Wednesday, September 3, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 2327



সতীনের_সংসার পর্ব_৬

0

#সতীনের_সংসার
Writer: তানজিন সুইটি
#পর্ব_৬

-হ্যালো আনিকা?(অচেনা কণ্ঠ)

-জি(ঘুম ঘুম কণ্ঠে)

-একটু তাড়াতাড়ি হাসপাতালে আসবে……?

-হাসপাতাল?এমন কথা শোনার পর………

আনিকার মাথায় বাধ ভেঙে পরলো।ভোরের সূর্যটা সবার জন্য উজ্জ্বলতা বয়ে আনে না।কারো কারো জন্য কালো কালবৈশাখী ঝড়ের ন্যায়ের মতো বয়ে আনে।

আনিকা আর এক মূহুর্ত না বসে থেকে।কোনো রকম ফ্রেস হয়ে রওনা হলো হাসপাতালে দিকে।কথায় আছে না,বিপদের পথ শেষ হয় না কখনো?আজ তার বেলাতেও একই মনে হচ্ছে।বুকের ভিতরে অন্য রকম ভয় কাজ করছে। আল্লাহ এমন কি হতে চলেছে আমার জীবনে ?কি এমন হয়েছে?নাহ আনিকা আর কিছুই ভাবতে পারছে না। আগে সেখানে যাবে তারপর বিস্তারিত শুনবে।কি হয়েছিলো ভিতরে ভিতরে খুড়ে খুড়ে খাচ্ছে আনিকার?

নানান কথা ভাবতে ভাবতে চলে আসলো হাসপাতালে।
দু তলায় ২২৪নং কেবিনে রাখা হয়েছে তাকে।দৌড়ে গিয়ে দাড়ায় কেবিনের বাহিরে চকচকে আয়নার এপারে।ওপাশে অক্সিজেন মাক্স লাগানো মুখে।সেটা দেখে বুকের ভিতরে হু হু করে উঠলো খনিকেই।এ সে কি দেখছে?

কেন এটা করলো?আর আমাকেই কেনো আসতে বললো?হঠাৎ হাত পরলো আনিকার কাঁধে।পিছু ফিরে তাকাতে তাকাতে কিছুটা ভয় কাজ করছে।অসহায়ের মতো তাকালো তার দিকে।তার চোখ কথাও বলছে কে আপনি কাঁধে হাত রাখলেন যে?

-তুমি কি আনিকা?

এমন প্রশ্নে আনিকা আরও অবাক হলো খানিকটা?
পরে হ্যাঁ সূচক জানায়!!!

-আমিই আনিকা..আপনি…???

কথা বলা শেষ করার আগেই বলে উঠলো।

-আমি ওর আম্মু।আর ওর আব্বু স্ট্রোক করেছে,এক মাত্র ছেলের এমন অবস্থা দেখে।পাশের কেবিনে আছে।ও হ্যাঁ আমিই তোমাকে কল দিয়েছি।ওর ফোনে তোমার নাম্বার সেভ করা ছিলো আর ফোন গ্যালারীতে শুধু তোমারই ছবি দিয়ে ভর্তি ছিলো।তাই তো তোমার কাছে কল করে আসতে বললাম মা।

এমন কথা শুনে আনিকা আকাশ থেকে পরে।এটা কি শুনছে সে? এটা কি করে হবে?না না এটা হতে পারে না।আমি তো তাকে ভালো করে চিনিই না।শুধু কয়েকদিন দেখা হয়েছিলো। কিন্তু তেমন কথা হয়নি?
এমন কথা ভাবতে থাকে।পাশ থেকে ভদ্র মহিলাটা আনিকাকে কিছুটা ঝাকুনি দিলো কাধে হাত দিয়ে।

-হুমম আন্টি…..( ভাবনা ভেদ করে,দুঃচিন্তা স্পষ্ট ফুটে উঠেছে আনিকার মুখে।)

-তুমি হয় তো ভাবছো আমার বাবুটার সাথে তুমি ভালো করে কথাবার্তা বলোও নি, তবুও কিভাবে কি,ঠিক না মা?

-জি আন্টি!(মাথা নারিয়ে)

ভদ্র মহিলাটা সব কথা শুরু করার আগে আনিকার হাত ধরে নিয়ে যায় পাশের কেবিনে যেখানে ভদ্রলোকটা স্ট্রোক করে ভর্তি আছে ছেলের শোকে।

সেখানে গিয়ে তো আনিকা বাকরুদ্ধ।কথা বলার ভাষাই হারিয়ে ফেলেছে।এটা কাকে দেখছে সে?স্যাররর?একটু জোরেই বলে ফেললো।

-হ্যাঁ তোমার অফিসের স্যার আশরাফ চৌধুরী।আর তার এক মাত্র ছেলে রায়হান চৌধুরী।

?????

-তুমি হয় তো ভাবছো।তার অফিসে চাকরি করো কিন্তু এখনও রায়হানকে চিনোই না ভালো করে,এটা কি
করে হয়?

আসলে কি জানো?আমার ছেলেটা একদম অন্যরকম।
কাজকর্ম করতে চায়তোই না।কিন্তু হঠাৎ কারো সাথে ওর দেখা হয় আর তখন থেকে প্রায় সময় রায়হান অফিসে যাওয়ার নেশা হয়ে যায়।সেটা কিছুটা ask করতে পারি আমি,তাই জিঙ্গাসা করলে একটা মেয়ের কথা বলে?আশ্চর্য বিষয়টা কি জানো?

??????

-গত পরশুও অনেক ভালো ছিলো।জানি না গতকাল থেকে কি এমন হয়েছে রাজের ফোন আসার পর থেকে।পরে যা হয়েছে তোমার চোখের সামনে বেডে শুয়ে আছে মৃত্যুর সঙ্গে লড়চ্ছে।

-রাজজজ…রাজের সাথে রায়হানের কি সম্পর্ক?

-আরে ভুলেই তো গেছি বলতে।রাজ হলো রায়হানের বেস্ট ফ্রেন্ড।রাজ পড়াশোনা শেষ করেই আমাদের অফিসে জয়েন্ট করেছে আর রায়হান কাজের কথা শুনলেই দৌড়াতো।হঠাৎই ঐ মেয়ের সাথে সাক্ষাৎ হওয়ার পর থেকে কাজ ওর জীবনে আবির্ভাব হয়ে উঠেছে।

আনিকা তো পুরাই অবাক হয়ে গেলো রাজের সাথে রায়হানের বেস্ট ফ্রেন্ডের কথা শুনে।কিন্তু এতোদিন কেনো বললো না রায়হানের কথা রাজ?আর রায়হানও বা মরার সিন্ধান্ত নিলো কেনো হুট করেই।তার মাথায় ঘুর পাক খাচ্ছে।মাথা ধরে বসে পরে পাশের বেঞ্চে।
তারপাশে বসে পরে মিসেস সালেহা বেগম।আনিকার মাথায় হাত রেখে..

-মা আনিকা তোমার কাছে একটা জিনিস ভিক্ষা চাই।(দু হাত চেপে ধরে)

-এমন কথায় আরও অবাক হচ্ছে আনিকা।তার কাছে এখন সব কিছুই অবাকের মতোই লাগছে।ভিক্ষা..
কি এমন চাইবে যে এভাবে বলছে?আনিকাকে চুপ করে থাকতে দেখে মিসেস সালেহা বেগম বলে উঠে।

-কি গো মা..ভিক্ষা দিবা না আমাকে?আজ যদি আমি তোমার মা হতাম।তাহলে কি ফিরিয়ে দিতে আমাকে?

আনিকার মার কথা মনে করিয়ে দিয়ে বুকের ভিতরে
কষ্টে বাধ ভেঙে দিলো নিমিষেই।বেচারি এমনিতেই মা হারানোর কষ্ট ভুলতে চেষ্টা করে তার উপরে দিলো কাটা গায়ে লবণের ছিটে দিয়ে।চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে গড়িয়ে পরতে লাগলো অঝরে।

-মা মা আমার মা?আমাকে সে তো জন্ম দেবার পর পরই মারা গেছে।মায়ের ভালোবাসা কি সেটা তো জানিই না আন্টি??

আনিকা আর কোনো কথা বলতে পারছে না। অবিরত কান্না করেই যাচ্ছে।এমনটা দেখে মিসেস সালেহা বেগম

-আমার দিকে তাকাও please…

কাঁদো কাঁদো চোখ মুখ নিয়ে তাকালো তার দিকে।

-আমার মেয়ে হবি তুই?অনেক ভালোবাসবো তোকে।

এমন কথা শুয়ে জড়িয়ে ধরে বাহুডোরে মিসেস সালেহা বেগমকে।ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদতে থাকে।ওর কান্নার তাল মিলিয়ে মিসেস সালেহা বেগমও কান্না করে দিলো এতোখনে।

-এখন বল মা আমাকে…

আনিকা আর কথা বলতে দিলো না।কিভাবে দিতো তাকে আর কথা বলতে কারণ, তাকে যে মা স্থান দিয়েই দিয়েছে।তাহলে কি মা ভিক্ষা চাইবে মেয়ের কাছে আর সেটা কেউ মেনে নিবে।সেই জন্য চুপ করে থেকে।

-আপনি শুধু হুকুম করেন কি চাই?

-আগে মা বলে ডাক আর তুমিও বলে ডাক তারপর চাইবো তার আগে না।?(অভিমান করে একটু)

-আনিকা একটু মুচকি হেসে তারপর..আচ্ছা বাবা তুমি তুমি তুমি হয়েছে এখন বলো মা তোমার।

দুজনেই এক সাথে হেসে দেয় খনিকেই।

-হ্যাঁ হয়েছে….তুই রায়হানকে বিয়ে করলো আজ এই মূহুর্তে।

এমন কথা শুনে আনিকার মুখ মূহুর্তেই মলিন গেলো।এটা সে কি বলছে?ভিতরে ভিতরে যেই ভয়টা ছিলো তাহলে কি এটাই সেটা হবে।কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না।

-মা এসব তুমি কি বলছো?আর এটা হয় না কখনো?

-কেনো হয় না বল মা?তুই কি চাস না রায়হানের বাবা সুস্থ্য হয়ে যাক আর আমার রায়হানটাও। দেখ মা ডাঃ বলেছে যদি উনি আরেকবার স্ট্রোক করে তো আর বাঁচাতে পারবে না উনাকে।তারপরে আসে আমার ছেলে,কিভাবে ওদের ছাড়া থাকবো একা বল।

আনিকাকে ছেড়ে দিয়ে ফ্লোরে বসে পরে হাটু গেরে। কাঁদতে থাকে চিৎকার করে।মা তো পা ধরে ভিক্ষা চাই স্বামী সন্তানকে।

আনিকাও আর এক মূহুর্ত উপরে বসে না থেকে। বসে পরে সঙ্গে সঙ্গে তার সাথে তাল মিলিয়ে ফ্লোরে।
তারপর পৃথিবীর আর কিছু চিন্তা ভাবনা না করে
হ্যাঁ বলে দেয় রায়হানকে বিয়ে করবে বলে।

বাসস হয়ে গেলো সব ব্যবস্থা খনিকের মধ্যে।

চলবে…..

(ভুলত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে)

সতীনের_সংসার পর্ব_৫

0

#সতীনের_সংসার
Writer: তানজিন সুইটি
#পর্ব_৫

আনিকা চুপ হয়ে চলে গেলো বাসাতে।সারা রাত চিন্তা করলো শেষমেশ সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলে কি বলবে তাকে?

রাতের তারা আজ তার কাছে অনেকটা সুন্দর লাগছে সেই ভেবে বেলকনিতে একটু কাটাবে বলে বিছানা থেকে নেমে পা বাড়ালো এরই মধ্যে দরজায় নক পরলো। তার আর যাওয়া হলো না ঐ পথে। পা টা ঘুরিয়ে দরজার কাছে গেলো খোলার জন্য।দরজা খুলে অবাক হলো আনিকা।দরজার ওপারে দাড়িয়ে আছে
তার এক মাত্র দুলাভাই।মুচকি হেসে…

-ঘুমিয়ে গিয়েছিলো নাকি আমার শালিকা?

