Monday, July 14, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 1910



psycho_is_back? season_2part_13

0

psycho_is_back?
season_2part_13
#apis_indica

লাল টুকটুকে বেনারসি শাড়ি পড়ে বসে আছি বাথরুমের হাই কমেট এর উপর।। মুখ চেপে কেঁদে যাচ্ছি।। কিছু মুহূর্তে পাল্টে গেল আমার জীবন।। না চাইতেও হয়ে গেলাম মিসেস বারিশ রেহমান…!!
কি করার ছিল আমার? কিছুই না…!! হাত-পা বেঁধে দিয়ে ছিল বারিশ নামের নর পিশাচ।।কেন এমন করলো, আমার সাথে?? কিছু বুঝতে পারছি না।।মুখ চেঁপে কেঁদে চলেছি আমি..!! আর যাই হোক জোর জবরদস্তি করে বিয়ে করা গেলেও সম্পর্ক করা যায় না।।মন থেকে মানানো যায় না..!! হায় আল্লাহ এখন কি করবো আমি? পথ দেখাও আমায়…!! কিভাবে পালাবো এই হিংস্র মানুষটি থেকে?? হে! হিংস্র সে..!! তার এই ভাল মানুষ রুপির পিছনে যে এমন এক পশুত্ব আছে! জানা ছিল না আমার…!!
তখনি খট খট করে ওয়াশরুমের দরজায় শব্দ হল।।
—-মিসেস বারিশ…!!ওপেন দ্যা ডোর??আই সেইড ওপেন দ্যা ডোর…!!
আমি ভয়ে উঠে দাড়িয়ে দেয়ালের সাথে লেগে গেলাম।।বার বার তখন কার সেই হিংস্র রূপটা মনে পরে যাচ্ছে।।
—–কুহু আমি ১-৩ কাউন্ট করবো! এর মাঝে তুমি বাহিরে না বের হলে….!! তোমার ফ্যামিলির জন্য আই থিংক বেশি একটা ভাল হবে না।।

বারিশের কথা দৌড়ে দরজা খুলে বের হয়ে আসি।।এ লোকের ভরসা নেই…! সত্যি কিছু করে দেয়..!!
আমি বের হয়ে বললাম,,
—-প্লিজ তাদের কিছু করবেন না…!! আপনি যা বলবেন তাই হবে।।
বারিশ বাঁকা হেসে বললো,,
—-ওকে..!! দেন খাটের উপর গিয়ে বউের মত ঘোমটা দিয়ে বসে পর..!! গো..!!
আমি অসহায়ের মত তার দিক চেয়ে রইলাম।।সে আবার ধমক ছাড়লো আমি দৌড়ে খাটের মাঝে ঘুমটা টেনে বসে পড়লাম।।বুক টা ধুকপুক ধুকপুক করছে খুব।।ভয়ে বার বার লোম খারা হয়ে যাচ্ছে।।বারিশ এবার আমার পাশে বসলো।।তারপর ঘুমটা উঠিয়ে থুতনির নিচে এক আঙ্গুল দিয়ে উঁচু করলো আর বলল,
—-মাশাআল্লাহ…!! আমার পিচ্চি বউ টাকে সত্যি বউ বউ লাগচ্ছে এখন মন চাইছে এখনি খেয়ে ফেলি।।কি বউ খাওয়া শুরু করি।।
আমি রাগে দুঃখ চুপ করে চোখে জল বিসর্জন দিতে লাগলাম।।মেয়েরা এই জিনিসটাই পারে..!! কারণে অকারণে চোখে জল ফালতে।।

বারিশ আমাকে অনেকক্ষণ ঘোর লাগা দৃষ্টিতে চেয়ে থাকলো।।তার পর আমার গালে তার ঠোঁট ছোঁয়ালো আলতো করে।।তার পর অন্য গালে।।তারপর নেমে এলো আমার গলায় যেখানে গারো ভাবে চুমু খেতে লাগলো।।তার স্পর্শে কেঁপে উঠছি।।মনের মাঝে, শরীরের আলাদা শিহরণ দিয়ে উঠছে।। আমি খাটের চাদরে খামচ্ছে ধরে আছি।।শ্বাস নিশ্বাসের গতিবেগ বেরে যাচ্ছে আমার।।কিছুক্ষন পর বারিশ গলা ছেড়ে আমার কাধ থেকে ব্লাউজের হাতা নামিয়ে সেখানেও চুমু খেল কিছুক্ষন তার পর কুটুস করে কামর বসিয়ে দিল।।আমি”আহ” করে চিৎকার করে উঠালাম।।সাথে সাথে বারিশ দাঁত কেলিয়ে বলল,,
—নতুন বউয়ের গায়ে লাভ বাইটের চিন্হ থাকলে সে কেমন বউ..! মানুষ বুঝবে কেমনে আমি তোমাকে আদর করেছি..?? তাই লাভ বাইট দিচ্ছি।।
আমি তার কথা শুনে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে রইলাম।।বেটা বলে কি এসব..!!

তখনি বারিশ আমাকে শুয়ে দেয়..!!
আমার দিকে উবু হয়ে ঝুকে শাড়ির আঁচলে হাত দেয়।।এবার আমি মিনতির সুরে বলতে লাগি,,
—-প্লিজ স্যার..!! আমার এত বড় সর্বনাশ করবেন না।।
বারিশ আমার গালে স্লাইড করে বলতে লাগে,,
—-চিন্তা করছো কেন..মিসেস বারিশ…!! তোমার সর্বনাশ তোমার বরটাই তো করছে।।এটার অধিকার আছে আমার।।সোজা ভাবে দিলে ভাল নয়ত রেপিষ্ট হতে আমার অপত্তি নেই।।এর জন্য কেশ ও হবেনা।।বলে আমার শাড়ির আঁচল শরীয়ে দিল।। কিছুক্ষণ ওভাবেই চেয়েই রইলো।।আমি লজ্জায় আমার মুখ ঢেকে ফেলি সে তার দুহাত দিয়ে আমার মুখ থেকে দুহাত সরিয়ে দেয়।।আর বলতে লাগে,,
—-লজ্জা পাচ্ছো কেন?? পরতো কেউ দেখছেনা তোমাকে তোমার বর দেখছে।।আদারোয়াইজ হক আছে আমার তোমার উপর, তোমার শরীরের উপর।
আমি এবার ডুকুরে উঠলাম তাতে যেন তার ভ্রুক্ষেপ নেই।।তিনি আমার বুকে মুখ গুঁজলেন।। আর লাভ বাইট দিতে লাগলেন।।আমি প্রতিবার মুচড়া-মুচড়ি করছি তাকে সরাবার জন্য কিন্তু পারছি না সে আরো চেপে ধরছে।।তার প্রতিটা কামড়ে ব্যথায় “আহ” করে শব্দ বের হয়ে আসচ্ছে মুখ থেকে।।আমি আর সইতে পারছি না।।এমন অত্যাচার।। সত্যিই কি বিয়ে নামক সম্পর্ক সব অধিকার পেয়ে যায়…!! মনে অনুভুতি বলতে কিছু নেই…!! আমার চাওয়া-পাওয়া বলতে কিছু নেই..!! এটা কেমন বিয়ে…??

কিছুক্ষণ পর টের পেলাম আমার বুকে বারিশের ভারী নিঃশ্বাস পরছে..!! মনে হচ্ছে ঘুমিয়ে গেছে। শান্তির ঘুম।।কিন্তু আমার যে দু চোখে ঘুম নেই…!! চোখ দিয়ে গড় গড় করে পানি পরতে লাগলো,, মনে পড়লো তখনের কথা…!!

—-আপনি…!!
—-হুম আমি কুহু..!!
—-স্যার আপনি আমাকে এভাবে বেঁধে রেখেছেন কেন?
বারিশ যেন আমার কথা কানে নিলেন না ডিরেক্ট বললেন,,
—-কিছুক্ষণের মাঝে আমাদের বিয়ে কুহু..!!গেট রেডি ফর মিসেস বারিশচ রেহমান..!
বারিশের কথায় আমি চোখ বড় বড় করে বললাম,,
—-কি যাতা বলছেন আপনি..!! ছাড়ুন আপনি আমায়..!! আমি বাসায় যাবো এখানে আে এক মুহুর্তও না..!!
—-তুমি যেতে পারবেনা কুহু..!!যেখানে এখন তুমি আছো..এখান থেকে তুমি আমার অনুমতি ছাড়া বের হতে পারবে না।।
কি করব, কি বলব, এ মুহূর্তে বুঝে উঠতে পারছি না।।তার কথার আগা মাথা কিছুই মাথায় ঢুকছে না।।আমি বললাম,,
—-স্যার এমন কেন করছেন?? কি করেছি আমি..!!
হুট করেই স্যার আমার কাছে এসে ওড়নাটা টান মেরে ফেলে দিয়ে আমার গলার কাছে কিছুটা জামা নামিয়ে চুমু দিলেন অার সেই জায়গায় ঘ্রান নিতে লাগলেন।।তার এমন কাজে কেঁপে উঠলাম আমি।।সাথে সাথে স্যার বললেন,
—-প্রথম দিন তোমাকে দেখেছিলাম ওয়াশরুমে নীল পরি লাগচ্ছিল তোমাকে।।প্রথম দেখাতে লাভ করে ফেলেছি।।আর তাই সেদিন কান্ট্রোললেস হয়ে তোমাকে স্পর্শ করে বসি..!! তারপর থেকে লোক লাগাই তোমার পিছনে।।আর ভাগ্যবশত তুমি আমার পি এ..!! যার জন্য তোমাকে পাওয়া সহজ হয়ে যায় আমার।।
বারিশের কথায় আমি হতভম্ব হয়ে যাই।।কি বলছেন তিনি এসব…!!
আমি নিজেকে সামলে বললাম,,
— আমি বিয়ে করবো না।।
স্যারের খট করে রাগ উঠে গেল, কপালের রগ খুলো দাড়িয়ে গেল, সাথে সাথে তার চোখ গুলো জ্বলন্ত শিখার ন্যায়।। তিনি আমার গাল চেঁপে ধরে দাঁতে দাঁত চেঁপে বলে উঠলেন,,
—-তুই করবি না..তোর ঘার করবে..!!ভালয় ভালয় রাজি হয়ে যা..!! আমার ভয়ানক রূপটা দেখাতে বাধ্য করিস না..!!
আমি তার এ অবস্থা দেখে আর ভয় পেয়ে যাই।।আর কাঁপাকাঁপা কন্ঠে বলি,,
—–আমি আপনাকে ভয় পাই না…!!যা ইচ্ছা করেন আমি বিয়ে করবো না…!!
তিনি আমার কথায় রহস্যময় হাসি দিলেন,,
আর বললেন,,
—-ওকে….!! সি ইট..! বলে সামনের দেয়াল টিভি ওন করে দিলেন,,
যা দেখে আমি অবাক…!! আমার ছোট খাট পরিবার..!!
তখন বারিশ আমার পিছনে এসে আমার গলায় চুমু দিয়ে কানের তাছে বলতে লাগে,,
—–কুহু মুন্তানীসার নতুন বিয়ে হয়েছে তাই না..!!ল্প বয়স..শুনেছি খুব ভালবাসে তাকে..! আচ্ছা তার জামাই যদি পরলোক গমন করে তাহলে কেমন হয়..!! আমি চোখ বড় বড় করে তার দিক তাকিয়ে সে একটা স্মাইল করে বলে বলে,,
—-না মানে যদি লাল শাড়ির বদলে সাদা শাড়ি আপন করতে হয়..!! কেমন হবে ব্যাপার টা??
আমার চোখ দিয়ে পানি পড়তে লাগলো।।তারপর আবার আমার মাথা ঘুরিয়ে টিভির স্ক্রীনের দিকে ফিরিয়ে বলল,,
—-আচ্ছা তোমার রাহুল ভাইয়ার ওয়াইফ মা হতে চলেছে..!! তাই না..!! আচ্ছা পৃথিবীতে আসার আগেই বাপকে হাড়ালে..!! আচ্ছা তাউ ছাড়ো..!! তোমার মিরাজ মামা মেয়র তাই না..!! সে যদি আর না ফিরে..!!আচ্ছা সব বাদ দিলাম…! যদি তোমাদের পুরো বাড়িতে বোম ফিট করে দেই..!! তাহলে সবাই ভুম….!!
আমি আর সইতে পারলাম নাহ…!!
—-নাহহহহ!! প্লিজ এমন করবেন না..!! আমি রাজি সব করতে রাজি যা আপনি বলেন।।বলে কাঁদতে লাগলাম।।
তখন তিনি আমার পাশে বসে কপালে চুমু খেয়ে বললেন,,
—-ওকে আমার লক্ষিটি তুমি যা বল..!!বের হয়ে যায় সে..!!
কিছুক্ষণ পর আমাদের বিয়ে হয়ে যায়…!!

to be continue…!!

psycho_is_back? season2 part_12

0

psycho_is_back?
season2
part_12
#apis_indica
ভোরে হাটতে বের হয়েছি আমি আর টিনা।।পেট ইদানীং মনে হচ্ছে বেরে যাচ্ছে।।টিনা তা দেখে অবশ্য বলে,,
— তোর পেট দেখে এখন সেক্সি লাগে।।আগেতো দেখাই যেতো না।।
—কি যাতা বলিস তুই??
—সত্যি বলছি দোস্ত।।রিয়ান আমাকে প্রায় বলে তোমার পেট একটু কমাও নয় তো ছুঁতে মজা লাগে না।।
—-ছিঃ কি অসভ্য কথা বার্তা বলিস তোরা?
—-ছিঃ কি আছে? তুই যখন প্রেম করবি তখন কত কথা বলবি তখন সেক্স কেমনে করে না করে? এমন কি বাচ্চা-কাচ্চার প্ল্যানিং পর্যন্ত করবি।। অার আমি এটুক বলতেই ছিঃ ছিঃ করছিস?? আর সে তুই তো? যে কিনা ইনার বিয়ের সময় খাটের নিচে থাকার প্ল্যানিং করেছিলি।। আর এখান ছি ছি করছিস?
—-দেখ তখন ছোট ছিলাম মনের মাঝে সব কিছু জানার কৌতুহল থাকেই।।আমারও ছিল?
—–তো এখন কই গেল সেই কৌতুহল?
—–দোস্ত এখন বড় হয়েছি।।আর ছেলে মানুষি করা ছেড়ে দিসি বুঝলি।।
—-হুম বুঝলাম।।চল ওই দিকটায় যাই।।

হাটঁছি নদীর পার ধরে।। টিনা রাউন্ড দিচ্ছে।।কিছুদূর দেখলাম একটি বৃদ্ধ কেমন যেন করছে।।আমি তার কাছে গেলাম।। বৃদ্ধ করে জিগাসা করলাম,,
—-দাদু আপনি ঠিক আছেন?
—-দাদু হাপাচ্ছেন।।মনে হয় শ্বাসকষ্ট আছে তার।।
তিনি আমার হাতে একটি ঠিকানা দিলেন আর বললেন,
—-আমাকে এই ঠিকানায় একটু পৌছে দিবে দাদু ভাই?
আমি কি করবো বুঝতে পারছিলাম না| ততখােন টিনা এসে আমার পাশে দাড়িয়ে ঠিকানাটা দেখে বলল,,
—দোস্ত এখান থেকে ১০ মিনিটের রাস্তা।। চল দিয়ে আসি মনে হচ্ছে বেশি ভাল না তার অবস্থা।।
আমি হে বললাম।।তারপর একটি সি এনজি ডেকে তাকে নিয়ে রওনা করলাম।।

সিএনজি এসে থামল একটি বড় বাংলোর সামনে।। ২ তলা বাংলোর আশেপাশে অনেক সিকিউরিটি গার্ড।। বাসার নেমপ্লেট দেখে আমি থ!! এতো বারিশ স্যারের কোম্পানির নাম।।তাহলে কি এটা তার বাড়ি?

