Monday, July 14, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 1909



psycho_is_back? season_2part_23

0

psycho_is_back?
season_2part_23
#apis_indica

বারিশ রাগের মাথায় লন্ডন চলে আসে। এখানে
তার অফিস আছে। অফিসের বড় জানালার সামনে দাড়িয়ে বাহিরে দৃশ্য দেখছে। এখন শেষ বিকেল। আর শেষ বিকেলের লাল, নীল, হলুদ আলো এসে পরতেসে তার মুখে। এতখন মন খারাপ থাকলেও প্রকৃত রূপ দেখে মনটা ভাল লাগতেসে তার।কুহুর কথা খুব মনে পরতেসে তার। ইসসস..! কুহু এমন না করলে আজ তার পাশে থাকত সে। ভেবেই ছোট শ্বাস ফেললো।তখনি হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজ টিউন বাজলো।ফোনটা হাতে নিতেই ফোনের ওয়াল পেপারে ভেসে উঠলো কুহু হাসি হাসি মুখটা।যা দেখলে সব ভুলে যেত সে। কিন্তু সেই কুহুকে সে মেরে এসেছে।তার জন্য অবশ্য সে নিজেকেও শাস্তি কম দেয়নি। যে হাত দিয়ে কুহুকে মারছে সে হাত বারিশ দরজার সাথে লাগিয়ে বারি মারছে।হাত পুরো থেতলে গেছে।বারিশ মেসেজটি ওন করলো।সাথে একটি কাগজের ছবি ভেসে উঠলো যেখানো মোটা মোটা অক্ষরে লিখা ডিভোর্স পেপার। তার সাথেই কুহুর হাতের সাইন।বারিশের রাগ এক দম সপ্তম আসমানে উঠে গেল।
—–এতো বর স্পর্ধা আমাকে ডিভোর্স দেয়ার। এরে সামনে পেলে মাথা তুলে আছাড় মারতে মন চাইতেসে। কতো বড় বেয়াদব।
সাথে সাথে কল আসলো ওই নাম্বার থেকে।
বারিশ রিসিভ করতেই ওই পাশ থেকে কান্নার আওয়াজ ভেসে আসলো।
—- বাবা বারিশ..!
বারিশ ফুপির এমন কান্না কাটি শুনে বুকে মোচড় দিয়ে উঠলো।
—-কি হইছে ফুপি কান্না করছো কেন?সব ঠিক তো?
—-কিছু ঠিক না বাবা। কিছু না, প্যারালাইজড হযে গেছে বাবা।
বারিশ চিৎকার দিয়ে বলল,
—কিভাবে?
ফুপি মরা কান্না জুড়ে বলতে লাগে,
—বউ মা..!
—-কি করছে কুহু?
—-আমার হাতে ডিভোর্স পেপার ধরিযে দিয়ে বলল। তোরে দিয়ে দিতে। বাবা যখন বুঝাইতে গেছিল। তখন সে ধাক্কা দিয়ে বাবারে ফেলে দিসে..!
বলে হেচকি তুলে কাঁদতে লাগলো।
এসব শুনে বারিশের মাথা গরম হয়ে গেল।সে সাথে কুহুকে কল দিল..!

তখন বাসা থেকে বের করে দেয়ার পর টিনা ফ্লেটে উঠি আমি। টিনা না থাকলে কি হতো আমার? মামা জানলে মেরে ফেলবে যে বিয়ে করছি আবার ডিভোর্স হয়ে গেছে।

এ সময় টিনা বলল,
—-আমি রিয়ানের সাথে কথা বলতেসি। ওর মা এত ফালতু মহিলা।বিয়ের পর আমার সাথেও আবার এমন না করে বসে। তাই ব্রেকআপ করে দিব।
—-পাগল হইসোস? তোর সাথে কেন হবে?
—-যার মা এমন তার কি গ্যারান্টি?
আমি চুপ..!
তখনি আমার ফোন বেঁজে উঠে, আমি রিসিভ করতেই ও পাশ থেকে চিল্লিয়ে বলল বারিশ,
—-কুত্তা তোর সাহস তো কম না? আমার অনুপস্থিতে তুই আমারে ডিভোর্স দেস?খুব পাখনা গজাইসে তোর হুম। আসতেসি আমি তোর পাখনা কাঁটবো। সেদিন রাতে ডোজ কম হইসে না এবার বাথরুমে স্যান্ডেল দিয়ে পিটাবো তোরে।
আমার রাগ উঠলো দিগুন চিল্লায়ে বললাম,
— আপনার সাহস তো কম না? আমারে গালি দিতেসেন? এত সাহস কই পাইলেন হে? সে দিন হাত তুলছেন তো তুলছেন আর কখনো হাত তুললে আপনার হাত ভাঙ্গি দেব।
বারিশ অবাক হলো, কুহু তর্ক করতেসে তার সাথে। আরো রেগে গেল রেগে এবার বোম হয়ে বলতে লাগে,
—-তোর দেখি সাহস খুব বাড়ছে আমার সাথে তর্ক করিস? আসতে দে বাংলাদেশে। এবার গাছের সাথে বেঁধে পিটাবো তোরে আমি।
—-কঁচু করবেন আপনি আমার। আপনারে আর ভয় করে না বুঝলেন? যে অন্য কারো কথা বিশ্বাস করে আমার জবানের দাম নাই এতন মানুষের সাথে কথা বলতে রুচিতে বাঁচতাসে।
বলে খট করে ফোন কেঁটে দিলাম।
এতে যেন আরো রেগে গেল বারিশ।
—নাহ এই অবস্থা অনেক দূর গড়ায় গেছে। এরে অন্য ভাবে হেন্ড্যাল করতে হবে। কত বড় সাহস আমার কল কাঁটে?
বারিশ আবার কল করল। কুহু কেঁটে দিল।
আবার দিল আবার কেঁটে দিল। এতে বারিশ আরো হিংস্র হয়ে যাচ্ছে।

তারপর আবার কল করলো এবার ধরল, এবার ঠান্ডা মাথা কথা বলল,
—-ডিভোর্স কেন দিস?
—-আমি দেয় নি!
—-আমাকে ফুপি ছবি পাঠাইসে যেখানে তুমি সাইন করসো।
—-আমি ইচ্ছে করে করি নি।
বারিশ তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলল,,
—-এখন বলো না তোমাকে কেউ জোড় করে সাইন করাইসে?
—-যখন বিশ্বাস করবেন না তো এত কথা কিসের? আপনার কাছে আমি মিথ্যুক, চরিত্র খারাপ, প্রতারক। তো আমার কথা কেন বিলিভ করবেন। ভালো হইসে ডিভোর্স পেপার ফুপি দিছিল এনে। নয়তো আমি নিজেই দিতাম আপনাকে।।
কুহুর কথায় ভরকে গেল বারিশ,
—-কি যাতা বলছো এসব? ফুপি বলল তুমি তার হাত পেপার ধরিয়ে চলে আসছো আর সাথে দাদুকে ধাক্কা তিস, তোমার জন্য দাদু আজ প্যারালাইজড..!
আমি অবাক হয়ে বললাম,
—-আপনার ফুপি একটা ফালতু তার সাথে তার চামচি জেনি..!
বারিশ ধমক দিয়ে বলল,
—-বড়দের এসব কি বলতেসো?
—-একদম ঠিক বলতেসি। আমার ক্ষমতা থাকলে তাদের দুজনকে মুখে কালি মেরে পুরো এলাকাড জুতার মালা পরিযে ঘুরাতাম।
—-কুহু তুমি কিন্তু বেয়াদবি করতেস!
—-ভাল করসি। আর হে আমি দাদুকে ফালাই নাি। দাদুকে জেনি ধাক্কা দিসিল। আর সাথে দাদুকে মারার ভয় দেখিয়ে ডিভোর্স পেপার সাইন করাইসে।
বারিশ এসব শুনে দু টানায় পরে গেল। সে বলল,
—-ফুপি কেন করবে?
—-কেন আবার বারিশের সম্পত্তির জন্য।
বারিম কপাল কুচকে বলল,
—-আমার সম্পত্তির জন্যে?
—-জি না.! আপনাকে তারা বারিশের ফেিস দিসে আপনি ইউসুফ। বারিশকে ফুপি নিজ হাতে মেরে ফেলছে।
বারিশ সব শুনে হতভম্ব। এ সব শুনে তার শরীর কাঁপতেসে,
—-তুমি মিথ্যা বলতেস?
—-আমার কি লাভ?
বারিশ নিজেকে স্বাভাবিক করে বলল,
—-ওই আশিকের কাছে চলে যাবা,
কুহু এবার অট্টহাসিতে ফেটে পরলো,,
—-আপনাকে কে মাফিয়া বানাইছে তারে পাইলে পাছার মধ্যে লাথি মেরে পানিতে ফেলে দিতাম।
—-কুহু…!
—-কি কুহু হে? কি! পারেন খালি মানুষরে বিশ্বাস করতে কোনো কিছু যাই করছেন জীবনে হে?
বারিশ চুপ।
—আশিক জেনির চাচাতো ভাই। সবাই মিলে প্লেন করে আমারে বাড়ি থেকে বের করে দিসে। জেন আপনার আর জেনির বিয়ে দিযে সব সম্পত্তি রিযানের নামে দিযে দেয়।
বারিশ এবার বাকরুদ্ধ। আসলেই তো কখনো সেতো যাচাই করে নি কিছু।
বারিশ বলল,
—আমি তাদের ছেলে না হলে আমাকে বলতেই পারতো আমি দিয়ে দিতে বাধ্য। তাহলে এসব কেন করবে?
—-কারন দাদু..!
—-আমার বিশ্বাস হচ্ছেনা তারা এমন করতে পারে?
—-আমার কাছে সব কিছুর প্রুব আছে কিন্তু আতি আপনাকে দিব না। কুঁজে বের করে নেন কে সত্য আর কে মিথ্যা। যখন সত্য বের হবে অনেক আফসোস করবেন কারণ আমিরতখন আপনার পাশে থাকবো না। বলে আবার কজট করে কল কেটে দিলাম। ওি দিকে কুহুর ফোন কাটায় আবার কল দেয় বারিশ ফোন বন্ধ। কি করবে বারিশ কিভাবে যাচাই করবে সত্য তাই ভাবতেসে।

—-তুই মিথ্যা কেন বললি তোর কাছে প্রুব আছে?
আমি মুচকি হেসে বললাম,
—-এ জন্য যে সে এবার সত্যিটা খুঁজবে।
—-পরে যদি যানে তোর কাছে নেই।
—-ততদিনে সে সব নিজেই বের করে নিবে..!
—-তুই রিয়ানকে বলিস না কিছু। ওর তো দোস নাই।
টিনা বলল,
—-আমি ওরে ব্লক মারছি।
—-এটা ঠিক করলি না।
—-দেখ আমি চাই না ওর মায়ের হাত মার খেয়ে বের হই।
—-তুই বেশী বেমী ভাবতেছিস।
—-হো নয় তো তোর মতো বাশ খাবো।
আমি হেসে দিলাম।
সেদিন রাতটা কোনো মতে কেঁটে গেল। খুব ভোরে বারবার কলিংবেলের শব্দে ঘুম ভাঙ্গে আমার। আমি চুল গুলো হাত খোঁপা করতে করতে দরজা খুলেতেই ঠাসসসস করে পরলো আমার গালে কিছু বুঝে উঠার আগেই। সামনে তাকাতেই আমার চোখ বড় বড় হয়ে গেল। কারন বড় মামা আর রাহুল ভাই দাড়িয়ে ছিল।কিছু বলব তার আগেই আরেকটা থাপর পরলো গালে।তখন মামা চিল্লিযে বলল,
—-তোর সাহস কেমনে হয় আমার ভাগ্নি হয় একা একা বিয়ে করিস। শরীরে রস বাড়ছে তাই না। আমি গালে হাত দিযে চোখের পানি ফেরতে লাগলাম মাটির দিক তাকিযে তখন মামা চেচিযে বলল,
—-এখানে দাড়িয়ে আছিস কেন যা ব্যাগপত্র নিয়ে আজ আমার সাথে ময়মনসিংহ যাবি। এখানে আর এক মুহুতেও না..!
আমি ফুপাতে ফুপাতে বললাম,
—-মামা আমি যাবো না।
তখনি মামা আমাকে মারতে হাত তুলরো রাহল ভাইযা মামাকে আটকিযে বলল,
—বোন আপাদত বাসা চল বাকি কথা পরে হবে।
আমি রাহুল ভাইয়ার দিক ছল ছল চোখে বললাম,
—-ভাইয়া উনি দেশে নেই। আমি কিভাবে? তখনি বড় মামা বলে,,
—-কেমন লজ্জা ছাড়া হেয়েছে। আমার সামনে এসব ন্যাকামি করছিস? আয় তুই তোর কিছু নেয়া লাগবে না..!
বলে মামা আমার হাত টেনে বাহিরে নিয়ে যেতে লাগল, এর মাজে টিনা এসে বলল,
—-আঙ্কেল কিভাবে নিয়ে যাচ্ছেন কেন?
তখন মামা টিনাকে ধমক দিয়ে বলল,
—-তোমরাই ওর মাথা খেয়েছো। ও এসব করছে তাতে সাত দিচ্ছিলে একবার আমাদের জানালে কি হতো? তোমার বাসায আমি বিচার দিব দাড়াও। বলে আমাকে টেনি নিযে যেতে লাগলম টিনা সেখানেই মন খারাপ করে দাড়িযে রইল।
আর আমি চিল্লিয়ে বলছি,
—আমি যাবো না মামা প্লীজ মামা।
কিন্তু তারা কোনো কথাই শুনলো না।

ময়মনসিংহের বাসায় আসতেই মামা আমাকে রুমে নিয়ে লক করে দিলেন আর মামী আর ভাবীকে বললেন,
—আমি না বলা পর্যন্ত এ দরজা কেউ খুলবে না? তাহলে তার জন্য এ বাড়িতে জায়গা নেই। সবাই চুপ হয়ে গেল।
আর আমি দরজা ধাক্কাতে লাগলাম সবাইকে গলা ফাটিয়ে ডাকতে লাগলাম কিন্তু কেউ আসলো না..! কেউ না..!আমি সেখানেই কাঁদতে কাঁদতে বসে পড়লাম।

চলবে,

psycho_is_back? season 2part–22

0

psycho_is_back?
season 2part–22

#apis_indica
সেদিনের পর বারিশ আর বাসায় ফিরেনি। অনেক ফোন করে তাকে পাচ্ছিল না। দাদু কল দিলেও বন্ধ পেত। তার নিউ পি এ এসে অবশ্য বলে গেছেন তিনি দেশের বাহিরে চলে গেছেন।শুনে বুক ফেটে যাচ্ছিল আমার। বারিশ কিভাবে ভুল বুঝতে পারে আমায়?আমি সত্যিই খারাপ…!তাইতো কারো ভালবাসা কপালে জোটে না আমার। এসব ভেবেই কান্না করছি হাটুতে মুখ গুজে।কিছু ভাল লাগচ্ছে না আমার।তখনি হুট করে জেনি আর ফুপি এসে ঢুকেন ঘরে।