-আরে নাহ।তো এতো রাতে কি মনে করে এই অদম শালিকার রুমে?

-কেনো আসতে নেই বুঝি?কোনো সমস্যা তোমার, আমি আসাতে?

-ধ্যাত ভাইয়া কি যে বলেন না?বোনের রুমে ভাই আসবে তার আবার সমস্যা।আমার কোনো ভাই নেই,সেটা কিন্তু জানেন?যখন আপুর সাথে আপনার বিয়ে হয়েছে তখন থেকেই ভেবে নিয়েছি,আপনাকে দুলাভাই নয়,ভাইয়া বলে ডাকবো।যাতে আমার ভাইয়ের অপূর্ণতা দূর হয়ে যায়।?
এখন আসেন তো ভিতরে এতো কথা রেখে…
কথা শেষ করার আগেই পিছনে আনিয়া।

-আমি একা নয় শালিকা বেগম।তোমার বোনও সঙ্গে আছে।?দেখেছো আনিয়া তোমার বোনের মতো শালি পেয়ে অনেকটা ভাগ্যবান।আমারও বোন নেই।আর তোমার বোনেরও ভাইয়ের আশা পূর্ণ হলো।সত্যিই আনিয়া তোমাদের পেয়ে আমি ধন্য।

-হয়েছে আপনার পাম দেওয়া।কি ব্যপার দুজন এক সাথে সেটা আগে বলেন?

-কোনো ব্যপার সেপার না বোন?একটু ইচ্ছা হলো তাই তোর দুলাভাইকে বলাম আর কি?

-ডাল মে কুস তো কালা হে।তোমার মতলব তো বলছে অন্য কিছু আজ, দেখেই বুঝা যাচ্ছে।

-হয়ছে হয়ছে তোর সাথে কথায় পারবো না রে।রুমে প্রবেশ করতে করতে।

দুজন এক সাথে খাটে বসলো আর আনিকাকে সামনে বসালো।

-আনিকা আজ কয়েক বছর ধরে তোকে একটা কথা বলেই যাচ্ছি আমি আর তোর দুলাভাই মিলে। বিশেষ করে দুলাভাই বলেছে বার বার তোকে।সেটা কি একবারও চিন্তা করে দেখেছিস বল না?

আনিকা কি বলবে বুঝতে পারছে না?তাই চুপ করে রয়েছে।

-দেখো আনিকা তুমি অনেক বড় হয়ে গিয়েছো।তার উপরে আমি তোমার ভাই এখন।বুঝার চেষ্টা করো।
বোন বড় হলে ভাইয়ের চিন্তা অনেক হয় সব সময়ে।
তাই বলছি কি….?

আনিকা অসহায়ের মতো তাকিয়ে আছে দুজনের দিকে।শহরে যখন আসে তখন থেকে তার বোন ও দুলাভাই অনুরোধ করে বিয়ে করে নিতে।পাত্রর অভাব নেই যেনো আনিকার জন্য।কারণ, আনিকা HSC পড়া কালিনই অনেকের কাছে বলেছিলো তার একটা শালি আছে। দেখতে মাশাল্লাহ। কোনো কিছুর কমতি নেই তার মাঝে।তার উপরে অনেকে তো আনিকার ছবি দেখে পছন্দ করেই ফেলছে।তাই আনিকার দুলাভাই বার বার বলছে। যদি পড়াশোনা না করো তাহলে বিয়ে করে সংসার জীবন শুরু করে দাও বোন।

আসলে আনিকার বাবা মা বেঁচে থাকলে হয় তো এমনই চিন্তা করতো। তাই তো বার বার একই কথা বলে যায় আনিকার কাছে।কিন্তু ফলস্রুতিতে সে বলে, তার এখন জীবন গড়ার সময় তাই এখন বিয়ে ঠিয়ে করতে পারবে না,ছাফ না করে দিয়েছে।

এখন তারা যেভাবে চেপে ধরেছে।আনিকার তো পালিয়ে যাওয়ার পথও খুঁজে পাচ্ছে না।তাই অনেক খন চুপ করে থেকে।তার দুলাভাইয়ের এক হাত আর বোনের এক হাত ধরে বললো..

-আমাকে কিছু দিনের সময় দিবে তোমরা চিন্তা ভাবনার
জন্য।

এমন কথায় আনিয়া আর মিরাজ খুশি হয় আর তার মাথায় হাত রেখে বলে ঠিক আছে।পরে তারা নিজ রুমে চলে যায়।

আনিকার চিন্তা তিনগুণ বেড়ে যায়।আগামীকাল কি করবে সে?এক দিকে রাজ অন্য দিকে তার পরিবার।
কিছুই ভেবে পাচ্ছে না।রাজের কথা কি বলে দিবে আনিকার তাদের কাছে। নাকি ভুল হবে তাদের মনে কষ্ট দেওয়া। না না যদি হিতে বিপরীত হয় ।

কথাগুলো ভাবতে ভাবতে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে প্রায় ১টা।মনটা যে তার আজ অন্য রকম লাগছে।
ভিতরে ভয় ভয় কাজও করছে। তাহলে কি কোনো..

নাহ যা হবার কাল হবে, এমন কথা মনে মনে বলে ঘুমের রাজ্যে পারি দিলো।

আনিকা ভাবছে হয় তো তার জীবনে সুন্দর কিছু অপেক্ষা করছে ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে।কিন্তু…

পরের দিন ভোরে কল আসলো।তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলো না।

-হ্যালো আনিকা?(অচেনা কণ্ঠ)

-জি(ঘুম ঘুম কণ্ঠে)

-একটু তাড়াতাড়ি হাসপাতালে আসবে……?

হাসপাতাল?এমন কথা শোনার পর………

চলবে….

(ভুলত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।ধন্যবাদ সবাইকে)

সতীনের সংসার পর্ব_৪

0

সতীনের সংসার পর্ব_৪

Writer: তানজিন সুইটি
আনিকা তুই কিন্তু সেখানে গিয়ে বক বক করবি না।
কম কথা বলবি।আর পারলে তোর দুলাভাইয়ের প্রস্তাবটা ভেবে দেখতে পারিস।

সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে গন্তব্যের স্থানে রওনা হলো।গাড়ির জন্য পথের পাশে দাড়িয়ে আছে কিন্তু
গাড়ি হয় তো তার সাথে সময়ে মতো বেইমানি করছে?
অবশেষে একটা গাড়ি এলো ঠিকিই,বসার জন্য সিট খালি নেই তিল পরিমানে।

বাসের এ পাশে রেলিং ধরে ঝুলে ঝুলে যাওয়া ওর জীবনে প্রথম বলেই, অনেকটা অসত্থি লাগছে চারপাশে লোকগুলো দেখে।নিজেকে গুটিশুটি করে শক্ত হয়ে দাড়িয়ে আছে।হঠাৎ পাশ থেকে..

-হ্যালো মিস..

কণ্ঠটা অনেকটা মিষ্টি।কাকে ডাকছে বুঝার চেষ্টা করছে?হালকা আড় চোখে তাকালো লোকটির দিকে।
না দেখতেও অনেক মিষ্টি।কণ্ঠের সাথে একদম মিল আছে দেখতে।চোখ দুটো হালকা ঘোলা।মায়া মায়া চোখে যে কোনো মেয়েই নেশা ধরে যাবে তাতে সন্দেহ নেই তার।তাড়াহুড়ো করে চোখ দুটো সরিয়ে নেয়। না হলে যে কোনো একটা accident হতে পারে তার দু নয়নে তাকিয়ে থেকে।

-আপনি এখানে বসুন।(একটু কাশি দিয়ে)

আনিকা মুখ দিয়ে কিছু বললো না।কারণ বার বার তার বড় বোন বারন করে দিয়েছে বক বক না করতে?
তাই তো ঠোঁট একটু বাকিয়ে,মুচকি একটু হেসে,বসে পড়লো লোকটির সিটে।খনিকের মধ্যে চলে এলো গন্তব্যে।

আজ সে জীবন তৈরি করার প্রথম ধাপে পা দিলো আল্লাহর নাম নিয়ে।কোম্পানিটাও অনেক নাম করা
আর সেখানে যে চাকরি পেয়েছে সেটাই তার কাছে অনেক পাওয়া।কম শিক্ষিত।তবুও তো তার ভাগ্যে জুটেছে এতেই অনেক খুশি।

জয়েন্ট লেটার নিয়ে স্যারের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করে।
কর্মষ্ঠ জীবন শুরু করার জন্য ম্যানেজারে সাথে এক এক করে সবার সঙ্গে পরিচয় বিনিময় করে ফেললো।

হঠাৎ করে সেই একই লোকের সাথে তার দেখা হয়ে গেলো অফিসের ভিতরে।আনিকা এতোটাই বোকা যে,
তাড়াহুড়ো করে নেমে পরলো কিন্তু ধন্যবাদ জানানোর বোধটুকু ভুলে খেয়েছে।তাকে দেখে অনেকটা লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে সরি বলে ফেলে।

এমন অবস্থা দেখে ম্যানেজার সাহেব প্রশ্ন করে বসে?

-কি ব্যপার আনিকা?ওকে সরি বলছো কেনো?

বাসস হয়ে গেলো কল রেকর্ডিং কে খেপিয়ে।এমনিতেই কথা বলার জন্য বেচারির মুখটা উশু উশু করছে। ম্যানেজার সাহেব দিলো তো তার মুখটা ছুটিয়ে।
A to Z দিলো বলে একদমে।?এটা দেখে লোকটি তার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। কারণ, ধন্যবাদ বলতে পারে নি বলেই অনুসূচনায় মুখটা মলিন হয়ে গেছে তাকে দেখে।

ম্যানেজার সাহেব আর কোনো কথা না বাড়িয়ে
লোকটিকে বললো কথাবার্তা সেরে তাকে যেনো কাজকর্ম বুঝিয়ে দিতে।বলে চলে গেলো তার নিজ কাজে।

-হ্যালো মিসসসসসসসস(নাম না জানলে যা হয় আর)

-?আমি আনিকা

-ওওও..আমি রাজ আহমেদ?

-সরি আসলে তখন অনেক তাড়াহুড়োর মধ্যে ছিলাম
তো ধন্যবাদ টুকু বলতে পারি নি। বাই দ্যা ওয়ে
অনেক অনেক ধন্যবাদ।?

-হয়েছে আর এতো ধন্যবাদ দিতে হবে না।এখন কাজে মন দাও।আমার ডান পাশে তোমার কেবিন আর তোমার পাশেরটা আদিরার।তো শুরু হয়ে যাও পথ চলা। না পারলে এই রাজকে বলবে সব বুঝিয়ে দিবো।
তার মধ্যে তো আদিরা আছেই কোনো চিন্তা করো না।

পরিচয় পর্ব শেষ করে। চলে গেলো নিজ কাজে।
ভালোই কাজকর্ম চলছে আনিকার।এর’ই মধ্যে আদিরার সাথে তার বন্ধুত্ব ঘনিষ্ঠ হয়ে গেলো।ধরতে গেলে তারা একে অপরের প্রান।কথায় আছে না।যার মধ্যে চঞ্চলতা আছে,তার বন্ধুত্ব সবাই হয়ে যায় অল্প সময়ের মাঝে।আদিরার ছাড়াও যে রাজের সাথে বন্ধুত্ব ঘণত্ব হয়ে গেছে অনেক দূর পর্যন্ত সেটা তারা ছাড়া সবাই দেখে দেখে হিংসে করে মরে।

ভালোই দিনকাল কাঁটছে আনিকার ওদের মতো বন্ধু হিসেবে পেয়ে।এতোটাই বন্ধুত্ব হয়ে গেছে যে। একজন আরেকজনকে ছাড়া পেটের ভাত হজমই হয় না তাদের মধ্যে।

রাজ যে আনিকার প্রতি অনেকটা দুর্বল হয়ে গেছে।
অন্যদিকে আদিরা অনেক আগে থেকেই পছন্দ করে
রাজকে।

রাজ চিন্তা করে এই দুর্বলতা কি ভালোবাসা নাকি বন্ধুত্ব?সেটা সিউর হতে ওর বেস্ট ফ্রেন্ডকে সব বলে।
সে রাজকে জানায়। হ্যাঁ সে ভালোবেসে ফেলেছে। কিন্তু মেয়েটা কে এখনও জানে না সে।হয় তো আদিরা।এতোদিন ধরে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব।সেই প্রেক্ষিতে প্রেম নামক তীর কেনো লাগবে না তার বুকে।

রাজ আর দেরি না করে প্রপোজ করেই ফেলে আনিকাকে।আনিকাও অবাক হয়ে যায় তার কান্ড দেখে।

-?আমি তো কখনো এমনটা ভেবে দেখি নি।

-ভেবে দেখো এখন। সময় আছে,কোনো তাড়া নেই আমার?

