Tuesday, September 2, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 2328



স্বামীর অধিকার পর্ব/৯

0

স্বামীর অধিকার
পর্ব/৯
লেখক/ ছোট ছেলে
~~~~~~

বাসায় আসতে একটু লেট হয়ে গেলো

বাসায় এসে দেখি রিমি আর তার বান্ধবী খেয়ে দেয়ে গল্প করছে

রিমি আমাকে দেখতে পেয়ে

রিমি/ কি ব্যপার এতক্ষন কোথায় ছিলেন

আমি/ তোমার জন্য সুখের সন্ধানে

রিমি/ মানে কি সুখ কি হাঁটতে বাজারে বিক্রি হয় যা আপনি টাকা দিয়ে কিনে নিবেন

আমি/ টাকা দিয়ে আর জোর করে যে সুখ আর ভালোবাসা কেনা যায়না সেটা আমি বুঝেছি

রিমি/ বুঝেছেন তবে আমার জীবনটা নষ্ট করে

খেয়েছেন আপনি

আমি/ না

রিমি/ এখনও না খেয়ে আছেন
যান টেবিলে খাবার দেয়া আছে খেয়ে নিন

আমি কোনকিছু না বলে চুপচাপ দু বান্ধবীর মাঝখান থেকে চলে আসলাম

অন্য আরেকটা ঘরে শুয়ে রইলাম চোখেও অনেক ঘুম তাই বিছানা পিঠ লাগাতে ঘুমিয়ে পড়লাম

একটু পরে রিমি এসে ডাকাডাকি করে

রিমি/ এইযে শুনছেন এইযে

আমি/ কি হলো আপনার
আপনার জন্য কি শান্তিতে একটু ঘুমাতেও পারবনা

রিমি একটু অবাক হলো
অবাক হওয়ার-ই কথা

বিয়ের পর থেকে রিমিকে আমি তুমি করে বলতাম
কখনও তার সাথে রাগী গলায় কথা বলতামনা

কিন্তু আজকের কন্ঠটা আমার অন্যরকম

রিমি/ কি হয়েছে আপনার এমনভাবে কথা বলছেন কেন

প্রীতি (বান্ধবী)কি আপনাকে কিছু বলেছে

আমি/ সবকিছু কি আপনাকে বলতে হবে নাকি আপনি আমার কে

আপনি আমাকে একদম বিরক্ত করবেন না
যান এখান থেকে

ম রিমি/ যাবো তার আগে বলুন না খেয়ে আছেন কেন

আমি/ আমার ইচ্ছে হয়েছে তাই খাইনি
বুঝেছেন

প্রীতি এসে রিমিকে নিয়ে চলে গেলো

আমি মনে মনে বলি তোকে ছাড়া কখনও খেয়েছি আমি

রিমি/ যে মানুষটা আমার সাথে কথা বলার জন্য পাগল হয়ে যেতো সে মানুষটা আজ এতটা কঠিন হলো কি করে

তুই কিছু বলিসনি তো তাকে

প্রীতি/ আরে না কি বলিস
পুরুষ মানুষের মনটা এরকম
নেশা ধরলে বুকে নেয়
নেশা কেটে গেলে লাথি মারে

রিমি/ আরে দূরররর তুইও না

মানুষটা ঐরকম নয় যেমনটা তুই ভাবছিস

মানুষটা ভালো সবসময় আমার একটু ভালোবাসা পাওয়ার জন্য কতকিছুই না করতো শেষ পর্যন্ত কান্নাও করে খাইয়েছে

সেই মানুষটা আজ আমাকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে

প্রীতি/ তুইও না কি আমি বুঝিনা

যাকে সহ্য করতে পারিসনা তাকে নিয়ে এত চিন্তা করিস কেন দেনা তাকে তার মত করে থাকতে

রিমি/ কি বলিস এসব বিয়েটা যেমন করে হোক আর মানুষটা যেমন হোক কিন্তু সে তো এখন আমার স্বামী

প্রীতি/ এই দাঁড়া দাঁড়া কি বলিস এসব স্বামী মানে তুই কি ওঁকে স্বামী বলে স্বীকার করেছিস

রিমি/ জানিনা শুধু এটা জানি
ওর একটু রাগে আমার খুব কষ্ট হয়

প্রীতি/ সর্বনাশ শুধু স্বামী হিসেবে নয় তুইতো ওকে ভালোবেসে ফেলেছিস

তাহলে তাকে বলে দে

রিমি/ না আমি কখনওই পারবনা

প্রীতি/ ঠিক আছে তাহলে তোর হয়ে আমি বলে দিবো

রিমি/ না না একদম এমনটা করবিনা আমাকে একটু সময় দে আমি বলবো আমার মনের কথা তাকে

প্রীতি/ কিন্তু আমি এটা বুঝতেছিনা ওর প্রতি তোর এই ভালোবাসব কোথা থেকে জন্ম নিলো

একটু আগে আমার কাছে যার সম্পর্কে এত বাজে কথা বললি

আর সে তাকে তুই ভালোবেসে ফেললি
কি এমন দেখলি তার মাঝে

রিমি/ আমি নাহিদকে ভালোবাসতাম ঠিক-ই
কিন্তু আমার ভালোবাসা তার কাছে কোন দাম নেই

আমি সবসময় চাইতাম তাকে
কিন্তু সে অন্যকাউকে নিয়ে ব্যস্ত থাকতো আমাকে একা রেখে

আমি সবসময় নাহিদকে বোঝাতে চাইতাম তাকে ছাড়া আমার পৃথিবীতে কেউ নেই
কিন্তু সে আমাকে কিন্তু বোঝাতো আমি ছাড়াও আরও অনেকে আছে তার পৃথিবীতে

আমি যেদিন আমার অমতে এই বাড়ির বউ হয়ে এসেছি

সেইদিন থেকে বুঝেছি
এই পাগলটা আমাকে কত ভালোবাসে

কত উপায়ে আমাকে নিজের করে নিতে চেয়ে

হাজারো ঝগড়া দুষ্টুমিতে আমার কাছে আসতে চেয়েছে

আমাকে ঠিক ততটা ভালোবেসেছে ততটা আপন করে নিয়েছে যতটা আমি চাইতাম

আমি চাইতাম আমার বরটা আমাকে রান্নার কাজে সাহায্য করবে সেটাও সে করেছে

আমি চাইতাম আমার বরটা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে আমাকে ঘুম পাড়িয়ে দিবে
সেটাও সে করেছে

আমার মুখের একটু হাঁসির দেখার জন্য যে মানুষটা ব্যাকুল হয়ে থাকতো

তুই বল সে মানুষটাকে রেখে আমি কিভাবে অন্যকে নিয়ে সুখী হবো

প্রীতি/ আমি আর কিছুই বলার নেই শুধু এটাই বলবো
স্বামী পেতেছিল একটা মনের মত

তাই আর দেরি না করে বলে দে তাকে

দেখবি অনেক ভালোবাসা পাবি অনেক স্বপ্নের চেয়েও বেশি

রিমি/ বলবো আমার জন্মদিনের দিন

সেদিন আমি আমার জন্মদিনের উপহার হিসেবে তাকে চাইবো

প্রীতি/ ঠিক আছে তুই যা ভালো বুঝিল তাই কর

যাইরে অনেক দেরি হয়ে গেছে

রিমি/ থাকবেনা আজ

প্রীতি/ অন্য একসময় এসে থাকবো

রিমি/ আচ্ছা ঠিক আছে

চলবে,,,???

স্বামীর অধিকার পর্ব/৮

0

স্বামীর অধিকার
পর্ব/৮
লেখক/ ছোট ছেলে
~~~~~~

আর শোনেন বাজারে গিয়ে কিছু বাজার নিয়ে আইসেন

আমি/ আগে খেতে দাও তারপর অন্য চিন্তা

এই নাও তুমিও একটু খাও নাহলে তো পরে বলবে

রাক্ষস স্বামী শুধু নিজে খায় পাশে থাকা বউটাকে একটু জিজ্ঞেসও করলোনা খাবে কিনা

রিমি/ শোনেন এত ভালোবাসা দেখাতে হবেনা

যার পেটে ক্ষুধা থাকে তাকে খাইয়ে দিতে হয়না
সে এমনিতে খেয়ে নিবে

আর আপনার হাতের খাবার সেটাতো কখনওই না

আমি/ ও ও ও ঠিক আছে যার যেমন ইচ্ছা

কি লাগবে

রিমি/ তেমন কিছুই নয়

আপনার পছন্দমত করে আনুন

আমি/ আমার পছন্দমত তো তোমাকেও ঘরে তুলছি কই তাতে কি কোন লাভ হলো

রিমি/ সবসময় এসব শুনতে আমার আর ভালো লাগেনা যান বলছি যান যান

আমি/ যাচ্ছি যাচ্ছি

বাজারে গেলাম বাজার করে বাসায় আসলাম এসে দরজা টোকা দিলাম ভিতর থেকে রিমি আওয়াজ দিলো

রিমি/ দাঁড়ান আসতেছি

দরজা খুললো ভিতরে ঢুকতে দেখি রিমির বান্ধবী

বান্ধবীটা তো খুব সুন্দর যাই একটু মজা করে নেই

আমি/ আসসালামু আলাইকুম ভাবিজান

রিমির বান্ধবী ওদিক ওদিক তাকিয়ে আমাকে বলে

বান্ধবী/ আমাকে বলছেন

আমি/ আপনি ছাড়া আর কেউ আছে এখানে

বান্ধবী/ তা নেই কিন্তু ভাবি ডাকলেন কাকে?

