Monday, August 4, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 1962



প্রিয় তুমি – মাসুদ রানা তাসিন

0

#গল্পপোকা_চিঠি_প্রতিযোগিতা_২০২০
চিঠি নং : ৫

প্রিয় তুমি,

শুভ্র সকালের মিষ্টি হাওয়ায়, বৃষ্টির ছোঁয়ায় তোমার আলিঙ্গনে আবদ্ধ হয়ে ডুব দিতে চাই আবারো। তুমি তো মনোবিহারীণি ছুটে চলো প্রতিনিয়ত দিক দিগন্তের পানে। তুমি তো সেই মহীয়সী যার জন্য আমার এই বসুন্ধরা বুকে বদলেছে জীবন।

আমি তো অলস ছিলাম, তোমাকে পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বদলে ফেলেছিলাম নিজেকে। বদলে ছিলাম নিজস্ব স্বকীয়তা, যার প্রতিটি ফোঁটায় ফোঁটায় ছিল আমার বৈশিষ্ট্য তা।

আজকের এই তুমি, সেদিনের সেই তুমি এর মাঝে কতটা ফারাক। তবুও আমার চোখে তুমি যেমন ছিলে আজো তেমন আছো।

সেদিন ছিল তোমার গজ দন্তের মুগ্ধতা, কথা বলার সুশ্রী ও মাধুর্য তা, চিবুকের সেই তিল ও টোল, কাজল কালো দীঘল চুল। তোমার রূপ বৈচিত্র্যের নিখুঁত বিশ্লেষণ যেমন সেদিন করেছি আজও তেমন করেই করি।

আজ বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছ তুমি। শরীরের চামড়া কুঁচকে গেছে। কালো বর্ণের চুলগুলো ধবধবে সাদা হয়ে গেছে। তবুও আমার প্রিয় থেকে প্রিয়তম হয়েছ প্রিয়ংবদা।

সেদিন যেমন পাগল বলতে আজও তাই বল। রাতের বেলা হাঁটতে বের হওয়া। বিকেলের রোদ ও গোধূলির অন্ধকারে পার্কের সেই বেঞ্চটাতে বসে থাকা। যেন এটা আমাদের আমরণের অভ্যাস।

তুমি যেমন ছিলে তেমন আছো, আমার সর্বাঙ্গের আস্তরণে। মিশে সকল নিঃশ্বাসে। একটাই চাওয়া সৃষ্টি বিধাতার কাছে। যেন একসাথে চলে যেতে পারি বসুন্ধরা থেকে জান্নাতের দরজাতে। একজনকে হারিয়ে যেন একজন একাকীত্বে না ভুগি। তাইতো দিনশেষে চলে যেতে চাই একসাথে।

ভালোবাসি হয় নি বলা তবুও ভালোবাসি। তাই তো মুখে না বলে চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দিলাম। ভালোবাসি আমার কিশোরী বধূ ও সন্তানের মা।

ইতি,
আমি।
মাসুদ রানা তাসিন

লেখনীতে – রিয়া খাতুন – প্রিয় মম অন্তরের উৎসাহস্পন্দন,

0

#গল্পপোকা_চিঠি_প্রতিযোগিতা_২০২০

চিঠি নং -২
লেখনীতে – রিয়া খাতুন

প্রিয় মম অন্তরের উৎসাহস্পন্দন,
কিভাবে কথা বলবো সম্বোধনে নাকি স্পর্শে! তুমি না বললেও তুমি কিছুক্ষন পরে ফিরবে আর আমি তোমাকে জড়িয়ে ধরবো আর বলব উৎসাহস্পন্দন লাভ ইউ। শুধু তোমার অপেক্ষার প্রহর অতিক্রমের জন্য লিখতে বসা। খামখেয়ালী পূর্ণ চিঠি দেখলে তুমি হেসেই পাগল হবে তাই আর হাসির পাত্র তোমাকে নাই বা করলাম!

“পাগলি তোমাকে সাহিত্যিক হতেই হবে,, তোমাকে উচ্চাঙ্গে উথাল স্রোত তৈরি করতে হবে। যেই স্রোতে সমগ্ৰ সাহিত্যের কলঙ্ককে ভাসাতে হবে আর ধ্বংস করতে হবে কিছু কবি ছদ্মবেশীদের। ছন্দিকা(রিয়া); তৈরি করবে তুমি এক তরুনমেলা যেই তরুণদের জাগরনে সমগ্ৰ ভারতবর্ষে এক সাহিত্যমেলা শুরু হবে। তুমিই পারবে হ্যাঁ তুমি।।” তোমার এই কথাগুলোর উৎসাহিকতা আমাকে কোন পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছে তা কোনদিনও মুখে প্রকাশ করতে পারিনি তাই এই চিঠি লিখছি। তুমি যখন অফিস থেকে ফিরবে এই ছোট্ট খামটা তোমার দেহের সিক্ত ঘাম আমার আঁচলে শুকিয়ে দিয়ে ব্যালকনির ছোট্ট কোনঠাসা জায়গায় দুই হাতের মুঠোয় যখন তুমি আমার শরীরে হালকা শিহরণ তুলবে ঠিক তখন এই খামটি ভাবছি তোমার দেব। আজকেই দেব উৎসাহ তোমায়,, প্লিজ যেন বলোনা, এতো কঠিন কঠিন অক্ষর তুমি বোঝোনা একদম বলবেনা তুমি আমাকে পড়ে শোনাও খবরদার বলবেনা এতো কঠিন ভাষা তুমি বোঝোনা! আজকে প্লিজ পড়বে বলো…
এটাই হয়তো শেষ চিঠিও হতে পারে আবার প্রথমও হতে পারে।
তোমার মনে আছে সোনা, যখন তুমি রাত জেগে থাকতে আমার জন্য। ৩.০০ টার প্রহরে আমার জন্য ক্ষনের বুনন কাটতে। আর আমি তখন হয়েছিলাম সাহিত্যিক। তোমার অভিমান ভাঙচুর করে যখন দুই চোখে তোমার দিকে তাকাতাম আর আমি আবার অভিমানের কন্ঠে সুর বাজিয়ে বলতাম আমি এবার সাহিত্য চর্চায় অব্যাহতি নেবো তখনই তুমি আমাকে জাপটে বুকের মধ্যে নিয়ে বলা অভিমানের ছন্দপত্তন করে সাহিত্যকে নিয়ে একটু চটিয়ে তুলে সাহিত্য চর্চায় আমাকে বারবার রসদ জোগাতে‌। এখন ব্যস্ততায় হয়তো তোমার অভিমানকে ইচ্ছা করেই বাড়াতে চাই হয়তো তুমি আর বাসা বাঁধতে চাওনা। তাই এখন সাহিত্যকে আর রসদ বানায়না পেশা আর আমার ফ্যানদের জন্য লেখাটা চালাচ্ছি। তবে তুমি তা হয়তো জানতে পারবেনা কখনোই, হয়তোবা পারছো। অনেকবার জিজ্ঞাসা করেছো তবে বিভিন্ন কথার অতিক্রমে তুমি অতিক্রমিত হও বারবার। কোনদিনও বলতে পারবোনা শুধু চাইতে পারবো যে তুমি আবার অভিমানের ড্রাফট বক্স খোলো।

