#গল্পপোকা_কবিতা_লিখন_প্রতিযোগিতা
কবিতা:- মনের কোণে সে রয়
লেখা:- Sadman Arif
তোমার মনের কোণে
বয়ে যায় ক্রমশ
উথাল পাথাল সাগরের
আছড়ে পড়া ঢেউ,
সেই আছড়ে পড়া শব্দে দেখো
রঙ তুলির মিছিলে
তোমার জন্য ভালোবাসার
প্রেমকাব্য আঁকছে কেউ।
আজ এই দিনে
নাম না জানা বিকেলে
কিছু অভিমানে
কিছু ভুলে,
কোমল গালদুটোয়
লাল রঙের গোলাপ ফুটে।
বিকেলের এই মিষ্টি রোদ্দুর
হতে চাওয়ায় এক প্রেম পাখি,
প্রিয়জনের থেকে সে পায়
কথা না রাখার ফাঁকি।
তার হৃদয় জুড়ে
একটি বদ ছেলের অপেক্ষার ছলে,
স্বপ্নহারার অভিযোগ জমে
ধূসর মলাটের বদ্ধ দেয়ালে।
তুমি জানালা খুলে দেখো
সেই বদ ছেলেটার অন্তর কাঁদে
করুন সুরের আর্তনাদে,
তোমার পথ সে চেয়ে থাকে
দিয়ে প্রতিশ্রুতি
আর না ভুল হওয়ার অজুহাতে।
তোমার সাদা স্বপ্নের ভীড়ে
দুমুঠো এই বিকেলে
চূর্ণবিচূর্ণ হয়
আজ এই নিরুত্তাপ হাওয়ার
বেয়াদব ধুলো,
তোমার পথ চেয়ে
ভুলের মাশুল গুনতে
দাঁড়িয়ে সে বকুল ফুলের
মালা হাতে
অভিমানের ভেজা ভেজা
খিড়কি দরজা তুমি খুলো।
#গল্পপোকা_লিখন_কবিতা_প্রতিযোগিতা
শিরোনাম -মৃত ভ্রূণ
কলমে-আব্দুল_রহিম
তারিখ-০৬/০৯/২০২০
———————————-
যৌবনের অতৃপ্ত রসে তৃপ্তি পেতে মাতলে তুমি পাঁচ মিনিটের আবেগে, স্বাধীনতার মানচিত্রে পারধীনতার আঁচ না লাগাতে ছুঁড়ে দিলে মোরে।।
সকাল হতে না হতে মুখে রুমাল ধরে কত মানুষ ভিড় করে, অট্টহাসি হেসে কটুক্তির ছলে
মুখ বাঁকিয়ে কতজন না গেল জ্ঞানের কথা বলে
কিন্তু রাত্রি হলে আবার তারাই নেবে হাতে কসাইয়ের মানদণ্ড তুলে ।।
প্রেমিকার প্রমাণ দিতে নিজ সতীত্ব দিলে বিসর্জন,নারী হয়েও নারীজাতি”কে করলে তুমি উলঙ্গ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে হাজার মায়ের কপালে দিলে কলঙ্কের আঁচ টেনে, এই তো তুমি প্রেমী।।
হে জনম দুখিনী মা তুমি কেন হলে পাপী, কেন হলে খুনি,তার মাসুল কিন্তু মৃত্যুর পরেও আমি গুনি
মানুষ একহাতে করে অতৃপ্ত প্রেমের মুক্তির পূজা
আর এক হাতে করে প্রাণ হত্যা,এই বুঝি মানব ধর্ম,এই বুঝি মানব ধর্মের স্বার্থকতা,।।
তিলোত্তমা!
তোমার দীর্ঘ কালো কেশের নেশা যে দু’চোখে ধরেছে;
রাতের নিস্তব্ধতায়ও দু’চোখের পাতা আর এক হয় না।
তোমার ভালোবাসার কাঙ্গাল বানালে আমায় অবলীলায়।
অথচ কী নির্দয় তুমি; আমায় ভালোবাসা দিলে না!
তিলোত্তমা!
জোনাকির পিঠের আলো জ্বলে উঠে পুনরায় নিভে যাওয়ার মতোই;
তুমিও ভালোবাসার লেলিহান শিখা জ্বালিয়ে দিলে আমার হৃদয় মন্দিরে।
ফলস্বরূপ লাভা নামক অগ্নি ফুলকি জ্বলে উঠে আবার নিভে!
তিলোত্তমা!
তুমি কি মোমবাতির মতো করে একবার ভালোবাসবে আমায়?
