ি ভাবে চুমু এঁকে দিয়ে নিদ্র বললো

– আপনার আরো কাছে আসতে পারবো আমি?

নিদ্রের গলায় গভীর চুমু দিয়ে বললো

– কেনো নয়? আমি আপনারই অপেক্ষায় ছিলাম।

– চলুন বিয়ে করে ফেলি।

– আপনার পরিবার রাজি হবে? আমি তো বিধবা মেয়ে।

অদ্রির ঘাড়ে মাথা রেখে নিদ্র বললো

– আপনার এই ডায়লগ দেয়া কবে বন্ধ হবে?

– এটা তো কোনো ডায়লগ না। আমার জীবনের গল্প।

অদ্রির ঘাড়ে নিদ্র নাক ঘষে বললো

– অতীত ছিলো আর কিছুই না। বর্তমানটা কেমন লাগছে?

– স্বপ্নের মতো ঠিক। মনে হচ্ছে একটা ঘোরের মধ্যে আছি। আপনার আনাড়ি চুমুতে মনে হচ্ছিল আমি আমাকেই হারিয়ে ফেলছি। একটু একটু করে হারাচ্ছিলাম নিজেকে।

– পুরোটা হারাতে চান?

কথাটা বলে নিদ্র অদ্রির ঠোঁটে গভীর চুমু দিলো।

– নিদ্র, আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি। আর না প্লিজ।

– বাঁধ যেহেতু একবার ভেঙেই গেছে তখন নিজেকে আটকাই কীভাবে বলুন?

 

রিতা আসমা জামানের গল্পে বিরক্ত বোধ করছেন। কিছুই বলতে পারছেন না। বয়স্ক মানুষ তাই চুপচাপ সহ্য করছেন। এদিকে অদ্রি সেই কখন তার রুমে ঢুকেছে এখনো বের হয়নি। মেয়েটার অসুস্থতা বাড়লো কিনা কে জানে?

 

ডাকতেও সাহস পাচ্ছেন না। নিদ্র নামের ছেলেটার জন্য অদ্রি তার উপর রেগে আছে।

রশীদ সাহেব আগামীকাল আসলেই, তাকে দিয়ে নিদ্রকে ওই রুম থেকে বের কর‍তে হবে।

– রিতা, শুটকি মাছ আছে নাকি?

– রান্না করাটা শেষ।

– কাঁচাটা তো আছে?

– আছে।

– তাহলে ভর্তা করো। বেশি করে ঝাল দিয়ে।

রিতা মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বলে থালা বাসন ধুতে লাগলো।

লিলি বেশ মনোযোগ দিয়ে রান্না করছে। রঙিন ভাইজান এসেছে, সেও তো রাতে খাবে। রান্না ভালো না হলে, ঠিকঠাক মতো খেতে পারবেনা। বেচারার কষ্ট হবে। ঝাল, নুন, তেল সব ঠিকঠাক মতো হতে হবে।

রঙিন ভাইজান আগের থেকে বেশি সুন্দর হয়ে গেছেন।

একজন মানুষ এতো সুন্দর কীভাবে হয়?

প্রায়ই ফরেইনার দের মতো দেখতে। রিতার জন্য সে সাজগোজ টাও করতে পারেনি।

লাল রঙের জামাটাও পড়ার সুযোগ পায়নি সে। চা দেয়ার অজুহাতে রঙিন ভাইজানের সাথে কথা বলা যেতো। এই রিতাটার জন্য সব মাটি হয়ে গেলো।

সে কি দেখতে খুব খারাপ নাকি? অন্ততপক্ষে অদ্রির চেয়ে সুন্দরী সে। ওরকম রোগা টাইপের চেহারার মেয়েকেই কাজের লোক হিসাবে মানায়, তাকে না।

 

– আমার ঘুম আসতে চাচ্ছে। তবে একটা শর্ত জুড়ে দিয়েছে।

অদ্রিকে প্রশ্নটা করলো নিদ্র।

– শর্তটা কী?

– চুলে বিলি কেটে দিবেন?

– এখন না।

– কেনো কেনো?

– এখন ঘুমানো যাবেনা। রান্না হচ্ছে তারপর খাবেন। তারপর ঘুম।

– ম্যাডাম নিজে কি এরকম নিয়ম মেনে চলেন?

– আমার কথা বাদ দিন। আমি তো আমিই।

অদ্রির চুলে আঙুল চালিয়ে দিয়ে নিদ্র বললো

– এখন আপনি আর আমি মিলে আমরা হয়ে গেছি।

– আপনার তো লুসি আছে। কীভাবে সম্ভব শুনি?

– O my God! আমিই তো ওকে ভুলে গেছিলাম। আপনি কীভাবে মনে রাখলেন?