আমি চোখ মুছে তাকাতেই জেনি বলল,
—আহারে! জামাই ছেড়ে চলে গেল?
আমি তার কথা বুঝতে না পেরে তাকালাম তার দিক..! সে হা হা করে হেসে বলল,
—-নাদান বাচ্চা এখনো বুঝে না..!
—-কি বলতে চাইছেন?
তখন ফুপি বললেন,
—-তুই এখনো এখানে পরে আছিস কি জন্য? আজই রুম খালি করবি..!
—-কি সব বলছেন? আমি কেন রুম খালি করবো এটা আমার স্বামীর রুম।
তখনি জেনি এসে আমার গাল চেপে দাঁত কিড়মিড় করে বলল,
—-এটা বারিশের ঘর..! তোর স্বামীর না।।
আমি ছাড়িয়ে তাকে বললাম,
—-এটা কি ধরনের অসভ্যতা?
ফুপি এসে আমার চুলে মুঠি ধরে বলল,
—এখনো সভ্যতা দেখাচ্ছি শুকুর কর..!
—-আপনারা এমন কেন করছেন?
জেনি বলল,
—-তুই আমার ভালবাসা করে নিবি আর আমি চুপ করে থাকবো ভেবেছিস??
—-কি বলতে চাইছেন?
ফুপি শয়তানী হাসি দিয়ে বলল,
—জেনি কি বলিস রহস্য খুলে দেই?
জেনি মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দিতেই বলতে লাগেন ফুপি,,
—-শুন তাহলে।আশিক জেনির চাচাতো ভাই। সেদিন যা হয়েছে সব আমাদের প্লেন ছিল।
আমি তাদের কথায় হতবাক হয়ে গেলাম।আর চিল্লিয়ে বললাম,
—-এ সব কেন করলেন আপনারা?
জেনি তেড়ে এসে বলল,
—-কেন করবো না? তুই আমার ভালবাসা, আমার স্বপ্ন আমার রাজত্ব কেড়ে নিয়েছিস তোকে ছেড়ে দিব কিভাবে ভাবলি?
আমি অবাক হয়ে বললাম,
—-মানে…!
ফুপি ছল ছল চোখে বলল,
—-বারিশকে মেরে ফেলার পর ভেবেছি, এবার হয়তো আমার রিয়ান এই বিরাট অট্টালিকার রাজা হবে কিন্তু বাবা কই থেকে এ ছেলেকে নিয়ে আসলো বারিশ বানিয়ে। তখন সব স্বপ্নে ফাঁটল ধরলো। তখন আবার প্লেন করি জেনিকে দিয়ে বারিশকে প্রেমের ফাঁদে ফালতে চাই।তাও হলো না নিয়ে আসলো তোকে..!

আমি তাদের কথা শুনে কি বলবো বুঝতেই পারছি না। সম্পত্তির লোভে মানুষ কত খারাপ হতে পারে। আমার চোখ থেকে জল গড়িয়ে পরছে।যাদের বারিশ এতটা আপন ভাবছে, তারা শুধুই তাকে স্বার্থপরতার জন্য ব্যবহার করে চলেছে।

তখনি জেনি বলে উঠে,
—-কিছু দিন আগে আশিকের সাথে কথা হয়। ওই বাসায় তোর কথা বলে। ছবি দেখায়। দেন আমরা প্লেন করি।তোকে ফাঁদে ফেলি। আশিক তোকে পাওযার জন্য পাগল হয়েছে।তাই সেই পাগলামো কাজে লাগিয়ে তোকে বারিশের লাইফ থেকে বের করে দি..!

আমি এবার রাগে বলি,
—-সে তোমাদের বারিশ না আমার ইউসুফ। সে তোমাদের কাউকে ছাড়বে না।

জেনি আর ফুপি ঘর ফাটানো হাসি দিয়ে বলল,
—-তাই নাকি। তা কে বলবে?
—-আমি বলবো?
—-ও মা..! আন্টি আমার তো ভয় করছে খুব ভয়..! বারিশ যদি আমায় মেরে দেয়?? বলে আমার হাসতে লাগলো।

আমি কি বলবো বুঝতে পারছি না। ভাষা যেন হারিয়ে ফেলছি।তখনি দাদু এসে বলল,
—-তোমরা তোমরা আমার দাদু ভাইয়াকে মেরে ছিলে। আমি তোমাদের কাউকে ছাড়বো না বলে বের হযে গেলেন দাদু।তখনি ফুপি বলল,
—-জেনি বাবাকে থামা নয়তো সব খেলা শেষ করে দিবে।
তখনি জেনি দৌড়ে যেতে নেয় আমি পথ আটকাই।তখনি ফুপি এসে চুল টেনে হিচরে খাটে ফেলে দেয়। আমি খাটের কিনারায় গিয়ে বারি খাই।আর জেনি দৌড়ে গিয়ে দাদুকে ধরে বলল,
—-উফ। বুড়ো হয়েছিস কিন্তু পা দুটোর শক্তি কমে নি হুম?
বলে ধাক্কা মেরে সিড়ি থেকে ফেলে দেয়। আর বলতে লাগে,
—-নে এবার সারা জীবনের জন্য শক্তি হারিয়ে যাবে।
আমি রুম থেকে দাদুর চিৎকার শুনে দৌড়ে বের হয়ে আসি। দেখি দাদু নিচে পরে ছটফট করছে।
—-দাদু..!বলে চিৎকার করে আমি কাছে যাতেই তার আগেই ফুপি আমাকে টেনে হিচড়ে তার কাছে নিয়ে আসেন।আমি কাঁদতে কাঁদতে বললাম,
—-ফুপি দাদুকে হাসপাতালে নিতে হবে প্লীজ ফুপি উনি তো আপনার বাবা। উনাকে বাচ্চান।
ফুপি হেচকি দিয়ে হাসতে হাসতে বললেন,
—-উনি আমার সৎ বাবা। মরলেও আমার কিছু যায় আসে না।
আমি অবাক হলাম।
—-প্লীজ ফুপি দাদুকে বাঁচান। এতটা নিষ্ঠুর হোয়েন না।মানবাতা বলে কিছু তো আছে?
—-এক শর্তে?
আমি চোখ মুছে বললাম,
—-কি?
—-এখাাে সাইন কর..! একটি কাগজ এগিয়ে দিয়ে।
আমি কাগজ দেখে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে বলি,
—-এটাতো ডিভোর্স পেপার?
জেনি বলল,
—-হে। এখন সাইন কর। আর বিদেয় হয়। যদি এই বুড়োকে বাঁচাতে চাস।
দাদু মৃদু আওয়াজে অনেক কষ্টে বলল,
—দাদু ভাই সাইন করিস না।

আমি দাদুর দিকে তাকালাম,
দাদুর মাথা ফেটে রক্ত ফ্লোর ভরে যাচ্ছে। কষ্ট লাগছে অনেক।তখন ফুপি বলল,
—-উনার হাতে বেশি সময় নেই। সাইন কর নয়তো জেনি রান্না ঘর থেকে শিল নিয়ে আয়। মাথা এক কেঁচা মারলেই শেষ।
এমন কথায় আমি আত্মকে উঠলাম।
জেনি সাথে সাথে শিল নিয়ে এলো।
ফুপি বলল,
—তিন পর্যন্ত কাউন্ট করব…! তার মাঝে সাইন না করলে তোর দাদু ইদুর, চিকার খাবার হবে।
আমি কি করবো বুঝতে পারছি না। এক দিক আমার ভালবাসা অন্য দিকে একটি প্রাণ। আমি দাদুর দিকে অসহায়ের মতো চেয়ে রইলাম। দাদু ব্যথায় কাতরাচ্ছে। তখনি ফুপি কাউন্ট করতে লাগে।তিন বলার সাথে সাথে জেনি শিল দিয়ে কেঁচা দিতে নেয়।
তখনি আমি চিৎকার করি..!
—নাহহহহ। আমি সাইন করবো। সাইন করবো।
ফুপি মুচকি হেসে বলল,
—-নেও আমার আদরের বউ মা সাইন কর..!
আমি সাইন করে দিলাম।দাদু আমাকে মাথা নাড়িয়ে বার বার না করে যাচ্ছিল।আমি কান্না করতে করতে সাইন করে দিলাম। তখন জেনি আমাকে বাসা থেকে বের করে দেয়।

চলবে,
রহস্য সব খুলে দিচ্ছি।ধীরে একটু ধৈর্য ধরুন। সবকিছু জানতে পারবেন। সবকিছু ঝামেলা ১/২ পর্বে শেষ করে দিব। আপনাদের ইউসুফকেও ফিরিয়ে দিব। ধন্যবাদ ?

psycho_is_back? season 2part_21

0

psycho_is_back?
season 2part_21
#apis_indica

বারিশ এবার উঠে আমার সামনে এসে দাড়ালো। আমি ভয়ে দু কদম পিছিয়ে যেতেই সে আমার বাহু চেঁপে ধরে বলে লাগে,,
—কোনো ভদ্র মেয়ে এত রাতে বাড়ি ফিরে?
আমি তার হাত ছাড়াতে ছাড়তে বললাম,
—শেষ হতে দেরি হয়েছে।রিয়ান ভাইয়াও ছিল।
বারিশ আমাকে ঠাসস করে চর মেরে দেয়।আমি গালে হাত দিয়ে তাকিয়ে আছি বারিশের দিক।চোখ দিয়ে দু ফোটা পানি পরতে লাগলো আমার।তখনি বারিশ আমাকে ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে বলতে লাগে,
—-এসব কত দিন ধরে চলছে বল..!
আমি অবাক হয়ে বললাম,,
—-কি সব?
বারিশ আবার ধাক্কা মারে। আমি দেয়ালের সাথে বাড়ি খাই। তখনি সে আমার কাছে এসে গাল চেপে ধরে বলতে লাগে,
—অভিনয়ত ভালই জানিস দেখছি? তুই কি ভাবিসরে আমাকে ধোকা দিবি? রাত বিরাতে রঙোলিলা করবি? আর আমি টের পাবো না??
আমি বারিশের হাত গাল থেকে ছাড়িয়ে চিল্লিয়ে বলতে লাগি,,
—-কি যাতা বলে যাচ্ছেন আপনি??
এবার বারিশ আমার চুলের মুঠি শক্ত করে ধরে বলতে লাগে,,
—-একদম চিল্লাবি না।কণ্ঠনালী ছিড়ে ফেলবো তোর?ছাড় দিয়েছি বলে যা ইচ্ছা করে বেড়াবি..!
আমি এবার ব্যথায় কান্না করে বললাম,
—আমি কী করেছি বারিশ? প্লীজ আমায় ছেড়ে দিন কষ্ট হচ্ছে আমার।
বারিশ এবার আরো জোড়ে টেনে ধরে বলল,
—-লাগুক ব্যথা। লাগার জন্যই ধরেছি তোরে। আরে তোরে কতটা ভালবসা দিয়েছি আমি।আর তুই অন্য পুরুশের সাথে ঢলাঢলি করবি আমি বুঝতে পারবো না ভেবেছিস?
—-আমি কিছু করি প্লীজ বারিশ আমায় ছাড়েন।
—-কিছু করিস নি না? তো টিনার পার্টিতে ওই ছেলের হাতে হাত ধরে বসেছিলিস কেন? সে তোকে কি বলছিল, আমাকে ছেড়ে দিতে, এত সাহস তোর? আমাকে ছেড়ে দিবি?
—-কি বলছেন আপনি? ও তো আমার ফ্রেন্ড ছিল। ও মাকে লাইক করতো ছোট থেকেই, আমি শুধু তাকে বুঝাচ্ছিলাম লাইফে মুভড ওন করতে..!
—-আচ্ছা তাই নাকি তুই বড় এডভাইস্যার হয়েগেছিস হুম।
বলে আরো জোরে টান দিল চুল।
ব্যথায় কুকিয়ে উঠছি বার বার।
তখন বারিশ আবার বলে,
—-আচ্ছা ঠিক আছে মানলাম তুই ধোয়া তুলশী পাতা। তো মাত্র নীচে কি হলো? ও তোকে জড়িয়ে ধরলো..!আর তুই কোনো চুপ করে ছিল কেন বল? কি হলো বল?
আমি কি বলবো বুঝতে পারছি না বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি আমি।শুধু নিরবে চোখের পানি ফেলছি..!
তখন বারিশ আবার বলল,
—-ওই এখন কেন চুপ কেন বল? কি হলো বলিস না কেন??
লাষ্ট কথা গুলো ধমকের সুরে বলতে লাগে বারিশ, কেঁপে উঠি আমি। আর কাঁদতে কাঁদতে বলি,
—-বিশ্বাস করেন বারিশ আপনি যা ভাবচ্ছেন সব ভুল আমি কিছু করেনি।
—-আমি যা দেখেছি সব ভুল হুম?
—-কখনো কখনো চোখের দেখা ভুল থাকে বারিশ!
—-ওহো তাই? তুই রঙ লিলা করবি রাত বিরাতে আর আমি দেখলেই দোষ। এই সত্যি করে বলতো? এই যে দিন রাত ইউসুফ ইউসুফ করতিস? এত ভালবাসার তবজি জবতিস গেল কই সব? আমার টা নাহ বাদ দিলাম। কই গেল সেই সতী, সাবিত্রী গিরি। হুম বল..! দাঁতে দাঁত চেপে বলল কথা গুলো বারিশ।
—-প্লিজ বারিশ বিলিভ মি?
—-তোকে বিলিভ করবো?আরো?
আমি এবার ফুফাতে ফুফাতে বললাম,
—-আমার কথা বিশ্বাস করছেন না তো। আপনি আমি আমি আশিকে কল করছি তাকে জিগ্যেস করে দেখুন।
বারিশ এবার আমায় ছেড়ে সোফায় গিয়ে বসে পরলো পা দুটো টেবিলের উপর দিয়ে, তখন বলল,
—-কর ফোন দেখি তোর ভাতার কি বলে?
বারিশের কথা, ব্যবহার শোনে বুক ফেঁটে যাচ্ছে আমার।কিভাবে তার ভালবাসাকে সে অবিশ্বাস করতে পারে।আরিশ আবার ধমক দিয়ে বলে,
—কি হলো দাড়িয়ে আছিস কেন? কল দে?
আমি কাঁপা কাঁপা হাতে কল দেই আশিক কে..!
কিছুক্ষণ কল হতেই আরিশ বলল,
—লোউডস্পিকার ওন কর?
আমি তাই করলাম।ওপাশ থেকে আশিক বলতে লাগে,,
—-জান কি হয়েছে? মিস করছিলে বুঝি? মাত্রই না আসলাম।
আমি আশিকের কথা অাকাশ থেকে পরলাম। কি বলছে এসব ওই। আমি ইউসুফের দিক তাকালাম সে চোখ মুখ শক্ত করে বসে আছে।আমি সাথে সাথে বললাম,,
—-কি বলছো এসব আশিক? মাথা খারাপ হয়ে গেছে নাকি?
—-ওহো সরি? তোমার ওই তার ছিড়া বড় টা বুঝি আশেপাশে আগে বলবা না।
—-আশিক মিথ্যা কেন বলছো??
—-আরে মিথ্যা কেন বলব?আর তুমি কাঁদছো কেন? ওই সাইকো কিছু বলেছে জান? কতবার বললাম চলে এসে আমার কাছে? কিন্তু তুমি..! যেহেতু কিছু দিন পর চলে আসবেই তো আজই এসে পর? জানো তোমার সাথে রাত কাঁটানোর পর আর একা থাকতে ইচ্ছে হয় না আমার..!!
—–কি বলছো তুমি আশিক এসব? তোমার মিথ্যা কথার জন্য আমার সংসার ভেঙ্গে যাবে?
—–শুন তুমি এত অভিনয় করতে পারো? কি বলবো? বুঝি না কখনো কোন চরিত্রে থাকো? তুমি নিজেই তো ওকে ডিভোর্স দিবে বলে ছিল। আর এখন..! যাই হোক আমি আর ওয়েট করতে পারছি না প্লীজ বেবী তাড়াতড়ি চলে আসোম কত দিন তোমার সাথে একান্ত সময় কাটাই না। উফ..! এখনো আমাদের সেই ফাস্ট নাইটের কথা মনে হলেই মরীরে আলাদা শিহরন দিয়ে উঠে, তোমার সেই পায়ের তিলটা উফ মাথা নষ্ট করে…!
আর কিছু বলার আগে বারিশ ফোন নিয়ে আছার মারে। সাথে সাথে দু খন্ড হয়ে যায়। আমি ভয়ে ভয়ে বারিশের দিকে তাকাই। বারিশ আমার দিকে ভয়ঙ্কর ভাবে তাকিয়ে আছে চোখ গুলো লাল হয়ে আছে। ঘারের আর মাথার রগ ফোলে গেছে। সে এবার শীতল কন্ঠে বলে উঠে,
—-তো এই কারনে আমার কাছে আসি না তুই? বলে আমার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো। আমি পিছাতে পিছাতে বললাম,
—-বিশ্বাস করুন বারিশ আশক সব মিথ্যা বলছে।
—-তুই সত্যবাদী তাই না? তাহলে তোর তিলের খবর ওই কেমনে জানে?
আমি কি বলবো বুঝতে পারছিনা। আরিশের এই ভয়ানক রূপ দেখে ভয়ে হাত পা কাঁপছে। জানা হয়ে গেছে আজ আমার রক্ষে নেই। আমি তাই পিছনে ঘুরে দরজার দিকে দৌড় দেই।তখনি বারিশ হেচকা টান মেরে ফ্লোরে ফেলে বেল্ট খুলে নেয়।
আমটি কাঁদতে কাঁদতে বলি,
—-বারিশ আমাকে ছেড়ে দিন। বারিশ আহ্.!
বারিশ এবার বেল্ট দিয়ে মারতে লাগলো আমাকে।
আমি ব্যথা কুকিয়ে উঠতে লাগলাম। আর বলে যাচ্ছি,,
—-প্লীজ ছেড়ে দিন বারিশ। আমি কিছু করি নি..!
কিন্তু বারিশের কানে যেন যাচ্ছেই না।
সে মেরেই যাচ্ছে।
বারিশ মারছে আর বলছে,
—-তোকে মনের মাঝে জায়গা দিয়েছি আর তুই?
তুই আজ আমার সব বিশ্বাস ভেঙ্গে দিলে?আজকের পর থেকে আমার থেকে মুক্তি পাওয়া চিন্তা ছেরে দে।তুই আমার কলিজা টুকরা টুকরা করে দিলি।এই জন্য তুই কখনও আপন করে নিতিস না..! নাহহহহহ!
বারিশ এবার বেল্ট ফালিয়ে আমাকে টেনে তুলল। আর জড়িয়ে ধরে কাঁদে দিল। আর বলল,
—-বাবুইপাখি কেন ঠাকালি আমায়?? কেন??
আমি কিছু বলব সে ক্ষমতা আমার নেই। শরীরের শক্তি নেই..!আমি লেপ্টে আছি। আর বুলি আওড়াচ্ছি। আমি কিছু করিনি বারিশ।বারিশ আমাকে ধাক্কা দিয়ে বের হয়ে যায়। আমার সারা শরীর সহ্য যন্ত্রনা করছে। অনেক জায়গা কেঁটেও গেছে।ধীরে ধীরে চোখ বুঝে আসলো আমার।