আনিকা চুপ হয়ে চলে গেলো বাসাতে।সারা রাত চিন্তা করলো শেষমেশ সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলে কি বলবে তাকে?

চলবে…….

(পড়াশোনার অনেক চাপ তার উপরে বড় করে লেখা হয়ে উঠছে না নিয়মিত করে?।মেয়েদের কষ্ট মেয়েরাই বুঝে ঠিক না আপুরা।সবাই দোয়া করবেন।আর ভুলত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।সবাইকে ধন্যবাদ।)

স্বামির অধিকার-২ 4rd part(শেষ পাট)

0

স্বামির অধিকার-২ 4rd part(শেষ পাট)

লেখা/রুবেল(ছদ্দবেশী হিংসুটে ছেলে)
—–


সকাল ৮টা রিমু ঘুম থেকে উঠে দেখে উনি পাশে
নেই।
মানুষ টা এত সকালে উঠে কই গেলো ।
আশে পাশে কোথাও তো দেখছি না,তাহলে কি
উনি আজ ও না খেয়ে ব্যবসার কাজে গেছেন,
রিমুর অজান্তে রিমুর মনটা খারাপ হয়ে গেলো,
রিমু রান্না করে নিজে খেয়ে টেবিল এ খাবার
রেখে বিছানায় বসে আনমনে টিভি
দেখতেছিলো।
দুপুর দুটা হঠাৎ দরজায় নক।
রিমু/আপনি কি মানুষ? সকালে উঠে কই গেছিলেন
আপনি?আমায় ডাক দিতে পারতেন।না খেয়ে তো
গেছেন।
আমি রিমুর মুখে এমন কথা শুনে সত্যি অবাক হয়ে
গেছি।
আমি/আমি মানুষ সেটা দেখতেই পারছো।আর আমি
প্রতিদিন কই যাই সেটা ও তুমি যানো।
রিমু/দেখে বুজতে পারছি সারা দিন কিছু খান নাই।
ফ্রেশ হয়ে আসেন আমি খাবার দিচ্ছি।
আমি/রিমু আমায় দেখি শুধু এটাই বুঝলা সারাদিন কিছু খাই
নাই।আর কিছু বুঝতে পারো না?
রিমু/আপনি বেশি কথা বলেন জন্য আপনাক আমার
ভালো লাগে না।
আমি/শুধু কি এই একটাই কারনে আমাক ভালো লাগে
না?
রিমু/না আরো অনেক কারন আছে
আমি/একটা কাগজ এ লিখে দিবা আমার কি কি তোমার
ভালো লাগে না।শুধরে নেয়ার চেষ্টা করবো
রিমু/আপনাক আমি বলছি ফ্রেশ হয়ে এসে ভাত খান ।
তখন থেকে কথা বলেই যাচ্ছেন।
আমি/আজ তাহলে রান্না করছো?
রিমু/ধ্যাত যা বলি তা শুনে না উনি কথা বলে যাচ্ছে।
রিমুর কথা গুলো শুনে কেন যানি মনে হচ্ছে ও
আমাকে ভালোবাসতে শুরু করছে।কিন্তু মেয়ে
দের মন বুজা বড় মুশকিল।ফ্রেশ হয়ে আসলাম।
আমি/তুমি খাইছো?
রিমু/তো কি না খেয়ে আপনার জন্য না খেয়ে
বসে থাকবো?
আমি/বউরা তো তাই করে স্বামীর জন্য না খেয়ে
বসে থাকে।
রিমু/হা হা হা কিন্তু আমি তো আপনাক স্বামী মানি না।
একটু আগে রিমুর কথা শুনে মনে হলো মেয়েটা
বুঝি আমাকে একটু হলে ও ভালোবাসে।
কিন্তু না,রিমুর হাসি বলে দিচ্ছে ও আমি যা ভাবছি তা ভুল
ও কখনোই আমাকে স্বামী মানবে না।
যদি ও আমি রিমু কে এ রকম হাসি মুখে দেখতে চাই।
কিন্তু রিমুর এ হাসিটা আমার কাছে সত্যি অনেক
কষ্টের ।
আর কথা না বলে চুপ চাপ খেয়ে নিলাম।
আমি/শোন ও আমি কাজে যাচ্ছি ফিরতে একটু রাত
হবে।
রিমু/কেনো কই যাবেন?নেশার আড্ডায়?
আমি/দেখো তুমি ভালো করে যানো আমি বেশ
কিছূ দিন থেকে নেশার আড্ডায় যাই না।আর গেলে
বা তোমার কি?
রিমু/হুম ঠিক বলছেন আমার কিছু না।
আমি/আচ্ছা আমি যাচ্ছি..
রিমু/এই যে শুনেন?
আমি/হ্যা কিছু বলবে?
রিমু/না কিছু না।
আমি/তোমার কি কিছু লাগবে?কোন কিছুর প্রয়জন
হলে আমাক বলতে পারো।
রিমু/না কিছু লাগবে না।আর আপনার কাছ থেকে কেন
নিবো।এমনিতেই খাচ্ছি আপনার ঘড়ে থাকছি এটাই
অনেক কিছু।
আমি/তুমি যদি নিজে কে আশ্রীতা ভাবো,আমার কিছু
করার নাই।তবে আমি তোমাক দয়া বা করুনা করছি না।
আমি গেলাম।
মানুষা হঠাৎ এতোটা পরিবর্তন হলো কি করে,আচার
আছরন চাল চলন কথা বার্তা সব কিছু কেমন যেন
হয়ে গেছে।হুম বুজছি আমার মন পাওয়ার জন্য এ
সব ভন্ডামি করছে।পশু চরিত্রের মানুষ কখনো
ভালো হয় না আমি যানি।আমি অতো সহজে ওনাক
বিশ্বাস করতে পারবো না।
|
রাত ১২ টা বেজে যাচ্ছে উনি এখনো আসতিছে
না।কই গেলো ১০টার আগে তো উনি বাড়ি
ফেরে।
দুর আমি ও আর ওনাকে নিয়ে ভাবছি ,হয়তো নেশার
আড্ডা বসে আছে।আমি গুমাই।।
তার পর রিমু স্বর্থপর গুলোর মত ঘুমিয়ে পরলো।
|
ব্যবসার কাজে আজ লেট হয়ে গেলো না যানি
মেয়েটা কি করছে।আচ্ছা ও কি না খেয়ে আমার
জন্য পা গুটিয়ে বিছানায় অভিমান করে বসে আছে?
না কি আমার কথা না ভেবে ঘুমিয়ে পরছে?
|
রাত ১টা বাসায় আসলাম দরজা লাগিয়ে ঘুমাছে
মেয়েটা,ঠাকবো কি না ভাবছি,না ডেকে বারান্দায়
ঘুমালে আবারো ভাববে আমি নেশা করে আচ্ছি.
|
আমি/রিমু এই রিমু,ও তো সত্যি ঘুমিয়ে গেছে,এই
রিমু,
কিছু একটার শব্দ পেলাম ও বুঝায় জেগে গেছে।
|
এই যে রাত কয়টা বাজে এত ক্ষনে আসার সমায়
হলো আপনার?
আমি/না মানে একটু কাজের চাপ ছিলোতো তাই..
রাতে খেয়ে রিমুর পাশে শৃুয়ে পড়লাম,

এভাবে আর কত দিন? এভাবে একটা সংসার চলতে পারেনা।আমি রিমু কে ওর ভালোবাসার মানুষের হাতে তুলে দিবো.
!
বলছি কি পরশু দিন যাবে অামার সাথে (অামি)
কোথায় (রিমু)
অামার এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে
ও তোমাকে দেখবে বলছে(অামি)
না যা বো না (রিমু)
প্লিজ শেষ বার অনুরোধ করছি (অামি)
অাচ্ছা ঠিক অাছে, তবে ও খানে বউ বউ বলে ডাকতে পারবেন না (রিমু)
ঠিক অাছে(অামি)

!
সকাল ৮ টা কাজে যেতে মন চাচ্ছে না,

রিমুর প্রেমিকের সাথেও কথা হয়ে ছে কাল অামি রিমু কে ওর হাতে তুলে দিবো হয়তো দুজন এ খুব খুশি হবে,।

অাজ অার কাজে গেলাম না, সারা দিন রিমুর কাছে কাছে থাকলাম,
মানতে পারছি না কাল থেকে রিমু অার অামার থাকবে না,
চিৎকার করে কাদতে ইচ্ছা করছে,
কিন্তু না অামি যে ছেলে মানুষ অামার কাদতে নেই।

সকাল ৮ টা..

বলছি কি কোন শাড়িটা পড়বো( রিমু)
তোমার ইচ্ছা (অামি)
ওহ (রিমু)

!

তার পর রিমু কে রেডি করে সেই পাককে গেলাম যেখানে রিমুর প্রেমিক রিপন কে অাসতে বলছি .
!
রিমু তোমার চোখের জ্বল অার কষ্ট সত্যি অামার ভালো লাগে না(অামি)
নাটক বাদ দেন
কই অাপনার বন্ধু অার এখানে কেন অানলেন অামাক(রিমু)
ওয়েট করো ও অাসবে (অামি)