অপরাহ্নের অন্তিমতায় সূর্যের বিদায়বেলায় ঠিক আমার নাকের মধ্যস্থতায় চুম্বন করছে আর চিঠির পাতায় এক শূন্যতা নামছে অন্ধকারের। জানি এই অন্ধকার আর চিরস্থায়ী হবেনা,, কেন কিছু ঘন্টা পর তুমি ফিরবে। আর আমার এই চিঠিটা……

উৎসাহ এই বিদায়বেলায় বড্ড আজ মনে করাচ্ছে পানাগড় ভ্রমন। সারাদিন কেনাকাটার ব্যস্ততায় যখন বাসটা মিস হয়ে গেল তখন আমার কিসমিসের মত মুখটা দেখে আমার দুটো হাতধরে ‘আমি আছি’ কথাটা বলে লাড্ডু করার চেষ্টা করছিলে। সূয্যি মামা এইবার চলে গেল উৎসাহ।আর কিছুক্ষন: তারপর তুমি ফিরবে। জানিনা ৪ বছর সংসারের পর এই কথাগুলো এখনো কাষ্ঠলিপিতে লিপিবদ্ধ করতে হচ্ছে! হয়তো দূরে থেকেও আমরা অদূরে আর কাছে থেকেও নিছক ‘কাছে’ আবদ্ধ। তাহলে কি কাজের ব্যস্ততা মানুষকে সম্পর্কের পুরাতন ছাঁচ ফেলে নতুনকে আবহিত করে! হ্যাঁ করে তবে পুরাতন ছাঁচে নব নির্মিত করে। নির্মাণ মানে হলে সুন্দরভাবে গুছিয়ে গড়ে তোলা তার মানে এইতো নয় নির্মাণ মানে সুন্দরভাবে সবকিছুকে গুছিয়ে নেওয়ার জন্য কিছু উৎসহপ্রবণতাকে মুছে দেওয়া…

রাত ১২.০০টা বাজতে আর ৪ মিনিট‌ দেরী। এবার তুমি আসবে আর জড়িয়ে ধরে বলবে,, “ছন্দি ও ছন্দি প্লিজ রাগ করোনা।‌একটু লেট হয়ে গেল। আজ কয়টা কবিতা আর গল্পের সমাহার করলে নাকি আমার জন্য ভেবে ভেবেই দিনকে‌ পাড়ি দিয়ে রাতকে ডাকলে! আর আমাকে তুমিতো এখন যেতেই দেবেনা কিন্তু আমাকেতো চলে যেতেই হবে।”‌ জানি তুমি আমার কাছে থাকতে চাওনা তবুও হৃদয়ের প্রতি স্পন্দন তোমাকে নিমন্ত্রন জানাতে চায়।
উৎসাহ সবাই বলে আমি নাকি বিধবা তুমি নাকি চলে গেছ আজ ৬ মাস হল। সবাই খুব বকাবকি করে। তাদেরকে আমি বলতে পারিনা তুমি আছো: তোমার বারণ অগ্ৰাহ্য করার ক্ষমতা হয়নি যে এখনো। রাত ১২.০০র পর তুমি যখন আমার কাছে এসে একরাশ নিমিত্ততায় আমাকে তোমার ঘর্মসিক্ত বক্ষকুঠুরিতে স্থান দাও তখন দুধসাগরের পাড় বেয়ে যাওয়া জোনাকিদের মুখ ভেংচি দেখিয়ে একটু গর্বেই জড়িয়ে ধরি। তবে আমার খুব অভিমান হয় কেন সবসময়ের জন্য থাকোনা! কিছু সময়ের জন্য কেন! সূর্যোদয়ের নূতন প্রভার সৃষ্টি হয় তাহলে তুমি এই প্রভাকে নিশকিরণে রাখো কেন সর্বদা! ঘুম ভেঙে যখন দেখি আমার হৃৎস্পন্দন তাদের গতিবিধি থামিয়েছে তখন বুঝতে পারি তুমি আর নেই।‌ জানো উৎসাহ সবাই বলে নতুন জীবন বাছার‌। এ আবার কেমন কথা বলতো! তুমিতো আমার জীবনের পুরোধা। পুরোধায় আবার নতুন,‌ পুরনো কি কথা! আমিতো জানি সকলের প্রতি অভিমানেই তুমি রাতে লুকিয়ে লুকিয়ে আমার কাছে আসো…
সবাই যখন আমাকে বকতো যে পাগলের মতো ‘উৎসাহস্পন্দন’ কেন তোমাকে বলি, তখন আমি একটা কথাই বলতাম ওর প্রকৃত নাম যাই হোক ওর মানবিক নাম ‘উৎসাহস্পন্দন’। ও না থাকলে সাহিত্যে আমার তীব্রতর প্রচেষ্টা জুড়তোনা।‌ তাই রাহুল নয় তুমি সারাজীবন আমার কাছে থাকবে ‘উৎসাহস্পন্দন’ হিসাবে।