বৃদ্ধকে দেখে গার্ড ভিতরে ঢুকতে দিলেন।।
ভিতের ডুকতেই একটি মাঝ বয়সি মহিলা এসে হাজির।।মহিলার গায় গ্রীন লাইট কালারের একটি শাড়ি।। হাতে দুটো চুরি।। চুল গুলো খোপা করা।।
তিনি এসেই বলতে লাগেন,,
—-বাবা কি হয়েছে তোমার??সাথে সাথে একজন কাজের মেয়েকে ইনহেলার আনতে পাঠিয়ে দেয় দাদুর ঘরে।।ইনহেলার নেয়ার পর কিছুটা শাস্ব নেন তিনি।।
মহিলাটি তখন বলতে লাগে,,
—-কতবার বলেছি তোমাকে একা বের না হতে।। গাড়িটাও নিলে না।।আজ কিছু হয়ে গেল।।আমাদের কি হতো?
দাদু বললেন,,
—-নারে মা কিছু হবে না আমার! এখনো এই বুড়ো শরীরে জোর আছে বুঝলি?? এখনো কত মেয়েরা প্রেম নিবেদন করে জানিস??
উনার কথা শুনে আমি আর টিনা হেসে দেই।।
মহিলাটা তখন বলে উঠে,,
—-তুমি না বাবা বয়স হয়েছে কিছু দুস্টমি ছাড়ো না।।আরে তোমরা দাড়িয়ে কেন বস।।আমি খেয়ালি করি নি।।তোমরা বস।।
—-না আন্টি আজ যেতে হবে।। অফিস আছে।। পরে একদিন আসবো।।
আন্টি যেন শুনতে না নারাজ।।নাস্তা না খাইয়ে ছারবেন না তিনি।।আগত তার কথা রাখতে হল।।মহিলাটি অনেক মিশুক ভালই লাগচ্ছে তার সাথে কথা বলে।।তখনি বাহির থেকে কানে হেড ফোন গুজে কেউ প্রবেশ করলো।।তাকে দেখে আমি আর টিনা দাড়িয়ে গেলাম চমকে।।লোকটি আর কেউ না টিনার বফ।। টিনাকে থেকে থতমত খেয়ে ফললো।।টিনাও তাই।।
রিয়ান তখন আমতা আমতা করে বলল,,
—-টিনা তুমি??
টিনা বলল,,
—-তুমি এখানে?
আন্টি বলল,,
—-একে অপরকে চিনিস নাকি??
—–না মানে হে চিনি ও আমার ফ্রেন্ড হে ফ্রেন্ড।।
আন্টি সন্দিহান চোখে বলল,,
—-এত তোর হাটুর বয়সি মেয়ে ও তোর ফ্রেন্ড?
রিয়ান মাথা চুলকাতে চুলতাকে বলতে লাগে,,
—–মা তুমি সব সময় শুধু আমাকে সন্দেহ করো!!
আন্টি বললেন,,
—-কাজ গুলাই তেমন করো?
তখন দাদু বলল,,
—–নানু ভাই! এরা আজ তোর নানুর জান বাচিঁয়েছে বুঝলি।।
—-কি হয়েছিল! আতঙ্কের সুরে বলল রিয়ান!
—-বাবা আজও একা বের হয়ে গেছিল।।
দাদু বলল,
—-আজ না গেলে এত সুন্দর দুটো নাতনী পেতাম না।।

কথার মাঝেই গাড়ি এসে থামল বাহিরে।। আন্টি তখন বলতে লাগেন,,
—-ওই চলে এসে আমার ছেলে, এখন তোমার ক্লাস নিবে বাবা দেখে নিও।।
দাদু বলল,,
—-আমি তোর ওই উটকে ভয় পাইনা বুঝলি??

তখনি পিছন থেকে কেউ বলে উঠে,,
—-কে উট দাদু?
দাদু বিড়বিড় করে বলল,,
—-এসে গেছে হিটলার।।
—-এই বুড়ো তুমি কি বল আমি শুনি না? তোমাকে কত বার না করেছি একা বের হতে? এত গার্ড কি জন্য রাখি আমি, সব কটাকে আজ শিক্ষা দেব দাড়াও।।বলে সব কটা গার্ডকে এনে ঝাড়ি দিতে লাগলেন।।এক পর্যায় পিছন থেকে বন্দুক বের করে সবার দিক তাক করে বলতে লাগলেন,,
—নেক্সট টাইম যদি আপনাদের দেখি উনাকে একা যেতে দিতে সব কটা মেরে গুম করে দিব বলে দিলাম।।
আমি আর টিনা এসব দেখে অবাক।।

নাস্তার টেবিলে বসে নাস্তা করছি সবাই।। একটা জিনিসে আমি অনেক অবাক হচ্ছি স্যার এমন ভাব করছেন যেন আমাকে চিনেন না।।যেন আমি বলতে কোনো মানুষ এখানে নেই।।তাই আমিও ইগনোর করলাম তাকে।।
?
অফিসে আমার কেবিনে বসে কাজ করছিলাম তখন ল্যান্ড লাইনে কল আসে,
—হ্যালো!
—-আমার কেবিনে আসুন।
গেলাম বারিশ স্যারের কেবিনে তিনি বললেন,,
—মিস, আমার দাদুর হেল্প করেছেন তার জন্য মন থেকে অনেক অনেক শুকরিয়া আপনাকে।।দাদু আমার জান।(কথার মাঝে স্যার আমার দুহাত তার দুহাতে ধরে) উনার কিছু হলে নিজেকে মাফ করতে পারবো না তার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।।
—-এটা একজন পথচারী হিসেবে আমার কর্তব্য স্যার।।বলে হাত ছাড়িয়ে নিলাম।।কারণ উনি যত বার আমার হাত ধরেন তত বার আমার শরীরে আলাদা শিহরণ দিয়ে উঠে।।স্যার আসি তাহলে।।
বারিশ বলল,,
—আমার কথা শেষ হয়নি মিস।।আমাদের আজ রাতে কক্সবাজার যেতে হবে মিটিং আছে।। আপনি এখন বাসায় চলে যান।। আমি এসে পিক করে নিব আপনাকে।।
—-ওকে স্যার।।এই প্রথম কোনো ছেলের সাথে একা বের হবো ভাবতেই কেমন ভয় ভয় করছে।।

বাসায় গিয়ে রেডি হয়ে নিলাম রাত ৮ টায় স্যার এলেন।।আমিও নিচে নেমে গেলাম।।গাড়িতে স্যার ড্রাইভিং সিটে বসে।।তার পাশে খালি।।তাই পাশেই বসলাম।।স্যার হয়তো নিজে ড্রাইভ করেই যাবেন।।কিন্তু তাই বলে রাতের বেলা কেন? বুঝলাম না..!!

অনেকক্ষণ যাবৎ স্যার ড্রাইভ করছেন ভাবলেশহীন ভাবে।।তাকে দেখে মনে হচ্ছে উনি ছাড়া এই গাড়িতে কেউ নেই।।কি আশ্চর্য! তাই আমিও বাহিরের দিক তাকিয়ে রইলাম।।আমরা অনেক দূর পর্যন্ত চলে এসেছি।।মাঝে আমি এক ঘুম দিয়ে উঠে পরেছি।।রাতে তখন বাজে ১২ টা কিছু কিছু দোকান পাঠ খোলা তো কিছু কিছু দোকান পাঠ বন্ধ করে ফেলছে।। হটাৎ একটি দোকানের নেম প্লেটে চোখ যায় যেখানে লিখা সিলেট।। আমি এটা দেখে অবাক যাওয়ার কথা কক্সবাজার আর স্যার নিয়ে এসে সিলেট।।স্যারের প্লেন কি? স্যার কি আমাকে মেরে ফেলেতে এনেছেন? নাকি বেঁচে দিতে? স্যারের কি কোনো কু মতলব আছে?? ভাবতে ভাবতে হটাৎ গাড়ি থেকে যায়।।সাথে সাথে শুকনো ঢুক গিললাম।।
—-সসস্যার আআআমরা সিলেট কেন? আমরা না কক্সবাজার যাব?? (ভয়ে তুতলিয়ে বলতে লাগলাম)
কিন্তু স্যার কিছু বললেন না।। আমার দিকে তাকিয়ে বাঁকা হাসলেন শুধু।।তার পর তার হাত দিয়ে সামনের চুল গুলো সরিয়ে বলে উঠেন,,
—-সারপ্রাইজ বেবী।
বলে আমার কানে পিছনে কি করলেন সাথে সাথে জ্ঞান হারায় আমি।। আর কিছু মনেই নেই আমার।।
?

চোখ খুলে পিটপিট করে তাকিয়ে বুঝার চেষ্টা করি।। আমি কই আছি।।বিছানা থেকে উঠার ট্রাই করি কিন্তু পারছি না আমার দুহাত খাটের দু পাশে হ্যান্ডকাপ লাগানো সাথে দু পায়েও।। এসব কি হচ্ছে আমার সাথে।। আর একি হাল আমার।।আমি হাত খোলার ট্রাই করছি কিন্তু পারছি না।।শুধু মুচড়া মুচরি করছি।আর চিৎকার করছি।।
—-প্লীজ হেল্প প্লীজ!!
কিন্তু কোনো সাড়া শব্দ নেই।। তাহলে কি সত্যি স্যার আমাকে বেচে দিলেন?? এবার জোড়ে জোড়ে কাঁদতে লাগলাম।।আজ যদি ইউসুফ ভাইয়া থাকতো? কখনো আমাকে এ হালে পড়তে দিতো না।।তখনি খট করে দরজ টা খুলে গেল।।
আমি তাকিয়ে দেখি,,,
—-আপনি????

চলবে,,

psycho_is_back? season2 part_11

0

psycho_is_back?
season2 part_11
#apis_indica

ঘুম ভাঙ্গতেই অনেক লেট হয়ে গেছে আজ।।১১ টা বাজে।।অফিস থেকে আজ ছুটি নিয়েছি।।বিছানার সাইড থেকে ফোনটা হাতে নিলাম।।ফোনটা ওফ হয়তো চার্য শেষ।।ফোনটি খুলে চার্যে দিলাম।।তখনি টুং করে মেসেজ বেঁজে হাতে নিয়ে দেখি আননোন নাম্বার থেকে মেসেজ এসেছে।।
মেসেজে,,
“Assalamu Alaikum!!
kemon acho jaan??
ghum kmn holo??
আমি মেসেজ দেখে যেন আকাশ থেকে পরলাম।।এ কোন বনমানুষ? আল্লাহমালুম।।হয় তার গফ বা বফকে মেসেজ দিতে গিয়ে আমাকে দিয়ে ফেলছে।।তাই আমি লিখে দিলাম,,
—“wrong number ”
অপাশ থেকে সাথে সাথে মেসেজ আসলো,,
—“No write number ”
আমি মেসেজ দেখে অবাক বেটা বলে কি??আমি জিগাসা করলাম,,
—-apni amk chinen?
—-hm..
—-ami apnk chini?
—-hoyto abar noyto!!
—-eita kmn kotha?
—-normal kotha!
তখন মাথায় আসলো, ব্যক্তিটি স্ত্রী লিঙ্গ না পুংলিঙ্গ?? তাই সাথে সাথে জিগাসা করলাম,,
—-you male na female?? ?
আপাশ থেকে আসলো কত গুলো,,
—-??????
—-hasen kn??
—-tumi asolai pagol kuhu!
মেসেজটি দেখে অবাক।। এখন আমি কনফার্ম, ব্যাক্তিটি আমাকে চিনেন।।আমি বললাম,,
—-apni k?
ও পাশ থেকে কোনো মেসেজ নেই।।তাই কল দিলাম, রিং হচ্ছে ধরছে না কেউ।।
কিছুক্ষণ পর কল কেঁটে দেয়।।আর একটা মেসেজ আসে,,
—- your psycho lover?
আমি কিছুক্ষণ থম মেরে রইলাম।।তারপর আবার কল করলাম।।নাম্বার বন্ধ।।পরে ভাবলাম হয়তো কেউ মজা করছে।।তাই আর কিছু না ভেবে ওয়াশরুমে চলে গেলা।।বের হওয়ার সময় একটি টাওয়াল পেচিয়ে বের হলাম।।তার পর কেবিনেট থেকে একটি ফুল হোয়াইট ড্রেস বের করলাম।।বিছানায় রেখে অন্য টাওয়াল দিয়ে চুল মুছতে লাগলাম।।তখনি আরেকটা মেসেজ আসলো।।চেক করলাম সেই আনোন নাম্বার।।মেসেজ ওপেন করতেই আমি বিস্ময়ের শেষ চুড়ায়।।
—-you looking so sexy..!!
—-mane??
—-sotti tumk khub hot lagche…!!
—-ki bolte chaichen apni?
—-aitai bina kapor a sudu ekta toylate tumk khub hot and sexy lagche…?

আমি মেসেজটি পরে থ হয়ে গেলাম।।চোখ বড় বড় করে মেসেজটি দেখছি।।সাথে সাথে কাপর নিয়ে ওয়াশরুমে দৌড় লাগাই।।

পুরো ঘর খুজা শেষ কোথাও তো হিডেন ক্যামেরা পেলাম না।।তাহলে কি ভাবে বলছে এসব ওই লোক।।তোখন আবার মেসেজ আসল,
—-খুঁজা শেষ!
—-মানে!
—-এই যে সি সি ক্যামেরা খুঁজলে? পেলে?
—-আপনি আমার রুমে ক্যামেরা লাগিয়েছেন?
—-হয়তো বা! আবার নাও?
—-কি বলতে চাইছেন?
—-কিছু না তোমাকে হোয়াইট ড্রেসে খুব মায়াবী লাগচ্ছে।।
—-কে আপনি ভাই????এটার কোনো মানে হয়? আপনি জানেন এর জন্য আমি কেস করতে পারি??
—-হুম জানিতো বাট তুমি জানো না! আমার নামে কেস করার জন্য আমার নাম জানতে হবে।।
সত্যিতো এর নাম তো জানি না আমি।।এখন নিজের চুল ছিড়তে ইচ্ছা করছে।।হুহ!!
আমি আর মেসেজের রিপলাই করলাম না।।
ব্যাগ নিয়ে বের হয়ে গেলাম।। নিচে এসে দাড়াতেই একটি লোক এগিয়ে আসে আমার কাছে আর বলতে লাগে,,
—হাই আমি বিহান!
—তো?
—-আপনি আমাকে চিন্তে পারেননি?
—-না তো?
—-এটা আমাদের বাসা..!
—-ওহো বাড়িওয়ালা আপনি?
—-জ্বি! এতদিন দেশের বাহিরে ছিলাম পড়াশুনার জন্য।।কাল রাতেই ফিরেছি।।আর আপনাকে কাল বেলকনিতে দেখি।।আপনি মেবি কাঁদছিলেন?
লোকটির গায়ে পরা বুঝা যাচ্ছে এমন মানুষ দু চোখে দেখতে পাড়ি না আমি।। কিন্তু এদের সাথে হ্যান্ডেল কিভাবে করা লাগে তা জানা আছে।।
তাই বললাম,,
—-ওহ তাহলে আপনি সেই,, আনোয়ার নানা ভাইয়ে ছেলে।।বিহান মামা।। ভালই হলো চলে এসেছেন।। নানা ভাই অনেক বলতো আপনার কথা।।
লোকটা মুখ কাচু মুচু করে বলতে লাগে,,
—-জ্বি আচ্ছা তাহলে আসি।।
খুব মজা লাগচ্ছিল লোকটির কাজে।।
হাসতে হাসতে জান শেষ।।তখনি ফোন টুং করে বেঁজে উঠে,,
—–এত কি কথা ছেলেদের সাথে তোমার?
—–আমার ইচ্ছে! আপনার কি?
—–আমার কি না! আরেক দিন দেখলে হাত পা ভেঙ্গে দিব..!!
—-যা ইচ্ছে করেন গে।। আমি ভয় পাইননা আপনাকে বুঝলবন হুহ!!
সেদিন অনাথ আশ্রমে যাই।।সবাইকে নিয়ে দুপের লান্চ করে তাদের সাথে সারাটা দিন কেঁটে যায় আমার।।
পরেরদিন সকালে রেডি হয়ে চলে আসি অফিসে।।আজ অফিসে কিছু ক্লায়েন্ট আসেছ বাহির থেকে।।
আমি তাদের আপ্যায়নে ব্যস্ত।। তাদের দিক ড্রিংস দেয়া সময় নিসাদ নামের একটি লোক আমার হাত ধরে বলতে লাগে,,
—-মেম আপনি বসুন আমরা করে নিবো।।
আমি লোকটির থেকে হাত ছাড়িয়ে বলতে লাগি,,
—-না না সমস্যা নেই আপনারা বসুন।।
তখনি লিনা এসে বলতে লাগে,,
—-কিহু বারিশ স্যার তোমাকে ডাকচ্ছেন।।
—-আসচ্ছি।।বলে চলে গেলাম তার রুমে,,যে দেখি স্যার তার সিটে বসে চোখ বন্ধ করে আর হাতে ওয়েট পেপার ঘুরাচ্ছেন।।কাপালের রং দুটো ফুলা।।
—–মে আই কামিং স্যার।
স্যার তার দু আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করলেন ভিতরে আসার জন্য।। আমি ভিতরে ঢুকতেই অটোমেটিকলি দরজাটা বন্ধ হয়ে গেল।। এমন হওয়াতে কিছুটা হকচকিয়ে যাই আমি।।
স্যার ততখনে উঠে এসে আমার সামনে দাড়িয়ে বলতে লাগেন,,
—-কেমন আছেন মিস কুহু!!
স্যারের এমন কথায় কেমন আশ্চর্য লেগে যাই আমি।।এখন বিকেল হতে চলল, সকাল থেকে ২০০ বারের মতো তার সাথে দেখা কই একবারো তো জিগেস করলেন না কেন আছি।।এখান কেন জিগাসা করছেন “কেমন আছি “? অদ্ভুত!
আমি তার দিকে ভ্রু কুচকে বললাম,,
—-স্যার আর ইউ ওকে?
স্যার মুচকি হেসে বললেন,
—এতক্ষন ছিলাম মিস..!! বাট এখন নেই!
—-মানে??
স্যার হাসলো।। স্যারের হাসিটা কেমন রহস্য লাগছে।।স্যার বললেন,,
—মিস কুহু! যদি আপনার সব চাইতে প্রিয় জিনিসে কেউ হাত দেয়, তাহলে আপনি কি করবেন?
—-আমি তো তার হাত পুড়িয়ে ফেলবো..!!
—-গুড মিস..!!
—-এটা কেন জিগেস করলেন স্যার?
—-কিছু না মিস..!!
বলে স্যার আমার হাতটা ধরলেন।।স্যারের এমন কাছে আমি হতভম্ব।। স্যারের কাছ থেকে হাত সরাতে নিতেই স্যার জোরে ধরলেন আর তার কাঁধ সাইকো দের মতো বাঁকা করলেন।।আর বললেন,,
—-মিস আমার হাত গুলো খুব সুন্দর।।আল্লাহ তালা নিশ্চয়ই এ হাত গুলো বানানোর জন্য এক্সট্রা টাইল নিয়েছেন।।সো যাকে তাকে এই হাত ধরতে দিয়ে না।।
বলে বের হয়ে গেলেন তিনি রুম থেকে।।
আমি তার এমন কাজে অবাক আর বিস্ময় নিয়ে চেয়েই রইলাম।।