এসব কিছু বাহির থেকে ফুপি দেখে মিটমিট করে হাসচ্ছে।যাক আজ তার শান্তি লাগচ্ছে।সম্পর্কের মাঝে যখন কোনো তৃতীয় ঢুকে যায়।তখনি সম্পর্কে ফাঁটল ধরতে শুরু করে।আর সন্দেহ যখন সম্পর্কে ঢুকে যায়, তখন সেই সম্পর্টা ভেঙ্গে গুড়ো করে দেয়।প্রতিটি মানুষের লাইফে একটি হলেও ভিলেন থাকেই। হোক গল্প, কাহিনীতে, বা রিয়াল লাইফে।
এই কাজ গুলোই বেশীর ভাগ সময় আপন মানুষ গুলোই করে থাকে।তারা যেন এ সকল কাজে পৈশাচিক আনন্দ পেয়ে থাকেন।

চলবে,
(খুব তাড়াতাড়ি শেষ করে দিব। আপনাদের সাড়া দেখেই বুঝতে পারছি স্টোরি আর ভাল লাগচ্ছেনা। তাই আর একটু কষ্ট করেন। ধন্যবাদ)

psycho_is_back? season_2part_20

0

psycho_is_back?
season_2part_20
#apis_indica

সকাল থেকে বারিশের সাথে কথা বলার ট্রাই করে যাচ্ছি কিন্তু সে আমাকে পাত্তাই দিচ্ছে না। কি রাগ বাবা গো?তার উপর টিনা ফোনের উপর ফোন করেই যাচ্ছে যাওয়ার জন্য। কি করব ভেবে পাচ্ছি না। তখনি বারিশ রুমে ঢুকে। আমি বিছানায় চুপটি করে বসে তাকে দেখছি। আজ সে অফিস যায়নি,রাতে খুব কাঁপুনি দিয়ে জ্বর এসেছিল তার।সকালে হলকা জ্বর থাকায় দাদু যেতে নিষেধ করে দিয়েছেন।দাদুর কথা বারিশের জন্য পাথরের লাকির স্বরূপ। বারিশ একটা ফাইল নিয়ে বের হতে যাবে তার আগেই দরজা লাগিয়ে তার সামনে দাড়িয়ে পরি।বারিশে ভ্রু কুচঁকে বলতে লাগে,
—-কি সমস্যা?
আমি মাথা নারলাম, মানে সমস্যা নেই..!
—-দরজা থেকে সর, যেতে দেও।
—-না মানে একটা কথা ছিল।
—-কি কথা?
—-আজ টিনার বার্থ ডে..!
—-তো আমি কি করবো?
—-কিছু না। ওই ইনভাইট করেছে।
—-তো যাও আমাকে কেন বলছো?
আমি মিনমিন করে বললাম,
—-আপনাকেও যেতে বলছে।
বারিশ বিরক্তি সুরে বলল,
—-লিসেন, আমার এতো ফালতু সময় নেই যতসব। বলে আমাকে দরজার সামনে থেকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়। আরিশ।কষ্ট লাগে খুব কেমন ব্যবহার টাই না করছে আমার সাথে।আমি একাই যাবো।

আমি সুন্দর একট লাল খয়েরী শাড়ি পরে নিচে নামলাম। আরিশ তখন হলে বসে কাজ করছিল। আমাকে দেখে চোখের চশমা খুলে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে রইল। আমি ভাব দেখিয়ে নিচে নেমে তার সামনে দিয়ে চলে আসলাম তাকালামো না। কেন তাকবো? তাকাবো না। মোটেও না। বলে তাও আড় চোখে তাকালাম। উনি তাকিয়েই আছেন।

বাহিরে বের হয়ে দেখি রিয়ান ভাইয়া গাড়িতে উঠছেন।
—ভাইয়া। টিনার বার্থ ডেতে যাচ্ছেন?
—-হুম..! তুমি?
—-হে।
—-একা যাচ্ছো? ভাইয়া কই..!
আমি মলিন হেসে বললাম,
—-কাজ করছেন।
—-চলো তাহলে এক সাথে যাই।
—-আচ্ছা।

এদিকে বারিশ এখনো হা হয়ে বসে। ইস তার বাবুইপাখিকে কত যে সুন্দর লাগচ্ছিল।
—-কি করছিস বাবা?
বারিশের ভাবনায় ছেদ পরে ফুপির কথায়।
মুচকি হেসে বলল,
—-অফিসের কাজ করছিলাম। কিছু বলবে?
ফুপি আমতা আমতা করে বলল,
—-কি ভাবে যে বলি?
—-টাকা লাগবে ফুপি।
—-না না কি যে বলিস। মাসের শুরুতে যা দিস তাও থেকে যায় আমার কাছে।
—-তাহলে?
—–বউ মার বেপারে বলতাম,
বারিশ এবার কাজ রেখে ফুপির দিক তাকায়।
ফুপি নড়েচড়ে বসে বলে উঠে,
—-ছোট থেকে মানুষ করেছি তোকে, ভাল, মন্দ সুখে, দুঃখে অসুখে বিসুখে তোর সাথেই ছিলাম। রিয়ান থেকে কমট ভালবাসি নি তোকে।
—-ফুপি কি বলতে চাও সোজাসুজি বলতো?
—-বলতাম না তোকে, তুই আমার ছেলের মতো। সব মা তার ছেলের ভালই চায়।বিশ্বাস করবি কিনা জানি না বাপু।
—-এখনো তো বললেই না ফুপি বিশ্বাস তো পরের কথা।
ফুপি এবার আঁচল ভাল করে টেনে বলতে লাগে,
—-মানে, তুই বাসা না থাকলে কুহু রোজ বের হয়ে যায়।
বারিশ এবার ফাইটলে নজর দিয়ে বলতে লাগে,
—যানি সেটা ওই ভার্সিটিতে যায়।
—-তা আমি যানি তা বলি নি মাঝে যখন তুই বাসায় থাকিস না। তখন এবাবেই সেঁজে গুজে বের হয়ে যায় কুহু।
বারিশ ভ্রু দুটো কুঁচকে বলল,
—-ফুপি কি বলতে চাইছো সরাসরি বলোতো..!
ফুপি এবার ভয়ে ভয়ে বলল,
—-মানে প্রায় তুই বাসায় না থাকলে কুহু এভাবে সেজে গুজে বের হয়ে যায়। রাতে একটি ছেলে নামিয়ে দিয়েও যায়। তোকে বলতাম না। হয়তো জানিস সব তুই। কিন্তু আমরা তো সমাজে থাকি বিয়ের পর জামাই ছাড়া রাত বিরাতে কোনো পর পুরুশের সাথে মেলা মেশা ভাল দেখায় না তাই বললাম। তোরা আধুনিক হতে পারিশ।বউকে এক এদিক ওদিক ছাড়তে পারিস, কখন কি করছে বলাতো যায়।আজ যে গেল হতেো পারে অন্য কার সাথে..! যাই হোক তোরা ডিজিটাল যুগের কিন্তু সমাজ এখনো সেকেলেই আছে বাবা।
ফুপি এবার বারিশের দিকে তাকালো। বারিশ হাত মুষ্ঠি বদ্ধ করে আছে। কপালের রগ ফুলে উঠেছে। কিন্তু কিছু বলছেন না। তিনি যে আরো সাহস পেলেন। এবং কুহুর নামে যাতা বলে গেলে উঠে গেলেন তিনি।
বারিশের মনে ফুপির বলা কথা গুলো ঘুরছে। সে কি করবে? সে তো তার বাবইপাখিকে চিনে..! সে তো এমন না..! আর ফুপি? তার কি লাভ মিথ্যা বলে? মাথা ফেটে যাচ্ছে বারিশের। মনের মাঝে না চাইতেও সন্দেহ সৃষ্টি হচ্ছে তার।কি করবে?
বারিশ রেডি হয়ে বের হয়ে যায়। উদ্দেম্য টিনার বার্থ ডে পার্টি।

পার্টিতে এসেছি অনেকক্ষণ। টিনা একটু পর কেক কাটবে। টিনা আর রিয়ান জুটি কি নুন্দর লাগচ্ছে। খুব মিস করছি বারিশকে। ইশ্ এখন আমার পাশে থাকলে কত ভাল হতো। সবাই বলতো মেইড ফর ইচ আদার। এসব বলে নিজেই হেসে দিলাম। তখন পিছন থেকে কেউ বলল,
—-ও মা কুহু যে??
পিছনে ফিরে দেখি আশিক আর শুভ ভাইয়া দাড়িয়ে।আমি তাদের দেখে হেসে বললাম,
—-কেমন আছো শুভ ভাইয়া? আর আশিক তুমি এভাবে মুখ ভার করে কেন আছো।
শুভ ভাইয়া হাসতে হাসতে বলল,
—-মজনুর মন ভেঙ্গেছে তাই।
আমি চুপ করে গেলাম। কারণ আশিক আমাকে লাইক করতো। কতবার প্রপোজ ও করেছে।কিন্তু হে বলতে পারিনি। কারণ মার মনে প্রাণে জুরে শুধু ইউসুফ ওরফ বারিশ ছিল।

আমি আর আশিক একটা টেবিলে বসে আছি,
—-তা কেমন আছো কুহু.!
আমি হেসে বললাম,
—–ভাল তুমি?
—–ভাল থাকার কারণ তো নেই আমার কাছে কেমনে ভাল থাকি?
—–দেখ আশিক হয়তো যেন গেছো আমার বিয়ে হয়ে গেছে। এমন কি আমার বাসায় কাউকে বলিনি এখনো। এখন আর ওয়েট করো না। ইনা তোমাকে অনেক ভালবাসে।তার লাইফে ফিরে যাও।
তখনি আচমকা আশিক আমার হাতে হাত রেখে
বলতে লাগে,,
—-ছেড়ে দেও তোমার হাজবেন্ডকে কুহু। আমি তার থেকে তোমাকে অনেক ভাল বাসবো, আর অনেক সুখে রাখবো।
আশিকের এমন কাজে অবাক হয়ে যায়। সে হাত ছাড়াতে ছাড়াতে বলে উঠে,
—–আশিক পাগলামি করো না। আমি আমার বরকে অনেক ভালবাসি। দুনিয়েতে না শুধু তাকে আমি ইহো কাল পরকাল সব জায়গায় তাকরই চাই। বলে উঠে চলে আসলাম।এ ছেলেটা দিনদিন পাগল হয়ে যাচ্ছে।।