দুরে তাকিয়ে দেখি রিপন অামাদের দিকে অাসতিছে,
!
রিমু ঐ যে অামার বন্ধু অাসতিছে

বলে রিমু কে ও খানে রেখে অামি চলে অাসলাম
!একবার পিছন ফিরে তাকাবো,,, না থাক. কেন জানি মন বলে রিমু হয়তো একবারের জন্য হলেও আমাকে ডাকবে কিন্তু ডাকেনি চলে আসলাম ওদের মাঝখান থেকে।
আজ আর বাসায় যাবোনা।
আর বাসায় গিয়ে কি করবো তাই সব হারিয়ে দেউলিয়ে হয়ে এদিক ওদিক ঘুরি আর খোদাকে বলি শুধু একটা কারন দাও আমাকে যার জন্য রিমুকে ঘৃণা করতে পারব
সন্ধ্যা হয়ে এলো তাই চলতে লাগলাম বাসার দিকে।
বাসায় গিয়ে দরজা টোকা দিলাম। ওহহহহ আমিতো ভুলে গেছি দরজা খুলার মত এখন কেউ নেই।
দরজাটা খুলে ভিতরে গিয়ে বসলাম উফফফ খুব ক্লান্ত লাগছে চোখটা বন্ধ করলাম কিছুক্ষন পরে একটা কণ্ঠ শুনতে পেলাম,,
খুব ক্লান্ত লাগছে? তাইনা এই নিন শরবত খান,, আমি একটু ভয় পেলাম চোখটা খুলে……
.
আমি: এ কি আপনি এখানে,, কখন আসলেন? আর কেন আসলেন, আপনাকে না আপনার শেষ ঠিকানা রেখে আসছি।
রিমু/ হুহহহহহ… আমার বাড়িতে আমি আসছি, তাতে আপনার কি?
আর আপনি কি বলুনতো লজ্জা করেনা আপনার নিজের বউকে অন্যের হাতে তুলে দিতে এই বুঝি আপনার স্বামীর অধিকার।
খুবতো বড় বড় কথা বললেন সেখানে আমার চোখের জল আপনার সহ্য হয়না আমাকে সুখী দেখতে চান আমার মুখে হাঁসি দেখতে চান কিন্তু একবারও কি জানতে বা বুঝতে চেয়েছেন আমার মন কি চায়?..
আমি:মানে
.??
রিমু/মানে আবার কি
আমি কি বাজারের পণ্য যে চাইবে সেই পাবে।
আমি কারও প্রেমিকা হয়ে নয় আমি কারও লক্ষী বউ হয়ে থাকতে চাই আর সে হলেন আপনি। আমি আপনাকে না বলছি আপনাকে একটা কথা বলার ছিলো জানেন সে কথাটা কি জানেন না
তবে এখন শোনেন আমি তোমাকে অনেক অনেক ভালোবেসে ফেলেছি দয়া করে একটু জায়গা দাও তোমার বুকে। রিমুর চোখের জল মুছে দিয়ে রিমুকে বললাম,,
খুব কষ্ট হয়েছে তোমাকে সেখানে রেখে আসতে,
ম!ন চেয়েছে আবার ও জোর করে নিয়ে আসি সঙ্গে,,, কিন্তু পারিনি।
.
রিমুতখন পারেন নি এখনতো পারবেন…
.
আমি:কি
.
রিমু:খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরতে রিমু বলতে করেছে কিন্তু আমি বুকে নিতে একটুও দেরি করিনি
রিমুকে বুকে নিয়ে বললাম
আমি স্বামীর অধিকার চাইনা শুধু তোমাকে চাই যে তোমাকে নিয়ে হারিয়ে যাবো আমি তোমার ভালোবাসায়।
রিমু: তাইই,তাহলে আমার একটা ইচ্ছা পূরন করতে হবে।
আমি:কি সেই ইচ্ছা?
রিমু: আমি একটা বেবি চাইই,,,আর সেটা আমাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দিতে হবে,,,কি দিবে না?
আমি: হুম,,,আমার লক্ষী বউ টার কোনো ইচ্ছা কি আমি অপূরণ রাখতে পারি?…
রিমু: ধন্যবাদ,,,আর স্বামীর অধিকার আর জোর করে নিতে হবে নাহ,,,সেটা আমি এমনিতেই দিবো….
আমি: অবশেষে যা চেয়েছি তাই পেয়েছি…ধন্যবাদ
সমাপ্ত!

স্বামির অধিকার-২ 3rd part

0

স্বামির অধিকার-২ 3rd part
লেখা/রুবেল(ছদ্দবেশী হিংসুটে ছেলে)



রান্না শেষ, অামার অার রিমুর খাবার রেডি করে রিমু কে ডাকলাম,

রিমু চলো এসো সব রেডি(অামি)
হুম অাসলাম, খাবার খাচ্ছি বলে ভাববেন না যে অাপনাক স্বামি মানছি(রিমু)
অাচ্ছা ঠিক অাছে মানতে হবে না খাবারটি তো খাও(অামি)
হুম নেন অাপনি ও শুরু করেন(রিমু)
!
দু জন এক সাথে খাবার খেলাম, কি যে ভালো লাগছে তা বলে বুজাতে পারবো না
!
রাত ১০ টা….

রিমু শুয়ে অাছে, অামি বসে টিভি দেখতেছি,
রিমু জেগে অাছে,
!
বলছি কি তুমি কি বাবার বাড়ি যাবে(অামি)
হ্যা যাবো তবে অার অাসবো না (রিমু)
কেন অাসবে না (অামি)
কারন অাপনি অামার কেউ না তাই অার অাসবো না, (রিমু)
তুমি অামার বউ সবাই জানে (অামি,)
১টা কাগজে স্বাক্ষর দিয়ে তো বউ হইছি তাই না অাবার ১ টা স্বাক্ষর দিয়ে ডিফোস দিয়ে দিবো (রিমু)
!
রিমু মুখে কথাটা শুনে বুকের ভিতর মোচর দিয়ে উঠলো,
!
অাচ্ছা রিমু অামি খুব খারাপ তাই না (অামি)
হ্যা অনেক খারাপ (রিমু)

অাচ্ছা ঠিক অাছে অামি অার কখনো কোন কিছু নিয়ে তোমার কাছে জোর করবো না, (অামি)
!

অাচ্ছা অনেক রাত হইছে এবার ঘুমাই.
মাঝ খানে ১ টা কোলবালিশ দিয়ে রিমুর পাশে শুয়ে পড়লাম।
বাহ এত ভদ্র হলেন কবে মাঝখানে বালিস দিচ্ছেন? (রিমু)

অামি মনে হয় সত্যি তোমার যোগ্য না রিমু
তোমাকে এ ভাবে বিয়ে করাটা অামার ঠিক হয় নী
অাচ্ছা ঘুমাও এবার(অামি)

!
রিমু কিছু না বলে চুপ চাপ ঘুমিয়ে গেলো।

সকাল ৭টা……

এই যে শুনছেন (রিমু)
হুম (অামি)
এই নিন চা (রিমু)
না থাক অামি বানিয়ে খাবনী (অামি)
হা হা হা, অাজকে লবন দেই নাই চিনি দিছি ( রিমু)
ঢং বাদ দিয়ে ধরেন তো (রিমু)
!
বিছানায় বসে রিমুর হাত থেকে কাপটা নিলাম,।সত্যি চা টা অাজ অনেক ভালো হইছে,

অাচ্ছা তুমি চা বানালে কেন(রিমু)
অাপনার বাড়িতে খাচ্ছি থাকছি তো , তাই কাজ করে খাচ্ছি (রিমু)
তুমি কি এটা কে নিজের বাড়ি মনে করতে পারো না (অামি)
না অামি এ বাড়িতে অাশ্রীতা ওকে (রিমু)

নাস্তা রেডি ইচ্ছা হলে খান না হলে নাই (রিমু)
হুম খাবো যদি তুমি ও খাও(অামি)
অামি খাইছি (রিমু)
সত্যি(অামি)
হুম(রিমু)
দেখি হাতটা (অামি)
বলে রিমুর হাতটা নাকের কাছে নিয়ে ঘ্রান নিলাম
হ্যা রিমু সত্যি খাইছে

!
হুম দাও অামি ও খাবো (অামি)

স্বামি কে না খাইয়ে কোন স্ত্রী মুখে খাবার দেয় না,
রিমু তো অামাকে স্বামি মানে না তাই হয় তো খাইছে,
এতে অামার মন খারাপ না, কারন রিমু যে খাইছে এতে অামি অনেক খুশি,
নাস্তা খেয়ে অাবার কাজের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়লাম,

একি অাবার অাসলেন যে ( রিমু)
না কিছু না এমনি(অামি)
ওহ (রিমু)
বলছি কি তোমার কিছু লাগবে(অামি)
না (রিমু)
অাচ্ছা বাই (অামি)

!
মানুষটা এক পরিবতন হলো কেমনে বুজি না,
কি যানি হয়তো অামার মন পাবার জন্য এত ভন্ডামি(রিমু)

!
দুপুর ২টা….
বাসায় অাসলাম
!
রিমু (অামি)
চিৎ কার করছেন কেন(রিমু)
কই (অামি)
অাজ এত তাড়া তাড়ি যে (রিমু)
এমনিতে, বলছি কি রান্না করছো (অামি)

হ্যা করছি (রিমু)
তুমি খাইছো (অামি)
তো কি? অাপনার জন্য ওয়েট করবো? অামি খাইছি (রিমু)

!
সকালের মত রিমুর হাতটা টেনে নিয়ে অাবারো ঘ্রান নিলাম,
!

রাগ অভিমান অার কিছুটা খুনটুসির মধ্যে দিয়ে কেটে গেলো অামাদের কিছু দিন,

স্বামির অধিকার নিয়ে কখনো কোন বেপারে জোর করি নি.
কিন্তু এ ভাবে অার কত দিন, না এভাবে অার না
রিমু কে মুক্তি দিবো,
!
রাত ১১ টা পচা মানুষটা এখনো অাসছে না কেন বুজি না,
একা ভালো লাগছে না,
দুর ছাই অাসলে অাসবে না অাসলে নাই,
অামি ঘুমাই (রিমু)
রাত ১২ টা রিমুর ঘুম অাসছে না মানুষটার জন্য কেন যেন মনটা অানচান করছে,
এ পাশ ও পাশ করে রিমু অাজ না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লো।

সকাল ৭ টা রিমু ঘুম থেকে উঠে দেখে ও পাশে নেই,
দরজা খুলে দেখে উনি বারান্দায়

দরজা তো খোলা ছিলো(রিমু)

আমি/হ্যা খুলা ছিলো আমার ভালো লাগে নাই তাই
রুমে যাই নাই।
রিমু/আপনি কাল রাতে ও নেশা করে আসছিলেন তাই
না?
আমি/হ্যা আগে নেশা করতাম সখে এখন করি
কষ্টে।
রিমু/হা হা হা আপনার আবার কিসের কষ্ট?
আমি/কিছু কষ্ট আছে যে গুলো দেখা যায় না।কথা
না বলে যাও রান্না করো।আমি গোসল করে
আসতেছি।
রিমু/রান্না না করলে কি গায়ে হাত তুলবেন?।
আমি/আপনি খাবেন না?
রিমু/ না খাবো না।
আমি/তুমি ভালো করে যানো এক কথা দু বার আমি
বলি না ।গোসল করে এসে যেন খাবার পাই
রিমু/আপনি কোন অধিকারে আমার সাথে এভাবে
জোর খাটান বলেন তো?
আমি/স্বামীর অধিকার
রিমু/কত বার বলবো আমি আপনাক স্বামি মানি না আর
মানবো ও না কোন দিন।
রিমু কথা গুলো চিৎকার করে বলতেছিলো।
রাগ আর কনট্রল করতে পারলাম না।রিমুর চুল গুলো
ধরে আবারো তার গায়ে হাত তুললাম।
রিমু/হ্যা আপনি আমাক মারেন,মারতে মারতে মেরে
ফেলেন তাও আমি আপনাক স্বামী মানি না আর
মানবো না।
মারতে চাই নাই মেয়েটাকে তার পর ও মারতে
হলো
ধ্যাত বাসায় আর আসবো না।
মেয়েটা কে বিয়া করা আমার ঠিক হয়নি,
আমি যে স্বামী এ ও শুনতে পারে না।
ঘড় বাহির কোথাও শান্তি পাচ্ছি না আমি।
রিমু রে বা কি দোষ সব দোষ আমার।
আমার মত লমপট,বদমায়েশ,নেশা খোর কে রিমু
কেন পৃথিবীর কোন মেয়ে
স্বামী মানবে না।না এ ভাবে আর না ও যদি ওর বাবার
বাড়ি যেতে চায় তো ওকে বাধ্যা দিবো না।।

রাত ৯ টা,সারাদিন কিছু খাওয়া ও হলো,
মেয়েটাও না খেয়ে আছে ও যে জেদি ও রান্না
করে নাই,
হোটেল থেকে দু প্যাকেট খাবার নিয়ে বাসায়
গেলাম।
দরজা নক করতে রিমু এসে দরজা খুলে দিলো।।
খাবারের প্যাকেট দুটা বিছানায় রেখে আমি বার্থরুমে
গেলাম।।
ফ্রেশ হয়ে রুমে আসলাম।।