আমার হৃদয় মন্দিরের প্রাঙ্গণ জুড়ে জমেছে অভেদ্য ধুলোর পুরু স্তর!
সেথায় একটিবার তোমার পদচিহ্ন যদি ফেলো
তবে ধন্য হবে আমার হৃদয়ও প্রান্তর, তোমারই স্পর্শে।
তিলোত্তমা!
আমার শত আকুতি, ব্যথা ভরা মিনতি,
সহাস্যে তাচ্ছিল্য ভরে অগ্রাহ্য করলে তুমি!
এগিয়ে গেলে সম্ভাবনার এক নতুন ভোরের দিকে।
আমার হৃদয়ও মন্দিরের ধুলোর পুরু স্তরে আজ বিষাক্তবাণ!
তিলোত্তমা!
অবশেষে আজ জীবন সায়াহ্নে এসেও
তোমায় নৈবেদ্য অর্পণ করতে হৃদয় ব্যাকুল!
আজও আমি খুঁজেই চলেছি তোমার ভালোবাসা।
আজও ভোরের শিউলি ফুল যখন বিকেলে ঝরে পড়ে;
তখনও ভাবি তাদের উৎসর্গ করব তোমার নামে, তোমারই পাদদেশে, আমার হদয়ও মন্দিরে!
তিলোত্তমা!
জানি জীবনবসান হলেও তুমি হবে না আমার!
তবুও এমন আবদার করেছিলাম বৈ কী কৈশোরের তাড়নায়!
আজও এমনই আবদার করি বেদনায় সিক্ত নেত্রপল্লব বুজে।
তিলোত্তমা!
হেলায় উড়িয়ে দিলে কৈশোরের সেই ভালোবাসা
আষ্টেপৃষ্ঠে জড়ালে আমায় তোমার রুপেরও প্রবঞ্চনাতে!
আমি মৌতাত হয়ে ডুবে গেলাম সেই বিষাক্ত সায়রে।
তিলোত্তমা!
আজি আমার এই জীবন সায়াহ্নে এসে,
চিরতরে চোখ বুজার আগে, ফের আকুতি জানাতে
প্রেমও ভিখারি হয়ে এসে দাঁড়ালাম তোমার দুয়ারে,
শুধু একবার বলো ভালবাসবে আমায়, তুমি আমার মতো করে!
তিলোত্তমা!
একবার কি ভালোবাসবে আমায়?
তুমি আমার মতো করে!
জীবনাবসান হলেও আক্ষেপ রবে না-কো…!
ধুঁকে ধুঁকে যেন উড়ে না যায় খাঁচার ভেতর পোষা অচিন পাখিটি।
নীরব রাতের নিস্তব্ধতা সাক্ষী, আজও তুমি এলে না!
অচিন পাখিটি একটা বারও ডানা ঝাপটাতে পারলো না…!
#গল্পপোকা_কবিতা_লিখন_প্রতিযোগীতা
কবিতা: শবদাহ
কবি: সাজিদুর রহমান সাজিদ
অরুনীমা’র প্রস্হানটা ছিল কাল বৈশাখী ঝড় কিংবা জলোচ্ছ্বাস সুনামির চেয়েও বেশি কিছু –
সাত সাগর তেরো নদী পাড়ি দিলেও সেই রাবীন্দ্রিক প্রেম আর কোনদিন হবে না।
রং তুলি নিয়ে জয়নুল হবার সাধ জন্মেই ঘুচে গেছে,জীবনানন্দময় স্বপ্ন এখন আর তাড়া করে না।
•
এক জীবন ফেলে এসে দেখি আমি অনেকটা বদলে গেছি-
লিখতে গেলে এখন আর কাব্য আসে না,রগচটা মেজাজে চলমান প্রবাহিত ধারা।
এখন আমার আয়না,আমার প্রতিচ্ছবি আমাকেই চমকে দেয়।
নক্ষাত্রিক চোখে আকাশে তাকিয়ে দেখি ঘন কালো কুচকুচে অন্ধকারাচ্ছন্ন মেঘের ভীড়ে তোমার শব পোড়া।
•
আমি জন্ম মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে প্রতিনিয়ত অভিনয় করে যাচ্ছি –
বেঁচে থেকেও সেই মরণোন্মুখ পথ খুঁজে যাচ্ছি,
অবিরত মুক্তির পথ খুঁজে যাচ্ছি,
সেই কবে থেকে-
এক অবিস্তীর্ণ বিন্দুর মতো হে জগদ্বাসী।