Sunday, July 13, 2025
বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 1904



পুরুষ – লেখিকাঃ তানজুম জান্নাত শমি

0

#গল্পপোকা_কবিতা_লিখন_প্রতিযোগিতা_সেপ্টেম্বর২০২০
কবিতাঃ পুরুষ
লেখিকাঃ তানজুম জান্নাত শমি

পুরুষ বলে কাঁদতে আমার
আছে হাজার মানা।
যদিও আমার দুঃখের কারণ
সবার-ই অজানা।
আমার ভেতর লুকিয়ে আছে
দুঃখেরই আস্তানা।
কিন্তু সেই আস্তানা কেউ
দেখতে-ই পায়না।

বয়স বাড়ার সাথে সাথে
বাড়তে থাকে চাপ।
তারপরও পরিবেশের সাথে
খাওয়াতে হয় খাপ।
লেখাপড়া চলাকালীন
চিন্তা শুরু হয়।
নিজের ভবিষ্যত নিয়ে
বাড়তে থাকে ভয়।

ভালো যাকে বাসি আমি
বলতে পারি না।
কারণ এখনো যে আমি
কিছুই করি না।
বিয়ে করতে হলে আমার
দুইটা জিনিস লাগবে।
হয়তো সরকারি চাকরি
নয়তো বিদেশ যেতে হবে।

পরিবারের চিন্তা তো আর
সে তো কম নয়।
ভাই-বোন, মা-বাবার কথাও
ভাবতে আমার হয়।

তারপরও আমি ভীষণ
ধৈর্য্য ধরে আছি।
প্রিয় মানুষ গুলোর জন্যই
আজও বেঁচে আছি।
জানি দুর্দিন ফিরে একদিন
আসবে সুদিন।
স্বপ্নের মাঝে দেখা দেয়
আমায় ঐদিন।

কাঠপেন্সিল – কবি: ফাবিহা ফেরদৌস

0

#গল্প_পোকা_কবিতা_লিখন_প্রতিযোগীতা
কবিতা: কাঠপেন্সিল
কবি: ফাবিহা ফেরদৌস

বৃক্ষকাষ্ঠ দ্বারা মনুষ্যপ্রজাতির তীক্ষ্ণমেধায় ,
যান্ত্রিক কলের আবিষ্কার কাঠপেন্সিল ।
আকার তাহার গোলাকার , তবে খানিকটা লম্বা ।
ভিতরে লুকায়িত কালোশিষ ।
সাদা পাতায় দাগ কাটতে এর জুড়ি মেলা ভার ,
সমান্তরাল , এঁকেবেঁকে , চক্রাকারে দাগ কাটতে
এর ব্যবহার ।
ব্যবহারকারীর অভিলাষ প্রকাশিত হয় এর দ্বারা ,
কখনো আপন হতে,কখনো প্ররোচনায়,
কখনো অযথাই কারণ ছাড়া ।
দাগ কাটা পর সাদা কাগজ না থাকে আর সাদা ,
যেমন সাদা নেই নিশিরাজ স্বয়ং চন্দ্রাদাদা ।
সুন্দর বস্তু মাত্রই দাগযুক্ত।
কিন্তু কাঠপেন্সিলের বিপরীতে রাবার ,
যা করতে পারে কাগজকে দাগ মুক্ত।
রাবার তো মনুষ্যপ্রজাতিরই তীক্ষ্ণমেধায় আরেক
দৃষ্টান্ত
উৎপত্তি তাহার বৃক্ষকোষ হতে , কর্ম তাহার মুছে
ফেলা ।
জন্মগত কলহ হলেও একে অপরের পরিপূরক ।
বৃক্ষকোষ বিনা বৃক্ষকাষ্ঠের উৎপত্তি কল্পনার
অতীত !
কাঠপেন্সিল দাগ না কাটলে রাবারের গুন না যায় বোঝা
রাবারের গুন বুঝতে হলে কাঠপেন্সিলকে দাগ
কাটতে হবে সোজা ।
আগুনে পুড়ে যেমন খাঁটি হয় সোনা ,
মনুষ্য কর্মই কাঠপেন্সিলের আঁচড়ে মনোভাবের
প্রতিচ্ছবি বোনা ।
ভালো প্রতিচ্ছবি গুলো কখোনো নেই হেয় ,
আর মন্দগুলো মুছে ফেলাই শ্রেয় ।
মন্দ প্রতিচ্ছবিতে সময় করতে নেই ব্যয়
মনুষ্যঅন্তর যখন সাদাকাগজেরই ন্যায় ।