আমি/কি হলো শুধু ১ টা প্যাকেট খুলছো ?তুমি খাবা
না?
রিমু/না আমি খাবো না,আমার খুদা নেই,
আমি/দেখো আমি সারা দিন কিছু খাই নাই।তুমি না
খেলে কিন্তু আমি খাবো না।।
রিমু/শোনেন আপনার এ সব দরদ ভালোবাসা আমার
একদম ভালো লাগে না।আপনি খাইছেন কি খান নাই তা
কি আমি দেখতে গেছি।
আমি/শোনো আমি খারাপ,লমপট,নেশা খোর ঠিক
আছে,কিন্তু আমারো একটা মন আছে
তুমি আমাক স্বামী মানো না ঠিক আছে,আমি তো
কলমা পরে তোমাক বিয়ে করে আনছি।হ্যা আমি
বাজারে খাইতে পারতাম।
আমি যানি তুমি রান্না করো নাই।তুমি না খেয়ে থাকবা
আর আমি বাজারে খাবো এটা কি করে ভাবলে?
রিমু/ এই শুনু আপনার এসব আধিখেতা,দরদ,ভালোবাসার
বানি অফ করুন তো।।
রাগ আর কনট্রল করতে পারছি না।ইচ্ছা করছে গালে
গিয়ে দুটা বসে দেই।কিন্তু না,যে বুজতে চায় না
তাকো কোন ভাবে বুজানো যাবো ।
যতো ক্ষন না সে নিজে থেকে বুঝার চেষ্টা
করে।।

আমি/বিয়ের তো অনেক দিন এ হলো কখনো
দেখছো বাহির থেকে ফিরে রাতে বা দিনে বাসায়
এসে আমি না খেয়ে থাকছি?
হ্যা যে দিন হয়তো নেশা করে আসছি সে রাতে
বাসায় খাই নাই।তার মানে এ না যে হোটেল থেকে
খেয়ে আসছি।
রিমু/আপনি খাবেন কি না সেটা আপনার বেপার আমি
ঘুমাতে গেলাম।।
আমি/আচ্ছা ঠিক আছে যাও ।আর হ্যা তোমার খুব
প্রবলেম হলে তোমার বাবার বাড়ি যেতে
পারো।।
একি মানুষটা সত্যি না খেয়ে দেখি আমার পাশে এসে
ঘুমালো।আর আজকের কথা গুলো কেমন যানি
অন্যরকম লাগলো।।
হ্যা তাই তো উনি বাহির থেকে এসে আমাকে
আগে বলে খাইছো তুমি।মিথ্যা বলবা না এমন কি হাত
নাকের কাছে নিয়ে ঘ্রান দেখতো খাইছি কি না।
তা হলে সত্যি কি আমি ওনাকে বুঝতেছি না,আচ্ছা উনি
তো আমার কাছে একটু ভালো বাসা চায়।আমার
ভালোবাসয় কি উনি সত্যি ভালো হয়ে যাবে?।
না না আমি পারবো না ও রকম পশু চরিত্রের মানুষ কে
স্বামী মানতে।।
নেশা করে আসছে তাই হয়তো এ সব নীতি কথা
বলছে।নেশা করলে নাকি অনেক সমায় মানুষ নীতি
কথা বলে।
রিমু এ মনে মনে বলতেছিলো।রিমু ও ঘুমিয়ে
গেলো।
……চলবে

স্বামির অধিকার-২  2nd part

0

স্বামির অধিকার-২  2nd part
লেখা/রুবেল(ছদ্দবেশী হিংসুটে ছেলে)



এটা কি চা হলো(অামি)
হুম খুব ভালো হইছে বউ এর হাতে বানানো চা ভালো তো হবে (অামি)
তো খাচ্ছেন না কেন?(রিমু)
অাচ্ছা ঠিক অাছে খাচ্ছি(অামি)
!
অামি যানি রিমু ইচ্ছা করে চিনির বদলে চায়ে লবন দিছে,
এটা কে অামি অবহেলা না ওর দুষ্টামি হিসাবে নিলাম।
রিমু দাড়িয়ে অাছে ওর সামনে অামি লবন যুক্ত গরম পানিটা খেয়ে নিলাম।
রিমুর দিকে তাকিয়ে দেখি হা করে অামার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে অাছে।
!
এ কি ও ভাবে তাকিয়ে অাছো কেন?(অামি)
অাপনি ওটা খেয়ে নিলেন?(রিমু)
কেন প্রবলেম কি? তুমি বানাইছো অার অামি খাবো না এটা কি হয়?(অামি)
কিন্তু এটা তো… (রিমু)
কিন্তু এটা তো লবনের পানি ছিলো তাই তো (অামি)
হুম…(রিমু)
শুধু লবন কেন এতে বিষ মিশে দিলেও অামি খেয়ে নিতাম, কারন তোমাক অনেক গুলো ভালোবাসি (অামি)
রাখেন অাপনার ভালোবাসা, অাপনার ভালোবাসার অামার দরকার নেই(রিমু)
অাচ্ছা ঠিক অাছে, এই শোন অাবার সত্যি সত্যি বিষ দিয়ো না কারন তুমি বিধবা হলে অামার খুব কষ্ট হবে (অামি)
অাপনাক বিষ দিয়ে মারবো অামি (রিমু)
পারবে না(অামি)
কেন? (রিমু)
কারন অামি তোমার স্বামি(অামি)
হা হা হা স্বামি? জি না অাপনি অামার পথের কাটা (রিমু)
ঝড়গা করো না তো জানু অামি যানি তুমি অামাক অনেক ভালো বাসো, গোসল এ যাচ্ছি নাস্তা রেডি করো (অামি)
বানিয়ে খান(রিমু)
জিদ করো না অামি গোসল করে এসে নাস্তা খাবো (অামি)
!
১৫ মিনিট পর….

একি নাস্তা রেডি করো নাই? (অামি)
না(রিমু)
!
রিমুর না শব্দটা শুনে মেজাজ টা গরম হয়ে গেলো,
গালে একটা থাপ্পর দিয়ে…..
!
সব ভালো লাগে মেয়েদের জিদ অামার ভালো লাগে না তুমি অামার বউ অামি তোমার স্বামি এই কথাটা মাথায় রাখবা(অামি)
অামি পারবো না অাপনার সেবা করতে(রিমু কাঁদতে কাঁদতে)
একি ঠোঁট দিয়ে তোমার রক্ত বের হচ্ছে
দেখি এদিকে অাসো(অামি)
!
থাপ্পরটা এবার খুব জোরে লেগেছে, রিমুর ঠোঁট এর এক কোনা দিয়ে রক্ত পড়ছে
!
অামার শরীরের সম্তত রক্ত বের হতে দেন ছুবেন না অাামাকে (রিমু)
এত জিদ ভালো না বুজছো? যা হবার হয়ে গেছে এখন তো অামি তোমার স্বামি, দু দিন পর দেখবা সব ঠিক হয়ে যাবে শুধু তুমি অামাকে একটু অাপন ভাবার শেষ্টা করো(রিমু)
(রিমুর ঠোঁট এর রক্ত গলো তুলো দিয়ে মুছে দিলাম, এ ভাবে মারাটা অামার ঠিক হয়নি)
!
অাচ্ছা তোমাক কিছু করতে হবে না এখানে বসো অামি নাস্তা রেডি করছি(অামি)
!
রিমু শব্দহীন ভাবে কাঁদছে, শুধু চোখ দিয়ে পানি ঝড়ছে)
১৫ মিনিট পর….

!
এই যে নাস্তা অাসো অামরা দু জনে খাবো (অামি)
এ অাপনি সরেন এখান থেকে অামি খাবো না (রিমু)
সরি জানু প্লিজ(অামি)
কেন জোর করছেন অাপনি (রিমু)
অধিকার(অামি)
অধিকার নিয়ে থাকেন অামি খাবো না (রিমু)
ঠিক অাছে তাহলে অামি ও খাবো না চললাম কাজে(অামি)
৫মিনিট পর
!
কি হলো অাপনি না চলে গেলেন অাবার অাসলেন কেন(রিমু)
না মানে… (অামি)
কি তালা চাবি খুজতেছেন তো এই নেন
দরজাতে তালা লাগিয়ে চান যেন অামি পালাতে না পাড়ি(অামি)
এ শুনো এ সবের জন্য অামি অাসি নাই(অামি)
তাহলে?( রিমু)
বলছিলাম কি তোমার কিছু লাগলে অামাক বলো, শহরে তো যাচ্ছি নিয়ে অানবো(অামি)
বিষ লাগবে অানবেন?( রিমু)
!
রিমুর কথা শুনে মনটা খারাপ হয়ো গেলো কেন যে ফিরে এসে অাবার প্রশ্ন করতে গেলাম।
অামি তো নিজে তোমার কাছে বিষ অামাকে খেয়ে নাও(অামি)
নেন তালা চাবি দিয়ে দরজা লাগিয়ে দেন,(রিমু)
লাগবে না কারন অামি যানি তুমি অামাকে ছেড়ে কোথায় যাবে না (অামি)
এত বিশ্বাস না, অামার ভালোবাসায় তোমাকে বেধে রাখবে (অামি)
হা হা হা ভালোবাসা (রিমু)
!
রিমুর কোমড় এ হাত দিয়ে একটু চেপে ধরে কপালে একটা কিস দিলাম
!
অাচ্ছা শোন ব্যবসার কাজ তাই কখন বাসায় ফিরবো বলতে পারবো না রান্না করে খেয়ে নিও বাই (অামি)
!
কি অাজব মানুষ বাবা লবন দিয়ে চা বানিয়ে দিলাম তাও খেয়ে নিলো। থাপ্পার দিয়ে অাবার নিজে অনুসুচনা বোধ করছে। অামি খাইলাম না জন্য সে ও খাইলো না, সত্যি অাজব মানুষ,
না না অামি ভুলবো না তার এস ভালোবাসায়।
!

দুপুর ২টা….
ভালো লাগছে না বউ এর জন্য মনটা কেমন অানচান অানচান করছে
উফপ কাজেরো অনেক চাপ
কি যে করি,
কাজ শেষ করতে প্রায় ৬ টা বাজলো
তাই অার দেরি না করে সোজা বাসায় অাসলাম
যদি ও প্রতিদিন বন্ধু দের সাথে অাড্ডা দিতাম, নেশা করতাম অাজ অার তা করলাম না, কারন রিমু যদি বুজতে পারে অামি নেশা করছি ঘৃনাটা অারো বেড়ে যাবে।

!
রিমু জান অামার কই তুমি? রিমুর কোন সারা পাচ্ছি না, পালিয়ে গেল না তো? তালা লাগানো বোধয় ভালো ছিলো,
না দেখি পাশের রুমে।
পাশের রুমে গিয়ে দেখি রিমু পা গুটিয়ে অসহায় মেয়ের মত ঘুমাইছে।
চুপি চুপি কাছে গিয়ে রিমুর কপালে চুমে দিতে কেমন একটা গরম অনুভব করলাম,
কপালে হাত দিয়ে দেখি রিমুর গা জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে,
হয়তো অাঘাত অার ঠান্ডা লাগার কারনে এমনটা হইছে,
রিমু কে ডাক না দিয়ে দৌড়ে ডাক্ততার নিয়ে অাসলাম।
!
১৫ মিনিট পর…
রিমু এই রিমু উঠো ডাক্তার দেখবে তোমাক(অামি)
একি অাপনি কখন অাসলেন(রিমু)