এই চিঠিটা তোমার কাছে পৌঁছাবে কিভাবে জানিনা,, শুধু একটা ইচ্ছা পূরণ করবে পূর্বের ন্যায় আমার চোখের একফোটা জলকে হাতে নিয়ে আর আমাদের আসন্ন নবজাত শিশুর মাথায় হাত বুলিয়ে রক্তিমাকাশ যখন আচমকায় একটু জোৎস্না এনে দেবে তখন শুধু চিঠির ভাঁজটা খুলে আমার মাথাটা তোমার কাঁধে রেখে একবার চিঠাটা পড়বেতো? তুমি তো আছোই আমার হৃদয় জুড়ে। যদি কেউ পাল্টাতে পারে এই পাতা তাহলে আমার উৎসাহস্পন্দন।। চিঠিটাকে তোমার বাস্তবের এক ছোট্ট পঙক্তিমালায় রাখবেগো??

ইতি-
তুমি রূপী নিঃশ্বাস ছন্দিকা (রিয়া)

তাং- ৯/৮/২০২০

হাদারাম – Anarul Islam Md Rana

0

#_গল্পপোকা_চিঠি_প্রতিযোগিতা_২০২০

হাদারাম,
‘সেদিন দেখলাম কলাভবন রাস্তায় জিনিয়া আপুর সাথে খুব হেঁসে হেঁসে কথা বলতেছ। অতো কথা কীসের হা? আর যদি কোনোদিন কথা বলতে দেখি ঘুষি মেড়ে নাক ফাটিয়ে দিবো।
জানো, গত সপ্তাহে আমার জানালার পাশের কাঁঠালচাঁপাগাছটা মারা গেছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে জানালা খুললেই ফুলের গন্ধে ঘর ভেসে যাচ্ছে না। মনটাই খারাপ হয়ে যাচ্ছে। তুমি তো বলেছিলে আমার মন ভালো করার সব দায়িত্ব তোমার।
তাহলে আর দেরি করো না। এই বর্ষাতেই তোমার শোয়ারঘরের ঠিক জানালার পাশে একটা কাঁঠালচাঁপাগাছ লাগাও। তোমার ঘরের পাশে কেন লাগাতে বলছি তা নিশ্চয়ই ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নেই…’

ইতি
তোমার বনলতা

মোঃ আনারুল ইসলাম রানা
বদরগঞ্জ, রংপুর।
০৯/০৮/২০২০
০১৭৪৬৫১৪২০২/০১৮৩৭৯৮৮৪৯৪

ভালোবাসার প্রিয়ন – T A Ononya

0

#গল্পপোকা_চিঠি_প্রতিযোগিতা_২০২০
চিঠি নং-০১

ভালোবাসার প্রিয়ন,
আমার হৃদয় নিঙড়ানো উষ্ণ ভালোবাসা নিও। ভালোবাসার প্রতীক গোলাপের শুভেচ্ছা তোমায় দিব না। তোমাকে জানাই শারদীয় হালকা শিশির ভেজা শিউলি ফুলেল শুভেচ্ছা। প্রকৃতির কোলে রক্তিম কৃষ্ণচূড়ার অস্তিত্ব নেই । তোমাকে জানাই আমার মনের রক্তিম কৃষ্ণচূড়ার শুভেচ্ছা। কারণ তোমার ভালোবাসাহীন এই হৃদয় আজ রক্তিম আভায় রাঙা।

আজ আমি জিজ্ঞাসা করবো না তোমায়, তুমি কেমন আছো? আমি জানি প্রিয়ন তুমি ভালো নেই। কারণ আমার ষোড়শী হৃদয়ে জেগে ওঠা তোমার জন্য যে ভালোবাসার আলোকছটা এসেছিলো তার আভা তোমার হৃদয়কেও নাড়া দিয়েছিল। আমার হৃদ সাগরে উঠা ভালোবাসার ঢেউ তোমার বুকে আছড়ে পড়েছিল তা আমি জানি। সেই ঢেউ এর আঘাতে তুমি হয়তো এখানো জর্জরিত।

প্রকৃতির মাঝে যখন বর্ষার শেষ প্রহর, শরৎ আগমনী বার্তা জানাচ্ছে, আকাশ জুড়ে প্রবল রোদের ঝলকানি, শরতের নীল আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে শুভ্র মেঘের ভেলা, বালুচরে কাশফুলের শুভ্রতার আনাগোনা ঠিক সেই মুহূর্তে আজ তোমায় লিখছি। তোমার কাছে লিখতে গিয়ে আজ কেন যেন শব্দ গুলো মাস্তিষ্কে মেঘের মতো ভেসে বেড়াচ্ছে। কিছুতেই গুছিয়ে লিখতে পারছি না তোমায়। কতদিন ধরেই ভাবছি তোমায় একটা চিঠি দিব। কিন্তু যখনই লিখতে বসি শব্দ গুলো তোমার মতো করে হারিয়ে যায়। কিন্তু আজ আমি পণ করেছি যে করেই হোক তোমার কাছে লিখব। হোক না সে অগোছালো চিঠি তবুও আমি লিখবো।

তুমি কি জানো তোমার মুখে আমি যেদিন “মায়া পরী ” নামটা শুনেছিলাম সেদিন আমার কী যে ভালো লেগেছিলো! মনে হচ্ছিলো দৌড়ে গিয়ে ঝাঁপিয়ে পরি তোমার বুকে। শুনে নিই তোমার হৃদ স্পন্দন সেখানে কি আমায় ভালোবাসার কথা বলে? জেনে নেই তা। আচ্ছা, তুমিও কি আমার মত তোমার মায়া পরীকে নিজের বাহুডোরে নিতে চেয়েছিলে?