চির নিদ্রা-মো রবিউল ইসলাম

0

#গল্পপোকা_কবিতা_লিখন_প্রতিযোগিতা
-চির নিদ্রা-
মো রবিউল ইসলাম*

প্রতিরাত ঘুমাই,প্রতিদিন উঠি,উঠবো না এককালে,
তনু থাকবে এক কোণে পরে,আত্মা যাবে চলে।
কাঁদবে সবাই আমার জন্য সকল কাজ রেখে,
শেষ বারের মতো আমার মুখটা যাবে সবাই দেখে।
নিয়ে যাবে আমায় ঐ চৌকির মধ্যে করাতে শেষ গোসল,
আর হবে না যেন,মোর দেহখানি স্বচ্ছল।
সাবান,ত্যানা সব কিছু দিয়ে করাবে শরীর সাফ,
যাদের সাথে করেছি বেয়াদবি,করবে যে তারা মাফ।
শুবো আমি সেই শক্ত খাটিয়াতে নিঃস্ত্বব্ধ হয়ে,
জানাযায়ের জন্য খাটিয়াসহ নিয়ে যাবে আমায় বয়ে।
জানাযা শেষে আমায় নিয়ে যাবে,যখন কবরের পাশে,
সাড়ে তিন হাত মাটির নিচে,রাখবে আমায় ঠেসে।
কবরের মধ্য রেখে আমার উপর দিবে বাশঁ আর ধারাই,
তখন থেকে শেষ হবে আমার পৃথিবীর বুকে লড়াই।
কবরের উপর মাটি দিবে কত ছেলে পুলে ও তাদের পিতা,
জান্নাত-জাহান্নাম ঠিক করবে অন্তর্যামী দাতা।
পৃথিবী ছেড়ে যেতে হবে,শোনা ধরার বিসিন্দারা,
এই ভাবেই যে দিতে হবে আমাদের চির নিদ্রা।

বৃদ্ধ শিক্ষক – কলমে-আব্দুল রহিম

0

#গল্পপোকা_কবিতা_লিখন_প্রতিযোগিতা
বিভাগ -গদ‍্য কবিতা
শিরোনাম – বৃদ্ধ_শিক্ষক
কলমে-আব্দুল রহিম
শিরোনাম -০৫/০৯/২০২০
————————————–
আমি বলছি সেই বৃদ্ধ শিক্ষকে’র কথাগুলো,
যারা যুগ যুগ ধরে নিংড়ে দিয়েছে সাফল‍্য
যাদের জায়গা মঞ্চের পিছনে চেয়ারগুলো
যারা আসতো ফুটন্ত রৌদ্রে পুড়ে পুড়ে
পায়ে প‍্যাডেল করে আর এক হাতে ছাতা ধরে
তারা কত না ছাত্রের অট্টহাসি,ঠাট্টা ব‍্যাঙ্গাত্মক
সহ‍্য করে,তবু তারা আদর্শবান ছাত্র গড়ে ।।

আমি বলছি সেই বৃদ্ধ শিক্ষকে’র কথা গুলো
যারা ঢিলা-ঢালা প্যান্ট শার্ট আর চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা পড়ে তবু তারা আর্দশবান ছাত্র গড়ে
আমি বলছি সেই বৃদ্ধ শিক্ষকের কথা গুলো
যাদের জরাজীর্ণ শরীরটা বাঁকিয়ে পড়ে
তবু মৃত‍্যুকে ভয় না করে,পা’য়ে ছেঁড়া জুতা, হাতে ভাঙা ঘড়ি পড়ে চলে আসে ঠিকঠাক সময় ধরে ।।