আমি/ আপনাকে

বান্ধবী/ আমাকে…..হা হা হা
আমি আপনার ভাবি হতে যাবো কোন দুঃখে

আমি কিছু বলতে যাবো
ঠিক তখন-ই রিমি এসে

রিমি/ কি হলোরে সই

বান্ধবী/ দেখনা সই তোর স্বামী আমাকে ভাবি বলো ডাকে

আমি/ তাতে কি বউয়ের বান্ধবী তো আর আমার বান্ধবী নয়

রিমি/ চুপ থাকুনতো
দেখ সই আমি কাকে নিয়ে সংসার করি আর কতটা সুখে আছি

বান্ধবী/ হুমমম দেখতে পাচ্ছি
আমি বুঝতেছিনা এমন একটা মানুষকে তুই বিয়ে কেন করলি

আমি/ না না আপনার বান্ধবী করতে চাইনি আমি জোর করে করেছি

বান্ধবী/ তাই নাকিরে সই

রিমি/ হুমমম
শুধু বিয়েটা জোর করে নয় সবকিছু জোর করে করেছে

কিন্তু এই মানুষটা এটা জানেনা জোর করে না ভালোবাসা হয় আর না কারও মনে জায়গা করে নিতে পারে

বান্ধবী/ ঠিক বলছিস কিন্তু তোর জীবনটা তো নষ্ট হয়ে গেলো

সারাজীবন তোকে এই লোকটার সাথে থাকতে হবে

রিমি/ আচ্ছা বাদ দে এসব

এই প্রথম আসলি
তাই তোকে এত সহজে ছাড়বোনা

বান্ধবী/ না’রে সই আমাকে বিকালে চলে যেতে হবে

আমি/ সেটাই ভালো আপনি থাকলে আমার ১২টা বেড়ে যাবে

রিমি/ এই কি বললেন আবার বলেন কিসের ১২টা বাজবে
হুহহহহ

আমি/ স্বামীর থেকে বউ বউয়ের থেকে স্বামীর সোনার সংসারটা একদিনে ভেঙ্গে ফেলবে

রিমি/ কি আমার সামনে আমার বান্ধবীকে এতবড় কথা

আপনাকে আমি আপনাকে আমি

আমি/ থাক আর বলতে হবেনা আমি বুঝে গেছি

যাও বান্ধবীর জন্য ভালো কিছু রান্নাবান্না করে খাওয়াও

রিমি/ ওহহহ তাইতো
চল সই রান্না করতে করতে দুজনে গল্প করি

বান্ধবী/ তুই যা আমি তোর স্বামীর সাথে কথা বলি একটু

রিমি/ আরা না না কোন দরকার নেই তুই আমার সাথে চল

বান্ধবী/ আরে যা না তুই
কোন সমস্যা নেই

রিমি/ আচ্ছা ঠিক আছে

এইযে শুনেন আমার বান্ধবীর সাথে কোন খারাপ ব্যবহার করবেন না

তাহলে কিন্তু আপনার খবর আছে

বান্ধবী/ আপনি কেমন পুরুষ বলুনতো একটা মেয়েকে জোর করে বিয়ে করছেন

আমি/ আমি হলাম প্রেমিক পুরুষ আপনার বান্ধবীকে ভালোবেসে বিয়ে করেছি

বান্ধবী/ এটা কেমন ভানোবাসা আপনার যে ভালোবাসায় কোন দাম নেই

আমি/ কে বলছে আপনাকে দাম নেই
আমার ভালোবাসা কেনার মত ক্ষমতা আপনারও নেই

বান্ধবী/ আপনি জানতেন না আমার বান্ধবী অন্যকাউকে ভালোবাসতো

আমি/ জানতাম তো তাইতো তার হাত পাঁ ভেঙ্গে ভর্তি করে দিছি তাকে

বান্ধবী/ আপনি সত্যি একটা অন্য মানুষ যার সাথে কখনও রিমির মন মিল খাবেনা

আমি/ আপনি শুধু অপেক্ষা করুন সময় হলে আপনি নিজে বুঝতে পারবেন

বান্ধবী/ আপনি কখনও রিমির মুখে হাঁসি ফোটাতে পারবেন না

আমি/ আমার চেয়ে বেশি তার মুখে আর কেউ হাঁসি ফোটাতে পারবেনা

বান্ধবী/ আপনার সংসারে রিমি কখনও সুখী হতে পারবেনা

আমি/ আমার চেয়ে বড় সুখ তাকে আর কেউ দিতে পারবেনা

বান্ধবী/ তাই নাকি কিন্তু রিমির চেহারা দেখেতো বুঝা যায়না সে সুখী

আমি/ সবাই সবকিছু বুঝেনা

বান্ধবী/ কিন্তু আমি বুঝি আমার বান্ধবী আপনার সংসারে এসে কত কষ্টে আছে

আমি/ কই আমিতো দেখিনা
আমারতো মনে যতটা সুখে রিমি আছে কতটা সুখ আপনিও পাবেন না

বান্ধবী/ তাই নাকি বাহ্ বাহ্ ভালোতো
রিমি তোর স্বামীর কথা শোন

হা হা হা

রিমি/ কি হয়েছে তোর এত হাঁসিস কেন

বান্ধবী/ তোকে নাকি তোর স্বামী খুব সুখে রাখছে

রিমি চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো

বান্ধবী/ কিরে কিছু বল

রিমি/ তুই আমার সাথে দেখা করতে এসেছিস নাকি ওর সাথে গল্প করতে

চল আর কথা বলতে হবেনা

দু বান্ধবী মিলে রান্না ঘরে গেলো

রিমির মুখে আজ হাঁসি রাশি রাশি

প্রাণ জুড়িয়ে গেলো রিমির মুখে আজ হাঁসি দেখে

আবারও চলে গেলাম বাহিরে

খোঁজ নিতে লাগলাম নাহিদের

নাহিদ রিমির ভালোবাসা
যে আমার আগে জায়গা দখল করে নিয়ে রিমির মনে

নাহিদের ঠিকানা আর ফোন নাম্বারটা জোগাড় করতে এত কষ্ট হয়নি

নাহিদকে ফোন করে বলেছি সামনে ৫তারিখ বিকাল ৪টা আমার সাথে যেন দেখা করে

নাহিদ রাজি হয়ে গেলো
কারন। না বলার মত সাহস তার নেই

চলবে…!!!