জানি না আজ আমার প্রতি তোমার রাগ হচ্ছে কি-না। তুমি আমায় তো বলে দিয়েছিলে আমাদের মাঝে আপনি সম্পর্কটা তুমিতে কখনোই আসতে দেবে না। কিন্তু আজ তুমি না বলে পারছি না। সত্যিই কি তুমি আমার চিঠি পড়ে রাগ করবে?

তোমার প্রতি মুগ্ধতা আমার তোমায় দর্শনের আগে থেকেই। তোমাকে দেখার পর থেকে আমি নিজেকে পুরোপুরি হারাই তোমার মাঝে। তোমার জন্য আমার মনের কোণে জন্ম নেয় ভালোবাসা নামক বৃক্ষ, যার ডাল পালা গুলোর নাম ছিল অনুভূতি। প্রিয়ন, তুমি কেন বুঝতে পারলে না আমার সেই অনুভূতি? আর বুঝলেও কেন-ইবা উপেক্ষা করে গেলে আমায়?

প্রিয়, তুমি কি এখনো কবিতা আবৃত্তি করো সেই আগের মতো? আমার সাথে যে আগে আবৃত্তি করতে মনে পড়ে তোমার? আচ্ছা এখন কি অন্য কারোর জন্য আবৃত্তি করো?

প্রিয়ন, তুমি আমায় অগ্রাহ্য করলে যাতে তুমি নিজেকে আমার মায়ায় জড়িয়ে না ফেলো। কিন্তু আমি যে আগেই তোমার মায়ার জালে বন্দী হয়ে গেয়েছি। তুমি কেন বুঝলে না তোমাকে না পেলে সেই স্বার্থপর মায়ার অনুভূতি আমার অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ টাও নষ্ট করে দিতে পারে। তুমি কেন বুঝলে না তোমার মায়া পরী যে তোমার আলোয় নিজের জীবনে আলোকরশ্নি ছড়াতে চেয়েছিল। তুমি চাইলেই আমার জীবনসঙ্গী হয়ে ভরিয়ে দিতে পারতে আমার জীবনটা আলোয় আলোয়।

প্রিয়ন, এই প্রিয়ন তুমি কি এখনো আগের মতোই আছো? নাকি সময়ের স্রোতে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছো অন্য কারো মাঝে? না-কি তোমার মাঝে এখনো মায়া পরীর বসত?

আর পারছি না কিছু লিখতে প্রিয়ন। আরো অনেক অনেক অভিযোগ গুলো মনের দরজায় কড়া নাড়ছে কিন্তু আমি তোমায় যে আমার প্রাণের চেয়ে বেশি ভালোবাসি এখনো। তাই পারছি না অভিযোগে তোমায় জর্জরিত করতে।
কিন্তু আজকের অভিযোগ গুলো না করে পারছিলাম না আর।

তুমি কি জানো প্রিয়ন এখনো আমার মনে তোমার আনাগোনা। এখনো আমি তোমায় ভুলতে পারিনি। কেন পারিনি তা তুমি রবি ঠাকুরের এই উক্তির মাধ্যমেই বুঝতে পারবে, “পৃথিবীতে বালিকার প্রথম প্রেমের মতো সর্বগ্রাসী প্রেম আর কিছু নাই। প্রথম যৌবনকালে যাকে ভালোবাসে, তাহার মতো সৌভাগ্যবান আর কেহই নাই।” আমি পারলাম না তোমার সেই সৌভাগ্যের কারণ হতে।

ভালো থেকো আমার ভালোবাসার প্রিয়ন। বিধাতার কাছে দোয়া রইলো বেলীফুলের মতো শুভ্রতায় ছেয়ে যাক তোমার মন। পুষ্প রঙিন হোক তোমার জীবন। বিদায় বেলায় বলবো তুমি আমার প্রথম প্রেম। তাই শুধু এটুকু জেনে রেখো তোমাকে ভোলা আমার সাধ্যে নয়।

ইতি
তোমার মায়া পরী

প্রিয় শৈশববেলা – Sumaya Mim

0

#গল্পপোকা_চিঠি_প্রতিযোগীতা_২০২০
চিঠি নং:০২

প্রিয় শৈশববেলা,

ছেড়ে গিয়ে তো অনেক দিন হলো,আমাকে ছেড়ে কি অনেক ভালো আছিস?হয়তো আছিস অথবা তুই ও এভাবেই আমাকে ভাবিস।জানিস,আজও তোর সুবাস আমার কাছে উজ্জ্বল একটুও মলিন হয়নি সব জ্বলজ্বল করছে স্মৃতির পাতায়।
জীবন খাতায় বয়স অনেকটা বেড়ে গেছে তবুও মুছে যায়নি ছোট্ট ছোট্ট পায়ে দৌড়ে বেড়ানোর চিহ্ন।মুকুল মুকুল হাতের আকুলিবিকুলি যেন আজও লেগে আছে ফেলে আসা দেওয়াল জুড়ে।

তুই কি ভুলে গেছিস আমার ছটফটে চলন, পিকপিকি জুতার আওয়াজ তুলে যখন উঠান মাতাতাম?
আব্বুর লোমশ বুকে বসে যখন পিঁপপিঁপ পাঁপাপ পাঁপ করে গাড়ি খেলার স্বাদ মেটাতাম আর আব্বু পরম আদরে বুকে জড়িয়ে রাখত তুই খুশিতে হাততালি দিতিনা বল?
জানি আমার হাসিতেই তোর যত সুখ ছিল।তবে এখন কি করে ভুলে আছিস,বিধাতার অমোঘ নিয়ম কে পালন করছিস তাই না?বুঝতে পেরেছি। তবে আমায় ভুলিস না।খোলা চিঠি দিলাম অদৃশ্য খামে।

প্রতিটি মানুষ জীবনের অনেক মূহুর্ত ভুলে যায় কিন্তু শৈশব বেলা ভুলবার ক্ষমতা কারর ই নেই।কারণ শৈশব মানুষের আত্মার সাথে এমন ভাবে মিশে থাকে,সেই স্মৃতি গুলো ভুলে যাওয়া মানে সেই মানুষটির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না।
আমিও ভুলতে পারবো না তোকে কখনো।
জানিস তোর সৌরভ মনে এতটা জায়গা জুড়ে আছে আছে যে সেখানে বসন্ত কোন প্রভাব ফেলতে পারেনি।কয়টা বসন্ত পার হয়ে গেলো তবুও শৈশবের রংমহল ছেড়ে বেরোতে পারিনি।