আমি বলছি সেই বৃদ্ধ শিক্ষকে’র কথা গুলো
যাদের জায়গা পিছনের চেয়ারগুলো
তবু তারা দুঃখ না পেয়ে, আর্শীবাদ করে বৃদ্ধ অন্তরে
তারা মৃত‍্যু থেকে হয়তো এক পা দূরে
তবু তারা কতনা রবি কাজী নেতা স্বামী নিজের হাতে গড়ে,কিন্তু কেউ কি তাদের একটুও মনে করে
তারা বসে থাকে মঞ্চের পিছনের চেয়ারে।।

আমি বলছি সেই বৃদ্ধ শিক্ষকে’র কথা গুলো
যারা বুকের রক্ত দিয়ে নিয়ে এসেছে সাফল‍্য
দেখিয়েছে যুগ যুগ ধরে অন্ধ পৃথিবীকে আলো
আমি বলছি সেই বৃদ্ধ শিক্ষকে’র কথা গুলো
যারা হাসতে হাসতে মৃত‍্যুবরণ করে
তবু তারা আজীবন মানুষের মনে বিরাজ করে
তাদের কথা যতই বলি কম পড়ে’রে।।

——————————————
©পলাশী,নদীয়া,পশ্চিমবঙ্গ

বড় আফসোস) – লেখক: নিষাদ আহমেদ

0

#গল্প_পোকা_কবিতা_লিখন_প্রতিযোগিতা
#কবিতা:বড় আফসোস)
#লেখক: নিষাদ আহমেদ

বড় আফসোস লাগে রে বাবা।
কখনো ভাবিনি এভাবে তুমি
আমার কলিজায় মারবে থাবা।8

তোমার জন্য কি না করেছি।
তোমাকে জন্ম দিতে গিয়ে জীবন
বাঁজি ধরেছি।

তোমার জন্য কতই না যন্ত্রণা
সয়েছি।
তুমি পৃথিবীতে আসবে বলে দুঃখের
বোঝা বয়েছি।

ছোট্ট একটু পেটে তোমাকে দশমাস
দশদিন দিয়েছিলাম ঠাই।
আজ তোমার বিশাল ঘরে আমার জন্য
একটু জায়গা নাই।

ছোট্ট বেলায় তোমাকে জোর করে
খাওয়াইতাম বলে করতে কান্না।
আজ আমার জন্য তোমার ঘরে
হয় না রান্না।

কোথায় থাকি,কী খাই নিশ না বাবা অামার কোন খোঁজ।
আমি আল্লাহ কাছে তোমার জন্য দোয়া করি রোজরোজ।

খাইনি,পড়িনি ভালো কিছু শুধু তোমার জন্য।
আজ আমি তোমার কাছে অতি তুচ্ছ নগণ্য।

তুমি অাজ শিক্ষিত করো বড় চাকরি।
আমি তোমার কাছে বাবা ডাস্টবিনের লাকড়ি।

আমার শরীরের দুর্গন্ধ তোমার ঘৃণা লাগে।
ছোট্ট বেলার কথা কি তোমার মনে জাগে।

আজ তুমি ছেলেমেয়ে পেয়েছো আছো বড়ই সুখে।
তোমার এই সুখের জন্য আমি ছিলাম কতটা দুঃখে।

বড় আফসোস লাগে রে বাবা।
তোমারও ছেলেমেয়ে একসময় তোমার কলিজায় মারবে থাবা।

যায় না বুঝা – লেখনীতে: ফারহানা তাবাসসুম

0

#গল্প_পোকা_কবিতা_লিখন_প্রতিযোগিতা
কবিতা: যায় না বুঝা
লেখনীতে: ফারহানা তাবাসসুম

কেউবা রাজা কেউবা প্রজা
যায় না বুঝা লীলা,
কোথাও ঝরে অগ্নি বৃষ্টি
কোথাও বরফ শিলা।

কেউ পেয়েছে দু-হাত ভরে
কেউ পেয়েছে হেলা,
মনের মাঝে অবিরত
কিসের চলে খেলা?