স্বামীর অধিকার পর্ব/৭

0

স্বামীর অধিকার
পর্ব/৭
লেখক/ ছোট ছেলে
~~~~~~

রিমি/ ছিঃ কি বাজে দুর্গন্ধ আপনি সিগারেট টানছেন তাইনা

আমি/ হুমমমম তাতে কি

রিমি/ তাতে কি মানে এই দুর্গন্ধটা আমার একদম সহ্য হয়না তার উপর আবার সাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর

আমি/ তাতে আমার কি
আর লিপস্টিকও কিন্তু শরীরের জন্য ক্ষতিকর
এটা জানোনা

রিমি/ মানে কি লিপস্টিকের সাথে সাস্থ্যের কি সম্পর্ক

আমি/ হুমমমমম সেটা যদি বুঝতে তাহলে এতদিনে তুমি আমার থেকে অনেক বেশি বড় কলম হতে

রিমি/ কি বলেন এসব কিছুই বুঝিনা
খেতে দিচ্ছি আসেন

আমি/ ক্ষুধা নেই তুমি খেয়ে নাও

রিমি/ আমি অনেক আগে খেয়েছি

আমি/ তাহলে আর কি ঘুমিয়ে পড়ুন

রিমি/ তাই করবো রাত জেগে কারও সাথে বকবক করে সময় নষ্ট করার মত মেয়ে আমি নয়

রিমি শুয়ে পড়লো

আমি মোবাইল টিপি

রিমি/ একটা কথা বলবো

আমি/ আমিতো আর কারও মুখ সেলাই করে রাখিনি
বলুন

রিমি/ দ্যাতততত থাক বলবনা

আমি/ মনের কথা চেপে রাখতে নেই পাহাড় সমান হয়ে যাবে
অভিনয়

রিমি/ কাল আমার বান্ধবী আসবে

আমি/ কেন কেন তোমার বান্ধবী আসার কি দরকার

রিমি/ একা একা ভালো লাগেনা

আমি/ একা আমিতো সবসময় তোমার সাথে থাকি

আর সঙ্গী লাগলে আমাকে বলতে ২টা এনে দিতাম

রিমি/ তারা কারা আর কোথা থেকে আনবেন

আমি/ একটা তোমার থেকে
একটা বাহির থেকে

রিমি/ মানে কি

আমি/ মানে বুঝলেনা সোনা

তোমার থেকে যে আসবে সে হলো বাবু আর বাহির থেকে যে আসবে সে হলো সতীন

রিমি/ কি…..
বাবু আর সতীনের মুখ দেখার আমার এত শখ নেই

আপনার সাথে কথা বলাটা বোকামী

দ্যাততত
আমি/ এই শোন বলে দিও আসতে

রিমি/ আপনার অনুমতি লাগবেনা বলেই দিছি আসতে

আমি/ তাহলে আমাকে জিজ্ঞেস করলে কেন

রিমি/ এমনি দেখতে চেয়েছি আপনি কি বলেন

আমি/ ওহহহহহ স্বামীর অবাধ্য তো ভালোই হতে পারো

রিমি/ এখানে অবাধ্যের কি আছে

আমার বান্ধবীর কি পারেনা
আসতে

আমি/ পারে তবে সেটা যদি তোমার স্বামীর বাড়ি হতো
কিন্তু এটাতো একটা বাজে লোকের বাড়ি এখানে এসে কি করে সে থাকবে

রিমি/ রিমি মুখের উপর বলে দিলো
স্বামী নয়তো এটা কার বাড়ি

বলে রিমি নিজে নিজেই কেমন জানি হয়ে গেলো

আমি/ সত্যি এটা তোমার স্বামীর বাড়ি

রিমি/ জানিনা এত কথা বলেন কেন

আমি/ শুনতে ভালো লাগে তাই

রিমি/ আর শুনতে হবেনা এবার ঘুমান আর আমাকে একটু ঘুমাতে দিন

আমি/ আমি ঘুমিয়ে কি হবে চলো ছাদে গিয়ে গল্প করি

রিমি/ দরকার নেই আমি আমার ঘুমের ভাগ কাউকে দিতে চাইনা

আপনি যান

আমি/ হায়রে বউ তোকে নিয়ে কত স্বপ্ন ছিলো কিন্তু তুই হলিনা আমার আপন

ঠিক আছে আমি একাই যাই তাহলে

রিমি/ যান তবে হ্যাঁ সিগারেট টানতে পারবেন না কিন্তু

আমি/ তাহলে আর ছাদে গিয়ে কি হবে

আসো জানু আমার বুকে আসো তোমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাই

রিমি কোলবালিশটা দিয়ে বলে

রিমি/ এই নিন আপনার বউ
যা খুশি তা করেন

কেউ কিছু বলবেনা

আমি/ এ

রিমি/ হ্যাঁ
শুভরাত্রি

আমি/ হুহহহহহ

রিমি/ কেন গো আপনার আবার কি হলো

আমি/ মাঝখানের এই বেটা(কোলবালিশ) না থাকলে হয়না

রিমি/ একদম হয়না কারন…..

আমি/ কারন কি

রিমি/ সব কথা মুখে নয় কিছু কথা বুঝে নিতে হয়

ঘুমান আর কোন কথা নয়

কি আর করা লাইট বন্ধ করে ঘুমিয়ে গেলাম

সকাল হতে দেখি রিমি পাশে নাই

আমি/ রিমি রিমি এই রিমি

রিমি/ কি হলো বললাম না সারাদিন রিমি রিমি করে চিৎকার করবেন না

আমি/ ওমা কি বলে….. বউকে বলে ডাকবো না তো কি বলে ডাকবো

আরে আরে তোমার নাকে মুখে এসব কি

রিমি/ কোথায় কিসের কথা বলছেন

আমি/ যাক বাবা এতদিন পর আমার একটা ইচ্ছা পূরণ হলো
অনেক স্বপ্ন ছিলো তোমাকে পেত্নীর সাঁজে দেখবো আজ সে ইচ্ছাটা পূরণ হলো সত্যি আজ তোমাকে পেত্নীর মত-ই লাগে

রিমি/ আপনি যাই বলেন না কেন সেদিনের কথা আমার আজও মনে আছে

কালি মুছে দেবার নাম করে চুমু খেলেন ছিঃ

আমি/ আজকের নাস্তাটা কি

রিমি/ বলার সময় নাই টেবিলে দেয়া আছে গিয়ে খেয়ে নিন

আমি/ আচ্ছা

টেবিলে দগিয়ে দেখি পিঠা

আমি/ আহহহ তুমি পিঠাও বানাতে পারো

আহারে কত স্বার্থপর বউ আমার সবকিছু জেনেও এদিন আমায় না খেয়ে রাখছে

রিমি/ আজকেও রাখতাম
আপনি কি ভাবছেন আপনার জন্য বানালাম
আরে না আমার বান্ধবীর জন্য বানালাম
এ পিঠা গুলো সে খুব ভালোবাসে তাই বানালাম

আমি/ যাও তুমি তোমার কাজ করো
যেভাবে তাকিয়ে আছো কিছুক্ষন পর হয়তো আমার পেট নিয়ে টানাটানি লাগবে

রিমি/ শয়তান পোলা রিমির চোখ এতটা খারাপ নয়
যার তাকানোতে কারও সমস্যা হবে

চলবে!!!

স্বামীর অধিকার পর্ব/৬

0

স্বামীর অধিকার পর্ব/৬

লেখক/ ছোট ছেলে
~~~~~~

রিমি চুপ হয়ে রইলো

তুমি বসো আমি খাবার আনছি

প্লেট দিলাম ভাত দিলাম
এবার নাও খাও

রিমি/ খেয়ে পানি পানি করে

আমি/ দিচ্ছি দিচ্ছি দাঁড়ান

এই নাও পানি খাও

রিমি/ দূরররর এটা কোন রান্না হলো এক্কেবারে বাজে

আমি/ এই শোন এটা কোন বাবুর্চির রান্না নয় একজন স্বামীর রান্না তাই চুপচাপ খেয়ে নাও

রিমি/ তাই বলে এত ঝাল আপনি জানেন না আমি ঝাল খেতে পারিনা

আমি/ কিভাবে জানবো তুমি নিজেইতো ঠিকমত রান্না জানোনা

রিমি/ আপনি কি এতদিন না খেয়ে ছিলেন

আমি/ আমি একদম নয় তবে পেট ভরে খেতে পারিনি

রিমি/ হয়েছে হয়েছে আর বলতে হবেনা যে যেমন সে সবাইকে তেমন-ই মনে করে

আমি/ ওহহহহ আচ্ছা ভালো কথা সামনে তো তোমার জন্মদিন বলো কিভাবে পালন করলে তুমি খুশি হবে

রিমি/ হুহহহহহ আমার আবার জন্মদিন যে অনেক আগে মারা গেছে তার আবার জন্মদিন কিসের

আমি/ চুপ এরকম কথা আর কথা আর কখনও বলবেনা

তুমি আমার বড় আদরের বউ আমি অনেক ধুমধাম করে তোমার জন্মদিন পালন করবো

রিমি/ না তার আর কোন প্রয়োজন নেই যদি আমার কথা না শুনেন তাহলে আমি সত্যি সত্যি এ বাড়ি ছেড়ে চলে যাবো নয়তো এই পৃথিবী ছেড়ে