সেই ফড়িং বা প্রজাপতির পেছনে ছোটার দিনগুলো ভীষণ মিষ্টি ছিল।সন্ধারাতে জোনাকির পেছন পেছন ছুটে হঠাৎ অন্ধকার কে ভয় পেয়ে ঝাঁপিয়ে আম্মুর বুকে লুকোনোর সুখ টা যে কিরকম ছিল তা লিখে প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
নিঝুম দুপুরে ঘুমন্ত আম্মুর পাশে থেকে পা টিপেটিপে বেরিয়ে দৌড় দেওয়ার কথা কি মনে আছে তোর?
কত স্মৃতি,কত সুখ আর কত হাসি গান।সবই ফেলে এসেছি। তুই আমার থেকে অনন্তকাল দূরে।

জানি ফিরে পাবো না আর তোকে।ফিরবি না বলেই কি ভুলে যাবো?নাহ্ কখনোই তা না।এভাবেই তোকে হৃদয়ে ধরে রাখবো।
মাঝে মাঝে চিঠি লিখবো আকাশের ঠিকানায়।

ওরে শত ব্যস্ততার ভিড়ে,
তবুও তুই হৃদয় জুড়ে।
চারণ করি স্মৃতি গুলো
যখন ফিরে আসি নীড়ে।
জানি পাবো না তবুও চাই
ওরে আমার স্বপ্নীল শৈশব
ডাকছি,আয় ফিরে আায়।

ইতি
তোর আমি

প্রিয় কাব্য-Mãîshå Zāfrêëñ

0

#গল্পপোকা_চিঠি_প্রতিযোগিতা_২০২০ (চিঠি নং- ০২)

প্রিয় কাব্য,
ভূমিকাহীন চিঠিটি তোমার বেনামি ঠিকানায় দিয়ে আমি পদত্যাগ করবো তোমার কাব্যমালার নায়িকার পদ থেকে। ‘কাব্য’ সম্বোধিত তোমার জন্য আমার হৃদয়গহ্বরের বাম কুটিরে বিকল্প নামের বাহারি ধুলোয় ঢাকা, তবু আমি অক্ষম তোমায় উপযুক্ত সম্বোধন হতে বঞ্চিত করায়।

বিনিদ্র নিশির আয়েশ উপাখ্যান করি আমি তোমার ভাবনায়। এই কল্পের ব্যথিত গগনে আজ আশার নিশাকর পূর্নিমায় প্রত্যুদ্গমন করে অমাবস্যার নিকষ পঙ্কিল চাদর মুড়িয়ে। আচ্ছাদিত বিরহ বেদন মার্তণ্ডর পথরোধ করে ঠায় দাঁড়িয়ে। ভোরের আলো ফোটার নিস্প্রভ প্রতিক্ষা রয়েই গেল জীবন্মৃত রূপে।
যেই মনের মর্ত্যলোকে প্লাবিত হতো রূপালী জোছনার শ্রান্তির রূঢ় প্রশান্তি, স্রোতস্বীনির তরঙ্গে প্রতিফলিত হতো আলোর বিচ্ছুরিত প্রতিরূপ; আজ সেথায় আঁধার ঘেরা হতাশার মৃন্ময়ী পর্বতেরা স্বপ্নের হাতছানি মাড়াতে মস্তক উচ্চে তুলেছে।
সবিতার অনাহত স্বপ্নপ্রসূ কিরণ এখন স্মৃতিচারণেই আমি দেখি। পরভৃতের রবাহুত এখন উদ্বাস্তু, অশ্রুতপূর্ব শ্রুতিধর আসমানী বর্ধিঞ্চুর রিমঝিম ধ্বনি আজ প্রতিধ্বনিত আমার দেদীপ্যহীন মনের বোবা বেদনার কারাপ্রাচীরে। অবিমৃষ্যকারী বিবেকের দংশনে আমি প্রতিমূহুর্তে দংশিত, ক্ষতবিক্ষত।

অনুক্ত অযত্নলব্ধ বাঁধনের সুতো আজ পোকার দখলে; অদৃষ্টপূর্ব যে নজিরের স্তম্ভ তুমি স্থাপিত করেছো এই রাজ্যে তা আজ অবিশ্বাসের ভূ-কম্পনে নশ্বর, ফাটল ধরেছে তার প্রতিটি ইটের আস্তরণে।
অধীত চিঠিটি তুমি হয়ত অসংখ্য টুকরোয় বিভক্ত করে দেবে, কিন্তু অশ্রুনদীর দু’ধারে বিশ্বাসের পাড় ভাঙন রোধ করবে কিসের ভিত্তিতে?
অক্ষির সমক্ষে বর্তমান ঘটনার বয়িত রূপকে তুমি অস্বীকার করতে পারবে? নাকি পারবে জিতেন্দ্রিয় চিঠির শব্দসমষ্টিকে মিথ্যা জ্ঞান করতে?
একাদিক্রমে চলে আসা দুর্দমনীয় বিবাদই বিচ্ছিন্নতার দলীল; অতলস্পর্শী বেদনার কূপে যে বালতি দিয়ে উত্তোলন করতে চাইছো সবটুকু বেদনা, তাও সামান্য, অশ্রুজলের ভারে তার রশি ছিঁড়ে যাবে।

আমি বাগ্মীতা হলে দোদুল্যমান সম্পর্কটাকে হৃতসর্বস্ব হতে দিতে পারতাম না হয়ত, এই মিলনই হতে পারতো মণিকাঞ্চন যোগ। ছন্দের প্রয়াসে, কাব্যের মাধুরিতে আমি ভোলাতাম সব অযাচিত যাতন।
কিন্তু কি করবো বলো? আমার পুষ্পকাননে অশোভিত এখন ভালবাসার শিক্ত মালা। দ্যুলোকে মায়ার বিভব হলেও যে অভাব তমসাচ্ছন্ন করেছে এ ধরিত্রীর বুকে, অক্ষিনীরে যে নির্ঝরিণীর উদ্ভব হয়েছে, কিসের মূল্যে তা স্থগিত করবে তুমি?