রঙে ডুবে কারো জীবন
কারো সাদামাটা,
সুখের খোঁজে কারো আবার
আজন্ম কাল কাটা।

কারো বসত অট্টালিকায়
কারো খড়ের চালা,
উপচানো সুখ কারো ঘরে
কারো সুখে তালা।

খাবার থেকেও পায় না ক্ষুধা
কেউবা ক্ষুধায় মরে,
কারো মাথায় আকাশের ছাদ
বৃষ্টি হয়ে ঝরে।

সৃষ্টি সকল সূক্ষ্ম অতি
নাইতো সাধ্য কারো,
তোমার ইচ্ছেয় ভুবন চলে
কারো ধার না ধারো।

তোমার স্মৃতির অসুখ- লেখনীতেঃ মাসুদ রানা তাসিন

0

#গল্পপোকা_কবিতা_লিখন_প্রতিযোগিতা

কবিতার নামঃ তোমার স্মৃতির অসুখ
লেখনীতেঃ মাসুদ রানা তাসিন

মনের ক্যানভাসে কান্নাহাসির জোয়ারভাটা!
স্মৃতির বিচরণে আটকানো ধোঁয়াশা,
মেঘলা প্রহরে ভাসছে আকাশটা,
শহরপোড়ে স্মৃতির ধাঁধায় নিরাশা।

ভালোবাসার অভিনয় শত অপমান,
আসল নকলের মঞ্চ খেলায়,
চোখের জলে সকল অভিমান,
মুক্তোর খোঁজে ঘুরে বেড়ায়।

ভালোবাসার শীতলপরশ সয়ে যাতনা,
চোখভিটে জ্বলজ্বল মনে বেদনা।
সেদিনের কথাগুলোয় পাই সান্ত্বনা,
হৃদয়ের স্বাধীনতা সত্যিই সহেনা।

উজার দুঃখ বুকে হাহাকার,
আলোর খোঁজে পাবো সুখ।
সত্যিই কেউ নেই দেখার,
যেথায় তোমায় পাবার অসুখ।

কাব্য অস্ত্র – কলমেঃ তামান্না আফরোজ চার্মিং

0

#গল্পপোকা_কবিতা_লিখন_প্রতিযোগিতা

কবিতাঃ কাব্য অস্ত্র
কলমেঃ তামান্না আফরোজ চার্মিং

আমাকে পেয়ে বসেছে কবিত্বের অসুখ
প্রতিটা শব্দ আবদ্ধ মরণব্যাধিতে
মৃত মহাদেশের স্রোতহীন নদীর মতো
বক্ষ জুড়ে নাগরিক আবর্জনার স্তূপ।

কবিতায় আটকেছি সময়ের ফ্রেম
কৌটাবন্ধ সকল পূর্ণিমার জোৎস্না স্নান
নিশ্চুপ রাতে নিষিদ্ধ কণ্ঠের গানে বেলকনির ভাঙ্গাঘুম
প্রেমালাপের ঝর্ণায় জলপরীদের অবগাহন।

কবিতায় এঁকেছি হাজার তারার আকাশ
অনায়াসে গিলেছি জ্বলজ্বলে বিরহের দ্যুতি
স্পর্শকাতর দেহে কালশিটে রক্তের জমাট
তোমার বসুন্ধরার কোমল দূর্বার আঁচড়।

কবিতা রাঙ্গিয়েছি বিষের নীলে
জিহ্বার কম্পনে দেওয়া প্রতিটি বিষবাক্যের প্রতিফলন
তোমার কণ্ঠনালী জ্বলে পুড়ে ছারখার
পৈশাচিক উল্লাসের তান্ডব আমিত্বে।