মিটিং চলছে।।লিনা প্রেজেন্টেশন দেখাচ্ছে।।বারিশ বসে তার দু পাশে নিশাত আর তার সাথী।। আর কুহু।।লিনার প্রেজেন্টেশনে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই বারিশের তার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিশাতের দিক।।হটাৎ করেই নিশাত চিৎকার করে উঠে,,সাথে সাথে সবাই দাড়িয়ে যায়।।নিশাতের হাতে গরম কফি পরে যায়।।সে হাত ধরে দাড়িয়ে চিৎকার করছে।।আর বারিশ সবার অগোচরে হাসলো।। আর মুখে বলল,,
—-সরি মিষ্টার নিশাত আমি দেখেনি।। হটাৎ হাত লেগে কিভাবে..!!
বারিশকে কিছু না বলতে দিয়ে নিশাত বলতে লাগে,,
—-ইটস ওকে স্যার কিছু মনে করি নি আমি।।
বারিশ লিনাকে বলে,,
—-উনাদের নিয়ে যান আর হাতে মেডিসিন লাগিয়ে দিন।।
লিনা চলে গেল।।আমি অবাক হয়ে সবটা দেখলাম।।আমি স্পষ্ট দেখেছি স্যার ইচ্ছা করে তার হাত গরম কফি ফেলে দিছেন।। এমন কেন করলেন??
রুমে এখন আমি আর বারিশ স্যার।। স্যার আমার দিক ঘুরে কিছু ঝুকে বলতে লাগেন,
—-অবাক হওয়ার কিছু নেই মিস।।আপনি যেমন আপনার প্রিয় জিনিসে হাত দিলে তার হাত পুড়িয়ে ফলতেন ঠিক তেমনি উনি আমার জিনিসে হাত দিয়েছেন তাই পুড়িয়ে দিয়েছি।।বলে চলে গেলেন।।উনার কথার আগা মাথা কিছু বুঝলাম না।।ইদানীং স্যারকে কেমন যানি সাইকো সাইকো মনে হয়।।

সেদিন রাতে বাসায় আসতেই শুনি টিনা বলল,,
বাড়িওয়ালা নানা ভাইয়ার ছেলের হাত কে জানি ভেঙ্গে দিয়েছে।।সে তখন নাকি পার্কিং লট ছিল।।আর হুড়মুড় করে কতগুলো লোক এসে মুখে কাপর বেধে তার একটি হাতে ইচ্ছা মত বাড়ি দিয়ে ছে।। আমি শুনে থম মেরে রইলাম।।
তখন আসলো আবার মেসেজ,,
—-আমার জিনিসে নজর দিলে কাউকে আমি এত সহজে ছাড়ি না।।আসা করি বুঝতে পেরেছো??
“ইওর সাইকো লাভার “?
এখন আমার ভয় লাগচ্ছে যা মজা ভেবে উড়িয়ে দিয়েছি তা যে কতটা সিরিয়াস ছিল এখন বুঝছি।।

to be continue…?
( আমি খুব অসুস্থ, আজ দিতে চাইছিলাম না।।তা দিলাম, জানি না কি লিখেছি।। একটি কথা, ইউসুফ কই বারিশ কে? বারিশ ইউসুফ নাকি? তার বাবা, মা কই সব ধীরে ধীরে জানবেন প্লিজ অধৈর্য হইয়েন না।। সব যদি এক সাথে বলব দি..! তাহলে স্টোরি একদিনেই শেষ হয়ে যাবে।।আপনারা কি চান স্টোরি তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাক? তাহলে বইলেন তাই হবে..!!)

psycho_is_back? season2 part_10

0

psycho_is_back?
season2
part_10
#apis_indica(suraiya_satther)?

—–এটা কি করলেন মিস?? দিলেন তো আমার শার্টের ১২রটা বাজিয়ে?

—-সরি স্যার।।আমি খেয়াল করি নি!!

—-সরি মাই ফুট।।সরি দিয়ে কি করবো ধুয়ে ধুয়ে পানি খাব??

আমি মাথা নিচু করে দাড়িয়েই রইলাম।।
তখন অফিসে ঢুকতেই স্যারের সাথে ধাক্কা লাগে।। স্যারের হাতে থাকা হট হট কফি স্যারের বুকে পরে যায়।।কি সাংঘাতিক ব্যাপার গরম কফির হালকা ছাট আমার হাতে লেগেছিল, কি গরম বাবা! আর উনি স্টীল দাড়িয়ে বকে যাচ্ছেন।।নিশ্চয়ই তার বুকে জ্বলে যাচ্ছে।।
স্যার আমাকে চুপ থাকতে দেখর নিজের কেবিনে চলে যান।।আমি এখনো দাড়িয়ে।।কি করে ফেলাম আল্লাহ মালুম।।

তখনি পিছন থেকে কেউ ডেকে উঠে,,
—-মিস কুহু!

—-জ্বি।

—- বারিশ স্যার কেবিনে যেতে বলেছেন।।

—–এই বারিশ স্যারটা আবার কে??

আমার কথায় লিনা মুখটা কেমন হয়ে গেল।। যেন আমি এমন কিছু বলেছি যা দুনিয়াতে সবচাইতে অবিশ্বাস্য কথা ।।তখনি লিনা আমার দিক এক ভ্রু উচু করে বলল,

—-আর ইউ কিডিং মি?

—-নো আম নোট কিডিং ইউ?

—-তুমি সত্যি জানো না? বারিশ স্যার কে?

—-জানলে কি আপনাকে জিগেস করতাম নাকি?

—-ওহো! আচ্ছা এই অফিসের বসের নাম কি?

আমি একটু ভাবার চিন্তা করে বললাম,,
—-বলতে পারছি না?

লিনা অবাক হয়ে চেয়েই রইল।। তারপর বলল,,
—-এই প্রথম কোনো এমপ্লয়কে দেখছি যে অফিসে জব করে সেই অফিসের বসের নাম জানে না।।হাউ? বাই দ্যা ওয়ে।।বারিশ স্যার এই অফিসের বস।।যার শরীরে কিছুক্ষণ আগে আপনি গরম গরম কফি ফেলে দিছিলেন।।

আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম।।তখন লিনা আবার বলল,,
—-অবাক হওয়ার কথা আমার তুমি হচ্ছো কেন? এই নেউ স্যাভলন ক্রিম আর স্যারের কেবিনে যাও কুইক।।আর কি দেখমু।। অফিসের বসের নাম জানে না?বিড়বিড় করতে করতে লিনা চলে গেল।।

আমার এখন লজ্জা লাগতেসে।।সত্যিই তো আমি বসের নাম জানতাম না।।

স্যারের কেবিনে নক করলাম।।কোনো সাড়া শব্দ নেই।।আবার নক করলাম নাহ নেই।।তাই ভিতরে ঢুকে গেলাম।।ওমা কেবিন খালি।।গেল কই স্যার? আচ্ছা স্যার আবার ভুত টুত বা জ্বিন টিন না তো? না হলে তো উধাও হওয়ার কথা না?
তখনি স্যারের কন্ঠ শুন্তে পেলাম।। কিন্তু কন্ঠের উৎস খুঁজে পাচ্ছিনা।।পুরো রুমে চোখ বুলিয়ে নিলাম।।নাহ কেউ নেই।।ওয়াশরুমের দরজা বন্ধ তাহলে হয় তিনি ভিতরে।।তাই বাহিরে দাড়ালাম।।

পর মুহূর্তে আবার তিনি ডাকলেন,,
—-মিস কুহু ভিতরে আসুন?

স্যার কোন ভিতরে যাওয়ার কথা বলছেন? ওয়াশরুমের? ও মাই আল্লাহ্?

বারিশ আবার ডাকলো,
—-কি হলো মিস? এত দেড়ি করছেন কেন? আমি কি সাড়া দিন থাকবো এখানে?

আমি আর কিছু না বলে কাঁপা কাঁপা হাতে ওয়াশরুমের দরজা খুলতে লাগলাম।।আর ভাবতে লাগলাম।।অফিসে এসেছি মাত্র ২ দিন হলো।।তার মাঝেই ওয়াশরুম এ যেতে বলছে? হাউ ইজ পসিবল? কোনো কু মতলব নয় তো?? শুকনো ঢুক গিললাম।।তারপর কাঁপা কাঁপা হাতে আমি দরজা খুললাম।। খুলেই অবাক!! যেটা ওয়াশরুম ভাবচ্ছি! সেটা একটি বেড রুম? হায় আল্লাহ!! বেড রুমে কেন আন লেন?? আমি ধীরে ধীরে রুমে প্রবেশ করলাম।।আর স্যারকে এভাবে দেখে বিষম খেলাম।। স্যার একটা প্যান্ট পড়ে বসে আছে।। শার্ট নেই গায়।।পিছন থেকে শুধু তার ফর্সা পিঠ দেখা যাচ্ছে।।আমি তার পিঠের উপর ক্রাশ খাইছি।।আমার কেমন জানি ভয় মিশ্রিত লজ্জা লাগচ্ছে।।আচ্ছা ছেলেদের এত ফর্সা হওয়ার কি প্রয়োজন? আমার মতে ছেলেদের হালকা ফর্সা বা বাদামী রঙ্গের হওয়া উচিত।।স্যারের গায়ের রং দেখে হিংসে হচ্ছে আমার।।খুব হিংসে হচ্ছে।।কারণ স্যার আমার থেকে ফর্সা।।হটাৎ করে মনে একটি খেয়াল এলে আচ্ছা স্যারের এই সাদা পিঠে একটা কামুড় দিলে কি হবে? স্যার কি রাগ করবে? আমার কেন জানি খুব লোভ হচ্ছে, আর ইচ্ছে করছে কুটুস করে কামুড় দিতে।।হায় আল্লাহ।।কি ভাবচ্ছি আমি?? লুচুগিরি করছি? ছিঃ ছিঃ।।আমি চোখ ফিরিয়ে নিলাম।।

তখন স্যার বললেন,,
—-মিস ওখানেই দাড়িয়ে থাকবেন না এখানেও আসবেন??

আমি মাথায় হালকা চাপর দিলাম কি হচ্ছে আমার সাথে কি ভাবচ্ছি উল্টা পাল্টা আমি..!!যেই আমি কি না এসব থেকে শত গুন দূরে থাকি সেই আমি স্যারের উপর না সরি! স্যারে পিঠের উপর ক্রাশড, যেখানে স্যার চোখ দুটো ছাড়া ভাল ভাবে তার মুখটাও দেখিনি।।এটা কি আদ সম্ভব…!! হুহ।।

আমি স্যার সামনে আসতেই স্যার তার শার্ট আমার দিকে দিয়ে বললেন,,
—-ক্লিন ইট?

—-মানে?

—-আমি কি আরবি ভাষা বলেছি?

—- না মানে!

—-আপনি আমার শার্ট নষ্ট করেছেন এখন আপনি ধুয়ে দিবেন।।ওয়াশরুম ওই দিকে। গো..!!

আমি স্যারের কথা শুনে অবাকরে শেষ চুড়ায়।।
আমাকে দাড়িয়ে থাকতে দেখে স্যার এগিয়ে এলেন।। এবং আমার কিছুটা কাছে এসে কানের কাছে ফিসফিস করে বললেন,,

—-যে নষ্ট করেছে তাকেই তো পরিষ্কার করা উচিৎ মিস কুহু।।সো গো ফাষ্ট।।পরের কথাটি জোরেই বললেন।।

আমি কেঁপে উঠলাম।।কারণ তার এমন ফিসফিস ভাবে কথায় এক ঘোরে চলে গিয়েছিলাম।।আচ্ছা এই লোকে মাঝে কি আছে? আমাকে কেন আকৃষ্ট করছে? তার এভাবে কাছে আসাতে মনে হচ্ছিল আমার খুব আপন কেউ? তার সেই ফিসফিস করে কথা বলার সময় যে নিশ্বাসটা পরছিল আমার কানে, ঘারে, গলায়, মনে হচ্ছিল খুব চিনা সেই নিশ্বাস ।।আমি আর দাড়ালাম না ওয়াশরুমে ঢুকে গেলাম।।মাথা ধরে আসচ্ছে খুব।।এই ব্যাক্তিটির সাথে ২ দিনের পরিচয় কিন্তু মনে হয় যেন বহু বছরের চিনা।।

আমি শার্ট ধুয়ে বের হয়ে আসলাম।।দেখি স্যার সেই ভাবেই জানালার পাশে ঘুড়ে দু পকেট দু হাত গুজে দাড়িয়ে আছেন দৃষ্টি তার বাহিরে।।আবার তার সেই পিঠের দিক আমার চোখ যাওয়া আগেই চোখ ফিরিয়ে নিলাম।।

নিচের দিক তাকিয়ে বলে উঠি,,
—–স্যার শার্ট ধুয়ে দিয়েছি।।

স্যার আমার দিকে ঘুরে দাড়ালেন।।তারপর বললেন,,
—-মিস কুহু! টেবিলের উপরে স্যাভলন ক্রিম রাখা আছে, নিয়ে এদিকে আসুন।।

আমি ক্রিম টা নিয়ে তার কাছে গেলাম।।
তিনি বললেন,,
—–লাগিয়ে দিন।।

আমি অবাক হয়ে তার দিকে তাকালাম তারপর আবার চোখ নিচে নামিয়ে ফেললাম।।সেই চোখ কেমন স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে আমার দিক।।

আমি বললাম,,
—–আমি??