ইতি,
নাম জানা ‘ভূতপূর্ব’ কেউ

কলমে_____মারইয়াম জামীলা {(মাইশা জাফরীন) ছদ্মনাম}

প্রিয় “হৈমন্তী” – Orshiya Shohid Anu

0

#গল্পপোকা_চিঠি_প্রতিযোগিতা_২০২০
~চিঠিঃ-০৮

[রবী ঠাকুরের “গল্পগুচ্ছ” গ্রন্থ থেকে ৮০+ ছোটগল্পের নাম দিয়ে সাজানো চিঠি]

প্রিয় “হৈমন্তী”,

ভীষণ জানতে ইচ্ছে করে সেদিনের সেই “ঘাটের কথা” কি মনে পড়ে আজ তোমার? মনে পড়ে কি সেই “একরাত্রি” পার করেছিলাম দুজন দুজনের নয়ন পানে চেয়ে! তারপরই তো “মেঘ ও রোদ্র” পোহাতে শুরু করলাম আমরা একসাথে৷ পথের ধারের “বোষ্টমী” “ভিখারিণী” আমাদেরকে একসাথে দেখেলেই ডেকে বলতেন “একটা আষাঢ়ে গল্প” শুনবি আয়।

“কাবুলিওয়ালা” জেঠুর থেকে রোজ নতুন নতুন আয়না “উদ্ধার” করে নিজেকে দেখার বায়না করতে তুমি।
“ভাইফোঁটা” এগিয়ে এলো, সেদিন তোমার ” দিদি” আমাকে ফোঁটা দিয়ে দিদি-ভাইয়ের “দেনাপাওনা” শোধ করলেন। “খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন” এর দিন “রামকানাইয়ের নির্বুদ্ধিতা” আর “তারাপ্রসন্নের কির্তী” দেখে গ্রামের সকলে কি আনন্দটাই না পেয়েছিল!

সেই যে “রবিবার” “নিশীথে” তোমার সাথে দেখা করতে গিয়ে “ল্যাবরেটরি” ঘরের পাশ থেকে আমাদেরকে ধরে ফেললেন তোমার “ঠাকুরদা”। “প্রতিবেশিনী” “সুভা”, “রাসমণির ছেলে”, “হালদারগোষ্ঠী”, সবাইকে এমনভাবে হাকডাক দিলেন যেন তিনি কোন “চোরাই ধন” পেয়েছেন। আমাকে তিনি সকলের সমুখে “বদনাম” করলেন, আর তোমাকে পণ করালেন যেন তুমি আমাকে ভুলে নতুন জীবন শুরু করতে পারো। সেই “পণরক্ষা” করতেই তুমি “মাল্যদান” করলে অন্য পুরুষের গলায় এদিকে তোমাকে হারিয়ে আমি হলাম “নষ্টনীড়”।

তুমি তখন অন্য বাড়ির “গিন্নি”, আর আমি দিন রাত নাওয়া খাওয়া ভুলে মৃতপ্রায় “কঙ্কাল” হয়ে গেলাম তোমার শোকে। তার কিছু দিবস পরই “পোস্টমাস্টার” এর নিকট হতে তোমার চিঠি পেলাম। তুমি লিখেছিলে “সম্পত্তি-সমর্পণ” সংক্রান্ত কারণে তোমার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। তোমার “সদর ও অন্দর” না বুঝেই তারা তোমাকে “ত্যাগ” করেছেন। সেই “শেষের রাত্রি” সকল “প্রতিহিংসা” ভুলে “ক্ষুধিত পাষাণ” হয়ে ছুটলাম তোমাকে আনতে।

তোমাকে আবার করে পেয়ে সেদিন মনে হয়েছিলো যেন আমি “মণিহারা” “মুকুট” পেয়েছি, সে যেন আমার কাছে ছিল “রিতীমত নভেল”। সকল ” মানভঞ্জন ” শেষ করে আমার জীবনের “খাতা” আবারো নতুন করে “সংস্কার‍” হলো। “পাত্র ও পাত্রী” হলাম আমরা দু’জনে, অনন্ত “দৃষ্টিদান” করলাম “শুভদৃষ্টি” এর সেই ক্ষণে। “যজ্ঞেশ্বরের যজ্ঞ” আর “রাজটিকা” লাগিয়ে আমার সেই “দুরাশা” জীবনের “শেষ পুরষ্কার” হলে তুমি।

কিছু দিবস স্বামী হিসেবে “পয়লা নম্বর” এই থাকলাম। আমি ছিলাম তোমার জীবনের “চিত্রকর” আর তুমি ছিলে আমার এ হৃদয়কুঠুরির একমাত্র “তপস্বিনী”। দূর শহরে পাড়ি দিলেই “স্ত্রির পত্র” যেন আমার সকল বুদ্ধিকে “দুর্বুদ্ধি” করে ফেলতো। সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল।

হঠাৎ করেই কিভাবে জানি তোমার আমার মাঝে
“ব্যাবধান” এর সুর বেজে উঠলো। সে সুর এতোটাই বিশাল হয়ে গেছিল যে তার রেশ ধরে আজ তুমি আমার কাছে “অপরিচিতা”। তোমার জীবনে হয়তো আমি “অনধিকার প্রবেশ” করেছিলাম। তোমার সকল “ইচ্ছাপূরণ” করতে আমি ব্যার্থ ছিলাম, আজ তাই হয়তো সম্পর্কের “জয়পরাজয়” এর গল্পে পরাজয় হলো আমার ভালোবাসার৷

কখন যে ভালোবাসার মাঝে “করুণা” এসে গেল বুঝতেই পারিনি, আমার জীবনের “মধ্যবর্তিনী” তোমার কাছেই আমি হয়ে গেলাম “আপদ”৷ ” মাষ্টারমশায়” বলতেন “কর্মফল” একদিন ভোগ করতেই হয়। “ডিটেকটিভ” “অধ্যাপক” “মহামায়া” শুনিয়েছিলেন “একটি ক্ষুদ্র পুরাতন গল্প” যা ছিল “গুপ্তধন” নিয়ে। তুমিও তো আমার জীবনে তার ন্যায় “স্বর্ণমৃগ” হয়েই ছিলে। তবে কোন পাপের “প্রায়শ্চিত্ত” স্বরুপ আমার জীবনকে “নামঞ্জুর গল্প” বানিয়ে দিলে তুমি? “দর্পহরণ” এর ন্যায় তুমি “প্রগতি-সংহার” করে আমার জীবন থেকে সকল সুখের “ছুটি” কেন দিয়ে দিলে বলতে পারো?