কবিতায় ঘুরে এসেছি তোমার শ্মশানঘাট
সিদূর স্নানে বিসর্জন দিয়েছি শাখা-পলার
তোমার অন্তিম উপহার- সাদা থানে
পায়ের মলের কলঙ্কে নৃত্যরত মৃত নর্তকী।

কবিতায় ডুবিয়েছি অসহায় আয়না আদল
ভেজা রেলগাড়ি থেমেছে খড়খড়ে জনপদে
জনমানবশূন্য সীমানা হুশিয়ার কোলাহলের পাহাড়ায়
কবিতার অমরত্বে মরণব্যাধির প্রতিকার।

অপেক্ষার প্রহর” লিখনীতে: আকাশ

0

#গল্পপোকা_কবিতা_লিখন_প্রতিযোগিতা

কবিতা:”অপেক্ষার প্রহর”
লিখনীতে: আকাশ

“অপেক্ষার প্রহর”

স্টেশনে বসে অপেক্ষায় আছি,
আসবে কখন বাস।
সময় আমার সাথে এখন,
করছে উপহাস।

একে দুয়ে আসছে গাড়ি,
আসছে না তো বাস।
বারংবার ফেলছি আমি,
হতাশার দীর্ঘশ্বাস।

হঠাৎ রাস্তার দমকা হাওয়ায়,
এলো মাথার চুল।
তোমার জন্যে গন্তব্যে পাড়ি,
হচ্ছে না তো ভুল।

রাস্তা হঠাৎ স্তব্ধ এখন,
আছে শুধু এক টঙ।
নীরবচারী আমি এখন,
অনেকটাই সঙ।

অপেক্ষার প্রহর গুনছি আমি,
চুমুকে এক কাপ চা।
বাস আসছে দেখতেই আমার,
সারলো হতাশার ঘা।

ধন্যবাদ?

ল্যাম্পপোস্ট – কবি : ফাবিহা ফেরদৌস

0

#গল্পপোকা_কবিতা_লিখন_প্রতিযোগিতা
কবিতার নাম : ল্যাম্পপোস্ট
কবি : ফাবিহা ফেরদৌস

কর্ম যদিও জীবের মতো , বাঁচে জড় বস্তুর
ন্যায়,
সমস্ত দিনটা কদরবিহীন ভাবে পার করে দেয় ।
তার চার পাশে লোকে ফেলে কত আবর্জনা,
খারাপ লাগলেও দেখে যায় , কেউ করেনা মানা।
তার গায়ে জড়িয়ে দেয় রং বেরঙের সব ,
যেখানে থাকে শুধুই বিজ্ঞাপণের কলোরব ।
সন্ধ্যার ঘনঘটায় যখন আকাশ যায় ছেয়ে,
উড়ন্ত পাখিরাও ফিরে আসে নীড়ে ধেয়ে ।
লোকলোকারন্য তখনও কর্মে ঘেরা,
আঁধার কালো আকাশ দেখেও ঘরে হয়না ফেরা।
তারপর যখন বাদলধারা ঝমঝমিয়ে নামে,
লোকলোকারন্যের কর্মব্যস্ততা ঠিক তখনই
থামে।
আঁধার রাতে ক্লান্তির সাথে ঘরে ফেরার পালা ,
সেই আঁধারে ল্যাম্পপোস্টই করে আলোর
খেলা।
ঝড় , বৃষ্টি , রোদতাপে হার মানেনা সে ,
যুগের পর যুগ ধরে আলো দিয়ে এসেছে ।
এর নিচে কেউ জিড়িয়ে নেয় ক্লান্তি ,
কেউ বা খোঁজে রাতের ঘুমের শান্তি ।
দিনের বেলা এই ল্যাম্পপোস্টের নেয় না কেউ
খোঁজ ,
স্বার্থহীনভাবে প্রতি রাতে আলো দিয়ে যাচ্ছে
রোজ ।
পাশের বাড়ির শিমুল মেয়েটার দশা ঠিক এমন ,
কিছু করার নেই , তবু মনটা করে কেমন কেমন !