পার্টি শেষের দিকে এবার যাওয়া পালা। কিন্তু বিপত্তি ঘটলো এখানে, টিনা আর রিয়ান আজ একে অপরের সাথে আলাদা টাইম স্পেন্ড করবে।তাই চলে গেল তারা। রাত একটা ছুই ছুই। ড্রাইভার কে কল দিয়ে বলে দিয়েছিল রিয়ান আসার জন্য।কিন্তু গাড়ি অর্ধেক রাস্তায় নষ্ট হয়ে যাওয়াতে আসতে পারছে না।আর বারছে। মোটামোটি সবাই চলে গেছে।তখন আশিক ও বের হচ্ছিল তার বাইক নিয়ে।তখন টিনা বলল,
—-আশিক ওকে একটু পৌছে দেবে?
আশিক কিছু বলার আগেই আমি বললাম,,
—–নারে দোস্ত আমি যেতে পারবো টেক্সি ডেকে দিলেই হবে।
—-পাগল হইসিস এত রাতে তোকে একা ছাড়বো।
তখন রিয়ান বলল,
—-ভাবি ও তো তোমার ছোট বেলার ফ্রেন্ড সমস্যা কি চলে যাও।
সবার জোরা জুরিতে আশিকের বাইকে উঠলাম।

অন্দকার রুমে বসে আছে বারিশ। মাথার মাঝে তখনের সিন ভাসচ্ছে। কুহুকে একটি ছেলে হাত দরে বলছে, ভালবাসি, আর আরিশকে ছবড়ে দিতে।তখন টিনার পার্টিতে গিয়ে এসব দেখে মাথা নষ্ট হয়ে গেছে তার।কুহুকে এতটা ভালবাসা এতটা স্বাধীনতা কি তাকে ছেড়ে যাওয়ার জন্য দিছে নাকি, তাকে ফেলে অন্য কাউকে ভালবাসার জন্য? এই জন্যই কি তাকে কুহু আপন করে নিতে পারে না..!মাথাটা ফাকা ফাকা লাগচ্ছে বারিশের।তাই বেলকনিতে গেল সে।

বাইক এসে গেটের সামনে দার করালো আশিক কুহু সাথে সাথে আসি বলে চলে আসতে নিলো। তখনি আশিক হেচকা টান দিয়ে জড়িয়ে ধরে কুহুকে। এতে কুহু ভয় পেয়ে যায়।সাথে সাথে নিজেকে ছাড়াতে ব্যস্ত হয়ে পরে সে। তখন আশিক বলে,
—-ভাল থেকে কুহু। লাভ ইউ।
বলে ছেড়ে দিল। কুহু আর দারালো না দৌড়ে ভিতের চলে গেল।ভয়ে বুক ধুকধুক করতে সে।

কুহু রুমে ঢুকতেই দেখে আরিশ সোফায় পা তুলে বসে আছে। তার চোখ, মুখে হিংস্রতার ছাপ।এ রূপ সে দেখছিল সেই ১ মাস আগে তাকে যখন বিয়ে করে চিল বারিশ।

বারিশের এই রূপ দেখে মেনের মাঝে ওজানা ভয়ের জানান দিচ্ছে। ভয়ে ঢুক গিলে তার সামনে আসতেই বারিশে গম্ভীর ভাবে প্রশ্ন করলো,
—-রাত কটা বাঁজে??
আমি ভয়ে ভযে বললাম,,
—-সরি। আসলে সব ফ্রেন্ডসদের সাথে অনেক বছর পর দেখা হলো তাই..!!
বারিশ এবার হুংকার ছেড়ে বলল,,
—-আমি জিগ্যেস করছি কটা বাঁজে?
আমি বারিশের এমন হুংকারে কেঁপে উঠি।মিন মিন করে বলি,
—-পনে দুটা।
বারিশ এবার উঠে আমার সামনে এসে দাড়ালো। আমি ভয়ে দু কদম পিছিয়ে যেতেই সে আমার বাহু চেঁপে ধরে তার সামনে এনে বলে লাগে,,

চলবে..!

Psycho_is_back? season_2part_19

0

Psycho_is_back?
season_2part_19
#apis_indica

দেখতে দেখতে সাত দিন কেঁটে গেল। এই সাত দিনে সব নরমাল থাকলেও নরমাল ছিল না আমার ফুপি শাশুড়ি। আমার সাথে তেমন কথা বলতেন না তিনি..এরিয়ে চলতেন খুব। আবার ইশারা ইঙ্গিতে খুব কথা শুনাতেন তিনি, মাঝে মাঝে বাবা-তুলে গালি গালাজ করতেন।খুব কষ্ট হত কিছু বলতেো পারতাম না।এর মাঝে জেনির ভাই এসে জেনিকে নিয়ে যায়। জেনি হচ্ছে ফুপির পাতানো ভাইয়ের মেয়ে..!! কোনো এক ট্রেন জার্নিতে পরিচয় হয়েছিল তাদের।জেনির ভাই রনি যাকে আমার মোটেও ভাল লাগেনি। লোকটার তাকানো আমার জন্য খুব অস্বস্তিকর তৈরি করছিল। তিনি এমন ভাবে তাকাতেন, যেন চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছেন। দেখলে মন চাইত জুতা পিটা করতে। সত্যি যদি আমাকে একদিনের জন্য কেউ প্রধানমন্ত্রী করতো, তাহলে আমি প্রথম এমন ব্যক্তিদের মৃত্যুদণ্ড দিয়ে দিতাম..! এমন কিছু মানুষের জন্যই আজ কালকের মেয়েদের ধর্ষণের শিকার হতে হয়। আফসোস…!এমনটা হবার নয়। ছোট শ্বাস বেরিয়ে এল আমার। বেলকনিতে দাড়িয়ে এসব ভাবছিলাম তখনি বারিশ পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলতে লাগে,
—-কি করছে আমার বাবুইপাখিটা??
বারিশের বাবুইপাখি ডাকটা প্রতিবার বুঝিয়ে দেয় ইউসুফ আমার সাথে হারিয়ে যায় নি…!!তার স্মৃতি হারিয়ে গেলও, তার স্বাভাব,আচরণ, ব্যবহার কোনোটাই পরিবর্তন হয়নি…!প্রতিবারের মত এই ডাকটি মনে দোলা দিয়ে উঠে..!আমি তার দিকে ঘুরে তার গলার পিছনে দু হাত দিয়ে বেঁধে বলতে লাগি,
—-তেমন কিছু না!
বারিশ তার দু হাত দিয়ে আমার কোমরে চাপ দিয়ে আরো কাছে নিয়ে আসল, আর বলল,
—-তাই বুঝি..!!আমাকে মিস করছিলেনা..!
আমি ভাব নিয়ে বললাম,
—-আপনি কে? যে মিস করবো হুম…!!
বারিশ ভ্রু কুচকে মুখে দুষ্ট দিয়ে বললো,
—-তাই, বুঝি..!!বলে আমাকে সুড়সুড়ি দিতে লাগলো। আমার শরীরে এমনিতে অনেক সুড়সুড়ি…! তার হঠাৎ এমন আক্রমনে আমি অবাক হয়ে যাই। মুহুর্তে হেসে কুট কুট হতে হতে বলি,
—-বারিশ আর না প্লিজ। এববার আমি হাসতে হাসতেই মরে যাবো..! প্লিজ না…!বারিশ…!
বারিশ আমার কথা শুনে টাইট করে জড়িয়ে ধরলো।আর বলতে লাগল,
—-বাবুইপাখি এসব আর বলবে না..!
—-কি বলব না..!
—-তোমার মরার কথা আর বলবে না। কষ্ট হয় খুব আমার..!
—–আচ্ছা বাবা সরি..! এত সেন্টি হচ্ছেন কেন? আছি তো আপনার পাশে।
—-হুম।আর কখনো এসব বলবে না..!
বলে কপালে চুমু খেল বারিশ।আমি সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে ফেললাম।
তখন বারিশ বলল,
—-বাবুইপাখি..! আই নিড ইউ…!
আমি সাথে সাথে চোখ মেলে তাকাই তার দিকে..!সে তখন নেশাময় কন্ঠে বললেন,
—-প্লিজ..!
আমি কিছু বলবো তার আগেই বারিশ আমার গলায় মুখ ডুবিয়ে দেয়। কিন্তু আমি সাথে ধাক্কা মেরে দেই। কিন্তু বারিশ তার নেশা কাতর কন্ঠে বলে উঠে,
—-প্লিজ বাবুইপাখি আজ না কর না…!
আমি কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বললাম,,
—–বারিশ আমার কিছুটা সময় লাগবে, প্লিজ বারিশ ট্রাই টু আন্ডারস্ট্যান্ড?
বারিশের যেন আমার কথা কানে যাচ্ছে না..!!তিনি মনে হচ্ছে মাতাল হয়ে যাচ্ছে। আমি এবার জোড়ে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে বলতে লাগি,
—-প্লিজ বারিশ..!
বারিশ হয়ত এমন কিছু আশা করে নি। সে ভাবল কুহু লজ্জা পাচ্ছে নয়ত ভয় তাই এমন করছে। বারিশ মুচকি হেসে, আমার দু গালে হাত রেখে বলতে লাগে,,
—-বাবুইপাখি ভয় পাচ্ছো কেন?আমি আছি তো..!
বলে এবার ঠোঁটে চুমি দিতে গেল, আমি তাকে ধাক্কাচ্ছি। তার যেন কানে কোনো কথাই যাচ্ছিল না। এক প্রকার ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এর মাঝে হুট করেই বারিশের গালে আচমকা চর লেগে যায়।
চর খেয়ে বারিশ হতভম্ব হয়ে যায়।আমি নিজেই অবাক হয়ে গেলাম এ আমি কি করে বসলাম।বারিশ গালে হাত দিয়ে বলতে লাগে,
—-তুমি আমাকে মারলে..!!
আমি এবার কাঁদোকাঁদো হয়ে বললাম,
—-আম সরি আমি ইচ্ছে করে করি নি..! কেমনে জানি..!!
বারিশ আমাকে বলতে না দিয়ে হাত উঁচু করে থামিয়ে দেয় আর গম্ভীর গলায় বলে,
—-আমার দোষটা কি বলবে? ভালবাসার মানুষকে আপন করে পেতে চাওয়া কি খুব দোষ..! একটা মাস হয়ে গেছে আমাদের বিয়ের আর এর মাঝে যত বার তোমাকে কাছে পেতে চেয়েছি ততবার তুমি কিছু না কিছু করেছো..! আজতো…!
আমার চোখ দিয়ে পানি পরতে লাগলো। সত্যি আজকে বারিশকে আমি অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলেছি।আমি বারিশে কাছে যেতেই সে দু কদম পিছিয়ে যায়। আর বলতে লাগে,
—-নাহ! আমার কাছে আসবে না..!আর না আমি তোমার কাছে আসবো..!
বলে সে বের হয়ে চলে গেল..!
আমি সেখানেই বসে পরে কাঁদতে লাগলাম।দু হাত দিয়ে নিজের গালে চর মারতে লাগলাম ইচ্ছা মত। কি করে বসলাম আমি..!নিজের ভালবাসার মানুষের গায়ে হাত তুললাম..!যে হাত দিয়ে মেরে ছিলাম সে হাতকে আর রাখবো না। সামনে থাকা কাঁচের ফুলদানী ভেঙ্গে তার টুকরো দিয়ে হাত কেঁটে ফেলি। সাথে সাথে ফিনকী দিয়ে রক্ত বের হয়ে ভেসে যাচ্ছে পুরো ফ্লোর..!! ধীরে ধীরে আমি সেখানেই শুয়ে পরি..!!চোখের সামনে সব ঘোলা হয়ে আসচ্ছে আমার।
?
তীব্র অালো চোখে পরতেই ঘুম ভেঙ্গে যায় আমার। চোখ মেলে দেখি সকাল হয়ে গেছে, আমি বেলকনির ফ্লোরে শুয়ে আছি। ফ্লোরে রক্ত শুকিয়ে আছে।আমি উঠে বসি। মাথা টা ঝীম জীম করছে, উঠে ঘরে উঁকি দেই। নাহ্ বারিশ নেই। হযত চলে গেছে। কালকের কথা মনে পরতেই চোখ দুটো ভিজে উঠলো আমার। নিজের দোষে আপন মানুষকে কষ্ট দিয়ে ফেলছি বার বার।ফোনের রিং বাজতেই ভাবনায় ছেদ পরে, মনে হলো বারিশ কল দিয়েছে ফোন তুলে দেখি টিনা কল করেছে।কল রিসিভ হতেই টিনা বলল,
—-দোস্ত কই তুই?
—-বাসায়..!
—-এখনো বাসায় ভুলে গেছিস আজ পরিক্ষা?
—-সত্যি ভুলে গেছিলাম। তুই কই?
—-আমি বের হয়েছি বাসা থেকে,,তাড়াতড়ি আসিস.!
—–আচ্ছা।
ফোন কেঁটে রেডি হয়ে নিচে চলে আসলাম।টেবিলে দাদু ব্রেকফাস্ট করছিল আমাকে দেখে বলল,
—-আরে দাদু ভাই আয় নাস্তা করে নে।
আমি মুচকি হেসে বললাম,,
—-দাদু ভাই লেট হয়ে গেছে, বাহিরে খেয়ে নিব..!
দাদু বলল,
—-আচ্ছা। তা বারিশ কই? আজ এত লেট হচ্ছে ওর?
আমি অবাক হয়ে গেলাম। তাহলে কি রাতে বারিশ বাসা থেকে বের হয়ে গেছিল?আমি চাঁপা হেসে বললাম,
—-উনিতো সকালে চলে গেছেন, কি জানি কাজ ছিল তার।।
—-আচ্ছা।
আমি দাদুকে বাই বলে চলে আসি।আর ভাবতে লাগি, তাহলে কি বারিশ রাগ করে আর বাসায় ফিরে নি..!কিন্তু উনি গেল কই? এমন তো কখনো করেন।
#Psycho_is_back?
#season_2
#apis_indica
#part_19
দেখতে দেখতে সাত দিন কেঁটে গেল। এই সাত দিনে সব নরমাল থাকলেও নরমাল ছিল না আমার ফুপি শাশুড়ি। আমার সাথে তেমন কথা বলতেন না তিনি..এরিয়ে চলতেন খুব। আবার ইশারা ইঙ্গিতে খুব কথা শুনাতেন তিনি, মাঝে মাঝে বাবা-তুলে গালি গালাজ করতেন।খুব কষ্ট হত কিছু বলতেো পারতাম না।এর মাঝে জেনির ভাই এসে জেনিকে নিয়ে যায়। জেনি হচ্ছে ফুপির পাতানো ভাইয়ের মেয়ে..!! কোনো এক ট্রেন জার্নিতে পরিচয় হয়েছিল তাদের।জেনির ভাই রনি যাকে আমার মোটেও ভাল লাগেনি। লোকটার তাকানো আমার জন্য খুব অস্বস্তিকর তৈরি করছিল। তিনি এমন ভাবে তাকাতেন, যেন চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছেন। দেখলে মন চাইত জুতা পিটা করতে। সত্যি যদি আমাকে একদিনের জন্য কেউ প্রধানমন্ত্রী করতো, তাহলে আমি প্রথম এমন ব্যক্তিদের মৃত্যুদণ্ড দিয়ে দিতাম..! এমন কিছু মানুষের জন্যই আজ কালকের মেয়েদের ধর্ষণের শিকার হতে হয়। আফসোস…!এমনটা হবার নয়। ছোট শ্বাস বেরিয়ে এল আমার। বেলকনিতে দাড়িয়ে এসব ভাবছিলাম তখনি বারিশ পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলতে লাগে,
—-কি করছে আমার বাবুইপাখিটা??
বারিশের বাবুইপাখি ডাকটা প্রতিবার বুঝিয়ে দেয় ইউসুফ আমার সাথে হারিয়ে যায় নি…!!তার স্মৃতি হারিয়ে গেলও, তার স্বাভাব,আচরণ, ব্যবহার কোনোটাই পরিবর্তন হয়নি…!প্রতিবারের মত এই ডাকটি মনে দোলা দিয়ে উঠে..!আমি তার দিকে ঘুরে তার গলার পিছনে দু হাত দিয়ে বেঁধে বলতে লাগি,
—-তেমন কিছু না!
বারিশ তার দু হাত দিয়ে আমার কোমরে চাপ দিয়ে আরো কাছে নিয়ে আসল, আর বলল,
—-তাই বুঝি..!!আমাকে মিস করছিলেনা..!
আমি ভাব নিয়ে বললাম,
—-আপনি কে? যে মিস করবো হুম…!!
বারিশ ভ্রু কুচকে মুখে দুষ্ট দিয়ে বললো,
—-তাই, বুঝি..!!বলে আমাকে সুড়সুড়ি দিতে লাগলো। আমার শরীরে এমনিতে অনেক সুড়সুড়ি…! তার হঠাৎ এমন আক্রমনে আমি অবাক হয়ে যাই। মুহুর্তে হেসে কুট কুট হতে হতে বলি,
—-বারিশ আর না প্লিজ। এববার আমি হাসতে হাসতেই মরে যাবো..! প্লিজ না…!বারিশ…!
বারিশ আমার কথা শুনে টাইট করে জড়িয়ে ধরলো।আর বলতে লাগল,
—-বাবুইপাখি এসব আর বলবে না..!
—-কি বলব না..!
—-তোমার মরার কথা আর বলবে না। কষ্ট হয় খুব আমার..!
—–আচ্ছা বাবা সরি..! এত সেন্টি হচ্ছেন কেন? আছি তো আপনার পাশে।
—-হুম।আর কখনো এসব বলবে না..!
বলে কপালে চুমু খেল বারিশ।আমি সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে ফেললাম।
তখন বারিশ বলল,
—-বাবুইপাখি..! আই নিড ইউ…!
আমি সাথে সাথে চোখ মেলে তাকাই তার দিকে..!সে তখন নেশাময় কন্ঠে বললেন,
—-প্লিজ..!
আমি কিছু বলবো তার আগেই বারিশ আমার গলায় মুখ ডুবিয়ে দেয়। কিন্তু আমি সাথে ধাক্কা মেরে দেই। কিন্তু বারিশ তার নেশা কাতর কন্ঠে বলে উঠে,
—-প্লিজ বাবুইপাখি আজ না কর না…!
আমি কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বললাম,,
—–বারিশ আমার কিছুটা সময় লাগবে, প্লিজ বারিশ ট্রাই টু আন্ডারস্ট্যান্ড?
বারিশের যেন আমার কথা কানে যাচ্ছে না..!!তিনি মনে হচ্ছে মাতাল হয়ে যাচ্ছে। আমি এবার জোড়ে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে বলতে লাগি,
—-প্লিজ বারিশ..!
বারিশ হয়ত এমন কিছু আশা করে নি। সে ভাবল কুহু লজ্জা পাচ্ছে নয়ত ভয় তাই এমন করছে। বারিশ মুচকি হেসে, আমার দু গালে হাত রেখে বলতে লাগে,,
—-বাবুইপাখি ভয় পাচ্ছো কেন?আমি আছি তো..!
বলে এবার ঠোঁটে চুমি দিতে গেল, আমি তাকে ধাক্কাচ্ছি। তার যেন কানে কোনো কথাই যাচ্ছিল না। এক প্রকার ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এর মাঝে হুট করেই বারিশের গালে আচমকা চর লেগে যায়।
চর খেয়ে বারিশ হতভম্ব হয়ে যায়।আমি নিজেই অবাক হয়ে গেলাম এ আমি কি করে বসলাম।বারিশ গালে হাত দিয়ে বলতে লাগে,
—-তুমি আমাকে মারলে..!!
আমি এবার কাঁদোকাঁদো হয়ে বললাম,
—-আম সরি আমি ইচ্ছে করে করি নি..! কেমনে জানি..!!
বারিশ আমাকে বলতে না দিয়ে হাত উঁচু করে থামিয়ে দেয় আর গম্ভীর গলায় বলে,
—-আমার দোষটা কি বলবে? ভালবাসার মানুষকে আপন করে পেতে চাওয়া কি খুব দোষ..! একটা মাস হয়ে গেছে আমাদের বিয়ের আর এর মাঝে যত বার তোমাকে কাছে পেতে চেয়েছি ততবার তুমি কিছু না কিছু করেছো..! আজতো…!
আমার চোখ দিয়ে পানি পরতে লাগলো। সত্যি আজকে বারিশকে আমি অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলেছি।আমি বারিশে কাছে যেতেই সে দু কদম পিছিয়ে যায়। আর বলতে লাগে,
—-নাহ! আমার কাছে আসবে না..!আর না আমি তোমার কাছে আসবো..!
বলে সে বের হয়ে চলে গেল..!
আমি সেখানেই বসে পরে কাঁদতে লাগলাম।দু হাত দিয়ে নিজের গালে চর মারতে লাগলাম ইচ্ছা মত। কি করে বসলাম আমি..!নিজের ভালবাসার মানুষের গায়ে হাত তুললাম..!যে হাত দিয়ে মেরে ছিলাম সে হাতকে আর রাখবো না। সামনে থাকা কাঁচের ফুলদানী ভেঙ্গে তার টুকরো দিয়ে হাত কেঁটে ফেলি। সাথে সাথে ফিনকী দিয়ে রক্ত বের হয়ে ভেসে যাচ্ছে পুরো ফ্লোর..!! ধীরে ধীরে আমি সেখানেই শুয়ে পরি..!!চোখের সামনে সব ঘোলা হয়ে আসচ্ছে আমার।
?
তীব্র অালো চোখে পরতেই ঘুম ভেঙ্গে যায় আমার। চোখ মেলে দেখি সকাল হয়ে গেছে, আমি বেলকনির ফ্লোরে শুয়ে আছি। ফ্লোরে রক্ত শুকিয়ে আছে।আমি উঠে বসি। মাথা টা ঝীম জীম করছে, উঠে ঘরে উঁকি দেই। নাহ্ বারিশ নেই। হযত চলে গেছে। কালকের কথা মনে পরতেই চোখ দুটো ভিজে উঠলো আমার। নিজের দোষে আপন মানুষকে কষ্ট দিয়ে ফেলছি বার বার।ফোনের রিং বাজতেই ভাবনায় ছেদ পরে, মনে হলো বারিশ কল দিয়েছে ফোন তুলে দেখি টিনা কল করেছে।কল রিসিভ হতেই টিনা বলল,
—-দোস্ত কই তুই?
—-বাসায়..!
—-এখনো বাসায় ভুলে গেছিস আজ পরিক্ষা?
—-সত্যি ভুলে গেছিলাম। তুই কই?
—-আমি বের হয়েছি বাসা থেকে,,তাড়াতড়ি আসিস.!
—–আচ্ছা।
ফোন কেঁটে রেডি হয়ে নিচে চলে আসলাম।টেবিলে দাদু ব্রেকফাস্ট করছিল আমাকে দেখে বলল,
—-আরে দাদু ভাই আয় নাস্তা করে নে।
আমি মুচকি হেসে বললাম,,
—-দাদু ভাই লেট হয়ে গেছে, বাহিরে খেয়ে নিব..!
দাদু বলল,
—-আচ্ছা। তা বারিশ কই? আজ এত লেট হচ্ছে ওর?
আমি অবাক হয়ে গেলাম। তাহলে কি রাতে বারিশ বাসা থেকে বের হয়ে গেছিল?আমি চাঁপা হেসে বললাম,
—-উনিতো সকালে চলে গেছেন, কি জানি কাজ ছিল তার।।
—-আচ্ছা।
আমি দাদুকে বাই বলে চলে আসি।আর ভাবতে লাগি, তাহলে কি বারিশ রাগ করে আর বাসায় ফিরে নি..!কিন্তু উনি গেল কই? এমন তো কখনো করেন।