এ জীবনের “সম্পাদক” তো তুমি ছিলে না তবে কেন “বিচারক” হতে গেলে! আমার এ জীবনকে দুঃখ দিয়ে রাঙিয়েই যখন দিলে, তবে সে দুঃখ হতে “মুক্তির উপায়” কেন বলে গেলেনা? হয়তো সম্পর্কের সকল “সমস্যাপূরণ” আমি করে উঠতে পারিনি, তাতে আমি বরাবরই “ফেল” করেছি, তা বলে এতো বড় “শাস্তি” আমাকে না দিলেও পারতে!

এমনটাই বুঝি আমাদের নিয়তি ছিল, এই বুঝি ছিল আমাদের ভালোবাসার “সমাপ্তি”!

ইতি
তোমার অপরাধী ” বলাই”

[বিঃদ্র ছোট গল্পের নাম গুলোকে আলাদা করতেই অত্যাধিক বার (” “) চিহ্ন প্রয়োগ করা হয়েছে]

-Anu

প্রিয় অদৃশ্য – Sumaya Mim

0

#গল্পপোকা_চিঠি_প্রতিযোগীতা_২০২০
চিঠি নংঃ০১

প্রিয় অদৃশ্য

জানিনা আপনি কেমন আছেন।কারণ তা জানার উপায় খুঁজে পাইনি।কে আপনি কি বা পরিচয় আর কেনই বা আমার স্বপ্নে জাগরণে বিচরণ করেন?
আচ্ছা,আপনিও কি আমায় ভাবেন?আমি আপনাকে ভাবতে চাইনা কখনো তবুও বারবার মনে হয় একগুচ্ছ অপরাজিতা হাতে আপনি আমায় ডাকছেন।

শুনুন, আর কতদিন এভাবে অদৃশ্যমান থাকবেন,কতোদিন আমায় আর অপরাজিতার বিরহ সইতে হবে?মনে হয় শ্রাবণ ধারা অপেক্ষা করে আমাতে-আপনার ছোঁয়া পেতে।মুঠোমুঠো শিউলির তৃষ্ণায় হাহাকার করে আমার শীতল আঁচল।গুচ্ছগুচ্ছ কদম ঝরে ঝরে পড়ে আবর্জনায় শুধু,শুধুই আপনার আমার হাতে সঁপে দেবার অপেক্ষায়।

আপনি কি অনুভব করেছেন কখনো আমাকে নীল শাড়ি-চুড়িতে?
আপনার হাতের কাঠগোলাপ কি আমার এলো চুলের খোঁপায় ছুঁইয়ে দিবেন কোন এক মিঠেল বিকেলে?

আমি আপনার জন্য হাত পুড়িয়ে রান্না করতে চাই।আপনি কি শুনছেন আমার কথাগুলো?
নাইবা শুনলেন তবুও আমি বলে যাবো।
বলবোনা ভালোবাসি,শুধু অপেক্ষায় আমি। একদিন ঠিক বলবো পাশে আছি।

সুন্দরী নই আমি।তবুও আপনার মোহনছন্দ মায়াবতী হবার চেষ্টায় অটল।একসময় ক্লান্ত হয়ে যাবে আপনার লুকোচুরি খেলাটা সেদিন হবে আমার অপেক্ষার জয়।

তবে আপনার একটা গুণ থাকতে হবে বাধ্যতামূলক।তা হলো চাহনি।
যে চাহনিতে চেয়ে মরুপথে ক্লান্ত,তৃষার্ত পথিকের বালুকারাশির সাগরে একটা উনুই খুঁজে পাবার মতোই মুগ্ধ হবো।

যদি এমন হতো,এক গোধূলি বিকেলে একগুচ্ছ ভেজা কদম সঙ্গে করে আপনি আমার প্রেম সায়রের দুয়ারে?

চলুন না আর নয় লুকোচুরি,
হোক তবে কাশফুলেদের ছড়াছড়ি।
নীলের মেলায়,মেঘের ভেলায়
পাল তুলে ফিরে এসে
হোক নবান্ন উৎযাপন।
দখিনা সমীর সাথে
কোকিলের কুহু রবে
আঁচল পেতে করি বসন্ত বরণ।

আপনি ভালো থাকবেন সব সময় এটাই আমি চাই।আকাশের ঠিকানায় এঁকে দিলাম স্বপ্ন আলাপন।খোঁজ পেলে তুলে রাখবেন।একদিন বাড়িয়ে রাখা ভঙুর হাত দুটিতে এক আকাশ ভরসা মাখিয়ে জড়াবেন।