—–জ্বি আপনি।।ব্যাথা তো যে দিয়েছে ঔষধ তো তাকেই লাগানো উচিত! লাগিয়ে দিন।।

স্যার আমার থেকে অনেক লম্বা প্রায় ৬ ফিঠ হবেন।।তার সাথে তার জিম করা বিশাল দেহী।। আমি তার বুক পর্যন্ত ছুই ছুই।।স্যারের এমন কথায় লজ্জা লাগচ্ছে।।ইউসুফ ভাইয়া ছাড়া লাইফে কখনো কোন ছেলের গায়ে স্পর্শ করিনি।। আর পাইও নি।।
আমি কিছুটা ক্রিম নিয়ে স্যারের বুকে গালাতে লাগলাম কিন্তু চোখ আতার নিচে।।বুকের কই লাগচ্ছি জানা নেই আমার।। আমি ল্জ্জায় তাকাতে পারছি না তার দিক।।তা হয়তো উনি বুঝতে পেরেছেন।।

তাই বললেন,,
—–মিস আপনি কোথায় লাগচ্ছেন ব্যাথা তো এখানে পেয়েছি! বলে আমার হাত ধরে স্যারের ব্যাথায় মলন লাগলেন।।

তার এহেন কাজে চোখ বড় বড় করে দিকে তাকালাম।।এই প্রথম তার চেহারা এত সামনে থেকে দেখছি।।কত মায়া তার মুখে,,মুচকি হাসচ্ছেন আর এক দৃষ্টি মেলে তাকিয়েই রইলেন।।আমি সাথে সাথে চোখ ফিরিয়ে নিলাম।।আমার হাত পা কাঁপছে।।উনার এভাবে ধরাতে আমার হাত।। আমি কোনো রকম তাকে মলম লাগিয়ে দিয়ে দৌড়ে বের হয়ে গেলাম।।নিশ্বাস আটকে আসচ্ছে আমার।।আর কিছুক্ষণ হলে তো মরেই যেতাম।।তার উষ্ণ লোমহীন বুকে দেখে, হাত লাগাতেই কেমন জানি লাগচ্ছিল।।সাথে মনে পরে যাচ্ছিল সেই ইউসুফ ভাইয়ার কথা।। এ কেমন অনুভুতি হচ্ছে আমার।।স্যারের প্রতিটা কাজে আমি কেন ইউসুফ ভাইয়াকে অনুভব করছি।।সে তো নেই..!! সে তো বিদেশে থাকাকালীন কার অ্যাক্সিডেন্টে মারা গেছে।। তাহলে কেন!! এখন খুব কষ্ট লাগচ্ছে।।নাহ এই লোকের ধারে কাছে যাওয়া যাবে না।।দূরে থাকে হবে।।

to be continue…?

#Psycho_is_back?
#season_2
#apis_indic
#extra part ?
ঘড়িতে ১২ বাজতে ১ মিনিট বাকি।।বারান্ধায় দাড়িয়ে আছি।।সামনের টেবিলে একটি ছোট কাপ কেক,তার উপর ছটো একটি মোম।।ঘড়িতে ১২ টা বাঁজতেই ঢং ঢং করে ঘন্টা বাজতে লাগলো।।আমি আকাশের দিক তাকিয়ে বলে উঠলাম,,

—–হ্যাপি বার্থ ডে ইউসুফ ভাইয়া।।

আজ ইউসুফ ভাইয়ার বার্থ ডে।। সামনের মোমটি ফু দিয়ে নিভে দিলাম।।কেক ও কাট করলাম।।তারপর আমার সামনে থাকা ইউসুফ ভাইয়ার হাস্যজ্জল ছবিটির দিকে এক টুকরো কেক রেখে উঠে গেলাম।।আবার বারান্ধার কোনা ঘেষে দাড়িয়ে গেলাম।কি আশ্চর্য।।

১৪ টা বছরে একটি বারও আমার গিফ্ট মিস যায়নি তিনি পাঠিয়ে দিতেন।।আর এই সাত বছরে আপনার প্রতি বার্থ ডেতে এভাবেই সেলিব্রট করি, গিফ্ট ও রাখি।।কিন্তু কেন? তা জানা নেই..!!।

আপনি সেদিন চলে যাবার আগে যখন আপনি আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরেছিলেন, যদি জানতাম সেটাই আপনার সাথে আমার শেষ দেখা, শেষ স্পর্শ, শেষ জড়িয়ে ধরা তাহলে কখনো ছাড়তাম না আপনাকে কখনো না শক্ত করে ধরে রাখতাম।। খুব শক্ত করে।।বুকের ভিতরে আগলে রাখতাম।।যেদিন জিগাসা করে ছিলেন মিস করবো কিনা??

সত্যি ভাইয়া খুব মিস করছি খুব প্লীজ ভাইয়া ফিরে আসেন।।মনের ভিতরটা যে হাহাকার করে আপনার জন্য খুব।।বলতে বলতে ডুকুরে উঠলাম,, কান্না করছি চিৎকার করে কাঁদচ্ছি।।আর বলেই যাচ্ছি,,

—-প্লীজ কাম ব্যাক ভাইয়া।।প্লীজ!! একবার আসুন ভাইয়া আপনার বাবুইপাখির জন্য আসুন।।খুব ইচ্ছে আর একটি বার আপনার মুখ থেকে শুনার আমার বাবুইপাখি।।একটি বার আপনার বুকে মাথা গুজার।।প্লীজ।।

আমার কান্নার শব্দে টিনা দৌড়ে আসে।।
—-কুহু কি হয়েছে?? কুহু এদিকে তাকা বোন? তুই কাঁদচ্ছিস কেন??বল আমাকে??

আমি এবার হাউমাউ করে কেঁদে দিলাম, টিনাকে জড়িয়ে ধরে।।

টিনা কুহুকে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে বলতে লাগে,,
—জান আমার বল কি হইছে??

আমি কান্না থামিয়ে চুপ করে রইলাম কিছুক্ষণ ।। তারপর বললাম,,
—-আজ ইউসুফ ভাইয়ার বার্থ ডে।।

টিনা বলল,,
—-সে তো ভাল কথা চল আমরা সেলিব্রেট করি।।তুই যদি কাঁদিস তাহলে ভাইয়া যেখানেই আছে তার ঠিকি কষ্ট হচ্ছে।।।তুই এভাবে কাঁদিস না আয় আমার সাথে।।

টিনা আমাকে ঘরে নিয়ে তার কোলে আমার মাথা রেখে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলতে লাগলো,,
—-তুই জানিস ভাইয়া তোকে কত লাভ করতো? তুই তার জন্য এভাবে কাঁদিস তাহলে তার আত্মা যে কষ্ট পাবে।।

—-আমি যে পারি না তার রেখে যাওয়া স্মৃতি ভুলতে।।এই দিনটিতে আমার বুকটা চিরে যায়।।বারবার মনে পরে যায় তার সেই হাসি মুখ।।সেই আহ্লাদের বাবুইপাখি ডাক।।যানিস খুব মনে চায় ভাইয়া আর একটি বার ডাকতো বাবুইপাখি বলে?আর একটা বার তার বুকে জড়িয়ে নিতো।।

টিনার কষ্ট লাগচ্ছে খুব।।চোখ দিয়ে যে তারো হল গড়িয়ে গেল,,সে বলল,
—-কুহু এভাবে ভেঙ্গে পরিস না।।দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে।।একদিন এমন কেউ আসবে যে সত্যি তোর দুঃখ গুলো ভুলিয়ে তার রংয়ে রাঙ্গিয়ে দিবে।।

আমি কুহুর কথায় কিছু বললাম।। শুধু চোখ বুঝেই রইলাম।।কারণ মানুষ যতই শান্তনা দিক, বা বলুক আমাদের দুঃখনতারা উপলব্ধি করে? সেটা ভুল।।কারণ যারা এই পরিস্থিতিতে পরে তারাই বুঝে এটা কত যন্ত্রণা দায়ক।।যেখানে চাইলেও ভুলা যা না কিছু।।

মধ্যরাতে সেই একি রকম গরম নিশ্বাস অনুভব করছি।।এবার আর চোখ খিলতে ইচ্ছে করছে না আমার।।মনে হচ্ছে চোখ খুললেই সে যদি হাড়িয়ে যায়?? চোখ বুজেই সেই ছায়াটিকে জড়িয়ে ধরি।।মুখ দিয়ে বের হয়ে আসে,

—-ইউসুফ ভাইয়া আমাকে ছেড়ে যাবেন না প্লীজ।

আমি সত্যি আপনাকে ছাড়া অচল হয়ে যাচ্ছি।।আমি যে আবার চাই আপনা মুখ থেকে বাবুইপাখি ডাক শুনতে আপনি কেন বুঝেন না?? কেন চোখ খুলার পর হাড়িয়ে যান…??

তখন বুঝতে পারলাম সেই ব্যাক্তিটি আমার মাথা চুলে বিলি কেটে দিচ্ছে।। আমি যেন সেইটি অনুভব করে হাড়িয়পে যাচ্ছি গভীর অতলে।।সেই ব্যাক্তিটি আমার চোখের জল মুছে দিল আর আদর করে চোখ জোড়ায় চুমু খেল।।আর কিছুক্ষণ পর হারিয়ে গেল সেই স্পর্শ , সেই অনুভুতি, সেই নিশ্বাস।।এক সময় সব শান্ত হয়ে গেল।।আমি হুড়মুড় করে উঠে বসি।।

খাট থেকে নেমে সারা ঘর খুঁজতে থাকি।। নাহ্ সে নেই।।খাট ঘেসে মাটিতে বসে দু হাটুতে মুখ গুজে কাঁদতে লাগি।।এক পর্যায় চোখে পানি মুছে দেই।।বারান্ধায় দাড়িয়ে থাকি কিছুক্ষণ।। তখন ইউসুফ ভাইয়া আমার বার্থডে তে একটি গান গেয়েছিল যা আমি সেভ করে ছিলাম।।তা ফোনে প্লে করে,, ইয়ার ফোন কানে গুজে।। পাশের ডিভানে বসে চোখ বন্ধ করে তার সাথে কাটানো সময় গুলো মনে করতে থাকি…!!

Tere Jaane Ka Gam
Aur Na Aane Ka Gam
Phir Zamaane Ka Gam
Kya Karein?

Raah Dekhe Nazar
Raat Bhar Jaag Kar
Par Teri To Khabar Na Mile

Bahot Aayi Gayi Yaadein
Magar Iss Baar Tum hi Aana
Iraade Fir Se Jaane Ke Nahi Laana
Tum Hi Aana

Meri Dehleez Se Hokar
Bahaarein Jab Gujarti Hai
Yahan Kya Dhup Kya Saawan
Hawayein Bhi Barashti Hai

Hume Puchhon Kya Hota Hai
Bina Dil Ke Jiye Jaana
Bahot Aayi Gayi Yaadein
Magar Iss Baar Tum Hi Aana

Oh Ooo..

Koyi To Raah Woh Hogi
Jo Mere Ghar Ko Aati Hai
Karo Peechha Sada Unn Ka
Suno Kya Kehna Chaahti Hai

Tum Aaoge Mujhe Milne
Khabar Ye Bhi Tum Hi Laana
Bahot Aayi Gayi Yaadein
Magar Is Baar Tum Hi Aana

Marjaavaan..

to be continue…. ?

psycho_is_back? season2 part_9

0

psycho_is_back?
season2
part_9
#apis_indica(suraiya satther)

আয়নার সামনে দাড়িয়ে আছি।। এই নিয়ে পাঁচ, পাঁচ বার গলার সাইডের কাছ থেকে কাঁপা কাঁপা হাতে ওরনা শরিয়ে দেখলাম।।নাহ্ তখনের ঘটনা টা সত্য ছিল।। কারণ গলার সেই সাইডে উপরে দুটো দাঁত আর নিচের দুটো দাঁত মোট চারটি দাঁতের চিন্হ।।বরাবর তা দেখছি আর ভয়ে ঘেমে একাকার হচ্ছি।।কি হচ্ছে এসব আমার সাথে।। সারা শরীর থর থর করে কাপনী দিয়ে উঠে তখন কার কথা মনে হতেই।।দম বন্ধ হয়ে আসে।।এ কেমন অনুভুতি।। এবার ওরনাটা ফেলে দিলাম।।সাথে পরনের জামাটা খুলে ফেললাম।।আয়নায় নিজের প্রতিছবি দেখতে পাচ্ছি।।আমার ফর্সা দেহে শুধু সেই লাল দাগ টুকু ফুটে উঠেছে।।মুন্তানিছা আপির গলায় এমন দাগ অনেক বার দেখেছি।।শুনেছি একে নাকি লাভ বাইট বলে।।অথচ আমাকে যে অপ্রত্যাশিত ভাবে এই দাগটি দিয়ে গেল! তার কি নাম হওয়ার কথা?তাকে আর যাই হোক লাভ বাইট বলে না! তাহলে কি বলব? হেইট বাইট??হুহ ভাবতে পারছি না।।বিছানায় গিয়ে গা এলিয়ে দিলাম আমি।।

পরেদিন খুব ভোরে উঠে গেলাম।।নামাজ পরে নিলাম।।কেবিনেট থেকে একটি লাইট পিংক কালার ড্রেস বের করে পরে নিলাম।।যেহেতু আজ অফিসের প্রথম দিন তাই নিজেকে পরিপাটি করতে ব্যস্ত আমি।।তার উপর আমার বাসা থেকে অফিসের দূরত্ব ১ ঘন্টা।। মাঝে জ্যাম পরলে আবার লেট হয়ে যেতে হবে।।যেই ভাবা সেই কাজ ৮.৩০ এ বের হয়ে গেলাম।। কিন্তু বিপত্তি ঘটলো তখন মাঝ রাস্তায় আসতেই জ্যামে আটকা পরতে হলোই তখন ঘড়িতে বাজে ৯.১৫।। আর যাই হোক আর ১৫ মিনিটে কোনো ভাবেই পৌছানে সম্ভব না।।লেট হবে।।

অফিসে ঢুকতে ঢুকতে ঘড়িতে দেখে নেই। বাজে ১০.৫ মিনিট।।অফিসের যেতেই মেনেজারের কাছে ঝাড়ি ক্ষেতে হলো প্রথম দিন।।কখনো ভাবিনি এমনও দিন আমবে হুহু।।
মেনেজার বললেন,
—–আপনি এত লেট কেন মিস? জানেন স্যার একদমি পছন্দ করেন না কেউ অফিসে লেট করে আসা।।স্যার নিজেই ৫ মিনিট আগে চলে আসে অফিস আওয়ারের।।স্যারের মত পানচুয়ালিটি মানুষ পৃথিবীতে কমি আছেন।।

লোকটি প্রচুর বাড়তি কথা বলেন।।উনার কথা শুনে মনে হচ্ছেন তিনি বসে খুব ভক্ত যেভাবে তার গুনগান গাইছে তাতে মনে হচ্ছে, স্যার উনাকে টাকা দিয়ে রেখেছেন শুধু তার সুনাম করার জন্য হুহ।।
আমি মাথা নিচু করে বললাম,
—স্যার রাস্তায় জ্যাম ছিল।।
মেনেজার বললেন,
—জ্যাম তো থাকবেই।।ঢাকা শহরে যদি জ্যাম না থাকে তাহলে হবে বড়ই আশ্চর্য জনক ব্যাপার।। কথা হচ্ছে যেহেতু জানি আমরা জ্যাম পরে তো ১০ মিনিট আগে ভাগে বের হলে হতো না মিস!!