সেদিন ভার্সিটি পরিক্ষা শেষে টিনা বলল,
—-দোস্ত কাল আমার বার্থ ডে জানিস তো?
—-হুম জানি কেন?
—–কালকে আমি পার্টি থ্রো করেছি।একটি রেস্টুরেন্টে..!আর তোকে আসতেই হবে। ভাইয়াকে নিয়ে আসবি কিন্তু..!!
আমি মুচকি হেসে বললাম,
—-আচ্ছা।
ঘড়িতে ১ টা ছুই ছুই বারিশ এখনো বাসায় আসেনি। ফোনে অনেক ট্রাই করছি প্রতিবার কেঁটে দিচ্ছে। খুব কষ্ট লাগচ্ছে আমার তার এমন কাজে। ১.৩০ বাজতেই ঘরে ঢুকলো বারিশ।তাকে দেখে মনের মাঝে ধক করে উঠলো, বারিশ ড্রিংকস করে এসেছে।সে হেলে দুলে বেডে শুয়ে পরলো।তার এমন অবস্থায় খুব খারাপ লাগচ্ছে আমার। তখন আমি এগিয়ে তার পায়ে জুতা খুলতে গেলাম, সে বলল,
—-ডোন্ট টাচ মি..!ডোন্ট। বলে উবু হয়ে শুয়ে পরলো। তার এমন কাজে আমি মুখ চেঁপে কাঁদচ্ছি। এসবের জন্য আমি দায়ি।।

চলবে,

psycho_is_back? season_2part_18

0

psycho_is_back?
season_2part_18
#apis_indica

বারিশ বলল,
—–এসব কি জেনি? কতবার না করেছি, হুট হাট জড়িয়ে ধরবে না আমাকে?
জেনি বারিশকে ছেড়ে বলল,
—–তোমাকে দেখে আমি খুব আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়ে ছিলাম।তাই কন্ট্রোল করতে পারিনি।জানো মামি আমাদের বিয়ে ঠিক করেছে?
—-কাদের?
—-উফ! বারিশ না জানার ভান কেন করছো? ইউ নো আমাদের বিয়ে…..!
জেনিকে বলতে না দিয়ে,
—-আমি বিয়ে করে ফেলেছি জেনি..!!সি ইজ মাই ওয়াইফ।
বারিশের কথায় জেনি ৪৪০ বোর্ডের শক্ড খাইলো জেনি।আর অবাক হয়ে বলল,
—-বারিশ তুমি মিথ্যা বলছো আমাকে? তুমি এমন করতে পারো না আমার সাথে! ইউ নো না, আমাদের ছোট বেলা থেকে বিয়ে ঠিক হয়ে আছে?
বারিশ ভাবলেশহীন ভাবে সোফায় পায়ের উপর পা তুলে বসে বলল,
—-কই আমার তো কিছু মনে নেই…!
জেনি এবার কান্না করে বলল,
—-ইউ চিট মি?
তখনি বারিশের ফুপি নামতে নামতে বললো,
—-জেনি কান্না করছিস কেন? আর কুহু তুমি কখন এলে?
আমি সব কিছু আহাম্মকের মত দেখে যাচ্ছি কিছুই মাথায় ঢুকছেনা আমার। তখন বারিশ আমার পাশে এসে দাড়ায়। আর বলতে লাগে,
—ফুপি কুহু আমার ওয়াইফ। আমি ওকে ১০ দিন আগে বিয়ে করে নিয়েছি।
তখনি দাদু এসে বললেন,
—-দাদু ভাই আমাদের একবার জানাতে কুহুুকে তোমার পছন্দ? আমরা বিয়ে করিয়ে দিতাম। এভাবে? আচ্ছা যাই হোক বিয়েতো হয়েছে।
তার ফুপিকে বললেন,
—-ওকে বারিশের ঘরে নিয়ে যাও।
আমাকে ফুপি বারিশের ঘরে নিয়ে গেল।দেখেই বুঝতে পারছি ফুপির মুখের রং পাল্টে গেছে। ফুপি আমাকে রুমে এনে ধাক্কা মেরে ফ্লোরে ফেলে দিয়ে আমার গাল চেঁপে বললেন,
—-ছোটলোকের বাচ্চা, প্রথম দিন বাসায় এসেই আমার ছেলেটা মাথা খেয়ে নিয়েছিস! আমি দেখি তুই এই সংসার কিভাবে করিস,, বলে চলে গেলেন। আমি তখন নিচে পরে আছি। মাত্র কি হলো বুঝতে পারলাম না। মাথাটা ভন ভন করছে আমার।তখনি ঘরে বারিশ ঢুকে আর আমাকে ফ্লোরে বসে থাকতে দেখে দৌড়ে কাছে এসে বলে,,
—-আরে তুমি মাটিতে কেন বসে? উপরে উঠে বস!
আমি বারিশের দিক ছল ছল চোখে তাকিয়ে আছি। এখন যদি ফুপির কথা বলি তাহলে সে কি বিশ্বাস করবে? নাকি ফুপি শুধু রেগে আছে বলে এমন করছেন? হয়ত রেগে আছে বলে!
বারিশ আমার চোখের পানি মুছে দিয়ে বলল,
—-কাঁদছো কেন?
—-বাসার কথা মনে পরছে।
বারিশের এই কথা চোয়াল শক্ত করে জবাব দেয়,
—-আজ থেকে এটাই তোমার বাসা, এটা মনে রাখলেই চলবে। আর সব ভুলে যাও।
আমি বারিশের কথায় অবাক হয়ে বললাম,,
—কি যাতা বলছেন? আমার বাড়ির কথা আমি ভুলে যাবো? আর ইউ মেড?
বারিশ রেগে গিয়ে বলল,
—-ইয়েস আয় এম মেড! আর যদি তাদের সাথে কোনো সম্পর্ক রাখো! আমার থেকে খারপ কেউ হবে না…! বলে গট গট করে চলে গেল বারিশ
আমি তার যাওয়ার দিক তাকিয়ে আছি।একদিনে সব কেমন এলোমেলো লাগচ্ছে আমার।
?
খাবার টেবিলে বমে আছে সবাই। কুহু বাদে..! বারিশ তা দেখে ভ্রু কুচকে প্রশ্ন করলো,
—-ফুপি কুহু কই?
ফুপি মেকি হাসি দিয়ে বলল,
—-ডেকে ছিলাম ওকে…! বলল, খাবে না!
বারিশের রাগ লাগলো, সে তাদের কাজের মেয়েকে উদ্দেশ্য করে বলল,
— আমাদের খাবার উপরে নিযে এসো। বলে উপরে চলে গেল।
জেনি খাবার থামিয়ে দিল। আর ফুপির উদ্দেশ্যে বলল,
—-মামি আমি কাল চলে যাবো। ভাইয়াকে আস্তে বল।
বলে সেও চলে গেল।