ইতি
আপনারই কেউ।

কলমে: যারিন সুবাহ। প্রিয় সাঁঝবেলা,

0

#গল্প_পোকা_চিঠি_প্রতিযোগিতা_২০২০

#চিঠি_নং_০৬

কলমে: যারিন সুবাহ।

প্রিয় সাঁঝবেলা,

কেমন আছো তুমি? আচ্ছা আমাকে বলো তো একটু, এইযে তুমি প্রায়ই গোধূলি আভায় সজ্জিত হয়ে দৃশ্যমান হও তখন নিজেকে কেমন লাগে তোমার? নব রাঙা বউয়ের মতো কী তোমার ভেতর ভালোলাগা কাজ করে?
আচ্ছা, তুমি যখন দিনশেষে পুরো আকাশ আঁধার করে নেমে এসো তখন কেমন লাগে তোমার? ইশ! তখন নিশ্চয়ই তুমি মনে মনে বলতে থাকো, এবার এই পুরো আকাশটা হবে আমার! তাই না?
জানো সাঁঝ? আমি একবার অনেক অসুস্থ ছিলাম, প্রায় এক মাস আমি ঘরবন্দী ছিলাম। আমার অবস্থা তখন বন্দী পাখির মতো ছিলো, আমার অবস্থা ছিলো তখন চাতক পাখির অনুরূপ যে কিনা এক ফোঁটা বৃষ্টির অপেক্ষায় পার করে বেলার পর বেলা! আমি কতো বের হতে চাইতাম কিন্তু সবাই আমাকে বলতো, আগে সুস্থ হয়ে উঠ! আমার মন জানো মানতো না! আমি প্রতিদিন বিকেলে বারান্দায় যেতাম আর তোমার আসার অপেক্ষায় থাকতাম। কখন এই দিন শেষ হবে, কখন সময় যাবে, কখন তুমি আকাশ অন্ধকার করে আমায় দেখা দেবে? আমি তোমার অপেক্ষায় ধীরে ধীরে বিষীয়ে উঠতাম আর অবশেষে পেতাম তোমার দেখা! এরপর যেদিন আমি বের হই, ইশ! আমার খুশিটা দেখে কে! কিন্তু আমি জানি তুমি ঠিকই সেদিন আমায় পরখ করেছিলে, তাইনা? সেদিন আমি রিক্সায় বসে তোমায় উপভোগ করতে মেতে উঠেছিলাম। আমি মনে মনে বারবার বলছিলাম, “আমার সাঁঝবেলা!”
তোমার সাথে আমার দ্বিতীয় বিশেষ দিনটি হয় আমার উনার সাথে। তুমি কী খেয়াল করেছিলে? পুকুরপাড়ে বসে ছিলাম আমরা দু’জন। যখন তোমার প্রশস্ত আকাশ ধীরে ধীরে আবছা আলোয় পরিপূর্ণ হচ্ছিলো, লাল আভায় মিশিয়ে নিচ্ছিল নিজেকে সেদিন আমি তোমায় সাক্ষী রেখে তার কাঁধে মাথা রেখে বসে ছিলাম। তোমায় সাক্ষী রেখে সেদিন তার চোখে চোখ রেখে প্রথম বলেছিলাম, “ভালোবাসি প্রিয়!” তুমি জানো কী? সে হাত আমি এখনো ছাড়িনি, এখনো আমি তাকে নিয়ে সময় পেলেই তোমার দর্শনে বের হই। আমার তোমায় ভীষণ ভালোলাগে সাঁঝ! এতোটা যে আমার ইচ্ছে করে আমি ডুবে যাই তোমার ভিতরে। যদি পারতাম, তোমার লাল আভায় লজ্জিত সজ্জিত প্রিয় আবছা আলোতে একটু ছুঁয়ে দিতাম আমি আপনাকে।আচ্ছা, এবার বলোতো? এইযে তোমায় চিঠি লিখলাম উত্তর দেবে তো সাঁঝ? আমি কিন্তু অপেক্ষায় থাকবো! তোমার উত্তর পাওয়ার অপেক্ষায় নাহয় আরো কতক সাঁঝবেলা উপভোগ করবো আমি। আমার প্রিয় সাঁঝবেলা উপভোগ করবো আমার প্রিয় মানুষটির সাথে!

ইতি,
“তোমার সৌন্দর্যে বিমোহিত
আভা”

ভালোবাসা নামক একটি চেনা শব্দ নিয়ে যখন তোর প্রান্তরে হাজির হয়েছিলাম- মাইসারা মেঘ

0

#গল্পপোকা_চিঠি_প্রতিযোগিতা_২০২০
চিঠি নং-৮

ভালোবাসা নামক একটি চেনা শব্দ নিয়ে যখন তোর প্রান্তরে হাজির হয়েছিলাম তখন সেই শব্দকে অচেনা বলে অবজ্ঞা করে ছিঁটকে ফেলে দিয়েছিলি তুই,আমি তো নিরবে নিঃশব্দে ফিরে এসেছিলাম তোর প্রান্তর থেকে।কিন্তু বিশ্বাস কর মনটা দেহ থেকে বের করে ঠিক তোর বুকের বাঁ পাজরের সাথে জুড়ে দিয়ে এসেছিলাম সেদিন।অথচ তুই চাইলেও সেটি ছিঁড়তে পারিসনি।কেমন করে পারবি বল!আমি যে তোর পাজরে গড়া হৃদয়লক্ষ্মী।চাইলেও তোর পাজর থেকে আমার ছোট্ট মনটা আলাদা করতে পারবি না,সে আমি খুব ভালো মতন জানতাম।তাই তো সেদিন তোর ফিরিয়ে দেয়াটা খুব সহজে মেনে নিয়ে চলে এসেছিলাম।আমি জানতাম আমার ওই জুড়ে দেয়া তপ্ত মনটা কিছুতেই তোকে শান্ত হতে দেবেনা,রাতে ঘুমুতে দেবে না,আমি জানতাম তুই রাত দিন ছটফট করবি সেই মনের মানুষটাকে আকড়ে ধরার জন্য।কি অদ্ভুত দেখ!আজ সত্যিই তুই আমাকে চাইছিস।এটার চেয়ে বড় পাওয়া সত্যিই আমার জীবনে আর কিছুই নেই।আমি আসবো, খুব তাড়াতাড়ি আসবো,হয়তো মেঘেদের বেশে নয়তো বৃষ্টি হয়ে, হয়তো একফালি রৌদ্দুর হয়ে নয়তো পড়ন্ত বিকেলের রক্তিম আভা হয়ে।
একটু অপেক্ষা কর।

ইতি
তোর রেখে যাওয়া একটুকরো আমি।