বুঝলাম বেটা কথা পেচায় বেশি তাই কিছু আর বললামি না।।
তিনি বললেন,,
—-যান তাড়াতাড়ি স্যার ওয়েট করতে আপনার জন্য।।

আমি আর কথা না বাড়িয়ে চলে গেলাম বসের কেবিনের দিক।। আর নক করলাম।।
সাথে সাথে ওপাশ থেকে ঝংকার ময় চমৎকার একটি কন্ঠ ভেসে আসলো।।
—-কামিং।।
ভিতরে ঢুকে বললাম,,
—-গুুুডডড মর্নিংংংং স্যার।।
স্যার তখন পিছনে ফিরে ছিলেন।।
আমার কথা শুনে আমার দিকে তাকালেন।যাষ্ট তার চোখ দুটা দেখ থম মেরে গেলাম।। অজানতেই মুখ ফসকে বের হয়ে গেল,,
—-ইউসুফ ভাইয়া!
এবার তিনি মুখের সামনে থেকে ফাইল সরিয়ে বললেন,,
—-হোয়াট??
আমি তার চেহারা দেখে নিজেকে সামলে নিলাম কারণ ইনি ইউসুফ নন।। নিজের মাথায় চাপর মেরে বললাম,,
—-কিছু না স্যার।।
স্যার বললেন,,
—লেট করা মানুষ গুলো আমার এক দমি পছন্দ না সো নেক্সট টাইল লেট হলে উল্টো পথে বাসায় চলে যাবেন।। আর অফিসে আসার দরকার নেই।।
আমি মিনমিন করে বললাম,,
—-সরি স্যার।।
—-প্রথম দিন যেহেতু তাই মাফ করে দিচ্ছি।।
তারপর কাকে জানি ফোন করলো,,
—-কেবিনে আসুন।।
কিছুক্ষণ পর একটি মেয়ের আগমন যার পরনে ফর্মাল ড্রেস।।
—-উনাকে কাজ বুঝিয়ে দিন।।
মেয়েটি মাথা ঝাকিয়ে আমাকে নিয়ে চলে গেল।।আমি যেতে আবার পিছনে তাকালাম।।
না শুধু চোখ দুটোই উনার মতো।।

মেয়েটির না লিনা।।আমাকে বুঝিয়ে চলে গেলেন।আমি নিজের সিটে বসে কাজ করতেসি ম।কিন্তু সেই চোখ দুটো যেন আমার চোখের সামন্য থেকে সরছেই না।।কেন?? আর মানুষের চেহরা মিলে ঠিক আসে কিন্তু চোখ ও মিলে আজ দেখলাম।।সব ভাবান্তর বাদ দিয়ে কাজে লেগে গেলাম।।

সেদিন অফিস করে বাসায় চলে আসি।।আর কিছু না ভেবে নাক ডেকে ঘুম দেই।।মাঝরাতের দিকে মনে হলো কেউ আমাকে গভীরভাবে দেখছে, কিছুক্ষণ পর কারো গরম নিশ্বাস আমার মুখে পড়তে লাগে।।ঘুমের জন্য চোখ মেলতে ইচ্ছা করছিল না তখন।। কিছুক্ষণ পর বুঝতে পরলাম কোনো নরম কিছু আমার গলায় স্পর্শ করছে।। সাথে সাথে শরীরে কেমন কাপনী দিয়ে উঠল।।না পেরে চোখ মেলে তাকালাম।। কি আশ্চর্য কেউ নেই।।মনের ভুল ভেবে কাঁথা টেনে আবার শুয়ে পরলাম।।

পরেরদিন সকালে উঠতেই লেট হেয়ে গেছে।। তাই তাড়াতাড়ি করে রেডি হচ্ছি।।নয়তো আজ আর অফিসে ঢুকতেই দিবেনা বস।।জলদি রেডি হয়ে অফিসে আসতেই কারো সাথে ধাক্কা খেয়ে ধাড়াম করে নিচে পরে গেলাম সামনে তাকিয়ে দেখি..!!

to be continue…….

Psycho_is_back season 2 part_8

0

Psycho_is_back
season 2
part_8
#suraiya_satther(apis_indica)
দেখতে দেখতে সাতটা বছর কেঁটে গেছে।।এই সাতটা বছরে উল্টেপাল্টে গেছে গোটা একটি পরিবার।। হারিয়ে গেছে কতগুলো ভালোলাগার মানুষ।। ভাবতেই চোখে জল এসে পরে আমার।। ভাবতেই অবাক লাগে এত গুলো বছর কেঁটে গেল, কিন্তু কিছু মানুষের শোক এখন কাটেনি।।এমন ভয়ানক স্মৃতিগুলো ভোলা বড় দায়।। বাহিরের ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছে।। বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে যাচ্ছে ধুলাবালি।। ইসস! এই বৃষ্টি যদি আমার কষ্ট গুলো ধুয়ে দিত।।যখন নিজের ভাবান্তরে ডুবে আমি চোখের জল ফেলছি তখনি পিছন থেকে কেউ কাঁধে হাত রাখে বলতে লাগে,,
—–কুহু আজ ও কাঁদবি?
আমি চোখের জল মুছে বললাম,,
—–এটা তো খুশির পানি আপি..!!
—–আমাকে মিথ্যে বলছিস??
আমি এবার আর পারলাম না হাউমাউ করে কেঁদতে লাগলাম আপিকে ধরে।।আপি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলল,,
—–কুহু সব ঠিক হয়ে যাবে।।কিন্তু তার জন্য তোকে সব ভুলে এগিয়ে যেতে হবে বাবু।।
—–আপি চাইলেও কি ভুলা যায়।।
—–শুন চাইলেই সব করা যায়।।ভুলব যাওয়া জিনিসটা তো আরো আগে করা যায়।।
—–আমি পারি না আপি, পারি না..!! কিভাবে পরবো বল?? আমার জন্য গোটা পরিবার ধংস হয়ে গেল যে?? হাসি খুশি আমাদের সংসারটা কেমন ভেঙ্গে গেল।।
বলে ফুপাতে লাগলাম আপিকে ধরে।
আপি আমার মাথা উঁচু করে তুলে চোখ মুছে বলতে লাগে,,
—- কাঁদিস নারে আপুই।। আচ্ছা এই দেখে মেহেদী লাগিয়েছি কেমন হয়েছে বল তো??
আমি হালকা হেসে বললাম,,
—-বাহ্ আপু তোর মেহেদী রং কত গাড় হয়েছেরে নিশ্চয়ই জিজু তোকে অনেক লাভ করে।।
মুন্তানিছা লজ্জায় লাল হয়ে বলতে লাগে,,
—–যাহ কি যে বলিস তুই।।
—–আল্লাহ জিবনে লজ্জা না পাওয়া আপি আমার লজ্জা পাচ্ছে দেখি?? কি আশ্চর্য??
—–যখন তোর বিয়ে হবে তখন বুঝবি।।
—–আমার বয়েই গেছে বিয়ে করতে!
—–দেখা যাবে সময় হোক।।তখা দেখবি আমাদের ভুলে তাকে নিয়ে মেতে আছিস।।
—–যেমনটি তুই করেছিস তাই না??
—–যাহ কি বলিস।।
—–সত্যই বলছি আমি দেখেছি বাসার পবছনে কি চলছিল।।
মুন্তানিছা বিস্ময়ের সুরে বলল,,
—–কি দেখেছিস??
—–যা জিজু করছিল তোর সাথে।। বলে মিটমিট করে হাসতে লাগলাম।।
আর আপি কাচুমাচু হয়ে বলতে লাগে,,
—–কি করেছে??
আমি বললাম,,
—-তোর গলার নিচে লাল লাল কিসের দাগরে??
বলতেই আপু দাড়িয়ে গেল আর বলতে লাগে,,
—– এই রে মা বুঝি ডাকচ্ছে।। আসিরে তুই রেডি হয়ে নিচে আয় বলে তাড়াতাড়ি নিচে চলে গেল আপি।। আর আমি হাসতে হাসতে শেষ।।
মুন্তানিছা আপির দুদিন পর বিয়ে তাই বাড়িতে তোড়জোড়সে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে।।পুরো ময়মনসিংহ মানুষকে দাওয়াত দেয়া হয়েছে যেহেতু বড় মামা এখন মেয়র সে সুবাদে।।বড় ভাইয়া বিয়ে করে ফেলছেন।।তার লাল টুকটুকে বউ দিয়া ভাবি ময়মনসিংহ মেডিকেলে পড়াশোনা করেন।।সব মিলিয়ে ভালই চলছে আমাদের কিন্তু কিছু মানুষের জন্য বুকটা হাহাকার থেকেই যায়।।আজ খুব বেশী মিস করছি নানুমাকে, তার কতই না শক ছিল নিজ হাতে তার বড় নাতনীকে সাজিয়ে দেবার।।মনে পড়ছে ছোট মামীকে, ছোট মামাকে আর ইউসুফ ভাইয়াকে।।তারা আজ বেঁচে থাকলে কতই না খুশি হতো।আনন্দটা আরো দিগুন হয়ে যেত।।নিজের অজানতেই দীর্ঘ শ্বাস বের হয়ে আসলো।। সাথে দু ফোঁটা জল গড়িয়ে পরলো চোখের কোনা দিয়ে।।

দেখতে দেখতে আপির বিয়ে হয়ে গেল।।ছেলে ইঞ্জিনিয়ার।। লাভ ম্যারেজ তাদের।। ৩ বছর ভালবাসার পর বিয়ে হয়েছে তাদের।।সবাই সব ভুলে নতুন জিবন শুরু করে দিয়েছে থমকে গেছি শুধু আমি।।

বিয়ের কার্য সমপন্নর পরে দিন চলে আসি ঢাকা।।এখানেই দু বান্ধবি মিলে ভাড়া থাকি একটি ফ্লেট নিয়ে।।কাল থেকে ক্লাস শুরু তাই চলে যাচ্ছি আজ।।

ব্যাগপত্র নিয়ে বের হয়ে গেলাম মাসকান্দা এনা বাস কাউন্টারে।। টিকেট করে রওনা হলাম আবার নিজের গন্তব্য।। ৪ ঘন্টা পর এসে পৌছাই ঢাকা।।
নিজের রুমে ঢুকে গা এলিয়ে দেই বিছানায়।।কত আশ্চর্য! যে আমি কখনো কিছু নিজ থেকে করতে পারতাম না সেই আমি আজ কিনা একা চলতে শিক্ষে গেছি।।হাহ্!!

—–দোস্ত তুই কখন এলি?? রুমে ঢুকতে ঢুকতে বলল,,টিনা!
—–যখন তুই সোফায় কাপড় চোপর ছাড়া শুয়েছিল।।
টিনা লজ্জা পেয়ে গেল।।
আমি বুঝে বললাম,,
—–এ আর নতুন কি? লজ্জা পাচ্ছিস কেন??
টিনা কাচুমাচু হয়ে বলল,,
—–রাতে রিয়ান কল করেছিল তো।। ওই এডাল্ট কথা বার্তা বলছিল তাই সইতেরনা পেরে আরকি..!!
আমি কথা থামিয়ে দিয়ে বললাম,,
—–ইসস চুপ যা..!! আমি জানতে চাইনি।। আমি জানি তোমার অভ্যাস।। খনে খনে হট হয়ে যাও।।
টিনা দু হাত পা মেলে বিছানায় শুয়ে বলতে লাগে,,
—–তুইকি বুঝবি দোস্ত সেই অনুভুতি কেমন!! কতটা মধুর।।আহ্।।একটা প্রেন এখনো করলি না।।তোর যখন বয়ফ্রেন্ড হবে তখন ঠিকি বুঝবি।।
—-হইছে উঠ বুঝতে হবে না আমার।।
টিনা যেতে যেতে বলল,,
—-তোর লেটার এসেছে টিভির সামনে রাখা দেখে নিস।।
আমি দৌড়ে যেতে যেতে বললাম,,
—-নিশ্চয়ই যব ইন্টার্ভিউর।।
—-তোর মামা এতো বড় লোক টাকার উপর রাখে তোরে আর তুই করবি জব? বাট হোয়াই??
আমি চিঠি খুলতে খুলতে বললাম,,
—–self-dependent হওয়ার জন্য।।
—–তো এখন কি কম আছিস নাকি?
—–তা না দোস্ত দেখ,, আমার মা-বাবা নেই।। মামাদের ঘারে বসে সারা জিবন পড়ে থাকলে চলবে? যতই হোক তারা বড়োলোক।। আ্ আমার ক্যারিয়ারের চিন্তাও তো করতেই হবে?
—-বুঝলাম আম্মা।।
আমি হেসে চিঠি খুলে দেখি SUR কোম্পানিতে পার্সোনাল সেক্রেটারির জব পেয়েছি।।এই কোম্পানির আয়ু চার বছর।। এই চার বছরে অনেক উন্নত করেছে।। দেশের বাহিরে নাকি এর মেইন অফিস বাংলাদেশে ঢাকা সহ আরো কিছু শাখা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এর।।

যাই হোক চাকরী পাওয়ার খুশিতে লাফিয়ে চিৎকার করে উঠলাম।।
টিনা পানি খাচ্ছিল আমার এহেন কাজে তার নাকে মুখে পানি উঠে পরে।।
আমি তাড়াতাড়ি করে মাথায় থাবা দিতে দিতে বলি,,
—সরি সরি দোস্ত।।
—-কি যে করিস? আমি ভয় পাইছিলাম।।এখন বল কি হইছে?
—-আমার জব কনফার্ম দোস্ত।।বলে জড়িয়ে ধরলাম টিনাকে।।
টিনা বলল,,
—ট্রীট চাই দোস্ত।।
—চল তাহলে..!! রেডি হয়ে নে।।আজ সেলিব্রেট করবো।।

তার রেডি হয়ে বের হয়ে গেলাম আমরা।। তারপর চলেরগেলাম রেস্টুরেন্টে।।সেখানে গিয়ে চিজ বার্গার, পিজা,আর কোলড্রিংস অর্ডার করে নিলাম।।২০ মিনিটের মধ্য আসবে।।
—–দোস্ত তুই বস আমি ওয়াশরুম থেকে আসচ্ছি।।
—–ওকে!!
আমি ওয়াশরুমে ঢুকে গেলাম।। কিছুক্ষণ পর বের হয়ে বেসিন হাত ধুয়ে চুল গুলো সেট করে নিলাম।।আমার চুল গুলো এখন কোমর ছুই ছুই।।আমিতো ভেবেছিলাম চুল আর গজাবেই না।।এর পর থেকে আর কার্লার করিনি চুলে।।ভাল ভাবে সব কিছু চেক করে বের হতে নিব তখনি হুট করেই ওয়াশরুমের লাইট ওফ হয়ে যায়।।হটাৎ এমন হওয়ায় ভয় পেয়ে যাই আমি।।নর্মাল বিষয় ভেবে পা বাড়াই বাহিরে যাওয়ার জন্য।।তখনি কেউ আমার চুলে টাচ করে।।আমি প্রথমে মনের ভুল ভেবে সামনে এক কদম আগাই তখন কেউ আমার কোমরে ছুয়ে দেয়।।এবার ভয় লাগতে থাকে।। এতটা আন্ধকার যে নিজেকেই দেখতে পাচ্ছিলাম।।কিন্তু কারো উপস্থিতি টের পাচ্ছি।। আমি এবার ডানে বামে না দেখে এক দৌড় দিতে লাগলাম তখনি কেউ হেচকা টান মেরে দেয়ালের সাথে লাগিয়ে ফেলে।।আমার আমার গলার কাছে এসে ঘ্রান নিতে থাকে।। তার নিশ্বাস আমার গলায় পরার সাথে সাথে কেমন অসস্থি লাগছে।।আমি তার থেকে নিজেকে ছাড়ানোর ট্রাই করছি কবন্তু পারছি না।।সে আর এক হাতে আমার মুখ চেপে ধরেছ আরেক হাতে আমার দুহাত ধরে আছে।।তখনি কানের কাছে সে ফিসফিস করে বলতে লাগে,,
—–ইউ লুকিং সো হট।।ইউ কিল মি বেবস।।
তার আমার গলায় সে গাড় চুমু দিল।।
আমি শক্ড হয়ে দাড়িয়ে রইলাম।।কিছুক্ষণ পর সে আমাকে ছেড়ে দিলেন।।আমি ভয়ে ঘেমে একাকার।।তার ছাড়ার পর পরই লাইট জ্বলে উঠে।। আমি তখনি ভয়ে আশেপাশে তাকিয়ে দেখি কেউ নেই।।তখনি বাহির থেকে টিনার গলার আওয়াজ পাই।।সাথে সাথে বের হয়ে যাই সেখানে থেকে।।

চলবে,,

Psycho_is_Back? season_2 part_7

0

Psycho_is_Back?
season_2
part_7
#Suraiya_satther(Apis_Indica)
দিন গুলো ভাল ভাবেই যাচ্ছিল আমার।।ইউসুফ ভাইয়ার সাথে খুনসুটি, সব জিনিস নিয়ে বাড়াবাড়ি।। আরো কত কি??? দেখতে দেখতে উনার যাওয়ার সময় হয়ে আসে।।এবার গেলে তিনি নাকি ৩/৪ বছরের আগে আর আসবেন না।।একদিকে যেমন ভাল লাগছিল যে উনি চলে যাবেন ঠিক অন্য দিক দিয়ে বুকে চিন চিন ব্যাথা হচ্ছিল।।মস্তিষ্ক বলছিল বার উনি চলে গেলেই ভাল কিন্তু মন..!! বড় বেহায়া, কোন হায়া নেই যেন? বার বার বলতে থাকে সে না যাক, সে না যাক।।কিন্তু মুখ ফুটে কোনো কিছু বলার ক্ষমতা আমার নেই।।কিন্তু তাকে মন থেকে সম্মান করতে শিক্ষে গেছি।।বিগত দিন গুলোর মধ্য যেই ভয়ানক অনুভুতি আমার মনে দাগ কেটে গেছিল, হাসতে ভুলে গেছিলাম, সব সময় ভয় কাজ করত সব মনে, মাঝে মাঝে ঘুমের ঘরে আহাদকে দেখতাম, আমাকে দেখে হাসচ্ছে আর বলছে,
-ফিরে আসবো আমি…!!
তখন ঘুমের ঘোরে চিৎকার করে উঠে যেতাম।।নিজেকে কেমন পাগল পাগল লাগতো তখন।।এসব কিছু থেকে বের হতে পেরেছি শুধু তাঁর জন্যই…!!