রিমু কে ধরে বসালাম,
রিমু চুপ করে বসে অাছে ডা, চেকাপ করে কিছু ও ষুধ লিখে দিলো।
!
রিমু তুমি শুয়ে থাকো অামি যাবো অার অাসবো ওকে (অামি)
হুম(রিমু)
!
বদমায়েশ টা কি ভাবে জানলো অামার জ্বর? ডা, নিয়ে অাসছে,
তাহলে কি উনি অাগেও অাসছিলেন? অাজব মানুষ তো পাগল গুলোর মত অাবার ছুটে গেলো ওষুধ অানতে,, মানুষ টা কি সত্যি খারাপ? না কি অামাকে কাছে পাওয়ার অভিনয়(রিমু)
!
ও ষুধ তো নিলাম , রিমু তো রান্নাও করে নাই, কিছু খাবার নিয়ে যাই,
হোটেল থেকে ২ প্যাকেট খাবার, তার পর কিছু ফলমুল নিয়ে বাসায় অাসলাম।
!
রিমু এবার উঠো তো, নাও অাগে খাবার টা খেয়ে নাও তার পর ওষুধ(অামি)
অামি খাবো না (রিমু)
প্লিজ জিদ করো না, অামি ও কিন্তু কিছু খাইণি সকাল থেকে (অামি)
এই দেখো হোটেল থেকে ভাত নিয়ে অাসছি নাও খেয়ে নাও প্লিজ (অামি)
না বলছি না (রিমু)
এমন করো না প্লিজ (অামি)
অামি হোটেল এর খাবার খাই না (রিমু)
অাচ্ছা ঠিক অাছে কিছু ফল তো খাবে? কেন বুজনা খালি পেট এ ওষুধ খাওয়া যাবে না (অামি)
হুম(রিমু)
হুম না প্লিজ খাও, তারপর অামি নিজে রান্না করবো ওকে (অামি)
!
রিমু বাধ্য মেয়ের মত কিছু ফল অার ওষুধ খেলো,
!
এবার শুয়ে থাকো তুমি অামি রান্না ঘড়ে গেলাম, রান্না করার অভ্যাস অাছে অামার বুজছো, মা বাবা মারা যাওয়ার পর বাবার ব্যবসা অার রান্না বান্না অামাকে করতে হইছে, অন্যনের হাতের রান্না অামি লাইক করি না, তবে বউ এর হাতের রান্না খাইতে খুব ইচ্ছা করে, কি কপাল বউ কে রান্না করে খাওয়াতে হচ্ছে, তরকারি কাটতে কাটতে কথা গুলো বললাম।
!

!
বাবা এনি তো দেখি মিঃ পারফেক্ট, সবটা জানে,
হি হি হি অাবার মেয়েদের মত দরকারিও কাটছে,
মানুষটা সত্যি অন্যরকম, বুজে উঠতে পারি না উনি খারাপ না ভালো,
রিমু একটু ফ্লাসব্যাকে ব্যক এ গেলো,
লবনের পানি খাওয়া, নাস্তা রেডি করা, ডা, ইত্যাদি,
রিমু কেমন যে নিজে কে খুব অপরাধি মনে হচ্ছে,
!
কি হলো হাসছো কেন(অামি)
কই না তো (রিমু)
অামি যানি, কারন মেয়োরা হাসলে হেলিকাপ্টারের মত জোরে শব্দ করে হাসে (অামি)
এই চুপ অামি জোরে হাসিনী অাসতে হাসিছি(রিমু)
হা হা হা তার মানে শিকার করলে তুমি হাসিছো (অামি)

চলবে…???

স্বামির অধিকার-২/1st part

0

স্বামির অধিকার-২
লেখা/রুবেল(ছদ্দবেশী)
—– 1st part


প্লিজ ছাড়ুন অামাকে,অামার এসব ভালো লাগে না (রিমু)
এমন ভাবে বলছো মনে হয় এর অাগে অনেক বার….(অামি)
এই অাপনি কি বলতে চান(রিমু)
না মানে তুমি তো বললে তোমার এসব ভালো লাগে না (অামি)
হ্যা অামার এসব ভালো লাগে না প্লিজ অামায় রেহাই দেন(রিমু)
তাহলে অামার ধারনা ঠিক(অামি)
মানে(রিমু)
হয় তো এর অাগে কারো সাথে তুমি…….(অামি)
setup, একদম বাজে কথা বলবেন না(অামি)
ও মা অামি কি করলাম(অামি)
নিজের মত কি সবাই কে মনে করেন?(রিমু)
কথা ভালো করে বলবি কইলাম(অামি)
এ অাপনার মত লমপট, বদমাইশ, নেশা খোর মানুষের সাথে কি ভাবে কথা বলবো (রিমু)
!

রিমু এমন ব্যবহার অামার ভালো লাগছে, প্রচুর রাগ হচ্ছে, রিমুর চুল গুলো ধরে দু গালে দুটা থাপ্পর বসিয়ে দিলাম,ও ভুলে গেছে অামি ওর স্বামি।
!
মারুন যতো ইচ্ছা মারুন কারন সমাজের চোখে অাপনি অামার স্বামী,কিন্তু অামি অাপনাক কোন দিন স্বামি মানবো না, (রিমু)
এই তোরে কে বলছে স্বামি মানতে? এই বলে রিমু কে বিছানায় শোয়ালাম,
রিমু অনেক জোর করেও নিজেকে বাঁচাতে পারলো না,
রিমু কে জোর করে ভোগ করলাম,,
বেচারি অধউলঙ্গ, ক্লান্ত শরীর অার কিছু অসহ্য যন্ত্র না নিয়ে খাটের এক কোনে শুয়ে নিরবে কেঁদে যাচ্ছে।
!
!
এই তুমি কাঁদছো কেন? তোমার স্বামি তো তোমাকে অাদর করছে(অামি)
কে স্বামি? অার কিসের অাদর? অারে অাপনি তো অাকে ধষন করেছেন(রিমু)
এ তুমি যাই বলো অামি কিন্তু স্বামির অধিকার টা অাদায় করলাম(অামি)
হা হা হা অধিকার অাদায় করলেন?(রিমু)
হুম(অামি)
এটা অধিকার না এটা নিযাতন(রিমু)
তুমি যাই বলো প্রতিটা স্বামি তার স্ত্রীকে যে ভাবে অাদর কে অামিও কিন্তু সে ভাবে করছি (অামি)
স্বামি? হা হা হা স্বামি কাকে বলে অাপনি যানেন? অামি অাপনাক স্বামি মানি না অার অাপনি অামাকে অাদর না ধষন করছেন (রিমু)

তো যাও না, থানায় গিয়ে মামলা করো অামার নামে(অামি)
অাপনি কেন এমন করলেন অামার সাথে অামি অাপনার কি ক্ষতি করছি? কেন এ ভাবে অামাকে বিয়ে করলেন?(রিমু)
কপালে তুমি অামার ছিলে তাই তোমাকে পেলাম, বিধির বিধান বুজছো(অামি)
অারে বিধান তো অাপনি নিজে তৈয়ার করছেন, অাল্লাহ বিধানে অামি অাপনার ছিলাম না (রিমু)
এ তুই চুপ করবি(অামি)
কেন শুনতে খারাপ লাগচ্ছে?(রিমু)

!
রিমু কথা গুলো অামার কাছে বিষ মনো হচ্ছে, এত কথা বলে মেয়েটা।
অাবারো দুটা থাপ্পর দিলাম।
দিয়ে বাহিরে গিয়ে বারান্দায় বসলাম।

!
অাজ কে অামাদের বিয়ের ২য় রাত, স্বজন হারানোর বেদনা অার রিমুর মানুসিক কথা ভেবে বাসর রাতে রিমু কে অামি ছুয়েও দেখিনী,
কিন্তু অাজ রাতে অার ছাড়িনী, জোর করে স্বামির অধিকার অাদায় করলাম,
!
রিমু অামাকে স্বামি হিসাবে মানতে পারছে না, কারন ও একটা ছেলে অনেক ভালো বাসে,
কিন্তু অামার কিছু করার ছিলো না রিমু কে প্রথম দেখায় ভালো লেগেছিলো, তাই অার দেরি না করে ওর বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব দিলাম,
মেয়ের সুখের কথা ভেবে ওর বাবা ও বিয়েতে রাজি হলো।
রিমু প্রথম থেকে বিয়েতে রাজি ছিলো না,
বাবা মার চাপে শুধু কবুল টা বলছে,
!
রাত ৩ টা……
হয়তো রিমু ঘুমাইছে।
রুমে গিয়ে দেখি রিমু একটা হাত মাথার নিচে দিয়ে পা দুটো জড়ো করে অসহায় মেয়েদের মত ঘুমাইছে,
মেয়েদের ঘুমান্ত অবস্থায় এতটা সুন্দর লাগে রিমু কে না দেখলে বুজতাম না।
প্রচুর ঠন্ডা তাই রিমুর গায়ে চাদরটা দিয়ে অামি রিমুর পাশে ঘুমালাম

সকাল ৭ টা…..
ঘুম থেকে জেগে দেখি রিমু পাশে নাই,
ও মা এ মেয়ে কই গেলো পালাইলো না তো,
জোরে জোরে ডাকতে শুরু করলাম…..
!
রিমু ও রিমু রিমু…..
না কোন রুম এ তো দেখছি না,
সত্যি কি রিমু পালালো?
!
না রিমু পালায় নি বারান্দায় গিয়ে বসে ছিলো,
অামার ডাকে রিমু রুমে অাসলো
!
কি হইছে এত চিৎকার করছেন কেন(রিমু)
না মানে চা খাবো একটু দাও না বানিয়ে(অামি)
পারবো না (রিমু)
এটা তুমি কি বলছো তোমার স্বামি তোমার কাছে চা খাইতে চাইছে অার তুমি….(রিমু)
কে স্বামি কিসের স্বামি অামি চা বানাতে পারবো না (রিমু)
উফপ এমন করো না প্লিজ যাও না বানিয়ে অানো(অামি)
পারবো না(রিমু)
জিদ করো না তো যাও(অামি)
কিসের জিদ বলছি না পারবো না(রিমু)
পারতে হবে (অামি)
জোর করছেন(রিমু)
জোর না এটা অধিকার বুজছো যাও(অামি)
এত দিন কে চা বানিয়ে দিতো (রিমু)
অামি নিজে বানাতাম(অামি)
তো অাজ ও গিয়ে বানিয়ে খান(রিমু)
কিন্তু অাজ তো অামার বউ অাছে (অামি)
কে বউ? অামি অাপনার বউ না(রিমু)
!
না অার সহ্য হচ্ছে না,, কাছে গিয়ে অাবারো রিমুর চুল গুলো ধরে গালে দুটা দিলাম বসে।

!
তুই চা বানাবি ঠিক অাছে যা (অামি)
!
রিমু কোন কথা না বলে চা বানাতে গেলো,

রিমুর ভেজা চুল থেকে এখনো পানি ঝড়ছে, তার মানে রিমু……..

ইসসস রিমু যদি ভেজা চুলের পানিতে অামার ঘুমটা ভাঙ্গাতো…..

যাই হোক রিমু চা নিয়ে অাসলো

!
এই নিন চা (রিমু)
হুম অামার শোনা বউ দাও (অামি)
!
চাটা মুখে দিয়ে অার ফিতরে নিতে পারলাম না, চিনির বদলে দিছে ১বস্তা লবন,

মুখ থেকে থু করে সব বের করে দিলাম
রিমুর মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি মুচকি মুচকি ঠোঁট কামড়িয়ে হাসছে।

চলবে…?????