আমি/ না না তার দরকার নেই তুমি যেভাবে বলবে আমি সেভাবে করবো

তবে হ্যাঁ তোমাকে আমি সেদিন খুব বড় একটা উপহার দিবো যা তুমি কখনও স্বপ্নেও দেখনি

রিমি/ থাক আমার কিছু দরকার নেই
আপনি খেয়েছেন

আমি/ না তোমাকে না খাইয়ে আমি কি করে খাই বলতো

রিমি/ হুমমম আর ভালোবাসা দেখাতে হবেনা খেয়ে নিন

বউ জামাই দুজনে খেতে লাগলাম

যদিও রান্নাটা ভালো হয়নি
খাওয়া শেষ করে

আমি/ তুমি যাও আরাম করো আমি প্লেট গুলো ধুঁয়ে আসতেছি

রিমি/ আচ্ছা

রিমি খুব খুব আস্তে আস্তে হাঁটতে লাগলো

আমি/ এই দাঁড়াও দাঁড়াও
তুমি কি বলতো স্বামী থাকতে কেউ এত কষ্ট করে

রিমি/ মানে

আমি তোমার বলে রিমিকে কোলে করে ঘরে দিয়ে আসলাম

তুমি ঘুমাও আমি সবকিছু গুছিয়ে আসতেছি

সবকিছু ধুঁয়ে মুছে গুঁছিয়ে এসে দেখি রিমি এখনও জেগে আছে

আমি/ কি হলো তুমি এখনও ঘুমাওনি

রিমি/ ঘুম না আসলে কি করবো

আমি/ ঘুম আসেনা মানে

তুমি চোখ বন্ধ করো আমি তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি

রিমি চোখ বন্ধ করলো আর আমি তার মাথায় হাত বুলাতে লাগলাম

কখন যে রিমির সাথে আমিও ঘুমিয়ে পড়েছি বুঝতে পারিনি

বিকালে আমার আগে রিমির ঘুম ভেঙ্গে যায়

রিমি/ শুনছেন এইযে শুনছেন

ঘুম ভেঙ্গে যায় রিমির ডাকে

আমি/ সরি বুঝতে পারিনি কখন যে চোখে ঘুম চলে আসলো

কিছু লাগবে তোমার

রিমি/ না কিছুনা উঠলো

আমি/ কোথায় যাচ্ছো

রিমি/ সব কথা কি আপনাকে বলতে হবে বসে থাকুন এভাবে

আমি মনে মনে কি মেয়েরে বাবা

যার জন্য এতকিছু করলাম সে বলে আমি চোর

আমি কি কখনও ওর মনে জায়গা করে নিতে পারবনা

কিন্তু কোথায় গেলো সে পালিয়ে যায়নি তো দূররর আমিও না সব উল্টাপাল্টা ভাবি

রিমি/ এই নিন

আমি/ আরে বাহ্ এই নাহলে বউ

রিমি/ বেশি বকবক করবেন না

মন চাইছে তাই বানিয়ে খাওয়ালাম

আমি/ হুমমম বউয়ের হাতে চা না খেয়ে কি থাকতে পারি

চা টা খেয়ে

আমি/ শোন তুমি ঘরে থাকো আমি একটু বাজার থেকে ঘুরে আসি
দরজাটা লাগিয়ে দাও

রিমি/ শোনেন

আমি/ কি

রিমি/ একটু তাড়াতাড়ি আসবেন একা একা ভয় করে

আমি/ হুমমমম

দোকানে গেলাম বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারতে মারতে একটু দেরি হয়ে গেলো

বাসায় ফিরবো এমন সময় মনে হলো

পাগলীটার জন্য কিছু নিয়ে নেই

কিছু চকলেট আর আইসক্রিম নিলাম

বাসায় গিয়ে দরজা টোকা দিলাম

রিমি/ কে

আমি/ দরজা খোল আমি তোমার প্রাণের স্বামী

রিমি দরজা খুলে

রিমি/ আপনি কি বলুনতো আপনার কি কোন আক্কেল জ্ঞান নেই বাসায় একটা মেয়েকে একা রেখে বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারেন

আপনাকে মন চায় খুন করে ফেলতে

আমি/ কি শুরু করলে এসব বাহির থেকে আসলাম কোথায় শাড়ির আঁচল দিয়ে ঘামটা মুছে দিবে

আর তা না করে উল্টো আমার রক্ত ঝরাতে চাইছো

রিমি/ হুহহহহ কি আমার মহা পুরুষরে কি এমন বিশ্ব জয় করে আসলেন যার জন্য

যার জন্য আমার শাড়ির আঁচল দিয়ে আপনার ঘাম মুছে দিতে হবে

আমি/ বিশ্ব জয় করা সহজ হলেও তোমার মন জয় করা অনেক কঠিন

রিমি/ বুঝেছেন তবে অনেক দেরিতে

আমি/ এই নাও

রিমি/ কি এসব

আমি/ প্রশ্ন ছাড়া কি আর কিছুই জানোনা খুলে দেখ

রিমি/ চকলেট আইসক্রিম এসব কার জন্য

আমি/ কেন তুমি জানোনা আমাদের ৪-৫টা ছেলেমেয়ে আছেনা তাদের জন্য

রিমি/ কি…….

আমি/ তার মুখের কাছে গিয়ে জ্বী……

চলবে…???

স্বামীর অধিকার পর্ব/৫

0

স্বামীর অধিকার পর্ব/৫
লেখক/ ছোট ছেলে
~~~~~~

রিমি চোখ দুটো খুব বড় বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো

আমি/ আমি কি হলো মা’কে ডাকো কেন আমাকে জান বলে ডাকো তাহলে তোমাকে সাহায্য করবো

রিমি/ দরকার নেই আপনার মত মানুষের সাহায্য

মেয়েটা খুব-ই জেদী এভাবে আর যাই করি মনে জায়গা করে নিতে পারবনা

তাই আমাকে একটু যত্নশীল হতে হবে ভালোবেসে তার মনে জায়গা করে নিতে হবে

আমি/ উফফফ মেয়েদের এত জেদ থাকা ভালো নয়

চলুন আপনাকে ঘরে নিয়ে যাই

রিমি/ আমাকে একদম স্পর্শ করবেন না
আমি নিজে যেতে পারবো

আমি/ ঠিক আছে তাহলে আমি যাচ্ছি

বলে উঠে দাঁড়ালাম
আমার মত রিমিও দেখি উঠার জন্য চেষ্টা কিন্তু তা কি সম্ভব

না পারলনা রিমি নিজেকে দাঁড় করাতে

আমি/ কি এখানে বসে থাকবেন

রিমি চুপ করে রইলো আমি হাত বাড়ালাম রিমির দিকে জানেন- তো মেয়েরা খুব বেশি অসহায় না হলে কারও হাত ধরতে চায়না

আমি/ কি হলো হাত ধরে থাকবেন নাকি উঠবেন

রিমি/ পারছিনা তো

আমি/ বুঝেছি

রিমি/ কি বুঝলেন

আমি/ কি আর কোলে উঠার শখ হয়েছে চলুন তাহলে আর কোলে করে নিয়ে যাই

রিমিকে কোলে নিলাম যদিও ওজনটা বেশি নয় তারপরও

আমি/ আল্লাগো এই আমি কি নিলাম ময়দার বস্তা নাকি গাজী ট্যাংক

হি হি হি করে রিমি হাঁসতে লাগলো যাক বাবা একটু হলেও মেয়েটার মুখে হাঁসি ফুটলো তাও আবার আমার জন্য

আমি/ এই যে এভাবে হাঁসলে হবেনা দুহাত দিয়ে আমার গলা পেঁছিয়ে ধরুন

রিমি যেভাবে বললাম সেভাবে ধরেছে

হাঁটতে লাগলাম রিমির দিকে তাকিয়ে

রিমি/ এইযে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন কেন এভাবে

আমি/ বউয়ের দিকে স্বামীতো তাকাবে এখানে দোষের কি আছে

রিমি/ না আপনি তাকাবেন না আমার…..

আমি/ আমার কি হুমমম

রিমি/ কিছুনা

রিমিকে খাটে নিয়ে শোয়ালাম

চুপচাপ শুয়ে থাকো আমি আসতেছি

আমি মলম এনে রিমির পাঁয়ে মালিশ করতে লাগলাম

আমি/ কি এখন কেমন লাগে

রিমি অপলোক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে

আমি/ কি হলো অমন করে কি দেখ

রিমি/ দেখার মত তো চোখের সামনে কিছুই নেই
কি দেখব আর

আমি/ এখন কেমন লাগে

রিমি/ ভালো

আমি একটু খোঁচা দিয়ে বললাম

আমি/ শুকরিয়া জানাও উপরওয়ালার কাছে এমন একটা বর পাওয়ার জন্য

কিন্তু কথায় আছেনা আদা মরলেও আদার ঝাল কমেনা

রিমি মুখ ভেটকীয়ে বলে

রিমি/ ইসসসসস শখ কত পোলার এ মনটা অনেক আগে অন্যকাউকে দিয়ে দিছি সে মনে আর না কাউকে জায়গা দিতে পারব আর না কাউকে নতুন করে ভালোবাসতে পারব

আমি/ কিছুই করতে হবেনা তোমাকে

শুধু আমার ঘরে আমার বউ হয়ে থাকলে চলবে

রিমি কিছু বলতে যাবে তখন-ই

আমি/ না না আর কোন কথা নয় চুপচাপ চোখ বন্ধ করে ঘুমাও

আমি বরং রান্না বসাই

রিমি খিলখিল করে হাঁসতে লাগলো

আমি/ ঐ মাইয়্যা হাঁসো

রিমি/ না হেঁসে কি উপায় স্বামী রান্না করবে আর বউ খাবে
হিহিহি

সত্যি রিমির হাঁসিটা পাগল করার মত

এতদিন শুধু দেহটা ভোগ করেছি তার মুখের হাঁসিটা তাই দেখতে পাইনি

যাক তারপরও তো রিমি আজ স্বামী বলে স্বীকার করলো

রিমি/ কি ভাবেন মনে মনে

আমি/ ভাবছি বউটা আমার প্রেমে পড়লো নাকি

রিমি/ পোলার শখ কত যান গিয়ে রান্না করেন তা নাহলে না খেয়ে থাকতে হবে

হুহহহহহ এমন ভাবে বলছে
মনে হয় সে আমার মালকিন

কিন্তু করার তো কিছুই নেই রাঁধতে তো হবেই

আমি/ ঠিক আছে যাচ্ছি তুমি ঘুমাও

রান্না বসালাম আর মনে মনে ভাবতে লাগলাম

ঘরে বউ এনে কি লাভ হলো যদি রান্না করে নিজেকে খেতে হয়

একটু পরে রান্নাবান্না সব শেষ

রিমি এমন ভাবে হাত পাঁ মেলে শুয়ে আছে মনে হয় বাবার বাড়িতে আছে স্বামীর বাড়ি নয়

আমি/ এইযে ম্যাডাম চলুন
খেয়ে আমায় উদ্ধার করুন

রিমি/ এত দেরি হলো কেন সেই কখন গেলেন রান্না করতে
আর এখন বলছেন রান্না শেষ আমার তো মনে হয় দিনটা শেষ

আমি/ চটাং চটাং কথা না বলে খেয়ে নিন

রিমি/ না দিলে কি করে খাবো
এখানে নিয়ে আসেন

আমি/ পারবনা আপনি গিয়ে খেয়ে নিন

রিমি/ কি করে যাবো হাঁটতেই তো পারিনা

আমি/ ওহহহহ তাইতো

চলুন আমি নিয়ে যাই আপনাকে

রিমি/ হাতমুখ না ধুঁয়ে খেতে যাবো না না

দ্যাতততত এটা কি বউ নাকি ১বছরের শিশু

আমি/ দাঁড়াও আমি পানি আনতেছি

এই নাও হাতমুখ ধুঁয়ে নাও
এক বাস্তিল পানি এনে

চলুন আমার কাঁদে হাত রেখে

আমিও সে সুযোগে একটু মজা নিলাম

আমি/ বুঝলে তো বউ স্বামী ছাড়া মেয়েদের কোন দাম নেই
আরে স্বামী হলো মেয়েদের হাতের লাঠি যার উপর ভর করে পথ চলতে তাদের জন্য সহজ হয় হোক সে খারাপ নয়তো ভালো

রিমি/ বললে হলো আমি মানিনা

আমি/ তুমি তো স্বামীকে মানোনা স্বামীকে আর কি মানবে

চলবে…???

স্বামীর অধিকার পর্ব/৪

0

স্বামীর অধিকার
পর্ব/৪
লেখক/ ছোট ছেলে
~~~~~~~