কিছুক্ষণ পর ভাইয়া চলে যাবেন…!!
ভাবতেই কষ্ট লাগচ্ছে।।ভাইয়া কিছুক্ষণ পর তার ব্যাকপ্যাক নিয়ে নিচে নেমে আসলেন,, পরনে তার এস কালার শার্ট, ব্লু জিন্স তার হাতে একটা জ্যাকেট।। তার মাথায় হেট..!! যেটা চুল ফালিয়ে দেয়ার পর থেকে তিনি পরে থাকেন।।তার সাথে ঠোঁটে তার মাতাল করা হাসি।।শার্টের দুটো বোতাম খোলা।।যার ফলে তার বুকটা দেখা যাচ্ছে।।আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে অন্য সব ছেলেদের মতো তার বুকে একটা চুলও নেই।।হাহ্!!তার কিছুটা উদাম বুক যে কোন মেয়েকে কাত করে ফেলবে।।তার সেই বিলাই চোখ…!! কতটা নেশা ধরার মতো তা বলে বোঝানো দায়।।

ইউসুফ তার দাদুকে জড়িয়ে বলতে লাগে,,
—-দাদু নিজের খেয়াল রেখ।। আর আমার বাবুইপাখির খেয়াল রেখ।।পরের কথাটি ফিসফিস করে বলল ইউসুফ।।
নানুমা তখন কাঁদছিল।।চোখ মুছে ইউসুফকে চুমু দিল কপালে আর বলল,,
—–জলদি ফিরে আসিস দাদু ভাই।।

তারপর এক এক করে সবার সাথে কথা বলে বিদায় নিল।।তারপর আমি তার কাছে এগিয়ে যেতে তিনি পাশ কাটিযে চলে গেলেন।।কি আশ্চর্য আমাকে ইগনোর করলো….!!এত বড় আপমান।। আমিও বলব না কথা হুহ।।রাগ উঠে গেল চলে গেলাম ছাদে।।এখানে থেকে কি করবো?? কি সুন্দর সবার সাথে কথা বলছেন গিফ্ট দিচ্ছেন।। আর আমাকে পাত্তাই দিল না?? শালা সাইকো হুহ।।

ছাদের এক কর্ণারে দাড়িয়ে আছি।। হটাৎ কারো উপস্থিতি টের পাই।।নিশ্চয়ই মুন্তানিছা আপি।।আমি বললাম,,
—-আপি আমি এখন যাবো না নিচে পরে যাবো তুমি যাও।।

মুন্তানিছা আমি গেল না।।তাই আবার বললাম,,

—-ইশ আপি যাও না একা থাকতে দেও।।

নাহ এখন দাড়িয়ে তার উপর কিছু বলছেও না।।বিরক্ত লাগচ্ছে।।মহা বিরক্ত।।তাই পিছনে ফিরতে নিলাম তখনি কেউ আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলো।।আমি চোখ বড় বড় করে সামনের দিক তাকিয়ে স্ট্যাচু হয় রইলাম।।তখনি কেউ শিতল কন্ঠে আমার কানের কাছে বলতে লাগে,,
—–এত অভিনাম??
আমি কন্ঠ শুনে শক্ড।।তিনি আবার বললেন,,
——তুই কি ভেবেছিস! তোর সাথে কথা না বলে চলে যাবো?? তাতো হবার নয়রে বাবুইপাখি।।
আমি এখন চুপ।।কিন্তু তার এভাবে ধরাতে, কথা বললাতে কাঁপুনি দিয়ে উঠচ্ছি।।
ইউসুফ আবার বলল,,
—–এই বাবুইপাখি তুই এভাবে কাপচ্ছিস কেন?? তোকে তো কাপাঁ কাপির মতো কিছু করি নি??
আমি ভয়ে ভয়ে বললাম,,
—–ভাই প্লিজ ছাড়েন আমার কেমন জানি লাগচ্ছে।।
এতে যেন ইউসুফের হেলদুল হল না।।সে তার দুহাত আমার পেটে আরো শক্ত করে ধরে আরে চেপে ধরলো তার বুকের সাথে আর বলল,,
—–আমাকে মিস করবি না??
আমি এবারো চুপ।। তিনি এবার আমাকে তার দিক ঘুড়িয়ে কপাঁলে চুমু একে বললেন,,
—- থাক কিছু বলতে হবে না।। ভাল থাকিস আর হে পড়াশুনা।।
বলে চলে গেলেন।।কেন জানি কিছু বলতে পারলাম না তাকে।।অনেক কিছু বলার ছিল তাকে।।যতক্ষণ পর্যন্ত যেতে লাগলেন শুধু দেখেই যাচ্ছি তাকে।।তিনি আর পিছনে ফিরে তাকালেন না।।

তিনি যখন গাড়িতে উঠে চলে গেলেন তখন মনের ভিতর চিনচিন ব্যাথা হতে লাগলো আমার অজানা কারণে চোখ থেকে চল গড়িয়ে পড়ল আমার।।
খুব মন চাইছিল তাকে জড়িয়ে ধরে বলি ভাইয়া আমি আপনাকে অনেক মিস করব অনেক।।কিন্তু বলা হল না।।

এভাবেই দিনের পর দিন,মাসের পর মাস, আর বছরের পর বছর কাটতে লাগলো।।সেদিন ভাইয়া যাওয়ার পর রুমে গিয়ে বিছানার উপর অনেক বড় গিফ্ট বক্স পাই।।যেখানে অনেক চকলেট,,কিছু ইয়ারিং আর একটা লকেট পাই।।আয়না গিয়ে সেটা পড়ে ফেলি।। আরো আছে সাথে কাচের চুরি অনেক রঙ্গের।।মনে পরে গেল সেদিনের কথা, ইউসুফ ভাইয়া থাকতে আমারা মেলায় গিয়ে ছিলাম সেখান থেকে চুড়ি কিনেছিলাম অনেক গুলো।।তখন ভাইয়া জিগাসা করছিল,,
—–বাবুইপাখি এত কাচের চুড়ি দিয়ে কি করবি??
আমি বলেছিলাম,,
—–সাজাবো??
—-কই??
—–কই আবার হাতে??
ইউসুফ হেসে ছিল সেদিন আর বলেছিল,,
—–তোর জন্য আমি এত এত চুড়ি কিনে দেব তোর হাত সাজানোর জন্য।।
—-আপনি কেন দিবেন??
—-তোর হাত সাজানো দেখবো বলে।।
সত্যিই আজ হাত এ এত চুড়ি পড়ি বাট দেখার জন্য আপনি নেই।।চলে তো গিয়েছেন মনের কোনে এ কেমন অনুভুতি দিয়ে গেলেন।।সত্যি আপনাকে খুব বেশি মিস করি,, কিন্তু কেন আই ডোন্ট নো…??

চলবে,,

psycho_is_back? season _2 part 6

0

psycho_is_back?
season _2 part 6

#সুরাইয়া_সাত্তার(apis indica)

তখনি বাসার মূল ফটক ইউসুফ ভাইয়াকে দেখতে পাই।।দৌড়ে তাকে ঝাপটে ধড়ি।।সারা শরীর তখন কাঁপছিল আমার।।এক সময় ইউসুফ ভাইয়ার উপর নিজের ভার ছেড়ে দেই।।আর জ্ঞান হারাই।।

কুহুকে এমন হালে দেখে ইউসুফের বুকে ধক করে উঠে,,কুহুকে কেমন বিধ্বস্ত লাগছে।।কিহু যখন জ্ঞান হারায় তখন কয়েক দফা গালে হাত দিয়ে ডাকে ইউসুফ।।কিন্তু কোন সাড়াশব্দ পায় না।। দেড়ি না করে কুহুকে বাড়ির ভিতরে নিয়ে যা সে।।আর হল রুমে নিয়ে সোফায় শুইয়ে দেয়।।আর সাথে সাথে বাসার সবাই ডাকতে শুরু করে দেয়।।

—-মা, বাবা, বড় মা, দাদু কই তোমরা।।দেখ কুহুর জানি কি হয়েছে…!!!
সবাই ইউসুফের ডাকে দৌড়ে আসে।।কুহুকে এভাবে দেখে বিলাপ করতে থাকে তার নানু।।

বড় মা কুহুর মুখে পানির ছিটা দিল।।কুহুর জ্ঞান ফিরছেই না।।সাথে সাথে কল করলেন তাদের ফ্যামিলি ডাক্তার কে।।তখনি ইউসুফের মা কুহুর বলল,,
—–ইউসুফ কুহুর হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসচ্ছে।।
—–কি বলছো এসব মা!!
—–ঠিক বলছি।।মুনতানিশা যা তাড়াতাড়ি তেল গরম করে নিয়ে আয়।।
মুনতানিশা দৌড়ে চলে গেল রান্না ঘরে।।
ইউসুফ পাশে বসে হাত ঘসতে লাগে কুহুর।।কিছুক্ষণ পর মুন্তানিশা তেল নিয়ে হাজির হয়।।
—–ছোট মা তেল।।
ইউসুফ, মুন্তানিশা আর তার মা হাত, পায়েতেল মালিশ করে দিচ্ছেন।।
তখনি ডা. নজরুল এসে হাজির।।
—–আঙ্কেল প্লিজ দেখেন আর কি হইছে।।
ডা. নজরুল কুহুকে দেখার পর ঘুমের একটা ইনজেকশন দেয়।।আর বলতে লাগে,,
—-ও কিছু দেখে ভয় পেয়েছে যার জন্য জ্ঞান হারিয়েছি।। আমি ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে গেছি কিছুক্ষণ ঘুমালেই ঠিক হয়ে যাবে।।

১২ টা ছুই ছুই!! ঘুম ভাঙ্গে যায় আমার।। হাতে উপর ভারি কিছু ফিল করছি উঠে বসে দেখি কেউ একজন আমার হাতের উপর শুয়ে আছে পরক্ষণেই সে ভয়ানক অনুভুতির কথা মনে পরে যায়।।ভয়ে শরীর থর থর করে কাঁপতে লাগলো।। আমি এক ঝাকটায় হাত সরিয়ে নেই।।সাথে সাথে সামনের ব্যাক্তিটির ঘুম ভেঙ্গে যায়।।আর আমি বিড়বিড় করতে লাগি,,
—–আমাকে ছেড়ে দিন, আমার কাছে আসবেন না।।আমাকে ছুবেনা।।বার বার এ বলি অাওরাতে লাগি।। বার বার সেই ভয়ানক মুহূর্ত গুলোর আমার চোখের সামনে ভেসে উঠছে।। প্লিজ চলে যান কাছে আসবেন। বার বার একি বুলি আওড়াচ্ছি।।

কুহুর এক ঝাকটায় হাত শরীর নেওয়াতে ঘুম ভেঙে যায় ইউসুফের।।কুহুর এহেন কাজে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে।।তার মাঝে কুহুর এভাবে কথা বলছে কেন?? বুঝতে পারছে না।।তার বাবুইপাখি তাকে ভয় পাচ্ছে কিন্তু কেন?? ইউসুফ উঠে কুহুর কাছে যায়।।কুহুর গাল হাত রাখতেই চেচিয়ে উঠে সে আর বলতে লাগে,,
——ছুবেন না আমায়!! আমাকে যেতে দিন..!!
ইউসুফ হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে রইল কিছুক্ষন।। তারপর আবার বলল,,
——কুহু লুক অ্যাট মি?? আমি তোমার ইউসুফ ভাইয়া।।
কুহুর যেন কান পর্যন্ত কোনো কথাই পৌঁছলো না।। সে তার বুলি আওড়িয়ে যাচ্ছে।।
ইউসুফ এবার সহ্য করতে না পেরে কাঁধ ঝাকিয়ে বলতে লাগে,,,
—–কুহু,, কুহু লিসেন টু মি,, আমি তুমার ইউসুফ ভাইয়া,, তোমার সাইকো,, তোমার টাকলু বাবুইপাখি আমার দেখে আমার দিকে…!!

আমি চুপ হয়ে গেলাম।।ভালভাবে তাকিয়ে ইউসুফ ভাইয়াকে দেখে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেই।।আর ইউসুফ ভাইয়া আমার মাথা তার বুকের সাথে চেপে ধরে পরম আদরে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে থাকে।। আর বলতে লাগে,,
—–শান্ত হও বাবুইপাখি!! আমি আছিতো তোমার পাশে দেখ তোমার সাইকো তোমার পাশেই পাছে।।কাঁদে না বাবুইপাখি..!!আমাকে বল কেউ কিছু বলছে তোকে?? বল তুই..!!

আমি কান্নার জন্য কথাই বলতে পারছিলাম না।।
তখন ইউসুফ ভাই খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলেন।।আমিও তার কোমর পেচিয়ে ধরে শক্ত করে কেঁদেই চলেছি।।

কিছুক্ষণ কুহুর হাত টা আলগা হয়ে গেল।। ইউসুফ বুঝতে পারলো কুহু ঘুমিয়ে গিয়েছে।।ইউসুফ কুহুকে শুয়ে দিয়ে তার পাশেই বসে হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো।।আর ভাবতে লাগলো,,তার বাবুইপাখির কি হলো?? কেনই বা এমন করছে?? কেউ কি কিছু বলেছে এমন হলে তাকে চিড়ে ফেলবে সে।।

গভীর রাতে ঘুম ভাঙ্গে ইউসুফের।। চোখে কুহুকে দেখে ধক করে উঠে তার মনে।।কুহু কাঁপছে ঘুমের মাঝে।। সাথে সাথে কপাঁলে হাত দেয়।। জ্বর উঠেছে প্রচুর।। ইউসুফ ওয়াশরুম থেকে এক মগ ভর্তি পানি নিয়ে আসলো আর তার পকেট থেকে রুমাল নিয়ে তা ভিজিয়ে কপাঁলে দিলো।।আবার দৌড়ে গিয়ে দুটো ব্ল্যাঙ্কেট এনে কুহুর গায়ে দিলো তাতে কিছুটা কাপুনি কমলো।।জ্বরের ঘরে কুহু কিছু বুলি আওড়াচ্ছিল যা ইউসুফের কান পর্যন্ত পৌঁছালনা।।তাই ইউসুফ কিছুটা ঝুকে শুনতে চেষ্ট করে।। আর শুন্তে পায় শুধু একটি নাম….আহাদ ভাই….!!!তাই আরেক ঝুকে তখন অস্পষ্ট ভাবে শুন্তে পায়,, আমাকে ছেড়ে দিন আহাদ ভাই…!! ইউসুফ এখন কিছুটা বুঝলো এই আহাদ নামের কেউ আজকে কুহুর এই অবস্থার জন্য দায়ী।। কিন্তু কি হয়েছিল বুঝতে পারলো না।।মনে মনে ঠিক করে ফললো এই আহাদ যদি সত্যই কিছু করে থাকে ওকে তো কখনোই ছাড়বেনা সে…!!
কুহুর দিকে তাকিয়ে আছে ইউসুফ।।মায়া মায়া মুখটা কেমন ফ্যাকাসে লাগছে।।ঠোঁট দুটো শুকিয়ে আছে।।এক দিনেই তার বাবুইপাখি নেতিয়ে পড়েছে।।এসব দেখে ইউসুফের মনে চিন চিন ব্যাথা হচ্ছে।।
আর মনে মনে বলছে,
——বাবুইপাখি তোর এই হালের পিছনে যারা আছে তাদের একজনকেউ আমি আস্ত রাখবো না।।তারা যানে না তারা ইউসুফের কলিজায় হাত দিয়েছে…!!!
ভোর রাতে কুহুর জ্বড় কমে যায়।।সারা শরীর ঘেমে একাকার।।এর মাঝে দুবার বমি করেছে সে..!!ইউসুফের সবটা পরিস্কার করতে হয়েছে।।কি আশ্চর্য যেখানে ১ গ্লাস পানির জন্য সে কাজের লোককে বলে সেখানে সে এসব করছে।।হাসলো ইউসুফ।।সে প্রমে রোমিও হয়ে যাচ্ছে।।
ইউসুফ হালকা এসির পাউরটা বাড়িয়ে দেয়।।কুহুর এখন জ্বড় নেমে যাওয়াতে সে তার ঘরে চলে আসে।।