বারিশ রুমে ঢুকে দেখে কুহু কার সাথে ফোনে কথা বলছে, এতটা মগ্ন যে তার পাশে বারিশ দাড়িয়ে টের ফেল না।

বারিশের রাগ লাগলো তাতে। হাত থেকে ফোন নিয়ে নিল। বারিশের এমন কাজে আমি অবাক হলাম। আর বললাম,
—-এটা কি ধরনের অভদ্রতা! ফোন দিন আমার। বারিশ খুব গম্ভীর ভাবে বলল,
—-কার সাথে কথা বলছিলে?
আমি আমতা আমতা করে বললাম,
—-টিনার সাথে!
বারিশের যেন বিশ্বাস হলো না। সে কল লিষ্ট চেক করতে লাগলো। এটা দেখে আমার গলা শুকিযে গেল।
বারিশ ফোন আমার দিকে দচরে বলল,
—-মিথ্যা বলছ আমার সাথে? তোমাকে মানা করছি না তোমার পরিবারের সাথে কথা না বলতে?
কি হলো জবাব দিচ্ছো না কেন?
শেষের কথাটি ধমকে বলল, যার ফলে আমি কেঁপে উঠলাম।
রাগে যেন বারিশের মাথা ফেটে যাচ্ছে। সে আমার ফোন মাটিতে আছড়ে ফেলে। সাথে সাথে দু, ততিন টুকরো হয়ে গেল আমার ফোন। আমি চিল্লিয়ে বললাম,
—-এটা কি করলেন?
তখন বারিশ আমার দু গাল চেপে ধরে বললেন,
—-আমি মানা করেছিলাম না? তাদের সাথে কথা বলতে কেন বললে? আমার কথার দাম নেই তোমার কাছে?
আমি বারিশ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে বললাম,
—-এ কি জন্তুদের মত ব্যবহার করছেন আমার সাথে? আর আমি আমার পরিবারের সাথে কেন কথা বলবো না! কেন?
বারিশ এক হাতে আমার থুতনিতে চেপে ধরে হিসহিস করে বলতে লাগে,
—-আমি না করেছি তাই..!
—-আপনি এমন কেন করছেন? ব্যথা পাচ্ছি আমি..!
—-ব্যথা পাওয়া জন্যই দিয়েছি..! আমার কথার অমান্য করলে এর থেকে খারাপ হবে তোমার সাথে।
তখনি কাজের মেয়ে খাবার নিয়ে আসে।
বারিশ টেবিলে রাখে চলে যেতে বলে।
—-যাও ফ্রেস হয়ে আসো এক সাথে খাবো?
আমি তার ব্যবহারে অবাক হচ্ছি। আমার সাথে এত বাজে ব্যবহার করে এখন তার সাথে খেতে বলছে কখনো খাবো না। হাই ঘাপটি মেরে বসে রইলাম।
তখন বারিশ একটা বাজখাই ধমক মারে, যার জন্য আমার পিলে চমকে যায়।সাথে ফ্রেস হয়ে এস বসি।
তখনি বারিশ এক প্লেটে খাবার বেরেছে। আর আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে। আমি পানি দিয়ে গিলচ্ছি। চোখ দিয়ে পানি পরছে আমার। বার বার গলায় খাবার আটকে যাচ্ছে আমার। তখন বারিশ স্বাভাবিক ভাবে বলে,
—-বাবুইপাখি! প্লিজ কাঁদে না। আমার কথা কেউ না শুনলে রাগ চেপে যায় মাথায়।
আমি কিছু বললাম না, তার দিকে চেয়ে রইলাম উনি আজ আমাকে বাবুইপাখি বলেছেন সব কষ্ট যেন এম মুহুর্তে উধাও হয়ে গেল আমার।
তখনি বারিশ আমার চোখের পানি মুছে বলে,
—আ’ম সরি! তোমার উপর হাত তোলা উচিত হয়নি আমার। বলে জড়িয়ে ধরলেন।
আমি তার কাজে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম। কি হচ্ছে আমার সাথে? বারিশ এমন কেন করছে? ফুপির কথা? সব মিলিয়ে মাথা আউলিয়া যাচ্ছে। তখাি বারিশ আমার চুলে হাত চালিয়ে বলল,
—-কাল থেকে তুমি ভার্সিটিতে যাবে।আর হে ভার্সিটি টু বাসা। যব আর করতে হবে না। আর হে তোমার পরিবার থেকে দূরে থাকবে বাবুইপাখি। নয়তো আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না তোমার জন্য। আর হে ছেলেদের থেকে ১০০ হাত দূরে থাকবে কেমন?
আমি কি বলবো বুঝতে পারছি না। এক দিনে সব কিছু এমন ভাবে পাল্টে যাবে! ভাবতেই পারিনি আমি…!!

psycho_is_back? season_2part_17

0

psycho_is_back?
season_2part_17
#apis_indica

বারিশ চোখ মেলে কুহুকে তার হাতের উপর শুয়ে আছে দেখে হেসে দেয়। তার আরেক হাত দিয়ে মাথা হাত বুলাতেই কুহু জেগে যায়।আর তখনি বলতে লাগে,,
—-আপনি উঠে গেছেন? এখন কেমন লাগচ্ছে আপনার?
বারিশ আবার হাসে।আমি বারিশের হাসি দেখে ভ্রু কুচকে জিগাসা করি,
—-কি ব্যাপার দাঁত দেখাচ্ছেন কেন?
বারিশ সেই হাসি বহাল রেখে বলতে লাগে,
—-আগে যদি জানতাম আমার অসুস্থতায় আমার পিচ্চি বউটা এতটা হায়পার হবে, তার সাথে তার ভালবাসার বহিঃ প্রকাশ ঘটবে, তাহলে সেই কবেই অসুস্ত হয়ে যেতাম..!!
—-আপনি বেশি কথা বলেন..!
—-তুমি বলনা তাই..!
—-চুপ থাকেন। আমি ডাক্তার ডাকি!
—-ডাক্তার ডাকতে হবে না। আই এম ফিট এন্ড ফাইন।আর তুমি সাথে থাকলে আমি এমনিতেই সুস্থ্য থাকবো।
বারিশের কথা চোখে ছল ছল করে উঠে, আমার চোখ দু ফোটা জল ফেলে বলতে লাগি,,
—-আমার কারণেই আপনি আজ হসপিটালে।
বারিশ আমার মুখে দুহাত দিয়ে তার কপাঁল আমার কপাল ঠেকিয়ে বলতে লাগে,
—-ডোন্ট বি অ্যাপ সেট। দেখ আমি সুস্থ্য এখন। আর ওটা তেমন কিছু না..!
—-আম সরি বারিশ! আমি জানতাম না এসব..!!
কুহুর মুখে বারিশ নাম শুনে বারিশের বুক ধক করে উঠে। এই প্রথম তার পিচ্চি বউ তার নাম নিল ইউসুফের বদলে।কি যে খুশি লাগচ্ছে তার। বারিশ কুহুকে নিজের সাথে চেপে ধরে। খুব শক্ত করে। যেন বুকের সাথে মিশিয়ে ফলবে।খুশিতে মোরে যেতে ইচ্ছে করছে তার। সত্যি ভালবাসার মানুষের কাছে অপ্রত্যাশিত কিছু হুট করে পেয়ে ফেলা মানে আসমানের চাঁদ হাতে পাওয়ার মত।বারিশ বলল,,
—-কুহু তুমি জানো না তুমি আমাকে আজ কতাটা সুখ দিয়েছো।
আমি তার কথা আবাক হয়ে বললাম,
—–আমি কি করলাম??
—–তুমি আমার নাম ধরে ডেকেছো।
—–তো?
—–এই জন্যই আমি খুশি। অনেক অনেক খুশি।
—–এখানে খুশি হওয়ার কি আছে?
—–আছে অনেক কিছু। তোমার পিচ্চি মাথায় ঢুকবে না..!!
—–কেন ঢুকবে না? আপনি বলুন ঢুকবে।
—-উমম..! ওকে! আমাকে বলোতো তুমি আমার নাম ধরে কবে ডেকেছো..!!
—-আমি তো..!!
চুপ করে গেলাম সত্যি তো আমি কবে তাকে নাম ধরে ডেকেছি?আমি আগে স্যার বলে ডাকতাম আর পরে ইউসুফ বলতাম।
—কি হলো?
বারিশের কথায় ধেন ভাঙ্গলো আমার। আমি বললাম,,
—-কিছু না। আপনি রেষ্ট করুন আমি ডাক্তার ডেকে নিয়ে আসি।
বারিশ কিছু বলল না, কুহুকে ছেড়ে দিয়ে মাথা নারালো।আমিও বের হয়ে গেলাম।

হাসপাতাল থেকে বারিশকে বসায় নিয়ে এসেছি আজ সাত, সাতটা দিন কেঁটে গেল।এই সাত দিনে বারিশের দুষ্ট, মিষ্টি দুষ্টুমি গুলো আমাকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। একটা মানুষ এত রোমান্টিক কেমনে হয়? যানা নেই আমার।তার এই লাভ টর্চার গুলোতে না চাইতেও প্রেমে পড়ে যাচ্ছি। এর মাঝে বারিশ আমাকে আমাকে অনেক চেষ্টা করেছে পুরোপুরি আপন করে পেতে কিন্তু আমি কেন জানি পারি না। কোথাও একটা এসে আটকে যাই।তার জন্য বারিশের মনে কষ্টে পেলেও কখনো প্রকাশ করেনি সে।কিন্তু আমি খুব বুঝি সে কষ্ট পায়। কিন্তু আমি যে নিরু পায়।

আজ বারিশ আমাকে তাদের বাসায় নিয়ে যাচ্ছে।বুকের ভিতরে ধুকপুক ধুকপুক করছে আমার। আমি একবার ও বাড়িতে গিয়েছি মানুষ গুলো খুব ভাল।কিন্তু আমাকে কি তারা মেনে নিবেন?জানা নেই আমার। আমরা কারে বসে আছি।বারিশ ফোন টিপছে।আমার উপর ও খুব রাগ করেছে, কিন্তু প্রকাশ করছে না। আগের মতো কথা বলছেনা। কিছু জিগেস করলে শুধু হু হা উত্তর দিচ্ছে। এতে আমার কলিজা ফেটে যাচ্ছে। ভালবাসার মানুষটি যখন কথা বলা বন্ধ করে দেয় এর ধেকে বড় শাস্তি আর কিছু নেই।আমার ওর এমন চুপ করে থাকাতে কষ্ট লাগে খুব কষ্ট। গত কাল রাতেও বারিশ আমাকে আপন করে পেতে চাইছিল। কত সুন্দর করে সাজিয়ে ছিল সে সব কিছু।চারিদিকে ঝলমলে আলো তার সাথে মম জালানো।রোমান্টিক সং। সব কিছু মিলিয়ে ছিল রোমাঞ্চ কর পরিবেশ।যখন আমি সব খুটিয় খুটিয়ে দেখায় ব্যস্ত তখন বারিশ আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে।আমার ঘারে ঠোঁট দিয়ে স্পর্শ করে।আমি সাথে সাথে কেঁপে উঠি। পুরো শরীরের শক্তি মুহুর্তে হারিয়ে গেল।আমি তার উপর নিজের ভর ছেড়ে দেই।বারিশ তখন তার নাক ঘসতে থাকে আমার ঘাড়ে। তার পর গভীর চুমু দিতে লাগে। সাথে সাথে আমি তার হাত খামচ্ছে ধরি।তিনি তখন আমাকে তার দিক ঘুরিয়ে তার বরাবর দাড় করিয়ে ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়।ঠোঁটে ঠোঁট রেখেই আমার বুকের কাপর ফেলে দেয়।আর যখন আমার ব্লাউজে হাত দিবে তখনি আমার হুশ ফিরে।এতক্ষণ সুখের রাজ্য থাকলেও হুট করে কি হলো জানি না। ওকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলাম।এতে বারিশ রেগে যায়। রাগারি কথা
কথা এমন চূড়ান্ত মুহুর্তে যে কেউ বাঁধা পেলে রেগেই যাবে সে।বারিশ ও তাই করলো পাশে থাকা ফুলদানি ছুড়ে মারলো ফ্লোরে রাগে। আর আমার দিকে এমন ভাবে তাকালো যেন গিলে ফেলবে আমাকে। আমি তার থেকে চোখ ফিরিয়ে নিচে তাকিয়ে থাকি। বারিশ রাগে বের হয়ে যায়। আমিও নিচে বসে পরি কাঁদতে কাঁদতে। খুব কষ্ট লাগে এভাবে তাকে কষ্ট দিতে আমার কিন্তু কেন তাকে মেনে নিতে পারি না কেন? বুঝতে পারি না আমি…!!