রিমি/ জানি আপনার মত ছোটলোকরা শুধু শরীর-ই চায় আর আপনাদের শরীর পেলে চলে

একটা মেয়ের চাওয়া মনের কথা গুলো বুঝার মত সুন্দর একটা মন আপনাদের নেই

আমি রিমি মুখ চেপে ধরে বললাম

আমি/ চুপ একদম চুপ কোন কথা বলবেনা শুধু এটাই মনে রাখো তুমি শুধুই আমার আর কারও নয়

আর আমাকে স্বামী বলে গ্রহন কর

রিমি/ কখনওই না কোনদিনও না

আমি/ উফফফ আর সহ্য হয়না এই একটি কথা শুনতে

বেরিয়ে পড়লাম ঘর থেকে

ফিরে আসলাম সেই রাতে
তাও আবার নেশা করে

দরজা টোকা দিতে

রিমি/ কে…..

আমি/ আমি

রিমি/ আমি কে

আমি/ আমি তোর স্বামী দরজা খুল তাড়াতাড়ি

রিমি বুঝতে পারছে এবার তাই দরজা খুললো

দরজা খুলতে আমি তার উপহার পড়ে গেলাম

রিমি/ ছিঃ ছিঃ আপনি নেশা করেছেন

শেষ পর্যন্ত নেশা করে বাসায় ফিরলেন

আমি/ হ্যাঁ আমি নেশা করছি তাতে তোর কি আমার টাকার আমি খাইছি
তোর বাবার টাকায় তো আর নেশা করিনি
আমার বাসায় আমি আসছি তুই বলার কে

রিমি চুপ হয়ে রইলো কারন সে বুঝতে পারছে মাতালরা এভাবে কথা বলে

রিমি আমাকে ঘরে নিয়ে গেলো

শুয়ে দিলো পাঁয়ের জুতাটাও খুলে দিলো

তারপর রিমি চলে যাবে এমন সময় তার হাতটা ধরে টান দিয়ে তাকে আমার কাছে নিয়ে আসলাম

আমি/ কোথায় যাও আমাকে একা করে

রিমি/ আপনার মত একটা মাতাল নষ্ট মানুষের সাথে থাকার কোন ইচ্ছায় আমার নেই

আমি/ তোমার না থাকলেও আমার আছে
আসো বুকে আসো

রিমিকে জড়িয়ে ধরলাম
রিমির যেমন ইচ্ছা নেই তেমনি বাঁচারও উপায়

সেই রাতেও রিমিকে অনেক কাছে পেয়েছি তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে

সকাল হয়ে এলো ঘুম ভাঙ্গতে দেখি সবকিছু এলোমেলো

মনে মনে চিন্তা করতে লাগলাম

হায় মাবুদ না জানি কালরাতে আবার কি করলাম

আমি/ রিমি এই রিমি

রিমি/ নেশা কেটেছে আপনার মাতাল স্বামী

আমি মনে মনে খুশি হইলাম
আর সেই খুশিতে রিমিকে কোলে তুলে গান গাইতে লাগলাম

আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে

রিমি/ এই ছাড়ুন বলছি ছাড়ুন ছাড়ুন

আপনি কি জড়িয়ে ধরা ঝাঁপিয়ে পড়া ছাড়া আর কিছুই জানেন না

আমি/ ঐ তোমার এত গা জ্বালাপোড়া করে কেন

আমার বউকে আমি ভালোবাসবো আদর করবো
কোলে তুলে নাচবো

তাতে তোমার কি

রিমি/ বউ মানে কি হুমমমম বউ মানে কি কারও স্বামী হওয়ার কোন যোগ্যতা আমিতো আপনার মাঝে দেখিনা

আমি/ দেখবে কি করে তুমি যে চোখ থাকতে অন্ধ

যাও সোনা খুব ক্ষুধা লাগছে কিছু খেতে দাও

রিমি/ বাহ্ বাহ্ বাহ্ খুব ভালোতো রাতে বললেন তুই করে আর এখন বলছেন সোনা বলে

সত্যি আপনারা পুরুষরা না সব পারেন

আমি/ এই শোন পুরুষ মানুষের এত দোষ ধরতে নেই

আর তুমি কি জন্মের পরে শুধু নিম পাতা খেলে চিনি মিষ্টি সন্দেশ এসব কিছুই তোমার পেটে পরেনি

রিমি/ এই শুনেন আমাকে যা বলার বলুন কিন্তু আমার পরিবারের কাউকে নিয়ে কিছু বলবেন না এই বলে দিলাম

যাক বাবা কি মেয়েরে এই মেয়ের সাথে কথায় কিংবা শক্তিতে নয়
ভালোবেসে তার মন জয় করতে হবে

রিমি আমার জন্য নাস্তা বানাতে যায়

আমি পিছন থেকে ডেকে তাকে হাত জোর করে বললাম

আমি/ রিমি

রিমি পিছন ফিরে তাকিয়ে

রিমি/ রিমি কি আবার কি আসলো আপনার ঐ নষ্ট মাথায়

আমি হাত জোর করে তাকে বললাম

ক্ষমা করে দিও কালরাতের ব্যবহারের জন্য

রিমি/ মুখ বাঁাকা করে বললো

রিমি/ থাক আর ন্যাকামো করতে হবেনা

নাস্তা দিচ্ছি খেতে আসুন

আমি/ রিমির আঁচল ধরে বললাম চলো

রিমি/ এটা কি হচ্ছে

আমি/ তেমন কিছুই নয় তোমার কথা শুনে মাথা ঘুরে

তোমাকে ধরে হাঁটলেতো অসভ্য বলবে

তাই আঁচল ধরে হাঁটি

রিমি/ ছাড়ুন খেতে দিচ্ছি বলে ভাববেন না আপনার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছি

আমি চাইনা কেউ আমার জন্য না খেয়ে থাকুক তাই ইচ্ছা না থাকলেও খেতে দিচ্ছি

টেবিলে গিয়ে দেখি ওমা পিঠা

আমি/ পিঠা কে বানালো

রিমি/ এ ঘরের চাকরানীটা

আমি খেতে খেতে বলি

আমি/ সেটা আবার কে

যাইহোক পিঠাটা দারুন হয়েছে আরও দারুন হতো যদি বউটা তার হাতে খাইয়ে দিতো

রিমি/ হুহহহহহ শখ কত

আমি/ এদিকে আসো তো

রিমি/ কেন

আমি/ আরে আসোইনা

রিমি এক পাঁ দু পাঁ করে আসে

আমার পকেটে হাত দাও

রিমি/ কি…..