বিঃদ্রঃ সম্পুন গল্পটা না পড়ে কেউ বাজে বন্তব্য করবেন না।
দ্রুত টাইপিং এর কারনে বানান কিছু ভুল হতে পারে,
কষ্ট করে পড়ে নিবেন।

স্বামীর অধিকার শেষ পর্ব

0

স্বামীর অধিকার
শেষ পর্ব
লেখক/ ছোট ছেলে
~~~~~~

হয়তো করবে কারন তার ভালোবাসার মানুষটির হাতে আজ তাকে তুলে দিবো

এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কি হতে পারে

রিমি ঘুমিয়ে গেছে ঘুম নেই শুধু আমার চোখে কি করে নিজের বউকে অন্যের হাতে তুলে দিবো

অপেক্ষা করছি ভোরের
অপেক্ষার রাত যেন কাটতে চায়না

দেখতে দেখতে সকাল হয়ে এলো

ছোট্র একটা কেক কয়েকটা মোমবাতি এনে পাশের টেবিলে রেখে রিমিকে ডাক দিলাম

আমি/ এই উঠুন সকাল হয়ে গেছে আর কত ঘুমাবেন

রিমি একটু রাগী গলায়

রিমি/ কি হলো এত ডাকাডাকি করেন কেন
একটু ঘুমাতেও পারবনা আপনার জন্য
বলতে রিমির চোখ পড়লো কেক আর মোমবাতির দিকে

এসব কি

আমি/ একটু ঘুমে ভুলে গেলে আজ না তোমার জন্মদিন

রিমি মাথায় হাত দিয়ে

রিমি/ সরি

আমি/ আর সরি বলতে হবেনা আসেন কেক কাঁটেন

রিমি কেক কাঁটলো তারপর তাকে শুভেচ্ছা জানালাম একটা ফুল দিয়ে

রিমি/ এত সকাল সকাল কি দরকার ছিলো এটা করার

আমি/ কারন…. আমি চেয়েছিলাম আমার আগে কেউ যেন তোমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা না জানায়

এখন যাও রেডি হয়ে নাও এবার তোমার উপহারের পালা

রিমি/ কই যাবেন আর সেই উপহারটা কি

আমি/ উঁহু এখন বলা যাবেনা

রিমি/ আপনি না সত্যি পাগল
যান বাহিরে যান আমি কাপড় বদলাবো

আমি/ আচ্ছা

বাহিরে এসে অপেক্ষা করছি রিমির জন্য

এতক্ষন অনেক কষ্ট হয়েছে চোখের পানি ধরে রাখতে

আর পারছিনা তাই বাহিরে এসে চোখ দিয়ে বৃষ্টি ঝরালাম

মন চায় চিৎকার করে কাঁদতে আর বলতে রিমি তুই শুধু আমার আর কারও নয়

নাহিদকে একটা ফোন দিয়ে বললাম

আমি/ ভাই একটু তাড়াতাড়ি আসো

নাহিদ/ আমি আসতেছি রিমি আর আপনি কোথায়

আমি/ এতো আমরা বের হচ্ছি

নাহিদ/ ঠিক আছে আসুন

আমি ফোনটা রেখে রিমিকে বললাম

আমি/ কই হলো আপনার

রিমি/ না

আমি/ দ্যাতততত এত দেরি হয় কেন

রিমি/ কি করবো শাড়ী তো পড়তে পারিনা

আমি/ কি….. দুদিন পরে মা হবেন এখনও শাড়ী পড়তে পারেন না

আমি আসবো নাকি

রিমি/ হুমমমম আসেন যদি পড়াতে পারেন

আমি ভিতরে গিয়ে রিমিকে শাড়ী পড়িয়ে দিলাম

আমি/ এ কি চুল গুলো এমন কেন

মেয়ে মানুষের চুল যদি কপালে না থাকে তাহলে তাকে পেত্নীর মত লাগে

রিমি চুলের বাঁধনহার খুলে কয়েকটা চুল তার কপালে এনে রাখলাম

আমি/ দেখুনতো এবার কেমন লাগছে আপনাকে

রিমি/ বাহ্ববা…. আপনি তো দেখি অনেককিছু জানেন

আমি/ এতকথা না বলে এবার চলুন

দুজনে বের হয়ে গেলাম

একটা সি এন জি নিলাম

রিমি বার বার জানতে চাচ্ছে আমরা কোথায় যাচ্ছি

আমি/ চুপ করে বসে থাকুন

রিমি/ একি আপনার চোখে জল
কি হয়েছে আপনার

আমি/ মনে হয় চোখে কিছু পড়েছে ও কিছুনা

দেখতে দেখতে চলে আসলাম

রিমি/ একি পার্কে কেন

আমি/ এখানে আপনার সবচেয়ে বড় উপহারটা

রিমি/ আজ সারাদিন বুঝি এখানে কাটাবো আমরা

আমি কোন কথাই বলিনা

নাহিদকে দেখা যাচ্ছে একটু দূর থেকে

আমি/ ঐ দেখুন আপনার উপহারটা

রিমি একটু হেঁসে

রিমি/ এটাতো একটা মানুষ আমার উপহার হয় কিভাবে
সত্যি আপনার মাথা ঠিক নেই

আমি/ হুমমম তাই চলুন সামনে গেলে বুঝবেন

রিমি/ চলুন তাহলে
সামনে যেতে না যেতে রিমির চোখ কপালে উঠলে

রিমি/ একি নাহিদ তুমি

আমি/ হ্যাঁ তোমার নাহিদ তোমার ভালোবাসার নাহিদ তোমার স্বপ্নের পুরুষ
তোমার মনের মানুষ
যাকে ভেবে রোজ তুমি কাঁদো

রিমি/ আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সত্যি ছোট এই জীবনে আমাকে এতবড় উপহার কেউ দিতে পারেনি

কেমন আছো নাহিদ

নাহিদ/ ভালো তুমি

রিমি/ আমি ভালো নেই

আমি/ তোমরা তাহলে কথা বলো আমি চলে যাচ্ছি

রিমি/ চলে যাচ্ছি মানে কোথায় যাবেন

আমি/ শোন ভাই
রিমিকে আমি বিয়ে করেছি সত্যি তবে কখনও স্বামী হতে পারিনি

রিমি আমার বউ ঠিক-ই তবে তার মনে কখনও আমার জন্য জায়গা হয়নি

রিমিকে আমি ভালোবেসেছি
ঠিক-ই কিন্তু কখনও তার একটু আদর সোহাগ ভালোবাসা কিছুই পাইনি

কেন জানো
কারন…. তার মনে প্রাণে শুধু তুমি আর তুমি ছিলে

ও সবসময় কাঁদতো তোমার জন্য
নামাজ পড়ে মুনাজাতে তোমাকে চাইতো

আমিও রিমিকে ভালোবাসি হয়তো তোমার মত না
তাই হয়তো তার মনে জায়গা করে নিতে পারিনি

তাই আজ তাকে তোমার হাতে তুলে দিলাম
আমি চাইনা আমার জন্য দুটো জীবন নষ্ট হয়ে যাক

সুখে থেকো তোমরা এই কামনা করি

রিমি পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিও

জানো রিমি আজ আমি অনেক অনেক খুশি তোমার চেয়েও বেশি

কেন জানো

কারন… আজ আমি তোমাকে তোমার প্রিয় মানুষটার হাতে তুলে দিতে পারছি

রিমি/ এসব আপনি কি বলছেন আমিতো কিছুই বুঝতেছিনা

আমি/ যা আরও অনেক আগে বলার ছিলো অনেক আগে করাতোমার হাতটা দাও
নাহিদ তোমারটাও দাও

দুজনের হাত নিয়ে দুজনার হাত মিলিয়ে দিলাম
আর বললাম
তোমাদের এই নিষ্পাপ ভালোবাসার মাঝে আমি আর থাকতে চাইনা

পারলে ক্ষমা করে দিও

বলে চলে আসতেছি

চোখের পানিটাও কেন জানি স্বার্থপর হয়ে গেলো
শুধু অন্যের জন্য কাঁদে
চোখের জল মুছতে মুছতে হাঁটতে লাগলাম

আর ভাবছি
কতই না সুন্দর মানিয়েছে ওদের জুটিটা

আচ্ছা ওরা দুজন কি আমাকে ক্ষমা করেছে
নাকি এখনও আসামীর কাঁঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে রাখছে

কি স্বার্থপর মেয়েরে বাবা এতবড় একটা উপহার দিলাম একটা ধন্যবাদও দিলনা

হয়তো নাহিদকে পেয়ে ভুলে গেছে দিতে

এভাবে হয়তো আস্তে আস্তে ভুলে যাবে আমাকে

একবার পিছন ফিরে তাকাবো না থাক

কেন জানি মন বলে রিমি হয়তো একবারের জন্য হলেও আমাকে ডাকবে

কিন্তু ডাকেনি

চলে আসলাম ওদের মাঝখান থেকে

আজ আর বাসায় যাবোনা
আর বাসায় গিয়ে কি করবো
তাই সব হারিয়ে দেউলিয়ে হয়ে এদিক ওদিক ঘুরি

আর খোদাকে বলি শুধু একটা কারন দাও আমাকে যার জন্য রিমিকে ঘৃণা করতে পারব

সন্ধ্যা হয়ে এলো তাই চলতে লাগলাম বাসার দিকে

বাসায় গিয়ে দরজা টোকা দিলাম

ওহহহহ আমিতো ভুলে গেছি দরজা খুলার মত এখন কেউ নেই

দরজাটা খুলে ভিতরে গিয়ে বসলাম

উফফফ খুব ক্লান্ত লাগছে

চোখটা বন্ধ করলাম

কিছুক্ষন পরে একটা কণ্ঠ শুনতে পেলাম

খুব ক্লান্ত লাগছে তাইনা এই নিন শরবত খান

র ছিলো তাই করছিআমি একটু ভয় পেলাম চোখটা খুলে

আমি/ এ কি আপনি এখানে কখন আসলেন আর কেন আসলেন আপনাকে না আপনার শেষ ঠিকানা রেখে আসছি

রিমি/ হুহহহহহ আমার বাড়িতে আমি আসছি তাতে আপনার কি

আর আপনি কি বলুনতো লজ্জা করেনা আপনার নিজের বউকে অন্যের হাতে তুলে দিতে

এই বুঝি আপনার স্বামীর অধিকার

খুবতো বড় বড় কথা বললেন সেখানে

আমার চোখের জল আপনার সহ্য হয়না
আমাকে সুখী দেখতে চান
আমার মুখে হাঁসি দেখতে চান

কিন্তু একবারও কি জানতে বা বুঝতে চেয়েছেন আমার কি চায়

আমি/ মানে

রিমি/ মানে আবার কি

আমি কি বাজারের পণ্য যে চাইবে সেই পাবে

আমি কারও প্রেমিকা হয়ে নয়
আমি কারও লক্ষী বউ হয়ে থাকতে চাই আর সে হলেন আপনি

আমি আপনাকে না বলছি আপনাকে একটা কথা বলার ছিলো

জানেন সে কথাটা কি
জানেন না

তবে এখন শোনেন আমি তোমাকে অনেক অনেক ভালোবেসে ফেলেছি
দয়া করে একটু জায়গা দাও তোমার বুকে

রিমির চোখের জল মুছে দিয়ে রিমিকে বললাম

খুব কষ্ট হয়েছে তোমাকে সেখানে রেখে আসতে
মন চেয়েছে আবরও জোর করে নিয়ে আসি সঙ্গে কিন্তু পারিনি

রিমি/ তখন পারেন নি এখনতো পারবেন

আমি/ কি

রিমি/ খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরতে

রিমি বলতে করেছে কিন্তু আমি বুকে নিতে একটুও দেরি করিনি

রিমিকে বুকে নিয়ে বললাম

আমি স্বামীর অধিকার চাইনা
শুধু তোমাকে যে তোমাকে হারিয়ে যাবো আমি তোমার ভালোবাসায়

ছোট ছেলে

#ধ্রুব

স্বামীর অধিকার পর্ব/ ১১

0

স্বামীর অধিকার পর্ব/ ১১
লেখক/ ছোট ছেলে

~~~~~~

নিজেকে আজ খুব হাল্কা হাল্কা লাগছে

বাসায় ফিরতে

রিমি/ সারাদিন কোথায় ছিলেন ফোনটাও বন্ধ করে রাখলেন

আমি/ একটা জরুরী কাজ ছিলো

রিমি/ কি ব্যপার অজ এত খুশি খুশি কেন

আমি/ একটা খুশির খবর আছে যা শুনলে আমার চেয়ে বেশি খুশি আপনি হবেন

রিমি/ তাহলে আর বলে দিন খুশির খবরটা কি

আমি/ না তা বলা যাবেনা
কিন্তু হ্যাঁ আপনাকে বললাম আপনার জন্মদিনে একা বড় উপহার দিবো
সেটাই কিনে রেখে আসছি