– আপনিই তো বলেছিলেন, ” আমার লুসি আছে। ” সে থাকতে আমি আর আপনি কীভাবে আমরা হই?

– ও কিছুই ছিলোনা। মোহ  ছিলো ক্ষণিকের।

– আমিও কি ক্ষণিকের মোহ আপনার কাছে? আমার চেয়েও বেটার কাউকে পেলে আমিও মোহ হয়ে যাবো?

– আপনি আমার কাছে কী? এই প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে নেই। আপনার প্রতি আমার ফিলিংসটাও আমি ব্যাখ্যা করতে পারবো না।

লুসি আমার মায়ের নার্স ছিলো। সেই থেকে কথাবার্তা, পরিচয়। লুসিকে আমি ফিল করতে পারিনা কিন্তু আমি কারণে অকারণে আপনাকে ফিল কর‍তে পারি। এইযে দেখুন না, আপনাকে কাছে পাওয়ার সাথে সাথেই নিজের উপরই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছি।

বিয়ের পূর্বে চুমু দেয়া, স্পর্শ করা হারাম কিন্তু আমি পারছিনা। এজন্যই বলছি, চলুন বিয়ে করে ফেলি।

 

– নিদ্র!

– বলুন।

– ভালোবাসি আপনাকে!

– আমারও একই অবস্থা!

 

চলবে…..!

 

 

© Maria Kabir

বিসর্জন শেষ_পর্ব

0

বিসর্জন শেষ_পর্ব

অবশেষে আমার সাথে লিজার বিয়েটা হয়ে গেল।প্রচন্ড অনিচ্ছা সত্তেও এই বিয়েটা আমাকে করতেই হল।

লিজাকে বাড়িতে নিয়ে আসার পর মা এসে আমাদেরকে বরন করে ঘরে তুলল।বিয়ে বাড়িতে সাবাই এসে ভীর করেছে নতুন বউ দেখতে।এসব দেখে আমার ভাল লাগতে ছিল না।তাই আমি ঘর থেকে বের হয়ে যায়,,,,

এখন বাজে রাত বারোটা।বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পরেছে।ঘরে এসে দেখি লিজা খাটের উপরে বসে আছে।হয়তো আমার অপেক্ষাতেই বসে আছে।কিন্তু আমি তো এমনটা কখনো চাইনি।

ঘরে থাকতে মোটেও ইচ্ছা হচ্ছে না।তাই বারান্দায় চলে আসলাম।পকেট থেকে সিগারেটের প্যাকেট বের করে একটা সিগারেট ধরালাম।অনেক দিন ধরে সিগারেট খাওয়া হয় না।সিগারেট টানতেছি আর ধোঁয়া ছাড়ছি,,,,

এর সাথে সাথে একবছর আগের স্মৃতি গুলি মনে পরে গেল।

সেদিন লিনা অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।ডাক্তার লিনাকে দেখার পরে কিছু টেস্ট করতে দেয়।লিনার টেস্ট গুলি করিয়ে ওরে বাসায় দিয়ে তারপর আমি বাসায় ফিরি।

সেদিন বাসায় আসার পরে খুব চিন্তা হচ্ছিল কাল লিনার কি রিপোর্ট আসে এটা নিয়ে,,,

পরের দিন ডাক্তারের কাছে রিপোর্ট নিয়ে যাওয়ার পরে ডাক্তার রিপোর্ট দেখে যা বলল এমন কিছু শুনার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।ডাক্তার যখন বলল লিনার ব্রেন টিউমার হয়েছে।এটা শুনার পরে আমার পৃথিবীটাই কেমন যেন উলট পালট হয়ে গেল।

এর পরে দেশের অনেক বড় বড় ডাক্তার লিনাকে দেখিয়েছি কিন্তু কোন ডাক্তারেই লিনাকে সুস্থ হওয়ার আশ্বাস দিতে পারল না।আর এদিকে যতই দিন যাচ্ছিল লিনার অবস্থার ততই অবনতি হচ্ছিল।

তারপর নিলাকে দেশের বাহিরে নিয়ে গেলাম।কিন্তু সেখানের ডাক্তাররাও তেমন কোন আশ্বাস দিতে পারছিল না।এভাবেই চলে গেল আরো কিছুদিন।

তারপর একটা সময় ডাক্তার জানিয়ে দিল ওনাকে নিয়ে দেশে চলে যান।ওনার সুস্থ হওয়ার মত আর কোন চিকিৎসা নেই।ওনি এই মূহুর্তে ওনার জীবনের লাষ্ট স্টেজে আছেন।যে কোন সময় ওনার কিছু একটা হয়ে যেতে পারে।