আমি/ আরে হাত দাওতো

রিমি হাত দিতে ৫টাকার ১টা কয়েল পেল

রিমি/ এ ৫টাকার কয়েল এটা দিয়ে আমি কি করবো

আমি/ কাজের মেয়েটাকে দিয়ে দিও আর বলবে

তোমার ভাইজান তোমার হাতে বানানো পিঠা খেয়ে তোমাকে এই ৫টাকা বকশিষ দিয়েছে

রিমি বেলুনের মত ফুলতল লাগলো

আর বলে

রিমি/ কি আমি কাজের মেয়ে আর এই ৫টাকা আমার বকশিষ তবেরে আজকে তোমাকে আর ছাড়বোনা

রিমি আমাকে মারার জন্য ছুঁটতে লাগলো

আমিও এ ঘর ও ঘর ছুঁটা বেড়াই

রিমি/ দৌড়াও কেন তুমি না পুরুষ মানুষ একটা মেয়েকে এত ভয় পাও কেন

আমাকে তাড়া করতে গিয়ে হঠাৎ করে রিমি পাঁ মঁছকে পড়ে যায়

রিমি/ উহহহহ মা গো আহহহহ

আমি/ কি হলো সোনা ব্যথা কি খুব বেশি পেলে

চলবে….???

স্বামীর অধিকার পর্ব/ ৩

0

স্বামীর অধিকার পর্ব/ ৩

লেখক/ ছোট ছেলে

~~~~~~~

 

আমি পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি রিমির হাতে লাঠি

 

শেষ পর্যন্ত বউয়ের হাতে লাঠির মার খেতে হবে না না সমাজ এটা মেনে নিবেনা

 

আমি/ আচ্ছা জানু তোমার সাদা শাড়ি পড়তে কেমন লাগে

 

রিমি/ বাজে একদম বাজে

 

আমি/ তাহলে হাতের লাঠিটা রেখে ূআমাকে একটু সাহায্য করো

 

রিমি/ ওহহহ হ্যাঁ তাইতো আমি ভুলে গেছি

 

কি করতে হবে বলুন

 

আমি/ এতদূর থাকলে কিভাবে কিভাবে কি বলবো

 

কাছে আসো

 

রিমি কাছে আসলো

 

আমি/ দেখতো সোনা লবণটা ঠিকমত হলো কিনা

 

রিমি/ হুমমমমম এক্কেবারে মনের মত

 

আমি/ এই এই পাগলী তোমার নাকে কালি আসলো কোথেকে

 

রিমি/ কই নাতো আমিতো মুখে হাত-ই লাগাইনি

কি বলছেন আপনি এসব

 

আমি/ দেখ স্বামীকে অবিশ্বাস করতে নেই তাহলে সংসারে অমঙ্গল নেমে আসে

 

রিমি/ কিন্তু আমিতো দাঁড়াও আমি আয়নায় গিয়ে দেখে আসি

 

আমি/ আরে আরে তার আর দরকার নেই আমি আছিনা তোমার স্বামী আমার দিকে তাকাও তুমি দেখতে পাবে

 

রিমি/ তাহলে মুখটা ধুঁয়ে আসি

 

না থাক তার আর দরকার নেই পকেট থেকে একটা টিস্যু বের করে

 

এদিকে আসো জানু রিমি আমার কাছে আসতে

 

টিস্যু দিয়ে মুছার নাম করে তার মুখে একটা চুমু খেয়ে নিলাম কোন ঝামেলা ছাড়া

 

রিমি/ হা করে তাকিয়ে এটা কি হলো

 

আমি/ স্বামীর আদর

এবার লক্ষী বউয়ের মত রান্না করো যাই আমি বরং একটা ঘুম দেই

 

রিমি/ ইহহহহ আপনি কোথায় যাচ্ছেন এখনও তো কিছুই হয়নি

 

আমি/ যতটুকু করেছি অনেক বেশি করেছি বাকীটা তুমি সামলাও

 

আর হ্যাঁ রান্না হলে আমাকে বলবে

 

রিমি/ সত্যি চলে যাবেন

 

আমি/ হুমমম লোকে দেখলে বউ পাগল বলবে তাই তোমার কাজ তুমি কর আমি বরং একটা ঘুম দেই

 

রান্না হলে আমাকে

বিছানা এসে শুয়ে রইলাম কখন যে ঘুমিয়ে গেছি বুঝতে পারিনি

 

দুপুর হয়ে এলো

 

রিমি আমাকে না ডেকে খুব জোরে আওয়াজ দিয়ে একটা গান লাগালো

 

আমি/ এই তোমার কি মাথা খারাপ হয়েছে তুমি দেখনা আমি ঘুমাচ্ছি

 

রিমি/ তো আমি কি করবো

আমার গান শুনতে মন চাইছে তাই আমি লাগালাম

 

আমি/ গান শুনতে কে না করছে কিন্তু তাই বলে এত জোরে

 

রিমি/ এত ঘুম কিসের শুনি

ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখুন

কয়টা বাজে

 

মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখি ঘড়িতে ২টা বাজে

 

এবার বুঝেছি গান শোনার শখ হয়নি আমাকে ঘুম থেকে উঠানোর জন্য এই ব্যবস্থা

 

আমি/ ওহহহহহ সরি বুঝতে পারিনি

 

তুমি খেয়েছো

 

রিমি/ মানে কি আমি আপনার জন্য না খেয়ে বসে থাকবো নাকি

 

আমি/ না তা নয় একটু অপেক্ষা করলে পারতে

 

রিমি/ কোন প্রয়োজন মনে করিনা কারও জন্য অপেক্ষা করার

 

দূররররর এই মেয়ে সাথে কথা বলে কোন লাভ নেই আগে খেয়ে নিই তারপর যা করার করবো

 

আমি/ চলো খাবার দাও টেবিলে রাখা আছে খেয়ে নিন

 

কি আর করার যাই খেয়ে নিই এটাই বুদ্ধিমানের কাজ

 

খাওয়া শেষে এসে দেখি রিমি শুয়ে আছে কখনও রান্নাবান্না করেনি তাই হয়তো একটু অশান্তি লাগছে

 

তাই কপালে হাত দিতে

 

রিমি/ আচ্ছা আপনার কি লজ্জা শরম বলতে কিছুই নেই যখন তখন গায়ে হাত দেন কেন

 

আমি/ না তেমন কিছু নয় তোমার জ্বর আছে কি না দেখলাম

 

রিমি/ দরকার নেই দেখার এসব বাজে পুরুষকে আমার ভালো করে চেনা আছে

 

যারা একটা না একটা অজুহাত দেখিয়ে নারীর শরীর ছুঁতে চায়

 

আপনি আর কখনও আমাকে স্পর্শ করবেন না

 

আমি/ কেন করবনা তোমাকে স্পর্শ করার অধিকার আমার আছে কারন আমি তোমার স্বামী

 

রিমি/ জোর করে বিয়ে করে হয়তো স্বামী হওয়া যায় কিন্তু মন থেকে নয়

 

আমি/ জোর করে যেমন বিয়ে করে বউ বানিয়েছি

ঠিক তেমনি জোর করে স্বামীর অধিকারও আদায় করে নিবো

 

রিমি/ জানি আপনার মত ছোটলোকরা শুধু শরীর-ই চায় আর আপনাদের শরীর পেলে চলে

 

একটা মেয়ের চাওয়া মনের কথা গুলো বুঝার মত সুন্দর একটা মন আপনাদের নেই

 

আমি রিমি মুখ চেপে ধরে বললাম

 

আমি/ চুপ একদম চুপ কোন কথা বলবেনা শুধু এটাই মনে রাখো তুমি শুধুই আমার আর কারও নয়

 

আর আমাকে স্বামী বলে গ্রহন কর

 

রিমি/ কখনওই না কোনদিনও না

 

আমি/ উফফফ আর সহ্য হয়না এই একটি কথা শুনতে

 

বেরিয়ে পড়লাম ঘর থেকে

 

ফিরে আসলাম সেই রাতে

তাও আবার নেশা করে

 

দরজা টোকা দিতে

 

রিমি/ কে…..

 

আমি/ আমি

 

রিমি/ আমি কে

 

আমি/ আমি তোর স্বামী দরজা খুল তাড়াতাড়ি

 

রিমি বুঝতে পারছে এবার তাই দরজা খুললো

 

দরজা খুলতে আমি তার উপহার পড়ে গেলাম

 

রিমি/ ছিঃ ছিঃ আপনি নেশা করেছেন

 

শেষ পর্যন্ত নেশা করে বাসায় ফিরলেন

 

আমি/ হ্যাঁ আমি নেশা করছি তাতে তোর কি আমার টাকার আমি খাইছি

তোর বাবার টাকায় তো আর নেশা করিনি

আমার বাসায় আমি আসছি তুই বলার কে

 

রিমি চুপ হয়ে রইলো কারন সে বুঝতে পারছে মাতালরা এভাবে কথা বলে

 

রিমি আমাকে ঘরে নিয়ে গেলো

 

শুয়ে দিলো পাঁয়ের জুতাটাও খুলে দিলো

 

তারপর রিমি চলে যাবে এমন সময় তার হাতটা ধরে টান দিয়ে তাকে আমার কাছে নিয়ে আসলাম

 

আমি/ কোথায় যাও আমাকে একা করে

 

রিমি/ আপনার মত একটা মাতাল নষ্ট মানুষের সাথে থাকার কোন ইচ্ছায় আমার নেই

 

আমি/ তোমার না থাকলেও আমার আছে

আসো বুকে আসো

 

রিমিকে জড়িয়ে ধরলাম

রিমির যেমন ইচ্ছা নেই তেমনি বাঁচারও উপায়

 

সেই রাতেও রিমিকে অনেক কাছে পেয়েছি তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে

 

চলবে…???

স্বামীর অধিকার পর্ব/ ২

0

স্বামীর অধিকার
পর্ব/ ২
লেখক/ ছোট ছেলে
~~~~~~~
রিমি/ কি হলো রিমি রিমি করা ছাড়া কি আপনার আর কোন কাজ নেই

আমি/ এটা কি দিলে
চা নাকি লবণের শরবত

রিমি/ মানে…..