রিমি/ কি সেই উপহারটা বলেন না প্লিজ বলেন না

আমি/ না বলা যাবেনা কাল নিজের চোখে দেখবেন

রিমি/ আচ্ছা চলুন

আমি/ কোথায়

রিমি/ খেতে

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার বাকি তারপরতো রিমিকে হারিয়ে ফেলবো তাই আর না করিনি

রিমি/ চুপ করে খেতে লাগলাম
রিমি চেয়ে আছে

দুজনার কেউ কথা কয়না

রিমি/ একটা কথা বলবো

আমি/ হুমমমম বলুন

রিমি/ না থাক কালকে বলবো

আমি/ ঠিক আছে

খাওয়া শেষ করে ঘরে এসে শুয়ে রইলাম মনে হাজারো প্রশ্ন তখন-ই

রিমি/ আসতে পারি

আমি/ ওহহহ হ্যাঁ আসুন

রিমি ভিতরে আসলো

আমি/ দাঁড়িয়ে কেন বসুন

রিমি বসলো

রিমি/ আপনাকে একটা কথা বলবো

আমি/ আবার সেই এক-ই প্রশ্ন

রিমি/ না মানে দুদিন ধরে দেখছি আপনি কেমন জানি অন্যরকম হয়ে গেছেন কেন বলুনতো

আমি/ কই নাতো আমি একদম ঠিক আছি

আর শোন কাল সকাল ৯টা রেডি থাকবে

রিমি/ কেন আমাকে কোথায় নিয়ে যাবেন

না বাবা আমি আপনার সাথে যাবোনা

আপনার হাত ধরে হাঁটতেও পারবনা

আমি/ আপনাকে কিছু করতে হবেনা

আপনি শুধু সকাল ৯টা রেডি থাকবেন ব্যস

রিমি/ ঠিক আছে যাব তবে

আমি/ তবে কি

রিমি/ না কিছুনা আপনি ঘুমান আমি যাচ্ছি

রিমি চলে যাচ্ছে

আমি পিছন থেকে তাকে ডাক দিলাম

আমি/ রিমি

আমার ডাক শুনে রিমি পিছন ফিরে তাকালো

রিমি/ কিছু বলবেন

আমি/ ঠিক ৯টা মনে থাকে যেন

রিমি/ হুমমম থাকবে আর না থাকলে তো আপনি আছেন

বিকালটা ঘুমে ঘুমে কাটলো

ঘুম ভাঙ্গার পর দেখি রিমি টিভি দেখে

আমি/ কি করেন

রিমি/ কি আর করবো একা একা টিভি দেখি

আসুন দুজনে একসাথে দেখি

আমি/ না আমার ভালো লাগেনা আপনি দেখুন

রিমি/ এই আপনি কি বলুনতো আমাকে আপনি আপনি করে কেন বলেন বলুনতো

আমি/ যার উপর কোন অধিকার-ই নেই তাকে কি করে নাম ধরে ডাকি

রিমি/ থাক আর ডাকতে হবেনা চা খাবেন

আমি/ হলে ভালো হয়

রিমি/ আচ্ছা আপনি বসুন

চা খেতে রিমির সাথে কিছুক্ষন গল্প করলাম

তারপর বাহিরে গিয়ে আড্ডা মারলাম
কিন্তু কোনখানে মন বসেনা

একলা একা রাতে ছাদে গিয়ে বসে আছে

রিমি/ কি ব্যপার এই অন্ধকারে একা একা এভাবে বসে আছেন ঘুমাবেন না

আমি/ যার জীবনটা অন্ধকার সে আর আলোর দেখা কি করে পাবে

আপনি গিয়ে ঘুমান আমি একটু পরে আসতেছি

রিমি/ না আমার এরা একা খুব ভয় করে আপনিও চলুন আমার সাথে

আর হ্যাঁ আমি কিন্তু আপনার সাথে ঘুমাবো

আমি/ এই নোংরা মানুষটার সাথে ঘুমালে আপনার কি আর ঘুম আসবে

রিমি/ না আসলে নাই

আমি/ ঠিক আছে চলুন

দুজনে গিয়ে শুয়ে পড়লাম

আর ভাবছি কিভাবে রিমিকে নাহিদের হাতে তুলে দিয়ে ক্ষমা চেয়ে নিবো

আচ্ছা রিমি কি আমাকে ক্ষমা করবে

অপেক্ষা করুন শেষ পর্বের জন্য……..

স্বামীর অধিকার পর্ব/ ১০

0

স্বামীর অধিকার পর্ব/ ১০
লেখক/ ছোট ছেলে

~~~~~~

আমি ছাদে বসে বসে সিগারেট টানি

রিমি/ আপনি এখানে আর আমি আপনাকে সারা বড়ি খুঁজি

আমি/ আমাকে হা হা হা

রিমি/ এতে হাঁসির কি আছে

আমি/ হাঁসির কথা শুনলে তো হাঁসতে হবে
আমাকে যে আপনার প্রয়োজন হতে পারে এটাতো আমি বিশ্বাস-ই করতে পারছিনা

রিমি/ আপনি আবরও সিগারেট টানছেন
আপনাকে না বারণ করলাম সিগারেট না টানতে

আমি/ আমি কারও বারণ মানতে রাজি নয়

জীবনটা আমার আমার মত-ই চলবে

রিমি/ না কখনওই না আমি যেভাবে বলবো সেভাবে চলবে

আমি/ এই শোন আপনার রূপে পাগল হয়েছি তাই আপনাকে বউ করেছি
এখন আর আপনাকে আমার দরকার নেই

যান চলে যান এখান থেকে

রিমি রাগ করে চলে যাচ্ছে

সে হয়তো বুঝার চেষ্টা করছে

সত্যি কি আমি তার রূপের পাগল ছিলাম নাকি তার ভালোবাসার

কিন্তু আমি তাকে কি করে বলি আমি তাকে এখনও অনেক ভালোবাসি

দূররররর…. কোনকিছুতে মন বসেনা

মেয়েটা ডুবে চোখের জলে আর আমি পুঁড়ি কষ্টের আগুনে

বাহিরে যাবো রিমি দেখতে

রিমি/ কই যান

আমি/ বলার মত এখানে কেউ নেই আমি কোথায় যাচ্ছি

দরজাটা লাগিয়ে দিন ফিরতে দেরি হবে

ফিরলাম সে রাতে

রিমি/ এতক্ষন কই ছিলেন সেই কখন থেকে আপনার পথ চেয়ে বসে আছি

আমি দরজাটা খুলে আকাশের দিকে তাকালাম

রিমি/ কি হলো ঐদিকে কি দেখেন

আমি/ কিছুনা
দেখতেছি আকাশের চাঁদটা কোনদিক থেকে উঠছে

আপনি আমার জন্য অপেক্ষা করছেন তাই

রিমি/ অপেক্ষা তো আর এমনি এমনি করছিনা একা একা ভয় লাগছে তাই

আমি/ ওহহহহহ

রিমি/ খেতে দিচ্ছি আসুন

আমি/ আমি খেয়ে এসেছি

রিমি/ কি….. তাহলে আমি কার জন্য বসে আছি

বাহিরে খেতে গেলেন কেন

আমি/ সেটা আমি কাউকে বলতে বাঁধ্য নয়

ঘরে যেতে যেতে

ঘরে গিয়ে বালিশটা নিয়ে হাঁটতে লাগলাম

রিমি/ কি ব্যপার বালিশ নিয়ে কই যান

আমি/ ঘুমাতে

রিমি/ ঘুমাতে মানে কোথায় ঘুমাবেন আপনি

আমি/ পাশের ঘরে

রিমি/ পাশের ঘরে কেন

আমি/ আপনার সুবিধার জন্য

আপনি নিজেইতো আমার সাথে থাকতে চান না

তাই ভাবলাম আজ থেকে দুজন দু ঘরে থাকবো

চলে আসলাম পাশের ঘরে শুয়ে রইলাম

কিন্তু চোখেতো একটুও ঘুম নেই

আচ্ছা রিমিও কি আমার কথায় ভাবছে নাকি নাহিদের

দূররররর….. আমার কথা কেন ভাববে

আমিতো একটা নোমরা মনের মানুষ
আমিও না একটা পাগল

এসব ভাবতে ভাবতে অনেক রাত হয়ে গেলো চোখটা বন্ধ করলাম

সকাল হয়ে এলো

রিমির ফোন পেয়ে ঘুম ভাঙ্গলো

ফোন ধরতে কেটে দিলো
তারপর ছোট্র একটা ম্যাসেজ

অনেক বেলা হয়ে গেছে

আমি ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুঁয়ে বসে রইলাম

রিমি/ এই নিন আপনার চা

রিমির দিকে তাকিয়ে রইলাম না চাইতে আজ চা
যাইহোক যাবার সময় মেয়েটা একটু বেশি মায়া লাগিয়ে দিচ্ছে

আমি/ এইযে

রিমি/ কিছু বলবেন

আমি/ কাল তো আপনার জন্মদিন

রিমি/ হুমমমম জানি আমার অনেক বন্ধুকে দাওয়াতও করেছি

আমি/ কিসের দাওয়াত আর কেন করলেন

রিমি/ এত ভোলা মন আপনার
আপনিতো বললেন আমার জন্মদিন অনেক ধুমধাম করে পালন করবেন তাই

আমি/ না তা আর হবেনা
কোন ফালতু কাজে আমি আমার টাকা পঁয়সা নষ্ট করতে চাইনা

রিমি/ তাহলে আর কি করা সবাইকে মানা করে দিবো

আমি/ হুমমমম সেটাই ভালো
হবে

আমারও খুব ইচ্ছে ছিলো রিমির জন্মদিনটা বড় করে করবো কিন্তু তা আর হলোনা

কারন জন্মদিনের চেয়ে তার মুখের হাঁসিটা আমার কাছে অনেক দামি

রিমি চলে গেলো বুঝতেছিনা খুশি হলো নাকি কষ্ট পেলো

যাক এসব ভেবে আমার কাজ নেই

বাসা থেকে বের হতে

রিমি/ কোথায় যাচ্ছেন বুঝি

আমি/ হুমমমমম

বাসা থেকে বের হয়ে নাহিদকে ফোন দিলাম আমাকে কিছুটা সময় দিতে

নাহিদ রাজি হলো

দুজনের দেখা হলো

প্রথমে নাহিদের কাছে জ্ক্ষমা চাইলাম তারপর

নাহিদকে প্রশ্ন করলাম

আমি/ আচ্ছা নাহিদ তোমার কাছে যদি রিমি ফিরে আসে তাহলে কি তুমি তাকে গ্রহণ করবে

নাহিদ চুপ করে রইলো কিছুই বলেনা

আমি/ কি হলো ভাই কিছুতো বলো

নাহিদ কি বুঝে হ্যাঁ বলে দিলো

আমি/ ভয় নেই তোমার নির্ভয়ে বলতে পারো

নাহিদ/ ই…..য়ে মানে হুমমমম করবো

আমি/ খুশি হলাম তোমার কথায়

ঠিক আছে কাল সকাল ১০টা এখানে এসো আমি তোমার হাতে তোমার ভালোবাসাকে তুলে দিবো

নাহিদ/ আচ্ছা

আমি/ ঠিক আছে তাহলে দেখা হবে কাল ঠিক এসময়

ভালো থেকো আজ আসি

নাহিদের হ্যাঁ উত্তরটা শুনে যতটানা খুশি হয়েছি তারচেয়ে বেশি বুকে ব্যাথা করছে তাতে কি রিমির মুখেতো একটু হাঁসি ফোটাতে পারব

চলবে…???