সকালে ঘুম ভাঙ্গে মাথা কারো স্পর্শ পেয়ে।।তাকিয়ে দেখি ছোট মামী বসে।।তিনি পরম মমতা দিয়ে হাত বুলিয়ে যাচ্ছেন মাথায়।।আজ যদি আমার মা থাকতো তাহলে ও হয়তো ভাবেই মাথায় হাত বুলিয়ে দিত।।
ছোট মামী বলল,,
—–বাচ্চা কি হয়েছে তোর?? তোর মাকে বলবি না??
আমার কালকের সেই ভয়ানক কথা মনে পড়ে গেল।।সাথে সাথে মামীকে ধরে কাঁদতে লাগি।। আর সব বলে দেই।।মামী সব শুনে হতভম্ব।।
তারপর তিনি চোখ মুছে দিয়ে বলতে লাগেন,,
—–বাচ্চা কাঁদিস না।।। আহাদ তার উপযুক্ত শাস্তি পাবে।।
—–কিন্তু মামী পড়ে যদি আবার এমন করে…!! থাক কিছু করো না আমার ভয় হয় ওদের।।
—–বাচ্চা ভয় পেয়ে যদি অপরাধকারী কে ক্ষমা করে দেই,, সে কিন্তু তার কাজ পুনরায় করবে।। আর সে অন্য করেছে তোর সাথে,, আমার মেয়ের সাথে।।ওকে তো ছাড়বো না তুই নিজ হাতে শাস্তি দিবি।। মনে রাখবি অন্যায় যে করে, আর অন্যায় যে সহে, দুজনেই সমান অপরাধী।।
আমি মাথা নরলাম।।মামী খাবার নিয়ে এসে ছিলেন।।খাবার খাইয়ে চলে গেলেন।।বাহিরে ইউসুফ দেখে বলল,,
——শুনেছিস তো? সব কটাকে যেন্ত পুতে ফেলবি।।আমার মতে যারা মেয়েদের সাথে এমন করে তাদের মোরে দাড় করিয়ে কংকর নিক্ষেপ করা উচিত।। কুহুর এত ছোট বয়সে এমন হওয়াতে দাগ কেটে গেছে মনে।।ওকে এসব থেকে বের করতে হবে।।

—–মা চিন্তা করো না যারা এসবের জন্য দায়ী তাদের মাংস কুুকুর কে দিয়ে খাওয়াবো আমি।।
ইউসুফ বাহিরে দাড়িয়ে সবটা শুনে ছিল।।রাগে তার মাথার রগ দুটো লাফাচ্ছে চোখ মুখ দিয়ে যেন আগুন বের হচ্ছে তার। মনে হচ্ছে এই মুহুর্তে তাদের জালিয়ে দিতে।।

বিকেলের দিক বাহিরে অনেক চিল্লাপাল্লার আওয়াজে দৌড়ে বাহিরে গেলাম।। বাহিরে গিয়ে পা দুটো থেমে গেল।।প্রথমে ভয় পেলেও এখন আমার ঠোঁটে মৃদু হাসি।। আমার সামনেই পরে আছে আহাদ আর তার চেলাপেলা।।আর ইউসুফ ভাইয়া তাদেরকে ধরে মারছে।।। অকথ্য গালিগালাজ করছে।। আর মেরেই চলেছে।।এক সময় তাদেরকে উল্টো করে ঝুলিয়ে দেয়া হয় বট গাছের সাথে।। তার পর ইউসুফ ভাইয়া আমার হাত একটা ডান্ডা দিয়ে বলে,,
——নে অদের নিজ হাতে শাস্তি দে।।
আমি ইউসুফ ভাইয়ার দিকে তাকালাম বরাবর আমার মারপিট দেখলে ভয় লাগে।।যে মার খায় তার জন্যও ভয় লাগে।। কিন্তু ঘৃণা হচ্ছে প্রচুর ঘৃণা।।সেই সাথে মাথায় চেপে বসেছে মামীর কথা,,
“অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে দুজনেই সমান অপরাধী ”
আমি গিয়ে ইচ্ছা মত মারলাম।।
আহাদ চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে বলতে লাগে,,
—-কুহু মাফ করে দে আমায়।।
আমার যেন সেদিকে খেয়াল নেই।।মারতে মারতে নিজেই কেঁদে দিলাম।।ইউসুফ ভাইয়া আমাকে জড়িয়ে ধরলো।।আর বলল,,
—–তুই কেন কাঁদছিস ওই কাঁদবে আজকের পর থেকে দেখে যা।।
বলেই কাউকে ইশারা দেয়।।সাথে কেউ একজন করাত নিয়ে আসলো।।
ইউসুফ বলল,,
—–ওর হাত কেঁটে দে…!!
আহাদ তখন আবার চেচিয় বলল,,
—–ভাই মাফ করে দেন আর করবোনা।।ভাই এমন করবেন না।।
কাজ হলো না।।লোকটি গাছ থেকে নামিয়ে হাত কেটে দিল।।
আর আহাদ কাতরাতে লাগলো।।তখনি আহাদ আবার বলল,,
—–তোদের কাউকে ছারবো না আমি কাউকে না।।
ইউসুফ বাঁকা হাসলো,, আর বলল,,
—–সে সুযোগ দিলে তো?? বলে বন্দুক দিয়ে তিন তিনটা গুলি করে দিলো।।আর আমার পায়ের কাছে এসে পড়ে গেল আহাদ।।তার নিথর দেহ পড়ে আছে আমার সামনে।।

আমি এসব কিছু চোখে সামনে দেখে আঁতকে উঠি।। ইউসুফ ভাই এক পলকে একটা খুন করে ফেললো।।কি ভয়ানক লাগছে তাকে।।তিনি এতটা হিংস্র কিভাবে?? তার সুন্দর চোখ দুটো কোন হিংস্র প্রাণীর ন্যায় ।আহাদের রক্ততে বাহিরে উঠানে মাখামাখি।। মাথাটা কেমন ভন ভন করছে।।ভাবতে পারি নি ভাইয়া আহাদকে খুন করে ফেলবে।।এসব আর সইতে না পেরে জ্ঞান হাড়িয়ে ফেলি।।জ্ঞান হারাবার আগে শুধু একটা কথা কানে আসে।। আর সেই কন্ঠ ধারী লোক আর কেউ না ইউসুফ ভাইয়া।।যে বলে যাচ্ছে,,
—-বাবুইপাখি????

আমার জ্ঞান ফিরে পরের দিন।।পাশেই মুন্তানিছা আপি।।তিনি বলতে লাগেন,,
—–এখন কেমন লাগছে তোর??
আমি বললাম,,
—–ভাল।।আপু আহাদ কি মরে গেছে??
—–হুম মরে গেছে।।শয়তানরা এভরাবেই ধংস হয়ে যায়।।কিন্তু জানিস,,ওর ফ্যামিলি রাও চলে গেছে এক রাতে সব গায়েব।।এখন আর চিন্তা করিস না।।
আমি মাথা নাড়াই তখনি ঘরে ঢুকে ইউসুফ ভাইয়া যাকে দেখে ভয় লাগতে লাগলো কালকে তার যেই রূপ দেখেছি,, এই রূপ তার বিপরীত কতটা হিংস্র।। তার মাঝে মন বলতে কিছু নাই।।ইউসুফ ঢুকতেই আপি বের হয়ে গেল।।আর ামি বয় কাঁপছি।।আমাকে এভাবে ভয় পেতে দেখে ইউসুফ হাসলো।।।তারপর বলল,,
——ভয় পাচ্ছিস কেন?? আমি এমনিরে আমার জিনিসে কেউ হাত দিলে তাকে আমি ছাড়ি না।।তারপর কাছে এসে আমার কপালে চুমু খেয়ে বের হয়ে গেলেন তিনি।।

চলবে,,

Psycho_is_Back? season 2 part..5

0

Psycho_is_Back?
season 2
part..5
#apis_indica
ইউসুফ ভাইয়া ঠুস করে ঘরে ঢুকলেন।।ঠাস করে দরজা লাগিয়ে দিলেন।।তার এই ঠাস করে দরজা লাগানোতে আমার অন্তর আত্মা কেঁপে উঠলো।।
ইউসুফ ভাইয়া ধীরে ধীরে আমার কাছে আসতে লাগলেন।।

তার দিক আমি তাকিয়ে বুঝতে ট্রাই করলাম তিনি কি করতে চাইছেন।।বাট আমার ছোট মস্তিষ্কে কিছুই ডুকছে না।।তিনি কি রেগে আছেন?? আমাকে কি বকা দিতে এসে ছেন?? আমাকি কষে চারপাশটা থাপ্পড় দিতে এসেছি??? আই ডোন্ট নো??

তার চেহারা দেখে আমি কিছুই বুঝতে পারছিনা!! খুব স্বাভাবিক না আবার অস্বাভাবিক না?? তাহলে কি চলছে?? আমি ঠায় দাঁড়িয়ে রইলাম!! তিনি আমার মুখোমুখি দাঁড়ালেন আর বললেন,,

—–কিরে টাকলী আমি টাকলু হয়েছি বলে এতে খুশি তুই! আগে জানলে তো আরো আগেই টাক করে ফেলতাম।।

ইউসুফ ভাইয়ার কথা আমি অবাকের শেষ চুড়ায়!!
কি বলে বেটা আমার খুশির জন্য সে টাকলা হতেও রাজি…??

তাহলে আমার চুল গুলো ফেলে টাকলী কেন বানালো…!!! বলি এতই যদি আমার খুশির চিন্তা তার হতো, তাহলে কি আর আমার চুল ফেলে দিত??
চুলের কথা মনে হতেই আমার অবাক করা ফেইস মুহূর্তের বিষন্নতায় ছেয়ে গেল।।

আমিও বলে ফেললাম,,
—-চাপা মারছেন কেন?? চাপা মারার জায়গা এটা না বুঝলেন?? ভাগেন এখন..!!

এবার যেন অবাকের পালা ইউসুফের সে বলল,,
—-তোর সাথে কি আমার মজার সম্পর্ক যে আমি মজা করবো?? আর ইউ ক্রেজি??

আমি বিরক্তিকর ভঙ্গিতে বললাম,,
—-তো কিসের সম্পর্ক??

তিনি কিছু একটা বলতে গিয়ে চুপ মেরে গেলেন।।তারপর বললেন,,
—-সময় হলে বলব আমার বাবুইপাখি।।

তারপর তিনি এমন এক কাজ করলেন যাতে আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।। আমি তার থেকে দুকদম দূরে ছিলাম।। তিনি আচানক ভাবে তার ডান হাত দিয়ে কোমরে রেখে টান দিয়ে তার কাছে নিয়ে আসলেন এবং বাম হাত দিয়ে আমার গালে ধরে কপালে শব্দ করে শব্দ করে চুমু খেলেন।।

তারপর ছেড়ে দিয়ে মুচকি মুচকি হাসতে চলে গেলাম।। আমি তার এহেন কাজে পাথরের মতো দাঁড়িয়ে রইলাম।। মনে হচ্ছে কারেন্টের শক খাইছি।। তার সাথে মনের মধ্যে আলাদা নতুন লজ্জা মাখা অনুভূতিটা জাগরন দিচ্ছিল।। সেই অনুভূতির নামটা আমি কি দিব বুঝতে পারতেছি না।।সেই অনুভুতির কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমের বাড়ি চলে গেলাম।।

পরেরদিন বিকেলে মাঠে খেলতে গেলাম।।আমি, ইনা,মিনা,টিনা, আর ছেলেদের মাঝেও অনেকে আছে যারা আমাদের সাথে খেলতে আসে তাদের নাম, আশিক, রিজন, শুভ, নিলয়,আনন্দ।।শুভ ভাইয়া ৮ম শ্রেণীতে পড়েন।।আর সবাই আমার ক্লাসমেট।।

কিছুক্ষণ পর মুনতানিশা আপিও যোগ দিলেন তিনি নিউ টেনে পরেন।।তাই কোচিংয়ে গিয়েছিলেন কোচিং করতে।। আমার আজ টিউশন ক্লাস বন্ধ তাই খেলার সুযোগ পাচ্ছি।।সপ্তাহে তিন দিন সুযোগ পাই আমরা খেলার।।

সবাই এসে হাজির যখন তখন কি খেলো তা নিয়ে কথা হচ্ছিল সবার।।লাস্ট ঠিক হলো আমরা কানামাছি খেলব।। তাই আমি বাটাবাটি শুরু করলাম।।আর আমার সবাই গোল হয়ে ধারিয়ে গেলাম।।

” অবু,, আকাশ থেকে নেমে এলো ছোট একটি প্লেন!
সে প্লেনে বসে ছিল লাল টুকটুকে মেম।।মেমকে আমি জিগেস করলাম,, হোয়াট ইজ ইওর নেম?? মেম আমাকে উত্তর দিল,,মাই নেম ইজ সুচিত্রা সেন….!! সুচিত্রা সেন, সুচিত্রা সেন, উত্তম কুমার কই…?? উত্তম কুমার খাইতে গেছে শ্বশুরবাড়ি দই।।
((ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেল।।খেলার সময় বাটাবাটি আমাকে করতে বললে আমি এটা দিয়েই করতাম।।তাছাড়া আরো আছে??? স্পেশাল, স্পেশাল ক…বি…তা…??))

সেই ঘুড়ে ফিরে চোর হলাম আমি।।
তাই আমি বললাম,,,
—–আমি খেলমু না আবার বাটাবাটি হবে…??

টিনা বলল,,
—–কুহু তুই সব সময় এমন করিস….!! যেহেতু তোর দিক লাষ্ট আঙ্গুল গেছে তুই চোর হবি।।

আমি কাঁদ কাঁদ ভাবে মুনতানিশা আপুর দিকে তাকালাম,,তখন মুনতানিশা আপু বলল,,
——আচ্ছা আরেক বার করি বাটাবাটি…!! এবার চোর হলে তোকে মানতেই হবে।।

আমি খুশিতে লাফাতে লাফাতে বললাম,,,
—-ওকে।।

আপু আবার বলল,,
—-এবার আমি বাটবো।।

সবাই সায় দিল।।
আপু বলতে লাগেন,,,
“”দশ,কুড়ি, নাড়িভুঁড়ি, চিংড়ি মাছের চচ্চড়ি,
কে নেবে কথা না বলে দাও না ভাই শুনি??
বলে আপি আশিকের চোখ ধরলেন,,
আশিক বলল,,
—-৮ আনা।।আর সে উঠে গেল।।
এভাবে সবাই উঠে গেল আমি আবার চোর হলাম।।
—-এবার আর কিন্তু শুনবো না।। বলে চোখ বেঁধে দিলেন শক্ত করে।। তার পরে ঘুড়িয়ে ঘুড়িয়ে ছেড়ে দিলেন।।চারপাশ থেকে সবাই আমার কান, নাক হাত চুল টেনে যাচ্ছে।।আমি ধরতে পারছি না।।তার সাথে সাথে সবাই বলছে,,
“”কানামাছি ভোঁ ভোঁ যাকে পাবি তাকে ছোঁ “”

অনেকক্ষণ যাওয়ার পরও আমি কাউকে ধরতে পারলাম না। তখন ক্লান্ত হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম কিছুক্ষন।। তখন মনে হলে কেউ দাড়িয়ে আছে আমার সামনে।।আমি দেড়ি না করে তাকে জাপটে ধরি।।আর জোড়ে জোড়ে বলতে লাগি,,
——ধরে ফেলেছি ধরে ফেলেছি।।
কিন্তু ততখনে সবাই চুপ।।আর কারো কথা শুনতে পাচ্ছি না।।তাই ভাল কনে ঝাপটে ধরা ব্যাক্তিটির মুখে হাত দিলাম।।কিন্তু একি এত লম্বা এটা কে।। সাথে সাথে এক চোখে থেকে রুমালটা সরিয়ে দেখি,,
ইউসুফ ভাইয়া…!! আমার দিকে কেমন লাল লাল চোখ করে দাড়িয়ে আছেন।।আমার পাশেই মুনতানিশা আপি ভয়ে কাচুমাচু হয়ে দাড়িয়ে আছেন।।

আমি শুকনো ডুক গিলে বললাম,,
—-ভাইয়া আপননি???