আমি/ চায়ে চিনির বদলে লবণ কেন

রিমি দাঁত কিলিয়ে ইসসসসসস

আমি/ যাও আরেক কাপ চা বানিয়ে নিয়ে আসো

রিমি/ পারবনা

আমি/ কি আমার মুখের উপর কথা আজ তোমাকে আমি……..

রিমি/ হুমমমমম কি করবেন আমাকে বলুন

আমি/ কত ভাবিকে দেখলাম স্বামীর জন্য যখন চা বানায়
তখন আগে সে খেয়ে দেখে চা’টা তার মনের মত হলো কিনা

রিমি/ আমি তেমন মেয়ে নয় তেমন বউও নয়
আর আপনিও আমার সেরকম বর নয়

হঠাৎ করে আবার রিমি গরম হয়ে গেলো

যা দিয়েছি তাই খান আপনার মত মানুষের জন্য এটাই অনেক বেশি

আমি/ বলি এভাবে হবেনা শুধু এই সুন্দর চেহারা দিয়ে স্বামীর ঘর করা যায়না

রিমি হা হা হা করে হাঁসতে বলতে লাগলো

রিমি/ স্বামী কিসের স্বামী কার স্বামী আপনিতো আমার কাছে রাস্তার ঐ মানুষ গুলোর মত

যারা না ভালোবাসতে জানে আর না ভালোবাসার মূল্য বুঝে

শুধু দেহ পেলে চলে

আমি/ এই শোন আমাকে জ্ঞান দিতে আসবেনা যাও

রিমি/ আপনার মত মানুষের সাথে কথা বলতে যার ইচ্ছে হয়না তাকে কি জ্ঞান দিবো

আমি/ চুপ একদম চুপ কথা বলতে ইচ্ছে না হলেও সারাজীবন আমার পাশে কাটাতে হবে

আর কোন উপায় নেই

জলদি যাও চা বানিয়ে নিয়ে আসো

রিমি/ বললাম তো পারবনা দোকান থেকে খেয়ে আসেন

আমি/ ঠিক আছে আজকে ছেড়ে দিলাম কাল কিন্তু ছাড়বনা

ওহহহহ হ্যাঁ তুমি খাইছো

রিমি/ আমাকে নিয়ে কারও না ভাবলেও চলবে

আমি/ পাখা গজিয়েছে না তোমার পাখা আমি ভেঙ্গে খাচায় বন্ধী করে রাখবো

রিমি/ শোনেন আপনার এসব কথায় এখন আর আমি ভয় পাইনা কারন এখন আর যার কিছুই নেই তার আবার হারানোর ভয় কিসের

মন চায় মেয়েটার দুগালে দুইটা দিয়ে দিয়ে দেই

না বড় আদরের বউ কষ্ট দেয়া যাবেনা

আমি/ এই শোন আমি বাহিরে গেলাম ফিরতে দেরি হবে হয়তো তুমি খেয়ে নিও

রিমি/ আপনাকে কে বললো যে আমি আপনার জন্য অপেক্ষা করবো

আমি/ চুপ মেয়ে কোন কথা নেই যা বলছি তাই করবে

বেরিয়ে পড়লাম আর বললাম

আমি/ দরজাটা লাগিয়ে দিও

রিমি যদি পালিয়ে যায় একটা তালা লাগিয়ে দিবো নাকি

আবার ভিতরে গেলাম

রিমি/ কি ব্যপার আবার কেন ফিরে আসলেন কোথায় না যাচ্ছেন বললেন

আমি/ আমি গেলেই তো তুমি বাঁচো তাইনা যাবোনা কোথাও আজ সারাদিন বাড়িতে কাটাবো

রিমি মুখ বাঁকা করে চলে গেলো

এই সুযোগে আমিও এদিক ওদিক তালা খুঁজতে লেগে গেলাম

দূররররর শালার প্রয়োজনের সময় কিছুই পাইনা

রিমি/ এটাই তো খুঁজতেছেন তাইনা ধ্রুব সাহেব

আমিতো পুরাই হাবলু মার্কা হয়ে গেলাম

খুঁজি আমি কিন্তু রিমি কি করে জানে আমি যে তালা খুঁজি

তারপরও কথাটা অন্যদিকে ঘুরিয়ে ফেললাম

আমি/ ঐ দেমাগী মাইয়্যা এত পড়ালেখা করে কি হলো যদি স্বামী……….. না মানে অন্যকে সম্মান দিতে না জানো

রিমি/ শোনেন কোনরকম আজেবাজে কথা বলবেন না এই নিন তালা নয়তো আমি ভেগে যাবো

আমি/ আমি আপনাকে বলছি আমার তালা চাই

রিমি/ না বললেও জানি যে নিজেকে বিশ্বাস করতে পারেনা সে আবার অন্যকে কি করে বিশ্বাস করবে

দ্যাততততত এই মেয়ের সাথে কথায় পারবনা

লাগবেনা আমার তালা আমি কথাও যাবোনা

রিমি/ যাবেন কি করে আপনি গেলে আমাকে পাহারা দিবে কে

আমি/ এত চটাং চটাং কথা না বলে যাও চুলায় রান্না বসাও

রিমি/ পারবনা

আমি/ না পারার কি আছে আর সব বউতো স্বামীর ঘরে এসে রান্না করে

রিমি/ সবাই সবার স্বামী পেয়েছে মনের মত কিন্তু আমি পেয়েছি একটা বাজে লোক কে যার সাথে কখনও আমার মনটা মিলবেনা

রিমি/ চোখে কালো চশমা পড়া থাকলে কাউকে ভালাবাসা যায়না

কাউকে ভালোবাসার মত মন কি তোমার আছে

রিমি/ চুপ একদম চুপ আর একটা কথাও বলবেন না

আমি/ কোন কথায় শুনবনা যান রান্না বসান

রিমি/ সত্যি বলছি আমি পারিনা

আমি/ না পারলেও রাঁধতে হবে যান আমিও আসতেছি

রিমি/ মানে আপনি কি করবেন

আমি/ তোমাকে রান্না শেখাবো

রিমি/ হুহহহহহহ বলে চললো রান্না ঘরে

আমি শুয়ে আছি

কিছুক্ষন পর রিমি এসে বললো

এইযে শুনছেন এইযে আপনাকে বলছি শুনছেন

আমি/ কি হলো এত চিৎকার করেন কেন বাড়িতে কি বাগ পড়ছে

রিমি/ বাগ নয় পাতিলটা পুঁড়ে গেছে

আমি/ পাতিল পুঁড়ে গেছে মানে

রিমি/ আপনি আসবেন বলে এখানে শুয়ে আছেন কেন

আমি/ বউ থাকতে আমি কোন দুঃখে রান্না করবো শুনি

রিমি/ খেতে হলে করতে হবে

আমি/ একটু দুষ্টুমি করে বললাম

আমার না খেলেও চলবে দুএকদিন লিপস্টিক খেয়ে বেঁচে থাকবো

রিমি/ কি বললেন

আমি/ কিছুনা চলুন

দুজনে রান্না করতে গেলাম

আহা জীবনে এত কান্না আমি আর কখনও কাঁদিনি

দুচোখ দিয়ে বৃষ্টি নামতে শুরু করলো

যখন আমি পেঁয়াজ কাঁটা শুরু করলাম

কিন্তু রিমি দেখি অন্য মনস্ক হয়ে আছে বুঝতে পারছি মেয়েটা আমাকে কিছু করতে চায়

চলবে….!!!