এসব ভেবে ছোট শ্বাস বের হয়ে আসলো আমার। গাড়ি এসে থামলো বরিশদের বাড়ির সামনে। ইউসুফ আমাকে নিয়ে ভিতরে ঢুকলো তখনি একটি মেয়ে হুট করে এসে জড়িয়ে ধরলো। আমি চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছি তাদের দিকে…..!! তারপর যা শুনলাম। মনের মাঝে ধাক্কা দিয়ে উঠলো সাথে সাথে। সব কিছু মুহুর্তে এলোমেলো হতে লাগলো আমার।

চলবে,

psycho_is_back? season_2part_16

0

psycho_is_back?
season_2part_16
#apis_indica

বারিশ ঘুমিয়ে আছে…!!বেঘোর ঘুম যাকে বলে।আমি তার মুখের কাছে হাত নিয়ে নাড়ালাম। নাহ!! সাড়া শব্দ নেই…!! এবার তার দিক ঝুকে আবারো ভাল ভাবে তার কানের লতি চেক করলাম….!! হুম!! রাইট তিল আছে….!! তখনি বারিশ তাকালো…!! আমি তার এমন হুট করে তাকানোতে ভয় পেয়ে পিছিয়ে যেতেই ধুম করে নিচে পরে গেলাম। কোমরটা বুঝি গেল আমার…!!পরে যেতেই বারিশ উঠে বসে আর হাসতে হাসতে বলে,,

—-কুহু আমি তোমারি বর..!! এম চুরি করে দেখার কি আছে?? আসো(হাত এগিয়ে দিয়ে) আমার পাশে বসে যত ইচ্ছা দেখে নেও আমি মাইন্ড করবো না…!!

বারিশের কথায় রাগ লাগলো..!!
—–আপনি না মরার মতো ঘুমিয়ে ছিলেন?

বারিশ আমাকে টেনে তুলে তার কোলে বসি বলল,,
—–ঘুমাই নি চোখ বন্ধ করে ছিলাম..।

আমি উঠে যেতে যেতে বললাম,,
—–ওহো..!!!

সে আমাকে আবার টান দিয়ে তার কোলে বসিয়ে দু হাত দিয়ে কোমর চেঁপে আটকে দিলেন।।যেন আমি আর যেতে না পারি।।তারপর আমার ঘারে নাক ঘসতে ঘসতে বললেন,,
—-কি খুঁজছিল..!!

তার এভাবে আমাকে স্পর্শ করায় আমি কেঁপে উঠছি বার বার।।কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বললাম,,
—-কই কিছু না তো..!!

—-মিথ্যা কেন বলছো??

—-মিথ্যা কেন বলব??

—-তাহলে বল।

আমি কিছুক্ষণ চুপ রইলাম।।সত্যি টা কি তাকে বলব? সে কেমন রিয়েক্ট করবেন?? আচ্ছা উনি তো ইউসুফ,,তাহলে আমার সাথে ঢং কেন করছেন?? সে কি চায় না আমি তা জানি?? নাকি যে বুঝেনা,…! আমি কতটা পাগল ইউসুফের জন্য..!!

—-আপনি আমাকে মিথ্যা কেন বললেন??

বারিশ ভ্রু কুচকে বলে,,
—-আমি কি মিথ্যা বললাম??

—-আপনি আমার ইউসুফকে কেন লুকিয়ে রেখেছেন??

বারিশ ভরকে গেল।ভড়কে যাওয়ারই কথা নিজের বউয়ের মুখে অন্য কারও নাম শুনলে যে কারও মাথা গরম হবেই স্বাভাবিক..!! বারিশেরও তাই হচ্ছে,, তার এখন মন চাইছে কষে একটা থাপর মারতে কুহুকে।।তাতে যদি তার রাগ একটু কমে।।বারিশ কুহু কোমর থেকে হাত জুড়া ছেড়ে দেয়। কুহুকে সরিয়ে সে উঠে যায়।।আর রাগে ফুসতে থাকে!!কত সহ্য করবে সে?? যত বার কুহুর কাছে গিয়েছে ততবার কুহু ইউসুফ ইউসুফ করে পাগল করে দিছে।।বেটা মরে গেছে ভাল হইছে নয় তো বারিশ নিজ হাতে কেঁটে কুচি কুচি করে নদীতে ভাসিয়ে দিত।।
তার সাথে মাথায় খেলল আরেকটি কথা…!! ইউসুফকে আমি লুকিয়ে রেখেছি মানে??
বারিশ কুহুর সামনে দাড়ায় হাত দুটো বুকের উপর বেঁধে, ছোট ছোট চোখ করে বলতে লাগে,,

—-আমি লুকিয়ে রেখেছি মানে কি বুঝাতে চাইছো??

আমি হাসলাম।।তার বরাবর দাড়িয়ে তার মুখে দু হাত রেখে, বললাম,,
—-এই যে, এই চেহারার পিছনে লুকিয়ে আমার ইউসুফ…!!

বারিশ এবার অবাক হয়ে চেয়ে রইল…!! কুহু কি বলছে এসব?? তার মাথায় কিছু ঢুকছে না..!! কুহু কি তাহলে পাগল হয়ে গেল ইউসুফের শোকে??তাই বারিশকে ইউসুফ ভাবচ্ছে?? আবার রাগ লাগচ্ছে চরম রাগ।। যা কন্ট্রোল করার মতো না…!! কিন্তু করতে হবে নয়তো কুহুকে আঘাত করে বসে যদি???

বারিশ দাঁতে দাঁত পিসে রাগ থামাতে ট্রাই করে কুহুকে ধাক্কা দিল।।

অার বলতে লাগল,,
—-আর ইউ মেড?? কোন এঙ্গেলে তোমার মনে হয় আমি ইউসুফ?? আমি বারিশ,, ইউসুফ নই…!!আর হে নেক্সট টাইম ইউসুফের নাম যেন তোমার মুখে না শুনি…!! সে তোমার অতীত ছিল..আর আমি তোমার বর্তমান, ভবিষ্যৎ…!!

বারিশের কথায় কষ্ট লাগলো।।কিন্তু আমি যে দমার পাত্র নই…!!আমি তার কাছে গিয়ে বললাম,,
—-কেন এমন করছেন ইউসুফ ভাইয়া..!! আপনি কি করে সব ভুলতে পারেন?? চেহারা পাল্টে গেলে মানুষ তো পাল্টেন না…!!

—-কি যাতা বলছো?? আমি বলছি তো আমি বারিশ রেহমান..!! ইউসুফ নই..!!

আমি এবার কেঁদে দিলাম।।তার শার্টে দু হাত দিয়ে মুঠ করে ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে বললাম,,
—–মিথ্যে বলছেন আপনি??

—–আমি কেন মিথ্যে বলব!

—-কেন মিথ্যে বলছেন আমি কিভাবে বলব?? তাই তো জানতে চাইছি আমার কাছে লুকিয়ে কি লাভ?? আর আপনি কি করে আপনার বাবুইপাখিকে চিন্তে পারছেন না??

বারিশ থেমে গেল।।বাবুইপাখি নামটি সে আরো শুনেছে।। মাঝে মাঝে অতীতে পাতা উল্টোতে গেলে এই নামটি ভেসে এসেছে বার বার।। চোখের সামনে ঝাপসা স্মৃতিও ভেসেছে।। কিন্তু আফসোস যত বার ট্রাই করেছে সে ব্যর্থ…!!

বারিশ সেই অতীতের পাতা আবার উল্টালো..!!কানে ভেসে আসলো বাবুইপাখি নামটি যে মেয়েটি দৌড়ে চলছে তার পিছনে কেউ একজন দৌড়াচ্ছে।।আর মেয়েটি বলে যাচাচ্ছে,,
*আপনি ধরতে পারবেন না ভাইয়া*

বারিশের আবার মাথায় তীব্র ব্যাথা অনুভব করছে।।হাত দুটো মাথা চলে যায় সাথে সাথে,, বার বার চুল টেনে আর্তনাদ করে যাচ্ছে।। ধীরে ধীরে চোখ দুটো রক্ত লাল ধারণ করছে।।বারিশ এবার দাড়িয়ে থাকতে না পেরে হাটু গেরে বসে পরলো মাটিতে…!!শরীরে শক্তি যেন হারিয়ে গেছে।।অসাড় হয়ে লুটিয়ে পরলো মুহুর্তেই মাটিতে….!!

বারিশের এমন হাল দেখে ভয় পাই আমি।।কোনো হুস নেই যেন।।কি করবো বুঝতেই পারছি না।। তাড়াতাড়ি কে পানি এনে মুখে ছিটা দিলাম না হুস ফিরছেনা।। দৌড়ে বাহিরে চলে গেলাম গার্ডকে ডেকে ভিতরে নিয়ে আসলাম।।
গার্ড বলল,,
—-মেম স্যারকে হাসপিটাল নিতে হবে..!!

আমি কি করবো বুঝতেছিনা। না এই জায়গা আমার চেনা তাই বললাম,,
—-আমিতো কিছুই চিনি না এখানের..!!

—-মেম ডোন্ট ওয়ারি…!! বলে গার্ড কল করলো কাউকে,,তখনি আরো দুজন গার্ড এসে হাজির।।
সবাই বারিশকে নিয়ে যেতে লাগলো আমি ছুটলাম তাদের পিছনে।।বারিশ মুখটি কেমন ফ্যাকাসে হয়ে আছে।।মায়া লাগচ্ছে খুব।।নিজেকে ধিক্কার দিতে ইচ্ছা করছে।। আমার বারাবারির জন্য এমন হলো…!!

হসপিটালের বেডে শুয়ে আছে বারিশ।।সুন্দর মুখটা মলিন হয়ে আছে।।আমি তার হাত ধরে বসে আছি।।ঠিক তেমনি যখন আমার জ্বর উঠতো ইউসুফ সারা রাত বসে থাকতো…!! আর আজ কি হাল তার..!! ডাক্তার বলছেন মাথায় চাপ পরায় জ্ঞান হারিেছেন।।তার মাথায় নাকি খুব বড় চোট পেয়েছিলেন তারপর থেকেই সে অতীত ভুলে গেছেন।।এখন তা মনে করলে সে এমন হয়ে যায়।।
শুনে বুকটা ধক করে উঠে আমার,, নিজের অজান্তে ভালবাসার মানুষটিকে কষ্ট দিয়ে ফেলেছি…!!কি আশ্চর্য যার জন্য এত গুলো বছর ওয়েট করেছি সে আমার পাশে এখন…!! কিন্তু বারিশ হয়ে…!! এটা কেই হযত কিসমতের খেল বলে…!!

to be continue….?

psycho_is_back? season_2part_15

0

psycho_is_back?
season_2part_15
#apis_indica

রুমের বারান্দায় দাড়িয়ে চারপাশটা দেখে যাচ্ছি, কি সুন্দর মন কারা সুন্দরর্য চারপাশ| যেন কেউ সুবজ আবরণ দিয়ে ঢেকে দিয়েছে| বারিশের এই বাসা টা একটা পাহড়ের মতো উচুঁ জায়গায়, আবার তার আশেপাশে গোল করে বাউন্ডারি দেয়া| যার আশেপাশে দুই, তিল কিলো মিটারের মতোও ঘর বাড়ি চোখে পরছেনা আমার| চারিদিক এতটা রোমাঞ্চকর যে অন্য কোনো সময় হলে এখান থেকে যাবার কথা দুবার ভাবতাম না| কিন্তু এখন এই মুহুর্তে মাথায় ঘুরছে অন্য কিছু…!! উঁকি ঝুঁকি দিয়ে যা বুঝলাম…আশেপাশে গার্ডস নেই..!! কি আশ্চর্য!! এখন আমি পালিয়ে গেল..? বারিশ তো বুঝতেও পারবেনা…!! ইয়াহু! যে ভাবা সেই কাজ।।ডানে-বামে না তাকিয়ে দিলাম এক দৌড়…!! পাহাড়ের উপর থেকে নিচে নামার আঁকা, বাঁকা রাস্তা দিয়ে ছুটে চলে আসলাম বাউন্ডারি কাছে…!! কি অদ্ভুত..!! বাউন্ডারি যে কেউ এপার থেকে ও পারে অনায়াসে যাতে পারবে…!! মনে মনে হেসে নিলাম কতখন।।তারপর বাউন্ডারি টপকে ওপারে যাওয়ার সময়, হঠাৎ করেই হইসেল বেঁজে উঠলো…!! সাথে আমাকে কজন ঘিড়েও ফেললো,, ভয়ে ঢুক গিললাম কবার..!!
তখনি পিছন থেকে শুনতে পেলাম বারিশের কন্ঠ,,
—-হাই হটি..!! সারপ্রাইজ কেমন লাগলো?? আমি তোমাকে পরিক্ষা করছিলাম,, আর তুমি ফেল…!!
আমি তার কথায় অবাক হয়ে বললাম,,
—-পরিক্ষা কিসের পরিক্ষা??
বারিশ বলল,,
—-বিশ্বাসের পরিক্ষা..!!
—-মানে??
মুচকি হাসলো বারিশ, তারপর কিছুটা এগিয়ে এসে, সেই হাসি ঝুলিয়েই বলল,,
—-আমি জানতাম তুমি ফাঁকা বাসা পেয়ে পালাতে ট্রাই করবে….!! দেখ তুমি তাই করলে…!!
আমি বারিশের কথায় আরো আবাক হলাম।। তারপর বললাম,,
—-কেন করছেন এমন??
বারিশ সেই মাতালময় হাসি নিয়ে আমার কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বলে,,
—-তোমাকে জ্বালাবো বলে..!! বলে জোরে হেসে দেয় সে…!!

সোফায় বারিশের মুখোমুখি বসে আছি,,বসে আছি বললে ভুল হবে এক প্রকার জোর করে বসিয়ে রেখেছেন মিষ্টার বারিশ…!!এর কি চাই আমার কাছে আমি বুঝি না..!!

তিনি ল্যাপটপে কি জানা করছেন আর আড় চোখে বার বার আমার দিকে তাকাচ্ছেন।। তার চোখে চোখ পরতেই আমি অন্য দিকে ফিরে তাকাচ্ছি…!!

তিনি এবার পূর্ণ দৃষ্টি মেলে তাকালেন আমার দিকে…!!
—-কি হয়েছে এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন??
তিনি দুটো ভ্রু কুচকে বলতে লাগেন,,
—-তুমি দু দিন যাবত গোসল করো না…!! যাও ফ্রেস হও…!!
আমি তার কথায় বিষম খেলাম…!!
—-কি যাতা বলছেন!!
—-নাতো?
—-কিছুক্ষণ আগেও করেছি…!!
—-ওহো…!! তাহলে থাকো আমি করে আসি..!!আর হে! পালাবার ট্রাই করবে না কেমন..!!

লোকটা কি তার ছিড়া…!!
পুরাই ইউসুফ ভাইয়া ডুপ্লিকেট।।এটা কেমন কথা গোসল করেছি কিনা?? এখন কি তাকে দেখিয়ে গোসল করতে হবে?? যতসব…!!