ইউসুফ ভাইয়া কথা শেষ করার আগেই আমাদের দু বোনের দু কানে টেনে বলতে লাগলেন,,
—–দিন দিন ছোট হচ্ছিস?? দামড়ি মাইয়াগুলা?? এখন বিয়ে দিয়ে দিলে তোদের কোলে বাচ্চা থাকবে আর এখন আসচ্ছিস এখানে খেলতে আর এসব কি পড়ে থাকিস??? বড় হয়েছিস না…!! দাড়া আজ তোদের পা কেঁটে হাত ধরিয়ে দিব বলে আরো জোরে টান দিল।।

তখন আপি বলল,,
—–ছোট ভাইয়া প্লিজ ছাড়োনা আর হবেনা।।

কিন্তু কে শুনে কার কথা তিনি রাস্তার সবার সামনে দিতে আমাদের দু বোনকে কানে ধরে টানতে টানতে বাসায় নিয়ে আসলো।।

এদিকে তার এভাবে নিয়ে আসাতে রাস্তার মানুষ গুলো হাসচ্ছে।।লজ্জায় মাটিতে মিশে যেতে ইচ্ছা করছে।।আপু তো কেঁদেই দিচ্ছে।।তিনি এভাবে করেই বাসায় নিয়ে আসে।।

নানুমা এসব দেখে বলে,,
—–কিরে দাদু ভাই…!! ওদের এভাবে কানে ধরছিস কেন ছাড়…!!

ইউসুফ বলল,,
—–তোমরা এদের কিছু বলো না দেখেই বাঁদর হচ্ছে দিন দিন..!! সাড়া এলাকা টই টই করে ঘুরে এটা কেমন কথা…!! তার উপর এসব এখনও কি পরে বাচ্চা নাকি এখনো?? তার উপর একটারো ওড়না নাই গায়ে।।এদের কি এখনও খেলার বয়স আছে নাকি?? আর তুই…!! আপুর কান জোড়ে টেনে,,
—-তুইতো বড় তুই তো বুঝিস ও না হয় ছোট কই মানা করবি?? না নিজেও তাদের সাথে ধেই ধেই করে নাচবে।।।নাচনীবুড়ি হয়েছে তারা।।
আপু বলল,,
—-ছাড় ভাইয়া আর খেলবো না।।তুমি আমার মান সম্মান পামচার করে দিছো।।
—– এহে আসচ্ছে মান সম্মান উলি।।
এদিকে আমি ভয়ে একদম চুপ মেরে গেছি।।না জানি আমারে কি করে ভাগ্যবশত ছোট বলে বেঁচে গেছি…!!
নানু মা বলল,,
—–কি যে বলিস..!! ওরা এখনো বাচ্চা ছাড় ামার নাতনীদের।। ছাড় বলছি।।

ভাই তখন বলল,,
—নেক্সট টাইম যেন মাঠে খেলতে যেতে না দেখি!!
আর আমার দিকে আঙ্গুল তুলে বলতে লাগে পড়ে দেখতেছি তোরে।।বলে রুমে চলে গেল।।

আর আমি কাঁপতে লাগলাম না জানি কি হাল আমার করেন…!!

দেখতে দেখতে আমার বার্ষিক পরীক্ষা এসে গেল।। এখন পড়ার চাপ ও বেশী।।তাই প্রাইভেট নিতে হলো।।ব দুইটা।। দুপুরে বের হয়ে গেলাম পড়তে…!! প্রাইভেট শেষ হয়ে গেল সন্ধ্যার আগে।।তখন আমি আর ইনা কথা বলতে বলতে আসছিলাম।।মধু বাবুর গলি আসার আগেই ইনার বাসা সে চলে গেল।।আমি যখন মধু বাবুর গলি ক্রস করছিলাম,, তখনি হুট করে আমার পথ আটকে ধরলো আহাদ ভাই আর তার বন্ধুরা।।

তাদের দেখে আমার গলা শুকিয়ে গেছে।।কারণ তারা মোটেও ভাল না দিন দুপুরে মানুষ মেরে ফেলে কেউ কিছু বলতে পারে না।।কয়েকদিন আগেও একটি মেয়েকে এনে রেপ করে আগুন জালিয়ে মেরে ফেলছে।।সে জন্য জেলও খাটসেন তিনি।।তার বাবা নেতার সাথে থাকে বলে পাওয়ার খাটায়।।

আমাকে অনেক আগে থেকেই জালায়,,কিন্তু দূর থেকে আমাকে দেখে বলত,, সুন্দরী,, ফুলটুসি,, মাঝে মাঝে আমাকে পিচ্চিদের দিয়ে চিঠি পাঠাতো,, চকলেট দিতো।।তার দিতে তাকালে বিশ্রী করে হাসতো আর ঠোঁট দিয়ে কিস দেয়ার ইশারা করতো।।তার এসব দেখে গা গুলিয়ে যেত ঘৃণায়।।আমি সব সময় তাদের ইগনোর করতাম।। আমি তাদের দেখে না দেখার ভাল করে চলে যেতে নেই।।তখনি আহাদ ভাই আমার হাত ধরে ফেলে।।আমি পিছনে না ফিরে হাত ছাড়ার ট্রাই করতে থাকি।।তখনি আহাদ আমাকে তার কাছে টেনে আনে।।আর বলতে লাগে,,
—–ভয় পাও কেন পিচ্চি তোমাকে আমি ভালবাসি।। আই লাভ ইু..!! বলে হাসতে থাকে।।

আর এদিকে আমি কান্না করে বলতে লাগি,,
—–প্লিজ আমায় ছেড়ে দেন।।

—–তোমাকে ছাড়তে ইচ্ছা করতেসে না ফুলটুসি,, কত সুন্দর মাখনের মতো শরীর হচ্ছে তোর একদম নরম নরম।।খালি ধরতে ইচ্ছা করে বলে আপত্তিকর ভাবে টাচ করতে লাগে।। আমি ভয়ে কান্না করে যাচ্ছি সাথে চিৎকার করে যাচ্ছি।।কিন্তু এই সন্ধ্যায় কেউ নেই।।তখন মনে পড়ে বড় মামীর কথা তিনি একবার বলছিলেন,,
—-কেউ যদি তোমাদের গায় আপত্তির ভাবে টাচ করতে নেয় তখন সাথে সাথে তার নাকে দু আগুল ঢুকে টান দিবা,,নয় তো দু পায়ের মাঝ বরাবর লাথি মারবা,, আর না হয় চোখে আঙ্গুল ঢুকিয়ে দিবা।।
আমি সাথে সাথে তাই করলাম।।যেহেতু আমার হাত তার হাতে আবদ্ধ তাই তার দুই পায়ের মাঝ বরাবর লাথি মারলাম।।সাথে সাথে তিনি ছিকে নিচে পড়ে চিৎকার করতে রাগলেন।।আর তার চেলা পেলারা কি হইছে ভাই বলে চিৎকার করতে লাগলো।।সেই সুযোগে আমি দৌড়ে পালা লাম তখনি আহাদ বলতে লাগে,,,
—–শালীরে ধর…?? ওর শরীরে কত বিগার ছুটামু আজ।।
তখস কিছু চেলা পেলা আমার পিছু আসতে লাগে।।কিন্তু আমি আর ডানে বামে না তাকিয়ে দৌড়ে বাসায় ডুকে গেলাম।।আর তখনি….!!

চলবে,,

psycho_is_Back? season 2 4 extra part

0

psycho_is_Back?
season 2 4 extra part
#apis_indica

সেদিন সারাটাখন আমার চুল গুলো কোলে নিয়ে খুব কেঁধেছি।।আমার মা বাবা মারা যাওয়ার দিন হয়ত এভাবে লাষ্ট কান্না করেছিলাম।।বড় মামী, ছোট মামী, এবং মামারা পর্যন্ত থামাতে পারছিল না।।কান্নার এক পর্যায় আমি খানিকটা হেলে পড়ি বড় মামীর কুলে।।কারণ চোখে সামনে সব ঝাপসা দেখাচ্ছিল তখন।।ধীরে ধীরে চোখের সামনে অন্ধকার নেমে এলো।।এবং কিছু সেকেন্ডেই আমি জ্ঞান হাড়াই।।

মাঝ রাতে, হটাৎ ঘুম ভেঙ্গে গেল,, পিটপিটকরে তাকিয়ে দেখি আমি আমার রুমে আমার বিছানায় শুয়ে।।পরক্ষনে মনে হয় হয়ত স্বপ্ন দেখছিলাম।। কিন্তু মাথাটা কেমন জানি খালি খালি লাগচ্ছে।। মনে হচ্ছে স্বপ্ন ছিলনা।।তাই ভয়ে ভয়ে নিজের মাথায় হাত দিলাম।।সাথে সাথে চোখের পানি গড়গড় করে পড়তে লাগলো।। তার মানে আমি স্বপ্ন দেখছিলাম না।।বিছানা থেকে নেমে, ডেসিং টেবিলের সামনে গিয়ে লাইট জালিয়ে নিজেকে দেখতে লাগি….!

সাথে নিজে দুহা মুখে চলে যায়।।কতটা বিধ্বস্ত লাগছে আমায়।।আবারো কান্না আসচ্ছে ঠেলে।। কিন্তু এবার আর কাঁদবো না আমি।।চোখের গড়িয়ে পড়া পানি গুলো মুছে নিলাম আমি।।আর মনে মনে তটস্থ করে নিলাম।।এর প্রতিশোধ আমি নিয়েই ছাড়বো…!! একে আমি শায়েস্তা করে না করে শান্তিতে বসচ্ছি না…!!! এবার আর ছাড়াছাড়ি নাই।।বেটা আমার প্রিয় জিনিসে হাত দিয়েছে,, একে এত সহজে ছেড়ে দিলে আর যাই হোক আমার রিডার্সদের কাছে আমি ছোট হয়ে যাবো….!!! তাতো হচ্ছেনা….!!!! এর বদলা আমি নেবওই…..!! যেমন – খুনের বদলে খুন, তেমনি চুলের বদলে চুল…..!! আপনারা কী বলেন রিডার্সরা..???আমি ঠিক করছি তো…!!!

যা ভাবা সেই কাজ।।শয়তানি একটা হাসি দিয়ে চলে গেলাম কার্য হাসিল করতে ইউসুফের ঘরে।।দরজা খুলে পা টিপে রুমে আসলাম..!! সাইকো বেঘোর ঘুমাচ্ছে।।তার পুরো বেড জুরে দখল করে শুয়েছে।।বাহিরের রাস্তার পিলার গুলো থেকে আসা মৃদু হলুদ আলো পরছে তার মুখে।।তার হালকা বাদামী চুল গুলো কপালের পরে আছে।।দেখতে কতটা না মায়া লাগচ্ছিল।।মনে চাইছিল তার কপাল থেকে চুল গুলো সরিয়ে দিতে।।

কিন্তু পরক্ষণেই তার ভয়ানক কর্মকাণ্ডের কথা মনে পড়ে গেল,, সে কিনা না হাল করেছিল আমার।।আবার মেনের মাঝে প্রতিশোধের আগুন জ্বলে উঠলো।।সাথে সাথে তার থেকে চোখ ফিরিয়ে নিলাম..কিন্তু বেহায়া চোখ বারবার তার পানে চলে যাচ্ছে।।

সাথে সাথে মন থেকে এসব ঝেড়ে ইউসুফের ওয়াশরুমে চলে এলাম…..!!! আর কাজ শেষে বের হয়ে গেলাম….!! এবার বুজবে ঠেলা কত ধানে কত চাল হুহ…!!!!!!

সকালে,,

গলা ফাটা চিৎকারে হল রুমে জড়ো হয়ে গেল সবাই।। এ চিৎকার আর কারো না সাইকো বেটার…!!আমি চোখ ঢলতে ঢলতে খাট থেকে নেমে খাটের নিচ থেকে স্যান্ডেল পায়ে নিচে নেমে এলাম।। আমাকে দেখে কটমট করে তাকিয়ে বলতে লাগে ইউসুফ,,

——-এসব তুই করেছিস তাই না….??

আমি না জানার ভান করে বললাম,,

——কি সব করেছি আমি..??

তিনি এবার দাঁতে দাঁত চেপে বলতে লাগলেন,,
——আমার শ্যাম্পুর বোতলে সুপার গ্লু কে ঢেলে দিয়েছিস তুই দেখ আমার চুলের কি হাল হয়েছে এখন…!!

তাকে দেখে উপস্থিত সবাই হাসচ্ছে মিটমিট করে।। আমিও আর ধরে রাখতে পারছি না…!! তার চুল পুরো পাখির বাসা হয়ে গেছে।।এমন মনে হচ্ছে তাকে ধরে বেঁধে কারেন্টের শক দেয়া হয়েছে।। যার ফলে তার চুল এমন হয়ে গেছে।।

আমি বললাম,,
—–দেখুন ভাইয়া আমি এসব কেন করবো?? আপনার সেই দামী দামী শ্যাম্পুতে গন্ডগোল আছে।। ফরেনসিক ল্যাবে চেক করে নিন গিয়ে…!!

তিনি কটমট করে বললেন,,
—–ফাজলামো করছিস আমার সাথে…!! সত্যই কুহু আল্লাহর ওয়াস্তে যদি এর পিছনে তোর হাত থেকে থাকে, আই উইল শো ইউ হাউ ব্যাড আই এম…!!
বলে ধপাধপ পায়ে বের হয়ে গেলেন….!!

আমি আর হাসি আটকে রাখে পারলাম না ফিক করে হেসে দিলাম।।তখনি নানু মা এসে ামার কান মলে বলতে লাগে,,
——এসব তোর কাজ না বুড়ি…!!
আমি বললাম,,
——আলবাৎ আমার কাজ।। সে আমার চুলের বলি দিয়েছে এবার তাকেও দিতে হবে…!!
——বুড়ি তুই তো জানিস ও কথাটা রাগি…!! কেন ওর সাথে লাগতে গেলি এখন যদি উল্টো কিছু করে বসে…!!
——ও ইয়াং লেডি ওসব তুমি আমার উপর ছেড়ে দেও..!! তোমার ওই তার ছিড়া লম্বু খাসিকে নাকানি-চুবানি না খাইয়েছি আমার নাম পাল্টে ফেলবো…!!!

সেদিন বিকালে সাইকো ফিরে আসে বাসায়।।তখন হলরুমে চলছিল গল্পের আসর।। ইউসুফকে দেখে সবাই ভুত দেখার মতো হা করে চেয়েই আছে…!!
সবার মাঝে তখন পিনপতন নিরবোতা…!! সন্ধের সময় মশা মাছি, পোকামাকড় সবাই আওয়াজ করতে ভুলে গেছে….!!

কিছুক্ষণ পর,,বড় মামী বলে উঠলেন,,
—–ইউসুফ তোর এ হাল কি করে হলো….!!!
ইউসুফ রাগে কটমট করে আমার দিকে চেয়ে উত্তর দিল,,
—–তোমাদের আদুরীর আদুরের ফল বলে….!! বলে রাগে গজ গজ করতে করতে চলে গেলেন।।

উপস্থিত সহ সবাই হো হো করে হাসির রোল পরে গেল…!!

কারণ আমি আমার প্লানে সাকসেস হয়েছি।। ইয়াহু….!!!
ইউসুফ তার চুল হারিয়েছে…!! আদিল মাথা টিং টিং হয়ে গেছে।।আমি দৌড়ে রুমে গিয়ে গান ছেড়ে লাফাতে লাগলাম…!!লুঙ্গী ডান্স করতে লাগলাম…!!

তখনি ধাড়াম করে আমার রুমে দরজা খুলে গেল…!! দরজার দিকে তাকিয়ে আমার সব আনন্দ ফুর্তি গুজে গেল…!! মুহূর্তেই চুপসে গেলাম….!!

চলবে,,

(আপনাদের অনুরোধে একটা পার্টি দিলাম ?)