স্বামীর অধিকার প্রথম পর্ব

0

স্বামীর অধিকার প্রথম পর্ব

লেখক/ ছোট ছেলে

~~~~~

Thank You সোনা আমাকে এতটা মজা দেওয়ার জন্য আমি তোমার থেকে প্রতিদিন এভাবে মজা নিবো

শার্ট পড়তে পড়তে বললাম রিমিকে

রিমি এলোমেলো হয়ে শুয়ে আছে আর শুয়ে শুয়ে কাঁদতেছে

না পারছে চিৎকার করতে আর না পারলো নিজেকে রক্ষা করতে

রিমি আমার বিয়ে করা বউ
বাঁসর রাতে তার চোখের জল আর স্বজন হারানো কষ্ট দেখে সে রাতে আমি রিমিকে স্পর্শও করিনি

কিন্তু কালরাতে তাকে আর ছাড়িনি

রিমি আয়ানার সামনে বসে বসে চুল আঁছড়ায়

আমি পিছন থেকে তাকে জড়িয়ে ধরি

রিমিকে জড়িয়ে ধরতে সে আমাকে অনেক কথা বললো অনেক কথা শোনালো

রিমি/ বিয়ে করেছেন বলে কি যখন যা ইচ্ছা তাই করবেন
আমি আপনার হাতের খেলনা নাকি যখন যেভাবে বলবেন আমি সেভাবে নাচবো

শোনেন এসব ভালোবাসা আমাকে একদম দেখাতে আসবেন না এসবের আমি ঘৃণা করি

রিমির কথা শুনে আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়

আর তাই রিমিকে জোর করে বিছানায় নিয়ে যাই

মন ভরে আদর করি রিমিকে নিজেকে অনেক চেষ্টা করার পরও বাঁচাতে পারেনি

কাজ শেষ রিমির পাশে শুয়ে রইলাম

খুব ক্লান্ত লাগছে

আমি/ আরে এত কান্নার কি আছে তোমাকে তো আর কেউ স্পর্শ করেনি তোমার স্বামী তোমাকে আদর করছে

যা অন্য স্বামীরাও করে

রিমি/ স্বামী কে কার স্বামী আর কে কার বউ

আপনার মত একটা বাজে মানুষ আমার স্বামী ছিঃ
এটা আপনি কি করে ভাবলেন আপনাকে আমি স্বামী হিসেবে মেনে নিবো

আর কে বলেছে আপনি আমাকে আদর করেছেন

আপনিতো আমাকে ধর্ষণ করেছেন স্বামীর মুখোশ পরে

ভাবতেও আমার ঘৃণা হয় আপনার মত একটা ছোটলোক কুৎসিত নোংরা মনের মানুষ সমাজের চোখে আমার স্বামী

আমি তার মুখ চেপে ধরে বললাম

আমি/ চুপ একদম চুপ তুমি আমাকে স্বামী হিসেবে মানো আর নাই মানো তুমি রাজি থাকো আর না থাকো আমি এভাবে জোর করে স্বামীর অধিকার ছিনিয়ে নিবো

রিমি/ আপনার মত ছোটলোক গুলো এটা ছাড়া আর কি করতে পারে

আমি/ বুঝতে যখন পারলে তখন আর এত কথা কিসের

রিমি অন্যদিক ফিরে শুয়ে রইলো

রিমি অন্য আরেকটা ছেলেকে ভালোবাসে

আমি জানি তার মন প্রাণ দেহ জুড়ে ঐ ছেলেটা আছে

যার হাত পাঁ ভেঙ্গে দিয়ে পঙ্গু করে দিয়েছি

তাকে মেরে ফেলার ও ভয় দেখিয়েছি আমি রিমিকে যদি সে আমাকে বিয়ে করতে রাজি না হয়

এই বিয়েতে রিমির পরিবারের সবাই রাজি ছিলো শুধু রিমি ছাড়া

কিন্তু পরিবারের চাপে আর প্রিয় মানুষটাকে বাঁচানোর জন্য আমাকে বিয়ে করতে বাধ্য হয় রিমি

সকালে ঘুম ভাঙ্গতে দেখি রিমি পাশে নেই

ভাবলাম গোসলখানায় না সেখানেও নেই তারপর এ ঘর ও ঘর খুঁজে মরি কোথাও পাইনা

ছাদে দিয়ে দেখি রিমি এক কোণায় বসে আছে

আমি/ কি ব্যপার এখনও এখানে কি করছো একা একা
তোমাকে আমি সারা ঘর খুঁজে মরি

রিমি/ কেন খুঁজেন আমাকে এখনও কি আমাকে কিছু করার বাকি আছে নাকি আপনার

আমি/ হুমমমম অনেককিছু করার বাকি আছে তবে আমার নয় তোমার

রিমি/ মানে……

আমি/ মানে আবার কি দেখতে পাওনা তোমার স্বামী ঘুম থেকে উঠছে যাও গরম গরম এক কাপ চা বানিয়ে আনো

রিমি/ আপনাকে না বললাম স্বামী স্বামী করবেন না
আপনার মত একটা ছোটলোক কখনও আমার স্বামী হতে পারেনা

আর আমি চা বানাতে পারিনা
পারলেও একটা বাজে মানুষকে চা বানিয়ে খাওয়ানোর কোন ইচ্ছা আমার নাই

আমি/ জানলে নয় বলো পারিনা
আর না পারলে মানুষ এমনি বলে

যাও যাও চা বানাও নয়তো এখন…….

রিমি/ নয়তো এখন কি আর কি করার আছে নতুন করে

আমি/ নিজে বানিয়ে খেয়ে নিবো

হাঁসতে না চাইলেও রিমির মুখে তার অজান্তে হাঁসি চলে আসে

আমি রিমির হাত ধরে নিচে নিয়ে আসতেছি

রিমি/ এই কি করছেন কি করছেন এসব একদম ভালো হবেনা বলে দিচ্ছি হাত ছাড়ুন আমার

আমি রিমিকে রান্না ঘরে নিয়ে বললাম

আমি/ নাও চা বানাও আমি গোসল করে আসি

বেলুনের মত ফুলে আর মরিচের মত লাল হয়ে এক সাগর রাগ নিয়ে চুলায় আগুন দিলো

আমি তা দেখে গোসল করতে চলে যাই

গোসল করে এসে দেখি টেবিলের উপর চা আর বিস্কুট রাখা আছে

আমি দেরি না করে চায়ে চুমুক দিলাম

এক চুমুক খেতে মনে হয় কেউ আমার ভিতরে সব কেঁটে ফেলছে

বুঝতে আর বাকি নেই চিনির বদলে লবণ দিয়ে চা বানানো হয়েছে

আমি/ রিমি রিমি

চলবে…!!!

দুষ্টু বউ  পর্ব- ৫ম এবং শেষ.

0

দুষ্টু বউ  পর্ব- ৫ম এবং শেষ.
Jealous boy

!

!


(বলেই কাঁদতে শুরু করলাম)
.
–অই পাগল কাঁদস কেন?
.
–না কাদি না এমনি।
.–কান্না থামা,, আমি কোথাও
যামু না,, ওই পাগল, কান্না
থামা .
–তাইলে ক কাল যাবি না।।
.
–কাঁদলে যামুগা।।
.
–না কাঁদুমনা।।
.
–তুই একটা পাগল।। তোরে
ছাইড়া কই যামু
.
–হ,,,, সকালে তাইলে ঐ পোলা
কে আছিলো।
.
–ও আমার খালাতো ভাই, আমার
মেঝ খালার ছেলে।
.
–আমি কিছু জানি না, কারো
সাথে কথা বলবি না।
.
–নিজে যে টিনার সাথে…
.
–তোরে চেতাই বার লিগাই
তো।।
.
–হ আমিও বুঝছি, এর জন্যই তো
খালাত ভাই আর আমি মিইল্লা এই
প্লেন করছি।।
.
–ইও,, দুষ্টু
.
—না দুষ্টি,,
.
–তাহলে বল আর দুষ্টামি করবি
না .
–না করুম না।।
.
সেদিন একটা কম্বাল ছুড়ে
ফেলে দুইজনে
এক কম্বলেরই নিচে,, আমার উপর
দিয়ে ও পা দিয়েছে আর আমি
ওর উপর দিয়ে হাত দিয়ে দুজন
দুজনকে জড়িয়ে ধরে
শুয়ে আছি। কেন জানি খুব
ভাল লাগছে।।নিজেকে
পরিপূর্ন লাগছে।।
যাক বাঁচা গেলো, কাল থেকে
তবে আর দু্ষ্টোমি করবে না,, আর
চলেও যাবে না।
ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে
পড়লাম।। সকাল বেলা আবার ওর
সেই চিল্লাচিল্লি শুনে ঘুম
ভাংলো।। .
–আন্টি আন্টি দেখে
যাও,,দেখে যাও আন্টি তোমার
ছেলে কি করছে।।
.
–কি করছে মা? ( আম্মু)
.
–এই দেখো আন্টি, তোমার
ছেলে আমার কামিছ পড়ে বসে
আছে।।
.
হায় হায় এটা কি হলো, আমি
কামিছ পড়লাম কিভাবে।। হায়
হায় ইজ্জত বুঝি গেলো।। না না
এটা আমি পড়ি নি।।
এটা নিশ্চই অন্য কেও করেছে,
এটা নিশ্চই ওর কাজ, মানে
আমার “দুষ্টু বউ “এর।।।
সমাপ্ত
.
(বিঃদ্রঃ বাল্য বিবাহ আইনত
অপরাধ।)
.
কিছু কথা– গল্পটার স্থান, পাত্র,
ঘটনা সবই কাল্পনিক।।তাই
কারো সাথে কিছু মিলে গেলে
বা অনুভুতিতে আঘাত হানলে
আমি (লেখক) কোন ভাবেই দায়ী নই।।