বসে বসে বোরিং লাগছে,,
তাই হাঁটতে হাঁটতে বাগানে গেলাম।। পরিবেশটা সত্যিই খুব সুন্দর…!! চার পাশে কোনো কলরব নেই…!! শুধু পাখির কিচিরমিচির ডাক।। আমি বাগানের পাশে এসে সুইমিংপুলের সামনে পা ভিজিয়ে বসে পড়লাম।।ফোনটাও হাতে নেই নয়তো প্রকৃতির সব কিছু ক্যাপচার করে নিতাম।।

হঠাৎ করেই কেউ পাশে এসে আমার গা ঘেষে বসে পড়ল।।আমি চকিতে তার দিকে তাকাই।।বারিশ…!! বুঝা উচিৎ ছিল আমার..!!

—–মিসেস বারিশ কি করছো??
—–ডিম পারছি…!!
—–তা কিভাবে সম্ভব??
আমি ভ্রু কুচকে বললাম,,
—–মানে??
তিনি আমার আরো পাশ ঘেষে বললেন,,
—–আমি তোমাকে তেমন ছুঁই নি তাহলে, ডিম কেমনে পাড়???হাউ??
আমি বিরক্তির সুরে বললাম,,
—জানতো এখান থেকে…!! বিরক্ত করবেন না আমায়…!!
—–তা হচ্ছেনা…!!আমার সাতটা নয়,পাঁচটা নয়, একটা মাত্র বউ…!!তাকে বিরক্ত না করলে কাকে করব???
—–উফ..!!
বারিশ কুহুকে ভঙ্গ করে বলল,,
—–উফ..!!
—-ইশিরে…!!
—-ইশিরে…!!
—-এমন করছেন কেন??
—-এমন করছো কেন…??
—–পানিতে ফেলে দেব কিন্তু..??
—–পানিতে ফেলে দেব কিন্তু..??
আমি এবার চোখ রাঙ্গিয়ে বললাম,,
—–জাহান্নামে জান আপনি..!! বলে উঠে যেতে লাগলাম…!
তখনি তিনি খপ করে হাত ধরে তার কাছে নিয়ে এসে,, তার নেশা গ্রস্ত কন্ঠে বলতে লাগে,,
—-তুমি সাথে থাকলে হাজার বার যেতে রাজি আছি…!!
আমি তার কথা, আর এমন মাতাল চাহনী দেখে কেমন ঘোরে চলে যাচ্ছি…!!প্রতিবার বারিশ তার কথা দিয়ে যেন আমার চারপাশে ভাললাগার এক অদৃশ্য দেয়াল গড়ে তুলে দেয়।।না চাইতেও তার হাতে মরতে ইচ্ছা হয়…!!

কি ভাবচ্ছি এসব??নিজের ভাবনা দূরে ঠেলে দিলাম বারিশকে ধাক্কা সাথে সাথে পরে গেল সুইমিংপুল এ….!! আমি তো ভয় পেয়ে গেছি…!! এখন যদি এর জন্য এই বেটা কিছু করে বসে??
কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে,, সে হাসতে লাগলো।।আর জোরে জোরে বলতে লাগে,,
—-লাভ ইউ মাই ডিয়ার ওয়াইফ…!!
তারপর তিনি তার পরনের টি শার্ট খুলে ফেললেন..!! তার বডি দেখে আমি থ….!!তখনি চোখ যায় তার বাহুতে, যেখানে লাল রংয়ের একটি জন্মদাগ তা ২,৩ ইঞ্চি জায়গা জুড়ে…!!তার এই দাগ দেখে আমি শকড….!! মুখ দিয়ে বের হয়ে আসে আপনা আপনি ইউসুফ ভাইয়া…!!

কারণ,, একটি মানুষের চোখ আর জন্মদাগ কখনো এক হতে পারে না…!! প্রথমে ডাউট থাকলেও এখন যেন ক্লিয়ার হচ্ছে..!! কিন্তু বারিশ কিভাবে ইউসুফ হবে? তার ফেইস…!! আচ্ছা শুনেছি একি রকম মানুষ পৃথিবীতে ২,৩ জনের মতো থাকেই…!! তাহলে কি আমি ভুল ভাবচ্ছি?? কিন্তু মানুষের চেহেরা না হয় মিল থাকে কিন্তু জন্মদাগ, চোখ এসবের মিল…!!তখন মনে পরে আমার সেদিনের কথা ইউসুফ ভাইয়া একদিন আমাকে জড়িয়ে ধরে ছিল..!! তখন তার কানের লতিতে একটি তিল দেখেছিলাম।।সত্যি যদি উনি ইউসুফ ভাইয়া হল তাহলে তার থাকবে…!! আমি আর কিছু না ভেবে দৌড়ে পানিতে নেমে তাকে জড়িয়ে ধরলাম…!!বুঝতে পারলাম সে আবাক হয়েছে কিন্তু তাতে আমার মাথা ব্যাথা নেই…!! আমি তাকে জড়িয়ে ধরে কানের লতিতে চেক করতেই….!! আমার চোখ দিয়ে গড় গড় করে পানি পরতে লাগলো।।তখন বারিশ আমাকে ধরতে যাবে, তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে অবাক চোখে তাকিয়ে রইলাম…!! কিছু না বলে দৌড়ে সেখান থেকে চলে রুমে এসে দরজা আটকে দিয়ে, দরজা ঘেসে কাঁদতে লাগি….!!!মনের মাঝে এখন হাজারো প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে কিন্তু বলার ভাষা পাচ্ছিনা….!!

to be continue….

নোটঃ যাদের আমার স্টোরি ফালতু লাগে তারা ইগনোর করুন।। আর যদি সবারি মনে হয় আমি ফালতু কিছু লেখি…!! তাহলে বলে দিবেন আপনারা..!! আমি স্টোরি লিখা ছেড়ে দিব।। ধন্যবাদ!

psycho_is_back? season_2part_14(রহস্য খোলার পর্ব)

0

psycho_is_back?
season_2part_14(রহস্য খোলার পর্ব)
#apis_indica

নিজেকে আয়নায় খুটিয়ে খুটিয়ে দেখায় ব্যস্ত বারিশ।।আজও চুলের নিচে কিছুটা কাটা দাগ রয়ে গেছে।।যা সাত বছর আগের ওই অ্যাক্সিডেন্টের চিন্হ।।অথচ কি আশ্চর্যের বিষয় ঘটনার কোনো কিছু মনে নেই তার…!! না আছে সাতটা বছরের আগের কোনো কথাই তার মনে নেই..!!

যা মনে আছে সব যেন কেমন ধোয়াশা।। যখনি ৭ বছর আগের কথা মনে পরে…সাথে সাথে মাথা চাপ পরে জ্ঞান হারায় বারিশ..!! কি হয়েছিল সাত বছর আগে কিছু মনে করতে পারে না আর। তাই ডাক্তার তাকে বারণ করে দেয় মাথা পেশার না দিতে..!!তাই আর কখনো তার অতীত সম্পর্কে ঘাটা হয়ে উঠেনি..!! সে যখন সুস্থ হয়েছিল, তখন শুধু তার দাদু বলেছিল তুমি আমার নাতি।।সে থেকেই তার পরিচয় এটাই সে বারিশ রেহমান।।কিন্তু তাতে যেন সে অসন্তুষ্ট, নিজের এই পরিচিতি নিয়ে বরাবরি সন্দিহান।।

বারিশের যখন এক্সিডেন্ট কারণ জানতে চায় দাদুর কাছে তিনি বলেছিলেন,
—তুমি ছিল অন্ধকার রাজ্যের রাজা, বা মাফিয়া।।যার জন্য বিরোধী দলের লোকেরা তোমায় মারা প্লেনিং করে তোমার গাড়ির ব্রেক ফেল করিয়ে ছিল।।সেদিনের পর থেকেই সে সেই পথেই চলে যাচ্ছে।।

বারিশ এবার খাটের কাছছে যায়।।
যেখানে গুটিশুটু মেরে শুয়ে আছে তার কুহু..!!
কি মায়া এই বাচ্চা মেয়েটির মুখে..!!সেদিন একজনের সাথে দেখা করতে গিয়ে ছিল বারিশ রেস্টুরেন্টে সেখােই দেখে ছিল প্রথম কুহুকে..!! সাথে সাথে বুকের বাম পাশটা ধুকপুক ধুকপুক করতে শুরু করে।।কুহুর মায়াময় মুখ খানা দেখে মনে হচ্ছিল তাকে জনম জনম ধরে চিনে…!!চেয়েছিল প্রতিটা মুহুর্ত…!!

কুহুকে সেদিন ওয়াশরুমে দেখে নিজেকেই হারিয়ে ফেলেছিল বারিশ…!! তাই না চাইতেও কুহুর খুব কাছে চলে যায় সে…!! ভালবাসার পরশ এঁকে দেয় তার গলায়…!!

সেদিনের পর থেকে কুহুকে সম্পর্কে খোঁজ করতে থাকে সে…!!সব কিছু তখন ধোয়াশা হয়ে উঠে বারিশের কাছে যখন সে জানতে পারে কুহুর পরিবারের কথা…,,কারণ কুহু নিজেও সব সত্য থেকে অবগত নেই..!!বারিশ তখন জান্তে পারে,, কুহুর বড়মামা তার সম্পত্তির লোভে তার মা -বাবাকে খুন করে ওকে এতিম করে দেয়।।যখন কুহুর এসব তার ছোট মাথা জানতে পারে, তখন তাদের ও মেরে ফেলেন তিনি এমন কি নিজের মাকেউ…!!

কিন্তু কুহুর ইউসুফ ভাইয়ের তেমন খবর নিতে পারেনি বারিশ,যতটুকু যেনেছে ইউসুফের কার এক্সিডেন্ট হয়,,কিন্তু তার লাশটা আজও পাওয়া যায়নি…!!কুহুকেউ তার মামা উতপাত খুঁজতো মারার জন্য…কারণ কুহু ২২ বছর পরতেই কুহুর সব সম্পত্তি কুহু পেয়ে যাবে।।এর আগে কুহুর বিয়ে হলে কুহুর বরের নামে হয়ে যাবে…!!কুহুর ২২ বছর হতে আর দু দিন বাকি…!! কুহুকে বাঁচানো টাই যেন বারিশের কাছে সর্বপ্রথম কাজ।।কারণ মানুষা আর যাই করুক সত্যি কারের ভালবাসাকে হারাতে চায়না।।

তাইতো সেদিন মিটিংয়ের বাহানায় এই খান নিয়ে আসে আর জোড় করে বিয়ে করে নেয়।।কারণ বারিশ ভাল করে যানে কুহুর মনে তার ইউসুফ ভাইয়াই বিচরন করে।।যেখানে সে চাইলেও নিজের জন্য জায়গা করতে পারবে না…!! তা বারিশ ভালই বুঝতে পেরেছে এ কদিনে, কারণ যতবার সে রাতের বেলায কুহুর কাছে গিয়েছে বেচারা কুহু বারিশের ছোঁয়ায় ইউসুফ ভেবে ডুকুরে উঠে কেঁদেছে।।প্রথম রাগ লাগতো বারিশের কাছে, এটাই স্বাভাবিক ভালবাসার মানুষটির মুখে কখনোই অন্য কারো নাম শুনতে পারে না কেউ, তখন মনে পুরো দুনিয়া উল্টে পাল্টে দিতে…!!

যখন যেনে ছিল ইউসুফ নামের লোকটি নিখোঁজ তখন বারিশ খুশি হয়ে ছিল খুব..!! আবার কুহুর যখন ইউসুফ ভেবে আকরে ধরতো ঘুমের মাঝে তখন বারিশের মনে হত সব সুখ এখানেই কুহুর বুকে…!!এই একটি জায়গায় যেন এসে তাকে ইউসুফ হয়ে যেতে…!!

কুহুর ঘুমুন্ত চেহারা দেখে এসব ভেবে ছোট শ্বাস ছাড়লো বারিশ, তখন চোখ গেল কুহুর পায়ের কাছে,, কুহুর পায়ের কাপড় হাঁটু অব্দি উঠে গেছে, কুহুর পায়ে একটি লাল তীল, যা বারিশকে এই মুহুর্তে খুব বাজে ভাবে মাতাল করে দিচ্ছে,, শুকনো ঢুক গিললো বারিশ,, মনের অজানতেই কুহুর পায়ের কাছে বসে পরে সে,,বাম হাত দিয়ে স্লাইড করতেই সেখানে কেঁপে উঠে কুহু ঘুমের মাঝে।।

বারিশের এখন সব বুদ্ধি লোপ পাচ্ছে, মাথায় শুধু একটি কথা বলে যাচ্ছে,,
—–কুহু তো তোর! কুহুর সব তোর! কুহুর মন তোর, কুহু প্রতিটা অঙ্গ তোর, এমন কি পায়ের সেই তিলটিও তোর,, কারণ কুহু তোর অর্ধাঙ্গিনী…!!

বারিশ তাই করলো তার নরম গোলাপি ঠোঁট ধারা সুন্দর তিলটিতে চুমু খেতে লাগলো,,প্রথমে ধীরে খেলেও তার গতি বেগ বেড়ে গেল ।। বারিশ এবার গভীর চুমু দিতে লাগলো।।বারিশের কাছে মনে হচ্ছে সে নেশা গ্রস্ত, এই মুহুর্তে যদি এই তিলটিতে স্পর্শ করতে না পারলে তার জীবন ব্যর্থ…!! বারিশের মনে হচ্ছে এটি কোনো সুস্বাদু খাবার।।

বারিশের চুমু এক সময় কামরে পরিনিত হয়।।ঘুমান্ত কুহু চিৎকার করে উঠে বসে, তার পায়ের কাছে বারিশকে দেখে ঘাবড়ে যায় সে,, তখন বারিশ পাগলের মত চুমু, কামড় দিয়েই যাচ্ছে…!! কুহুর এমন পরিস্থিতিতে কেঁপে উঠছে বার বার।।মনের মাঝে আলাদা অনুভুতি দোলা দিচ্ছে,, সহ্য করার ক্ষমতা যেন নেই তার সাথে সাথে ঝাটকা মেরে পা সরিয়ে কিছুটা চিল্লিয়ে বলে উঠে,,,
—–কি করছবন আপনি?. ছাড়ুন…!!

কুহুর এভাবে পা সরিয়ে ফেলায় রাগ উঠে যায় বারিশের…!! রাগে নাক মুখ লাল করে চেয়ে থেকে বের হয়ে যায় বারিশ।।কুহু হতভম্ব হয়ে গেল,,আর ড্যাবড্যাব করে চেয়ে রইলো বারিশের যাওয়ার দিক…..!!

চলবে,,