ডাক্তারের থেকে কথা গুলি শুনে নিজেকে খুব অসহায় মনে হচ্ছিল তখন।একটা মানুষ চখের সামনে তিল তিল করে শেষ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু তার জন্য কিছুই করতে পারছি না আমরা।লিনার বাবা আর লিজা খুব ভেঙে পরল ডাক্তারের কথা শুনে।এদিকে লিনাও কিভাবে যেন সব জেনে গেল।

দেশে ফিরেই লিনা সবাইকে একসাথে তার ঘরে ডাকলো।আমি,লিজা,আঙ্কেল সবাই লিনার কথা শুনার জন্য ওর ঘরে গেলাম।আমাদের সবার উদ্দেশে লিনা বলল,,,,

– তোমরা আমাকে না বললেও আমি ঠিকি বুঝতে পেরে গেছি আমি আর বেশি দিন বাঁচবো না।আমি মরে যাবো এতে আমার কোন দুঃখ নেই।কিন্তু আমি মরে যাওয়ার আগে যদি তোমাদের কাছে কিছু চাই তোমরা কি আমাকে তা দিবে ??

আমরা সবাই তখন কান্না জরিত কন্ঠে বললাম। তুমি কি চাও বল।আঙ্কেল লিনার কাছে গিয়ে লিনার মাথা আঙ্কেলের বুকে নিয়ে আঙ্কেল কান্না করতে করতে বলল।তুই কি চাস আমাকে বল মা,,,,

– বাবা আমি মারা যাওয়ার আগে আমার আপুর বিয়েটা আমি দেখে যেতে চাই।

আচ্ছা মা তাই হবে।আমি লিজার জন্য কাল থেকেই ছেলে খুঁজতে ঘটক কে খবর দিচ্ছি।

– না বাবা,তোমাকে ছেলে খুঁজতে হবে না।আপুর জন্য ছেলে আমি পছন্দ করেছি।

তুই কার কথা বলছিস মা ?

– লিনা যখন আমার দিকে তাকিয়ে আমার নাম টা বলল।আমি এটা শুনে খুব অবাক হলাম।লিনা এটা কি করে বলতে পারল।আমি তো ওকে ছাড়া কিছুই ভাবতে পারি না।তাহলে সে এটা কেমন করে বলল।

লিনার মুখে এটা শুনে আমি সাথে সাথেই বললাম না লিনা এটা আমি কখনোই করতে পারবো না।আমি তোমাকে ছাড়া আর কাউকেই চাইনা লিনা।

একটা সময় লিনা আমাকে এমন ভাবে বলল।তখন আমি খুব দ্বিধা দ্বন্দ্বের মধ্যে পরে গেলাম।একদিকে মৃত্যু পথ যাত্রী লিনার কথা রাখতে লিজাকে বিয়ে করতে হবে আর অন্যদিকে আমার ভালবাসা।আমি কি করব কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিলাম না।

তখন আঙ্কেল আমাকে বলল,,,বাবা তুমি কি আমার মেয়ের কথা টা রাখবে না ??

আমি আঙ্কেলকে কি উত্তর দিব ভেবে পাচ্ছিলাম না।

একটা সময় লিনার কথা রাখতে গিয়ে আমার মনের অবাধ্য হয়েই এই বিয়েটা করতে আমি রাজী হলাম।

সেদিনের এই একটা ঝড়েই আমার জীবনটা কেমন উলট পালট করে দিল।

ওফফ,,,,,হাতে সিগারেটের আগুনের ছ্যাঁকা লাগলো।কখন যে আমার জীবনের মত করে হাতে থাকা সিগারেট টাও পুরতে পুরতে ছাই হয়ে গেল খুঁজি পেলাম না।

এর মধ্যেই হটাৎ ফোনটা বেঝে উঠল।ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি আমার ফোনে তো কোন কল আসেনি তাহলে শব্দটা কোথায় থেকে আসছে,,,

পরক্ষণেই মনে হল ফোন বাজার শব্দটা আমার ঘর হতে আসছে।হয়তো লিজার ফোনে কল আসছে,,,,

কিন্তু এত রাতে লিজাকে কে ফোন করল।এটা ভাবতেই,,,

খুব জোরে একটা চিৎকারের আওয়াজ কানে আসলো।আমার এই চিৎকারের কারন বুঝতে একটুও দেরি হল না।এই চিৎকার শুনে একটা দীর্ঘশ্বাস আর চখের কোনে দু-ফোটা জল চলে এলো আমার….

#সমাপ্ত

গল্পটা আজকে শেষ করে দিলাম।আমি আমার সবটুকু দিয়েই গল্পটা লিখতে চেষ্টা করেছি।জানি না কেমন হয়েছে,এটা আপনারাই ভাল বলতে পারবেন।

যারা দৈর্য্য নিয়ে পুরো গল্পটা পরেছেন তাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

লেখা || Tuhin Ahamed